হাউজ ওয়্যারিং এর খুটিনাটি

হাউজ ওয়্যারিং এর খুটিনাটি

 

এখন প্রায় সব ঘরেই বিদ্যুতের ছোঁয়া লেগেছে৷ গ্রামের অনেক ঘরেই এখন সুইচ টিপলে বাতি জ্বলে, ফ্যান চলে ও ফ্রিজ চলে৷ কিন্তু সুইচ টিপে বিদ্যুত বাতি জ্বালানো সহজ কাজ হলেও ঘরে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার কাজটি এত সহজ নয়৷ এর জন্য অনেক সময় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রির দরকার হতে পারে৷ আমরা সাধারণত কোন্ ঘরের কোথায় ফ্যান চলবে, কোথায় বাল্ব জ্বলবে তা আগে ঠিক করে নেই৷ তারপর সে অনুযায়ী মিস্ত্রির সাহায্যে বিদ্যুতের তার টেনে নেই৷ বিদ্যুত থাকা অবস্থায় বিদ্যুতের তার ধরা বিপদজনক৷ তাই কাজটি খুব সাবধানে করতে হয়৷ এক্ষেত্রে একজন  মিস্ত্রি বিদ্যুতের তারকে জায়গামত বন্টন করে৷ এই কাজকে আমরা বলি ঘরে বৈদ্যুতিক তার লাগানো বা হাউস ওয়্যারিং৷আর হাউস ওয়্যারিং বা নিয়মমত তারের সুন্দর বিতরণ ব্যবস্থা নানা ধরনের হতে পারে৷

হাউজ ওয়্যারিং কত প্রকার ?

আভ্যন্তরীণ বা ভিতরের ওয়্যারিং: ঘরের ভিতরে যে ওয়্যারিং করা হয় তাকে আভ্যন্তরীণ ওয়্যারিং বলে৷ এই ওয়্যারিং প্রধানত দুই ধরনের৷ যথা

১.কনসিলড ওয়্যারিং

২.ওপেন ওয়্যারিংঃ

 

১.কনসিলড ওয়্যারিংঃ হলো দেয়ালের ভিতরে যে ওয়্যারিং করা হয়৷ এই ওয়্যারিং পাইপের ভিতর দিয়ে করা হয়৷ ঘর তৈরির সময় এই ব্যবস্থা করে নিতে হয়৷ আর ওপেন বা সারফেস ওয়্যারিং হলো ঘরের দেয়ালের উপরে চ্যানেল বা পাইপের সাহায্যে যে ওয়্যারিং করা হয়৷

২. বাহ্যিক বা বাইরের ওয়্যারিংঃ  ঘরের বাইরে যে ওয়্যারিং করা হয় তাকে বাহ্যিক বা বাইরের ওয়্যারিং বলে৷ বিদ্যুতের মূল খুঁটি থেকে বাড়ির মিটার পর্যন্ত বিদ্যুত নেওয়ার জন্য এই ওয়্যারিং করা হয়৷

হাউজ ওয়্যারিং এর কাজ করার জন্য যা যা লাগবে

১.স্থায়ী জিনিসপত্র: এ কাজে এরকম জিনিসগুলো হলো-

 

প্লায়ার্স বা প্লাস

ড্রাইভার

এভো মিটার

ছুরি

কাঁচি

মেজারিং টেপ

স্টার স্ক্রু ড্রাইভার

হ্যাক-স

হ্যান্ড ড্রিল মেশিন

ইলেকট্রিক ড্রিল মেশিন

ইন্সুলেশন রিমোভার

হাতুড়ি

সাইড কাটিং পাস

ফ্লাট স্ক্রু ড্রাইভার

টেস্টার ও মেজারিং টেপ৷

 

এসব স্থায়ী জিনিসপত্র আমরা নিকটস্থ জেলা ও উপজেলা শহরের ইলেকট্রিক বা হার্ডওয়ারের দোকানে পাবো৷

২.নিয়মিত লাগে এমন জিনিসপত্র: হাউজ ওয়্যারিং এর কাজে আমাদের লাগবে পিভিসি বা প্লাস্টিক টেপ, হ্যাক-স ব্লেড বা লোহা কাটা ব্লেড, ওয়াল ড্রিল বিট (৬ মিলি মিটার), রঙিন চক, পেন্সিল ও সুতা৷ এদের মধ্যে প্রথম তিনটি জিনিস আমরা পাবো হার্ডওয়ারের দোকানে৷ আর চক, পেন্সিল ও সুতা যেকোনো স্টেশনারি দোকান থেকে কেনা যাবে৷

অন্যান্য জিনিসপত্র: হাউস ওয়্যারিং করার জন্য আরও কিছু জিনিসপত্র আমাদের লাগবে৷ যে বাড়িতে কাজ হবে তার মালিককে এসব জিনিস সংগ্রহ করতে হবে৷ নিচে এসব জিনিসের নাম দেওয়া হলো:

চীনা মাটির ফিউজ বা কাট আউট প্লাস্টিক প্লাস্টিক ফিউজ বা কাট আউট

মেইনসুইচ

এনার্জি মিটার

পিয়ানো সুইচ

টুপিন সকেট

টাম্বলার সুইচ

সিলিং রোজ

সিলিং রোজ বসানোর বোর্ড স্ক্রুরাওয়াল বা রয়েল প্লাগ

ব্যাটেন হোল্ডার

প্যানডেন্ট হোল্ডার

সুইচ বোর্ড

প্লাষ্টিক চ্যানেল

ফ্যান

বাল্ব

টিউব লাইট

টিউব ব্যালেস্ট

টিউব স্টার্টার

টিউব হোল্ডার

এক খেই বিশিষ্ট তারবহু খেই বিশিষ্ট তার।

 

হাউজ ওয়্যারিং এর কাজ কিভাবে করতে হবে?

হাউস ওয়্যারিং এর কাজ শুরু করার আগে আমাদের বিদ্যুত ও ওয়্যারিং সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে হবে৷ নিচে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো:

 

 

ক. বিদ্যুত সর্ম্পকিত বিষয়সমূহ:

 

১. বিদ্যুত কি: বিদ্যুত এক প্রকার শক্তি৷ এই শক্তি চোখে দেখা যায় না কিন্তু অনুভব করা যায়৷ এজন্য বিদ্যুত চলাচল করে এমন কোনো তারের উপর হাত দিলে আমাদের ধাক্কা খেতে হয়৷ অথবা বিদ্যুতের তার আমাদের টেনে ধরে রাখে৷ কোন তারে হাত দিলে আমরা যদি এমন অদৃশ্য শক্তি অনুভব করি, তাহলে বুঝতে হবে ঐ তারে বিদ্যুত আছে৷ এই অদৃশ্য শক্তিই হল বিদ্যুত শক্তি৷ এই শক্তি দুটি তারের মধ্য দিয়ে চলাচল করে৷ তার দুটি হল ফেজ এবং নিউট্রাল৷

 

২. ফেজ কি: বিদ্যুত আছে এমন দুটি তারের মধ্যে যে তারটির খোলা অংশে টেস্টার ধরলে টেস্টারের লাইট জ্বলে ওঠে, সেই তারটিকে ফেজ বলে৷ এই তারটির মধ্য দিয়ে বিদ্যুত চলাচল করে৷ বিদ্যুতের যে কোন কাজ করার সময় লাল তার দিয়ে ফেজ বোঝানো হয়৷

 

৩. নিউট্রাল কি: বিদ্যুত আছে এমন তারের যে তারটিতে টেস্টার ধরলে টেস্টারের লাইট জ্বলে না সেই তারকে নিউট্রাল বলে৷ বৈদ্যুতিক কাজ করার সময় কালো তার দিয়ে নিউট্রাল বোঝানো হয়৷

 

৪. আর্থিং কি: আর্থিং অর্থ মাটির সাথে তারের সংযোগ করা৷ হাউস ওয়্যারিং করার সময় অবশ্যই আর্থিং করতে হবে৷ এর ফলে বৈদ্যুতিক শক বা আঘাতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়৷ সেইসাথে বৈদ্যুতিক মেশিনপত্র পুড়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচানো যায়৷ আর্থিং করার এই কাজটি বিদ্যুত অফিসের লোকজন করে দিয়ে যান৷ মেইন সুইচের যে জায়গায় এই চিহ্নটি থাকে সেখানে আর্থিং এর তার সংযোগ দিতে হয়৷

 

খ. ওয়্যারিং সর্ম্পকিত বিষয়সমূহ:

১. এনার্জি মিটার: যে যন্ত্র বিদ্যুত  খরচের হিসাব রাখে, তার নাম এনার্জি মিটার৷ এই মিটারের নিচ বরাবর চারটি পয়েন্ট থাকে৷ বাম দিক থেকে পয়েন্ট চারটি হল ১, ২, ৩, ৪ ৷ ১ নম্বর পয়েন্টে ফেজের তার লাগানো হয়৷ ২ নম্বর পয়েন্টে নিউট্রালের তার লাগানো হয়৷ বিদ্যুতের মেইন লাইন থেকে এই  তার দুটি টেনে মিটারে লাগানো হয়৷ এই তার বিদ্যুত অফিসের লোকজন লাগিয়ে দিয়ে যান৷ একইভাবে ৩ নম্বর পয়েন্টে নিউট্রালের তার এবং ৪ নম্বর পয়েন্টে ফেজের তার লাগানো হয়৷ পরবর্তীতে ৩ নম্বর ও ৪ নম্বর তার দুটি টেনে নিয়ে মেইন সুইচে লাগানো হয়।

 

২. মেইন সুইচ ও কাট আউট: যে সুইচ থেকে বাড়ির বিদ্যুত ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ হয় তাকে মেইন সুইচ বলে৷ মেইন সুইচেও চারটি  পয়েন্ট থাকে৷ এই পয়েন্ট চারটি দুটি কাট আউটের৷ চারটি পয়েন্টের মধ্যে উপরে দুটি এবং নিচে দুটি পয়েন্ট থাকে৷ বাড়ি-ঘরে সাধারণত ৩০ এম্পিয়ারের মেইন সুইচ লাগে৷ মেইন সুইচ বন্ধ করলে বাড়ির কোথাও বিদ্যুত থাকে না৷ লাইট জ্বালানো বা টিভি ফ্রিজ চালানোর জন্য বিদ্যুত দরকার হয়৷ এই বিদ্যুত কখনও খুব বেশি, কখনও খুব কম আবার কখনও বা স্বাভাবিক চলাচল করে৷ বিদ্যুত যখন খুব বেশি চলাচল করে তখন টিভি বা ফ্রিজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে৷ সেজন্য কাট আউট লাগানো হয়৷ বিদ্যুত বেশি চলাচল করলে কাট আউটের ভিতরের তার  কেটে যায়৷ তাতে টিভি, ফ্রিজ বা বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতি রক্ষা পায়৷ এই কাট আউট থাকে মেইন সুইচের ভিতরে৷ একটি মেইন সুইচে ২টি কাট আউট থাকে৷ প্রতিটি কাট আউটের উপরে একটি আর নিচে একটি পয়েন্ট থাকে৷ আমরা আগেই জেনেছি মিটারের ৪টি পয়েন্ট থাকে৷ এই ৪টি পয়েন্টের মধ্য থেকে ৩ নম্বর (নিউট্রাল) ও ৪ নম্বর (ফেজ) পয়েন্টের তার ২টি মেইন সুইচের কাট আউটের নিচের ২টি পয়েন্টের সাথে লাগাতে হয়৷ এরপর কাট আউটের উপরের ২টি পয়েন্টে আবার একইভাবে ফেজ ও নিউট্রালের তার লাগাতে হয়৷

 

৩. তার ও তারের রঙ: হাউস ওয়্যারিং-এর কাজ করার জন্য সাধারণত ৩/২২ ও ৭/২২ গেজের তার ব্যবহার করা হয়৷ বাজারে প্রধানত ৩ রঙের তার পাওয়া যায়৷ যেমন- লাল, কালো ও সবুজ৷ এদের মধ্যে লাল রঙের তারটি ফেজ হিসাবে, কালো রঙের তারটি নিউট্রাল হিসাবে আর সবুজ রঙের তারটি আর্থিং হিসাবে ব্যবহার করা হয়৷

 

৪. চ্যানেল: যে জিনিসটির ভিতর দিয়ে তার এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নেওয়া হয় তাকে চ্যানেল বলে৷ প্লাস্টিকের তৈরি এই চ্যানেল চারকোণা আকারের হয় যার দুটি অংশ থাকে৷ এর মধ্যে একটি অংশ দেয়ালে লাগানো হয়৷ দেয়ালে লাগানো অংশটির উপর দিয়ে তার টানা হয়৷ তারপর আরেকটি চ্যানেল ঢাকনা হিসেবে নিচের চ্যানেলের উপর লাগানো হয়৷ বাজারে আধা ইঞ্চি, পৌনে এক ইঞ্চি, এক ইঞ্চি ও দেড় ইঞ্চি চওড়া চ্যানেল পাওয়া যায়৷ এগুলো লম্বায় ৬ ফুট হয়৷

 

৫. রাওয়াল বা রয়েল প্লাগ: দেওয়ালে সব ধরনের স্ক্রু লাগানোর সময় রাওয়াল প্লাগ ব্যবহার করা হয়৷ দেয়ালের ছিদ্রে রাওয়াল প্লাগ ঢুকিয়ে এর মধ্যে স্ক্রু ঢুকানো হয়৷ দেয়ালে বিভিন্ন জিনিস আটকানোর জন্য স্ক্রুর সহযোগী হিসেবে রাওয়াল  প্লাগ ব্যবহার করা হয়৷

 

৬. স্ক্রু : হাউস ওয়্যারিং-এর সময় দেয়ালে চ্যানেল, সুইচবোর্ড ও হোল্ডার আটকানোর জন্য স্ক্রু ব্যবহার করা হয়৷ ওয়্যারিং-এর জন্য সাধারণত সোয়া এক ইঞ্চি মাপের স্ক্রু লাগে৷

 

এখন আমরা জানবো হাউস বা বাড়ি ওয়্যারিং করার ধাপগুলো কি কি৷ একজন ওয়্যারিং মিস্ত্রি চারটি ধাপে হাউস ওয়্যারিং-এর কাজ করেন৷ ধাপ চারটি হচ্ছে-

 

মিটারের পয়েন্ট থেকে লাইন টেনে মেইন সুইচে নিয়ে আসামেইন সুইচ থেকে লাইন টেনে জয়েন্ট বক্সে নিয়ে আসাজয়েন্ট বক্স থেকে লাইন টেনে ঘরের সুইচ বোর্ডে নিয়ে আসা,  এবংসুইচ বোর্ড ও জয়েন্ট বক্স থেকে লাইন টেনে বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া৷

 

ওপেন ওয়্যারিং কিভাবে করতে হয় ?

সাধারণত ঘরের যেসব জায়গায় সকেট, বাল্ব, টিউব লাইট, ফ্যান ইত্যাদি থাকে সেসব জায়গাকে পয়েন্ট বলে৷ বাড়ি ওয়্যারিং এর জন্য মেইন লাইন থেকে বিদ্যুতের তার বাড়ির মিটারে আনতে হবে৷ এই কাজটি বিদ্যুত অফিসের লোকজন করেন৷ হাউস ওয়্যারিং-এর কাজ শেষ হলে তারা মেইন লাইন থেকে তার টেনে মিটারে সংযোগ দিয়ে যাবেন৷ এরপর সুইচ অন করলেই বিদ্যুত চলে আসবে৷ আসলে বাড়ির মালিকের চাহিদা ও পছন্দ মত ওয়্যারিং মিস্ত্রীর কাজ করতে হয়৷ বাড়ির মালিক হাউস ওয়্যারিং-এর সমস্ত জিনিসপত্র সরবরাহ করেন৷ যেমন- মেইন সুইচ, তার, সুইচ বোর্ড, সুইচ, সকেট, চ্যানেল ইত্যাদি৷ একজন ওয়্যারিং মিস্ত্রী এসব জিনিস ব্যবহার করে ঘর ওয়্যারিং করে দেন৷

 

আমরা এখন ওপেন ওয়্যারিং কিভাবে করতে হবে সে সম্পর্কে জানব৷ কারণ ঘর বা বাড়িতে চ্যানেল ওয়্যারিং করা নিরাপদ এবং সহজ৷ একটি ঘর ওয়্যারিং করার জন্য প্রথমেই আমাদের জানতে হবে ঐ ঘরে কয়টি পয়েন্ট হবে৷ ঘরের যেসব জায়গায় লাইট, ফ্যান, টেলিভিশন ইত্যাদি সংযোগ দেওয়া হয় তাকে একেকটি পয়েন্ট বলে৷ একটি ঘরে সাধারণত পাঁচটি পয়েন্ট থাকে৷ তবে প্রয়োজন অনুযায়ী পয়েন্ট কম বা বেশি হতে পারে৷ ঘরের কোথায় লাইট বা ফ্যান থাকবে আর কোথায় টিভির জন্য সকেট থাকবে তা আমাদের ঠিক করে নিতে হবে৷ আর এই পয়েন্ট অনুযায়ী জিনিসপত্রের হিসাব দেবেন মিস্ত্রি৷ যেমন- কোন সাইজের কতটুকু তার লাগবে, চ্যানেল লাগবে, কয়টি সুইচ বোর্ড ও সুইচ লাগবে ইত্যাদি৷ এখানে বলে নেওয়া ভালো ১২ ফুট বাই ১৫ ফুট মাপের একটি ঘর ওয়্যারিং করার জন্য আনুমানিক ৪০ গজ তার লাগে৷ চ্যানেল লাগে ৭ টি৷ সুইচ লাগে ৩/৪টি৷ সকেট লাগে ২টি, হোল্ডার লাগে ২টি এবং সিলিং রোজ লাগে ২টি৷ এখন কি কি কাজ করতে হবে তা ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো:

 

১. পয়েন্ট ও জয়েন্ট বক্সের জায়গা তৈরি করা: একটি ঘরে কয়টি পয়েন্ট এবং জয়েন্ট বক্স থাকবে তা প্রথমেই ঠিক করে নিব৷ ধরা যাক একটি ঘরে পাঁচটি পয়েন্ট এবং একটি জয়েন্ট বক্স থাকবে৷ এক্ষেত্রে যেভাবে ওয়্যারিং করতে হবে তা নিচে উল্লেখ করা হল –

 

দেয়ালের যেসব স্থান দিয়ে চ্যানেলের তার বিভিন্ন পয়েন্টে যাবে সেসব স্থান প্রথমেই রঙিন চক বা পেন্সিলের সাহায্যে দাগ দিয়ে নিতে হবে৷ তারপর ঐ দাগের উপর আটকানোর জন্য স্ক্রু পয়েন্ট পেন্সিল দিয়ে চিহ্ন দিতে হবে৷ দেয়ালে চ্যানেল আটকানোর জন্য সাধারণত এক ফুট পর পর স্ক্রু লাগানো হয়৷এরপর ঐ দাগের উপর মেজারিং টেপ অথবা গজ ফিতা দিয়ে মেপে দেখতে হবে এক পয়েন্ট থেকে আরেক পয়েন্ট পর্যন্ত মোট কত ইঞ্চি অথবা কত ফুট চ্যানেল লাগবে৷ চ্যানেলের নিচের অংশ হ্যাক -স ব্লেড দিয়ে মাপ কত কেটে নিতে হবে৷ এখন ড্রিল মেশিন, চ্যানেল রাওয়াল প্লাগ, স্ক্রু ড্রাইভার আর একটি টুল হাতের কাছে রাখতে হবে৷ কারণ হাউজ ওয়্যারিং করার সময় এ সব জিনিস লাগবে৷চ্যানেল ও জয়েন্ট বক্স সাধারণত ঘরের মেঝে থেকে দেয়ালের আট ফুট উপরে বসানো হয়৷ আর সুইচ বোর্ড লাগানো হয় ঘরের মেঝে থেকে সাড়ে চার ফুট উপরে৷

 

২. দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে চ্যানেল বসানো: ঘর ওয়্যারিং করার জন্য দেয়ালে আগে বসিয়ে নিতে হবে৷ তারপর এর ভিতরে দিয়ে বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ দিতে হবে৷ এখন আমরা জানব দেয়ালে কিভাবে চ্যানেল বসাতে হয়

 

কিভাবে পয়েন্ট লাগানোর কাজ করবেন?

 

প্রথমে হ্যান্ডড্রিল মেশিন নিতে হবে৷ মেশিনের মুখে ৬ মিলিমিটার মাপের ওয়াল বিট লাগাতে হবে৷ তারপর পেন্সিল বা চক দিয়ে চিহ্ন করা স্ক্রু পয়েন্টের উপর ড্রিল বিটের মুখ রাখতে হবে৷তারপর মেশিনের হ্যান্ডেল  ডান দিকে ঘুরিয়ে দেয়াল দেড় ইঞ্চি পরিমাণ ছিদ্র করতে হবে৷ ঐ ছিদ্রের মধ্যে রাওয়াল প্লাগ ঢুকিয়ে  দিতে হবে৷চ্যানেলের কভারটি খুলে নিতে হবে৷ এবার চ্যানেলের নিচের অংশটি দেয়ালে চিহ্নিত দাগের ঠিক নিচ বরাবর ধরতে হবে৷ তারপর পেন্সিল বা ড্রাইভারের মাথা দিয়ে চ্যানেলের উপর স্ক্রু পয়েন্ট বরাবর দাগ বা চিহ্ন দিতে হবে৷এবার চ্যানেলটি একটি কাঠের উপর রাখতে হবে৷ তারপর চ্যানেলের ঠিক মাঝ বরাবর চিহ্নিত পয়েন্ট ড্রিল মেশিন দিয়ে ছিদ্র করতে হবে৷ এরপর চ্যানেলটি দেয়ালের ছিদ্র বরাবর বসাতে হবে৷তারপর সোয়া এক ইঞ্চি মাপের স্ক্রু নিয়ে স্ক্রু গুলো চ্যানেলের ছিদ্র দিয়ে দেয়ালের ছিদ্র বরাবর ঢুকাতে হবে৷ তারপর স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে স্ক্রুগুলো চ্যানেলের উপর ভালোভাবে এঁটে দিতে হবে৷ দেয়ালের সব জায়গায় এই নিয়মে চ্যানেলের নিচের অংশটি বসাতে হবে৷ওয়্যারিং এর সময় কখনও কখনও চ্যানেলের ভিতর দিয়ে ২টি তার টানা হয়৷ দুটি তার টানলে সেখানে পৌনে এক ইঞ্চির চ্যানেল লাগবে৷ আবার কখনো চ্যানেলের ভিতর দিয়ে ৪ থেকে ৫টি তার টানা হয়৷ ৪/৫টি তার টানলে ১ ইঞ্চি চওড়া চ্যানেল লাগবে৷ আর ৪/৫ টির বেশি তার টানতে হলে সেখানে দেড় ইঞ্চির চ্যানেল লাগবে৷ এবার মেইন সুইচ থেকে চ্যানেল বসানোর কাজ শুরু করতে হবে৷

 

৩. জয়েন্ট বক্স লাগানো: এজন্য মেইন সুইচ থেকে চ্যানেলটি লাগিয়ে জয়েন্ট বক্স পর্যন্ত নিয়ে আসতে হবে৷ এবার চার ইঞ্চি বাই চার ইঞ্চি মাপের একটি জয়েন্ট বক্স নিতে হবে৷ জয়েন্ট বক্সের দুটি স্ক্রু পয়েন্ট থাকে৷ নিচের অংশটি দেয়ালের উপর বসিয়ে দুটি স্ক্রু পয়েন্ট দেয়ালে চিহিৃত করে নিতে হবে৷ তারপর ড্রিল মেশিন দিয়ে দেয়ালে চিহ্নিত জায়গায় ছিদ্র করে ফেলতে হবে৷ এবার ছিদ্রগুলোর মধ্যে রাওয়াল প্লাগ ঢুকিয়ে এর উপর জয়েন্ট বক্সটি বসাতে হবে৷ এরপর জয়েন্ট বক্সের ছিদ্র বরাবর ২টি স্ক্রু ঢুকিয়ে দিতে হবে৷ তারপর স্ক্রু  ড্রাইভার দিয়ে স্ক্রু গুলো এঁটে দিতে হবে৷

 

৪. বাল্ব পয়েন্ট লাগানো: জয়েন্ট বক্সের অন্যদিকে আরেকটি চ্যানেল বসিয়ে দেয়ালে বাল্বের পয়েন্ট পর্যন্ত নিয়ে আসতে হবে৷ এই চ্যানেলের শেষ মাথায় ব্যাটেন হোল্ডার ধরতে হবে যার দুটি স্কু পয়েন্ট থাকে৷ হোল্ডারের স্কু পয়েন্ট দুটি দেয়ালে চিহ্নিত করে নিয়ে চিহিৃত জায়গায় ড্রিল মেশিন দিয়ে ড্রিল করতে হবে৷

 

৫. সকেট পয়েন্ট লাগানো: এবার জয়েন্ট বক্স থেকে সকেট পয়েন্ট পর্যন্ত প্রয়োজনীয়  চ্যানেল আগের নিয়মে বসাতে হবে৷ এরপর সকেট পয়েন্টের সুইচ বোর্ডের নিচের অংশটি নিতে হবে৷ এবার জয়েন্ট বক্সের নিচের অংশের মত সুইচ বোর্ডের নিচের অংশ স্ক্রু দিয়ে দেয়ালে লাগাতে হবে৷ এই সকেট পয়েন্ট থেকে সব বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি চালানো যায়৷

 

৬. টিউব লাইটের পয়েন্ট লাগানো: এজন্য প্রথমে হাফ ইঞ্চি চ্যানেল নিতে হবে৷ চ্যানেলটি জয়েন্ট বক্সের বাম দিক থেকে টিউব লাইটের পয়েন্ট পর্যন্ত বসিয়ে ফেলতে হবে৷ তারপর সিলিং রোজ বসানোর বক্সটি হাতে নিতে হবে৷ এবার দেয়ালে বসানোর চ্যানেলটির ঠিক নিচের মুখে সিলিং রোজের বক্সটি বসাতে হবে৷ তারপর সিলিং রোজ দেয়ালে বসানোর জন্য বক্সের স্ক্রু পয়েন্ট দেয়ালে চিহ্নিত করে নিতে হবে৷ এবার দেয়াল ড্রিল করে ফেলার পর রড লাইট বা টিউব লাইটের ফ্রেমটি নিতে হবে৷ ফ্রেমটি সিলিং রোজের ৫ ইঞ্চি নিচে  আড়াআড়িভাবে বসাতে হবে৷ এবার স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে ফ্রেমের ৩টি স্কু পয়েন্ট দেয়ালে চিহ্নিত করে নিতে হবে৷ তারপর দেয়াল ড্রিল করতে হবে৷

 

৭. ফ্যানের পয়েন্ট লাগানো: এজন্য আমাদের একটি হাফ ইঞ্চি চ্যানেল নিতে হবে৷ চ্যানেলটি জয়েন্ট বক্সের উপরের দিকে থেকে ফ্যানের পয়েন্ট পর্যন্ত বসিয়ে ফেলতে হবে৷ এবার সিলিং রোজের একটি বক্স নিয়ে আগের নিয়মে সিলিং রোজের বক্স বসানোর জন্য স্কু পয়েন্ট দেয়ালে চিহিৃত করে নিতে হবে৷ তারপর দেয়াল ড্রিল করে সিলিং রোজ বসাতে হবে৷

 

৮. সুইচ বোর্ড লাগানো: দেড় ইঞ্চি চওড়া চ্যানেল নিয়ে জয়েন্ট বক্সের নিচের ঠিক মাঝ বরাবর থেকে তা প্রধান সুইচ বোর্ড পর্যন্ত বসাতে হবে৷ অর্থাৎ যে সুইচ বোর্ডে ফ্যান, লাইট ইত্যাদির সুইচ এবং সকেট থাকবে সেই বোর্ড পর্যন্ত চ্যানেল বসাতে হবে৷ তারপর আগের নিয়মে সুইচ বোর্ডের নিচের অংশ দেয়ালে লাগাতে হবে৷

 

ঌ. তার ও ক্যাবল জোড়া লাগানো: একটি তারের সাথে এক বা একাধিক তারের সংযোগ দিয়ে হাউজ ওয়্যারিং করতে হয়৷ হাউজ ওয়্যারিং করার জন্য প্রধানত ৩/২২ ও ৭/২২ মাপের তার ব্যবহার হয়৷ এসব তারের উপর একটি আবরণ থাকে৷ আবরণের ভিতরে এক খেই এবং বহু খেই বিশিষ্ট ধাতব তার থাকে৷ আবরণের মধ্যে তারের একেকটি মুখকে একেকটি খেই বলে৷ দুটি তারের খেইগুলোকে যখন জোড়া দেওয়া হয় তখন তাকে জয়েন্ট বলে ৷ এই কাজের জন্য তিন ধরনের জয়েন্টের প্রয়োজন হয়৷ যেমন:

 

১. পিগ টেইল জয়েন্ট: এটি দুটি তারের খেইগুলোর পাশাপাশি জয়েন্ট৷ এজন্য আমরা খেইগুলো পাশাপাশি রেখে ডানদিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তার জোড়া দেবো৷

 

২. বেল হ্যাঙ্গার জয়েন্ট: দুটি তারের খেইগুলোর মুখোমুখি জয়েন্ট দেওয়াকে বেল হ্যাঙ্গার জয়েন্ট বলে৷ এজন্য আমরা তার দুটির খেইগুলো মুখোমুখি ধরে ভালোভাবে পেঁচিয়ে জয়েন্ট দিবো৷ এটা সব ধরনের ওয়্যারিং এ ব্যবহার করা হয়৷

 

৩. মোড়ানো টেপ জয়েন্ট বা টি জয়েন্ট: বেল হ্যাঙ্গার জয়েন্টের উপর নতুন কোনো তারের যে জয়েন্ট দেওয়া হয় তাকেই মোড়ানো টেপ জয়েন্ট বলে৷

 

মিটার ও মেইন সুইচের নিচের পয়েন্টের সাথে সংযোগ

 

 

প্লায়ার্স দিয়ে তার দুটো থেকে ১ ফুট করে কেটে নিতে হবে৷ তারপর রিমোভার দিয়ে তার দুটির মুখের ইন্সু্লেশন কেটে নিতে হবে৷ এরপর মিটারের সাথে তার দুটি জোড়া লাগাতে হবে৷কালো তারের একটি মুখ মিটারের নিচের ৩ নং পয়েন্টে ঢুকিয়ে দিতে হবে৷ অপর মুখটি মেইন সুইচের বামপাশের কাট আউটের নিচের পয়েন্টে ঢুকিয়ে স্ক্রু দিতে হবে৷এরপর ৪ নং তারটির অপর মুখটি মেইন সুইচের ডানপাশের কাট আউটের নিচের পয়েন্টে ঢুকিয়ে স্ক্রু এঁটে দিতে হবে৷

 

 

মেইন সুইচের কাট আউটের উপরের পয়েন্টের সাথে সংযোগ

 

হাতে থাকা লাল ও কালো তার দুটির এক মুখের ইন্সুলেশন ১ ইঞ্চির মত কেটে নিতে হবে৷ তারপর লাল তারটির মুখ ডান পাশের কাট আউটের উপরের পয়েন্টে ঢুকিয়ে স্ক্রু এঁটে দিতে হবে৷

 

 

চ্যানেলের ভিতর তার বসানো

 

এরপর দেয়ালে লাগানো চ্যানেলের উপর দিয়ে লাল ও কালো তার দুটি টেনে আনতে হবে৷ ঢাকনাটি চ্যানেলের নিচের অংশের উপর বসিয়ে চাপ দিলেই দুটি অংশ সুন্দরভাবে লেগে যাবে৷ তারগুলোও এলোমেলো হবে না বা ঝুলে যাবে না৷

 

 

জয়েন্ট বক্সের সাথে সংযোগ

 

 

এখন মেইন সুইচের কাট আউটের উপরের মুখে লাগানো লাল ও কালো তার দুটি টেনে জয়েন্ট বক্স পর্যন্ত নিয়ে আসতে হবে৷ তারপর তার দুটি ৬ ইঞ্চির মত কেটে নিতে হবে৷ আর হাতে থাকা তার দুটির ইন্সুলেশনও ১ ইঞ্চির মত কেটে নিতে হবে৷ এবার লালের সাথে লাল ও কালোর সাথে কালো তারের মুখ বেল হ্যাঙ্গার জয়েন্ট দিয়ে আটকে দিতে হবে৷

 

 

সকেট পয়েন্টের সাথে সংযোগ

 

 

এরপর তারদুটি চ্যানেলের মাঝখান দিয়ে টেনে সকেট পয়েন্টের কাছে নিতে হবে৷সাথে সাথে আগের নিয়মে চ্যানেলের উপরের অংশ চাপ দিয়ে চ্যানেলের সাথে লাগিয়ে দিতে হবে৷ সুইচ বোর্ডে তার ঢুকানোর জায়গা দিয়ে তারদুটির মুখ ঢুকাতে হবে৷ তারপর বোর্ডের মধ্যে ৪ ইঞ্চির মত তার বেশি রেখে বাকিটা কেটে নিতে হবে৷এরপর একটি টু-পিন সকেট ও সুইচ নিয়ে বোর্ডের উপর বসিয়ে দিতে হবে৷ বোর্ডটি উল্টিয়ে নিয়ে তারদুটির ইন্সুলেশন কেটে লাল তারটির মুখ সুইচের উপরের নাটবল্টুর মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে হবে৷ তারপর নাটটি এঁটে দিতে হবে৷কালো তারটির মুখ সকেট পয়েন্টের নিচের নাটবল্টুর মধ্যে ঢুকিয়ে নাটটি এঁটে দিতে হবে৷ এবার দেড় ইঞ্চি বিশিষ্ট এক খেইয়ের একটি তার নিয়ে তার মুখদুটির ইন্সু্লেশন কেটে নিতে হবে৷ কাটা তারটির এক মুখ সুইচের নিচের নাটবল্টুর মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে হবে৷ অপর মুখটি সকেটের উপরের নাটবল্টুর মধ্যে কোণাকুণিভাবে ঢুকিয়ে স্ক্রু দুটি এঁটে দিতে হবে৷ এবার সুইচ বোর্ডটি দেয়ালে লাগানো বোর্ডের সাথে লাগিয়ে দিতে হবে৷

 

জয়েন্ট বক্সে সুইচ বোর্ডের তারের সাথে সংযোগ

 

হাতে থাকা লাল ও কালো তারের মুখের ইন্সু্লেশন একই নিয়মে কেটে নিতে হবে৷ এবার জয়েন্ট বক্সের নিচ বরাবর একটি টুল রেখে তাতে দাঁড়িয়ে প্রথমে বেল জায়েন্টের মুখে কাটা লাল ও কালো তার দুটির মুখ নিতে হবে৷ জায়েন্টের উপরের লাল তারের সাথে মুখের লাল তার ও কালো তারের সাথে কালো তারের মোড়ানো ট্যাপ জোড়া দিতে হবে৷

 

সুইচ বোর্ডে জয়েন্ট বক্সের তার নেওয়া

 

এরপর চ্যানেলের মাঝখান থেকে ফেজ ও নিউট্রালের তারদুটি টেনে দরজার পাশের প্রধান সুইচবোর্ডে আনতে হবে৷ বোর্ডের মধ্যে আগেই ৫/৬ ইঞ্চির মত তার বেশি রেখে বাকিটা কেটে নিতে হবে৷

 

সুইচ বোর্ডে সুইচ লাগানো

 

বাল্ব, টিউব লাইট, ফ্যান ও সকেটের জন্য একটি করে ৪ টি সুইচ, ১ টি ফিউজ ও ১ টি টু-পিন সকেট নিতে হবে৷ এরপর এসব জিনিসগুলো সুইচ বোর্ডের উপর সমান করে বসাতে হবে৷ বোর্ড সুইচটি উপরে ও নিচে আটকিয়ে রাখার নাটগুলো বসিয়ে দিতে হবে৷

 

 

 

সুইচে এক খেইবিশিষ্ট তার লাগানো

এবার বোর্ডটি উল্টিয়ে নাটগুলো ভালোভাবে লাগাতে হবে৷ সুইচের নিচের বল্টুর নাটটি স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে ঢিলা করে নিতে হবে৷ ইন্সু্যলেশন ছাড়া চার ইঞ্চি বিশিষ্ট এক খেইয়ের একটি তার নিয়ে তা প্রতিটি সুইচের নিচের ছিদ্র দিয়ে সকেট পয়েন্টের আগ পর্যন্ত ঢুকিয়ে দিতে হবে৷ সুইচের নিচের নাটগুলো এঁটে দিতে হবে৷

 

সকেটের নিচের ও সুইচের উপরের পয়েন্টে তারের সংযোগ

 

এখন প্লায়ার্স বা কাঁচি দিয়ে কালো তার থেকে দেড় ইঞ্চি তার কেটে নিতে হবে৷ কাটা তারের এক মুখ সকেটের নিচের নাটবল্টুর মধ্যে ঢুকিয়ে নাট এঁটে দিতে হবে৷ অপর মুখটি কোণাকুণিভাবে সকেটের পাশের সুইচের উপরের বল্টুর মধ্যে ঢুকিয়ে নাট এঁটে দিতে হবে৷

 

সকেট ও ফিউজের উপরের পয়েন্টে তারের সংযোগ

 

জয়েন্ট বক্স থেকে আসা লাল তারটি ফিউজের উপরের পয়েন্টে ও কালো তারটির মুখ সকেটের উপরের পয়েন্টে ঢুকিয়ে দিতে হবে৷ এরপর ফিউজ ও সকেটের নাট ড্রাইভার দিয়ে এঁটে দিতে হবে৷

 

সুইচে ফেজের তার সংযোগ

 

সুইচ বোর্ড থেকে বাল্ব, টিউব লাইট ও ফ্যানের পয়েন্ট পর্যন্ত ৩ টি লাল তার মেপে নিতে হবে৷ তার ৩ টির দুই মুখের ইন্সুলেশন আধা ইঞ্চি পরিমাণ কাটতে হবে৷ তারপর তাদের মুখ বোর্ডের ৩ টি সুইচের উপরের বোল্টে একটা একটা করে এঁটে দিতে হবে৷

 

 

সিলিং রোজে তারের সংযোগ

 

রোজটির বাটিটি বাম দিকে ঘুরিয়ে খুলে ফেলতে হবে৷ তারপর রোজটি উল্টো করে হাতের উপর রাখতে হবে৷ টিউব পয়েন্টে রাখা লাল তারটি রোজের বাম পাশের পয়েন্টে ও কালো তারটি ডান পাশের পয়েন্টে ঢুকিয়ে নাট দুটি এঁটে দিতে হবে৷এবার দেয়ালে লাগানো রোজের বক্সের উপর রোজটি বসাতে হবে৷ তারপর রোজের দুই পাশের স্ক্রু লাগিয়ে দিতে হবে৷

 

 

 

বাল্ব পয়েন্টে তারের সংযোগ

 

মেইন সুইচ বোর্ডের দ্বিতীয় সুইচে লাগানো লাল তারটি একইভাবে বাল্ব পয়েন্ট পর্যন্ত নিয়ে আসতে হবে৷ তারপর জয়েন্ট বক্স থেকে টিউব পয়েন্ট পর্যন্ত কালো তার মেপে কেটে নিতে হবে৷তারটির এক মুখ জয়েন্ট বক্সের কালো তারের সাথে প্লায়ার্স দিয়ে পিগ টেইল জয়েন্টে দিতে হবে৷ আগের নিয়মে তা বাল্ব পয়েন্ট পর্যন্ত নিয়ে আসতে হবে৷ সেই সাথে চ্যানেলের কভারটিও লাগিয়ে ফেলতে হবে৷

 

ফ্যানের রেগুলেটরে তারের সংযোগ

এজন্য ফ্যানের সুইচের তারটি সুইচ থেকে ৬ ইঞ্চি কেটে নিতে হবে৷ কাটা তারের দুই মুখের সাথে ৮ ইঞ্চির মত দুটি তারের বেল হ্যাঙ্গার জোড়া দিতে হবে৷তারপর ৮ ইঞ্চি তারদুটির অপর দুই মুখ ফ্যানের রেগুলেটরের পয়েন্টদুটিতে লাগিয়ে দিতে হবে৷ দেয়ালে লাগানো বোর্ডটির সাথে সুইচ বোর্ডটি সোজা করে লাগিয়ে দিতে হবে৷

 

টিউব লাইটের পয়েন্টে তারের সংযোগ

এজন্য বোর্ডের বাম সুইচে লাগানো লাল তারটি চ্যানেলের মাঝ দিয়ে টেনে টিউব লাইটের পয়েন্ট পর্যন্ত নিতে হবে৷ তারপর জয়েন্ট বক্স থেকে পয়েন্ট পর্যন্ত কালো তার মেপে কেটে নিতে হবে৷ তারটির একটি মুখ বক্সের নিউট্রাল তারের মুখে নিয়ে দুটি তারকে পিগ টেইল জয়েন্ট দিতে হবে৷একইভাবে কালো তারটি নিয়েও এই কাজ করতে হবে৷ তারপর চ্যানেলের কভার লাগাতে হবে৷ সেইসাথে সিলিং রোজ বসানো বক্সটি স্ক্রু দিয়ে দেয়ালে লাগিয়ে দিতে হবে৷

 

ব্যাটেন হোল্ডারে তারের সংযোগ

বাল্ব লাগানো হোল্ডারটির প্যাঁচওয়ালা মুখ হাতের উপর রাখতে হবে৷ তারপর তা উল্টিয়ে বাল্ব পয়েন্টে রাখা লাল তারটি হোল্ডারের বাম পাশের পয়েন্টে ঢুকিয়ে দিতে হবে৷কালো তারটি ডান পাশের পয়েন্টে ঢুকিয়ে নাট দুটি এঁটে দিন৷ এবার হোল্ডারটির প্যাঁচওয়ালা মুখ ডানদিকে ঘুরিয়ে লাগাতে হবে৷ স্ক্রু পয়েন্ট দেয়ালের ছিদ্র বরাবর রেখে স্ক্রু লাগিয়ে দিতে হবে৷

 

ফ্যানের পয়েন্টে তারের সংযোগ

বোর্ডের তৃতীয় সুইচে লাগানো লাল তারটি বাল্ব পয়েন্টের মত একই নিয়মে ফ্যানের পয়েন্ট পর্যন্ত নিতে হবে৷ এবার জয়েন্ট বক্সের কালো তারটির সাথে আরেকটি কালো তার জোড়া দিতে হবে৷এই তারটি ফ্যানের পয়েন্ট পর্যন্ত নিয়ে আসতে হবে৷ তারপর চ্যানেলের দুটি অংশ একে অপরের সাথে লাগিয়ে দিতে হবে৷ সিলিং এর বক্সটি স্ক্রু দিয়ে দেয়ালে আটকে দিতে হবে৷আগের নিয়মে সিলিং রোজের দুই পয়েন্টে তার দুটি লাগাতে হবে৷ সেই সাথে সিলিং রোজটি আগের নিয়মে দেয়ালে আটকে দিতে হবে৷

টিউব লাইটের তারের সংযোগ

 

টিউব লাইটের তারের সংযোগ টিউব লাইটের তার লাগানোর সব কাজ নিচ থেকে করে নিতে হবে৷ এজন্য প্রথমেই টিউব লাইটের ফ্রেম বা পাতের ডান পাশে ব্যালেস্ট লাগিয়ে ফেলতে হবে৷ ব্যালেস্টের ঠিক বাম পাশে ১টি টিউব হোল্ডারে লাগাতে হবে৷ তার আগে হোল্ডারের ঠিক উপরের নাটটি খুলে ফেলতে হবে৷নাটটি খুললে হোল্ডারের ভিতর থেকে স্প্রিং ও হোল্ডারের নাটবোল্ড বেরিয়ে আসবে৷হাতে থাকা লাল অথবা কালো তার থেকে ৪ ইঞ্চি তার কেটে নিতে হবে৷ তারটির দুই মুখের ইন্সুলেশন এক ইঞ্চি কেটে নিয়ে এক মুখ ঢুকিয়ে নিবো ব্যালেস্টের নিচের পয়েন্টে৷ ব্যালেস্টের স্ট্যার্টার হোল্ডারের কাজ শেষ হওয়ার পর ব্যালেস্টের উপরের পয়েন্টে তারের সংযোগ দিতে হবে৷

 

এরপর তারের অপর মুখটি খোলা হোল্ডারের পিছনের ছিদ্র দিয়ে ঢুকিয়ে দিতে হবে৷ খোলা হোল্ডারের মধ্যে দুটি নাটবোল্ট আছে৷ এই নাটবোল্ট দুটির মধ্যে উপরের নাটবোল্টে তার ঢুকিয়ে নাট এঁটে দিতে হবে৷হাতে থাকা লাল তার থেকে সাড়ে ৪ ফুট তার মেপে তারটির ইন্সুলেশন কেটে নিতে হবে৷ তারটির এক মুখ একই নিয়মে খোলা হোল্ডারে ভিতরের অপর নাটবোল্টে ঢুকিয়ে নাট এঁটে দিতে হবে৷ এবার এই তারটির অন্য মুখটি হোল্ডারের পিছনের ছিদ্র দিয়ে বাইরে বের করে নিতে হবে৷এখন হোল্ডারটির মুখ ভিতরের দিকে চাপ দিয়ে হোল্ডারের উপরের নাট লাগিয়ে দিতে হবে৷

 

এরপর হোল্ডারটি টিউব লাইটের ফ্রেমের সাথে স্ক্রু দিয়ে লাগিয়ে ফেলতে হবে৷হোল্ডারের ছিদ্র দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসা তারটি ফ্রেমের অপর মুখে,‌ স্টার্টার পয়েন্টে নিয়ে যেতে হবে৷ এবার তারের এই মুখটি স্টার্টার হোল্ডারের ভিতরে বাম পাশের নাটবোল্টে লাগিয়ে এঁটে দিতে হবে৷হাতে থাকা অবশিষ্ট তার থেকে ৩ ফুট তার কেটে তারটির দুই মুখের ইন্সুলেশন কেটে নিবো৷ এবার তারটির এক মুখ স্টার্টার হোল্ডারের ভিতরের ডান পাশ থাক নাটবোল্টে লাগাতে হবে৷

 

তারপর হোল্ডারটি ফ্রেমে বসিয়ে নাট এঁটে দিতে হবে৷এবার ব্যালেস্টের উপরের পয়েন্টে তারের সংযোগ দিতে হবে৷ সেজন্য স্টার্টার হোল্ডারের ডানপাশের পয়েন্টে লাগানো তারটির অপর মুখ ব্যালেস্টের উপরের পয়েন্টে লাগিয়ে নাট এঁটে দিতে হবে৷ এভাবেই টিউব লাইটের তার লাগানোর কাজ শেষ হবে৷এবার তারের কাজ শেষ করে রাখা টিউব লাইটের ফ্রেমটি নিয়ে স্ক্রু পয়েন্ট বরাবর দেয়ালে ছিদ্র করতে হবে৷ দেয়ালের ছিদ্রের মধ্যে রাওয়াল প্লাগ ঢুকানোর পর ফ্রেমটি স্ক্রু দিয়ে দেয়ালের সাথে এঁটে দিতে হবে৷ সিলিং রোজের বাটিটি বামদিকে ঘুরিয়ে খুলে ফেলতে হবে৷টিউব লাইটের ফ্রেমের উপর ঝুলে থাকা লাল ও কালো তার দুটি সিলিং রোজের বাটির ছিদ্র দিয়ে ঢুকাতে হবে৷ এবার বাটিটির ছিদ্র দিয়ে ঢুকানো লাল তারটি সিলিং রোজের বামপাশের পয়েন্টে এবং কালো তারটি ডানপাশের পয়েন্টে ঢুকিয়ে দিতে হবে৷

 

এরপর নাট দুটি এঁটে সিলিং রোজের বাটিটি ডানদিকে ঘুরিয়ে পেঁচ লাগিয়ে দিতে হবে৷প্রথমেই ফ্যানের ৩টি পাখা বা ব্লেড ফ্যানের বডির সাথে স্ক্রু দিয়ে লাগাতে হবে৷ তারপর ফ্যানটি ছাদের সাথে লাগানো বাঁকা রডটিতে নাটবোল্ট দিয়ে আটকিয়ে দিতে হবে৷ এবার ফ্যান থেকে বের হওয়া তার দুটির সাথে সিলিং রোজের তার দুটির পিগ টেইল জয়েন্ট দিতে হবে৷ এরপর ঐ জয়েন্ট দুটি আলাদা আলাদাভাবে পিভিসি টেপ দিয়ে মুড়ে দিতে হবে৷ঘরের ভিতরের সব সুইচগুলো অফ করে মেইন সুইচের পাশে লাগাতে হবে৷ মেইন সুইচটি উপরের দিকে চাপ দিয়ে অন করতে হবে৷

 

এরপর সুইচ বোর্ডের যেকোন একটি সুইচও অন করতে হবে৷ যদি লাইট না জ্বলে বা ফ্যান না ঘোরে তাহলে বুঝতে হবে বৈদ্যুতিক সংযোগ ঠিকমত পাচ্ছে না৷ এক্ষেত্রে ঐ লাইনটি আবার ভালভাবে পরীক্ষা করতে হবে৷লাইন পরীক্ষার পর জয়েন্ট বক্সের ভিতরে কালো ও লাল তারের জয়েন্টটি টেপ দিয়ে মুড়ে দিতে হবে৷ এবার জয়েন্ট বক্সের ঢাকনা লাগিয়ে দিতে হবে৷ এভাবেই আমাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে৷

 

লেখকঃ মোঃ আব্দুল্লা-আল-মামুন রুপম

ইন্সট্রাকটর, ইলেকট্রিক্যাল

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

Reactive Dye

Reactive Dye

History: 

An announcement of great technical and commercial importance appeared in the journal of the society of dyers and colorists (1956, p55) under the column “Manufacturers Publications & Pattern cards” This concerned a circular on procion dyes (ICI) describing Procion Yellow R, Procion Brilliant Red 2B, and Procion blue 3G all belonging to a new eloss (called reactive) of dyes since the fixation to the fiber is achieved by direct chemical linkage. 

Introduction (Detonation):

Reactive dyes are water-soluble dyes containing sulphonic acid groups and reactive groups like dichloride or monochloro tniazinyl groups or sulplato ethyl sulphone groups (from which vinyl sulphone reactive groups are formed during dyeing in the presence of an alkali)

The reaction of these dyes with the functional groups of the fiber is brought about by alkali such as sodicens carbonate, hydroxide, silicate etc. Reactive dyes from covalent bond with the fiber and becomes a part of the fiber. This type of dye has some reactive group which can react with –OH group of ccllulose and –NH2 group of proteins fibers. Due to this fact, these dyes are known as reactive dyes.

Classification of reactive dye:

  1. A) Reactive dyes can be classified chemically into two groups:
  2. i) Halogenated hetero cycles Eg> Tri chloro Triazine Tetrachloropyrinmidine.

 

  1. ii) Activated vinyl compounds: Eg>D-So2-CH=CH2, vinyl sulphone is another commercially successful reactive group used in the manufacture of reactive dyes, Remeizol dyes belongs to this group.These dyes are marketed as sulphate ethyle sulphone dyes and may be represented by D-S-G-X where u is –CH2-CH2-OSO3Na G is So2, S is the solubilizing group and D is the chromogenic part.

 

  1. B) On the basis of reactivity reactive dyes can be divided into three groups:-

 

  1. i) High reactive dye: This type of reactive dyes contains two chlorine atoms and portion-M dyed of dyes fall under this group. In dyeing with this class of dyes weak alkali like NaHCO3 is used.
  2. ii) Moderate reactive dyes: Dyeing with this type of dye medium alkali (Na2co3) is used lavafix E falls under this class.

iii) Low reactive dye: strong alkali (NaOH) is used in this types of dyes. This type of dyes contain on chlorine atoms.

 Chemistry:

For a long time chemists have been sacking a method of joining the dye molecule to the cellulose with covalent bond. At about the end of the 1940 decade workers turned their attention to the properties of dyes containing cyanotic chloride

  1. i) residues or, in other words.

Triazinyl dyes is possible to make the chlorine atoms in cyanotic chloride combine with one, two or three compounds containing hydroxyl or amino groups attached to colored dye molecules.

The reaction with water, alcohols and amines are summarized be low-

NaSo3-DYE-NH- + HO cellulose

O

– Cellulose

NaSo3-DYE-NH- + Hel

And this can go to a stage further, although it does not in all cases do so at 200c to link with two cellulose molecules, as in

– Cellulose

NaSo3-DYE-NH-

– Cellulose

The triazinyl dyes can, at the same time undergo hydrolysis with water to form the compound represented by

NaSo3-DYE-NH- + 2H20

NaSo3-DYE-NH- + 2Hcl

**Source: Wikipedia & Google**

 

 

Writer:

Rebeka Monsur

Department Head (Textile & GDPM)

Daffodil Polytechnic Institute

 

 

Industrial Architecture and It’s Key Elements

Industrial Architecture and It’s Key Elements

 

Industrial Architecture is the combination of different types of design, style and building type that is found around the world in industrial building construction. Many types of buildings like warehouses, refineries, factories, grain silos, steel mills, breweries, foundries, distilleries, water tower and more are include in design of Industrial Architecture. For the Industrial Architecture design we have to consider the industry type, equipment, specialized sections, power generation, work process, manufacture process and the safety of the worker. Generally these industrial constructions are huge and have to adopt and mix different design style to do the perfect design.

Short History

With the proper design in 1700’s century industrial building started to build as well as the run of Industrial Architecture begun. Specially in Great Britain this style flourished massively from 1760 to 1830 when their Industrial Revolution was happening. After that from the late 19th to 20th century Industrial Architecture spread in different parts of the world by the colonization of Britain.

Industrial Architecture speeded up the process of industrial process and manufacturing process along with the safety of the worker and that is why this style became popular and appreciated in different parts of the world. Now a days Industrial Architecture is practiced almost every country who are heavily dependent on industrial growth or trying to increase and speed up their economy by industrialization.

Key Elements

Industrial Architecture adopts and mix many forms from different architectural styles, although we can see some common feature among the industry design. Some of them are –

  • Raw construction material uses like metal, brick and concrete.
  • Higher ceiling height than residential and commercial building.
  • Design and different function combination from different architectural style.
  • Open plan for the main work space.
  • Absence or very fee ornamental element.
  • Heavy finishes for the use of long run.
  • Use of large opening (Window, door etc.)
  • Extended use of piping system, duct system, hollow and exposed bricks.

Industrial Architecture ensure the production growth with the safety of workers through a proper designing way and that is why countries implementing this style to build up their industries to maximize the benefits and reduces the risks.

 

Author

Md Asaduzzaman Russel

Jr. Instructor

Architecture and Interior Design Technology

Daffodil Polytechnic Institute

 

বিগডেটা এবং গণতন্ত্র

বিগডেটা এবং গণতন্ত্র

স্যোশাল মিডিয়ার দুনিয়া এক বিরাট সামাজিক বিপ্লবের পথ খুলে দিয়েছে দুহাত চওড়া করে। তাহলে লিখি, প্রযুক্তি বিপ্লব কি করে মানুষের রাজনীতি এবং সমাজকে বদলে দেবে, তার ১% ও আপনি দেখেন নি। বাকী ৯৯% খেলা আসিতেছে। আর যে প্রযুক্তির হাত ধরে এই নতুন দিন, নতুন দেশ, নতুন আইন আসছে-তার পোষাকি নাম বিগডেটা।

অবাক হব না যদি দেখি ত্রিশ বছর বাদে, আর কোন রাজনৈতিক পার্টি নেই। রাজনৈতিক প্রতিনিধি নেই। স্কুল নেই। কলেজ নেই। শিক্ষক নেই। ডাক্তার নেই। উকিল নেই। আছে শুধু বিগ ডেটা ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেম। যার ওপর ভিত্তি করে তৈরী হয়েছে নতুন এ আই শিক্ষক । যে শিশুর সাথে বাড়িতে ক্রমাগত কথা বলে বুঝছে শিশুর কি শেখা দরকার-সে কি লিখবে-কি দেখবে-কি পড়বে-এবং তারপরে মূল্যায়ন ও করে দেবে। ডাক্তারীর ক্ষেত্রেই একই কথা। ডি এন এ, এম আর আই, ব্লাড রিপোর্ট সব বিশ্লেষন করে যদি কোন ওষুধ লাগে, তার ফর্মুলেশন কম্পুটারেই পেয়ে যাবে।  রোগ নিয়ে যা বুঝতে চাইবেন-কি কি করনীয় জানতে চাইবেন-সবই পাবেন হাতের মুঠোয়। সরকার, গর্ভনমেন্টের ভূমিকা ক্রমশ সংকুচিত হবে। ট্যাক্স কালেকশন, কে ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে-কে ঘুষ খাচ্ছে-সরকারের কোথায় টাকা খরচ করা উচিত-কিভাবে করা উচিত-সব কিছুর জন্যই থাকবে বিগডেটা রেকমেন্ডেশন সিস্টেম। বাজেট বিতর্কের দরকারই হবে না। নতুন আইন প্রণয়নের ও দরকার হবে না-কারন সোশিওলজিক্যাল বিগডেটা বিশ্লেষন করে বলে দেওয়া সম্ভব হবে, নতুন আইনের দরকার আছে কি নেই! আর ক্রাইম? আমরা এত বেশী সেন্সর নিয়ে ঘুরব-আমরা কোথায় ছিলাম ,কোথায় কি করেছি-তা সব সময় এখনি ট্রাক করে যাচ্ছে গুগল, ফেসবুক। এর পরে আসছে আই ও টি বা ইন্টারনেট অব থিংঙ্কস। বিগডেটাই প্রমান করে দেবে কে অপরাধী। এই ফিল্ডটাকে বলে ইডিসকভারী।

কোন সমাজ বিপ্লব, বৈপ্লবিক চিন্তা, বিপ্লবী-কেও নাই। নাই কোন রক্তপাত। নেই গৃহযুদ্ধ। ছোট ছোট কিছু কিছু আবিস্কার। ছোট ছোট ধাপ। বেবী স্টেপ এট আ টাইম। ট্রানজিস্টর-থেকে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট এক অভূতপূর্ব প্রযুক্তি বিপ্লব। এক ইঞ্চি সিলিকন টুকরোর মধ্যে লাখ লাখ ট্রানসিস্টর। সিলিকন ভ্যালীতে ফেয়ার চাইল্ড সেমিকন্ডাক্টরের হাত ধরে আস্তে আস্তে তৈরী হতে শুরু করল, ছোট্ট ছোট্ট কম্পইউটার যার ক্ষমতা আজকের যেকোন মোবাইল ফোনের ১% ও না। তৈরী হোল মাইক্রোসফট আপলের মতন কোম্পানী যারা কম্পুটারের দাম মধ্যবিত্তের ধরা ছোঁয়ার মধ্যে নিয়ে আসল।

সত্যিকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব এল ইন্টারনেটের হাত ধরে। ইন্টারনেটের পূর্বসূরী আরপানেট। শুধু কম্পিউটার তৈরী করলেই হবে না-তাদের মধ্যে যোগাযোগের ব্যবস্থাও চাই। এই ভাবনা থেকেই উদ্ভব সার্ভার, ওয়েব সার্ভার, ওয়েব দুনিয়া। কিভাবে এক জায়গায় তথ্য রেখে সব তথ্য গোটা দুনিয়াকে সার্ভ করা যেতে পারে। ওয়েব সাইটের জন্ম, ইমেল কমিউনিকেশন প্রথম প্রজন্মের তথ্য বিপ্লব। হাজার হাজার ওয়েব সাইট যখন তৈরী হচ্ছে , ১৯৯৪ সালে স্টানফোর্ডের ছাত্র জেরী ইয়াং এর মাথায় ঢুকল এক নতুন ব্যবসার প্ল্যান-একটা ওয়েব সাইট বানালে কেমন হয় যেখানে পৃথিবীর সব ওয়েব সাইটের ডাইরেক্টরী থাকবে? আসলে তখনো ওয়েব সাইট মুড়িমুরকির মত তৈরী হয় নি। সেই ১৯৯৪ সালে সব মিলিয়ে হয়ত ছিল লাখ খানেক সাইট। সেটাই উয়াহুর জন্ম। কিন্ত এত লাখে লাখে ওয়েব সাইট তৈরী হতে শুরু হল প্রতিদিন, জেরী ইয়াং বুঝলেন ডিরেক্টরী ঘেঁটে কেও ওয়েব সাইট খুঁজে পাবে না। চাই সার্চ ইঞ্জিন। সেখান থেকেই ইয়াহু সার্চ ইঞ্জিনের জন্ম। যার প্রতিদ্বন্দী হিসাবে ১৯৯৮ সালে জন্ম গুগুলের।

বিগডেটার জন্ম গুগুলের হাত ধরেই-এবং সেই সার্চ ইঞ্জিনের সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে। আজ বিগডেটার ব্যবহার ক্ষেত্র এবং ভবিষ্যত সুদূর প্রসারী। তাই এই প্রযুক্তি বুঝতে গুগুলের সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে, সেটা বোঝা দরকার।
সাথে সাথে বুঝতে হবে একেকটি ছোট ছোট আবিস্কার কিভাবে আমূল পরিবর্তন আনছে আমাদের জীবনে। সমাজে। রাজনীতিতে। অপ্রাসঙ্গিক হচ্ছে সমস্ত রাজনৈতিক তত্ত্ব। বেকারত্ব বাড়বে-কারন মানুষের ৯৯% স্কিল আর কোন কাজেই আসবে না।

===========

সোমা রানী দাস

বিভাগীয় প্রধান

ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং

 

কেমন হতে চলছে ভবিষ্যৎ অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে “Harmony OS”

 

কেমন হতে চলছে ভবিষ্যৎ অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে “Harmony OS”

মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যাবহার করেন আর অপারেটিং সিস্টেম কি তা জানেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। একটি ডিভাইস কে পরিচালিত করতে নির্দেশনা দেয়া বা নিয়ন্ত্রন করে সঠিক কার্যোপযোগী করে তোলাই মুলত এর লক্ষ্য। আর এই অপারেটিং সিস্টেম কে অনেক টা প্রাণ বলা যেতে পারে ডিভাইসের। সময়ে সময়ে অনেক অপারেটিং সিস্টেমই এসেছে টেক বাজারে। এর মধ্যে কম্পিউটার/ ল্যাপটপের মত ডিভাইসে জনপ্রিয়তায় মাইক্রোসফট এর উইন্ডোজ ভার্সন গুলো বেশি জনপ্রিয় আর স্মার্ট ফোন মোবাইল গুলোর জন্য এন্ড্রোয়েড অধিক জনোপ্রিয় । এগুলো ছাড়াও ম্যাক, লিনাক্স, উবোন্টু ইত্যাদি রয়েছে। তবে বর্তমান সময়ে স্মার্ট ফনের বাজারে এন্ড্রোয়েডকে টেক্কা দিতে চীনের কোম্পানি হুয়াওয়ে নিয়ে এসেছে হারমোনি নামের নতুন মাত্রার এক অপারেটিং সিস্টেম। টেক বিশেষজ্ঞদের মতে এটিই হতে চলেছে আগামির নতুন ভবিষ্যতের চালক। যদিও এর জন্ম টেক যুদ্ধের মাধ্যমে তবুও এক্ষেত্রে বলা যেতেই পারে যুদ্ধ শুধু ধ্বংসই করে না কিছু নতুনত্বও নিয়ে আসে। যাইহোক আজ আপনাদের সাথে এই নতুন মাত্রার অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করবো।

হুয়াওয়ে এই অপারেটিং সিস্টেমটি একটি মাল্টি কার্নেল ডিস্ট্রিবিউটেড অপারেটিং সিস্টেম যেটিতে একটি সিঙ্গেল ফ্রেম এর অ্যাপ ওয়ার্ক এর উপর ভিত্তি করে কোডিং করা হয়েছে এবং সকল ধরনের হার্ডওয়ারে একই ধরনের সার্ভিস বিদ্যমান করা হয়েছে | এর ফলে বিভিন্ন বড় বড় কোডিং কে সংক্ষেপে তৈরি করে এবং মানুষের জন্য সহজ থেকে সহজতর করে ব্যবহার করা হচ্ছে | এটি শুধুমাত্র একটি অপারেটিং সিস্টেমই না স্মার্ট টিভি, স্মার্টফোন, স্মার্ট কিচেন ও ল্যাপটপ সহ বিভিন্ন ধরনের গেজেটে ব্যবহার করা যাবে |

 

হারমনি ওএস নিয়ে যেসব ডেভলপাররা কাজ করেন তাদেরকে বিভিন্ন ডিভাইসের জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট করতে হয় না কারণ এই ওএসটি  সকল ধরনের ডিভাইসের জন্য একই ধরনের কোড করে তৈরি করা হয়েছে | তাছাড়া এই সফটওয়্যারটি এমনভাবে ডেভলপমেন্ট করা হয়েছে যাতে অ্যান্ড্রয়েডের বিভিন্ন ধরনের এপিকে ফাইল গুলো কেউ সহজেই ইনস্টল করতে সাহায্য করবে |

 

হারমনি ওএস এর ওয়েস্টিন ছোট ছোট প্রোগ্রামিং লাইনের মাধ্যমে ডেভলপ করার কারণে এর সাইজ অপারেটিং সিস্টেম থেকে তুলনামূলকভাবে কম এবং ফলশ্রুতিতে খুব দ্রুততার সাথে কমিউনিকেট করতে পারি | ইন্ডিপেন্ডেন্ট এক প্রতিবেদনে জানা যায় তিনি দাবি করেন যে 60% কাজ করেন এবং মাত্র 5 মিনিটে | এই অপারেটিং সিস্টেমটি তেএনকোডিং যথেষ্ট ম্যানেজমেন্ট স্কেজিং| নতুন অপারেটিং সিস্টেমটি প্রচলিত অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম থেকে 25 দশমিক 7 শতাংশ কমাতে সক্ষম হয়েছে  | এতে আরো বেশি ফিচার যুক্ত করা হচ্ছে কারণ ভিন্ন ভিন্ন ডিভাইসের জন্য ডেভলপারদের ভিন্নভাবে কোডিং করার প্রয়োজন হয় না যার কারণে তারা অনেক সময় পায় এবং সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট এর সুযোগ পেয়ে থাকে | তাছাড়া এতে এন্ড্রোয়েড এর সকল এপস নির্দিধায় চালানো যাবে।

 

এক কথায় বলতে গেলে হারমনি ও এস এর ভবিষ্যত নির্ভর করছে তার প্রত্যেকটি সফটওয়্যার কতটা অপটিমাইজ এবং প্রত্যেকটি ডিভাইসে কতটা সুন্দরভাবে অপটিমাইজ ভাবে এবং স্মুথলি চালানো যাবে | হুয়াই এর এই অপারেটিং সিস্টেম টা সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে কেউ যদি কথা বলতে বলতে ভিডিও কলে বা অডিও কলে এক রুম থেকে অন্য রুমে চলে যায় সেই ক্ষেত্রে এই অপারেটিং সিস্টেমে একটি বিশেষ ফাংশন এর মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তিকে ডিভাইসটিকে আলাদাভাবে স্পিকার চেঞ্জ করা লাগবে না আগে যেভাবে কথা বলছিল তিনি ঠিক সেভাবেই কথা বলতে পারবে |অন্যদিকে যদি আমরা সিকিউরিটির কথা চিন্তা করি তাহলে শুধুমাত্র আইফোনের আইওএস-এ সিকিউরিটি দিকে যথেষ্ট পরিমাণ নজর দিয়ে থাকে কিন্তু সেক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েড এর অবস্থা একদমই নাজেহাল | সুতরাং, এই অপারেটিং সিস্টেমটির ভবিষ্যৎ এখানেও নির্ভর করছে যে তারা মানুষকে কতটা সিকিউরিটি  প্রদান করতে পারবে | আমরা প্রায়ই শুনি অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে বিভিন্ন ধরনের ডেটা চুরি হয় বিভিন্ন এপস এর মাধ্যমে কিন্তু হারমনি তার অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে ডাটা চুরি হওয়া থেকে মানুষকে রক্ষা করতে পারে তাহলে অবশ্যই বলা যেতে পারে যে এন্ড্রোয়েড থেকে এই অপারেটিং সিস্টেমের ভবিষ্যৎ ভালো |

 

হারমনি ওএস  এর সবচাইতে বড় বাধা হতে পারে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোনের অ্যাপ স্টোর | 2012 সালে যখন প্রথম অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস অপারেটিং সিস্টেম আসে তখন তাদের সাথে রীতিমতো  তৎকালীন মোবাইল জগতের এক নাম্বার কোম্পানি নোকিয়া এবং ব্ল্যাকবেরি  ছাড়িয়ে যেতে পারিনি | তার প্রধান কারণ হচ্ছে এন্ড্রয়েড এবং আইওএস তাদের সফটওয়্যার ডেভলপার দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস তৈরি করা এবং প্রতিনিয়ত প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস তারা অ্যাপস্টোরে আপলোড করে যার কারণে মানুষ দিন দিন বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে গেছিল |

 

তাছাড়া এই অপারেটিং সিস্টেমটির আরো একটি বড় বাঁধা হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড এবং তাদেরকে কখনো প্রমোট করে না কারণ তারা এখান থেকে কোনপ্রকার লভ্যাংশ নেয় না | তারা শুধুমাত্র চাই মানুষ তাদের অপারেটিং সিস্টেমটি ব্যবহার করুক এবং তাদের যেসব সার্ভিস আছে তারা সেসব সার্ভিস ব্যবহার করুক এবং অবশ্যই সার্ভিস গুলো ব্যবহার করলে সেখান থেকে তারা একটি রেভিনিউ পেয়ে থাকে | তাই হারমনিকে নিয়োমিত আপডেট এপস স্টোরে যোগ করতে হবে এবং সেই সাথে আকর্ষোনীয় এপস নিয়ে ওএস যুদ্ধের মাঠে নামতে হবে। তারা যদি এই কাজগুলো ভালোভাবে করতে পারে তবে তারা হারানো জায়গা ফিরে পেতে পারে আর না হলে তারা হয়তো নোকিয়া আর ব্ল্যাকবেরির মতো ইতিহাস হয়ে যাবে |

 

 

কপি রাইটঃ এস. এম. রাজিব আহম্মেদ

ইন্সট্রাকটর, কম্পিউটার টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

 

ইলেক্ট্রনিক্স এলো কিভাবে?

ইলেক্ট্রনিক্স এলো কিভাবে?

কিভাবে এত পরিবর্তন হলো ইলেক্ট্রনিক্সের। কারা এতো পরিবর্তন ঘটাচ্ছে? কি ছিলো এর ইতিহাস। কেউ কি জানি? এই ইতিহাস থেকে যুগে যুগে সব কিছু পরিবর্তন হয়ে আমাদের কাছে এসেছে।

একটা বার যদি আমরা চিন্তা করি আজ থেকে ১০ বছর আগে মোবাইল ফোন , কম্পিউটার, টেলিভিশন, রেডিও, ইত্যাদি এসব ডিভাইস এর অবস্থা কি ছিলো আর এখন কি হয়েছে!!!

চিন্তার বিষয় হলো অতি অল্প সময় এর মধ্যে টেকনোলজির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আজ আমি কিছু ইলেক্ট্রনিক্স এর বেসিক বিষয় এবং ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করবো।

১। ইলেক্ট্রনিক্স কি?

Electronics শব্দটি ইংরেজী শব্দ। এটা গ্রীক শব্দ Elektron হতে এসেছে। Elektron শব্দটি দ্বারা বুঝানো হয় বাহ্যিকভাবে প্রয়োগকৃত তড়িৎ ও চৌম্বক ক্ষেত্রে এর পরমানুর আচরণ পর্যবেক্ষণ ও আলোচনা।

The Institution of Radio Engineers (IRE) ইন্সটিটিউশন অব রেডিও ইঞ্জিনিয়ার্স ‘ইলেকট্রনিক্স’ কে সজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে –‘ ইলেকট্রনিক্স হলো সাইন্স এবং টেকনোলজীর একটি শাখা যা ভ্যাকুয়াম, গ্যাস ও অর্ধপরিবাহী পদার্থের মধ্য দিয়ে পরমানুর প্রবাহ সম্পর্কিত বিষয়াদি এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ডিভাইসের নকশা প্রণয়ন ও প্রয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে অধ্যয়ণ ও গবেষণা করে থাকেন। [Proceedings of I.R.E. Vol. 38 (1950)]

পরিশেষে বলা যায় যে, ইলেকট্রনিক্স তড়িৎ প্রকৌশলের একটি শাখা যেখানে ভ্যাকিউম টিউব অথবা অর্ধপরিবাহী যন্ত্রাংশ এর মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনের প্রবাহ আলোচিত হয়। এতে সাধারণত ক্ষুদ্র আকারের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি যেমন আই সি কম্পিউটার, ইত্যাদি আলোচিত হয়।

সূচনাকাল ও শুরুঃ

sar william crook

সার উইলিয়াম ক্রুক

ইলেক্ট্রনিক্স এর চর্চা কখন থেকে শুরু হয়েছে তা নিয়ে গবেষক দের মধ্যে মতভেদ দেখা দিলেও অধিকাংশ গবেষক বায়ুশূন্য নলের উদ্ভাবন ও ব্যবহার কে এর শুরু বলে ধারন করা হয়। একজন জার্মান গবেষক গেসিলার ১৮৫০ সালের কাছাকাছি পরিক্ষন করার সময় লক্ষ করেন যে যদি বায়ুশূন্য নলের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ করানো হয় তবে সেখানে হতে শিখা বীহিন আলোক স্ফুলিঙ্গ বের হয়।

১৮৭৮ সালের দিকে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী সার উইলিয়াম ক্রক্স দেখেন যে বায়ুশূন্য নলের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ মূলত কিছু কনার সমষ্টি।

এই গবেশনার উপর ভিত্তি করে সার জে জে থমসন ক্যাথোড রশ্মির উপর গবেষণা চালান ও এই কনার উপর বৈশিষ্ট সমুহ আবিষ্কার করেন। এর পর ১৮৯৭ সালে ইলেক্ট্রনিক্স এর অস্তিত্ব আবিষ্কার হয়। ইলেক্ট্রনিক্স এর বৈশিষ্ট্য ও আবিষ্কার এর পরবর্তী প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে অনেক সহায়ক ভুমিকা পালন করেছে। এর ফলে পরবর্তী যুগে থেকে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের গঠন ও নকশা প্রনয়নের কাজ সহজ থেকে সহজতর হয়েছে।

১৯০৪ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী পদার্থবিদ স্যার এমব্রোস ফ্লেমিং, (Sir Ambrose Fleming) একটি বিশেষ ধরণের ভ্যাকুয়াম টিউব আবিষ্কার করেন। ফ্লেমিং এর টিউবটি ছিল মূলতঃ একটি ভ্যাকুয়াম টিউব ডায়োড যা দিক পরিবর্তি প্রবাহকে একমূখী প্রবাহে রূপান্তর করতে পারত এবং এটি ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ ডিটেকশনে রেডিও রিসিভারে ব্যবহৃত হতো।

১৯০৬ সালে মার্কিন তড়িৎ প্রকৌশলী লী-ডি-ফরেষ্ট (Lee de Forest) বিশেষ ধরণের টিউব আবিষ্কার করেন যা ছিল মূলতঃ ভ্যাকুয়াম টিউব ট্রায়োড এবং ইহা তড়িৎ সংকেতকে বিবর্ধন করতে পারত। ফরেষ্টের এই টিউবটি অডিওন নামে পরিচিত, এবং পরবর্তিতে এটি টেলিফোনি প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্যপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। ১৯২০ সালে মার্কিন তড়িৎ প্রকৌশলী আলবার্ট হাল (Albert Hull) ম্যাগনিট্রন আবিষ্কার করেন যা উচ্চ শক্তির মাইক্রোওয়েভ সৃষ্টি করতে পারত। পরবর্তিতে ম্যাগনিট্রন ব্যবহার করে সেনাবাহিনী রাডার (RADAR) সিস্টেমের ব্যপক উন্নয়ন করে।

১৯৪৭ সালে আমেরিকার বেল ল্যাবরেটরীর তিন গবেষক উইলিয়াম ব্রাডফোর্ড শকলি, স্যার জন বার্ডিন এবং ওয়ালটার ব্রাটেইন যৌথভাবে সর্বপ্রথম সেমিকন্ডাকটর নির্মিত ট্রানজিস্টর আবিস্কার করা হয়। ট্রানজিস্টর আবিস্কারের মাধ্যমে সলিড স্টেট যুগের সূচনা হয়, সলিড স্টেট ডিভাইসের ব্যপক উন্নয়ন হতে থাকে ফলে ইলেকট্রনিক ডিভাইসসমূহ আকার ক্রমান্বয়ে আগের চেয়ে ছোট হতে থাকে।

ট্রানজিস্টরসমূহ আকারে দেখতে ছোট, দ্রুতগতির সুইচিং ক্ষমতা সম্পন্ন এবং কম পাওয়ার অপচয়কারী হবার কারণে তা দ্রুত টিউবকে অপসারন করে নিজের যায়গা দখল করে নেয় এবং ব্যপকভাবে তড়িৎ বর্তনীতে ব্যবহার হতে থাকে। ফলে বর্তনী সমূহের দক্ষতা আরো বৃদ্ধি পায়।

আইসিঃ

১৯৫৯ সালে রবার্ট নরটন নয়ছি এই ধারণা দেন, একই সিলিকন খন্ডের উপর বহু সংখ্যক ডিভাইস নির্মান এবং তাদের ভিতর সাধারণত এই ধরনের আন্তঃসংযোগ সৃষ্টি সম্ভব, এর ফলে ডিভাইসের গড় আকার, ওজন ও উৎপাদন ব্যয় কমবে। মনোলিথিক প্রকৃয়ায় তৈরীকৃত এই সকল বর্তনীসমূহকে একীভূত বর্তনী বা Integrated Circuit বলে। ১৯৬১ সাল হতে ফেয়ারচাইল্ড Fairchild এবং টেক্সাস ইন্সট্রুমেন্ট Texas Instruments বাণিজ্যিকভাবে IC উৎপাদন শুরু করে।

পরবর্তীতে এই প্রযুক্তি আরো উন্নত হয়ে একীভূত বর্তনীতে ডিভাইসের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ১৯৬১ সালে (SSI), ১৯৬৬ সালে (MSI), ১৯৭০ সালে (LSI) এবং ১৯৮০ সালে (VLSI) ইন্টিগ্রেশন গৃহীত হয়। ফলে আজকের দিনে উৎপাদিত একটি VLSI একক চীপে প্রায় এক মিলিয়নের অধিক ডিভাইস একীভূত করা সম্ভব। সমন্বিত বর্তনী প্রযুক্তির উন্নয়ন ইলেকট্রনিক প্রকৌশলের উন্নয়নের গতিকে আরো তরান্বিত করেছে। কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার শিল্পের উন্নত হার্ডওয়্যার প্রযুক্তি IC টেকনোলজির উন্নয়নের ফলেই সম্ভব হয়েছে।

রবার্ট নরটন নয়ছি

IC টেকনোলজির সুবাদে ১৯৭১ সালে ইন্টেল কর্পোরেশন সর্ব প্রথম ৪ বিটের মাইক্রোপ্রসেসর ইনটেল – ৪০০৪ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হয়, এর ফলে ব্যক্তিগত কম্পিউটার উদ্ভাবনের পথ সুগম হয়। ১৯৭৩ সালে ইন্টেল কর্পোরেশন ৮ বিটের মাইক্রোপ্রসেসর ইনটেল – ৮০৮০ উদ্ভাবন করে যার মাধ্যমে প্রথম ব্যাক্তিগত কম্পিউটার Altair 8800 তৈরী সম্ভব হয়। এর পর ধিরে ধিরে এর হালনাগাদ শুরু হয়েছে।

এছাড়া আরও অনেক বিষয় রয়েছে যে সব বিষয় গুলোর জন্য ইলেক্ট্রনিক্স এর অবস্থা পরিবর্তন হচ্ছে। যুগে যুগে এর পরিবর্তন হবে।

২। এর প্রয়োজনীয়তাঃ

এর প্রয়োজনীয়তা লিখে শেষ করা সম্বব না। প্রযুক্তির যুগে এমন কোন স্থান নেই যেখানে এর ব্যবহার হয় না। একটু চিন্তা করে দেখেন ১০ বছর আগের কম্পিউটার এর কথা। এর আকার কত বড় ছিল। নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুরো এক রুম লাগত। আর এখন এটা এমন আকৃতি করা হয়েছে যেটা মানুশের কাছে খুব ব্যাবহার যোগ্য।

৩। যে সব ডিভাইসে ইলেক্ট্রনিক্স এর ব্যাবহারঃ

প্রায় সব দরনের ডিভাইসে এর ব্যাবহার করা হয়। ইলেক্ট্রনিক্স এর ইকুইপমেন্ট গুলো এখন হালনাগাদ করা হচ্ছে। এবং সেই ইকুপমেন্ট গুলো কে বিভিন্ন ডিভাইসে ব্যাবহার করা হচ্ছে।

রেডিও, টেলিভিশিন, কম্পিউটার,মোবাইল ফোন, রোবট আরও অনেক ডিভাইস আছে যেগুলোতে ব্যাবহার করা হয়।

যোগাযোগ ও বিনোদন মূলক বাবস্থায় এর ব্যবহার হয়।

কন্ট্রোল ভিত্তিক ও ইন্সট্রুমেন্টশন এ এর প্রয়োগ ক্ষেত্র রয়েছে।

প্রতিরক্ষা কাজে এর ব্যবহার হয়।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর প্রয়োগ ক্ষেত্র।

এসব ডিভাইসকে দিনে দিনে আপডেট করে ব্যাবহার যোগ্য করা হয়।

৪। ইলেক্ট্রনিক্স এর শাখাঃ

ইলেক্ট্রনিক্স এর বিভিন্ন শাখা রয়েসে যেগুলো পরবর্তী লেখাতে আলোচনা করা হবে।

ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক্স।

এনালগ ইলেক্ট্রনিক্স।

মাইক্রো ইলেক্ত্রিনিক্স।

ফুজি ইলেক্ট্রনিক্স।

সার্কিট ডিজাইন।

ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট।

সেমিকন্ডাক্টর।

 

 

 

মো: আল মামুন রশিদ

ইন্সট্রাকটর,

ডিপার্টমেন্ট অব ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা

মানুষ বেচেঁ থাকবে যতদিন, বস্ত্রের চাহিদা থাকবে ততদিন। আর যতদিন বস্ত্রের চাহিদা থাকবে ততদিন টেক্সটাইল শিল্পের বিকাশ চলতে থাকবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে টেক্সটাইল এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আলোচিত বিষয়। কারন, আমাদের দেশের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার সিংহভাগই আসে পোষাক শিল্প হতে। তাছাড়া এ সেক্টরের মাধ্যমে বেকারদের কর্মসংস্থানের একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ পূরন হয়। বাংলাদেশে চাকরির বাজারে যে কয়টি পেশা রয়েছে তার মধ্যে টেক্সটাইলের চাহিদা অন্যতম। কারন এই সেক্টেরে চাহিদার তুলনায় যোগ্য প্রার্থীর অভাব রয়েছে। বাংলাদেশে ক্রমর্বধমান টেক্সটাইল শিল্পের দ্রুত বিকাশ ঘটার কারনে টেক্সটাইল শিল্পের গুনগত উন্নয়ন এবং সচল ভাবে ধরে রাখতে হলে দক্ষ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের কোন বিকল্প নাই। তাই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংকে আপনার পেশা হিসেবে নিলে আপনি হতে পারবেন এই বিপুল সম্বাবনাময় অর্থনৈতিক এবং বানিজিক সেক্টরের গর্বিত অংশীদার।

 

বাংলাদেশে টেক্সটাইল শিক্ষার ইতিহাস:

১৯২১ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে ঢাকায় নারিন্দায় উয়েভিং স্কুল নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা

হয়। ১৯৫০ সালে পাকিস্তান ক্ষমতা লাভের পরে এর নামকরন করা হয় ইষ্ট পাকিস্তান টেক্সটাইল

ইনষ্টিটিউট। ১৯৬০ সালে এটিকে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯৭৮ সালে এই

প্রতিষ্ঠানকে ডিগ্রী বা স্নাতক পর্যায়ে উন্নতি করা হয় এবং এর নামকরন করা হয় কলেজ অব

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি। ১৯৯৩ সালে এক সাথে ৬টি ইনষ্টিটিউটে ৩ বছর মেয়াদী

ডিপ্লোমা কোর্স চালু হয়। ইনষ্টিটিউট গুলো হল: বেগমগঞ্জ, জোরারগঞ্জ, রংপুর, বরিশাল, টাঙ্গাইল,

দিনাজপুর।

২০০১ সালে ৩ বছরের ডিপ্লোমা কোর্সকে ৪ বছরে উন্নতি করা হয়। ২০১০ সালে দেশের চলমান

অর্থনীতির উপর বিবেচনা করে টেক্সটাইল ইনষ্টিটিউটকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিনিত করার জন্য সংসদে

প্রস্তাব করা হয়। ২০১০ সালের ৫শে অক্টেবর এই প্রস্তাবটি সংসদে চুড়ান্তভাবে পাশ করা হয় এবং

২২শে ডিসেম্বর ইহা কার্যকর করা হয়। ২০১১ সালে ১৫ই মার্চ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকার

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন।

 

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায় পড়ার বিষয়বস্তুঃ

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায় মূলত টেক্সটাইলের মৌলিক বিষয়গুলো পড়ানো হয়। এগুলো হলঃ

১)ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং টেকনোলজি (স্পিনিং)।

২)ফেব্রিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং টেকনোলজি (নিটিং অ্যান্ড উয়েভিং)।

৩)ওয়েট প্রসেসিং টেকনোলজি (ডাইং,পিন্টিং অ্যান্ড ফিনিসিং)।

৪)এপারেল ম্যানুফেকচারিং টেকনোলজি।

তন্তু থেকে কাপড় বানানোর উপযোগী সুতা তৈরি, কিংবা একটি ফেব্রিককে আরামদায়ক করার যেসব

পদ্ধতি রয়েছে, সেসবও এই পড়ালেখার বিষয়। অদাহ্য, তাপরোধী, রাসায়নিকরোধী কিংবা পানিরোধী

ফেব্রিকের সম্ভাবনা ও ব্যবহার—এই সবকিছুই পড়ানো হয় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। নিত্যপ্রয়োজনীয়

পোশাক থেকে শুরু করে বিশেষায়িত (যেমন অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের জন্য জ্যাকেট কিংবা

মহাকাশচারীদের স্যুট) সবকিছুই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অন্তর্ভুক্ত। পৃথিবীর ৭০০ কোটি মানুষের

জন্য এই বিশাল টেক্সটাইল সেক্টরের জোগান দিতে গিয়ে পরিবেশের ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে,

সেটা প্রতিরোধ করাও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অংশ। নিত্যনতুন ডিজাইনের ফ্যাশন উদ্ভাবন থেকে

শুরু করে যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ কিংবা তৈরি পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা—এসব কিছুই পড়ানো

হয় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায়।

পেশা হিসেবে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং:

পেশা হিসেবে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কথা বলতে গেলে প্রথমেই যে কয়েকটি বিষয় মাথায় আসে

তা হল-কর্মক্ষেএ, বেতন, সুনাম এবং ভবিষ্যত। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বাংলাদেশে সরকারি এবং

বেসরকারি দুইটি প্রতিষ্ঠানেই চাকুরি করার সুযোগ রয়েছে। বেশ কিছু সংখ্যক সরকারি টেক্সটাইল

রয়েছে যেখানে চাকুরি করার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া অনেক বেসরকারি টেক্সটাইল রয়েছে সেখানে ও

চাকুরি করার সুযোগ রয়েছে। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের চাকুরির অনেক সেক্টর আছে যেমন:

 

▶ স্পিনিং ফ্যাক্টরী

▶ নিটিং ফ্যাক্টরী

▶ উইভিং ফ্যাক্টরী

▶ ডাইং ফ্যাক্টরী

▶ গামেন্টস  ফ্যাক্টরী।

▶ বায়িং হাউজ।

▶ মার্চেন্ডাইজিং।

▶ টেক্সটাইলের বিভিন্ন ধরনের ম্যাটেরিয়াল, ক্যামিক্যাল, মেশিনারী মার্কেটিং।

 

তাছাড়া পেশা হিসেবে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে দেশের বাহিরে অর্থাৎ বিদেশে কাজ করার

সুযোগও রয়েছে।

 

লেখক,

মোঃ জায়েদুল হক

ইন্সট্রাকটর

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

Vat Dyeing Process / Textile Dyeing Process With Vat Dye

Vat dyes:

Vat dyes can’t be directly applied and required vatting because it is insoluble in water. But vat dyes fastness properties is good among the all dyes. The word “vat” means vessels. The dye takes its generic name from vatting. The vat dyes are naturally obtained coloring materials from the ancient time and kept into wooden vat and make soluble in vat by the process of fermentation- so it is called vat dyes.

Vat dyeing process:

Vat dyeing is complex from other dyeing. Its dyeing process are given below:

The required water for dyeing is taken in the dye bath and it is maintain at proper temperature (50º- 60 ºC) the reducing and dyeing temperatures vary from dyestuffs to dyestuff. The vatted dye solution may than be added to the dye bath containing the required amount of caustic soda sodium hydro sulphate, kept at recommended temperature.

The well-scoured wet yarn is entered in the dye bath and turned several times, so that the affinity of the color may be uniform. The yarn is then kept completely immersed under the dye liquor and the dyeing is continued for one hour. The yarn is turned from time to time… Care should be taken to keep the bath at required temperature and also to keep the yarn thoroughly immersed under the liquor.

 

 

The exhaustion agents or retarding agents are added to the dye bath depending upon the dyestuffs taken, during the entire dyeing period. Excess quantities of both sodium hydroxide (NaoH) and sodium hydro sulphate (Na2s2O4) should be present in the dye bath in order to keep the dye in the soluble form. At the end of the dyeing the partly or completely exhausted dye bath must be kept in a distinctly reduced condition; otherwise oxidation of the residual vatted dye takes place in the dye bath itself leading to the appearance of turbidity. This is ensured by adding sufficient sodium hydro sulphate. The dyed goods may then be removed from the dye bath and excess liquor which contains the unexhausted vat dye, sodium hydroxide, sodium hydro sulphate is removed as for as possible from the goods.

The dyed goods are rinsed with cold water and then subjected to an oxidation treatment by exposure to atmospheric oxygen. This is called “air oxidation” or “airing” but the oxidation may be accelerated by using stronger oxidizing agent such as sodium per borate or hydrogen peroxide or sodium dichromate in the presence of acetic acid. This process is usually referred to as chemical oxidation.

 

During the oxidation step the sodium salt of leuco vat dye absorbed by the fiber is oxidized and converted into insoluble dye in the fiber. At the same time the vatted dye contained in the residual liquor in the goods being dyed also gets converted into the insoluble form which is loosely deposited on the fibre surface. This loosely deposited dye on the surface of the fiber has to be removed for achieving optimum fastness properties especially rubbing and washing fastness properties. This is achieved by soaping process. The dyed material is treated in hot soap solution or a synthetic detergent solution for 15 – 30 minutes. After the soaping treatment the dyed goods should be rinsed thoroughly and finally the dyed material is dried.

Writer:

Rebeka Monsur

Department Head (Textile & GDPM)

Daffodil Polytechnic Institute

**Source: Wikipedia & Google**

If the goal is to become a freelancer

যুগের পেক্ষাপটে উন্নত এবং চাহিদা পূর্ণ ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্য যদি হয় Freelancer হবার তাহলে –

  • কিভাবে শুরু করব-
  • Freelancer এর কাজ কি-
  • কোথায় কাজ পাওয়া যায়-
  • কিভাবে কাজ করতে হয়-

একের পর এক প্রশ্ন আসতেই থাকে-

বর্তমান সময়ে গতানুগতিক চাকুরীর বাইরে নিজের ইচ্ছামত কাজ করে অর্থ উপার্জনের আলোচিত এবং জনপ্রিয় একটি পেশা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সার হচ্ছে মুক্ত বা স্বাধীনচেতার এমন একজন ব্যক্তি -যিনি বি​ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে নিজ দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন। এখানে তার কাজের কোনো নির্দ্দিষ্ট পারিশ্রমিক নাও থাকতে পারে, আবার ফুল টাইম বা পার্ট টাইম এ বিষযটি নির্দ্দিষ্ট নাও হতে পারে।

ইন্টারনেটের কল্যানে এখন আপনি খুব সহজেই একজন ভালো ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন । একজন ফ্রিল্যান্সার তার নিজের ইচ্ছা পচ্ছন্দমত স্বাধীনতাভাবে বিভিন্ন ধরনের কাজ বাছাই এবং  পারিশ্রমিক মূল্যে নিজেই নির্ধারন করতে পারেন, এক্ষেত্রে কেউ তাকে জোর করে কোনো কাজ চাপিয়ে এবং  পারিশ্রমিক মূল্যে  নির্ধারন করে দিতে পারেন না।

এছাড়াও একজন ফ্রিল্যান্সার নিজেই কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে, কোন সময়ে কাজ করবে তা তার  নিজেরই  নির্ধারনে স্বাধীনতা রয়েছে।

এককথায়, একজন ফ্রিল্যান্সার নিজেই তার কাজের ছক অংকন করে এবং নিজেই সেটি পরিচালনা করে থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে কি কি লাগে?

১। আপনার নিজস্ব একটি কম্পিউটার থাকতে হবে।

২। কম্পিউটার চালানোর বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে এবং ইন্টারনেট চালানোর দক্ষতা থাকতে হবে।

৩। ইংলিশে যোগাযোগ করার মত ইংলিশ জানতে হবে।

মোটামুটি এই তিনটি বিষয় আপনার থাকলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার উপযোগী।

আয়ের দিক থেকেও অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং এ রয়েছে অভাবনীয় সম্ভাবনা। এখানে প্রতি মূহুর্তে নতুন নতুন কাজ আসছে। প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েবসাইট, ডিজিটলি মার্কেটিং, ডেটা সায়েন্স এবং অ্যানালিটিক্স, রাইটিং এবং ট্রান্সলেশন, গেম, 3D এনিমেশন, প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, সফ্টওয়্যার বাগ টেস্টিং, ডাটা ,এন্ট্রি আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি-এর যেকোন এক বা একাধিক  ক্ষেত্রে আপনি সফলভাবে নিজেকে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরি করে নিতে পারেন।

ইন্টারনেটে অনেকগুলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেয় যাদেরকে বলা হয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। এগুলো থেকে যেকোন একটিতে রেজিস্ট্রিশনের মাধ্যমে আপনি শুরু করতে পারেন। এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ জমা দেয় তাদেরকে বলা হয় Buyer বা Client এবং যারা এই কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় freelancer বা Service Provider. একটি কাজের জন্য অসংখ্য ফ্রিল্যান্সরা Bid বা আবেদন করে এবং ওই কাজটি কত টাকায় সম্পন্ন করতে পারবে তা উল্লেখ করে। এদের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করতে পারে। সাধারণত পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ এবং বিড করার সময় ফ্রিল্যান্সরের মন্তব্য ফ্রিল্যান্সর নির্বাচন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফ্রিল্যান্সর নির্বাচন করার পর ক্লায়েন্ট কাজের সম্পূর্ণ টাকা ওই সাইটগুলোতে জমা করে দেয়। এর মাধ্যমে কাজ শেষ হবার পর সাথে সাথে টাকা পাবার নিশ্চয়তা থাকে। পুরো সার্ভিসের জন্য ফ্রিল্যান্সরকে কাজের একটা নির্দিষ্ট অংশ ওই সাইটকে ফি বা কমিশন হিসেবে দিতে হয়। কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হচ্ছে:

ফ্রিল্যান্সার www.freelancer.com

আপওয়ার্ক www.upwork.com

পিপল পার আওয়ার www.peopleperhour.com

ফাইবার www.fiverr.com

গুরু www.guru.com

নাইন্টিনাইন ডিজাইনস www.99designs.com

জুমল্যান্সার www.joomlancers.com

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার স্টেপ গুলো কি?

১। মাইন্ড সেটআপ করা

২। নির্দিস্ট একটি বিষয় বাছাই করা

৩। বিষয়টি সম্পর্কে প্রশিক্ষন নেয়া

৪। প্রশিক্ষনের পর কয়েকটি প্রজেক্ট প্রাক্টিস করা

৫। নিজের জন্য  পোর্টফোলিও তৈরী করা

 

 

৬। মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানা

৭। মার্কেটপ্লেসে অ্যাাকাউন্ট তৈরি করা ও বিড করা

৮। বায়ারের চাহিদা অনু্যায়ী কাজ করে দেওয়া এবং জমা দেওয়া

৯। মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা ঊঠানো

দরকার নেই বাধাধরা সময়ের চাকুরি, দরকার নেই কর্পোরেট রোবট হবার! নিজের মেধাকে  কাজে লাগিয়ে আউটসোর্সিং করেই কিন্তু সুন্দর একটা ভবিষ্যত পাওয়া সম্ভব!

 

 

=================

Mst. Sathi Akter

Instructor of Computer Technology

Daffodil Polytechnic Institute

সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম সম্পর্কে  বিস্তারিত আলোচনাঃ পর্ব-১

সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম সম্পর্কে  বিস্তারিত আলোচনাঃ পর্ব-১

Daffodil Polytechnic Institute কর্তৃক প্রকাশিত ব্লগের ধারা-বাহিক আর্টিকেল লেখার জন্য আমি “ Surveillance Security System“ বিষয় টি বেছে নিয়েছি। আমি মনে করি বিষয় টি যুগ উপ যুগী- তাই এর প্রথম পর্ব “ সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম সম্পর্কে  অবগত হওয়া “। আর্টিকেলটিতে  সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করা হবে। সিকিউরিটি জোরদার করার ক্ষেত্রে  সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম সম্পর্কে ধারনা থাকা অত্যন্ত জরুরী ।

সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম এর যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হবে তা হল-

১। সার্ভিলেন্স সিস্টেম সম্পর্কে অবগত হওয়া।

২। সার্ভিলেন্স সিস্টেম এর সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ আলোচনা করা ।

৩। ভিডিও সার্ভিলেন্স সিস্টেম এর ঘটনার ব্যাখ্যা সম্পর্কে আলোচনা করা।

৪। সিসিটিভি সার্ভিলেন্স সিস্টেমের বিভিন্ন নোড সম্পর্কে আলোচনা করা ।

 সার্ভিলেন্স সিস্টেম সম্পর্কে অবগত হওয়া 

সার্ভিলেন্স নিয়ে আলোচনা করার পূর্বে সার্ভিলেন্স শব্দটির উৎপত্তি  সম্পর্কে যানা আমাদের প্রয়োজন।

আসুন জেনে নিই সার্ভিলেন্স কথাটি কোথা থেকে এসেছে। সার্ভিলেন্স (Surveillance) এর আভিধানিক বাংলা অর্থ হচ্ছে নজরদারি । যা একটি ফরাসি শব্দ Sur শব্দের আভিধানিক রূপ From Above অর্থাৎ দূর বা উপর থেকে এবং Veiller এর আভিধানিক অর্থ To Watch অর্থাৎ “দেখার জন্য”। তাই সার্ভিলেন্স এর পুরো অর্থ দাঁড়ায় দূর বা উপর থেকে দেখার জন্য।

তাহলে নজরদারি বা সার্ভিলেন্স এর সংজ্ঞা দাঁড়ায়- কোন ব্যক্তি, সংগঠন, নির্দিষ্ট স্থান ইত্যাদির নিরাপত্তা বা তার গতিবিধির উপর নজরদারি করার জন্য মানুষ দাঁড়া বা যান্ত্রিক সহায়তায় যে পদ্ধতি আরোপ করা হয়,তাকে নজরদারী প্রক্রিয়া বা সার্ভিলেন্স সিস্টেম (Surveillance System ) বলে ।

সার্ভিলেন্স সিস্টেম বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে-

১। টেলিফোন নজরদারি

২। ক্যামেরা নজরদারি

৩। এরিয়াল নজরদারি

৪। কম্পিউটার নজরদারি

৫। সামাজিক নজরদারি

৬। বায়োমেট্রিক নজরদারি

৭। ডেটা মাইনিং এবং প্রোফাইলিং

৮। কর্পোরেশন নজরদারি

৯। আরএফআইডি এবং জিওলোকেশন ডিভাইস

১০। মাইক্রোচিপ নজরদারি

১১। পোষ্টাল পরিষেবা

১২। ওয়াল্ডি লাইফ

টেলিফোন নজরদারি  (Telephone Surveillance )   

টেলিফোনে কথা বলে তথ্য পাচার বা কোন অপরাধ সংগঠনের প্রতিষ্ঠা প্রতিহত করার জন্য টেলিফোনের কথার টেপ করে রেকর্ড রাখার প্রক্রিয়া এক ধরনের সার্ভিলেন্স বা নজরদারি।

অফিসিয়াল বা আনঅফিসিয়ালি  টেলিফোনে আড়িপাতা বিশ্বব্যাপী।

উদাহরণস্বরূপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, আইন প্রয়োগকারী আইন (CALEA) এর জন্য যোগাযোগ সহায়তা প্রয়োজনীয় হয়, যে সমস্ত টেলিফোন এবং ভিওআইপি যোগাযোগ ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি দ্বারা রিয়েল-টাইম ওয়্যারটেপিং এভেলেবেল থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বড় টেলিযোগাযোগ সংস্থা — AT&T Inc.and Verizon – এফবিআইয়ের সাথে চুক্তি করেছে, যাতে তাদের ফোন কল রেকর্ডগুলি ফেডারেল এজেন্সিগুলির জন্য সহজেই সন্ধান করা যায় , জন্য প্রতি বছর ১.৮ মিলিয়ন ডলার এর জন্য পরিশোধ করতে হয়।

 ক্যামেরা নজরদারি (Camera Surveillance)   

নজরদারি ক্যামেরা বা Camera Surveillance হ’ল কোনও অঞ্চল পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ভিডিও ক্যামেরা। নজরদারি এর ক্ষেত্রে ক্যামেরা বহুল প্রচলিত, বিশেষ করে ভিডিও ক্যামেরা রেকর্ডিং ডিভাইস আইপি নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে খুবই কার্যকরীভাবে কাজ করা যায়। এধরনের নজরদারি ব্যবস্থায় ব্যবস্থা একটি কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম থাকে, যেখান থেকে সব ক্যামেরা দ্বারা নজর রাখা হয়। এ ধরনের নজরদারি ব্যবস্থা সাধারণত নিরাপত্তারক্ষী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ব্যবহার করে থাকে।

এরিয়াল নজরদারি (Aerial Surveillance)   

শূন্যে ভাসমান কোন যন্ত্রের বা বিমানের সাহায্যে নজরদার করার প্রক্রিয়াকে এরিয়ার সার্ভিলেন্স (Aerial Surveillance) বলে। যেমন ড্রন দ্বারা ভিজুয়াল ইমেজ সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দল বা এলাকার উপর নজরদারি করা হয়ে থাকে বিশেষ করে পাকিস্তান আফগানিস্তান ও বিভিন্ন দেশে আমেরিকান আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে ব্যাপকহারে গ্রহণের মাধ্যমে সার্ভিলেন্স করে আসছে সফলতার সাথে।অনেক সময় বিমান থেকেও Surveillance করা হয়ে থাকে । বিশেষ করে আমেরিকার Awax বিমান তাদের জন্য বহুল ব্যবহৃত হয়।


কম্পিউটার নজরদারি (Computer Surveillance)    

কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্ক নজরদারি হ’ল কম্পিউটারের ক্রিয়াকলাপ এবং একটি হার্ড ড্রাইভে থাকা ডেটা বা ইন্টারনেটের মতো কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলিতে ডেটা স্থানান্তরিত হওয়া ডেটা পর্যবেক্ষণ। এই পর্যবেক্ষণটি প্রায়শই গোপনীয়ভাবে পরিচালিত হয় এবং এটি সরকার, কর্পোরেশন, অপরাধমূলক সংস্থা বা ব্যক্তি দ্বারা সম্পন্ন হতে পারে।

 

 

সোশ্যাল মিডিয়া নজরদারি (Social Media Surveillance)    

সোশ্যাল মিডিয়া নজরদারি ডিজিটাল যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মগুলি থেকে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণকে বোঝায়।

নজরদারির অন্যতম ক্ষেত্রেই হচ্ছে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক বা সোশ্যাল মিডিয়া যেমন- ফেসবুক, টুইটার,

ইউটিউব, লিংকডিন  ইত্যাদি কে কোথায় কি ধরনের বক্তব্য বা কি ধরনের আচরণ ও কোন ঘটনার উপর কি ধরনের প্রক্রিয়া প্রদর্শন করছে তা সোশ্যাল মিডিয়া বা নেটওয়ার্ক নজরদারির মাধ্যমে সহজে জানা যায়।


বায়োমেট্রিক
নজরদারি (Biometric Surveillance)   

বায়োমেট্রিক নজরদারির মাধ্যমে মানুষের শারীরিক উপস্থিতি নিশ্চিত এবং তার আচরণের উপর নজরদারি করা সম্ভব। ইদানিং আমাদের দেশে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশন এবং অফিস, স্কুল-কলেজ, কর্মক্ষেত্রে হাজিরা দেয়ার মাধ্যমে সবার উপস্থিতি নিশ্চিত করণের কাজ চলছে। এ ধরনের নজরদারি প্রক্রিয়ারই বায়োমেট্রিক নজরদারি।

ডেটা মাইনিং এবং প্রোফাইলিং(Data Mining and Profiling)   

ডাটা মাইনিং এবং প্রোফাইলিং প্রক্রিয়ায় বহুসংখ্যক মানুষের বিভিন্ন এলাকার তথ্য একসাথে স্টোর করে তারপর সেখান থেকে যখন যেটা প্রয়োজন তা নিয়ে কাজ করা হয় তখন কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা এলাকার তথ্যাবলী আলাদা আলাদাভাবে প্রফাইল আকারে দেখা যায়।

 

কর্পোরেট নজরদারি (Corporate Surveillance)   

কর্পোরেট নজরদারি হ’ল কর্পোরেশন কর্তৃক কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর আচরণ পর্যবেক্ষণ। সংগৃহীত ডেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিপণনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয় বা অন্য কর্পোরেশনগুলিতে বিক্রি হয় তবে নিয়মিত সরকারী সংস্থাগুলির সাথেও ভাগ করা হয়।

আরএফআইডি এবং জিওলোকেশন ডিভাইস (RFId and Geolocation Devices)   

রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডি এবং জিওলোকেশন ডিভাইস, এ ধরনের সার্ভিলেন্স ব্যবস্থা কোন বস্তু বা মানুষ বা যানবাহনের উপর নজরদারি করার জন্য ব্যবহৃত হয়। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডি ট্যাগ ( RF Id Tag) মাধ্যমে বহনকারী যানবাহন কোথায় অবস্থান করছে তা জানা যায়।বিমান জাহাজ গাড়ি মোটরসাইকেল এমনকি মোবাইল ফোনের অবস্থান নির্ভুলভাবে নজরদারিতে রাখতে জিপিএস ব্যবহার করা হয়।

মাইক্রোচিপ নজরদারি(Micro Chip Surveillance)   

মাইক্রোচিপ এর সাহায্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা যানবাহনের উপর সার্ভিলেন্স করা হয় এর সিগনাল এর মাধ্যমে রিসিভার সিগন্যাল রিসিভ করে, ওই ব্যক্তি বা যানবাহনের অবস্থান বের করা যায়। কখনো কখনো মাইক্রোচিপ মানুষের শরীরে ও স্থাপন করা হয়ে থাকে যাতে তার অবস্থান সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়।

নজরদারির অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ডাক বিভাগে নজরদারি । কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের গতিবিধি এবং তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যম হোল চিঠিপত্র, যার উপর নজরদারি করা হয় ডাক বিভাগের মাধ্যমে।ডাকযোগে পণ্যের অবস্থান প্রতিনিয়ত কাস্টমারের কাছে প্রদান করার জন্য বিশ্বের সব বড় বড় পোস্টাল সার্ভিস গুলি, একটি কাস্টম প্যানেল দিয়ে থাকে যার ফলে তার পণ্য সঠিক জায়গায় পৌঁছেছে কিনা সময়মতো তা অনুধাবন করতে পারে।পোষ্টাল পরিষেবা(Postal Service)    

এছাড়াও আমরা আরো অনেক ধরনের সার্ভিলেন্স সিস্টেম দেখতে পাই যেমন -পশু-পাখিদের উপর নজরদারি সিস্টেম, করোনাভাইরাস নজরদারি সিস্টেম, হিউম্যান মাইক্রোচিপ ইত্যাদি।

নজরদারি করার সুবিধা অসুবিধা 

নজরদারি করার সুবিধাসমূহ 

  • ২৪ ঘন্টা/সপ্তাহে সাতদিন সার্বক্ষণিক নজরদারি করা সম্ভব ।
  • সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেমের কারণে কোন ঘটনার সত্য তথ্য উদঘাটিত হয়।
  • সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম পাবলিক প্লেসে স্থাপন করা হলে জননিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়।
  • সার্ভিলেন্স ব্যবস্থা কোন প্রতিষ্ঠান ও এর কর্মচারীদের নিরাপত্তা প্রদান করতে পারে
  • সার্ভিলেন্স এর ব্যবস্থা থাকলে সংঘটিত অপরাধের প্রমাণাদি সংগ্রহ করা সহজ হয়।
  • সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম এরিয়াতে অপরাধীরা অপরাধের মাত্রা অনেকখানি কমিয়ে আনে।
  • আদালতে প্রমাণ স্বরূপ অপরাধীদের ভিডিও ফুটেজ এবং অন্যান্য প্রমাণাদি সাবমিট করতে সহজ হয়।
  • কর্মক্ষেত্রে ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়।

 নজরদারি করার অসুবিধাসমূহ   

  • হ্যাকারদের আওতায় চলে আসলে হুমকির জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার কমে আসতে পারে।
  • ব্যাপক মাত্রায় সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেমে মানুষ প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ে এবং মেধা ও পরিশ্রম শূন্য হয় পড়ে ।
  • নজরদারির ফলে জনগণ তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে পারে।
  • খরচ বেশি ব্যয়বহুল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হয়।
  • সার্ভিলেন্স এর ফলে ব্যক্তি অধিকার অনেকাংশে ক্ষুদ্র করে।

পরিশেষে বলতে গেলে বলতে হয় সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম সম্পর্কে জানা এবং এর রক্ষণাবেক্ষণ ও মনিটরিং ব্যবস্থা জানা অত্যন্ত জরুরী যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানই এখন বাধ্য হচ্ছে তাদের প্রতিষ্ঠান রক্ষার জন্য সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম স্থাপন করা। যার ফলশ্রুতিতে এই সেক্টরে কাজের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে । আইটি প্রফেশনে যারা জড়িত হতে চান তাদের সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সম্পর্কে জানা জরুরী, একটি ব্লগে হয়তো সম্পূর্ণ আনা সম্ভব হয়নি, পরবর্তী পর্বে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।  চার বছর মেয়াদি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আন্ডারে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যায়নরত ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবেন । টেকনিক্যাল এডুকেশন এর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার দের জন্য অত্যন্ত উপকারে আসবে এছাড়াও সাধারণ যারা সার্ভিলেন্স সিকিউরিটি সিস্টেম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী এবং নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করছেন তাদের জন্য আশা করি কাজে লাগবে।

 

সোর্স ঃ [wikipedia, Google, Textbook.]

 

মুহাম্মাদ সহিদুল ইসলাম

ইনস্ট্রাক্টর(কম্পিউটার)

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউট