একজন লিডারের চ্যালেঞ্জ (The Challenge of a Leader)

একজন লিডারের চ্যালেঞ্জ

(The Challenge of a Leader)

একজন লিডারের চ্যালেঞ্জ হলো কর্মক্ষেত্রে D2E বাস্তবায়ন করা। D2E মানে হলো একজন লিডারকে –

  • সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয় (Decision Making)।
  • কর্মীদের মাঝে কাজ ভাগ করে দিতে হয় (Delegation of Work) এবং সর্বশেষ।
  • কর্মীকে তার কাজের জন্য মূল্যায়ন করতে হয় (Evaluation of employee’s performance) ।

এখন প্রশ্ন হলো অনেক কাজের বাইরে যদি শুধু উপরের তিনটি কাজের কথা ধরি তাহলে একজন লিডার সাময়িকভাবে সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারবেন না। আবার তিনি সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারবেন যদি উপরের তিনটি কাজে কিছুটা নিস্ক্রিয়তা অবলম্বন করেন। বর্তমানে লিডারশীপ নিয়ে অসংখ্য মোটিভেশনাল ভিডিও তৈরি হচ্ছে যেগুলো দেখে একজন লিডার তার কর্মক্ষেত্রে উপরের D2E সুষ্ঠভাবে পালন করতে পারছেন না। কারন সঠিক পথে থেকে সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন, দক্ষতার ভিত্তিতে কাজ বন্টন এবং কাজ শেষে কর্মীর মূল্যায়নে সাময়িকভাবে কিছু মানুষ অসন্তুষ্ঠ হতে পারে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে সে মানুষগুলোই আবার তাদের ভুল বুঝতে পেরে সেই লিডারের প্রশংসায় মেতে উঠে। লিডারকে সিদ্ধান্ত নিতে হয় (Decision Making)। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার জন্যই প্রতিষ্ঠান তাকে নেতৃত্বের আসনে বসিয়ে থাকেন। কিন্তু সমস্যা হলো আবেগের কাছে প্রায়শই পরাজিত হয়ে নেতৃত্বের আসনে থাকা একজন লিডার ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।

একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি আপনাদের বুঝিয়ে দেবার চেষ্টা করবো। ২০২০ সালে যখন আমরা কোভিড-১৯ এর কারনে সৃষ্ট প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হই তখন আমরা বেশ কিছু নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্যের পরিচয় পাই। এক ধরনের লিডার যারা সোস্যাল মিডিয়ায় ঘোষনা দিয়ে বললেন আমাদের প্রতিষ্ঠানে কোনো কর্মীর বেতন করোনার কারনে কমানো হবে না। সকল প্রকার সুবিধা বিশেষ করে ফেস্টিবল বোনাস যথাসময়ে পরিশোধ করা হবে। আবার আরেক ধরনের লিডার যারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছিলেন। প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই কর্মীদের সাথে আলাপ করে বেতন আংশিক কমিয়ে প্রদান করা শুরু করলেন। ফলে দেখা গেল সোস্যাল মিডিয়ায় একজন লিডার হলেন প্রশংসিত আর অন্যজন হলেন নিন্দিত।

প্রক্ষান্তরে, করোনার প্রকোপ যখন দিন দিন বাড়ছিলো তখন দেশের সকল প্রতিষ্ঠান প্রায় দিশেহারা হয়ে গেল। প্রতিষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রাখাই হয়ে উঠলো একমাত্র লক্ষ্য। কিছুদিন পরই যারা আবেগের কাছে হেরে গিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় হিরো হবার চেষ্টা করেছিলেন, তারা বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দিয়ে কর্মী ছাটাই শুরু করে দিলেন। অন্যদিকে, বাস্তবতা প্রাধান্য দিয়ে একজন কর্মীও করোনার কারনে ছাটাই করলেন না। বরং ছয় মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা আবার আগের জায়গায় নিয়ে এসে কর্মীদের পূর্ণ বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পুনরায় সচল করে দিলেন। লীডারের অতি আবেগ তাড়িত সিদ্ধান্ত এবং দূরদর্শিতার অভাবে একদল সাময়িকভাবে জিতে গিয়েও হেরে গেল। অন্যদিকে লীডারের বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত এবং দূরদর্শিতার কারনে একদল সাময়িকভাবে হেরে গিয়েও শেষমেষ জিতে গেল।

লিডারকে কর্মীদের মাঝে কাজ বন্টন করে দিতে হয় (Delegation of Work)। যা অনেকগুলো দায়িত্বের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রশ্ন হলো কাজ কি আমরা ভাগ করে দিতে পারছি? অথবা, ভাগ করে দিলেও সঠিক কর্মীকে দিতে পারছি? লিডারকে সবসময় যে কয়েকটি বিষয়ের উপর নজর দিতে তার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলোঃ

  • কাজ বাছাই করা,
  • সঠিক কর্মী নির্ধারন এবং
  • কাজটি সঠিকভাবে কর্মীকে বুঝিয়ে দেয়া।

কিন্তু এখানেও লিডার আবেগের কাছে হেরে গিয়ে কর্মীদের মাঝে কাজ বন্টন করতে পারছেন না। লিডারশীপ রোলে আবির্ভুত হবার পর একজন লিডার অতি সহজে একটি কিষয় ভুলে যান। সেটা হলো এই পজিশনে আসতে গিয়ে তাকে কত ধরনের চাপ সহ্য করতে হয়েছে, ধাক্কা এবং ঝুঁকি নিতে হয়েছে। কিন্তু এই সোস্যাল মিডিয়ার যুগে এসে লিডার কেমন জানি কাজ বন্টনে নিস্ক্রিয় বা উদাসীন হয়ে থাকেন। সবাই যেন প্রতিষ্ঠানের কথা ভুলে গিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় হিরো টাইপ লিডার হবার প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে ব্যস্ত। অথচ সকল কর্মী এক রকম নয়। কর্মীর দক্ষতা বিন্যাস করে, যার যে রকম যোগ্যতা এবং দক্ষতা, তাকে সেরকম কাজ বুঝিয়ে দেয়াটাই জরুরী। পাশাপাশি সর্বক্ষেত্রে নিরীক্ষণ নিশ্চিত করা। কারো ধাক্কার প্রয়োজন হয়, কারো প্রতিনিয়ত রিমাইন্ডার বা একটু প্রশংসার প্রয়োজন হয়। এখন সোস্যাল মিডিয়ায় হিরো টাইপ লিডার হতে গিয়ে যার একটু ধাক্কা দরকার তাকে যদি শুধু রিমাইন্ডারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে রাখি, তাহলে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি তো হবেই তার চেয়ে বড় কথা সেই কর্মীরই ক্ষতি হবে সব থেকে বেশী।

একটি ঘটনা আপনাদেরকে বলতে চাই। আমার কাছে এক ছোট ভাই এলো এবং আমরা দুজনে গল্প করছিলাম। আমাকে বললো ”ভাইয়া আপনিতো জানেন আমি একটু ইন্ট্রোভার্ট টাইপের মানুষ। আমি একটু কম কথা বলি এবং নিজেকে পাবলিক ফোকাস থেকে একটু দুরে সরিয়ে রাখি। আমার টিমে আমার আরেকজন সহকর্মী আছে যে আমার পুরো উল্টো মানে এক্সট্রোভার্ট। আমাদের সাথে নতুন একজন লিডার যুক্ত হলো যিনি সবসময় ঐ সহকর্মীকেই তার কাছে টেনে রাখতেন। যেকোন এ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন বা মিটিংয়ে তাকেই সুযোগ দেয়া হতো।

আমি একদিন লিডারকে বাধ্য হয়েই বললাম আমি ঐ কাজটি করতে চাই এবং সুন্দরভাবে প্রতিটি ধাপ বুঝিয়ে দিলাম এবং আমি কিভাবে ফলাফল নিশ্চিত করবো তাও উল্লেখ করলাম। লিডার আমার কথা শুনে কি মনে করলেন জানি না তবে আমি দায়িত্বটি পেয়ে গেলাম। সর্বোচ্চ মেধা এবং কায়িক শ্রম দিয়ে কাজটি সম্পন্ন করলাম এবং কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করলাম। সে বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আমি বেস্ট পারফরমার এ্যাওয়ার্ড পাই। সেদিন আমি একটি বিষয় বুঝতে পারলাম যে, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস যদি থাকে তাহলে কখনো কখনো আপনার যা প্রাপ্য তা বিনয়ের সাথে দাবি করা দরকার। যদিও এক্ষেত্রে আমি আমার লিডারকে ক্রেডিট দেবো কারন তিনি আমার প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি নিরীক্ষণ নিশ্চিত করেছেন এবং কোয়ার্টারের বেস্ট পারফরমার লিষ্টে আমার নামটি উল্লেখ করেছিলেন।”

লিডারকে মূল্যায়ন করতেই হবে (Evaluation of employee’s performance) কাজের সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে। লিডার যদি শুধু কাজ বন্টন করেই যান এবং কাজ আদায় করার ক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকেন কর্মীকে যথাযথ মূল্যায়ন না করে তাহলে সেই কর্মীই একদিন তার কাজ করার স্প্রিহা হারিয়ে ফেলবেন। লিডার সবসময় এক ধরনের সঙ্কায় থাকেন যে, আমার সঠিক মন্তব্য বা মূল্যায়নে যদি কর্মী আঘাত পান আর আমাকে লিডার থেকে বস বানিয়ে যদি সোস্যাল মিডিয়ায় উপস্থাপন করেন! আমি লিডার না বস এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে অনেক মানুষ প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়নের ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলেন যা কখনই প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গল বয়ে নিয়ে আসতে পারে না। লিডার যদি তার ইমেইজ ভালো রাখবার জন্য সবাইকে সর্বাধিক নম্বর প্রাপ্তি কর্মী বানিয়ে দেন তাহলে সাময়িক প্রশান্তি পেলেও অদূর ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হলে সেই কর্মীরাই তার দিকে প্রশ্নের আঙ্গুল প্রদর্শন করবে।

বন্ধুরা একজন লিডার একটি প্রতিষ্ঠান বা একটি দলের অবিভাবকের মতো। বাবার কাছে যেমন সবকিছু চাইলেই পাওয়া যায় না তেমনি লিডারও সবকিছুই চাইলেই দিতে পারেন না। ছোট বয়সে বাবার করা অনেক বারণ আমরা সহজভাবে নিতে পারিনি কিন্তু এখন যখন নিজেই বাবা হয়েছি তখন সেই সময়ে বাবার আদেশ, নিষেধ, রাগ, আদরকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারছি। আমাদের সকলের স্মরণে রাখতে হবে একজন লিডারের অন্যতম দায়িত্বের মধ্যে একটি হলো তিনি একজন প্রশাসক বা এ্যাডমিনিসট্রেটর। আর এই পদবীটি সবসময়ই একটু কঠিন কারন তাকে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয় যা সাময়িকভাবে অন্যকে খুশি করতে পারে না বা একজন প্রশসক কখনই সবাইকে খুশি করতে পারেন না। তবে তিনি যদি ন্যায়ের পথে থেকে সিদ্ধান্ত বা বন্টন বা মূল্যায়ন করেন তবে সেটি একদিন প্রকাশিত হবেই। লিডার হিসেবে আপনি শতভাগ ভালো বা খারাপ হতে পারবেন না। অবশ্যই এখানেও ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। বর্তমানে লিডারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো আমার মতে তারা বাবা হতে পারছেন না!

—————————————————————————————————————–

লেখকঃ

কে, এম, হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট

ইমেইলঃ [email protected]

অজানা কিছু তথ্য জানা

অজানা কিছু তথ্য জানা

Know some unknown information

আমরা অনেকেই কম্পিউটার ব্যাবহার করি কিন্ত কম্পিউটার বিষয়ক অনেক কিছু জানার থাকে কিন্ত তা আমরা জানি না ।বিশেষ করে যারা নন কম্পিউটার ছাএ-ছাএী বা অন্যরা যারা থাকেন তারা এই বিষয় গুলো খুবি কম জানেন। এগুলো আমাদের প্রতিদিনের জিবনের দরকার হয় তাই আজকে সেই অজানা বিষয় গুলো জানবো

1. E-MAIL -এর পূর্ণরূপ Electronic Mail, (ই-মেইল) ইলেকট্রনিক মেইল
2. GIF -এর পূর্ণরূপ Graphics interchange format, (গিফ) গ্রাফিক্স ইন্টারচেঞ্জ ফরমেট
3. Date -এর পূর্ণরূপ Day and Time Evolution, (ডেট) ডে এন্ড টাইম ইভোলুশন।
4. LCD -এর পূর্ণরূপ Liquid crystal display, (এলসিডি) কুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে
5. IT -এর পূর্ণরূপ Information technology, (আইটি) ইনফরমেশন টেকনোলজি
6. IP -এর পূর্ণরূপ Internet protocol , (আইপি) ইন্টারনেট প্রোটোকল
7. CD -এর পূর্ণরূপ Compact Disk, (সিডি) কম্প্যাক্ট ডিস্ক
8. DVD -এর পূর্ণরূপ Digital Video Disk, (ডিভিডি) ডিজিটাল ভিডিও ডিস্ক
9. PDF -এর পূর্ণরূপ Portable document format, (পিডিএফ) পোর্টেবল ডকুমেন্ট ফরম্যাট
10. OS -এর পূর্ণরূপ Operating System, (ওসি) অপারেটিং সিস্টেম
11. ISO -এর পূর্ণরূপ International standards organization(কম্পিউটার ফাইল), International Organization for Standardization(বিশ্ব মার্ক), (আইএসও) ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানিজশন,
12. PC -এর পূর্ণরূপ Personal Computer, (পিসি) পার্সোনাল কম্পিউটার
13. CPU -এর পূর্ণরূপ Central Processing Unit, (সিপিইউ) সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট
14. RAM -এর পূর্ণরূপ Random Access Memory, (রেম) রান্ডম এক্সেস মেমোরি
15. ROM -এর পূর্ণরূপ Read Only Memory, (রোম) রিড অনলি মেমোরি
18. BIOS -এর পূর্ণরূপ Basic Input Output System, (বায়োস) বেসিক ইনপুট আউটপুট সিস্টেম
19. HDD -এর পূর্ণরূপ Hard Disk Drive, (এইচডিডি) হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ
20. HTTP এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer Protocol.
21. HTTPS এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer Protocol Secure.
22. URL এর পূর্ণরূপ — Uniform Resource Locator.
23. VIRUS এর পূর্ণরূপ — Vital Information Resourc Under Seized.
24. HTML -এর পূর্ণরূপ Hyper Text Mark Up Language, (এইচটিএমএল) হাইপার টেক্সট মার্ক উপ ল্যাঙ্গুয়েজে
25. KB -এর পূর্ণরূপ Kilo Byte, (কেবি) কিলো বাইট
26. MB -এর পূর্ণরূপ Mega Byte, (এমবি) মেগা বাইট
27. GB -এর পূর্ণরূপ Giga Byte, (জিবি) গিগা বাইট
28. TB -এর পূর্ণরূপ Tera Byte ,(টিবি) তেরা বাইট
29. WiMAX -এর পূর্ণরূপ Worldwide Interoperability for Microwave Access
(উইমাক্স) ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টেরোপেরাবিলিটি ফর মাইক্রোওয়েভ এক্সেস
30. SIM এর পূর্ণরূপ — Subscriber Identity Module.
31. 3G এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation.
32. GSM এর পূর্ণরূপ — Global System for Mobile Communication.
33. CDMA এর পূর্ণরূপ — Code Divison Multiple Access.
34. UMTS এর পূর্ণরূপ — Universal Mobile Telecommunication System.
35. ICT -এর পূর্ণরূপ Information and Communication Technology , (আইসিটি) ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি
36. WWW -এর পূর্ণরূপ World Wide Web, (WWW) ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব.
37. Wi-Fi র পূর্ণরূপ — Wireless Fidelity.
38. RTS এর পূর্ণরূপ — Real Time Streaming
39. AVI এর পূর্ণরূপ — Audio Video Interleave
40. SIS এর পূর্ণরূপ — Symbian OS Installer File
41. AMR এর পূর্ণরূপ — Adaptive Multi-Rate Codec
42. JAD এর পূর্ণরূপ — Java Application Descriptor
43. JAR এর পূর্ণরূপ — Java Archive
44. MP3 এর পূর্ণরূপ — MPEG player lll
45. 3GPP এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation Partnership Project
46. 3GP এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation Project
47. AAC এর পূর্ণরূপ — Advanced Audio Coding
48. BMP এর পূর্ণরূপ — Bitmap
49. JPEG এর পূর্ণরূপ — Joint Photographic Expert Group
50. SWF এর পূর্ণরূপ — Shock Wave Flash
51. WMV এর পূর্ণরূপ — Windows Media Video
52. WMA এর পূর্ণরূপ — Windows Media Audio
53. WAV এর পূর্ণরূপ — Waveform Audio
54. PNG এর পূর্ণরূপ — Portable Network Graphics
55. DOC এর পূর্ণরূপ — Docoment (Microsoft Corporation)
56. M3G এর পূর্ণরূপ — Mobile 3D Graphics
57. M4A এর পূর্ণরূপ — MPEG-4 Audio File
58. NTH এর পূর্ণরূপ — Nokia Theme(series 40)
59. THM এর পূর্ণরূপ — Themes (Sony Ericsson)
60. MMF এর পূর্ণরূপ — Synthetic Music Mobile Application File
61. NRT এর পূর্ণরূপ — Nokia Ringtone
62. XMF এর পূর্ণরূপ — Extensible Music File
63. WBMP এর পূর্ণরূপ — Wireless Bitmap Image
64. DVX এর পূর্ণরূপ — DivX Video
65. HTML এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Markup Language
66. WML এর পূর্ণরূপ — Wireless Markup Language
67. CRT — Cathode Ray Tube.
68. DAT এর পূর্ণরূপ — Digital Audio Tape.
69. DOS এর পূর্ণরূপ — Disk Operating System.
70. GUI এর পূর্ণরূপ — Graphical User Interface.
71. ISP এর পূর্ণরূপ — Internet Service Provider.
72. TCP এর পূর্ণরূপ — Transmission Control Protocol.
73. UPS এর পূর্ণরূপ — Uninterruptible Power Supply.
74. HSDPA এর পূর্ণরূপ — High Speed Downlink Packet Access.
75.EDGE এর পূর্ণরূপ — Enhanced Data Rate for
75. GSM [Global System for Mobile Communication] 76. VHF এর পূর্ণরূপ — Very High Frequency.
77. UHF এর পূর্ণরূপ — Ultra High Frequency.
78. GPRS এর পূর্ণরূপ — General Packet Radio Service.
79. WAP এর পূর্ণরূপ — Wireless Application Protocol.
80. ARPANET এর পূর্ণরূপ — Advanced Research Project Agency Network.
81. IBM এর পূর্ণরূপ — International Business Machines.
82. HP এর পূর্ণরূপ — Hewlett Packard.
83. AM/FM এর পূর্ণরূপ — Amplitude/ Frequency Modulation.
84. WLAN এর পূর্ণরূপ — Wireless Local Area Network
85. USB এর পূর্ণরূপ — Universal Serial Bus.

Writer

Md. Rasel Sheikh
Jr. Instructor
Department of Textile and GDPM

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান

বিশ্বের এমন কিছু, যাদের স্বাধীনতার জন্য মহীরুহ সদৃশ দেশনেতার অবদান সর্বাধিক মর্যাদা ও স্বীকৃতি পায়। এমনি একজন ব্যক্তির আবির্ভাব হয়েছিল সবুজ,শ্যামল , সোনার বাংলায় স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য ছিনিয়ে আনার জন্য। ইতিহাসের বাক ঘুরে ঘুরে কাল কালান্তর মানুষের মাঝে চির অবিনশ্বর অক্ষয় অমর।এই মহান ব্যক্তি আর কেউ নয় আমাদের প্রিয় নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ, বাঙালি জাতির জনক, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । যার নেতৃত্বে পৃথিবীর ইতিহাসে আরেকটি স্বাধীন দেশের জন্ম হয় নাম তার বাংলাদেশ। মুজিবের লেখাপড়া শুরু হয় স্বগৃহে। ১৯২৭ সালে স্কুলে ভর্তি হোন। ১৯৩৪ সালে ১২ বছর বয়সে বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হন। এই রোগে তার চোখে ছানি পড়ে এবং ও অন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয়। কিছুদিন লেখাপড়া বন্ধ রেখে ১৯৩৭ সালে তিনি হাই স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৪২ সালে এন্ট্রান্স পাস করে ,কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন। ১৯৪৮ সালে ঢাকা ভার্সিটির আইন বিভাগে ভর্তি হন।

ছাত্র আন্দোলন :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তৎকালীন মুসলিম লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন । ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিম্ন বেতনভুক্ত কর্মচারীদের সমর্থনে ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলেন ।এই আন্দোলনের কারণে শেখ মুজিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সারা জীবনই ছিল আপোষহীন। আর এজন্য তাঁকে বারবার কারাবরণ করতে হয়েছে।  তিনি ১৯৪৯ সালের ২৩ শে জুন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। 

শেখ মুজিবের রাজনৈতিক সংগ্রাম:

শৈশব ও কৈশোরের ছাত্র থাকাকালে শেখ মুজিবের রাজনৈতিক সক্রিয়তার পরিচয় পাওয়া গেলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর তার প্রকৃত রাজনৈতিক সংগ্রাম শুরু হয়। লক্ষ্য ছিল দুটি। ১. ১৯৪৭ সালের ৩ জুনের  ব্রিটিশরাজ -প্রতিভূ লর্ড মাউন্টব্যাটেনের পরিকল্পিতভাবে কাঠামোর মধ্য দিয়ে যে স্বাধীনতা পাওয়া গিয়েছিল শেখ মুজিবরের মতে তা;সত্যিকারের স্বাধীনতা ছিল না । তিনি তাঁর নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মতোই এক সার্বভৌম স্বাধীন বাংলাদেশের চিত্র কল্পনা করতেন। ২. শেখ মুজিবের রাজনীতির আর একটি লক্ষ্য ছিল মুসলিম লীগের বুর্জোয়া মনোবৃত্তি ও পশ্চিমা প্রাধান্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম। 

 ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার অপরাধে শেখ মুজিবকে ১১ মার্চ বন্দি করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনে ১৯৫৮ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় পর্যন্ত অধ্যায়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় তিনি দেশের একটি বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃত্ব পদে থেকে পূর্ব বাংলার অবিসংবাদিত নেতা হয়ে ওঠেন ,এই পর্বেই বাংলার মানুষ তাকে বরণ করে নেয় তাদের মুক্তি সংগ্রামের নেতা হিসাবে ,অভিষিক্ত করে ‘ বঙ্গবন্ধু ‘ উপাধিতে।  ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে তিনি স্বাধীনতার ডাক দেন।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ:

সাম্প্রদায়িক সমস্যা সমাধানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দূরদৃষ্টির অধিকারী ছিলেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি অসম্প্রদায়িক একটি গণসংগঠন গড়ে তোলার কথা ভেবেছিলেন। আড়ম্বরের  উচ্চ কোলাহল কখনোই বঙ্গবন্ধুর আত্মসম্মানকে স্পর্শ করতে পারেনি। তার মত পৌরুষ এবং তেজস্বিতা বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজের দুর্লভ। অসহযোগ আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ এর ২৩ মার্চ প্রতিরোধ দিবসে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সাথে দেখা করতে যান। সেদিন গাড়িতে তিনি বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে গিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্টের মিলিটারি সেক্রেটারি তাকে বাধা দিতে উদ্যত হন এবং কিছু মন্তব্য করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কঠোর দৃষ্টির সামনে তিনি নিরস্ত  হন। একজন মানুষ হিসেবে শেখ মুজিবরের মহত্ত্ব এখানে যে, বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি লড়াই করেছেন,তিনি চেয়েছেন এই দেশের মানুষ যেন খেয়ে পড়ে সুখে শান্তিতে বাঁচতে পারে, আত্মমর্যাদা নিয়ে বিশ্বের দরবারে নিজেদের ন্যায্য স্থান পেতে পারে, আর  এজন্য বঙ্গবন্ধু তাঁর সমগ্র জীবন, চিন্তা-ভাবনা ও শ্রম উৎসর্গ করেছিলেন। চরিত্রের দৃঢ়তা, ব্যক্তিত্বের অতুলনীয়তায় বঙ্গবন্ধুর সকলের ঊর্ধ্বে ছিলেন। একাধারে তিনি সাহসী ও বিনম্র ছিলেন এবং ছিলেন বলিষ্ঠ চিত্তের একজন মানুষ। তিনি চিরাচরিত রাজনীতির ধারা থেকে সরে এসে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে সমাজ পরিবর্তনের পথে পা বাড়ান , আর এই নতুন যাত্রাপথের শুরুতেই সাম্রাজ্যবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তি তাকে হত্যা করে।

বঙ্গবন্ধুর সাফল্য:

 * ভারতীয় সেনাবাহিনী ফেরত ১২ মার্চ ১৯৭২ সাল । * প্রথম শিক্ষা কমিশন ২৬ জুলাই ১৯৭২ সাল। * প্রথম নির্বাচন ৭ মার্চ ১৯৭৩ ।* ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা ২২ মার্চ ১৯৭৪। * প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ( ১৯৭৩-১৯৭৮) * জাতিসংঘে প্রথম বাংলা ভাষণ ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের ২৪ তম অধিবেশনে ৪৫ মিনিট ভাষণ দেন, অনুবাদ করেন ফারুক চৌধুরী , তিনি ছিলেন বাংলাদেশের যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার।  

পরিশেষে ইতিহাস যেমন নেতৃত্বের সৃষ্টি করে , নেতৃত্বও তেমনি ইতিহাস সৃষ্টি করে। বাঙালি জাতীয়তাবাদের ধারা যেমন – শেখ মুজিবুর রহমানকে ইতিহাসের মূলস্রোতে নিয়ে তাকে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতিষ্ঠা করেছে, ঠিক তেমনিভাবে শেখ মুজিবও বাঙালি জাতীয়তাবাদকে তার রাজনৈতিক সাধনা- সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিয়ে গেছেন একটা  পরিণতরূপে স্বাধীন বাঙালি রাষ্ট্র  প্রতিষ্ঠার  আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে। তাই বাংলাদেশ ও বাঙালির অপর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 

 

সূত্র : সমাজ বই

শাহনেওয়াজ সেরাজ সুবর্ণা

ইন্সট্রাক্টর অফ আর এস ডিপার্টমেন্ট

ডেফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট

ক্রিপ্টোজ্যাকিং

ক্রিপ্টোজ্যাকিং

সাধারণত ক্রিপ্টোজ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে প্রথমে একটি লিঙ্ক পাঠানো হয়। সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই ডিভাইসের অ্যাকসেস চলে যায় অপরপ্রান্তে এবং মাইনিং শুরু হয়। যাঁকে লিঙ্ক পাঠানো হয়েছে, তিনি যদি মাইনিং নাও করেন, তাহলে তাঁর কম্পিউটার ব্যবহার করে ওপারে বসে থাকা ব্যক্তিটি কিন্তু মাইনিং করতে পারেন। আসলে ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে অনেকটা রিসোর্স প্রয়োজন হয়। সেটা থাকে না বলেই অন্যদের ডিভাইসে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে প্রতারকরা।

মানুষের মধ্যে একটি ধারণা রয়েছে যে বিটকয়েন কিনলেই বোধহয় বড়লোক হওয়া যায়। অনেক সাইট রয়েছে যেখানে বিটকয়েন বিক্রি করা হয়। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে যে বিটকয়েনের মাধ্যমে যে টাকা পাঠানো হয়, তা ট্র্যাক করাটা অত্যন্ত কঠিন। ফলে কখনও বিটকয়েনের মাধ্যমে যদি টাকা ট্রান্সফারও করতে বলে, তাহলে সেটা না করাই শ্রেয়। অনেক সময় প্রতারণার জালে ফাঁসিয়ে বিটকয়েন মারফত টাকা পাঠাতে বলা হয়।

ক্রিপ্টোজ্যাকিং (Cryptojacking) থেকে সাবধানতা:

আপনি যখন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করছেন, ক্রিপ্টোজ্যাকাররা (হ্যাকাররা) আপনারই কম্পিউটার ব্যবহার করছে এবং আপনার কম্পিউটারের কম্পিউটিং রিসোর্স (যেমন সিপিইউ, মেমরি) ব্যবহার করে ক্রিপ্টো কারেন্সি উপার্জন করছে। ক্রিপ্টো কারেন্সি এক ধরণের ডিজিটাল টাকা, যা কেবলমাত্র অনলাইনে মাধ্যমেই লেনদেন হয়। উদাহরণ স্বরূপ বিটকয়েন বলা যেতে পারে, আপনি হয়তো বিট কয়েনের নাম আগেও শুনেছেন। ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সময় আমরা না জেনেই অনেক কিছু অ্যালাও করে থাকি এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে সেটি তার কাজ করতে থাকে। হতে পারে এভাবেই আপনার অনুমতি নিয়ে বা অনুমতি ছাড়া বা অন্য কোনো অসৎ উপায়ে আপনার কম্পিউটার ক্রিপ্টোজ্যাকাররা ব্যবহার করছে এবং তার মাধ্যমে জটিল থেকে জটিলতর গণনা করছে

ক্রিপ্টোজ্যাকিং এর শিকার :

  • ওয়েবসাইটগুলি ধীর গতিতে খোলা, আটকে যাওয়া।
    • ব্যাটারী পাওয়ারে চলা ডিভাইস খুব তাড়াতাড়ি চার্জ শেষ হয়ে যাওয়া।
    • কম্পিউটারের ফ্যান দ্রুত গতিতে আওয়াজ করে ঘোরা।
    • ইলেক্ট্রিসিটির ব্যাবহার বেড়ে যাওয়া।

ক্রিপ্টোজ্যাকিং এর শিকার থেকে কিভাবে রক্ষা পাবো:

ক্রিপ্টোজ্যাকিং এর হাত থেকে বাঁচতে নিচের নির্দেশনা মেনে চলুন।

  • ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন এবং নিয়মিত আপডেট করবেন। অ্যান্টিভাইরাস রেখেছেন অথচ নিয়মিত আপডেট করেন না অথবা অ্যান্টিভাইরাস সাবস্ক্রিপশন মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও রিনিউ না করে রেখে দিয়েছেন এমনটা যেন না হয়।
  • নিশ্চিত যে আপনার অ্যান্টিভাইরাস ব্রাউসার এক্সটেনশন এর মাধ্যমে ওয়েব ব্রাউসিং প্রোটেকশন দেয়। অ্যান্টিভাইরাস এর ওয়েব ব্রাউসিং প্রোটেকশন সক্রিয় থাকলে অনলাইনে বিভিন্ন ঝুঁকি থেকে remove পেতে পারেন।
  •     ওয়েবসাইট ব্রাউসিং করার সময়ে অপ্রয়োজনীয় কিছু allow করবেন না।

 

Soma Rani Das

Instructor, Computer Technology

Daffodil Polytechnic Institute

Relations between Architecture and Civil Engineering

Relations between Architecture and Civil Engineering

It is very important to ensure the safety and quality of a construction project and we all know that a construction is the result of perfect mix of architecture and civil engineering. These professions have some similarities as well as some different priorities and perspectives also.

Architecture mainly focus on the specialization of the project design and to develop new idea of infrastructure. Feelings and creativity is the main component most of the time. On the other hand civil engineering focuses on the structural materials, elements and strength what is needed to make a design into building. So we surely understand that these two professions have some deep roots together.

Design process and the quality of work: Architects design the space with their creativity using the design elements, considering facilities and ventilations. Civil engineers supports the architects by implementing the architectural plans with features, develop and supervise the construction and overall implementation of the architectural design.

Construction project design and building: Architects do design the whole construction project whereas the civil engineers ensure the foundations, load calculation, drainage system, utilities and grading.

Blended safety measurement: Both architects and civil engineers do their job on the priority of safety measurement. Architects work on appealing the structure with safety concern and the civil engineers also ensure the safety measurement with proper materials and work procedures.

Combined leadership: Though both architects and civil engineers work together on a construction project design and building, design sector lead by the architects and the construction development sectors lead by the civil engineers.

Architecture and civil engineering are pretty much involve to successfully complete a construction project throughout the process of design and development. They both rely each other and support for the successful completion of a project. One cannot do a project properly without one another contribution.

 

Author

Md. Asaduzzaman Russel

Architecture and Interior Design Technology

Daffodil Polytechnic Institute

 

জাতীয় দক্ষতার সনদ হোক স্বীকৃতি

আমাদের দেশে অনেক দক্ষ লোক আছে যারা বিভিন্ন পেশায় দক্ষ কিন্তু তাদের কোন সরকার কর্তৃক স্বীকৃত সার্টিফিকেট নেই। অনেক সময় দেখা যায়, তারা বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাবহারিক দিক থেকে দক্ষ হওয়া সত্বেও পাঠ্যপুস্তক এর জ্ঞান না থাকার কারণে পিছিয়ে পরে। তাই তাদের দক্ষতা কে যাচাই করে একটা মানদণ্ডে একটি  ডাটাবেজের অধীনে। তাদের দক্ষতা কোন লেভেলে আছে তা যাচাই করে ওই লেভেলের সার্টিফিকেট প্রদান করার একটি প্রক্রিয়া হচ্ছে আইপিএল। তাদের দক্ষতা যাচাই করার পর একটি মানদণ্ডের অধীনে ডাটাবেজ রাখা হয়। 

আরপিএল করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ট্রেনিং এর প্রয়োজন হয় না। যে ব্যক্তি আইপিএলের জন্য আগ্রহী সে তার পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সরকার কর্তৃক  নির্দিষ্ট  কোন প্রতিষ্ঠান থেকে  আইপিএলের পরীক্ষার জন্য তার যে বিষয়ে দক্ষতা আছে সে বিষয়ে   নিবন্ধন করে পরীক্ষা দিতে পারবে।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার পরে তাদেরকে তিন টি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচাই করা হয়। যেমন-

১। লিখিত পরীক্ষা 

২। প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার

৩। ভাইভা পরীক্ষা

এই তিন ধরনের পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে তাকে কমেন্ট বা উপযুক্ত ঘোষণা করা হয় এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

তবে যদি কেউ প্র্যাক্টিক্যাল ভাইবা অথবা লিখিত পরীক্ষার কোন একটা বিষয় কাঙ্খিত ফলাফল না পায় তাহলে পরবর্তীতে সে শুধুমাত্র ঐ পর্বের  পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। এক্ষেত্রে তার অন্য পর্বের পরীক্ষা অংশগ্রহণ করার প্রয়োজন নেই।

RPL কেন করবেন –

আমাদের দেশে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক সময় দেখা যায় কর্মী প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশ আগে কখনো আরপিএল সম্পর্কিত কোন ডাটাবেস ছিল না। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দক্ষতা অনুযায়ী লেভেল ১ থেকে ৬ পর্যন্ত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এখানে বেসিক থেকে শুরু করে skilled, semi-skilled, higher-skilled এবং ডিপ্লোমা পর্যন্ত সমমান ডিগ্রি প্রদান করা হয়। 

সুবিধা

  • দেশে বিদেশে কর্মসংস্থান 
  • একজন আরপিএল কম্পিটেন্ট লোক তার দক্ষতা অনুযায়ী কোন জায়গায় আবেদন করলে তার আলাদা করে পরীক্ষা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন হয় না কারণ সে সরকার কর্তৃক স্বীকৃত।
  • অনেক সময় দেখা যায় সরকারের অনেক কর্মী প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে আরপিএল প্রাপ্ত ডাটাবেজ  থেকে তারা সহজেই কর্মী নিয়ে নেয়।

Registration Here

ম্যাজিক বর্গ, পর্ব-২

ম্যাজিক বর্গ, পর্ব-২

ম্যাজিক বর্গ কি? আমরা অনেকেই জানি না। আজকে আমরা ম্যাজিক বর্গ নিয়ে আলোচনা করব।

ম্যাজিক বর্গ হল একটি বর্গাকার ছক যেখানে কিছু সংখ্যা এমন ভাবে সাজানো থাকে সেখানে সংখ্যাগুলোকে উপর-নিচ, পাশাপাশি কিংবা কোণাকুণি যোগ করলে সর্বদা একই যোগফল পাওয়া যায়। এটাই মূলত ম্যাজিক বর্গের প্রধান বৈশিষ্ট্যে ।

ম্যাজিক বর্গ বিভিন্ন রকমের হয়। আজকে আমরা Regular Magic Square (RMS) নিয়ে আলোচনা করব:

Regular Magic Square আবার দুই ধরণের।

(i)   RMS of Odd number

(ii)  RMS of Even number

RMS of Odd Number: এ ধরণের ম্যাজিক বর্গের কলাম কিংবা সারি সংখ্যা বিজোড় সংখ্যক হয়। যেমনঃ 3×3 ম্যাজিক বর্গ, 5×5 ম্যাজিক বর্গ, 7×7 ম্যাজিক বর্গ ইত্যাদি।

RMS of Even Number : এ ধরণের ম্যাজিক বর্গের কলাম কিংবা সারি সংখ্যা জোড় সংখ্যক হয়। যেমনঃ 4×4 ম্যাজিক বর্গ, 6×6 ম্যাজিক বর্গ ইত্যাদি।

ম্যাজিক বর্গের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। সেই বৈশিষ্ট্যগুলোর সাথে পরিচিত হইঃ

শুধুমাত্র RMS of Odd Number এর জন্য প্রযোজ্যঃ

ধরা যাক একটি n x n  ম্যাজিক বর্গের সারি / কলামের সংখ্যা = n

প্রথম সংখ্যা = a  শেষ সংখ্যা = z, বর্গের মাঝের সংখ্যা = m

এবং বর্গের যে কোন সারি কিংবা কলাম কিংবা কর্ণ বরাবর সংখ্যাগুলোর যোগফল S

(i) S= mn =

(ii) m =

(iii) Pn = 4m (n-1)

 

২ নং চিত্রে ম্যজিক বর্গের পরিসীমা  P1 হলে,

P1 + +  +  +  +  +

 

3 নং চিত্রে ম্যজিক বর্গের পরিসীমা  P2 হলে,

P + +  +  +  +  +  +  +  +  +  +  +  +  

 

যেমন ১নং  চিত্রে 3×3 ম্যাজিক বর্গে, n = 3, a = 1 এবং z = 9

(i) বর্গের যে কোন সারি কিংবা কলাম কিংবা কর্ণ বরাবর সংখ্যাগুলোর যোগফল

S=

(ii) বর্গের মাঝের সংখ্যা, m =  =

(iii) ম্যাজিক বর্গের পরিসীমা: Pn = 4m (n-1)

= 4 x 5 (3-1) = 40

এধরনের ম্যাজিক বর্গের আর একটি বৈশিষ্ট্য হলো, এর সোজাসুজি এবং কেন্দ্র থেকে সমদূরবর্তী যেকোনো দুটি সংখ্যার সমষ্টি ম্যাজিক বর্গের প্রথম ও শেষ সংখ্যার সমষ্টির সমান ।

ম্যাজিক বর্গ অনেক প্রকারের:

কমপ্লিট ম্যাজিক স্কয়ারঃ কমপ্লিট ম্যাজিক স্কয়ারে প্যান ডায়াগনালের সংখ্যাগুলোর যোগফল ম্যাজিক ধ্রুবকের সমান । প্যান ডায়াগনাল হলো ডায়াগনালের সমান্তরাল রেখা।

উদাহরণঃ 4×4 এর ম্যাজিক বর্গের 3 ও 1 এবং 2 ও 2 প্যান ডায়াগনালের সংখ্যার যোগফল ম্যাজিক ধ্রুবকের সমান। অর্ডার ৪ এর ম্যাজিক ধ্রূবকটি হলো 34 । এছাড়া কমপ্লিট ম্যাজিক স্কয়ারের (Complete Magic Square) আরও কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। ছবিতে সংখ্যাগুলোর যোগফলকে ‘+’  দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে যা ম্যাজিক ধ্রুবকের সমান।

সেমি ম্যাজিক স্কয়ারঃ

সেমি ম্যাজিক স্কয়ারে ক্ষেত্রে প্রতিটি সারি ও কলামের সংখ্যাগুলোর যোগফল সমান হয়, কিন্তু ডায়াগনালের সংখ্যাগুলোর যোগফল সমান হয় না।

RMS of Odd number ম্যাজিক বর্গ তৈরির কৌশলঃ সচরাচর আমরা “Siamese Method” পদ্ধতি অনুসরণ করে Odd Number ম্যাজিক বর্গ তৈরি করি । এই পদ্ধতিটা সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন একজন ফ্রেঞ্চ ম্যাথেমেটিশিয়ান সায়মন  (Simon de la Loubère)।  এই পদ্ধতিও আবার দুই ধরণের। একটিতে বর্গের একদম উপরের সারির মাঝে 1 বসানো হয়। আর অপরটিতে বর্গের কেন্দ্রের ডান পাশে 1 বসানো হয়।

প্রথম পদ্ধতিঃ

বেজোড় ক্রমের ম্যাজিক বর্গ (যেমনঃ 3, 5, 7, 9 ……….) নির্ণয়:

১। প্রথমে মাঝখানের কলামের সবার উপরের ঘরে ছোট সংখ্যাটি (সাধারণত 1) বসাতে হবে।

২।  এরপর কোনাকুনি ভাবে উপরের ঘরে তার উপরের সংখ্যাটি অর্থাৎ 2 বসবে।

৩। যদি উপরে কোন ঘর না থাকে তাহলে সোজাসুজি সবার নিচের ঘরে চলে আসবে। সেখানে 2বসবে।

৪। আবার কোনাকুনি ভাবে উপরের ঘরে যাবে, সেখানে কোন ঘর ফাকা না থাকলে তাহলে বামদিকের একই সারি বরাবর সর্ববামে যাবে।সেখানে 3 বসবে।

৫। 3 এর  উপরে কোনাকুনি ঘরটি ফাকা নাই অর্থাৎ 1 আছে। তখন সরাসরি 3 এর নিচের ঘরটিতে 4 বসবে।

৬। 4 এর উপরে কোনাকুনি ঘরটিতে 5, তার উপরের কোনাকুনি ঘরটিতে 6 বসবে। আবার কোনাকুনি ভাবে উপরের ঘরে যাবে, যেহেতু সেখানে কোন ঘর ফাকা নাই। তাই 6 এর নিচের ঘরটিতে 7 বসবে।

৭। 7 এর উপরে কোনাকুনি ঘরটিতে ফাকা নাই, তাই বামদিকের একই সারি বরাবর সর্ববামে যাবে।সেখানে 8 বসবে।

৭। 8 এর উপরে কোনাকুনি ঘরটিতে ফাকা নাই, তাহলে সোজাসুজি সবার নিচের ঘরে চলে আসবে। সেখানে 9 বসবে।

একই নিয়মে 5 ক্রমের ম্যাজিক বর্গ নির্ণয় করা যায়।

দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ

১।  প্রথমে বর্গটির কেন্দ্রের ডান পাশে 1 লিখতে হবে।

২। 1 এর ডানদিকের উপরের কোনাকুনি বরাবর পরবর্তী সংখ্যা 2 লিখতে হবে ।

৩। বর্গটির ডান পাশের কলামের সাথে বাম পাশের কলামটি জুড়ে দিয়ে পরবর্তী সংখ্যাটি অর্থাৎ 3 লিখতে হবে এইভাবে।

৪। এবার বর্গটির উপরের সারির সাথে আর একটি সারি জুড়ে দিয়ে কোনাকুনিভাবে পরবর্তী সংখ্যা 4 লিখতে হবে। যেহেতু সেখানে কোন ঘর ফাকা নাই। তাই সোজা নিচের ঘরে 4 বসবে। তারপর আগের মতো কোনাকুনি অগ্রসর হতে হবে।

৫। যেহেতু 5 এর উপরে কোনাকুনি ঘর ফাকা নাই. তাই তার ডান পাশের ঘরের পরের ঘরে পরবর্তী সংখ্যা 6 বসবে। তারপর আগের নিয়মে কোনাকুনিভাবে অগ্রসর হতে

৬। আগের নিয়ম পুনরাবৃত্তি করতে থাকলে তৈরি হয়ে যাবে 5X5 RMS of Odd Number।

 

একইভাবে 7×7 ম্যাজিক বর্গও গঠন করা যায়। আমরা পরবর্তীতে জোড় সংখ্যার ম্যজিক বর্গ কিভাবে গঠন করা যায়, তা শিখবো।

গ্রিক গণিতবিদ আর্কিমিডিসের উক্তি দিয়ে শেষ করছি,

যারা গণিত নিয়ে অধ্যয়ন করেনি বা জানার চেষ্টা করেনি, তাদের কাছে জগতের অনেক কিছুই দূর্বোধ্য হয়ে থাকে।

 

 

 

ফারহা দিবা

সিনিয়র ইন্সট্রাকটর

ডিপার্টমেন্ট অফ ম্যাথমেটিক্স

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

 

Difference between Sketch and Drawing

Difference between Sketch and Drawing

There are so many confusion among the students and professionals also about the differences of sketch and drawing. Are there really any differences between these two? Well, there exits some differences between the sketch and drawing.

Generally all kind of act drawn by hand is drawing and in this sense sketch is also a drawing. Technically in observation and concept these two has some basic differences. Sketch is quicker drawn than the drawing. It has less details and quickly resemble rough ideas. Sometimes sketches is done without any reason like an artist draw something quick with less marks of something or someone inform of him. Yes of course sketch is not always made for no reason. We need sketches to step on the final drawing related job for taking quick measurements, details, information about obstacles and information about the landscape. This happens with the architects or engineering professionals mostly, but for the artist sketching is one of their way to express their observation, mostly in the sketchbook. So we can say that sketch is the primary level drawing for the architects and engineering professionals to progress on to the final project and for the artist this is a way to express their observation skill.

 

On the other hand in most of the cases drawing resemble a fully completed drawn work with measurement for implementation especially in the architecture and engineering sector. It is considered to be the final work but not necessarily every time. Sometimes drawing can be rough too and doesn’t present something always. It entirely depends on the technique of architects, engineers or artists. Their core concept is the actual base of drawing. Sometimes drawing varied from professionals to professionals for the different types of styles of the professionals. It is very common in drawing to use basic or geometrical shapes of figures what is a bit absent in sketch for its random characteristics.

 

Author

Md. Asaduzzaman Russel

Junior Instructor

AIDT, Daffodil Polytechnic Institute

দরখাস্তের নিয়ম

আমরা প্রতিনিয়ত কত প্রয়োজনে কত কাজে প্রতিদিন দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লিখি। কিন্তু এর সহজ কিছু নিয়ম আমরা মাথায় রাখি না, এ নিয়মগুলো আসলে খুবই সহজ । একবার মনে করে লেখা শুরু করলে আর কোনদিন ভুলবো না… সাঁতার দেয়ার মতো বা সাইকেল চালানোর মতো । তো দেখা যাক – নিয়ম গুলো কি কি। দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লেখার নিয়ম গুলো নিচে দেয়া হল :

  • দরখাস্তের নিয়ম : দরখাস্ত লিখার ৬ টি পয়েন্ট , এই ৬ টি পয়েন্ট পালন করলেই খুব সুন্দর একটি দরখাস্ত লেখা হয়ে যাবে ।

 

১) আবেদন লেখার সঠিক তারিখ।

২)  বরাবর শব্দটি উল্লেখ করতে হয়।

( প্রাপক (যার কাছে আবেদন করা হচ্ছে তার নাম, পদবী ও ঠিকানা)। )

৩) আবেদনের বিষয়।

৪) সম্ভাষণ/জনাব/স্যার/ম্যাডাম ইত্যাদি।

৫) আবেদন লেখার বিষয় নিয়ে বর্ণনা।

( এই অংশে দুটি প্যারা থাকে। প্রথমটিতে সৌজন্যে প্রকাশসহ প্রার্থিত বিষয়ে বর্ণনা ও  সমর্থনে যুক্তি। দ্বিতীয় অংশে প্রার্থনা মঞ্জরের জন্য আবেদন । )

৬) আবেদনকারী নাম ও ঠিকানা

 

  • পত্র লেখায় যে বিষয়ে সজাগ থাকা উচিত :

ক. পত্রের ভাষা হবে সহজ সরল ।

খ. সাধু ও চলিত ভাষা মিশ্রণ করা উচিত নয় ।

গ. পত্রের বিষয় অনুযায়ী প্রচলিত রীতি মেনে চলা । ( ব্যক্তিগত পত্র ,  আবেদনপত্র,    সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র , মানপত্র বা অভিনন্দনপত্র ,  বাণিজ্যিক পত্র,  নিমন্ত্রণপত্র , স্মারকলিপি বা অভিযোগপত্র। )

ঘ. হাতের লেখা স্পষ্ট হওয়া উচিত ।

ঙ. পত্রের বামে এক ইঞ্চি এবং উপরে দেড় ইঞ্চি  ফাঁকা রেখে লিখতে হয় ।

 

 

 

 

সূত্র : ব্যাকরণ বই।

শাহনেওয়াজ সেরাজ সুবর্ণা

ইন্সট্রাক্টর অফ আর এস ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

 

Quality Control Management এর প্রয়োজনীয় টার্ম

আমাদের দেশে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে বিভিন্ন সেকশন নিয়ে পোশাক তৈরি করা হয়ে থাকে । যার মধ্যে অন্যতম  এই বিভাগ ছাড়া ক্রেতার চাহিদা পূরণ করা সম্ভবপর নয়। তাই এই বিভাগ গুরুতপূণ ভূমিকা পালন করে। এই বিভাগ ক্রেতার চাহিদা পূরণ গেলে আমাদের প্রয়োজনিও কিছু টার্ম মনে রাখতে হবে। তাই আজ আমি সেই টার্ম গুলো সবার মাঝে তুলে ধরছি

Quality Control Management এর প্রয়োজনীয় টার্ম

১. Q.I এর পূর্ণরূপ কি ?

উত্তর: Quality Inspector

২. S.P.I এর পূর্ণরূপ কি ?

উত্তর: Stitch Per Inch

৩. D.H.U এর পূর্ণরূপ কি ?

উত্তর: Defect per Hundred Unit.

৪. D.H.U বের করার সূত্র কি ?

উত্তর: Defects × 100 ভাগ Total Cheek Quantity

 

আমরা জানি যে,

১ ইঞ্চি = ২.৫৪ সেন্টিমিটার

১ ইঞ্চি = ২৫.৪ মিলিমিটার

১২ ইঞ্চি = ১ ফুট

৩৬ ইঞ্চি বা ৩ ফুট = ১ গজ

৩৯.৩৭ ইঞ্চি = ১ মিটার

 

আপনার মেজার্মেন্ট এর ভালো জ্ঞান এর জন্য আরও জানতে হবে :

 ১ম অংশ

 

১ ইঞ্চি = ৮ সুতা বা ২৫.৪ মিলিমিটার

১/৮ ইঞ্চি = ১ সুতা বা ৩ মিলিমিটার

২/৮ বা ১/৪ ইঞ্চি = ২ সুতা বা ৬ মিলিমিটার

৩/৮ ইঞ্চি = ৩ সুতা বা ৯.৫৩ মিলিমিটার

৪/৮ বা ১/২ ইঞ্চি = ৪ সুতা বা ১৩ মিলিমিটার

৫/৮ ইঞ্চি = ৫ সুতা বা ১৫.৮৮ মিলিমিটার

৬/৮ বা ৩/৪ ইঞ্চি = ৬ সুতা বা ১৯ মিলিমিটার

৭/৮ ইঞ্চি = ৭ সুতা বা ২২.২৩ মিলিমিটার

 

২য় অংশ

১/১৬ ইঞ্চি = ১/২ (আধা সুতা) বা ১.৫৯ মিলিমিটার

৩/১৬ ইঞ্চি = ১. ১/২ (দেড় সুতা) বা ৪.৭৬ মিলিমিটার

৫/১৬ ইঞ্চি = ২. ১/২ (আঁড়াই সুতা) বা ৭.৯৪ মিলিমিটার

৭/১৬ ইঞ্চি = ৩. ১/২ (সাড়ে ৩ সুতা) বা ১১.১১ মিলিমিটার

৯/১৬ ইঞ্চি = ৪. ১/২ (সাড়ে ৪ সুতা) বা ১৪.২৯ মিলিমিটার

১১/১৬ ইঞ্চি = ৫. ১/২ (সাড়ে ৫ সুতা) বা ১৭.৪৬ মিলিমিটার

১৩/১৬ ইঞ্চি = ৬. ১/২ (সাড়ে ৬ সুতা) বা ২০.৬৪ মিলিমিটার

১৫/১৬ ইঞ্চি = ৭. ১/২ সাড়ে ৭ সুতা বা ২৩.৮১ মিলিমিটার

 

হাজারের মাপ:

১২৫ = ১ সুতা বা ১/৮

২৫০ = ২ সুতা বা ১/৪

৩৭৫ = ৩ সুতা বা ৩/৮

৫০০ = ৪ সুতা বা ১/২

৬২৫ = ৫ সুতা বা ৫/৮

৭৫০ = ৬ সুতা বা ৩/৪

৮৭৫ = ৭ সুতা বা ৭/৮

১০০০ = ৮ সুতা বা ১ ইঞ্চি

১টি মেজার্মেন্ট টেপ এ সাধারণত ৫’ ফুট বা ৬০” ইঞ্চি বা ১৫০ সেন্টিমিটার বা ১৫০০ মিলিমিটার

১ ইঞ্চি = ২.৫৫ সি.এম

১ সুতা = ০.৩১ সি.এম

২ সুতা = ০.৬৩ সি.এম

৩ সুতা = ০.৯৩ সি.এম

৪ সুতা = ১.২৭ সি.এম

৫ সুতা = ১.৫৫ সি.এম

৬ সুতা = ১.৮৬ সি.এম

৭ সুতা = ২.১৭ সি.এম

৮ সুতা = ২.৫৫ সি.এম

Writer

Md. Rasel Sheikh

Jr. Instructor

Department of Textile & GDPM