জিন্সের প্যান্টে থাকা ছোট পকেটের রহস্য
বর্তমান সময়ের তরুণ ছেলে/মেয়ে উভয়েই জিন্সের প্যান্ট পরে থাকে। জিন্স প্যান্ট পরার সময় কি প্যান্টে থাকা পকেটগুলো খেয়াল করেছেন কখনো?
সাধারণত জিন্স প্যান্টের সামনে দুইটি পকেট থাকে । এর মধ্যে আবার একটি পকেটের উপর আরোও একটি ছোট পকেট যুক্ত করে দেওয়া হয়। এই ছোট পকেটটিকে আমরা নিজেদের অভ্যাস আর কাজ অনুযায়ী বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করে থাকি। তবে কখনো কি ভেবে দেখেছেন, জিন্স প্যান্টে থাকা এই ছোট পকেট টি আসলে কী জন্য দেওয়া হয়?
জিন্স প্যান্টের প্রচলনের শুরু থেকেই এই পকেটটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তখন থেকেই এই প্রচলন এখনো চলছে। কিন্তু জিন্স প্যান্টে অতিরিক্ত ছোট পকেটটি কি জন্য ব্যবহার করা হয়েছে, তা না জেনেই আমরা আমাদের মত করে পকেটটি নিজের ইচ্ছে মত ভিন্ন ভিন্ন কাজে ব্যবহার করি।
অনেকের কাছে খুচরা পয়সা থাকে তারা খুচরা পয়সা রাখে, অনেকে পেনড্রাইভ, অনেকে গিটারের পিক, আবার অনেকে মেমোরি কার্ড/সিম কার্ড রাখে এই ছোট্ট পকেটিতে। অনেকে হয়তো বা কিছুই রাখেনা!। কিন্তু স্কুপহুপের তথ্য অনুযায়ী এই পকেটটি বিশেষ দরকারেই জিন্স প্যান্টের সামনে রাখা হয়েছিল।
সাধারন প্যান্টের থেকে ডিজাইনে ভিন্নতা আনার জন্য নাকি শুধুই খুচরা পয়সা রাখার জন্য এই ছোট পকেটটি বানানো হয়েছে? আসলে এর কাজ কী ?
জিন্স ও বস্ত্র বিশেষজ্ঞ মিসেস জানোসকোয়া এই পকেটের রহস্য সম্পর্কে বলেছেন- অষ্টাদশ শতকের কথা। সে সময় হাত ঘড়ির খুবই মূল্য ছিল, যা সাধারণ মানুষের জন্য ছিলো বেশ ব্যায়বহুল ।আর তাই তখন পকেটে ঘড়ি রাখার প্রথা প্রচলিত ছিল। পকেটের যে ঘড়িগুলো রাখা হতো সেগুলোকে বলা হয়“পকেট ওয়াচ” ।
অষ্টাদশ শতকে্র কাউবয়রা (রাখাল ছেলেরা) চেইন দেওয়া ঘড়ি ব্যবহার করতেন। ঘড়ি রাখতেন তাদের ওয়েস্টকোটে। তবে সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই ঘড়ি ভেঙ্গে যেত কিংবা ভেঙ্গে যাওয়ার ভয় থাকত।
তৎকালীন সময়ে পশ্চিমাঞ্চলে কাউবয়দের বেশ পরিচিতি ছিলো। কঠোর পরিশ্রমী কাউবয়দের পছন্দের পোশাক ছিল জিন্স প্যান্ট। আর এই কাউবয়দের “পকেট ওয়াচ” রাখার সুবিধার্থেই এই ছোট্ট পকেটটি জিন্সের প্যান্টে যোগ করা হয়েছিল।
যুগ পরিবর্তনের সাথে সাথে হাতঘড়ির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ার পর ছোট পকেটের ব্যবহার আর আগের মত নেই। কিন্তু সাক্ষী হিসেবে রয়ে গেছে এই পকেটটি। তবে ঐতিহ্য বজায় রেখে এখনো প্যান্টে ছোট পকেটটি রাখা হয়।
সোর্স – ছবি ও তথ্য #Google #Wikipedia
রোমানা রশীদ তন্দ্রা
ইন্সট্রাকটর –টেক্সটাইল এন্ড জিডিপিএম
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট