গল্প থেকে শেখা পর্ব- ৬

গল্প থেকে শেখা, পর্ব- ৬

গল্পের নাম:  এক টুকরো মাখন

এক টুকরো মাখন

এক কৃষক এক রুটি ওয়ালাকে একাউন্ট মাখন বিক্রি করেছিল। একদিন রুটিওয়ালা মাখন ওজন করে দেখলো যে সেটি এক পাউন্ডের কম। সে খুবই রেগে গেল এবং রেগে গিয়ে সেক কৃষকের নামে কোর্টে নালিশ করল। জজ সাহেব  জিজ্ঞেস করল সে কোন দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করেছে কিনা? কৃষক জবাব দিল,জনাব আমি পুরনো দিনের লোক আমার দাঁড়িপাল্লা নেই। কিন্তু একটি ওজন যন্ত্র আছে। জজ জিজ্ঞেস করল তুমি তাহলে মাখন মাপলে কি করে?

কৃষক জবাব দিল, জনাব আমার থেকে মাখন নেওয়ার অনেক আগে থেকেই আমি এক পাউন্ড রুটি নিয়ে ছিলাম। রুটিওয়ালার রুটি যখন নিয়ে আসে আমি তখন দাঁড়িপাল্লায় একদিকে তার রুটি চাপিয়ে দিয়ে অন্যদিকে মাখন চাপে দিয়ে ছিলাম এবং রুটির পরিমাণ মতোই মাখন দিয়েছিলাম।  যদি কেউ কম ওজনের জন্য দায়ী হয় তাহলে ওই রুটিওয়ালাই দায়ী।

গল্পের মূল কথা :

আামাদের জীবনে,অপরকে আমরা যা কিছুই দেই নিজেদের ক্ষেত্রে ঠিক তাই ফিরে পাই, অন্যকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন না।

BSDI

রুপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যাণ্ট আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

রুপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যাণ্ট আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট বলতে আমরা প্রথমেই বুঝি নিউক্লিয়াস কে ভাঙতে ভাঙতে উৎপন্ন শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন  করা ।

কয়লা  বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতই এক ধরনের তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, যেখানে নিউক্লিয়াস কে ভাঙার ফলে উৎপন্ন শক্তি দিয়ে তাপবিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। কিন্তু অবশ্যই সেটি নিয়ন্ত্রিত মাত্রার মধ্যে হতে হবে নতুবা বিপদ ঘটে যেতে সময় লাগবে নাহ।

বর্তমানে ৩১টি দেশে ৪৫০ টিরও বেশী নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট সচল রয়েছে, বাংলাদেশ ও তার মধ্যে একটি, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে এই অভিজাত ক্লাব এ পদার্পন করতে যাচ্ছে।

পাবনার ঈশ্বরদীর রুপপুরে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে যা পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত, এবং ঢাকা থেকে ১৮৭ কিমি পশ্চিমে।

সেই ১৯৬১ সালের প্রস্তাবনার পরে,  অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে ২০১৬ সালে কাজ শুরু হয়, আশা করা হচ্ছে ২০২৩ সালে এক ইউনিট ও অপর ইউনিট ২০২৪ সাল নাগাদ উৎপাদনে যাবে, তখন এটিই হবে দেশের সর্বাধিক মেগাওয়াট সম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রায় ২৪০০ মেগাওয়াট (২*১২০০মেগাওয়াট)

একনজরে কিছু কুইক ফ্যাক্টস দেখে নেয়া যাকঃ

নির্মাতাঃ রাশিয়ার রোসাটম

মালিকানাঃ বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন

রিয়াক্টর টাইপঃ প্রেসারাইজড ওয়াটার(PWR)

রিয়াক্টর মডেলঃ VVER-1200 (সাম্প্রতিক মডেল)

শীতলীকরণ উৎসঃ পদ্মা নদী

ইউনিটঃ ২

প্রক্কলিত ব্যয়ঃ প্রায় ১২.৬৫বিলিয়ন ডলার , বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ( ,০৬২,৩৯৭,৬০০,০০০.০০) টাকা 

ফুয়েল সাপ্লাইয়ারঃ রোসাট্ম এনার্জি

উপাদানঃ ইউরেনিয়াম ২৩৫

নিরাপত্তা স্তরঃ ৫ ধাপের 

আয়ুষ্কালঃ ৬০ বছর

কন্ট্রাক্টরঃ JSC Atomstroyexport

একবার ফুয়েল লোডেঃ ৪৫ বছর সাপ্লাই দিবে

অনেক হল , এবার কাজের কথায় আশা যাক।

আসলেই কি বাংলাদেশ পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর সক্ষমতা অর্জন করেছেঃ

 

পরিবেশ গত দিক দিয়ে সেটা এখনো অর্জন করেনি,এছাড়াও দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে, রুপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যাণ্ট  চালাতে বিদেশিদের উপর পূর্নাঙ্গ ভাবে নির্ভরশীল।

 

তবে কিছু সংখ্যক উত্তীর্ণ প্রার্থীকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে প্রশিক্ষণ এর জন্য, তারা ফিরে এসে এটি পরিচালনায় সাহায্য করবেন।

 

নিউক্লিয়ার রেডিয়েশন মানব সভ্যতার জন্য হুমকিস্বরূপ, বিশেষকরে বাংলাদেশের মত স্বল্পোন্নত দেশের ক্ষেত্রে আরও বিপদজনক, এটি অনেকটা গরীবের হাতি পোষার সামিল।

 

পরিবেশবাদীরা ধারণা করেছেন, (কথাটি সরাসরি বলা হয়নি,কিন্তু ধারণা করা হয়েছে পূর্বের ঘটনা থেকে),

 

রুপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যাণ্ট এর আশেপাশের এলাকার মাটিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ পাওয়া যাবে যা কিনা এই এলাকার উর্বরাশক্তি বিনাশ করে দিবে, সাথে পদ্মার পানিতে যদি কোনক্রমে মিশে যায় তাহলে যা ঘটবে তা সত্যিকার অর্থেই ভয়াবহ হবে, বায়ুতে তেজস্ক্রিয় পদার্থের মাত্রা বেড়ে গিয়ে অক্সিজেনের সাথে মিশে সেই এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য ক্ষতির মুখে ফেলে দিবে, ফলাফলঃ ক্যান্সার,শ্বাসকষ্ট সহ আরও অনেক রোগের বিস্তার কতিপয় এলাকায় বেড়ে যাবে,সন্তান পঙ্গু হয়ে জন্ম হবার মাত্রা বেড়ে যাবে,মানুষের সহনশীলতার মাত্রার হ্রাস ঘটবে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাবে, ওই এলাকার মাটিতে ফসল ফলানো দিনের পর দিন অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে , আবার ফসলে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বেড়ে গেলে সেই ফসল ভক্ষণ যোগ্য থাকবে নাহ।

 

যারা এখানে জব করবে, তাদের জন্য আলাদা চিকিৎসা ভাতা বরাদ্দ করা থাকবে, তার মানে বুঝাই যায় অনেকটা ঝুঁকি মাথায় নিয়েই জব করতে হবে।

 

যতই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হোক না কেন, ঠিকমত নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে আরেকটি চেরনোবিল বা ফুকিশিমার মত দূর্ঘটনার জন্মস্থান বাংলাদেশ হতে পারে। যদিওবা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে একে ঘিরে।

 

এত উচ্চ মাত্রার শক্তিশালী বিক্রিয়ার উপর  থেকে নিয়ন্ত্রণ হারালে রেডিয়েশন ছড়িয়ে পরে জীবনযাত্রা স্থবির করে দিবে।

 

তবে আশার কথা হল , এই রুপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যাণ্ট প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে যেমন সাশ্রয়ী দামে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে , ন্যাশনাল গ্রিড এর সক্ষমতা বাড়বে,তেমন দেশব্যাপী লোডশেডিং হ্রাস পাবে, সর্বোপরি দেশের জিডিপির মান বাড়বে ,আশেপাশের এলাকায় নতুন কর্মসংস্থান এর সৃষ্টি হবে, জীবনযাত্রার মান বাড়বে, দেশের বিদেশী বিনিয়োগ আসবে প্রচুর পরিমাণে।

 

তবে, প্রযুক্তি বাছাই এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা নির্ধারণের পর পারমাণবিক নিরাপত্তার বৈশিষ্ট্যসমূহও কাস্টমাইজ করার স্বাধীনতা বাংলাদেশের রয়েছে । অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকার রূপপুরে ভিভিইআর পরিবারের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি(VVER-1200 ) নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

 

উক্ত প্রযুক্তিতে রাশিয়ান ফেডারেশন কর্তৃক উদ্ভাবিত সর্বাধুনিক যেকোনো পারমাণবিক নিরাপত্তামূলক বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সকল বাধ্যবাধকতা বিবেচনায় নিয়ে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে যথাযথ উপায়ে ধাপে ধাপে প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পাদনের মাধ্যমে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন থেকে শুরু করে রিঅ্যাক্টরের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পরিবেশের ভারসাম্য সংরক্ষণ এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য একটি দেশের দীর্ঘ মেয়াদী জাতীয় সিদ্ধান্ত থাকা প্রয়োজন।

 

রূপপুরে নির্মিতব্য  রিয়াক্টর-এর নিম্নবর্ণিত (ছবি) পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকবে।

 

নিচে  রুপপুর  নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যাণ্টঃ পরিকল্পনা দেখানো হয়েছেঃ

 

Unit 1  Unit 2

First Concrete 30 November 2017     14 July

2018

 

Fuel Loading    October 2022  October 2023

Power Start-up            December 2022          December 2023

Provisional Takeover  October 2023 October 2024

Final Takeover October 2024 October 2025

 

 

সেরা ৫ : সবচেয়ে ক্ষমতাসম্পন্ন ৫টি পারমাণবিক চুল্লী

পারমাণবিক যুগে আমাদের বসবাস। পেট্রোলিয়াম আর গ্যাসোলিন ফুরিয়ে গেলে মানবসভ্যতা পুরোপুরি সৌরশক্তি, হাইড্রোজেন সেল এবং নিউক্লিয়ার এনার্জির উপর নির্ভর হয়ে পরবে। বর্তমানেও পারমাণবিক চুল্লীর সংখ্যা কম নয় কিন্তু। উন্নয়নশীল এবং উন্নত-দেশগুলো তাদের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করছে পারমানবিক চুল্লী। একসময় এই শক্তির সিংহভাগ উৎপন্ন করা হতো জাপানের ফুকোশিমাতে। কিন্তু ২০১১ এর ভূমিকম্প পুরোপুরি অচল করে দেয় পাওয়ার স্টেশনকে। কিন্তু এতো বাধার পরও গড়ে উঠছে আরো শক্তিশালী পারমাণবিক চুল্লী। power-technology.com এর লিস্ট অনুযায়ী আজকে থাকছে পৃথিবীর সেরা ৫ টি পারমানবিক চুল্লী।

 

Kashiwazaki-Kariwa

Tokyo Electric Power Co.’s (TEPCO) এর তৈরি করা এই চুল্লীর মোট ক্ষমতা ৭৯৬৫ মেগাওয়াট। এই চুল্লীতে রয়েছে ৭টি বয়েলিং ওয়াটার রিয়েক্টর। যাদের ক্ষমতা প্রায় ৮২১২ মেগাওয়াট। প্রথম ৫ টির প্রত্যেকটির ক্ষমতা ১১০০ মেগাওয়াট আর বাকি দুইটার ক্ষমতা ১৩৫৬ মেগাওয়াট। ১৯৮৫ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৯৭ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে সাপ্লাই দেওয়া হয়। বিভিন্ন আপডেট এর মাধ্যমে ২০১৩ সালে এর মোট ক্ষমতা হয়ে দাঁড়ায় ৭৯৬৫ মেগাওয়াট।

Bruce Nuclear Generating Station

কানাডায় অবস্থিত এর পারমাণবিক চুল্লী বর্তমানে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ক্ষমতার দিক থেকে। মোট ক্ষমতা ৬২৩৪ মেগাওয়াট এবং চুল্লী Bruce Power এর নিয়ন্ত্রণে আছে।

বয়েলিং ওয়াটার রিয়েক্টর এর পরিবর্তে রয়েছে প্রেসারাইজড হেভি ওয়াটার রিয়েক্টর (PHWR) এবং এটি সংখ্যায় ৮টি। প্রত্যেকটি PHWR ৭৮৬ থেকে ৮৯১ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন। পুরো চুল্লীটি দুইটি অংশে বিভক্ত। Bruce 1 এবং Bruce 2.  ১৯৮৭ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করা হলেও ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত এর সকল  Bruce 1 এর কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।

 

Hanul Nuclear Power Plant

প্রথমে নাম ছিলো Ulchin, পরবর্তীতে কিছু পরিবর্তন এনে ২০১৩সালে নতুন করে নাম দেওয়া হয় Hanul Nuclear Power Plant. ৬১৮৯ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন এই চুল্লী থেকে গড় ক্ষমতা পাওয়া যায় প্রায় ৫৯০৮ মেগাওয়াট। প্রাথমিক অবস্থায় এটা  শুরু করা হয় ৬ টি প্রেসারাইজড ওয়াটার রিয়েক্টর দিয়ে। পরবর্তীতে আরো ২টি রিয়েক্টর যুক্ত করা হয়।  নতুন রিয়েক্টর গুলো এখনো কার্যকর করা হয় নি। এ বছরের মধ্যেই চালু করা হবে। মোট ৮ টি রিয়েক্টর চললে এই বছরে এর ক্ষমতা দাঁড়াবে ৮৬০৮ মেগাওয়াট। যা এই বছরের শেষে দখল করবে প্রথমস্থান।

Hanbit Nuclear Power Plant

৬১৬৪ মেগাওয়াট ক্ষমতা বিশিষ্ট এই পারমাণবিক চুল্লী অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ায়। স্থানীয় ভাষায় Yeonggwang Nuclear Power নামে পরিচিত। ৬টি প্রেশারাইজড ওয়াটার রিয়েক্টর দিয়ে তৈরি হলেও ২০১২ সালে এর ৩ টির মধ্যেই চির ধরা পরে। তখন কেবল বাকি তিনটি রিয়েক্টর কার্যকর ছিলো। কেবল ৮ মাস সময়ের মধ্যেই Korea Hydro & Nuclear Power (KHNP) ৩টি রিয়েক্টরকে কার্যকর করে তোলে।

Zaporizhzhia Nuclear Power Plant

গণনায় ৫ম এই চুল্লী ইউক্রেনে অবস্থিত। ৬০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন  হলেও এর থেকে উৎপাদন করা হয় ৫৭০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যেও রয়েছে ৬টি VVER-1000 প্রেসারাইজড ওয়াটার রিয়েক্টর।

গণনার বাইরে Fukushima Daini Nuclear Power Plant নিয়ে বলতে গেলে, এটি হলো ১০ম বৃহত্তর নিউক্লিয়ার চুল্লি। জাপানে অবস্থিত এই চুল্লী ২০১১ সালে বিধ্বস্ত  হয়। সুনামির ফলে তৈরি হওয়া ৯ মেগনিটিউডের ভূকম্পন ৩টি রিয়েক্টরকে সাথে সাথে ধ্বংস করে দেয়। এর ক্ষমতা ছিলো ৪২৬৮ মেগাওয়াট।

 

লেখকঃ

মোঃ আব্দুল্লা-আল-মামুন রুপম

ইন্সট্রাকটর, ইলেকট্রিক্যাল

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

গল্প থেকে শেখা, পর্ব – ৫

গল্প থেকে শেখা, পর্ব – ৫

গল্পের নাম: ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ

ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ

একটা ছোট ছেলে সে খুব রাগী ছিল সামান্য কারণেই লেগেছে যেতো।  তার বাবা তাকে একটি পেরেক ভর্তি ব্যাগ দিল এবং বলল যতবার তুমি রেগে যাবে  ততবার একটা করে পেরেক আমাদের পাশের বাগানের কাঠের বেড়াতে লাগিয়ে  আসবে। প্রথম দিনেই ছেলেটিকে বাগানে গিয়ে ৩৭ টি পেরেক মারতে হল। পরের সপ্তাহে ছেলেটি তার রাগকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারল। কাঠে নতুন পেরেকের সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে এলো সে বুঝতে পারল। হাতুড়ি দিয়ে কাঠের পেরাক মারার চেয়ে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ। 

শেষ পর্যন্ত সেই দিনটি এলো যেদিন তাকে একটি পেরেকও মারতে হলো না। সে তার বাবাকে এই কথা জানালো,  তার বাবা তাকে বলল,  যেসব দিন তুমি তোমার রাগ কে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করতে পারবে সেসব দিন তুমি একটি একটি করে পেরেক তুলে ফেলবে। 

অনেক দিন চলে গেল এবং ছেলেটি তার বাবাকে জানাল সব পেরেকই সে তুলে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। তার বাবা এবার তার হাত ধরে  তাকে নিয়ে বাগানে গেল এবং তাকে বলল-

“তুমি খুব ভালোভাবে তোমার কাজ সম্পন্ন করেছ। এখন তুমি তোমার রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে পারো। কিন্তু দেখো প্রতিটা কাঠে পেরেকের গর্তগুলো রয়ে গেছে। কাঠের বেড়াটি কখনো আগের অবস্থায় ফিরে যাবে না। যখন তুমি কাউকে রেগে গিয়ে কোন কিছু বল তখন তার মনে তুমি যে একটি পেরেক ঢুকিয়ে দিল।  তুমি কতটা দুঃখিত বলেছ তাতে কিছু যায় আসে না বরং ক্ষত টা থেকে যায়। 

 

গল্পের নীতিকথা 

তাই নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে শিখুন  এবং  লোকেদের কখন এমন কিছু বলবেন না যাতে আপনার পরে অনুশোচনা হতে পারে।  জীবনের কিছু জিনিস আছে যা আপনি ফিরে নিতে অক্ষম।

 

BSDI

আসুন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সম্পর্কে জানি

আসুন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সম্পর্কে জানি

ভোরের ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত প্রতি ক্ষেত্রেই আমরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করি কিন্তু এই বিদ্যুৎ কোথা থেকে উৎপাদন হয়, কিভাবে উৎপাদন হয়, এই বিষয়গুলো আসুন আমরা জানি আজকের আলোচনা থেকে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্র কী?

একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান যা যান্ত্রিক শক্তিকে থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। বেশিরভাগ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি এক বা একাধিক জেনারেটর ব্যবহার করে যা যান্ত্রিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তর করে যাতে সমাজের বৈদ্যুতিক প্রয়োজনের জন্য বৈদ্যুতিক গ্রিডকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে।

প্রায় সমস্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের  একটি জেনারেটর, একটি ঘূর্ণমান মেশিন আছে যা চৌম্বকীয় ক্ষেত্র এবং কন্ডাক্টরের মধ্যে আপেক্ষিক গতি তৈরি করে যান্ত্রিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে।

শক্তি উৎপাদনের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরণের বিদ্যুৎ কেন্দ্র

  • পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
  • ডিজেল বিদ্যুৎকেন্দ্র
  • কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র
  • সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র
  • বায়ু শক্তি কেন্দ্র

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি জলকে বাষ্পে পরিণত করতে চুল্লিগুলির তাপ ব্যবহার করে।তারপরে বাষ্পটি একটি টারবাইনের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়, যার সাহায্যে একটি জেনারেটরের চলাচল তৈরি করে, যার ফলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।

 

ডিজেল বিদ্যুৎকেন্দ্র

যখন জ্বালানি হিসেবে ডিজেল ব্যবহার করা হয় এবং এই জ্বালানি ব্যবহার করে প্রাইম মুভার কে ঘোরানো হয় এবং বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয় তখন তাকে ডিজেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বলে ।এটি সাধারণত কম বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় এরকম জায়গায় স্থাপিত হয় এবং অনেক সময় আমরা শিল্প কলকারখানা,ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন মার্কেটে এটি ব্যবহার করে থাকি।

 

 

 

কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র

একটি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি একইভাবে কাজ করে, তবে বাষ্প তৈরির জন্য পারমাণবিক চুল্লি গরম করার জল এর পরিবর্তে জ্বলন্ত কয়লা থেকে উত্তাপটি স্টিম টারবাইনকে শক্তি দেয়।

সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র

এখন আমরা জানবো একটি সৌরবিদ্যুত কেন্দ্র। এই ধরণের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি  বিদ্যুতে রূপান্তর করতে সূর্যের শক্তি ব্যবহার করে।এটি ফটোভোলটাইক বা পিভি প্যানেল ব্যবহার করে অর্জন করা হয়, যা বেশ কয়েকটি সেমিকন্ডাক্টর কোষ থেকে তৈরি যা সূর্যের তাপীয় শক্তি দ্বারা উষ্ণ হয়ে গেলে ইলেকট্রনগুলি প্রকাশ করে।

সৌর শক্তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম উপায় সৌর প্যানেল । সৌর প্যানেলগুলি গ্রিডের সাথে সংযুক্ত হয়ে যায় এবং একটি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংস্থার পরিপূরক হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।এগুলি ঘরোয়া পরিবেশেও ব্যবহার করা যেতে পারে এবং ব্যাটারিগুলির সাহায্যে কোনও জীবাশ্ম জ্বালানী না পোড়ানো ছাড়িয়ে পরিবারের জ্বালানি খরচ হ্রাস করতে পারে।

বায়ু শক্তি কেন্দ্র

সবশেষে আমরা জানবো উইন্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট সম্বন্ধে।উইন্ড পাওয়ার প্লান্ট বা উইন্ড টারবাইনগুলি জেনারেটরকে ব্লেডের সাথে সংযুক্ত করে বায়ু থেকে তাদের শক্তি অর্জন করে।বায়ু দ্বারা সৃষ্ট ব্লেডগুলির আবর্তনশীল আন্দোলন, একটি জেনারেটরকে শক্তি দেয়।

সৌরশক্তির মতো এগুলি শক্তি জীবাশ্ম জ্বালানী না পোড়ানো ছাড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।, তবে কার্যকরভাবে কার্যকর করতে আরও অনেক বেশি হার্ডওয়ারের প্রয়োজন হয় এবং আরও অনেকগুলি অংশ ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

পরিশেষে বলতে চাই আরো কয়েকটি মাধ্যমে  বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় কিন্তু সেগুলো ব্যাপকহারে প্রচলিত নয়।আমি অতি সংক্ষিপ্ত ভাবে বিষয়গুলো বোঝানোর চেষ্টা করেছি এই বিষয়গুলোকে ব্যাপকহারে জানতে অবশ্যই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করা দরকার।

 

লিখেছেন

মোঃ শফিকুল ইসলাম মিলন

ইন্সট্রাক্টর

ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

জাফরান সে তো এক দামি মসলা

“জাফরান” সে তো এক দামি মসলা”

জাফরান

পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মসলা।  বাংলাদেশের বাজারে 1 কেজি জাফরানের মূল্য ৪ লাখ টাকা ।

ভারতে পাঁচগ্রাম জাফরান বিক্রি হয় ২০০০ রুপিতে।  জাফরান প্রথম চাষ হয় মধ্য এশিয়ায় ৩৫০০ বছর আগে ।  হাজার বছর ধরে ইরান,স্পেন ,ফ্রান্স , ইতালি ও কাশ্মীর সহ গুটিকয়েক দেশে  জাফরান চাষ হয়।  অত্যন্ত মূল্যবান হওয়ায়  বাণিজ্যিক অঙ্গনে জাফরান কে  রেডগোল্ড ও বলা হয়ে থাকে । জাফরান  কে  কেশর  ও বলা হয়। ইংরেজিতে  জাফরান কে Saffron বলা হয় ।  এটা  এতটা দুর্মূল্য কেন এটাই এখন আমরা জানবো ।

 জাফরানের  বৈশিষ্ট্য

জাফরানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল  ফুল হলেও  নেই কোন বীজ।তাই বংশ বিস্তারের জন্য মানুষের উপর নির্ভরশীল। চারা লাগানোর পর প্রায় চার বছর পর এই উদ্ভিদের মূলে টিউবার   সৃষ্টি হয়I খুব সাবধানে কেবল অভিজ্ঞ   ব্যক্তিরাই  সংগ্রহ করে পরবর্তী উদ্ভিদের জন্য রোপন করে। প্রথমত সম্পূর্ণ উপযুক্ত পরিবেশ না পেলে এ  ফুলের মুখ দেখা  যায় না। আবার যেদিন ফুল ফোটে তার  ঠিক কয়েক   ঘন্টার মধ্যে ফুল থেকে   পুংকেশর   বা ফুলের  রেনু সংগ্রহ করতে হয়। কেননা এ ফুল সূর্য ওঠার সময়  ফোটে   আর দিনের  শেষে তা মলিন হয়ে যায়  Iএক একটি  ফুল থেকে দু-তিনটি রেনু বা কেশর থাকে  যা সাবধানে  ফুল থেকে তুলতে হয়। ফুল থেকে    তুলেই কেশর গুলোকে রাখতে হয় এয়ারটাইট পাত্রে । ৪৫০গ্রাম শুকনো জাফরানের জন্য প্রায় 75000  ফুলের  প্রয়োজন হয়।  অন্য হিসেবে ৭২ গ্রাম তাজা কেশর শুকিয়ে ১২ গ্রাম ব্যবহারের উপযোগী জাফরান পাওয়া যায়। ১কেজি জাফরান সংগ্রহ করতে সময় লাগে প্রায় ৪০ ঘন্টা। পুরো কাজটি  কায়িক পরিশ্রমে শেষ করতে হয় যেখানে অটোমেশনের কোন সুযোগ নেই I অত্যন্ত ধৈর্যের  কাজ বিধায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ চাষ করতে  আগ্রহ হারিয়ে ফেলে I স্পেনে  জাফরান সংগ্রহের কম্পিটিসন হয়। গুটিকয়েক দেশে জাফরান চাষ হলেও  স্বাদ, গন্ধ ও রং এর দিক থেকে সর্বাধিক জনপ্রিয় ইরানের জাফরান  Iপ্রাচীন মিশরের রানী   ক্লিওপেট্রা গোসলের চৌবাচ্চায় কাঁচা দুধে জাফরান  ঢেলে গোসল করতেন , আলেকজান্ডার দি গ্রেট যুদ্ধের পর ক্ষতস্থান    জাফরান দিয়ে    ধুতেন Iরোমান  এম্পায়ার Nero যখন শহরে প্রবেশ করতেন তখন  রোমের রাস্তায় saffron  ছিটানো  হত I এমনকি ইহুদি ধর্ম গ্রন্থ ও উল্লিখিত আছে জাফরান সুগন্ধির কথা কিন্তু সব দুর্মূল্য বস্তুর একাধিক নকল ভার্শন বাজারে পাওয়া যায় ।কুসুম নামক এক ধরনের ফুলের পাপড়ি দিয়ে নকল জাফরান তৈরি করা হয় । এ  ফুলের  পাপড়ির  রং  কেশরের মত লাল টকটকে  হাওয়াই এর সাথে আসল জাফরানের পার্থক্য করা বেশ কঠিন   হয়ে দাঁড়ায় I বাংলাদেশের এই  মেকি জাফরানের  প্রচলনই বেশি কিন্তু গুটিকয়েক দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ও জাফরান চাষের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় স্বল্প পরিসরে আসল জাফরান চাষ  শুরু হয়েছে ।

 জাফরান বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়

এতে খাবারের স্বাদ গন্ধ বৃদ্ধি পায। স্পেন এবং পর্তুগাল এর  অনেক খাবারের ডিসে  জাফরানের ব্যবহার হয় Iস্প্যানিশ ন্যাশনাল ডিস “Paella” তে জাফরান ব্যবহার হয় মেডিটেরিয়ান এশিয়ান ইউরোপিয়ান এবং  মোগলাই বিভিন্ন খাবারের রেসিপিতে । জাফরান ব্যবহার করা হয় যেমন শাহী টুকরা, বিভিন্ন রকমের বিরিয়ানি ,বিভিন্ন ডেজার্ট আইটেম , রয়াল রোস্ট ল্যাম্ব লেগ   ডিসে Saffron Raisin sauce পরিবেশন করা হয় । জাফরান  রাইস  , সস ,সুপের  ব্যবহার হয়।

জাফরান মেডিসিন হিসাবে ব্যবহার রয়েছে ৩৫00 বছর আগে।  জাফরান  এ রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট গুনাগুন, ক্যান্সার ফাইটিং গুনাগুন ,  ক্ষুধা  কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে ।

 

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট

গল্প থেকে শেখা, পর্ব-৪

 

গল্পের নাম:  কুকুরছানা বিক্রয় (অনুধাবনমূলক গল্প)

একটি দোকানের মালিক তার দরজার উপরে একটি সাইনবোর্ড রেখেছিলেন যেখানে লেখা ছিল “কুকুরছানা বিক্রয়ের জন্য” “

কটি ছোট বাচ্চা সাইনটি দেখে দোকান মালিকটির কাছে গেল, এতে অবাক হওয়ার কোনও অবকাশ নেই কারন এই জাতীয় লক্ষণগুলির সবসময়ই ছোট বাচ্চাদের অনেক প্রিয় হয়ে থাকে।

ছোট বাচ্চাটি জিজ্ঞাসা করলেন “আপনি কুকুরছানা গুলো কত টাকায় বিক্রি করতে চাচ্ছেন?” 

দোকানের মালিক জবাব দিয়েছিলেন, ” ২৫০০ টাকা থেকে ৪৫০0 টাকার মধ্যে।”

ছোট্ট ছেলেটি পকেট থেকে কিছু টাকা বের করল এবং বলল “আমার কাছে  ২০০ টাকা  আছে,”। “আমি কি তাদের কে একনজর দেখতে পারি?” দোকানের মালিক হেসে শিস দিল।দোকানের পিছন থেকে এক মহিলা বের হয়ে আসলেন আর তার পিছনে ছোট ছোট পাঁচ টা কুকুরছানা ছিল। তার মধ্যে একটি কুকুরছানা যথেষ্ট পিছনে ছিল।

তৎক্ষণাৎ ছোট্ট ছেলেটি  কুকুর ছানাটির  কে দেখে পিছনে গেল এবং বলল, “ছোট্ট কুকুরটির কি হয়েছে?”

দোকানের মালিক বললেন, যে পশুচিকিত্সকরা ছোট কুকুরছানা পরীক্ষা করেছেন এবং বলেছিল তার এর পেছনের পায়ের হাড়ে সমস্যা আছে। এর জন্য ওকে সর্বদা ল্যাংড়াতে হবে। 

এটা শুনে ছোট্ট ছেলেটি অনেক খুশি হল। আর সে এই কুকুর ছনাটিকে কিনতে চাইল। 

https://www.youtube.com/watch?v=_XebVRGknTE

দোকানের মালিক বলেন , তোমাকে এই ছোট্ট কুকুরটিকে কিনার দরকার নেই। তোমার যদি  ঠিক এমনি একটি কুকুর ছানার দরকার হয় আমি তোমাকে এমনি একটি কুকুর ছানা এনে দেব। এই কথা শুনে ছোট ছেলেটির বেশ মন খারাপ হয়ে গেল। সে দোকান মালিকের চোখের দিকে সরাসরি আঙুল দেখিয়ে বললেন; 

“আমি চাই না আপনি ওকে আমাকে এমনিতেই দিন। এই ছোট কুকুরটি অন্য সমস্ত কুকুরের মতোই মূল্যবান এবং আমি সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করব। প্রকৃতপক্ষে, আমি আপনাকে এখন ২00 টাকা এবং বাকিটা এক মাস পরে পরিশোধ করবো।”

দোকানের মালিক আবার বললেন  “তোমাকে সত্যিই এই ছোট্ট কুকুর ছানাটাকে কিনতে হবে না। ও অন্য কুকুরছানা গুলোর মতো কখনও দৌড়াতে এবং লাফাতে এবং খেলতে পারবে  না।

এই কথা শুনে ছোট ছেলেটি নিচের দিকে ঝুকলো এবং তার প্যান্ট হাটু পর্যন্ত উঠালো। দোকানের মালিক দেখলো ছেলেটি পংগু , তার বাম পায়ে বড় একটি ক্রেস লাগান। 

ছেলেটি বলল, দৌড়াতে তো আমিও পারি না তাই ওর হয়ত এমন কাউকে প্রয়োজন যে ওকে বুঝতে পারে। 

গল্প থেকে শেখা, পর্ব-৩

গল্প থেকে শেখা পর্ব-৩

একজন লোক একটি হাতির ক্যাম্পের মধ্য দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন এবং তিনি দেখলেন যে হাতিগুলিকে খাঁচায় রাখা হচ্ছে না বা শিকল দিয়ে বেধেঁ রাখা হচ্ছে না। ক্যাম্পের পেছেনে হাতিগুলোর পেছনের পা শুধুমাত্র একটা ছোট্ট দড়ি বাঁধা ছিল।

 

লোকটি হাতির দিকে তাকিয়ে থাকতেই সে পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিল যে কেন হাতিগুলি দড়ি ছিড়তে এবং ক্যাম্প থেকে পালাতে তাদের কোন শক্তি ব্যবহার করেনি?

তারা সহজেই এটি করতে পারত, বরং তার পরিবর্তে, তারা মোটেও চেষ্টা করে নি। অত্যন্ত কৌতূহল নিয়ে উত্তরটি জানতে  তিনি নিকটেই একজন প্রশিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলেন কেন হাতিগুলি সেখানে দাঁড়িয়ে আছে এবং কেন  কখনও পালানোর চেষ্টা করেনি।

প্রশিক্ষক জবাব দিলেন;

“যখন তারা খুব বয়স অল্প এবং অনেক ছোট, আমরা তাদের একই বাঁধার জন্য একই আকারের দড়ি ব্যবহার করি এবং এই বয়সে, এটি ধরে রাখার পক্ষে যথেষ্ট। বড় হওয়ার সাথে সাথে তারা বিশ্বাস করতে শর্তযুক্ত যে তারা দড়ি ছিড়ে যেতে পারে না। তারা বিশ্বাস করে যে দড়ি এখনও তাদের ধরে রাখতে পারে, তাই তারা কখনই মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে না ”’

হাতিগুলো মুক্ত হচ্ছিলোনা এবং ক্যাম্প থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল না তার একমাত্র কারণ ছিল সময়ের সাথে সাথে তারা এই বিশ্বাসটি গ্রহণ করেছিল যে এটি সম্ভব নয়।

গল্পের মূল বিষয়বস্তু:

বিশ্ব আপনাকে কতটা পিছনে রাখার চেষ্টা করে না কেন, আপনি যা অর্জন করতে চান তা সম্ভব তা এই বিশ্বাসের সাথে সর্বদা চালিয়ে যান। আপনি সফল হতে পারেন বিশ্বাস করা, আসলে এটি অর্জনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

লক্ষ্য পূরন

লক্ষ্য পূরন

পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই চায় সাফল্য(লক্ষ্য পূরন)। আর সাফল্য অর্জনের মূল ভিত্তি হল, তুমি আসলে কোন কাজে সফল হতে চাও –  তা খুজে বের করা এবং সেটিকে জীবনের লক্ষ্য হিসাবে স্থির করা। আর লক্ষ্যের সংজ্ঞা হল জীবনে সুনির্দিষ্ট করে কোন কিছু পাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা।

জীবনে যা পেতে চাও না কেন আগে জানতে হবে – তুমি কি চাও? তোমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তোমার জীবনে কোন কাজটি করা সবচেয়ে জরুরী? তুমি যদি মনে কর এখন যে কাজটি  তুমি করছো তা তোমার লক্ষ্যের সাথে মিলে না, তাহলে সেটা বাদ দিয়ে লক্ষ্যে পূরণের জন্য কাজ করতে হবে। আন্তরিকতার সাথে কাজ করলে যে কোন লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।

জীবনের লক্ষ্য খুজে পাওয়া আর সেই লক্ষ্যের  দিকে সঠিকভাবে  এগিয়ে সফল হওয়া – দুটোই সমান জরুরী আর এই দুই এর মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে।

আমি প্রকৌশলী হব-

আমি ডাক্তার হব –

আমি ধনী  হব –

আমি বাড়ির মালিক  হব –

আমি কোম্পানির মালিক  হব – …… এগুলো হলো সপ্ন । কিন্তু তুমি যখন এই সপ্নগুলো থেকে নির্দিষ্ট করে কোন কিছুকে পাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন কর – সেটা হবেই লক্ষ্য। তুমি যখন লক্ষ্য ঠিক করবে তখন লক্ষ্যই তোমাকে গন্তব্যে পৌছানোর জন্য উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে।

লক্ষ্যে পৌছানেরা  প্রথম শর্ত হলো বিশ্বাস। লক্ষ্যে পৌছাতে আমি পারব – এ কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে। যদি বিশ্বাস কর ”আমি সফল হব”, তবে অবশ্যই তুমি সফল হবে আর তোমার  ব্যবহারে তা প্রকাশ পাবে। তুমি নিজেই নিজের দৃষ্টিভঙ্গীর সুফল দেখতে পাবে।

সাফল্য এবং অসাফল্য নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। সাফল্যের  শিখরে পৌছানেরা জন্য অনেকগুলি গুণ আছে। সেগুলি চিহ্নিত করতে পারলে  এবং যথাযথ অনুসরণ করতে পারলে সফল হতে পারবে। অনুরূপভাবে সমস্ত অসাফল্যেরও কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। সে বৈশিষ্ট্যগুলি এড়িয়ে চললে বিফল হবে না। সাফল্য কেবলমাত্র কয়েকটি মূল আদর্শকে নিয়মিতভাবে প্রয়োগ করার ফলশ্রæতি । তেমনি বিফলতা হচ্ছে কয়েকটি ভুলের ক্রমাগত পুনরাবৃত্তি।

তবে জীবনে সাফল্য লাভ করার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়ের কথা আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে –

১। আত্ববিশ্বাস – নিজের সম্পর্কে নিজের কাছে স্পষ্ট থাকার নামই আত্ববিশ্বাস। নিজেকে সম্পূর্ণ ভালোবাসার মাধ্যমেই সত্যিকারের আত্ববিশ্বাসের জন্ম হয়। আত্ব বিশ্বাস মানে নিজেকে চেনা। নিজের সৃজনশীলতার ওপর আস্থা রাখা। হীনমন্যতা দূর করা । দৈনন্দিন ও প্রাত্যহিক জীবনে আত্ববিশ্বাস ও দৃঢ়তার সাথে কাজ করা।

২। ব্যর্থতাকে ভয় না পাওয়া – ব্যর্থতা হল এমন একটি বার্তা যে তোমাকে আবারও চেষ্টা করতে হবে, তবে একটু ভিন্ন উপায়ে। ব্যর্থতা জীবন প্রক্রিয়ারই একটি অংশ। কোন কাজে ব্যর্থ হলে আপনার জীবন শেষ- এ কথা সঠিক নয়।

 ৩। যেটা করতে  ভাললাগে সেটা কর – এমন একটি কাজ বা লক্ষ্য খুজে বের কর যা করতে তুমি পছন্দ কর। কোন জিনিষটা করতে সবচয়ে বেশি ¯সাচ্ছন্দ্য বোধ কর, তা সঠিক ভাবে বুঝে জীবনের লক্ষ্য স্থির করার খুবই জরুরী।

৪। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা– পরিকল্পনা হল কোথায় আছি এবং ভবষ্যিতে কোথায় যেতে চাই তার মধ্যকার সেতুবন্ধন। নিজের লক্ষ্যমাত্রার একটি সুপরিকল্পিত নক্সা তৈরি করা এবং তা অর্জনের জন্য সুন্দর পরিকল্পনার প্রয়োজন।  পরিকল্পনা হল কার্যতালিকা, টার্গেট বাস্তবায়ন ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য করণীয় কার্যবলী যার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট  লক্ষ্যে পৌছানো  যায়। পরিকল্পনা  হচ্ছে ফ্লোচাট, যা ভবিষ্যতের সাথে সম্পর্কিত। কি করা হবে, কিভাবে করা হবে, কখন  করা হবে, কতক্ষণে করা হবে – তা পূর্বেই নির্ধারণ করাকে পরিকল্পনা বলে। অদূর ভবিষ্যতে করণীয় কার্যসমষ্টির অগ্রিম সুচিন্তিত বিবরণী।

৫। কঠোর পরিশ্রম – পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সত্যগুলোর একটি হল, পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসুতি। তুমি যদি সঠিক পথে ধারাবাহিক ভাবে পরিশ্রম কর, তবে অবশ্যই সফল হবে। কঠোর পরিশ্রম দিয়ে তুমি এমন অনেক অসাধ্য সাধন করতে পারবে, যা হয়ত নিজে আশা কর নাই। তুমি চাইলেই কখনও সবচেয়ে মেধাবী বা প্রতিভাবান হতে পারবে না। কিন্তু সবচেয়ে পরিশ্রমী হতে পারবে এবং সেই পরিশ্রম দিয়ে নিজের চেয়ে অনেক বেশি প্রতিভাবান, মেধাবী ও সুযোগ প্রাপ্ত মানুষকে পেছনে ফেলে সেরাদের সেরা হয়ে উঠতে পারবে।

৬। ধৈর্য্যশীল হওয়া অনেকেই খুব অল্পতে হতাশ হয়ে পরে বা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলে। ধৈর্য্য না থাকলে দীর্ঘ মেয়াদী কোন কাজ করা সম্ভব না। জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পথে তোমার অনেক বাধা বিপত্তি আসবে । এই বাধা বিপত্তি বা ধাক্কা জীবনের একটি শিক্ষা। আর এই ধাক্কা অতিক্রম করে  লক্ষ্যে পৌছানোর দিকে এগিয়ে আসলে তোমার আত¦বিশ্বাস আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। প্রত্যেক সফল মানুষের জীবনের একটি অংশ জুড়ে রয়েছে ব্যর্থতা। কিন্তু তাদের সফলতার রহস্য হলো প্রবল ধৈর্য্য আর ইচ্ছা শক্তি।

৭। আবেগের  প্রতি  সংযমী  মনোভাব – মানুষ খুবই আবেগপ্রবণ, অনেক সময় মনে না চাইলেও আবেগের সৃষ্টি হয়। কিছু কাজ আবেগের বশে করে ফেলার পর পরিস্থিতির পরিবর্তনে তা মানুষের জীবনে বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়। আবেগ নিয়ে  চিন্তা করে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভুল হয়ে থাকে। কোন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে সব চাইতে বাধা দেয় এই অতিরিক্ত আবেগ। তাই আবেগকে যত বেশি তুমি  নিয়ন্ত্রন করে রাখতে পারবে, তত বেশি সমস্যা এড়াতে পারবে। তাই আবেগকে একটু নিয়ন্ত্রন করো লজিক দিয়ে চিন্তা করলে তুমি অবশ্যই সফল হবে।

৮। নিয়মানুবর্তিতা – নিয়মানুবর্তিত কে মানব জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি বলা হয়। তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়মানুবর্তিতার চর্চা করা অতীব জররুী। সফল হতে হলে তোমাকে নিয়মানুবর্তিতার অনুসরণ করতে হবে। সময়ের কাজ সময়মত করলে, দিনের কাজ দিনে শেষ করলেই সফলতা ধরা দিবে তোমার হাতে।

নিজের লক্ষ্যে থাকতে হবে অটুট। যাদের কোনো লক্ষ্য নেই তারা কখনো অভীষ্টে পৌছাতে পারেন না। যারা সাফল্য চান, সফল চান, তারা দৃষ্টিকে নিবদ্ধ রাখেন লক্ষ্যের  দিকে।

রাসূল (সাঃ) যখন পারস্যকে মুসলমানদের পদানত করার লক্ষ্য স্থির করেছিলেন তখন পারস্য সা¤্রাজ্য ছিল বিশ্বব্যাপী এক অপরাজেয় শক্তি, আর মুসলমানদের  হিসাব করার মত কোনো শক্তিই ছিল না। তারপরও  রাসুল (সা) লক্ষ্য স্থির করেছিলেন পারস্যকে মুসলমানদের পদানত করার। লক্ষ্য স্থির করে দীপ্ত সাহস ও পরিশ্রমের ফলে একদিন সত্যিই পারস্য সা¤্রাজ্য মুসলমানদের পদানত করেছিলে।

বিশ্ববিজয়ী বীর জুলিয়াস সিজার বলেছিলেন, অধিকাংশ মানুষ বড় হতে পারে না কারণ সে সাহস করে আকাশের মত সূর্যে লক্ষ্য স্থির করে সে দিকে তাকাতে পারে না বলে।

লক্ষ্য বা চাওয়া যাই বলি না কেন যদি নিজের সম্পূর্ণ ইচ্ছাশক্তি দিয়ে সে লক্ষ্যের পিছনে ছুটে তবে একদিন না একদিন সে লক্ষ্য পূরণ হবে। শুধু প্রয়োজন বিশ্বাস আর পরিশ্রম।

যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, বিশ্বাস হৃদয়ে, হবেই হবেই দেখা, দেখা হবে বিজয়ের ———

সবশেষে গানের এই সুরের সাথে তাল মিলিয়ে বলতে হয়, তুমি যদি লক্ষ্য স্থির করে মনে প্রানে বিম্বাস নিয়ে ছুটতে পার, তাহলে বিজয় মানে সাফল্যের দেখা পাবে।

=====================================================================================

লেখক, 

ফারহা দিবা

সিনিয়র ইন্সট্রাকটর

ডিপার্টমেন্ট অফ ম্যাথমেটিকস

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

 

পাই (π) নিয়ে কেন এত মাতামাতি?

পাই (π) নিয়ে কেন এত মাতামাতি?

পাই (বড় হাতের অক্ষরটি Π, ছোট হাতের অক্ষরটি π) গ্রিক বর্ণমালার ষোলতম অক্ষর একইসাথে গ্রিক সংখ্যা ব্যবস্থায় পাইয়ের মান হল ৮০। প্রাচীনতম ব্যবহারের মধ্যে, অক্ষর π গ্রিক শব্দ পরিধির(περιφέρεια) সংক্ষিপ্তরূপ ছিল, যার প্রথম বর্ণটি π। এর আগে, গণিতবিদরা বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাতকে কখনও কখনও  বা  হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। সর্বপ্রথম ১৬৪৭ সালে ব্রিটিশ গণিতবিদ  তার প্রকাশিত বই ক্ল্যাভিস ম্যাথেমেটিক এবং পরবর্তী সংস্করণগুলোতে δ.π কে বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাতরূপে প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে এই অনুপাতকে প্রকাশ করার জন্য  ব্যবহার করেন, অপরদিকে π/δ এর মান ৬.২৮.. আকারে ব্যবহার করতেন  ।

পরবর্তীতে ১৭০৬ সালে গণিতবিদ  সর্বপ্রথম তার প্রকাশিত বই  -তে বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাতকে শুধুমাত্র π আকারে ব্যবহার করেন। যদিও তার এই মতবাদ তৎকালীন অনেক গণিতবিদেরা গ্রহণ করেননি। ১৭৬৭ সাল পর্যন্ত অনেকেই পাইকে প্রকাশ করার জন্য ভগ্নাংশই ব্যবহার করতেন।

বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসার্ধের অনুপাত হিসেবে π = ৬.২৮ … ব্যবহার করেন তার ১৭২৭ সালে লেখা  বইটিতে। এরপর তিনি প্রথম π = ৩.১৪ৃ ব্যবহার করেন তার ১৭৩৬ সালের   এবং তার ব্যাপকভাবে পড়া ১৭৪৮ সালের বইটিতে। তিনি লিখেছিলেন, “যৌক্তিকতার জন্য আমরা এই সংখ্যাটি π হিসাবে লিখব; π হল একক ব্যাসার্ধের বৃত্তের পরিধির অর্ধেকের সমান “। ইউরোপের অন্যান্য গণিতবিদদের সাথে অয়লারের ব্যাপক সম্পর্ক ছিল, যার ফলে গ্রিক বর্ণের ব্যবহারটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং পশ্চিমা বিশ্বের পরে এর ব্যবহার সার্বজনীনভাবে গৃহীত হয়।

এছাড়াও গণিতের বিভিন্ন অপারেটর, রসায়নে, মেকানিক্স এবং তরল গতিবিদ্যায়, বীজগণিত টোপোলজিতে এমনকি অর্থনীতির বিভিন্ন রাশি প্রকাশে π প্রতীকটি ব্যবহার করা হয়।

১৪ মার্চ বিশ্ব পাই (π) দিবস। পাই কী? পাই (π) গ্রিক বর্ণমালার ষোলতম অক্ষর যা গ্রিক শব্দ পরিধির(περιφέρεια) সংক্ষিপ্তরূপ। সাধারণত বৃত্তের পরিধিকে তার ব্যাস দ্বারা ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায় তা হল পাই। মজার বিষয় হল বৃত্ত যত বড় বা ছোট হোক না কেন পরিধি ও ব্যাসের অনুপাত সবক্ষেত্রে একই। এই পাই নিয়ে গণিতবিদদের কৌতুহল ও গবেষনার অন্ত নেই। আজ পাই দিবস উপলক্ষে পাই সংক্রান্ত কিছু অদ্ভুদ ও মজাদার তথ্য সম্পর্কে আলোচনা করি, যা জেনে আশ্চর্য হবেন।

১. পাইয়ের জন্য π চিহ্ন ২৫০ বছর ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে। ১৭০৬ সালে গণিতবিদ উইলিয়াম জোন্স এই প্রতীকটি উপস্থাপন করেছিলেন এবং গণিতবিদ লিওনার্ড অয়লারের ব্যবহারের পর তা জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।

২. যেহেতু পাইয়ের প্রকৃত মান গণনা করা যায় না, তাই আমরা কোনো বৃত্তের সঠিক এলাকা বা পরিধি খুঁজে পাই না।

৩. মার্চ ১৪ বা ৩/১৪ বিশ্ব পাই দিবস হিসাবে উদযাপন করা হয় কারণ ৩.১৪ পাই এর প্রথম সংখ্যা। সারা বিশ্ব জুড়ে গণিত ভক্তরা এই সংখ্যাটি উদযাপন করেন।

৪. ২৫ মার্চ ২০১৫ তারিখে ভারতের ভিআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজভির মিনা সর্বোচ্চ দশমিক স্থান মুখস্থ বলে গিনেস বুকে রেকর্ড করেন। তিনি ৭০,০০০ দশমিক স্থান বলতে সক্ষম হন। রেকর্ডের সময় তার চোখ বাধা ছিল এবং তার সময় লেগেছিল ১০ ঘন্টা!

 

বিশ্বাস করতে পারছি না? আচ্ছা, এখানে প্রমাণ আছে:

http://www.guinnessworldrecords.com/world-records/most-pi-places-memorised

৫. আমরা সবাই জানি যে আমরা পাইয়ের প্রকৃত মান খুঁজে বের করতে পারি না কারণ এটি একটি অমূলদ সংখ্যা। কিন্তু মজার বিষয় হল, আমরা পাইকে ধারা এবং অ্যালগরিদমের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারি।

৬. পাই মিশরীয় পৌরাণিক কাহিনীরও একটি অংশ। মিশরের লোকেরা বিশ্বাস করত যে গিযার পিরামিডগুলি পাই-এর নীতিতে নির্মিত হয়েছিল। পিরামিডের উলম্ব উচ্চতা ও এর পরিসীমার অনুপাত অনেকাংশে বৃত্তের ব্যাসার্ধ ও এর পরিধির অনুপাতের সমান। পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন এই পিরামিডগুলি সারাবিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণ করে। সুতরাং এর মূলনীতি হিসাবে π থাকার ব্যাপারটি সত্যিই স্থাপত্যবিদ জন্য আকর্ষনীয় করে তোলে।

৭. যদিও ১৪ মার্চ (৩/১৪) পাই দিবস পালিত হয়, তবে উদযাপনের জন্য সঠিক সময় দুপুর ১:৫৯ হয়, যাতে সঠিক সংখ্যা ৩.১৪১৫৯ পৌঁছাতে পারে।

৮. পদার্থবিজ্ঞানী ল্যারি শো সান ফ্রান্সিসকোর এক্সপ্লোরেটোরিয়াম বিজ্ঞান জাদুঘরে ১৪ মার্চকে সর্বপ্রথম পাই দিবস পালন করেন । সেজন্য তাকে প্রিন্স অফ পাই বলা হয়।

৯. পাই নম্বরের উপর ভিত্তি করে তৈরি একটি সম্পূর্ণ ভাষা আছে। কিছু লোক পাইকে এতটাই ভালোবাসে, তারা ক্রমাগত শব্দের বর্ণগুলো সংখ্যা পাই এর সংখ্যার সাথে মিল রেখে একটি উপভাষা আবিষ্কার করে ফেলেন। মাইক কিথ এই ভাষাতে ‘Not a Wake’ নামে একটি সম্পূর্ণ বই লিখেছেন।

১০. অনেকগুলি রেকর্ড রয়েছে যা দেখায় যে, পাই আবিষ্কৃত হওয়ার অনেক আগেই বাবিলীয়রা প্রায় ৪০০০ বছর আগেই পাই সম্পর্কে জানত। প্রমাণ পাওয়া যায় যে, বাবিলীয়রা পাইয়ের মান ৩.১৫ গণনা করেন।

১১. অনেক প্রতিভাধর মানুষ পাই এর সাথে সম্পর্কযুক্ত। আলবার্ট আইনস্টাইন পাই দিবসে জন্মগ্রহণ করেন। ৭৬ বছর বয়সে স্টিফেন হকিংস ও পাই দিবসে মারা যান।

১২. চাইনিজরা পাই এর সংখ্যা খুঁজে পেতে পশ্চিমাদের তুলনায় অনেক এগিয়ে ছিল। কেন? অনেক গণিতবিদ বিশ্বাস করেন যে, চীনা ভাষা গাণিতিক গণনার জন্য সহায়ক। চীনা গণিতবিদরা পাই গেমে দুটি কারণের কারণে এগিয়ে ছিলেন; কারণ তাদের দশমিক উল্লেখ ছিল এবং তাদের শূন্য সংখ্যাটির প্রতীক ছিল। সেই সময়ে, ইউরোপীয় গণিতবিদরা আরব ও ভারতীয় গণিতবিদদের সহযোগিতায় তাদের সংখ্যাব্যবস্থায় শূন্য প্রতীকের ব্যবহার শুরু করেছিলেন।

১৩. আমরা পাই নিয়ে এত মাতামাতি করি কেন? কারণ আমরা সবকিছুর মধ্যে সম্পর্ক এবং প্যাটার্ন খুঁজতে ভালোবাসি। পাই সংখ্যাটি এত দীর্ঘ এবং এত রহস্যময় যে গণিতবিদরা এখনও এই সংখ্যা নিয়ে গবেষনা করে চলেছেন।

১৪. ১৮৮৮ সালে ইন্ডিয়ানা রাজ্যের একজন ডাক্তার দাবি করেছিলেন যে তিনি অতিপ্রাকৃত উপায়ে বৃত্তের সঠিক পরিমাপ শিখেছেন। তিনি তার “অতিপ্রাকৃত” জ্ঞানে এতটাই বিশ্বাস করেছিলেন যে তিনি ইন্ডিয়ানা আইন পরিষদে একটি বিল পাস করার প্রস্তাব পেশ করেছিলেন যাতে তিনি তার প্রতিভাধর ফলাফলগুলি কপিরাইট করতে পারেন। ফলে যারা পাই এর মান হিসেবে তার মানটি ব্যবহার করবে তাদেরকে এর জন্য মূল্য পবিশোধ করতে হবে! যাইহোক, বিধানসভায় একজন গণিত অধ্যাপক ছিল তিনি পরে প্রমান করে দেখিয়েছেন তার প্রস্তাবিত বিলের পাই এর মানটি ভুল ছিল।

১৫. পাইটি আক্ষরিকভাবে অসীম দীর্ঘ সংখ্যা। কিন্তু ১২৩৪৫৬ নম্বরটি পাই এর ১০ লক্ষ ডিজিট এর কোথাও পাওয়া যায় না। এটি কিছুটা হতাশাজনক কারণ যদি পাইয়ের ১০ লক্ষ ডিজিটের মধ্যে ক্রমানুসারে ১২৪৫৬ না থাকে তবে এটি অবশ্যই সবচেয়ে অনন্য সংখ্যা।

১৬. ব্রিটিশ গণিতবিদ Willam Shanks পাই এর মান বের করতে নিজে নিজে কাজ করেন। তিনি বহু বছর ধরে পাই ডিজিট গণনা করার চেষ্টা করে প্রথম ৭০৭ সংখ্যা বের করেছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত, তিনি পাওয়া ৫২৭তম অঙ্ক ভুল ছিল, যার ফলে অবশিষ্ট সংখ্যাগুলো ডিফল্ট ভুল হয়েছিল।

১৭. সংখ্যা পাইটি এত রহস্যময় ছিল যে ডাচ-জার্মান গণিতবিদ Ludolph van Ceulen তার জীবনের বেশিরভাগ সময় পাই এর প্রথম ৩৬ টি সংখ্যা গণনা করেছিলেন। বলা হয় যে প্রথম ৩৬ নম্বর তার সমাধি পাথরের উপর খোদাই করা হয়েছিল, যা এখন হারিয়ে গেছে।

১৮. পাই এর মান গণনার মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে পারি। এটি একটি ডিজিটাল কার্ডিওগ্রামের মতো কাজ করে কারণ এটি কম্পিউটারের প্রসেসরের বিভিন্ন কার্যক্ষমতার স্তরকে নির্দেশ করে।

১৯. এক্সপ্লোরেটোরিয়াম বিজ্ঞান জাদুঘরে, প্রতি বছর পাই দিবসে একটি বৃত্তাকার প্যারেড সংঘটিত হয়। অংশগ্রহণকারী সবাই পাইয়ের একটি করে সংখ্যা ধরে থাকে। পাই দিবস উদযাপন করার প্রধান উদ্দেশ্য হল সবাইকে গণিত ও বিজ্ঞানের প্রতি উৎসাহি করে তোলা।

২০. পাই নিয়ে চলচ্চিত্র Pi: Finding Faith in Chaos -এ পাই ও মহাবিশ্বের বিভিন্ন উত্তর খোঁজার ক্ষেত্রে নায়কের প্রচেষ্টাকে চিত্রিত করা হয়েছে। পাইয়ের প্রতি এই অনুসন্ধান তাকে পাগল করে ফেলে। কিন্তু ভাল ব্যাপার হল এই চলচ্চিত্রটি স্যান্ডেন্স চলচ্চিত্র উৎসবে পরিচালক পুরস্কার লাভ করেছে।

২১. প্রাচীনকালে, গণিতজ্ঞগণ পাই গণনা করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন। তারা একাধিক বাহু বিশিষ্ঠ বহুভুজ ব্যবহার করে বৃত্তাকার এলাকায় পৌঁছেছেন। আর্কিমিডিস, সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রীক গণিতবিদ এবং আবিষ্কারক, ৯৬ বাহু বিশিষ্ঠ বহুভুজ ব্যবহার করেছিলেন। বহু অন্যান্য গণিতবিদগণ এই বহুভুজের পদ্ধতিতে পাইয়ের মান গণনা করেছেন। চীনে, একজন গণিতবিদ বহুভুজে প্রায় ২০০ এবং তারপরে ৩,০০০ টিরও বেশি বাহু ব্যবহার করে পাইয়ের মান ৩.১৪১৫৯ বের করতে সক্ষম হন!

২২. পাই এর ব্যবহার বছর এর পর বছর বিস্তিৃত হয়েছে। ১৭ শতকের আগে, পাই শুধুমাত্র বৃত্তাকার ক্ষেত্রের মানসমূহ বের করতে ব্যবহার করা হত। কিন্তু ১৭ শতকের মধ্যে, লোকেরা বুঝতে পেরেছিল যে বক্ররেখা এবং হাইপোসাইক্লয়েড সহ অন্যান্য ক্ষেত্রগুলি গণনা করতে পাই ব্যবহার করা যেতে পারে। ২০ শতকের মধ্যে, পাইটি সম্ভাব্যতা এবং বিভিন্ন গাণিতিক অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

২৩. পাইয়ের সংখ্যাগুলো গণনা করা কঠিন হলেও পাইয়ের মান দ্বারা অন্যান্য জিনিস গণনা করার ক্ষেত্রে এটি অনেক কার্যকর। উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা দশমিকের পরে মাত্র ৯ ডিজিট নিয়ে পৃথিবীর পরিধি গণনা করার জন্য এটি ব্যবহার করি তবে ফলাফলগুটি অসাধারণভাবে সঠিক হবে। প্রতি ২৫,০০০ মাইলের জন্য শুধুমাত্র একটি ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগ ভুল হবে।

২৪. পাই এতই আশ্চর্যজনক এবং রহস্যময় যে এটি চলচ্চিত্রে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হয়েছে। ১৯৯৬ থ্রিলার চলচ্চিত্র টর্ন কার্টেনে, পাই হল গোপন কোড।

২৫. পাই এর ডিজিটসমূহ কে কার চেয়ে বেশি গণনা করতে পারে এ নিয়ে সর্বদা প্রতিযোগিতা চলছে। ২০১০ সালে জাপানী প্রকৌশলী এবং আমেরিকান কম্পিউটার উইজার্ড পাইয়ের ৫ ট্রিলিয়ান ডিজিট সংখ্যা গণনা করে সর্বাধিক সংখ্যক পাইয়ের ডিজিট গণনার রেকর্ডটি ভাঙ্গে। আশ্চর্যজনক ব্যাপার তারা কোন সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করেননি। তারা তাদের অসাধারণ কল্পনাশক্তি আর শুধু সাধারণ ডেস্কটপ কম্পিউটারের সাথে ২০টি এক্সটার্নাল হার্ডডিস্ক ব্যবহার করে এ মানটি বের করেন।

 

পরিশেষে শুধুমাত্র বৃত্তাকার ক্ষেত্রে নয় পাই পরিসংখ্যান, ত্রিকোণমিতি, বিস্তার পরিমাপ, অর্থনীতিসহ ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যপক ব্যবহার হয় যা একে করে তুলেছে সত্যিই অনন্য ও অসাধারণ। সকলের জীবন পাইয়ের মত সুন্দর হোক!

 

লেখক,

মো: রেজাউর রহমান, ইন্সট্রাক্টর,

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট।

 

লুতফর রহমান নিজেকে নিজে ইন্টানর্শীপ দিয়েছে

লুতফর রহমান নিজেকে নিজে ইন্টানর্শীপ দিয়েছে

লুতফর রহমান তিনি নিজের প্রতিষ্ঠানে নিজেকে ইন্টানর্শীপ দিয়েছে। 

তিনি ড্যাফেডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার ডিপার্টমেন্ট এর অষ্টম সেমিস্টারের একজন ছাত্র। 

তিনি বলেন যখন তিনি চতুর্থ সেমিস্টারের ড্রপ আউট হয়ে যায় তখন থেকেই মূলত তার জীবনের স্ট্রাগল শুরু। চতুর্থ সেমিস্টার ড্রপ আউট হওয়ার  পরে তিনি প্রচণ্ড ভেঙে পড়েন এবং তার পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ চলে যায়। তার অনেকদিন পরে সে রিয়েলাইজ করে যে এভাবে আর থাকা যায় না, তার কিছু একটা করতে হবে। 

পরবর্তীতে শেষ তার এক আঙ্কেলের  কাছ থেকে পরামর্শ নেন যে যেহেতু টেলিকমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্টে টেলিকমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্ট বেসমেন্টে কি কাজ করা যায়। তখন তার আঙ্কেল তাকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেন। 

তিনি সিদ্ধান্ত যে তিনি ব্যবসা  করবেন।  সবার প্রথমে তাকে তার মা সাহায্য করে ছিলেন। তিনি তার মাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে সে টাকা নষ্ট করবে না বরং তার ব্যবসার কাজে লাগাবে সে তার ব্যবসা শুরু করতে চায়। পরবর্তীতে তাকে তার মা ৫০ হাজার টাকা ধার হিসেবে দেয় এবং তা দিয়ে তিনি তার ব্যবসা শুরু করেন। 

অন্যদিকে ড্যাফোডিল পলিটেকনিক থেকে তাকে ব্রিজি চৌধুরী ম্যাম কল দেন। ম্যাম তাকে অনেক বোঝানোর পরে তিনি পঞ্চম সেমিস্টার ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং তিনি ভর্তি হন। 

তিনি জানান, “তিনি সকাল বেলা ক্লাস করতেন এবং বিকেলে গিয়ে তিনি তার অফিস সামলাতেন। 

তিনি আরো জানান তিনি এরপর থেকে তিনি আর কোন সাবজেক্টে ফেল করেন নি। ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আমাকে পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করেছেন যেমন যখন তিনি তার কোম্পানির কোন সমস্যায় পড়লে তখন তিনি তার ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করেন। 

এবং তিনি যে প্র্যাকটিক্যাল গুলো করতেন সেগুলোই তিনি তার কোম্পানিতে কাজে লাগিয়েছেন। “

 

একটা সময় তাদের ইন্টার্নশিপের সময় চলে আসে এবং সে কয়েকটি কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপের জন্য যোগাযোগ করেন। 

সেখানে সে দেখল তার কোম্পানিতে যে যে কাজ গুলো আছে ঠিক সেসব কাজগুলো সম্পন্ন কোম্পানিতে গিয়ে করতে হবে। 

 

তাই সে চিন্তা করলেও তিনি তার নিজের কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ করবেন। তিনি তার নিজের কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ করলেন এবং তার দুই বন্ধু কেউ তার কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপের সুযোগ করে দিলেন।