কিভাবে আপনার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করবেন?

কিভাবে আপনার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করবেন?

আপনি কি আরও ভাল কিছু করতে চান?

তবে নিজের মনকে কেন্দ্রীভূত করতে শিখুন।

একটি মনোনিবেশিত মন আপনাকে দ্রুত, দক্ষতার সাথে এবং কম ভুল সহ সমস্ত কিছু সম্পাদন করতে সক্ষম করে।

মনোনিবেশ করা মন আপনাকে বিক্ষিপ্ত ভাবনা এড়াতে সহায়তা করে।

একটি মনোনিবেশিত মন অস্থিরতা হ্রাস করে এবং অভ্যন্তরীণ প্রশান্তি বাড়ায়।

 

কেন্দ্রীভূত মনের গুরুত্ব:

আপনি যদি আপনার মনের দিকে মনোযোগ দেন, আপনি লক্ষ্য করবেন যে এটি কখনও স্থির হয় না। এটি সর্বদা একটি চিন্তা থেকে অন্য চিন্তায় দ্রুত অগ্রসর হয়, প্রজাপতির মতো যা এক ফুল থেকে অন্য ফুলে উড়ে যায়, খুব কমই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে।

আজকাল, স্মার্টফোন, ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলির যুগে বেশিরভাগ মানুষের মন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে, তাদের মনোযোগের সংক্ষিপ্ততা খুব সহজেই লক্ষ্য করে যায় যে তাদের চারপাশে কী চলছে।

  • আপনি কি একজন সফল শিক্ষার্থী হতে চান ?
  • আপনি কি আরও ভাল, দ্রুত এবং কম ভুল দিয়ে সবকিছু করতে চান?
  • তবে আপনার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে শিখতে হবে!
  • আপনার লক্ষ্য এবং একাগ্রতা উন্নত করতে , আপনি কী করবেন?
  1. আপনি যা করছেন তা নিয়ে ভাল থাকুন।
  2. অপ্রাসঙ্গিক চিন্তাভাবনা উপেক্ষা করুন।
  3. আপনি যা করছেন তার প্রতি আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ এবং শক্তি পরিচালনা করুন।
  4. মনোযোগের বিস্তার  বৃদ্ধিকরণ ।
  5. অস্থিরতা এবং মনের আন্দোলন হ্রাস করুন।
  6. আপনার ধ্যান এবং চাক্ষুষ দক্ষতা উন্নত করুন।
  7. আপনার বোধগম্যতা এবং অধ্যয়ন এবং শেখার দক্ষতা উন্নত করুন।

আপনি কিভাবে আপনার লক্ষ্য উন্নতি করবেন?

আপনি সাধারণ মানসিক অনুশীলনগুলির মাধ্যমে আপনার মনোযোগকে উন্নত করতে পারেন যা আপনার মনকে তীক্ষ্ণ করবে, আপনার মনোযোগের সময় বাড়িয়ে তুলবে এবং আপনাকে মনোযোগ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম করবে।

আপনার শরীরচর্চা যেমন আপনার পেশী শক্তিশালী করে, তেমনি একাগ্রতা অনুশীলনের সাথে আপনার মন অনুশীলন করা আপনার কেঁদ্রীভূতকরণ এবং মনোযোগ দক্ষতাকে শক্তিশালী করে।

 

আপনি কী ধরনের অনুশীলন শিখবেন?

অনুশীলনের মধ্যে, আপনি এমন ব্যায়ামগুলি খুঁজে পাবেন যাগুলির জন্য আপনি প্রায়শই যে ক্রিয়াকলাপগুলি করেন তার প্রতি আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ স্থির করে নেওয়া প্রয়োজন, তবে যা আপনি সম্ভবত স্বয়ংক্রিয়ভাবে এবং অযৌক্তিকভাবে করেন যেমন:

  • একটি সালাদ প্রস্তুত
  • থালা ধোওয়া
  • কফি পান করছেন
  • এবং আরো অন্য কিছু

 

এই অনুশীলনের উদ্দেশ্য হ’ল মনকে আপনি যা করছেন তার দিকে মনোনিবেশ করা শেখানো এবং এটি অন্য চিন্তায় ভ্রমন করতে না দেওয়া।

কোনও নির্দিষ্ট কাজের প্রতি আপনার মনোযোগ কেন্দ্রীকরণের উপর জোর দিয়ে, আপনি আপনার মনকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করেন এবং এটি আপনাকে মানতে শিখিয়ে দেন।

একটি গল্প থেকে শেখ:

এক সুন্দর দিনটিতে একটি হাতি গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে শান্তভাবে সবুজ পাতা খাচ্ছিল। হঠাৎ একটি ছোট্ট মাছি উড়ে এসে বাজলো এবং হাতির কানে নেমে গেল। হাতি শান্ত থাকল এবং খাওয়া চালিয়ে গেল, মাছি থেকে গাফেল।

মাছিটি উড়ে এলো হাতির কানের চারপাশে, হু হু করে শব্দ করে, কিন্তু হাতি এটিকে অগ্রাহ্য করতে থাকে।

মাছিটি উপেক্ষা করা পছন্দ করে না, তাই মাছিটি ডানাগুলিকে শক্তভাবে উল্টানো দিয়ে হাতির মুখের সুড়সুড়ি দেওয়া শুরু করে। তবুও, হাতিটি খাওয়া চালিয়ে গেল, মাছিটির ক্রিয়া দ্বারা বিরক্ত না ।

হাতির আচরণে মাছিটি বিস্মিত।

“তুমি কি কানে কম শুনো?” মাছিটি হাতির কানে চিৎকার করে উঠল।

“না!” উত্তর দিল হাতি।

“আপনি আমার গুঞ্জনে এবং আমার মুখের সামনে আমার ডানা ফাটিয়ে দেওয়ার কারণে কেন বিরক্ত হচ্ছেন না?” মাছি জিজ্ঞাসা করলেন।

“কেন আপনি এত অস্থির এবং কোলাহল করছেন? কেন আপনি কেবল কয়েক মুহূর্তের জন্য স্থির থাকতে পারেন না?” হাতিটিকে জিজ্ঞাসা করলেন, এবং শান্তভাবে পাতা খাওয়া চালিয়ে গেলেন।

মাছি উত্তর দিয়েছিল, “আমি যা দেখি, শুনি এবং অনুভব করি সেগুলিই আমার মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং আমার চারপাশের সমস্ত শব্দ এবং গতিবিধি আমার আচরণকে প্রভাবিত করে । এমনকি আপনার খাবার চিবানো শুনে আমার মনোযোগ আকর্ষণ করে” ”

“আপনার গোপন রহস্যটি কী? আমার কোলাহলমূলক কর্ম সত্ত্বেও আপনি কীভাবে এত শান্ত এবং স্থির থাকতে পারেন?” মাছি জিজ্ঞাসা করলেন।

হাতি খাওয়া বন্ধ করে বলল:

“আমার পাঁচটি ইন্দ্রিয়গুলি আমার শান্তিকে বিঘ্নিত করে না, কারণ তারা আমার মনোযোগকে শাসন করে না। আমি চিন্তাভাবনা, কর্ম এবং প্রতিক্রিয়াগুলির নিয়ন্ত্রণে আছি এবং তাই আমি যেখানেই চাই আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি your আপনার গুঞ্জন সহ আমি কোনও ঝামেলা উপেক্ষা করতে পারি I এবং আপনার ডানা ঝাপটানো। ”

“এখন আমি খাচ্ছি,” হাতিটি আরও বলেছিল, “আমি খাওয়ার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিমগ্ন হয়েছি। এইভাবে, আমি আমার খাবার উপভোগ করতে এবং এটি আরও ভালভাবে চিবিয়ে নিতে পারি । আমি যা কিছু করছি তার নিয়ন্ত্রণে আছি এবং তাই , আমি শান্তিতে থাকতে পারি এবং আমার খাবার উপভোগ করতে পারি। ”

হাতির উত্তরটি মাছিটি বিস্মিত হয়েছিল, কারণ এর কোলাহলপূর্ণ আচরণ সর্বদা মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং অন্যান্য সমস্ত প্রাণীকে বিরক্ত করে। হাতিটি মাছিকে যে পাঠদান শিখিয়েছিল তার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিল এবং দ্রুতগতিতে দিগন্তের দিকে উড়ে গেল।

এই গল্পটি দেখায় যে মনের দিকে মনোনিবেশ করতে সক্ষম হওয়া এটি কতটা দরকারী।

আপনি শব্দ, দর্শনীয় স্থান, বিভিন্ন গন্ধ এবং পরিবেশ আপনার মনকে প্রভাবিত করতে, আপনার মনোযোগ সরিয়ে দিতে, আপনার শান্তিকে ব্যাহত করতে এবং আপনার দক্ষতা হ্রাস করতে পারে বা আপনি আপনার চিন্তাভাবনা এবং ক্রিয়াকলাপের দিকে মনোনিবেশ করতে এবং আরও ভাল কোনও কার্য সম্পাদন করতে পারেন।

মন মাছিটি মতো অস্থির, তবে আপনি এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে, এটিকে শান্ত করতে এবং তার আশ্চর্যজনক ক্ষমতা থেকে উপকার পেতে শিখতে পারেন।

 

লেখকঃ

মোঃ আল-মামুন রশিদ

ইন্সট্রাকটর, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

BSDI

জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার নাম বর্তমান

বিভিন্ন মোটিভেশন চ্যানেলে কিংবা Self Help বইগুলিতে আমরা সবসময় পড়ি, শুনি বা দেখি যে সর্বদা ইতিবাচক ভাবনা পোষন করুন

“মনে কোন নেতিবাচক চিন্তার জন্ম দিবেন না। কারন আপনি যা ভাববেন তাই হয়ে উঠবেন।” 

কিন্তু আমার কথা হল, এই সুন্দর কথাগুলির কার্যকারিতা আমাদের ওপর বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারে না। আমরা যখন পড়ি , শুনি বা দেখি তখন আমাদের মধ্যে কিছু করার জোশ আসে তারপর আবার আমরা একইভাবে জীবনযাপন করতে থাকি যদিও কথাগুলি সত্য। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের জীবনের গল্প আলাদা একই কথা যে সবার কাছে সত্য হবে তেমনটা নয়। সবাই কথাগুলোকে কেমনভাবে তার জীবনে প্রয়োগ করছে সেটাই তার কাছে সত্য। এই যে আমি আর্টিকেলটা লিখছি , আমি তোমাকে সরাসরি বলতে পারি না এটা করো , ওটা করো কারন তুমি বুঝবে তোমার জন্য কোনটা করা উচিত কোনটা নয়? মোটিভেটররা আমাদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার মতো একটা পরিবেশ তৈরি করতে পারে , আমাদের অনুপ্রাণিত হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারে কিন্তু তারপরের কাজগুলো তো আমাদের নিজেকেই করতে হবে তাই না ? আমি জানি না তোমরা এখন কে কেমন পরিস্থিতির মধ্যে আছো , হয়তো কেউ চাকুরির পরীক্ষায় বার বার ব্যর্থ হয়ে জীবনে আর কিছু হবে না বলে ক্ষান্ত হয়ে আছো।কিংবা কেউ প্রিয়জনেদের হারিয়ে আজ যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছো কেউবা প্রেমে ব্যর্থ হয়ে নিজেকে শেষ করে দেবার কথা ভাবছো কেউবা টাকা রোজগারের চেষ্টায় রোজ দৌড়াচ্ছ , কিন্তু দিন শেষে ক্লান্তির বলিরেখা তোমার অন্তর আত্মাকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। কেউবা অহেতুক দুঃশ্চিন্তা করে রাতের পর রাত জেগে কাটাচ্ছো। আমি শুধুমাত্র কয়েকটি উদাহরণের কথা বললাম ,এর বাইরেও আরো অনেক সমস্যা , আরও জটিল পরিস্থিতি অনেকের জীবনে থাকতে পারে বা রয়েছে কারন জীবন মানেই সংগ্রাম সংগ্রাম আছে বলেই তো জীবনে বাঁচার আনন্দ আছে সংগ্রাম থেকেই তো শক্তির উদয় হয়। এমনকি কখনও কখনও যন্ত্রণাও এক দারুণ শিক্ষক হয়ে উঠতে পারে প্রত্যেকের কাছে আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলিকে আমরা বদলাতে পারি না , এমনকী কখন কী ঘটবে সেটাও কেউ বলতে পারবো না, কিন্তু ঘটনা গুলির ওপর আমাদের প্রতিক্রিয়া কী হবে সেটা সম্পূর্ণ আমাদের ওপর নির্ভর করে জীবন কখনো নিখুঁত হয় না , আনন্দবিষাদ,ভালোমন্দ সবটুকু নিয়েই তো জীবন ,আর সেটা আমাদের উপলব্ধি করা উচিত। প্রত্যেকটা ঘটনার একটা সময়সূচি থাকে ঘটে আবার সেই ঘটনা চলেও যায় আমাদের জীবন থেকে কিন্তু আমারা মাসের পর মাস , বছরের পর বছর অনেক দুঃখ জনক ঘটনা কে আঁকড়ে ধরে থাকি সেটা থেকে বেরোতে পারি না , যত ভোলার চেষ্টা করি ততবার ফিরে আসে সেই মুহুর্তগুলি।কিন্তু জীবন মানে তো এগিয়ে চলা পিছনে ফিরে দেখা নয়

একটা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে গড়ে প্রতিদিন প্রতিটি মানুষের মনে সত্তর হাজার চিন্তার সমাবেশ ঘটে এর মধ্যে মজার কথা হলো তার মধ্যে সত্তর শতাংশই হলো নেতিবাচক চিন্তা চিন্তাগুলির ওপর যদি একটু সজাগ হওয়া যায় এবং কোন চিন্তাটা কার্যকারী কোনটা নয় সেটা বিচার করা যায় তাহলে হয়তো জীবনের মান একটু উন্নত হবে জানি তোমাদের অনেক সংগ্রাম করতে হচ্ছে , অনেক জটিল সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে , তাই সর্বদা নিজেকে পজিটিভ রাখা দায় কিন্তু আমি দেখেছি প্রতিদিন যদি কিছু ছোটো ছোটো সু অভ্যাস আমরা গড়ে তুলি তাহলে হয়তো আমরা কিছুটা পজিটিভ থাকব, খুশি থাকব , নিজেকে ভালোবাসতে ভালো রাখতে শিখব কারন নিজেকে ভালোবাসতে শিখলে তবেই মানুষ অপরকে ভালোবাসতে শেখে

() দিনটা শুরু হোক ইতিবাচক ভাবনা দিয়ে :- 

আমরা যদি সকালটা শুরু করি কিছু ইতিবাচক ভাবনা নিয়ে , তাহলে সারাটাদিন আমরা ইতিবাচক ভাবনা নিয়েই কাটাতে পারব। সকালে ঘুম থেকে ওঠে যদি আমরা আমাদের প্রিয়জনদের মুখগুলো দেখতে পারি তারা সুখে আছে, ভালো আছে, এটা কী একটা সুন্দর পুরষ্কার নয়আমাদের জীবনে বলো ? সকালে যদি একটা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ফর্দি বানাই যে , পাঁচটি কারনে আজ আমি কৃতজ্ঞতা অনুভব করছি তাহলে দেখবে ভালো লাগবে, দিনটা ভালো কাটবে। কী নেই তা না ভেবে কী আছে তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি তাহলেই আমরা পজিটিভ থাকবো

 

() নতুন কিছু শেখার ইচ্ছা :-

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যদি আমরা নতুন কিছু শিখি বা পড়ি সেটার রেশ সারাদিন আমাদের বাকি কাজ গুলোতে পড়বে হতে পারে নতুন কোনো Self Help Book যেটা আমাদের কাজে উদ্যম প্রেরণা জাগাতে, নতুন করে ভাবতে সাহায্য করবে। হতে পারে কারো Biography যারা জীবন যুদ্ধে হার মানে নি , অথবা কোনো Podcast শুনতে পারো কিংবা প্রেরণা মূলক নিবন্ধ গুলি পড়তে পারো। আরেকটি বিখ্যাত প্লাটফর্ম রয়েছে যার নাম Ted Talks যেখানে বিশ্বজুড়ে খ্যাতনামা মানুষজন তাদের আইডিয়া গুলি শেয়ার করে থাকেন সেটা দেখতে পারো যেখানে অনেক নতুন জিনিস শিখতে পারবে তুমি ।ফলে আমাদের ভাবনাতেও ইতিবাচক চিন্তার বীজ জন্মাবে

() নিয়মিত এক্সারসাইজ অনুশীলন:-

বলা হয়ে থাকেসুস্থ শরীরে সুস্থ মন বাস করে।রোজ অন্ততপক্ষে ২০ মিনিট যদি আমরা এক্সারসাইজ করি তাহলে শরীরে একধরনের এনার্জি কাজ করবে , যা আমাদের কার্যক্ষমতাকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে তুলবে বসে থাকা শরীরে রোগ নেতিবাচক চিন্তা বেশি করে বাসা বাঁধে। তাই শরীর মনকে সুস্থ রাখতে হালকা এক্সারসাইজ কর। এতে মনের শক্তি পজিটিভিটি বাড়বে

( ) প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা কর, কথা বল :-

প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে কথা বল, তাদের আইডিয়াগুলি গ্রহণ কর তাঁরা কিভাবে দুঃখের দিন গুলিকে জয় করেছে , কিভাবে নতুনকরে বাঁচার প্রেরণা পেয়েছে তাদের বক্তৃতাগুলি শোনো হতে পারে কোনো ফেসবুক কমিউনিটি যাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পার, তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারো কিংবা কোনো সেমিনারে যেতে পারো প্রেরণা মূলক ভিডিও গুলি দেখো এখন যুগ ডিজিটাল হয়েছে Online আমরা গোটা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারি এবং নিজেকে পজিটিভ রাখতে পারি যাঁরা তোমার ইচ্ছা শক্তিকে Boost করবে তাদের সঙ্গে বেশি সময় কাটাও 

() কিছুটা সময় নির্জনে কাটাও :-

১০ মিঃ হলেও কিছুটা সময় নিজের সঙ্গে কাটাও সারাদিনের ব্যস্ত জীবনে আমরা নিজেদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাই না বন্ধুবান্ধব ,পরিবার , কর্মজগত , সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকি যে তাদের প্রভাব আমাদের ওপর সর্বদা পড়তেই থাকে আমরা কি করছি ? কেন করছি ? কেন দুঃখ পাচ্ছি ? আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী? এই প্রশ্নগুলি নিজেকে করলে আমরা উত্তর পেয়ে যাব নিজেদের ভাবনায় একটু বদল আনলে জীবনের রং বদলাবে কারন তোমার জীবনের প্রশ্নের উত্তরগুলো তোমার ভেতরেই লুকিয়ে আছে

( ) বর্তমানে বাঁচো :-

আমাদের জীবনের দুঃখের অন্যতম কারণ আমরা মুহূর্তের জীবনযাপন করি না হয় আমরা অতীতের কোনো ঘটনা নিয়ে সর্বদা দুঃখী থাকি নয়তো ভবিষ্যতের কোনো স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার ভয়ে দুঃশ্চিন্তা করি আমরা ভাবি ইশ্ কাল যদি আমার সাথে এটা ঘটে , আমার প্রিয়জন যদি আমাকে ছেড়ে চলে যায় , আমার চাকরিটা যদি হাত থেকে চলে যায় তো আমার কী হবে ? আমরা ভাবি আমরা বুঝি এই পৃথিবীতে চিরকাল থাকব। তাই আমাদের ভালোলাগা খুশি থাকা আমরা Postponed করতে থাকি কালকের ওপর আর কাল যদি আমাদের জীবনে আর না আসে ? আমরা কখনও এটা ভাবি না ; ভাবতেও ভয় লাগে। তাই জীবনের মুহূর্তগুলোকে আমরা নষ্ট করতে থাকি। আজকের দিনটাকে যদি আমরা শেষ দিন ভাবি বা এই মুহূর্তটাকেই যদি শেষ মুহূর্ত ভাবি তাহলে জীবনের গল্পটাই পাল্টে যাবে বাইরের কোনো শক্তির প্রয়োজন হবে না তোমাকে পজিটিভ রাখার , তোমার ভিতরের শক্তিই তোমাকে Positive রাখবে তুমি দেখতে পারবে জীবনে কত যাদু আছে , কত আনন্দ রয়েছে প্রতিটি পরতে পরতে।

 

লেখকঃ

মোঃ আব্দুল্লা-আল-মামুন রুপম

ইন্সট্রাকটর, ইলেকট্রিক্যাল

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

BSDI | Bangladesh Skill Development Institute

BSDI | Bangladesh Skill Development Institute

Bangladesh Skill Development Institute (BSDI) ড্যাফোডিল পরিবারের  একটি প্রতিষ্ঠান  যা ২০০২ সাল থেকে শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পেশাদার মানবসম্পদ বিকাশের জন্য কাজ করছে। BSDI বাংলাদেশের পেশাদার দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলির ঐতিহ্যগত  ধারণাটিকে পুরোপুরি পরিবর্তন করেছে। আজ বিএসডিআই বিজ্ঞান, প্রকৌশল, আর্টস স্টাডি এবং পেশাদার এবং নেতৃত্বের বিকাশের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির জন্য অত্যন্ত সুপরিচিত একটি প্রতিষ্ঠান।

কর্পোরেট প্রশিক্ষণ শিল্পে বিএসডিআই খুব জনপ্রিয় নাম যা খুব অল্প সময়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। BSDI  বহু জাতীয় ও ট্রান্সন্যাশনাল সংস্থার মানুষকে কর্পোরেট প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে BSDI প্রশিক্ষিত ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোম , কর্পোরেট পেশাদার এবং দক্ষ মানবসম্পদ বিকাশের মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখছে। সম্প্রতি বিএসডিআই উদ্যোক্তা  তৈরির কাজ শুরু করেছে।

আজ BSDI তার প্রচেষ্টার জন্য বাংলাদেশের প্রথম সর্বোচ্চ নির্বাচিত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে পরিণত হয়েছে। BSDI তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে শেখার একটি অভিপ্রায় জাগায় এবং তাদের আজীবন নেতৃত্বের ক্ষমতা দেয়।

 

লক্ষ শুধু জ্ঞান অর্জন নয়

লক্ষ শুধু জ্ঞান অর্জন নয়

এই পৃথিবীতে তথা গোটা বিশ্বজগতে জানার মত কত কি না আছে। আমরা প্রতিনিয়ত সে-সব জ্ঞান, অর্জন করে চলেছি। প্রকৃতি,প্রযুক্তি,প্রাণীবিজ্ঞান, মহাকাশ, ইত্যাদি, ইত্যাদি। মানুষ অনেক আগেই চাঁদে পর্যন্ত পৌছে গেছে।

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়োয়া আমার প্রিয় শিক্ষার্থীরা

তোমাকে অবশ্যই জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন চূড়ায় পৌছানোর পাশাপাশি মানুষের হৃদয়ে পৌছাতে হবে এবং তোমার নিজের অন্তরকেও করতে হবে পবিত্র। শিক্ষার অন্যতম এবং বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে মনুষ্যত্ববোধ।

দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য

নিজের ব্যাক্তিত্বকে উন্নত করতে হবে। দৃষ্টিভঙ্গি হওয়া উচিৎ যথার্থ এবং তোমার শিক্ষার উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ সেবা। দেশ মানুষের সেবায় নিজেকে প্রস্তুত করতে পারাটাই প্রকৃত শিক্ষা। তুমি একজন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়োয়া শিক্ষার্থী। তোমার শিক্ষার পূর্ণতা পাবে তখনই, যখন তুমি তোমার অর্জিত জ্ঞানের মাধ্যমে সততার সাথে দেশের সেবায়, মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে পারবে।

সেবা করার জন্য তোমাকে যেমন জ্ঞানার্জন করতে হবে, পাশাপাশি তোমার অন্তরকে করতে হবে পবিত্র। মিথ্যা বলা, লোভ,প্রতারনা, এগুলো একেকটি হৃদরোগ। অন্তরের এই রোগগুলোকে দূরীভূত করতে না পারলে তোমার সকল শিক্ষা হবে অনর্থ।

উদ্দেশ্য যদি হয় সেবা, তোমার ক্যারিয়ার এমনিতেই হবে সুউচ্চ।

নিশ্চয়ই সকল কর্ম, মানুষের নিয়তের উপর নির্ভরশীল

অভিনন্দন হে! প্রিয় প্রকৌশল শিক্ষার্থী, তুমি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছ। তুমি হতে যাচ্ছ একজন প্রকৌশলী। তোমার চিন্তা নিশ্চয়ই সৃজনশীল। তোমার এই সৃজনশীল হ্রদয়কে আমরা (শিক্ষকগণ ) সন্মান জানাই। তোমার এই সৃজনশীল মনোভাব এবং অর্জিত জ্ঞানের সমন্বয়ে উদ্ভাবিত নতুন কিছু দ্বারা আমরা হতে চাই পুলকিত। তোমার মত শিক্ষার্থীদের সৎ কর্ম দ্বারা হতে চাই গর্বিত শিক্ষক। প্রযুক্তির পিঠে চড়ে চষে বেড়াবে তুমি সমগ্র বিশ্ব।

 

বিশ্বজগত দেখবে তুমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে

তোমার দৃষ্টিকে শুধু বইয়ের পৃষ্ঠার মাঝেই সংকীর্ণ করোনা, দৃষ্টিকে বিস্তৃত করো তাত্ত্বিক, ব্যাবহারিক এবং মনুষ্যত্বের দিকে। তোমার দ্বারা যা উদ্ভাবন হবে তা যেন হয় মানুষের কল্যাণে। তোমার পরবর্তী প্রজন্ম যেন তোমাকে শুধু বইয়ের পাতায় নয় বরং চারপাশের বিভিন্ন কল্যাণকর 

উদ্ভাবনের মাঝে তোমাকে খুজে পায়।

তোমরা ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিকে যথাযথ ব্যাবহার করছ। বিশেষত COVID 19 এর প্রকোপে তোমরা তোমাদের জ্ঞানার্জন অব্যাহত রেখেছ অনলাইন শিক্ষা ব্যাবস্থার মাধ্যমে। অনেকেই এই প্রযুক্তি নিরর্থক করে রেখেছ। নিজের বিবেককে প্রশ্ন করো। তুমি কি জ্ঞানান্বেষী, নাকি জ্ঞানের আলো থেকে পলায়নকারী? প্রযুক্তির যথাযথ ব্যাবহারে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। আর তাছাড়া তোমরা কারিগরি শিক্ষার্থী,

আমাদের শিক্ষা যখন কারিগরি, আমরা দুনিয়টাকেই বদলে দিতে পারি

পৃথিবী প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হবে এটা খুবই স্বাভাবিক, এই পরিবর্তনে তোমার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, পরিবর্তনের এই গতিকে বহুগুণ ত্বরান্বিত করবে। তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে তোমার এই অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য যেন মহৎ হয়। নতুন প্রজন্ম যেন তোমার প্রচেষ্টায় এক উন্নত, আধুনিক এবং সুন্দর পৃথিবী উপহার পায়। 

পৃথিবীর ইতিহাস যেন তোমাকে কল্যাণকামী হিসেবেই সনাক্ত করে। তুমি হয়ত কোন একসময় চলে যাবে, তোমার কর্ম তোমাকে চিরজীবী করবে। সবার শিক্ষার উদ্যেশ্য হোক উন্নত বিবেকবোধ , মনুষ্যত্ব, উদ্ভাবনী মনোভাব, সেবা করার প্রয়াস এবং কল্যাণকর চিন্তার মাধ্যমে এক নতুন পৃথিবী গড়ার

লেখকঃ 

নাহিদুল ইসলাম (নাহিদ)

ইন্সট্রাক্টর 

ইলেক্ট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

জেনে নিন বিভিন্ন বিষয়ের জনকের নাম

পৃথিবীতে অনেক মনীষী এসেছেন যারা নিজের জ্ঞান, দক্ষতা এবং সঠিক আচরনকে ব্যবহার করে আমাদের জীবনকে সহজ করবার জন্য বিভিন্ন তুলে ধরেছেন। যে বিষয়গুলো আমাদের জীবন পরিচালনায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিলো। আমি গুগলকে ব্যবহার করে জানবার চেষ্টা করছিলাম যে বিষয়গুলো আমাদের জীবনকে সহজ করতে সাহায্য করেছে সে বিষয়গুলোর জনকের নাম। আজকের এই ব্লগের মাধ্যমে আমি সেই জনকের নাম তুলে ধরলাম যারা বিভিন্ন বিষয়ের জনক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নিজেদের নাম লিখিয়েছেন। নিচে তাদের নাম এবং উইকিপিয়ার লিংক দেওয়া হলো যাতে আপনারা তাদের নিয়ে গবেষনা করতে পারেন।

বিভিন্ন বিষয়ের জনক জেনে নিন

✬ অংকের জনক — আর্কিমিডিস

✬ অপরাধ বিজ্ঞানের জনক — ল্যামব্রাসো।

✬ অর্থনীতির জনক — এডামস্মিথ।

✬ অলিম্পিকের জনক — ব্যারন পিয়েরে দ্য কুবার্তে।

✬ আধুনিক শিক্ষার জনক — জান আমোস কমেনস্কি।

✬ আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার জনক — ম্যাক্স ওয়েবার।

✬ দর্শনের জনক — সক্রেটিস।

✬ আধুনিক অর্থনীতির জনক — পল স্যামুয়েলসন

✬ আধুনিক গণতন্ত্রের জনক — জন লক।

✬ আধুনিক জোর্তি বিজ্ঞানের জনক — কোপার্নিকাস।

✬ আধুনিক মনোবিজ্ঞানের জনক — সিগমুন্ড ফ্রয়েড।

✬ আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক — নিকোলো মেকিয়াভেলী

✬ আধুনিক রসায়নের জনক — জন ডাল্টন

✬ আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানের জনক — আলবার্ট আইনস্টাইন

✬ আধুনিক বিজ্ঞানের জনক — রজার বেকন

✬ আধুনিক কম্পিউটারের জনক — চালর্স ব্যাবেজ

✬ আমেরিকার জনক — জর্জ ওয়াশিংটন

✬ ইংরেজি নাটকের জনক — শেক্সপিয়র

✬ ইংরেজী কবিতার জনক — জিওফ্রে চসার

✬ ইতিহাসের জনক — হেরোডোটাস

✬ ইন্টারনেটের জনক — ভিনটন জি কার্ফ

✬ WWW এর জনক — টিম বার্নাস লি ।

✬ ই-মেইল এর জনক — রে টমলি সন

✬ ইন্টারনেট সার্চইঞ্জিনের জনক — এলান এমটাজ ।

✬ উদ্ভিদ বিজ্ঞানের জনক — থিওফ্রাস্টাস

✬ এনাটমির জনক — আঁদ্রে ভেসালিয়াস

✬ ক্যালকুলাসের জনক — আইজ্যাক নিউটন

✬ গণিতশাস্ত্রের জনক — আর্কিমিডিস

✬ চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক — হিপোক্রেটিস

✬ জীবাণুবিদ্যার জনক — লুই পাস্তুর

✬ জীব বিজ্ঞানের জনক — এরিস্টটল

✬ জ্যামিতির জনক — ইউক্লিড

✬ দর্শনশাস্ত্রের জনক — সক্রেটিস

✬ প্রাণি বিজ্ঞানের জনক — এরিস্টটল

✬ বংশগতি বিদ্যার জনক — গ্রেগর জোহান মেন্ডেল

✬ বংশগতির জনক — গ্রেগর মেন্ডেল

✬ বাংলা গদ্য ছন্দের জনক — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

✬ বাংলা উপন্যাসের জনক — বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

✬ বাংলা কবিতার জনক — মাইকেল মধু সূদন দত্ত

✬ বাংলা গদ্যের জনক — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যা সাগর

✬ বাংলা নাটকের জনক — দীন বন্ধু মিত্র

✬ বাংলা গজলের জনক — কাজী নজরুল ইসলাম

✬ বাংলা সনেটের জনক — মাইকেল মধু সুদন দত্ত

✬ বাংলা মুক্তক ছন্দের জনক — কাজী নজরুল ইসলাম

✬ বাংলা চলচিত্রের জনক — হীরালাল সেন

✬ বিজ্ঞানের জনক — থেলিস

✬ বীজগণিতের জনক — আল-খাওয়ারিজমি

✬ ভূগোলের জনক — ইরাতেস্থিনিস

✬ পদার্থ বিজ্ঞানের জনক — আইজ্যাক নিউটন

✬ মনোবিজ্ঞানের জনক — উইলহেম উন্ড

✬ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক — এরিস্টটল

✬ রসায়নের জনক — জাবির ইবনে হাইয়ান

✬ শারীরবিদ্যার জনক — উইলিয়াম হার্ভে।

✬ হিসাব বিজ্ঞানের জনক — লুকাপ্যাসিওলি

✬ শ্রেণীকরণ বিদ্যার জনক — ক্যারোলাস লিনিয়াস

✬ সনেটের জনক — পের্ত্রাক।

✬ সামাজিক বিবর্তনবাদের জনক — হার্বাট স্পেন্সর

✬ সমাজবিজ্ঞানের জনক — অগাষ্ট কোঁৎ

✬ ফেসবুক এর জনক — মার্ক জুকারবার্গ

✬ চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক — ইবনে সিনা

✬ হোমিওপ্যাথির জনক — হ্যানিম্যান

✬ মেডিসিনের জনক — হিপোক্রটিস

✬ কম্পিউটার মাউসের জনক — ডগলাস এঙ্গেলবার্ট

✬ মোবাইল ফোনের জনক — মার্টিন কুপার

 

লেখকঃ জনাব কে এম হাসান রিপন,

নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট (বিএসডিআই)

অধ্যক্ষ, ড্যাফোডিল পলিটেকনিক

Hotel Management at BSDI

Hotel Management at BSDI

নিশ্চিত ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনাময় শিল্পক্ষেত্র হোটেল ম্যানেজমেন্ট। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধমান শিল্পক্ষেএ হচ্ছে ট্যুরিজম এবং হোটেল ম্যানেজমেন্ট। পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে দেশে বিদেশে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন নামিদামি তারকা হোটেল । বিশ্বের চাহিদা সম্পন্ন শিল্পগুলোর মধ্যে ট্যুরিজম ও হোটেল ম্যানেজমেন্ট (Hotel Management) অষ্টম তম শিল্পক্ষেএ।

গ্লোবাল জিডিপির ১০.৪% আসে ট্যুরিজম ও হোটেল ম্যানেজমেন্ট থেকে এবং ধারনা করা হচ্ছে পরবর্তী ১০ বছরে প্রায় ৭২ মিলিয়ন চাকরী যুক্ত করা হবে এই সেক্টরে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ৮ লাখের বেশি তারকা হোটেল রয়েছে যেখানে কাজ করছেন প্রায় লাক্ষ লাক্ষ দক্ষ লোক ।

বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও এই শিল্পের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ৬ লাখ ট্যুরিস্ট ভিজিটে আসছেন।

Bangladesh Skill Development Institute (BSDI) ২০০৬ সাল থেকে কনফেডারেশন অফ ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট (সিটিএইচ) বোর্ডের অধীনে হোটেল ম্যানেজমেন্ট এর উপরে ১ এবং ২ বছর মেয়াদী  ডিপ্লোমা পরিচালনা করে আসছে। এই ডিপ্লোম্যাটিক হচ্ছে প্রফেশনাল ডিপ্লোমা এবং এই কোর্সগুলোতে খুব বয়স সীমা নির্ধারন করা নেই। যেকোনো বয়সেই এই কোর্স করা সম্ভব। এই কোড গুলো তে ভর্তি হতে ন্যূনতম যোগ্যতা এইচএসসি পাস হতে হবে যোগ্যতা এইচইসসি পাশ হতে হবে। এখানে কোর্সের সিলেবাস এবং কোর্স রিলেটেড সমস্ত কিছু সিটিএস বোর্ড থেকে নির্ধারণ করা হয় এবং সার্টিফিকেটও সিটিএইচ বোর্ডের অধীনে হয়।

যে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখে,সৌভাগ্য শুধু তার কথা বলে

যে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখে

সৌভাগ্য শুধু তার কথা বলে

দিনের বেলায় দোকান পাঠ সব বন্ধ থাকবে- 

রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে পড়বে-

সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে –

বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে –

কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বেকার হয়ে  যাবে কোটি কোটি মানুষ –

প্রতিটি দেশ তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিবে –

একটি অদৃশ্য ভাইরাসের আতংকে প্রতিটি মানুষ অন্য মানুষকে এড়িয়ে চলবে, অন্তঃতপক্ষে দশ হাত দুরে থাকবে।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

৬ মাস আগে এই ভবিষ্যতবাণী পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই ছিল না। কিন্তু বাস্তবে তাই ঘটেছে। এক অদৃশ্য ভাইরাসের আক্রমনে তছনছ হয়ে গেছে একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বব্যবস্থা। ইতিহাসে এত বেশি সংখ্যক মানুষ একই সময়ে, একটানা এত দীর্ঘসময় ঘরে বন্দী থাকার নজীর আর নাই। এই অবস্থা থেকে কখন মুক্তি মিলবে তার কোন সুস্পষ্ট ধারণা কেউ দিতে পারছে না।

তাই বলে কি আমাদের জীবন ব্যবস্থা থেমে থাকবে? 

পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে যখনই কোন মহামারী হয়েছে, ঠিক তখনই নতুন চ্যালেঞ্জসহ নতুন নতুন সম্ভাবনা, সুযোগ ও তৈরি হয়েছে। করোনা ভাইরাস আমাদের শিখিয়েছে, কীভাবে সচল পৃথিবীতে হঠাৎ আসা মহামারীর স্থবিরতা প্রযুক্তির দ্বারা সচল রাখতে হয়, কিভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৈশ্বিক মহামারীর ক্ষয়-ক্ষতি কমানো যায়।

আমি একজন শিক্ষক। তাই শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েই কথা বলব। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি এক ডিজিটাল এডুকেশন সিস্টেম গড়ার প্রচেষ্টায় আছি। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করার উপযুক্ত সময় এখন। সেই পুরানো ধ্যান-ধারণার ক্লাসরুম আর নেই।

অনলাইন প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিডিও কলে ক্লাস নিচ্ছি , রাখছি শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর। আর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল ক্লাস লেকচার রেকর্ড করা থাকে। তাই শিক্ষাদানের পর ছাত্ররা নিজেদের সময়ানুসারে রেকর্ড দেখে সাহায্য নিতে পারে।

কেউ যদি মনে করে এই সব পরিবর্তন সাময়িক এবং করোনা মুক্তির সঙ্গে আবার আমরা পুরনো শিক্ষাপদ্ধতি অবলম্বন করব, তা হলে তারা অন্ধকার জগতে বাস করছে। শিক্ষা চিরতরে পাল্টাচ্ছে এবং যারা এই বদলের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারবে না, তারা নিজেরাই বরং ডাইনোসারের মত বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

করোনা পরিবর্তন করে দিয়েছে জীবনযাত্রার পথ। বদলে দিয়েছে পৃথিবীর আগামী কর্মপরিকল্পনা, ধ্যানধারণা, চিকিৎসা, যোগাযোগ, শিক্ষাব্যবস্থা। আর তাই যে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, আসুন শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিবাবক আমরা সবাই মিলে তা সম্পূর্ন ডিজিটাল করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করি, তবেই করোনা মহামারীর এই বৈশ্বিক সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে তোলা সম্ভব।

নিজেকে বদলাও, ভাগ্য নিজেই বদলে যাবে” – বিখ্যাত পর্তুগীজ প্রবাদ
                

লেখকঃ
ফারহা দিবা
সিনিয়র ইন্সট্রাকটর
ডিপার্টমেন্ট অফ ম্যাথমেটিকস
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

কেউ করে দেবে না, করতে হবে আপনাকেই

কেউ করে দেবে না

করতে হবে আপনাকেই

কেউ করে দেবে না, করতে হবে আপনাকেই। আপনি নিজেই আপনার অনুপ্রেরনা। নিজের জীবনকে একটি গবেষনা পত্র হিসেবে চিন্তা করুন। ভেবে দেখুন কতগুলো স্বীদ্ধান্ত নিয়েছেন এই ছোট্ট পরিসরে। কেমন ছিলো সেই স্বীদ্ধান্তগুলো? কোথায় ভুল ছিলো? কি কি শিখলেন? আর অন্য কিভাবে করা যেত? কাছের মানুষের সাথে শেয়ার করেও আপনি কিন্তু নিজের চলার পথকে ফাইন টিউনিং করে নিতে পারেন। চুপ করে বসে থাকলে কিন্তু আপনারই ক্ষতি। কেউ সেচ্ছায় আসবে না কাছে বা আসলেও খুব একটা আশার কিছু হবে না।

মানুষতো বলবেই আপনাকে দিয়ে হবে না, আপনাকে বলবে চলে যাও এখান থেকে। আবার কিছু মানুষ আপনাকে উৎসাহও দেবে। মনে রাখতে কেউ নিরুৎসাহিত করবে আবার কেউ উৎসাহিত করবে। যে যাই করুক, কাজ আপনাকেই করতে হবে। কেউই করে দেবে না। বেশী হলে কিছু মানুষকে পাবেন যারা আপনাকে উপায় বলে দিয়ে সাহায্য করবে কিন্তুঃ

১. লিখতে আপনাকেই হবে।

২. পড়তে আপনাকেই হবে।

৩. শুনতে আপনাকেই হবে।

৪. শিখতে আপনাকেই হবে।

৫. ঝুঁকি আপনাকেই নিতে হবে।

৬. নিজ হাতে কাজ আপনাকেই করতে হবে।

৭. ব্যর্থ আপনিই হবেন আবার

৮. সেই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সফলতা আপনাকেই অর্জন করতে হবে।

সচেতন থাকুন | ভালো থাকুন
মনে রাখবেন #অনুশীলনে_সবই_সম্ভবা

স্বপ্নতো আছেই, এবার হোক বাস্তবায়নের পরিকল্পনা

স্বপ্নতো আছেই

এবার হোক বাস্তবায়নের পরিকল্পনা

স্বপ্ন আপনার এবং এটি আপনাকেই দেখতে হবে। প্রতিদিন স্বপ্ন দেখি এবং সত্যিকথা বলতে স্বপ্ন একধরনের বিনোদনও বটে। আর একধাপ এগিয়ে যদি বলতে হয় তাহলে বলবো স্বপ্ন সবাই দেখতে পারে। স্বপ্নে আমি দামী গাড়ীতে চড়ি, বড় একটি অফিসের প্রধান ‍হিসেবে কাজ করি, নিজের বাড়িতে থাকি, ঘনঘন দেশের বাইরে অফিসিয়াল ট্রিপে যাই। বিভিন্ন জায়গা থেকে আমার ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ সম্মাননা পাচ্ছি। হঠাৎ মার ডাকে ঘুম থেকে উঠে দেখি যা দেখছিলাম সবই স্বপ্ন ছিল কিন্তু আহা ভালোই ছিলো। স্বপ্নটা দেখে মনের ভেতর একধরনের শক্তি অনুভব করছি। ঠিক করলাম আজ থেকেই শুরু হবে যুদ্ধ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার। হঠাৎ মোবাইলে টুং করে শব্দ হলো। মোবাইলে দেখলাম কোন একজন কে নিয়ে ট্রল করা হচ্ছে। ঢুকলাম ফেসবুকে, স্ক্রল করতে করতে অনেক নীচে নেমে গেলাম। হঠাৎ আরেকটা টুং শব্দ এলো ইউটিউভ থেকে। ভাবলাম এই ভিডিওটি দেখেই কাজে নেমে পড়বো। একটা, দুইটা, তিনটা করে ৩ ঘন্টার একটি সিনেমা দেখে ফেললাম। এর মধ্যে আবার আমার পোস্ট করা ছবি নিয়ে এক দুষ্টছেলে বাজে মন্তব্য করেছে, তার উত্তর দিতে দিতে মনে হলো একটা লাইভ করে ফেলি। লাইভ করে পোস্ট করেই কিছুক্ষন পর পর চেক করছি কে কি বললো। এই করে সকাল হলো দুপুর, দুপুর হলো সন্ধ্যা আর সন্ধ্যা হলো রাত। সেই মহান রাত যখন আমি স্বপ্ন দেখি, সেই স্বপ্ন যেখানে আমি বিরাট কিছু একটা। আমার প্রিয় একটি ডায়ালগ আছে স্বপ্ন দেখতে পারে সবাই, বাস্তবে রুপ দিতে পারে মাত্র কজনা। আমাদের চোখের সামনেই অনেক মানুষ আছেন যারা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটা বাস্তবে রুপদান করতে পেরেছেন। স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দেবার জন্য প্রয়োজন কিছু সাহস তার সাথে কিছু আপস এবং পরিকল্পনা। আমার আজকের আর্টিক্যালটি আমাদের প্রত্যেকের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নেরই উপর।

কিভাবে লক্ষ্য নির্ধারন করবেন?

লক্ষ্য বা স্বপ্ন মানুষের জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সত্যি কথা বলতে এই লক্ষ্য বা স্বপ্ন একমাত্র মানুষের জন্যই প্রযোজ্য। কারন মানুষই পারে একমাত্র স্বপ্ন দেখতে বা লক্ষ্য নির্ধারন করতে। আবার সেই মানুষই স্বপ্ন বাস্তবায়ন বা লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু কেন? শুরুতে যেভাবে বলেছিলাম লক্ষ্য বা স্বপ্ন একমাত্র মানুষের জন্য, পৃথিবীর অন্য কোন সৃষ্টির জন্য এই শব্দগুলো প্রযোজ্য নয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো সৃষ্টির সেরা হয়েও আমরা অনেকেই লক্ষ্য নির্ধারনে বা স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হয়ে যাই। এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছিলাম। আমি যে কারনটি খুজে পেয়েছি তা হলো আমরা অনেকেই লক্ষ্যর সাথে অর্জন এবং স্বপ্নের সাথে বাস্তবায়নকে মেলাতে পারি না। লক্ষ্যের সাথে যেমন অর্জন শব্দটিকে যুক্ত করতে হবে তেমনি স্বপ্নের সাথে বাস্তবায়ন শব্দটিকেও যুক্ত করতে হবে। আপনি যদি অত্যন্ত সাহসী হন, আপনার ভেতর যদি দৃঢ় সংকল্প থাকে, আপনার মনোবল যদি শক্তিশালী হয় তাহলেই কেবলমাত্র আপনি যে লক্ষ্য নির্ধারন করেছেন তা অর্জন বা যে স্বপ্ন দেখেছেন সেটা বাস্তবায়ন করতে অবশ্যই পারবেন। আমরা যদি পৃথিবীর সফল মানুষদের জীবন পর্যালোচনা করি তাহলে দেখবো তাদের প্রত্যেকেই যে লক্ষ্য নির্ধারন করেছিলেন বা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা অর্জন বা বাস্তবায়নে ছিলেন দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ, মানসিকভাবে ছিলেন অত্যন্ত সাহসী এবং মনোবলে ছিলেন মজবুত। তাদের ভেতর দেখা গেছে বাস্তবতাকে স্বীকার করবার মানসিকতা এবং তারা তাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য নিজের ভালো লাগার জায়গাটাকে খুজে পেয়েছেন সবার আগে। তারা জানতেন বা খুজে বের করতে সক্ষম হতেন যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কখন, কিভাবে, কার সাহায্যে কোন কাজটি সম্পাদন করতে হবে।

আমি স্বপ্নের সাথে যে শব্দটি সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দেই সেটা হলো অর্জন কারন আপনার স্বপ্ন যদি স্পষ্ট না হয় তাহলে বাস্তবায়নের জন্য যে লক্ষ্য নির্ধারন করেছেন কা অর্জন করতে আপনার জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে বা অসম্ভবও হতে পারে। কোন একজন মানুষ চাইলেই প্রতিদিন অসংখ্য স্বপ্ন বা লক্ষ্য নির্ধারন করতে পারেন কিন্ত তার সাথে যদি অর্জন করবার জন্য পাগলামী না থাকে তাহলে সে স্বপ্ন রাতের বিনোদন ছাড়া আর কিছুই দেবে না। বিষয়টি হয়তো ইতিমধ্যেই সবার কাছে পরিস্কার হয়ে যাবার কথা আর তা হলো স্বপ্ন যদি হয় একটি বৃত্ত আর লক্ষ্য হলো সেই বৃত্তকে টুকরো টুকরো করে ভেঙে ফেলা। যদি স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য ভেঙে ফেলা না যায় তাহলে সে স্বপ্ন পূরণ করা অনেক কঠিন হয়ে যায়।

সেজন্য লক্ষ্য বা স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য বিশেষজ্ঞরা বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা সবার আগে যেটি বলবার চেষ্টা করেন তা হলো যে কেউ লক্ষ্য নির্ধারন করবার আগে তিনটি শব্দকে সামনে রেখে নিজেকে প্রশ্ন করুন

  • আমি কি হতে চাই? (What I want to Become) অথবা
  • আমি কি করতে চাই? (What I want to Do) অথবা
  • আমি কি পেতে চাই? (What I want to Have)

তাহলে প্রথম কথা হলো উপরের তিনটি প্রশ্নের উত্তর বের না করে হাজার হাজার স্বপ্ন দেখলেও কোন লাভ হবে না কারন স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন খন্ডে ভাগ করা যাবে না। যখন আপনি বের করে করে ফেললেন আপনার লক্ষ্য, এখন নিজেকেই প্রশ্ন করতে হবে আপনি কেন (Why) এটি হতে চাচ্ছেন (Become) বা কেন করতে চাচ্ছেন (Do) বা কেন পেতে চাচ্ছেন (Have)। এটি হবার বা করার বা পাবার প্রয়োজন কি? কেন’র উত্তর পাবার পর আপনাকে বের করতে হবে কারন (Because)। যখন আপনি নিজেকে কেন দিয়ে প্রশ্ন করলেন এবং কারন বের করলেন তখন এটি অর্জনের জন্য আপনি একধরনের অনুপ্রেরনা বোধ করবেন। আর এই অনুপ্রেরনা আপনিই আপনাকে দিচ্ছেন। তবে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন বা লক্ষ্যকে অর্জনের জন্য সময়সীমা নির্ধারন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্যের সাথে যদি সময়সীমা না থাকে তাহলে আপনি কোন চাপ অনুভব করবেন না। লক্ষ্য নির্ধারনের সহজ ফরমূলা হতে পারেঃ লক্ষ্য = কি + কেন + সময়সীমা

নিচের এই ছকটি পূরণ করে লক্ষ্য অর্জনের প্রথম ধাপ সম্পন্ন করতে পারেন।

আপনার লক্ষ্য? ?
নির্ধারন করুন কি?আপনি কি হতে চান? (What do want to Become) অথবা আপনি কি করতে চান? (What do you want to Do) অথবা আপনি কি পেতে চান? (What do you want to Have)এক বা একাধিক লক্ষ্য হতে পারে আপনার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য। ?
প্রশ্ন করুন?কেন (Why) এটি হতে চাচ্ছেন (Become) বা কেন করতে চাচ্ছেন (Do) বা কেন পেতে চাচ্ছেন (Have) ?
কারনটি খুজে বের করুন। (Because Statement) ?
সময়সীমা থাকতে হবে (ছয় মাস হতে পারে বা এক বছর) ?

 

জয় করতে লক্ষ্যকে ছোট ছোট খন্ডে ভাগ করুন

সহজ কথায় যদি বলতে চাই স্বপ্ন হলো আপনার ভবিষ্যতের কাঙ্খিত কোন কিছুর বৃহৎ একটি ছবি যা অর্জনের জন্য আপনি ছোট ছোট খন্ডে ভাগ করেছেন যাকে আমরা বলতে পারি লক্ষ্য। এই বিষয়টি বোঝার জন্য আমরা ফিরে যেতে পারি অতীতে। সম্রাটদের পরিকল্পনা আমরা সবাই বিভিন্ন বইতে পড়েছি। একজন সম্রাট কিভাবে তার রণকৌশলের মাধ্যমে তার লক্ষ্য অর্জন করেন। ইতিহাস ঘাটলে দেখতে পাবেন ছোট্ট একটি ভুখন্ড থেকে কিভাবে রোম সম্রাজ্য পুরো বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশী রাজত্ব কায়েম করেছে। আমাদেরকে সম্রাটদের মতো ভাবতে হতে, কৌশল নির্ধারন করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে লক্ষ্য যদি পরিমাপযোগ্য না হয় তাহলে আপনার মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া আপনি নিজেই লক্ষ্য করতে পারবেন না। যেমন আমি একজন প্রফেশনাল হতে চাই। স্বপ্ন হিসেবে এটি হয়তো ঠিক আছে কিন্তু লক্ষ্য হিসেবে এটি পরিমাপযোগ্য নয় । যদি এমন হয় প্রফেশনাল হবার জন্য প্রথমে আমার নিজের জন্য একটি ভিডিও রিজুমে তৈরি করতে চাই আগামী ১০ দিনের মধ্যে এবং যদি নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বের করি এভাবেঃ

কি? ”আমি একটি ভিডিও রিজুমে তৈরি করবো।

কার জন্য? আমার জন্য

কেন? অধিকাংশ চাকরিদাতা ভিডিও রিজুমের মাধ্যমে চাকরিপ্রত্যাশী ব্যক্তিকে দেখে নিয়োগ করতে আগ্রহী

কারন? ভিডিও রিজুমের মাধ্যমে আমার ভাষা, আচরন, যোগযোগ দক্ষতা, বিশ্লেষণ করবার ক্ষমতা পরিলক্ষিত হয়।

কত দিন লাগবে? ১০ দিন

কি কি লাগবে? একটি স্ক্রিপ্ট, আমার মোবাইল ফোন, ভিডিও এডিটিং সফ্টওয়্যার, ৭ দিনের রিহার্সেল, পোষাক, অভিজ্ঞদের উপদেশ ইত্যাদি।

এবার ধরুন আমি লক্ষ্য নির্ধারন করলাম আগামী একবছরের মধ্যে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসেবে নিজেকে দেখতে চাই। কারন আমি অনেক গবেষনা করে দেখেছি মার্কেটিং সেক্টরে কাজ করতে পারলে আমি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারবো, দেশ-বিদেশে সম্মান, খ্যাতি অর্জন করতে পারবো এবং সবধরনের প্রতিষ্ঠানে আমার একধরনের চাহিদা সবসময়ই থাকবে। যেহেতু আমি লক্ষ্য নির্ধারন করেছি এখন আমার প্রথম কাজ হলো খুজে বের করা আমার এই মুহুর্তে কি আছে এবং কি অর্জন করতে হবে। তার জন্য আমি একটি তালিকা প্রনয়ন করতে পারি বিভিন্ন শুভাকাঙ্খিদের কাছ থেকে মতামত নিয়ে।

 শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সনদ আছে
 মার্কেটিং বিষয়ক দক্ষতা (হার্ড এবং সফ্ট স্কিলস) নাই
 সেচ্ছাসেবী/পার্ট টাইম কাজের অভিজ্ঞতা এবং প্রশংসা পত্র নাই
 শুদ্ধ বাংলা এবং ইংরেজী ভাষায় দক্ষতা নাই
 প্রফেশনাল পোষাক পরিচ্ছদ নাই
 প্রযুক্তি সচেতনতা (গুগল থেকে তথ্য বের করার দক্ষতা, মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, বাংলা ও ইংরেজী টাইপিং, ভার্চুয়াল মিটিং প্লেস যেমন জুম বা গুগল মিটের ব্যবহার, স্মার্ট ফোনের যথাযথ ব্যবহার ইত্যাদি) নাই
 প্রফেশনাল সিভি নাই
 ভিডিও রিজুমে নাই
 সোস্যাল মিডিয়া দক্ষতা নাই
 নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট নাই
 কোম্পানি রিসার্চ নাই
 চাকরি ইন্টার্ভিউর দক্ষতা নাই

যেহেতু আমি নিজের লক্ষ্য অর্জনের জন্য একবছর সময় বেধে দিয়েছি তাই এখন আমাকে সম্রাটদের মতো ভাবতে হবে। আমি এই একবছর কে তিনভাগে ভাগ করে ফেলতে পারি। বিশেষজ্ঞরা বলেন একটি বছরকে আপনি বিভিন্ন কোয়াটারে ভাঙতে পারেন। ৩+৩+৩+৩ অথবা ৪+৪+৪ হতে পারে। তবে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন প্রথমদিকে সময়টা একটু বেশী রাখুন।

সেক্ষেত্রে পরিকল্পনাটি এমন হতে পারেঃ ৬+৩+৩

যা অর্জন করবো/বছর ৬ মাস ৩ মাস ৩ মাস
এই স্টেজটি একটু কঠিন হবে। যতটা সম্ভব জ্ঞান, দক্ষতা, মনোভাব বিকাশ করুন
  • মার্কেটিং বিষয়ক ১টি সার্টিফিকেট কোর্স করবো
  • ১টি অনলাইন কোর্স করবো
  • ৩টি ওয়ার্কশপ/ ৩টি সেমিনারে অংশ নেবো
  • ৩টি মার্কেটিংয়ের বই পড়বো
  • নিজের ১টি সিভি তৈরি করবো
  • নিজের ১টি ভিডিও রিজুমে তৈরি করবো,
  • অন্তত ৩টি যুব সংগঠনের সাথে যুক্ত হবো একং সক্রিয় থাকবো,
  • মার্কেটিংয়ে দক্ষ এমন অন্তত ১০ জন মানুষের সান্নিধ্যে আসবো
  • আমার ফেসবুক এবং লিংকডইনের প্রোফাইল নতুন করে সাজাবো। সকল নেতিবাচক স্ট্যাটাস বা ছবি (যদি থাকে) সরিয়ে ফেলবো।
  • ছয় মাসের মধ্যে আমার ওয়েব উপস্থিতি বাড়াবো
এই স্টেজে লোকেরা আমাকে লক্ষ্য করা শুরু করবে কাজের অনুসন্ধান করবো, কাজগুলো বিশ্লেষণ করবো এবং যা খুজে পেলাম তা প্রয়োগ করবো
  • সার্টিফিকেট/প্রশংসাপত্র গুলি গোছানো
  • বিভিন্ন জব সাইটের মাধ্যমে কাজের অনুসন্ধান করে বিশ্লেষন করবো
  • কাজের বিবরন খুজে বের করা এবং প্রতিষ্ঠান কি চাচ্ছে সেগুলো খুজে বের করা।
  • বিশ্লেষন করে পছন্দনীয় কাজে আবেদন করা।
  • নিয়োগকারীদের কাছে ইমেল প্রেরণ করা, লিংকডইনের মাধ্যমে মেসেজ করা। মেসেজ বা ইমেইলে মাধ্যমে জানাতে হবে আপনি কি জানেন আর কি পারেন।
  • আমার পছন্দের তালিকায় যে সকল প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোর একটি পোস্ট মার্টম করা। এই বিশ্লেষনগুলো করতে পারলে আমার মধ্যে একধরনের আত্মবিশ্বাস জন্ম নেবে।
এই স্টেজে আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাক পাওয়া শুরু করবো সাক্ষাত্কারে অংশ নিন, ভুলগুলি সন্ধান করুন এবং আপনি চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত আবার যোগদান করুন।
  • প্রথম নয় মাসের কঠোর পরিশ্রম করতে পারলে এটা নিশ্চিত করে বলা যায় আপনি নিয়মিতভাবেই যে প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদন করেছেন সেখান থেকে ডাক পাওয়া শুরু করবেন।
  • অবশ্যই প্রস্তুতি নিয়ে ইন্টারভিউতে অংশগ্রহন করবেন
  • প্রথম ইন্টারভিউর মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন এটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে ছোট্ট একটি ইমেইলের মাধ্যমে যদি জানার চেষ্টা করেন কেন আপনি সুযোগ পেলেন না তাহলে পরবর্তী ইন্টারভিউতে আপনি সে ভুলগুলো আর করবেন না

আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে নিজেকে পরিবর্তন করতে হলে বা কর্মক্ষেত্র অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করবার জন্য ৩৬৫ দিন যথেষ্ঠ। যদি সঠিকভাবে পরিকল্পনা করা যায় তহলেই শুধুমাত্র সম্ভব নিজেকে বদলানো। তবে আমি যে পরিকল্পনা করেছি সেটি যে আপনার কাজে আসবে সেটি আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারবো না তাই আমার পরিকল্পনাকে স্যাম্পল হিসেবে ধরে নিয়ে নিজের জন্য রণপ্রস্তুতি নির্ধারন করতে হবে।

লক্ষ্যকে অর্জনের জন্য পক্রিয়ার মধ্যে ফেলতে হবে

যেকোন লক্ষ্য অর্জনের জন্য পক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শব্দ। উপরের আলোচনায় আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের লক্ষ্যকে নির্ধারন করেছি এবং এই লক্ষ্যকে অর্জনের জন্য একটি ছক বা তালিকা তৈরি করেছি। লক্ষ্য নির্ধারন এবং বাস্তবায়নের জন্য যেমন আমাদের প্রয়োজন ছিলো কি হতে চাই, কেন হতে চাই, কত দিনের মধ্যে হতে চাই। ঠিক তেমনি এই পর্যায়ে আমাদের আরো তিনটি প্রশ্নে উত্তর বের করতে হবে। প্রথমেই যেহেতু আমরা বছরকে তিন ভাগে ভাগ করেছি এবার আমাদের বের করতে হবে

  • ধাপে ধাপে কি অর্জন করবো (What is the next Step)?
  • ধাপটি কখন শেষ করবো (When this step will complete)? এবং
  • ধাপটি সম্পন্ন করতে রিসোর্স কোথায় আছে? (Where are the resources)?

আমরা শৈশবে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী রুটিন মেনে চলতাম। ক্লাসের জন্য রুটিন থাকতো এবং সেই রুটিন অনুযায়ী আমরা ক্লাসের প্রস্তুতি নিয়ে থাকতাম। তারপর পরীক্ষার সময়ে আমরা একটি রুটিন পেতাম এবং সে অনুযায়ী পরীক্ষার প্রস্তুতি চলতো। ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের এই পর্যায়েও আমাদের রুটিন তৈরি করতে হবে।

ধাপে ধাপে কি অর্জন করবো (What is my next Step)? আমি কমিউনিকেশনের উপর একটি অনলাইনে কোর্স করবো
ধাপটি কখন শেষ করবো (When this step will complete)? সময় লাগবে ৭ দিন (প্রশিক্ষন) এবং ৮ দিন ব্যবহারিক এবং ১৫ দিন শেষে অনলাইন সার্টিফিকেট অর্জন করবো
ধাপটি ধাপটি সম্পন্ন করতে রিসোর্স কোথায় আছে? (Where are the resources)? বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফরম যেমন GoEdu.ac, Google Garage বা Coursera বা LinkedIn Learning থেকে কমিউনিকেশন কোর্স সম্পন্ন করবো। তারপর ফেসবুক এবং লিংকডইন ব্যবহার করে অন্তত ৫ জন প্রফেশনালদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করবো।

আমরা সবাই জানি মাসে চার সপ্তাহ এবং বছরে ৫২ সপ্তাহ। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা খুব সহজেই আমাদের প্রতিটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটা নির্দিষ্ট ক্যালেন্ডার মেইনটেইন করতে পারি। খুব সহজেই আমরা ল্যাপটপে বা মোবাইলের মাধ্যমে সেট করতে পারি কোন লক্ষ্যটি কতদিনের মধ্যে শেষ করবো। এই অনলাইন ক্যালেন্ডার বা টাস্ক ট্র্যাকার আমাকে এলার্ম বা ইমেইল নটিফিকেশনের মাধ্যমে মনে করিয়ে দেবে আমার কোন কাজটি কখন করতে হবে। অনেকে আবার ক্যালেন্ডারে টাস্কগুলোকে সাজিয়ে প্রিন্ট করে নিজের টেবিলের সামনে রেখে দেন অথবা স্টিকি নোট হিসেবে নিজের ল্যাপটপের হোম স্ক্রিনে রেখে দেন। তবে যেভাবেই করি না কেন আমার চোখের সামনে আমার এ্যাকশন প্ল্যান থাকাটা অত্যন্ত জরুরী।

আপনার লক্ষ্যকে প্রকাশ্যে ঘোষনা করুন

২০১৫ সালের একটি ঘটনা। কোন একটি ক্লাবের মিটিংয়ে আমার একটি লক্ষ্যের কথা ঘোষনা করে দিয়েছিলাম। বিষয়টি ছিলো এমন যে আমরা পরিকল্পনা করছিলাম যে সদ্য গ্রাজুয়েটদের জন্য একটি জব ফেয়ার আয়োজন করবো। যেখানে চাকরি প্রত্যাশী এবং চাকরিদাতারা একসাথে মিলিত হবেন। এই ঘোষনা দেবার পর ঐ মিটিংয়ে উপস্থিত একজন সদস্য মিটিং শেষে আমার কাছে এসে বিস্তারিত জানতে চাইলেন এবং ভেন্যু সহ আরো অন্যান্য সহযোগীতার আশ্বাস দিলেন। পরবর্তীতে আমি আমার ফেসবুক এবং লিংকডইনের বন্ধুদের মাঝেও আমার পরিকল্পনা শেয়ার করি। এর ফলে যা হলো আমার লক্ষ্যকে আমি একধরনের স্পট লাইটের মধ্যে দেখতে পেলাম। এই গন প্রচারণা আমার যেকোন লক্ষ্যকে বাস্তবায়নে খুব সহযোগীতা করে। কয়েকটি জিনিস ঘটে এই গন প্রচারণার মাধ্যমেঃ

  • আপনি সচেতন থাকেন লক্ষ্যটি বাস্তবায়নের জন্য
  • এক ধরনের অটো এলার্ম কাজ করে
  • যাদের সাথে শেয়ার করলেন তারা আপনাকে স্মরন করিয়ে দেয়
  • অনেকেই আপনাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন

অনেকভাবেই আপনি পাবলিক এ্যানাউন্সমেন্ট বা গন প্রচারণা করতে পারেন। আপনার নিজের পরিবারের সদস্যদের জানাতে পারেন, ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের জানাতে পারেন, কোন ক্লাব মেম্বারদের জানাতে পারেন। অনেকে আবার সোস্যাল প্ল্যাটফরমকেও ব্যবহার করেন। পাবলিক এ্যানাউন্সমেন্ট বা গন প্রচারণা করবার আগে আপনাকে নিজেকে প্রশ্ন করতে পারেন আপনি কাদের কাছে আপনার লক্ষ্যের কথা শেয়ার করবেন বা কতটুকু শেয়ার করবেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবেঃ

  • সম্পূর্ণ সিমেনার গল্প শুধুই আপনি বা আপনার লক্ষ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট মানুষেরা জানবেন আর বন্ধুরা জানবে এর ট্রেলার
  • পাবলিক এ্যানাউন্সমেন্টে যাবেন তখন অবশ্যই নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করতে হবে। যেমন আমি আগামী ১০ দিনের মধ্যে দুটি কমিউনিকেশনের উপর কোর্স সম্পন্ন করবো।

লক্ষ্য অর্জনে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা

আমরা লক্ষ্য নির্ধারন করি, লক্ষ্যকে পক্রিয়ার ভেতর ফেলবার চেষ্টা করি, লক্ষ্যকে খন্ডে খন্ডে বিভক্ত করি, লক্ষ্যকে জনসম্মুখে নিয়ে আসি কিন্তু জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে যদি বিন্দুমাত্র অবহেলা থাকে তাহলে লক্ষ্য অর্জনে বাধা আসতে পারে। লক্ষ্য অর্জনে বাধা হিসেবে সবচেয়ে যে শব্দটি বিষের মতো কাজ করে তা হলো গড়িমসি বা ইংরেজীতে যাকে বলে procrastination. ছোট বেলায় পরীক্ষার রুটিন আসার পর থেকে আমার মা সবসময় আমার পিছে লেগে থাকতেন যেন আমি সিলেবাস শেষ করার ক্ষেত্রে কোন গড়িমসি না করি। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য আমি যে লক্ষ্য নির্ধারন করেছি সেটাও আমার গড়িমসির কারনে ব্যাহত হতে পারে। সেজন্য ব্যক্তিগত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা মানে হলো যিনি আপনাকে পদে পদে উপদেশ দেবেন, কোন কৌশল অবলম্বন করলে ভালো হয় সেটা বলে দেবেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোনটি আগে করা উচিৎ সেটা বলে দেবেন এবং কিভাবে অতি সহজে করা যার তাও দেখিয়ে দেবেন। ব্যক্তিগত জবাবদিহিতায় কাদের পাশে রাখতে পারেনঃ

১. জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রথমেই আমরা মা বা বাবার শরণাপন্ন হতে পারি। কারন মা, বাবা তাদের লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের জন্য অনেক কৌশল অবলম্বন করেছেন যা সবসময়ই চিরসবুজ। মা, বাবার পরামর্শ সবসময়ই কাজে আসে কারন তারা ঐ পথে ইতিমধ্যেই হেটেছেন।

২. দ্বিতীয়ত মেন্টরশীপ একটা বিরাট ভূমিকা থাকতে পারে। মেন্টর মানে হলো কোন একটি সেক্টরের বিশেষজ্ঞ যিনি অন্তত ৫ বছর আপনার পছন্দের সেক্টরে টানা কাজ করেছেন এবং এখন অন্য সেক্টর হলেও যিনি এখনো সক্রিয় আছেন। যিনি নিজেকে টেকসই করবার জন্য অনেক ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছেন, অনেক চ্যালেঞ্জ মুখোমূখী হয়েছেন। তবে মেন্টর বাছাই করবার ক্ষেত্রে অবশ্যই দেখতে হবেঃ

  • যাকে মেন্টর হিসেবে বেছে নেবেন তার মূল্যবোধ সম্পর্কে আপনার ধারনা থাকতে হবে। আপনার এবং তার মূল্যবোধ যদি এক না হয় তাহলে আপনার লক্ষ্য অর্জনে তিনি তেমন কোন কাজে নাও আসতে পারে।
  • যোগাযোগের ক্ষমতা অবশ্যই ভালো হতে হবে। কারন দেখা গেছে নিজে অত্যন্ত সফল কিন্তু আরেকজনকে পথ দেখাবার জন্য অথবা নিজের বাস্তবিক অভিজ্ঞতা বুঝিয়ে বলবার দক্ষতা তেমন একটা নেই।
  • মানসিকভাবে পরামর্শ দেবার জন্য প্রস্তুত কিনা অথবা সম্মতি আছে কিনা সেটাও দেখে নিতে হবে। কারন হয়তো তিনি বাহ্যিক সম্মতি দিয়েছেন কিন্তু মানসিক ভাবে সম্মতি দেননি। আর সেজন্য লক্ষ্য নির্ধারনের যে সময়সীমা আপনি নিজেই নিজেকে দিয়েছেন সেটা বিলম্ব হবে।বিশ্বাস করুন বা না করুন, একজন পরামর্শদাতা বেছে নেওয়ার সময় ব্যক্তিত্ব অবশ্যই বিবেচনা করার মতো বিষয়। আপনি যদি একজন অন্তর্মুখী হন এবং আপনার সম্ভাব্য পরামর্শদাতা যদি বিপরীত হন, আপনি অস্বস্তি বোধ করতে পারেন।

৩. অনেক সময় পরামর্শক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আপনাকে পরামর্শ দিতে ব্যর্থ হন। সেক্ষেত্রে কোচ বা প্রশিক্ষক আপনার লক্ষ্য নির্ধারন এবং বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন। কারন কোচিং বা প্রশিক্ষন দেবার জন্য তারা বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত হয়ে থাকেন। তবে কোচিং বা প্রশিক্ষন নেবার জন্য আপনাকে কিছুটা বিনিয়োগ করতেই হবে এবং এ সত্যটি আপনাকে মানতেই হবে। একজন খেলোয়ার তার সেরা খেলাটি দর্শকদের উপহার দেবার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কোচের শরনাপন্ন হন। ঠিক একইভাবে প্রফেশনাল হবার জন্য একজন কোচের অধিনে কিছুদিন থাকা মানেই হলো ব্যক্তিগত জবাবদিহিতা নিশ্চিত থাকা।

প্রশ্ন করুন

লক্ষ্য নির্ধারন বা স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য প্রশ্ন করতে হবে। প্রশ্ন করতে হবে বোঝার জন্য, জানার জন্য, মেনে চলার জন্য। আমরা অনেকেই প্রশ্ন করতে পারি না বা প্রশ্ন করতে একধরনের লজ্জাবোধ করি। অথবা প্রশ্ন করার অভ্যাস আমাদের মধ্যেই নেই। কিন্তু পৃথিবীতে অনেক নজির আছে যে একটি প্রশ্ন সম্পূর্ণ জীবনকে বদলে দিয়েছে। তবে এমনভাবে প্রশ্ন করতে হবে যেন উত্তরদাতা শুধুমাত্র হ্যা বা না এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে উত্তর দিতে না পারেন। ঠিক যেমনভাবে চিকিৎসকরা করে থাকেন রোগীর উপসর্গ জানার জন্য। চিকিৎসকের প্রশ্নগুলোকে বলা হয় ডায়াগনস্টিক প্রশ্ন যার মানে হলো গভীরে ঢুকে উত্তর বের করা। সাধারনত এই ডায়াগনস্টিক প্রশ্নকে আবার অধিকাংশ মানুষ 5W1H বলে জানি। কি (What), কেন (Why), কোথায় (Where), কখন (When), কে (Who) এবং কিভাবে (How).

কি করা উচিত? (What)

এটি করার উদ্দেশ্য কী? (What)

আরও কিছু কি করার আছে? (What)

লক্ষ্য পূরণের জন্য কোথায় রিসোর্স পাবো? (Where)

কখন এগিয়ে যাওয়ার সময়? (When)

কে আমাকে সাহায্য করতে পারেন? (Who)

কেন তারা আমাকে সাহায্য করবে? (Why)

কেন আমি এই কাজ করব? (Why)

তারা আমাকে কীভাবে সাহায্য করবে? (Who)

লক্ষ্য নির্ধারন এবং বাস্তবায়নের সময় যদি প্রতিনিয়ত ডায়াগনস্টিক প্রশ্ন করা যায় এবং বিভিন্ন অভিজ্ঞ মানুষদের কাছ থেকে উত্তর সংগ্রহ করা যায় তাহলে লক্ষ্য নির্ধারন এবং বাস্তবায়নে কেউ আটকাতে পারে না। এই ডায়াগনস্টিক প্রশ্নের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কেন (Why)?জাপানের বিখ্যাত ব্যবসায়ী কিচিরো টয়োডা বলেছিলেন কোন সমস্যা বা কোন ধরনের লক্ষ্য নির্ধারনের জন্য যদি অন্তত পাঁচবার কেন (Why) জীজ্ঞেস করা হয় তাহলে সে ঐ সমস্যার বা লক্ষ্যের কেন্দ্রতে পৌছতে সক্ষম হয়। তাই আপনার লক্ষ্য নির্ধারন এবং বাস্তবায়নের জন্য বারবার ডায়াগনস্টিক প্রশ্ন করুন যার উত্তর কেউ কোনদিন শুধুমাত্র হ্যা বা না দিয়ে শেষ করতে পারবে না।

নিজের সাফল্যে নিজেই উদযাপন করুন

কখনও নিজের সাফল্যে নিজেই উদযাপন করেছেন? আমি প্রায়ই নিজের ছোট কোন সাফল্যকে উপেক্ষা করতাম বৃহৎ কোন সাফল্যের আশায়। এটা খেয়াল করে আমার এক বড় ভাই আমাকে বললেন বড় সাফল্যে ক্ষুদ্র সাফল্যকে উপেক্ষা করছো? এটা একদম ঠিক নয়। আমার বড় কোন স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করবার জন্য ছোট ছোট লক্ষ্যে ভাগ করে ফেলি এবং এটাই স্বাভাবিক অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যর্থতার সংখ্যাই বেশী থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে আসা ছোট একটি সাফল্যকে যদি কাছের মানুষদের সাথে নিয়ে উদযাপন করা যায় তাহলে মানসিকভাবে একধরনের শক্তি বৃদ্ধি পাওয়া যায়। কোন কিছুকে ভালোবাসার পর যদি সেটা অর্জন করা যায় তাহলেই কেবলমাত্র উদযাপন করা সম্ভব। ধরুন কোন একটি লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের জন্য আপনাকে প্রতিদিন সকালে ঘুম উঠে ব্যায়াম করতে হয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার জন্য আপনি রাতে ঘড়িতে এলার্ম সেট করে রাখেন। কিন্তু সকালবেলা এলার্ম বেজে উঠলেই আপনার বিরক্ত লাগে। এর মানে হতে আপনি আপনার লক্ষ্যটি বাস্তবায়নের জন্য শুরুতেই যে ফর্মূলার কথা বলেছিলাম সেটি ঠিক মতো ব্যবহার করতে পারেন নি। ফর্মূলাটি ছিলো ”কেন-কারন”। লক্ষ্য নির্ধারনের আগে কেন আপনি লক্ষ্যটি নির্ধারন করতে যাচ্ছেন এবং এর যথার্থ কারন আপনার কাছে থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে অসংখ্যবার আপনি ব্যর্থ হচ্ছেন এবং যতবার আপরি ব্যর্থ হয়েছেন কেন এবং কারন বের করে আবার নেমে পড়লেন। এবার যখন সাফল্য এলো তখন কেউ প্রশংসা না করলেও আপনি নিজেকে নিজেই একটা সাবাসী দিয়ে দেন। দেখবেন অন্যরকম লাগবে। আমি যখন ঠিক করলাম আমি একটি আর্টিক্যাল লিখবো এবং সাথে প্রতিটি প্যারার জন্য একটি করে ভিডিও বানাবো তখন আমি আমি আমাকেই প্রশ্ন করলাম কেন? এবং কারন বের করলাম। তারপর কয়েকজনের সাথে ফোনে কথা বললাম, বেশ কিছু আর্টিক্যাল পড়লাম, মেন্টরের সাথে পরামর্শ করলাম। তারপর সময় নির্ধারন করে নেমে পড়লাম। এখন আমি আর্টিক্যালটির একদম শেষে চলে এসেছি এবং একধরনের অন্যরকম আনন্দবোধ করছি। কারন নতুন একটি আর্টিক্যাল লিখবো এবং সেই সাথে আর্টিক্যালটিকে ভিত্তি করে ভিডিও বানাবো, এই খুশিতে গত তিনদিন আমি একটানা কাজ করেছি। এই যে এতো আয়োজনের শেষে যখন পাবলিশ করবো আমার সোস্যাল সাইটে তখন পাঠকরা হয়তো পড়বেন বা পড়বেন না কিন্তু আমার উদযাপন কিন্তু চলতেই থাকবে যা আমাকে পরবর্তী আর্টিক্যাল লেখায় অনুপ্রেরনা যোগাবে।

লক্ষ্য নির্ধারন, পর্যবেক্ষণ এবং পর্যালোচনা

নিজের জীবনের জন্য লক্ষ্য নির্ধারন করেছেন, লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য নিজেই নিজেকে সময়সীমা বলে দিয়েছেন এখন প্রয়োজন ঠিকমতো পর্যালোচনা করা। পর্যলোচনার জন্য প্রয়োজন প্রতি সপ্তাহে নিজের জন্য আধা ঘন্টা সময় বের করা। এই আধা ঘন্টা আপনি আপনার লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য যে খন্ডে খন্ডে বিভক্ত করেছিলেন সেগুলো ঠিক মতো হচ্ছে কিনা। পর্যবেক্ষণ এবং পর্যালোচনা যদি ঠিক মতো না হয় তাহলে যে লক্ষ্য নির্ধারন করেছেন সেটা শেষ সময়ে গিয়ে দেখা যেতে পারে ঠিকমতো কাজ করেনি। অথবা আপনি ঠিক পথে আছেন কিনা সেটাও হয়তো দেখা সম্ভব হবে না।

লক্ষ্যঃ আপনি ঠিক করেছেন আপনি ইংরেজী ভাষায় কথা বলতে চাচ্ছেন এবং আপনি নিজেকে সময় দিয়েছেন একমাস।

কেনঃ ইংরেজী ভাষা মার্কেটিং প্রফেশনালদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

কারনঃ অধিকাংশ সময় আপনাকে বাইরের দেশের সাথে কথা বলতে হবে

কতদিন সময় দেবেনঃ একমাস

লক্ষ্যকে ভাগ করেছেনঃ (১) প্রতিদিন একঘন্টা ইংরেজী দৈনিক পড়বেন (মাসে ৩০ ঘন্টা), (২) প্রতিদিন একঘন্টা ইংরেজী খবর শুনবেন (মাসে ৩০ ঘন্টা, (৩) প্রতিদিন একটি ইংরেজী সিনেমা দেখবেন (মাসে ৩০টি), (৪) প্রতিদিন ২০টি ইংরেজী শব্দ অর্থসহ শিখবেন এবং কথা বলার সময় চেষ্টা করবেন ব্যবহার করতে (মাসে ৬০০টি শব্দ), সপ্তাহে দুদিন শুধুই ইংরেজীতে কথা বলবেন (হোক বা না হোক) (মাসে ৮দিন), প্রতিদিন ইউটিউভের মাধ্যমে অনলাইন টিউটোরিয়াল নেবেন ৩০ মিনিট (মাসে ১৫ ঘন্টা)

এই যে লক্ষ্যকে খন্ডে খন্ডে ভাগ করলেন এবার সপ্তাহে একদিন আধা ঘন্টা সময় বের করে দেখুন সবকিছু ঠিকমতো চলছে কিনা? যদি রুটিন মাফিক সব ঠিক থাকে তাহলে নিজেকে একটি উপহার দিন, হতে পারে একটি চকলেট যা খাবার সময় আনন্দ নিয়ে তৃপ্তির সাথে খাবেন। কারন আপনি নিজেই এই উপহারটি অর্জন করেছেন।

শেষ কথা

স্বপ্ন আপনার! লক্ষ্য আপনার! ব্যর্থতা আপনার! সাফল্য আপনার! যা কিছু অর্জন হবে সব আপনার। মনে রাখতে হবে কেউ আপনাকে করে দেবে না। করতে হবে আপনাকেই। আপনার ভেতর যদি ইতিবাচক মনোভাব থাকে, লক্ষ্যে যদি আপনি অটুট থাকেন, একাগ্রতা যদি হয় মজবুদ আর চিন্তাভাবনা যদি হয় বাদশাদের মতো, তাহলে জীবন যুদ্ধের রণকৌশল আপনি অবশ্যই তৈরি করতে পারবেন এবং সঠিক পর্যবেক্ষণ এবং পর্যালোচনার মাধ্যমে লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করতে পারবেন।


আপনাদের জন্য একটা এ্যাসাইনমেন্ট দিতে চাই

১. আপনারা সবাই স্বপ্ন দেখেন, এবার এই স্বপ্নকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে ভাগ করে ফেলুন

২. প্রতিটি ভাগের জন্য ডায়াগনস্টিক প্রশ্ন করুন। যেমনঃ

  • এই ক্ষুদ্র ভাগটির মাধ্যমে আপনি কি অর্জন করতে চাচ্ছেন? (What)
  • কেন অর্জন করতে চাচ্ছেন? (Why)
  • কারনটি বের করুন যেন সেটি আপনার কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয় (Becasue)
  • সময় নির্ধারন করুন (Start Date & Finish Date) (When)
  • কাদের সাহায্য লাগবে (Who)
  • কিভাবে করবেন (How)

3. নীচের যে ছকটি দেখিয়েছি সেটার আলোকে আপনার লক্ষ্যটিকে দৃশ্যমান করুন।

যা অর্জন করবো/ ১ বছর ৬ মাস (পরিকল্পনা) ৩ মাস (পরিকল্পনা) ৩ মাস (পরিকল্পনা)

 

ধাপে ধাপে কি অর্জন করবো (What is my next Step)?
ধাপটি কখন শেষ করবো (When this step will complete)?
ধাপটি ধাপটি সম্পন্ন করতে রিসোর্স গুলো কোথায় আছে? (Where are the resources)?

৪. তাপরপর আমাদের ইমেইল করুন যাতে আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পারেন ([email protected])


লেখকঃ জনাব কে এম হাসান রিপন,

নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট (বিএসডিআই)

অধ্যক্ষ, ড্যাফোডিল পলিটেকনিক

তথ্যের সাথে আমি কি সংযোগ তৈরি করতে পারছি?

তথ্যের সাথে আমি কি সংযোগ তৈরি করতে পারছি?

জীবনে শেখার কোন শেষ নেই। আমরা সবাই শিখছি, কেউ হয়তো লিংকডইন থেকে বা হয়তো ফেসবুক থেকেও শিখছি। কিন্তু আমাদের সাথে অগ্রগামী মানুষেদের কিছুটা পার্থক্য আছে। তারা সবসময় যেকোন কিছু দেখে বা কারো সাথে আলোচনা করে যা শিখলেন সেটা তার ব্যক্তিগত এজেন্ডা বা ইচ্ছা বা সখের সাথে সংযোগ তৈরি করেন। যে সংযোগটিই আসলে তাকে তার ক্যারিয়ারের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে সাহায্য করে। আজ সকালে আমি একটি ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশগ্রহন করি। মিটিংটি পরিচালনা করছিলেন ড্যাফোডিল পরিবারের সম্মানিত চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান। মিটিংয়ের কোন একটি পর্যায়ে তিনি একটি বিষয় আমাদের সকলের সামনে নিয়ে আসলেন। কোন একটি প্রশ্নে উনাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল আপনার প্রতিদিনের সকাল শুরু হয় কিভাবে? উত্তরটিতে আমি যে এতোখানি চমকিত হবো সেটা আমি নিজেই বুঝতে পারি নি। তিনি বললেন প্রতিদিন সকাল শুরু হয় জাতীয় দৈনিক পড়ে। কখনও কাগজের মাধ্যমে পড়েন, কখনও হয়তো প্রযুক্তির মাধ্যমে পড়েন। এই অভ্যাসটির কারনে উনার পক্ষে সম্ভব হয় সারবিশ্বের তথ্য সংগ্রহের। যে তথ্যগুলোকেই তিনি সংযোগ ঘটান উনার ক্যারিয়ার এজেন্ডার সাথে এবং এটি ছাত্রজীবন থেকেই তিনি অনুশীলন করে আসছেন। কিন্তু আমার চমকিত হবার কারনটি আমি এই লেখাটির শেষের দিকে উল্লেখ করেছি।

সংবাদপত্র আমাদেরকে সমৃদ্ধ করে তথ্য এবং সাধারণ জ্ঞান সরবরাহ করবার মাধ্যমে। একটি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, খেলাধুলা, বিনোদন, বাণিজ্য, মানবিকতা, সামাজিক দায়িত্ববোধ সম্পর্কে জানতে পারি সংবাদপত্রের মাধ্যমে। পৃথিবীর প্রায় সকল সফল ব্যক্তিরাই সংবাদপত্র পড়ার অভ্যাসকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন। নিঃসন্দেহে এই অভ্যাসটি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রশস্ত করবে এবং আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে। বিষয়টি হয়তো খুবই সাধারন মনে হবে অনেকের কাছে কারন আমরাও কোন না কোন উপায়ে খবরের কাগজ পড়ি কিন্তু আমাদের পড়াটা সীমাবদ্ধ থাকে আমাদের পছন্দনীয় বিষয়ের মধ্যে এবং শুধুমাত্র জানবার নিমিত্তে। সংযোগ তৈরি করবার জায়গায় আমরা হয়তো অনেকেই ব্যর্থ হই।

আমাদের প্রত্যেকের নিজস্ব একটি পছন্দনীয় ক্ষেত্র আছে। যেখানে আমরা স্বাচ্ছন্দবোধ করি কাজ করতে বা আগ্রহী কাজ করবার জন্য। এখন এই আগ্রহের জায়গা আরো বেশী দৃঢ় হয় যখন আমরা আত্মবিশ্বাসী হই। কিন্তু আমরা অনেকেই আত্মবিশ্বাসের জায়হায় হোচট খাই। কিন্তু কেন? আত্মবিশ্বাসের জন্য ক্যারিয়ার পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। কিন্তু সমস্যা হলো পরিকল্পনা আমরা কোনদিনই করতে সক্ষম হবো না যদি না আমার কাছে সঠিক তথ্য থাকে। আমার কাছে মনে হয় এখানে একটি ৩৬০ ডিগ্রী মডেল হতে পারে। যেমনঃ

আমরা প্রত্যেকেই পড়ছি। সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, ব্লগ, আর্টিক্যাল, বই বিভিন্ন উপায়ে পড়ছি কিন্তু সংযোগ ঘটাতে পারছি না। আর সংযোগ ঘটাতে না পারার কারনে উপরের যে ৩৬০ ডিগ্রী মডেলের কথা উল্লেখ করলাম সেটি পরিপূর্ন হচ্ছে না।

বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন টিপস এবং টেকনিক ইতিমধ্যেই দিয়েছেন যে কিভাবে পড়লে ক্যারিয়ারের জন্য ৩৬০ মডেল তৈরি করা সম্ভব হবে। আমার খুব ভালো লাগছে একটি বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যেটি হয়তো অনেকেই চাইলে সহানুভূতি বা Empathy সাথে তুলনা করতে পারেন। ড্যাফোডিল পরিবারের সম্মানিত চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান তার ব্যক্তিগত চরম ব্যস্ততার মাঝেও শুধুমাত্র ছাত্র ছাত্রী, সদ্য গ্র্যাজুয়েট, প্রফেশনাল বা উদ্যোক্তাদের জন্য ২১টি লেকচারের একটি কোর্স তৈরি করেছেন এবং আপলোড হয়েছে GoEdu.ac লার্নিং পোর্টালে এবং সকলের জ্ঞান অর্জনের জন্য এটি সম্পূর্ন কমপ্লিমেন্টরী সেবা উনার পক্ষ থেকে। এই লিংকের Click Here মাধ্যমে প্রবেশ করে আপনারা চাইলেই কোর্সটিতে অংশগ্রহন করতে পারেন এবং জেনে নিতে কিভাবে পড়লে আপনিও তথ্যের সাথে নিজের ক্যারিয়ারে সংযোগ ঘটাতে পারবেন।

বন্ধুরা আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বস করি জীবনে শেখার কোন শেষ নেই। প্রতি মুহুর্তে শিখছি। শেখার গুরুত্বপূর্ন একটি মাধ্যম হচ্ছে পড়া বা জানতে চওয়া কি আছে এর মাঝে যা আমাকে সাহায্য করতে পারে। যা আমি আমার ক্যারিয়ারের সাথে সংযোগ ঘটাতে পারি। তথ্য কি শুধুই তথ্য? তথ্যের সাথে আমি কি সংযোগ তৈরি করতে পারছি? প্রশ্নটি আপনাদের সকলের কাছে রেখে শেষ করছি


লেখকঃ কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশে স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট