পরমাণুর গঠন নিয়ে আলোচনা

পরমাণুর গঠন নিয়ে আলোচনা

মহাবিশ্বকে বিজ্ঞানীরা দুটি অংশে ভাগ করেছেন

মহাবিশ্বকে বিজ্ঞানীরা দুটি অংশে ভাগ করেছেন- 1. পদার্থ 2. শক্তি।  বিজ্ঞানীদের ধারণা সকল শক্তির মূল উৎস সূর্য, আর পদার্থ বলতে তো আমরা জানি তারপর একটু মনে করিয়ে দেয়া যার ওজন আছে এবং জায়গা দখল করে তাকে পদার্থ বলে ।  পদার্থের তিন ধরনের ভৌত অবস্থায় রয়েছে কঠিন, তরল ও বায়বীয় । আমাদের আশেপাশে যা কিছু দেখতে পাই তার  কোন টি কঠিন, না হয়   তরল, নতুবা বায়বীয় ।

এ তো গেল  পদার্থের বাহ্যিক বিষয়ে । এবার আসি রাসায়নিকভাবে পদার্থ দুই ধরনের হয়

1. মৌলিক

2 .যৌগিক পদার্থ ।

যেসব পদার্থ ভাঙ্গার পরে সেই পদার্থের উপাদান ছাড়া অন্য কোন উপাদান পাওয়া যায় না তাদের মৌলিক পদার্থ বলে । যেমন  স্বর্ণ কে ভাঙলে রুপা পাওয়া যায় না আবার লোহাকে ভাঙলে স্বর্ণ পাওয়া যায় না অর্থাৎ স্বর্ণ-রুপা ,লোহা  এগুলো সবই মৌলিক পদার্থ  ।  পৃথিবীতে আবিষ্কৃত মৌলিক পদার্থের সংখ্যা 118 টি  ।

প্রতিটি পদার্থের মধ্যে রয়েছে পরমাণু নামের অতিক্ষুদ্র একক কণা পরমাণু । পরমাণু কত ছোট তার ধারণা দেওয়ার জন্য আমি একটি উদাহরণ দেই  । একটি চুলকে এক লক্ষ টুকরা করলে তার একভাগ যত ছোট হবে পরমাণু ঠিক ততো ছোট ।

পরমাণুর কোন স্বাধীন অস্তিত্ব নেই অর্থাৎ পরমাণু সব গুচ্ছাকারে থাকে । এই পরমাণুগুলোর গঠন নিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানীর বিভিন্ন মতামত রয়েছে প্রথমদিকে  বিজ্ঞানী ডাল্টন বলেছিলেন পরমাণু কে  ভাঙ্গা যায়না অর্থাৎ পরমাণু অবিভাজ্য । কিন্তু পরবর্তীতে সুদূর গবেষণার ফলে প্রমাণিত হয় যে পরমাণু বিভাজ্য অর্থাৎ পরমাণু কে ভাঙ্গা যায় । আর এই পরমাণুকে ভাঙলে তার মধ্যে দুই ধরনের  কণা পাওয়া যায় । একটি হচ্ছে স্থায়ী কণা ,আর অপরটি হল অস্থায়ী কণা । স্থায়ী  কোনগুলো প্রত্যেক পরমাণুর ভেতরেই থাকে  (ব্যতিক্রম হাইড্রোজেন)  । অস্থায়ী কোনগুলো কোন কোন পরমাণুর ভেতরে সাময়িকভাবে অবস্থান করে  । আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় পরমাণুর এই স্থায়ী কনাগুলো নিয়ে  পরমাণুর ভেতরেও তিন ধরনের 1. ইলেকট্রন 2. প্রোটন 3 .নিউটন।

ইলেকট্রন হল পরমাণুর সবচেয়ে ক্ষুদ্র কণা ।  বিজ্ঞানী জে. জে. থমসন১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দে সর্বপ্রথম ইলেকট্রনের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। ইলেকট্রনের চার্জ  নেগেটিভ  । আসল ভর অতি সামান্য 9.1085×1028g,  আধান -1.6×1019 কুলম্ব । ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের চারদিকে ঘুর্ণায়মান। ইলেকট্রনকে সাধারণত e- প্রতীক দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে ।

বিজ্ঞানী আর্নেস্ট রাদারফোর্ড ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে প্রোটন আবিষ্কার করেন  । পরমাণুতে ইলেকট্রনের সমান সংখ্যক প্রোটন থাকে। প্রোটনের ভর 1.673×1024g প্রোটন পজেটিভ চার্জ  যুক্ত ।  সবচেয়ে ছোট প্রোটন হাইড্রোজেন(H+  একে সাধারণত p দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে ।

বিজ্ঞানী জেমস স্যাডউইক ১৯৩২ সালে নিউট্রন আবিস্কার করেন। এটি আধানবিহীন অর্থাৎ এর কোনো চার্জ  নেই । এর আসল ভর 1.675×1024gএকে সাধারণত n দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। নিউট্রন পরমাণুর কেন্দ্রে প্রোটনের সাথে যুক্ত থাকে । এই দুই কণিকার সম্মিলিত ভরকে পারমাণবিক ভর বলা হয়ে থাকে । এই পরমাণুর গঠন নিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানীর মতবাদকে পরমাণুবাদ বলা হয় রাদারফোর্ড পরমাণুবাদ এ পরমাণু কে সৌরজগতের সাথে তুলনা করা হয়েছে।

 

লেখক:

মোঃআলামিন হোসেন

লেকচারার, ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

BSDI

 

সুখী হতে গেলে যেটির প্রয়োজন নেই

সুখী হতে গেলে যেটির প্রয়োজন নেই

সুখী হতে চায় না এমন মানুষ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া মুশকিল । প্রত্যেকে যে যে অবস্থানে আছে সেই অবস্থান থেকে সব সময় উপরে উঠতে চায় । এই উপরে উঠতে চাওয়ার কারণ টি কি?

আমি যদি আপনাকে এই প্রশ্নটি করি তাহলে আপনি কি উত্তর দিবেন? নিশ্চয়ই বলবেন, ভালো থাকার জন্য, সুখে থাকার জন্য বা শান্তিতে থাকার জন্য । এখন প্রশ্ন হলো ভালো থাকা, সুখে থাকা কিংবা শান্তিতে থাকা যেটাই বলেন না কেন? এটির জন্য কি দরকার? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে টাকা পয়সা, বাড়ি, গাড়ি, ক্ষমতা ইত্যাদি অনেক কিছু সামনে চলে আসে । আপনি কি কখনো চিন্তা করে দেখেছেন, বাড়ি গাড়ি টাকা পয়সা পাওয়ার থাকলেই আপনি সুখে থাকবেন? তাই যদি হতো তাহলে খবরের কাগজে বের হতো না ধনীর দুলালী ভালোবাসার টানে রিকশাওয়ালার ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গেছে । এরকম আরো অনেক উদাহরণ আছে সেগুলো বলে শেষ করা যাবে না, যে টাকা পয়সা থাকলে মানুষ সুখী হতে পারে । এখান থেকে আমরা বুঝলাম যে আসলে টাকা পয়সা ধন দৌলত এগুলো মানুষকে সুখী করতে পারে না ।

আপনার যখন অনেক টাকা হবে তখন আপনি আরো টাকার পিছনে ছুটবেন, সাধারণ মানুষ যেখানে তিন বেলা খায়, আপনি টাকার পেছনে ছুটতে ছুটতে দুই বেলা খাবার সময় পাবেন না কারণ তখন আপনার দরকার আরো টাকা, ক্ষমতাবান ব্যক্তি চেয়ারম্যান থেকে এমপি হতে চাইবে, এমপি হতে পারলে মন্ত্রী হতে চাইবে, মন্ত্রী হতে পারলে প্রধানমন্ত্রী হতে চাই, মানুষের এই চাওয়ার কোন শেষ নেই, এর পিছনে অনেক গল্প আমরা ইউটিউব গুগোল এ সার্চ করলে পেয়ে যাব যারা মোটিভেশনাল স্পিকার তাদের কাছ থেকে । আপনি এখনো কনফিউশন তাইতো, তাহলে প্রকৃত সুখ কিসে?

প্রকৃত সুখ কিসে আরেকটু আলোচনা করলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন । আমি এখানে কয়েকটি পয়েন্ট একটু উল্লেখ করতে চাচ্ছি:

1. অফিসের বস কল দিয়ে বলল কোথায় আপনি এই মুহূর্তে আমার সঙ্গে দেখা করেন ।
2. বন্ধু, পরীক্ষা নাকি আর এক মাস বাকি আছে ।
3. আজকে গণিত পরীক্ষা টা খুব খারাপ হয়ে গেল ।
4. আপনি মনে হয় এবার নির্বাচনে আর জয়ী হতে পারবেন না ।
5. বন্ধু, শুনলাম তোমার প্রেমিকার নাকি বিয়ে হয়ে যাচ্ছে ।

উপরের পাঁচটি বাক্যের মত হাজার হাজার বাক্য আমাদের জীবনে শুনতে হয় । উপরের যে পাঁচটি বাক্য আমি বলেছি, এই পাঁচটি বাক্যের মধ্যে একটি কমন মিল আছে । কি ভেবে পেলেন? অনেকে ইতিমধ্যে মিল খুঁজে পেয়েছেন, আবার অনেকে এখনো চিন্তাভাবনা করছেন ।

এই পাঁচটি বাক্যের মধ্যে একটি মিল, সেটি হচ্ছে যে কেউ এই পাঁচটি বাক্যের যেকোনো একটি যখন শুনবে তখনই তার ভিতর এক ধরনের অস্থিরতা শুরু হয়, এই অস্থিরতা যখন শুরু হয় তখন তার খেতে ভালো লাগেনা, ঘুমাতে ভালো লাগে না, টিভি দেখতে ভালো লাগে না, গান শুনতে ভালো লাগে না, ঘুরতে যেতে ভালো লাগে না, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দিতে ভালো লাগে না, কোন কাজে মন বসে না, আর এইগুলো যখন কোন মানুষের মধ্যে বিরাজ করে, তখন আমরা তাকে বলি লোকটি টেনশনে আছে।

 

 

জি হ্যাঁ, আজকে আমার আলোচনার মূল হচ্ছে টেনশন ।

আমরা সব কিছু অর্জন করতে চাই সুখে থাকার জন্য, কিন্তু এই একটা জিনিস যে যত কম অর্জন করবে সে ততো সুখে থাকবে ।
বুঝতে পারলেন না? টেনশন যার যত বেশি কম সে ততো বেশি সুখী । আমার মতে টাকা পয়সা ধন দৌলত বাড়ি গাড়ি এগুলোতে কোন মানুষ সুখী হতে পারে না । প্রকৃত সুখী সেই ব্যক্তি যার কোন টেনশন নেই । গণিতে সবকিছু শুরু হয় শূন্য থেকে, শূন্য এমন একটি সংখ্যা যে টি সংখ্যার বাম পাশে বসলে সংখ্যার মানের কোন পরিবর্তন হয় না, কিন্তু সংখ্যার ডান পাশে বসলে ঐ সংখ্যার মান দশগুণ বেড়ে যায়, এই শুন্য যদি একা একা থাকে তাহলে তার কোন মূল্য নেই । শুন্য জিনিসটা কেউই অর্জন করতে চায় না । টাকা শুন্য, গাড়ি নেই মানে শুন্য, ছেলে মেয়ে নেই মানে শুন্য, মান সম্মান নেই মানে শুন্য, পাওয়ার নেই মানে শুন্য, এগুলো কোন মানুষ কখনোই আশা করে না । আর এই শুন্য যখন আপনার জীবনে টেনশন এর জায়গাটি দখল করে নিবে, তাই ডানে হোক, বামে হোক আপনি হবেন এই পৃথিবীর সবথেকে সুখী মানুষ।
শুধুমাত্র একটি জিনিস শূন্যতে থাকলে আপনার মত সুখী ব্যক্তি পৃথিবীতে আর একটা খুঁজে পাওয়া যাবে না । আমাদের সকল অশান্তির মূল হচ্ছে টেনশন | টেনশন যার যত কম সেই ব্যক্তি ততবেশি সুখী, টেনশন যার যত কম সেই ব্যক্তি তত বেশি কর্মক্ষম, টেনশন যার যত কম সেই ব্যক্তি ততবেশি শক্তিশালী, টেনশন কম মানে মাথা ঠান্ডা, আর ঠান্ডা মাথার মানুষ পৃথিবীর সবকিছু জয় করতে পারে সুতরাং আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি মানুষের সুখে থাকার মূলমন্ত্র হচ্ছে টেনশন কে শুন্য তে রাখার চেষ্টা করা । আর এই টেনশন দূর করে কিভাবে সুখে থাকা যায় সেই বিষয়টি নিয়ে আর একদিন বলব ।

লেখক,
এম. এম. শাহানুজ্জামান
লেকচারার,
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

কম্পিউটার টেকনোলজি কি ডিপ্লোমা-ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য সঠিক পছন্দ

কম্পিউটার টেকনোলজি কি ডিপ্লোমা-ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য সঠিক পছন্দ

তথ্য প্রযুক্তি বর্তমান বিশ্বকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে, যা গ্লোবাল ভিলজে এ পরিনত করেছে । আধুনিক এই যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমাদের জীবন যাপনকে করে তুলছে আরো সহজ। এই পরিবর্তনশীল সময়ের সাথে এগিয়ে যাবার প্রত্যয় নিয়ে এল কম্পিউটার প্রযুক্তি। প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে নিজেকে আত্বনির্ভরশীল ব্যক্তি হিসাবে গড়ে তুলতে হলে কম্পিউটার টেকনোলজি পড়ার বিকল্প কিছু হতে পারে না।

কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনেক রাস্তা খোলা। এ বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা বহুমুখী কাজ করতে পারে। কেউ হন প্রোগ্রামার আবার কেউবা নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। এ ছাড়াও  সৃজনশীল দক্ষতা থাকলে গ্রাফিক্স বা ওয়েব ডিজাইনারও হতে পারেন। পাশাপাশি আছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুযোগ। ঘরে বসেই বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের চর্চা করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন কাজ করে দিতে পারেন। নিজেই আরও মানুষের কর্মসংস্থান করে দিতে পারেন।

আর অফিস-আদালতের চাকরি তো আছেই। প্রতিটি ব্যাংক, করপোরেট হাউস, গণমাধ্যমসহ প্রায় সব সরকারি-বেসরকারি অফিসেই প্রয়োজন হয় কম্পিউটারে দক্ষ জনবলের।

একমাত্র কম্পিউটার টেকনোলজিই পারে বহুমুখি কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে কম্পিউটার টেকনোলজি অপরিহার্য। ২০১১ সালে হতে প্রতিটি কোর্সে কম্পিউটার বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। সমস্ত- সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহে ই-গভর্নেস চালু করতে যাচ্ছে, সেহেতু অনুমান করা যাচ্ছে যে, কম্পিউটার টেকনোলজি কর্মসংস্থানের ব্যাপ্তি কত বিশাল হতে পারে। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি আপনাকে সামিল করবে এই কম্পিউটার প্রযুক্তিবিদদের প্রথম সারিতে। এই কম্পিউটার ডিপ্লোমা ডিগ্রী হবে অবারিত কম্পিউটার সম্পর্কীত কর্ম ক্ষেত্রে প্রবেশের আপনার প্রথম চাবিকাঠি।

এছাড়াও বাংলাদেশ সরকার তথ্য প্রযুক্তিতে নির্ভরশীলতা বাড়ানোর জন্য তৈরি করছে হাইটেক পার্ক। দেশেই তৈরি হবে আমাদের নিত্যব্যবহার্য প্রযুক্তিপণ্য।  এদেশে নির্মিত সফটওয়্যার দিয়েই চলবে আমাদের ব্যাংক, বীমা, কলকারখানা, অফিস-আদালতসহ অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠান এই স্বপ্ন নিয়েই হাইটেক পার্ক ধারনার যাত্রা শুরু হয়েছিল সেই ১৯৯৯ সালে। যা বর্তমানে দৃশ্যমান। চলমান প্রকল্পগুলো হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক সিলেট, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক, রাজশাহী এছাড়াও আরো অনেকগুলো হাই-টেক পার্ক প্রস্তাবিত। এসব হাই-টেক পার্কগুলো পুরোদমে চালু হলে আরো বিশাল একটি ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীদের জন্য। সুতরাং ডিপ্লোমা-ইন- কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ই হবে সঠিক পছন্দ বর্তমান প্রেক্ষাপটে।

লেখক:

জহির আহমেদ চৌধুরী

লেকচারার, ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

 

 

Untitled-3 (1)

নেতৃত্ব

নেতৃত্ব

নেতৃত্ব মানুষের একটি বিশেষ গুন। যে ব্যাক্তি অনেকগুলো মানুষের সম্মানয়ে গঠিত দলকে পরিচালনা করবে , যার বক্তব্য অন্য একজন অনুপ্রেরনা দিবে, সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে দলকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে যাবে এবং দলের অন্যদের সাথে একিত্রে কাজ করবে যর সিদ্ধান্তকে দলের সবাই মূল্য দিবে এবং গ্রহন করবে তাকেই মূলত Leader বা নেতা বলা হয়।

নেতৃত্ব গুনটি শুধুমাএ রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় নয় এবং সকল ক্ষেত্রেই এর অস্তিত্ব রয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে এবং কর্মক্ষেত্রেও এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

নেতৃত্ব ব্যবস্থাপনার একটি অতীব গুরুত্ব বিষয়। প্রতিষ্ঠানের সকল স্তরে ও সকল কার্যে নির্দেশনা ও নেতৃত্বেরপ্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে সহজেই তার লক্ষ্যের দিকে ধাবিত করা যায় এবং লক্ষ্যার্জন করা সম্ভবপর হয়। তাই বর্তমান সময়ে একজন দক্ষ ব্যবস্থাপক নেতৃত্বের উপর যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেন। সুষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে কর্মীদেরকে কার্যে লাগিয়ে সর্বোচ্চ কার্য আদায় করা সম্ভব।

নেতৃত্ব হল এমন এক “সামাজিক প্রভাবের প্রক্রিয়া যার সাহায্যে মানুষ কোনও একটি সর্বজনীন কাজ সম্পন্ন করার জন্য অন্যান্য মানুষের সহায়তা ও সমর্থন লাভ করতে পারে।

বিভিন্ন পন্ডিতবর্গের মতামত প্রদান করা হলোঃ-

Prof. Koontz O’Donnell এর মতে- “নেতৃত্ব হল জনগণকে প্রভাবিত করার এমন একটি কলা বা প্রক্রিয়া যাতে তারা দলীয় লক্ষ্য অর্জনে স্বেচ্ছায় এবং আগ্রহ ভরে কাজ করে।”

Mr. Bennis – এর মতে- “নেতৃত্ব হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন ব্যবস্থাপক তার অধস্তনদের কাঙ্খিত আচরণে উদ্বুদ্ধ করে।”

Mr. Stogil – এর মতে- “নেতৃত্ব লক্ষ্য নির্ধারণ ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংঘবদ্ধ কর্মীদের কার্যাবলী প্রভাবিত করার প্রক্রিয়া।”

উপরোক্ত সংজ্ঞার আলোকে ইহা প্রতীয়মান হয় যে, নেতৃত্ব হচ্ছে অপরকে প্রভাবিত করার জন্য কৌশল, বল প্রয়োগ নয়। নেতৃত্ব শুধুমাত্র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেমন ব্যবস্থাপক, পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক প্রমুখ কর্তা ব্যক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। সুতরাং নেতৃত্ব হচ্ছে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার ও প্রক্রিয়া যা দলের বিভিন্ন লোকের প্রকৃতি ও স্বরূপ সামনে রেখে তাদের এমনভাবে পরিচালিত করে যাতে সবাই আস্থার সাথে দলীয় সাংগাঠনিক উদ্দেশ্য হাসিলের মাধ্যমে ব্যক্তির উদ্দেশ্য ও ফলপ্রদভাবে অর্জনে সহায়তা করে।

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট