ইমোশোনাল ইন্টেলিজেন্স

ইমোশোনাল ইন্টেলিজেন্সের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

ইমোশোনাল ইন্টেলিজেন্সের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

Emotional Intelligence কোনো নতুন ধারণা নয়। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে এর বিকাশ শুরু হয়। সহজ কথায় Emotional Intelligence বলতে বোঝায় নিজের ও অন্যের অনুভূতি জানা ও বোঝার ক্ষমতাকে। নিচের এই কয়েক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে একজনের ইমোশোনাল ইন্টেলিজেন্স-

  • নিজের আবেগ, অনুভূতি ও প্রতিক্রিয়াকে বুঝতে পারা (আত্ম-সচেতনতা)
  • নিজের আবেগ, অনুভূতি, প্রতিক্রিয়া ও মুড নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা করতে পারা (আত্ম-নিয়ন্ত্রণ)
  • নিজের লক্ষ্যের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকা ও যেকোনো বাধায় হার না মানার মনোভাব (মানসিক দৃঢ়তা)
  • অন্যের অনুভূতির প্রতি সচেতনতা ও শ্রদ্ধাবোধ (সহমর্মিতা)
  • সহজেই অন্যের সাথে মিশতে পারা, তাদের প্রভাবিত করা, নেতৃত্ব দেয়া, সমঝোতা ইত্যাদি সামাজিক গুণাবলী (সামাজিক দক্ষতা)

কেন গুরুত্বপূর্ণ ইমোশোনাল ইন্টেলিজেন্স:

এক সময় ধরেই নেয়া হতো, উচ্চ আইকিউ সম্পন্ন মানুষ মানেই সফল মানুষ। উচ্চ আইকিউ বা উচ্চ বুদ্ধিমত্তা অবশ্যই সাফল্যের অনেক বড় একটি প্রভাবক। কিন্তু এখন ধারণা করা হয়, আইকিউই সব নয়। সফলতার পেছনে কাজ করে অনেক গুলো জটিল বিষয়। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল- ইমোশোনাল ইন্টেলিজেন্স।

ইমোশোনাল ইন্টেলিজেন্স একজন মানুষকে মানসিকভাবে দৃঢ় করে

ইমোশোনাল ইন্টেলিজেন্সের গুরুত্ব ও প্রভাব লক্ষ্য করা যায় প্রায় সব ক্ষেত্রেই। কর্মক্ষেত্রে যদি আমরা দেখি, অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মীদের ইমোশোনাল ইন্টেলিজেন্সের উন্নতির জন্য ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করে থাকে এবং নিয়োগের ক্ষেত্রেও এর ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

গবেষণায় দেখা যায়, নেতৃত্ব দানকারী অধিকাংশ মানুষের ইকিউ অনেক বেশি। ইকিউ তোমাকে সাহায্য করবে অনেক ভালো নেটওয়ার্কিং করতে। বর্তমান সময়ের ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে – “ Your network is your net-worth”। ভালো নেটওয়ার্ক তোমাকে পেশাজীবনে এগিয়ে যেতে করবে সাহায্য।

মনে হতে পারে যাদের কাজ অনেক মানুষকে নিয়ে তাদেরই শুধু ইকিউ নিয়ে চিন্তা করা উচিত। কিন্তু, না! ইমোশোনাল ইন্টেলিজেন্স তোমার জীবনকে প্রভাবিত করে আরও অনেক ভাবে।ইমোশোনাল ইন্টেলিজেন্স একজন মানুষকে মানসিকভাবে দৃঢ় করে। তাই সে সহজেই স্ট্রেস বা চাপ নিতে পারে। সে দুশ্চিন্তা বা হতাশায় কম ভোগে। মানসিক প্রশান্তি তার শারীরিক সুস্থতায়ও প্রভাব ফেলে এবং সে পায় এক সুখী- সন্তুষ্ট জীবন। এজন্য ইমোশোনাল ইন্টেলিজেন্সের গুরুত্ব এতোটা বেশি।

 

ইমোশোনাল ইন্টেলিজেন্স কীভাবে বাড়াবেন?

ইমোশোনাল ইন্টেলিজেন্স কোনো জন্মগত গুণ নয়। যেকোনো বয়সেই একজন পারে তার ইমোশোনাল ইন্টেলিজেন্সের উন্নতি ঘটাতে। ইমোশোনাল ইন্টেলিজেন্সের উন্নতির অনেক উপায় রয়েছে। এজন্য তোমাকে তোমার মানবিক অংশটির উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

তোমার আবেগ, মনোবল ও স্পৃহাকে তোমার জীবনের লক্ষ্যের দিকে চালিত করতে হবে। অন্যের প্রতি হতে হবে সহানুভূতিশীল ও সহমর্মী। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে নিজের প্রতিক্রয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে হবে। এছাড়াও জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি করতে হবে ইতিবাচক। এভাবেই বাড়ানো সম্ভব ইমোশোনাল ইন্টেলিজেন্স।

 

সংগ্রহীত

 

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট