পাই (π) নিয়ে কেন এত মাতামাতি?

পাই (π) নিয়ে কেন এত মাতামাতি?

পাই (বড় হাতের অক্ষরটি Π, ছোট হাতের অক্ষরটি π) গ্রিক বর্ণমালার ষোলতম অক্ষর একইসাথে গ্রিক সংখ্যা ব্যবস্থায় পাইয়ের মান হল ৮০। প্রাচীনতম ব্যবহারের মধ্যে, অক্ষর π গ্রিক শব্দ পরিধির(περιφέρεια) সংক্ষিপ্তরূপ ছিল, যার প্রথম বর্ণটি π। এর আগে, গণিতবিদরা বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাতকে কখনও কখনও  বা  হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। সর্বপ্রথম ১৬৪৭ সালে ব্রিটিশ গণিতবিদ  তার প্রকাশিত বই ক্ল্যাভিস ম্যাথেমেটিক এবং পরবর্তী সংস্করণগুলোতে δ.π কে বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাতরূপে প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে এই অনুপাতকে প্রকাশ করার জন্য  ব্যবহার করেন, অপরদিকে π/δ এর মান ৬.২৮.. আকারে ব্যবহার করতেন  ।

পরবর্তীতে ১৭০৬ সালে গণিতবিদ  সর্বপ্রথম তার প্রকাশিত বই  -তে বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাতকে শুধুমাত্র π আকারে ব্যবহার করেন। যদিও তার এই মতবাদ তৎকালীন অনেক গণিতবিদেরা গ্রহণ করেননি। ১৭৬৭ সাল পর্যন্ত অনেকেই পাইকে প্রকাশ করার জন্য ভগ্নাংশই ব্যবহার করতেন।

বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসার্ধের অনুপাত হিসেবে π = ৬.২৮ … ব্যবহার করেন তার ১৭২৭ সালে লেখা  বইটিতে। এরপর তিনি প্রথম π = ৩.১৪ৃ ব্যবহার করেন তার ১৭৩৬ সালের   এবং তার ব্যাপকভাবে পড়া ১৭৪৮ সালের বইটিতে। তিনি লিখেছিলেন, “যৌক্তিকতার জন্য আমরা এই সংখ্যাটি π হিসাবে লিখব; π হল একক ব্যাসার্ধের বৃত্তের পরিধির অর্ধেকের সমান “। ইউরোপের অন্যান্য গণিতবিদদের সাথে অয়লারের ব্যাপক সম্পর্ক ছিল, যার ফলে গ্রিক বর্ণের ব্যবহারটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং পশ্চিমা বিশ্বের পরে এর ব্যবহার সার্বজনীনভাবে গৃহীত হয়।

এছাড়াও গণিতের বিভিন্ন অপারেটর, রসায়নে, মেকানিক্স এবং তরল গতিবিদ্যায়, বীজগণিত টোপোলজিতে এমনকি অর্থনীতির বিভিন্ন রাশি প্রকাশে π প্রতীকটি ব্যবহার করা হয়।

১৪ মার্চ বিশ্ব পাই (π) দিবস। পাই কী? পাই (π) গ্রিক বর্ণমালার ষোলতম অক্ষর যা গ্রিক শব্দ পরিধির(περιφέρεια) সংক্ষিপ্তরূপ। সাধারণত বৃত্তের পরিধিকে তার ব্যাস দ্বারা ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায় তা হল পাই। মজার বিষয় হল বৃত্ত যত বড় বা ছোট হোক না কেন পরিধি ও ব্যাসের অনুপাত সবক্ষেত্রে একই। এই পাই নিয়ে গণিতবিদদের কৌতুহল ও গবেষনার অন্ত নেই। আজ পাই দিবস উপলক্ষে পাই সংক্রান্ত কিছু অদ্ভুদ ও মজাদার তথ্য সম্পর্কে আলোচনা করি, যা জেনে আশ্চর্য হবেন।

১. পাইয়ের জন্য π চিহ্ন ২৫০ বছর ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে। ১৭০৬ সালে গণিতবিদ উইলিয়াম জোন্স এই প্রতীকটি উপস্থাপন করেছিলেন এবং গণিতবিদ লিওনার্ড অয়লারের ব্যবহারের পর তা জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।

২. যেহেতু পাইয়ের প্রকৃত মান গণনা করা যায় না, তাই আমরা কোনো বৃত্তের সঠিক এলাকা বা পরিধি খুঁজে পাই না।

৩. মার্চ ১৪ বা ৩/১৪ বিশ্ব পাই দিবস হিসাবে উদযাপন করা হয় কারণ ৩.১৪ পাই এর প্রথম সংখ্যা। সারা বিশ্ব জুড়ে গণিত ভক্তরা এই সংখ্যাটি উদযাপন করেন।

৪. ২৫ মার্চ ২০১৫ তারিখে ভারতের ভিআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজভির মিনা সর্বোচ্চ দশমিক স্থান মুখস্থ বলে গিনেস বুকে রেকর্ড করেন। তিনি ৭০,০০০ দশমিক স্থান বলতে সক্ষম হন। রেকর্ডের সময় তার চোখ বাধা ছিল এবং তার সময় লেগেছিল ১০ ঘন্টা!

 

বিশ্বাস করতে পারছি না? আচ্ছা, এখানে প্রমাণ আছে:

http://www.guinnessworldrecords.com/world-records/most-pi-places-memorised

৫. আমরা সবাই জানি যে আমরা পাইয়ের প্রকৃত মান খুঁজে বের করতে পারি না কারণ এটি একটি অমূলদ সংখ্যা। কিন্তু মজার বিষয় হল, আমরা পাইকে ধারা এবং অ্যালগরিদমের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারি।

৬. পাই মিশরীয় পৌরাণিক কাহিনীরও একটি অংশ। মিশরের লোকেরা বিশ্বাস করত যে গিযার পিরামিডগুলি পাই-এর নীতিতে নির্মিত হয়েছিল। পিরামিডের উলম্ব উচ্চতা ও এর পরিসীমার অনুপাত অনেকাংশে বৃত্তের ব্যাসার্ধ ও এর পরিধির অনুপাতের সমান। পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন এই পিরামিডগুলি সারাবিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণ করে। সুতরাং এর মূলনীতি হিসাবে π থাকার ব্যাপারটি সত্যিই স্থাপত্যবিদ জন্য আকর্ষনীয় করে তোলে।

৭. যদিও ১৪ মার্চ (৩/১৪) পাই দিবস পালিত হয়, তবে উদযাপনের জন্য সঠিক সময় দুপুর ১:৫৯ হয়, যাতে সঠিক সংখ্যা ৩.১৪১৫৯ পৌঁছাতে পারে।

৮. পদার্থবিজ্ঞানী ল্যারি শো সান ফ্রান্সিসকোর এক্সপ্লোরেটোরিয়াম বিজ্ঞান জাদুঘরে ১৪ মার্চকে সর্বপ্রথম পাই দিবস পালন করেন । সেজন্য তাকে প্রিন্স অফ পাই বলা হয়।

৯. পাই নম্বরের উপর ভিত্তি করে তৈরি একটি সম্পূর্ণ ভাষা আছে। কিছু লোক পাইকে এতটাই ভালোবাসে, তারা ক্রমাগত শব্দের বর্ণগুলো সংখ্যা পাই এর সংখ্যার সাথে মিল রেখে একটি উপভাষা আবিষ্কার করে ফেলেন। মাইক কিথ এই ভাষাতে ‘Not a Wake’ নামে একটি সম্পূর্ণ বই লিখেছেন।

১০. অনেকগুলি রেকর্ড রয়েছে যা দেখায় যে, পাই আবিষ্কৃত হওয়ার অনেক আগেই বাবিলীয়রা প্রায় ৪০০০ বছর আগেই পাই সম্পর্কে জানত। প্রমাণ পাওয়া যায় যে, বাবিলীয়রা পাইয়ের মান ৩.১৫ গণনা করেন।

১১. অনেক প্রতিভাধর মানুষ পাই এর সাথে সম্পর্কযুক্ত। আলবার্ট আইনস্টাইন পাই দিবসে জন্মগ্রহণ করেন। ৭৬ বছর বয়সে স্টিফেন হকিংস ও পাই দিবসে মারা যান।

১২. চাইনিজরা পাই এর সংখ্যা খুঁজে পেতে পশ্চিমাদের তুলনায় অনেক এগিয়ে ছিল। কেন? অনেক গণিতবিদ বিশ্বাস করেন যে, চীনা ভাষা গাণিতিক গণনার জন্য সহায়ক। চীনা গণিতবিদরা পাই গেমে দুটি কারণের কারণে এগিয়ে ছিলেন; কারণ তাদের দশমিক উল্লেখ ছিল এবং তাদের শূন্য সংখ্যাটির প্রতীক ছিল। সেই সময়ে, ইউরোপীয় গণিতবিদরা আরব ও ভারতীয় গণিতবিদদের সহযোগিতায় তাদের সংখ্যাব্যবস্থায় শূন্য প্রতীকের ব্যবহার শুরু করেছিলেন।

১৩. আমরা পাই নিয়ে এত মাতামাতি করি কেন? কারণ আমরা সবকিছুর মধ্যে সম্পর্ক এবং প্যাটার্ন খুঁজতে ভালোবাসি। পাই সংখ্যাটি এত দীর্ঘ এবং এত রহস্যময় যে গণিতবিদরা এখনও এই সংখ্যা নিয়ে গবেষনা করে চলেছেন।

১৪. ১৮৮৮ সালে ইন্ডিয়ানা রাজ্যের একজন ডাক্তার দাবি করেছিলেন যে তিনি অতিপ্রাকৃত উপায়ে বৃত্তের সঠিক পরিমাপ শিখেছেন। তিনি তার “অতিপ্রাকৃত” জ্ঞানে এতটাই বিশ্বাস করেছিলেন যে তিনি ইন্ডিয়ানা আইন পরিষদে একটি বিল পাস করার প্রস্তাব পেশ করেছিলেন যাতে তিনি তার প্রতিভাধর ফলাফলগুলি কপিরাইট করতে পারেন। ফলে যারা পাই এর মান হিসেবে তার মানটি ব্যবহার করবে তাদেরকে এর জন্য মূল্য পবিশোধ করতে হবে! যাইহোক, বিধানসভায় একজন গণিত অধ্যাপক ছিল তিনি পরে প্রমান করে দেখিয়েছেন তার প্রস্তাবিত বিলের পাই এর মানটি ভুল ছিল।

১৫. পাইটি আক্ষরিকভাবে অসীম দীর্ঘ সংখ্যা। কিন্তু ১২৩৪৫৬ নম্বরটি পাই এর ১০ লক্ষ ডিজিট এর কোথাও পাওয়া যায় না। এটি কিছুটা হতাশাজনক কারণ যদি পাইয়ের ১০ লক্ষ ডিজিটের মধ্যে ক্রমানুসারে ১২৪৫৬ না থাকে তবে এটি অবশ্যই সবচেয়ে অনন্য সংখ্যা।

১৬. ব্রিটিশ গণিতবিদ Willam Shanks পাই এর মান বের করতে নিজে নিজে কাজ করেন। তিনি বহু বছর ধরে পাই ডিজিট গণনা করার চেষ্টা করে প্রথম ৭০৭ সংখ্যা বের করেছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত, তিনি পাওয়া ৫২৭তম অঙ্ক ভুল ছিল, যার ফলে অবশিষ্ট সংখ্যাগুলো ডিফল্ট ভুল হয়েছিল।

১৭. সংখ্যা পাইটি এত রহস্যময় ছিল যে ডাচ-জার্মান গণিতবিদ Ludolph van Ceulen তার জীবনের বেশিরভাগ সময় পাই এর প্রথম ৩৬ টি সংখ্যা গণনা করেছিলেন। বলা হয় যে প্রথম ৩৬ নম্বর তার সমাধি পাথরের উপর খোদাই করা হয়েছিল, যা এখন হারিয়ে গেছে।

১৮. পাই এর মান গণনার মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে পারি। এটি একটি ডিজিটাল কার্ডিওগ্রামের মতো কাজ করে কারণ এটি কম্পিউটারের প্রসেসরের বিভিন্ন কার্যক্ষমতার স্তরকে নির্দেশ করে।

১৯. এক্সপ্লোরেটোরিয়াম বিজ্ঞান জাদুঘরে, প্রতি বছর পাই দিবসে একটি বৃত্তাকার প্যারেড সংঘটিত হয়। অংশগ্রহণকারী সবাই পাইয়ের একটি করে সংখ্যা ধরে থাকে। পাই দিবস উদযাপন করার প্রধান উদ্দেশ্য হল সবাইকে গণিত ও বিজ্ঞানের প্রতি উৎসাহি করে তোলা।

২০. পাই নিয়ে চলচ্চিত্র Pi: Finding Faith in Chaos -এ পাই ও মহাবিশ্বের বিভিন্ন উত্তর খোঁজার ক্ষেত্রে নায়কের প্রচেষ্টাকে চিত্রিত করা হয়েছে। পাইয়ের প্রতি এই অনুসন্ধান তাকে পাগল করে ফেলে। কিন্তু ভাল ব্যাপার হল এই চলচ্চিত্রটি স্যান্ডেন্স চলচ্চিত্র উৎসবে পরিচালক পুরস্কার লাভ করেছে।

২১. প্রাচীনকালে, গণিতজ্ঞগণ পাই গণনা করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন। তারা একাধিক বাহু বিশিষ্ঠ বহুভুজ ব্যবহার করে বৃত্তাকার এলাকায় পৌঁছেছেন। আর্কিমিডিস, সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রীক গণিতবিদ এবং আবিষ্কারক, ৯৬ বাহু বিশিষ্ঠ বহুভুজ ব্যবহার করেছিলেন। বহু অন্যান্য গণিতবিদগণ এই বহুভুজের পদ্ধতিতে পাইয়ের মান গণনা করেছেন। চীনে, একজন গণিতবিদ বহুভুজে প্রায় ২০০ এবং তারপরে ৩,০০০ টিরও বেশি বাহু ব্যবহার করে পাইয়ের মান ৩.১৪১৫৯ বের করতে সক্ষম হন!

২২. পাই এর ব্যবহার বছর এর পর বছর বিস্তিৃত হয়েছে। ১৭ শতকের আগে, পাই শুধুমাত্র বৃত্তাকার ক্ষেত্রের মানসমূহ বের করতে ব্যবহার করা হত। কিন্তু ১৭ শতকের মধ্যে, লোকেরা বুঝতে পেরেছিল যে বক্ররেখা এবং হাইপোসাইক্লয়েড সহ অন্যান্য ক্ষেত্রগুলি গণনা করতে পাই ব্যবহার করা যেতে পারে। ২০ শতকের মধ্যে, পাইটি সম্ভাব্যতা এবং বিভিন্ন গাণিতিক অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

২৩. পাইয়ের সংখ্যাগুলো গণনা করা কঠিন হলেও পাইয়ের মান দ্বারা অন্যান্য জিনিস গণনা করার ক্ষেত্রে এটি অনেক কার্যকর। উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা দশমিকের পরে মাত্র ৯ ডিজিট নিয়ে পৃথিবীর পরিধি গণনা করার জন্য এটি ব্যবহার করি তবে ফলাফলগুটি অসাধারণভাবে সঠিক হবে। প্রতি ২৫,০০০ মাইলের জন্য শুধুমাত্র একটি ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগ ভুল হবে।

২৪. পাই এতই আশ্চর্যজনক এবং রহস্যময় যে এটি চলচ্চিত্রে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হয়েছে। ১৯৯৬ থ্রিলার চলচ্চিত্র টর্ন কার্টেনে, পাই হল গোপন কোড।

২৫. পাই এর ডিজিটসমূহ কে কার চেয়ে বেশি গণনা করতে পারে এ নিয়ে সর্বদা প্রতিযোগিতা চলছে। ২০১০ সালে জাপানী প্রকৌশলী এবং আমেরিকান কম্পিউটার উইজার্ড পাইয়ের ৫ ট্রিলিয়ান ডিজিট সংখ্যা গণনা করে সর্বাধিক সংখ্যক পাইয়ের ডিজিট গণনার রেকর্ডটি ভাঙ্গে। আশ্চর্যজনক ব্যাপার তারা কোন সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করেননি। তারা তাদের অসাধারণ কল্পনাশক্তি আর শুধু সাধারণ ডেস্কটপ কম্পিউটারের সাথে ২০টি এক্সটার্নাল হার্ডডিস্ক ব্যবহার করে এ মানটি বের করেন।

 

পরিশেষে শুধুমাত্র বৃত্তাকার ক্ষেত্রে নয় পাই পরিসংখ্যান, ত্রিকোণমিতি, বিস্তার পরিমাপ, অর্থনীতিসহ ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যপক ব্যবহার হয় যা একে করে তুলেছে সত্যিই অনন্য ও অসাধারণ। সকলের জীবন পাইয়ের মত সুন্দর হোক!

 

লেখক,

মো: রেজাউর রহমান, ইন্সট্রাক্টর,

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট।

 

লুতফর রহমান নিজেকে নিজে ইন্টানর্শীপ দিয়েছে

লুতফর রহমান নিজেকে নিজে ইন্টানর্শীপ দিয়েছে

লুতফর রহমান তিনি নিজের প্রতিষ্ঠানে নিজেকে ইন্টানর্শীপ দিয়েছে। 

তিনি ড্যাফেডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার ডিপার্টমেন্ট এর অষ্টম সেমিস্টারের একজন ছাত্র। 

তিনি বলেন যখন তিনি চতুর্থ সেমিস্টারের ড্রপ আউট হয়ে যায় তখন থেকেই মূলত তার জীবনের স্ট্রাগল শুরু। চতুর্থ সেমিস্টার ড্রপ আউট হওয়ার  পরে তিনি প্রচণ্ড ভেঙে পড়েন এবং তার পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ চলে যায়। তার অনেকদিন পরে সে রিয়েলাইজ করে যে এভাবে আর থাকা যায় না, তার কিছু একটা করতে হবে। 

পরবর্তীতে শেষ তার এক আঙ্কেলের  কাছ থেকে পরামর্শ নেন যে যেহেতু টেলিকমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্টে টেলিকমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্ট বেসমেন্টে কি কাজ করা যায়। তখন তার আঙ্কেল তাকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেন। 

তিনি সিদ্ধান্ত যে তিনি ব্যবসা  করবেন।  সবার প্রথমে তাকে তার মা সাহায্য করে ছিলেন। তিনি তার মাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে সে টাকা নষ্ট করবে না বরং তার ব্যবসার কাজে লাগাবে সে তার ব্যবসা শুরু করতে চায়। পরবর্তীতে তাকে তার মা ৫০ হাজার টাকা ধার হিসেবে দেয় এবং তা দিয়ে তিনি তার ব্যবসা শুরু করেন। 

অন্যদিকে ড্যাফোডিল পলিটেকনিক থেকে তাকে ব্রিজি চৌধুরী ম্যাম কল দেন। ম্যাম তাকে অনেক বোঝানোর পরে তিনি পঞ্চম সেমিস্টার ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং তিনি ভর্তি হন। 

তিনি জানান, “তিনি সকাল বেলা ক্লাস করতেন এবং বিকেলে গিয়ে তিনি তার অফিস সামলাতেন। 

তিনি আরো জানান তিনি এরপর থেকে তিনি আর কোন সাবজেক্টে ফেল করেন নি। ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আমাকে পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করেছেন যেমন যখন তিনি তার কোম্পানির কোন সমস্যায় পড়লে তখন তিনি তার ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করেন। 

এবং তিনি যে প্র্যাকটিক্যাল গুলো করতেন সেগুলোই তিনি তার কোম্পানিতে কাজে লাগিয়েছেন। “

 

একটা সময় তাদের ইন্টার্নশিপের সময় চলে আসে এবং সে কয়েকটি কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপের জন্য যোগাযোগ করেন। 

সেখানে সে দেখল তার কোম্পানিতে যে যে কাজ গুলো আছে ঠিক সেসব কাজগুলো সম্পন্ন কোম্পানিতে গিয়ে করতে হবে। 

 

তাই সে চিন্তা করলেও তিনি তার নিজের কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ করবেন। তিনি তার নিজের কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ করলেন এবং তার দুই বন্ধু কেউ তার কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপের সুযোগ করে দিলেন। 

 

গল্প থেকে শেখা, পর্ব – ২

গল্পের নাম: বাক্সের বাইরে চিন্তাভাবনা ( সৃজনশীল চিন্তা)

 

প্রায় কয়েকশ বছর আগে, ইতালীর একটি ছোট্ট শহরে একজন ছোট ব্যবসায়ী ছিল তার অনেক টাকা ধার ছিল সুদখোরের কাছে। যে সুদখোর লোকটি তাকে ধার দিয়েছিল সে অনেক বৃদ্ধ ছিল এবং দেখতে আকর্ষণীয় ছিল না। তার ব্যবসায়ীর মেয়েকে পছন্দ হয়েছিল।

 তিনি ব্যবসায়ীকে এমন একটি চুক্তির প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলেন যা তাকে দেওয়া  ধার সম্পূর্ণভাবে শোধ করবে। তবে,প্রস্তাব টি তিনি যদি ব্যবসায়ীরমেয়েকে বিয়ে করতে পারেন তবে তারা ধার শোধ করবে। বলাই বাহুল্য, এই প্রস্তাবটিকে অত্যন্ত ঘৃণার চোখে দেখা হয়েছিল। সুদখোর ব্যবসায়ী বলেছিল যে একটি ব্যাগে সে দুটি পাথর রাখে, একটি সাদা এবং একটি কালো।

ব্যবসায়ীর মেয়েকে ব্যাগের  কাছে যেতে হবে এবং ব্যাগ পাথর বের করতে হবে। যদি পাথর টি কালো হয় তাহলে তিনি ব্যবসায়ীর মেয়েকে বিয়ে করবেন এবং তার সব ধার শোধ হয়ে যাবে। আর যদি  পাথর টি সাদা হয় তাহলেও সব ধার শোধ হয়ে যাবে এবং ব্যবসায়ীর মেয়েকে বিয়ে করতে হব না।

 

সবলোক ব্যবসায়ী লোকটির বাগানে চলে গেল, আর ওই সুদখোর লোকটি দুইটি পাথর উঠালো। যখন ওই সুদখোর লোকটি পাথর উঠাচ্ছিল তখন ব্যবসায়ীর মেয়ে দেখলো যে লোকটি দুইটি পাথরই কালো উঠালো এবং ব্যাগে রেখে দিল।

 

পরবর্তীতে মেয়েটিকে ব্যাগটি দিয়ে দিল এবং বলল ব্যাগ থেকে একটি পাথর বের করতে।

মেয়েটির কাছে  তিনটি অপশন ছিল-

১. ব্যাগ থেকে পাথর নিতে অস্বীকার।

২. ব্যাগ থেকে উভয় পাথর বের করে এবং সুদখোরের প্রতারণার সবার সামনে  প্রকাশ করা।

৩. সবটা জেনেওে কালো পাথরটা বের করে  লোকটিকে মেনে নেওয়া এবং তার পিতার সমস্ত ধার শোধ করে নিজেকে উত্সর্গ করা।

 

মেয়েটি ওই ব্যাগটি থেকে একটি পাথর বের করল, কিন্তু পাথরটি দেখার আগে ‘দুর্ঘটনাক্রমে’ হাত থেকে পরে যায় যেখানে অনেক পথর আগে থেকেই পড়া ছিল সেখানে। মেয়েটি বলল ব্যাগে দেখি যে কোন পাথর টা রয়েছে ।তারপর বোঝা যাবে যে আমার হাত থেকে কোন পাথরটি পড়েছে। 

 

যেহেতু সুদখোর লোকটি ব্যাগের মধ্যে দুইটি পাথরই কাল রেখেছিল  তাই ব্যাগের মধ্যে থাকা পাথরটি কালো ছিল এবং তা সুদখোর ব্যবসায়ী প্রকাশ করতে চাচ্ছিল না। তাই এমন  প্রতিক্রিয়া তাকে  করতে হয়েছিল যেন মেয়েটির পড়ে যাওয়া পাথর টি সাদা ছিল এবং মেয়েটি তার বাবার ধার শোধ করতে সক্ষম হল।

গল্পের নৈতিকতা:

এটা জরুরি না যে কিভাবে আমরা আমাদের কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠার আমাদের সামনে যে সে বিকল্পগুলো কে বেছে নিতে হবে। সব সময় কিছু না কিছু বক্সের বাইরে  চিন্তা করে পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।

নিয়ান্ডারথাল : হারিয়ে যাওয়া মানুষদের আদ্যোপান্ত

নিয়ান্ডারথাল : হারিয়ে যাওয়া মানুষদের আদ্যোপান্ত

চারপাশের কয়েক প্রজাতির সাপ দেখা যায়। ব্যাঙের বেশ কয়েকটি প্রজাতি আমাদের চোখে পড়ে।প্রাণী জগতের সকল প্রাণীরই রয়েছে আলাদা আলাদা প্রজাতি। আমরা মানুষরাও কিন্তু এক প্রজাতির নই। মানুষেরও বেশ কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে।তবে বিবর্তনের পথ হেঁটে অন্য সকল প্রজাতিকে টেক্কা দিয়ে আজকে আমরা আধুনিক মানুষ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছি। টিকে রয়েছি কয়েক হাজার বছর ধরে।মানুষের প্রজাতিগুলোর মধ্যে বর্তমান মানুষের সবচেয়ে কাছাকাছি সময়ের প্রজাতি হচ্ছে নিয়ান্ডারথাল।তারা আজ থেকে প্রায় ৩০ বা ৪০ হাজার বছর আগে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। তাদের অসংখ্য ফসিল উদ্ধার করা গেছে বর্তমান সময়ে এসে। ফলে অন্যান্য প্রজাতির চেয়ে নিয়ান্ডারথাল সম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি বেশি।আজকের লেখায় পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া নিয়ান্ডারথাল মানুষ প্রজাতির সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।

      ল্যাটিন শব্দ Homo এর ইংরেজি প্রতিশব্দ Human বাংলায় মানুষ। যদিও ১৮৫৬ সালের আগেই নিয়ান্ডারথালদের বেশ কয়েকটি ফসল আবিষ্কৃত হয়েছিল; তবুও ১৮৫৬ সালে জার্মানির নিয়ান্ডার উপত্যকা থেকে পাওয়া ফসিলটি ছিল নিয়ান্ডারথালদের আদর্শ নমুনা বা ফসিল। এই নিয়ান্ডার উপত্যকার নামানুসারে মানুষের এই প্রজাতির নামকরণ করা হয় নিয়ান্ডারথাল।

                                                  জার্মানির    নিয়ান্ডার ভ্যালি

     ১৮২৯ সালে বেলজিয়ামের এঞ্জিসের‘ কাছাকাছি গুহা থেকে একটি নিয়ান্ডার্থাল শিশুর মাথার খুলি আবিষ্কার করা   হয়।  নিয়ান্ডারথালদের পাওয়া ফসিলগুলোর মধ্যে এটি ছিল প্রথম  ফসিল। তবে ১৯  শতকের দ্বিতীয়ার্ধে আরও ফসিল আবিষ্কার না হওয়া অবদি এটি সম্ভাব্য মানব পূর্বপুরুষ হিসেবে স্বীকৃত ছিল না। তারপর থেকে ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার ফসিল পাওয়া যায় ।এর মধ্যে বাচ্চা, শিশু এবং ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্কের ফসিল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ।যার ফলে অন্য যেকোনো মানব পূর্বপুরুষের চেয়ে নিয়ান্ডারথাল সম্পর্কে বেশি জানা যায় । ফ্রান্সের লে মুস্টিয়ে থেকে ৪৫ হাজার বছর আগের একটি মাথার খুলি আবিষ্কার করা হয় । এটি ছিল কৈশোরে উপনীত এক নিয়ান্ডারথালের খুলি। নিয়ান্ডারথালদের যে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা এই খুলির মধ্যেও ছিল।এরপর একের পর এক ফসিল আবিষ্কার হতে থাকে। ১৯০৯ সালে ফ্রান্স থেকে ১৯৮৩ সালের ইসরাইল থেকে।এই ফসিলগুলো নিয়ান্ডারথালদের সম্পর্কে গভীর অনুসন্ধানে সাহায্য করে গবেষকদের।

 

        নিয়ান্ডারথালদের বিকাশ ঘটেছিল ইউরোপ এবং এশিয়াতে ।পক্ষান্তরে বর্তমান মানুষের প্রজাতির বিকাশ ঘটতে থাকে আফ্রিকাতে। ফসিল গবেষণা করে বিজ্ঞানী ও প্রত্নতত্ত্ববিদরা দেখেছেন যে , নিয়ান্ডারথালদের পূর্ণ বিকাশ হয়েছিল আজ থেকে প্রায় চার লক্ষ বছর আগে ইউরোপে । এই প্রজাতিটি ইউরেশিয়া , পশ্চিম পর্তুগাল এবং ওয়েলস থেকে সাইবেরিয়ার আলটাই পর্বতমালা পর্যন্ত  বিস্তৃত ।নিয়ান্ডারথালরা ছিল অভিযোজন ক্ষমতাসম্পন্ন।ঠান্ডা জলবায়ু সত্বেও কয়েক লাখ বছর ধরে সফল ভাবে বসবাস করেছিল তারা। 

         নিয়ান্ডারথালদের মাথার খুলির ছিল লম্বা এবং নিচু ।আধুনিক মানুষের মত গোলাকৃতি ছিল না। তাদের চোখের ওপর আলাদা বিশেষ ধনুকাকৃতির ভ্রু ছিল। তাদের মুখের কেন্দ্রীয় অংশটি সামনের দিকে একটু বেশি প্রসারিত ছিল।তাদের চেহারার মধ্যে যে বিষয়টি সহজে ধরা পড়তো সেটি হচ্ছে লম্বা এবং প্রশস্ত নাক। কিছু বিজ্ঞানীরা মনে করেন, তাদের এ ধরনের চেহারা হবার কারণ ছিল ঠান্ডা এবং শুষ্ক পরিবেশে টিকে থাকার জন্য। তাদের নাক অপেক্ষাকৃত বড় ছিলো, কারণ সেগুলো তারা যে নিশ্বাস নিতো তা আদ্র এবং উষ্ণ করতে কাজে লাগাতো। তাদের সামনের দাঁত অনেক বড় ছিল এবং তাতে ছিল নানা দাগের চিহ্ন।তারা যখন খাবার বা অন্যান্য উপকরণ তৈরি করত তখন তাদের লম্বা দাঁতগুলো তৃতীয় হাতের কাজ করতো। নিয়ান্ডারথালদের শক্ত পেশীবহুল দেহ ছিল। কোমর এবং ঘাড় ছিল প্রশস্ত। পূর্ণবয়স্ক নিয়ান্ডারথালরা ১.৫০ থেকে ১.৭৫ মিটার লম্বা হতো এবং ওজন হতো ৬৪-৮২ কেজি। প্রথমদিকে নিয়ান্ডারথালরা     শেষের দিকে বিলুপ্ত হওয়া নিয়ান্ডারথালদের চেয়ে লম্বায় আরো বড় ছিল, তবে ওজন একই ছিল।নিয়ান্ডারথাল নারীদের স্তনের আকার অনেক বড় ছিল। কারণ দ্রুত মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য প্রচুর মাতৃদুগ্ধ প্রয়োজন হতো। ছোট হাত এবং পা নিয়ে তাদের শরীর ছিল গাট্টাগোট্টা ধরনের।এ ধরনের শরীর ঠাণ্ডা পরিবেশে টিকে থাকার জন্য উপযুক্ত ছিল।

    নিয়ান্ডারথালরা গুহায় বসবাস করলেও তাদের যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তা ছিল এবং তাদের আচরণ ছিল অনেকটাই মার্জিত। তাদের ব্রেইনের আকার ছিল ১২০০ থেকে ১৭৫০ ঘন সেন্টিমিটার। যা বর্তমান মানুষের তুলনায় বেশি। নিয়ান্ডারথালরা তাদের বুদ্ধি দিয়ে বিভিন্ন অস্ত্র ,যেমন – বর্শা, কুড়াল বানাতে পারত ।তিন লক্ষ বছর আগে নিয়ান্ডারথালরা লিভালইস টেকনিক নামক পাথুরে প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে ।

   নিজ প্রজাতির মাংস খাওয়াকে ক্যানিবালিজম বলে। এক সময় নিয়ান্ডারথালদের মধ্যেও ক্যানিবালিজম এর চর্চা ছিল।সম্প্রতি আমেরিকার ক্যালিফোনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির নৃবিজ্ঞানী হেলেন রুশিয়ের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক টিম গোয়েত গুহা থেকে প্রাপ্ত নিয়ান্ডার্থালদের হার নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন। তাদের গবেষণায়ও নরভক্ষণের  প্রমাণ মিলেছে। তারা ঠিক কি কারণে নিজেদের মাংস খেত সেটা এখনও রহস্যের বিষয়।

        নিয়ান্ডারথাল ও আধুনিক মানুষের সাধারণ পূর্বপুরুষও ছিল একই। সরাসরি পূর্বপুরুষ হোমো ইরেক্টাস হয়ে হোমো অস্ট্রালোপিথ্যাকাস্‌দের থেকে বিবর্তিত হয়েছি আমরা উভয়েই।  জেনেটিক গবেষণাও প্রমাণ করে, অস্তিত্বের প্রথম ১ লাখ বছর ধরে আমাদের ডিএনএ’র কিছু অংশও সাধারণ পূর্বপুরুষদের থেকে নিয়ান্ডারথালদের সঙ্গে ভাগ করে পেয়েছি আমরা।তাই নিয়ান্ডারথালদের আদিম প্রজাতি হিসেবে না নিয়ে সহাবস্থান শুরু করে আধুনিক মানুষেরা। তারপর কিছু পরিবর্তন ঘটে। আমাদের অস্ত্রের সঙ্গে প্রতীকী শিল্পকর্ম উন্নত হতে শুরু করে। ফলে হোমিও স্যাপিয়েন্সরা জটিল করে তোলে নিয়ান্ডারথালদের জীবনযাত্রা।                   

   জার্মানির জাঁ জ্যাক লিপজিগ বিবর্তনমূলক নৃ-বিজ্ঞান ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউটের হাবলিন বলেন, হোমো স্যাপিয়েন্সরা তাদের বাসস্থান দখলে নিয়ে নিলে নিয়ান্ডারথালরা খুব শিগগিরই বাস্তুচ্যুত হয়। ফলে আধুনিক মানুষের কাছে প্রতিযোগিতায় হেরেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় তারা।

জার্মানির টুবিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকোলাস কোনার্ডের দল নিয়ান্ডারথালদের জীবনযাত্রার বিভিন্ন ধরনের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইউরোপে আধুনিক মানুষের স্থল আঘাত তাদের জনসংখ্যাকে দ্রুত কমিয়ে দেয়। পক্ষান্তরে আমাদের সংখ্যা বেড়ে যায়, আমরা আরো অনেক জটিল সামাজিক ইউনিটে বসবাস শুরু করি এবং প্রয়োজন অনুসারে আরো পরিশীলিত উপায়ে যোগাযোগ করতে সক্ষম হই। ফলে আমাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু হলে ইউরোপ- আফ্রিকা তথা পুরো পৃথিবী থেকেই বিদায় নিতে বাধ্য হয় তারা’।  

 

সূত্র : গুগল 

শাহনেওয়াজ সেরাজ সুবর্ণা

ইন্সট্রাক্টর অফ আর এস ডিপার্টমেন্ট

ডেফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

 

আয়নিক বন্ধন এর ধারণা

আয়নিক বন্ধন এর ধারণা

এই মহাবিশ্বকে  বিজ্ঞানীরা দুই ভাগে ভাগ করেছেন ,যার একটি হল পদার্থ আর অপরটি হলো শক্তি ।  অর্থাৎবিজ্ঞানীদের ধারণা মতেসমগ্র পৃথিবী পদার্থ এবং শক্তি দিয়ে তৈরি সাধারণত আমরা যা দেখতে পাই  সবকিছুই পদার্থ| পদার্থ সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকেমৌলিক পদার্থ এবং যৌগিক পদার্থপৃথিবীতে পর্যন্ত আবিষ্কৃত মৌলিক পদার্থের সংখ্যা 118 টিবাকি যে পদার্থগুলো আমরা দেখতে পাই সবগুলাই যৌগিক পদার্থ| এই যৌগিক পদার্থ আবার বিভিন্ন বন্ধনে তৈরি হয়যার মধ্যে সবচেয়ে কমন একটা বন্ধন হল আয়নিক বন্ধন।  পৃথিবীতে যত ধরনের যৌগিক পদার্থ রয়েছে বিশেষ করে অজৈব যৌগিক পদার্থ  সেগুলোর মধ্যে অধিকাংশই গঠিত হয় আয়নিক বন্ধন দ্বারা।  আয়নিক বন্ধন সম্পর্কে তাই ধারণা রাখা প্রয়োজন

বন্ধন হলো  পরস্পরের সাথে যুক্ত হওয়া বা একত্রিত হওয়া |আর আয়নিক বন্ধন হলো আয়ন আদানপ্রদানের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত হওয়া।  পৃথিবীতে যে 118 টি মৌলিক পদার্থের পরমাণু রয়েছে তারা প্রত্যেকেই চায় তাদের কাছাকাছি নিষ্ক্রিয় মৌলের ইলেকট্রন কাঠামো লাভ করতে| এই নিষ্ক্রিয় বা স্থিতিশীল মৌলের ইলেকট্রন কাঠামো লাভের উদ্দেশ্যে  দুই বা ততোধিক   একই বা ভিন্ন মৌলের পরমাণু একটা নির্দিষ্ট আকর্ষণ বলের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের যৌগ গঠন করে

 

আয়নিক বন্ধন নিয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়ার জন্য আসুন আমরা যে লবণ(NaCl)  খেয়ে থাকে, সেই লবণের গঠন টা জেনে নেই।  খাবার লবনের রাসায়নিক নাম হল সোডিয়াম ক্লোরাইড যার সংকেত হিসেবে লেখা হয় NaCl.

অর্থাৎ এখানে আয়নিক যৌগ গঠনকালে  একটি সোডিয়াম একটি ক্লোরিনের পরমাণু প্রয়োজন ছিল

 

এই সোডিয়াম পরমাণুতে (Na)11 টি ইলেকট্রন রয়েছে| সোডিয়াম পরমাণু একটি ইলেকট্রন ছেড়ে দিলে তার নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাস নিয়ন(11) এর ইলেকট্রন কাঠামো লাভ করেফলে সোডিয়াম  আয়নে পরিণত হয়|

Na- e Na+

 

অপরদিকে ক্লোরিন পরমাণুতে (Cl)17হয়েছেক্লোরিন পরমাণু সোডিয়াম পরমাণুর   ছেড়ে দেওয়া ইলেকট্রন তার নিজ কক্ষপথের নিয়ে নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাস আর্গন(18) এর ইলেকট্রন কাঠামো লাভ করেফলে  ক্লোরাইড আয়নে পরিণত হয়                              Cl+ e Cl

 

এই সোডিয়াম আয়ন ক্লোরাইড আয়ন যখন পরস্পরের কাছাকাছি আসে তখন তাদের মধ্যে এক ধরনের ইলেকট্রোস্ট্যাটিক আকর্ষণ বল কাজ করে| ফলে তারা পরস্পরের সাথে যুক্ত হয় এবং সোডিয়াম ক্লোরাইড নামের লবণ তৈরি করে থাকে। 

Na + Cl    Na+ + Cl  NaCl

লেখক

মোঃআলামিন হোসেনলেকচারারড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

 

অবিদুর রহমানের সফলতার গল্প, পর্ব – ২

আবিদুর রহমান ড্যাফোডিল পলিটেকনিকের কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টের ৮ম সেমিষ্টারের একজন ছাত্র। তিনি  ইন্টার্নিংকরেছে প্রোগ্রেসে হোল্ডিং গ্রুপ লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিতে। যে সেখানে আইটি কম্পিউটারে দায়িত্বরত ছিল। যখন সে ইন্টার্নশীপ খুজ ছিলেন তখন তিনি নিজের থেকেই প্রোগ্রেসে গ্রুপের সাথে সরাসরি কথা বলে এবং অনেক বিষয়েই তারা অনেক সময় ধরে আলোচনা করেন। তার মাধ্যমেই তিনি জানতে পারেন যে তারা আইটির লোক খুজছেন। তখন পোগ্রেসে গ্রুপ থেকে তাকে জানান যে সে তাদের সাথে এক মাস কাজ করবেন ইন্টর্নশীপ হিসেবে পরবর্তীতে তারা যাচাই করে দেখবে যে তাকে পার্মানেন্টলি নেওয়া যায় কিনা।

তখন তিনি বিভিন্ন ভাবে একমাস সেবা প্রদান করেন । তিনি বলেন “একটি মজার ব্যাপার  হল যখন তার ইন্টনশীপের একমাস ও হয় নি, একদিন আমার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর স্যার  তাকে রুমে ডাকে এবং বলেন  আবিদ  তোমার কাজ গুলো তো আমার অনেক ভারো লাগল। তুমি যে সব কাজ গুলো কর মূলত তার জন্যই আমাদের সাথে যোগদান করো। তিনি আরো বলেন, তার চাকরীর পাওয়ার সাথে সাথেই তাকে ময়মনসিংহ ক্যান্টেলমেন্টের একটা প্রজেক্ট দেওয়া হয় ।

ময়মনসিংহ যাওয়ার পরে তিনি বিভিন্ন বড় বড় টেকনিশিয়ানদের সাথে কাজ করার সুযোগ পায়। যখন তিনি ময়মনসিংহ  প্রজেক্ট শেষ করে ঢাকা ফিরে আসেন । এরই মধ্যে লকডাউন পরে যায়। তারপরে সে অবসর সময়ে ভাবে যে কোন সে ঘরে বসে থাকবে বরং নিজের কিছু প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

তাই সে তার বাবাকে তার আইডিয়া বলেন এবং তার বাবা তার কথায় রাজি হন। তিনি আরো বলেন ”তার ব্যবসায় শুধু মাএ তার পড়ার টেবিল এবং আর তার কম্পিউটার এবং তার বাবা দেওয়া ছোট একটা রুমই ছিল তার ইনভেস্টমেন্ট।”

বর্তমানে তার একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার করার ইচ্ছা আছে । তিনি বলেন যে তার ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট হাতে আসার পূবেই তাকে তাদের গ্রামের লোকজন ইঞ্জিনিয়ার বলে ডাকা শুরু করেছে এটা তার কাছে বিশাসে একটা পাওয়া। সবশেষে তিনি ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটকে ধন্যবাদ জানার তাকে সফলতার গল্পে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

 

নির্মাণ উপকরণ হিসেবে হলো ব্লক, ইট হতে পরিবেশ বান্ধব

বর্তমানে ব্যবহৃত নির্মাণ উপকরণের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত উপকরণ ‘ইট’। বাংলাদেশ সরকার ইটকে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে, তা হলো ‘ইট’ অর্থ বালু, মাটি বা অন্য কোনো উপকরণ দ্বারা ইটভাটায় পুড়িয়ে প্রস্তুতকৃত কোনো নির্মাণসামগ্রী। সংজ্ঞাটি একটু বিশ্লেষণ করা যাক।

প্রথমত, বালু পুড়িয়ে ইট তৈরি করা যায় না। দ্বিতীয়ত, মাটি ছাড়া অন্য কোনো উপকরণ পুড়িয়েও ইট তৈরি করা যায় না। তৃতীয়ত, ইট মানেই ইটভাটায় পুড়িয়ে প্রস্তুত করা নির্মাণসামগ্রী। এবার আসি ইট তৈরির মাটি প্রসঙ্গে। আইনে যেভাবে বলা আছে তা হলো, ‘জেলা প্রশাসকের অনুমোদনক্রমে কোন ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করিবার উদ্দেশ্যে মজাপুকুর বা খাল বা বিল বা খাঁড়ি বা দিঘি বা নদ-নদী বা হাওর-বাঁওড় বা চরাঞ্চল বা পতিত জায়গা হইতে মাটি কাটিতে বা সংগ্রহ করিতে পারিবেন।’ আমার জানামতে, যে মাটি কৃষিকাজের জন্য উপযোগী, কেবল সেই মাটিই ইট প্রস্তুতের জন্য উপযোগী, মজাপুকুর বা খাল বা বিলের মাটিতে মাত্রাতিরিক্ত জৈব পদার্থের উপস্থিতির কারণে ভালো মানের ইট তৈরি সম্ভব নয়।

এক সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশ প্রতিবছর শতকরা এক ভাগ কৃষিজমি হারাচ্ছে, যার দ্বিতীয় প্রধান কারণ, ইটের কাঁচামাল ও ইটের ভাটা। এই ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই খাদ্যনিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হবে। এমনিতেই বাংলাদেশে মাথাপিছু কৃষিজমির পরিমাণ মাত্র ১২ শতাংশ। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আমাদের চেয়ে তিন গুণ ও গণচীনে দুই গুণ বেশি। তারপরও চীন ও ভারতে ইট উৎপাদনে কৃষিজমির মাটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

কোনো দেশে পরিবেশগত কারণে কমবেশি ২৫ শতাংশ বনাঞ্চল থাকা প্রয়োজন, যা বাংলাদেশে প্রায় অর্ধেক। এমতাবস্থায় বনজ কাঠ ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকলে বনাঞ্চল আরও সীমিত হবে, যা কাম্য নয়। বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রতিবছর কমবেশি দুই হাজার পাঁচ শ কোটি ইট তৈরি হচ্ছে। এই ইট তৈরিতে ১৮ হাজার হেক্টর (১৮০ বর্গকিলোমিটার) কৃষিজমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, প্রায় ৮০ লাখ টন কাঠ ও কয়লা পুড়ছে, যা থেকে পরিবেশে আনুমানিক ২ কোটি টন কার্বন নির্গত হচ্ছে।

উপরিউক্ত বিশ্লেষণের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতীয়মান হয় যে পোড়ামাটির অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে আমাদের বিকল্প নির্মাণসামগ্রী গ্রহণ করতে হবে। যেটা হবে সার্বিকভাবে কৃষিবান্ধব, পরিবেশবান্ধব, ভূমিকম্পসহ অন্যান্য দুর্যোগসহনীয়, লাগসই, টেকসই, সর্বোপরি ব্যয়সাশ্রয়ী। ইটের বিকল্প নির্মাণ উপকরণ হিসেবে উল্লিখিত গুণাবলিসম্পন্ন একাধিক নির্মাণ উপকরণ ও প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং ব্যবহার সন্তোষজনক পাওয়া যায়। নিচে পরিবেশ বান্ধব উপকরণের বিশদ বর্ণনা নিচে দেওয়া হলো।

কংক্রিট ব্লক: সিমেন্ট, বালু ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ৪ মিমি পাথরের কণা বা ডাস্ট সমন্বয়ে এই ব্লক তৈরি করা হয়। ম্যানুয়েল, মেকানিক্যাল বা হাইড্রোলিক মেশিন ব্যবহার করে এ ব্লক তৈরি করা যায়। এই ব্লকের ব্যবহারের ক্ষেত্র বিবেচনায় প্রশস্ত পরিসরে বিভিন্ন গুণাগুণের সামগ্রী তৈরি করা যায়। এটা কারখানায় যেমন অতি বড় আকারে প্রস্তুত করা যায়, আবার ছোট আকারে নির্মাণ সাইটেও তৈরি করা যায়। প্রয়োজন অনুযায়ী ডিজাইনমাফিক বিভিন্ন মান ও দামের ব্লক তৈরি করা যায়। কংক্রিট ব্লক হলো (hollow) সলিড (solid) ইন্টারলকিং (interlocking) বা থার্মাল (thermal) যেকোনো রকমের হতে পারে। আবার ইচ্ছেমতো যেকোনো রঙের করাও সম্ভব। বর্তমানে ইট ব্যবহারে যেমন ভার বহনকারী ও পার্টিশন ওয়ালের জন্য একই শক্তির ইট ব্যবহার করা হয়, ব্লকের ক্ষেত্রে সেটার প্রয়োজন হয় না। ফলে ব্যয়সাশ্রয়ী হয়। হলো ব্লকের ওজন কম, আকার–আকৃতি ভালো। ফলে অধিকতর ভূমিকম্পসহনীয় এবং গাঁথুনি ও প্লাস্টারে (যদি লাগে) খরচ কম। তা ছাড়া প্রচলিত ইটের সমতুল্য কংক্রিট ব্লক মূল্যসাশ্রয়ী (২৫% কম) হওয়ার কারণে অধিকতর তাপ কুপরিবাহী। ফলে গরম ও শীতে ঘর আরামদায়ক ও বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হয়। ব্লকের ওজন কম ও সাইজে বড় হওয়ায় কম জনবল দিয়ে অতি দ্রুত সময়ে কাজ করা যায়। লবণাক্ততা না থাকার কারণে দেয়ালের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ নেই বললেই চলে। কার্বন নিঃসরণ প্রচলিত ইটের প্রায় শতকরা ২০ ভাগ।

হলো ব্লক ব্যবহারে দেয়ালের খরচ অন্তত ৩০ শতাংশ কম হয়। থার্মাল ব্লকে বাইরের অংশে হলো ব্লকের মতো কংক্রিট থাকে এবং ভেতরের অংশ ফাঁকা না রেখে ইপিএস দিয়ে ভরাট করা হয়। ফলে হালকা ও অধিকতর তাপনিরোধক হয়ে থাকে, যা ঘরকে আরামদায়ক, রক্ষণাবেক্ষণমুক্ত ও ভবনকে ভূমিকম্প সহনীয় করে।

 

সুবিধা সমূহ:-

  • শব্দ, অগ্নি ও তাপ নিরোধক।
  • ইলেকট্রিক্যাল পাইপ বসানোর জন্য দেয়াল কাটা লাগে না।
  • ইটের ন্যায় অধিক পানি শোষণ করে না।
  • এই ব্লক গাঁথুনীর কাজে ব্যবহারের আগে ইটের মতো পানিতে ভেজাতে হয় না।
  • কনক্রীটের ব্লকে নোনা ধরে না, ঘামে না, ড্যাম্প হয় না, ফাঁঙ্গাস পড়ে না বলে এটি দীর্ঘস্থায়ী।
  • কনক্রীটের ব্লকে ইটের তুলনায় কম পুরুত্বের প্লাস্টারিং ব্যবহার করা হয়।
  • বাড়ির ব্যক্তিগত ওজন ও নির্মাণ খরচ দুই-ই কমাবে।
  • পরিবেশবান্ধব এবং ভূমিকম্প সহনশীল।
  • কৃষি জমি ও বনজ সম্পদরে অপচয় রোধ।কোন জ্বালানীর প্রয়োজন হয় না।পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে না। সারা বছর ব্যাপী উৎপাদন করা সম্ভব।শব্দ শোষন ক্ষমতা বেশিঅগ্নি ও তাপ নিরোদক অধকি র্কাযক্ষম।স্থায়ত্বিকাল ও কাঠামোগত ভারসাম্য বেশ ভাল।

 

লেখক,

মোঃ মাহবুবুর রহমান

ইন্সট্রাক্টর,

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

 

গল্প থেকে শেখা,পর্ব – ১

গল্প থেকে শেখা,পর্ব – ১

গল্পের নাম-  ব্যাঙের দল

(উৎসাহমূলক গল্প)

 

একদল ব্যাঙ বন দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, তাদের মধ্যে দু’টি ব্যাঙ গভীর গর্তে পড়ে গেল। অন্য ব্যাঙ গুলো যখন গর্তটির চারপাশে ভিড় করেছিল এবং দেখল যে এটি কতটা  গভীর তখন তারা ব্যাঙকে দুটিকে বলেছিল যে তাদের বেঁচে থাকার কোন আশা নেই।  তবে, দুটি ব্যাঙ অন্যেরা যা বলছে তা উপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারা বের হওয়ার চেষ্টা করছিলো।

গর্তের উপরের ব্যাঙের দলটি তখনও বলছিল যে তাদের হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত। তারা কখনই গর্ত থেকে বের হতে পারবে না।

অবশেষে, ব্যাঙ দুটির মধ্যে একটি অন্যরা যা বলেছিল সেদিকে মনোযোগ দিয়েছিল এবং সে মৃত্যুর দিকে নেমে পড়লো। অন্য ব্যাঙটি তার সাধ্যমতো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লাফ দিতে থাকল।

উপরে থাকা ব্যাঙগুলো তাদের কে পাথর মারতে লাগলো যাতে তারা তাড়াতাড়ি মারা যায় কম কষ্ট পেয়ে। গর্তে পড়ে থাকা ব্যাঙটি আগের থেকে লম্বা এবং জোরে লাফ দিল এবং সে উপরে উতে সক্ষম  হল।

যখন সে বের হল, অন্য ব্যাঙরা বলল তুমি কি আমাদের কথা শুনতে পাও নি। পরে সে ব্যাঙটি ব্যাখ্যা করলো সে বধির, কানে শুনতে পায় না। সে মনে করেছিল সব সময় তাকে তারা উৎসাহিত করছিলো বেরিয়ে আশার জন্য।

 

গল্পের নীতিকথা: 

মানুষের কথা অন্নের জীবনের উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। আপনার মুখ থেকে বের হওয়ার আগে আপনি কি বলছেন তা নিয়ে চিন্তা করুন। শুধুমাত্র এটাই জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য হতে পারে।

 

 

অলিদ হাসান আকাশের সফলতার গল্প

অলিদ হাসান আকাশের সফলতার গল্প

আমাদের শিক্ষার্থীদের সফলতার গল্প

আমাদের শিক্ষার্থীদের সফলতার গল্প যেখানে আমরা তুলে ধরতে চাই এ্যালামনাই এবং ডিপ্লোমারত শিক্ষার্থীদের সফলতার গল্প।

অলিদ হাসান আকাশ বলেন তিনি কিছু তে ভয় পান না । কারন তার এক পেছনে তার এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি এবং নলেজ বাড়ানোর জন্য সে অনেক সময় দিয়েছে তাছাড়া ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক বছর ধরে কানেকটেড আছেন এবং তার শিক্ষকরা ছাত্র জীবন থেকেই তাকে সার্পোট দিয়ে আসছে। এই কারণেই তার মূলত ভয় লাগে না ।

তাছাড়া তার বাবা মা কখোনো তাকে পড়ালেখার সিদ্ধান্ত নিতে বাধা দেয়নি বরং তাকে সব সময় সার্পোট করেছে। তার ডিপাটমের্ন্টের প্রতিটি শিক্ষক তাকে সার্পোট দিয়েছেন, গাইট করেছেন এবং মেনটারিং করে এসেছে।

 

তিনি বলেন, ঠিক এক বছর আগে হাকিম স্যার তাকে জিজ্ঞাসা করলেন  কি কি করে এবং তার এ মাসে কত টাকা ইনকাম করেছে। পরবর্তীতে হাকিম স্যার বললেন এখন চাকরি কর ঠিক আছে এটাই যেন সারা জীবন না করতে হয়, চাকরী যেন দিতে পারো ।

ইন্টনর্শীপেরি  অভিজ্ঞতা

ইন্টনর্শীপেরি  অভিজ্ঞতা  তার জন্য একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা । তিনি আরো বলেন, “দেখেন আমার হাতে এখানো সার্টিফিকেট আসে নাই, আমি আমার ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট এখোনো হাতে পাই নি, কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক বেশি নেটওয়ার্ক আছে এবং তার দুই বছরের অভিজ্ঞতা আছে।

তার ইন্টানর্শীপের গল্প টা এ একটু আলাদা ছিল কারন তিনি ৪র্থ সেমিষ্টার থেকেই বিভিন্ন ভলেনটিয়ার অরগানাইজেশন এবং ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতেন ।  এর মাধ্যমেই তার অনেক নেটওয়ার্ক তৈরি হয় এবং অনেক গুলো কোম্পানির সাথে কাজ করার সুযোগ হয়।

তিনি বার বার এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটির কথা বলেছেন কারণ এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি  তাদের এক্সপেরিয়েন্স নেটওয়ার্কিং সব কিছুতেই সহযোগীতা করেছে ইন্ডাস্ট্রিতে যে বিষয় নিতে কাজ করার ইচ্ছা সে রিলেটেড ইন্ডাস্ট্রিতে একজন মেনটর খুজে বের করা যারা আসলে সব কিছুতেই সব কাজেই সহযোগীতা করতে পারবে ।

তিনি আরো বলেন কারিকুলার এক্টিভিটির সাথে সাথে বইয়ের পড়াশুনার দরকার আছে । তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন রেজাল্ট হচ্ছে  কার্ড আর হচ্ছে আমাদের স্কিল তাই জীবনে সফল হতে গেলে দুইটির ই প্রয়োজন আছে ।

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক

তিনি মনে করেন ড্যাফোডিল পলিটেকনিক অন্য সব পলিটেকনিকের চেয়ে উন্নতমানের কারন যেহেতু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায় হাতে কলমে শেখানো হয় তাই শিক্ষকরা শুধুমাত্র বই না বরং তার বইরে গিয়ে বেশি বেশি প্রাকটিক্যাল করান। তাছাড়া ড্যাফোডিল পলিটেকনিকের এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটির জন্য বিভিন্ন ক্লাব আছে এবং শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন, কার্নিভেলে অংশ গ্রহন করার সুযোগ পায়।

অলিদ হাসান আকাশের

এ্যালামনাই,ড্যাফোডিল পলিটেকনিক 

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট

চন্দ্র চুরি !

চন্দ্র চুরি !

ঝিম ধরা মাথাটা আর কাজ করতে চাচ্ছেনা। যেকোন মুহুর্তে আন্দোলন করে বলতেই পারে WE WANT JUSTICE!!! আর বলবেই বা না কেন? কাজের সুবাদে অধিকাংশ সময় তাকিয়ে থাকতে হয় ওই এক গণনাকারি যন্ত্রের দিকে। জি না, আমি কোন একাউন্টেন্ট নই। আমি একজন সদ্য পাশ করা আর সদ্য নতুন কর্ম জীবনে প্রবেশ করা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। কর্ম জীবনে অভিজ্ঞতার ঝুরিটি পূর্ণ করতেই দেশের অন্যতম সুনাম ধন্য এক পলিটেকনিক এ শিক্ষকতায় প্রবেশ করেছি। নতুন নতুন চাকুরি বলে কথা। তাই আগ্রহ আর কর্ম উদ্দীপনা একটু বেশি তাই অফিস টাইমের পরে অগ্রিম কিছু কাজ করে রাখি। যাইহোক, কাজের চাপে চোখ বুজে যাচ্ছিলো যখন তখন মস্তিষ্ককে বুঝাতে থাকলাম এখন আন্দলন না করে সুবোধের মত কাজ করো তখনই কেন জানি মস্তিষ্ক আমাকে ফিস ফিস করে বলে উঠলো “ ওগো চলোনা গো একটু ছাদে গিয়ে চাঁদ দেখি” । ব্যাস হয়ে গেলো, মনের ডাকে দেহ সারা দিয়ে উঠলো। চেয়ার ছেরে উঠে মুখে পানির ঝাপটা মেরে চলে গেলাম ছাদে চন্দ্র বিলাস করতে।

ছাদে গিয়ে একটু হতাশ। আরে চাঁদ টা যে আকাশে নেই! চাঁদ ছাড়া আকাশ টা কেমন জানি আলুর বোখারা ছাড়া কাচ্চির মত লাগছে। যাইহোক তবুও মনটাকে সতেজ করতে রেলিং এর উপর দুহাত রেখে দৃষ্টি ছুরে দিলাম আকাশের দিকে। একটা দুর্বিন থাকলে ভালো হতো। আসলেই কি আজ চাঁদ উঠেনি আকাশে? মন্দ লাগছেনা আকাশটাকে। কোটি তারার আলোয় রাতের আকাশ টা কেমন যেন বিয়ে বাড়ির মত ঝিকিমিকি করছে। চাঁদ মামার কি তবে আজ বিয়ে ? হা হা হা। নাহ সেতো ছোট বেলার কল্প কাহিনী।

আমার বাদর গোছের ছোট ভাই এলো হাতে দু মগ চা নিয়ে। ও অবশ্য নিয়মিত যাত্রী এই ছাদের। আজ হয়তো আমাকে আসতে দেখে চা সহ এসেছে। এসেই বললো “কিরে ভূতে বা পরীতে ধরেনিতো যে আজ হঠাৎ ছাদে ?”  বললাম, “ নাহ তেমন কিছুনা। এক ঘেয়ে জীবনে একটু চন্দ্র বিলাসে আসলাম আর কি।“ ছোট ভাই বললো “ হুম নে নে  চন্দ্র বিলাস কর। কিন্তু তোর চন্দ্র তো মনে হয় চুরি হয়ে গিয়েছে। কোথাও তো নাই।“ বলেই হাসতে হাসতে ছাদের অপর প্রান্তে গিয়ে কি যেন একটা গান গাইতে থাকলো। সে যাই হোক চায়ে চুমুক দিয়েই কেন জানি প্রশ্ন হলো আসলেই তো যদি চাঁদ টা কখনো এলিয়েন দ্বারা চুরি হয়ে যায় কিংবা মহাকর্ষিক কোন কারনে চাঁদ পৃথিবী থেকে হারিয়ে যায় বহু দূরে তাহলে কি হবে আমাদের অর্থাৎ এই সুন্দর পৃথিবীর?

প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আমাদের এই এক মাত্র উপগ্রহটি। পৃথিবী জন্মের আনুমানিক ৮৫ মিলিয়ন বছর পর থেকে একসাথে সংসার করছে। সুখে-দুখে একে অন্যকে সব সময় পাশে পেয়েছে। আর আমরাও এই নিয়ে কত কল্প কাহিনী গল্প ছড়িয়েছি। সেই চাঁদের বুড়ি তো এখনো আছে প্রতিটি শিশুর মনে জীবিত। কিন্তু আমাদের এই ভালোবাসার বাল্য বন্ধু চাঁদ আমাদের থেকে হারিয়ে গেলে কি হবে আমাদের, তা কি কখনো ভেবে দেখেছি ? চাঁদ শুধু আমাদের রাতের আঁধার দূর করা আর কবি সাহিত্যিকের লিখনির অংশ হতেই আসেনি। এর অবদান আমাদের জীবনের জন্য অপরিসীম। প্রানীকূল সহ পৃথিবীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে চাঁদের ভূমিকা কল্পনাতীত।

চাঁদের অনুপস্থিতিতে আমাদের পৃথিবীর যেসব পরিবর্তন ঘটবে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চোখে পরবে রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকার। রাতের আঁধারে চাঁদের মিষ্টি আলোর বিকল্প আর কিছুই হতে পারেনা। ইলেক্ট্রিক বাল্ব থাকলেও তা চাঁদের আলোর মত মিষ্টি না। হুম কিছু ক্ষেত্রে দূরের তারা হতে আসা আলোক রশ্মি আলোকিত করবে কিন্তু তা পর্যাপ্ত না।

চাঁদের অভাবে আমাদের পৃথিবীর দিন রাত্রিতেও আসবে বিশাল ফারাক। চাঁদের সাথে পৃথিবীর  মহাকর্ষীয় সম্পর্ক। আর এই আকর্ষণের জন্য পৃথিবীর যে উচ্চো গতি তাতেও এর প্রভাব রয়েছে। অনেকটা প্রাকৃতিক স্পিড ব্রেকার এর কাজ করে। হঠাৎ করে চাঁদ হারিয়ে গেলে এই ঘূর্ণন গতির নিয়ন্ত্রনটাও হারিয়ে যাবে। ফলে পৃথিবীর গতির অসামাঞ্জস্যতা থাকায় দিন অথবা রাত এর সময়ের পার্থক্য টা হয়ে যাবে কম বেশি। হতেও পারে দিন ৮ ঘন্টা আর রাত ১৬ ঘন্টা কিংবা রাত ৬ ঘন্টা আর দিন ১৮ ঘণ্টা ।

সাগর – নদীর জোয়ার ভাটা কিংবা সাগর এর বিশাল স্রোতের কারন এই চাঁদ পৃথিবীর মধ্যাকর্ষীয় টান। এই টানের প্রভাবে বিশাল স্রোত আর পৃথিবীর এক রকম ঘর্ষন সৃষ্টি হয় যা মিলিয়ন বিলিয়ন বছর ধরে হয়ে আসছে। হঠাৎ চাঁদের অনুপস্থিত এই ঘর্ষন থামিয়ে দিবে আর পৃথিবী হারাবে তার স্বাভাবিক গতি। এছাড়াও জোয়ার ভাটার স্বভাব পালটে গিয়ে সব পানির স্রোতের অভিমুখ পরিবর্তন হয়ে যাবে যার ফলে একমুখি স্রোত হবে। পৃথিবীর গতি মুখের বিপরিতে পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে। এমন অনেক প্রানী ও জনপদ আছে যেগুলো বিলুপ্ত হয়ে হয়ে যাবে। জোয়ার ভাটার অভাবে। অস্বাভাবিক বন্যা আর লবনাক্ততা হবে। আমাদের ঋতু চক্র , আবহাওয়া জলবায়ু সব পালটে গিয়ে এক নিরস নতুন পৃথিবী হয়ে উঠবো। ঝর জলচ্ছাস কোথাও না কোথাও লেগেই থাকবে। সবচেয়ে বড় দুঃখের কারন হয়ে যাবে আমাদের বায়ু মণ্ডল ব্যাপক হারে ক্ষতি গ্রস্ত হবে। আর সৌর রেডিয়েশন তো আছেই আমাদের উচিত শিক্ষা দিতে। হঠাৎ পৃথিবীর গতি বেরে যাওয়া কিংবা চাঁদ দূরে সরে যেতে থাকলে পৃথিবী তার নিয়মিত কক্ষপথ থেকে সরে আসবে , সেই সাথে পৃথিবী যে কৌণিক গতিতে ঘুরছে তারও পরিবর্তন ঘটবে। এর প্রভাব হয়তো ৩৬৫ দিনে বছর না হয়ে ২০০ কিংবা ১০০০ দিনেও বছর হয়ে যেতে পারে। আর দিন ও রাতের কথা সেটাতো সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টা না হয়ে ১৮ ঘণ্টা হয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা তখন।

এগুলো তো গেলো প্রকৃতি আর বিজ্ঞান এর বিষয়। হিসেব করে দেখুন গল্প কবিতায় আর চাঁদ থাকবেনা, ছোট্ট সোনামনিকে চাঁদ দেখিয়ে আর চাঁদের বুড়ীর কল্প-কাহিনী শোনানো হবেনা,  হানিমুন বলে আর কথাও থাকবেনা, রোমান্টিক হয়ে চাঁদের উপমা কিংবা আমার মত প্রকৃতি প্রেমি নিরিহ মানুষ গুলো ছাদে গিয়ে চাঁদ দেখে মন সতেজ করতে পারবেনা। আর সেই সাথে পাশের বাড়ির তানভির ভাই এর ছাদে এসে চাঁদ দেখার নাম করে ইসরাতের সাথে ইশারায় আদো প্রেম আদো ভালোবাসা হবেনা। হয়তো ভারতীয় নায়ক সুশান্ত সিং চাঁদে কেনা তার জমিটার জন্য স্বর্গ থেকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকবে আর বলবে আমার সব টাকা জলে গেলো রে রে রে রে………।

নাহ সারদিন কাজের চাপে আজকাল বেশিই সব কিছু নিয়ে উলটা পালটা ভাবছি। চাঁদ চুরি করবে এমন কে আছে? চাঁদ মামা সবার। এই নিয়ে অন্তত রাজনীতির কিছু নাই। এতো বিশাল বিষয় নিয়ে আমার মত সাধারণ মানুষ এর এতো ভাবলে হবে না। অফিসের অনেক কাজ আছে সেগুলো সামলাই। চাঁদ কে সামাল দিক আপাতত নাসা কিংবা রাশিয়া অথবা ইউরোপের দেশ গুলোর স্পেস এজেন্সি গুলো । পাড়ার মোড়ের চাঁদ সওদাগর চাচা মাথার মেমরি লস হয়ে হারিয়ে যেতে পারে কিন্তু আকাশের চাঁদ আপাতত নিরাপদ।

 

কপি রাইটঃ এস. এম. রাজিব আহম্মেদ

ইন্সট্রাকটর, কম্পিউটার টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট