ইলেক্ট্রনিক্স এলো কিভাবে?

ইলেক্ট্রনিক্স এলো কিভাবে?

কিভাবে এত পরিবর্তন হলো ইলেক্ট্রনিক্সের। কারা এতো পরিবর্তন ঘটাচ্ছে? কি ছিলো এর ইতিহাস। কেউ কি জানি? এই ইতিহাস থেকে যুগে যুগে সব কিছু পরিবর্তন হয়ে আমাদের কাছে এসেছে।

একটা বার যদি আমরা চিন্তা করি আজ থেকে ১০ বছর আগে মোবাইল ফোন , কম্পিউটার, টেলিভিশন, রেডিও, ইত্যাদি এসব ডিভাইস এর অবস্থা কি ছিলো আর এখন কি হয়েছে!!!

চিন্তার বিষয় হলো অতি অল্প সময় এর মধ্যে টেকনোলজির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আজ আমি কিছু ইলেক্ট্রনিক্স এর বেসিক বিষয় এবং ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করবো।

১। ইলেক্ট্রনিক্স কি?

Electronics শব্দটি ইংরেজী শব্দ। এটা গ্রীক শব্দ Elektron হতে এসেছে। Elektron শব্দটি দ্বারা বুঝানো হয় বাহ্যিকভাবে প্রয়োগকৃত তড়িৎ ও চৌম্বক ক্ষেত্রে এর পরমানুর আচরণ পর্যবেক্ষণ ও আলোচনা।

The Institution of Radio Engineers (IRE) ইন্সটিটিউশন অব রেডিও ইঞ্জিনিয়ার্স ‘ইলেকট্রনিক্স’ কে সজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে –‘ ইলেকট্রনিক্স হলো সাইন্স এবং টেকনোলজীর একটি শাখা যা ভ্যাকুয়াম, গ্যাস ও অর্ধপরিবাহী পদার্থের মধ্য দিয়ে পরমানুর প্রবাহ সম্পর্কিত বিষয়াদি এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ডিভাইসের নকশা প্রণয়ন ও প্রয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে অধ্যয়ণ ও গবেষণা করে থাকেন। [Proceedings of I.R.E. Vol. 38 (1950)]

পরিশেষে বলা যায় যে, ইলেকট্রনিক্স তড়িৎ প্রকৌশলের একটি শাখা যেখানে ভ্যাকিউম টিউব অথবা অর্ধপরিবাহী যন্ত্রাংশ এর মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনের প্রবাহ আলোচিত হয়। এতে সাধারণত ক্ষুদ্র আকারের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি যেমন আই সি কম্পিউটার, ইত্যাদি আলোচিত হয়।

সূচনাকাল ও শুরুঃ

sar william crook

সার উইলিয়াম ক্রুক

ইলেক্ট্রনিক্স এর চর্চা কখন থেকে শুরু হয়েছে তা নিয়ে গবেষক দের মধ্যে মতভেদ দেখা দিলেও অধিকাংশ গবেষক বায়ুশূন্য নলের উদ্ভাবন ও ব্যবহার কে এর শুরু বলে ধারন করা হয়। একজন জার্মান গবেষক গেসিলার ১৮৫০ সালের কাছাকাছি পরিক্ষন করার সময় লক্ষ করেন যে যদি বায়ুশূন্য নলের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ করানো হয় তবে সেখানে হতে শিখা বীহিন আলোক স্ফুলিঙ্গ বের হয়।

১৮৭৮ সালের দিকে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী সার উইলিয়াম ক্রক্স দেখেন যে বায়ুশূন্য নলের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ মূলত কিছু কনার সমষ্টি।

এই গবেশনার উপর ভিত্তি করে সার জে জে থমসন ক্যাথোড রশ্মির উপর গবেষণা চালান ও এই কনার উপর বৈশিষ্ট সমুহ আবিষ্কার করেন। এর পর ১৮৯৭ সালে ইলেক্ট্রনিক্স এর অস্তিত্ব আবিষ্কার হয়। ইলেক্ট্রনিক্স এর বৈশিষ্ট্য ও আবিষ্কার এর পরবর্তী প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে অনেক সহায়ক ভুমিকা পালন করেছে। এর ফলে পরবর্তী যুগে থেকে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের গঠন ও নকশা প্রনয়নের কাজ সহজ থেকে সহজতর হয়েছে।

১৯০৪ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী পদার্থবিদ স্যার এমব্রোস ফ্লেমিং, (Sir Ambrose Fleming) একটি বিশেষ ধরণের ভ্যাকুয়াম টিউব আবিষ্কার করেন। ফ্লেমিং এর টিউবটি ছিল মূলতঃ একটি ভ্যাকুয়াম টিউব ডায়োড যা দিক পরিবর্তি প্রবাহকে একমূখী প্রবাহে রূপান্তর করতে পারত এবং এটি ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ ডিটেকশনে রেডিও রিসিভারে ব্যবহৃত হতো।

১৯০৬ সালে মার্কিন তড়িৎ প্রকৌশলী লী-ডি-ফরেষ্ট (Lee de Forest) বিশেষ ধরণের টিউব আবিষ্কার করেন যা ছিল মূলতঃ ভ্যাকুয়াম টিউব ট্রায়োড এবং ইহা তড়িৎ সংকেতকে বিবর্ধন করতে পারত। ফরেষ্টের এই টিউবটি অডিওন নামে পরিচিত, এবং পরবর্তিতে এটি টেলিফোনি প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্যপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। ১৯২০ সালে মার্কিন তড়িৎ প্রকৌশলী আলবার্ট হাল (Albert Hull) ম্যাগনিট্রন আবিষ্কার করেন যা উচ্চ শক্তির মাইক্রোওয়েভ সৃষ্টি করতে পারত। পরবর্তিতে ম্যাগনিট্রন ব্যবহার করে সেনাবাহিনী রাডার (RADAR) সিস্টেমের ব্যপক উন্নয়ন করে।

১৯৪৭ সালে আমেরিকার বেল ল্যাবরেটরীর তিন গবেষক উইলিয়াম ব্রাডফোর্ড শকলি, স্যার জন বার্ডিন এবং ওয়ালটার ব্রাটেইন যৌথভাবে সর্বপ্রথম সেমিকন্ডাকটর নির্মিত ট্রানজিস্টর আবিস্কার করা হয়। ট্রানজিস্টর আবিস্কারের মাধ্যমে সলিড স্টেট যুগের সূচনা হয়, সলিড স্টেট ডিভাইসের ব্যপক উন্নয়ন হতে থাকে ফলে ইলেকট্রনিক ডিভাইসসমূহ আকার ক্রমান্বয়ে আগের চেয়ে ছোট হতে থাকে।

ট্রানজিস্টরসমূহ আকারে দেখতে ছোট, দ্রুতগতির সুইচিং ক্ষমতা সম্পন্ন এবং কম পাওয়ার অপচয়কারী হবার কারণে তা দ্রুত টিউবকে অপসারন করে নিজের যায়গা দখল করে নেয় এবং ব্যপকভাবে তড়িৎ বর্তনীতে ব্যবহার হতে থাকে। ফলে বর্তনী সমূহের দক্ষতা আরো বৃদ্ধি পায়।

আইসিঃ

১৯৫৯ সালে রবার্ট নরটন নয়ছি এই ধারণা দেন, একই সিলিকন খন্ডের উপর বহু সংখ্যক ডিভাইস নির্মান এবং তাদের ভিতর সাধারণত এই ধরনের আন্তঃসংযোগ সৃষ্টি সম্ভব, এর ফলে ডিভাইসের গড় আকার, ওজন ও উৎপাদন ব্যয় কমবে। মনোলিথিক প্রকৃয়ায় তৈরীকৃত এই সকল বর্তনীসমূহকে একীভূত বর্তনী বা Integrated Circuit বলে। ১৯৬১ সাল হতে ফেয়ারচাইল্ড Fairchild এবং টেক্সাস ইন্সট্রুমেন্ট Texas Instruments বাণিজ্যিকভাবে IC উৎপাদন শুরু করে।

পরবর্তীতে এই প্রযুক্তি আরো উন্নত হয়ে একীভূত বর্তনীতে ডিভাইসের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ১৯৬১ সালে (SSI), ১৯৬৬ সালে (MSI), ১৯৭০ সালে (LSI) এবং ১৯৮০ সালে (VLSI) ইন্টিগ্রেশন গৃহীত হয়। ফলে আজকের দিনে উৎপাদিত একটি VLSI একক চীপে প্রায় এক মিলিয়নের অধিক ডিভাইস একীভূত করা সম্ভব। সমন্বিত বর্তনী প্রযুক্তির উন্নয়ন ইলেকট্রনিক প্রকৌশলের উন্নয়নের গতিকে আরো তরান্বিত করেছে। কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার শিল্পের উন্নত হার্ডওয়্যার প্রযুক্তি IC টেকনোলজির উন্নয়নের ফলেই সম্ভব হয়েছে।

রবার্ট নরটন নয়ছি

IC টেকনোলজির সুবাদে ১৯৭১ সালে ইন্টেল কর্পোরেশন সর্ব প্রথম ৪ বিটের মাইক্রোপ্রসেসর ইনটেল – ৪০০৪ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হয়, এর ফলে ব্যক্তিগত কম্পিউটার উদ্ভাবনের পথ সুগম হয়। ১৯৭৩ সালে ইন্টেল কর্পোরেশন ৮ বিটের মাইক্রোপ্রসেসর ইনটেল – ৮০৮০ উদ্ভাবন করে যার মাধ্যমে প্রথম ব্যাক্তিগত কম্পিউটার Altair 8800 তৈরী সম্ভব হয়। এর পর ধিরে ধিরে এর হালনাগাদ শুরু হয়েছে।

এছাড়া আরও অনেক বিষয় রয়েছে যে সব বিষয় গুলোর জন্য ইলেক্ট্রনিক্স এর অবস্থা পরিবর্তন হচ্ছে। যুগে যুগে এর পরিবর্তন হবে।

২। এর প্রয়োজনীয়তাঃ

এর প্রয়োজনীয়তা লিখে শেষ করা সম্বব না। প্রযুক্তির যুগে এমন কোন স্থান নেই যেখানে এর ব্যবহার হয় না। একটু চিন্তা করে দেখেন ১০ বছর আগের কম্পিউটার এর কথা। এর আকার কত বড় ছিল। নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুরো এক রুম লাগত। আর এখন এটা এমন আকৃতি করা হয়েছে যেটা মানুশের কাছে খুব ব্যাবহার যোগ্য।

৩। যে সব ডিভাইসে ইলেক্ট্রনিক্স এর ব্যাবহারঃ

প্রায় সব দরনের ডিভাইসে এর ব্যাবহার করা হয়। ইলেক্ট্রনিক্স এর ইকুইপমেন্ট গুলো এখন হালনাগাদ করা হচ্ছে। এবং সেই ইকুপমেন্ট গুলো কে বিভিন্ন ডিভাইসে ব্যাবহার করা হচ্ছে।

রেডিও, টেলিভিশিন, কম্পিউটার,মোবাইল ফোন, রোবট আরও অনেক ডিভাইস আছে যেগুলোতে ব্যাবহার করা হয়।

যোগাযোগ ও বিনোদন মূলক বাবস্থায় এর ব্যবহার হয়।

কন্ট্রোল ভিত্তিক ও ইন্সট্রুমেন্টশন এ এর প্রয়োগ ক্ষেত্র রয়েছে।

প্রতিরক্ষা কাজে এর ব্যবহার হয়।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর প্রয়োগ ক্ষেত্র।

এসব ডিভাইসকে দিনে দিনে আপডেট করে ব্যাবহার যোগ্য করা হয়।

৪। ইলেক্ট্রনিক্স এর শাখাঃ

ইলেক্ট্রনিক্স এর বিভিন্ন শাখা রয়েসে যেগুলো পরবর্তী লেখাতে আলোচনা করা হবে।

ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক্স।

এনালগ ইলেক্ট্রনিক্স।

মাইক্রো ইলেক্ত্রিনিক্স।

ফুজি ইলেক্ট্রনিক্স।

সার্কিট ডিজাইন।

ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট।

সেমিকন্ডাক্টর।

 

 

 

মো: আল মামুন রশিদ

ইন্সট্রাকটর,

ডিপার্টমেন্ট অব ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা

মানুষ বেচেঁ থাকবে যতদিন, বস্ত্রের চাহিদা থাকবে ততদিন। আর যতদিন বস্ত্রের চাহিদা থাকবে ততদিন টেক্সটাইল শিল্পের বিকাশ চলতে থাকবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে টেক্সটাইল এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আলোচিত বিষয়। কারন, আমাদের দেশের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার সিংহভাগই আসে পোষাক শিল্প হতে। তাছাড়া এ সেক্টরের মাধ্যমে বেকারদের কর্মসংস্থানের একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ পূরন হয়। বাংলাদেশে চাকরির বাজারে যে কয়টি পেশা রয়েছে তার মধ্যে টেক্সটাইলের চাহিদা অন্যতম। কারন এই সেক্টেরে চাহিদার তুলনায় যোগ্য প্রার্থীর অভাব রয়েছে। বাংলাদেশে ক্রমর্বধমান টেক্সটাইল শিল্পের দ্রুত বিকাশ ঘটার কারনে টেক্সটাইল শিল্পের গুনগত উন্নয়ন এবং সচল ভাবে ধরে রাখতে হলে দক্ষ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের কোন বিকল্প নাই। তাই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংকে আপনার পেশা হিসেবে নিলে আপনি হতে পারবেন এই বিপুল সম্বাবনাময় অর্থনৈতিক এবং বানিজিক সেক্টরের গর্বিত অংশীদার।

 

বাংলাদেশে টেক্সটাইল শিক্ষার ইতিহাস:

১৯২১ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে ঢাকায় নারিন্দায় উয়েভিং স্কুল নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা

হয়। ১৯৫০ সালে পাকিস্তান ক্ষমতা লাভের পরে এর নামকরন করা হয় ইষ্ট পাকিস্তান টেক্সটাইল

ইনষ্টিটিউট। ১৯৬০ সালে এটিকে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯৭৮ সালে এই

প্রতিষ্ঠানকে ডিগ্রী বা স্নাতক পর্যায়ে উন্নতি করা হয় এবং এর নামকরন করা হয় কলেজ অব

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি। ১৯৯৩ সালে এক সাথে ৬টি ইনষ্টিটিউটে ৩ বছর মেয়াদী

ডিপ্লোমা কোর্স চালু হয়। ইনষ্টিটিউট গুলো হল: বেগমগঞ্জ, জোরারগঞ্জ, রংপুর, বরিশাল, টাঙ্গাইল,

দিনাজপুর।

২০০১ সালে ৩ বছরের ডিপ্লোমা কোর্সকে ৪ বছরে উন্নতি করা হয়। ২০১০ সালে দেশের চলমান

অর্থনীতির উপর বিবেচনা করে টেক্সটাইল ইনষ্টিটিউটকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিনিত করার জন্য সংসদে

প্রস্তাব করা হয়। ২০১০ সালের ৫শে অক্টেবর এই প্রস্তাবটি সংসদে চুড়ান্তভাবে পাশ করা হয় এবং

২২শে ডিসেম্বর ইহা কার্যকর করা হয়। ২০১১ সালে ১৫ই মার্চ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকার

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন।

 

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায় পড়ার বিষয়বস্তুঃ

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায় মূলত টেক্সটাইলের মৌলিক বিষয়গুলো পড়ানো হয়। এগুলো হলঃ

১)ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং টেকনোলজি (স্পিনিং)।

২)ফেব্রিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং টেকনোলজি (নিটিং অ্যান্ড উয়েভিং)।

৩)ওয়েট প্রসেসিং টেকনোলজি (ডাইং,পিন্টিং অ্যান্ড ফিনিসিং)।

৪)এপারেল ম্যানুফেকচারিং টেকনোলজি।

তন্তু থেকে কাপড় বানানোর উপযোগী সুতা তৈরি, কিংবা একটি ফেব্রিককে আরামদায়ক করার যেসব

পদ্ধতি রয়েছে, সেসবও এই পড়ালেখার বিষয়। অদাহ্য, তাপরোধী, রাসায়নিকরোধী কিংবা পানিরোধী

ফেব্রিকের সম্ভাবনা ও ব্যবহার—এই সবকিছুই পড়ানো হয় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। নিত্যপ্রয়োজনীয়

পোশাক থেকে শুরু করে বিশেষায়িত (যেমন অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের জন্য জ্যাকেট কিংবা

মহাকাশচারীদের স্যুট) সবকিছুই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অন্তর্ভুক্ত। পৃথিবীর ৭০০ কোটি মানুষের

জন্য এই বিশাল টেক্সটাইল সেক্টরের জোগান দিতে গিয়ে পরিবেশের ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে,

সেটা প্রতিরোধ করাও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অংশ। নিত্যনতুন ডিজাইনের ফ্যাশন উদ্ভাবন থেকে

শুরু করে যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ কিংবা তৈরি পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা—এসব কিছুই পড়ানো

হয় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায়।

পেশা হিসেবে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং:

পেশা হিসেবে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কথা বলতে গেলে প্রথমেই যে কয়েকটি বিষয় মাথায় আসে

তা হল-কর্মক্ষেএ, বেতন, সুনাম এবং ভবিষ্যত। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বাংলাদেশে সরকারি এবং

বেসরকারি দুইটি প্রতিষ্ঠানেই চাকুরি করার সুযোগ রয়েছে। বেশ কিছু সংখ্যক সরকারি টেক্সটাইল

রয়েছে যেখানে চাকুরি করার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া অনেক বেসরকারি টেক্সটাইল রয়েছে সেখানে ও

চাকুরি করার সুযোগ রয়েছে। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের চাকুরির অনেক সেক্টর আছে যেমন:

 

▶ স্পিনিং ফ্যাক্টরী

▶ নিটিং ফ্যাক্টরী

▶ উইভিং ফ্যাক্টরী

▶ ডাইং ফ্যাক্টরী

▶ গামেন্টস  ফ্যাক্টরী।

▶ বায়িং হাউজ।

▶ মার্চেন্ডাইজিং।

▶ টেক্সটাইলের বিভিন্ন ধরনের ম্যাটেরিয়াল, ক্যামিক্যাল, মেশিনারী মার্কেটিং।

 

তাছাড়া পেশা হিসেবে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে দেশের বাহিরে অর্থাৎ বিদেশে কাজ করার

সুযোগও রয়েছে।

 

লেখক,

মোঃ জায়েদুল হক

ইন্সট্রাকটর

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

Vat Dyeing Process / Textile Dyeing Process With Vat Dye

Vat dyes:

Vat dyes can’t be directly applied and required vatting because it is insoluble in water. But vat dyes fastness properties is good among the all dyes. The word “vat” means vessels. The dye takes its generic name from vatting. The vat dyes are naturally obtained coloring materials from the ancient time and kept into wooden vat and make soluble in vat by the process of fermentation- so it is called vat dyes.

Vat dyeing process:

Vat dyeing is complex from other dyeing. Its dyeing process are given below:

The required water for dyeing is taken in the dye bath and it is maintain at proper temperature (50º- 60 ºC) the reducing and dyeing temperatures vary from dyestuffs to dyestuff. The vatted dye solution may than be added to the dye bath containing the required amount of caustic soda sodium hydro sulphate, kept at recommended temperature.

The well-scoured wet yarn is entered in the dye bath and turned several times, so that the affinity of the color may be uniform. The yarn is then kept completely immersed under the dye liquor and the dyeing is continued for one hour. The yarn is turned from time to time… Care should be taken to keep the bath at required temperature and also to keep the yarn thoroughly immersed under the liquor.

 

 

The exhaustion agents or retarding agents are added to the dye bath depending upon the dyestuffs taken, during the entire dyeing period. Excess quantities of both sodium hydroxide (NaoH) and sodium hydro sulphate (Na2s2O4) should be present in the dye bath in order to keep the dye in the soluble form. At the end of the dyeing the partly or completely exhausted dye bath must be kept in a distinctly reduced condition; otherwise oxidation of the residual vatted dye takes place in the dye bath itself leading to the appearance of turbidity. This is ensured by adding sufficient sodium hydro sulphate. The dyed goods may then be removed from the dye bath and excess liquor which contains the unexhausted vat dye, sodium hydroxide, sodium hydro sulphate is removed as for as possible from the goods.

The dyed goods are rinsed with cold water and then subjected to an oxidation treatment by exposure to atmospheric oxygen. This is called “air oxidation” or “airing” but the oxidation may be accelerated by using stronger oxidizing agent such as sodium per borate or hydrogen peroxide or sodium dichromate in the presence of acetic acid. This process is usually referred to as chemical oxidation.

 

During the oxidation step the sodium salt of leuco vat dye absorbed by the fiber is oxidized and converted into insoluble dye in the fiber. At the same time the vatted dye contained in the residual liquor in the goods being dyed also gets converted into the insoluble form which is loosely deposited on the fibre surface. This loosely deposited dye on the surface of the fiber has to be removed for achieving optimum fastness properties especially rubbing and washing fastness properties. This is achieved by soaping process. The dyed material is treated in hot soap solution or a synthetic detergent solution for 15 – 30 minutes. After the soaping treatment the dyed goods should be rinsed thoroughly and finally the dyed material is dried.

Writer:

Rebeka Monsur

Department Head (Textile & GDPM)

Daffodil Polytechnic Institute

**Source: Wikipedia & Google**

If the goal is to become a freelancer

যুগের পেক্ষাপটে উন্নত এবং চাহিদা পূর্ণ ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্য যদি হয় Freelancer হবার তাহলে –

  • কিভাবে শুরু করব-
  • Freelancer এর কাজ কি-
  • কোথায় কাজ পাওয়া যায়-
  • কিভাবে কাজ করতে হয়-

একের পর এক প্রশ্ন আসতেই থাকে-

বর্তমান সময়ে গতানুগতিক চাকুরীর বাইরে নিজের ইচ্ছামত কাজ করে অর্থ উপার্জনের আলোচিত এবং জনপ্রিয় একটি পেশা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সার হচ্ছে মুক্ত বা স্বাধীনচেতার এমন একজন ব্যক্তি -যিনি বি​ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে নিজ দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন। এখানে তার কাজের কোনো নির্দ্দিষ্ট পারিশ্রমিক নাও থাকতে পারে, আবার ফুল টাইম বা পার্ট টাইম এ বিষযটি নির্দ্দিষ্ট নাও হতে পারে।

ইন্টারনেটের কল্যানে এখন আপনি খুব সহজেই একজন ভালো ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন । একজন ফ্রিল্যান্সার তার নিজের ইচ্ছা পচ্ছন্দমত স্বাধীনতাভাবে বিভিন্ন ধরনের কাজ বাছাই এবং  পারিশ্রমিক মূল্যে নিজেই নির্ধারন করতে পারেন, এক্ষেত্রে কেউ তাকে জোর করে কোনো কাজ চাপিয়ে এবং  পারিশ্রমিক মূল্যে  নির্ধারন করে দিতে পারেন না।

এছাড়াও একজন ফ্রিল্যান্সার নিজেই কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে, কোন সময়ে কাজ করবে তা তার  নিজেরই  নির্ধারনে স্বাধীনতা রয়েছে।

এককথায়, একজন ফ্রিল্যান্সার নিজেই তার কাজের ছক অংকন করে এবং নিজেই সেটি পরিচালনা করে থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে কি কি লাগে?

১। আপনার নিজস্ব একটি কম্পিউটার থাকতে হবে।

২। কম্পিউটার চালানোর বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে এবং ইন্টারনেট চালানোর দক্ষতা থাকতে হবে।

৩। ইংলিশে যোগাযোগ করার মত ইংলিশ জানতে হবে।

মোটামুটি এই তিনটি বিষয় আপনার থাকলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার উপযোগী।

আয়ের দিক থেকেও অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং এ রয়েছে অভাবনীয় সম্ভাবনা। এখানে প্রতি মূহুর্তে নতুন নতুন কাজ আসছে। প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েবসাইট, ডিজিটলি মার্কেটিং, ডেটা সায়েন্স এবং অ্যানালিটিক্স, রাইটিং এবং ট্রান্সলেশন, গেম, 3D এনিমেশন, প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, সফ্টওয়্যার বাগ টেস্টিং, ডাটা ,এন্ট্রি আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি-এর যেকোন এক বা একাধিক  ক্ষেত্রে আপনি সফলভাবে নিজেকে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরি করে নিতে পারেন।

ইন্টারনেটে অনেকগুলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেয় যাদেরকে বলা হয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। এগুলো থেকে যেকোন একটিতে রেজিস্ট্রিশনের মাধ্যমে আপনি শুরু করতে পারেন। এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ জমা দেয় তাদেরকে বলা হয় Buyer বা Client এবং যারা এই কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় freelancer বা Service Provider. একটি কাজের জন্য অসংখ্য ফ্রিল্যান্সরা Bid বা আবেদন করে এবং ওই কাজটি কত টাকায় সম্পন্ন করতে পারবে তা উল্লেখ করে। এদের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করতে পারে। সাধারণত পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ এবং বিড করার সময় ফ্রিল্যান্সরের মন্তব্য ফ্রিল্যান্সর নির্বাচন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফ্রিল্যান্সর নির্বাচন করার পর ক্লায়েন্ট কাজের সম্পূর্ণ টাকা ওই সাইটগুলোতে জমা করে দেয়। এর মাধ্যমে কাজ শেষ হবার পর সাথে সাথে টাকা পাবার নিশ্চয়তা থাকে। পুরো সার্ভিসের জন্য ফ্রিল্যান্সরকে কাজের একটা নির্দিষ্ট অংশ ওই সাইটকে ফি বা কমিশন হিসেবে দিতে হয়। কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হচ্ছে:

ফ্রিল্যান্সার www.freelancer.com

আপওয়ার্ক www.upwork.com

পিপল পার আওয়ার www.peopleperhour.com

ফাইবার www.fiverr.com

গুরু www.guru.com

নাইন্টিনাইন ডিজাইনস www.99designs.com

জুমল্যান্সার www.joomlancers.com

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার স্টেপ গুলো কি?

১। মাইন্ড সেটআপ করা

২। নির্দিস্ট একটি বিষয় বাছাই করা

৩। বিষয়টি সম্পর্কে প্রশিক্ষন নেয়া

৪। প্রশিক্ষনের পর কয়েকটি প্রজেক্ট প্রাক্টিস করা

৫। নিজের জন্য  পোর্টফোলিও তৈরী করা

 

 

৬। মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানা

৭। মার্কেটপ্লেসে অ্যাাকাউন্ট তৈরি করা ও বিড করা

৮। বায়ারের চাহিদা অনু্যায়ী কাজ করে দেওয়া এবং জমা দেওয়া

৯। মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা ঊঠানো

দরকার নেই বাধাধরা সময়ের চাকুরি, দরকার নেই কর্পোরেট রোবট হবার! নিজের মেধাকে  কাজে লাগিয়ে আউটসোর্সিং করেই কিন্তু সুন্দর একটা ভবিষ্যত পাওয়া সম্ভব!

 

 

=================

Mst. Sathi Akter

Instructor of Computer Technology

Daffodil Polytechnic Institute

সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম সম্পর্কে  বিস্তারিত আলোচনাঃ পর্ব-১

সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম সম্পর্কে  বিস্তারিত আলোচনাঃ পর্ব-১

Daffodil Polytechnic Institute কর্তৃক প্রকাশিত ব্লগের ধারা-বাহিক আর্টিকেল লেখার জন্য আমি “ Surveillance Security System“ বিষয় টি বেছে নিয়েছি। আমি মনে করি বিষয় টি যুগ উপ যুগী- তাই এর প্রথম পর্ব “ সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম সম্পর্কে  অবগত হওয়া “। আর্টিকেলটিতে  সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করা হবে। সিকিউরিটি জোরদার করার ক্ষেত্রে  সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম সম্পর্কে ধারনা থাকা অত্যন্ত জরুরী ।

সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম এর যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হবে তা হল-

১। সার্ভিলেন্স সিস্টেম সম্পর্কে অবগত হওয়া।

২। সার্ভিলেন্স সিস্টেম এর সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ আলোচনা করা ।

৩। ভিডিও সার্ভিলেন্স সিস্টেম এর ঘটনার ব্যাখ্যা সম্পর্কে আলোচনা করা।

৪। সিসিটিভি সার্ভিলেন্স সিস্টেমের বিভিন্ন নোড সম্পর্কে আলোচনা করা ।

 সার্ভিলেন্স সিস্টেম সম্পর্কে অবগত হওয়া 

সার্ভিলেন্স নিয়ে আলোচনা করার পূর্বে সার্ভিলেন্স শব্দটির উৎপত্তি  সম্পর্কে যানা আমাদের প্রয়োজন।

আসুন জেনে নিই সার্ভিলেন্স কথাটি কোথা থেকে এসেছে। সার্ভিলেন্স (Surveillance) এর আভিধানিক বাংলা অর্থ হচ্ছে নজরদারি । যা একটি ফরাসি শব্দ Sur শব্দের আভিধানিক রূপ From Above অর্থাৎ দূর বা উপর থেকে এবং Veiller এর আভিধানিক অর্থ To Watch অর্থাৎ “দেখার জন্য”। তাই সার্ভিলেন্স এর পুরো অর্থ দাঁড়ায় দূর বা উপর থেকে দেখার জন্য।

তাহলে নজরদারি বা সার্ভিলেন্স এর সংজ্ঞা দাঁড়ায়- কোন ব্যক্তি, সংগঠন, নির্দিষ্ট স্থান ইত্যাদির নিরাপত্তা বা তার গতিবিধির উপর নজরদারি করার জন্য মানুষ দাঁড়া বা যান্ত্রিক সহায়তায় যে পদ্ধতি আরোপ করা হয়,তাকে নজরদারী প্রক্রিয়া বা সার্ভিলেন্স সিস্টেম (Surveillance System ) বলে ।

সার্ভিলেন্স সিস্টেম বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে-

১। টেলিফোন নজরদারি

২। ক্যামেরা নজরদারি

৩। এরিয়াল নজরদারি

৪। কম্পিউটার নজরদারি

৫। সামাজিক নজরদারি

৬। বায়োমেট্রিক নজরদারি

৭। ডেটা মাইনিং এবং প্রোফাইলিং

৮। কর্পোরেশন নজরদারি

৯। আরএফআইডি এবং জিওলোকেশন ডিভাইস

১০। মাইক্রোচিপ নজরদারি

১১। পোষ্টাল পরিষেবা

১২। ওয়াল্ডি লাইফ

টেলিফোন নজরদারি  (Telephone Surveillance )   

টেলিফোনে কথা বলে তথ্য পাচার বা কোন অপরাধ সংগঠনের প্রতিষ্ঠা প্রতিহত করার জন্য টেলিফোনের কথার টেপ করে রেকর্ড রাখার প্রক্রিয়া এক ধরনের সার্ভিলেন্স বা নজরদারি।

অফিসিয়াল বা আনঅফিসিয়ালি  টেলিফোনে আড়িপাতা বিশ্বব্যাপী।

উদাহরণস্বরূপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, আইন প্রয়োগকারী আইন (CALEA) এর জন্য যোগাযোগ সহায়তা প্রয়োজনীয় হয়, যে সমস্ত টেলিফোন এবং ভিওআইপি যোগাযোগ ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি দ্বারা রিয়েল-টাইম ওয়্যারটেপিং এভেলেবেল থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বড় টেলিযোগাযোগ সংস্থা — AT&T Inc.and Verizon – এফবিআইয়ের সাথে চুক্তি করেছে, যাতে তাদের ফোন কল রেকর্ডগুলি ফেডারেল এজেন্সিগুলির জন্য সহজেই সন্ধান করা যায় , জন্য প্রতি বছর ১.৮ মিলিয়ন ডলার এর জন্য পরিশোধ করতে হয়।

 ক্যামেরা নজরদারি (Camera Surveillance)   

নজরদারি ক্যামেরা বা Camera Surveillance হ’ল কোনও অঞ্চল পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ভিডিও ক্যামেরা। নজরদারি এর ক্ষেত্রে ক্যামেরা বহুল প্রচলিত, বিশেষ করে ভিডিও ক্যামেরা রেকর্ডিং ডিভাইস আইপি নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে খুবই কার্যকরীভাবে কাজ করা যায়। এধরনের নজরদারি ব্যবস্থায় ব্যবস্থা একটি কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম থাকে, যেখান থেকে সব ক্যামেরা দ্বারা নজর রাখা হয়। এ ধরনের নজরদারি ব্যবস্থা সাধারণত নিরাপত্তারক্ষী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ব্যবহার করে থাকে।

এরিয়াল নজরদারি (Aerial Surveillance)   

শূন্যে ভাসমান কোন যন্ত্রের বা বিমানের সাহায্যে নজরদার করার প্রক্রিয়াকে এরিয়ার সার্ভিলেন্স (Aerial Surveillance) বলে। যেমন ড্রন দ্বারা ভিজুয়াল ইমেজ সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দল বা এলাকার উপর নজরদারি করা হয়ে থাকে বিশেষ করে পাকিস্তান আফগানিস্তান ও বিভিন্ন দেশে আমেরিকান আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে ব্যাপকহারে গ্রহণের মাধ্যমে সার্ভিলেন্স করে আসছে সফলতার সাথে।অনেক সময় বিমান থেকেও Surveillance করা হয়ে থাকে । বিশেষ করে আমেরিকার Awax বিমান তাদের জন্য বহুল ব্যবহৃত হয়।


কম্পিউটার নজরদারি (Computer Surveillance)    

কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্ক নজরদারি হ’ল কম্পিউটারের ক্রিয়াকলাপ এবং একটি হার্ড ড্রাইভে থাকা ডেটা বা ইন্টারনেটের মতো কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলিতে ডেটা স্থানান্তরিত হওয়া ডেটা পর্যবেক্ষণ। এই পর্যবেক্ষণটি প্রায়শই গোপনীয়ভাবে পরিচালিত হয় এবং এটি সরকার, কর্পোরেশন, অপরাধমূলক সংস্থা বা ব্যক্তি দ্বারা সম্পন্ন হতে পারে।

 

 

সোশ্যাল মিডিয়া নজরদারি (Social Media Surveillance)    

সোশ্যাল মিডিয়া নজরদারি ডিজিটাল যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মগুলি থেকে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণকে বোঝায়।

নজরদারির অন্যতম ক্ষেত্রেই হচ্ছে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক বা সোশ্যাল মিডিয়া যেমন- ফেসবুক, টুইটার,

ইউটিউব, লিংকডিন  ইত্যাদি কে কোথায় কি ধরনের বক্তব্য বা কি ধরনের আচরণ ও কোন ঘটনার উপর কি ধরনের প্রক্রিয়া প্রদর্শন করছে তা সোশ্যাল মিডিয়া বা নেটওয়ার্ক নজরদারির মাধ্যমে সহজে জানা যায়।


বায়োমেট্রিক
নজরদারি (Biometric Surveillance)   

বায়োমেট্রিক নজরদারির মাধ্যমে মানুষের শারীরিক উপস্থিতি নিশ্চিত এবং তার আচরণের উপর নজরদারি করা সম্ভব। ইদানিং আমাদের দেশে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশন এবং অফিস, স্কুল-কলেজ, কর্মক্ষেত্রে হাজিরা দেয়ার মাধ্যমে সবার উপস্থিতি নিশ্চিত করণের কাজ চলছে। এ ধরনের নজরদারি প্রক্রিয়ারই বায়োমেট্রিক নজরদারি।

ডেটা মাইনিং এবং প্রোফাইলিং(Data Mining and Profiling)   

ডাটা মাইনিং এবং প্রোফাইলিং প্রক্রিয়ায় বহুসংখ্যক মানুষের বিভিন্ন এলাকার তথ্য একসাথে স্টোর করে তারপর সেখান থেকে যখন যেটা প্রয়োজন তা নিয়ে কাজ করা হয় তখন কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা এলাকার তথ্যাবলী আলাদা আলাদাভাবে প্রফাইল আকারে দেখা যায়।

 

কর্পোরেট নজরদারি (Corporate Surveillance)   

কর্পোরেট নজরদারি হ’ল কর্পোরেশন কর্তৃক কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর আচরণ পর্যবেক্ষণ। সংগৃহীত ডেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিপণনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয় বা অন্য কর্পোরেশনগুলিতে বিক্রি হয় তবে নিয়মিত সরকারী সংস্থাগুলির সাথেও ভাগ করা হয়।

আরএফআইডি এবং জিওলোকেশন ডিভাইস (RFId and Geolocation Devices)   

রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডি এবং জিওলোকেশন ডিভাইস, এ ধরনের সার্ভিলেন্স ব্যবস্থা কোন বস্তু বা মানুষ বা যানবাহনের উপর নজরদারি করার জন্য ব্যবহৃত হয়। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডি ট্যাগ ( RF Id Tag) মাধ্যমে বহনকারী যানবাহন কোথায় অবস্থান করছে তা জানা যায়।বিমান জাহাজ গাড়ি মোটরসাইকেল এমনকি মোবাইল ফোনের অবস্থান নির্ভুলভাবে নজরদারিতে রাখতে জিপিএস ব্যবহার করা হয়।

মাইক্রোচিপ নজরদারি(Micro Chip Surveillance)   

মাইক্রোচিপ এর সাহায্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা যানবাহনের উপর সার্ভিলেন্স করা হয় এর সিগনাল এর মাধ্যমে রিসিভার সিগন্যাল রিসিভ করে, ওই ব্যক্তি বা যানবাহনের অবস্থান বের করা যায়। কখনো কখনো মাইক্রোচিপ মানুষের শরীরে ও স্থাপন করা হয়ে থাকে যাতে তার অবস্থান সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়।

নজরদারির অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ডাক বিভাগে নজরদারি । কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের গতিবিধি এবং তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যম হোল চিঠিপত্র, যার উপর নজরদারি করা হয় ডাক বিভাগের মাধ্যমে।ডাকযোগে পণ্যের অবস্থান প্রতিনিয়ত কাস্টমারের কাছে প্রদান করার জন্য বিশ্বের সব বড় বড় পোস্টাল সার্ভিস গুলি, একটি কাস্টম প্যানেল দিয়ে থাকে যার ফলে তার পণ্য সঠিক জায়গায় পৌঁছেছে কিনা সময়মতো তা অনুধাবন করতে পারে।পোষ্টাল পরিষেবা(Postal Service)    

এছাড়াও আমরা আরো অনেক ধরনের সার্ভিলেন্স সিস্টেম দেখতে পাই যেমন -পশু-পাখিদের উপর নজরদারি সিস্টেম, করোনাভাইরাস নজরদারি সিস্টেম, হিউম্যান মাইক্রোচিপ ইত্যাদি।

নজরদারি করার সুবিধা অসুবিধা 

নজরদারি করার সুবিধাসমূহ 

  • ২৪ ঘন্টা/সপ্তাহে সাতদিন সার্বক্ষণিক নজরদারি করা সম্ভব ।
  • সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেমের কারণে কোন ঘটনার সত্য তথ্য উদঘাটিত হয়।
  • সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম পাবলিক প্লেসে স্থাপন করা হলে জননিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়।
  • সার্ভিলেন্স ব্যবস্থা কোন প্রতিষ্ঠান ও এর কর্মচারীদের নিরাপত্তা প্রদান করতে পারে
  • সার্ভিলেন্স এর ব্যবস্থা থাকলে সংঘটিত অপরাধের প্রমাণাদি সংগ্রহ করা সহজ হয়।
  • সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম এরিয়াতে অপরাধীরা অপরাধের মাত্রা অনেকখানি কমিয়ে আনে।
  • আদালতে প্রমাণ স্বরূপ অপরাধীদের ভিডিও ফুটেজ এবং অন্যান্য প্রমাণাদি সাবমিট করতে সহজ হয়।
  • কর্মক্ষেত্রে ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়।

 নজরদারি করার অসুবিধাসমূহ   

  • হ্যাকারদের আওতায় চলে আসলে হুমকির জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার কমে আসতে পারে।
  • ব্যাপক মাত্রায় সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেমে মানুষ প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ে এবং মেধা ও পরিশ্রম শূন্য হয় পড়ে ।
  • নজরদারির ফলে জনগণ তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে পারে।
  • খরচ বেশি ব্যয়বহুল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হয়।
  • সার্ভিলেন্স এর ফলে ব্যক্তি অধিকার অনেকাংশে ক্ষুদ্র করে।

পরিশেষে বলতে গেলে বলতে হয় সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম সম্পর্কে জানা এবং এর রক্ষণাবেক্ষণ ও মনিটরিং ব্যবস্থা জানা অত্যন্ত জরুরী যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানই এখন বাধ্য হচ্ছে তাদের প্রতিষ্ঠান রক্ষার জন্য সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম স্থাপন করা। যার ফলশ্রুতিতে এই সেক্টরে কাজের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে । আইটি প্রফেশনে যারা জড়িত হতে চান তাদের সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সম্পর্কে জানা জরুরী, একটি ব্লগে হয়তো সম্পূর্ণ আনা সম্ভব হয়নি, পরবর্তী পর্বে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।  চার বছর মেয়াদি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আন্ডারে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যায়নরত ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবেন । টেকনিক্যাল এডুকেশন এর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার দের জন্য অত্যন্ত উপকারে আসবে এছাড়াও সাধারণ যারা সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী এবং নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করছেন তাদের জন্য আশা করি কাজে লাগবে।

 

সোর্স ঃ [wikipedia, Google, Textbook.]

 

মুহাম্মাদ সহিদুল ইসলাম

ইনস্ট্রাক্টর(কম্পিউটার)

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউট

 

মানুষ গড়ার কারিগর

 

মানুষ গড়ার কারিগর

– শিক্ষক

মানুষ গড়ার কারখানা হল

– শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

শিক্ষাদান করাটা শুধুই একটা চাকরী বা পেশা নয়, এটা একটা আবেগের বিষয়। একজন প্রকৃত শিক্ষক-শিক্ষিকার পরিচয় শুধু পাঠদানেই সীমাবদ্ধ নয়। একজন প্রকৃত শিক্ষক হলেন এমন এক ব্যক্তি যিনি পাঠ্য পুস্তক থেকে কীভাবে ছাত্রছাত্রীদের শেখাবে সেটুকু যে জানবে তা নয় বরং শিক্ষার্থীদের সেই বিষয়গুলিকে ভালবাসতে শেখানোর ক্ষমতাও তার মধ্যে থাকতে হবে। পাঠদানের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীর মানসিক বিকাশ, মানবিক দিকগুলোকে জাগিয়ে তোলা, সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ, সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধের শিক্ষাটাও দেওয়া উচিত।

খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, যখন অভিভাবকরা নিজ সন্তানকে স্কুল শিক্ষকদের হাতে তুলে দিয়ে বলতেন, ’আমার সন্তান যদি কোন অন্যায় করে থাকে, তবে ওর হাড্ডিগুলো শুধু ফেরত দেবেন, বাকি সবই আপনার।’ শিক্ষকও অভিভাবকের দেওয়া দায়িত্বকে তথাস্থ মনে করে সাধ্যমত চেষ্টা করতেন কিন্তু শিক্ষকরা খুব কম ক্ষেত্রেই নির্দয়ভাবে পেটাতেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন তার পুত্রের শিক্ষকের কাছে লেখা পত্রে বলেছিলেন ”আমার পুত্রকে জ্ঞানার্জনের জন্য আপনার কাছে পাঠালাম। তাকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবেন – এটাই আপনার কাছে আমার বিশেষ দাবি।” জগৎ বিখ্যাত বীর আলেকজান্ডার তার শিক্ষক এরিস্টটলের প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ বলেছিলেন, ÕTo my father, I own my life; to Aristotle, the knowledge to live worthily’.

পিতামাতা হচ্ছে শিশুর জন্মদাতা ও জন্মদাত্রী । পিতামাতা সন্তানদের লালন পালন করে মানুষের মত মানুষ করে তোলার স্বপ্ন দেখতে পারে। কিন্তু একজন শিক্ষক এই বৈচিত্রময় পৃথিবী সম্পর্কে শিশুকে সম্যক ধারণা দেয়। মানুষের জীবনে পিতামাতার পরই শিক্ষকের অবস্থান। তাকে নবজন্ম দিতে পারে। পিতামাতার হাত ধরে একটি শিশু যেমন জীবনে চলতে শিখে, তেমনি শিক্ষক শিক্ষিকার হাত ধরে জীবনে সম্ভাবনা আর সাফল্যের দুয়ারে পৌছাতে শিখে। শিক্ষক যে পড়াশুনার ক্ষেত্রেই হবে, তা নয়। জীবনের যে কোন ক্ষেত্রেই তার অবদান থাকতে পারে যেমন- জীবনে চলার পথে পরামর্শ দেওয়া আর সাফল্যের নতুন লক্ষ্য স্থির করে দেওয়া। শিক্ষকেরা হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর। জীবনের উন্নয়নের প্রধান সোপনই হল শিক্ষা। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষকরা অন্য যে কোন পেশার মানুষের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান দখল করে আছে।

একজন সফল মানুষের পিছনে শিক্ষকের যে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা থাকে, তা নতুন করে বলার কিছু নাই। তিনি তাকে শুধু সফল নয়, একজন ভাল মানুষ হতে শেখায়। একজন ভাল শিক্ষক একজন ছাত্রের জীবন আমূল বদলে দিতে পারে।

ছাত্রের সঙ্গে শিক্ষকের সম্পর্ক মধুর, স্বতঃস্ফূর্ত আবার কখনও গাম্ভীর্যপূর্ণ। শিক্ষক প্রয়োজনে শিক্ষার্থীর ওপর অভিভাবকসুলভ আচরণ করবে আবার কখনও বা বন্ধুর মত ভালবাসা, পরামর্শ, উৎসাহ দিয়ে সব সময়ই পাশে থাকবে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের শ্রদ্ধা করবে আর শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের  করবে। সন্তানের মতো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আচরণ করবে। শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রের সম্পর্ক পথ প্রদর্শকের মত। শিক্ষক পথ দেখায়, ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা দেন। আর শিক্ষার্থীরা সেই নির্দেশনা মেনে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে শিক্ষকরা প্রথমে হবেন অভিভাবক, তারপর বন্ধু। শিক্ষার্থীরা শিক্ষককে অভিভাবকের মতো সম্মান করবে, আদেশ উপদেশ মেনে চলবে, শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

, ভালবাসা আর শ্রদ্ধা সম্মানে যে সম্পর্ক রচিত হয় সেই সম্পর্ক যেন সর্বদাই অটুট থাকে। ছাত্র শিক্ষকের পবিত্র সম্পর্ক অক্ষুন্ন রাখা সকলেরই নৈতিক দায়িত্ব। সম্পর্কটা শ্রদ্ধা, ভালবাসা, আন্তরিকতার বন্ধনে মজবুত হওয়া ছাত্রের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ কামনা করে। তিনি গুরু, পিতৃতুল্য এই অনুভুতি একজন ছাত্রের ভেতরে থাকা দরকার। এই সম্পর্ক যেখানে দৃঢ়, সেখানেই শিক্ষা তথা সমাজের অগ্রগতি অপ্রতিরোধ্য।

একটি ছাত্রের জীবনে একজন শিক্ষকের ভ‚মিকা অপরিসীম। শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ রূপরেখা গড়ে তোলার পথপ্রদর্শকের কাজ করেন এবং ছাত্রদের জন্য তারা যা কিছু করে থাকেন, সেই সকল অবদানের কথা কখনই ভোলার নয়।

শিক্ষকতাকে শুধুমাত্র মহান পেশা হিসেবে স্বীকৃত দিলেই হবে না বরং তা সামাজিকভাবেই প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

“প্রতি বছর ৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব শিক্ষক দিবস। ১৯৯৫ সাল থেকে এই দিবসটি শিক্ষকদের অবদানকে স্মরণ করার জন্য পালন করা হয়। ইউনেস্কোর মতে, বিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পালন করা হয়। বিশ্বের ১০০টি দেশে এই দিবসটি পালিত করা হয়। এই দিবসটি পালনে এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল ও তার সহযোগী ৪০১টি সদস্য সংগঠন মূল ভ‚মিকা রাখে। দিবসটি উপলক্ষ্যে এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল প্রতি বছর একটি প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করে থাকে যা জনসচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে শিক্ষকতা পেশার অবদানকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

জাপানের একটা প্রচলিত প্রবাদ হলো: Better than a thousand days of diligent study is one day with a great teacher.

দেশের অগণিত শিক্ষকদের আদর্শগত মহান কর্মকান্ডের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাদের পেশাগত অবদানকে স্মরণে – বরণে শ্রদ্ধায় পালন করার জন্য সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই মহান শিক্ষক দিবস পালন করার রীতি রয়েছে।

গল্প থেকে শেখা, পর্ব – ১০ একজন রাজার গল্প

গল্পের নাম : একজন রাজার গল্প

 

একদা একসময় একটা রাজত্ব ছিল। সেখানকার রাজার কেবল একটি পা এবং একটি চোখ ছিল, তবে তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও সদয় ছিলেন। তাঁর রাজ্যের প্রত্যেকেই তাদের রাজার কারণে সুখী ও ভালোভাবে জীবন যাপন করতো। একদিন রাজা রাজ বাড়ির হলওয়ে দিয়ে হেঁটে তাঁর পূর্বপুরুষদের চিত্র দেখতে পেলেন। তিনি ভেবেছিলেন যে একদিন তার বাচ্চারা একই হলওয়েতে হাঁটবে এবং এই চিত্রর মাধ্যমে সমস্ত পূর্বপুরুষদের স্মরণ করবে। 

 কিন্তু রাজার কোন চিত্র অঙ্কন করা ছিল না। শারীরিক অক্ষমতার কারণে, তিনি বুঝতে পারছিলেন না যে সে কিভাবে তার চিত্র অঙ্কন শুরু করবেন। এরপরে রাজা ঘোষণা করলেন যে তিনি নিজের তৈরি একটি সুন্দর চিএ টি প্রাসাদে স্থাপন করতে চান। যারয চিত্র অঙ্কন করতে পারেন তাদের এগিয়ে আসা উচিৎ এবং চিত্র অনুযায়ী তাদের পুরুস্কৃত করা হবে।  চিত্রশিল্পী সকলেই ভাবতে লাগলেন যে রাজার কেবল একটি পা এবং একটি চোখ রয়েছে। কীভাবে তার ছবি খুব সুন্দর করা যায়? এটি সম্ভব নয় এবং যদি ছবিটি দেখতে সুন্দর দেখা না যায় তবে রাজা রাগান্বিত হয়ে তাদের শাস্তি দেবেন। তাই একে একে সবাই অজুহাত দেখাতে শুরু করে এবং বিনয়ের সাথে রাজার চিত্র আঁকতে অস্বীকৃতি করে। তবে হঠাৎ একজন চিত্রশিল্পী তাঁর হাত তুলে বললে, যে আমি আপনার একটি খুব সুন্দর চিত্র তৈরি করব যা আপনি অবশ্যই পছন্দ করবেন।   

সমস্ত সভার লোকজন, অন্যান্য চিত্রশিল্পী কৌতূহলী এবং নার্ভাস চিন্তাভাবনা করেছিলেন, রাজা শারীরিকভাবে অক্ষম থাকায় চিত্রকর কীভাবে রাজার প্রতিকৃতিকে সুন্দর করে তুলতে পারেন? রাজা যদি চিত্রকর্মটি পছন্দ না করেন এবং রাগান্বিত হন তবে কী হবে? কিন্তু চিত্রশিল্পী প্রতিকৃতি উপস্থাপন করার সময় বাদশাহসহ দরবারে সকলেই হতবাক হয়ে গেলেন।

 

চিত্রশিল্পী একটি চিত্র তৈরি করেছিলেন যাতে রাজা এক পায়ে ঘোড়ার উপর বসে ছিলেন, তাঁর ধনুকটি ধরেছিলেন এবং একটি চোখ বন্ধ করে তীরটি লক্ষ্য করেছিলেন। রাজা খুব সন্তুষ্ট হয়ে দেখলেন যে চিত্রশিল্পী চতুরতার সাথে রাজার অক্ষমতা লুকিয়ে একটি সুন্দর প্রতিকৃতি তৈরি করেছেন। রাজা তাকে একটি মহান পুরষ্কার দিয়েছিলেন।

 

গল্পের নীতিকথা: আমাদের সর্বদা অন্যের ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করা উচিত এবং তাদের ঘাটতিগুলি উপেক্ষা করা উচিত। আমাদের দুর্বলতাগুলি আড়াল করার পরিবর্তে ভাল জিনিসে মনোনিবেশ করা শিখানো উচিত। যদি আমরা একটি নেতিবাচক পরিস্থিতিতেও ইতিবাচকভাবে চিন্তা করি এবং কাছে যাই তবে আমরা আমাদের সমস্যাগুলি আরও দক্ষতার সাথে সমাধান করতে সক্ষম হব।

যান্ত্রিক শব্দ

যান্ত্রিক শব্দ

একদিন হেঁটে হেঁটে যাচ্ছি তখন আমার কানে একটি গানের শব্দ শুনতে পেলাম, অথচ ওই গানটি আমি আমার বাসায় শুনেছি অনেকবার তবে তখন এতো ভালো লাগেনি, আর ভাবলাম এখন এত ভালো লাগছে কেন? তখন বুঝতে পারলাম, যে ভালো লাগার কারণ হচ্ছে সাউন্ড সিস্টেমের আধুনিকরণ, যার মূল উপকরণ হচ্ছে স্পিকার। স্পিকার বর্তমান বিনোদন জগতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, পিকনিক, বিয়ে এবং জন্মদিনে, যেকোনো উৎসবেই লাউড স্পিকার এর ভূমিকা অনেক।তাই আগ্রহের সাথে জানা উচিত স্পিকার সর্ম্পকে ।

লাউডস্পিকারের পরিচয় :

লাউডস্পিকার একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র,যার সাহায্যে বৈদ্যুতিক তরঙ্গ থেকে শব্দ তরঙ্গে রূপান্তরিত হয়। ১৯২৫ সালে অ্যাডওয়ার্ড ডাব্লু কেলোগ এবং চেস্টার ডব্লু রাইস লাউডস্পিকার আবিষ্কার করেছিলেন।

 

ক্রমবিকাশ

১৯৩০ এর দশকে শব্দের প্রাবল্য বৃদ্ধি করার জন্য দুই বা তিনটি ব্যান্ডপ্যাসের ড্রাইভার একত্রিত করা হয়। ১৯৩৭ সালে মেট্রো-গোল্ডউইন-মায়ার দ্বারা প্রথম চলচ্চিত্রে থিয়েটারের জন্য শিয়ের হর্ন সিস্টেম” চালু করা হয়েছিল। ১৯৩৯ সালের নিউ ইয়র্ক ওয়ার্ল্ড ফেয়ারে ফ্লাশিং মৃডোয় একটি টাওয়ারে একটি খুব বড় দ্বিমুখী পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম লাগানো হয়েছিল।

১৯৪৫ সালে বাজারে আলটেকের “ভয়েস অফ থিয়েটার” লাউডস্পিকার সিস্টেম পৌঁছেছিল , এটি সিনেমা থিয়েটারগুলিতে প্রয়োজনীয় উচ্চ শব্দ উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল । 1954 সালে, এডগার ভিলচুর ম্যাসাচুসেটস কেমব্রিজে লাউডস্পিকারের নকশার শাব্দিক বিলম্বন (সাসপেনশন)নীতিটি তৈরি করেছিলেন। পরবর্তীকালে উন্নত স্থায়ী চৌম্বক উপকরণ, উন্নত পরিমাপ কৌশল, উন্নত নকশা প্রয়োগ ফলে শ্রুতিমধুর উন্নতি হয়েছে।

বর্তমান দিনে লাউডস্পিকার গুলির গঠনগত ও আকৃতিগত পরিবর্তন হয়েছে। বৈদ্যুতিক তারের সাহায্যে লাউডস্পিকার গুলি এমপ্লিফায়ার এর সঙ্গে যুক্ত থাকে, তবে বর্তমান দিনে ব্লুটুথ এর মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়।শব্দ দূষণের কথা মাথায় রেখে লাউডস্পিকার গুলির সর্বোচ্চ নিরাপদ শব্দের প্রাবল্যের সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

গঠন:

১- স্থায়ী চুম্বক

২- তারের কুন্ডলীর বা ভয়েস কয়েল।

৩- বিলম্বন

৪- মধ্যচ্ছদা পর্দা

৫-  ফ্রেম

বিদ্যুৎ থেকে যেভাবে শব্দ তৈরি:

লাউড স্বীকারে শক্তিশালী স্তায়ী চুম্বক, পোলপিস, পেপার কোণ, ভয়েস কয়েল,এদেরকে আব্ধকরে রাখার জন্য স্পাইডার ও ধাতব ফ্রেম থাকে । ভয়েস কয়েলের মধ্যে চুম্বক অবস্থান করে, তাই কয়েলটা সবসময় চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে অবস্থান করে।

যখন অ্যামপ্লিফায়ার থেকে বৈদ্যুতিক তরঙ্গ (অডিও সিগন্যাল) এসে ভয়েস কয়েলে প্রবেশ করে, তখন ভয়েস কয়েল কাঁপতে থাকে। ভয়েস কয়েলের সাথে পেপার কোণ যুক্ত থাকায় পেপার কোণ কাঁপতে থাকে এবং এর সামনের বাতাসও কাঁপতে থাকে। বাতাসের এই কম্পন হচ্ছে মাইক্রোফোনের সামনে সৃষ্ট শব্দের কম্পনের একেবারে অবিকল প্রতিরূপ। অর্থাৎ মাইক্রোফোনের সামনে যে আওয়াজ করা হয়, লাউড স্পীকার থেকে সেই একই আওয়াজ শোনা যায়।

 

রচনায় –

আব্দুল্লহ আল মামুন

ইন্সট্রাক্টর

টেলিকমিউনিকেশন ডির্পাটমেন্ট

ড্যাফডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

১৯ শের গল্প, পর্ব-৫

১৯ শের গল্প, পর্ব-৫

শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগ্রত করে দিতে পারলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা জীবনেই চমৎকার সব কাজ করতে পারে। ভাবতে পারে তার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে। উদ্ভাবনী মনোভাব, নতুন কিছু শেখার প্রবল আগ্রহ তৈরি করে দিতে পারলে আর তাদের যথাযথ দিকনির্দেশনা দিতে পারলে বাস্তবিক ভাবেই তার চিন্তাগুলো পুর্নরুপ দিতে সক্ষম হয়।
আজ আমার কথা বলব “দুর্জয় সরকার” কে নিয়ে। সে বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল ৫ম পর্বে অধ্যয়নরত। বর্তমানে সে আইপিএস ইউপিএস তৈরি করে সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবছে।
পড়াশুনা করার উদ্দেশ্য শুধু চাকুরী এ ভুল ধারনা থেকে বের হয়ে এসে আজ নিজেই উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। তার এই উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। তার এই প্রচেষ্টা অনেক শিক্ষার্থীকে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার স্বপ্ন দেখাবে।

দুর্জয়ের এই স্বপ্ন আর সাফল্যের কিছু কথা শুনে আসি তার কাছে থেকেই

আমি দূর্জয় সরকার , ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনিস্টিউট এর ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ৫ম পর্বের একজন শিক্ষার্থী। আজ আমি আমার জীবনের কিছু স্বপ্ন আর অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে চাই। জীবন আমাকে একটা সুন্দর অভিজ্ঞতা দিয়েছে,তা হছে, অর্থ ছাড়া পৃথিবীটাই যেন অচল, কাছের মানুষগুলো যেন পিছু ফেলে চলে যায়। পৃথিবীটা গতিশীল। আর গতির সাথে চলতে হলে, আমাকে কিছু করতে হবে। সেখান থেকেই শুরু, তবে এখন ভাবতে শিখেছি শুধু নিজের জন্য নয় দেশের জন্যও কিছু করা উচিৎ। আমার কর্ম বা পেশা হওয়া উচিৎ সম্ভাবনাময়, সময়োপযোগী, কল্যাণকর। আমি যেহেতু একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষার্থী, তাই আমি শুরু থেকেই আমার চিন্তাকে ইলেকট্রিক্যাল বিষয়ক ক্যারিয়ারকে কেন্দ্র করে ভাবতে শুরু করি। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়তে এসে ইলেকট্রিক্যাল এর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কিত ইউটিউব লিংক স্যারেরা উনাদের লেসন প্লান এ দিয়ে দেন। এই লিংকগুলোর মাধ্যমে আমার জন্য ইউটিউব হয়ে উঠে শেখার অন্যতম একটি প্লাটফরম।
সময়টা এপ্রিল 2020, তখন দেশব্যাপী লকডাউন চলতেছিল। আর তখন পারিবারিক অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল। হঠাৎ এর মাঝে আমার এলাকায় বিদ্যুৎ সমস্যাও বেড়ে যায়। এতে করে বাবার ব্যবসায় এক ধরনের প্রভাব পড়ে। তখন আমি চিন্তা করি যে কিভাবে কম খরচে একটা IPS তৈরি করা যায়। এরপর কিছু Equipment নিয়ে দীর্ঘ ৩-৪ মাস গবেষণা করি। আর এর মাঝে আমাকে অনেক রকম সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়, যেমন গবেষণা করতে গিয়ে অনেক সরঞ্জাম পুরে যায়, সার্কিট এবং তার এর অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, এমন কি আমি আমার নিজের নিরাপত্তা সংকটে পড়তে হয়। একেতু অর্থনৈতিক সংকট তার সাথে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর এ সব সমস্যা সমাধান জন্য সব চেয়ে সহায়তা করেছে ইন্টারনেট, ইউটিউব, এবং আমার বড় ভাই (কাজিন)।

সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে আমার বাবা, বাবার সহযোগীতায় আমি আজ এ পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছি ।
অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার ডিপার্টমেন্টের নাহিদুল ইসলাম (নাহিদ) স্যারকে। স্যারের কাছে অনেক আগেই একবার বলেছিলাম আমি উদ্যোক্তা হতে চাই, স্যার আমার এ আগ্রহকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিলেন, জানতে চাইলেন আমার স্বপ্নের কথা। অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম স্যার এর কিছু কথার দ্বারা, আমার ক্ষুদ্র চিন্তা থেকে অনেক বড় কিছু করা সম্ভব হতে পারে তা ভাবতে শুরু করেছিলাম। পৃথিবীর অনেক বড় বড় সফল মানুষের শুরুটা ক্ষুদ্রই ছিল। যা পরবর্তীতে অনেক বড় সাফল্য নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে।
যাই হোক, অর্থনৈতিক সঙ্কট নিয়েই অবশেষে আমি এ বছরের জুলাই মাসের শেষের দিকে প্রত্যাশিত ফলাফল পাই, সফল হলাম IPS তৈরিতে, যা 1000w-5000w AC এনার্জি সাপ্লাই দিতে সক্ষম। নিজে ব্যাবহার করেছি আর পাশাপাশি কিছু IPS আমার বাবার সহযোগীতায়, পরিচিতদের কাছে নাম মাত্র দাম নিয়ে বিক্রিও করেছি। বর্তমানে আমি বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদনের জন্য লাইসেন্সের জন্য চেষ্টা করতেছি। আশা করছি আমার তৈরি এসব আইপিএস বাজারের অন্যান্য আইপিএস এর তুলনায় কমদামে গুনগত মানসম্পন্ন হবে। যা ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষন করবে। মার্কেটিং হবে কোয়ালিটি এবং দামের বিষয় মাথায় রেখে। যেহেতু যুগ এখন অনলাইনের তাই ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমেও।
আর এ সবকিছুর এর জন্য আমার অর্থের প্রয়োজন। তাই পাশাপাশি আমি ফ্রিল্যান্সিং ভিত্তিক একটি গ্রুপ তৈরি করি। সেখানে ট্রেনিং করানো হয়.
All Support.
IP Sell.
$ Buy/Sell.
Any Gift card (Google Play Store /Amazon/ Walmart )
U.S. Bank Support.
Dally Work System update .
এই সোর্স থেকে monthly 200-300$ অর্থ আয় করা সম্ভব।
আমার মুল স্বপ্ন ইলেকট্রিক্যাল রিলেটেড ক্যারিয়ার গঠন। এখান থেকে আমি আমার উৎপাদনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভবিষ্যৎতে আমি ব্যবসার উন্নয়ন ঘটিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই। নিজে উদ্যোক্তা হয়ে গড়ে দিতে চাই হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান।

— দূর্জয় সরকার
ছাত্রঃ ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
ইলেকট্রিক্যাল, ৫ম পর্ব

বিদ্যুৎ আবিস্কারের ইতিহাস?

বিদ্যুৎ আবিস্কারের ইতিহাস?

আমরা সকলে জানি যে বিদ্যুৎ শক্তি হচ্ছে অন্য কোন প্রাথমিক শক্তির উৎস থেকে নেওয়া। অনেকের মাথায় একটি প্রশ্ন থাকে যে এই বিদ্যুৎ কে আবিষ্কার করেছেন। কিভাবে এর শুরুটা হয়েছিল। এই লেখাটিতে বিদ্যুৎ আবিষ্কারের ইতিহাস ( History of Electricity) নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে।

প্রথমেই বলে রাখি বিদ্যুৎ শক্তি কোন একজন ব্যক্তি আবিষ্কার করেন নি। এই বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পিছনে অনেক মহান ব্যক্তিদের অবদান রয়েছে।

History Of Electricity

বিদ্যুৎ শক্তির একটি ফর্ম এবং এটি প্রকৃতিতে ঘটে, তাই এটি “উদ্ভাবিত” ছিল না। কারা এটি আবিষ্কার করেছিল তা নিয়ে অনেকের মাঝে অনেক ধরনের ভুল ধারণা রয়েছে। কেউ কেউ বিদ্যুৎ আবিষ্কারের জন্য Benjamin Franklin কে দাবি করেছেন, তবে তার পরীক্ষাগুলি কেবল বজ্রপাত এবং বিদ্যুৎ এর মাঝে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে আর কিছুই না।

বিদ্যুৎ আবিষ্কারের সত্যতা সঠিকভাবে যাচাই করা একটু জটিল। এটি আসলে দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে উদ্ভাবিত হয়েছিল।

প্রায় ৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, প্রাচীন গ্রিকরা আবিস্কার করেছিলেন যে অ্যাম্বার (ফসিলাইজড বৃক্ষ রজন) উপর পশম পেষণ করে দুটি মাধ্যে একটি আকর্ষণ সৃষ্টি করেছেন এবং গ্রিকদের আবিস্কার বিষয়টি আসলে স্ট্যাটিক বিদ্যুৎ ছিল?  উপরন্তু, গবেষকরা এবং প্রাচীন পুরাতাত্ত্বিকেরা ১৯৩০-এ একটি পাএের আবিস্কার করেন যার ভিতরে কপারের শীট ছিল, তারা যেটি বিশ্বাস করেন যে এটি প্রাচীন রোমান সাইটগুলিতে হালকা আলো উৎপাদন করার জন্য ব্যবহারিত প্রাচীন ব্যাটারী হতে পারে।

বাগদাদে অবস্থিত প্রত্নতাত্ত্বিক খননগুলিতে অনুরূপ ডিভাইসগুলি পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যায়। এটি প্রাচীন পারস্যরাও প্রাথমিকভাবে ব্যাটারির আকারে ব্যবহার করেছিল। কিন্তু ১৭তম শতাব্দীর, বিদ্যুৎ-সংক্রান্ত অনেক আবিষ্কারগুলি তৈরি করা হয়েছিল যেমন একটি প্রাথমিক ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক জেনারেটরের আবিষ্কার, positive ও negative কারেন্টের মধ্যে পার্থক্য এবং কন্ডাক্টর বা অন্তরক হিসাবে পদার্থের শ্রেণীবিভাগ।

১৬০০ খ্রিস্টাব্দে, ইংরেজ চিকিৎসক William Gilbert নির্দিস্ট কিছু বস্তুর ওপর ঘর্ষণ এর ফলে সৃষ্ঠ বলকে প্রকাশের জন্য “electricus” ল্যাটিন শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। কয়েক বছর পর আরেকজন ইংরেজ বিজ্ঞানী Thomas Browne বেশ কয়েকটি বই লিখেছিলেন এবং তিনি গিলবার্টের কাজের উপর ভিত্তি করে তার তদন্ত বর্ণনা করার জন্য “electricity” শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

Benjamin Franklin তখনকার সময়ের অন্যতম বৈঙ্গানিক ছিল। তিনি বিঙ্গানের অনেক শাখার আগ্রাহী ছিলেন, অনেক আবিষ্কার করেছেন এবং Bifocal Glasses সহ অনেক কিছু আবিস্কার করেছেন।

১৭০০ এর মাঝামাঝি সময়ে, তিনি বিদ্যুৎ সম্পর্কে আগ্রহী হন। সেই সময় পর্যন্ত, বিঙ্গানীরা মূলত স্ট্যাটিক বিদ্যুৎ এর সাথে পরিচিত এবং পরীক্ষামূলকভাবে আবিস্কার করেছিলেন।

Benjamin Franklin কিছুটা বড় পদক্ষেপে এগিয়ে নিয়েছে। তিনি ধারণাটি নিয়ে আসেন যে বিদ্যুৎ এর positive ও negative উপাদান রয়েছে এবং এই উপাদানগুলির মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। তিনি বিশ্বাস করতেন যে বাজ হচ্ছে এই প্রবাহিত বিদ্যুৎ এর একটি রুপ।

১৭২৫ সালে ফ্র্যাংকলিন তার বিখ্যাত একটি পরীক্ষা পরিচালনা করেন। বাজ হলো বিদ্যুৎ তা দেখানোর জন্য তিনি একটি বজ্রধ্বনির সময় একটি ঘুড়ি উড়িয়ে যাচ্ছিলেন।

বিদ্যুৎ সঞ্চয়ের জন্য তিনি কিট স্ট্রিংয়ের একটি মেটাল কী বেঁধে দেয়। তিনি যেমন ভাবেন তেমনি হলো, মেঘ থেকে বিদ্যুৎ নিচে প্রবাহিত হয়ে তাকে শক দেওয়া হয়। তিনি ভাগ্যবান যে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হননি কিন্তু তিনি তার ধারণা প্রমাণিত করেন যে বাজ তথা বজ্রপাত এবং ক্ষুদ্র ইলেকট্রিক স্পার্ক একই জিনিস।

ফ্র্যাংকলিন এর এ কাজ হতে অন্যান্য অনেক বিজ্ঞানীরা বিদ্যুৎ অধ্যয়ন করেছেন এবং এটি কিভাবে কাজ করে তা সম্পর্কে আরও বুঝতে শুরু করেন। উদাহরণস্বরূপ ১৮৭৯ সালে টামস এডিসন বৈদ্যুতিক হালকা বাল্ব উদ্ভাবন করে এবং আমাদের বিশ্ব এখন পর্যন্ত উজ্জ্বল হয়ে আছে।

ইতালির পদার্থবিদ Alessandro Volta আবিস্কার করেন যে বিশেষ রাসায়নিক প্রতিক্রিয়াগুলি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে এবং ১৮০০ সালে তিনি ভোল্টাইক পিল (একটি প্রাথমিক বিদ্যুৎ ব্যাটারি) নির্মাণ করেন যা একটি ধীর গতির বিদ্যুৎ উৎপাদনের সৃষ্টি করে এবং তাই তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি বৈদ্যুতিক চার্জের ধারাবাহিক প্রবাহ তৈরি করেন।

ভোল্টা তাদের মাধ্যমে positive চার্জ এবং negative চার্জ সংযোগ করে এবং বৈদ্যুতিক চার্জ, বা ভোল্টেজ ড্রাইভিং করে বিদ্যুৎ এর প্রথম ট্রান্সমিশন তৈরি করে।

১৯৩১ সালে Michael Faraday ইলেকট্রিক ডায়নামো (একটি অশোধিত বিদ্যুৎ জেনারেটর) তৈরি করে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছিলেন, যা চলমান ও বাস্তব উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সমস্যা সমাধান করেছে।

Michael Faraday এর অশোধিত বিদ্যুৎ জেনারেটরে একটি চুম্বক ব্যবহার করতেন যা তামার তারের কুণ্ডের ভিতরে নাড়ানো হতো, যার মাধ্যমে প্রবাহিত একটি ক্ষুদ্র বিদ্যুৎ সঞ্চয়ের সৃষ্টি করেছিল।

এটি আমেরিকান Thomas Edison এবং ব্রিটিশ বিঙ্গানী Joseph Swan অগ্রযাএার দরজা খুলে দেয় যারা প্রত্যেকে ১৮৭৮ সালে তাদের নিজ নিজ দেশ incandescent filament light bulb উদ্ভাবন করে।

পূর্বে আলোর বাল্বগুলি অন্যদের দ্বারা উদ্ভাবিত হয়েছিল, কিন্তু incandescent filament light bulb প্রথম ব্যবহারিক বাল্ব ছিল যা ঘন্টাখানেক ধরে জ্বলত।

পরে Sawn এবং Edison প্রথম যৌথ সংস্থার প্রতিষ্ঠা করেন যা প্রথম ব্যবহারিক ফিলামেন্ট বাতি তৈরি করে এবং 1882 সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম নিউ ইয়র্কের রাস্তা বৈদ্যুতিক আলোকে উজ্জ্বল করার ক্ষমতা প্রদানের জন্য Edison তার সরাসরি-ডিরেক্ট সিস্টেম (ডিসি) ব্যবহার করেন।

পরে 1800 এর দশকে এবং 1900 সালের প্রথমার্ধে আমেরিকান প্রকৌশলী Serbian আবিষ্কারক Nikola Tesla বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিনি এডিসনের সাথে কাজ করেন এবং পরবর্তীতে Electro-magnetism এর অনেক বিপ্লবী উন্নয়ন ঘটান এবং রেডিও আবিষ্কার এর জন্য মার্কোনি সঙ্গে প্রতিযোগিতার পেটেন্ট ছিল। তিনি তার আবিষ্কার বর্তমান এসি, এসি মোটর এবং পলিফেস ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের জন্য সুপরিচিত।

আমেরিকান আবিষ্কর্তা ও শিল্পপতি George Westinghouse, Alternating current উৎপাদনের জন্য টেসলা এর পেটেন্ট মোটর কিনেছিলেন এবং অন্যদের কাজ ধীরে ধীরে আমেরিকান সমাজকে বিশ্বাস করলেন যে, বিদ্যুতের ভবিষ্যৎ ডিসি এর পরিবর্তে এসি এর উপর বেশি নির্ভরশীল হবে।

অন্যদের মধ্যে যারা আজ বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে কাজ করেছিল তারা হচ্ছেন স্কটিশ অন্বেষক  James Watt, ফ্রেঞ্চ গণিতবিদ Andre Ampere এবং জার্মান গণিতবিদ ও পদার্থবিদ George Ohm।

তাই বলা যায় বিদ্যুৎ আবিষ্কার (History of electricity) কেবল একজন ব্যক্তি করেন নি। যদিও বিদ্যুতের ধারণা হাজার হাজার বছর ধরে পরিচিত ছিল কিন্তু যখন এটি বাণিজ্যিকভাবে এবং বৈজ্ঞানিক ভাবে বিকশিত করার সময় এসেছিল তখন একই সময়ে সমস্যাটি সমাধানে বেশ কিছু মহান ব্যক্তির অবদান ছিল।

 

 

মো: আল মামুন রশিদ

ইন্সট্রাকটর,

ডিপার্টমেন্ট অব ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট