Untitled-3

নেতৃত্বের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

নেতৃত্বের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

ব্যবস্থাপনায় নেতৃত্বের গুরুত্ব অপরিসীম। নেতৃত্ব ব্যতীত কোন দল বা সংগঠন চলতে পারে না। প্রতিষ্ঠানে নেতাকে কেন্দ্র করে অধীনস্থ কর্মী আবর্তিত হয়। দলের নেতা এবং দলের সকলের  লক্ষ এক থাকতে হবে আর দলীয় প্রচেষ্টাকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পরিচালনা করাই নেতার কাজ। এরূপ প্রচেষ্টা বিশেষভাবে নেতার গুণ ও কর্মদক্ষতার উপর নির্ভর করে। ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নেতৃত্বের মান দুর্বল হলে জনশক্তির মাঝে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং দলবদ্ধ প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়। তাই দলবদ্ধ প্রচেষ্টা সৃষ্টি ও জোরদারকরণের ক্ষেত্রে সুদক্ষ নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই।

যে কোন ব্যবসায় সংগঠনে কর্মীদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া লক্ষ্যার্জন সম্ভব নয় তাই নেতাকে দলের সকলের অনুপ্রেরনা দিতে হয় যাতে করে সকলে উৎসাহী হয়ে দলের উন্নয়নে অংশগ্রহন করে। কার্যকর নেতৃত্ব সংগঠনের অভ্যন্তরে এরূপ সহযোগিতার ভিত্তি হিসাবে কাজ করে। নেতৃত্বকে ঘিরেই জনশক্তি ঐক্যবদ্ধ হয় এবং পারস্পরিক সহযোগিতার কার্য সম্পাদন করে। তাই এরূপ নেতৃত্ব কৌশল অবশ্যই ব্যবস্থাপনাকে অবলম্বন করতে হবে।

যোগ্য নেতৃত্ব প্রাতিষ্ঠানিক সকল কাজের ফল প্রদতা বা কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে ও গুরুত্বপূর্ণ ভমিকা রাখে। নেতৃত্ব একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে জনশক্তির সকল কার্যপ্রয়াসকে কেন্দ্রীভূত করে বিধায় কাজের গতিশীলতা বাড়ে এবং এক লক্ষ এক নীতিতে বিশ্বাস করে। সকল ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবার কারণে ও কার্যক্ষেত্রে উত্তম ফলাফল লাভ করা যায়।

ব্যবস্থাপনার অন্যতম দায়িত্ব হলো প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত জনশক্তিকে সংঘবদ্ধ করে পরিচালনা করা। কারণ সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া কখনও প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্যার্জন সম্ভব হয় না। প্রতিষ্ঠানের কার্যকর মানের নেতৃত্ব থাকলে তাকে ঘিরে জনশক্তি সংঘবদ্ধ ও আবর্তিত হয় এবং সবাই নেতৃত্ব যত শক্তিশালী হয় সংগঠন তত শক্তিশালী ও মজবুত হয়ে থাকে। তাকে অনুসরন করে তার নির্দেশে পরিচালিত হয়।

নেতৃত্বের প্রধান ও সর্বধিক গুরুত্বপূর্ন দিক হচ্ছে নেতাকে লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা দান এবং লক্ষ্য নির্ধারন করতে হবে। লক্ষ্য সফলভাবে পৌছাতে সিদ্ধান্ত  নেয়া এবং সে অনুসারে নিজেকে এবং দলের সকলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

কার্যকর নেতৃত্ব প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্যার্জন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাখে। কারণ, নেতৃত্ব হল এমন একটি কৌশল যাতে অধীনস্থ কর্মীগণ তাদের সম্ভাব্য সর্বাধিক সামর্থ অনুযায়ী নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে তৎপর হয়। প্রতিষ্ঠানে যোগ্য নেতৃত্বের গুণসম্পন্ন ব্যবস্থাপক থাকলে তার বা তাদের প্রচেষ্টায় জনশক্তির ধ্যান-ধারণা ও কর্ম প্রচেষ্টা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়ে থাকে।

 

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট

কিভাবে সঠিক ক্যারিয়ার নির্বাচন করবেন

কিভাবে সঠিক ক্যারিয়ার নির্বাচন করবেন

ক্যারিয়ার বেশ ভারি আর গাম্ভীর্যপূর্ণ একটি শব্দ। আমাদের প্রায় স্কুল লাইফ থেকেই এ বিষয়টা মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়। ক্লাস ফোরে পড়া একটা বাচ্চাও জানে লেখাপড়া শেষ করে তাকে চাকরি করতে হবে। কিন্তু বাস্তবতা হল, এত প্রয়োজনীয় একটা বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেই কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়াই। এ বিষয়ে সঠিক পথ দেখানোর জন্যও আমরা কাউকে পাই না। সবাই কিছু ধারণাকে পুঁজি করেই পরামর্শ দেয়, যেমন ‘এখন কম্পিউটার সব জায়গায়, কম্পিউটার নিয়ে পড়লে ভাল চাকরি পাবে’। কিন্তু জীবনের সবচেয়ে বড় এই সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য যে অনেক বিষয় বিবেচনা করা উচিত, তা কেউ বলেও না, বা আমরা জানিও না।

আমাদের অনেকের মতেই স্মার্ট ক্যারিয়ার মানেই চাকুরি। এর বাইরে যে সম্মানজনক আরও অনেক ক্যারিয়ার আছে, তা আমরা জানিই না। সবার কথা শুনে যখন একটা ক্যারিয়ার পথ বেছে নেই, দেখা যায় সে কাজ করতে গিয়ে তা আর ভালো লাগছে না, ক্যারিয়ার হয়ে পড়েছে বোঝা। গবেষণায় দেখা গেছে, আমেরিকাতে একজন মানুষ গড়ে ৩ বার তার ক্যারিয়ার পথ পালটায়। কিন্তু বাংলাদেশে সেটা চাইলেও সম্ভব হয় না, কারণ আমরা শুধু মাত্র একটা কাজের জন্যই তৈরি হই, আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের এটাই শেখায়। আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, নিম্ন আয়ের দেশ গুলোতে ৮৯% মানুষই তাদের চাকরি পছন্দ করে না, এবং তারা পরিবর্তন করতে চায়।

এ সমস্যাগুলোর সমাধান একভাবেই করা যায়- শুরুতেই নিজের ক্যারিয়ার নির্বাচনে সচেতন হওয়া, সে হিসেবে নিজেকে তৈরি করা।

নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে খুব যথাযথ একটি ক্যারিয়ার নির্বাচন করতে পারবেন।

শুরুটা মাধ্যমিক থেকেই:

ক্যারিয়ার প্ল্যানিং শুরু করা উচিত মাধ্যমিক বা তারও আগে থেকে। তখন থেকে রিসার্চ করা উচিত কোন ফিল্ডের ডিমান্ড ৪-৫ বছর পর অনেক ভাল থাকবে। সে ফিল্ডে যে কাজ করতে হবে, সেসব কাজে আগ্রহ আছে কিনা, কাজগুলো পছন্দ কিনা। তারপর ভাবতে হবে সে কাজ করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাতেও কিছু শেখানো হচ্ছে কিনা। সে কাজ করতে হলে কী কী শেখা দরকার তা শিখতে হবে।

আয়টাও জরুরি:

ক্যারিয়ার বলতেই আমরা অর্থ উপার্জনের মাধ্যমকে বুঝি। লেখাপড়া শেষ করে একটা ভাল বেতনের চাকরি পেতে হবে, এটাই অনেকের এক মাত্র ভিশন। যদিও ক্যারিয়ার নির্বাচনে সবচেয়ে জরুরি বিষয় এটি নয়, তবে দায়বদ্ধতার কারণে এটা আগে ভাবতে হয়।  যে ফিল্ডগুলোর ডিমান্ড ৪-৫ বছর পরেও বাড়বে, সেগুলোর দিকে নজর দেয়া উচিত হবে। এটা জানার জন্য ইন্টারনেট ঘেঁটে বিভিন্ন খবর, প্রতিবেদন পড়তে হবে। বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণগুলো খুঁজে পড়তে হবে।

বিকল্প ক্যারিয়ার:

শিক্ষাজীবনে আমাদেরকে খুব কমই জানানো হয় যে ক্যারিয়ার মাত্রই চাকরি নয়। উদ্যোক্তা হওয়া, ফ্রিল্যান্সার, স্বাধীন-কন্সাল্টেন্ট হওয়া এরকম আরও অনেক ক্যারিয়ার পথ আছে। উদ্যোক্তা হলে নিজের কাজের স্বাধীনতা যেমন থাকে, তেমনি অনেক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করা যায়। বাংলাদেশের মত দেশ, যেখানে ৪৭% শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বেকার, সেখানে উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করাটা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হবে। বাংলাদেশে তরুণদের প্রতিষ্ঠা করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শ’ থেকে হাজার খানেক শিক্ষিত ছেলেমেয়ে কাজ করার সুযোগ পায়।

অপ্রচলিত ক্যারিয়ার:

ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিস্টার এসব ছাড়াও ইদানীং কিছু ক্যারিয়ার পথ তৈরি হয়েছে, যাতে অনেকেই সফল হচ্ছে। যেমন ফটোগ্রাফি, ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, মেক-আপ আর্টিস্ট, স্টাইলিস্ট, ক্যারিয়ার গ্রুমিং, কর্পোরেট ট্রেইনার, পাবলিক স্পিকার, ফ্যাশন ডিজাইনিং, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ফিল্ম মেকিং, ব্লগিং ইত্যাদি। এসব বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার খুব একটা সুযোগ বাংলাদেশে নেই, তবে এসব বিষয়ে তাত্ত্বিক শিক্ষার চেয়েও ব্যবহারিক বা প্র্যাকটিকালি শেখার প্রয়োজন খুব বেশি হয়। এগুলো বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয় পেশা হয়ে উঠছে দিন দিন।

কী ভাল লাগে:

ক্যারিয়ার শুরু হওয়ার পর ‘কাজ ভাল লাগে না’ রোগে ভুগতে না চাইলে প্রথমেই ভাবা উচিত কী ভাল লাগে। ভাবুন কী এমন কাজ যা করতে ভাল লাগে, যা করতে গিয়ে মনে হয় না কাজ করছেন। এবং দেখুন সে কাজটা আসলে সিরিয়াস ক্যারিয়ার হিসেবে করা যায় কিনা, বা এটা প্রচলিত কিনা। ধরুন আপনি আঁকতে পছন্দ করেন। খুব ভাল আঁকেন। তাহলে আপনার জন্য ফ্যাশন ডিজাইনিং বা অন্যান্য ডিজাইনিং এর ক্যারিয়ার ভাল হবে। আবার ধরুন আপনি লেখালেখি ভালবাসেন, তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য লেখালেখি করতে হয় এমন কাজ যেমন সংবাদপত্রে চাকরি ভাল হবে। ভুলেও অপছন্দের কোন কাজকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেবেন না, তাহলে ক্যারিয়ার বোঝা বনে যাবে।

চাকরির আগেই অভিজ্ঞতা:

চাকরির আগেই অভিজ্ঞতা অর্জন খুব জরুরি। এতে এক সাথে দু’টো কাজ হয়, একে তো চাকরির জন্য রেজ্যুমে ভারি করার এক্সপেরিয়েন্স পেয়ে যাবেন, সাথে আপনার নির্বাচিত ক্যারিয়ার পথটি আসলেই আপনার জন্য কিনা তা বুঝতে পারবেন। ধরুন আপনি ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিজেকে গড়তে চান। তাহলে

পড়াশোনা চলাকালীন কোন ইলেক্ট্রনিক কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ করার চেষ্টা করুন।

অথবা ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন কম্পিটিশন যেখানে ইলেক্ট্রনিক্স নিয়ে কাজ করতে হয় সেখানে অংশগ্রহণ করুন। আবার ধরুন আপনি ম্যানেজমেন্টে ক্যারিয়ার গড়বেন।

তাহলে ইউনিভার্সিটি ক্লাব বা কোন সংগঠনে ম্যানেজমেন্টের কাজ করতে হয় এমন পদে যুক্ত হোন। কাজ করার মাধ্যমে বুঝে ফেলতে পারবেন আপনি এ কাজে আনন্দ পাচ্ছেন কিনা, নাকি পরিবর্তনের সময় এখনই!

 দক্ষতাই চাবিকাঠি:

এখনকার সময়ে ক্যারিয়ারের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আর সার্টিফিকেট অনেকটা এন্ট্রি-টিকেট হিসেবে ব্যবহার হয়। বাকি পুরোটাই নির্ভর করে দক্ষতার উপর। দেশের একজন নামকরা সফটওয়্যার প্রোগ্রামার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়েছিলেন, দেশের অনেক বড় বড় ব্যাংকের উচ্চপদস্থ ব্যাংকার  ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা করা। তেমনি খোঁজ নিলে দেখা যাবে শুধু ডাক্তাররা ছাড়া অন্য সব একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ফিল্ডে ক্যারিয়ার গড়েছে।

মনে করুন আপনার ফটোগ্রাফি নিয়ে বেশ আগ্রহ আছে। এটাকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান। তাহলে দেরি না করে একটা ক্যামেরা জোগাড় করুন, ইন্টারনেটে ঘাঁটাঘাঁটি করুন কিভাবে অনেক সুন্দর ছবি তোলা যায়। ইউটিউবে হাজারো এক্সপার্টদের পরামর্শমূলক টিউটোরিয়াল আছে, হাজার হাজার বই আছে যা পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করা যায়। আর প্র্যাকটিস করুন। একাগ্রতা থাকলে আপনি সফল হবেনই।

তেমনি যদি আপনি বিজনেস ব্যাকগ্রাউন্ডের হয়েও গেইম ডেভেলপমেন্টে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে ধৈর্য্য ধরে নেমে পড়ুন শেখার পেছনে। ইন্টারনেট ঘেঁটে বের করুন গেইম ডেভেলপমেন্ট শিখতে কী কী জানতে হয়, সেই চেকলিস্ট ধরে ইন্টারনেট থেকেই শুরু করুন শেখা।

মেন্টর বানান কাউকে:

মেন্টর এমন একজনকে বানান যিনি আপনার পছন্দের ফিল্ডগুলোতে সফল একজন মানুষ। এবং অবশ্যই অন্যান্য ফিল্ডগুলো সম্পর্কেও ধারণা রাখে। যদি এমন কাউকে মেন্টর বানান যে শুধু একটা ফিল্ডই চেনে, তাহলে তিনি শুধু ঐ ফিল্ডের গুণগান করে যাবেন। মেন্টরের সাথে কথা বলেই আপনার ক্যারিয়ার প্ল্যান তৈরি করুন।

একটা দেশে ৪৭% স্নাতক বেকার, ৮৯% নিজের চাকরিতে অসন্তুষ্ট, এটা বেশ ভয়ংকর তথ্য। নিজেকে এর থেকে বাইরে রাখার জন্য প্ল্যানিং করা শুরু করুন, আর প্ল্যান অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করুন।

 

সংগৃহীতঃ- https://10minuteschool.com/blog/career-choice-advice-01/

 

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট

 

 

Untitled-7

কিভাবে নিজের দক্ষতা বাড়াবেন

কিভাবে নিজের দক্ষতা বাড়াবেন

মানুষের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ধরে রাখতে এবং বাড়িয়ে তুলতে নানা উপায় নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর কিছু অব্যর্থ উপায়। এসব সমস্যা কমানো যায় মস্তিষ্কের নানা অনুশীলন, চর্চা ও সঠিক খাবারের মাধ্যমে। নিচের উপায়গুলো অনুসরণ করে সহজেই মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ানো যায়।

১. শিখতে থাকুন:

বহু গবেষণাতেই দেখা গেছে, শিক্ষা মানসিক কার্যক্ষমতা ধরে রাখে। এ তত্ত্ব অনুযায়ী, মানুষ যত বেশি শিক্ষিত তার মানসিকতাও তত সমৃদ্ধ। তাই এসব মানুষের মস্তিষ্কে যত অবসাদ আসতে নেয় তাদের মস্তিষ্ক তত বেশি বাধা দেয়। দেখা গেছে, মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বিনাশী রোগ অ্যালঝেইমার্স উচ্চশিক্ষিত মানুষের মাঝে দেরিতে আক্রমণ করে। এ কারণে দেখা যায়, শিক্ষা যত বেশি হবে তত বেশি আপনার মস্তিষ্ক কার্যক্ষম থাকবে।

২. ক্রসওয়ার্ড করুন:

আপনি যদি স্কুলে আবার ফিরতে না চান, তাহলেও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা টিকিয়ে রাখার উপায় আছে। এ জন্য আপনাকে নিয়মিত ক্রসওয়ার্ডের সমাধান করতে হবে। তরুণ বয়সে আপনি  শিক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও বয়স হলে ক্রসওয়ার্ড হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত সমাধান। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের ক্রসওয়ার্ড নিয়ে একটি দিন ব্যস্ত থাকলে সে কারণে দুই মাস পিছিয়ে যায় মস্তিষ্কের রোগ ‘ডিম্যানশিয়া’!

৩. নেতিবাচকতা বাদ দেওয়া:

মন থেকে নেতিবাচকতা ত্যাগ করা হতে পারে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ধরে রাখার অন্যতম উপায়। যখন কোনো একটি বিষয়ে মস্তিষ্ক উদ্বিগ্ন থাকে তখন মস্তিষ্ক তা গ্রহণ করে এবং সেভাবে প্রস্তুত হয়। এ কারণে নেতিবাচক চিন্তাগুলো মস্তিষ্কে স্থায়ী হয়ে যায়। অন্যদিকে ইতিবাচক ও গঠনমূলক বিষয় নিয়ে চিন্তা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৪. ‘ব্রেন গেম’ খেলুন:

ভিডিও গেম নয় খেলুন ব্রেন গেম। ইন্টারনেটে ব্রেন গেমের নানা রকম ভিডিও দেখুন। দাবা খেলুন। তবে ভাল না লাগলেও শুধু স্মৃতিশক্তি বাড়াতে হবে বলেই ব্রেন গেম খেলব, দাবা খেলব এমনটা করার দরকার নেই।

৫. সামাজিকতা:

সামাজিকতা ও ভালো স্মৃতিশক্তির একটি পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। অর্থাৎ ভালো স্মৃতিশক্তিধারীরা বেশি সামাজিক হয়। তবে এতে কোনটির অবদান বেশি তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। তবে ২০০৮ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, যেসব অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি সামাজিকতায় তেমন অংশ নেন না, তাদের মস্তিষ্ক সামাজিকদের তুলনায় দ্বিগুণ হারে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, সামাজিকতা আমাদের মস্তিষ্কের উপকার করে। সামাজিকতার ফলে নিজের দিকে নজর দেওয়া, চাপ কমানো ও নিউরো হরমোন নিঃসরন সহায়তা করে।

৬. একসঙ্গে অনেক কাজ (মাল্টিটাস্ক) বাদ দিন:

আমরা অনেকেই একসঙ্গে অনেক কাজ (বা মাল্টিটাস্ক) করে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করার চেষ্টা করি। কিন্তু বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, মাল্টিটাস্ক বাস্তবে মানুষকে ধীর করে দেয়। এতে মনোযোগ বিক্ষিপ্ততা তৈরি হয়, যা সৃষ্টিশীলতার তুলনায় সমস্যাই বেশি তৈরি করে।

এছাড়া অপ্রয়োজনীয় তথ্য মস্তিষ্কে জমা রাখা বাদ দিন। এটা কম্পিউটারের অপ্রয়োজনীয় তথ্য ডিলিট করে দেয়ার মতো। নতুন কিছু শেখা (বিদেশী ভাষা), আবিষ্কার করা বা নতুন কিছু চিন্তা করা বুদ্ধিভিত্তিক খেলায় অংশ নেয়াও মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম রাখার আরেকটি ভালো উপায়।

৭. নতুন কিছু শিখুন:

নতুন কোনো কাজ শেখার চেষ্টা করলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। এই যেমন ধরুন আপনি হয়তো কাগজের প্লেন তৈরি করতে জানেন না। সেটা শিখে নিয়ে তৈরি করুন। কিংবা নতুন কোনো কাজ করতে শুরু করুন। স্মৃতিশক্তি এতে বাড়বে।

মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন। মানসিক চাপ বাড়লে স্মৃতিশক্তি কমতে শুরু করে। বন্ধু ও পরিচিতজনের সংখ্যা বাড়ান এবং তাদের সঙ্গে গড়ে তুলুন গঠনমূলক সুন্দর সামাজিক সম্পর্ক।

৮. ভিন্ন পথ অনুসরণ করুন:

একই পথে রোজ বাড়ি না ফিরে একটু অন্য পথে ফিরুন। একঘেঁয়েমি কোনো কাজ মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয়। সমীক্ষায় দেখা গেছে, অফিস কিংবা কাজ থেকে বাড়ি ফিরতে অন্য কোনো পথে বাড়ি ফিরলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

৯. তথ্যকে সংগঠিত করুন:

বিষয়গুলো লিখুন, জটিল বিষয়গুলোর নোট নিন এবং পরে ক্যাটাগরি অনুযায়ী পুনর্বিন্যাস করুন। চেষ্টা করে এর ব্যাখ্যা বের করুন। অধিকতর জটিল বিষয়গুলোর মৌলিক ধারণার ওপর জোর দিন, বিচ্ছিন্নভাবে মুখস্থ করার চেষ্টা করবেন না।

জটিল বিষয়টি অন্যকে নিজের ভাষায় বোঝানোর ক্ষমতা অর্জন করুন। বারবার তথ্যের রিহার্সেল করুন এবং অতিরিক্ত শিখুন। যেদিন বিষয়টি শিখলেন, সেটি আবার ঝালাই করুন এবং মাঝেমধ্যে বিরতি দিয়ে আবার ঝালাই করুন।

১০. শারীরিক অনুশীলন ও সঠিক খাবার:

মস্তিষ্কের দীর্ঘস্থায়ী কার্যকারিতার জন্য শারীরিক অনুশীলন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ক ক্রমাগত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। আর এ পর্যায়কে বিলম্বিত করে শারীরিক অনুশীলন। শারীরিক অনুশীলনের ফলে মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায় এবং নার্ভ সেল উৎপাদন বজায় রাখে। এমনকি ছয় মিনিটের শারীরিক অনুশীলনও মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতার সঙ্গে সঠিক খাবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ইঁদুরের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি চিনিসমৃদ্ধ খাবার দিলে তাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। এ ছাড়া ওজন বাড়লেও মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা হয়। অন্যদিকে ওমেগা-৩, ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার যেমন স্যামন মাছ, আখরোট ও সয়াবিনসমৃদ্ধ খাবার মস্তিষ্কের অবনমন রোধ করে।

১১. ঘুমানোর আগে করণীয়:

রাতে শোয়ার আগে নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন। মনে করার চেষ্টা করুন সারাদিন কী করলেন। তবে হ্যাঁ, স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। নির্ঘুম শরীর অনেকাংশেই মনের ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে। তাই ঘুম হতে হবে ঠিকঠাক।

প্রতিযোগিতামূলক ও চরম গতিশীলতার এই যুগে কাজ ও জীবনের চাপে পড়ে অনেকেই স্মৃতিশক্তি হারাতে বসেছেন। কর্মব্যস্ত জীবনে স্মৃতিশক্তি ধরে রাখাটা একটা চ্যালেঞ্জ বটে। এজন্য দরকার সঠিক পন্থা অবলম্বন। তবে একটু সচেতন হলেই আপনার মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা আপনি অটুট রাখতে পারবেন!

 

সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট

intern-ship-fb-cover-photo---02 (1)

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্টার্নশিপ ফেস্ট ২০২০

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্টার্নশিপ ফেস্ট ২০২০

বর্তমানে যে কোন ইন্সটিটিউটের পলিটেকনিকের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং হওয়ার জন্য ইন্টার্নশিপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপ খুজতে গিয়ে অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হয়, যার ফলে তাদের সেমিস্টার ড্রপ হওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকে যায়, আর এই সেমিস্টার ড্রপ হওয়ার মানে হচ্ছে তাদের কাঙ্খিত ফলাফল থেকে বা কাঙ্খিত ডিগ্রি টি থেকে এক ধাপ পিছিয়ে যাওয়া। এই রকম একটি প্রেক্ষাপটে ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট – স্কিল ডট জবস এর সহযোগীতায় প্রথম বারের মত আয়োজন করতে যাচ্ছে ইন্টার্নশিপ ফেস্ট ২০২০।

 

ইন্টার্নশিপ ফেস্টের মূল উদ্দেশ্য

এই ইন্টার্নশিপ ফেস্টের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কম্পানিদের থেকে ইন্টার্নশিপ এনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ছে এমন শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করে দেওয়া। এই ইন্টার্নশিপ ফেস্টের মাধ্যমে ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট নিজেদের শিক্ষার্থী ছাড়াও অন্যান্য পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।

 

ইন্টার্নশিপের সুযোগ সৃষ্টি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ইন্টার্নশিপ ফেস্টে দেশের সেরা ১০০ টি কম্পানিকে আমন্ত্রন জানানো হবে এবং তারা তাদের মত করে স্টল সাজাবেন। আমরা যদি ধরে নেই নিন্মে ১০ করে টি ইন্টার্নশিপ যদি প্রত্যেক টা কম্পানি আমাদের কাছে নিয়ে আসেন, তাহলে আমরা আশা করছি ১০০০ শিক্ষার্থীকে ইন্টার্নশিপের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং এই ইন্টার্নশিপের সুযোগ ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট নিজেদের শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরাও গ্রহন করতে পারবে।

 

ক্যারিয়ার সম্পর্কে সঠিক পথ প্রদর্শন

এই সেশনের আলোচনার বিষয় থাকবে তাদের সেক্টর অনুযায়ী কিভাবে অগ্রসর হওয়া যায়।

এর পাশাপাশি থাকবে-

  • ক্যfরিয়ার গাইড লাইনের জন্য কি কি করতে হবে
  • কিভাবে রিজুম তৈরি করবে
  • সিভি কিভাবে তৈরি করতে হয়
  • কিভাবে সিভি গুলোকে কম্পানির কাছে পাঠাতে হয়
  • কিভাবে ইন্টারভিউ দিতে হয়
  • ইন্টারভিউর বিভিন্ন নিয়ম, আচার আচরণ গুলো কি কি

এই বিষয় গুলোতেও বিভিন্ন উপদেশ মূলক সেশন থাকবে।

উপদেশ মূলক সেশন

এই সেশন বিভিন্ন কম্পানির এক্সপার্টদের আমন্ত্রন জানানো হবে তাদের একক উপদেশ মূলক সেশনের জন্য যে সেশন গুলো সম্পূর্ণ ফ্রি এবং যে কোনো পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা এসব সেশনে অংশ গ্রহন করতে পারবে।

 

আমরা যদি সংক্ষেপে বলি কি কি থাকবে ইন্টার্নশিপ ফেস্টে-

পৃথক আলোচনার অধিবেশন

এই সেশনের মাধ্যমে চেষ্টা করা হবে , যে সকল শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপ ফেস্টে উপস্থিত থাকবে তারা যেন একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের  থেকে নির্দেশনা মূলক উপদেশ পায়।

বিভিন্ন কম্পানির দ্বারা বিভিন্ন স্টল

এই স্টলের মাধ্যমে কম্পানির প্রতিনিধিরা সরাসরি সিভি গ্রহন করবেন এবং যদি মনে করেন সে ইন্টার্নশিপের জন্য প্রস্তুত তাহলে সেই মুহূতেই ইন্টার্নশিপের সুযোগ করে দিবেন। অথবা যদি মনে করেন তাদের কে এই মুহূতে সুযোগ দেওয়া যাবে না তাহলে তাদের কে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে তাদের জন্য ইন্টারভিউর ব্যবস্থা করবেন।

একক বৈঠক

যে সকল শিক্ষার্থী বিভিন্ন কম্পানির অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের থেকে একক ভাবে উপদেশ নিতে চায় তাদের জন্য একক বৈঠকের একটা সুযোগ করে দেওয়া হবে।

ধারনা করা যাচ্ছে যে ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০ এই ইন্টার্নশিপ ফেস্টে , যারাই ইন্টার্নশিপের জন্য প্রস্তুত তারা প্রত্যেকেই আসবে , তারা প্রত্যেকেই আমাদের আমন্ত্রনে সাড়া দেওয়া সব কম্পানিদের সাথে কথা বলবে এবং তারা তাদের যোগ্যতার প্রমান দিয়ে ইন্টার্নশিপের সুযোগ গুলো গ্রহন করবে।

আমরা সবাই ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে পক্ষ থেকে ঐ সকল শিক্ষার্থীদের কে স্বাগতম জানাচ্ছি।

 

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে

134

একজন আদর্শ শিক্ষকের গুনাবলী

যদি আপনি একজন শিক্ষক হয়ে থাকেন এবং শিক্ষকতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন তবে আপনাকে অবশ্যই কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, কিছু অভ্যাস আয়ত্ত করার পাশাপাশি তা অনুশীলন করতে হবে নিয়মিত।

শিক্ষকতা উপভোগ করা: আপনি তখনি পড়ানো কে উপভোগ করতে পারবেন যদি আপনি মন থেকে ক্লাসের বাচ্চাদের ভাল বাসেন, তাদের উন্নতির কথা ভাবেন। আপনি নিজে পড়ানো মজার না বানাতে পারলে এটা প্রত্যাশা করতে পারেন না যে আপনার ক্লাসে বাচ্চারা তা মজা নিয়া শিখবে। আপনি যদি ক্লাসের প্রতিটা মুহূর্ত আনন্দদায়ক ও ইন্টারেক্টিভ করতে পারেন তবেই শিক্ষকতা এবং শেখা উপভোগ্য দুটোই উপভোগ্য হবে।

পার্থক্য তৈরী করা: শিক্ষকতা মানে শুধু পড়ানো না, একটা অনেক বড় দায়িত্ব। শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় কাজ হল ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে পরিবর্তন নিয়ে আসা এবং একটা পার্থক্য তৈরী করা। ছাত্র-ছাত্রীরা যেন আপনার ক্লাসে নিরাপদ, বিশেষ এবং নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। এই অনুভূতিটা আপনার ক্লাসে তৈরি করাটা খুব জরুরী যাতে আপনার একটা ইতিবাচক প্রভাব তাদের মধ্যে থাকে কারন আপনি জানেন না ক্লাসে ঢোকার পূর্বে কিংবা ক্লাস শেষে বাসায় ফেরার পর তারা কি ধরনের বাস্তবতা বা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে সময় পার করে। সুতরাং তারা যদি পরিবার থেকে যথাযথ সাপোর্ট নাও পায় তবুও অন্ততপক্ষে আপনি তাদের জীবনে একটা পার্থক্য তৈরি করতে পারবেন।

 ইতিবাচকতা ছড়িয়ে দিন: ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ক্লাসে ঢুকুন প্রতিদিন। আপনার সুন্দর হাসিটি ধরে রাখুন সারাদিন এবং ছড়িয়ে দিন ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে। ক্লাসে ঢোকার পূর্বে আপনার সমস্ত সমস্যা, ব্যক্তিগত প্রতিকূলতা-কষ্ট দরজার ওপাশে রেখে আপনার সর্বোচ্চটুকু নিয়ে হাজির হন ক্লাসে, বজায় রাখুন এই মুখোশটি এবং আপনার ছাত্র-ছাত্রীদের ভাবতে দিন আপনাকে একজন সুপার হিরো হিসেবে। সবসময় ইতিবাচক এবং পজেটিভ এনার্জি নিয়ে ক্লাসে থাকলে তা যেমন ছড়িয়ে পড়ে তেমনি নেতিবাচকটাও ছড়িয়ে পড়ে উল্টোভাবে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিন আপনি কী করবেন।

আপনার ছাত্র-ছাত্রীদের চিনুন: একজন সফল শিক্ষকের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল তিনি তার ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্ধে খুব ভাল করে জানেন এবং তাদের আগ্রহ, সবলতা-দুর্বলতা সম্পর্কে অবগত, এবং এই তথ্যগুলোর ভিত্তিতে তাদের প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দেন। ক্লাসরুমের বাইরে আলাপচারিতায় শিক্ষার্থীকে সহজেই চেনা যায় বিভিন্নভাবে। আপনি আপনার ছাত্র-ছাত্রীদের যত ভালভাবে জানবেন, পড়ানোটা তত সহজ হবে।

 নিজের সর্বোচ্চটুকু ঢেলে দিন: শিক্ষক হিসেবে আপনি যখন নিজের সর্বোচ্চটুকু দিতে পারবেন তখনি আপনি আপনার ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে তাদের সর্বোচ্চটা প্রচেষ্টা প্রত্যাশা করতে পারবেন। তাই নিজের সর্বোচ্চটুকু ঢেলে দিন।

 মুক্তমনা হোন: মুক্তমনা হওয়া এবং গঠনমূলক সমালোচনাকে পজিটিভভাবে নেওয়া একজন শিক্ষকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কারন আপনি প্রতিনিয়ত আপনার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক, সহকর্মী এবং প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে সমালোচিত হন। কেউ-ই নিখুঁত নয়। সুতরাং সমালোচনাগুলো নিজের উন্নতির জন্য টিপস হিসেবে ব্যবহার করুন।

একটি আদর্শ মানদণ্ড নির্ধারণ করুন: শিক্ষক হিসেবে কাজের একটি আদর্শ মানদণ্ড নির্ধারণ করুন এবং তা শিক্ষার্থীদের সাথে শেয়ার করুন যাতে তারা বুঝতে পারে আপনি তাদের কাছে কিরকম কাজ ও ফলাফল প্রতাশা করেন, এবং তারা তা পূরনে নিজেদের যথাসাধ্য চেষ্টা করে।

 গোছালো হন: কাজগুলো প্লান করে, গুছিয়ে করুন, ক্লাসের লেসন প্লান তৈরি করুন। আপনি যদি গুছিয়ে এবং প্লান অনুযায়ী ক্লাস নেন তাহলে নিজেকে এবং শিক্ষার্থীদের অবস্থান বুজতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী করণীয় ঠিক করতে পারবেন।

 নিজেকে প্রস্তুত করুন: পড়ানোর জন্য আপনাকে কোনকিছু শূন্য থেকে শুরু করতে হবে না। একজন দক্ষ ও ক্রিয়েটিভ শিক্ষক সবকিছু এবং সব আইডিয়া নিজে সৃষ্টি করেনা বরং বিভিন্ন জায়গা থেকে রিসোর্স সংগ্রহ করেন। তাই নিজেকে আপডেটেড ও সমৃদ্ধ করতে নিয়মিত বই, ইউটিউব, পিন্টারেস্ট, ফেসবুক, ব্লগ ইত্যাদি ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় রিসোর্স সংগ্রহ করুন ও প্রস্তুতি নিন।

পরিবর্তনকে গ্রহন করুন: জীবনে সবকিছু পরিকল্পনা করে হয়না, পরিস্থিতির কারনে এবং প্রয়োজনে আমাদের কাজে পরিবর্তন আনতে হয়। আপনি যদি পরিব র্তনকে গ্রহন করেন এবং নতুন নতুন বিষয় ও কৌশল আয়ত্ত করেন তবেই আপনার দক্ষতা সময়ের সাথে বাড়বে।

নিজেকে সময় দিন এবং চিন্তার প্রতিফলন করুন: একজন দক্ষ শিক্ষক নিজের ক্লাসে যা ঘটে তা প্রতিনিয়ত চিন্তা করে এবং প্রতিফলনের মাধ্যমে বুঝতে পারে কিভাবে আরো ভাল করা যায়, ব্যর্থ্যতা থেকে বেরিয়ে আসা যায়। তাই দক্ষতা বাড়াতে নিজেকে সময় দিন প্রতিনিয়ত, ভাবুন কী ভাল ছিল, কী পরিবর্তন আনতে হবে। তাহলেই আপনি দক্ষ শিক্ষক হয়ে উঠবেন।

 

সংগৃহীত

Untitled-6

সফল উদ্যোক্তা হওয়ার সহজ উপায়।

দেশে একটি বিশাল বেকার জনগোষ্ঠী তৈরি হওয়ার পেছনে মূল কারণগুলোর একটি হলো উদ্যোক্তার অভাব। এই অভাবটি মূলত সৃষ্টি হয়েছে উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হতে না পারার ভীতির কারণে। আমরা অনেকেই ভাবি যে একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে হয়তোবা প্রচন্ড রকমের সৃজনশীল হতে হবে কিংবা যুগান্তকারী একটি আইডিয়া থাকতে হবে। কিন্তু ব্যাপারটি আসলে সম্পূর্ণরূপে ওরকম না। সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে কাজ করে আরো অনেকগুলো বিষয়। তার মধ্যে একটি হলো কর্মপরিকল্পনা গুলোর সঠিক বাস্তবায়ন।

তাহলে কি কি কাজ করলে একজন সাধারন মানুষ হতে পারবে একজন সফল উদ্যোক্তা? এই ব্যাপারগুলো পরিষ্কার ভাবে আপনাদের সামনে তুলে ধরতেই এই লেখাটি। চলুন জেনে নেই একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে অবশ্যই করণীয় ১০ টি কাজ সম্পর্কে।

১) লক্ষ্য অর্জনে যথেষ্ট আগ্রহী হতে হবে:

সাফল্য অর্জনের জন্য যদি তীব্র পরিমাণে উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ না করে, তবে সেই কাজ যথা সময়ে সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় না। উদ্যোক্তা হিসাবে যদি আপনার মাঝেই উৎসাহ-উদ্দীপনার অভাব কাজ করে, তাহলে ভেবে দেখুন এর প্রভাবে আপনার স্টার্টাপের অন্যান্য সদস্য এবং কাস্টমারের অবস্থা কী হবে। আপনার উৎসাহ উদ্দীপনা দেখেই আপনার টিমের সদস্যরা অধিক কাজ করতে উৎসাহিত হবে। উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে যখন আপনি এবং আপনার টিম কাস্টমারদের সেবা প্রদান করবেন, তখন কাস্টমারের ও আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতি আগ্রহ বাড়বে। কাস্টমারকে খুশী রাখাই একটি প্রতিষ্ঠান মূল উদ্দেশ্য। তাই কাস্টমার যখন আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতি খুশি হবে, তখন আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি উদ্যোক্তা হিসেবে সফলতার দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন।

২) সুযোগ-সুবিধার দিকে নজর দিন:

নিজের এবং প্রতিষ্ঠান এর সুযোগ সুবিধার দিকে নজর দিলে অযথা পরিশ্রমের অপচয় দূর করা সম্ভব। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানগুলো যে কাজটি করে থাকে সেটি হচ্ছে, যত কাজের সুযোগ পায় তত কাজই হাতে নিয়ে নেয়। এর ফলে যেটি হয়, অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে কোন কাজই সঠিকভাবে যথাসময়ে সম্পন্ন হয় না। এতে করে প্রতিষ্ঠানের দুর্নাম হয়। ফলে কমে যায় গ্রাহক সংখ্যা। কারণ গ্রাহক যে কাজের জন্য মূল্য দিচ্ছে সেই কাজ যদি সঠিক সময়ে সঠিকভাবে সম্পন্ন না হয়, তবে কেনই বা তারা পরবর্তীতে আবার একই প্রতিষ্ঠান ধার ধারবে?

তাই একগাদা কাজ হাতে নিয়ে গোলমাল পাকিয়ে ফেলার চেয়ে যতটুকু কাজ ঠিকভাবে করার সুযোগ রয়েছে ঠিক ততটুকু কাজই হাতে নিতে হবে। এতে করে কর্মচারীদের উপর যেমন চাপ কমবে তেমনি সঠিক এবং সুন্দর কাজের জন্য বাড়বে গ্রাহক সন্তুষ্টি। তাই যে কোনো কাজ হাতে নেয়ার ক্ষেত্রে সেই কাজটি করার জন্য প্রতিষ্ঠান যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা রয়েছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৩) কঠোর পরিশ্রম করুন:

একটি জিনিস আমাদের সবার মাথায় ভালো করে গেঁথে নেয়া দরকার। আর সেটি হচ্ছে সফলতা কোন সময়ই রাতারাতি অর্জিত হয় না। আমরা অনেককে রাতারাতি সফল হতে দেখে এই ভুল ধারণাটি আমাদের মাঝে জন্মে যায়। কিন্তু সাফল্যের পিছনে যে কত রাতের পরিশ্রম রয়েছে সেটি আমরা জানার চেষ্টা করি না। ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে বসে থাকলে সাফল্যের ছোঁয়া পাওয়া বড়ই মুশকিল।

কঠোর পরিশ্রম দ্বারা ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারলেই হাতে ধরা দেবে সাফল্য। একজন সফল উদ্যোক্তা সকল কাজে নিজের সর্বোচ্চটুকু দেয়। আপনি যদি লক্ষ্য অর্জনের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যান তবে আপনার হতাশ হওয়ার কোন কারণই নেই। সাফল্য কোন না কোন সময় আপনার কাছে ধরা দেবেই।

৪) উপভোগ করতে শিখুন:

লক্ষ্যের পেছনে ছুটে যেতে আপনাকে সবাই বলবে, কিন্তু সফল মানুষ আপনার সেই ছুটে যাওয়ার পথকে উপভোগ করতে শেখাবে। তারা আপনাকে শেখাবে চূড়ান্ত সাফল্যের পথে প্রতিটি অর্জনকে উদযাপন করতে। জীবনের অধিকাংশ মূল্যবান সময় লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে সেই সময়টা যদি উপভোগই করতে না পারেন তবে কী লাভ সেই লক্ষ্য অর্জন করে? লক্ষ্য অর্জনের পথটা যদি উপভোগ্য হয় তাহলে আপনি এবং আপনার টিম কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন প্রচণ্ড উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে। এর ফলে লক্ষ্যে পৌঁছতে পারুন কিংবা না পারুন, কোন কাজ করা নিয়ে আপনার কিংবা আপনার টিমের মাঝে কোন ধরনের হতাশা কাজ করবে না।

৫) নিজের উপর বিশ্বাস স্থাপন করুন:

বাস্তব জীবনের অনেক কিছুই কাগজে কলমের যুক্তিতে মিলে না। কাগজ কলম এর হিসাব অনেক সময় আমাদের ভুল নির্দেশনা দেয়। এই হিসাব গুলো যদি আমাদের কল্পনার সাথে মিলে যায় তাহলে আমাদের মনে হয় এটাই বুঝি একমাত্র সমাধান। কিন্তু আসলে তা নয়। সাফল্যের আ আরও অনেক রাস্তা রয়েছে। সেই রাস্তা গুলো খুঁজে পেতে হয় নিজের বিচার-বিবেচনা দ্বারা। তাই কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার পূর্বে নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন। যদি আপনি নিজেকে সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করেন তাহলে আপনার বিবেক আপনাকে ভুল নির্দেশনা দিবে না। নিজেকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস না করলে আপনারা সিদ্ধান্তগুলো যথার্থ হবে না।

 

সংগ্রহীত: https://10minuteschool.com/blog/successful-entrepreneur/

১৪-01-2020

কিভাবে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।

সাফল্য! প্রত্যেক ভালো অথবা খারাপ কাজের সাফল্যা আছে 🙂  ভালো কাজের সাফল্য গুলা সবসময় উঁচুতে থাকে, মানুষ সম্মান দেয়। কিন্তু খারাপ কাজের সাফল্যের জন্য সমাজে অসম্্মমানি হতে  হয়।

আমরা সবাই চাই সাফল্যা পেতে! আর সব চেয়ে ভালো লাগে যখন নিজ চেষ্টায় কোন সাফল্য পাওয়া যায়।
সাফল্যের জন্য আমারা ঘড়ে বসে থাকলেতো আর সাফল্যা আসে না। সাফল্যের জন্য আমাদের দিন-রাত পরিশ্রম করতে হবে।
আমাদের যদি চিন্তা ভাবনা এই রকম হয়
“আমারা ঘড়ে বসে থাকি, আমরা এমনি সাফল্য দিয়ে দিবেন” এই রকম চিন্তা ভাবনা যদি আমাদের মধ্যে থাকে তাহলে আমরা কখনোই কিছু করতে পারবো না।

মনে রাখতে হবে
“কোনো কাজে একবার ব্যর্থ হলে ভেঙে পড়লে চলবে না, পুনরায় চেষ্টা করতে হবে। সবসময় ইতিবাচক মানসিকতার অনুশীলন করে ইতিবাচক মানুষদের সাহচর্য বজায় রাখতে হবে। সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে হবে। অধ্যবসায়, বিজ্ঞ মন্ত্রণাদাতা, আত্মবিশ্বাস এরূপ অন্তত দশটি বিষয়ে নিজের দৃঢ়তাকে মজবুত ও অনুসরণ করতে পারলে নিশ্চিতভাবে পৌঁছে যেতে পারেন সাফল্যের স্বর্ণশিখরে”

মনে রাখুন ঐ রকম কিছু কৌ্শলঃ

১। স্বপ্ন দেখুনঃ
বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বলেছেন, ‘জ্ঞানের চেয়ে কল্পনার জোর অনেক বেশি।’ তাই আপনার লক্ষ্যকে স্বপ্নে পরিণত করুন। অর্থাৎ আপনি যা হতে চান, তার ছবি যদি স্পস্টভাবে দেখেন, তা হলে তার বাস্তবায়ন সহজ হয়। আপনার সমস্ত মনোযোগ থাকবে ছবিটার দিকে। দিনে-রাতে যখনই সময় পাবেন, তখনই আপনার স্বপ্নের কথা ভাবুন। মনের আঙিনায় স্বপ্নটাকে একেবারে স্পষ্ট করে ফেলুন। যাতে স্বপ্নের পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে আপনি বাস্তবেও নিজেকে সার্থক হিসেবে দেখতে পান। যতো বাধাই আসুক, আপনি পৌঁছে যাবেন স্বপ্নলোকের সেই রাজপ্রাসাদে।

২। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যঃ
আমরা বেশিরভাগ মানুষই জানি না যে, আসলে আমরা কী চাই। বা কোনো চাওয়া নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে সন্তুষ্টিও অর্জন করতে পারি না। কোনো কাজের লক্ষ্য হতে হবে আপনার একান্ত কাম্য বা গভীর আগ্রহের বস্তু। এই লক্ষ্যই সাফল্যের সিঁড়িতে পৌঁছুতে সহায়তা করবে। তাই আপনার লক্ষ্যকে মনের মাঝে প্রতিষ্ঠিত করুন।

৩। মেধা যাচাইঃ
ধরুন, আপনি লক্ষ্যে পৌঁছে গেছেন। ধরেই নিন আপনি সফল। এরপর কী করা উচিত? আপনি কি বসে থাকবেন? তা হলে আপনি ভুল করবেন। কারণ, সাফল্যের শেষ নেই। সাফল্যের একটা সিঁড়ি অতিক্রম করার পর আপনি আরেকটা সিঁড়িতে পা দেবেন। কারণ, আপনার মেধার কোনো কমতি নেই। লক্ষ্য অর্জনে মানুষের ক্ষমতার কোনো শেষ নেই। তাই নিজের মেধা যাচাই করুন।

৪। সুনিশ্চিত পরিকল্পনাঃ
সফলতা অর্জনের জন্য চাই সুচিন্তিত ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। যাকে আমরা অন্য কথায় নকঁশা বা মানচিত্রও বলতে পারি। এটি ছাড়া আপনি সফল হতে পারবেন না। আপনার বর্তমান অবস্থান ও আপনার কাঙ্ক্ষিত গোলের অবস্থানের দূরত্বটা মাথায় রাখুন। এর মাঝে কিছু বাধা আসতে পারে। বাধাগুলোকে চিহ্নিত করুন। বাধাগুলো দূর করার উপায় বের করুন। ধরুন, আপনি প্রকৌশলী হতে চান। আপনার পরিকল্পনা হতে হবে প্রকৌশলী হওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন, সেভাবে প্রস্তুতি নেওয়া, প্রকৌশলী হতে ঠিক কতটা সময় লাগবে, তা একটি বড় বিষয়। মনে করুন, একজন প্রকৌশলী হতে আপনার পাঁচ বছর সময় লাগবে, পুরো সময়টাকে সঠিকভাবে কাজে লাগান। এ ক্ষেত্রে সময়কে ভাগ করে নিতে পারেন এবং সে অনুযায়ী এগোতে পারেন।

৫। আত্মবিশ্বাসঃ
সফলতার যদি কোনো অন্তরায় থাকে, তা হলে তা হচ্ছে আত্মবিশ্বাসের অভাব। কেউ যদি ভাবে, ‘আমি পারবো না’ ব্যস! নিশ্চিতভাবে সে ব্যর্থ। কারণ, সে চেষ্টা করে না বা চেষ্টা করার আগেই আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। বিশ্বাসের মাত্রা হতে হয় খুব দৃঢ়। যদি মনে বিশ্বাস থাকে অটুট, লক্ষ্য যতোই কঠিন হোক না কেন বিজয় নিশ্চিত। কখনোই বিশ্বাস হারাবেন না। তা হলে আত্মবিশ্বাস নড়বড়ে হয়ে যাবে। ফলে উত্সাহ-উদ্দীপনা কমে যাবে। কাজেই, বিশ্বাস ধরে রাখুন। নিজের মাঝে নিজেই প্রতিষ্ঠিত করুন যে, ‘আমি পারবোই।’

৬। ইতিবাচক মনোভাবঃ
আপনার লক্ষ্যের প্রতি থাকা চাই আপনার ইতিবাচক মনোভাব। এই মনোভাব আপনাকে সাফল্যের দিকে টানবে। যাদের কোনো কাজে মন নেই বা নেতিবাচক মনোভাব আছে, তারা সফলতার মুখ দেখতে পান না। ইতিবাচক মনোভাব হচ্ছে আশা, সৃষ্টিশীলতা আর প্রাপ্তির সীমাহীন সম্ভাবনা। যারা নেতিবাচক চিন্তা করেন, তারা তাদের মনোভাব পরিবর্তন করুন। কোনো কাজকে পজেটিভ ভাবুন। একান্ত নিজের করে নিন, যদি দ্রুত পজেটিভ না হতে পারেন, তবে আস্তে আস্তে ইতিবাচক মনোভাব অর্জন করুন।

৭। সক্রিয় কর্মতত্পরতাঃ
দক্ষতা বর্তমান কালে সফলতার অন্যতম নিয়ামক। দক্ষতা ও কর্মতত্পরতার মাঝে সামান্য পার্থক্য আছে। কর্মতত্পরতা হচ্ছে কাজটি সঠিকভাবে করে ফেলা, আর দক্ষতা হলো নিপুণভাবে কাজ করা। মোট কথা, সফল হতে চাইলে দুটোরই প্রয়োজন আছে। অর্থাত্ সফল হতে আপনাকে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজে তত্পর হতে হবে।

৮। সময়ের সঠিক ব্যবহারঃ
অনেক ক্ষেত্রে আমরা আজকের কাজ কালকের জন্য ফেলে রাখি। আমাদের টনক না নড়া পর্যন্ত এই কাজটি আমরা বারবার করি। কিন্তু সময় তো আর বসে থাকে না। আমাদের খেয়াল হতে হতে অনেক সময়ের অবমূল্যায়নের ফলে জীবনে নেমে আসে হতাশা আর জীবন সম্পর্কে অনীহা। আপনাকে মনে রাখতে হবে, সফলতার জন্য সময়ের সঠিক ব্যবহার করা প্রয়োজন। কারণ, সাফল্যের জন্য আপনাকে শিখতে হবে অনেক কিছু। সব কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হলে সময়কে ভাগ করে নিন।

৯। মানুষের সাথে যোগাযোগঃ
বর্তমান সময়ে যোগাযোগের গুরুত্ব অনেক। আর বিজ্ঞানের কল্যাণে মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগে খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হয় না। তাই মানুষের সাথে সম্পর্ক একটা বড় বিষয়। মানুষ কখনোই একা চলতে পারে না। মানুষের বেঁচে থাকা, মানুষের চলাফেরা, কর্ম, সফলতা—সব ক্ষেত্রেই দেখা যায় কোনো না কোনো মানুষ কিছুটা হলেও প্রভাবিত করছে। তাই প্রয়োজন সম্পর্ক। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, অন্যের সাথে ইতিবাচক বা হ্যাঁ-বোধক আলোচনা, কথাবার্তায় সহজ-সরল ভাষা ব্যবহার, অন্যের ভালো কাজের স্বীকৃতি বা প্রশংসা, কথায় ও কাজে মিল রাখা, মানুষের সাথে মেশা এবং তাদের জানা, মানুষের সঠিক মূল্যায়ন ইত্যাদি বিষয় চর্চার মাধ্যমে আপনার যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।

১০। ধৈর্য ও মানসিক প্রশান্তিঃ
যদি সফল হতে চান, তা হলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে এবং কাজে মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখতে হবে। ধৈর্যশীলতা আপনাকে নতুন কাজের আগ্রহ জন্ম দেবে এবং প্রশান্তি বজায় থাকলে আপনি কাজটিকে আপনার একঘেঁয়ে মনে হবে না। অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থতা আসতেই পারে, হাল ছাড়বেন না। ধৈর্য নিয়ে চেষ্টা করে যান। মনোবল নিয়ে কাজে নামুন। আমরা যদি মহাজ্ঞানীদের কথা ভাবি, নিউটনের কথাই ধরুন, যার গবেষণার সব কাগজ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। নিউটন হাল ছাড়েননি। এডিসন অসংখ্য চেষ্টার পর ইলেকট্রিক বাল্ব আবিষ্কার করতে পেরেছিলেন। ধৈর্যের বলেই তা সম্ভব হয়েছে। মানসিক প্রশান্তি শুধু সাফল্যলাভের জন্যই নয়; বরং সবক্ষেত্রেই প্রয়োজন। মানুষের মনের সুপ্ত শক্তিকে প্রকাশের জন্য প্রয়োজন হয় এ প্রশান্তির। মোট কথা, এটি হচ্ছে সাফল্যের অন্যতম পূর্বশর্ত। কাজেই মনকে প্রশান্ত রাখুন। মানসিক প্রশান্তি অর্জনের একটি অন্যতম উপায় হলো মেডিটেশন। তাই মেডিটেশন করুন, দেখবেন, মনকে কিছুটা হলেও শান্তি দিতে পারছেন।
উপসংহারে বলা যায়, আপনার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যকে, আপনার স্বপ্নকে আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করে সুনিশ্চিত পরিকল্পনা, কর্মতত্পরতা ও দক্ষতা রেখে সময়ের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের মেধাকে মূল্যায়ন করে একজন সফল ও সার্থক মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলুন। কাজের মাঝে ধৈর্য রাখুন, মানসিক প্রশান্তি রাখুন, দেখবেন সাফল্য সুনিশ্চিত, আপনার ইতিবাচক মনোভাব ও মানুষের সাথে সুসম্পর্ক আপনাকে নিয়ে যাবে সফলতার স্বর্ণশিখরে। তবে বিশেষ ভাবে মনে রাখতে হবে সাফল্যকে একবার করায়ত্ত করলেই দায়িত্ব শেষ নয়, কারণ সাফল্যের শেষ নেই। সুতরাং সাফল্যকে ধরে রাখতে হবে দৃঢ় ভাবে।সর্বদা নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন, দেখবেন আপনি সহজেই সাফল্যের দরজায় পৌঁছে যাবেন।

 

সংগৃহীতঃ- https://www.techtunes.co/how-to/tune-id/434250

ভালো শিক্ষার্থী হওয়ার সহজ উপায়

ভালো শিক্ষার্থী হওয়ার সহজ উপায়

ভালো শিক্ষার্থী হওয়ার সহজ উপায়

কিভাবে ভাল ছাত্র হওয়ার উপায় খুজবেন? এর উপায় অনেক। তার মধ্যে সহজতর পদ্ধতিগুলো জানা থাকলে যে কোন  ছাত্রই হয়ে উঠতে পারেন ভাল ছাত্র। প্রাত্যহিক জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত  অনেক দামী আর বৈচিত্রময়। তাই এই মুহুর্তগুলোকে কাজে লাগানোই হচ্ছে প্রতিভাবান লোকেরদের কাজ। ছাত্র জীবনেও এরকম একটি  বৈচিত্রময়  কাল অতিক্রম হয়। একে অনেক ছাত্র সাজিয়ে ফেলেন নিজেদের মত করে। যার ফলাফল নিশ্চিত ভাল রেজাল্ট। আর এই আয়োজনের নাম হল প্রতিদিনের রুটিন অথবা ডেইলি রুটিন। কিভাবে ভাল ছাত্র হওয়ার উপায় অনুশীলন করতে গেলে কতগুলি মৌলিক বিষয় আসে।  তার মধ্যে একটি অবশ্যই ডেইলি রুটিন।  এছাড়াও আছে সহায়ক অনেক কাজ। তবে ডেইলি রুটিনের অনেক সুবিধা আছে।  যে কোন খারাপ ছাত্রকেই ভাল ছাত্র হওয়ার উপায় বাতলে দিতে পারে।  এই লেখায় আমি তাই শুধু ডেইলি রুটিন নিয়েই আলোচনা করেছি। বাকী বিষয় গুলি নিয়ে পরে আরেকটি লেখায় আলাপ করব।

ডেইলি রুটিন(Daily Routin): ডেইলি রুটিনের কথা বলার সময় আমার একটি উদাহরনের কথা মনে পড়েছে। সেটা এই রকম- একটি ট্রেন চালানোর জন্যে প্ল্যাটফর্ম ত্যাগ করার আগে রেল মাষ্টার অর্ডার দিলেন যে আজ আরো পাঁচটি বগি এই ট্রেনের সাথে জুড়ে দেয়া হবে তার কারন যাত্রী সংখ্যা অনেক বেশি। যেমন হুকুম তেমন কাজ, কিন্তু এই কাজের জন্য সময় দরকার। পেছনের ট্রেন খানা কিছুক্ষনের মধ্যেই চলে আসবে, তবু মাষ্টার কাজটি করলেন। এর মাঝে পেছনের ট্রেন চলে আসায় তিনি লাইন ম্যান দিয়ে আটকে দিলেন এবং এই ট্রেন ছাড়ার পর পেছনের ট্রেন ফ্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করালেন।

ডেইলি রুটিনের সাথে এই উদাহরনের একটা ছোট মিল আছে। প্রথমত, রুটিন করে ফেলার পর অবশ্যই অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিয়ে সেটা দক্ষ ষ্টেশন মাষ্টারের ন্যায় পরিচালনা করতে হবে। একটি ডেইলি রুটিন শুরু হতে পারে ঘুম থেকে উঠার পরপর-ই। এটা সকালে যে কোন মুহুর্ত হতে পারে। তবে সুর্য উঠার আগে হলে ভাল হয়। কারন এই সময়ে শরীরের ইন্দ্রীয়গুলো ভাল কাজ করে। কিভাবে ভাল ছাত্র হওয়ার উপায় অনুশীলন করবেন তা একটি রুটিন আপনাকে দিতে পারে।  একটি ট্রেনের ইঞ্জিনের চেয়ে বেশি বড় ভুমিকা রাখতে পারে।

কিভাবে ভাল ছাত্র হবার উপায় অনুসন্ধান করা যায় তা  আমি একে একে বিশ্লেষন করছি-

প্রথমেই একটি ডেইলি রুটিনের জন্য যা করতে পারেন তা হচ্ছে-

পরিকল্পনা তৈরীঃ নিজে নিজেই যেহেতু আপনি একটি রুটিন বানাবেন তাই নিজে থেকেই পরিকল্পনা করুন। কিভাবে সাজালে ভাল হয়, কোন কাজের উপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে এসব মাথায় রেখে একটি সুন্দর পরিকল্পনা করে ফেলুন। তারপর ধীরে ধীরে এগিয়ে যান।

সময় ভাগ করাঃ সময়কে ভাগ করে নেয়ার পর তা দিয়ে দিনের একেক টি কাজ পরিপুর্নভাবে সম্পন্ন করতে পারাই রুটীনের কাজ। যদি ব্যর্থ হয় তবে রুটিন ভ্যালু লেস হয়ে যায়। তাই একটি রুটিন কখনোই এলোমেলো হতে পারেনা সফলতার জন্যে। সময়ের কাজ সময়ে করতে পারার একটা চর্চা করতে হবে। সময় ভাগ করে ফেললে আপনার রুটিনের জন্য সহজ হয়ে যাবে। তবে এমন সময় নিয়ে আসবেন না যে সময়ে আপনি কোন নির্দিষ্ট কিছুই করতে পারবেন না। যেমন আপনি মনে করলেন যে দুটা কাজের ফাঁকে ১০মিনিট সময় আছে অন্য একটি কাজ করে ফেলা যায়। হ্যাঁ করে তো ফেলা যায় তবে তা যেন বড় কোন কাজ না হয় সে দিকেই খেয়াল রাখতে হবে। ডেইলি রুটিনের জন্য অবশ্যই পাঁচ মিনিটের বেশি সময় লাগে এমন সব কাজ সময়ের মধ্যে ধরতে হবে।

সময় পরিমাপঃ প্রত্যেক কাজের একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে। যেমন আপনি একটি হোমওয়ার্ক করতে আপনার হয়ত ৩০ মিনিট সময় লাগে। তাহলে আপনার রুটিনে ত্রিশ মিনিটের কম সময় নেয়া বোকামি হবে। এজন্য প্রত্যেক কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় পরিমাপ করতে হয়। রুটিন করার আগে এই সময়জ্ঞান আপনাকে অর্জন করে নিতে হবে।

রুটিন স্থায়ীকরনঃ প্রারম্ভিক পর্যবেক্ষনের জন্য আপনি একটি খসড়া রুটিন দিয়ে শুরু করতে পারেন। যেমন ম্যাথমেটিক্স এর জন্য প্রতিদিন এক ঘন্টা। কিন্তু কিছু দিন(প্রায় এক মাসের) মধ্যে দেখলেন যে একঘন্টা অনেক কম হচ্ছে। আপনার আরো বেশি সময় দরকার। তাহলে আরো বাড়িয়ে নিতে পারেন। বাড়িয়ে নিলে যদি মনে হয় যে এবার ঠিক আছে তখন সেটা স্থায়ী ডেইলি রুটিন হিসেবে নিন। এভাবে খসডা থেকে আপনি স্থায়ী রুটিনে অনেক কাজে সময় কমাতেও পারেন। উদাহরন, আপনার গোসলে প্রতিদিন ৩০ মিনিট সময় লাগে। আপনি চাইলে আরো দ্রুত গোসল সারতে পারেন। তখন হয়ত ৭মিনিটের মধ্যেই গোসল শেষ, একে স্থায়ী রুটিনে নিন। আর এই সাত মিনিটের বাইরে আর যাওয়া যাবে না। এটাই আপনার ইফিসিয়েন্সি বা দক্ষতা। কাজে দিন দিন দক্ষতা বাড়ে। তাই সময় আমাদের দিন দিন বাড়তে থাকে, কারন কাজের জন্য সময় কম লাগে। এভাবেই আপনি অনেক বেশি কাজ শেষ করতে পারবেন। যিনি সেরা তিনি অবশ্যই আমাদের চেয়ে দ্রুত কাজ করেন।

রুটিন পরিবর্তনঃ এটা লাগবেই। কোন রুটিনেই আপনি জীবন ধরে রাখতে পারবেন না। তার জন্য বৈচিত্র নিয়ে আসতে হয়। তিনমাসে ছোটখাট পরিবর্তন করতে পারেন। আবার বছরে নতুন প্ল্যানিং কালে অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারেন। কোন কোন ক্ষেত্রে চিকিৎসা বা অন্যান্য প্রাকৃতিক কারনেও পরিবর্তন লাগতে পারে। পরিবর্তন কে উন্নতি হিসেবে নিন। যেমন আপনার সাধারন জীবন থেকে উন্নত জীবন। নিজেই বের করুন কী করলে আপনি আরো উন্নত জীবন পাচ্ছেন।

 

আশাকরছি এভাবেই আপনি একটি ডেইলি রুটিনের মধ্যে দিয়ে নিজেকে আরো উন্নত করতে পারবেন।

সংগৃহীত – https://kivabe.info/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%93%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC/

 

Bangladesh Skill Development Institute (BSDI)

Inclusive-leadership---2

৪র্থ শিল্প বিপ্লব করবে জীবনযাত্রাকে সহজতর।

৪র্থ শিল্প বিপ্লবকে মূলত প্রযুক্তির বিপ্লব বলা হয় যা মানুষের জীবনযাত্রাকে আরো সহজ করে তুলবে এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করবে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকেও এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে বাড়বে মানুষের কর্মসংস্থান এবং কমে যাবে নিন্ম কর্মসংস্থান।

৪র্থ শিল্প বিপ্লবের মূল উদ্দেশ্যঃ-

৪র্থ শিল্প বিপ্লবের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জীবনযাত্রার মান কে আরো সহজলভ্য করা। দৈনন্দিন কাজকর্ম নিয়ন্তন করবে প্রযুক্তির উদ্ভাবনসমূহ। যেখানে একটি মেশিন অন্য একটি মেশিনকে নিয়ন্ত্রন করবে, যেখানে একটি ডিভাইস অন্য একটি ডিভাইস কে নিয়ন্ত্রন করবে এবং মানুষের জীবনযাত্রা হবে টেকনোলজি বেস এবং সহজ।

Untitled-4-1024x684

ক্যারিয়ার পরিকল্পনা চারটি প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে

বছর আসে বছর যায়। এটাই সৃষ্টির শুরু থেকে হয়ে আসছে এবং হতে থাকবে। জীবন থেকে ৩৬৫ দিন নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। আর এই তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের যুগে এখন তো সময় যেন আমাদের সাথে মাইকেল বোল্টেকে অনুকরণ করে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে দৌড় প্রতিযোগীতায় নেমেছে। ২০১২ সালে মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস এ অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছি। মালয়েশিয়া এয়ারপোর্টে ৩ ঘন্টার যাত্রা বিরতি হলো। দুই ঘন্টার মধ্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে বসে আছি। সময় আর কাটে না। তার ঠিক ৭ বছর পর কেপটাউন থেকে বাংলাদেশে ফিরবো, মাঝখানে দোহা এয়ারপোর্টে ৯ ঘন্টার যাত্রা বিরতি। দুই ঘন্টার মধ্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে এয়ারপোর্টের ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করে কাজ করা শুরু করলাম। হঠাৎ শুনলাম ফ্লাইটের এনাউন্সমেন্ট। মনে হলো মুহুর্তের মধ্যে ৯ ঘন্টা কেটে গেছে।  এই হলো বর্তমানের সময়ের গতি।

এখন চাইলেই সময় নষ্ট করা যায় কিন্তু চাইলেই সময়ের সদ্বব্যবহার করা যায় না। সময়ের সদ্বব্যবহারের জন্য চাই সময়ের পরিকল্পিত ব্যবহার। না হলে প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বরের রাতে আমরা একটি বছর কে বিদায় দিয়ে নতুন আর একটি বছর কে আমন্ত্রণ জানাবো। আমাদের মধ্যে একটি ভুল ধারনা প্রায় কাজ করে আর সেটি হলো আমরা মনে করি নতুন বছর মনে হয় আমাদের চাহিদাকে আপনা আপনি ঠিক করে দেবে। আমরা মনে মনে প্ল্যান করি, অনেক পরিকল্পনা করি কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে অবহেলা করি। সাধারনত পুরানো বছরের শেষের দিকে আমাদের অবকাশ যাপন শুরু হয়, বন্ধুদের সাথে আড্ডা, মজা, শুভেচ্ছা বিনিময় করতে করতেই নতুন বছরের প্রথম মাসের অর্ধেকটা কেটে যায়। আর সেই সাথে সোস্যাল মিডিয়ার প্রভাবতো আছেই।  আমাদের পরিকল্পনা কল্পনাতেই রয়ে যায়।  বিশেষজ্ঞরা বলেন ক্যারিয়ার প্ল্যান বছরের শুরুতেই করা উচিত যার জন্য প্রয়োজন সচেতন এবং খোলা মন।

বর্তমানে আমরা একটু এগিয়ে আছি কারন আমরা এমন এক সময় অবস্থান করছি যখন আমাদের যেকোন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সাথে সহায়ক ভুমিকা পালনের জন্য আছে প্রযুক্তি।  মানুষ চাইলেই সব পারে কিন্তু সমস্যা হলো আমরা জানিই না আমি কি চাই, আমার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য কি, বাস্তবায়নের জন্য কি কি দরকার এবং কাদেরকে দরকার। মানুষের ধর্ম হলো চাপে না পড়লে কিছুই করতে পারে না। যদিও এর মধ্যেও ব্যাতিক্রম আছে কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভেতর থেকে শক্তি উৎপন্নের জন্য প্রয়োজন একটা ধাক্কা। প্রত্যেকের ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করার সময় চারটি প্রশ্ন করা অত্যন্ত জরুরী। যে চারটি প্রশ্ন তিনি নিজে নিজেকে করবেন এবং উত্তর বের করার চেষ্টা করবেন। অনেক সময় মেন্টরের সহায়তায় উত্তর বের করা যেতে পারে তবে সঠিক মেন্টর খুজে বের করতে না পারলে আবার হীতে বিপরীত হতে পারে। প্রশ্ন চারটি হচ্ছেঃ

  • ক্যারিয়ারে ব্যস্ত এবং সুখী হবার জন্য আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কি হতে হবে বলে আপনি মনে করছেন? প্রথম প্রশ্নটি একটু জটিল এবং চিন্তা করে বের করার মতো। অনেকে আবার বলেন চাইতে তো সমস্যা নেই এবং চাইবোই যখন তখন কোন বাছ বিচার করবো না। তবে এতটুকু মনে রাখতে হবে ক্যারিয়ারে ব্যস্ত এবং সুখী করতে পারে এমন জিনিস কামনা করাই শ্রেয়। তবে এই প্রশ্নটির উত্তর বের করতে হলে সবার আগে নিজেকে জনতে হবে এবং তার জন্য প্রয়োজন আত্মমূল্যায়ন এবং গবেষণা ।

 

  • শীর্ষ তিনটি লক্ষ্য কি আপনি নির্ধারন করতে পারেনউপরের চাহিদাগুলো আপনার ক্যারিয়ারের সাথে যুক্ত করতে কোন তিনটি শীর্ষ লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যকে আপনার বাস্তবায়ন করতে হবে। তার একটা কর্মপরিকল্পনা বের করতে হবে।

 

  • নির্ধারিত লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়ন বা অর্জনের জন্য কী ধরণের শিক্ষা বা উপকরন আপনার প্রয়োজনআপনার লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করতে আপনার কি কোন ধরনের শিক্ষা বা প্রশিক্ষনের প্রয়োজন আছে কিনা। বা কোন মেন্টর বা পরামর্শদাতার প্রয়োজন পড়বে কিনা, সেটা নির্ধারন করাটা অত্যন্ত জরুরী।

 

  • লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে, আপনার কী নতুন কোন সম্পর্ক স্থাপন করা প্রয়োজন? এক্ষেত্রে আপনি একটি ছক তৈরি করে কোন কোন মানুষের সাহায্য বা সহযোগীতা আপনার প্রয়োজন তার একটি তালিকা আপনি করে নিতে পারেন। আপনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কার বা কাদের সহযোগীতায় আপনি করবেন বা এমন কে বা কারা আছেন যারা আপনাকে পেশা ভিত্তিক পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করবেন। অথবা খুজে বের করা এমন কারা আছেন যারা আপনাকে সাহায্য করবেন সেখানে যেতে যেখানে আপনি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পৌছতে চাচ্ছেন।

 

প্রশ্নগুলো অত্যন্ত সাধারন এবং অনেকেই হয়তো ইতিমধ্যেই আপনাকে বলেছেন কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনি এখনও সময় নিয়ে যথাযথভাবে পরিকল্পনা করা এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করার জন্য সময় বের করতে পারেননি। ধরে নিন ২০২০ সাল আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর এবং এখন থেকেই কাজ করতে হবে যেন ২০২৫ এর মধ্যে আপনি সেই জিনিসগুলো আপনার ক্যারিয়ারে সংযুক্ত করবেন যেগুলো আপনাকে ব্যস্ত এবং সুখী করতে পারবে। মনে রাখবেন আপনি যখন এই লেখাটি পড়ছেন ততোক্ষনে ২০২০ সাল চলমান এবং অচিরেই চলে আসবে আরেকটি ৩১ ডিসেম্বর। তাই উত্তর বের করুন, কাজ করুন, লেগে থাকুন, সাফল্য আসবেই। আর সবসময় মনে রাখতে হবে অনুশীলনে সবই সম্ভব।

ক্যারিয়ারে যেকোন সহযোগীতার প্রয়োজন হলে আমাদের সাথে যোগােযোগ করুন: নাহিদা ইতি (০১৯১৩৪৯৩২৪৬), আশা আহমেদ (০১৮৪৭৩৩৪৮৫৬) আথবা ইমেইল করুন: [email protected]