নেতৃত্ব
নেতৃত্ব মানুষের একটি বিশেষ গুন। যে ব্যাক্তি অনেকগুলো মানুষের সম্মানয়ে গঠিত দলকে পরিচালনা করবে , যার বক্তব্য অন্য একজন অনুপ্রেরনা দিবে, সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে দলকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে যাবে এবং দলের অন্যদের সাথে একিত্রে কাজ করবে যর সিদ্ধান্তকে দলের সবাই মূল্য দিবে এবং গ্রহন করবে তাকেই মূলত Leader বা নেতা বলা হয়।
নেতৃত্ব গুনটি শুধুমাএ রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় নয় এবং সকল ক্ষেত্রেই এর অস্তিত্ব রয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে এবং কর্মক্ষেত্রেও এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
নেতৃত্ব ব্যবস্থাপনার একটি অতীব গুরুত্ব বিষয়। প্রতিষ্ঠানের সকল স্তরে ও সকল কার্যে নির্দেশনা ও নেতৃত্বেরপ্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে সহজেই তার লক্ষ্যের দিকে ধাবিত করা যায় এবং লক্ষ্যার্জন করা সম্ভবপর হয়। তাই বর্তমান সময়ে একজন দক্ষ ব্যবস্থাপক নেতৃত্বের উপর যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেন। সুষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে কর্মীদেরকে কার্যে লাগিয়ে সর্বোচ্চ কার্য আদায় করা সম্ভব।
নেতৃত্ব হল এমন এক “সামাজিক প্রভাবের প্রক্রিয়া যার সাহায্যে মানুষ কোনও একটি সর্বজনীন কাজ সম্পন্ন করার জন্য অন্যান্য মানুষের সহায়তা ও সমর্থন লাভ করতে পারে।
বিভিন্ন পন্ডিতবর্গের মতামত প্রদান করা হলোঃ-
Prof. Koontz O’Donnell – এর মতে- “নেতৃত্ব হল জনগণকে প্রভাবিত করার এমন একটি কলা বা প্রক্রিয়া যাতে তারা দলীয় লক্ষ্য অর্জনে স্বেচ্ছায় এবং আগ্রহ ভরে কাজ করে।”
Mr. Bennis – এর মতে- “নেতৃত্ব হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন ব্যবস্থাপক তার অধস্তনদের কাঙ্খিত আচরণে উদ্বুদ্ধ করে।”
Mr. Stogil – এর মতে- “নেতৃত্ব লক্ষ্য নির্ধারণ ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংঘবদ্ধ কর্মীদের কার্যাবলী প্রভাবিত করার প্রক্রিয়া।”
উপরোক্ত সংজ্ঞার আলোকে ইহা প্রতীয়মান হয় যে, নেতৃত্ব হচ্ছে অপরকে প্রভাবিত করার জন্য কৌশল, বল প্রয়োগ নয়। নেতৃত্ব শুধুমাত্র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেমন ব্যবস্থাপক, পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক প্রমুখ কর্তা ব্যক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। সুতরাং নেতৃত্ব হচ্ছে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার ও প্রক্রিয়া যা দলের বিভিন্ন লোকের প্রকৃতি ও স্বরূপ সামনে রেখে তাদের এমনভাবে পরিচালিত করে যাতে সবাই আস্থার সাথে দলীয় সাংগাঠনিক উদ্দেশ্য হাসিলের মাধ্যমে ব্যক্তির উদ্দেশ্য ও ফলপ্রদভাবে অর্জনে সহায়তা করে।