অ্যাডা বায়রন(Ada Byron)পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার

অ্যাডা বায়রন(Ada Byron)

পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার

সায়েন্টিফিক গণনার প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডা বায়রনের জন্ম লন্ডনে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। অগাস্টা অ্যাডা বায়রন [Ada Byron] ছিলেন রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রন ও অ্যানে ইসাবেলে মিলব্যাংকের কন্যা। ১৮১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন পৃথিবীর এই প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে পরিচিত এ নারী গণিতবিদ। কিন্তু অ্যাডার জন্মের ঠিক এক মাস পর এই দম্পতি পৃথক হয়ে যান। আর জন্মের মাত্র চার মাস পর লর্ড বায়রন চিরকালের জন্য ইংল্যান্ড ছেড়ে চলে যান। অ্যাডার কখনও বাবার সঙ্গে দেখা হয়নি। ১৮২৩ সালে অ্যাডার বাবা গ্রিসে মারা যান। তার মা লেডি বায়রনই তাকে বড় করে তোলেন। তার পুরো নাম ছিল অ্যাডা অগাস্টা কিং, আর ডাকা হতো কাউন্টেস অব লাভলেস বা শুধুই অ্যাডা লাভলেস নামে। অ্যাডা মাত্র ৩৬ বছর বেঁচে ছিলেন। ১৮৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জরায়ুর ক্যান্সার এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
তার জীবন আবেগ ও যুক্তি, কবিতা ও গণিতশাস্ত্র এবং অসুস্থ স্বাস্থ্য ও শক্তি ক্ষরণের মধ্যকার সংগ্রামে মহিমান্বিত। মা লেডি বায়রন কোনোভাবেই চাননি তার মেয়ে বাবার মতো কাব্যিক হোক। তিনি চেয়েছিলেন অ্যাডা গণিত ও সঙ্গীত শিক্ষায় বড় হোক, যাতে বিপদজনক কাব্যিক প্রবণতাকে প্রতিরোধ করা যায়। কিন্তু অ্যাডার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সেই ঐতিহ্য ১৮২৮ সালের দিকেই প্রকাশ পায়। সেই সময় তিনিই ফ্লাইং মেশিনের নকশা প্রণয়ন করছিলেন। গণিতশাস্ত্র তার জীবনকে দিয়েছিল উড়ে চলার গতি।

১৭ বছর বয়সে [১৮৩২] তার গাণিতিক প্রতিভার স্ফুরণ ঘটে। ছেলেবেলা থেকেই মা তাকে গণিতে দক্ষ করে তুলতে চাইতেন যাতে বাবার প্রভাব কোনোভাবেই মেয়ের মধ্যে প্রতিফলিত না হয়। ১৮৪১ সালের আগে অ্যাডা জানতেনই না লর্ড বায়রন তার বাবা। গণিতজ্ঞ ও যুক্তিবিদ ডি-মরগান তার শিক্ষক ছিলেন! স্যার চার্লস ডিকেন্স, চার্লস হুইটস্টোন এবং বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডের সঙ্গেও তার জানাশোনা ছিল। ১৮৩৩ সালের ৫ জুন তার সঙ্গে পরিচয় হয় স্যার চার্লস ব্যাবেজের। চার্লস ব্যাবেজের সঙ্গে তার বেশ ঘনিষ্ঠ এবং রোমান্টিক সম্পর্কও গড়ে ওঠে। ব্যাবেজ অ্যাডার অসাধারণ ধীরশক্তি, সাবলীল লেখনি এবং প্রতিভায় মুগ্ধ ছিলেন। ব্যাবেজ অ্যাডা সম্পর্কে নিজের লেখায় অ্যাডাকে ‘সংখ্যার জাদুকর’ উপাধিতে আখ্যা দিয়েছিলেন। পরে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, আধুনিক কম্পিউটারের জনক চার্লস একটি ডিফারেন্সিয়াল যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। যার উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন সংখ্যার ঘাত গণনা করা অর্থাৎ কোনো সংখ্যাকে সেই সংখ্যা দিয়ে একবার, দু’বার, তিনবার, চারবার গুণ করলে যে ফল হয় তা বের করা। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই বিয়োগযন্ত্র বানানোর সময় আরেকটি নতুন যন্ত্র বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। এই যন্ত্রই তাকে ইতিহাসে অমর করে রেখেছে। এর নাম তিনি দিয়েছিলেন অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিন বা বিশ্লেষণী যন্ত্র। স্যার চার্লস উইলিয়াম ব্যাবেজ যখন তার ডিফারেন্স মেশিন বা অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামক কম্পিউটার আবিষ্কারের নেশায় মত্ত, তখন অ্যাডা তার গণিতবিষয়ক বিশ্লেষণী ক্ষমতার দ্বারা বুঝতে পেরেছিলেন এই কম্পিউটারগুলোর নাম্বার ক্রাঞ্চিংয়ের অমিত সম্ভাবনা সম্পর্কে। চার্লস ব্যাবেজ তাই লিখে গেছেন তার decline of Science in England বইয়ে। এই অসামান্যা নারীর সম্ভাবনাময় ধারণাগুলো চার্লস ব্যাবেজের কাজকে আরও বেগবান করেছিল। চার্লস ব্যাবেজের কল্পিত এই যন্ত্রে আধুনিক স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটারের অনেকগুণই উপস্থিত ছিল। সৌভাগ্যের ব্যাপার, ব্যাবেজের অনেক ধারণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কবি কন্যা অ্যাডা বায়রন। অ্যাডা বায়রন এই যন্ত্রের কর্মসূচি বা প্রোগ্রাম করেছিলেন। তাই তাকে পৃথিবীর প্রথম প্রোগ্রামার বলা হয়।
গত ২৭ নভেম্বর ছিল তার ১৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী। আর গত ১০ ডিসম্বের ছিল বিশ্বের এই প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামারের ১৯৭ তম জন্মবার্ষিকী। কম্পিউটারের বিবর্তনের ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদান স্মরণ করেই গুগলও একটি বিশেষ ডুডল তৈরি করেছিল। তাই গুগলকে সাধুবাদ। আজ সময়রে ব্যবধানে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তির এই যুগে আধুনিক কম্পিউটার থেকে ল্যাপটপ এসেছে, এসেছে আরো সহজে ব্যবহারযোগ্য অতি ক্ষুদ্রতম কম্পিউটার। সুদুর প্রসারী এই সুবিধা ও ফলাফল প্রাপ্তিস্বরূপ আসুন আমরাও গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি এই প্রতিভাময়ী বিজ্ঞানীকে। এবং লিঙ্গ বৈষম্যের সমস্যা থেকে নিজেরা মুক্ত হই।

 

===========

সোমা রানী দাস

বিভাগীয় প্রধান

ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং

Cover Letter: Introduction and Importance

Cover Letter: Introduction and Importance

Mr. Sadat, an HR manager of a renowned company. He is selecting some CV for a recruitment. He was selecting some CV and some were throwing to the trash. Suddenly a colleague of Mr. Sadat came into his room. He found that there was an application like something were attached to the selected CVs. On the other hand, the trashed CVs were pretty much good and well qualified for the positions. So the colleague asked Sadat why he was selecting the letter attached CVs only. Sadat asked him a question, “Suppose you are in a super shop. You are buying a soap. There are two categories of soap: one is branded and costly, but does not have any cover and another is cheap, but has a cover. Now, which one will you buy?” The colleague instantly replied, “Obviously I will buy the one with cover.” Then Sadat told his colleague, “This is why I am selecting the letter attached CVs and the letter is known as Cover Letter. He again said that a CV without a cover letter seems incomplete.”

This name Cover Letter is not a very familiar to us, but it is very important part of a CV.  A CV I general represents an applicant and a cover letter reflects the CV and the applicant in a nutshell. Generally, when a vacancy announcement is announced, the HR office of the company gets a huge response. As a result, the HR office cannot manage that huge time to go through the CVs in details. As a cover letter works as a cover of a CV, the HR office just reads the cover letter and select the CV for the next step. So, a cover letter is pretty much important.

As in the story above we saw Sadat explaining that no one wants to buy a product without a cover, (it doesn’t matter if the product is of a very good quality or not) in the same way often a recruiter does not show interest  to the CV without a cover letter. As a result, in the selection of a CV, a cover letter plays an important role.

 

Now we have introduced to the cover letter and we also know the importance of a cover letter. In the next part of this article, we will know about writing a standard cover letter.

 

 

Peace. . . . .

 

 

 

Writer,

Nahid Hasan

Instructor, Daffodil Polytechnic Institute

ডাটা অ্যানালাইসিসের গুরুত্ব

ডাটা অ্যানালাইসিসের গুরুত্ব

সহজ কথায়, ডাটা বিশ্লেষণ ব্যবসায়ের রেকর্ড পরীক্ষা করা ছাড়া কিছুই নয়। এর অর্থ আপনার গ্রাহকদের সম্পর্কে আরও বেশি অনুসন্ধান করা, তারা কী কিনছে এবং তারা কতটা ব্যয় করে পাশাপাশি তাদের পছন্দগুলি এবং ক্রয়ের অভ্যাসগুলি জানা । বিশ্বব্যাপী মিলিয়ন মিলিয়ন ব্যবসায়ী ভুলভাবে বিশ্বাস করে যে ডাটা বিশ্লেষণ জটিল কিছু এবং কেবলমাত্র অনলাইন ব্যবসায়কে বোঝায়। প্রকৃতপক্ষে, বেশিরভাগ মানুষ এটিকে নতুন প্রযুক্তি বলে বিশ্বাস করে যা শুধুমাত্র ইকমার্সের সাথে সংযুক্ত। তবে এই সমস্ত বিশ্বাস আসলে ভুল, প্রতিটি ব্যবসায়ের সাফল্যের জন্য ডাটা বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ। এবং শতাব্দী ধরে পৃথিবীতে ডাটা বিশ্লেষণ বিদ্যমান। প্রাচীন ব্যবসায়ী এবং বণিকরা তাদের গ্রাহকদের একটি রেকর্ড রেখে এবং পর্যাপ্ত স্টক নিশ্চিত করে ডাটা বিশ্লেষণ করতেন তারা জানতেন কোথায় এবং কী কী বিক্রি হবে। এবং কখনও কখনও, তারা আরও লাভের জন্য দূর দেশে ভ্রমণ করতেন।

ডাটা বিশ্লেষণ আপনাকে স্থানীয় বা দূরবর্তী বাজারের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য পণ্য বা পরিষেবা লাইনের উদ্ভাবন করতে সহায়তা করে। শুধুমাত্র পণ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি পাইপ লাইন সম্প্রসারণ সম্ভব। কারণ আপনি খুঁজে পেতে পারেন কেন লোকেরা একটি নির্দিষ্ট পণ্য পছন্দ করে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে আগ্রহী। ডাটা বিশ্লেষণ আপনাকে ফ্রিকোয়েন্সিগুলির একটি পরিষ্কার চিত্র দেয় যেখানে মানুষের চাহিদা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা পাওয়া যায়। আপনার কাছে যখন কোনও দূরবর্তী অবস্থানের জনসংখ্যার চিত্র এবং তাদের প্রয়োজনীয়তার স্পষ্ট চিত্র থাকবে, তখন নির্দিষ্ট  পণ্য বা পরিষেবা দিয়ে সেই বাজারে প্রবেশ করা সম্ভব। আপনার অনলাইনে ব্যবসা বা অফলাইন যাই হোক না কেন, ডাটা বিশ্লেষণ আপনাকে প্রতিটি গ্রাহককে আকর্ষণ করতে কতটা অর্থ ব্যয় করছে তা বুঝতে সহায়তা করে।

তদুপরি, আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে এগিয়ে থাকার জন্য আপনাকে বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন ডাটা ইঞ্জিনিয়ারদের  প্রয়োজন হতে পারে। ডেটা বিশ্লেষণ আপনাকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে আপনার ব্যবসায়ের পারফরম্যান্স তুলনা করতে সহায়তা করে।

ডাটা ইঞ্জিনিয়াররা একটি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ডাটা ইকোসিস্টেমের সমস্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশকে সংযুক্ত করে। উদাহরণসরূপ –

১। ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় অ্যাপ্লিকেশন এবং সিস্টেমগুলি থেকে ডাটা অ্যাক্সেস, সংগ্রহ, নিরীক্ষণ করা।

২। নির্ভরযোগ্য ডাটাবেস তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণ।

৩। ডাটা পাইপলাইন তৈরি করা।

৪। সমস্ত ডাটা সিস্টেম নিরীক্ষণ এবং পরিচালনা করা (স্কেলাবিলিটি, সুরক্ষা ইত্যাদি) ।

৫। স্কেলযোগ্য পদ্ধতিতে ডাটা বিজ্ঞানীদের আউটপুট বাস্তবায়ন করা ।

 

উপরের তালিকাভুক্ত সমস্ত কিছু করার জন্য একটি বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয় সেটা হল প্রোগ্রামিং। সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রোগ্রামিংয়ের একটি শক্তিশালী ভিত্তি ডাটা ইঞ্জিনিয়ারদের সরঞ্জাম।

 

যেহেতু আপনি দেখতে পাচ্ছেন, কেন প্রতিটি ব্যবসায়ের জন্য ডেটা বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ এবং এর কয়েকটি শীর্ষ কারণ। পৃথিবীতে বাণিজ্যের প্রাথমিক স্তর থেকেই ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন উপায়ে ডেটা বিশ্লেষণ করে এসেছে। যাইহোক, এই আধুনিক যুগে, আমরা ডেটা বিশ্লেষণের জন্য অনলাইন ভিত্তিক ডাটাবেজ ব্যবহারের মাধ্যমে  আমাদের কাজ সহজে সম্পাদন করা  এবং আমাদের ব্যবসায় আশানুরূপ ফলাফল পাওয়ার ক্ষেত্রে উপকৃত হতে পারি ।

 

লেখক,

অভিজিত রায়

ইন্সট্রাক্টর

কম্পিউটার টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সিটিউট

Search Engine Optimization(সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন)

Search Engine Optimization

(সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন)

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের প্রধান প্রধান উদ্দেশ্য গুলোর মধ্যে রয়েছে-SEO এর পুরো রূপ হল Search Engine Optimization (সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন) । আমরা সবাই কম বেশি সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে থাকি যেমন Google, Yahoo, Bing ইত্যাদি ।আর এই সার্চ ইঞ্জিনের জন্যে কোন keyword কে অপ্টিমাইজ করে টপ পজিশনে নিয়ে আসার প্রক্রিয়াই হল SEO । এতে আপনার সাইটে অনেকেই সার্চ করে খুজে পাবে।

একটি সাইটকে সকলের কাছে সহজে পৌছে দেওয়া।ওয়েব সাইটের জন্য প্রিয়তা বৃদ্ধি করা।সাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক বৃদ্ধি করা।
তথ্য বিনিময় ও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার শক্ত ভিত হিসেবে কাজ করে।

SEO কেন  দরকার-

আপনি যখন Google এ কোন কিছু লিখে সার্চ দেন তখন Google আপনার সামনে কিছু ওয়েবসাইটের লিস্ট সম্বলিত পেজ নিয়ে হাজির হয়। একে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ বা সংক্ষেপে SERP বলা হয়। আপনি একটা ওয়েবসাইট অনেক কষ্ট করে অনেক টাকা খরচ করে করলেন,যা অনেক তথ্যবহুল এবং প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পোস্ট করে যাচ্ছেন। সেটা আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। আপনার পোস্ট/তথ্য গুলো কেউ জানতে পারছে না। তাহলে কি আপনার পরিশ্রম সার্থক হবে? উত্তর অব্যশই নেগেটিভ আসবে। কারন ওয়েবসাইট তৈরির পরই আপনার কাজ হবে আপনার সাইটকে সবার মাঝে পরিচিত করা। বিভিন্নভাবে আপনার সাইটকে আপনি  SEO করতে পারবেন। কিন্তু এই SEO করার কিছু কিছু টিপস অবলম্বন করতে হয়। তাহলে আপনার সাইট সম্পর্কে সবাই জানতে পারবে।

একটি পেজে সাধারণত ১০টি রেজাল্ট থাকে। দেখা যায় যে, বেশিরভাগ ব্যবহারকারীরাই  প্রথম পেজের ১০টি রেজাল্টের মধ্যে তাদের কাঙ্খিত বিষয় খুঁজে না পেলে দ্বিতীয়  পেজে না গিয়ে পুনরায় অন্য কিছু লিখে সার্চ করে। তাই সবাই চায় তাদের ওয়েবসাইট/ব্লগ/প্রোডাক্ট যেন প্রথম পেজের ১০টি রেজাল্টের মধ্যে থাকে। সারা বিশ্বের  লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইটের সাথে প্রতিযোগিতা করে এই ১০টি রেজাল্টের মধ্যে থাকা  অনেক কঠিন ব্যাপার। আর নতুন ব্লগ/ওয়েবসাইট হলে তো কথাই নেই। এজন্যই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হয় যাতে আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ রেজাল্টের শুরুর দিকে থাকে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন মুলত দুই ধাপের মাধ্যমে হয়ে থাকে-

১. অন পেজ অপটিমাইজেশন

যে কাজ ওয়েবসাইটের ভিতরে করা হয় তাকে অন পেইজ অপটিমাইজেশন বলে। যেমন: টাইটেল ট্যাগ,কনটেন্ট,কিওয়ার্ড ইত্যাদি ।

২. অফ পেজ অপটিমাইজেশন

যে কাজ ওয়েবসাইটের বাহিরে করা হয় তাকে অফ পেজ অপটিমাইজেশন বলে। যেমন:  ওয়েবসাইট, ব্লগ, ফোরাম, সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইট, সোশ্যাল মিডিয়া(ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব,গুগল প্লাস ইত্যাদি) তে আপনার ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন প্রচার করা বা সোজা কথায় মার্কেটিং করে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসা।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বলতে আমরা সোজা কথায় বলতে পারি সার্চ ইঞ্জিনের সাথে ওয়েবসাইটের ভাল সম্পর্ক তৈরি করা। একটা ওয়েবসাইট কখনোই পূর্ণতা পাওয়া এবং কোটি কোটি সাইটের অবস্থান থেকে প্রথম সারিতে তৈরি করতে হলে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন ছাড়া কোন বিকল্প নেই।

 

Mst. Sathi Akter

Instructor of Computer Technology

Daffodil Polytechnic Institute

নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন  (পর্ব – ২)

ধারাবাহিক আর্টিকেল লেখার জন্য আমি “নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন ( Network and Data Center Operation ) “ বিষয় টি বেছে নিয়েছি। আমি মনে করি বিষয় টি যুগউপযুগী। এর  দ্বিতীয পর্ব “ বিভিন্ন প্রকার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন সম্পর্কে ধারণা (Ideas about different types of communication standard )“। আর্টিকেলটিতে  কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন নিয়ে আলোচনা করা হবে। কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন সম্পর্কে এবং এদের কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন।

বিভিন্ন প্রকার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন এর যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হবে তা হল-

  • বিভিন্ন প্রকার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন এর নাম ।
  • বিভিন্ন প্রকার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন এর কার্যক্রম।

বিভিন্ন প্রকার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন এর নাম ঃ

  • ISO
  • ANSI
  • IEEE
  • EIA
  • ITU
  • TIA

উপরের স্ট্যান্ডার্ডগুলী সাধারনত একই বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করে থাকলেও, এদের অবস্থান পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। বিভিন্ন দেশে হলেও এসব স্ট্যান্ডার্ড কিছু স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারন করে বিশ্বব্যাপী । কিছু অর্গানাইজেশন্স আঞ্চলিক ভাবে স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করে থাকে, যা ওই অঞ্চলের জন্য নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট বিষয়ক স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে পারে।  নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট একটি বিশ্বব্যপী প্রজুক্তি হওয়া

য়, আন্তর্জাতিক ভাবে গৃহীত স্ট্যান্ডার্ড ব্যাবহার করা হয়। উপরের প্রতিষ্ঠানগুলী বেশিরভাগ নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট বিষয়ক স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করে।আসুন জেনেনি প্রতিষ্ঠানগুলী অবস্থান এবং কার্যক্রম।

 

💻 আইসও(ISO) : ISO- “International Organization for Standardization” কে সকল স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারনকারী প্রতিষ্ঠানের গুরু বলা যেতে পারে । আইসও (ISO) আন্তর্জাতিক মানের একটি আন্তর্জাতিক মান-নির্ধারণকারী সংস্থা, যা বিভিন্ন জাতীয় মানের সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত। ২৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৪৭ সালে এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়, সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী মালিকানাধীন, শিল্প ও বাণিজ্যিক মানের প্রচার করে। এর

সদর দফতরঃ  জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।

প্রতিষ্ঠিতঃ  ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৭, লন্ডন, যুক্তরাজ্য।

প্রেসিডেন্টঃ এডি এনজোরোজ

সদস্যপদঃ১৬৮ জন সদস্য;

সরকারী ভাষাইংরেজিঃ ফরাসি রাশিয়ান;

প্রতিষ্ঠাতাঃ আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যাসোসিয়েশনস ফেডারেশন, জাতিসংঘের স্ট্যান্ডার্ড সমন্বয় কমিটি।

 

সারা পৃথিবীতে ১৩০ টির বেশি দেশ এর বেসরকারি দলে যুক্ত আছে। নেটওয়ার্কি এর অন্যান্য স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারনের পাশাপাশি নেটওয়ার্ক দুনিয়ার সবচেয়ে বড় স্ট্যান্ডার্ডটি দাড় করিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা। যে স্ট্যান্ডার্ডটি দাড় করিয়েছেন তা হল ওপেন সিস্টেম ইন্টারকানেকশন রেফারেন্স মডেল বা OSI মডেল। নেটওয়ার্ক এর সমস্ত কার্যক্রম কী ধরনের হবে তা নির্ধারন করে থেকে।

 

আইএসও একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা বিধায় এর মাধ্যমে গৃহীত স্ট্যান্ডার্ড আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত । এটি শুধু নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত ওপেন সিস্টেম ইন্টারকানেকশন রেফারেন্স মডেল নির্ধারণ করে বসে নেই। বরং এ সংস্থাটি আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজন এমন অনেক স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করেছে এবং করে চলেছে । এ পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজারেরও বেশি স্ট্যান্ড আইএসও কর্তৃক নির্ধারিত হয়েছে ।

 

আইএসও-তে কোন স্ট্যান্ডার্ড গৃহীত হয় তিনটি ধাপে । ধাপগুলোর মাধ্যমে তারা ঐ স্টান্ডার্ড এর প্রয়োজনীয়তা, যথার্থতা এবং প্রভাব সম্পর্কে সিদ্ধান্তে আসে । আলোচনা চলতে থাকে রিকোয়েস্ট ফর কমেন্টস বা আর এফ সি ‘র  মাধ্যমে । তিনটি ধাপ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল-

 

আইএসও একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার বিধায় এর মাধ্যমে গৃহীত স্ট্যান্ডার্ড আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এটি শুধু নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত ওয়েবসাইট নির্ধারণ করে বসে নেই বরং এ সংস্থাটি আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজন এমন অনেক স্থান নির্ধারণ করেছে এবং করে চলেছে এ পর্যন্ত প্রায় 12 হাজারেরও বেশি স্ট্যান্ড আইএসও কর্তৃক নির্ধারিত হয়েছে আয়তে কোন স্ট্যান্ডার্ড গৃহীত হয় তিনটি ধাপে গুলোর মাধ্যমে তারা এই স্টান্ডার্ড প্রয়োজনীয়তা যথার্থতা এবং প্রভাব সম্পর্কে সিদ্ধান্তে আসে আলোচনা চলতে থাকে রিকোয়েস্ট ফর কমেন্টস আরে স্ত্রীর মাধ্যমে আর এটি বেশ সময় নিয়ে ঘটে থাকে তিন ধাপ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল।

 

প্রথম ধাপঃ  আলতা নির্ধারণ

দ্বিতীয় ধাপঃআলোচনা বা দরকষাকষি

তৃতীয় ধাপঃঅনুমোদন

 

প্রথম ধাপঃ  আলতা নির্ধারণ 

স্টান্ডার্ড নির্ধারণের আগে দেখা হয় আসলে সেই স্ট্যান্ডার্ড এর প্রয়োজনীয়তা আছে কি না ? একবার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হলে সদস্যরা সবাই আলোচনা করে সিদ্ধান্তে আসেন, যে স্টান্ডার্ড এর আওতা কী হবে এবং সে স্টান্ডার্ড গৃহীত হলে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে তার প্রভাব কী রকম হবে । এসব আলোচনা সাধারণত বিভিন্ন কমিটির মাধ্যমে হয়ে থাকে । কমিটির সিদ্ধান্ত আসতে পারে যে, কোন বিষয় স্টান্ডার্ড নির্ধারণ এর প্রয়োজন আছে এবং সে স্টান্ডার্ড সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ভালো প্রভাব ফেলবে, তাহলে কমিটি সেই প্রস্তাব কে পরের ধাপে আলোচনার জন্য পাঠায়।

 

দ্বিতীয় ধাপঃআলোচনা বা দরকষাকষি 

 

দ্বিতীয় ধাপের বিভিন্ন সদস্য দেশ সেই খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করে। আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মতামত বেরিয়ে আসে এবং সেসব নিয়ে একটি ঐক্যমতে আসার চেষ্টা করা হয় । কোন বিষয়ে ঐক্যমতে প্রতিষ্ঠিত না হলে সেটি স্ট্যান্ডার্ড রুপে গৃহীত হয় না। কেবল ঐক্যমতে আসলেই সেটি প্রতিষ্ঠিত  রূপে গৃহীত হয় এবং পরবর্তী ধাপে প্রেরণ করা হয় ।

 

তৃতীয় ধাপঃ অনুমোদন

খরচা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শেষে প্রস্তাবের সংযোজন-বিয়োজন কিংবা সংশোধন শেষে ঐক্যমতে প্রতিষ্ঠিত হলে সেটিকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দুটি ধাপে ঘটে থাকে প্রথমত, যে টেকনিক্যাল টিম নিয়ে কাজ করেছে তার সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ কে অবশ্যই এর সাথে একমত পোষণ করতে হবে। টেকনিক্যাল কমিটির দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলে সেটিকে পাঠানো হয় সাধারণ সদস্যদের কাছে। দ্বিতীয় ধাপের প্রতিটি ভোটার সদস্য সেই প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দিয়ে থাকেন। প্রস্তাবের পক্ষে ৭৫% পার্সেন্ট ভোট পড়লেই কেবল সেই প্রস্তাবকে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে গ্রহণ করা হবে। বুঝাই যাচ্ছে তিনটি ধাপ সম্পন্ন করতে বেশ সময় প্রয়োজন এবং অনেক লোকের মতামতের প্রতিফলন ঘটে থাকে। তাই ISO স্ট্যান্ডার্ডতাকে সুচিন্তিত এবং সুগঠিত স্ট্যান্ডার্ড বলা যেতে পারে।

আইইই(IEEE)  IEEE-“Institute of Electrical and Electronics Engineers “-  ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং কে আই ট্রিপল ই (IEEE) বলা হয়। টেকনিক্যাল এবং এডুকেশনাল ফিল্ডের বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবীদের নিয়ে তৈরি একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। এর সদস্যরাও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ।

 

আইইই’র  গৃহীত সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী স্ট্যান্ডার্ড হল ৮০২ স্ট্যান্ডার্ড।  নেটওয়ার্কের মধ্যে দিয়ে ডাটা কিভাবে প্রবাহিত হবে, তা নির্ধারণ করে।এর নামকরনের জন্য ১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নেটওয়ার্কের স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়। বছর ও মাসের সমন্বয়ে প্রযুক্তির নাম রাখা হয় প্রজেক্ট ৮০২। এ প্রোজেক্ট এর আওতায় গৃহীত বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড পরবর্তীতে ৮০২ স্ট্যান্ডার্ড নামে পরিচিতি লাভ করে । নেটওয়ার্কিং নির্ধারণ করা হয় এবং এরপর ও সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা হয়।

 

নেটওয়ার্কিং স্ট্যান্ডার্ড জগতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রজেক্ট । ৮০২ প্রোজেক্টের জন্য নেটওয়ার্ক এর ফিজিক্যাল ক্যাবেলিং ও ডাটা ট্রান্সমিশন লেয়ার নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যান্ডার নির্ধারণ করা হয়েছে এসব স্টান্ডার্ড কে ১২ টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয় এবং ৮০২ এর পর ডট ও সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা হয় ।

 

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটটি এর সদর দফতর ও অন্যান বিষয়-

 

সদর দফতরঃ  পিস্কাটাওয়ে, নিউ জার্সি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

প্রতিষ্ঠিতঃ         ১ জানুয়ারী, ১৯৬৩

সহায়ক সংস্থাঃ আইইইই স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাসোসিয়েশন, আরও

প্রেসিডেন্টঃ      ক্যারেন বার্টলসন (২০১৭-২০১৮), জেমস এ। জেফারিজ (আগত)

প্রতিষ্ঠাতাঃ         আমেরিকান ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স, ইনস্টিটিউট অফ রেডিও ইঞ্জিনিয়ার্স।

📶 আই / টি আই এঃ Electronic Industries Alliance (EIA; until 1997 Electronic Industries Association)/Telecommunications Industry Association (TIA).ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কানেকশন এবং স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণের জন্য বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে ইলেকট্রনিক ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন বা

ই আই এ  এ দলের মধ্যে আছে কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচার অ্যাসোসিয়েশন (CEMA) ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্ট অ্যাসেম্বলার ইকুইপমেন্ট এন্ড সাপ্লায়ার অ্যাসোসিয়েশন (ECA) টেলিকমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (TIA),ইলেকট্রনিক্স ইনফর্মেশন গ্রপ (EIG), গভারমেন্ট ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাসোসিয়েশন(GEIA) এবং ইলেকট্রনিক ইন্ডাস্ট্রিজ ফাউন্ডেশন(EIF)।

অন্যদিকে টেলিকমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন হলো একটি ট্রেড অরগানাইজেশন, যার সদস্য হলো টেলিকমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রির বৃহৎ ও মাঝারি বিভিন্ন কোম্পানি। নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত বিভিন্ন ডিভাইসের বেশিরভাগই  পি আই এর সদস্যদের তৈরি।এর সদস্যদের কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড পরবর্তীতে এনএসআই (ANSI) কর্তৃক গৃহীত হয়েছে ।  বাস্তব জীবনে বিশেষ করে নেটওয়ার্ক ইনস্টলেশনের ই আই এ / টি আই এ না মেনে উপায় নেই বললেই চলে। এদের তৈরি চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হল-

  • ৫৬৮ স্ট্যান্ডার্ড  ঃ  এটি নেটওয়ার্কিং মিডিয়া ইনস্টলেশন ও টার্মিনেশন সংজ্ঞায়িত করেছে ।
  • ৫৬৯ স্ট্যান্ডার্ড  ঃ ওয়ারিং ক্লোজেট ইনস্টলেশনের জন্য যা দরকার হয় ব্যবহার ও তার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ বর্ণনা করে।
  • ৬০৬ স্ট্যান্ডার্ড ঃ বিভিন্ন মিডিয়া লেভেল বর্ণনা করে।
  • ৬০৭ স্ট্যান্ডার্ড ঃ বিল্ডিং ও ওয়ারিং ক্লজেট জন্য গ্রাউন্ডিং কি রকম হওয়া দরকার, তা নির্দেশ করে।

🔗 এন এস আই (ANSI)   আমেরিকান ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউট এন সি বা এ এন এস আই কমিউনিকেশন ও নেটওয়ার্কিং স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি প্রতিষ্ঠান।এর দায়িত্বের ভিতর প্রোগ্রামিং স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণও পদে। এটি আসলে নিজে কোন স্ট্যান্ডার্ড ডেভলপ না করে স্ট্যান্ডার্ড সমূহ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। এটি আই এস ও তে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করে।

আমেরিকান ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউট একটি বেসরকারী অলাভজনক সংস্থা যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য, পরিষেবা, প্রক্রিয়া, সিস্টেম এবং কর্মীদের স্বেচ্ছাসেবী সম্মতির মান উন্নয়নের তদারকি করে।

 

উদ্দেশ্যঃ স্ট্যান্ডার্ড সংস্থা

সদস্যতাঃ ১২৫,০০০ সংস্থা এবং ৩.৫ মিলিয়ন পেশাদার।

প্রতিষ্ঠিতঃ ১৪ মে, ১৯১৮

সদর দফতর অবস্থানঃ  ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

গঠনঃ ১৯ অক্টোবর, ১৯১৮

সহায়কঃ এএনএসআই-এএসকিউ জাতীয় স্বীকৃতি বোর্ড, এএনএসআই জাতীয় স্বীকৃতি বোর্ড

📻 আই টি ইউ( ITUT) জাতিসংঘের একটি অঙ্গসংস্থান হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন বা আইটিইউ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণের কাজে নিয়োজিত। আইটিইউর রয়েছে বেশ কয়েকটি কমিটি এবং এগুলোর কাজ ভিন্ন ভিন্ন ধরনের। কমিটি

ক) বিভিন্ন কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণের জন্য আছে কনসালটেতিভ কমিটি ফর ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন এন্ড টেলিগ্রাফ(CCTTT)। বর্তমানে এটি ITU-T নামে পরিচিত ।

বর্তমানে ব্যবহৃত বিভিন্ন ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক স্ট্যান্ডার্ডের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হলো এই CCTTT/TTU-T।

 

খ) ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিকোয়েন্সি রেজিস্ট্রেশন বোর্ড (ITU-R) টেলিকমিউনিকেশন ফ্রিকোয়েন্সি বিভিন্ন সংস্থাকে দেয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। এটি বর্তমানে আই টি ইউ আর(ITU-R) নামে পরিচিত।

গ) রেডিও কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুপারিশে দিয়ে থাকে কনসালটেটিভ কমিটি অন ইন্টার্নেশনাল রেডিও(CCIR)। এটি বর্তমানে ITU-R এর সাথে একীভুত।

 

আইটিইউ টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন সেক্টর টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মানকে সমন্বিত করে, যেমন সাইবার সিকিউরিটির জন্য এক্স .৫০৯, মেশিন লার্নিংয়ের জন্য ওয়াই .৩৩১৭২, এবং ভিডিও সংক্ষেপণের জন্য এইচ .২৬৪ / এমপিইজি -৪ এভিসি, এর সদস্য দেশসমূহ, বেসরকারী সেক্টরের সদস্যদের মধ্যে, এবং একাডেমিয়া সদস্যরা।

 

মূল সংস্থাঃ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন

প্রতিষ্ঠিতঃ ১৮৬৫, প্যারিস, ফ্রান্স

সংক্ষিপ্তসারঃ আইটিইউ-টি / ইউআইটি-টি

সদর দফতরঃ জেনেভা, সুইজারল্যান্ড

পরিশেষে বলতে গেলে বলতে হয় বিভিন্ন প্রকার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করা হয়েছে সার্বজনীন নেটওয়ার্ক এবং কমিউনিকেশন ডিভাইসগুলি সহ অন্যান্য পরিষেবা সঠিক এবং সুন্দর ভাবে ব্যবহারের জন্য। এ ৬ টি স্টান্ডার্ড আমাদের নেটওয়ার্কিং এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন অর্থাৎ নেটওয়ার্কিং বুঝতে হলে বিভিন্ন প্রকার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী । ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি সিলেবাসে নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন এর সাবজেক্ট আছে সেখানে এই বিষয়গুলি নিয়ে  আলোচনা করা হয়েছে , যা আমি আমার এই ব্লগে তারই ধারাবাহিকতায় আরো কিছু এড করে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি চার বছর মেয়াদি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আন্ডারে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যায়নরত ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবেন । টেকনিক্যাল এডুকেশন এর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার দের জন্য অত্যন্ত উপকারে আসবে এছাড়াও সাধারণ যারা কম্পিউটার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী এবং নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করছেন তাদের জন্য আশা করি কাজে লাগবে।

 

সোর্স ঃ [wikipedia,Google,Text book.]

 

মুহাম্মাদ সহিদুল ইসলাম

ইনস্ট্রাক্টর(কম্পিউটার)

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউট

 

What is Contemporary Architecture?

What is Contemporary Architecture?

Well the term Contemporary Architecture still is not clear in definition though it has a very wide use among the modern building styles both on exterior and interior. Surprisingly it is not the same in use in all the structures. It has a few different characteristics like the adoption and always changing. Mainly for these two reasons it is hard to give Contemporary Architecture a definition. But it is also true Contemporary Architecture is not from aliens, it is understandable. 

Contemporary Architecture is the latest form of Modern Architecture that we are following now. Many famous modern architects like Zaha Hadid, Tadao Ando, Frank Gehry, Shigeru Ban and many more used or still use this style for their creation.

Contemporary buildings are unique for some architectural characteristics like its expressiveness, most of the case rendered in an uncommon way, regular and irregular shapes considering the building surrounding landscapes. It is also seen to use various ranges of scale like small, large and very large. Here the nature of adaptability comes in front of us. Above it is clear that Contemporary Architecture is the latest form of Modern Architecture so this style is used or still used in every kind of building.

Contemporary Architecture is also compatible with sustainable architecture, shaped architecture or with the grid style design. It is more open to take or combine with other architectural styles. That’s why Contemporary Architecture blended very well with other styles. 

Except the above characteristics of Contemporary Architecture other characteristics like the use of open plan, large type windows and doors, giving preference to the greenery in building and in landscape, use of curve line, uncommon use of volumes, adoption of new building technology, use of round forms, and modern smart lighting technology are also seen to be used. 

For so many adaptability and characteristics, it makes it hard to define Contemporary Architecture but it is also true Contemporary Architecture is one of the most beautiful, smart, and effective architectural styles with unconventional and unique design.   

Author

Md. Asaduzzaman Russel

Junior Instructor

Daffodil Polytechnic Institute.

নিউটনের কোয়ারেন্টিনের দিন গুলো

নিউটনের কোয়ারেন্টিনের দিন গুলো

আজ থেকে ৩৫০ বছর আগে এমন এক পৃথিবীতে বাস করছিলেন বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনও। সেসময় ইউরোপ জুড়ে চলছিল বুবোনিক প্লেগের মহামারী। তখনও এমন লকডাউন জারি করা হয়েছিল

নিউটন তখন মাত্র ২৩ বছর বয়স। কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে পড়াশোনা করতেন। প্লেগ ছড়াতে শুরু করার পরই অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতোই ট্রিনিটি কলেজ থেকেও সেখানকার ছাত্রদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। স্যার নিউটনকেও উলস্থর্প ম্যানর নিজের বাড়িতে ফিরে আসতে হয়েছিল। গ্রেট প্লেগএর প্রভাব পুরোপুরি কাটতে সময় লেগেছিল প্রায় একবছর

এই লকডাউনে আটকে থাকা অবস্থায়ই নিউটন তার বিখ্যাত মহাকর্ষ সূত্রটি আবিষ্কার করেছিলেন, যা বিশ্বকে চিরতরে বদলে দিয়েছিল

 

১৬৬৫ সালে যখন বুবোনিক প্লেগের মহামারী শুরু হয়, নিউটন তখন ট্রিনিটি কলেজে তার অনার্স ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা করছেন। মহামারী থেকে বাঁচতে সবাই তখন লকডাউনে ঘরে বন্দী

এই লকডাউনে আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় তরুণ বিজ্ঞানী নিউটন তখন অপটিকস, ক্যালকুলাস মহাকর্ষ নিয়ে গবেষণা করে চলেছেন। আর এই সময়ই তিনি আবিষ্কার করেন মহাকর্ষের বিশ্ববিখ্যাত সূত্র

একদিন আইসোলেশনে থাকা নিউটনের সঙ্গে দেখা করতে যান তার এক বন্ধু। বইটিতে সেদিনের বর্ণনায় নিউটনের বন্ধু বলছেন– “আমি আর নিউটন বাড়ির পেছনে বাগানে গেলাম। আপেল গাছের তলায় বসে চা খেতে খেতে আলোচনা করছিলাম আমরা। নিউটন আমাকে বলছিল গাছ থেকে আপেল মাটিতে পড়ার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে ও। সেই পুরানো প্রশ্ন বারবার ওর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে, ‘আপেলটি বারবার সমকোণে মাটিতে এসেই পড়ে কেন? ডানে, বামে বা উপরে কেন চলে যায় না? নিশ্চয়ই পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে কিছু একটা টানে আপেলটিকে। তার মানে পদার্থের নিশ্চয়ই আকর্ষণ ক্ষমতা আছে। আর সেটা কত শক্তিশালী হবে তা নির্ভর করে তার ভরের উপর

অর্থাৎ সামান্য একটা আপেলের পতন থেকে দুনিয়া কাঁপানো সূত্র বা তত্ত্ব ভাবিয়েছিল নিউটনকে। প্লেগের মহামারী যখন শেষ হয়, তখন তার আবিষ্কারের কাগজপত্র জমা দেন নিউটন। আর এর ফলেই ট্রিনিটি কলেজের ফেলোশিপের মর্যাদা পান তিনি

মৃত্যুর কিছুকাল পূর্বে তিনি বলেছিলেন:

 

আমি জানিনা বিশ্বের কাছে আমি কিভাবে উপস্থাপিত হয়েছি, কিন্তু আমার কাছে আমার নিজেকে মনে হয় এক ছোট বালক যে কেবল সমুদ্র উপত্যকায় খেলা করছে এবং একটি ক্ষুদ্র নুড়ি বা ক্ষুদ্রতর এবং খুব সাধারণ পাথর সন্ধান করছে, অথচ সত্যের মহাসমুদ্র তার সম্মুখে পড়ে রয়েছে যা অনাবিষ্কৃতই রয়ে গেল।

 

Source : 

নিউটনের জীবনীগ্রন্থমেময়ের অফ স্যার আইজ্যাক নিউটন‘ 

 

Zannatul Ferdous

Instructor

Department of Physics

Daffodil Polytechnic Institute

যেভাবে ইন্টার্নশিপ চাকরির সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়

যেভাবে ইন্টার্নশিপ চাকরির সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়

চাকরি ক্ষেত্রে যে শব্দটি সবচেয়ে বেশি শোনা যায় তা হলো অভিজ্ঞতা। চাকরিদাতারা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থী খোঁজেন আর নতুনরা হতাশায় ভুগে কোথা থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। এই কঠিন প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে ইন্টার্নশিপ।


ইন্টার্নশিপ হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে অথবা বিনা পারিশ্রমিকে কাজ শেখা, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কাজ করা। ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে যেমন আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন হয় সেইসাথে অনেকসময় স্বল্পকালীন আয়ের ব্যবস্থা হয় এবং অনেক সময় বিভিন্ন কোম্পানি ইন্টার্নদের মধ্য থেকে পূর্ণকালীন চাকরিতে নিয়োগ দিয়ে থাকে।

https://youtu.be/te5jRmCJ8tE

 

চাকরি পাওয়া থেকে  ইন্টার্নশিপ পাওয়া কিছুটা সহজ, তবে সবসময় না। এটা নির্ভর করে আপনি কোন ক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপ করতে চান। যেমন ব্যাংকিং ক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপ পাওয়া সহজ। ব্যাংকগুলোতে ৪ মাস পরে পরে ২-৩ জন করে, কোনো কোনো ব্যাংকে আরো বেশি ইন্টার্ন নিয়োগ দিয়ে থাকে।

তবে ইন্টার্নশিপ করার আগে আমাদের কিছু জিনিস খেয়াল রাখা উচিত-

ইন্টার্নশিপের মুখ্য উদ্দ্যেশ্য অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করা, শুধুমাত্র চাকরি পাওয়া না। নিত্যনতুন কাজ শেখা, ভবিষ্যতে চাকরি করতে গেলে আপনার যেসব যোগ্যতা লাগবে সেগুলো অর্জন করার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

 

অনেক কোম্পানি ইন্টার্নদের পারিশ্রমিক দেয় না। কিন্তু এখানে পারিশ্রমিক মূল বিষয় না। পারিশ্রমিক না পেলেও আপনি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন তা পারিশ্রমিক থেকে অনেক মূল্যবান। এছাড়া আপনি যদি আপনার কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে হতে পারে কোম্পানি আপনাকে ইন্টার্নশীপের মেয়াদ শেষ হবার পর সরাসরি চাকরিতে নিয়োগ ও দিয়ে দিতে পারে।

 

অপেক্ষা না করা-

আমরা অনেকেই চিন্তা করি গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে তারপর ইন্টার্নশিপ করবো। কিন্তু এখন অনেক কোম্পানি ছাত্রাবস্থায় ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিয়ে থাকে। এই সুযোগকে কাজে লাগানো উচিত। যত আগে থেকে ইন্টার্নশিপ শুরু করতে পারবেন তা আপনার জন্য ভাল। সামনে আপনার আরো ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পাবেন। যদি আপনি ২-৩টি ইন্টার্নশিপ করতে পারেন তাহলে আপনার ক্যারিয়ারে উন্নতি করার সুযোগ আরো বৃদ্ধি পাবে।

সোশ্যাল মিডিয়া

খেয়াল রাখুন, আপনি যাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকেন। আপনার যোগ্যতা, দক্ষতা যাতে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিফলিত হয়। আপনি যদি কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন, হোক তা কলেজ বা ইউনির্ভাসিটির ছোট কোনো অনুষ্ঠান, বিয়ের অনুষ্ঠান অথবা আপনিযদি কোনো সমাজসেবামূলক কাজ, লেখালেখির সাথে জড়িত থাকেন তাহলে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করুন। এসব কর্মকান্ডের মাধ্যমে প্রকাশ পায় যে, আপনি কাজ করতে আগ্রহী, দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত ও দলগত কাজে পারর্দশী। হয়তো বা আপনার ভবিষ্যত নিয়োগকর্তা আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার ফ্রেন্ডলিস্টে আছেন।

 

নেটওয়ার্কিং

নেটওয়ার্কিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ১০ জনের মধ্যে ৮ জনের চাকরি হয় ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও সুপারিশের মাধ্যমে। আপনি যে কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ করতে চান সেসব কোম্পানির বিভিন্ন অনুষ্ঠান, কর্মশালা, সেমিনার ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করুন। তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে পরিচিত হবার চেষ্টা করুন। হতে পারে, এভাবে কোনো একসময় আপনি তাদের সহকর্মী হয়ে যেতে পারেন।

 

পরিচিত মানুষ খুঁজে বের করা

আপনি যে কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ করতে চান সেসব কোম্পানির তালিকা তৈরী করুন। আপনার পরিচিত কেউ যদি এসব কোম্পানিতে চাকরি করে থাকেন তাহলে তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন। তাদেরকে বুঝিয়ে বলুন আপনার দক্ষতা ও যোগ্যতা সম্পর্কে এবং আপনি কেন এই কোম্পানিতে কাজ করতে আগ্রহী।


ইন্টার্নশিপ পেতে হলে আপনাকে চেষ্টা করে যেতে হবে। কোম্পানিগুলোর খবরা-খবর রাখতে হবে। সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় উপস্থিত থাকতে হবে। যেমন তাদের সেমিনার, ওর্য়াকশপ ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করা। হতে পারে হঠাৎ করে সঠিক সুযোগটি পেয়ে যেতে পারেন।

 

লেখকঃ মোঃ আব্দুল্লা-আল-মামুন রুপম

ইন্সট্রাকটর, ইলেকট্রিক্যাল

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

Presentation Skill Development. Why and How?

Sarah has recently completed her Diploma in Textile Engineering. She has obtained an excellent CGPA. She was looking for a job. She got a job in a renowned garment industry in the position of a merchandizer. In the first week of her joining the company, she had to present a sample to a foreign client. She always was afraid of the presentation. In the presentation, she could not do well. In the next month, she lost the job. It repeated several times. At last she understood that she must develop her presentation skill. Then she tried heart and soul and she made it and then she became a successful merchandizer.

Now, it is not that because of a merchandizer, she had to be a good presenter. Rather, whatever you do in your life, you need to be a good presenter if you want to go long. There do not have any other option rather than becoming a good presenter. Presentation seems a phobia to the most of the students and its presence is remarkable among the diploma engineers. But most of the students do not know that they are always presenting themselves. How? Let’s know how, but before that we must know that actually what presentation means. So, formally presentation means a speech in which a new product, idea, innovation is explained to an audience. If we make a generalized meaning of presentation, it will be –negotiation/conversation/explanation etc. We always need to negotiate with so many people in various places in different situation.

So, actually we are presenting ourselves all the time. Now, when we face a formal situation, we cannot do it. Why? There are several reasons. Demotivation of the seniors is a reason. When we come to know about presentation, our seniors  inform us that it is a very hard task. They couldn’t make it and so will happen to me. Thus a student become afraid of presentation, becomes demotivated, he/she starts to avoid it and cannot develop his/her presentation skill. Another reason is the psychological barrier. When we are not familiar to a situation, our psychology never allows us to participate in that situation. At the same time, while we stand in front of an audience (whoever they are – teacher/friends/unknown people) our conscious mind thinks itself, “What the
people are thinking of me? May be inside they will mock at me…” It happens in most cases with psychologically weak students. So, we know the reasons that creates barriers in the development our presentation skill. Now let’s see the ways we can develop our presentation skill.

If you want to develop your presentation skill, at first you have to grow up a strong will to do that. Then you have to start to remove the fear of being in crowed. If you can do that, the fear of presenting in front of an audience. Then try to talk keeping an eye contact to your audience. You can practice it with your friends or your family members. If you do not get any help from them, try it with a mirror. People  around you will whisper so many things about you, they will try to pull your leg. Avoid the criticism and turn it into a positive force which will boost you up in the long run. After all, practice more and more. Thus, you can be a good presenter.

Don’t be controlled by the negligence of the people around you. Rather focus on what you need to do. If you cannot present yourself, you cannot grab the attention of the world. At the same time, you cannot explain who and what you are. So, break the barriers and present you as you are to the world.

Peace…

Writer: Nahid Hasan 

Instructor, Daffodil Polytechnic Institute  

টেলিকমিউনিকেশনে ক্য়ারিয়ার ভাবনা (পার্ট-2)

টেলিকমিউনিকেশনে ক্য়ারিয়ার ভাবনা

আমরা যারা টেলিকমিউনিকেশন টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হব বা রানিং ছাত্র-ছাত্রী অথবা যারা কমপ্লিট করেছে সকলের জন্যে আজকে আমার এই লেখা। ৩ পর্বের টেলিকমিউনিকেশন ক্যারিয়ার আলোচনায় গত পর্বে আমরা আলোচনা করেছিলাম টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোন কোন বিষয় নিয়ে পড়ানো হয় এবং একজন শিক্ষার্থী পাশ করা পর্যন্ত কি ধরনের দক্ষতা অর্জন করে। আজ আমরা  দ্বিতীয় ধাপে আলোচনা করব, টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পর একজন ছাত্র ছাত্রী কোন কোন টেকনিক্যাল সেক্টরে চাকরির সুযোগ সুবিধা থাকে।

যেহেতু টেলিকমিউনিকেশন এ ইলেকট্রনিক্স টেলিকমিউনিকেশন এবং কম্পিউটার সাইন্সের জ্ঞান দেওয়া হয়, ফলে একজন শিক্ষার্থীর জন্য এই ডিপার্টমেন্ট এ পড়ার পর এই তিনটি ফিল্ডের যেকোনো একটি তার পছন্দসই বিষয়ে দক্ষ হয়ে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ থাকে। 

টেলিকম থেকে একজন ছাত্র পাস করে বিভিন্ন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানিগুলোতে সিস্টেম সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন টেলিকম কোম্পানী যেমন: টেলিনর, ই ডট কো, হুয়াওয়ে, রবি, বাংলালিংক, এয়ারটেল ইত্যাদি তে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারে। সেই সাথে সরকারি বিভিন্ন টেলিকম এবং অপটিক্যাল ফাইবার কোম্পানীগুলোতে, যেমন: বিটিসিএল, বিএসসিসিএল, বিটিআরসি তে চাকরির বিশেষ অগ্রাধিকার রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে জুনিয়র আইসিটি অফিসার অথবা সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরির সুযোগ পেয়ে থাকে।

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং টেলিকমিউনিকেশন টেকনোলজি থেকে পাশ করার পর একজন শিক্ষার্থীর জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে এয়ারম্যান, সাইফার এসিস্ট্যান্ট হিসেবে যোগদানের সুযোগ রয়েছে, যার রেংক ওয়ারেন্ট অফিসার পর্যন্ত হতে পারে।

টেলিকমিউনিকেশন টেকনোলজি তে কম্পিউটার সাইন্সের ওয়েব, গ্রাফিক্স বিভিন্ন জিআইএস সফটওয়্যার এর বিষয়ে শেখানোর ফলে একজন ছাত্র ওয়েব/অ্যাপ্লিকেশন  ডেভেলপার, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার, গ্রাফিকস ডিজাইনার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। এছাড়া কারো যদি বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দক্ষতা থাকে তাহলে সে পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রবলেম সলভিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে দক্ষতা অর্জন করে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন কনটেস্টে ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নিজের পোর্টফোলিও কে একজন জুনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তুলে ধরতে পারে। সেই সাথে প্রবলেম সলভিং এর বিভিন্ন উদ্ভাবনী শক্তি ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে স্যামসাং, হুয়াওয়ে এবং আরো বড় বড় কোম্পানিতে ইন্টার্ন বা সরাসরি চাকরিতে যোগদানের সুযোগ পেতে পারে।

এছড়াও টেলিকমিউনিকেশন টেকনোলজিতে ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান দেওয়া হয় বলে যে কোন শিক্ষার্থী চাইলেই আরডুইনো, মাইক্রোকন্ট্রোলার, এমবেডেড সিস্টেম, আইওটি ইত্যাদি তে পছন্দ অনুসারে দক্ষ হয়ে পাস করার পর এক জন এমবেডেড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে অথবা হার্ডওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারে। সেইসাথে চতুর্থ প্রজন্মের সিস্টেম ডিজাইনিং এর জন্য টেলিকম এর স্টুডেন্টদের জন্য অপার সুযোগ রয়েছে। এর একটি উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বর্তমানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ইলেকট্রনিক্স এবং কম্পিউটার সাইন্স এর সমন্বয় বিভিন্ন অটোমেটিক সিস্টেম অর্থাৎ রোবটিক্স, সেলফ ড্রাইভিং কার, ইন্ডাস্ট্রি অটমেশন, দৈনিন্দন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন আইওটি ডিভাইস ইত্যাদির চাহিদা ব্যাপক ভাবে বেড়েই চলছে।

শিক্ষার্থীরা টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কমপ্লিট করার পর টেকনিক্যাল সেক্টর ছাড়াও আরো বিভিন্ন সেক্টরে তাদের ক্যারিয়ার বিল্ড আপ করতে পারে। পরবর্তী পর্বে আরো অন্যান্য সেক্টর এ ক্যারিয়ার গঠনের সম্ভাবনা এবং বিভিন্ন সুযোগ সম্পর্কে আলোচনা করব। সেইসাথে ধাপে ধাপে উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা এবং ক্যারিয়ার গাইডেন্স সম্পর্কে আলোচনা করব।

ধন্যবাদ

 

লেখক:

আতিকুর রহমান (Atiqur Rahman)

জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর, ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশন

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট