A press conference had been organized to give a brief on Mom-preneur, a special initiative to empower the kids Mom, on 17 February at National Press Club, Bangladesh. Where the CEO of Daffodil Family Mr. Mohammad Nuruzzaman read the press note and highlighted details of the event. The Principal of Daffodil International School presided over the Press Briefing Session and Mr. KM Hasan Ripon, the advisor of Bangladesh Skill Development Institute answered different question of the Journalists regarding this event. The initiative has been taken jointly by Bangladesh Skill Development Institute and Daffodil International School.
ঈগলের ৭ নীতি, অনুসরণে হতে পারে তোমার উন্নতি
বিধাতা পৃথিবীকে এমনভাবেই সৃষ্টি করেছেন যে প্রকৃতি থেকেই মানুষ শেখার জন্য খুঁজে পায় অসংখ্য উৎস। সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে মানুষ দাবিদার হলেও পশু-পাখিদের কাছ থেকেও কিন্তু শেখার আছে অনেক কিছু! নেতৃত্ব থেকে শুরু করে মিতব্যয়িতা, পারিবারিক বন্ধন ইত্যাদি অনেক কিছুই আমরা তাদের দৈনিক কার্যক্রম দেখে শিখতে পারি।
ঈগলকে আমরা চিনি শক্তিধর, দক্ষ একটি শিকারি পাখি হিসাবে। তবে পাখির রাজা ঈগল নিজ জীবনে মেনে চলে ৭টি মূলনীতি যা মানুষ হিসাবে আমাদের জন্য অত্যন্ত শিক্ষণীয় ও অনুসরনীয়।
চলো দেখে আসি এই ৭টি নীতি এবং তা হতে প্রাপ্য শিক্ষাগুলো!
নীতি- ১:
ঈগল অনেক উঁচুতে উড়ে এবং কখনোই চড়ুই কিংবা অন্যান্য ছোট পাখিদের সাথে মেশে না, উড়েও না।
ঈগল যেই উচ্চতায় উড়ে বেড়ায়, সেই উচ্চতায় অন্য কোন পাখি পৌঁছাতেও পারে না। এজন্যেই ঈগল একা ওড়ার সিদ্ধান্ত নেয়, কারোর সাথে দল বেঁধে নয়।
প্রাপ্য শিক্ষা:
কাক-চড়ুই যেহেতু ঈগলের সমান এতো উঁচুতে উড়তে পারে না, তাই ঈগল তাদের সাথে দল বাঁধে না।
মানুষ হিসাবে তোমাকেও জীবনে চলার পথে এমন মানুষগুলোর সাথেই চলতে-ফিরতে-মিশতে হবে যারা তোমার সমান স্বপ্ন দেখে, যাদের সাথে তোমার দৃষ্টিভঙ্গি মিলে, যাদের সাথে থাকলে তোমার ব্যক্তিগত উন্নয়ন সম্ভবপর হবে।
বন্ধুত্ব করতে হবে সম-মানসিকতার মানুষের সাথে এবং এড়িয়ে চলতে হবে এই কাক ও চড়ুইদের, যাদের সাথে তোমার জীবনের লক্ষ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য।
নীতি- ২:
ঈগলের রয়েছে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিশক্তি যার মাধ্যমে সে আকাশে থাকা অবস্থাতেই ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দেখতে পায়, তাও একদম স্পষ্ট! ঈগল যখন তার শিকার খোঁজে, সে তার সব ফোকাস সেটার ওপর নিয়ে যায় এবং বেরিয়ে পড়ে শিকারের জন্য। যত বাধাই আসুক না কেন, সেটিকে না পাওয়া পর্যন্ত ঈগল কোনক্রমেই তার চোখ সরায় না।
প্রাপ্য শিক্ষা:
ঈগল যেমন খুব স্পষ্টভাবে সবই দেখতে পায়, কিন্তু ফোকাস করে শুধু একটি প্রাণীর উপরে, তেমন ভাবে তোমাকেও সব কিছু জানতে হবে, খোঁজ খবর রাখতে হবে তবে ফোকাস রাখতে হবে যেকোনো একটি কাজের উপর।
নিজেকে জানো, জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করো এবং সেই একটি লক্ষ্যের পিছনেই ছোটো। যত বিপত্তিই আসুক না কেন, ফোকাস হারানো চাই না!
নীতি- ৩:
পাখির রাজা ঈগল সর্বদা জীবন্ত প্রাণীকে খাবার হিসেবে খেয়ে থাকে। কখনোই কোন মৃত জিনিস তারা ভক্ষণ করে না।
প্রাপ্য শিক্ষা:
রোজ রোজ নতুন শক্তির চাহিদায় ঈগল পাখি কখনোই মৃত কিছু না খেয়ে বরং জীবন্ত ও নতুন কোন শিকারের পিছে ছুটে।
ঠিক একই ভাবে, গতিশীল পৃথিবীতে নিজেকে এগিয়ে রাখার লক্ষ্যে নিজেকে সর্বদা নতুন সব তথ্য দিয়ে আপডেটেড রাখতে হবে। প্রতি সেকেন্ডেই বদলে যাচ্ছে অনেককিছু। তাই সার্বক্ষণিক তোমাকে জানতে হবে সর্বশেষ তথ্য ও খবর। জীবনের লক্ষ্য আরও স্পষ্ট করার জন্য এসব নতুন তথ্য নতুন শক্তির যোগান দেয়।
তাছাড়াও, আশেপাশের কিছু মানুষ মৃত ও পচা মাংসের মতই। তারা সর্বদা এমন সব কথাই বলে যা আমাদের নিরুৎসাহিত করে। তবে এখানেই শিক্ষা নিয়ে হাজির হয় ঈগল পাখি। সে যেমন চড়ুই, কবুতরের মতো পাখিদের জন্য নিরুৎসাহিত না হয়ে আরও উঁচুতে উড্ডয়ন করে, তোমাকেও কোন কিছুতে কান না দিয়ে ঈগলের মতোই এগিয়ে যেতে হবে নিজের স্বপ্ন ছুঁতে।
নীতি- ৪:
ঝড় আসলে ঈগল পাখি তা এড়িয়ে না গিয়ে বরং ঝড়ের বেগকেই কাজে লাগিয়ে উঁচুতে উড়ে যায়। অন্যান্য পাখিরা যখন পাতা ও গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকে, ঈগল তখন ঝড়ের বিরুদ্ধে তার ডানা ঝাপটে যায় এবং ঝড়ের বেগকেই কাজে লাগিয়ে মেঘকে ভেদ করে উপরে উঠে যায়। এমনকি একবার বাতাসের বেগ পেয়ে গেলেই ঈগল তার ডানা ঝাপটানো বন্ধ করে দেয় এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবেই উপরে যেতে থাকে। ঝড়কে যেন সে খুব ভালবাসে!
প্রাপ্য শিক্ষা:
চ্যালেঞ্জকে চ্যালেঞ্জ নয়, সুযোগ হিসেবে দেখতে হবে। অন্য সব পাখি যখন আশ্রয়ের জন্য জায়গা খুঁজে, ঈগল তখন ঝড়ের মাঝেও উড্ডয়নে মগ্ন থাকে। ঝড়ের বেগকে কাজে লাগিয়েই ঈগল টিকে থাকে বৈরি আবহাওয়ায়।
তাই সাফল্যপিপাসু একজন স্বপ্নবাজকেও প্রতিটি চ্যালেঞ্জ সাদরে গ্রহণ করতে হবে। একমাত্র প্রতিকূল পরিস্থিতিই পারে নতুন কিছু শেখাতে, সমস্যা সমাধানের দারুণ দক্ষতাটি বাড়াতে। অতএব, চ্যালেঞ্জ আসলে এড়িয়ে না গিয়ে তার মুখোমুখি হতে হবে, দৃপ্ত হাতে লড়তে হবে। বাধা নয়, শক্তিতে পরিণত করতে হবে, ঠিক যেভাবে ঈগল করে।
নীতি- ৫:
একটা মেয়ে ও ছেলে ঈগল যদি কখনো বন্ধু হতে চায়, মেয়ে ঈগলটি প্রথমেই ছেলে ঈগলটির কমিটমেন্টের পরীক্ষা নিয়ে নেয়। কীভাবে?
সাক্ষাৎ হওয়ার পর মেয়ে ঈগলটি মাটিতে নেমে এসে গাছের একটি ডাল তুলে নেয়। তার পিছে পিছে ছেলে ঈগলটিও উড়ে যায়। মেয়ে ঈগলটি সেই ডাল নিয়ে উপরের দিকে উড়ে যায় এবং একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় যাওয়ার পর গাছের সেই ডালটি নিচে ফেলে দেয়। তার পিছু নেওয়া সেই ছেলে ঈগলটি তা দেখে ডালটি ধরার জন্য দ্রুত নিচের দিকে যায়। ডালটি সে মেয়ে ঈগলের কাছে ফিরিয়ে আনে।
এই কার্যক্রমের পুনরাবৃত্তি কয়েক ঘণ্টা ধরে হতেই থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত মেয়ে ঈগল আশ্বস্ত হয় যে ছেলে ঈগলটি এই ডাল ফিরিয়ে আনার কাজটি আত্মস্থ করতে পেরেছে। এটা তার কাছে ছেলে ঈগলটির ‘প্রতিজ্ঞাবদ্ধতার’ পরিচয় তুলে ধরে। অর্থাৎ, ইংরেজিতে আমরা যেটাকে বলি Commitment। একমাত্র ‘প্রতিজ্ঞাবদ্ধতার’ পরিচয় দিতে পারলেই পরে তারা দুজন বন্ধু হতে পারে।
প্রাপ্য শিক্ষা:
এখান থেকে প্রাপ্য শিক্ষা এটাই যে, ব্যক্তিগত জীবনেই হোক আর পেশাগত জীবনেই হোক, কারোর সাথে কোন চুক্তিতে বা সম্পর্কে আবদ্ধ হওয়ার আগে তার Commitment যাচাই করে নিতে হবে। এমন কারোর সাথে কাজে যোগ দিতে হবে যে কাজের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ও মনোযোগী।
নিজের কর্মচারী বা জুনিয়রদের অ্যাসাইনমেন্ট দিতে হবে এবং পরখ করতে হবে যে তোমার তত্ত্বাবধান ব্যতীত তারা কতটুকু ভালো কাজ করেছে, কত মনোযোগ ও গুরুত্বের সাথে কাজ করেছে।
ঈগল আমাদের এই শিক্ষাটা কত সুন্দর করেই না দিয়েছে!
নীতি- ৬:
ডিম পাড়ার সময় আসলে বাবা ও মা ঈগল পাহাড়ের এমন একটি জায়গা বেছে নেয় যেখানে কোন শিকারির হামলা করার সুযোগ থাকে না। বাসা তৈরির পালা আসলে ছেলে ঈগল এই বাসা নির্মাণের জন্য প্রথমে কিছু কাঁটা বিছায়, তার উপর গাছের ছোট ছোট ডালা, তার উপর আবার কিছু কাঁটা দিয়ে একদম শেষে কিছু নরম ঘাস বিছিয়ে দেয়। ছোট্ট আবাসটির নিরাপত্তার জন্য বাইরের দিকে তারা কাঁটা ও শক্ত ডালা বিছিয়ে রাখে।
বাচ্চা ঈগলগুলোর যখন উড়তে শেখার সময় হয়, মা ঈগল তাদেরকে বাইরে ছুঁড়ে দেয় কিন্তু পড়ে যাওয়ার ভয়ে ছানাগুলো ফিরে আসে। মা ঈগল এবার সব নরম ঘাস সরিয়ে ফেলে পুনরায় তাদের বাইরে ছুঁড়ে দেয়। আর তাই ছানাগুলো যখন ফিরে আসে, কাঁটার সাথে আঘাত পেয়ে তারা নিজেই বাইরে ঝাঁপ দেয় এই ভেবে যে এতো প্রিয় মা-বাবা কেন এমন করছে?
এবারে বাবা ঈগল নিয়োজিত হয় তাদের উদ্ধারকার্যে। নিচে পড়ে যাওয়ার আগেই সে তার পিঠে করে ছানাগুলোকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। যতদিন পর্যন্ত ছানাগুলো তাদের ডানা ঝাঁপটানো না শুরু করে, এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে।
প্রাপ্য শিক্ষা:
এখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার মতো অনেকগুলো বিষয় আছে।
- এরকম সুরক্ষিত আশ্রয় গড়ে তোলার এই প্রস্তুতি আমাদের শেখায় যেকোনো পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার।
- পরিবারের সব কাজে প্রত্যেকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সর্বদাই কাম্য। তা পরিবারের ছোট সদস্যদের কাছেও একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হয়।
- বাচ্চা ঈগলের গায়ে কাঁটা লাগায়
তারা শেষ পর্যন্ত ডানা ঝাঁপটানো শুরু করে এবং তখনই প্রকৃতপক্ষে নতুন একটা বিষয় আবিষ্কার
করে। তারা আবিষ্কার করে যে তারা উড়তে পারে!
অতএব এখান থেকে আমাদের শেখা উচিত যে, আমরা যেখানে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি, সারা জীবন ওখানেই থাকলে আমরা নতুন কিছু শিখব না, জীবন নিয়ে জানবো না, নিজের ক্ষমতাগুলো নিয়ে অবগত হব না। এক কথায়, ‘Comfort Zone’ থেকে বের হতেই হবে! নচেৎ নতুন কিছু শেখা কখনোই সম্ভব নয়। - পৃথিবীতে আর যা কিছুই হয়ে যাক, বাবা-মা কখনোই সন্তানের অমঙ্গল কামনা করেন না। মা ঈগল তার ছানাগুলোকে ছুঁড়ে দিতে চায় যেন তারা উড়তে শিখে, বাবা ঈগল তাদের পড়ে যাওয়া হতে বাঁচায়- এটাই কি অনুসরনীয় নয়?
নীতি- ৭:
বয়স বাড়ার সাথে সাথে ঈগল পাখির ডানার পালকগুলো দুর্বল হয়ে পরে, যে কারণে সে আগের মত খুব দ্রুত গতিতে উড়তে পারে না। দুর্বল বোধ করলে সে এমন একটি জায়গায় আশ্রয় নেয় যেখানে পাথর রয়েছে। সেখানে সে তার শরীরের প্রতিটি পালক টেনে ছিঁড়ে ও উঠিয়ে ফেলে। নতুন পালক না গজানো পর্যন্ত সেই দুর্বল ঈগল কোথাও বের হয় না। নতুন পালক গজিয়ে গেলে সে পুনরায় বজ্র গতিতে উড়ে বেড়ায়।
প্রাপ্য শিক্ষা:
কাজ, দায়িত্ব, পড়াশোনার যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে যখন হাঁপিয়ে উঠবে, সিদ্ধান্ত নাও একটু বিরতি নেওয়ার। ছোট্ট একটি ছুটি নাও, সময় বের করো নিজের জন্য। এ সময়টিতে একান্তে চিন্তা করো কোন কাজটি তোমার কাছে অর্থপূর্ণ এবং কোনটি তোমার করার একেবারেই প্রয়োজন নেই। ঈগলের মতো তুমিও ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলো সেসব অপ্রয়োজনীয় কাজের দায়িত্ব যা তোমার চলার গতিকে মন্থর করছে, এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
সেই সাথে, নিজেকে যাচাই করে দেখো যে কোন কোন বদ অভ্যাসে তুমি বর্তমানে অভ্যস্ত। ঈগল পাখির মতই ঝেড়ে ফেলো সেসব বদ অভ্যাস; পুনরায় শুরু করো নতুন পথচলা।
সারাংশ:
১। সমমনা মানুষদের সাথে বন্ধুত্ব করো। তোমার জীবনে বন্ধুদের প্রভাব অনেক বেশি। তাই বন্ধু নির্বাচন করো বুঝে শুনে।
২। আশে পাশের সবকিছুর প্রতিই খেয়াল রাখো তবে পিছু নাও শুধু একটি লক্ষ্যের। সেই লক্ষ্য হতে কোন ভাবেই ফোকাস হারানো চাই না!
৩। সব সময় নতুন সংবাদ ও তথ্যের খোঁজ রাখো। পুরাতনকে ঝেড়ে ফেলো এবং অন্য মানুষের কথা শুনে নিজের স্বপ্নের পিছু নেয়া ছেড়ে দিবে না কখনোই।
৪। চ্যালেঞ্জকে চ্যালেঞ্জ নয়, সুযোগ হিসাবে দেখো। একে মোকাবিলা না করলে নতুন কিছু কখনোই শেখা হবে না, যেই অবস্থানে রয়েছো তা হতে কখনোই উত্তরণ করতে পারবে না।
৫। কাউকে নিয়োগ দেওয়ার পূর্বে তার Commitment যাচাই করো। ব্যক্তিগত হোক আর পেশাগত জীবনেই হোক, যাচাই করে নিতে ভুলবে না।
৬। যেকোন রকম পরিবর্তনের জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকো। অভিযোজনে অভ্যস্ত হও অর্থাৎ যেকোন পরিস্থিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে শিখো। আর ভুলে যেয়ো না যে: “Life begins at the end of your comfort zone.”
Comfort zone থেকে না বেরোলে জীবনে অগ্রগামী হওয়া প্রায় অসম্ভব।
৭। নিজের সকল বদ অভ্যাস হতে বের হয়ে আসো। অপ্রয়োজনীয় কাজগুলো হতে নিজেকে দায়মুক্ত করো। নাহলে জীবন থমকে যাবে!
Reference: http://10minuteschool.com/blog/7-lessons-to-learn-from-the-eagle/
(বাইবেল গ্রন্থে ঈগলের উল্লেখ দেখার পরে Dr Myles Monroe ঈগল নিয়ে গবেষণা করেন এবং খুঁজে পান এই ৭টি নীতি। সেখান থেকেই তোমাদের সবার কাছে এই সুন্দর শিক্ষাগুলো তুলে ধরা হয়েছে।)
সফল হতে এড়াতেই হবে যে বিষয়গুলো
সফল হবার সুপ্ত ইচ্ছা আমাদের সকলের মাঝে আছে। অনেক সময় আমরা নিজের অজান্তে বা ইচ্ছাকৃতভাবে এমন অনেক কিছু এমন কিছু করে ফেলি যা আমাদের সফলতার রাস্তায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সফলতার জন্য কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই, কিন্তু সফলতা অর্জনের জন্য অবশ্যই কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত। সফলতা শব্দটি একেকজনের কাছে একেক রকম। কেউ হয়ত ঠিকমত দু’বেলা খেতে পেয়ে সফল, কারো মতে দু-চারটি গাড়ি কিনে সে সফল।
সফলতার দৃষ্টিভঙ্গি একেক জন ক্ষেত্রে একেক রকম হলেও, কিছু বিষয় যা আমাদের সফল হবার ক্ষেত্রে মেনে চললে খুব সহজেই সফলতাকে আমরা হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে পারবো। সফলতা মানেই আপনাকে শিক্ষাগত যোগ্যতায় অনেক বড় হতে হবে বা আপনার দু’চারটে গাড়ি থাকতে হবে এমন নয় বরং মানসিকভাবে শিক্ষিত হওয়া এমনকি মানসিক ভাবে সফল হওয়াটা হচ্ছে মূল উদ্দেশ্য।
বিশ্বাস রাখতে হবে মানসিকভাবে সফল হতে পারলেই আপনি জীবনের সকল ক্ষেত্রে সফল। কেননা আপনি যখন একজন ভালো মানুষ, তখন সেই ভালো মনুষ্যত্বের কৃতিত্ব আপনার যেকোনো সফলতাকে ছাড়িয়ে যাবেই। একজন ভাল মানুষ হিসেবে সফল হবার জন্য যে বিষয়গুলো আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত সেগুলো জানাটা জরুরি। কেননা যখন আপনি সেই বিষয়গুলো এড়িয়ে চলবেন, ঠিক তখনই আপনি নিজেকে একজন মানুষ হিসেবে সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। জেনে নিতে পারেন একজন সফল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হলে কোন বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
১. যে বিষয়টি হয়নি সেখানে আর ফিরে না যাওয়া
বিশ্বাস রাখতে হবে আপনার জীবনের যা ঘটছে তা আপনার ভালোর জন্যেই খুব হচ্ছে। আর তাই যে বিষয়টি আপনার জীবন থেকে সরে যাচ্ছে বা যে জিনিসগুলো আপনার জীবনে ঘটছে না সেগুলো নিয়ে অকারণ অহেতুক ভাবনায় সময় নষ্ট করবেন না। বরং সামনে কী নতুন করা যায় সেটা নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। অযাচিতভাবে পুরানো ভাবনায় নিজেকে আটকে রাখা যাবে না। নতুন ভাবনাগুলোর জন্য দ্বার উন্মোচিত করে দিতে হবে। যা ঘটে গেছে তা নিয়ে পুনরায় ভেবে সময় নষ্ট করবেন না।
২. যা আপনার জন্য না তা করবেন না
যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে বা যেকোন কাজ করার পূর্বে, ভেবে নেবেন সে কাজটির জন্য আপনি আসলেই যোগ্য কিনা। অথবা যে কাজটি আপনি আসলেই করতে যাচ্ছেন, তা কেন করছেন? অর্থাৎ এরকম অনেক কিছুই আছে যা আমরা অপরের খুশির জন্য বা অপরের মন রক্ষার জন্য করে থাকি। কিন্তু সবসময় মনে রাখতে হবে, নিজের আদর্শের সাথে কখনোই প্রতারণা করবেন না। আর তাই যে বিষয়গুলো আপনার সাথে যায় না, সেগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
হতে পারে আপনার আশেপাশের মানুষজন আপনাকে এক প্রকার বাধ্য করবে, সে বিষয়গুলোতে আপনাকে জড়াতে, তবুও নিজের আদর্শকে ঠিক রেখে সে বিষয়গুলো থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখুন, যে বিষয়গুলো আপনি মনে করেন যে বিষয়গুলো আপনার সাথে যাচ্ছে না।
৩. অপরকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন না
কখনোই কোন কিছু করার জন্য, কাউকে বাধ্য করবেন না। কেননা প্রত্যেকের নিজস্ব কিছু অবস্থান রয়েছে, যেখান থেকে সে স্বাধীনভাবে তার সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারবে। অবশ্যই আপনি তার শুভাকাঙ্ক্ষী জানাতে পারেন কোন কাজগুলো তার জন্য ঠিক বা ঠিক নয়। কিন্তু সেগুলোকে পরিবর্তন করার জন্য আপনি তাকে জোর করতে পারেন না। আর তাই অপরকে পরিবর্তনের চেষ্টা করবেন না, এতে করে আপনার স্বাধীনতাও ক্ষুণ্ণ হবে না। এমন কি নিজের আদর্শ কখনো জোর করে অপরের উপর চাপিয়ে দিবেন না।
৪. মানতে হবে সকলকে খুশি করা সম্ভব নয়
সকলকে সুখী-খুশি করা সম্ভব নয়। সবার মন মত আপনি সবকিছু করতে পারবেন এমনটা কখনোই সম্ভব নয়। সেই কাজগুলো করুন, যেগুলো আপনাকে মানসিকভাবে খুশি রাখতে পারছে। অন্যকে খুশি করা অনেক বেশি কঠিন বরং নিজের সন্তুষ্টি আনাটা অনেক বেশি সহজ। আর তাই অপরকে খুশি করার ব্যর্থ চেষ্টা না করে, নিজের সন্তুষ্টির জন্য কাজ করুন। কারণ আপনার নিজের একার পক্ষে সকলকে একসাথে খুশি করা সম্ভব নয়।
৫. ভালো কিছুকে বিশ্বাস করুন
ভালো আর পারফেক্ট এর মাঝে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। আপনি ভালোকে বিশ্বাস করতে পারবেন কিন্তু সম্পূর্ণ পারফেক্ট কোন কিছুকে বিশ্বাস করাটা ভুল। একেবারে নির্ভুল কেউ হতে পারে না, তবে চেষ্টা রাখতে হবে এমন মানুষদের সান্নিধ্যে থাকতে হবে, যাদের থেকে আপনি ভালো কিছু শিখতে পারবেন। আর অবশ্যই ভালো কিছুকে বিশ্বাস করতে হবে।
৬. সব কিছুকে বড় ভাবে দেখতে হবে
কোন কাজই ছোট নয়। সকল ব্যক্তিত্বরা কখনোই কোন কাজকে ছোট হিসেবে দেখেন না। মনে রাখতে হবে একজন মানুষ যত নিম্ন কাজই করুক না কেন, সে ওই কাজটি করে আনন্দ পাচ্ছে, একই সাথে তার জীবন জীবিকা চালাচ্ছে। কাজেই প্রত্যেকটি কাজকে সম্মানের সাথে দেখতে হবে কোনো কাজই ছোট হিসেবে দেখা যাবে না।
৭. বাইরের চাকচিক্য বিবেচনা যোগ্য নয়
একটি বিষয় বাইরে থেকে যতটুকুই দৃষ্টিনন্দন দেখাক না কেন, আপনার জ্ঞানী মন-মানসিকতায় ভেতরের ব্যাপারটিকে বের করে নিয়ে আসতে পারবে। আর তাই বাইরের চাকচিক্য দেখে সেই ব্যাপারটিকে ঠিক বা সঠিক বিবেচনা বিবেচনা করা উচিত নয়। বরং প্রত্যেকটি বিষয়কে গভীরভাবে ভেবে, সে বিষয়টির আসল দিকটি উন্মোচন করাই জ্ঞানী মনের কাজ। আর তাই বাইরে থেকে কোনকিছু বিবেচনা করা উচিত নয়।
৮.”কেন” জিজ্ঞেস না করা
প্রতিটি বিষয়কে গভীরভাবে চিন্তা করে সে বিষয়ে সম্পর্কে জানার আগ্রহ নিঃসন্দেহে আপনার জ্ঞানী মানসিকতাকে আরো বেশি দৃঢ় ভাবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। আপনার যদি জানার ইচ্ছা না থাকে যে, কেন বিষয়টি এমন হয়েছে, কেন বিষয়টি এরকম নয়, তবে সে বিষয় সম্পর্কে আপনি কখনোই গভীরভাবে জানতে পারবে না। আর সফল ব্যক্তিত্বরা সর্বদাই কেন প্রশ্নটি সাথে নিজের গভীর যোগাযোগ রাখে। কেননা শুধুমাত্র “কেন” থেকেই আপনি অনেক অজানা দিক সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।
৯. বাহ্যিক সাফল্য নির্ভর করে আপনি কতটুকু ভালো জীবন যাপন করছেন
আপনার বাহ্যিক সাফল্য নির্ভর করবে, আপনি কতটুকু শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন করছেন। আর তাই ব্যক্তিগত জীবনকে শান্তিপূর্ণ করাটা অনেক বেশি জরুরি। আপনার সফলতা তখনই আপনার কাছে আসবে, যখন আপনি মানসিকভাবে শান্তিতে থাকতে পারবেন। আর তাই ব্যক্তিগত শান্তিকে কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। যে কাজগুলো করতে আপনি মানসিকভাবে শান্তি অনুভব করেন, সে কাজগুলো অবশ্যই গুরুত্বের সাথে করাটা প্রয়োজন।
Reference: http://10minuteschool.com/blog/things-not-to-do-to-be-successful/
স্বপ্ন থেকে বাস্তবতা
স্বপ্ন তো আমরা সবাই দেখি। শৈশবে করা চিরপরিচিত প্রশ্ন বড় হয়ে কী হতে চাই- এর জবাবে তো অনেকেই অনেক কিছু করার, অনেক কিছু হবার স্বপ্নের কথা বলতাম। পরীক্ষার খাতায় আমার জীবনের লক্ষ্য রচনায় সুন্দর করে লিখতাম নিজেদের স্বপ্ন আর লক্ষ্যের কথা। কিন্তু দিনশেষে আমাদের অধিকাংশের স্বপ্নগুলো স্বপ্নই রয়ে যায়। অথচ, এ স্বপ্নগুলো বাস্তবে রূপ দেওয়াটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।
স্বপ্নকে বাস্তবতায় রূপ দেওয়ার জন্যে প্রয়োজন অধ্যবসায়, অদম্য ইচ্ছাশক্তি, চেষ্টা আর পরিশ্রম। আমাদের দেখা স্বপ্নগুলো পরিণত হবে বাস্তবতায়- তবে, এ স্বপ্নটা পূরণ করতে হলেও পোড়াতে হবে কিছু কাঠ-খড়। স্বপ্নকে বাস্তবতায় টেনে আনার একটি চমৎকার রূপকল্প আছে। যেটার শুরুটা হয় স্বপ্ন থেকেই।
স্বপ্ন:
“স্বপ্ন সেটা নয় যা তুমি ঘুমিয়ে দেখো; স্বপ্ন হলো সেটা যা তোমাকে ঘুমাতে দেয় না।”
– এ. পি. জে আব্দুল কালাম
আশা করতেই পারি যে, স্বপ্নের প্রকৃত সংজ্ঞাটা এবার বুঝতে পেরেছি আমরা। কিন্তু সমস্যাটা হলো স্বপ্ন দেখাটাই তো সব নয়। স্বপ্ন দেখা হয়ে গেলে সেটাকে সত্যি করার মিশনে নামতে হবে। আর সেই মিশনের প্রথম পদক্ষেপ হলো স্বপ্নটাকে লিখে রাখা। অবাক হওয়ার মতো হলেও এটাই আসলে স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ! অনেকেই ভাবতে পারো যে লিখে রাখার বাড়তি সুবিধাটা কোথায়? সুবিধাটা হলো, এই লিখিত স্বপ্নটাই আসলে তোমার স্বপ্ন পূরণের প্রধান রিমাইন্ডার। এবং এতে স্বপ্ন পূরণে সফল হওয়ার নিশ্চয়তাও অনেকখানি বেড়ে যায়।
লক্ষ্য: স্বপ্ন দেখা হয়ে গেলো, লিখে রাখাও হলো। এবার পালা লক্ষ্য নির্ধারণের। আমরা অনেকেই স্বপ্ন আর লক্ষ্যকে এক ভেবে ভুল করে বসি। কিন্তু স্বপ্ন আর লক্ষ্যের মাঝে কিছুটা তফাত রয়েছে। স্বপ্নটাকে যখন কাগজে কলমে, ডেডলাইন সহ লিখে রাখা হয় তখন সেটা লক্ষ্যে পরিণত হয়। ব্যাপারটা খোলাসা করা যাক।
ধরা যাক, আমি চাই বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একটা বিশাল পরিবর্তন আনতে। এটা একটা বড় স্বপ্ন।
কিন্তু, আমি চাই ২০১৯ এর জুনের মধ্যে টেন মিনিট স্কুলের সহায়তায় প্রতিদিন একসাথে ৫,০০,০০০ শিক্ষার্থী ফ্রি-তে পড়াশোনা করবে। এটা হলো লক্ষ্য। কারণ এতে সময়সীমা নির্ধারিত।
পরিকল্পনা:
স্বপ্ন দেখা হলো, লক্ষ্যও নির্ধারন করা হলো। এবার পালা লক্ষ্য অর্জনের জন্যে কর্মপরিকল্পনা করে ফেলা।
আমরা স্বপ্নটা নিয়েই যদি পরিকল্পনা করতে বলা হয় সেক্ষেত্রে প্রতিদিন যদি ৫,০০,০০০ শিক্ষার্থীকে শিক্ষাসেবা দিতে হয় তাহলে আমাদের আরো ভিডিও তৈরি করতে হবে। কুইজের সংখ্যা বাড়াতে হবে। প্লাটফর্মের সার্ভারটাকে সম্প্রসারিত করতে হবে। ফেসবুক, ইউটিউবে নিয়মিত কমিউনিটি ম্যানেজ করতে হবে।
এবং এই পরিকল্পনাটা যতখানি গোছানো হবে পুরো বিষয়টা ততখানি দৃশ্যমান হবে।
পরিকল্পনা মোতাবেক যখন প্রতিনিয়ত কাজ করা হবে তখনই তোমার স্বপ্ন পরিণত হবে বহু প্রতীক্ষিত বাস্তবতায়।
সবই তো হলো কিন্তু তবুও একটা “কিন্তু”-ও কিন্তু রয়েই যায় দিন শেষে। সেটা হলো স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ অর্থাৎ, স্বপ্নটাকে ডেডলাইনসহ লিখে রাখার মাধ্যমে লক্ষ্য নির্ধারণ করা; এই লিখবার কাজটাই আমরা অনেকে করি না। তারপর হতাশ হয়ে আক্ষেপের সুরে বলে বসি যে, “আমাকে দিয়ে হবে না। সম্ভব না। এ আমার কর্ম নয়।” ইত্যাদি ইত্যাদি আরো কত কী! অথচ এই আমরাই আমাদের স্বপ্নগুলোকে একটা পর্যায়ে আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে পাঠিয়ে দেই। আমাদের কারণেই আমাদের স্বপ্নগুলো স্বপ্ন থেকে লক্ষ্যে পৌঁছায় না।
তুমি যদি এই পরিস্থিতিতে অবস্থান করে থাকো তাহলে তোমাকে বলছি, এখনই খুঁজে বের করো তোমার স্বপ্নটার লক্ষ্য পর্যন্ত আসার পথে প্রতিবন্ধকতা আসলে ঠিক কোথায়? তারপর সেটাকে সরানোর চেষ্টা করো, স্বপ্নটাকে লক্ষ্যে পরিণত করো।
যারা স্বপ্নটাকে লক্ষ্যে পরিণত করতে এরই মধ্যে সফল হয়েছো, কিন্তু পরিকল্পনা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছো তাদের কাজ হলো ঠিক কেন পরিকল্পনা করতে সমস্যা হচ্ছে সেটা খুঁজে বের করা। জানার চেষ্টা করা তোমার সীমাবদ্ধতা কোথায় কোথায়? তারপর সেটা নিয়ে কাজ করা এবং তারপর লক্ষ্যটাকে অর্জন করার জন্যে পরিকল্পনা করা।
পরিকল্পনা করার পর সেটা অনুযায়ী প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত কাজ করে গেলেই স্বপ্ন বাস্তবতায় পূর্ণতা পাবে। তবে, পরিকল্পনা করা হয়ে যাবার পরের ধাপগুলোই বেশ কঠিন। কারণ, পরিকল্পনা আর বাস্তবতার মাঝে আরও কিছু বাঁধা আছে। “ভাল্লাগে না”, “টায়ার্ড”, “নট প্রোডাক্টিভ”, “কালকে করবো”…… নামের গাদাগাদা অনুভূতির প্ররোচনায় পরিকল্পনা করার পর সে অনুযায়ী প্রতিনিয়ত একইভাবে শ্রম ও সময় দেওয়াটা চালু রাখা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। এই বাঁধা আর প্ররোচনাকে এড়িয়ে গিয়ে প্রতিনিয়ত স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য অর্জনের নিমিত্তে করা পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ করে গেলে সফলতা আসবেই। স্বপ্নগুলো সত্যি হবেই।
মনে রেখো,
“A dream written down with a date
becomes a goal.
A goal
breaks down with steps becomes a plan.
A plan
backed by action becomes reality.”
– Greg S. Reid
তাই, আজই খুঁজে বের করো তোমার স্বপ্ন পূরণের পথে ঠিক কোন ধাপে আছো তুমি আর পরবর্তী ধাপে অগ্রসরের পথে বাঁধাটাই বা কোথায়? তারপর সেটাকে সরিয়ে দিয়ে একের একের পর এক ধাপ অতিক্রম করে তোমার স্বপ্নকে পরিণতি দাও বাস্তবতায়।
Reference:
How to believe in your dreams even when people think you’re crazy
Learn how to believe in yourself and make your dreams come true today – no matter what anyone says!
“I dreamed a dream in time gone by, when hope was high and life worth living, I dreamed that love would never die, I prayed that God would be forgiving…”,Susan Boyle, a modest, middle-aged woman sang as she touched the stars. She had a dream and her powerful voice echoed throughout the world.
“We’ve got to have a dream if we are going to make a dream come true”, said one Denis Waitley, motivational speaker, writer, and consultant.
Have people ever managed to awake a sense of guilt just because you defended your attitudes, values, and dreams that you believe in? Unfortunately, everyone is doing it. Not just parents and friends, but complete strangers as well, will act the same way if your beliefs do not match theirs.
It is clear that even your family and closest friends will not always believe in your dreams. But this is NOT a reason to give up! Don’t let them kill your self-confidence.
I have a friend who was dissatisfied with her job. She dreamed of having her own company. She shared her dream with her family and friends – but they didn’t understand her.
Some thought she was not capable of doing it. Others told her this is not the right moment, while the rest were not interested even to talk to her about it. They considered it a crazy idea. But she made a poster and wrote:
If you don’t build your dream, someone will hire you to help build theirs.
She asked herself a question: why was she at her current job? For money? She realized that she didn’t feel the passion in her work. She felt as if she betrayed herself and gave up on her dreams.
She decided she will no longer work for money, but for passion. You know what? She did it!
How to Believe in Yourself and Make Your Dreams Come True
Your Story – Birth of a Dream
Learn how to believe in yourself and make your dreams come true today – no matter what anyone says!
“I dreamed a dream in time gone by, when hope was high and life worth living, I dreamed that love would never die, I prayed that God would be forgiving…”,Susan Boyle, a modest, middle-aged woman sang as she touched the stars. She had a dream and her powerful voice echoed throughout the world.
“We’ve got to have a dream if we are going to make a dream come true”, said one Denis Waitley, motivational speaker, writer, and consultant.
It is clear that even your family and closest friends will not always believe in your dreams. But this is NOT a reason to give up! Don’t let them kill your self-confidence.
I have a friend who was dissatisfied with her job. She dreamed of having her own company. She shared her dream with her family and friends – but they didn’t understand her.
Some thought she was not capable of doing it. Others told her this is not the right moment, while the rest were not interested even to talk to her about it. They considered it a crazy idea. But she made a poster and wrote:
If you don’t build your dream, someone will hire you to help build theirs.
She asked herself a question: why was she at her current job? For money? She realized that she didn’t feel the passion in her work. She felt as if she betrayed herself and gave up on her dreams.
She decided she will no longer work for money, but for passion. You know what? She did it!
How to Believe in Yourself and Make Your Dreams Come True
Your Story – Birth of a Dream
You live in a small town. So small that it seems that you can read the thoughts of your fellow citizens because you know them well. You always go to work the same way and walk the same streets because you think there is no other way.
Your work is boring – far away from your interests and talents. There is no chance for your prosperity. You don’t feel good doing it and want to change something. But what? Then, a great idea goes through your head: you should move, go to a larger city that offers more opportunities.
Hey, that’s it!
You run and share your idea with your family and closest friends. They are shocked and react strangely. You didn’t expect a response like this:
The big city, life is more expensive. You don’t know anyone there and you will feel alone with no friends. Don’t get out of your comfort zone! You are really nuts! What if someone robbed you and you are left without money in an unknown city?!
Don’t let them scare you! At first, you may be like a punctured balloon ready to give up. But the next day, this idea will come to your mind again and you’re sure you have to do this.
You don’t speak to anybody anymore. You spend every free moment with your eyes closed, following in your mind the imagined pictures of your future life.
Suddenly, the favorite song of your family becomes “Green, green grass of home” and they play it several times during the day. But they don’t tell you anything. They just look at you and follow your reaction. They first tried to scare you with a terrible scenario, and now they use your emotions as leverage.
Don’t fall for it!
Believe In Yourself : Nothing is Unreachable
Whether you want to live in a big house, to visit the furthest place on the planet, or to start a new job, nothing is impossible – even if it seems so.
Big dreams are not realized because people think they are impossible.
There is always: “Just yet …” No! Don’t wait to earn more money, experience, courage, or anything else, because there is NO perfect time for anything. Life changes day by day. The longer you wait, you will never start. Do yourself a favor and do what you want today!
Don’t be afraid: do what you need!
Talk to a person you are scared of or answer an unpleasant email. This first step will give you direction and show you what to do the next. Even small or seemingly unimportant things can contribute to huge progress!
People think that optimists see only a good side, but ignore everything else. Realistic optimists recognize both the positive AND the negative side. But their energy points to the side that can have a positive result.
Even when you don’t have support, you are not alone. Learn how believe in yourself and your dreams. Give them time, effort, have faith, and do everything you can to make a dream true. Then you will see that everything will start to change and fall into place. Be patient.
Devote yourself to inspiring conversations with yourself.
If everyone has turned their back on you and don’t believe in your dreams, you are the only person you can always count on.
We can all be self-critical. But negative thoughts should be turned into something effective. Don’t accept negative thoughts – find a new focus. Strategy is key.
Don’t think your life is written down somewhere. You create your own life. Set up and define boundaries for yourself. Get out of your own borders. Just now, it’s worth to be brave.
Step By Step Towards Your Goal
Don’t just believe in your dreams – make them real. Here’s how to believe in yourself:
1.) Form your desire as a concrete goal.
Get moving. Write down everything in the present time as if it had already been done. Write down the date. For example:
Today is 25th November 2017. Today is my first day on my new job. Everyone is kind, they are smiling. After work, I will drink coffee with a new colleague from my office. She is living close to my new home.
2.) Find leads.
Write down what can help you achieve your goal. What are the ways you look for a new job, for example. Look at bureaus that can help you, ads in newspapers, or search the Web.
3.) Who can help you?
Certainly, there is someone you can count on who will support you. Maybe he or she knows another person who can give you an idea on how to make the next step.
4.) Think of possible problems you might face.
We are not talking about bleak thoughts – but think of it as necessary preparation.
When you start working on your dream, it’s expected that you will encounter problems along the way. Prevent them as much as you can by planning ahead. Always have room for a plan B.
5.) What do you get and what do you lose?
For example: your dream is to live in a big city.
Cons: You will lose the peace of a small town. You might not hear birds chirping while you drink coffee in your courtyard surrounded by silence and clean air.
Pros: You get new opportunities, probably a better job, and new friends.
Bottom line: Find out what’s more important to you.
6.) Prioritize.
Make a “to do” list. Estimate a realistic time-frame for each step and set priorities. Determine necessary budgets, schedules, etc..
7.) Think of the advantages when you reach your goal.
Write down everything, this way you motivate yourself. Whenever your strength seems depleted and when doubt takes over your thoughts, return to this step and read it carefully. This will help you with how to believe in yourself and your dreams again.
8.) Update your notes.
Read your notes carefully and update them regularly. The closer you get to the goal the more details will come to your mind. Don’t wait! Immediately start the realization. The faster you get into action, the greater is your chance to succeed.
I will not tell you what to say to your family and friends who don’t believe in your dreams. You will know what to say when the time comes. Either way, learning how to believe in yourself will open up endless opportunities in your life.
Maybe you can send them a CD of Elvis Presley with the song “What a Wonderful Life”.
Reference: https://everydaypowerblog.com/believe-in-your-dreams-crazy/
উন্নয়নের দ্বার খুলে দিল ড্যাফোডিল
স্কুলের গন্ডী পেরেছিলাম আরও ১০ বছর আগে। স্কুলজীবন শেষ করে ভর্তি হলাম পলিটেকনিকে। চলে এলাম ব্যাস্ততম রাজধানীতে। বাবা ও মা আমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন। একটা মাত্র ছেলে ছিলাম বিধায় ভালোবাসাটা অনেক তীব্র ছিল আমার জন্যে। কিন্তু আমি খুব ভয় পাচ্ছিলাম। কারন স্কুলের শেষ বেঞ্চের ছাত্রটি বাবা মা ছেড়ে ঢাকায় এসে এখানকার পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিয়ে চলাটা সত্যি খুব কষ্টকর। তার উপর নতুন শিক্ষাঅধ্যায় শুরুটা আমাকে খুব ভাবিয়ে তুলেছিল। ছাত্র হিসেবে তেমন ভালো ছিলাম না। তাই নিজের মধ্যে ভয়টা বেড়েই চলছিল। যাই হোক সব ভাবনার অবসান ঘটিয়ে বাবা নিয়ে আসলেন ঢাকাতে। ঢাকা পৌছে বাবার এক বন্ধুর বাসায় উঠলাম। বাবার বন্ধু একটি থাকার জন্যে একটি মেস ঠিক করে দিলেন। ভর্তি হলাম “ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউট”-এ । আবারও ঠিক একই ভাবে সেই ভয় কাজ করছে মনের মধ্যে। যাই হোক ভর্তি যখন হয়ে গেছি তখন শেষ তো করতেই হবে। তবে শুরু থেকে আমার পলিটেকনিক বা কারিগরি শিক্ষার উপর একটা ধারনা ছিল না। লোকমুখে শুনে আমার মধ্যে একটা ভুল ধারনা জন্মেছিল ছিল যে, কারিগরি শিক্ষা বর্তমান সময়ে তেমন যোগপোযোগী না। এর তেমন কোন বাজার চাহিদা নেই। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে দেখলাম ভালভাবেই কাটছিল। কারন নিজের মধ্যে কারিগরি শিক্ষাব্যাবস্থা নিয়ে জন্মে থাকা ভুল প্রমাণিত হচ্ছিল। ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম সত্যি নিজের চিন্তা ধারাকে বদলে দিল। নিজেকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলছিল। অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের থেকে এর শিক্ষাব্যাবস্থা অনেক আধুনিক ও উন্নত। প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যাবস্থা হওয়ায় উচ্চশিক্ষার উৎসাহটা বেড়ে গেল। পড়াশুনা নিয়ে পুষে রাখা ভয়টা ধীরে ধীরে কেটে গেল।
এই শিক্ষাব্যাবস্থার আদলে আমার জীবনে একটা নতুন সুযোগ আসলো। শিক্ষাসফরের অধীনে একটি কর্মশালায় অংশগ্রহন। স্থানটি ছিল মালেশিয়ায়। দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই প্রথম কোনো কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা সফর আয়োজন করল। নিজেকে খুব উদ্দেপিত লাগছে। শিক্ষাসফর নিয়ে নিজের মধ্যে একটি চরম উত্তেজনা কাজ করছে। অবশেষে দিনক্ষন ঠিক হল। ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০১৮। কিন্তু মালেশিয়াতে শিক্ষা সফর হবে বিধায় কিছু কার্যক্রম যেমন ভিসা প্রসেসিং, এয়ার টিকেট, ইমিগ্রেশন ইত্যাদি। এই প্রথম আমার দেশের বাইরে ভ্রমন, তাই নিজেকে খুব উৎসাহী ও ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।
যাই হোক শিক্ষা সফরের বিষয়ে আসি। মূলত শিক্ষা সফরটি মালেশিয়ার একটি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ( কেবাংসান ইউনিভার্সিটি অব মালেশিয়া) ও ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউট যৌথ ভাবে আয়োজন করেছিল।
অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ করে ২৬শে সেপ্টেম্বর চলে আসল। সন্ধায় বাসা থেকে রেডি হয়ে বের হলাম। আগের দিন সব কিছু গুছিয়ে নিয়েছিলাম। উত্তেজনার চরম সীমা কাজ করছে। ভার্সিটির সামনে গিয়ে সবাই একত্র হলাম শিক্ষকদের সাথে যারা আমাদের সাথে যাত্রার সঙ্গী হবেন। আমরা ১৫জন সহপাঠী এবং ৪ জন ইন্সট্রাক্টরসহ মোট ১৯ জন ছিলাম। এরপর ভার্সিটি থেকে সবাই ভার্সিটির বাসে করে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। বিমানবন্দর পৌছে ইমিগ্রেশন শেষ করে বিমানে উঠলাম। মূহুর্তটা সত্যি অনেক আনন্দের।
আমরা ঠিক সকাল ৮ টায় মালায়শিয়া পৌছালাম। এয়ারপোর্টে নেমে সেখান থেকে সবাই কেবাংসান ইউনিভার্সিটি অব মালেশিয়াতে গেলাম। ম‚লত এখান থেকেই আমাদের শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্য কার্যক্রম শুরু করলাম। কেবাংসান ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল পলিটেকনিক এর যৌথ উদ্দোগে আয়োজন করা হয় একটি কর্মশালা। এই কর্মশালায় আমাদের কিছু সুক্ষ্ম দক্ষতা বিষয়ে ট্রেনিং দেয়া হয়। এর দ্বারা আমি অনেক জ্ঞান লাভ করি। যেমন সেলফ ডেভেলপমেন্ট, টাইম ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। এছাড়াও ভাষাগত ও প্রযুক্তিগত বিদ্যা যেমন ইংলিশ স্কিল, টেকনলজি, ল্যাংগুয়েজ চ্যাঞ্জিং ইত্যাদি। তাছাড়া কেবাংসান ইউনিভার্সিটির ক্লিনিকাল রিসার্চ সেন্টার ও জিওলজিকাল রিসার্চ সেন্টার ঘুরে দেখার সুযোগ পাই। ক্লিনিকাল রিসার্চ সেন্টার জায়গাটি সত্যি খুব চমৎকার। সেখানে মালেশিয়ার অনেক পুরোনো কিছু শিল্প ও বন্য প্রাণীর মমি সংরক্ষন করে রাখা আছে। এগুলো ম‚লত তারা ভবিষ্যৎ গবেষনার জন্যে সংরক্ষিত রয়েছে। আর জিওলজিকাল রিসার্চ সেন্টারে তাদের ভূতাত্ত্বিক বিষয়ের উপর কিছু যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম রয়েছে যা তারা গবেষনার জন্যে ব্যাবহার করে থাকে।
এর পাশাপাশি একটি সেশনের আয়োজন করা হয়, যেখানে আমরা ও মালেশিয়ান কেবাংসান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা একত্রে অংশগ্রহন করি। এরপর আমাদের লব্ধ জ্ঞানের উপর আমরা প্রেজেন্টেশন প্রদান করি এবং সেখানে আমরা একে অন্যের সংস্কৃতি তুলে ধরি। সবশেষে আমরা পুরো সেশনের উপর একটি সার্টিফিকেট কেবাংসান ইউনিভার্সিটি থেকে অর্জন করি।
পরদিন আমরা আরও ৩টি ইউনিভার্সিটি ও ১টি পলিটেকনিক ভ্রমন করি। এরপর সবশেষে আমরা মালেশিয়ার টুর্যিরজম সাইটগুলো ঘুরে দেখা শুরু করি। আমি বিশেষ করে কুয়ালালামপুর এর অসাধারন সৌন্দর্য বেশি উপভোগ করেছিলাম। সেখানকার লোকজন, তাদের সংস্কৃতি, খাদ্যভ্যাস, রাস্তাঘাট সম্পর্কে জানলাম। নিজের মনোস্তাত্ত্বিক প্রবৃদ্ধি বিকশিত হচ্ছিল তা বুঝতে পারলাম। ৩রা নভেম্বর আমরা বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি।
এই সম্পূর্ন এডুকেশন ট্যুরটি আমার জীবনের পুরু চিন্তাভাবনাকে বদলে দিয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম কোনো কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ড্যাফোডিল পলিটেকনিক থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই ধরনের এডুকেশন ট্যুরের আয়োজন সত্যি এক্তি বড় পদক্ষেপ। তাছাড়া এই প্রথম বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক কোনো ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাথে যৌথভাবে অংশগ্রহনম‚লক শিক্ষা সফর অনেক প্রশংসনীয় বিষয়। এই ধরনের পদক্ষেপ প্রমান করে যে ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভিন্ন আংগিকে চিন্তা করে এবং কারিগরি শিক্ষাকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখে। সবথেকে বড় বিষয় ড্যাফোডিল পলিটেকনিকের শিক্ষার্থী হিসেবে এই ধরনের ওয়ার্কশপে অংশগ্রহন করতে পারাটা আমার কাছে অনেক বড় অর্জন। যা কিনা বর্তমান সময়ে চাকুরীর ক্ষেত্রে নিজেকে যোগ্যপোযোগী করে তুলতে সাহায্য করবে। কারন শুধু বইপড়া আর পাঠ্যবিদ্যার জোরে বর্তমান প্রতিযোগিতাম‚লক বাজারে টিকে থাকা সম্ভব নয়। নিজেকে এই প্রতিযোগিতাম‚লক জগতে আরও আত্মবিশ্বাসী করে টিকে থাকা ও নিজের স্থানটি আরো শক্ত ও মজবুত করে ধরে রাখার জন্যে প্রকৌশল শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
টেকনো মাস্টার ক্লাস (সিজন-২)
টেকনো মাস্টার ক্লাস (সিজন-২)
গত বছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনিষ্টিটিউট (বিএসডিআই) এবং ভারতের স্বনামধন্য আই টি প্রতিষ্ঠান ভিনসিস কর্তৃক আয়োজন করা হচ্ছে “টেকনো মাস্টার ক্লাস” (সিজন-২)। আর এবারের প্রশিক্ষণের মুল বিষয় হল “সাইবার সিকিউরিটি” এবং “ডিজিটাল মার্কেটিং”। আগামী ১-৩ মার্চ, ২০১৯ তিন দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত প্রশিক্ষণে ট্রেইনার হিসেবে থাকবেন দীর্ঘ ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন “জনাব সন্দীপ” (পি এম পি, আই টি আই লেভেল-৩, আই বি এম স্বীকৃত সিনিয়র পি এম, ভারত) এবং“কল্যানী চৌধুরী” (ট্রেইনার, মেন্টর, ডিজিটাল মার্কেটিইং স্পেশালিষ্ট, ভারত) ।
এই প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের আওতায় থাকছে চাকুরীজীবী, পেশাদার ট্রেইনার, শিক্ষক, শিল্প প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার, সুপারভাইজার এবং শিক্ষার্থী।
৩দিনের প্রশিক্ষণ-এর অধিনে অংশগ্রহনকারীরা পাচ্ছেন সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞ্যান ও দক্ষতা, কীভাবে দেশীয় ও বিশ্বব্যাপী সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করা হয়, আন্তর্জাতিক ট্রেইনারের সাথে সংযুক্ত থাকার সুবিধা, ব্যবহারিক বা প্রয়োগিক ভিত্তিতে জ্ঞ্যান লাভের সুযোগ। যার দ্বারা অংশগ্রহনকারীরা নিজেরাই নিজেদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবে। পাশাপাশি তারা অন্যদের শিক্ষা দিতে পারবে।
সুবিধাসমূহঃ
ক্স সার্টিফিকেট
ক্স ব্যাগপ্যাক
ক্স ট্রেইনিং সরঞ্জাম( কলম, প্যাড, পুস্তক)
ক্স স্পেশাল লাঞ্চ
রেজিষ্ট্রেশন ফিঃ
সাইবার সিকিউরিটি- ৫০০০ টাকা
ডিজিটাল মার্কেটিং- ৫০০০ টাকা
(১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ এর আগে রেজিষ্ট্রেশন করলে ১০০০ টাকা ছাড়)
রেজিষ্ট্রেশন লিঙ্ক- https://bit.ly/2DiBchu
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন – http://masterclass.bsdi-bd.org/
জরুরী প্রয়োজনে কল করুন : +৮৮ ০১৮৩৩-১০২৮০১
Why Good Communication Skills are Essential to Your Future Career?
If you want to succeed in your career, you need to know what you want and how to go after it. And you can’t do that without good communication skills. Being an excellent communicator can help you land that first job in your new career and ensure a positive future. It can separate you from other applicants, help you be a more effective employee and serve as a stepping stone to leadership responsibilities and career advancement.
Benefits of Good Communication Skills
Do you have good communication skills? Here’s why they’re essential for your future career:
Land a Job
Good communication skills can help you land an interview and that first job in your new career. Being able to articulate all you know and can do, whether in spoken or written form, goes a long way in the application process. Do you have great problem solving skills and a passion for information technology? Let your future employer know what you’ve already accomplished in the field and the unique skill set you’ll bring to their company. And be sure to communicate that you’re always willing to learn more! Once you have the job and are proving your worth every day, don’t forget to speak up for career advancement opportunities.
Be Well Understood
Good communicators can explain their ideas to others in ways that make sense and are easy to understand. You’ll be able to tell your supervisor what you need to do your job well. You’ll also be able to talk with co-workers to make sure you’re all working together for the good of the company and its customers. For example, if you work in healthcare, it’s vital that you communicate well to your patients. If you’re an IT specialist teaching a user how to work with a new software application, your communication skills can make the difference between a satisfied customer and a frustrated and angry one.
Hear What People Say
An important component to good communication skills is the ability to listen. People in business need to understand the mission and goals of their company and what their responsibilities are. That starts with good listening skills. You need to listen closely to your supervisors and your clients if you’re going to meet the needs of both. Once you’ve done some work, you’ll also need to listen to feedback to see what you’ve done right and what could be done even better.
Meet Employers’ Needs
One of the very best reasons to work on your communications skills is one of the simplest reasons: it’s what employers want. In employer surveys, communication skills consistently rank at the top of the list of soft skills hiring managers are looking for in new hires. They want new employees to be able to listen, act and then explain those actions. Does that sound like you?
How to Work with In-House Trademark Counsel
How to Work with In-House Trademark Counsel
Trademark professionals, like lawyers in other fields, need to develop and maintain business to progress in their careers. Very often, it is in-house counsel who evaluate the performance of outside trademark professionals and determine whether to engage new firms and trademark professionals. With this in mind, we asked several in-house counsel at different companies to respond to a series of questions in order to provide some insight into how they use, select and evaluate outside firms and trademark professionals. Although some of our respondents asked that their comments be kept anonymous in accordance with company policy, the responses we received were informative and enlightening, and they should be of valuable assistance in developing and maintaining good trademark professional and client relationships.
Use of Outside Professionals
Reflecting what appears to be a common desire among companies, a representative of Rubbermaid stated: “We prefer to handle as much as possible in-house to save money. We send out a project basically only when we don’t have the resources in-house to handle the project.” One respondent of a large international consumer products company who wished to remain anonymous explained that there are clear benefits to having individuals in-house and dedicated to a single client who handle matters whenever possible.
Other companies have identified specific projects that they consider best suited for outside counsel. Tiki Dare (Sun Microsystems) explained: “We use U.S. coordinating counsel as our agent for U.S. prosecution, international prosecution and most of our dispute work. We also use outside counsel for some domain name work and clearance projects. We use a non-attorney outside firm for renewals. We believe this outsourcing model gives us the right balance of close, effective business partnering by a small team internally, expert outside counsel where needed and cost efficiencies.” Even companies that seek to do as much work in-house as possible may outsource such things as clearance and prosecution matters when necessary owing to limited resources.
Among the counsel responding to our questions, there appears to be a consensus that outside counsel should handle litigation. As Rob Doerfler (SVP Worldwide) explained, “I simply do not have the time or resources to follow each litigation matter.” Josh Burke (General Mills) concurred, advising that inter partes proceedings, litigation and non-U.S. prosecution were all handled by outside counsel.
Considerations in Selecting Outside Counsel
When asked what they look for when selecting outside counsel, different respondents cited different qualities, such as “experience,” “practical” and “having depth.” However, they all mentioned cost. And, depending on the industry, in-house counsel may even take into account potential outside counsel’s non-legal experiences.
For example, Martha Cecil-Few (Hershey) said that, especially for non-U.S. counsel, she may consider whether the potential counsel “actually go shopping.” Specifically, she will want to know whether they can identify infringing products or “identify products being sold by Hershey locally [and] bearing trademarks that our marketing representatives have not yet told us about.” Mr. Doerfler readily agreed: “I always appreciate when outside counsel advises me of counterfeit goods or questionable trademark use in the local market.” Michel Megelas (Blue Mountain Wallcoverings) said that his company looks at “the competence of the attorneys we are dealing with, not only from a legal perspective but from a business perspective as well.”
Mr. Doerfler explained: “While costs are incredibly important in these considerations, I am more often concerned by the ability of outside counsel to discern our needs and to CLEARLY communicate our position and options.” He acknowledged, however, that cost remains an important factor: “I will often look for midlevel associates and midsize firms that will provide me excellent legal support without the large firm costs.” An even more important consideration, Ms. Cecil-Few reasoned, was value. “If an expensive partner can give an answer in 15 minutes, while it would take a less expensive attorney an hour to provide the same answer, we would rather hire the more expensive partner.” Mr. Burke viewed quality of services as coming first, cost second. “[C]ost is not the deciding factor, but it is important. If someone charges a premium rate, we expect phenomenal service.”
Joe Quigley and Kevin Brown (Nike) spoke very favorably about being able to leverage outside counsel’s technology, such as an extranet that allows for global access. This makes it much easier to understand the status of the company’s marks. The receipt of timely and accurate information is very important in ensuring quick enforcement—for example, in dealing with counterfeit goods. Mr. Quigley and Mr. Brown were also of the view that having a good relationship took precedence over cost, though they acknowledged that they did like to use smaller firms that were good but less expensive.
Many respondents described strategies that involve building strong relationships with multiple firms. For example, while Rubbermaid prefers to have one major firm in each country that handles the bulk of the work in that jurisdiction, it also likes to have one or two secondary firms in case there is a conflict or a second opinion is needed. Ms. Cecil-Few said: “We prefer to work primarily with one firm in one country with respect to one type of legal matter. However, we also like to have a relationship built with other firms in case there is a conflict of interest with the first. We may also hire additional firms if we are looking for different areas of expertise.” An anonymous respondent from a U.S.-based company said his preference was to spread work among three U.S. firms, adding, “It keeps everyone on his or her toes.”
Marketing to In-House Counsel
We asked our respondents whether they mind when outside counsel with whom they have not worked ask to be considered for future projects. Ms. Dare said that, when searching for new counsel, “I prefer to initiate contact myself and will use my professional network to identify outside counsel and other vendors if I have new needs.” Mr. Doerfler was even more frank: “Any unsolicited brochures or marketing materials are thrown out/deleted without review.”
When a firm is looking for new counsel, INTA can be a helpful resource. Mr. Doerfler said he uses the Association’s Membership Directory to identify potential outside counsel and takes advantage of the opportunity to meet and speak with them at INTA events. Mr. Megelas implored potential counsel who were taking the trouble to introduce themselves to be prepared. Specifically, he recommended that a trademark professional offering his or her services “do a bit of research and present something that will…have some tangible results for our company.”
Several of our respondents stated categorically that they do not like to be approached by outside counsel with whom they have not previously met. “I mind being approached,” said Mr. Burke. “I meet new lawyers regularly through INTA and otherwise, and prefer to contact them if and when I’m looking for new counsel.” Mr. Brown was even more emphatic. “I HATE being approached by unsolicited outside counsel. I don’t like being hustled like a streetwalker at conferences—this drives me crazy.” However, one of our anonymous respondents conceded that he did not mind being approached by new counsel.
Firm Versus Individual Reputation and Ability
Most of our respondents regarded the reputation of the attorney doing the work as being more important than the reputation of the firm. Mr. Megelas allowed that “while under certain circumstances the reputation of the firm may be considered, the overriding factor will always be the reputation and competence of the actual lawyers involved.” At Nike, the actual counsel involved is the only determination. As Mr. Brown put it, “We want the lawyer, not the name on the door.” Mr. Burke of General Mills also focuses on actual counsel. “Reputation of a firm doesn’t win a case for me.”
Performing the Work
When considering the specific experience of a particular attorney, in-house counsel seem to be most comfortable initially working with a partner-level lawyer who can see the big picture. Ms. Dare likes to work with someone “who is comfortable thinking creatively about accomplishing a practical business result.” At some point, Ms. Cecil-Few wants to see the partner “begin passing that work along to less-experienced attorneys whom he closely supervises and educates.” Mr. Doerfler elaborated on that point: “If I see a seasoned attorney handling perfunctory legal operations, it’s time to move the practice.” For Mr. Megelas, there is a distinction between experience and competence: “‘Less experienced’ does not translate into ‘less competent’; therefore, I encourage the use of associates and paralegals so long as the senior counsel on file plays a supervisory role.” Nike’s counsel expressed a particular preference for working with an experienced paralegal rather than a third-year associate.
We asked our respondents whether litigation experience or mediation experience was more important when selecting outside counsel. Most of the respondents who had a preference considered litigation experience more important. Mr. Brown pointed out that mediation experience is relevant only in English-speaking countries and that Nike has in-house people who handle mediation. “Nike looks for counsel that can get it done—someone who can solve the problem legally.”
Billing Preferences
The prospect of flat-fee billing seemed to appeal to all of our respondents, although their experiences with it vary. Ms. Cecil-Few expressed a desire to use flat-fee arrangements for package review. Jeffrey Michel (WMS Gaming) was also open to the idea; “I have only paid hourly for litigation,” he said, “but I would welcome alternatives.” Mr. Doerfler, however, told us that “for U.S. and U.K. counsel, I prefer hourly, because the overall rates are hyperinflated and I don’t need to be charged premiums for perfunctory work—which I find insulting.”
All the respondents said that they expect some services to be provided by their outside counsel without charge, to show counsel’s commitment. For example, Ms. Dare expects outside counsel to “provide occasional training at internal meetings.” Our respondents from Rubbermaid, Nike, Hershey and SVP Worldwide expect counsel not to charge for “miscellaneous” advice given in short phone conversations or email exchanges. Mr. Megelas did not want to be charged for file transfers, and Nike’s counsel very much appreciated having occasional visits from outside counsel without charge.
Availability and Responsiveness
Our respondents expressed a respect for the “free time” of their outside counsel. Ms. Cecil-Few, for example, stated that she would use out-of-office contact information only in “emergency situations.” However, the respondents also desire a level of commitment from outside counsel that ensures they will be available when the situation warrants it. Mr. Megelas expressed it this way: “If given prior notice of potential emergencies, [outside counsel] should be reachable.” Mr. Brown concurred: “I want to know how to get a hold of counsel if I have an emergency—if privacy is too guarded, then I will look elsewhere.”
Communicating with In-House Counsel
When matters such as office actions are to be reported to in-house counsel, Ms. Dare said the report should be sent within a day or two and should include an analysis of the concerns raised by the examiner. The respondent from Rubbermaid and Mr. Megelas from Blue Mountain Wallcoverings expressed no specific expectation regarding the time within which to receive an office action report, but Mr. Megelas said that he did expect the report to include an analysis of the office action, while Rubbermaid does not expect such an analysis in the initial report. Similarly, when U.S. counsel is overseeing the work of counsel in other jurisdictions, Ms. Dare said she expects U.S. counsel to review and evaluate the analysis of the non-U.S. counsel, whereas other respondents indicated that they do not want U.S. counsel to undertake review and evaluation of the foreign counsel’s analysis.
When outside counsel corresponds with in-house counsel, it is important for outside counsel to have an understanding for the in-house counsel’s preferences with regard to the formality of the correspondence. While all of our respondents said they preferred practical rather than academic advice, there was some disagreement about how they wanted that advice delivered.
For example, Mr. Megelas desires more formal communication initially, to provide context for the issue, with, shortly afterward, follow-up correspondence that is less formal and more directly to the point. Ms. Dare likes to see “an email (no attachments) with a one- or two-sentence summary of the next step or decision point, the deadline and the recommendation.” Further background can then be provided below in the same correspondence “if it hasn’t been discussed recently and won’t be fresh in my mind.” A similar perspective was described well by Ms. Cecil-Few: “I prefer the least formal communication possible that will allow me to be up to speed (know all the background facts without having to search for prior correspondence) immediately upon reading the new communication. If that requires some background, then background is appropriate. However, if we have been in communication about that matter recently, then I don’t need to be reminded about the background.”
Our Rubbermaid respondent and Mr. Megelas said that informal communication that gets directly to the point is always preferred. As Mr. Megelas put it, “I do not need to spend money for a pretty letter.”
Mr. Doerfler concurred with that assessment. “I like my counsel to send me efficient status reports and clear, specific bullet points requiring my feedback,” he said. Mr. Burke likewise indicated that “short is good. Although I still like knowing the rationale for any particular suggestion, I’m not interested in funding a law review article.” Nike’s counsel also voiced a preference for brevity, saying they want to be advised what to do and why, but in two paragraphs maximum. “If I want a written opinion, I will ask for it,” Mr. Brown said. “I don’t need a fully researched legal opinion on everything, and I don’t want to pay for it if I have not asked for it.”
When recalling her best experience with outside counsel, Ms. Dare described a situation where working with outside counsel was “like working with a smarter clone of myself.” The attorneys “could usually anticipate my next question, respond nimbly and succinctly, and stay focused on our shared, pragmatic business goal.” There was in addition a level of trust that allowed her and the outside counsel to “readily admit and take responsibility for our mistakes and quickly move to correction.” Ms. Dare acknowledged that “[the] legal culture is intolerant of mistakes and often unforgiving, and I prize business partners who can manage this gracefully.”
Similarly, Ms. Cecil-Few described her best experience working with outside counsel as one in which, “through a common knowledge of our trademark portfolio and Hershey’s policies, we have come to think alike.” In particular, she appreciates outside counsel who take the initiative and copy her on their correspondence with others in her organization when she has given counsel permission to speak directly to the client: “I appreciate both being copied on all correspondence and having specific matters brought to my attention (counsel to counsel, without the client) when necessary.”
When asked about the need for multiple reminders about the need for instructions for upcoming due dates, Mr. Megelas said: “Reminders should continue to be sent until instructions are received. If [there has been] no response from in-house, I would expect a phone call as a last-ditch effort.” Our respondents all said that they expect to get reminders and follow-ups from outside counsel regarding upcoming deadlines.
What Annoys In-House Counsel
We asked our respondents, “What bugs you the most about outside counsel?” The responses were varied.
Ms. Cecil-Few cited correspondence that asks for a response relating to past correspondence but does not attach that correspondence. “I don’t have the time to go through hundreds of emails or files looking for that piece of electronic or hard-copy paper,” she said. Mr. Doerfler disliked incoherent communications. Both Mr. Megelas and our respondent from Rubbermaid wanted their outside counsel to provide unequivocal advice.
When asked what bothered her the most where outside counsel were concerned, Ms. Dare cited a lack of responsiveness. She and the other respondents all said that they expect responses to email messages or voice messages within one day. However, the respondent from Rubbermaid pointed out that the initial response may be merely an acknowledgment that the message has been received; “how quickly they respond to me substantively depends on the circumstances.”
All of the respondents were unanimous in their disdain for overstaffing of cases. “I hate seeing a new name for the first time when I get a bill,” commented Josh Burke. Mr. Brown put it another way: “Do not over-lawyer a file.”
Mr. Brown also noted that Nike does not like to be “bombarded” with constant warnings about risk notwithstanding the company’s clear instructions. Equally disliked was any sort of haughty attitude by outside counsel. “We look for creative solutions—pigheadedness is not appreciated,” he said. Mr. Megelas very much agreed with that view, noting that he did not like “being talked down to by outside counsel who still believe in the outdated stereotype that in-house counsel are second-rate attorneys.”
On a more practical note, Nike’s counsel hate the wasteful duplication of having the same piece of correspondence sent by fax, by email and by regular mail. Late responses are also very irritating, especially when outside counsel are very prompt in sending invoices.
The responses that we received provide helpful guidance for standard practices to be employed by outside counsel when dealing with in-house counsel. However, they also highlight that particular circumstances and personal preference may dictate what practices are employed. Therefore, it is best for all involved to discuss these issues and establish clear expectations. In responding to the question about what bugs him most about outside counsel, one anonymous respondent revealed that that he gets irritated most by outside counsel who “don’t even ask the questions about how to communicate with me, and what my expectations are.”
How to Work with In-House Trademark Counsel: A Snapshot
The following is a snapshot of many of the things in-house counsel consider when dealing with outside counsel.
Use of Outside Professionals
- Mostly used for prosecution outside company’s jurisdiction and for inter partes proceedings and litigation
Considerations in Selecting Outside Counsel
- Experience and pragmatism
- Quality first, but cost an important second factor
- Timely (within 24 hours), succinct, clear and creative responses
- Effective use of technologies
- In-depth understanding of company’s business and goals
- Development of strong relationship
Marketing to In-House Counsel
- Unsolicited approaches, brochures and marketing materials not effective, and may in fact have the opposite effect of what was intended
- INTA is a helpful resource
- Be prepared by becoming aware of company’s business and goals
- Provide tangible suggestions
Firm Versus Individual Reputation and Ability
- Reputation and competence of professionals involved are of paramount importance
- Reputation of firm is a secondary consideration
Performing the Work
- Senior, experienced counsel should oversee and supervise work
- More routine work should be handled by qualified and supervised but less expensive personnel
Billing Preferences
- While flat-fee billing has its appeal, hourly rates for litigation are more common
- Simple exchanges and some routine administrative services are expected to be provided without charge
- Occasional visits and internal training sessions without charge are appreciated
Availability
- In the case of urgent matters, outside counsel is expected to be available as needed
Responsiveness
- Initial response expected within 24 hours
- Response time also depends on circumstances
Communicating with In-House Counsel
- Expectation of analysis of office actions should be confirmed with in-house counsel
- Practical advice preferred over academic advice
- Be succinct and clear but do provide some context
- Informal is preferred to formal
- Formal opinions should be provided only when requested by in-house counsel
- Where deadlines are involved, reminder and follow-up letters are welcomed
What Annoys In-House Counsel
- Do not overstaff or overlawyer cases
- Overcharging will not be tolerated
- Include prior correspondence and other materials when relevant and warranted
- Be clear and concise
- Be respectful of in-house counsel’s ability and time
- Arrogance is not appreciated
- Avoid duplication and wasteful use of time and resources
- Ask questions to establish expectations
By Michael D. Andrews, Andrews Robichaud, Ottawa, Ontario, Canada, and James A. Dimitrijevs, Baker Hostetler, Cleveland, Ohio, USA. Both are
members of the INTA Bulletin Features—Policy & Practice Subcommittee
Reference:
https://www.inta.org/CareerArticles/Pages/HowtoWorkwithIn-HouseTrademarkCounsel.aspx.
How to win the Interview
How to win the Interview
Most people freely admit their dislike for job interviewing. Fortunately, job interviewing amounts to only a very small amount of time in any career. Unfortunately, the job interview is the threshold to any job. Without some ability to be interviewed well, a candidate cannot cross that threshold. Even the best trademark professionals must therefore have a minimum of job interviewing skills.
After getting the job, any candidate can point to the reasons why the interview was a success. The mystery is determining what works and what does not work before and during the interview. Candidates may be relieved to find out that this may be as much a mystery to those conducting the interviews as to the job candidates. To help solve the mystery, several trademark professionals with significant experience conducting job interviews, offer their perspective on what they look for during the interview.
A “good fit” seems to be the primary criterion on which job interviewers base their hiring decisions. What makes an applicant a good fit for any particular job, however, seems to be as big a mystery to the people conducting the interview as to those being interviewed.
Show Enthusiasm and Be Yourself
Trademark recruiter Judy Simon of Sage Legal Search admits that “fit” is the intangible that everyone wants. She has a guideline for determining whether there is a “fit” based on what is discussed during the interview. “If you are not beyond discussing the substantive aspects of the job for at least 50 percent of the interview, it may not be a good fit,” she advised.
Judy also emphasized that a candidate is looking for a place where the candidate can work happily. After all, the “fit” must also be good for the candidate. The 50 percent guideline can be used to gauge how well both the interviewer and the candidate communicate with and feel about each other. According to Judy, the only way to do this is to speak honestly.
Judy’s advice to candidates is, “show enthusiasm and be yourself.”
Others seem to agree that credentials are not always what interest people during the interview. “The best person (I interviewed recently) was very open, genuine and believable. Those things sometimes sell better than your credentials,” said Jay Hines, partner at Baker & Hostetler in Washington D.C. He acknowledged that “you don’t know what you are getting until after they work for you. You must determine how they are going to perform based on the feeling you get from the way they conduct themselves. This can be as important as what they put on their resume.”
Most people freely admit their dislike for job interviewing. Fortunately, job interviewing amounts to only a very small amount of time in any career. Unfortunately, the job interview is the threshold to any job. Without some ability to be interviewed well, a candidate cannot cross that threshold. Even the best trademark professionals must therefore have a minimum of job interviewing skills.
After getting the job, any candidate can point to the reasons why the interview was a success. The mystery is determining what works and what does not work before and during the interview. Candidates may be relieved to find out that this may be as much a mystery to those conducting the interviews as to the job candidates. To help solve the mystery, several trademark professionals with significant experience conducting job interviews, offer their perspective on what they look for during the interview.
A “good fit” seems to be the primary criterion on which job interviewers base their hiring decisions. What makes an applicant a good fit for any particular job, however, seems to be as big a mystery to the people conducting the interview as to those being interviewed.
Show Enthusiasm and Be Yourself
Trademark recruiter Judy Simon of Sage Legal Search admits that “fit” is the intangible that everyone wants. She has a guideline for determining whether there is a “fit” based on what is discussed during the interview. “If you are not beyond discussing the substantive aspects of the job for at least 50 percent of the interview, it may not be a good fit,” she advised.
Judy also emphasized that a candidate is looking for a place where the candidate can work happily. After all, the “fit” must also be good for the candidate. The 50 percent guideline can be used to gauge how well both the interviewer and the candidate communicate with and feel about each other. According to Judy, the only way to do this is to speak honestly.
Judy’s advice to candidates is, “show enthusiasm and be yourself.”
Others seem to agree that credentials are not always what interest people during the interview. “The best person (I interviewed recently) was very open, genuine and believable. Those things sometimes sell better than your credentials,” said Jay Hines, partner at Baker & Hostetler in Washington D.C. He acknowledged that “you don’t know what you are getting until after they work for you. You must determine how they are going to perform based on the feeling you get from the way they conduct themselves. This can be as important as what they put on their resume.”
Jay’s advice to candidates is, “have your story and be confident about yourself.”
Listen Carefully
Microsoft Corporation in Redmond Washington recently hired Fran Jagla as its senior attorney. Only after landing the job did Fran learn about the “Microsoft Competencies” used in the interview process. A spokesperson for Microsoft explained what those competencies are:
“We use a set of specific core competencies and skills to evaluate candidates, such as Drive for Results, Communication Skills, Teamwork and Passion for Technology. We have specific behavioral-type questions. How candidates answer these questions give us a strong indication of whether or not they have the core competencies needed to be successful at the specific job, and at Microsoft as a whole.”
The existence of these core competencies is not necessarily kept a secret from applicants before or during the interview, but specific competency documentation is not shared with candidates ahead of time.
Advice to the candidate in a structured interview is, “listen carefully. The nature of the questions may provide hints as to what the employer is looking for.”
Do Enough to Know You Like It
Knowledge of the job can also make a big difference in the interview. “When people understand the job and demonstrate that they want this particular job, this makes the applicant much more desirable,” said a hiring attorney with the U.S. Patent and Trademark Office. This experienced interviewer acknowledged that often people seeking employment with the government are more interested in a “government job” than working as a Trademark Examining Attorney. Knowing the job and wanting it specifically can make a big difference in this case because the Trademark Office sees countless people who are looking to work for the government, and only a rare few who want to practice trademark law specifically.
Judy Simon echoes this for entry-level and young associate-level candidates. “You need to have done enough to know you like it. Let them know this during the interview,” she said.
Judy’s advice to candidates between 1 and 3 years of experience is “show enthusiasm and interest.”
Don’t Allow Little Things to Rattle You
Linda Heban, Vice President and Chief Trademark Counsel of H-D Michigan, Inc., was recently impressed by a candidate who showed poise when the weather caused a setback. Moments before the interview, this candidate was caught in a sudden downpour of rain. She was unable to do anything about her wet clothes. So, she acknowledged her imperfect appearance, and then proceeded with the rest of the interview without embarrassment. She did not allow her wet clothes to wreck her performance.
Linda’s advice to candidates is, “don’t allow little things to rattle you.”
Risk Tolerance is Important
For candidates looking specifically for a job in-house, “risk tolerance is important,” according to Judy Simon. However, she admits that an applicant’s risk tolerance may not be as inflexible as the risk tolerance of the company. Perhaps communicating the ability to be flexible and meet the standards of the company rather than imposing one’s own expectations is the winning strategy when discussing risk tolerance.
Avoid Mistakes
There are also those mistakes a job applicant does not want to make. One of our sources met a person who produced a BLACKBERRY and responded to an email in the middle of the interview. This cost the applicant the job, and while it might seem like a warning that does not need to be communicated, cell phones and other portable communication devices should be turned off during the interview.
Another mistake to avoid in the interview is to be the first to discuss compensation. The company or firm doing the interviewing should always be allowed to broach this subject. If asked about current salary, an applicant can include bonuses and other benefits in the salary calculation. One job applicant we heard about computed salary, bonus and benefits that included the value of the subsidized meals in the company cafeteria. While this might seem excessive, the applicant got the job. This may be a result of the fact that salary is often one of the last things discussed in job negotiations. By the time salary is discussed, both parties may be dedicated to closing the deal.
The job interview should be a learning experience for the applicant. Not every job is right for every applicant. While it often seems like the job marketplace is the boss’ market, the job candidate should keep in mind that just as important as it is for them to like you, it is important that you like them.
By Fred Carl III, Trademark Examining Attorney, United States Patent and Trademark Office (USPTO), Alexandria, Virginia, USA “
Reference:
Bangladesh Skill Development Institute (BSDI)