আজ ইলেট্রিক্যাল, টেলিকম ও ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে শেষ হল অভিভাবক সম্মেলনের ৩য় দিন। বাংলাদেশে প্রথম বারের মত ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের নিয়ে ৩ দিন ব্যাপি ভিন্ন রকম একটি অনলাইন স্টুডেন্টস-প্যারেন্টস-টিচার্স-কংগ্রেসের আয়োজন করে। এর মাধ্যমে মোট ৮ টি ডিপার্টমেন্টের ৯০০ অভিভাবকের সাথে ড্যাফোডিল পলিটেকনিক যুক্ত হয়।
তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানটিও অন্যান্য দিন গুলোর মত শুরু করা হয় সকাল ১১:৪০ মিনিটে টেলিকমিউনিকেশন,ইলেকট্রিকাল ও ট্যুরিজম এন্ড হসপিটলিটি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার কারণে ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনে চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যার ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের অনলাইন ক্লাস, পরীক্ষা ইত্যাদি কার্যক্রম চলমান থাকে,এই অভিনব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গত ২২ শে মার্চ থেকে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারাও নিয়মিত ভাবে রুটিন অনুযায়ী অনলাইনে ক্লাস পতিচালনা করে যাচ্ছে।
তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানটিতে ১৩০ জনের অধিক অভিভাবকরা যুক্ত হন এবং করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে এই অভিনব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে। প্রত্যেক অভিভাবকরাই ভিন্ন ভিন্ন মতামত প্রদান করেন।
জনাব ………বলেনঃ ভাইরাসের কারনে দেশের এই পরিস্থিতিতেও অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছে বিষয় টি তার কাছে খুব ভাল লেগেছে। যদি অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনা করা না হতো তাহলে বাচ্চারা বাহিরে যেত, বন্ধুদের সাথে মেলা-মেশা করতো, একটা বিপদে পরার সম্ভাবনা থাকতো। কিন্তু অনলাইনের ক্লাস পরিচালনা করার মাধ্যমে বাচ্চাদের পড়াশুনাও সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বিপদে পরার ঝুঁকিও অনেকটা কমে গেছে।
আরেকজন অভিভাবক তিনি মতামতের পাশাপাশি ফিটব্যাকও প্রদান করেন, তিনি বলেনঃ………., যেহেতু অনলাইনের ক্লাস পরিচালনা করার মাধ্যমে বাচ্চারা বেশির ভাগ সময় ক্লাস করে এবং বাসায় থাকে। সেক্ষেত্রে ক্লাসের সময় টা যদি একটু বাড়িয়ে দেওয়া যায় তাহলে বাচ্চারা ক্লাস ও বেশির ভাগ সময় বাসায়ই থাকবে এবং দেশের এই পরিস্থিতি তিনি দেখেন তার ছেলে রুটিন অনুযায়ী প্রতিদিন ক্লাস করছে এবং তিনি তার ছেলের পড়াশুনার প্রতি নজর রাখতে পারছেন।
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অনলাইন স্টুডেন্টস-প্যারেন্টস-টিচার্স-কংগ্রেসের তৃতীয় দিনে শুধুমাত্র অভিভাবকরাই নয়, আজ আমরা মতামত নিয়েছি কিছু শিক্ষার্থীদেরও।
যেমন জয় চন্দ্র দাস ইলেকট্রিকাল ডিপার্টমেন্ট থেকে ,
তিনি জানানঃ ………… তার অনেক বন্ধু আছেন যারা অন্য পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে পড়াশুনা করছে, তাদের পড়াশুনা সম্পূর্ণ স্থগিত রাখা হয়েছে সেদিক থেকে আমরা অনলাইনে ক্লাসের মাধ্যমে পড়াশুনায় অনেক এগিয়ে যাচ্ছি এবং আমাদের পড়াশুনা করোনা ভাইরাসের কারনে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে না। তিনি তার বন্ধুদেরকেও পরামর্শ দেন যে তারাও যেন অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করেন তিনি আরো জানান অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা বিভিন্ন সমস্যার কারনে রেগুলার ক্লাস করতে পারে না, অনলাইনে ক্লাসের মাধ্যমে তারাও এখন ক্লাস করতে পারছে এবং তাদের ক্লাসের উপস্থিতিও আগের থেকে বেশি।
বিগত ২ দিনের মত আজকেও অনলাইন স্টুডেন্টস-প্যারেন্টস-টিচার্স-কংগ্রেসের তৃতীয় দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ফ্যামিলির সম্মানিত সিইও জনাব মোঃ নুরুজ্জামান, স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সম্মানিত অধ্যক্ষ জনাব কে এম হাসান রিপন এবং কংগ্রেসটি মোডারেট করেন ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জনাব কে এম পারভেজ ববি।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জনাব আব্দুল হাকিম, জনাব জহিরুল ইসলাম ফরহাদ এবং ইলেট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে নাহিদুল ইসলাম, টেলিকম ডিপার্টমেন্ট থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্ট থেকে মমতা হেনা সিদ্দিকা।