গল্প থেকে শেখা, পর্ব-৯

গল্পের নাম – বাচ্চা উট ও তার মা

একটি মা উটের পাশে  একটি বাচ্চা উট  শুয়ে ছিল, এবং হঠাৎ বাচ্চা উটটি জিজ্ঞাসা করলেন, “মা, আমি কি তোমাকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারি? মা বললেন, “অবশ্যই! কেন পুত্র, তুমি ‍কি কোন  কিছু নিয়ে চিন্তিত ?  বাচ্চাটি বলল, “উট কেন কুঁচকে থাকে?” মা বললেন, “আচ্ছা পুত্র, আমরা মরুভূমির প্রাণী, আমাদের পানি সঞ্চয় করার জন্য কুঁচিয়ে থাকা দরকার এবং আমরা জানি যে পানি  ছাড়া বেঁচে কেউ থাকতে পারে না”।

বাচ্চা বলল, “ঠিক আছে, তাহলে আমাদের পা দীর্ঘ এবং পা কেন বৃত্তাকার?” মা বললেন, “পুত্র, অবশ্যই আমাদের মরুভূমিতে হাঁটার জন্য। তুমি জানো যে এই পা দিয়ে আমি মরুভূমির চারপাশে যে কারও চেয়ে ভাল চলাফেরা করতে পারি! ” বাচ্চা বলল, “ঠিক আছে, তাহলে আমাদের চোখের পাপড়ি  কেন এত দীর্ঘ? কখনও কখনও এটি আমাকে দেখতে বিরক্ত করে। অভিমান সহকারে মা বলেছিলেন, “আমার পুত্র , এই দীর্ঘ ঘন চোখের পাতা গুলো তোমাকে প্রতিরক্ষা মূলক আবরণ। এগুলো তোমার চোখ মরুভূমির বালু এবং বাতাস থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে ”। 

বাচ্চাটি  ভাবার পরে বলল, ওহঃ আচ্ছা । সুতরাং আমরা যখন মরুভূমিতে থাকি তখন কুঁচকে পানে রাখি, পা হচ্ছে মরুভূমিতে মধ্য দিয়ে চলাফেরা করার জন্য এবং এই চোখের পাতা আমার চোখকে মরুভূমিতে রক্ষা করে। সৃষ্টিকর্তার নামে বল,  আমরা চিড়িয়াখানায় কী করছি !

 

গল্পের নৈতিকতা: 

দক্ষতা, জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা গুলো কেবল তখনই কার্যকর হবে যদি আপনি আপনার জায়গায় সঠিক থাকেন।

রসায়নে  ইলেকট্রন শেয়ার

রসায়নে  ইলেকট্রন শেয়ার

পৃথিবীতে অনেক কিছুই আমরা শেয়ার করে থাকি | সুতরাং  শেয়ার সম্পর্কে আমাদের যথেষ্ট ধারণা আছে | শেয়ার বলতে মূলত বোঝায় ভাগাভাগি করা | শেয়ার তখনই করতে হয় যখন কোন কিছু একেবারেই দিয়ে দেওয়া যায় না অথবা কারো কাছ থেকে কোন কিছুই একেবারে নেওয়া যায় না|

রাজিব ও রতন দুই বন্ধু|  একদিন তারা একটি রেস্টুরেন্টে গেল|   তারা পিজ্জা খাবার ইচ্ছা পোষণ করল| পিৎজার দাম ছিল আটশত টাকা|  এদিকে রাজীবের কাছে ছিল পাঁচশত টাকা এবং রতনের কাছে ছিল 400 টাকা| রাজিব 400 টাকা এবং রতন 400 টাকা পরস্পরের সাথে শেয়ার করে 800 টাকা দিয়ে পিজ্জা খেয়ে খুব আনন্দের সাথেই বাড়িতে ফিরলো|  অর্থাৎ তারা নিজেদের টাকা শেয়ার করে খাবারটি কিনে  খেলো|

ঠিক রসায়নে  বেশ কিছু যৌগ গঠন করার ক্ষেত্রে  এভাবে ইলেকট্রন শেয়ার করতে হয়|  আর এই ইলেকট্রন  শেয়ারের মাধ্যমে যে বন্ধন গঠিত হয় তাকে সমযোজী বা সহযোজী বন্ধন বলা হয়| এই বন্ধন কে ইংরেজিতে বলা হয় Covalent Bonding.

আমরা যে পানি গ্রহণ করে থাকি সেই পানিতে  সমযোজী বন্ধন বিদ্যমান|  পানির সংকেত H2O.   এক অনু পানিতে একটি অক্সিজেনের পরমাণু এবং দুটি হাইড্রোজেনের পরমাণু বিদ্যমান থাকে | নিচে হাইড্রোজেন  এবং অক্সিজেন এদের ইলেকট্রন বিন্যাস দেখানো হলো:-

 

H(1)- 1s1

O(8)- 1s2 2s2 2p4

 

এই পৃথিবীতে সর্বমোট 118 টি মৌল রয়েছে|  এদের মধ্যে 6 টি মৌল রয়েছে নিষ্ক্রিয়|   বাকি 112 টি মৌল রয়েছে  সেগুলো নিষ্ক্রিয় 6 টি মৌলের ইলেকট্রন কাঠামো লাভ করার উদ্দেশ্যে কখনো ইলেকট্রন দান করে,  গ্রহণ করে অথবা শেয়ার করে থাকে|

হাইড্রোজেন এর নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় মৌলটি হল হিলিয়াম  যার ইলেকট্রন সংখ্যা হল 2.  অপরদিকে অক্সিজেন মৌলটি নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় মৌল নিয়ন,  যার ইলেকট্রন সংখ্যা 10.  যখন 1 অনু পানি তৈরি হয় তখন একটি অক্সিজেন পরমাণু  দুটি হাইড্রোজেন পরমাণুর দুটি ইলেকট্রন তার সাথে শেয়ার করে থাকে|  এক্ষেত্রে হাইড্রোজেন হিলিয়ামের ইলেকট্রন কাঠামো লাভ করে এবং অক্সিজেন নিয়ন এর ইলেকট্রন কাঠামো লাভ করে যৌগ গঠিত হয়| নিচে বিক্রিয়াটির কৌশল দেখানো হলো:-

 

2H*  +  : O :                  H*.O.*H                    H         O          H

 

 

গল্প থেকে শেখা, পর্ব – ৮

গল্পের নাম- অন্ধ মেয়ে

একজন অন্ধ মেয়ে ছিল সে নিজের জীবন কে খুব ঘৃণা করতো  অন্ধ বলে। সে এই পৃথিবীর সবাইকে ঘৃণা করত শুধু তার বয়ফ্রেন্ড ছাড়া, কারন সে সব সময় তার সাথে থাকতে চেয়েছিল। মেয়েটি বলেছিল,যদি সে পৃথিবীটাকে দেখতে পারে তাহলে সে তাকে বিয়ে করবে। একদিন, কেউ মেয়েটিকে দুুটি চোখ দান করে, মেয়েটি  এখন সব কিছু দেখতে পায় এমনকি তার বয়ফ্রেন্ড সহ। মেয়েটির বয়ফ্রেন্ড মেয়েটিকে বলল, এখন তুমি সব কিছু দেখতে পারো,  এখন কি তুমি আমাকে বিয়ে করবে? 

মেয়েটি তার বয়ফ্রেন্ডকে দেখে চমকে উঠে কারন সে অন্ধ ছিল এবং বিয়ে করার জন্য অস্বিকার করে। তার বয়ফ্রেন্ড কাঁদতে কাঁদতে চলে যায় এবং একটি চিঠি লিখে যায়। চিঠিতে লেখা ছিল, আমার চোখ দুটো খেয়াল রেখো প্রিয়। 

 

গল্পের নীতিকথা 

যখন আমাদের পরিস্থিতি বদলে যায়, তখন আমাদের মনও বদলে যায়। কিছু লোক আপনার আগের জিনিসগুলি দেখতে সক্ষম হবে না এবং তাদের প্রশংসাও করতে পারবেন না। এই গল্পটি থেকে কেবল একটি নয়, শিক্ষা নেওয়ার মতো অনেকগুলি বিষয় রয়েছে। এটি একটি অনুপ্রেরণামূলক ছোট গল্প যা আমাকে নির্বাক করে রেখেছিল। 

Sustainable Architecture: Design to Preserve Environment

 

Sustainable Architecture is the way of design which has very low negative impact on the surrounding environment. Often we design and build many construction without considering the environmental factors and objects. For this reason sometimes intentionally or sometimes unintentionally we are destroying our own natural environment. This is not good at all for ourselves and for our future.

Realizing the fact architects tried to develop a way which is not going to harm the environment, attest the tried to lower the negative impact on the environment. Thus the architects started to work on an eco-friendly design process with minimum impact on the environment and that is the Sustainable Architecture in terms.

Now a days Sustainable Architecture become one of the most common and important part of Contemporary Architecture practice. International design policy organization like LEED and BREEAM setup some guideline for practicing the Sustainable Architecture. Here are some characteristics of Sustainable Architecture:

  • Designs main focus will be on the minimum negative impact on environment.
  • Have to try to increase the use of eco-friendly renewable energy consumption instead of wasteful energy consumption.
  • Try to setup renewable energy production which is need for the total building energy consumption.
  • Installing environment friendly water management system like the greywater recycling and using the rainwater.
  • Plant trees in a decorative way in the outside area of the building, make green roof by using small trees and decorative plants, and making green wall with live construction material friendly plants or by construct the wall suitable for plant setup.
  • Adopting the design with the surrounding landscape of the building.
  • Renewable materials like flax, bamboo, soy, cork and hemp can be used if suitable.
  • Using sustainable materials like hempcrete which is made from lime, hemp and water instead of regular material like concrete.
  • Increasing the use of recyclable materials.

Sustainable Architecture practice is increasing day by day in whole over the world to lower the impact on environment what was ignored in past to resolve the wound of environment. This practice is a great way not only for preserving our environment but also creating something eye catching, something very beautiful.

 

Author:

Md Asaduzzaman Russel

Jr. Instructor

Architecture and Interior Design Technology

Daffodil Polytechnic Institute

 

 

পাওয়ার প্লান্টে এত ভাড়ী কয়েল ঘুরাবে কোন সে দৈত্য?

পাওয়ার প্লান্টে এত ভাড়ী কয়েল ঘুরাবে কোন সে দৈত্য?

বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টা অনেকেই ভালভাবে বুঝতে যেয়েও বুঝতে পারোনা। এই ব্লগটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে সহজভাবে লিখার চেষ্টা করেছি।বিদ্যুৎ উৎপাদন এর জন্য একটি তার বা পরিবাহী কোন দন্ডকে চুম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে ঘুরানো হলেই তার বা সেই দন্ডটিতে ভোল্টেজ উৎপন্ন হবে। তারটিতে কি পরিমান ভোল্টেজ উৎপাদন হবে তা নির্ভর করে একক সময়ে কি পরিমান চুম্বক বলরেখা পরিবাহী তারের দ্বারা কাট (কর্তন) হয় তার উপর।

 

একটি পরিবাহী তারকে ফ্লাক্স এর ভেতর ঘুরানো হলে যে পরিমান ফ্লাক্স কর্তন করবে, দুইটি বা ততোধিক পরিবাহী তারকে চুম্বক ক্ষেত্রে ঘুরানো হলে নিশ্চয়ই অধিক ফ্লাক্স কর্তন করবে, ফলে তারে ভোল্টেজ ও বেশি উৎপন্ন হবে। আর তাই আমরা পরিবাহী তারকে  পেঁচিয়ে কুন্ডলী বা কয়েল বানিয়ে সেটাকে চুম্বক ক্ষেত্রের মাঝে ঘুরাই। আর এজন্যই দেখবে জেনারেটর এর ভেতরে তারের এত প্যাচ।

 

কয়েল বাধাই এর বিষয়গুলো নিশ্চয়ই জানো।

বিদ্যুৎ উৎপাদন এর জন্য এই কয়েলের অনেক প্যাচ সম্বলিত জেনারেটরটিকে ঘুরাতে হবে। বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই তত্ব আবিস্কার করে গেছেন। এই তত্ত্বের উপরে ভিত্তি করেই  পাওয়ার প্লান্টে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয।

বিদ্যুৎ শক্তি কোন আলাদিনের চ্যারাগ দিয়ে উৎপাদন হয়না। বৈজ্ঞানিক যুক্তি ও তত্বের উপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করে এই বিশেষ শক্তি অর্জন করা যায়। বড় বড় জেনারেটরের কয়েলগুলো খুবই বড় আর ভাড়ী হয়। এখন প্রশ্ন হলো এত ভাড়ী কয়েল বা কুন্ডলী চুম্বক ক্ষেত্রের ভেতরে ঘুরাবে কোন সে দৈত্য?

একটা গল্প বলি শোন! একদা এক ইদুর সমাবেশ হলো সমাবেশে সভাপতি ইদুর, আলোচনা করে বুঝতে পারলো বিড়ালের খুব উৎপাত শুরু হয়েছে। বিড়াল ইদুর নিধনে মত্ত। সবাই সিদ্ধান্ত নিলো বিড়ালের গলায় একটা ঘন্টা বেধে দিবে, বিড়াল হাটার সময় ঘন্টার শব্দ হবে। এই শব্দে সব ইদুর পালিয়ে যাবে। এবার তাদের প্রশ্ন বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে? ভয়ে কোন ইদুরই এই কাজের দায়িত্ব নিতে রাজি হলোনা। সমাধান না পেয়ে ইদুরের দল আবার গর্তে পলায়ন করল! হাহ হাহ হাহ হা! আমরা মানুষ এই ইদুরের দলের মত তো আর গর্তে পলায়ন করতে পারিনা তাই আমরা গবেষনা, পর্যালোচনা, পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিলাম এত ভাড়ী এই কয়েলকে মানুষের শক্তি দ্বারা ঘুরানোর প্রয়োজন নেই, এই কয়েলকে অন্য কোন প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা ঘুরানো সম্ভব।

ধরো,তোমার হাতে একটি পানির নল বা পাইপ আছে এই পাইপের ভেতরে একটা একটি পাখা, বা ব্লেডযুক্ত চাকা বসিয়ে দাও যাতে পাখাটি অনায়াসে পাইপের ভেতর ঘুরতে পারে। এবার এই পাইপটিকে একটি ড্রাম এর সাথে যুক্ত করে ড্রামটিকে পানি দিয়ে পূর্ণ করে উচু স্থানে বসিয়ে দাও।  কি দেখতে পাবে পাইপ দিয়ে ড্রামের পানি নিচে নেমে আসছে, আর পাইপ দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ার সময় ব্লেডে ধাক্কা লেগে ব্লেড যুক্ত চাকাটি পাঙ্খার মত ঘুরছে।। তাহলে কি ধারনা পেলে পাখা নিজের হাতে না ঘুরিয়ে পানির শক্তি দ্বারাও ঘুরানো সম্ভব। এই পাঙখার সাথে কোন চেইন যুক্ত করে দিলে বাইরের অন্য কিছুও ঘোরানো সম্ভব। (উদাহরন স্বরুপ সাইকেলের প্যাডেল ঘুরানোর সময় চেইন যুক্ত করলেই পেছনের চাকাটিকেও ঘুরানো সম্ভব হচ্ছে) .বিদ্যুৎ উৎপাদন এর জন্য আমাদের কয়েল ঘুরাতে হবে আর কয়েল ঘুরানোর জন্য আমরা একটি চাকা বা পাখার সহযোগীতা নিব। চাকা বা পাখা ঘুরলে পাখার সাথে কাপলিং করা জেনারেটর এর কয়েলও ঘুরবে। পাওয়ার প্লান্টে এই ব্লেডযুক্ত ঘুর্নয়ক এর নাম টারবাইন।

জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জলের স্রোতকে কাজে লাগিয়ে টারবাইন ঘুরানো হয়। টারবাইনের মাধ্যমে জেনারেটর এর কয়েল ঘুরে, এ থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। পানি থেকে বিদ্যুৎ হয় তা নয়।

নদীতে কোন একটা বাধ দিয়ে পানিকে আটকে রেখে পটেনশিয়াল এনার্জি অর্জন করতে পারি।  এক্ষেত্রে জোয়ারের সময় আসা পানিকে কাজে লাগানো যেতে পারে। বাঁধের পেছনে এরিয়া পানিতে পূর্ণ হয়ে গেলে পানি একটি মোটা পাইপের মাধ্যমে নিচের দিকে অবস্থিত একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে প্রবাহিত করানো হয়। পানি প্রাবাহের সময় এর মধ্যে জমা থাকা বিভব শক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এই গতিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে পাখাটিকে বা টার্বাইনকে ঘুরাতে পারি।

 

 

আবার দেখো, বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাতাসের বেগকে কাজে লাগিয়ে পাখা ঘোরানো হয়। যেমন ছোট বেলায় মেলা থেকে চরকি কিনে বাতাসের দিকে ধরে রেখে ঘোরিয়েছ।

আবার, বাষ্প বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাষ্পের চাপে টারবাইন ঘুরানো হয়। মুল কথা তারের কুন্ডলী বা কয়েলকে যে কোন উপায়ে ঘুরাতে পারলেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।আর এজন্যই আমাদের এত সব আয়োজন।

 

বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনার জন্য এবং বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন এর জন্য বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং জ্ঞান এর প্রয়োগ ঘটাতে হয়। এই ব্লগ লিখে তোমাদেরকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের বেসিক ধারনা দিলাম আরো ভাল ধারনা পেতে তোমাদের পর্যাপ্ত বই পড়তে হবে, ক্লাসে লেকচার শুনতে হবে, এবং অর্জিত নলেজকে যাচাই এর জন্য পাওয়ার প্লান্ট ভিজিট করতে হবে।

তোমাদের কৌতুহল তৈরি করতে পারলেই আমি সার্থক। কৌতুহলী মন ই পারে তোমাকে খুব ভাল একজন প্রকৌশলী তৈরি করে দিতে।

 

লেখক:

নাহিদুল ইসলাম (নাহিদ)

ইন্সট্রাকটর

ডিপার্টমেন্ট অব ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

 

গল্প থেকে শেখা

গল্প থেকে শেখা, পর্ব – ৭ 

গল্পের নাম:  চলার পথে বাধা (সুযোগ)

একদা এক রাজা চলার পথে এক বড় পাথর রেখে দিল এবং দূর থেকে লক্ষ্য করতে লাগল যে কি হয়। সবাই তার পাশ কাটিয়ে চলতে থাকলো। আবার কিছু লোক তার পাশে দাঁড়িয়ে চিৎকার  করতে লাগলো যে রাজা চলার পথটা কেউ পরিষ্কার রাখতে পারেনা কিন্তু কেউ পাথরটাকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিল না। একদিন সেই পথ দিয়ে এক কৃষক সবজি মাথা নিয়ে যাচ্ছিল, সে পাথরটাকে দেখে সবজিগুলোকে নিচে নামিয়ে রেখে পাথরটাকে ঠেলে সরিয়ে দিতে চইল এবং অনেক কষ্ট করে শিখলে পাথরটাকে রাস্তার একপাশে সরিয়ে দিল।

 

যখন সে সবজির ঝুড়িটা মাথায় আবার উঠাতে গেল তখন সে দেখল যেখানে পাথরটা রাখা ছিল সেখানে একটা ব্যাগ রাখা আছে। 

ব্যাগটি খুলে দেখল এক ভর্তি সোনার মোহর এবং  সাথে রাজার একটি চিঠি লেখা আছে। চিঠিতে লেখা ছিল, যে এই সোনার মোহর গুলো তার যে এই পাথর টা রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে পারবে। 

 

গল্পের নীতিকথা 

জীবনে আমাদের সংগ্রামগুলি আমাদের শক্তি বিকাশ করে। লড়াই ছাড়া আমরা কখনই বড় হতে পারি না এবং কখনই শক্তিশালী হতে পারি না সুতরাং আমাদের নিজের পক্ষে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা এবং অন্যের সাহায্যের উপর নির্ভর না করা আমাদের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ।

 

BSDI

গল্প থেকে শেখা পর্ব- ৬

গল্প থেকে শেখা, পর্ব- ৬

গল্পের নাম:  এক টুকরো মাখন

এক টুকরো মাখন

এক কৃষক এক রুটি ওয়ালাকে একাউন্ট মাখন বিক্রি করেছিল। একদিন রুটিওয়ালা মাখন ওজন করে দেখলো যে সেটি এক পাউন্ডের কম। সে খুবই রেগে গেল এবং রেগে গিয়ে সেক কৃষকের নামে কোর্টে নালিশ করল। জজ সাহেব  জিজ্ঞেস করল সে কোন দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করেছে কিনা? কৃষক জবাব দিল,জনাব আমি পুরনো দিনের লোক আমার দাঁড়িপাল্লা নেই। কিন্তু একটি ওজন যন্ত্র আছে। জজ জিজ্ঞেস করল তুমি তাহলে মাখন মাপলে কি করে?

কৃষক জবাব দিল, জনাব আমার থেকে মাখন নেওয়ার অনেক আগে থেকেই আমি এক পাউন্ড রুটি নিয়ে ছিলাম। রুটিওয়ালার রুটি যখন নিয়ে আসে আমি তখন দাঁড়িপাল্লায় একদিকে তার রুটি চাপিয়ে দিয়ে অন্যদিকে মাখন চাপে দিয়ে ছিলাম এবং রুটির পরিমাণ মতোই মাখন দিয়েছিলাম।  যদি কেউ কম ওজনের জন্য দায়ী হয় তাহলে ওই রুটিওয়ালাই দায়ী।

গল্পের মূল কথা :

আামাদের জীবনে,অপরকে আমরা যা কিছুই দেই নিজেদের ক্ষেত্রে ঠিক তাই ফিরে পাই, অন্যকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন না।

BSDI

রুপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যাণ্ট আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

রুপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যাণ্ট আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট বলতে আমরা প্রথমেই বুঝি নিউক্লিয়াস কে ভাঙতে ভাঙতে উৎপন্ন শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন  করা ।

কয়লা  বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতই এক ধরনের তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, যেখানে নিউক্লিয়াস কে ভাঙার ফলে উৎপন্ন শক্তি দিয়ে তাপবিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। কিন্তু অবশ্যই সেটি নিয়ন্ত্রিত মাত্রার মধ্যে হতে হবে নতুবা বিপদ ঘটে যেতে সময় লাগবে নাহ।

বর্তমানে ৩১টি দেশে ৪৫০ টিরও বেশী নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট সচল রয়েছে, বাংলাদেশ ও তার মধ্যে একটি, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে এই অভিজাত ক্লাব এ পদার্পন করতে যাচ্ছে।

পাবনার ঈশ্বরদীর রুপপুরে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে যা পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত, এবং ঢাকা থেকে ১৮৭ কিমি পশ্চিমে।

সেই ১৯৬১ সালের প্রস্তাবনার পরে,  অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে ২০১৬ সালে কাজ শুরু হয়, আশা করা হচ্ছে ২০২৩ সালে এক ইউনিট ও অপর ইউনিট ২০২৪ সাল নাগাদ উৎপাদনে যাবে, তখন এটিই হবে দেশের সর্বাধিক মেগাওয়াট সম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রায় ২৪০০ মেগাওয়াট (২*১২০০মেগাওয়াট)

একনজরে কিছু কুইক ফ্যাক্টস দেখে নেয়া যাকঃ

নির্মাতাঃ রাশিয়ার রোসাটম

মালিকানাঃ বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন

রিয়াক্টর টাইপঃ প্রেসারাইজড ওয়াটার(PWR)

রিয়াক্টর মডেলঃ VVER-1200 (সাম্প্রতিক মডেল)

শীতলীকরণ উৎসঃ পদ্মা নদী

ইউনিটঃ ২

প্রক্কলিত ব্যয়ঃ প্রায় ১২.৬৫বিলিয়ন ডলার , বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ( ,০৬২,৩৯৭,৬০০,০০০.০০) টাকা 

ফুয়েল সাপ্লাইয়ারঃ রোসাট্ম এনার্জি

উপাদানঃ ইউরেনিয়াম ২৩৫

নিরাপত্তা স্তরঃ ৫ ধাপের 

আয়ুষ্কালঃ ৬০ বছর

কন্ট্রাক্টরঃ JSC Atomstroyexport

একবার ফুয়েল লোডেঃ ৪৫ বছর সাপ্লাই দিবে

অনেক হল , এবার কাজের কথায় আশা যাক।

আসলেই কি বাংলাদেশ পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর সক্ষমতা অর্জন করেছেঃ

 

পরিবেশ গত দিক দিয়ে সেটা এখনো অর্জন করেনি,এছাড়াও দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে, রুপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যাণ্ট  চালাতে বিদেশিদের উপর পূর্নাঙ্গ ভাবে নির্ভরশীল।

 

তবে কিছু সংখ্যক উত্তীর্ণ প্রার্থীকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে প্রশিক্ষণ এর জন্য, তারা ফিরে এসে এটি পরিচালনায় সাহায্য করবেন।

 

নিউক্লিয়ার রেডিয়েশন মানব সভ্যতার জন্য হুমকিস্বরূপ, বিশেষকরে বাংলাদেশের মত স্বল্পোন্নত দেশের ক্ষেত্রে আরও বিপদজনক, এটি অনেকটা গরীবের হাতি পোষার সামিল।

 

পরিবেশবাদীরা ধারণা করেছেন, (কথাটি সরাসরি বলা হয়নি,কিন্তু ধারণা করা হয়েছে পূর্বের ঘটনা থেকে),

 

রুপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যাণ্ট এর আশেপাশের এলাকার মাটিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ পাওয়া যাবে যা কিনা এই এলাকার উর্বরাশক্তি বিনাশ করে দিবে, সাথে পদ্মার পানিতে যদি কোনক্রমে মিশে যায় তাহলে যা ঘটবে তা সত্যিকার অর্থেই ভয়াবহ হবে, বায়ুতে তেজস্ক্রিয় পদার্থের মাত্রা বেড়ে গিয়ে অক্সিজেনের সাথে মিশে সেই এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য ক্ষতির মুখে ফেলে দিবে, ফলাফলঃ ক্যান্সার,শ্বাসকষ্ট সহ আরও অনেক রোগের বিস্তার কতিপয় এলাকায় বেড়ে যাবে,সন্তান পঙ্গু হয়ে জন্ম হবার মাত্রা বেড়ে যাবে,মানুষের সহনশীলতার মাত্রার হ্রাস ঘটবে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাবে, ওই এলাকার মাটিতে ফসল ফলানো দিনের পর দিন অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে , আবার ফসলে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বেড়ে গেলে সেই ফসল ভক্ষণ যোগ্য থাকবে নাহ।

 

যারা এখানে জব করবে, তাদের জন্য আলাদা চিকিৎসা ভাতা বরাদ্দ করা থাকবে, তার মানে বুঝাই যায় অনেকটা ঝুঁকি মাথায় নিয়েই জব করতে হবে।

 

যতই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হোক না কেন, ঠিকমত নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে আরেকটি চেরনোবিল বা ফুকিশিমার মত দূর্ঘটনার জন্মস্থান বাংলাদেশ হতে পারে। যদিওবা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে একে ঘিরে।

 

এত উচ্চ মাত্রার শক্তিশালী বিক্রিয়ার উপর  থেকে নিয়ন্ত্রণ হারালে রেডিয়েশন ছড়িয়ে পরে জীবনযাত্রা স্থবির করে দিবে।

 

তবে আশার কথা হল , এই রুপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যাণ্ট প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে যেমন সাশ্রয়ী দামে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে , ন্যাশনাল গ্রিড এর সক্ষমতা বাড়বে,তেমন দেশব্যাপী লোডশেডিং হ্রাস পাবে, সর্বোপরি দেশের জিডিপির মান বাড়বে ,আশেপাশের এলাকায় নতুন কর্মসংস্থান এর সৃষ্টি হবে, জীবনযাত্রার মান বাড়বে, দেশের বিদেশী বিনিয়োগ আসবে প্রচুর পরিমাণে।

 

তবে, প্রযুক্তি বাছাই এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা নির্ধারণের পর পারমাণবিক নিরাপত্তার বৈশিষ্ট্যসমূহও কাস্টমাইজ করার স্বাধীনতা বাংলাদেশের রয়েছে । অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকার রূপপুরে ভিভিইআর পরিবারের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি(VVER-1200 ) নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

 

উক্ত প্রযুক্তিতে রাশিয়ান ফেডারেশন কর্তৃক উদ্ভাবিত সর্বাধুনিক যেকোনো পারমাণবিক নিরাপত্তামূলক বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সকল বাধ্যবাধকতা বিবেচনায় নিয়ে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে যথাযথ উপায়ে ধাপে ধাপে প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পাদনের মাধ্যমে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন থেকে শুরু করে রিঅ্যাক্টরের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পরিবেশের ভারসাম্য সংরক্ষণ এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য একটি দেশের দীর্ঘ মেয়াদী জাতীয় সিদ্ধান্ত থাকা প্রয়োজন।

 

রূপপুরে নির্মিতব্য  রিয়াক্টর-এর নিম্নবর্ণিত (ছবি) পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকবে।

 

নিচে  রুপপুর  নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যাণ্টঃ পরিকল্পনা দেখানো হয়েছেঃ

 

Unit 1  Unit 2

First Concrete 30 November 2017     14 July

2018

 

Fuel Loading    October 2022  October 2023

Power Start-up            December 2022          December 2023

Provisional Takeover  October 2023 October 2024

Final Takeover October 2024 October 2025

 

 

সেরা ৫ : সবচেয়ে ক্ষমতাসম্পন্ন ৫টি পারমাণবিক চুল্লী

পারমাণবিক যুগে আমাদের বসবাস। পেট্রোলিয়াম আর গ্যাসোলিন ফুরিয়ে গেলে মানবসভ্যতা পুরোপুরি সৌরশক্তি, হাইড্রোজেন সেল এবং নিউক্লিয়ার এনার্জির উপর নির্ভর হয়ে পরবে। বর্তমানেও পারমাণবিক চুল্লীর সংখ্যা কম নয় কিন্তু। উন্নয়নশীল এবং উন্নত-দেশগুলো তাদের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করছে পারমানবিক চুল্লী। একসময় এই শক্তির সিংহভাগ উৎপন্ন করা হতো জাপানের ফুকোশিমাতে। কিন্তু ২০১১ এর ভূমিকম্প পুরোপুরি অচল করে দেয় পাওয়ার স্টেশনকে। কিন্তু এতো বাধার পরও গড়ে উঠছে আরো শক্তিশালী পারমাণবিক চুল্লী। power-technology.com এর লিস্ট অনুযায়ী আজকে থাকছে পৃথিবীর সেরা ৫ টি পারমানবিক চুল্লী।

 

Kashiwazaki-Kariwa

Tokyo Electric Power Co.’s (TEPCO) এর তৈরি করা এই চুল্লীর মোট ক্ষমতা ৭৯৬৫ মেগাওয়াট। এই চুল্লীতে রয়েছে ৭টি বয়েলিং ওয়াটার রিয়েক্টর। যাদের ক্ষমতা প্রায় ৮২১২ মেগাওয়াট। প্রথম ৫ টির প্রত্যেকটির ক্ষমতা ১১০০ মেগাওয়াট আর বাকি দুইটার ক্ষমতা ১৩৫৬ মেগাওয়াট। ১৯৮৫ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৯৭ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে সাপ্লাই দেওয়া হয়। বিভিন্ন আপডেট এর মাধ্যমে ২০১৩ সালে এর মোট ক্ষমতা হয়ে দাঁড়ায় ৭৯৬৫ মেগাওয়াট।

Bruce Nuclear Generating Station

কানাডায় অবস্থিত এর পারমাণবিক চুল্লী বর্তমানে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ক্ষমতার দিক থেকে। মোট ক্ষমতা ৬২৩৪ মেগাওয়াট এবং চুল্লী Bruce Power এর নিয়ন্ত্রণে আছে।

বয়েলিং ওয়াটার রিয়েক্টর এর পরিবর্তে রয়েছে প্রেসারাইজড হেভি ওয়াটার রিয়েক্টর (PHWR) এবং এটি সংখ্যায় ৮টি। প্রত্যেকটি PHWR ৭৮৬ থেকে ৮৯১ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন। পুরো চুল্লীটি দুইটি অংশে বিভক্ত। Bruce 1 এবং Bruce 2.  ১৯৮৭ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করা হলেও ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত এর সকল  Bruce 1 এর কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।

 

Hanul Nuclear Power Plant

প্রথমে নাম ছিলো Ulchin, পরবর্তীতে কিছু পরিবর্তন এনে ২০১৩সালে নতুন করে নাম দেওয়া হয় Hanul Nuclear Power Plant. ৬১৮৯ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন এই চুল্লী থেকে গড় ক্ষমতা পাওয়া যায় প্রায় ৫৯০৮ মেগাওয়াট। প্রাথমিক অবস্থায় এটা  শুরু করা হয় ৬ টি প্রেসারাইজড ওয়াটার রিয়েক্টর দিয়ে। পরবর্তীতে আরো ২টি রিয়েক্টর যুক্ত করা হয়।  নতুন রিয়েক্টর গুলো এখনো কার্যকর করা হয় নি। এ বছরের মধ্যেই চালু করা হবে। মোট ৮ টি রিয়েক্টর চললে এই বছরে এর ক্ষমতা দাঁড়াবে ৮৬০৮ মেগাওয়াট। যা এই বছরের শেষে দখল করবে প্রথমস্থান।

Hanbit Nuclear Power Plant

৬১৬৪ মেগাওয়াট ক্ষমতা বিশিষ্ট এই পারমাণবিক চুল্লী অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ায়। স্থানীয় ভাষায় Yeonggwang Nuclear Power নামে পরিচিত। ৬টি প্রেশারাইজড ওয়াটার রিয়েক্টর দিয়ে তৈরি হলেও ২০১২ সালে এর ৩ টির মধ্যেই চির ধরা পরে। তখন কেবল বাকি তিনটি রিয়েক্টর কার্যকর ছিলো। কেবল ৮ মাস সময়ের মধ্যেই Korea Hydro & Nuclear Power (KHNP) ৩টি রিয়েক্টরকে কার্যকর করে তোলে।

Zaporizhzhia Nuclear Power Plant

গণনায় ৫ম এই চুল্লী ইউক্রেনে অবস্থিত। ৬০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন  হলেও এর থেকে উৎপাদন করা হয় ৫৭০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যেও রয়েছে ৬টি VVER-1000 প্রেসারাইজড ওয়াটার রিয়েক্টর।

গণনার বাইরে Fukushima Daini Nuclear Power Plant নিয়ে বলতে গেলে, এটি হলো ১০ম বৃহত্তর নিউক্লিয়ার চুল্লি। জাপানে অবস্থিত এই চুল্লী ২০১১ সালে বিধ্বস্ত  হয়। সুনামির ফলে তৈরি হওয়া ৯ মেগনিটিউডের ভূকম্পন ৩টি রিয়েক্টরকে সাথে সাথে ধ্বংস করে দেয়। এর ক্ষমতা ছিলো ৪২৬৮ মেগাওয়াট।

 

লেখকঃ

মোঃ আব্দুল্লা-আল-মামুন রুপম

ইন্সট্রাকটর, ইলেকট্রিক্যাল

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

গল্প থেকে শেখা, পর্ব – ৫

গল্প থেকে শেখা, পর্ব – ৫

গল্পের নাম: ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ

ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ

একটা ছোট ছেলে সে খুব রাগী ছিল সামান্য কারণেই লেগেছে যেতো।  তার বাবা তাকে একটি পেরেক ভর্তি ব্যাগ দিল এবং বলল যতবার তুমি রেগে যাবে  ততবার একটা করে পেরেক আমাদের পাশের বাগানের কাঠের বেড়াতে লাগিয়ে  আসবে। প্রথম দিনেই ছেলেটিকে বাগানে গিয়ে ৩৭ টি পেরেক মারতে হল। পরের সপ্তাহে ছেলেটি তার রাগকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারল। কাঠে নতুন পেরেকের সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে এলো সে বুঝতে পারল। হাতুড়ি দিয়ে কাঠের পেরাক মারার চেয়ে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ। 

শেষ পর্যন্ত সেই দিনটি এলো যেদিন তাকে একটি পেরেকও মারতে হলো না। সে তার বাবাকে এই কথা জানালো,  তার বাবা তাকে বলল,  যেসব দিন তুমি তোমার রাগ কে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করতে পারবে সেসব দিন তুমি একটি একটি করে পেরেক তুলে ফেলবে। 

অনেক দিন চলে গেল এবং ছেলেটি তার বাবাকে জানাল সব পেরেকই সে তুলে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। তার বাবা এবার তার হাত ধরে  তাকে নিয়ে বাগানে গেল এবং তাকে বলল-

“তুমি খুব ভালোভাবে তোমার কাজ সম্পন্ন করেছ। এখন তুমি তোমার রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে পারো। কিন্তু দেখো প্রতিটা কাঠে পেরেকের গর্তগুলো রয়ে গেছে। কাঠের বেড়াটি কখনো আগের অবস্থায় ফিরে যাবে না। যখন তুমি কাউকে রেগে গিয়ে কোন কিছু বল তখন তার মনে তুমি যে একটি পেরেক ঢুকিয়ে দিল।  তুমি কতটা দুঃখিত বলেছ তাতে কিছু যায় আসে না বরং ক্ষত টা থেকে যায়। 

 

গল্পের নীতিকথা 

তাই নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে শিখুন  এবং  লোকেদের কখন এমন কিছু বলবেন না যাতে আপনার পরে অনুশোচনা হতে পারে।  জীবনের কিছু জিনিস আছে যা আপনি ফিরে নিতে অক্ষম।

 

BSDI

আসুন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সম্পর্কে জানি

আসুন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সম্পর্কে জানি

ভোরের ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত প্রতি ক্ষেত্রেই আমরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করি কিন্তু এই বিদ্যুৎ কোথা থেকে উৎপাদন হয়, কিভাবে উৎপাদন হয়, এই বিষয়গুলো আসুন আমরা জানি আজকের আলোচনা থেকে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্র কী?

একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান যা যান্ত্রিক শক্তিকে থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। বেশিরভাগ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি এক বা একাধিক জেনারেটর ব্যবহার করে যা যান্ত্রিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তর করে যাতে সমাজের বৈদ্যুতিক প্রয়োজনের জন্য বৈদ্যুতিক গ্রিডকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে।

প্রায় সমস্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের  একটি জেনারেটর, একটি ঘূর্ণমান মেশিন আছে যা চৌম্বকীয় ক্ষেত্র এবং কন্ডাক্টরের মধ্যে আপেক্ষিক গতি তৈরি করে যান্ত্রিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে।

শক্তি উৎপাদনের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরণের বিদ্যুৎ কেন্দ্র

  • পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
  • ডিজেল বিদ্যুৎকেন্দ্র
  • কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র
  • সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র
  • বায়ু শক্তি কেন্দ্র

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি জলকে বাষ্পে পরিণত করতে চুল্লিগুলির তাপ ব্যবহার করে।তারপরে বাষ্পটি একটি টারবাইনের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়, যার সাহায্যে একটি জেনারেটরের চলাচল তৈরি করে, যার ফলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।

 

ডিজেল বিদ্যুৎকেন্দ্র

যখন জ্বালানি হিসেবে ডিজেল ব্যবহার করা হয় এবং এই জ্বালানি ব্যবহার করে প্রাইম মুভার কে ঘোরানো হয় এবং বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয় তখন তাকে ডিজেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বলে ।এটি সাধারণত কম বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় এরকম জায়গায় স্থাপিত হয় এবং অনেক সময় আমরা শিল্প কলকারখানা,ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন মার্কেটে এটি ব্যবহার করে থাকি।

 

 

 

কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র

একটি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি একইভাবে কাজ করে, তবে বাষ্প তৈরির জন্য পারমাণবিক চুল্লি গরম করার জল এর পরিবর্তে জ্বলন্ত কয়লা থেকে উত্তাপটি স্টিম টারবাইনকে শক্তি দেয়।

সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র

এখন আমরা জানবো একটি সৌরবিদ্যুত কেন্দ্র। এই ধরণের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি  বিদ্যুতে রূপান্তর করতে সূর্যের শক্তি ব্যবহার করে।এটি ফটোভোলটাইক বা পিভি প্যানেল ব্যবহার করে অর্জন করা হয়, যা বেশ কয়েকটি সেমিকন্ডাক্টর কোষ থেকে তৈরি যা সূর্যের তাপীয় শক্তি দ্বারা উষ্ণ হয়ে গেলে ইলেকট্রনগুলি প্রকাশ করে।

সৌর শক্তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম উপায় সৌর প্যানেল । সৌর প্যানেলগুলি গ্রিডের সাথে সংযুক্ত হয়ে যায় এবং একটি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংস্থার পরিপূরক হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।এগুলি ঘরোয়া পরিবেশেও ব্যবহার করা যেতে পারে এবং ব্যাটারিগুলির সাহায্যে কোনও জীবাশ্ম জ্বালানী না পোড়ানো ছাড়িয়ে পরিবারের জ্বালানি খরচ হ্রাস করতে পারে।

বায়ু শক্তি কেন্দ্র

সবশেষে আমরা জানবো উইন্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট সম্বন্ধে।উইন্ড পাওয়ার প্লান্ট বা উইন্ড টারবাইনগুলি জেনারেটরকে ব্লেডের সাথে সংযুক্ত করে বায়ু থেকে তাদের শক্তি অর্জন করে।বায়ু দ্বারা সৃষ্ট ব্লেডগুলির আবর্তনশীল আন্দোলন, একটি জেনারেটরকে শক্তি দেয়।

সৌরশক্তির মতো এগুলি শক্তি জীবাশ্ম জ্বালানী না পোড়ানো ছাড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।, তবে কার্যকরভাবে কার্যকর করতে আরও অনেক বেশি হার্ডওয়ারের প্রয়োজন হয় এবং আরও অনেকগুলি অংশ ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

পরিশেষে বলতে চাই আরো কয়েকটি মাধ্যমে  বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় কিন্তু সেগুলো ব্যাপকহারে প্রচলিত নয়।আমি অতি সংক্ষিপ্ত ভাবে বিষয়গুলো বোঝানোর চেষ্টা করেছি এই বিষয়গুলোকে ব্যাপকহারে জানতে অবশ্যই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করা দরকার।

 

লিখেছেন

মোঃ শফিকুল ইসলাম মিলন

ইন্সট্রাক্টর

ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট