অবিদুর রহমানের সফলতার গল্প, পর্ব – ২

আবিদুর রহমান ড্যাফোডিল পলিটেকনিকের কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টের ৮ম সেমিষ্টারের একজন ছাত্র। তিনি  ইন্টার্নিংকরেছে প্রোগ্রেসে হোল্ডিং গ্রুপ লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিতে। যে সেখানে আইটি কম্পিউটারে দায়িত্বরত ছিল। যখন সে ইন্টার্নশীপ খুজ ছিলেন তখন তিনি নিজের থেকেই প্রোগ্রেসে গ্রুপের সাথে সরাসরি কথা বলে এবং অনেক বিষয়েই তারা অনেক সময় ধরে আলোচনা করেন। তার মাধ্যমেই তিনি জানতে পারেন যে তারা আইটির লোক খুজছেন। তখন পোগ্রেসে গ্রুপ থেকে তাকে জানান যে সে তাদের সাথে এক মাস কাজ করবেন ইন্টর্নশীপ হিসেবে পরবর্তীতে তারা যাচাই করে দেখবে যে তাকে পার্মানেন্টলি নেওয়া যায় কিনা।

তখন তিনি বিভিন্ন ভাবে একমাস সেবা প্রদান করেন । তিনি বলেন “একটি মজার ব্যাপার  হল যখন তার ইন্টনশীপের একমাস ও হয় নি, একদিন আমার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর স্যার  তাকে রুমে ডাকে এবং বলেন  আবিদ  তোমার কাজ গুলো তো আমার অনেক ভারো লাগল। তুমি যে সব কাজ গুলো কর মূলত তার জন্যই আমাদের সাথে যোগদান করো। তিনি আরো বলেন, তার চাকরীর পাওয়ার সাথে সাথেই তাকে ময়মনসিংহ ক্যান্টেলমেন্টের একটা প্রজেক্ট দেওয়া হয় ।

ময়মনসিংহ যাওয়ার পরে তিনি বিভিন্ন বড় বড় টেকনিশিয়ানদের সাথে কাজ করার সুযোগ পায়। যখন তিনি ময়মনসিংহ  প্রজেক্ট শেষ করে ঢাকা ফিরে আসেন । এরই মধ্যে লকডাউন পরে যায়। তারপরে সে অবসর সময়ে ভাবে যে কোন সে ঘরে বসে থাকবে বরং নিজের কিছু প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

তাই সে তার বাবাকে তার আইডিয়া বলেন এবং তার বাবা তার কথায় রাজি হন। তিনি আরো বলেন ”তার ব্যবসায় শুধু মাএ তার পড়ার টেবিল এবং আর তার কম্পিউটার এবং তার বাবা দেওয়া ছোট একটা রুমই ছিল তার ইনভেস্টমেন্ট।”

বর্তমানে তার একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার করার ইচ্ছা আছে । তিনি বলেন যে তার ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট হাতে আসার পূবেই তাকে তাদের গ্রামের লোকজন ইঞ্জিনিয়ার বলে ডাকা শুরু করেছে এটা তার কাছে বিশাসে একটা পাওয়া। সবশেষে তিনি ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটকে ধন্যবাদ জানার তাকে সফলতার গল্পে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

 

নির্মাণ উপকরণ হিসেবে হলো ব্লক, ইট হতে পরিবেশ বান্ধব

বর্তমানে ব্যবহৃত নির্মাণ উপকরণের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত উপকরণ ‘ইট’। বাংলাদেশ সরকার ইটকে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে, তা হলো ‘ইট’ অর্থ বালু, মাটি বা অন্য কোনো উপকরণ দ্বারা ইটভাটায় পুড়িয়ে প্রস্তুতকৃত কোনো নির্মাণসামগ্রী। সংজ্ঞাটি একটু বিশ্লেষণ করা যাক।

প্রথমত, বালু পুড়িয়ে ইট তৈরি করা যায় না। দ্বিতীয়ত, মাটি ছাড়া অন্য কোনো উপকরণ পুড়িয়েও ইট তৈরি করা যায় না। তৃতীয়ত, ইট মানেই ইটভাটায় পুড়িয়ে প্রস্তুত করা নির্মাণসামগ্রী। এবার আসি ইট তৈরির মাটি প্রসঙ্গে। আইনে যেভাবে বলা আছে তা হলো, ‘জেলা প্রশাসকের অনুমোদনক্রমে কোন ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করিবার উদ্দেশ্যে মজাপুকুর বা খাল বা বিল বা খাঁড়ি বা দিঘি বা নদ-নদী বা হাওর-বাঁওড় বা চরাঞ্চল বা পতিত জায়গা হইতে মাটি কাটিতে বা সংগ্রহ করিতে পারিবেন।’ আমার জানামতে, যে মাটি কৃষিকাজের জন্য উপযোগী, কেবল সেই মাটিই ইট প্রস্তুতের জন্য উপযোগী, মজাপুকুর বা খাল বা বিলের মাটিতে মাত্রাতিরিক্ত জৈব পদার্থের উপস্থিতির কারণে ভালো মানের ইট তৈরি সম্ভব নয়।

এক সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশ প্রতিবছর শতকরা এক ভাগ কৃষিজমি হারাচ্ছে, যার দ্বিতীয় প্রধান কারণ, ইটের কাঁচামাল ও ইটের ভাটা। এই ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই খাদ্যনিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হবে। এমনিতেই বাংলাদেশে মাথাপিছু কৃষিজমির পরিমাণ মাত্র ১২ শতাংশ। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আমাদের চেয়ে তিন গুণ ও গণচীনে দুই গুণ বেশি। তারপরও চীন ও ভারতে ইট উৎপাদনে কৃষিজমির মাটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

কোনো দেশে পরিবেশগত কারণে কমবেশি ২৫ শতাংশ বনাঞ্চল থাকা প্রয়োজন, যা বাংলাদেশে প্রায় অর্ধেক। এমতাবস্থায় বনজ কাঠ ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকলে বনাঞ্চল আরও সীমিত হবে, যা কাম্য নয়। বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রতিবছর কমবেশি দুই হাজার পাঁচ শ কোটি ইট তৈরি হচ্ছে। এই ইট তৈরিতে ১৮ হাজার হেক্টর (১৮০ বর্গকিলোমিটার) কৃষিজমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, প্রায় ৮০ লাখ টন কাঠ ও কয়লা পুড়ছে, যা থেকে পরিবেশে আনুমানিক ২ কোটি টন কার্বন নির্গত হচ্ছে।

উপরিউক্ত বিশ্লেষণের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতীয়মান হয় যে পোড়ামাটির অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে আমাদের বিকল্প নির্মাণসামগ্রী গ্রহণ করতে হবে। যেটা হবে সার্বিকভাবে কৃষিবান্ধব, পরিবেশবান্ধব, ভূমিকম্পসহ অন্যান্য দুর্যোগসহনীয়, লাগসই, টেকসই, সর্বোপরি ব্যয়সাশ্রয়ী। ইটের বিকল্প নির্মাণ উপকরণ হিসেবে উল্লিখিত গুণাবলিসম্পন্ন একাধিক নির্মাণ উপকরণ ও প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং ব্যবহার সন্তোষজনক পাওয়া যায়। নিচে পরিবেশ বান্ধব উপকরণের বিশদ বর্ণনা নিচে দেওয়া হলো।

কংক্রিট ব্লক: সিমেন্ট, বালু ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ৪ মিমি পাথরের কণা বা ডাস্ট সমন্বয়ে এই ব্লক তৈরি করা হয়। ম্যানুয়েল, মেকানিক্যাল বা হাইড্রোলিক মেশিন ব্যবহার করে এ ব্লক তৈরি করা যায়। এই ব্লকের ব্যবহারের ক্ষেত্র বিবেচনায় প্রশস্ত পরিসরে বিভিন্ন গুণাগুণের সামগ্রী তৈরি করা যায়। এটা কারখানায় যেমন অতি বড় আকারে প্রস্তুত করা যায়, আবার ছোট আকারে নির্মাণ সাইটেও তৈরি করা যায়। প্রয়োজন অনুযায়ী ডিজাইনমাফিক বিভিন্ন মান ও দামের ব্লক তৈরি করা যায়। কংক্রিট ব্লক হলো (hollow) সলিড (solid) ইন্টারলকিং (interlocking) বা থার্মাল (thermal) যেকোনো রকমের হতে পারে। আবার ইচ্ছেমতো যেকোনো রঙের করাও সম্ভব। বর্তমানে ইট ব্যবহারে যেমন ভার বহনকারী ও পার্টিশন ওয়ালের জন্য একই শক্তির ইট ব্যবহার করা হয়, ব্লকের ক্ষেত্রে সেটার প্রয়োজন হয় না। ফলে ব্যয়সাশ্রয়ী হয়। হলো ব্লকের ওজন কম, আকার–আকৃতি ভালো। ফলে অধিকতর ভূমিকম্পসহনীয় এবং গাঁথুনি ও প্লাস্টারে (যদি লাগে) খরচ কম। তা ছাড়া প্রচলিত ইটের সমতুল্য কংক্রিট ব্লক মূল্যসাশ্রয়ী (২৫% কম) হওয়ার কারণে অধিকতর তাপ কুপরিবাহী। ফলে গরম ও শীতে ঘর আরামদায়ক ও বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হয়। ব্লকের ওজন কম ও সাইজে বড় হওয়ায় কম জনবল দিয়ে অতি দ্রুত সময়ে কাজ করা যায়। লবণাক্ততা না থাকার কারণে দেয়ালের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ নেই বললেই চলে। কার্বন নিঃসরণ প্রচলিত ইটের প্রায় শতকরা ২০ ভাগ।

হলো ব্লক ব্যবহারে দেয়ালের খরচ অন্তত ৩০ শতাংশ কম হয়। থার্মাল ব্লকে বাইরের অংশে হলো ব্লকের মতো কংক্রিট থাকে এবং ভেতরের অংশ ফাঁকা না রেখে ইপিএস দিয়ে ভরাট করা হয়। ফলে হালকা ও অধিকতর তাপনিরোধক হয়ে থাকে, যা ঘরকে আরামদায়ক, রক্ষণাবেক্ষণমুক্ত ও ভবনকে ভূমিকম্প সহনীয় করে।

 

সুবিধা সমূহ:-

  • শব্দ, অগ্নি ও তাপ নিরোধক।
  • ইলেকট্রিক্যাল পাইপ বসানোর জন্য দেয়াল কাটা লাগে না।
  • ইটের ন্যায় অধিক পানি শোষণ করে না।
  • এই ব্লক গাঁথুনীর কাজে ব্যবহারের আগে ইটের মতো পানিতে ভেজাতে হয় না।
  • কনক্রীটের ব্লকে নোনা ধরে না, ঘামে না, ড্যাম্প হয় না, ফাঁঙ্গাস পড়ে না বলে এটি দীর্ঘস্থায়ী।
  • কনক্রীটের ব্লকে ইটের তুলনায় কম পুরুত্বের প্লাস্টারিং ব্যবহার করা হয়।
  • বাড়ির ব্যক্তিগত ওজন ও নির্মাণ খরচ দুই-ই কমাবে।
  • পরিবেশবান্ধব এবং ভূমিকম্প সহনশীল।
  • কৃষি জমি ও বনজ সম্পদরে অপচয় রোধ।কোন জ্বালানীর প্রয়োজন হয় না।পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে না। সারা বছর ব্যাপী উৎপাদন করা সম্ভব।শব্দ শোষন ক্ষমতা বেশিঅগ্নি ও তাপ নিরোদক অধকি র্কাযক্ষম।স্থায়ত্বিকাল ও কাঠামোগত ভারসাম্য বেশ ভাল।

 

লেখক,

মোঃ মাহবুবুর রহমান

ইন্সট্রাক্টর,

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

 

গল্প থেকে শেখা,পর্ব – ১

গল্প থেকে শেখা,পর্ব – ১

গল্পের নাম-  ব্যাঙের দল

(উৎসাহমূলক গল্প)

 

একদল ব্যাঙ বন দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, তাদের মধ্যে দু’টি ব্যাঙ গভীর গর্তে পড়ে গেল। অন্য ব্যাঙ গুলো যখন গর্তটির চারপাশে ভিড় করেছিল এবং দেখল যে এটি কতটা  গভীর তখন তারা ব্যাঙকে দুটিকে বলেছিল যে তাদের বেঁচে থাকার কোন আশা নেই।  তবে, দুটি ব্যাঙ অন্যেরা যা বলছে তা উপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারা বের হওয়ার চেষ্টা করছিলো।

গর্তের উপরের ব্যাঙের দলটি তখনও বলছিল যে তাদের হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত। তারা কখনই গর্ত থেকে বের হতে পারবে না।

অবশেষে, ব্যাঙ দুটির মধ্যে একটি অন্যরা যা বলেছিল সেদিকে মনোযোগ দিয়েছিল এবং সে মৃত্যুর দিকে নেমে পড়লো। অন্য ব্যাঙটি তার সাধ্যমতো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লাফ দিতে থাকল।

উপরে থাকা ব্যাঙগুলো তাদের কে পাথর মারতে লাগলো যাতে তারা তাড়াতাড়ি মারা যায় কম কষ্ট পেয়ে। গর্তে পড়ে থাকা ব্যাঙটি আগের থেকে লম্বা এবং জোরে লাফ দিল এবং সে উপরে উতে সক্ষম  হল।

যখন সে বের হল, অন্য ব্যাঙরা বলল তুমি কি আমাদের কথা শুনতে পাও নি। পরে সে ব্যাঙটি ব্যাখ্যা করলো সে বধির, কানে শুনতে পায় না। সে মনে করেছিল সব সময় তাকে তারা উৎসাহিত করছিলো বেরিয়ে আশার জন্য।

 

গল্পের নীতিকথা: 

মানুষের কথা অন্নের জীবনের উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। আপনার মুখ থেকে বের হওয়ার আগে আপনি কি বলছেন তা নিয়ে চিন্তা করুন। শুধুমাত্র এটাই জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য হতে পারে।

 

 

অলিদ হাসান আকাশের সফলতার গল্প

অলিদ হাসান আকাশের সফলতার গল্প

আমাদের শিক্ষার্থীদের সফলতার গল্প

আমাদের শিক্ষার্থীদের সফলতার গল্প যেখানে আমরা তুলে ধরতে চাই এ্যালামনাই এবং ডিপ্লোমারত শিক্ষার্থীদের সফলতার গল্প।

অলিদ হাসান আকাশ বলেন তিনি কিছু তে ভয় পান না । কারন তার এক পেছনে তার এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি এবং নলেজ বাড়ানোর জন্য সে অনেক সময় দিয়েছে তাছাড়া ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক বছর ধরে কানেকটেড আছেন এবং তার শিক্ষকরা ছাত্র জীবন থেকেই তাকে সার্পোট দিয়ে আসছে। এই কারণেই তার মূলত ভয় লাগে না ।

তাছাড়া তার বাবা মা কখোনো তাকে পড়ালেখার সিদ্ধান্ত নিতে বাধা দেয়নি বরং তাকে সব সময় সার্পোট করেছে। তার ডিপাটমের্ন্টের প্রতিটি শিক্ষক তাকে সার্পোট দিয়েছেন, গাইট করেছেন এবং মেনটারিং করে এসেছে।

 

তিনি বলেন, ঠিক এক বছর আগে হাকিম স্যার তাকে জিজ্ঞাসা করলেন  কি কি করে এবং তার এ মাসে কত টাকা ইনকাম করেছে। পরবর্তীতে হাকিম স্যার বললেন এখন চাকরি কর ঠিক আছে এটাই যেন সারা জীবন না করতে হয়, চাকরী যেন দিতে পারো ।

ইন্টনর্শীপেরি  অভিজ্ঞতা

ইন্টনর্শীপেরি  অভিজ্ঞতা  তার জন্য একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা । তিনি আরো বলেন, “দেখেন আমার হাতে এখানো সার্টিফিকেট আসে নাই, আমি আমার ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট এখোনো হাতে পাই নি, কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক বেশি নেটওয়ার্ক আছে এবং তার দুই বছরের অভিজ্ঞতা আছে।

তার ইন্টানর্শীপের গল্প টা এ একটু আলাদা ছিল কারন তিনি ৪র্থ সেমিষ্টার থেকেই বিভিন্ন ভলেনটিয়ার অরগানাইজেশন এবং ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতেন ।  এর মাধ্যমেই তার অনেক নেটওয়ার্ক তৈরি হয় এবং অনেক গুলো কোম্পানির সাথে কাজ করার সুযোগ হয়।

তিনি বার বার এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটির কথা বলেছেন কারণ এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি  তাদের এক্সপেরিয়েন্স নেটওয়ার্কিং সব কিছুতেই সহযোগীতা করেছে ইন্ডাস্ট্রিতে যে বিষয় নিতে কাজ করার ইচ্ছা সে রিলেটেড ইন্ডাস্ট্রিতে একজন মেনটর খুজে বের করা যারা আসলে সব কিছুতেই সব কাজেই সহযোগীতা করতে পারবে ।

তিনি আরো বলেন কারিকুলার এক্টিভিটির সাথে সাথে বইয়ের পড়াশুনার দরকার আছে । তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন রেজাল্ট হচ্ছে  কার্ড আর হচ্ছে আমাদের স্কিল তাই জীবনে সফল হতে গেলে দুইটির ই প্রয়োজন আছে ।

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক

তিনি মনে করেন ড্যাফোডিল পলিটেকনিক অন্য সব পলিটেকনিকের চেয়ে উন্নতমানের কারন যেহেতু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায় হাতে কলমে শেখানো হয় তাই শিক্ষকরা শুধুমাত্র বই না বরং তার বইরে গিয়ে বেশি বেশি প্রাকটিক্যাল করান। তাছাড়া ড্যাফোডিল পলিটেকনিকের এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটির জন্য বিভিন্ন ক্লাব আছে এবং শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন, কার্নিভেলে অংশ গ্রহন করার সুযোগ পায়।

অলিদ হাসান আকাশের

এ্যালামনাই,ড্যাফোডিল পলিটেকনিক 

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট

চন্দ্র চুরি !

চন্দ্র চুরি !

ঝিম ধরা মাথাটা আর কাজ করতে চাচ্ছেনা। যেকোন মুহুর্তে আন্দোলন করে বলতেই পারে WE WANT JUSTICE!!! আর বলবেই বা না কেন? কাজের সুবাদে অধিকাংশ সময় তাকিয়ে থাকতে হয় ওই এক গণনাকারি যন্ত্রের দিকে। জি না, আমি কোন একাউন্টেন্ট নই। আমি একজন সদ্য পাশ করা আর সদ্য নতুন কর্ম জীবনে প্রবেশ করা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। কর্ম জীবনে অভিজ্ঞতার ঝুরিটি পূর্ণ করতেই দেশের অন্যতম সুনাম ধন্য এক পলিটেকনিক এ শিক্ষকতায় প্রবেশ করেছি। নতুন নতুন চাকুরি বলে কথা। তাই আগ্রহ আর কর্ম উদ্দীপনা একটু বেশি তাই অফিস টাইমের পরে অগ্রিম কিছু কাজ করে রাখি। যাইহোক, কাজের চাপে চোখ বুজে যাচ্ছিলো যখন তখন মস্তিষ্ককে বুঝাতে থাকলাম এখন আন্দলন না করে সুবোধের মত কাজ করো তখনই কেন জানি মস্তিষ্ক আমাকে ফিস ফিস করে বলে উঠলো “ ওগো চলোনা গো একটু ছাদে গিয়ে চাঁদ দেখি” । ব্যাস হয়ে গেলো, মনের ডাকে দেহ সারা দিয়ে উঠলো। চেয়ার ছেরে উঠে মুখে পানির ঝাপটা মেরে চলে গেলাম ছাদে চন্দ্র বিলাস করতে।

ছাদে গিয়ে একটু হতাশ। আরে চাঁদ টা যে আকাশে নেই! চাঁদ ছাড়া আকাশ টা কেমন জানি আলুর বোখারা ছাড়া কাচ্চির মত লাগছে। যাইহোক তবুও মনটাকে সতেজ করতে রেলিং এর উপর দুহাত রেখে দৃষ্টি ছুরে দিলাম আকাশের দিকে। একটা দুর্বিন থাকলে ভালো হতো। আসলেই কি আজ চাঁদ উঠেনি আকাশে? মন্দ লাগছেনা আকাশটাকে। কোটি তারার আলোয় রাতের আকাশ টা কেমন যেন বিয়ে বাড়ির মত ঝিকিমিকি করছে। চাঁদ মামার কি তবে আজ বিয়ে ? হা হা হা। নাহ সেতো ছোট বেলার কল্প কাহিনী।

আমার বাদর গোছের ছোট ভাই এলো হাতে দু মগ চা নিয়ে। ও অবশ্য নিয়মিত যাত্রী এই ছাদের। আজ হয়তো আমাকে আসতে দেখে চা সহ এসেছে। এসেই বললো “কিরে ভূতে বা পরীতে ধরেনিতো যে আজ হঠাৎ ছাদে ?”  বললাম, “ নাহ তেমন কিছুনা। এক ঘেয়ে জীবনে একটু চন্দ্র বিলাসে আসলাম আর কি।“ ছোট ভাই বললো “ হুম নে নে  চন্দ্র বিলাস কর। কিন্তু তোর চন্দ্র তো মনে হয় চুরি হয়ে গিয়েছে। কোথাও তো নাই।“ বলেই হাসতে হাসতে ছাদের অপর প্রান্তে গিয়ে কি যেন একটা গান গাইতে থাকলো। সে যাই হোক চায়ে চুমুক দিয়েই কেন জানি প্রশ্ন হলো আসলেই তো যদি চাঁদ টা কখনো এলিয়েন দ্বারা চুরি হয়ে যায় কিংবা মহাকর্ষিক কোন কারনে চাঁদ পৃথিবী থেকে হারিয়ে যায় বহু দূরে তাহলে কি হবে আমাদের অর্থাৎ এই সুন্দর পৃথিবীর?

প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আমাদের এই এক মাত্র উপগ্রহটি। পৃথিবী জন্মের আনুমানিক ৮৫ মিলিয়ন বছর পর থেকে একসাথে সংসার করছে। সুখে-দুখে একে অন্যকে সব সময় পাশে পেয়েছে। আর আমরাও এই নিয়ে কত কল্প কাহিনী গল্প ছড়িয়েছি। সেই চাঁদের বুড়ি তো এখনো আছে প্রতিটি শিশুর মনে জীবিত। কিন্তু আমাদের এই ভালোবাসার বাল্য বন্ধু চাঁদ আমাদের থেকে হারিয়ে গেলে কি হবে আমাদের, তা কি কখনো ভেবে দেখেছি ? চাঁদ শুধু আমাদের রাতের আঁধার দূর করা আর কবি সাহিত্যিকের লিখনির অংশ হতেই আসেনি। এর অবদান আমাদের জীবনের জন্য অপরিসীম। প্রানীকূল সহ পৃথিবীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে চাঁদের ভূমিকা কল্পনাতীত।

চাঁদের অনুপস্থিতিতে আমাদের পৃথিবীর যেসব পরিবর্তন ঘটবে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চোখে পরবে রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকার। রাতের আঁধারে চাঁদের মিষ্টি আলোর বিকল্প আর কিছুই হতে পারেনা। ইলেক্ট্রিক বাল্ব থাকলেও তা চাঁদের আলোর মত মিষ্টি না। হুম কিছু ক্ষেত্রে দূরের তারা হতে আসা আলোক রশ্মি আলোকিত করবে কিন্তু তা পর্যাপ্ত না।

চাঁদের অভাবে আমাদের পৃথিবীর দিন রাত্রিতেও আসবে বিশাল ফারাক। চাঁদের সাথে পৃথিবীর  মহাকর্ষীয় সম্পর্ক। আর এই আকর্ষণের জন্য পৃথিবীর যে উচ্চো গতি তাতেও এর প্রভাব রয়েছে। অনেকটা প্রাকৃতিক স্পিড ব্রেকার এর কাজ করে। হঠাৎ করে চাঁদ হারিয়ে গেলে এই ঘূর্ণন গতির নিয়ন্ত্রনটাও হারিয়ে যাবে। ফলে পৃথিবীর গতির অসামাঞ্জস্যতা থাকায় দিন অথবা রাত এর সময়ের পার্থক্য টা হয়ে যাবে কম বেশি। হতেও পারে দিন ৮ ঘন্টা আর রাত ১৬ ঘন্টা কিংবা রাত ৬ ঘন্টা আর দিন ১৮ ঘণ্টা ।

সাগর – নদীর জোয়ার ভাটা কিংবা সাগর এর বিশাল স্রোতের কারন এই চাঁদ পৃথিবীর মধ্যাকর্ষীয় টান। এই টানের প্রভাবে বিশাল স্রোত আর পৃথিবীর এক রকম ঘর্ষন সৃষ্টি হয় যা মিলিয়ন বিলিয়ন বছর ধরে হয়ে আসছে। হঠাৎ চাঁদের অনুপস্থিত এই ঘর্ষন থামিয়ে দিবে আর পৃথিবী হারাবে তার স্বাভাবিক গতি। এছাড়াও জোয়ার ভাটার স্বভাব পালটে গিয়ে সব পানির স্রোতের অভিমুখ পরিবর্তন হয়ে যাবে যার ফলে একমুখি স্রোত হবে। পৃথিবীর গতি মুখের বিপরিতে পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে। এমন অনেক প্রানী ও জনপদ আছে যেগুলো বিলুপ্ত হয়ে হয়ে যাবে। জোয়ার ভাটার অভাবে। অস্বাভাবিক বন্যা আর লবনাক্ততা হবে। আমাদের ঋতু চক্র , আবহাওয়া জলবায়ু সব পালটে গিয়ে এক নিরস নতুন পৃথিবী হয়ে উঠবো। ঝর জলচ্ছাস কোথাও না কোথাও লেগেই থাকবে। সবচেয়ে বড় দুঃখের কারন হয়ে যাবে আমাদের বায়ু মণ্ডল ব্যাপক হারে ক্ষতি গ্রস্ত হবে। আর সৌর রেডিয়েশন তো আছেই আমাদের উচিত শিক্ষা দিতে। হঠাৎ পৃথিবীর গতি বেরে যাওয়া কিংবা চাঁদ দূরে সরে যেতে থাকলে পৃথিবী তার নিয়মিত কক্ষপথ থেকে সরে আসবে , সেই সাথে পৃথিবী যে কৌণিক গতিতে ঘুরছে তারও পরিবর্তন ঘটবে। এর প্রভাব হয়তো ৩৬৫ দিনে বছর না হয়ে ২০০ কিংবা ১০০০ দিনেও বছর হয়ে যেতে পারে। আর দিন ও রাতের কথা সেটাতো সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টা না হয়ে ১৮ ঘণ্টা হয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা তখন।

এগুলো তো গেলো প্রকৃতি আর বিজ্ঞান এর বিষয়। হিসেব করে দেখুন গল্প কবিতায় আর চাঁদ থাকবেনা, ছোট্ট সোনামনিকে চাঁদ দেখিয়ে আর চাঁদের বুড়ীর কল্প-কাহিনী শোনানো হবেনা,  হানিমুন বলে আর কথাও থাকবেনা, রোমান্টিক হয়ে চাঁদের উপমা কিংবা আমার মত প্রকৃতি প্রেমি নিরিহ মানুষ গুলো ছাদে গিয়ে চাঁদ দেখে মন সতেজ করতে পারবেনা। আর সেই সাথে পাশের বাড়ির তানভির ভাই এর ছাদে এসে চাঁদ দেখার নাম করে ইসরাতের সাথে ইশারায় আদো প্রেম আদো ভালোবাসা হবেনা। হয়তো ভারতীয় নায়ক সুশান্ত সিং চাঁদে কেনা তার জমিটার জন্য স্বর্গ থেকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকবে আর বলবে আমার সব টাকা জলে গেলো রে রে রে রে………।

নাহ সারদিন কাজের চাপে আজকাল বেশিই সব কিছু নিয়ে উলটা পালটা ভাবছি। চাঁদ চুরি করবে এমন কে আছে? চাঁদ মামা সবার। এই নিয়ে অন্তত রাজনীতির কিছু নাই। এতো বিশাল বিষয় নিয়ে আমার মত সাধারণ মানুষ এর এতো ভাবলে হবে না। অফিসের অনেক কাজ আছে সেগুলো সামলাই। চাঁদ কে সামাল দিক আপাতত নাসা কিংবা রাশিয়া অথবা ইউরোপের দেশ গুলোর স্পেস এজেন্সি গুলো । পাড়ার মোড়ের চাঁদ সওদাগর চাচা মাথার মেমরি লস হয়ে হারিয়ে যেতে পারে কিন্তু আকাশের চাঁদ আপাতত নিরাপদ।

 

কপি রাইটঃ এস. এম. রাজিব আহম্মেদ

ইন্সট্রাকটর, কম্পিউটার টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

 

অ্যাডা বায়রন(Ada Byron)পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার

অ্যাডা বায়রন(Ada Byron)

পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার

সায়েন্টিফিক গণনার প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডা বায়রনের জন্ম লন্ডনে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। অগাস্টা অ্যাডা বায়রন [Ada Byron] ছিলেন রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রন ও অ্যানে ইসাবেলে মিলব্যাংকের কন্যা। ১৮১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন পৃথিবীর এই প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে পরিচিত এ নারী গণিতবিদ। কিন্তু অ্যাডার জন্মের ঠিক এক মাস পর এই দম্পতি পৃথক হয়ে যান। আর জন্মের মাত্র চার মাস পর লর্ড বায়রন চিরকালের জন্য ইংল্যান্ড ছেড়ে চলে যান। অ্যাডার কখনও বাবার সঙ্গে দেখা হয়নি। ১৮২৩ সালে অ্যাডার বাবা গ্রিসে মারা যান। তার মা লেডি বায়রনই তাকে বড় করে তোলেন। তার পুরো নাম ছিল অ্যাডা অগাস্টা কিং, আর ডাকা হতো কাউন্টেস অব লাভলেস বা শুধুই অ্যাডা লাভলেস নামে। অ্যাডা মাত্র ৩৬ বছর বেঁচে ছিলেন। ১৮৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জরায়ুর ক্যান্সার এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
তার জীবন আবেগ ও যুক্তি, কবিতা ও গণিতশাস্ত্র এবং অসুস্থ স্বাস্থ্য ও শক্তি ক্ষরণের মধ্যকার সংগ্রামে মহিমান্বিত। মা লেডি বায়রন কোনোভাবেই চাননি তার মেয়ে বাবার মতো কাব্যিক হোক। তিনি চেয়েছিলেন অ্যাডা গণিত ও সঙ্গীত শিক্ষায় বড় হোক, যাতে বিপদজনক কাব্যিক প্রবণতাকে প্রতিরোধ করা যায়। কিন্তু অ্যাডার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সেই ঐতিহ্য ১৮২৮ সালের দিকেই প্রকাশ পায়। সেই সময় তিনিই ফ্লাইং মেশিনের নকশা প্রণয়ন করছিলেন। গণিতশাস্ত্র তার জীবনকে দিয়েছিল উড়ে চলার গতি।

১৭ বছর বয়সে [১৮৩২] তার গাণিতিক প্রতিভার স্ফুরণ ঘটে। ছেলেবেলা থেকেই মা তাকে গণিতে দক্ষ করে তুলতে চাইতেন যাতে বাবার প্রভাব কোনোভাবেই মেয়ের মধ্যে প্রতিফলিত না হয়। ১৮৪১ সালের আগে অ্যাডা জানতেনই না লর্ড বায়রন তার বাবা। গণিতজ্ঞ ও যুক্তিবিদ ডি-মরগান তার শিক্ষক ছিলেন! স্যার চার্লস ডিকেন্স, চার্লস হুইটস্টোন এবং বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডের সঙ্গেও তার জানাশোনা ছিল। ১৮৩৩ সালের ৫ জুন তার সঙ্গে পরিচয় হয় স্যার চার্লস ব্যাবেজের। চার্লস ব্যাবেজের সঙ্গে তার বেশ ঘনিষ্ঠ এবং রোমান্টিক সম্পর্কও গড়ে ওঠে। ব্যাবেজ অ্যাডার অসাধারণ ধীরশক্তি, সাবলীল লেখনি এবং প্রতিভায় মুগ্ধ ছিলেন। ব্যাবেজ অ্যাডা সম্পর্কে নিজের লেখায় অ্যাডাকে ‘সংখ্যার জাদুকর’ উপাধিতে আখ্যা দিয়েছিলেন। পরে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, আধুনিক কম্পিউটারের জনক চার্লস একটি ডিফারেন্সিয়াল যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। যার উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন সংখ্যার ঘাত গণনা করা অর্থাৎ কোনো সংখ্যাকে সেই সংখ্যা দিয়ে একবার, দু’বার, তিনবার, চারবার গুণ করলে যে ফল হয় তা বের করা। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই বিয়োগযন্ত্র বানানোর সময় আরেকটি নতুন যন্ত্র বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। এই যন্ত্রই তাকে ইতিহাসে অমর করে রেখেছে। এর নাম তিনি দিয়েছিলেন অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিন বা বিশ্লেষণী যন্ত্র। স্যার চার্লস উইলিয়াম ব্যাবেজ যখন তার ডিফারেন্স মেশিন বা অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামক কম্পিউটার আবিষ্কারের নেশায় মত্ত, তখন অ্যাডা তার গণিতবিষয়ক বিশ্লেষণী ক্ষমতার দ্বারা বুঝতে পেরেছিলেন এই কম্পিউটারগুলোর নাম্বার ক্রাঞ্চিংয়ের অমিত সম্ভাবনা সম্পর্কে। চার্লস ব্যাবেজ তাই লিখে গেছেন তার decline of Science in England বইয়ে। এই অসামান্যা নারীর সম্ভাবনাময় ধারণাগুলো চার্লস ব্যাবেজের কাজকে আরও বেগবান করেছিল। চার্লস ব্যাবেজের কল্পিত এই যন্ত্রে আধুনিক স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটারের অনেকগুণই উপস্থিত ছিল। সৌভাগ্যের ব্যাপার, ব্যাবেজের অনেক ধারণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কবি কন্যা অ্যাডা বায়রন। অ্যাডা বায়রন এই যন্ত্রের কর্মসূচি বা প্রোগ্রাম করেছিলেন। তাই তাকে পৃথিবীর প্রথম প্রোগ্রামার বলা হয়।
গত ২৭ নভেম্বর ছিল তার ১৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী। আর গত ১০ ডিসম্বের ছিল বিশ্বের এই প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামারের ১৯৭ তম জন্মবার্ষিকী। কম্পিউটারের বিবর্তনের ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদান স্মরণ করেই গুগলও একটি বিশেষ ডুডল তৈরি করেছিল। তাই গুগলকে সাধুবাদ। আজ সময়রে ব্যবধানে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তির এই যুগে আধুনিক কম্পিউটার থেকে ল্যাপটপ এসেছে, এসেছে আরো সহজে ব্যবহারযোগ্য অতি ক্ষুদ্রতম কম্পিউটার। সুদুর প্রসারী এই সুবিধা ও ফলাফল প্রাপ্তিস্বরূপ আসুন আমরাও গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি এই প্রতিভাময়ী বিজ্ঞানীকে। এবং লিঙ্গ বৈষম্যের সমস্যা থেকে নিজেরা মুক্ত হই।

 

===========

সোমা রানী দাস

বিভাগীয় প্রধান

ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং

Cover Letter: Introduction and Importance

Cover Letter: Introduction and Importance

Mr. Sadat, an HR manager of a renowned company. He is selecting some CV for a recruitment. He was selecting some CV and some were throwing to the trash. Suddenly a colleague of Mr. Sadat came into his room. He found that there was an application like something were attached to the selected CVs. On the other hand, the trashed CVs were pretty much good and well qualified for the positions. So the colleague asked Sadat why he was selecting the letter attached CVs only. Sadat asked him a question, “Suppose you are in a super shop. You are buying a soap. There are two categories of soap: one is branded and costly, but does not have any cover and another is cheap, but has a cover. Now, which one will you buy?” The colleague instantly replied, “Obviously I will buy the one with cover.” Then Sadat told his colleague, “This is why I am selecting the letter attached CVs and the letter is known as Cover Letter. He again said that a CV without a cover letter seems incomplete.”

This name Cover Letter is not a very familiar to us, but it is very important part of a CV.  A CV I general represents an applicant and a cover letter reflects the CV and the applicant in a nutshell. Generally, when a vacancy announcement is announced, the HR office of the company gets a huge response. As a result, the HR office cannot manage that huge time to go through the CVs in details. As a cover letter works as a cover of a CV, the HR office just reads the cover letter and select the CV for the next step. So, a cover letter is pretty much important.

As in the story above we saw Sadat explaining that no one wants to buy a product without a cover, (it doesn’t matter if the product is of a very good quality or not) in the same way often a recruiter does not show interest  to the CV without a cover letter. As a result, in the selection of a CV, a cover letter plays an important role.

 

Now we have introduced to the cover letter and we also know the importance of a cover letter. In the next part of this article, we will know about writing a standard cover letter.

 

 

Peace. . . . .

 

 

 

Writer,

Nahid Hasan

Instructor, Daffodil Polytechnic Institute

ডাটা অ্যানালাইসিসের গুরুত্ব

ডাটা অ্যানালাইসিসের গুরুত্ব

সহজ কথায়, ডাটা বিশ্লেষণ ব্যবসায়ের রেকর্ড পরীক্ষা করা ছাড়া কিছুই নয়। এর অর্থ আপনার গ্রাহকদের সম্পর্কে আরও বেশি অনুসন্ধান করা, তারা কী কিনছে এবং তারা কতটা ব্যয় করে পাশাপাশি তাদের পছন্দগুলি এবং ক্রয়ের অভ্যাসগুলি জানা । বিশ্বব্যাপী মিলিয়ন মিলিয়ন ব্যবসায়ী ভুলভাবে বিশ্বাস করে যে ডাটা বিশ্লেষণ জটিল কিছু এবং কেবলমাত্র অনলাইন ব্যবসায়কে বোঝায়। প্রকৃতপক্ষে, বেশিরভাগ মানুষ এটিকে নতুন প্রযুক্তি বলে বিশ্বাস করে যা শুধুমাত্র ইকমার্সের সাথে সংযুক্ত। তবে এই সমস্ত বিশ্বাস আসলে ভুল, প্রতিটি ব্যবসায়ের সাফল্যের জন্য ডাটা বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ। এবং শতাব্দী ধরে পৃথিবীতে ডাটা বিশ্লেষণ বিদ্যমান। প্রাচীন ব্যবসায়ী এবং বণিকরা তাদের গ্রাহকদের একটি রেকর্ড রেখে এবং পর্যাপ্ত স্টক নিশ্চিত করে ডাটা বিশ্লেষণ করতেন তারা জানতেন কোথায় এবং কী কী বিক্রি হবে। এবং কখনও কখনও, তারা আরও লাভের জন্য দূর দেশে ভ্রমণ করতেন।

ডাটা বিশ্লেষণ আপনাকে স্থানীয় বা দূরবর্তী বাজারের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য পণ্য বা পরিষেবা লাইনের উদ্ভাবন করতে সহায়তা করে। শুধুমাত্র পণ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি পাইপ লাইন সম্প্রসারণ সম্ভব। কারণ আপনি খুঁজে পেতে পারেন কেন লোকেরা একটি নির্দিষ্ট পণ্য পছন্দ করে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে আগ্রহী। ডাটা বিশ্লেষণ আপনাকে ফ্রিকোয়েন্সিগুলির একটি পরিষ্কার চিত্র দেয় যেখানে মানুষের চাহিদা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা পাওয়া যায়। আপনার কাছে যখন কোনও দূরবর্তী অবস্থানের জনসংখ্যার চিত্র এবং তাদের প্রয়োজনীয়তার স্পষ্ট চিত্র থাকবে, তখন নির্দিষ্ট  পণ্য বা পরিষেবা দিয়ে সেই বাজারে প্রবেশ করা সম্ভব। আপনার অনলাইনে ব্যবসা বা অফলাইন যাই হোক না কেন, ডাটা বিশ্লেষণ আপনাকে প্রতিটি গ্রাহককে আকর্ষণ করতে কতটা অর্থ ব্যয় করছে তা বুঝতে সহায়তা করে।

তদুপরি, আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে এগিয়ে থাকার জন্য আপনাকে বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন ডাটা ইঞ্জিনিয়ারদের  প্রয়োজন হতে পারে। ডেটা বিশ্লেষণ আপনাকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে আপনার ব্যবসায়ের পারফরম্যান্স তুলনা করতে সহায়তা করে।

ডাটা ইঞ্জিনিয়াররা একটি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ডাটা ইকোসিস্টেমের সমস্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশকে সংযুক্ত করে। উদাহরণসরূপ –

১। ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় অ্যাপ্লিকেশন এবং সিস্টেমগুলি থেকে ডাটা অ্যাক্সেস, সংগ্রহ, নিরীক্ষণ করা।

২। নির্ভরযোগ্য ডাটাবেস তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণ।

৩। ডাটা পাইপলাইন তৈরি করা।

৪। সমস্ত ডাটা সিস্টেম নিরীক্ষণ এবং পরিচালনা করা (স্কেলাবিলিটি, সুরক্ষা ইত্যাদি) ।

৫। স্কেলযোগ্য পদ্ধতিতে ডাটা বিজ্ঞানীদের আউটপুট বাস্তবায়ন করা ।

 

উপরের তালিকাভুক্ত সমস্ত কিছু করার জন্য একটি বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয় সেটা হল প্রোগ্রামিং। সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রোগ্রামিংয়ের একটি শক্তিশালী ভিত্তি ডাটা ইঞ্জিনিয়ারদের সরঞ্জাম।

 

যেহেতু আপনি দেখতে পাচ্ছেন, কেন প্রতিটি ব্যবসায়ের জন্য ডেটা বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ এবং এর কয়েকটি শীর্ষ কারণ। পৃথিবীতে বাণিজ্যের প্রাথমিক স্তর থেকেই ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন উপায়ে ডেটা বিশ্লেষণ করে এসেছে। যাইহোক, এই আধুনিক যুগে, আমরা ডেটা বিশ্লেষণের জন্য অনলাইন ভিত্তিক ডাটাবেজ ব্যবহারের মাধ্যমে  আমাদের কাজ সহজে সম্পাদন করা  এবং আমাদের ব্যবসায় আশানুরূপ ফলাফল পাওয়ার ক্ষেত্রে উপকৃত হতে পারি ।

 

লেখক,

অভিজিত রায়

ইন্সট্রাক্টর

কম্পিউটার টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সিটিউট

Search Engine Optimization(সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন)

Search Engine Optimization

(সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন)

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের প্রধান প্রধান উদ্দেশ্য গুলোর মধ্যে রয়েছে-SEO এর পুরো রূপ হল Search Engine Optimization (সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন) । আমরা সবাই কম বেশি সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে থাকি যেমন Google, Yahoo, Bing ইত্যাদি ।আর এই সার্চ ইঞ্জিনের জন্যে কোন keyword কে অপ্টিমাইজ করে টপ পজিশনে নিয়ে আসার প্রক্রিয়াই হল SEO । এতে আপনার সাইটে অনেকেই সার্চ করে খুজে পাবে।

একটি সাইটকে সকলের কাছে সহজে পৌছে দেওয়া।ওয়েব সাইটের জন্য প্রিয়তা বৃদ্ধি করা।সাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক বৃদ্ধি করা।
তথ্য বিনিময় ও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার শক্ত ভিত হিসেবে কাজ করে।

SEO কেন  দরকার-

আপনি যখন Google এ কোন কিছু লিখে সার্চ দেন তখন Google আপনার সামনে কিছু ওয়েবসাইটের লিস্ট সম্বলিত পেজ নিয়ে হাজির হয়। একে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ বা সংক্ষেপে SERP বলা হয়। আপনি একটা ওয়েবসাইট অনেক কষ্ট করে অনেক টাকা খরচ করে করলেন,যা অনেক তথ্যবহুল এবং প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পোস্ট করে যাচ্ছেন। সেটা আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। আপনার পোস্ট/তথ্য গুলো কেউ জানতে পারছে না। তাহলে কি আপনার পরিশ্রম সার্থক হবে? উত্তর অব্যশই নেগেটিভ আসবে। কারন ওয়েবসাইট তৈরির পরই আপনার কাজ হবে আপনার সাইটকে সবার মাঝে পরিচিত করা। বিভিন্নভাবে আপনার সাইটকে আপনি  SEO করতে পারবেন। কিন্তু এই SEO করার কিছু কিছু টিপস অবলম্বন করতে হয়। তাহলে আপনার সাইট সম্পর্কে সবাই জানতে পারবে।

একটি পেজে সাধারণত ১০টি রেজাল্ট থাকে। দেখা যায় যে, বেশিরভাগ ব্যবহারকারীরাই  প্রথম পেজের ১০টি রেজাল্টের মধ্যে তাদের কাঙ্খিত বিষয় খুঁজে না পেলে দ্বিতীয়  পেজে না গিয়ে পুনরায় অন্য কিছু লিখে সার্চ করে। তাই সবাই চায় তাদের ওয়েবসাইট/ব্লগ/প্রোডাক্ট যেন প্রথম পেজের ১০টি রেজাল্টের মধ্যে থাকে। সারা বিশ্বের  লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইটের সাথে প্রতিযোগিতা করে এই ১০টি রেজাল্টের মধ্যে থাকা  অনেক কঠিন ব্যাপার। আর নতুন ব্লগ/ওয়েবসাইট হলে তো কথাই নেই। এজন্যই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হয় যাতে আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ রেজাল্টের শুরুর দিকে থাকে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন মুলত দুই ধাপের মাধ্যমে হয়ে থাকে-

১. অন পেজ অপটিমাইজেশন

যে কাজ ওয়েবসাইটের ভিতরে করা হয় তাকে অন পেইজ অপটিমাইজেশন বলে। যেমন: টাইটেল ট্যাগ,কনটেন্ট,কিওয়ার্ড ইত্যাদি ।

২. অফ পেজ অপটিমাইজেশন

যে কাজ ওয়েবসাইটের বাহিরে করা হয় তাকে অফ পেজ অপটিমাইজেশন বলে। যেমন:  ওয়েবসাইট, ব্লগ, ফোরাম, সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইট, সোশ্যাল মিডিয়া(ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব,গুগল প্লাস ইত্যাদি) তে আপনার ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন প্রচার করা বা সোজা কথায় মার্কেটিং করে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসা।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বলতে আমরা সোজা কথায় বলতে পারি সার্চ ইঞ্জিনের সাথে ওয়েবসাইটের ভাল সম্পর্ক তৈরি করা। একটা ওয়েবসাইট কখনোই পূর্ণতা পাওয়া এবং কোটি কোটি সাইটের অবস্থান থেকে প্রথম সারিতে তৈরি করতে হলে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন ছাড়া কোন বিকল্প নেই।

 

Mst. Sathi Akter

Instructor of Computer Technology

Daffodil Polytechnic Institute

নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন  (পর্ব – ২)

ধারাবাহিক আর্টিকেল লেখার জন্য আমি “নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন ( Network and Data Center Operation ) “ বিষয় টি বেছে নিয়েছি। আমি মনে করি বিষয় টি যুগউপযুগী। এর  দ্বিতীয পর্ব “ বিভিন্ন প্রকার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন সম্পর্কে ধারণা (Ideas about different types of communication standard )“। আর্টিকেলটিতে  কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন নিয়ে আলোচনা করা হবে। কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন সম্পর্কে এবং এদের কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন।

বিভিন্ন প্রকার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন এর যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হবে তা হল-

  • বিভিন্ন প্রকার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন এর নাম ।
  • বিভিন্ন প্রকার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন এর কার্যক্রম।

বিভিন্ন প্রকার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন এর নাম ঃ

  • ISO
  • ANSI
  • IEEE
  • EIA
  • ITU
  • TIA

উপরের স্ট্যান্ডার্ডগুলী সাধারনত একই বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করে থাকলেও, এদের অবস্থান পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। বিভিন্ন দেশে হলেও এসব স্ট্যান্ডার্ড কিছু স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারন করে বিশ্বব্যাপী । কিছু অর্গানাইজেশন্স আঞ্চলিক ভাবে স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করে থাকে, যা ওই অঞ্চলের জন্য নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট বিষয়ক স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে পারে।  নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট একটি বিশ্বব্যপী প্রজুক্তি হওয়া

য়, আন্তর্জাতিক ভাবে গৃহীত স্ট্যান্ডার্ড ব্যাবহার করা হয়। উপরের প্রতিষ্ঠানগুলী বেশিরভাগ নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট বিষয়ক স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করে।আসুন জেনেনি প্রতিষ্ঠানগুলী অবস্থান এবং কার্যক্রম।

 

💻 আইসও(ISO) : ISO- “International Organization for Standardization” কে সকল স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারনকারী প্রতিষ্ঠানের গুরু বলা যেতে পারে । আইসও (ISO) আন্তর্জাতিক মানের একটি আন্তর্জাতিক মান-নির্ধারণকারী সংস্থা, যা বিভিন্ন জাতীয় মানের সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত। ২৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৪৭ সালে এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়, সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী মালিকানাধীন, শিল্প ও বাণিজ্যিক মানের প্রচার করে। এর

সদর দফতরঃ  জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।

প্রতিষ্ঠিতঃ  ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৭, লন্ডন, যুক্তরাজ্য।

প্রেসিডেন্টঃ এডি এনজোরোজ

সদস্যপদঃ১৬৮ জন সদস্য;

সরকারী ভাষাইংরেজিঃ ফরাসি রাশিয়ান;

প্রতিষ্ঠাতাঃ আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যাসোসিয়েশনস ফেডারেশন, জাতিসংঘের স্ট্যান্ডার্ড সমন্বয় কমিটি।

 

সারা পৃথিবীতে ১৩০ টির বেশি দেশ এর বেসরকারি দলে যুক্ত আছে। নেটওয়ার্কি এর অন্যান্য স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারনের পাশাপাশি নেটওয়ার্ক দুনিয়ার সবচেয়ে বড় স্ট্যান্ডার্ডটি দাড় করিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা। যে স্ট্যান্ডার্ডটি দাড় করিয়েছেন তা হল ওপেন সিস্টেম ইন্টারকানেকশন রেফারেন্স মডেল বা OSI মডেল। নেটওয়ার্ক এর সমস্ত কার্যক্রম কী ধরনের হবে তা নির্ধারন করে থেকে।

 

আইএসও একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা বিধায় এর মাধ্যমে গৃহীত স্ট্যান্ডার্ড আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত । এটি শুধু নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত ওপেন সিস্টেম ইন্টারকানেকশন রেফারেন্স মডেল নির্ধারণ করে বসে নেই। বরং এ সংস্থাটি আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজন এমন অনেক স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করেছে এবং করে চলেছে । এ পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজারেরও বেশি স্ট্যান্ড আইএসও কর্তৃক নির্ধারিত হয়েছে ।

 

আইএসও-তে কোন স্ট্যান্ডার্ড গৃহীত হয় তিনটি ধাপে । ধাপগুলোর মাধ্যমে তারা ঐ স্টান্ডার্ড এর প্রয়োজনীয়তা, যথার্থতা এবং প্রভাব সম্পর্কে সিদ্ধান্তে আসে । আলোচনা চলতে থাকে রিকোয়েস্ট ফর কমেন্টস বা আর এফ সি ‘র  মাধ্যমে । তিনটি ধাপ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল-

 

আইএসও একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার বিধায় এর মাধ্যমে গৃহীত স্ট্যান্ডার্ড আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এটি শুধু নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত ওয়েবসাইট নির্ধারণ করে বসে নেই বরং এ সংস্থাটি আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজন এমন অনেক স্থান নির্ধারণ করেছে এবং করে চলেছে এ পর্যন্ত প্রায় 12 হাজারেরও বেশি স্ট্যান্ড আইএসও কর্তৃক নির্ধারিত হয়েছে আয়তে কোন স্ট্যান্ডার্ড গৃহীত হয় তিনটি ধাপে গুলোর মাধ্যমে তারা এই স্টান্ডার্ড প্রয়োজনীয়তা যথার্থতা এবং প্রভাব সম্পর্কে সিদ্ধান্তে আসে আলোচনা চলতে থাকে রিকোয়েস্ট ফর কমেন্টস আরে স্ত্রীর মাধ্যমে আর এটি বেশ সময় নিয়ে ঘটে থাকে তিন ধাপ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল।

 

প্রথম ধাপঃ  আলতা নির্ধারণ

দ্বিতীয় ধাপঃআলোচনা বা দরকষাকষি

তৃতীয় ধাপঃঅনুমোদন

 

প্রথম ধাপঃ  আলতা নির্ধারণ 

স্টান্ডার্ড নির্ধারণের আগে দেখা হয় আসলে সেই স্ট্যান্ডার্ড এর প্রয়োজনীয়তা আছে কি না ? একবার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হলে সদস্যরা সবাই আলোচনা করে সিদ্ধান্তে আসেন, যে স্টান্ডার্ড এর আওতা কী হবে এবং সে স্টান্ডার্ড গৃহীত হলে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে তার প্রভাব কী রকম হবে । এসব আলোচনা সাধারণত বিভিন্ন কমিটির মাধ্যমে হয়ে থাকে । কমিটির সিদ্ধান্ত আসতে পারে যে, কোন বিষয় স্টান্ডার্ড নির্ধারণ এর প্রয়োজন আছে এবং সে স্টান্ডার্ড সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ভালো প্রভাব ফেলবে, তাহলে কমিটি সেই প্রস্তাব কে পরের ধাপে আলোচনার জন্য পাঠায়।

 

দ্বিতীয় ধাপঃআলোচনা বা দরকষাকষি 

 

দ্বিতীয় ধাপের বিভিন্ন সদস্য দেশ সেই খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করে। আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মতামত বেরিয়ে আসে এবং সেসব নিয়ে একটি ঐক্যমতে আসার চেষ্টা করা হয় । কোন বিষয়ে ঐক্যমতে প্রতিষ্ঠিত না হলে সেটি স্ট্যান্ডার্ড রুপে গৃহীত হয় না। কেবল ঐক্যমতে আসলেই সেটি প্রতিষ্ঠিত  রূপে গৃহীত হয় এবং পরবর্তী ধাপে প্রেরণ করা হয় ।

 

তৃতীয় ধাপঃ অনুমোদন

খরচা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শেষে প্রস্তাবের সংযোজন-বিয়োজন কিংবা সংশোধন শেষে ঐক্যমতে প্রতিষ্ঠিত হলে সেটিকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দুটি ধাপে ঘটে থাকে প্রথমত, যে টেকনিক্যাল টিম নিয়ে কাজ করেছে তার সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ কে অবশ্যই এর সাথে একমত পোষণ করতে হবে। টেকনিক্যাল কমিটির দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলে সেটিকে পাঠানো হয় সাধারণ সদস্যদের কাছে। দ্বিতীয় ধাপের প্রতিটি ভোটার সদস্য সেই প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দিয়ে থাকেন। প্রস্তাবের পক্ষে ৭৫% পার্সেন্ট ভোট পড়লেই কেবল সেই প্রস্তাবকে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে গ্রহণ করা হবে। বুঝাই যাচ্ছে তিনটি ধাপ সম্পন্ন করতে বেশ সময় প্রয়োজন এবং অনেক লোকের মতামতের প্রতিফলন ঘটে থাকে। তাই ISO স্ট্যান্ডার্ডতাকে সুচিন্তিত এবং সুগঠিত স্ট্যান্ডার্ড বলা যেতে পারে।

আইইই(IEEE)  IEEE-“Institute of Electrical and Electronics Engineers “-  ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং কে আই ট্রিপল ই (IEEE) বলা হয়। টেকনিক্যাল এবং এডুকেশনাল ফিল্ডের বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবীদের নিয়ে তৈরি একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। এর সদস্যরাও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ।

 

আইইই’র  গৃহীত সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী স্ট্যান্ডার্ড হল ৮০২ স্ট্যান্ডার্ড।  নেটওয়ার্কের মধ্যে দিয়ে ডাটা কিভাবে প্রবাহিত হবে, তা নির্ধারণ করে।এর নামকরনের জন্য ১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নেটওয়ার্কের স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়। বছর ও মাসের সমন্বয়ে প্রযুক্তির নাম রাখা হয় প্রজেক্ট ৮০২। এ প্রোজেক্ট এর আওতায় গৃহীত বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড পরবর্তীতে ৮০২ স্ট্যান্ডার্ড নামে পরিচিতি লাভ করে । নেটওয়ার্কিং নির্ধারণ করা হয় এবং এরপর ও সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা হয়।

 

নেটওয়ার্কিং স্ট্যান্ডার্ড জগতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রজেক্ট । ৮০২ প্রোজেক্টের জন্য নেটওয়ার্ক এর ফিজিক্যাল ক্যাবেলিং ও ডাটা ট্রান্সমিশন লেয়ার নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যান্ডার নির্ধারণ করা হয়েছে এসব স্টান্ডার্ড কে ১২ টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয় এবং ৮০২ এর পর ডট ও সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা হয় ।

 

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটটি এর সদর দফতর ও অন্যান বিষয়-

 

সদর দফতরঃ  পিস্কাটাওয়ে, নিউ জার্সি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

প্রতিষ্ঠিতঃ         ১ জানুয়ারী, ১৯৬৩

সহায়ক সংস্থাঃ আইইইই স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাসোসিয়েশন, আরও

প্রেসিডেন্টঃ      ক্যারেন বার্টলসন (২০১৭-২০১৮), জেমস এ। জেফারিজ (আগত)

প্রতিষ্ঠাতাঃ         আমেরিকান ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স, ইনস্টিটিউট অফ রেডিও ইঞ্জিনিয়ার্স।

📶 আই / টি আই এঃ Electronic Industries Alliance (EIA; until 1997 Electronic Industries Association)/Telecommunications Industry Association (TIA).ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কানেকশন এবং স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণের জন্য বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে ইলেকট্রনিক ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন বা

ই আই এ  এ দলের মধ্যে আছে কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচার অ্যাসোসিয়েশন (CEMA) ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্ট অ্যাসেম্বলার ইকুইপমেন্ট এন্ড সাপ্লায়ার অ্যাসোসিয়েশন (ECA) টেলিকমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (TIA),ইলেকট্রনিক্স ইনফর্মেশন গ্রপ (EIG), গভারমেন্ট ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাসোসিয়েশন(GEIA) এবং ইলেকট্রনিক ইন্ডাস্ট্রিজ ফাউন্ডেশন(EIF)।

অন্যদিকে টেলিকমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন হলো একটি ট্রেড অরগানাইজেশন, যার সদস্য হলো টেলিকমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রির বৃহৎ ও মাঝারি বিভিন্ন কোম্পানি। নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত বিভিন্ন ডিভাইসের বেশিরভাগই  পি আই এর সদস্যদের তৈরি।এর সদস্যদের কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড পরবর্তীতে এনএসআই (ANSI) কর্তৃক গৃহীত হয়েছে ।  বাস্তব জীবনে বিশেষ করে নেটওয়ার্ক ইনস্টলেশনের ই আই এ / টি আই এ না মেনে উপায় নেই বললেই চলে। এদের তৈরি চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হল-

  • ৫৬৮ স্ট্যান্ডার্ড  ঃ  এটি নেটওয়ার্কিং মিডিয়া ইনস্টলেশন ও টার্মিনেশন সংজ্ঞায়িত করেছে ।
  • ৫৬৯ স্ট্যান্ডার্ড  ঃ ওয়ারিং ক্লোজেট ইনস্টলেশনের জন্য যা দরকার হয় ব্যবহার ও তার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ বর্ণনা করে।
  • ৬০৬ স্ট্যান্ডার্ড ঃ বিভিন্ন মিডিয়া লেভেল বর্ণনা করে।
  • ৬০৭ স্ট্যান্ডার্ড ঃ বিল্ডিং ও ওয়ারিং ক্লজেট জন্য গ্রাউন্ডিং কি রকম হওয়া দরকার, তা নির্দেশ করে।

🔗 এন এস আই (ANSI)   আমেরিকান ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউট এন সি বা এ এন এস আই কমিউনিকেশন ও নেটওয়ার্কিং স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি প্রতিষ্ঠান।এর দায়িত্বের ভিতর প্রোগ্রামিং স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণও পদে। এটি আসলে নিজে কোন স্ট্যান্ডার্ড ডেভলপ না করে স্ট্যান্ডার্ড সমূহ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। এটি আই এস ও তে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করে।

আমেরিকান ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউট একটি বেসরকারী অলাভজনক সংস্থা যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য, পরিষেবা, প্রক্রিয়া, সিস্টেম এবং কর্মীদের স্বেচ্ছাসেবী সম্মতির মান উন্নয়নের তদারকি করে।

 

উদ্দেশ্যঃ স্ট্যান্ডার্ড সংস্থা

সদস্যতাঃ ১২৫,০০০ সংস্থা এবং ৩.৫ মিলিয়ন পেশাদার।

প্রতিষ্ঠিতঃ ১৪ মে, ১৯১৮

সদর দফতর অবস্থানঃ  ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

গঠনঃ ১৯ অক্টোবর, ১৯১৮

সহায়কঃ এএনএসআই-এএসকিউ জাতীয় স্বীকৃতি বোর্ড, এএনএসআই জাতীয় স্বীকৃতি বোর্ড

📻 আই টি ইউ( ITUT) জাতিসংঘের একটি অঙ্গসংস্থান হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন বা আইটিইউ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণের কাজে নিয়োজিত। আইটিইউর রয়েছে বেশ কয়েকটি কমিটি এবং এগুলোর কাজ ভিন্ন ভিন্ন ধরনের। কমিটি

ক) বিভিন্ন কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণের জন্য আছে কনসালটেতিভ কমিটি ফর ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন এন্ড টেলিগ্রাফ(CCTTT)। বর্তমানে এটি ITU-T নামে পরিচিত ।

বর্তমানে ব্যবহৃত বিভিন্ন ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক স্ট্যান্ডার্ডের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হলো এই CCTTT/TTU-T।

 

খ) ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিকোয়েন্সি রেজিস্ট্রেশন বোর্ড (ITU-R) টেলিকমিউনিকেশন ফ্রিকোয়েন্সি বিভিন্ন সংস্থাকে দেয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। এটি বর্তমানে আই টি ইউ আর(ITU-R) নামে পরিচিত।

গ) রেডিও কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুপারিশে দিয়ে থাকে কনসালটেটিভ কমিটি অন ইন্টার্নেশনাল রেডিও(CCIR)। এটি বর্তমানে ITU-R এর সাথে একীভুত।

 

আইটিইউ টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন সেক্টর টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মানকে সমন্বিত করে, যেমন সাইবার সিকিউরিটির জন্য এক্স .৫০৯, মেশিন লার্নিংয়ের জন্য ওয়াই .৩৩১৭২, এবং ভিডিও সংক্ষেপণের জন্য এইচ .২৬৪ / এমপিইজি -৪ এভিসি, এর সদস্য দেশসমূহ, বেসরকারী সেক্টরের সদস্যদের মধ্যে, এবং একাডেমিয়া সদস্যরা।

 

মূল সংস্থাঃ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন

প্রতিষ্ঠিতঃ ১৮৬৫, প্যারিস, ফ্রান্স

সংক্ষিপ্তসারঃ আইটিইউ-টি / ইউআইটি-টি

সদর দফতরঃ জেনেভা, সুইজারল্যান্ড

পরিশেষে বলতে গেলে বলতে হয় বিভিন্ন প্রকার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করা হয়েছে সার্বজনীন নেটওয়ার্ক এবং কমিউনিকেশন ডিভাইসগুলি সহ অন্যান্য পরিষেবা সঠিক এবং সুন্দর ভাবে ব্যবহারের জন্য। এ ৬ টি স্টান্ডার্ড আমাদের নেটওয়ার্কিং এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন অর্থাৎ নেটওয়ার্কিং বুঝতে হলে বিভিন্ন প্রকার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী । ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি সিলেবাসে নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন এর সাবজেক্ট আছে সেখানে এই বিষয়গুলি নিয়ে  আলোচনা করা হয়েছে , যা আমি আমার এই ব্লগে তারই ধারাবাহিকতায় আরো কিছু এড করে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি চার বছর মেয়াদি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আন্ডারে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যায়নরত ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবেন । টেকনিক্যাল এডুকেশন এর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার দের জন্য অত্যন্ত উপকারে আসবে এছাড়াও সাধারণ যারা কম্পিউটার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী এবং নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করছেন তাদের জন্য আশা করি কাজে লাগবে।

 

সোর্স ঃ [wikipedia,Google,Text book.]

 

মুহাম্মাদ সহিদুল ইসলাম

ইনস্ট্রাক্টর(কম্পিউটার)

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউট