১৯ শের গল্প, পর্ব -৪

ওয়াহিদা মৌ,  ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ট্যুরিজম  ডিপার্টমেন্টের তৃতীয় সেমিস্টারের একজন শিক্ষার্থী। তিনি আমাদের সাথে শেয়ার করে তার উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প। 

“আমার শুরুটা শুরু থেকেই” 

তিনি পড়াশোনার সাথে মিল রেখে  একটা ব্যবসা শুরু করেন। তিনি বলেন তিনি নিজে রান্না করেন এবং  রান্নাকৃত খাবার হোম ডেলিভারি করেন।

তিনি আমাদের সাথে শেয়ার করেন তাঁর ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার কথা। 

তিনি বলেন তিনি মনে মনে এরকম একটা প্রতিষ্ঠানে খুঁজছিল যেখানে ফুড রিলেটেড কোর্স করানো হয়। তিনি আরও বলেন তিনি অন্য একটা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে রাস্তা দিয়ে বাসে যাওয়ার সময় তার চোখে পড়ে ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এর সাইনবোর্ড। তিনি যোগাযোগ করেন এডমিশন অফিসে এবং একেবারে শেষ সময়ে ভর্তি হন ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। 

 

তিনি বলেন এখানে ভর্তি হওয়ার পরে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন। তিনি জানতেন না কত সময় একটা খাবার কে রান্না করতে হয়। তিনি আরো বলেন আমরা বাঙালিরা বেশিরভাগ সময়ই ওভারকোট রান্না খাই, সে ক্ষেত্রে খাবারের মধ্যে কোন ভিটামিন মিনারেল থাকেনা। সে ড্যাফোডিল পলিটেকনিকে এসে শিখতে পেরেছেন একটা খাবারকে ঠিক কত সময় রান্না করতে হয়। 

তিনি বলেন লকডাউনে সবকিছু যখন থমকে গিয়েছিলো তখন তাদের সমস্ত ক্লাস অনলাইনে হয়েছিল।  

তার কাছে তা ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে এসে বলেন, তিনি ছোটবেলা থেকে রান্নাকে অনেক পছন্দ করতেন। তিনি এমন একটা কিছু করতে চেয়ে ছিলেন যেটা রান্না সম্পর্কিত। 

তিনি বলেন অলরেডি তিনি তৃতীয় সেমিষ্টারে অধ্যায়ন করছে ইতিমধ্যে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন। ম্যামকে বিভিন্ন রেসিপি করে দেখিয়েছেন এবং তার গাইড আইন অনুযায়ী  কোন ভুল হলে সেটি আবার সংশোধন করে নিয়েছেন। 

তিনি যখন কোথাও যে যেতেন তখন তিনি বাসা থেকে খাবার রান্না করে নিয়ে যেত এবং তারা অনেক উৎসাহিত করতেও জেহেল তুমি একটা কিছু করতে পারবে। তারপর থেকেই তিনি একটু একটু করে তার ব্যবসা শুরু করেন। তিনি নিজে রান্না করেন এবং অনেক সময় নিজেই হোম ডেলিভারি করেন।

তিনি আরও শেয়ার করেন বর্তমানে তিনি নিজের উপার্জনের একটি স্কুটার কিনেছেন।  

 

Tags: No tags

Comments are closed.