অবিদুর রহমানের সফলতার গল্প, পর্ব – ২

আবিদুর রহমান ড্যাফোডিল পলিটেকনিকের কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টের ৮ম সেমিষ্টারের একজন ছাত্র। তিনি  ইন্টার্নিংকরেছে প্রোগ্রেসে হোল্ডিং গ্রুপ লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিতে। যে সেখানে আইটি কম্পিউটারে দায়িত্বরত ছিল। যখন সে ইন্টার্নশীপ খুজ ছিলেন তখন তিনি নিজের থেকেই প্রোগ্রেসে গ্রুপের সাথে সরাসরি কথা বলে এবং অনেক বিষয়েই তারা অনেক সময় ধরে আলোচনা করেন। তার মাধ্যমেই তিনি জানতে পারেন যে তারা আইটির লোক খুজছেন। তখন পোগ্রেসে গ্রুপ থেকে তাকে জানান যে সে তাদের সাথে এক মাস কাজ করবেন ইন্টর্নশীপ হিসেবে পরবর্তীতে তারা যাচাই করে দেখবে যে তাকে পার্মানেন্টলি নেওয়া যায় কিনা।

তখন তিনি বিভিন্ন ভাবে একমাস সেবা প্রদান করেন । তিনি বলেন “একটি মজার ব্যাপার  হল যখন তার ইন্টনশীপের একমাস ও হয় নি, একদিন আমার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর স্যার  তাকে রুমে ডাকে এবং বলেন  আবিদ  তোমার কাজ গুলো তো আমার অনেক ভারো লাগল। তুমি যে সব কাজ গুলো কর মূলত তার জন্যই আমাদের সাথে যোগদান করো। তিনি আরো বলেন, তার চাকরীর পাওয়ার সাথে সাথেই তাকে ময়মনসিংহ ক্যান্টেলমেন্টের একটা প্রজেক্ট দেওয়া হয় ।

ময়মনসিংহ যাওয়ার পরে তিনি বিভিন্ন বড় বড় টেকনিশিয়ানদের সাথে কাজ করার সুযোগ পায়। যখন তিনি ময়মনসিংহ  প্রজেক্ট শেষ করে ঢাকা ফিরে আসেন । এরই মধ্যে লকডাউন পরে যায়। তারপরে সে অবসর সময়ে ভাবে যে কোন সে ঘরে বসে থাকবে বরং নিজের কিছু প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

তাই সে তার বাবাকে তার আইডিয়া বলেন এবং তার বাবা তার কথায় রাজি হন। তিনি আরো বলেন ”তার ব্যবসায় শুধু মাএ তার পড়ার টেবিল এবং আর তার কম্পিউটার এবং তার বাবা দেওয়া ছোট একটা রুমই ছিল তার ইনভেস্টমেন্ট।”

বর্তমানে তার একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার করার ইচ্ছা আছে । তিনি বলেন যে তার ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট হাতে আসার পূবেই তাকে তাদের গ্রামের লোকজন ইঞ্জিনিয়ার বলে ডাকা শুরু করেছে এটা তার কাছে বিশাসে একটা পাওয়া। সবশেষে তিনি ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটকে ধন্যবাদ জানার তাকে সফলতার গল্পে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

 

Tags: No tags

Comments are closed.