বৈদ্যুতিক পাখার গতি এবং বিদ্যুৎ বিলের সম্পর্ক

 

উপরের এই বিষয়টি পরিস্কার ভাবে বোঝার জন্য কয়েকটি বিষয়ে আমাদেরকে সামগ্রিক ধারণা থাকতে হবে আমি প্রথমে এই বিষয়গুলো ধারনা দেবার চেষ্টা করছি।

বিদ্যুৎ কী?

বিদ্যুৎ  এক প্রকার শক্তি যেটা আমাদের কাজ করার সামর্থ্য যোগায়।শক্তির এসআই ইউনিট ওয়াট যা প্রতি সেকেন্ডে জোলস। কখনও কখনও মোটর গাড়ি এবং অন্যান্য মেশিনের শক্তি হর্স পাওয়ার (এইচপি) এর ক্ষেত্রে দেওয়া হয়, যা প্রায় 745.7 ওয়াটের সমান।

 

ইলেকট্রিক রেগুলেটর

ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রক, কোনও বৈদ্যুতিক ডিভাইস যা গ্রহণযোগ্য সীমাতে কোনও পাওয়ার উত্সের ভোল্টেজ বজায় রাখে। ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রকের নির্ধারিত পরিসরের মধ্যে ভোল্টেজগুলি রাখতে প্রয়োজন যা সেই ভোল্টেজ ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামগুলি সহ্য করতে পারে।

https://www.youtube.com/watch?v=F4PRLXTsyrY

 

ইলেকট্রিক ফ্যান

ইলেকট্রিক ফ্যান হলো এমন একটি যন্ত্র যা ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি গ্রহণ করে আমাদেরকে মেকানিক্যাল এনার্জি প্রদান করে।আরও সহজভাবে যদি আমি বলি তাহলে বলতে পারি ফ্যান বিদ্যুৎ শক্তি গ্রহণ করে আমাদেরকে বাতাস প্রদান করে।

বৈদ্যুতিক ফ্যান এর গতি

একটি দৃশ্যপট কল্পনা করুন ।মনে করুন আপনি রাস্তায় দৌড়াবেন ।এখন দৌড়াতে গেলে আপনার এনার্জি প্রয়োজন হবে ।তাই আপনি এনার্জি ডিংক খেয়ে নিলেন ।এনার্জি ড্রিংক খেয়ে আপনি সহ জোরে দৌড়াতে লাগলেন ।এখানে বলে রাখি রাস্তাটা কিন্তু মসৃণ নয়।এক্ষেত্রে আপনার গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে রাস্তার প্রকৃতি।বৈদ্যুতিক ফ্যান বিদ্যুৎ ও রেগুলেটরের সম্পর্কটাও এরকমই।

 

একটি পাখায় একটি বৈদ্যুতিক মোটর এবং কয়েকটি ধাতব প্লেট সাধারণত তিনটি সংযুক্ত থাকে ।যখন আমরা একটি পাখার সুইচ অন করি তখন ভোল্টেজের পার্থক্যের জন্য মটরির মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ যায় এবং তার ফলে পাকাটি ঘুরতে থাকে ।যেমনটি এনার্জি ড্রিংক খেয়ে আপনি সজোরে দৌড়াচ্ছিলেন ।নিয়ন্ত্রক বা রেগুলেটর মোটরের ভোল্টেজ এর নিয়ন্ত্রণ করে এবং মটর এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বিদ্যুৎ এর পরিমাণ কমিয়ে বা বাড়িয়ে দেয় ।ঠিক যেভাবে অমসৃণ রাস্তার প্রকৃতির কারণে গতি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছিল ।সুতরাং একটু পাখার ভোল্টেজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণরূপে তার নিয়ন্ত্রক ভোল্টেজ রেগুলেটর এর উপর নির্ভরশীল ।একটি পাখার ভোল্টেজের পরিমাণ তার ঘূর্ণন গতির সমানুপাতিক অর্থাৎ অর্থাৎ ভোল্টের যত বাড়বে পাখার গতি তত বাড়বে।গল্পের ছন্দে যদি বলি এনার্জি ডিংক যত খাবেনা আপনার দৌড়ানোর শক্তি ততো বাড়বে।

এবার মুল আলোচনায় আসা যাক। অনেকেই মনে করেন যে ফ্যান এর গতি বাড়ালে বিদ্যুৎ বিল বাড়ে আর গতি কমালে বিদ্যুৎ বিল কমে।আপনি গভীরভাবে ভাবেন তো যা আপনি যখন এনার্জি ড্রিংকে রাস্তায় দৌড়াচ্ছিলেন তখন কি এনার্জি ড্রিংক খাওয়ার পরিমাণ উপরে আপনার গতিবেগ কম ছিল নাকি রাস্তার বাধার কারণে?আপনি অবশ্যই বলবেন রাস্তার প্রকৃতির কারণে বাধার কারণে তাহলে এনার্জি ড্রিংকের উপর কোন কিছু নির্ভর করে নি।তেমনি ভাবে বৈদ্যুতিক পাখা ঘোরার জন্য যতটুকু শক্তি সরবরাহ দেওয়া হচ্ছিল ততটুকুই নিবে শুধু বাধা দিবে ভোল্টেজকে কমিয়ে দিবে রেগুলেটর তাই পাখা ধীরে ঘুরলে বা দ্রুতগতিতে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ একই লাগবে।

 

লিখেছেন

মোঃ শফিকুল ইসলাম মিলন

ইন্সট্রাক্টর

ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

 

Database Normalization কি?

 

ডাটাবেস নরমালাইজেশন কী? সর্বপ্রথম আসি, Normalization কি? কোন কিছুকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসা। এখন ডাটাবেজের স্বাভাবিক অবস্থা বলতে, ডাটাবেজ থেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিস বাদ দেয়া যাকে ডাটা রিডানডেন্সি বলে এবং ডাটার বিশুদ্ধতা তৈরি করা যাকে ডাটা ইন্টিগ্রিটি ও বলা হয়। এখন Data Redundancy এবং Data Integrity কে উদাহরনসহ বর্ণনা করা যাক।

ডাটা রিডানডেন্সি – আমরা যখন ডাটাবেজ ডিজাইন করি তখন অনেক সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত ডাটা জমা হয়। যাতে ডাটাবেজের মধ্যে একই ডাটা বার বার জমা হয়। এতে ডাটার রিডানডেন্সি বেড়ে যায়। এখন যদি ডাটাবেজকে নরমালাইজ করা হয় এতে অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয় ডাটা আর থাতে না।

ডাটা ইন্টিগ্রিটি – Data Integrity বলতে ডাটার বিশুদ্ধতা বুঝানো হয়েছে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে ডাটার বিশুদ্ধতা কি? ধরি ডাটাবেজ এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, একজন ছাত্রের পরিক্ষার ফলাফল একেক জায়গায় একেক রকম। এক জায়গায় তার সর্বমোট নাম্বার ৪৭০, অন্য জায়গায় ৪৭৭। যা চুড়ান্ত ফলাফল তৈরিতে সমস্যার সৃষ্টি করবে। এই সমস্যার মাধ্যমে স্পষ্টত ডাটা তার শুদ্ধতা হারিয়েছে। এখন এই সমস্যা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে ডাটাবেজ নরমালাইজেশন। ডাটাবেজ নরমালাইজেশন করলে এই সমস্যা সমাধান করে একটি শুদ্ধ ডাটাবেজ তৈরি করা সম্ভব।

নিচে একটি টেবিলের মাধ্যমে ডাটাবেজ নরমালাইজেশনের বিষয়টি আরো ভালোভাবে বোঝানেরা চেষ্টা করছি।

StdRoll Name SubjectName Department Semester
40101 Md. Kamrul Islam Bangla, English, Mathematics Computer First
40102 Ruhul Amin Bangla, ICT, Mathematics Electrical Third
40103 Rejaul Karim Bangla, English, ICT Civil Fourth
40104 Fayej Chowdhury Programming in Java, English, Mathematics Textile Seventh
40105 Faria Rahman Bangla, English, DBMS AIDT First

 

উপরের টেবিলটিতে কোন নরমালাইজেশন করা নাই। এখন যদি  এই টেবিলে নতুন কোন ডাটা Insert বা সংযোজন , পরিবর্তন বা Update কিংবা Delete করতে চাই তাহলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। ধরি 40105 ডাটার DBMS বিষয়টি ভুল বসত দেয়া হয়েছে তার স্থানে ICT ও Programming in Java বিষয় সংযুক্ত হবে, সেক্ষেত্রে কিভাবে সংযোজন করবো, আবার প্রত্যেকটি বিষয়কে আলাদা করার জন্য কমা ব্যবহার করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে কমা কিভাবে সংযুক্ত করবো।

এখন যদি আমরা উপরের টেবিলকে নরমালাইজেশন করি তাহলে দেখি সমস্যার সমাধান হয় কিনা।

ডাটাবেজ নরমালাইজেশনের প্রথম ধাপ হচ্ছে First Normal Form (1NF). First Normal Form (1NF) এর শর্ত হচ্ছে প্রত্যেকটি ডাটা আলাদা থাকবে। উপরের টেবিলে আমরা দেখতি পাচ্ছি, SubjectName কলামের একাধিক ডাটা একই ঘরে। সুতরাং প্রত্যেক বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা ঘর নিতে হবে। উপরের টেবিলকে First Normal Form (1NF) এ রূপান্তর করে নিচের টেবিলে দেখানো হলো।

StdRoll Name SubjectName Total Marks GPA
40101 Md. Kamrul Islam Bangla Computer First
40101 Md. Kamrul Islam English Computer First
40101 Md. Kamrul Islam Mathematics Computer First
40102 Ruhul Amin Bangla Electrical Third
40102 Ruhul Amin ICT Electrical Third
40102 Ruhul Amin Mathematics Electrical Third
40103 Rejaul Karim Bangla Civil Fourth
40103 Rejaul Karim English Civil Fourth
40103 Rejaul Karim ICT Civil Fourth
40104 Fayej Chowdhury Programming in Java Textile Seventh
40104 Fayej Chowdhury English Textile Seventh
40104 Fayej Chowdhury Mathematics Textile Seventh
40105 Faria Rahman Bangla AIDT First
40105 Faria Rahman English AIDT First
40105 Faria Rahman DBMS AIDT First

এখন উপরের টেবিলে  ডাটা নরমালাইজেশন করা হয়েছে, যাতে ডাটাগুলোকে আলাদা করা হয়েছে। এখন যদি যে কোন একটি রো এর ডাটা পরিবর্তন করতে চাই কিংবা নতুন একটি ডাটা সংযোজন করতে চাই তা সহজেই করতে পারবো।

পরবর্তী অংশে Second Normal Form (2NF) এবং Third Normal Form (3NF) নিয়ে আলোচনা করবো।

বাংলার নবজাগরণ

 

উনবিংশ থেকে বিংশ শতক পর্যন্ত বাংলায় শিক্ষা-সংস্কৃতির অগ্রগতির ধারা কে বাংলার নবজাগরণ বলে। বাংলার তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থার অবস্থা খুবই করুণ ছিল।শিক্ষার অভাবে ও বিভিন্ন কুসংস্কারের কারণে বাংলার মানুষ অনেক পিছিয়ে ছিল।এছাড়া বাংলার মানুষ অশিক্ষিত হওয়ায় ইংরেজি শাসক গোষ্ঠী তাদের দুর্বলতার সুযোগ নিত। কুসংস্কারের ভেতর সতীদাহ প্রথা ছিল অন্যতম। বাংলার নবজাগরণ প্রধানত কলকাতাতে শুরু হয়, তবুও এর প্রভাব বাংলাতে ছড়িয়ে পড়েছিল।নবজাগরণের কারণে দেশে ছাপাখানা, সংবাদপত্র, কলেজ, মাদ্রাসা, মুদ্রণযন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাকরণ রচনা প্রতিষ্ঠিত হয়। উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তাছাড়া সতীদাহ রোধ এবং বিধবা বিবাহ চালু করার মত অনেক কাজ নবজাগরণ এর ফলে হয়। এই পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে রাজা রামমোহন রায়, মীর মোশারফ হোসেন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমূখ।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ,সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার।বিধবা বিবাহ, স্ত্রীশিক্ষার প্রচলন শুরু এবং বাল্যবিবাহ, সতীদাহ, বহুবিবাহ প্রথা তিনি বন্ধ করেছিলেন। নারী শিক্ষা বিস্তারে তার প্রভাব সবচেয়ে বেশি।তিনিই প্রথম মেয়েদের জন্য বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। নারীদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য সুযোগ করে দেন। ব্যাকরণ রচনা, সাহিত্য  শিক্ষায় তার অবদান অনেক।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ইত্যাদি ছিলেন। বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ জনক ছিলেন তিনি। বাংলা শিক্ষা সাহিত্য পাঠ প্রসারে তাঁর গুরুত্ব অনেক। তার লেখা কবিতা গল্পের মাধ্যমে তিনি প্রতিবাদ করেছেন। কুসংস্কার, অত্যাচার, অধিকার আদায় নিয়ে তার লেখা নবজাগরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

কাজী নজরুল ইসলাম একজন বাঙালি কবি সঙ্গীতজ্ঞ, দার্শনিক, ঔপন্যাসিক ছিলেন। তাঁর লেখা, গান, কবিতা, গল্প মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। তিনি ছিলেন বিদ্রোহী কবি।ইংরেজদের বিরুদ্ধে শুধু লেখার মাধ্যমে নয় সরাসরিও বিদ্রোহ করেছেন। বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকরণ প্রসারে তিনি অবদান রাখেন।

 

রাজা রামমোহন রায় প্রথম ভারতীয় ধর্মীয়- সামাজিক পুনর্গঠন আন্দোলন, ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাঙালি দার্শনিক।তৎকালীন রাজনীতি, জনপ্রশাসন, ধর্মীয় এবং শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখতে পেরেছিলেন। তিনি সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়েছেন সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করার প্রচেষ্টার জন্য।

 

বাংলায় এমন আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনীষী ছিলেন যাদের অবদান ছাড়া নবজাগরণ করা সম্ভব ছিল না তাদের এই অবদানই মানুষ আজ এত এগিয়ে আছেন।

 

সূত্র : গুগল 

শাহনেওয়াজ সেরাজ সুবর্ণা

ইন্সট্রাক্টর অফ আর এস ডিপার্টমেন্ট

ডেফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

 

১৯ শের গল্প, পর্ব -৪

ওয়াহিদা মৌ,  ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ট্যুরিজম  ডিপার্টমেন্টের তৃতীয় সেমিস্টারের একজন শিক্ষার্থী। তিনি আমাদের সাথে শেয়ার করে তার উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প। 

“আমার শুরুটা শুরু থেকেই” 

তিনি পড়াশোনার সাথে মিল রেখে  একটা ব্যবসা শুরু করেন। তিনি বলেন তিনি নিজে রান্না করেন এবং  রান্নাকৃত খাবার হোম ডেলিভারি করেন।

তিনি আমাদের সাথে শেয়ার করেন তাঁর ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার কথা। 

তিনি বলেন তিনি মনে মনে এরকম একটা প্রতিষ্ঠানে খুঁজছিল যেখানে ফুড রিলেটেড কোর্স করানো হয়। তিনি আরও বলেন তিনি অন্য একটা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে রাস্তা দিয়ে বাসে যাওয়ার সময় তার চোখে পড়ে ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এর সাইনবোর্ড। তিনি যোগাযোগ করেন এডমিশন অফিসে এবং একেবারে শেষ সময়ে ভর্তি হন ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। 

 

তিনি বলেন এখানে ভর্তি হওয়ার পরে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন। তিনি জানতেন না কত সময় একটা খাবার কে রান্না করতে হয়। তিনি আরো বলেন আমরা বাঙালিরা বেশিরভাগ সময়ই ওভারকোট রান্না খাই, সে ক্ষেত্রে খাবারের মধ্যে কোন ভিটামিন মিনারেল থাকেনা। সে ড্যাফোডিল পলিটেকনিকে এসে শিখতে পেরেছেন একটা খাবারকে ঠিক কত সময় রান্না করতে হয়। 

তিনি বলেন লকডাউনে সবকিছু যখন থমকে গিয়েছিলো তখন তাদের সমস্ত ক্লাস অনলাইনে হয়েছিল।  

তার কাছে তা ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে এসে বলেন, তিনি ছোটবেলা থেকে রান্নাকে অনেক পছন্দ করতেন। তিনি এমন একটা কিছু করতে চেয়ে ছিলেন যেটা রান্না সম্পর্কিত। 

তিনি বলেন অলরেডি তিনি তৃতীয় সেমিষ্টারে অধ্যায়ন করছে ইতিমধ্যে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন। ম্যামকে বিভিন্ন রেসিপি করে দেখিয়েছেন এবং তার গাইড আইন অনুযায়ী  কোন ভুল হলে সেটি আবার সংশোধন করে নিয়েছেন। 

তিনি যখন কোথাও যে যেতেন তখন তিনি বাসা থেকে খাবার রান্না করে নিয়ে যেত এবং তারা অনেক উৎসাহিত করতেও জেহেল তুমি একটা কিছু করতে পারবে। তারপর থেকেই তিনি একটু একটু করে তার ব্যবসা শুরু করেন। তিনি নিজে রান্না করেন এবং অনেক সময় নিজেই হোম ডেলিভারি করেন।

তিনি আরও শেয়ার করেন বর্তমানে তিনি নিজের উপার্জনের একটি স্কুটার কিনেছেন।  

 

পরীক্ষার আবিষ্কারক কে জানেন?

পরীক্ষা শব্দটা এমন, যেটা শুনলে বর্তমান অথবা অতীত সকল প্রজন্মই আঁতকে ওঠে। ক্লাস পরীক্ষা, সাপ্তাহিক পরীক্ষা, মাসিক পরীক্ষা, হঠাৎ পরীক্ষা, ষাণ্মাসিক পরীক্ষা, টিউটোরিয়াল পরীক্ষা, প্রস্তুতি পরীক্ষা, অর্ধ বাৎসরিক পরীক্ষা, বাৎসরিক পরীক্ষা, ভর্তি পরীক্ষা, চাকরির পরীক্ষা– পরীক্ষার যেন অভাব নেই! এতসব পরীক্ষার যাঁতাকলে রীতিমত নাভিশ্বাস উঠে যায় ছাত্রদের। ওঠাটাই স্বাভাবিক, কারণ আমাদের আরামপ্রিয় মস্তিষ্ক এত চাপ নিতে চায় না। পরীক্ষার পড়ার জন্য রাতগুলো যখন নির্ঘুম কাটে তখন নিশ্চয় একবার হলেও মাথায় আসে কে আবিষ্কার করেছিল এই পরীক্ষা? একই সাথে তাকে যদি একবার সামনে পেতাম তাহলে তাকে যে কিভাবে শায়েস্তা করতাম সেই নীল নকশাও মনের অজান্তে করে ফেলি। কিন্তু কে সেই ব্যক্তি যিনি আবিষ্কার করেছেন এই ভয়ানক পরীক্ষা, সেটা জানার আগে আমাদের জানতে হবে কিভাবে এই পরীক্ষা পদ্ধতির সূত্রপাত হয়েছে…

পরীক্ষা পদ্ধতি

পরীক্ষার পদ্ধতির সূত্রপাত হয়েছে প্রাচীন চীনে। জি! এটাও Made in Chaina. চীনে সর্বপ্রথম Standardized Test বা সার্বভৌম পরীক্ষার প্রচলন করা হয়। এই পরীক্ষার ছিল মূলত একটি বাছাই পরীক্ষা। যার মাধ্যমে সরকারি চাকরির জন্য যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা হত। এই পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হয় ৬০৫ খ্রিষ্টাব্দে। সুই রাজবংশ (Sui Dynasty) এই পদ্ধতি চালু করে। এর প্রায় ১৩০০ বছর পরে কুইং রাজবংশ (Qing Dynasty) ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে এই পদ্ধতি বাতিল করে। কিন্তু ১৮০৬ সালে ইংল্যান্ড এই পরীক্ষা পদ্ধতি গ্রহণ করে এবং সরকারি বিভিন্ন কাজে প্রার্থী নিয়োগের জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করে। পরবর্তীতে তারা ইংল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থায় পরীক্ষা পদ্ধতির সংযোজন করে। এইভাবে আস্তে আস্তে বিভিন্ন দেশে পরীক্ষা পদ্ধতি ছড়িয়ে পড়ে এবং দেশে দেশে গ্রহনযোগ্যতাও পেতে থাকে। বিশ্বব্যাপী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পরীক্ষা পদ্ধতির সূচনা

পরীক্ষার আবিষ্কারকহয়।

পরীক্ষার আবিষ্কারক লিখে যদি আমরা গুগল বা যেকোন সার্চ মাধ্যমে খোঁজার চেষ্টা করি তাহলে একজন ব্যাক্তির ছবি আমাদের সামনে চলে আসে। তার নাম হল “হেনরি এ ফিশেল”। সাধারনত তাকেই “পরীক্ষার জনক”  হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৩ সালের ২০শে নভেম্বর জার্মানিতে। তিনি ছিলেন ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক। তিনি গ্রীক ও ইহুদি সাহিত্যের উপর বই লিখেছেন। তিনি ২০০৮ সালের মার্চ মাসের ১৮ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি ছিলেন ফরাসি দার্শনিক, যিনি পরীক্ষা এবং পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বক্তৃতা করেছেন। পরীক্ষা সম্পর্কে তিনি যে দার্শনিক ধারনা দেন তা হল , “কোন বিষয়ে উপসংহারে পৌছানোর পূর্বে সেই বিষয় নিয়ে খুব বিচক্ষনতার সাথে পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ।” ধারনা করা হয় হেনরি মিশেলই সর্বপ্রথম দার্শনিক যিনি পরীক্ষার দর্শন নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনিই বের করেছেন, বছর শেষে একটা পরীক্ষা না নিলেই নয়। কে পড়াশোনা করেছে আর কে করেনি, সেটা যাচাই করার এর চেয়ে ভালো পদ্ধতি নাকি আর নেই।

তাহলে পরীক্ষার জন্ম কি জনকের আগে!!!

আসলে পরীক্ষা পদ্ধতি কবে থেকে প্রচলন হয়েছে সেটা যদি তোমরা খেয়াল কর তাহলে দেখবে, আসলে আমরা যাকে পরীক্ষার জনক বলে আখ্যায়িত করছি তার জন্মের অনেক আগে থেকেই পরীক্ষার প্রচলন হয়েছে। হেনরি এ ফিশেলের ক্ষেত্রে ধারনা করা হয় তিনিই যে পরীক্ষার জনক এটি একটি ভুল ধারনা। মুলত বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ইন্টারনেট ভিত্তিক হাস্যরস সম্পর্কিত প্লাটফর্ম গুলোতে তাকে নিয়ে অনেক বেশি গল্প / আলোচনা শেয়ার করা হয় যার ফলে তাকেই অনেকে পরীক্ষার জনক হিসেবে মেনে নেয়। কিন্তু মজার বিষয় হল যদি আমরা পরীক্ষা পদ্ধতির সূচনার সময়ের কথা চিন্তা করি তাহলে দেখা যাবে হেনরি এ ফিশেল বা হেনরি মিশেল সকলেই পরীক্ষা দেওয়া লেগেছে।

আধুনিক পরীক্ষা পদ্ধতি

পরীক্ষার সাথে এখন অনেক কিছু জড়িত। রুটিন, গ্রেড, জিপিএ কিংবা ফলাফল সবকিছুই পরীক্ষার সাথে সম্পর্কিত। তাই এই বিষয়গুলো কে আরো সহজ করতে দিন দিন নতুন নতুন পরীক্ষা পদ্ধতির সূচনা হচ্ছে। যেমন আগে পরীক্ষা মানেই ছিল বড় বড় করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া অনেকটা রচনার মত। এর পরে শুরু হল Multiple Choice Question(MCQ) পদ্ধতি। যেখানে শুধু টিক দেওয়া লাগে বা বৃত্ত পূরণ করা লাগে। বিজ্ঞান শাখার ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে যেটি সবচেয়ে মজার পরীক্ষা সেটি হল ব্যবহারিক পরীক্ষা বা প্র্যাকটিকেল পরীক্ষা। যেখানে সবকিছু হাতে কলমে করতে হয়। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে এখন পরীক্ষা অনেকক্ষেত্রে কম্পিউটার নির্ভর হয়ে গেছে। অনেক দেশে বর্তমানে সরাসরি কম্পিউটারের মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির সাথে সাথে পরীক্ষা পদ্ধতিতেও নতুন নতুন পরিবর্তন আসছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই উপকারি।

 

গল্প থেকে শেখা, পর্ব-৯

গল্পের নাম – বাচ্চা উট ও তার মা

একটি মা উটের পাশে  একটি বাচ্চা উট  শুয়ে ছিল, এবং হঠাৎ বাচ্চা উটটি জিজ্ঞাসা করলেন, “মা, আমি কি তোমাকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারি? মা বললেন, “অবশ্যই! কেন পুত্র, তুমি ‍কি কোন  কিছু নিয়ে চিন্তিত ?  বাচ্চাটি বলল, “উট কেন কুঁচকে থাকে?” মা বললেন, “আচ্ছা পুত্র, আমরা মরুভূমির প্রাণী, আমাদের পানি সঞ্চয় করার জন্য কুঁচিয়ে থাকা দরকার এবং আমরা জানি যে পানি  ছাড়া বেঁচে কেউ থাকতে পারে না”।

বাচ্চা বলল, “ঠিক আছে, তাহলে আমাদের পা দীর্ঘ এবং পা কেন বৃত্তাকার?” মা বললেন, “পুত্র, অবশ্যই আমাদের মরুভূমিতে হাঁটার জন্য। তুমি জানো যে এই পা দিয়ে আমি মরুভূমির চারপাশে যে কারও চেয়ে ভাল চলাফেরা করতে পারি! ” বাচ্চা বলল, “ঠিক আছে, তাহলে আমাদের চোখের পাপড়ি  কেন এত দীর্ঘ? কখনও কখনও এটি আমাকে দেখতে বিরক্ত করে। অভিমান সহকারে মা বলেছিলেন, “আমার পুত্র , এই দীর্ঘ ঘন চোখের পাতা গুলো তোমাকে প্রতিরক্ষা মূলক আবরণ। এগুলো তোমার চোখ মরুভূমির বালু এবং বাতাস থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে ”। 

বাচ্চাটি  ভাবার পরে বলল, ওহঃ আচ্ছা । সুতরাং আমরা যখন মরুভূমিতে থাকি তখন কুঁচকে পানে রাখি, পা হচ্ছে মরুভূমিতে মধ্য দিয়ে চলাফেরা করার জন্য এবং এই চোখের পাতা আমার চোখকে মরুভূমিতে রক্ষা করে। সৃষ্টিকর্তার নামে বল,  আমরা চিড়িয়াখানায় কী করছি !

 

গল্পের নৈতিকতা: 

দক্ষতা, জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা গুলো কেবল তখনই কার্যকর হবে যদি আপনি আপনার জায়গায় সঠিক থাকেন।

রসায়নে  ইলেকট্রন শেয়ার

রসায়নে  ইলেকট্রন শেয়ার

পৃথিবীতে অনেক কিছুই আমরা শেয়ার করে থাকি | সুতরাং  শেয়ার সম্পর্কে আমাদের যথেষ্ট ধারণা আছে | শেয়ার বলতে মূলত বোঝায় ভাগাভাগি করা | শেয়ার তখনই করতে হয় যখন কোন কিছু একেবারেই দিয়ে দেওয়া যায় না অথবা কারো কাছ থেকে কোন কিছুই একেবারে নেওয়া যায় না|

রাজিব ও রতন দুই বন্ধু|  একদিন তারা একটি রেস্টুরেন্টে গেল|   তারা পিজ্জা খাবার ইচ্ছা পোষণ করল| পিৎজার দাম ছিল আটশত টাকা|  এদিকে রাজীবের কাছে ছিল পাঁচশত টাকা এবং রতনের কাছে ছিল 400 টাকা| রাজিব 400 টাকা এবং রতন 400 টাকা পরস্পরের সাথে শেয়ার করে 800 টাকা দিয়ে পিজ্জা খেয়ে খুব আনন্দের সাথেই বাড়িতে ফিরলো|  অর্থাৎ তারা নিজেদের টাকা শেয়ার করে খাবারটি কিনে  খেলো|

ঠিক রসায়নে  বেশ কিছু যৌগ গঠন করার ক্ষেত্রে  এভাবে ইলেকট্রন শেয়ার করতে হয়|  আর এই ইলেকট্রন  শেয়ারের মাধ্যমে যে বন্ধন গঠিত হয় তাকে সমযোজী বা সহযোজী বন্ধন বলা হয়| এই বন্ধন কে ইংরেজিতে বলা হয় Covalent Bonding.

আমরা যে পানি গ্রহণ করে থাকি সেই পানিতে  সমযোজী বন্ধন বিদ্যমান|  পানির সংকেত H2O.   এক অনু পানিতে একটি অক্সিজেনের পরমাণু এবং দুটি হাইড্রোজেনের পরমাণু বিদ্যমান থাকে | নিচে হাইড্রোজেন  এবং অক্সিজেন এদের ইলেকট্রন বিন্যাস দেখানো হলো:-

 

H(1)- 1s1

O(8)- 1s2 2s2 2p4

 

এই পৃথিবীতে সর্বমোট 118 টি মৌল রয়েছে|  এদের মধ্যে 6 টি মৌল রয়েছে নিষ্ক্রিয়|   বাকি 112 টি মৌল রয়েছে  সেগুলো নিষ্ক্রিয় 6 টি মৌলের ইলেকট্রন কাঠামো লাভ করার উদ্দেশ্যে কখনো ইলেকট্রন দান করে,  গ্রহণ করে অথবা শেয়ার করে থাকে|

হাইড্রোজেন এর নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় মৌলটি হল হিলিয়াম  যার ইলেকট্রন সংখ্যা হল 2.  অপরদিকে অক্সিজেন মৌলটি নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় মৌল নিয়ন,  যার ইলেকট্রন সংখ্যা 10.  যখন 1 অনু পানি তৈরি হয় তখন একটি অক্সিজেন পরমাণু  দুটি হাইড্রোজেন পরমাণুর দুটি ইলেকট্রন তার সাথে শেয়ার করে থাকে|  এক্ষেত্রে হাইড্রোজেন হিলিয়ামের ইলেকট্রন কাঠামো লাভ করে এবং অক্সিজেন নিয়ন এর ইলেকট্রন কাঠামো লাভ করে যৌগ গঠিত হয়| নিচে বিক্রিয়াটির কৌশল দেখানো হলো:-

 

2H*  +  : O :                  H*.O.*H                    H         O          H

 

 

Sustainable Architecture: Design to Preserve Environment

 

Sustainable Architecture is the way of design which has very low negative impact on the surrounding environment. Often we design and build many construction without considering the environmental factors and objects. For this reason sometimes intentionally or sometimes unintentionally we are destroying our own natural environment. This is not good at all for ourselves and for our future.

Realizing the fact architects tried to develop a way which is not going to harm the environment, attest the tried to lower the negative impact on the environment. Thus the architects started to work on an eco-friendly design process with minimum impact on the environment and that is the Sustainable Architecture in terms.

Now a days Sustainable Architecture become one of the most common and important part of Contemporary Architecture practice. International design policy organization like LEED and BREEAM setup some guideline for practicing the Sustainable Architecture. Here are some characteristics of Sustainable Architecture:

  • Designs main focus will be on the minimum negative impact on environment.
  • Have to try to increase the use of eco-friendly renewable energy consumption instead of wasteful energy consumption.
  • Try to setup renewable energy production which is need for the total building energy consumption.
  • Installing environment friendly water management system like the greywater recycling and using the rainwater.
  • Plant trees in a decorative way in the outside area of the building, make green roof by using small trees and decorative plants, and making green wall with live construction material friendly plants or by construct the wall suitable for plant setup.
  • Adopting the design with the surrounding landscape of the building.
  • Renewable materials like flax, bamboo, soy, cork and hemp can be used if suitable.
  • Using sustainable materials like hempcrete which is made from lime, hemp and water instead of regular material like concrete.
  • Increasing the use of recyclable materials.

Sustainable Architecture practice is increasing day by day in whole over the world to lower the impact on environment what was ignored in past to resolve the wound of environment. This practice is a great way not only for preserving our environment but also creating something eye catching, something very beautiful.

 

Author:

Md Asaduzzaman Russel

Jr. Instructor

Architecture and Interior Design Technology

Daffodil Polytechnic Institute

 

 

পাওয়ার প্লান্টে এত ভাড়ী কয়েল ঘুরাবে কোন সে দৈত্য?

পাওয়ার প্লান্টে এত ভাড়ী কয়েল ঘুরাবে কোন সে দৈত্য?

বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টা অনেকেই ভালভাবে বুঝতে যেয়েও বুঝতে পারোনা। এই ব্লগটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে সহজভাবে লিখার চেষ্টা করেছি।বিদ্যুৎ উৎপাদন এর জন্য একটি তার বা পরিবাহী কোন দন্ডকে চুম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে ঘুরানো হলেই তার বা সেই দন্ডটিতে ভোল্টেজ উৎপন্ন হবে। তারটিতে কি পরিমান ভোল্টেজ উৎপাদন হবে তা নির্ভর করে একক সময়ে কি পরিমান চুম্বক বলরেখা পরিবাহী তারের দ্বারা কাট (কর্তন) হয় তার উপর।

 

একটি পরিবাহী তারকে ফ্লাক্স এর ভেতর ঘুরানো হলে যে পরিমান ফ্লাক্স কর্তন করবে, দুইটি বা ততোধিক পরিবাহী তারকে চুম্বক ক্ষেত্রে ঘুরানো হলে নিশ্চয়ই অধিক ফ্লাক্স কর্তন করবে, ফলে তারে ভোল্টেজ ও বেশি উৎপন্ন হবে। আর তাই আমরা পরিবাহী তারকে  পেঁচিয়ে কুন্ডলী বা কয়েল বানিয়ে সেটাকে চুম্বক ক্ষেত্রের মাঝে ঘুরাই। আর এজন্যই দেখবে জেনারেটর এর ভেতরে তারের এত প্যাচ।

 

কয়েল বাধাই এর বিষয়গুলো নিশ্চয়ই জানো।

বিদ্যুৎ উৎপাদন এর জন্য এই কয়েলের অনেক প্যাচ সম্বলিত জেনারেটরটিকে ঘুরাতে হবে। বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই তত্ব আবিস্কার করে গেছেন। এই তত্ত্বের উপরে ভিত্তি করেই  পাওয়ার প্লান্টে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয।

বিদ্যুৎ শক্তি কোন আলাদিনের চ্যারাগ দিয়ে উৎপাদন হয়না। বৈজ্ঞানিক যুক্তি ও তত্বের উপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করে এই বিশেষ শক্তি অর্জন করা যায়। বড় বড় জেনারেটরের কয়েলগুলো খুবই বড় আর ভাড়ী হয়। এখন প্রশ্ন হলো এত ভাড়ী কয়েল বা কুন্ডলী চুম্বক ক্ষেত্রের ভেতরে ঘুরাবে কোন সে দৈত্য?

একটা গল্প বলি শোন! একদা এক ইদুর সমাবেশ হলো সমাবেশে সভাপতি ইদুর, আলোচনা করে বুঝতে পারলো বিড়ালের খুব উৎপাত শুরু হয়েছে। বিড়াল ইদুর নিধনে মত্ত। সবাই সিদ্ধান্ত নিলো বিড়ালের গলায় একটা ঘন্টা বেধে দিবে, বিড়াল হাটার সময় ঘন্টার শব্দ হবে। এই শব্দে সব ইদুর পালিয়ে যাবে। এবার তাদের প্রশ্ন বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে? ভয়ে কোন ইদুরই এই কাজের দায়িত্ব নিতে রাজি হলোনা। সমাধান না পেয়ে ইদুরের দল আবার গর্তে পলায়ন করল! হাহ হাহ হাহ হা! আমরা মানুষ এই ইদুরের দলের মত তো আর গর্তে পলায়ন করতে পারিনা তাই আমরা গবেষনা, পর্যালোচনা, পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিলাম এত ভাড়ী এই কয়েলকে মানুষের শক্তি দ্বারা ঘুরানোর প্রয়োজন নেই, এই কয়েলকে অন্য কোন প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা ঘুরানো সম্ভব।

ধরো,তোমার হাতে একটি পানির নল বা পাইপ আছে এই পাইপের ভেতরে একটা একটি পাখা, বা ব্লেডযুক্ত চাকা বসিয়ে দাও যাতে পাখাটি অনায়াসে পাইপের ভেতর ঘুরতে পারে। এবার এই পাইপটিকে একটি ড্রাম এর সাথে যুক্ত করে ড্রামটিকে পানি দিয়ে পূর্ণ করে উচু স্থানে বসিয়ে দাও।  কি দেখতে পাবে পাইপ দিয়ে ড্রামের পানি নিচে নেমে আসছে, আর পাইপ দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ার সময় ব্লেডে ধাক্কা লেগে ব্লেড যুক্ত চাকাটি পাঙ্খার মত ঘুরছে।। তাহলে কি ধারনা পেলে পাখা নিজের হাতে না ঘুরিয়ে পানির শক্তি দ্বারাও ঘুরানো সম্ভব। এই পাঙখার সাথে কোন চেইন যুক্ত করে দিলে বাইরের অন্য কিছুও ঘোরানো সম্ভব। (উদাহরন স্বরুপ সাইকেলের প্যাডেল ঘুরানোর সময় চেইন যুক্ত করলেই পেছনের চাকাটিকেও ঘুরানো সম্ভব হচ্ছে) .বিদ্যুৎ উৎপাদন এর জন্য আমাদের কয়েল ঘুরাতে হবে আর কয়েল ঘুরানোর জন্য আমরা একটি চাকা বা পাখার সহযোগীতা নিব। চাকা বা পাখা ঘুরলে পাখার সাথে কাপলিং করা জেনারেটর এর কয়েলও ঘুরবে। পাওয়ার প্লান্টে এই ব্লেডযুক্ত ঘুর্নয়ক এর নাম টারবাইন।

জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জলের স্রোতকে কাজে লাগিয়ে টারবাইন ঘুরানো হয়। টারবাইনের মাধ্যমে জেনারেটর এর কয়েল ঘুরে, এ থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। পানি থেকে বিদ্যুৎ হয় তা নয়।

নদীতে কোন একটা বাধ দিয়ে পানিকে আটকে রেখে পটেনশিয়াল এনার্জি অর্জন করতে পারি।  এক্ষেত্রে জোয়ারের সময় আসা পানিকে কাজে লাগানো যেতে পারে। বাঁধের পেছনে এরিয়া পানিতে পূর্ণ হয়ে গেলে পানি একটি মোটা পাইপের মাধ্যমে নিচের দিকে অবস্থিত একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে প্রবাহিত করানো হয়। পানি প্রাবাহের সময় এর মধ্যে জমা থাকা বিভব শক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এই গতিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে পাখাটিকে বা টার্বাইনকে ঘুরাতে পারি।

 

 

আবার দেখো, বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাতাসের বেগকে কাজে লাগিয়ে পাখা ঘোরানো হয়। যেমন ছোট বেলায় মেলা থেকে চরকি কিনে বাতাসের দিকে ধরে রেখে ঘোরিয়েছ।

আবার, বাষ্প বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাষ্পের চাপে টারবাইন ঘুরানো হয়। মুল কথা তারের কুন্ডলী বা কয়েলকে যে কোন উপায়ে ঘুরাতে পারলেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।আর এজন্যই আমাদের এত সব আয়োজন।

 

বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনার জন্য এবং বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন এর জন্য বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং জ্ঞান এর প্রয়োগ ঘটাতে হয়। এই ব্লগ লিখে তোমাদেরকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের বেসিক ধারনা দিলাম আরো ভাল ধারনা পেতে তোমাদের পর্যাপ্ত বই পড়তে হবে, ক্লাসে লেকচার শুনতে হবে, এবং অর্জিত নলেজকে যাচাই এর জন্য পাওয়ার প্লান্ট ভিজিট করতে হবে।

তোমাদের কৌতুহল তৈরি করতে পারলেই আমি সার্থক। কৌতুহলী মন ই পারে তোমাকে খুব ভাল একজন প্রকৌশলী তৈরি করে দিতে।

 

লেখক:

নাহিদুল ইসলাম (নাহিদ)

ইন্সট্রাকটর

ডিপার্টমেন্ট অব ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

 

গল্প থেকে শেখা

গল্প থেকে শেখা, পর্ব – ৭ 

গল্পের নাম:  চলার পথে বাধা (সুযোগ)

একদা এক রাজা চলার পথে এক বড় পাথর রেখে দিল এবং দূর থেকে লক্ষ্য করতে লাগল যে কি হয়। সবাই তার পাশ কাটিয়ে চলতে থাকলো। আবার কিছু লোক তার পাশে দাঁড়িয়ে চিৎকার  করতে লাগলো যে রাজা চলার পথটা কেউ পরিষ্কার রাখতে পারেনা কিন্তু কেউ পাথরটাকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিল না। একদিন সেই পথ দিয়ে এক কৃষক সবজি মাথা নিয়ে যাচ্ছিল, সে পাথরটাকে দেখে সবজিগুলোকে নিচে নামিয়ে রেখে পাথরটাকে ঠেলে সরিয়ে দিতে চইল এবং অনেক কষ্ট করে শিখলে পাথরটাকে রাস্তার একপাশে সরিয়ে দিল।

 

যখন সে সবজির ঝুড়িটা মাথায় আবার উঠাতে গেল তখন সে দেখল যেখানে পাথরটা রাখা ছিল সেখানে একটা ব্যাগ রাখা আছে। 

ব্যাগটি খুলে দেখল এক ভর্তি সোনার মোহর এবং  সাথে রাজার একটি চিঠি লেখা আছে। চিঠিতে লেখা ছিল, যে এই সোনার মোহর গুলো তার যে এই পাথর টা রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে পারবে। 

 

গল্পের নীতিকথা 

জীবনে আমাদের সংগ্রামগুলি আমাদের শক্তি বিকাশ করে। লড়াই ছাড়া আমরা কখনই বড় হতে পারি না এবং কখনই শক্তিশালী হতে পারি না সুতরাং আমাদের নিজের পক্ষে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা এবং অন্যের সাহায্যের উপর নির্ভর না করা আমাদের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ।

 

BSDI