পেশাগত জীবন এবং কর্মক্ষেত্রে এক সম্ভাবনাময় শিক্ষা  –  আর্কিটেকচার অর্থাৎ স্থাপতিবিদ্যা এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইন”

পেশাগত জীবন এবং কর্মক্ষেত্রে এক সম্ভাবনাময় শিক্ষা  –  আর্কিটেকচার অর্থাৎ স্থাপতিবিদ্যা এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইন

প্রতিটা মানুষের শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্য হল তার ভবিষ্যৎ জীবনকে সহজ এবং সুন্দরভাবে পরিচালনা করা । যেটা অনেকেই ভালো বেতনের ভালো একটা চাকরির মাধ্যমে সফল করেছেন। বর্তমানে সাধারন শিক্ষা গ্রহনের মাধ্যমে সেই চাকরি নামক সোঁনার হরিণ খুজে পাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য। এক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষা গ্রহনের মাধ্যমে বর্তমানে চাকরি পাওয়াটা অনেকটা সহজ হইয়ে গিয়েছে । তাছাড়া কারিগরি শিক্ষা গ্রহন নিজে থেকেই স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব । বর্তমানে একটু খেয়াল করলে দেখা যায় অনেক ছাত্রছাত্রী কারিগরি শিক্ষার যেকোনো একটা ট্রেডে বাস্তবমুখী শিক্ষা গ্রহনের মাধ্যমে চাকরীর ক্ষেত্রগুলোতে অনেকটা সফলতার দোয়ার উম্মোচন করতে সক্ষম হয়েছে এবং অনেকেই বেছে নিয়েছেন নিজে থেকে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ । তেমনি নিজ থেকে  চাকরি পাওয়ার  এবং স্বাবলম্বী হয়ে উঠার  একটি সম্ভাবনাময় ট্রেড হচ্ছে আর্কিটেকচার অর্থাৎ স্থাপতিবিদ্যা। আর্কিটেকচার বা স্থাপতিবিদ্যা গ্রহণ করে শুধু চাকরি পাওয়া নয় বরং একজন মানুষ আর্কিটেকচার বা স্থাপতিবিদ্যা  গ্রহনের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে উঠে নিজেই নিজের সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার গঠনে সচেষ্ট হতে পারে।

যিনি মুলত  আর্কিটেকচার নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং বাস্তবজীবনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে দক্ষ হয়ে উঠে, কর্মক্ষেত্রে এর প্রয়োগ করে থাকেন তিনি হচ্ছেন একজন আর্কিটেক্ট । একজন আর্কিটেক্টের কাজ হচ্ছে ক্লাইন্টের চাহিদা অনুযায়ী স্বল্প খরচে স্বল্প জায়গায় সুন্দর এবং একটি কমপ্লিট বিল্ডিং ডিজাইন  করা। আর বিল্ডিং এর অভ্যন্তরীন ডিজাইন অর্থাৎ বিল্ডিং এর  প্রতিটি স্থানকে কাজে লাগিয়ে আসবাব, লাইট, গৃহসজ্জা সামগ্রী যথাযথ ব্যবহার করে বাড়ি, অফিস বা যে কোনো প্রতিষ্ঠানকে আরামদায়ক এবং সৌন্দর্যবর্ধিত  করাই   ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের কাজ । একজন আর্কিটেক্টই মুলত ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের কাজ করে থাকেন। কিন্তু আধুনিকযুগে আর্কিটেক্ট এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এর কাজ কিছুটা ভিন্ন হয়ে গেছে । বর্তমানে ইন্টেরিওর ডিজাইনে আলাদা ভাবে কোর্স সম্পন্ন করে বাস্তবমুখী কর্মজীবনে প্রবেশ করা সম্ভব।

 

আর্কিটেক্ট এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনার পেশা অনেকটা চ্যালেঞ্জীং একটা পেশা কারন এই পেশাই দক্ষ হইয়ে উঠতে হলে অবশ্যই  সৃজনশীল এবং সৃষ্টিশীল হতে হবে ,আর এর পাশাপাশি  থাকতে হবে  অক্লান্ত পরিশ্রম করার ধৈর্য । তবেই একজন দক্ষ আর্কিটেক্ট এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হওয়া সম্ভব । কোনো  পেশাই বা কাজে যেমন দক্ষ হইয়ে উঠতে হলে অবশ্যই পেশা বা কাজটিকে প্যাশন হিসেবে নিতে হয়, ঠিক তেমনি আর্কিটেক্ট এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনে দক্ষ হতে হলে এই পেশাটিকে প্যাশন হিসেবে নিতে হবে,তবেই সফল হওয়া সম্ভব। নতুবা সম্ভব নয় ।শুধু পুঁথিগতবিদ্যা গ্রহণ করে একজন সফল আর্কিটেক্ট হওয়া সম্ভব নয় , সফল আর্কিটেক্ট হতে হলে অবশ্যই পুঁথিগতবিদ্যার পাশাপাশি  সৃষ্টিশীল মানুষিকতা থাকতে হবে। অক্লান্ত পরিশ্রম, সৃষ্টিশীল মানুসিকতার মাধ্যমেই একজন মানুষ সুন্দর এবং অসাধারন সৃষ্টিশীল স্থাপনা উদ্ভাবন করতে পারেন এবং হয়ে উঠেন একজন সফল আর্কিটেক্ট। প্রকৃতপক্ষে আর্কিটেকচার অর্থাৎ স্থাপতিবিদ্যা অনেক কঠিন একটা বিষয় তবে এই কঠিন বিষয়টাই সহজ হয়ে যাই  সৃষ্টিশীল এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা মাধ্যমে।

বাংলাদেশ ছাড়াও বর্তমানে বাইরের বিভিন্ন দেশে আমাদের দেশের দক্ষ আর্কিটেক্টদের চাহিদা রয়েছে । অনলাইন মার্কেটপ্লেসেও আমাদের দেশের অনেক দক্ষ আর্কিটেক্ট তাদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। অনেকে ঘরে বসেই স্থাপতিবিদ্যা গ্রহণ করে নিজের সুন্দর সৃষ্টিশীল এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনার মাধ্যমে সুন্দর সুন্দর নতুন স্থাপনার ডিজাইন করে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নিজের ক্যারিয়ার ডেভেলপ করছেন।

 

বর্তমানে আধুনিক স্থাপনার অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যবর্ধনে প্রধান ভূমিকা রাখছেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা যা একজন আর্কিটেক্ট ও করে থাকেন। একটি প্রতিষ্ঠানের অন্দরমহলের সাজসজ্জা বৃদ্ধিতে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের চাহিদা বুঝতে পারছে কর্তৃপক্ষ। আর তাই বেড়েছে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের চাহিদা। তাই এ ক্ষেত্রে আলাদাভাবে উন্নত ক্যারিয়ার গড়তে পারেন যে কেউই। বর্তমানে আর্কিটেকচার এবং ইন্টেরিওর ডিজাইনারদের চাহিদা অনেক। এতে করে তাদের চাকরির জন্য অনেক গুলো ক্ষেত্র তৈরি হইয়েছে, আর্কিটেকচার এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের জন্য বিভিন্ন  কোম্পানিতে যেমন চাকরির সুযোগ রইয়েছে তেমন সরকারি চাকরিতে ও তাদের অনেকগুলো ক্ষেত্র রইয়েছে।

 

কোম্পানির চাকরির ক্ষেত্রগুলো হলোঃ             

* ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং কন্সাল্টেন্সি ফার্ম;

* রিয়েল এস্টেট ও ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি;

* বিজ্ঞাপনী সংস্থা;

* মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেট কোম্পানি;

* হোটেল চেইন;

* অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইত্যাদি।

এছাড়া সরকারি চাকরির ও অনেকগুলো ক্ষেত্র রইয়েছে যেমনঃ

* গণপূর্ত মন্ত্রাণালয়

* বিডিএ

* এলজিইডি

এবং BPSC এর নিয়ন্ত্রাধীন বিভিন্ন মন্ত্রাণালয়ে চাকরির সুযোগ।

 

 

আর্কিটেকচার এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হতে হলে অবশ্যই সৃজনশীলতা এবং সৃষ্টিশীলতার ওপর অধিক গুরুত্ব দিতে হবে,তবেই একজন দক্ষ এবং কর্মশীল আর্কিটেক্ট এবং ডিজাইনার হওয়া সম্ভব। আর দক্ষ এবং কর্মশীল মানুষের বাস্তব জীবনে চাকরি নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। অনেক তরুণ তরুণী বর্তমানে আর্কিটেকচার এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইন এর ওপর নিজের ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখছেন, কারন বর্তমানে একজন আর্কিটেক্ট বা ডিজাইনার এর প্রয়োজনীয়তা অনেক। অনেকেই আর্কিটেকচার এর ওপর নিজের ক্যারিয়ার গরে তুলতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের দেশে অনেক বিল্ডিং আছে যেগুলো আমাদের দেশের দক্ষ আর্কিটেক্ট ইঞ্জিনিয়ারদের মাধ্যমেই তৈরি হয়েছে।

সর্বোপরি, বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্বের  বিভিন্ন দেশে  আর্কিটেক্ট এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা দিন দিন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। যার ফলে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন কর্মসংস্থান।যা আর্কিটেক্ট এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের জন্য কর্মক্ষেত্রে অনেক সফলতা নিয়ে আসছে।

লেখকঃ

শারমিন আক্তার

জুনিয়র   ইনস্ট্রাক্টর

আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সিটিউট

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের গুরুত্ব

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের গুরুত্ব

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট হল ট্যাবলেট বা স্মার্টফোনগুলির মতো ওয়্যারলেস কম্পিউটিং ডিভাইসের জন্য সফ্টওয়্যার রাইটিংয়ে ব্যবহৃত পদ্ধতি এবং প্রক্রিয়াগুলির একটি সেট। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টে অনুসরণ করা প্রক্রিয়া গুলি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের অনুরূপ। মূল পার্থক্য হল মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলি প্রায়শই মোবাইল ডিভাইসের জন্য অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে ডিজাইন করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ, একটি গেমিং অ্যাপ্লিকেশন একটি মোবাইল ডিভাইস অ্যাকসিলোমিটারের সুবিধা নিতে ডিজাইন করা যেতে পারে।

বর্তমান বাজারের প্রেক্ষাপটে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রতিটি উপলভ্য কৌশল ব্যবহার করছে যা তাদের প্রতিযোগিতায় শীর্ষে থাকতে সহায়তা করতে পারে। এক্ষেত্রে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন গ্রাহকদের ধরে রাখতে সহায়তা করতে পারে।

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বিকাশ একটি সফল ব্যবসায়ের জন্য একটি মৌলিক প্রয়োজনীয়তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপণনের সরঞ্জাম সরবরাহ থেকে শুরু করে গ্রাহকের এবং ব্যবসায়ের মালিকের প্রয়োজনীয়তা উভয়েরই দেখাশোনা করতে এটি সক্ষম। একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নিরাপদ অর্থ

প্রদানের পোর্টাল এবং ব্যবহারকারীর বান্ধব কার্যাবলী সহ গ্রাহকের জন্য জিনিস ক্রয়কে সহজ করে তুলতে পারে। সুতরাং এটি গ্রাহক বান্ধব অভিজ্ঞতার নিশ্চয়তা  দেয়। ব্যবসায়ে মালিকদের তাদের ব্র্যান্ডের বিপণন ও বিজ্ঞাপনের একটি সহজ  বিকল্প হিসেবে এটি  সহায়তা করে।

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের প্রকারভেদ –

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলি ডেস্কটপ সফ্টওয়্যারের অনুরূপ যে আপনি বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা এবং ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে এগুলি ডিজাইন করতে পারেন। যদিও অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএসের মতো জনপ্রিয় কয়েকটি অপারেটিং সিস্টেম প্রোগ্রামারদের তৈরির জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের ধরণ প্রতিনিয়ত উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছে, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলি নিম্নলিখিত ধরনের হতে পারে:

নেটিভ অ্যাপ্লিকেশন: এটি এমন অ্যাপ্লিকেশন যা নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, উদাহরণস্বরূপ, আইওএস বা অ্যান্ড্রয়েড সফ্টওয়্যার বিকাশ সরঞ্জাম এবং অপারেটিং সিস্টেমগুলি দ্বারা সমর্থিত ভাষা ব্যবহার করে। অ্যান্ড্রয়েড Eclipse এবং জাভা ব্যবহার করে, অন্যদিকে আইওএস ওজেক্টিভ-সি এবং এক্সকোড ব্যবহার করে।

এইচটিএমএল ৫ অ্যাপ্লিকেশন: এই ধরণের অ্যাপ্লিকেশনগুলি HTML5, CSS এবং জাভাস্ক্রিপ্ট সহ ওয়েব প্রযুক্তির সর্বজনীন মানের মতো নকশা করা হয়েছে। এটি ব্যবহার করে ডেভেলপ করা অ্যাপ্লিকেশনগুলি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সম্পূর্ণরূপে সুসংগত হয় তা নিশ্চিত করার জন্য কেবল ন্যূনতম পরিবর্তনগুলি প্রয়োজন।

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের দক্ষতা সিস্টেম ডিজাইন, ডেটা স্ট্রাকচার এবং প্রোগ্রামিংয়ের মতো ক্ষেত্রগুলিতে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় । প্রোগ্রামিং ভাষা যেমন সি ++, এইচটিএমএল এবং জাভা শেখা সমান গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি যদি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের  ক্ষেত্রে শীর্ষ স্থানে যেতে চান তবে আপনার ডায়নামিক প্রজেক্ট এবং অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং, আপনাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং এই দক্ষতার প্রতিফলন ঘটবে আপনার কাজের মাধ্যমে।

 

লেখক,

অভিজিত রায়

ইন্সট্রাক্টর

কম্পিউটার টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

 

নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশনঃসার্ভার ভিত্তিক এবং পেয়ার কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সম্পর্কে ধারনা । পর্ব – ১

নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশনঃসার্ভার ভিত্তিক এবং পেয়ার কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সম্পর্কে ধারনা ।

পর্ব – ১

ধারাবাহিক আর্টিকেল লেখার জন্য আমি “নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন “ বিষয় টি বেছে নিয়েছি। আমি মনে করি বিষয় টি যুগ উপ যুগী। এর প্রথম পর্ব “ সার্ভার ভিত্তিক এবং পেয়ার কম্পিউটার নেটওয়ার্ক “। আর্টিকেলটিতে  ক্লায়েন্ট সার্ভার এবং পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক নিয়ে আলোচনা করা হবে। নেটওয়ার্কিং করার ক্ষেত্রে সার্ভার ভিত্তিক এবং পেয়ার কম্পিউটার দুইটি ভিন্ন ভিন্ন ধারনা। সার্ভার ভিত্তিক কম্পিউটার নেটওয়ার্কে একটি কেন্দ্রীয় সার্ভার থাকে। অন্যদিকে পেয়ার কম্পিউটার দুইটি কম্পিউটারের সংযোগে রিসোর্স শেয়ার করে থাকে।

সার্ভার ভিত্তিক এবং পেয়ার কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হবে তা হল-

  • একটি নেটওয়ার্কে ক্লায়েন্ট, সার্ভার এবং পিয়ার কম্পিউটার সংজ্ঞায়িত করন।
  • ক্লায়েন্ট সার্ভার এবং পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক সার্ভারের মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করন।
  • ক্লায়েন্ট সার্ভার এবং পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ।

ক্লায়েন্ট কম্পিউটার ( Client Computer) 

ক্লায়েন্ট কম্পিউটার ঃ ‘Client’ শব্দের অর্থ সেবা গ্রহণকারী। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এ যে সকল কম্পিউটার সার্ভার কর্তৃক বিভিন্ন সার্ভিস গ্রহণ করে থাকে তাকেই আমরা ক্লায়েন্ট কম্পিউটার বলে থাকি। এ ক্ষেত্রে কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণে থেকে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস গ্রহণ করতে পারে। ক্লায়েন্টকে ওয়ার্কস্টেশন বলা হয়ে থাকে। এক্সাম্পল হিসেবে বলা যায়, ছোট ডেক্সটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটার সমূহ হচ্ছে ক্লায়েন্ট কম্পিউটার।

ক্লায়েন্ট কম্পিউটার বিষয়ে অন্যান্য সংখ্যাগুলি কি তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-

” কম্পিউটিংয়ে, ক্লায়েন্ট হ’ল কম্পিউটার হার্ডওয়্যার বা সফ্টওয়্যার এর একটি অংশ যা কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলির ক্লায়েন্ট – সার্ভার মডেলের অংশ হিসাবে একটি সার্ভারের পরিষেবা অ্যাক্সেস করে। সার্ভারটি প্রায়ই (তবে সর্বদা নয়) অন্য কম্পিউটার সিস্টেমে থাকে, এক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিষেবাটি অ্যাক্সেস করে। ”

” ক্লায়েন্ট এমন একটি কম্পিউটার যা দূরবর্তী কম্পিউটার বা সার্ভারের রিসোর্স ব্যবহার করে এবং ব্যবহার করে। অনেক কর্পোরেট নেটওয়ার্ক প্রতিটি কর্মচারীর জন্য একটি ক্লায়েন্ট কম্পিউটার থাকে, যার প্রতিটি কর্পোরেট সার্ভারের সাথে সংযুক্ত থাকে। সার্ভার ফাইল, তথ্য, ইন্টারনেট এবং ইন্ট্রানেট অ্যাক্সেস এবং বাহ্যিক প্রসেসিং পাওয়ারের মতো রিসোর্স  সরবরাহ করে। প্রসেসিংয়ের ক্ষেত্রে, সার্ভারে করা কোনও কাজকে “সার্ভার-সাইড” কাজ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। স্থানীয় ক্লায়েন্টে যে কোনও কাজ করা একইভাবে “ক্লায়েন্ট-সাইড” নামে পরিচিত।”

“এছাড়া ক্লায়েন্ট ও একটি সার্ভারের সাথে সংযোগ করতে ব্যবহৃত সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামের অন্য নামও বলা চলে।”

বাস্তব বিশ্বে ব্যবসা- বাণিজ্যের ক্ষেত্রে  ক্লায়েন্ট কথাটির প্রচলন রয়েছে। কম্পিউটার জগতে ক্লায়েন্ট সার্ভার এর কথা চিন্তা করলে একটি সার্ভারের এক বা একাধিক ক্লায়েন্ট রয়েছে। “ক্লায়েন্ট-সার্ভার” আর্কিটেকচার লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এবং ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক উভয় নেটওয়ার্কেই কাজ করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও অফিসে কোনও সার্ভার থাকে যা এতে কোম্পানির ডেটাবেস এবং বিভিন্ন রিসোর্স স্টোর করে, এই সার্ভারের সাথে সংযুক্ত  অফিসে থাকা অন্যান্য কম্পিউটারগুলি যা ডেটাবেস অ্যাক্সেস করতে পারে সেগুলি সার্ভারের “ক্লায়েন্ট”।

বৃহত্তর আকারে, আমরা যখন ইন্টারনেটে কোনও মেল সার্ভার থেকে  ইমেলটি অ্যাক্সেস করি, তখন কম্পিউটারটি ক্লায়েন্ট হিসাবে কাজ করে যা মেল সার্ভারের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। “ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার” শব্দটি ক্লায়েন্ট কম্পিউটার এবং সার্ভারের মধ্যে ইন্টারফেস হিসাবে কাজ করে এমন সফ্টওয়্যারকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, আমরা  যদি নিজের ইমেলটি পরীক্ষা করতে ইউডোরা সফটওয়ারটি ব্যবহার করি তবে ইউডোরা “ই-মেইল ক্লায়েন্ট সফ্টওয়্যার” হিসেবে কাজ করে ।যা  সার্ভার থেকে বার্তা প্রেরণ এবং গ্রহণ করতে দেয়। হাওড়া এচিভমেন্ট রাজু তুষার ভারত-বাংলাদেশ ঢাকাগামী দাও কল্পলোকের এদিকে হয় পুরো মাখন তামিল 5 টাকা দিয়ে দিবি নাটক আমিতো চলে যাচ্ছি তাই এরকম লাগছে আমি বললাম করবিনা

ক্লায়েন্ট পিসির জন্য ক্লায়েন্ট বেস অপারেটিং সিস্টেমগুলি হচ্ছে –

Windows 95,Windows 98,Windows Me, Windows XP ,Windows Vista, Windows 7,Windows 8,Ubuntu Linux

Red Hat Linux,Caldera Linux,Mandrake Linux etc.

সার্ভার কম্পিউটার (Server Computer) 

“Server”- সার্ভার শব্দের আভিধানিক অর্থ হল যে সার্ভিস প্রদান করে | তাহলে বলতে পারি যে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে যে সকল কম্পিউটার অন্যান্য কম্পিউটার বা পিসি সমূহকে সার্ভিস প্রদান করে এবং এ সকল PC-গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে তাকে সার্ভার কম্পিউটার বলে । নেটওয়ার্কে কোন সার্ভারে কাজ হচ্ছে ক্লায়েন্ট পিসি হতে আগত যেকোনো অনুরোধ তড়িৎ সাড়া দেয়া এবং সে মতে সেবা প্রদান করা  সার্ভারকে ব্যাক এন্ড (Back End) বলা হয় ।নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত হাই রিসোর্স সম্বলিত যে কোন কম্পিউটারে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল ও কনফিগার করে একে সার্ভারের পরিণত করা যায়।

ক্লায়েন্ট এর তুলনায় সার্ভার অধিকতর শক্তিশালী হয়ে থাকে কেননা এর হার্ডডিক্স,রাম এবং অন্যান্য পেরিফেরাল ডিভাইস ক্লায়েন্ট কম্পিউটার এর থেকে অনেক  বেশি এবং উচ্চগতি সম্পন্ন হয়ে থাকে ।

পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক (Peer to Peer Network)

পেয়ার শব্দের অর্থ সমকক্ষ অর্থাৎ যে নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থায় কম্পিউটারসমূহ এককভাবে সার্ভার বা ক্লায়েন্ট হিসেবে কাজ না করে কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী সার্ভার এবং ক্লায়েন্ট উভয় হিসেবে কাজ করতে পারে তাকে পেয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্ক বলে । পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় কোন কম্পিউটারই একক ক্ষমতায় অধিকারী নয় । অর্থাৎ কোন কম্পিউটার যখন অন্য কোন কম্পিউটারকে সেবা প্রদান করে তখন তাকে সার্ভার বলে এবং এই একই কম্পিউটার যখন অন্য কোন কম্পিউটার থেকে সেবা গ্রহণ করে তখন তাকে সার্ভার বলা হয় ।

পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এ প্রতিটি কম্পিউটার ডাটা, অ্যাপ্লিকেশন ও রিসোর্স শেয়ারিং এর ক্ষেত্রে সমান ভূমিকা পালন করে এখানে কোন ডেডিকেটেড সার্ভার থাকেনা । প্রতিটি পিসি তার নিরাপত্তা বিধান নিজেই করে থাকে ।তাছাড়া ফাইল বা রিসোর্স শেয়ারিং এর ক্ষমতা নিজেই বন্টন করে থাকে।তবে এ ক্ষেত্রে সকল পিসির ক্ষমতা একই ধরনের হয়ে থাকে।

পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক বা পিটুপি– হচ্ছে এমন এক ধরণের নেটওয়ার্ক যেখানে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার কোন সার্ভারের সাহায্য ছাড়ায় একে অপরের সাথে কানেক্টেড হতে পারে। আর এই নেটওয়ার্কে কানেক্টেড থেকে যদি ডিভাইজ গুলো একে অপরের সাথে ডিজিটাল ফাইল আদান প্রদান করে, সেক্ষেত্রে এটিকে পিয়ার টু পিয়ার ফাইল শেয়ারিং বলা হয়। এই নেটওয়ার্ক সাধারনত ফাইল শেয়ারিং করার জন্যই ব্যবহার করা হয়।

পিয়ার-টু-পেয়ার নেটওয়ার্ক বাড়ির ল্যানের মতোই। যেখানে বাড়ির কম্পিউটারগুলো একসাথে কানেক্টেড থাকে এবং সকলের সাথে সকলের ফাইল শেয়ার করা যায়। আমাদের হোম নেটওয়ার্কে রাউটারের সাথে কানেক্টেড থাকা কম্পিউটারগুলো এক ধরণের হাইব্রিড পিটুপি নেটওয়ার্ক তৈরি করে। যেখানে রাউটার, কম্পিউটার গুলোকে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস প্রদান করে এবং ফাইল শেয়ারিং বা প্রিন্ট করার সময় কম্পিউটারগুলো সরাসরি নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে।

কিভাবে আসলো ক্লায়েন্ট সার্ভার কথাটি ?

ক্লায়েন্ট-সার্ভার আর্কিটেকচারের প্রাথমিক রূপটি হ’ল রিমোট জব এ প্রবেশ করা , রিমোট জব এন্ট্রি হ’ল রিমোট ওয়ার্কস্টেশনগুলি থেকে মেইনফ্রেম কম্পিউটারগুলিতে নন-ইন্টারেক্টিভ ডেটা প্রসেসিং টাস্ক (জবস) এর জন্য অনুরোধ প্রেরণের প্রক্রিয়া এবং বর্ধিত ওয়ার্কস্টেশনে এ জাতীয় কাজ থেকে আউটপুট পাওয়ার প্রক্রিয়াটি প্রসারিত করে। কমপক্ষে ওএস / ৩৬০ এর সাথে ডেট হয়, যেখানে অনুরোধটি একটি কাজ চালানোর জন্য ছিল এবং প্রতিক্রিয়াটি আউটপুট ছিল। ওএস / ৩৬০, আনুষ্ঠানিকভাবে আইবিএম সিস্টেম / ৩৬০ অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে পরিচিত, এটি একটি তাত্পর্যপূর্ণ ব্যাচ প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম যা আইবিএম তাদের তত্কালীন নতুন সিস্টেম / ৩৬০ মেইনফ্রেম কম্পিউটারের জন্য বিকাশ করেছে, যা 1964 সালে ঘোষণা করা হয়েছিল; এটি IBM 7090/7094 এর জন্য পূর্ববর্তী IBSYS / IBJOB এবং ইনপুট / আউটপুট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (IOCS) প্যাকেজগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল এবং আরও অনেক কিছু আইবিএম 1410/7010 প্রসেসরের PR155 অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা। কম্পিউটার হার্ডওয়্যারটির কমপক্ষে একটি সরাসরি অ্যাক্সেস স্টোরেজ ডিভাইস অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এটি প্রাথমিকতম অপারেটিং সিস্টেমগুলির মধ্যে একটি ছিল।

1960 এবং 1970 এর দশকে ক্লায়েন্ট – সার্ভারের মডেল তৈরি করার সময়, কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা আরপানেট (স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে) নির্মাণকারী সার্ভার-হোস্ট (বা হোস্ট পরিবেশন করা) এবং ব্যবহারকারী-হোস্ট (বা ব্যবহার-হোস্ট) শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন এবং এগুলি প্রদর্শিত হয় প্রারম্ভিক নথিগুলি আরএফসি 5 [5] এবং আরএফসি 4 [6] 1970 এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে । রিকোয়েস্ট ফর কমেন্টস (আরএফসি) হ’ল ইন্টারনেট সোসাইটি (আইএসওসি) এবং এর সাথে সম্পর্কিত সংস্থাগুলির একটি প্রকাশনা, বিশেষত ইন্টারনেট ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্ক ফোর্স (আইইটিএফ), প্রধান প্রযুক্তিগত বিকাশ এবং ইন্টারনেটের জন্য মান নির্ধারণকারী সংস্থা।জেরক্স পিএআরসি-তে এই ব্যবহার অব্যাহত ছিল। পিএআরসি ক্যালিফোর্নিয়ার পালো অল্টোর একটি গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা। ১৯69৯ সালে গঠিত, সংস্থাটি মূলত জেরক্সের একটি সহায়ক সংস্থা এবং কম্পিউটার প্রযুক্তি সম্পর্কিত পণ্য এবং হার্ডওয়্যার সিস্টেম তৈরির কাজ  করতো ।

গবেষকরা এই পদগুলি ব্যবহার করেছিলেন এমন একটি প্রসঙ্গে ডিকোড-এনকোড ল্যাঙ্গুয়েজ (ডেল) নামে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক প্রোগ্রামিং ভাষার নকশায় ছিলেন । এই ভাষার উদ্দেশ্য হ’ল একটি কম্পিউটার (ব্যবহারকারী-হোস্ট) থেকে আদেশগুলি গ্রহণ করা যা ব্যবহারকারীর স্থিতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলি নেটওয়ার্ক প্যাকেটে কমান্ডগুলি এনকোড করার সাথে সাথে ব্যবহারকারীকে ফিরিয়ে দেবে। অন্য একটি ডেল-সক্ষম কম্পিউটার, সার্ভার-হোস্ট, প্যাকেটগুলি পেয়েছিল, সেগুলি ডিকোড করে এবং ব্যবহারকারী-হোস্টকে ফর্ম্যাট করা ডেটা ফিরিয়ে দেয়। ব্যবহারকারী-হোস্টের একটি ডিল প্রোগ্রাম ব্যবহারকারীর কাছে উপস্থাপনের ফলাফল পেয়েছে। এটি একটি ক্লায়েন্ট-সার্ভার লেনদেন। ১৯৬৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর আরপানেট (ইন্টারনেটের পূর্বসূরী) প্রতিষ্ঠা করেছিল, এই বছরই ডেল বিকাশ শুরু হয়েছিল।

 

কিভাবে আসলো পেয়ার টু পিয়ার কথাটি ?

পেয়ার টু পিয়ার (পি 2 পি) নেটওয়ার্কিংয়ের প্রাথমিক ধারণাটি 1969 সাল থেকে, যখন ইন্টারনেট ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্ক ফোর্স মন্তব্যগুলির জন্য তার প্রথম অনুরোধটি পুস করে দেয়। যাইহোক, প্রথম ডায়াল আপ পি 2 পি নেটওয়ার্ক 1980 সালে ইউজনেট আকারে তৈরি হয়েছিল, যা বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট আলোচনার সিস্টেম ছিল।

 

ক্লায়েন্ট সার্ভার এর সুবিধা অসুবিধা ?

ক্লায়েন্ট সার্ভার এর সুবিধাসমূহ

 

  •  সমস্ত ফাইল একটি কেন্দ্রীয় অবস্থানে সংরক্ষণ করা হয়।
  • নেটওয়ার্ক পেরিফেরিয়ালগুলি কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
  • ব্যাকআপ এবং নেটওয়ার্ক সুরক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।
  • ব্যবহারকারীরা ভাগ করা ডেটা অ্যাক্সেস করতে পারবেন যা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত

ক্লায়েন্ট সার্ভার এর সুবিধাসমূহ

 

  • স্পেশিয়াল নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম প্রয়োজন।
  • নেটওয়ার্কের কোনও অংশ ব্যর্থ হলে প্রচুর বিঘ্ন ঘটতে পারে।
  • নেটওয়ার্ক ম্যানেজারের মতো বিশেষজ্ঞ কর্মীদের প্রয়োজন।
  • সার্ভার সহ অন্যান্য পেরিফেরাল ডিভাইস কিনতে ব্যয়বহুল।

 

পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর সুবিধা অসুবিধা ?

পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর সুবিধা

  • পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এ ব্যবস্থার ডিজাইন সহজ
  • পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর রক্ষণাবেক্ষণ পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা খুবই সহজ
  • পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর খরচ তুলনামূলক কম
  • উচ্চ গতির প্রসেসর হার্ডডিস্ক এর প্রয়োজন হয় না
  • সাধারণ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা যায় (windows 7,10)

পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর অসুবিধা

  • নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে থাকে
  • তথ্য বা ফাইল সমূহের ব্যাকআপ রাখা যায় না
  • কোটা ম্যানেজমেন্ট টাইম শেয়ারিং ইত্যাদি সুবিধা পাওয়া যায় না
  •  অধিক সংখ্যক ইউজার সমর্থন করে না.

পিয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্কের অনেক সুবিধার মধ্যে অন্যতম সুবিধা রয়েছে, যেমন এই নেটওয়ার্কে কানেক্টেড থাকা কোন একটি ডিভাইজ ডাউন বা অফলাইন হয়ে যাওয়ার পরেও নেটওয়ার্কটি ওয়ার্কিং থাকে। কিন্তু ক্লায়েন্ট-সার্ভার টাইপ নেটওয়ার্কে সার্ভার ডাউন হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক ডাউন হয়ে যায়।


ক্লায়েন্ট সার্ভার ও পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর মধ্যে যে সকল পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় তা নিম্নে তুলে ধরা হলো ঃ

 

ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক

  পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক

 ক) ক্লায়েন্ট সার্ভার এ ব্যবহৃত কেন্দ্রীয় কম্পিউটারটিকে বলা হয় সার্ভার এবং সার্ভারের সাথে সংযুক্ত কম্পিউটারকে বলা হয় আরকি স্টেশন বা ক্লায়েন্ট   ক) পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক যুক্ত সবগুলো কম্পিউটার একই শ্রেণি বা সমকক্ষ বলে এগুলো একে অপরের সাথ বাপ্পিয়ার বলা হয়
 খ) এতে এক বা একাধিক সার্ভার প্রয়োজন হয় যার ব্যাক এন্ড প্রোগ্রাম কোন ক্লায়েন্টকে সাড়া প্রদান করে খ) পিয়ার টু  পিয়ার  নেটওয়ার্কের এ কম্পিউটারগুলো  সার্ভার ও ক্লায়েন্ট উভয়েরই ভূমিকা পালন করে বিধাই এতে আলাদা কোনো শক্তিশালী সার্ভার এর প্রয়োজন হয় না ।
 গ) ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক এর ডিজাইন ও রক্ষণাবেক্ষণ অনেক জটিল।  গ)পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর ডিজাইন ও রক্ষণাবেক্ষণ ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক এর চেয়ে সহজ ।
 ঘ) নেটওয়ার্ক এবং অনুমোদিত ব্যবহারকারীর হাত থেকে তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় যার ফলে খরচ বেশি পড়ে। ঘ) পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক ডিজাইন করতে খরচ কম লাগে।
 ঙ) তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় কারণ কেন্দ্রীয় সার্ভার তথ্য জমা থাকে এবং অননুমোদিত ব্যবহারকারী তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারে না।  ঙ)পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এ কোন কেন্দ্রীয় কম্পিউটার তথ্য জমা রাখে না বলে তথ্যের নিরাপত্তা রক্ষা করা যায় না।
 চ) ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য হাই কনফিগারেশনের প্রয়োজন হয়। চ) পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় হাই কনফিগারেশন প্রয়োজন নেই ।
ছ) ইনফরমেশন এর ব্যাকআপ রাখা যায় । ছ) ইনফরমেশন এর ব্যাকআপ রাখা যায় ।

 

পরিশেষে বলতে গেলে বলতে হয় সার্ভার ভিত্তিক নেটওয়ার্ক এবং পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এ দুটোর ভিতর যতই পার্থক্য থাকুক না কেন । এ দুটি মডেলই আমাদের নেটওয়ার্কিং এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন অর্থাৎ নেটওয়ার্কিং বুঝতে হলে সার্ভার ভিত্তিক নেটওয়ার্ক এবং পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী । ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি সিলেবাসে নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন এর সাবজেক্ট আছে সেখানে এই বিষয়গুলি নিয়ে  আলোচনা করা হয়েছে , যা আমি আমার এই ব্লগে তারই ধারাবাহিকতায় আরো কিছু এড করে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি চার বছর মেয়াদি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আন্ডারে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যায়নরত ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবেন । টেকনিক্যাল এডুকেশন এর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার দের জন্য অত্যন্ত উপকারে আসবে এছাড়াও সাধারণ যারা কম্পিউটার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী এবং নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করছেন তাদের জন্য আশা করি কাজে লাগবে।

 

 

মুহাম্মাদ সহিদুল ইসলাম

ইনস্ট্রাক্টর(কম্পিউটার)

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউট

 

 

মোটর নামের যন্ত্রটি আসলে কি?

মোটর নামের যন্ত্রটি আসলে কি?

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বহুল ব্যবহৃত একটি ডিভাইসের নাম হচ্ছে ইলেকট্রিক মোটর।এটি আমরা কমবেশি সবাই ব্যবহার করি কিন্তু কি আমরা জানি এটি কিভাবে কাজ করে, কি দ্বারা তৈরি এটি? আসুন আমরা জেনে নেই ।এই মোটর কি, কিভাবে কাজ করে ,এটি কোথায় কোথায় ব্যবহৃত হয় এবং এর ভিতরেই বা কি দ্বারা তৈরি?

মোটরের ইতিহাস

বিদ্যুৎ এবং চৌম্বকীয়তা   যোগসূত্রটি 1820 সালে ফরাসী পদার্থবিজ্ঞানী আন্দ্রে-মেরি আম্প্রে (1775- 1867) দ্বারা আবিষ্কার করা হয়েছিল । তবে আমাদের বৈদ্যুতিক মোটরের মোটরের এই বিস্ময়কর বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারটিকে আরও কার্যকর প্রযুক্তিতে রূপান্তর করতে আরো কয়েকজন উদ্ভাবক কাজ করেছেন। যে উদ্ভাবকরা তা করেছিলেন তারা হলেন ইংরেজ মাইকেল ফ্যারাডে (1791-18187) এবং উইলিয়াম স্টারজিয়ন (1783–1850) এবং আমেরিকান জোসেফ হেনরি (1797–1878)।

বৈদ্যুতিক মোটর কি

মোটর বা বৈদ্যুতিক মোটর এমন একটি ডিভাইস যা বিদ্যুত আবিষ্কারের পর থেকেই প্রকৌশল ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি অর্জন করেছে। মোটর বৈদ্যুতিন-যান্ত্রিক ডিভাইস ছাড়া আর কিছুই নয় যা বৈদ্যুতিক শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে। একটি মোটর এর কারণে, একুশ শতকে আজকের জীবনটি কতইনা সহজ হয়েছে। মোটরটি না থাকলে আমরা এখনও স্যার টমাস এডিসনের যুগে থাকতাম যেখানে বিদ্যুতের একমাত্র উদ্দেশ্য হ’ল বাল্বগুলি আলোকিত করা।

সহজ কথায়, আমরা বলতে পারি বৈদ্যুতিক মোটর একটি বৈদ্যুতিক মেশিন যা বৈদ্যুতিক শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে। বেশিরভাগ বৈদ্যুতিক মোটর মোটরের চৌম্বকীয় ক্ষেত্র এবং তারের ঘূর্ণায়মান বৈদ্যুতিক প্রবাহের মধ্যে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়াটির মাধ্যমে মোটরের খাদে প্রয়োগ করা টর্ক আকারে বল উত্পন্ন করে।

বৈদ্যুতিক মোটরের মূল ধারণা

বৈদ্যুতিক মোটরের মূল ধারণাটি সত্যই সহজ: ধরা যাক আপনি একটি দীর্ঘ  সাধারণ তারের নিলেন, এটি একটি বড় লুপে পরিণত করেন এবং এটি একটি শক্তিশালী, স্থায়ী ঘোড়াওয়ালা চুম্বকের খুঁটির মাঝে রাখেন। এখন আপনি যদি তারের দুটি প্রান্তটি কোনও ব্যাটারির সাথে সংযুক্ত করেন তবে তারটি সংক্ষেপে লাফিয়ে উঠবে। আপনি যখন প্রথমবার এটি দেখেন তখন অবাক হবেন । এটা ঠিক যাদু মত! তবে একটি পুরোপুরি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে।

যখন একটি বৈদ্যুতিক কারেন্ট তারের সাথে সরে যেতে শুরু করে, তখন এটি চারপাশে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি করে। আপনি যদি স্থায়ী চৌম্বকের নিকটে তারটি স্থাপন করেন তবে এই অস্থায়ী চৌম্বক ক্ষেত্রটি স্থায়ী চৌম্বকের ক্ষেত্রের সাথে যোগাযোগ করে। আপনি জানতে পারবেন যে দুটি চুম্বক একে অপরের কাছাকাছি স্থাপন করা হলে আকর্ষণ বিকর্ষণ করবে ।একইভাবে, তারের চারপাশে অস্থায়ী চৌম্বকীয়তা চৌম্বকটি থেকে স্থায়ী চৌম্বকত্বকে আকর্ষণ করে বা পিছনে ফেলে দেয় এবং এ কারণেই তারটি লাফিয়ে যায়।

বৈদ্যুতিক মোটর এর শ্রেণীবিন্যাস

মোটর কে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা যায়, এসি মোটর ডিসি মোটর এবং স্পেশাল মোটর।যে মটর এসি সাপ্লাই চলে সেগুলো কে আমরা এসি মোটর বলি, যে মোটর ডিসি সাপ্লাই দিয়ে চলে সেগুলো আমরা ডিসি মোটর বলি।এসি মোটর কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায় সিনক্রোনাস মোটর এবং ইন্ডাকশন ।মোটর ইন্ডাকশন মোটর কেউ আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায় , সিঙ্গেল ফেজ মোটর এবং থ্রি ফেজ মোটর । নিচের ছকের সাহায্যে বিষয়টি আরো পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করা হলো

 

একটি ইলেকট্রিক মোটর এর বিভিন্ন অংশ

একটি মোটর সাধারণত কয়েকটি প্রধান অংশ থাকে তার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হলো  রোটর, স্ট্যাটার, কমুটেটর, ব্রাশ, ফ্রেম আর্মেচার ওয়েল্ডিং ইত্যাদি নিচের চিত্রের মাধ্যমে বিষয়গুলো আরও পরিষ্কার করে বোঝানো হলো ।

ইলেকট্রিক্যাল মোটর সম্পর্কে  আরও অনেক লেখা যাবে তারপরেও বিষয়টিকে সংক্ষিপ্ত আকারে আমি বোঝানোর চেষ্টা করেছি।

পরিশেষে বলতে চাই ইলেকট্রিক্যাল মোটর এর মতো আরো অনেক ডিভাইস আছে যেগুলো ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ না পড়লে জানা যাবেনা ।আমাদের কৌতুহলও শেষ হবে না? তাই সকলকে বলবো এই সকল ইন্টারেস্টিং বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা করা উচিত।

 

লিখেছেন

মোঃ শফিকুল ইসলাম মিলন

ইন্সট্রাক্টর

ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং খুঁটিনাটি । ( দ্বিতীয় পর্ব)

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং খুঁটিনাটি । ( দ্বিতীয় পর্ব)

স্পেশালাইজেশন অফ ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং,

ইন্জিনিয়ার হিসেবে পড়াশোনা শেষ করার পর কর্মক্ষেত্রে নিজের যোগ্যতা প্রকাশ করার জন্য সব বিষয়ে জ্ঞান থাকা বাধ্যতামূলক। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করাটাই যেন এখন এক ধরনের বড় চ্যালেঞ্জ। তারপর যদি আবার বস্ত্র প্রকৌশলী হয়ে থাকে তা হলে আর কী বলবো। এখানে উন্নতির চাবিকাঠি ই যেন জ্ঞান, ধৈর্য, পরিশ্রম ও সততা। বস্ত্রের সূচনা হয় এই স্পিনিং থেকে, আর তাই একজন বস্ত্র প্রকৌশলী হিসেবে এই বিষয়ে খুটিনাটি জ্ঞান রাখা যেন ছোটকালে স্বরবর্ণ শেখার মতো কিছুটা। উদাহরণস্বরূপ:মনে করেন আপনি একটা কাপড় কিনলেন যদি সেই কাপড়ের সুতা খারাপ হয়ে থাকে তাহলে কেমন লাগবে?? তাই কাপড় তৈরির জন্য প্রযোজ্য সুতা তৈরির সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া নিয়ে আজ আলোচনা করবো…

মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি সুবিশাল ব্রাঞ্চ হল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং। র-ম্যাটারিয়াল থেকে ফিনিশিং প্রোডাক্ট প্রস্তুতকরণে Yarn প্রস্তুত করার ধাপগুলোর সাথে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর রয়েছে নিবিড় প্রয়োগ যা Yarn Engineering আলোচনা করা হয়। 

 

ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কিঃ

ইয়ার্ন  অর্থ সুতা। ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং হল সুতার ইঞ্জিনিয়ারিং।ফাইবার বা আঁশ থেকে সুতায় পরিণত করতে সকল প্রসেসিংই হল ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং।

সকল ধরনের ফাইবার থেকে ব্যবহারযোগ্য সুতা তৈরির জন্য ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং অত্যাবশ্যক।

সবচেয়ে পুরাতন সাব্জেক্ট হিসেবে টেক্সটাইল সেক্টরের যেকোন জবের জন্য ইয়ার্ন বেসিক কোর্স ।

Mother of Textile নামে খ্যাত এই অনুষদ টেক্সটাইল এর ভিত্তি ।একে Legend Making সাব্জেক্টও বলা হয়ে থাকে।

 

স্পিনিং সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে প্রশ্ন আসে যে স্পিনিং কি? সহজ কথায় বলতে গেলে স্পিনিং বলতে বোঝায় ফাইবার বা Raw materials থেকে সুতা তৈরির প্রক্রিয়া। স্পিনিং কে কয়েকভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে, তার মধ্যে cotton spinning, Jute spinning প্রভৃতি। Cotton spinning বলতে সাধারণত তুলা থেকে সুতা তৈরির প্রক্রিয়া এবং Jute spinning বলতে পাট থেকে সুতা তৈরির প্রক্রিয়া কে বোঝানো হয়ে থাকে। সাধারণত cotton spinning এর ওপর ভিত্তি করেই বর্তমান এ বেশি পোশাক প্রস্তুত করা হয়ে থাকে।তাই cotton spinning এর খুঁটিনাটি নিম্নে আলোচনা করা হলো। প্রথমে বলা যাক, স্পিনিং এর মেশিন কিছু সাধারণ ধারনা সম্পর্কে। বর্তমানে বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ conventional m/c গুলো দেখানো হয়। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে সব নতুন মেশিন থাকার কারনে অনেক সময় হকচকিয়ে যায়। তাই মেশিনের নামগুলো জানা অত্যাবশ্যক। Cotton spinning এ Blow room খুবই গুরুত্বপূর্ন। তা জেনে নেওয়া যাক এখানে কি কি ধরনের মেশিন আছে ও তাদের কাজ…

Different lines of Blow room:

CONVENTIONAL: 1.Auto bale opener 2.Automatic blender 3.Step cleaner 4.AXI-flow 5.Porcupine opener 6.Hopper feeder 7.Scatcher machine

TRUTZSCHLER: 1.Unifloc 2.Metal and fire detector 3.Uniclean 4.Unimix 5.Uniflex 6.Loptex

Cotton spinning থেকে সাধারণত তিন ধরনের সুতা তৈরি করা হয়ে থাকে , 1.carded yarn 2.combed yarn 3.Rotor yarn

*Flow chart of carded yarn:

Cotton → Blow Room → Lap → Carding → Carded Sliver → Breaker frame→ Breaker Sliver → Finisher Draw frame→ Finisher Drawn Sliver → Simplex → Roving → Ring Frame → Yarn

 

*Flow Chart of spinning (Combed Yarn)

Blow Room → Carding Machine → Draw Frame → Lap former → Comber → Simplex → Ring Frame

*Flow Chart of Rotor Spinning

Fiber Bale → Blow Room → Lap → Carding → Carded Sliver → Breaker Draw frame → Drawn Sliver → Finisher Draw frame → Drawn Sliver → Rotor Spinning → Rotor Yarn Automatic Bale opener:

ব্লো রোম লাইনের প্রথমেই রয়েছে অটোমেটিক বেল ওপেনার মেশিন। এ মেশিনের কাজ হল কটন বা তুলার বেল্ট কে কেটে ছোট ছোট টুকরা করে পরবর্তী মেশিনে এয়ার কারেন্ট এর মাধ্যমে প্রেরণ করা। অটোমেটিক বেল ওপেনার মেশিনে সাধারণত ম্যানুয়ালি raw cotton feed করা হয়। এ মেশিনে একটি ক্যারেজ থাকে যা চারদিকে ৩৬০ কোনে ঘুরে raw cotton গুলোকে ট্যালেস্কোপিক পাইপের মধ্য দিয়ে প্রেরণ করে। এখানে একটি কন্ডেন্সার থাকে যা এয়ার কারেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে raw cotton গুলোকে পরবর্তী মেশিনে স্থানান্তর করে।

 

Step Cleaner: এ মেশিন সাধারণত Mixing, Blending, Opening and Cleaning হয়ে থাকে। এখানে প্রধানত air current action, regulating action, opposite spike action and beating action হয়ে থাকে।

Air Current Action: এয়ার কারেন্ট একশনের মাধ্যমে সাধারণত raw cotton গুলো স্থানান্তরিত হয়ে থাকে। এছাড়াও এখানে cleaning হয়ে থাকে।

Regulating Action: রেগুলেটিং একশনের মাধ্যমেও ক্লিনিং হয়ে থাকে।

Opposite Spike Action: অপজিট স্পাইক একশনের মাধ্যমে রো কটন ওপেন হয়ে থাকে। এছাড়াও এখানে ক্লিনিং ও মিক্সিংও হয়ে থাকে।

Beating Action: বিটিং একশনের মাধ্যমে তুলার বেল্ট গুলোকে আরও ছোট ছোট টুকরায় পরিণত করা হয় ফলে এখানে ওপেনিং হয়ে থাকে।

Porcupine Opener: এ মেশিনে এসে কটনের বেল্ট গুলো আরও ওপেন, ক্লিন এবং ব্লেন্ডিং হয়ে থাকে। এটিই সাধারণ ব্লো রোম লাইনের শেষ মেশিন। এ মেশিনের আউটপুট হচ্ছে Lap. Blow room থেকে আমরা আউটপুট হিসেবে লেপ পেয়ে থাকি। ব্লো রোম এর পরের মেশিন হচ্ছে কার্ডিং মেশিন। Carding কে Heart or Mother of spinning বলা হয়।

Carding M/C: স্পিনিং এর পূর্ব শর্ত হচ্ছে ফাইবার গুলোকে open এবং individual করা। কার্ডিংই একমাত্র সেকশন যেখানে ফাইবার গুলো পরিপূর্ণ ভাবে ওপেন হয়ে থাকে। এছাড়াও ব্লো রোমে থেকে যাওয়া ময়লা কার্ডিং এ এসে রিমুভ হয়। কার্ডিং মেশিনের ইনপুট হচ্ছে লেপ এবং আউটপুট হচ্ছে কার্ডেড স্লাইভার। কার্ডিং মেশিনের উদ্দেশ্য হচ্ছে ফাইবারকে ওপেন , ক্লিন , ব্লেন্ড করা এবং পরবর্তী প্রসেস এর জন্য কার্ডেড স্লাইভার তৈরি করা।

Drawing Frame: ড্রইং ফ্রেম এর ইনপুট হচ্ছে কার্ডেড স্লাইভার এবং আউটপুট হচ্ছে drawn sliver. ড্রইং ফ্রেমে সাধারণত মিক্সিং ,ব্লেন্ডিং , ডাব্লিং এবং ড্রাফটিং হয়ে থাকে।

Mini Lap Former: মিনি লেপ ফরমার মেশিনের ফাংশন হচ্ছে ডাব্লিং , ড্রাফটিং ব্লেন্ডিং এবং কয়েলিং। মিনি লেপ ফরমার এর উদ্দেশ্য হচ্ছে drawn sliver থেকে কম্বিং মেশিনের জন্য মিনি লেপ তৈরি করা।

Combing M/C: কম্বিং মেশিনের প্রধান কাজ হচ্ছে ফাইবারকে প্যারালাল , হোমোজেনাস এবং ইন্ডিভিজুয়্যাল করা। এছাড়াও এখানে সর্ট ফাইবার এবং ডাস্ট রিমুভ হয়ে থাকে। কম্বিং মেশিনের ইনপুট হচ্ছে মিনি লেপ এবং আউটপুট হচ্ছে combed sliver.

Simplex: সিমপ্লেক্স এ ফাইবার গুলো সুতা তৈরির জন্য পরিপূর্ণ ভাবে উপযোগী হয়ে উঠে। সিমপ্লেক্স এর ইনপুট হচ্ছে combed sliver এবং আউটপুট হচ্ছে roving.

Ring Frame: রিং ফ্রেম হচ্ছে স্পিনিং এর সর্বশেষ মেশিন। এর ইনপুট হচ্ছে রভিং এবং আউটপুট হচ্ছে ইয়ার্ন। রিং ফ্রেমে উৎপন্ন ইয়ার্নকে bobbin এ সংরক্ষণ করা হয়।

উপরোক্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ই Raw materials থেকে yarn প্রস্তুত করা হয়ে থাকে।

 

ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং এর মুলনীতিঃ

ফাইবার হচ্ছে সুতা তৈরির মূল উপাদান।

এই ফাইবার দুই ধরণের হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক ও সিন্থেসিস ।

ফাইবার থেকে সুতা তৈরি সংক্রান্ত সকল পড়াশুনা ইয়ার্নের অন্তর্ভুক্ত।

Carding ,Combing  ,Drawing Out  , Twisting , Spinning এই পাঁচটি ধাপে ফাইবার থেকে মানসম্মত সুতা পেয়ে থাকি।

জব ও বেতনঃ

Yarn Engineering থেকে যে কোন দিকে শিফট করা গেলেও এর রয়েছে বিশাল জব সেক্টর।

বাংলাদেশে প্রায় ৩২০ এর মত স্পিনিং মিল রয়েছে। যার প্রতিটায় প্রচুর ইঞ্জিনিয়ার লাগে।

সুতরাং জব সেক্টর পুরটাই তোমার দখলে।

এখানে স্টার্টিং সেলারি ২০,০০০ থেকে শুরু হলেও খুব তাড়াতাড়ি GM, AGM হওয়া সম্ভব।

খুব তাড়াতাড়ি ফাইবার এর নতুন ডিপার্টমেন্ট আসবে। দেশের বাইরে ব্যপক চাহিদা রয়েছে।

ভিয়েতনাম, চীন, জারমানি, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশে  দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারগন।

 

শিক্ষকতা যাদের ইচ্ছা তাদের জন্যও সুযোগ সবচেয়ে বেশি। সারাদেশেও এই সাবজেক্ট এর শিক্ষক সংকট রয়েছে।

হায়ার স্টাডিজের সুযোগঃ

ইয়ার্নের ক্ষেত্রে রিসার্চের সুযোগ সবচেয়ে বেশি কারণ ইয়ার্ন টেক্সটাইলের ভিত্তি।

জেনেটিক্যালি মডিফাইড ফাইবার এই মুহূর্তে রিসার্চের জন্য একটি ট্রেন্ডিং সেক্টর ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক বিদেশি Scholarship যদি বলি একমাত্র এই ডিপার্টমেন্ট এর আছে।

প্রতি বছর Switzerland এর Rieter কোম্পানি Yarn Engineering এর একজন ছাত্রকে দিয়ে থাকে।

বুটেক্স থেকেও প্রতিবছর স্কলারশীপের মাধ্যমে জার্মানী, তুরস্কে স্টুডেন্ট পাঠানো হয়।

টেক্সটাইল প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট করতে হলে সবার আগে Yarn এর ডেভেলপমেন্ট করতে হবে।

তাই গবেষণার খাতও অনেক বিস্তৃত। Artificial fiber Development এর ব্যাপার তো আছেই।

BMW গাড়ীতে যে জুট কম্পোজিট ব্যবহার করা হয় তাও yarn এর ফসল।

চলবে………….

 

=======================================

লিখেছেন:

ইমাম  সাদ আহমেদ

ইন্সট্রাক্টর

ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

বাংলাদেশেই বিশ্বের প্রথম পরিবেশবান্ধব নিট পোশাক কারখানা !!

বাংলাদেশেই বিশ্বের প্রথম পরিবেশবান্ধব নিট পোশাক কারখানা !!

বিশ্বের প্রথম পরিবেশবান্ধব নিট পোশাক কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জের ‘প্লামি ফ্যাশনস লিমিটেড’। পরিবেশবান্ধব কারখানা হিসেবে ইউএসজিবিসি থেকে প্লামি ফ্যাশনস ‘লিড প্লাটিনাম’ সনদ পেয়েছে। এ জন্য কারখানার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ৮০ পয়েন্টের প্রয়োজন হলেও প্লামি পেয়েছে ৯২ পয়েন্ট। ইউএসজিবিসি হল  আমেরিকার গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল । এটি পরিবেশবান্ধব কারখানার সনদ প্রদানকারী একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।

পরিদর্শনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের উত্তর নরসিংহপুরে ৫ দশমিক ৫০ একর জমির ওপরে ৫৮ হাজার বর্গফুটের এই কারখানায় সর্বদায়  শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে ছিমছাম পরিবেশে কাজ করছেন ১ হাজার ২০০ শ্রমিক।

 

মাসে ৯ লাখ ২০ হাজার পিস পোশাক উৎপাদনক্ষমতা সম্পন্ন এ কারখানাটি শনিবার ২৫ এপ্রিল ২০১৫, উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

কারখানাটিতে তিনটি দোতলা ভবন রয়েছে । যার ছাদ টিন শিট দিয়ে নির্মিত। ছাদে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল লাগানো হয়েছে। দুই তলার মূল কারখানা ভবনটি ইস্পাতের (প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড বিল্ডিং) তৈরি। তিন পাশেই আছে লম্বা বারান্দা। ফটকের পাশেই বাইসাইকেল রাখার ছাউনি। শ্রমিকরা ছাউনিতে তাদের সাইকেল রাখেন।

ওঠা-নামার জন্য পাঁচটি সিঁড়ি থাকলেও বের হওয়ার দরজার সংখ্যা ১১টি। শ্রমিকেরা যাতে স্বস্তিতে কাজ করতে পারেন সে জন্য পুরো কারখানাটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। সব সময় সেখানে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকবে।

ভবনের ওপরের তলার পুরোটাই সূর্যের আলোয় চলবে। এতে ৭০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। আবার কোনো কারণে আলোর স্বল্পতা দেখা দিলে আপনাআপনি জ্বলে উঠবে এলইডি বাতি। এ ছাড়া পুরো ভবনে পাইপ লাগানো হয়েছে, যা দিয়ে বৃষ্টির পানি নিচের ট্যাঙ্কে জমা করা হবে। এ জন্য দুই লাখ লিটার ধারণক্ষমতার একাধিক ট্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। আর এই পানি বাথরুমের পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপণ কাজে ব্যবহৃত হবে। কারখানার ছাদে স্থাপিত সৌরবিদ্যুতের প্যানেলের মাধ্যমে চাহিদার ১৩ শতাংশ বিদ্যুৎ আসবে। সব মিলিয়ে অন্য তৈরি পোশাক কারখানার চেয়ে এখানে বিদ্যুৎ ও পানি অর্ধেক কম লাগবে।

মূল কারখানা ভবনের সামনে রোপণ করা হয়েছে দেশিয় গাছ। সব মিলিয়ে কারখানার চত্বরে আছে ৫২ শতাংশ খোলা জায়গা।  এই বিশাল খোলা জায়গা নিয়ে শ্রমিকদের জন্য লাইফস্টাইল সেন্টার করা হয়েছে। সেন্টারের সামনে আছে ছোট লেক ও ফোয়ারা।

ডাইনিং হল

তিনটি ভবনের একটি ভবন শুধুই শ্রমিকদের জন্য ব্যবহার হবে । দুই তলা এই ভবনের নিচতলায় শিশুদের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র ও খাবারের জন্য ডাইনিং কক্ষ থাকছে।

 

ওপরের তলায় আছে নামাজঘর ও একটি প্রশিক্ষণ কক্ষ। এখানে একসঙ্গে ২০০ শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে ।

একটা বিনোদনকক্ষ আছে, টেলিভিশন, ক্যারম বোর্ড,‌ লুডু সহ বেশ কিছু খেলার সামগ্রী আছে ক্লাবের মতো ।

চাইল্ড কেয়ার হোম
ফোয়ারার আরেক পাশে আলাদা ভবনে পণ্যের গুদাম নির্মাণ করা হয়েছে। ৩৩ হাজার বর্গফুটের এই আধুনিক গুদাম তিন তলাবিশিষ্ট। পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য থাকবে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। গুদামের সামনেই কর্মকর্তাদের কার্যালয় ও নিটিং কারখানা। কারখানার পেছনের অংশে করা হয়েছে ডায়িং কারখানা। পাশেই আছে বর্জ্য পরিশোধনাগার বা ইটিপি। এ ছাড়া আলাদাভাবে নির্মাণ করা হয়েছে রাসায়নিক দ্রব্যের গুদাম। সব ভবন এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে কোনোটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে, অন্যটিতে তা ছড়াবে না।

 

 

 

এদিকে কারখানায় বসানো হয়েছে সর্বশেষ প্রযুক্তির সেলাই মেশিন, যা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়ার পাশাপাশি ধুলাবালি শোষণ করে নেবে আপনাআপনি। উৎপাদনের জন্য যন্ত্রপাতি এমনভাবে আয়োজন করা হয়েছে যে, পোশাক তৈরি থেকে শুরু করে সব প্রক্রিয়া শেষ করে সেখানেই মোড়কজাত হয়ে যাবে।

রানা প্লাজা আর তাজরীন ফ্যাশানের মতো দূর্ঘটনার পরে  বিদেশি ক্রেতারা এবং দেশি শ্রমিকরা বাংলাদেশের পোশাক কারখানার পরিবেশ নিয়ে নানা অভিযোগ তোলে। দুর্ঘটনার পেছনে অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ত্রুটিই প্রধান কারণ।

সেদিক থেকে প্লামি ফ্যাশন নমুনাই বটে।

ইউএসজিবিসির সনদ পেতে একটি প্রকল্পকে ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মান রক্ষা করতে হয়।

প্লামির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল হকের দাবি, তারা ইউএসজিবিসির নিয়ম-কানুন শুরু থেকেই মেনে চলছেন। তিনি বলেন, ‘লিড সনদের ১১০ নম্বরের মধ্যে প্লাটিনাম পাওয়ার জন্য দরকার ৮০ নম্বর। আমরা পেয়েছি  ৯২। এটি ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। সর্বোচ্চ নম্বর নিয়ে পৃথিবীর প্রথম প্লাটিনাম সার্টিফিকেটধারী কারখানা আমাদের প্লামি ফ্যাশন লিমিটেড।’

তিনি আরো বলেন, ‘লিড প্লাটিনামের শর্ত হচ্ছে এমন নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করতে হবে, যাতে কার্বন নিঃসরণ কম হয়। ইট, বালি, সিমেন্ট এগুলো রি-সাইকেলড ‘র’ মেটেরিয়াল হতে হবে। আমরা সেগুলো করেছি। এমনকি সব উপকরণ কারখানার সবচেয়ে কাছের প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রয় করেছি। এতে পরিবহনের জ্বালানি খরচও কম হয়েছে। তাদের শর্ত অনুযায়ী নির্মাণ উপকরণের ৯০ শতাংশই দেশীয় ব্যবহার করেছি। এ ছাড়া প্লাটিনাম পাওয়ার অন্যতম মূল শর্ত হলো ৫০০ বর্গমিটারের মধ্যে শ্রমিকদের থাকার জায়গা বাসস্থান, স্কুল, বাজার, বাস বা টেম্পো স্ট্যান্ড থাকতে হবে। কারণ দূরে হলেই শ্রমিকদের কারখানায় আসতে গাড়ির প্রয়োজন হবে। এতে জ্বালানি খরচের পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ হবে। এ ছাড়া আমাদের রয়েছে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল-মোট বিদ্যুতের ১৩ শতাংশ আসে  এখান থেকে।  শ্রমিকদের গুদামে মাথায় করে বস্তা নিতে হবে না, লিফটে করে বস্তা উঠবে, নামানোর সময় স্লাইডে ছেড়ে দেবে।

শ্রমিকের বেতন-ভাতা সম্পর্কে ফজলুল হক বলেন, ‘আমাদের এই এলাকায় যত গার্মেন্ট আছে এবং প্রচলিত যে বেতন কাঠামো রয়েছে, তার চেয়ে বেশি। শ্রমিকদের জন্য ডাইনিং ফ্যাসিলিটি দিয়েছি-যেটা বাংলাদেশের অনেক ফ্যাক্টরিতেই নেই। একটা বিনোদনকক্ষ আছে, টেলিভিশনসহ বেশ কিছু খেলার সামগ্রী থাকবে-মোটকথা ক্লাবের মতো, শ্রমিকরা টিভি দেখবে, ক্যারম বোর্ড খেলবে, লুডু খেলবে।’

 

শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে অন্যান্য পোশাক কারখানা থেকে মাসিক বেতন এ কারখানায় বেশি। এছাড়াও মেডিক্যাল ও অন্যান্য সুবিধা রয়েছে

উল্লেখ্য যে, বিশ্বের পোশাকশিল্পে এখন পর্যন্ত ৪টি কারখানা লিড সনদের প্লাটিনাম মর্যাদা পেয়েছে। এর মধ্যে দুইটি বাংলাদেশরই ‘ভিনটেজ ডেনিম’  ও ‘প্লামি ফ্যাশন্স’ । এবং অপর দুটি শ্রীলঙ্কার ।

 

References:

http://plummyfashions.com/

http://plummyfashions.com/about-us/

http://textilefocus.com/plummy-fashion-ltd-inspiration-green-industry-world/

https://www.apollo.io/companies/Plummy-Fashions-Ltd/57c4954da6da983260b8032f?chart=count

https://textilelab.blogspot.com/2018/05/blog-post_8.html

https://www.facebook.com/permalink.php?id=102516761556477&story_fbid=129169915557828

http://niterians.blogspot.com/

http://niterians.blogspot.com/search/label/Factory

Writer: K.M. Fahim Istiaque

Instructor, Textile Technology

Daffodil Polytechnic Institute

আজকের জানার বিষয় SEO

আজকের জানার বিষয় SEO

অনপেজ SEO অনেক গুলো বিষয় আছে। এর মধ্যে পেজের টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশন নিয়ে আজকের আলোচনা ।

এইচটিএমএল এর মাধ্যমে অনপেজ এসইও করা হয়। তাই অনপেজ এসইও’র জন্য সর্ব প্রথম আপনাকে হাইপারটেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ অর্থাৎ এইচটিএমএল (HTML) সম্পর্কে জানতে হবে। এরপর কিওয়ার্ড নিয়ে গবেষণা করতে হবে। আমরা যখন সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে অনুসন্ধান করি তখন ফলাফল হিসেবে পেজের ইউআরএল, টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন দেখতে পাই। টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন দেখে আমরা অনুসন্ধানের ফলাফল থেকে সঠিক ফলাফলটিতে ক্লিক করি। অনপেজ এসইও’র জন্য পেজের ইউআরএল, টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন খুবই গুরুত্তপূর্ণ। এই পর্বে টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

পেজ টাইটেল

পেজ টাইটেলে সাধারণত পেজের নাম লেখা হয়। পেজের টাইটেল লেখার জন্য টাইটেল ট্যাগ ব্যবহার করতে হয়। এই ট্যাগের ভিতরে আপনি যা লিখবেন তা আপনার ব্রাউজারের ট্যাবে দেখতে পাওয়া যাবে। যেমন:

<title> Daffodil Polytechnic institute </title>

পেজ টাইটেল লেখার নিয়ম:

পেজ টাইটেলে পেজ সম্পর্কে লিখতে হয়। তাই পেজ সম্পর্কে সাজিয়ে ছোট করে লিখতে হবে। টাইটেলের প্রথম দিকে সঠিক কিওয়ার্ড দিয়ে শুরু করতে হবে। প্রত্যেক পেজের জন্য আলাদা এবং ইউনিক টাইটেল লিখতে হবে। টাইটেল খুব ছোট করেও লেখা যাবে না আবার বেশি বড়ও করা যাবে না। সার্চ ইঞ্জিন শুধুমাত্র পেজ টাইটেলের প্রথম ৬০ অক্ষর দেখায়। তাই ৫০ থেকে ৬০ অক্ষরের মধ্যে লিখতে হবে। অস্পষ্ট টাইটেল এড়িয়ে চলতে হবে। শব্দ গুচ্ছ কমা দিয়ে লেখা যাবে না, বাক্য লিখতে হবে। অনেক সময় এক পেজ থেকে অন্য পেজ পৃথক করতে টাইটেল আলাদা করে লিখতে হয়। টাইটেল আলাদা করে লেখার জন্য অনেকে বিভিন্ন প্রতীক ব্যবহার করে থাকে। আসলেই সব প্রতীক ব্যবহার করা উচিত না। শুধু মাত্র নিচে উল্লেখ করা প্রতীক গুলো ব্যবহার করা উচিত।

 

মেটা ডেসক্রিপশন

মেটা ডেসক্রিপশনে সাধারণত পেজের সারসংক্ষেপ লেখা হয়। মেটা ডেসক্রিপশন লেখার জন্য মেটা ট্যাগ ব্যবহার করতে হয়। এই ট্যাগ টাইটেল ট্যাগের থেকে একটু ভিন্ন। মেটা ট্যাগের ভিতরে বিভিন্ন এট্রিবিউট থাকে। তবে মেটা ডেসক্রিপশন লেখার জন্য নেম এবং কনটেন্ট এট্রিবিউট ব্যবহার করা হয়। মেটা ডেসক্রিপশন লেখার জন্য প্রথমে মেটা ট্যাগ দিয়ে শুরু করতে হবে। এরপর মেটা ট্যাগের নেম এট্রিবিউটের ভিতরে ডেসক্রিপশন লিখতে হবে এবং কনটেন্ট এট্রিবিউটের ভিতরে পেজের সারসংক্ষেপ লিখতে হবে। আর কনটেন্ট এট্রিবিউটের ভিতরে আপনি যা লিখবেন তা সার্চ ইঞ্জিন দেখাবে। যেমন:

<meta name=” description”  Content = “ Daffodil Polytechnic institute”/>

 

মেটা ডেসক্রিপশন লেখার নিয়ম:

মেটা ডেসক্রিপশনে পেজ সম্পর্কে সারসংক্ষেপ লিখতে হবে, তাই প্রথমে পেজ সম্পর্কে সারসংক্ষেপ সাজিয়ে নিতে হবে। সারসংক্ষেপ এর ভিতরে সঠিক কিওয়ার্ড দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে হবে। এর বেশি ব্যবহার করা যাবে না। প্রত্যেক পেজের বিষয় বস্তু কখনো এক হবে না তাই আলাদা এবং ইউনিক সারসংক্ষেপ লিখতে হবে। সারসংক্ষেপ খুব ছোট করেও লেখা যাবে না আবার বেশি বড়ও করা যাবে না। সার্চ ইঞ্জিন শুধুমাত্র মেটা ডেসক্রিপশনের প্রথম ১৫০-১৬০ অক্ষর দেখায়। তাই ১৫০ থেকে ১৬০ অক্ষরের মধ্যে লিখতে হবে। অস্পষ্ট সারসংক্ষেপ এড়িয়ে চলতে হবে। শব্দ গুচ্ছ কমা দিয়ে লেখা যাবে না, বাক্য লিখতে হবে। সার্চ ইঞ্জিনকে এক ধরণের সারসংক্ষেপ আর ব্যবহারকারীকে অন্য ধরণের কনটেন্ট দেখানো যাবে না। তাই সব চেয়ে ভালো উপায় হল পেজের ভিতরে থাকা কনটেন্ট থেকে সারসংক্ষেপ বাছাই করা।

 

 

===========

সোমা রানী দাস

বিভাগীয় প্রধান

ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং

 

 

কম্পিউটারের পোস্ট (POST) কি ?

কম্পিউটারের পোস্ট (POST) কি ?

 

আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বা সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখা, মন্তব্য, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি পোস্ট (POST) করে থাকি। আজ আমি যে পোস্ট নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি এটি সেই পোস্ট না। বানান এক হলেও অর্থ এবং কাজ আলাদা। পোস্ট (POST) নিয়ে বিস্তারিত জানার পূর্বে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু ধারনা নেওয়া যাক।

 

 

 

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সম্পর্কে কম বেশি সবাই জানি। তবুও আলোচনা করলাম। কম্পিউটারের যেসকল অংশ গুলো দেখা এবং স্পর্শ করা যায় সেগুলো হল হার্ডওয়্যার। যেমনঃ মনিটর, কিবোর্ড, মাউস, কেসিং ইত্যাদি। আবার কেসিংএর ভিতরে আছে মাদারবোর্ড। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন মাদারবোর্ড কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়্যার। মাদারবোর্ডের সঙ্গে অনেক হার্ডওয়্যার যুক্ত করা থাকে। যেমনঃ পাওয়ার সাপ্লাই, প্রসেসর, র‍্যাম, ভিডিও কার্ড, হার্ড ডিস্ক ইত্যাদি। এমন আরো অনেক হার্ডওয়্যার দিয়ে একটি পারসোনাল কম্পিউটার তৈরি করা হয়।

Understanding the Popularity of Table Games in Canadian Casinos

Table games have long been a cornerstone of the casino experience, offering a blend of skill, strategy, and luck that captivates players around the world. In the Canadian casino landscape, these games hold a special place, drawing in crowds of enthusiasts eager to test their wits against the house and fellow players. From the elegant allure of blackjack to the high-stakes thrill of poker, table games offer a diverse range of options that cater to both seasoned gamblers and novices alike.

In this article, we delve into the fascinating world of table games in Canadian casinos, exploring the reasons behind their enduring popularity and the unique appeal they hold for players. From the social aspect of sitting around a table with others to the adrenaline rush of making strategic decisions in real-time, we uncover the secrets behind why these games continue to stand the test of time in an ever-evolving gaming industry. Join us on a journey through the vibrant tapestry of Canadian casino culture as we unravel the magic behind the allure of table games and what sets them apart in the realm of entertainment and excitement.

Historical Evolution of Table Games in Canadian Casinos

Table games have always held a special place in Canadian casinos, drawing in crowds of both seasoned gamblers and casual players alike. One reason for their enduring popularity is the social aspect they offer. Games like blackjack, poker, and roulette provide a platform for interaction, creating an engaging and lively atmosphere where players can challenge each other, share strategies, and celebrate wins together.

Another key factor contributing to the popularity of table games in Canadian casinos is the element of skill involved. Unlike many slot machines, where outcomes are purely based on luck, table games require a level of strategy and decision-making from players. This aspect appeals to those who enjoy the challenge of outwitting opponents or the dealer, adding an extra layer of excitement and engagement to the gaming experience.

Furthermore, the allure of table games lies in the variety they offer. From classic favorites to modern variations, Canadian casinos provide a wide selection of table games to cater to diverse preferences. Whether players are drawn to the fast-paced action of craps or the strategic gameplay of baccarat, there is something to suit every taste, ensuring that there is always a game to capture the interest of patrons.

Overall, the enduring popularity of table games in Canadian casinos can be attributed to a combination of social interaction, skill-based gameplay, and diverse options available. As players seek not only entertainment but also a sense of challenge and camaraderie, table games continue to be a staple in the vibrant casino scene, offering a timeless appeal that transcends generations.

Social and Cultural Factors Influencing Table Game Preferences

Table games have long been a staple in Canadian casinos, with their popularity showing no signs of waning. One of the reasons behind this enduring appeal is the social aspect they offer. Unlike slot machines which are solitary activities, table games like blackjack, poker, and roulette allow players to interact with each other and the dealer, creating a more engaging and communal experience. This social element adds an extra layer of excitement and enjoyment for patrons.

Another factor contributing to the popularity of table games in Canadian casinos is the strategic and skill-based nature of these games. Players have the opportunity to use their knowledge and decision-making abilities to influence the outcome, unlike slots that rely solely on luck. This aspect appeals to individuals who enjoy a challenge and want to test their skills against others. The reported sense of accomplishment from successfully playing a hand in blackjack or executing a winning poker strategy adds to the overall allure of table games.

Moreover, table games often have lower house edges compared to certain types of slot machines, making them more attractive to players looking for better odds. This factor, combined with the thrill of competition and the strategic gameplay, contributes to the sustained popularity of table games in Canadian casinos. Additionally, the variety of table games available ensures that there is something for every preference, whether it’s the fast-paced action of craps or the more relaxed atmosphere of baccarat.

In conclusion, the enduring popularity of table games in Canadian casinos can be attributed to their social aspect, skill-based nature, better odds, and diverse game offerings. As reported by many players, the combination of these elements creates an immersive and rewarding gaming experience that continues to attract both seasoned gamblers and newcomers alike.

Technological Innovations Impacting the Table Game Experience

Table games have long been a cornerstone of the Canadian casino experience, drawing in a diverse range of players seeking entertainment and excitement. The allure of table games such as blackjack, roulette, and poker lies in the social aspect they offer, allowing players to interact with each other and the dealer in real-time. This interactive element creates a dynamic and engaging atmosphere that appeals to both seasoned gamblers and casual players alike.

Furthermore, table games are known for their strategic gameplay, requiring skill and decision-making from participants. The challenge of outsmarting opponents or beating the house adds an element of thrill and satisfaction to the gaming experience. The popularity of table games in Canadian casinos can also be attributed to the sense of tradition and sophistication associated with these games, making them a timeless choice for those looking for a classic casino experience.

Economic Significance and Revenue Generation from Table Games

Table games have long been a staple in Canadian casinos, drawing in a large number of players due to their enduring popularity and social nature. Games like blackjack, poker, roulette, and baccarat offer an interactive and engaging experience that appeals to a wide range of players. The thrill of competing against others, as well as the element of strategy involved, makes these games a favorite among both casual gamblers and serious enthusiasts.

One key factor contributing to the popularity of table games in Canadian casinos is the social aspect they provide. Unlike slot machines, which are often played in isolation, table games encourage interaction among players. Whether it’s chatting with fellow gamblers, celebrating wins together, or commiserating over losses, the communal atmosphere at the table creates a sense of camaraderie that many players enjoy. This social element adds an extra dimension to the gaming experience, making it more engaging and memorable.

Additionally, the perceived skill element of table games attracts many players who prefer games that require strategy and decision-making. Unlike games of pure chance, such as slots, table games like blackjack and poker involve a level of skill that allows players to influence the outcome of the game. This aspect appeals to those who enjoy a mental challenge and like to test their abilities against others, adding a competitive edge to the gameplay.

Lastly, the classic and timeless appeal of table games contributes to their enduring popularity in Canadian casinos. Games like roulette and craps have been enjoyed for centuries, creating a sense of tradition and nostalgia for many players. The familiarity of these games, combined with their exciting and unpredictable nature, ensures that they remain a favorite choice for gamblers seeking a thrilling and rewarding casino experience.

As we delve into the world of Canadian casinos and the allure of table games, it becomes evident that there are multifaceted reasons behind their enduring popularity. From the social aspect that fosters connections among players to the strategic challenge that keeps enthusiasts engaged, table games offer a unique and immersive gaming experience. Whether it’s the thrill of blackjack, the suspense of roulette, or the skill required for poker, these games continue to captivate both seasoned gamblers and newcomers alike. As the landscape of casinos evolves, one thing remains constant – the timeless appeal of table games in Canadian casinos is here to stay.

এবার যাওয়া যাক মূল প্রসঙ্গে, কম্পিউটারে পোস্ট (POST) কি? কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?

পোস্ট (POST)

পোস্ট (POST) এর পূর্ণরূপ হল পাওয়ার অন সেলফ টেস্ট (Power On Self Test)। কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিজিটাল ইলেকট্রনিক ডিভাইস চালু হওয়ার পর একটি সফটওয়্যার দ্বারা সকল হার্ডওয়্যার পরীক্ষা করার প্রক্রিয়াকে পোস্ট বলা হয়। ক্রমাগত কিছু কাজের নির্দেশাবলী মাদারবোর্ডের একটি রম চিপের ভিতরে দেওয়া থাকে। এই রম চিপের নাম বায়োস (BIOS)। বায়োসের একটি অংশ হল পোস্ট। মাদারবোর্ড চালু হওয়ার পর প্রয়োজনীয় সকল হার্ডওয়্যার যেমনঃ ভিডিও কার্ড, প্রসেসর, RAM,হার্ড ডিস্ক ইত্যাদি ঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করা পোস্টের কাজ। যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে একবার বিপ শব্দ দেয়। আর যদি কোন ত্রুটি থাকে তাহলে ত্রুটি বোঝানোর জন্য ক্রমাগত ভাবে বিভিন্ন রকম বিপ শব্দ দেয়। বিপ শব্দের জন্য মাদারবোর্ডে অবশ্যই স্পিকার থাকতে হয়। আধুনিক মাদারবোর্ড গুলোতে Error বোঝানোর জন্য ছোট্ট একটি ডিসপ্লে থাকে যেখানে Error কোড দেখায়। এই Error কোড দেখে বোঝা যায় কি সমস্যা হয়েছে।

পোস্ট প্রথমে ভিডিও কার্ড পরীক্ষা করে। যদি তা ঠিক থাকে তাহলে মনিটরের পর্দায় পোস্টের তথ্য গুলো দেখা যায়। এরপর ক্রমাগত ভাবে প্রসেসর,RAM, হার্ড ডিস্ক পরীক্ষা করে। যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে এরপর কিবোর্ড আর মাউস আছে কিনা তা পরীক্ষা করে। যদি এই পর্যন্ত সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে এরপর বায়োস (BIOS) সেটিংসে যাওয়ার উপায় দেখায়। এই পর্যন্তই পোস্টের কাজ।

 

===========

সোমা রানী দাস

বিভাগীয় প্রধান

ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং

 

 

 

 

টেলিযোগাযাগের ইতিহাস

টেলিযোগাযাগের ইতিহাস

বর্তমান আমরা ঘড়ে বসেই পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে খবর সহযেই নিতে পারি, এখন আর কোন তথ্য সগ্রহের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার প্রয়োজন হয় না, শুধু তাই না, যে সকল ডিভাইস এই সুবিধা গুলো দিচ্ছে সেগুলোও এবং সহজ মূল্য ও হাতের কাছেই রয়েছে । আর প্রতিটি মানুষ তার প্রয়োজনে ইচ্ছা অনিচ্ছায় উক্ত ডিভাইস গুলো ব্যবহার করেই যাচ্ছে, আর বর্তমানে এই সুবিধাগুলো ছাড়া একটি মুহূর্ত ভাবতে পারি না আমরা । মানুষ যোগাযোগের উপার র্নিভরশীল কারন মানুষ একা বসবাস করতে পারে না । তাই মানুষ পৃথিবীর সূচনা থেকেই যোগাযোগ(টেলিযোগাযাগের ইতিহাস) ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য কাজ করেই আজ আমরা এই বর্তমান পেয়েছি ।

তই চলুন যেনে নেই টেলিযোগাযোগের ইতিহাস –

টেলিযোগাযোগ বলতে মূলত বোঝায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে যোগাযোগের উদ্দেশ্যে দূরবর্তী কোনো স্থানে সংকেত তথা বার্তা পাঠানো। এই যোগাযোগ তারের মাধ্যমে অথবা তারবিহীন প্রযুক্তি ব্যবহার করেও হতে পারে। খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দ থেকে দূর পাল্লার যোগাযোগ প্রচলিত হয়।পরবর্তীতে তারযুক্ত ও তারহীন বার্তা প্রেরণের হরেক মাধ্যম বিবর্তিত হয়েছে। টেলিফোন বা রেডিও যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বর্তমানে বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে তড়িচ্চুম্বক‌ তরঙ্গ পাঠানো হচ্ছে। এ যুগে টেলিযোগাযোগ বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত এবং এ পদ্ধতিতে ব্যবহৃত যন্ত্র যেমন টেলিফোনরেডিওটেলিভিশন এবং ওয়াকিটকি সর্বত্র দেখতে পাওয়া যায়। এ সকল যন্ত্রকে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক রয়েছে। যেমন: পাবলিক টেলিফোন নেটওয়ার্কবেতার নেটওয়ার্ককম্পিউটার নেটওয়ার্ক এবং টেলিভিশন নেটওয়ার্ক। ইন্টারনেট এর মাধ্যমে একটি কম্পিউটারের সাথে আরেকটি কম্পিউটারের সংযোগ স্থাপনও একপ্রকার টেলিযোগাযোগ।

প্রাচীন সিস্টেম এবং অপটিক্যাল টেলিগ্রাফি

প্রাথমিক টেলিযোগাযোগে ধোঁয়া সংকেত এবং ড্রাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। আফ্রিকার অধিবাসীরা ড্রাম এবং উত্তর আমেরিকা এবং চীনে ধোঁয়া সংকেত ব্যবহার করত। ইতিহাসে মাঝে মাঝে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে কবুতরও ব্যবহৃত হয়েছে।

মধ্যযুগের সময়, সাধারণত সঙ্কেত পাঠাতে পাহাড়ের চূড়ায় আলোক-সঙ্কেত ব্যবহৃত হত। আলোক-সঙ্কেত ব্যবহারের একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ স্প্যানিশ আর্মাডা, যখন আলোক-সঙ্কেতের মাধ্যমে প্লাইমাউথ থেকে লন্ডনে স্প্যানিশ যুদ্ধজাহাজের আগমন বার্তা জানানো হয়েছিল।

 

 

 

বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ

Innovazioni Tecnologiche nel Settore delle Scommesse Italiane

Nel mondo delle scommesse sportive, l’Italia si distingue per la sua tradizione secolare e l’innovazione costante nel settore. Le tecnologie emergenti stanno rivoluzionando il modo in cui le scommesse sono concepite, offrendo agli appassionati esperienze sempre più coinvolgenti e accessibili. In questo articolo esploreremo le innovazioni tecnologiche che stanno trasformando il panorama delle scommesse italiane, dalla diffusione delle piattaforme online all’introduzione di nuovi strumenti e servizi per gli scommettitori.

Scopriremo come l’intelligenza artificiale, il mobile betting, e altre soluzioni digitali stiano ridefinendo le dinamiche del settore, offrendo opportunità uniche per gli operatori e gli utenti. Come queste innovazioni stiano influenzando le regolamentazioni del gioco d’azzardo e la sicurezza dei giocatori. Preparati a immergerti in un mondo di tecnologia e scommesse, dove il futuro incontra la tradizione italiana per creare un’esperienza di gioco senza precedenti. Benvenuti nel futuro delle scommesse sportive in Italia!

Evoluzione Digitale nel Mercato delle Scommesse Italiane

Nel settore delle scommesse italiane, le innovazioni tecnologiche stanno rivoluzionando l’esperienza dei giocatori. Piattaforme digitali all’avanguardia offrono funzionalità innovative come scommesse in tempo reale e streaming di eventi sportivi. Un esempio è il sito https://www.scommezoid.com/, che integra tecnologie all’avanguardia per fornire un’esperienza di gioco coinvolgente e interattiva.

La crescente diffusione di dispositivi mobili ha portato all’evoluzione delle scommesse sportive online, consentendo ai giocatori di piazzare scommesse ovunque si trovino. Applicazioni mobili intuitive e responsive permettono agli utenti di accedere rapidamente alle quote, ai risultati e alle statistiche sportive in tempo reale. Questo ha reso le scommesse più accessibili e convenienti per gli appassionati di sport in Italia.

Le innovazioni tecnologiche nel settore delle scommesse italiane includono anche l’implementazione di sistemi di intelligenza artificiale per personalizzare l’esperienza di gioco. Algoritmi avanzati analizzano i dati di gioco degli utenti per offrire suggerimenti personalizzati e promozioni mirate. Questo approccio innovativo mira a migliorare l’engagement dei giocatori e a fornire un servizio più adattato alle esigenze individuali.

Impatto delle Tecnologie Emergenti sul Gioco d’Azzardo Online

Nel settore delle scommesse sportive in Italia, le innovazioni tecnologiche stanno rivoluzionando l’esperienza di gioco per gli appassionati. Una delle principali novità è l’introduzione delle scommesse online, che permettono ai giocatori di piazzare scommesse comodamente da casa o in mobilità tramite dispositivi mobili. Questo ha reso il processo di scommessa più accessibile e conveniente per un numero sempre maggiore di persone.

Un’altra importante innovazione nel settore delle scommesse italiane è l’utilizzo di algoritmi e intelligenza artificiale per analizzare dati e fornire previsioni più accurate sulle scommesse sportive. Questi strumenti tecnologici consentono ai giocatori di prendere decisioni più informate e aumentare le probabilità di vincita. Inoltre, molte piattaforme di scommesse stanno implementando sistemi di machine learning per personalizzare l’esperienza di gioco in base alle preferenze dei singoli utenti.

La realtà virtuale e la realtà aumentata stanno emergendo come altre importanti innovazioni nel settore delle scommesse sportive in Italia. Queste tecnologie offrono agli utenti un’esperienza di gioco più coinvolgente e interattiva, consentendo loro di immergersi completamente nell’azione sportiva e vivere le scommesse in modo più realistico. Ciò contribuisce a rendere il gioco più divertente e stimolante per gli appassionati di scommesse.

Infine, la blockchain si sta affermando come una tecnologia fondamentale nel settore delle scommesse italiane, offrendo trasparenza, sicurezza e tracciabilità delle transazioni. L’utilizzo della blockchain consente di garantire la correttezza e l’integrità delle scommesse, eliminando eventuali frodi o manipolazioni. Questo ha contribuito a rafforzare la fiducia dei giocatori nel settore delle scommesse online in Italia.

Strategie Innovative per Migliorare l’Esperienza del Giocatore

Nel settore delle scommesse in Italia, le innovazioni tecnologiche stanno rivoluzionando l’esperienza degli scommettitori. Una delle principali novità è l’introduzione delle scommesse live, che permettono agli utenti di piazzare puntate in tempo reale durante lo svolgimento degli eventi sportivi. Questa modalità interattiva e dinamica ha reso le scommesse ancora più coinvolgenti e ha aumentato l’emozione per gli appassionati.

Inoltre, grazie alla diffusione degli smartphone e delle app dedicate, i giocatori possono ora scommettere ovunque si trovino, rendendo il processo più comodo e accessibile. Le tecnologie di intelligenza artificiale vengono impiegate per analizzare dati e fornire pronostici più precisi, migliorando così l’esperienza degli scommettitori e aumentando la competitività del settore delle scommesse in Italia.

Regolamentazione e Sfide Etiche nell’Adozione delle Nuove Tecnologie nel Settore delle Scommesse

Le innovazioni tecnologiche nel settore delle scommesse in Italia stanno rivoluzionando l’esperienza di gioco per gli scommettitori. Una delle principali novità è l’introduzione delle scommesse online, che permettono ai giocatori di piazzare le proprie puntate comodamente da casa o in mobilità tramite dispositivi mobili.

Un’altra innovazione significativa è l’utilizzo di algoritmi e intelligenza artificiale per analizzare i dati e fornire previsioni più accurate sulle scommesse sportive. Questa tecnologia permette ai bookmaker di offrire quote più competitive e agli scommettitori di prendere decisioni più informate.

La realtà virtuale e la realtà aumentata stanno anche entrando nel mondo delle scommesse, offrendo agli utenti un’esperienza immersiva e coinvolgente. Attraverso l’uso di visori VR o app specifiche, i giocatori possono vivere le partite in modo completamente nuovo e partecipare a scommesse interattive.

Infine, la blockchain sta rivoluzionando la trasparenza e la sicurezza delle transazioni nel settore delle scommesse. Grazie alla tecnologia blockchain, le scommesse diventano più sicure, trasparenti e decentralizzate, garantendo una maggiore fiducia tra gli scommettitori e i bookmaker.

Le innovazioni tecnologiche nel settore delle scommesse italiane stanno rivoluzionando l’esperienza di gioco per gli appassionati. Con l’avvento di soluzioni avanzate come le scommesse in tempo reale e le piattaforme mobili, i giocatori godono di maggiore comodità e accesso a un’ampia gamma di opzioni di scommessa. Inoltre, l’introduzione di strumenti di analisi dei dati e di sicurezza informatica sta contribuendo a garantire un ambiente di gioco più sicuro e trasparente. Grazie a queste innovazioni, il settore delle scommesse in Italia si prospetta un futuro entusiasmante e ricco di opportunità per gli operatori e i giocatori.

বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফের উপর গবেষণা প্রায় ১৭২৬ সালে শুরু হয়েছিল যা প্রাথমিকভাবে ব্যর্থ হয়েছিল।

লাপ্লাসঅম্পেয়্যার এবং গাউসসহ বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে গবেষণা করেছিলেন।

প্রথম কার্যকর টেলিগ্রাফটি ১৮১৬ সালে ফ্রান্সিস রোনাল্ডস দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এবং এতে স্থির বিদ্যুত ব্যবহার করা হয়েছিল।

আটলান্টিক মহাসাগরের অপর প্রান্তে, স্যামুয়েল মোর্স বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফের একটি সংস্করণ তৈরি করেছিলেন যা তিনি ২রা সেপ্টেম্বর ১৮৩৭ সালে প্রদর্শিত করেছিলেন। টেলিগ্রাফে মোর্সের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত অবদান ছিল সহজ এবং অত্যন্ত কার্যকর মোর্স কোড, যা তিনি আলফ্রেড ভেইলের সাথে যৌথভাবে তৈরি করেছিলেন।

প্রথম সফল ট্রান্সটল্যান্টিক টেলিগ্রাফ কেবলটি ২৭ই জুলাই ১৮৬৬ সালে সম্পন্ন হয়েছিল এবং প্রথমবারের জন্য অবিচ্ছিন্ন ট্রান্সটল্যান্টিক টেলিযোগাযোগের সূচনা হয়েছিল।

টেলিফোন

বৈদ্যুতিক টেলিফোন ১৮৭০ সালে আবিষ্কার হয়েছিল। প্রথম বাণিজ্যিক টেলিফোন পরিষেবা ১৮৭৮ সালে স্থাপিত হয়েছিল এবং ১৮৭৯ সালে আটলান্টিকের উভয় পাশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাভেনকানেটিকাট এবং যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ডের লন্ডন শহরে স্থাপিত হয়েছিল। দুটি দেশের ক্ষেত্রে এই জাতীয় পরিষেবার টেলিফোনের মাস্টার পেটেন্ট করেছিলেন আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল

১৮৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি বড় শহরে আন্তঃশহরের লাইন তৈরি এবং টেলিফোন এক্সচেঞ্জে

র মাধ্যমে বাণিজ্যিক পরিষেবাগুলির উত্থানের ফলে টেলিফোন প্রযুক্তি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছিল।

 

বেতার এবং টেলিভিশন

১৮৯৪-১৮৯৬ সময়ে বাঙালি পদার্থবিদ জগদীশ চন্দ্র বসু অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ যোগাযোগের প্রথম গবেষণা করেছিলেন, তিনি অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ সৃষ্টি এবং কোন তার ছাড়া এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তা প্রেরণে সফলতা পান। তিনি তার পরীক্ষায় ৬০ গিগাহার্টজ পর্যন্ত অত্যন্ত উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সিতে পৌঁছেছিলেন।

১৯২৪ সালে, জাপানি প্রকৌশলী কেনজিরো তাকায়নাগি বৈদ্যুতিক টেলিভিশন নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। ১৯২৫ সালে, তিনি থার্মাল ইলেকট্রন এম্মিসনসহ একটি সিআরটি টেলিভিশন প্রদর্শন করেছিলেন।

স্যাটেলাইট

মার্কিন উপগ্রহ প্রজেক্ট এসকোর ১৯৫৮ সালে ভয়েস বার্তা সংরক্ষণ এবং ফরোয়ার্ড করতে একটি টেপ রেকর্ডার ব্যবহার করে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ারের কাছ থেকে বিশ্বের কাছে ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। আজকাল স্যাটেলাইট অনেক অ্যাপ্লিকেশনে যেমন জিপিএস, টেলিভিশন, ইন্টারনেট এবং টেলিফোনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট

ইন্টারনেট অধিগমন হচ্ছে এক ধরনের প্রক্রিয়া যা একক ব্যবহারকারী এবং সংগঠনকে ইন্টারনেটের সাথে সংযোগের সুবিধা দেয়। এই প্রক্রিয়াটি কম্পিউটার, কম্পিউটার টার্মিনাল, মোবাইল ডিভাইস এবং মাঝে মাঝে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক দিয়ে বাস্তবায়িত করা হয় । ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হলেই যেকেউ ইন্টারনেটে প্রদত্ত সুবিধাসমূহ (যেমন: ইমেইল ও ওয়েব ব্রাউজিং) উপোভগ করতে পারে। ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী  বিভিন্ন প্রযুক্তির সহয়তায় ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাসমূহ, যা বিস্তৃত পরিসরে ডেটা সংকেত হারের (বেগ) প্রদান করে।

১৯৯০ এর দশকে ডায়েল-আপ ইন্টারনেট সুবিধার মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার জনপ্রিয়তা লাভ করে। একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে এসে উন্নত দেশসমূহের ব্যবহারকারীরা আগের তুলনায় দ্রুত, ব্রডব্যন্ড ইন্টারনেট সুবিধা সম্ভলিত প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে। ২০১৪ এর নাগাদ এটি সারা বিশ্বব্যপী ছড়িয়ে পরে। যার গড় সংযোগ বেগের মাত্রা ৪মেগাবিট/সে

-তথ্যসূত্র: গুগোল

লেখক:

আব্দুল্লাহ আল মামুন

ইন্সট্রাকটর টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ ।

ড্যাফডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ঢাকা ।

ক্যারিয়ার যখন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

ক্যারিয়ার যখন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

শিল্পায়ননির্ভর এ সময়ে যে কয়েকটি পেশাকে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ধরা হয়, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং তাদের মধ্যে একটি। একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রের ডিজাইন, নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে থাকেন।

 

এক নজরে একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

সাধারণ পদবী: ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

বিভাগ: ইঞ্জিনিয়ারিং

প্রতিষ্ঠানের ধরন: সরকারি, বেসরকারি, প্রাইভেট ফার্ম/কোম্পানি, ফ্রিল্যান্সিং

ক্যারিয়ারের ধরন: ফুল-টাইম, পার্ট-টাইম

লেভেল: এন্ট্রি, মিড

এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য অভিজ্ঞতা সীমা: ০ – ২ বছর

এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য গড় বেতন: ৳৩০,০০০ – কাজ, প্রতিষ্ঠান ও অভিজ্ঞতাসাপেক্ষ

এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য বয়স: ২৫ বছর

মূল স্কিল: পাওয়ার, ইলেক্ট্রনিক্স, টেলিকমিনিকেশন

বিশেষ স্কিল: সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা, প্রজেক্ট ব্যবস্থাপনা, সম্পদ ব্যবস্থাপনা

একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কোথায় কাজ করেন?

বিদ্যুৎ বিভাগ-যেমন Bangladesh Power Development Board (BPDB), Dhaka Power Distribution Company (DPDC), Dhaka Electricity Supply Company (DESCO), Rural Electrification Board (REB), Bangladesh Water Development Board of Bangladesh (BWDB)

শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র

মোবাইল ফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সেনা, নৌ বা বিমান বাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরএকজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কী ধরনের কাজ করেন? প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ আলাদা হয়ে থাকে।

বিদ্যুৎ বিভাগঃ উৎপাদন বিভাগে উচ্চক্ষমতার জেনেরেটর এর নিয়ন্ত্রণ ও উৎপাদন পর্যবেক্ষণ

বিতরণ বিভাগঃ ট্রানমিশন লাইনের রক্ষণাবেক্ষণ

বিপণন বিভাগঃ বিল তৈরি

নতুন ভোক্তাদের সেবা প্রদান

ট্রান্সফরমারের রক্ষণাবেক্ষণ

টেলিফোন বিভাগঃ নতুন সংযোগ প্রদান

নতুন নেটওয়ার্ক নির্মাণ

বিল তৈরি করা

শিল্পকারখানাঃ অটোমেটেড মেশিনের মেইন্টেনেন্স

ওভারহোলিং করা

ব্যবস্থাপনাঃ উৎপাদন ব্যাবস্থাপনা, মান নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি।

একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?

 

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক বা ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকতে হবে।

বয়সঃ প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষে বয়সের সীমা নির্ধারিত হয়। সাধারণত আপনার বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর হতে হবে।

অভিজ্ঞতাঃ এ পেশায় অভিজ্ঞদের প্রাধান্য রয়েছে। সাধারণত ১-২ বছরের অভিজ্ঞতা কাজে আসে।

 

একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?

 

পাওয়ার সেক্টরে পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে জ্ঞান

টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিতে কমিউনিকেশন বিষয়ে জ্ঞান

PLC (Programmable Logic Controller), Microcontroller বিষয়ে জ্ঞান

C++ Programming language জানা

নন-টেকনিক্যাল জ্ঞানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো –

সৃজনশীল উপায়ে ও যৌক্তিকভাবে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা;

বিশ্লেষণী ক্ষমতা, যা খুঁটিনাটি বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে সাহায্য করতে পারে;

অন্যদের সাথে কাজ করার মানসিকতা থাকা;

বিভিন্ন ধরনের কাজ একসাথে সামলানোর দক্ষতা;

বড় কারখানায় ভারি যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ করার মানসিকতা থাকা;

কোথায় পড়বেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং?

বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর বিএসসি ডিগ্রি নিতে পারেন। আবার ডিপ্লোমা কোর্সেও পড়াশোনার ব্যবস্থা আছে। এছাড়া বাংলাদেশে বহু সরকারি-বেসরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে, যেখানকার বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু কারখানা ও শিল্পাঞ্চলে কাজ পেতে সাহায্য করবে।

 

একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের মাসিক আয় কেমন?

 

সরকারি বিদ্যুৎ বিভাগ: ৩২০০০

সরকারি মালিকানাধীন লিমিটেড কোম্পানি: ৫২০০০

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (টেলিকম/ ব্যাংক/ বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান) : ৩৫০০০- ৪০,০০০

অভিজ্ঞতা ও কারিগরি যোগ্যতা এবং বিশেষায়িত প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত বিদ্যুৎ প্রকৌশলীরা বেসরকারিখাতে বা কনসালটেন্সি করে মাসে ১- ২ লক্ষ টাকাও আয় করতে পারেন।

 

একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?

 

যেহেতু ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজের পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক তাই ক্যারিয়ারের শুরুতেই নিজের পছন্দের ক্ষেত্র নির্বাচন খুব জরুরি। কেউ যদি সরকারি পরিদপ্তরে কাজ করতে চান তবে বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবেশন বা সংরক্ষণ বিভাগে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কাজে যোগ দান করলে সেই বিভাগে পদোন্নতি সাপেক্ষে প্রধান প্রকৌশলী পর্যন্ত হতে পারেন যা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ পেশা। এছাড়া বেসরকারি কারখানা গুলোতেও সহকারী প্রকৌশলী থেকে ম্যানেজার কিংবা জেনারেল ম্যানেজার, হেড অফ অপারেশন পর্যন্ত পদোন্নতি পাওয়া সম্ভব। সামরিক বাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে সরাসরি মেজর পদে নিয়োগ দেয়া হয় যা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের প্রধান মেজর জেনারেল পর্যন্ত পদোন্নতি পাওয়া সম্ভব। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পেশা অত্যন্ত বৈচিত্রময়- আপনার মেধা, সততা আর সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ আপনাকে সরকারি কিংবা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে একজন অনন্য উপাদানে পরিনত করবে।

লেখক,

লেখকঃ মোঃ আব্দুল্লা-আল-মামুন রুপম

ইন্সট্রাকটর, ইলেকট্রিক্যাল

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট