কেন আমরা কমিউনিকেশন বা যোগাযোগে ব্যর্থ হই

কেন আমরা কমিউনিকেশন বা যোগাযোগে ব্যর্থ হই

কেন আমরা কমিউনিকেশন বা যোগাযোগে ব্যর্থ হই

কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ প্রায় সবাই এই বিষয় নিয়ে চিন্তিত কারন অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাতে ফেইলার হয়। আমাদের জীবনের শতভাগ নির্ভরশীল হচ্ছে যোগাযোগে। এই যোগাযোগ হতে পারে লিখে, বলে, শুনে অথবা ইশারায়। কিন্তু বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায় এই কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ আমাদের অসচেতনাতার কারনে ফেইল হচ্ছে এবং কেন ফেইল হচ্ছে আমরা যদি এটা নিয়ে গুগল, টুইটার, লিংকইড ইনে অভিজ্ঞ বাক্তিদের সাথে কথা বলি, দেখবেন বেশির ভাগ সময় অভিজ্ঞ বাক্তিরাই বলবেন ‘’কমিউনিকেশন ফেইলার হয় কারন আমরা সবাই তৎপর থাকি উত্তর দেওয়ার জন্য।“

আমাদের কাছে কোনো সময় থাকে না অন্য বাক্তির কথা শোনার জন্য, আমাদের কাছে সময় থাকে না অন্য বাক্তি কোনো প্রশ্ন করার জন্য  এবং আমরা জানিওনা কিভাবে একটাকোয়ালিটি কোশ্চেন করতে হয়। কারন কমিউনিকেশনের বড় দুটি অংশ এক হল প্রশ্ন করা এবং অপরটি হল উত্তর দেওয়া। এখন আমরা যদি প্রশ্ন না করে সব সময় উত্তর দেওয়ার জন্য তৈরি থাকি বা কমিউনিকেশনের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে শুনতে হবে।

কমিউনিকেশনের এই যে প্রিন্সিপাল বেশির ভাগ এক্সপার্টরাই বলেন ৮০% শুনতে হবে এবং ২০% বলতে হবে । কিন্তু আমরা তো তৎপর ৮০ ভাগ বলবো এবং ২০ ভাগ শুনবো। অনেক ক্ষেত্রে ২০% এর রুল ও আমরা মানি না, মানে আমরা ২০% ও শুনি না । তারমানে আমরা যদি সমগ্র কমিউনিকেশনের ১০০% এর ১০০% ই বলার পিছনে সময় দেই তাহলে কিন্তু আমরা যে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য শুনতে বলে সেইতা কিন্তু  অর্জন করা সম্ভব হবে না এবং অর্জন না হওয়ার কারনে কখনই কানেক্টিং পয়েন্ট এ যাওয়া যাবে না । তারমানে আমরা যদি ওয়ান টু ওয়ান , ওয়ান টু ম্যানি , ম্যানি টু ম্যানি কমিউনিকেশন করি, সে ক্ষেত্রে প্রত্যেকেরই একটা কমন প্লেসের দরকার হয় , যে জায়গাটাতে এসেই সবাই মিট করবে এবং এগ্রী করবে, যেহেতু আমাদের কাছে সময় নেই এবং আমরা উত্তর দেওয়ার জন্য তৈরি থাকি তাই আমাদের কমিউনিকেশন ফেইল হয়।

আমরা যদি আমদের কমিউনিকেশনে  উন্নত করতে চাই চাকরী ক্ষেত্রে অথবা ব্যবসা ক্ষেত্রে তাহলে আমাদের প্রাকটিস করতে হবে-

  • শুনতে হবে
  • প্রশ্ন করতে হবে

যদি আমরা বিশ্বাস করে থাকি “practice makes a man perfect বা অনুশীলনে সবই সম্ভব” তাহলে আমাদের কমিউনিকেশন সফল হবে কারণ আমরা প্রশ্ন করতে পারব এবং শুনতে পারব। আর আমরা যত বেশি শুনব তত বেশি কমন পয়েন্ট আসবে এবং কানেক্ট করতে পারব।

সংগ্রহ:
কে এম হাসান রিপন

নির্বাহী পরিচালক

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট

Link: https://www.facebook.com/bsdibd/videos/554183525357434/

ইন্টার্ভিউয়ের ক্ষেত্রে দুই ধরনের স্কিল বা দক্ষতা থাকা গুরুত্বপূর্ন

ইন্টার্ভিউয়ের ক্ষেত্রে দুই ধরনের স্কিল বা দক্ষতা থাকা গুরুত্বপূর্ন

ইন্টার্ভিউয়ের ক্ষেত্রে দুই ধরনের স্কিল বা দক্ষতা থাকা গুরুত্বপূর্ন

একটি ভাল ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য অবশ্যই দক্ষতার উন্নয়ন করতে হবে । যে কোনো চাকরীর ক্ষেত্রে বা ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে দুই ধরনের স্কিল বা দক্ষতা থাকা গুরুত্বপূর্ন ।

১। হার্ড স্কিল

২। সফট স্কিল

হার্ড স্কিলহার্ড স্কিল বলতে মূলত পরিমাপযোগ্য দক্ষতাকে বোঝায়। হার্ড স্কিল হল পরিমাপযোগ্য দক্ষতা , যেটি পরিমাপ করা সম্ভব।  হার্ড স্কিল বই থেকে পড়ে কিংবা নির্দিষ্ট কারিকুলাম মেনে শেখা সম্ভব। যেমন, টিউটোরিয়াল দেখে ও সে অনুযায়ী ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি ফটোশপের কাজ শিখতে পারবেন।

সফট স্কিল সফট স্কিল হল সৃজনশীলতার প্রকাশ। কাজটি করতে গিয়ে আপনি যে সৃজনশীল ভাবে চিন্তা ভাবনা প্রকাশ করেন অথবা সৃজনশীল ভাবে কাজটি সম্পন্ন করতে যে পদ্ধতি ব্যবহার করেন তাকেই মূলত সফট স্কিল বলা হয়। যেমন :-

  • কিভাবে আপনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন
  • কিভাবে দলবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন
  • কিভাবে দলের মানুষের মতামত গ্রন করছেন
  • কোন সমস্যা হলে কিভাবে সমস্যাগুলোর সমাধান করছেন
  • আপনার ক্লায়েন্ট বা আপনার বসকে কতটুকু বোঝাতে পেরেছেন ইত্যাদি।

 

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট

 

জেনে নিন ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং এর প্রকারভেদ

জেনে নিন ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং এর প্রকারভেদ

জেনে নিন ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং এর প্রকারভেদ

ডিজিটাল মার্কেটিং একটি টার্ম বর্তমান বিশ্বে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তাহলে চলুন জেনে আসি ডিজিটাল মার্কেটিং কী এবং তার গুরুত্ব

ডিজিটাল মার্কেটিং

সহজ ভাষায়, ডিজিটাল ডিভাইসে -যেমন, কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনে, যে কোন পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা চালানোকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়। যেমন, আপনি ফেসবুক ব্রাউজ করার সময় কিছু স্পন্সরড পোস্ট দেখতে পান।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রকারভেদ

মার্কেটিংয়ের কন্টেন্টের ধরনের ভিত্তিতে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ধরন আলাদা হয়। প্রায় সময় এগুলো একে আপরের সাথে সম্পর্কিত হয় তাই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রকারভেদ কোণো সুনির্দিষ্ট সংখ্যায় ভাগ করা যায় না। টোবে এর কয়েকটি জনপ্রিয় ভাগ নিয়ে নিন্মে আলচনা করা হলঃ-

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটারসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে পণ্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন বা  প্রচারণা চালানো হয় তাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। সোশ্যাল মিডিয়া প্রায় সব বয়সের মানুষের কাছে জনপ্রিয়। এতে অল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে একসাথে সংখ্যক গ্রাহকের কাছে সহজে পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা চালানো সম্ভব।

মেইল মার্কেটিং

ই-মেইলের মাধ্যমে কোন পণ্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন বা প্রচারণা চালানোকে ই-মেইল মার্কেটিং বলে। সাধারণত অনলাইন কোন ফর্মের মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্রেতাদের ইমেইল অ্যাড্রেস সংগ্রহ করে তাদের কে ই-মেইলের পণ্য বা সার্ভিসের সম্পর্কে জানান হয়।

টেলি মার্কেটিং 

মোবাইল বো টেলিফোনের মাধ্যমে পণ্য বা সার্ভিসের প্রচার করাই হচ্ছে টেলি মার্কেটিং। এছাড়া, এসএমএস পাঠিয়েও মোবাইল মার্কেটিং চালানো সম্ভব। মোবাইল ফোন বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল ডিভাইস। ছোট বড় প্রায় সবার হাতেই এখন মোবাইল ফোন দেখা যায়। তাই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রচারণা চালানোও সহজ।

 

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট

কিভাবে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াবেন ?

কিভাবে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াবেন ?

কিভাবে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াবেন ?

জীবনের চলার পথে প্রায় সবসময়ই অনেক কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই সময়ে সবাই আপনার পাশে নাও থাকতে পারে, আপনার কাছের মানুষটিও ছেড়ে দিতে পারে আপনার হাত, কাছের মানুষ সারাজীবন আপনার কাছে নাও থাকতে পারে। তাই জীবনের এই কঠিন মুহূর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে, নিজেকে নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। যদি আপনি আপনার নিজের উপর বিশ্বাস না রাখতে পারেন তাহলে এগিয়ে যাওয়া হবে খুবই কঠিন। পড়াশোনা, ক্যারিয়ার সবখানে আপনার সবচেয়ে বড় বিশ্বাস আপনার নিজের উপর রাখতে হবে। তাই চলুন জেনে আসি নিজেকে আত্মবিশ্বাস রাখার কয়েকটি উপায়ঃ-

১। নিজেকে মূল্যায়ণ করুন

নিজেকে মূল্যায়ণ করার মানে হচ্ছে আপনার মধ্যে কি কি ভাল দিক এবং আপনার মধ্যের গুণসমূহ খুজে বের করা। আপনি হয়ত ভাল গান করেন, সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে পারেন। হয়ত আপনি ভাল ঘর সাজাতে পটু। এর কোনটাই যদি না হয় তাহলে খেয়াল করে দেখুন, নিশ্চই আপনি একজন ভাল মানুষ, কারো ক্ষতি করেন না, কারো ক্ষতি করার ইচ্ছাও নেই আপনার । নিজের এসব গুনগুলোকে মূল্যায়ণ করুন। নিজের প্রশংসা করুন। যা করতে ভালবাসেন নিয়মিত অল্প সময়ের জন্য হলেও তার চর্চা করুন।

২। সমালোচনা থেকে দূরে থাকুন
আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছে একে অপর কে নিয়ে সমালচনা করে থাকে।  আমাদের ভুলত্রুটি  গুলকে অনেক বড় করে তুলে ধরে। এমন মানুষ থেকে দূরে থাকুন। আপনার প্রিয় বন্ধুটি যতই বুদ্ধিমান, জ্ঞানী হোক না কেন তার সাহচার্যে আপনি যদি নিজেকে কোনোক্রমে ছোট অনুভব না করেন, যদি ছোট অনুভব করেন তাহলে তাকে এড়িয়ে চলুন। নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা আত্মবিশ্বাসহীনতার মূল কারণ। তাই এমন ধারণা দেয় এমন মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকুন। এমনকি এসব কাজও বর্জন করুন। আপনি হয়ত এমন কোন কাজ করছেন যাতে আপনি দক্ষ নন, সেই কাজে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজটি সম্পূর্ণ করুন।

৩।দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করুন
এখন যেকোন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। এমনকি ঘরে বসে অনলাইনে আপনি বিভিন্ন কোর্স করতে পারবেন, পরীক্ষা দিতে পারবেন। তাই এ সকল বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েদক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করুন।

৪। সফল মানুষদের গল্প পড়ুন

পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা হয়ত শুরুতে তেমন সফল ছিলেন না। হয়ত অনেক দুঃখ দারিদ্র মোকাবেলা করে আজ তারা সফল। তাদের গল্প পড়ুন। অনুপ্রেরণা নিন। তাদের মত একদিন আপনিও পারবেন। শুধু নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে।

৫।নিজের ভুলগুলোকে স্বীকার করুন-

মানুষ মাত্রই ভুল। তাই আপনি যতই দক্ষ মানুষই হোন না কেন ভুল আপনার হবেই। আবার হয়ত হঠাৎ রেগে যাওয়া, মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে না পারা ইত্যাদি সমস্যা আপনার রয়েছে। এগুলো স্বীকার করে নিন। স্বীকার করা মানে ছোট হওয়া নয়। কেউ তার দুর্বলতা স্বীকার করলেই সে ছোট হয়ে যায় না বরং যেই সময় থেকে আপনি জেনে গেলেন আপনার কি কি ত্রুটি তখন থেকে নিজেকে সরিয়ে আনতে পাড়বেন।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে, নিজেকে নিয়ে ভাবুন, নিজেকে জানার চেষ্টা করুন এবং কিভাবে তৈরি করবেন নিজেকে সেটা ঠিক করুন। নিজের আত্মবিশ্বাস করে তুলুন ,সফল আপনি নিশ্চই হবেন।

 

 

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট

ব্যবসায়িক সচেতনতা সম্পর্কে

জেনে নিন ব্যবসায়িক সচেতনতা সম্পর্কে

জেনে নিন ব্যবসায়িক সচেতনতা সম্পর্কে

ব্যবসায়িক এবং শিল্প ক্ষেত্র কিভাবে কাজ করছে এই বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারাটাই মূলত ব্যবসায়িক অথবা বানিজ্যিক সচেতনতা। ব্যবসায়িক অথবা বানিজ্যিক সচেতনতা হল চাকরীর প্রয়োজনীয়তার জন্য অনেক নিয়োগকারীদের দ্বারা চিহ্নিত একটি অন্যতম মূল বৈশিষ্ট্য।

ব্যবসায়িক বা বানিজ্যিক সচেতনতা, ব্যবসা অথবা বিজ্ঞানের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন স্কিল এবং স্কিলটি থাকা অত্যাবশ্যক । তবে এটি সকল ক্ষেত্রের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথেই সম্পর্কযুক্ত।

বানিজ্যিক সচেতনতা সমস্ত শিল্প জুড়ে সরকারী এবং বেসরকারী গ্রাজুয়েটদের জন্য মূল্যবান একটি স্কিল। ব্যবসায়িক বা বানিজ্যিক সচেতনতা চিন্তা করার উপায় হিসেবে ব্যবহৃত না বরং এটি বিভিন্ন চাকরীর বিজ্ঞাপনে একটি দক্ষতা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ-

  • ব্যবসায়িক চিন্তা-ভাবনা থাকা
  • ব্যবসায়িক ধারনা থাকা
  • ব্যবসায়িক কাজ বোঝার ক্ষমতা থাকা
  • ব্যবসায়িক মনোভাব থাকা
  • ব্যবসায়িক মনের অধিকারী হওয়া।

 

ব্যবসায়িক বা বানিজ্যিক সচেতনতা থাকার প্রয়োজনীয়তা

শীর্ষস্থানীয় নিয়োগকারীরা ব্যবসায়িক সচেতনতা উপরে দক্ষ লোক নিয়ে থাকেন। বিভিন্ন কম্পানি অথবা যে কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার আগ্রহ রয়েছে সে সম্পর্কে জ্ঞান পরীক্ষা করার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একটা চাহিদা থাকে যে , প্রাথীদের একটি স্পষ্ঠ ধারনা থাকবে ব্যবসায়িক পরিবর্তনের উপরে এবং এই ব্যবসায়িক পরিবর্তন কিভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের উপরে প্রভাব ফেলে সে সম্পর্কেও একটি সু-স্পষ্ঠ ধারনা থাকবে।

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট

এস এস সি পরীক্ষার পর অবসরের তিন মাসের সঠিক ব্যবহার

এস এস সি পরীক্ষার পর অবসরের তিন মাসের সঠিক ব্যবহার

এস এস সি পরীক্ষার পর অবসরের তিন মাসের সঠিক ব্যবহার

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট এস এস সি পরীক্ষার পর শিক্ষার্থীদের অবসরের সময়টিকে কাজে লাগিয়ে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ কিছু প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে। এসএসসি পরীক্ষার পরবর্তী তিন মাস বিশাল একটা ব্যবধান পড়াশোনার থেকে দূরে থাকায় অনেক শিক্ষার্থী পিছিয়ে পড়ে তাদের ক্যারিয়ার থেকে। আবার অনেক শিক্ষার্থী অবসর সময়ে সঠিক ব্যবহার করে নিজেকে দক্ষ করে তুলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। বর্তমান যুগ একটি প্রতিযোগিতাপূর্ণ যুগ । তাই জীবনে সফলতা আনার জন্য প্রয়োজন হয় দক্ষতার। কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে দক্ষ হওয়ার বিকল্প নেই। এই ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে – কম্পিউটার স্কিল , ইংলিশ কমিউনিকেশন স্কিল, গ্রাফিক্স ডিজাইন , ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। এই কোর্সের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা যাতে এসএসসি পরীক্ষার পরবর্তী অবসর সময়কে কাজে লাগাতে পারে। যা তাকে পরবর্তী ধাপসহ ক্যারিয়ারের সর্ব ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে সহায়তা করে।

তাই এসএসসি পরীক্ষার পর অবসরের তিন মাসের সঠিক ব্যবহারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট নিয়ে এসেছে ভিন্ন ভিন্ন প্যাকেজ

  • প্যাকেজ ১: কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন + বেসিক কমিউনিকেটিভ
    ইংলিশ
    মেয়াদ- ২মাস
  • প্যাকেজ ২: কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন + গ্রাফিক ডিজাইন
    মেয়াদ- ২মাস
  • প্যাকেজ -৩: বেসিক কমিউনিকেটিভ ইংলিশ / গ্রাফিক ডিজাইন
    মেয়াদ- ২মাস

বার্তা প্রেরক
মো মজিবুর রহমান
সহকারী পরিচালক

এসএসসি পরীক্ষার পর অবসর তিন মাস নিয়ে ভাবনা

এসএসসি পরীক্ষার পর অবসর তিন মাস নিয়ে ভাবনা

এসএসসি পরীক্ষার পর অবসর তিন মাস নিয়ে ভাবনা

এসএসসি পরীক্ষা মানেই জীবনের একটি ধাপ অতিক্রম করা। তাই সকল SSC পরীক্ষার্থীর জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি। এসএসসি পরীক্ষার পরবর্তী তিন মাস বিশাল একটা ব্যবধান পড়াশোনার থেকে দূরে থাকার। এ সময়ে অনেক শিক্ষার্থী পিছিয়ে পড়ে তাদের ক্যারিয়ার থেকে। আবার অনেক শিক্ষার্থী অবসর সময়ের সঠিক ব্যবহার করে নিজেকে দক্ষ করে তুলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। বর্তমান যুগ একটি প্রতিযোগীতাপূর্ন যুগ। তাই জীবনে সফলতা আনার জন্য প্রয়োজন হয় দক্ষতার। কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে দক্ষ হওয়ার বিকল্প নেই। এই সকল ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-

  • কম্পি‌উটার স্কিল
  • ইংলিশ কমুনিকেশন স্কিল
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ওয়েব ডিজাইন
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।

তাই এই অবসরের তিন মাস হেলায়-ফেলায় না কাটায়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট বেশ কিছু কোর্স নিয়ে এসেছে। এই কোর্সের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা যাতে এসএসসি পরীক্ষার পরবর্তী অবসর সময়কে কাজে লাগাতে পারে। যা তাকে পরবর্তী ধাপ সহ ক্যারিয়ারের সর্ব ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে সহায়তা করে।

তাই এসএসসি পরীক্ষার পর অবসর তিন মাসের সঠিক ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট নিয়ে এলো তিন টি প্যাকেজ।

প্যাকেজ সমুহঃ

  • প্যাকেজ ১. – কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন + বেসিক কমিউনিকেটিভ
    ইংলিশ
    মেয়াদ- ২মাস
  • প্যাকেজ ২ – কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন + গ্রাফিক ডিজাইন
    মেয়াদ- ২মাস
  • প্যাকেজ -৩ – বেসিক কমিউনিকেটিভ ইংলিশ / গ্রাফিক ডিজাইন
    মেয়াদ- ২মাস
skill

চাকরীর বা ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে যে দুই ধরনের দক্ষতা থাকা জরুরী

চাকরীর বা ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে যে দুই ধরনের দক্ষতা থাকা জরুরী

যে কোনো চাকরীর ক্ষেত্রে বা ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে দুই ধরনের স্কিল বা দক্ষতা থাকা গুরুত্বপূর্ন।

১। হার্ড স্কিল

২। সফট স্কিল

হার্ড স্কিল – হার্ড স্কিল বলতে মূলত পরিমাপযোগ্য দক্ষতাকে বোঝায়। হার্ড স্কিল হল পরিমাপযোগ্য দক্ষতা , যেটি পরিমাপ করা সম্ভব।

হার্ড স্কিল বই থেকে পড়ে কিংবা নির্দিষ্ট কারিকুলাম মেনে শেখা সম্ভব। যেমন, টিউটোরিয়াল দেখে ও সে অনুযায়ী ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি ফটোশপের কাজ শিখতে পারবেন।

সফট স্কিল অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট কোন উপায় নেই। দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে আপনি আয়ত্তে এগুলো নিয়ে আসতে পারেন। যেমন, ভলান্টিয়ারিংয়ের সাথে যুক্ত থাকলে আপনি পেশাগত জীবনে দলের অন্যান্য কর্মীর সাথে স্বচ্ছন্দে কাজ করতে পারবেন।

 

সফট স্কিল সফট স্কিল হল সৃজনশীলতার প্রকাশ। কাজটি করতে গিয়ে আপনি যে সৃজনশীল ভাবে চিন্তা ভাবনা প্রকাশ করেন অথবা সৃজনশীল ভাবে কাজটি সম্পন্ন করতে যে পদ্ধতি ব্যবহার করেন তাকেই মূলত সফট স্কিল বলা হয়। যেমন :-

  • কিভাবে আপনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন
  • কিভাবে দলবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন
  • কিভাবে দলের মানুষের মতামত গ্রন করছেন
  • কোন সমস্যা হলে কিভাবে সমস্যাগুলোর সমাধান করছেন
  • আপনার ক্লায়েন্ট বা আপনার বসকে কতটুকু বোঝাতে পেরেছেন ইত্যাদি।

 

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট

টিমওয়ার্কের প্রকারভেদ

জেনে নিন টিমওয়ার্কের প্রকারভেদ

জেনে নিন টিমওয়ার্কের প্রকারভেদ

টিমওয়ার্ক বলতে বোঝায় সম্মিলিত দলের প্রচেষ্টা। টিমওয়ার্কের মাধ্যমে যে কোনো কঠিন কাজ অতি সহজেই করা সম্ভব। এর মাধ্যমে বিভিন্ন বড় বড় সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। মূল কথা সাফল্য পেতে ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবন পর্যন্ত প্রয়োজন টিমওয়ার্ক। টিমওয়ার্কের মাধ্যমে যে কোনো কঠিন কাজ অতি সহজেই করা সম্ভব।

TEAM WORK বা দলগতভাবে কাজ করার প্রকারভেদ

 ১.  কার্য নির্বাহী দল

 ২. আত্ম নিয়ন্ত্রিত

 ৩. সমান্তরাল দল

 ৪. প্রকল্প দল

 ৫. ব্যবস্থাপনা দল

 

১. কার্য নির্বাহী দল

কার্য নির্বাহী দলগুলো হচ্ছে যারা সংগঠনের জন্য পণ্য উৎপাদন বা সেবাগুলো অবিরত ভাবে প্রদান করার জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত। তাদের সদস্যপদ সাধারণত স্থায়ী, সচরাচর পূর্ণ সময় এবং উত্তমভাবে নির্ধারিত।
এই দলগুলো ঐতিহ্যগত ভাবে একজন কর্মকর্তা দ্বারা নির্দেশিত হয় যিনি আদেশ দেন কি কাজ সম্পন্ন করতে হবে, ইহা কে করবে এবং কোন পদ্ধতিতে ইহা কার্যকর হবে।
কার্য নির্বাহী দলগুলো কার্যকারীভাবে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগ গুলোতে ব্যবহৃত হয়, যেমন খনন কাজে, পোশাক শিল্পে এবং সেবামূলক বিভাগগুলোতে এবং হিসাব রক্ষণ যা হিসাব নিরীক্ষার ক্ষেত্র গুলোতেও ব্যবহার করা হয়।

 

২. আত্ম নিয়ন্ত্রিত

আত্ম-নিয়ন্ত্রিত নির্বাহী দলগুলোর সদস্যরা সংগঠনের প্রতিটি আলাদা আলাদা কাজে অসংখ্য অবদান রাখে এবং একটি তাৎপর্যময় সুবিধাজনক অবস্থা তৈরী করে। এই নির্বাহী দলগুলো দৃঢ় সংকল্প থাকে যাতে তারা তাদের প্রতিষ্ঠান কিংবা সংগঠনের বাধ্যতামূলক উদ্দেশ্যগুলোসঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে পারে।
তারাতাদের উদ্দেশ্য সফল করার উপায় এবং পন্থা সম্পর্কে সুনিশ্চিত জ্ঞান রাখে এবং দলের সবাই একই সিদ্ধান্তের উপর বিশ^সী এবং স্থির থাকে। তারা তাদের কাজের সফলতা আনতে পারবে এই বিষয়ে সকলেই দৃঢ় বিশ^সী থাকা।
আত্ম- নিয়ন্ত্রিত নির্বাহী দলগুলো তাদের দায়িত্বগুলো নিশ্চিত করে যেমন তাদের নিজস্ব কাজের পদ্ধতিগুলোর পরিকল্পনা, অনুসূচি, সংগঠিত করা, নির্দেশিত করা, নিয়ন্ত্রণ করা এবং পরিমাপ করা।

 

৩. প্যারালাল দল বা সমান্তরাল দল

প্যারালাল দল বা সমান্তরাল দল মূলত প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত কার্য সম্পাদনের জন্য নির্ধারিত দল নয়। এই দল প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত কার্য সম্পাদনের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে গড়ে উঠে। প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তে এবং তাদের সুপারিশ করা ব্যাক্তিদের নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য গঠিত হয় এবং তাদের সীমিত স্বীকৃতী প্রদান করা হয় এবং পুনঃনিরীক্ষন এবং অগ্রগতির জন্য কার্যকর হয়।
সমান্তরাল দলগুলো লোকজনকে কার্য সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন কাজের এককগুলো বা জায়গাগুলো হইতে একত্রিত করে যা নিয়মিত সংগঠনটি উত্তমভাবে কার্যকর করতে পারে না। এই দলগুলোকে সীমিত কর্তৃত্ব দেওয়া হয় এবং সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ে কেবল স্বতন্ত্রদের নামগুলো সুপারিশ করতে দেওয়া হয়।
সমান্তরাল দলগুলো সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োগ হয় এবং পুনঃনিরীক্ষণ বা অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন হলে কার্যকর করা হয়। সমান্তরাল দলগুলোর উদাহরণ হচ্ছে গুণমান চক্রগুলো, কার্য সম্পাদনকারীগণ, গুণমান বর্ধক দলগুলো, কর্মচারী সংযুক্ত দলগুলো। সমান্তরাল দলগুলোর কার্যকারিতা প্রমাণ হয় তাদের অবিরত প্রয়োগ দ্বারা এবং সংগঠনের মধ্যে সম্প্রসারিত হলে যাতে তারা তাদের গুণমান বর্ধক কাজগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং আরও কর্মচারীদের সংযুক্ত করতে পারে।

 

৪. প্রকল্প দলগুলো

প্রকল্প দল হচ্ছে একটি সংগঠন যা এশটি সীমিত সময়ের জন্য প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন পণ্য এবং সেবা উৎপাদন করে । এই দলটি গঠিত হয় একটি নির্দিষ্ট প্রকল্প সম্পন্নের জন্য, একটি সময়ের জন্য অথবা সেই প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার সময়সীমার জন্য। এই নতুন পণ্যের বা সেবার মেধাস্বত্ব সেই সংস্থার কাছে থাকে যারা ইহা তৈরী করে। এই দলগুলোর কার্য ভিন্ন ধরনের হতে পারে যা কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে, যেমন চলতি একটি প্রকল্পের জন্য সম্পূর্ণ নতুন ধারণা বা পরিকল্পনা তৈরী করা। প্রকল্প দলগুলো তাদের সদস্যদের জ্ঞান এবং পূর্ণ দক্ষতার ওপর নির্ভর করে।

 

৫. ব্যবস্থাপনা দলগুলো

ব্যবস্থাপনা দলগুলো হচ্ছে একটি সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন প্রকল্পগুলো এবং কাজগুলো চলাকালীন একটি বিভাগ যাদের দায়িত্ব হচ্ছে সমন্বয় করা এবং নির্দেশনা দেওয়া। বিভিন্ন কার্যের কৌশলগত দিকগুলো বা আরম্ভ গুলোর দায়িত্ব থাকে ব্যবস্থাপনা দলগুলোর ওপর। ব্যবস্থাপনা দলগুলো বিভাগের সম্পূর্ণ অবদানের জন্য দায়ী। তাদের তত্ত্বাবধানে থাকে কর্মীদের প্রতিদিনের কাজ, বিভিন্ন কার্যের নির্দেশ প্রদান এবং কর্মীদের ওপর নজরদারি। এই দলগুলোর কর্তৃত্ব নির্ভর করে সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক ছকের সদস্যদের পদ অনুযায়ী। এই ব্যবস্থাপনা দলগুলো গঠিত হয় বিভিন্ন বিভাগের ব্যবস্থাপকদের থেকে- যেমন বাজারজাতকরণের সহ-সভাপতি, কার্য সম্পাদনের সহকারী পরিচালক।

 

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট

Untitled-3 (1)

নেতৃত্ব

নেতৃত্ব

নেতৃত্ব মানুষের একটি বিশেষ গুন। যে ব্যাক্তি অনেকগুলো মানুষের সম্মানয়ে গঠিত দলকে পরিচালনা করবে , যার বক্তব্য অন্য একজন অনুপ্রেরনা দিবে, সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে দলকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে যাবে এবং দলের অন্যদের সাথে একিত্রে কাজ করবে যর সিদ্ধান্তকে দলের সবাই মূল্য দিবে এবং গ্রহন করবে তাকেই মূলত Leader বা নেতা বলা হয়।

নেতৃত্ব গুনটি শুধুমাএ রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় নয় এবং সকল ক্ষেত্রেই এর অস্তিত্ব রয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে এবং কর্মক্ষেত্রেও এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

নেতৃত্ব ব্যবস্থাপনার একটি অতীব গুরুত্ব বিষয়। প্রতিষ্ঠানের সকল স্তরে ও সকল কার্যে নির্দেশনা ও নেতৃত্বেরপ্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে সহজেই তার লক্ষ্যের দিকে ধাবিত করা যায় এবং লক্ষ্যার্জন করা সম্ভবপর হয়। তাই বর্তমান সময়ে একজন দক্ষ ব্যবস্থাপক নেতৃত্বের উপর যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেন। সুষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে কর্মীদেরকে কার্যে লাগিয়ে সর্বোচ্চ কার্য আদায় করা সম্ভব।

নেতৃত্ব হল এমন এক “সামাজিক প্রভাবের প্রক্রিয়া যার সাহায্যে মানুষ কোনও একটি সর্বজনীন কাজ সম্পন্ন করার জন্য অন্যান্য মানুষের সহায়তা ও সমর্থন লাভ করতে পারে।

বিভিন্ন পন্ডিতবর্গের মতামত প্রদান করা হলোঃ-

Prof. Koontz O’Donnell এর মতে- “নেতৃত্ব হল জনগণকে প্রভাবিত করার এমন একটি কলা বা প্রক্রিয়া যাতে তারা দলীয় লক্ষ্য অর্জনে স্বেচ্ছায় এবং আগ্রহ ভরে কাজ করে।”

Mr. Bennis – এর মতে- “নেতৃত্ব হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন ব্যবস্থাপক তার অধস্তনদের কাঙ্খিত আচরণে উদ্বুদ্ধ করে।”

Mr. Stogil – এর মতে- “নেতৃত্ব লক্ষ্য নির্ধারণ ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংঘবদ্ধ কর্মীদের কার্যাবলী প্রভাবিত করার প্রক্রিয়া।”

উপরোক্ত সংজ্ঞার আলোকে ইহা প্রতীয়মান হয় যে, নেতৃত্ব হচ্ছে অপরকে প্রভাবিত করার জন্য কৌশল, বল প্রয়োগ নয়। নেতৃত্ব শুধুমাত্র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেমন ব্যবস্থাপক, পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক প্রমুখ কর্তা ব্যক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। সুতরাং নেতৃত্ব হচ্ছে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার ও প্রক্রিয়া যা দলের বিভিন্ন লোকের প্রকৃতি ও স্বরূপ সামনে রেখে তাদের এমনভাবে পরিচালিত করে যাতে সবাই আস্থার সাথে দলীয় সাংগাঠনিক উদ্দেশ্য হাসিলের মাধ্যমে ব্যক্তির উদ্দেশ্য ও ফলপ্রদভাবে অর্জনে সহায়তা করে।

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট