নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন  (পর্ব – ২)

ধারাবাহিক আর্টিকেল লেখার জন্য আমি “নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন ( Network and Data Center Operation ) “ বিষয় টি বেছে নিয়েছি। আমি মনে করি বিষয় টি যুগউপযুগী। এর  দ্বিতীয পর্ব “ বিভিন্ন প্রকার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন সম্পর্কে ধারণা (Ideas about different types of communication standard )“। আর্টিকেলটিতে  কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন নিয়ে আলোচনা করা হবে। কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন সম্পর্কে এবং এদের কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন।

বিভিন্ন প্রকার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন এর যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হবে তা হল-

  • বিভিন্ন প্রকার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন এর নাম ।
  • বিভিন্ন প্রকার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন এর কার্যক্রম।

বিভিন্ন প্রকার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন এর নাম ঃ

  • ISO
  • ANSI
  • IEEE
  • EIA
  • ITU
  • TIA

উপরের স্ট্যান্ডার্ডগুলী সাধারনত একই বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করে থাকলেও, এদের অবস্থান পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। বিভিন্ন দেশে হলেও এসব স্ট্যান্ডার্ড কিছু স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারন করে বিশ্বব্যাপী । কিছু অর্গানাইজেশন্স আঞ্চলিক ভাবে স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করে থাকে, যা ওই অঞ্চলের জন্য নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট বিষয়ক স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে পারে।  নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট একটি বিশ্বব্যপী প্রজুক্তি হওয়া

য়, আন্তর্জাতিক ভাবে গৃহীত স্ট্যান্ডার্ড ব্যাবহার করা হয়। উপরের প্রতিষ্ঠানগুলী বেশিরভাগ নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট বিষয়ক স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করে।আসুন জেনেনি প্রতিষ্ঠানগুলী অবস্থান এবং কার্যক্রম।

 

💻 আইসও(ISO) : ISO- “International Organization for Standardization” কে সকল স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারনকারী প্রতিষ্ঠানের গুরু বলা যেতে পারে । আইসও (ISO) আন্তর্জাতিক মানের একটি আন্তর্জাতিক মান-নির্ধারণকারী সংস্থা, যা বিভিন্ন জাতীয় মানের সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত। ২৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৪৭ সালে এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়, সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী মালিকানাধীন, শিল্প ও বাণিজ্যিক মানের প্রচার করে। এর

সদর দফতরঃ  জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।

প্রতিষ্ঠিতঃ  ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৭, লন্ডন, যুক্তরাজ্য।

প্রেসিডেন্টঃ এডি এনজোরোজ

সদস্যপদঃ১৬৮ জন সদস্য;

সরকারী ভাষাইংরেজিঃ ফরাসি রাশিয়ান;

প্রতিষ্ঠাতাঃ আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যাসোসিয়েশনস ফেডারেশন, জাতিসংঘের স্ট্যান্ডার্ড সমন্বয় কমিটি।

 

সারা পৃথিবীতে ১৩০ টির বেশি দেশ এর বেসরকারি দলে যুক্ত আছে। নেটওয়ার্কি এর অন্যান্য স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারনের পাশাপাশি নেটওয়ার্ক দুনিয়ার সবচেয়ে বড় স্ট্যান্ডার্ডটি দাড় করিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা। যে স্ট্যান্ডার্ডটি দাড় করিয়েছেন তা হল ওপেন সিস্টেম ইন্টারকানেকশন রেফারেন্স মডেল বা OSI মডেল। নেটওয়ার্ক এর সমস্ত কার্যক্রম কী ধরনের হবে তা নির্ধারন করে থেকে।

 

আইএসও একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা বিধায় এর মাধ্যমে গৃহীত স্ট্যান্ডার্ড আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত । এটি শুধু নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত ওপেন সিস্টেম ইন্টারকানেকশন রেফারেন্স মডেল নির্ধারণ করে বসে নেই। বরং এ সংস্থাটি আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজন এমন অনেক স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করেছে এবং করে চলেছে । এ পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজারেরও বেশি স্ট্যান্ড আইএসও কর্তৃক নির্ধারিত হয়েছে ।

 

আইএসও-তে কোন স্ট্যান্ডার্ড গৃহীত হয় তিনটি ধাপে । ধাপগুলোর মাধ্যমে তারা ঐ স্টান্ডার্ড এর প্রয়োজনীয়তা, যথার্থতা এবং প্রভাব সম্পর্কে সিদ্ধান্তে আসে । আলোচনা চলতে থাকে রিকোয়েস্ট ফর কমেন্টস বা আর এফ সি ‘র  মাধ্যমে । তিনটি ধাপ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল-

 

আইএসও একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার বিধায় এর মাধ্যমে গৃহীত স্ট্যান্ডার্ড আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এটি শুধু নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত ওয়েবসাইট নির্ধারণ করে বসে নেই বরং এ সংস্থাটি আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজন এমন অনেক স্থান নির্ধারণ করেছে এবং করে চলেছে এ পর্যন্ত প্রায় 12 হাজারেরও বেশি স্ট্যান্ড আইএসও কর্তৃক নির্ধারিত হয়েছে আয়তে কোন স্ট্যান্ডার্ড গৃহীত হয় তিনটি ধাপে গুলোর মাধ্যমে তারা এই স্টান্ডার্ড প্রয়োজনীয়তা যথার্থতা এবং প্রভাব সম্পর্কে সিদ্ধান্তে আসে আলোচনা চলতে থাকে রিকোয়েস্ট ফর কমেন্টস আরে স্ত্রীর মাধ্যমে আর এটি বেশ সময় নিয়ে ঘটে থাকে তিন ধাপ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল।

 

প্রথম ধাপঃ  আলতা নির্ধারণ

দ্বিতীয় ধাপঃআলোচনা বা দরকষাকষি

তৃতীয় ধাপঃঅনুমোদন

 

প্রথম ধাপঃ  আলতা নির্ধারণ 

স্টান্ডার্ড নির্ধারণের আগে দেখা হয় আসলে সেই স্ট্যান্ডার্ড এর প্রয়োজনীয়তা আছে কি না ? একবার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হলে সদস্যরা সবাই আলোচনা করে সিদ্ধান্তে আসেন, যে স্টান্ডার্ড এর আওতা কী হবে এবং সে স্টান্ডার্ড গৃহীত হলে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে তার প্রভাব কী রকম হবে । এসব আলোচনা সাধারণত বিভিন্ন কমিটির মাধ্যমে হয়ে থাকে । কমিটির সিদ্ধান্ত আসতে পারে যে, কোন বিষয় স্টান্ডার্ড নির্ধারণ এর প্রয়োজন আছে এবং সে স্টান্ডার্ড সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ভালো প্রভাব ফেলবে, তাহলে কমিটি সেই প্রস্তাব কে পরের ধাপে আলোচনার জন্য পাঠায়।

 

দ্বিতীয় ধাপঃআলোচনা বা দরকষাকষি 

 

দ্বিতীয় ধাপের বিভিন্ন সদস্য দেশ সেই খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করে। আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মতামত বেরিয়ে আসে এবং সেসব নিয়ে একটি ঐক্যমতে আসার চেষ্টা করা হয় । কোন বিষয়ে ঐক্যমতে প্রতিষ্ঠিত না হলে সেটি স্ট্যান্ডার্ড রুপে গৃহীত হয় না। কেবল ঐক্যমতে আসলেই সেটি প্রতিষ্ঠিত  রূপে গৃহীত হয় এবং পরবর্তী ধাপে প্রেরণ করা হয় ।

 

তৃতীয় ধাপঃ অনুমোদন

খরচা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শেষে প্রস্তাবের সংযোজন-বিয়োজন কিংবা সংশোধন শেষে ঐক্যমতে প্রতিষ্ঠিত হলে সেটিকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দুটি ধাপে ঘটে থাকে প্রথমত, যে টেকনিক্যাল টিম নিয়ে কাজ করেছে তার সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ কে অবশ্যই এর সাথে একমত পোষণ করতে হবে। টেকনিক্যাল কমিটির দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলে সেটিকে পাঠানো হয় সাধারণ সদস্যদের কাছে। দ্বিতীয় ধাপের প্রতিটি ভোটার সদস্য সেই প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দিয়ে থাকেন। প্রস্তাবের পক্ষে ৭৫% পার্সেন্ট ভোট পড়লেই কেবল সেই প্রস্তাবকে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে গ্রহণ করা হবে। বুঝাই যাচ্ছে তিনটি ধাপ সম্পন্ন করতে বেশ সময় প্রয়োজন এবং অনেক লোকের মতামতের প্রতিফলন ঘটে থাকে। তাই ISO স্ট্যান্ডার্ডতাকে সুচিন্তিত এবং সুগঠিত স্ট্যান্ডার্ড বলা যেতে পারে।

আইইই(IEEE)  IEEE-“Institute of Electrical and Electronics Engineers “-  ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং কে আই ট্রিপল ই (IEEE) বলা হয়। টেকনিক্যাল এবং এডুকেশনাল ফিল্ডের বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবীদের নিয়ে তৈরি একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। এর সদস্যরাও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ।

 

আইইই’র  গৃহীত সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী স্ট্যান্ডার্ড হল ৮০২ স্ট্যান্ডার্ড।  নেটওয়ার্কের মধ্যে দিয়ে ডাটা কিভাবে প্রবাহিত হবে, তা নির্ধারণ করে।এর নামকরনের জন্য ১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নেটওয়ার্কের স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়। বছর ও মাসের সমন্বয়ে প্রযুক্তির নাম রাখা হয় প্রজেক্ট ৮০২। এ প্রোজেক্ট এর আওতায় গৃহীত বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড পরবর্তীতে ৮০২ স্ট্যান্ডার্ড নামে পরিচিতি লাভ করে । নেটওয়ার্কিং নির্ধারণ করা হয় এবং এরপর ও সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা হয়।

 

নেটওয়ার্কিং স্ট্যান্ডার্ড জগতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রজেক্ট । ৮০২ প্রোজেক্টের জন্য নেটওয়ার্ক এর ফিজিক্যাল ক্যাবেলিং ও ডাটা ট্রান্সমিশন লেয়ার নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যান্ডার নির্ধারণ করা হয়েছে এসব স্টান্ডার্ড কে ১২ টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয় এবং ৮০২ এর পর ডট ও সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা হয় ।

 

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটটি এর সদর দফতর ও অন্যান বিষয়-

 

সদর দফতরঃ  পিস্কাটাওয়ে, নিউ জার্সি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

প্রতিষ্ঠিতঃ         ১ জানুয়ারী, ১৯৬৩

সহায়ক সংস্থাঃ আইইইই স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাসোসিয়েশন, আরও

প্রেসিডেন্টঃ      ক্যারেন বার্টলসন (২০১৭-২০১৮), জেমস এ। জেফারিজ (আগত)

প্রতিষ্ঠাতাঃ         আমেরিকান ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স, ইনস্টিটিউট অফ রেডিও ইঞ্জিনিয়ার্স।

📶 আই / টি আই এঃ Electronic Industries Alliance (EIA; until 1997 Electronic Industries Association)/Telecommunications Industry Association (TIA).ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কানেকশন এবং স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণের জন্য বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে ইলেকট্রনিক ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন বা

ই আই এ  এ দলের মধ্যে আছে কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচার অ্যাসোসিয়েশন (CEMA) ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্ট অ্যাসেম্বলার ইকুইপমেন্ট এন্ড সাপ্লায়ার অ্যাসোসিয়েশন (ECA) টেলিকমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (TIA),ইলেকট্রনিক্স ইনফর্মেশন গ্রপ (EIG), গভারমেন্ট ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাসোসিয়েশন(GEIA) এবং ইলেকট্রনিক ইন্ডাস্ট্রিজ ফাউন্ডেশন(EIF)।

অন্যদিকে টেলিকমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন হলো একটি ট্রেড অরগানাইজেশন, যার সদস্য হলো টেলিকমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রির বৃহৎ ও মাঝারি বিভিন্ন কোম্পানি। নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত বিভিন্ন ডিভাইসের বেশিরভাগই  পি আই এর সদস্যদের তৈরি।এর সদস্যদের কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড পরবর্তীতে এনএসআই (ANSI) কর্তৃক গৃহীত হয়েছে ।  বাস্তব জীবনে বিশেষ করে নেটওয়ার্ক ইনস্টলেশনের ই আই এ / টি আই এ না মেনে উপায় নেই বললেই চলে। এদের তৈরি চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হল-

  • ৫৬৮ স্ট্যান্ডার্ড  ঃ  এটি নেটওয়ার্কিং মিডিয়া ইনস্টলেশন ও টার্মিনেশন সংজ্ঞায়িত করেছে ।
  • ৫৬৯ স্ট্যান্ডার্ড  ঃ ওয়ারিং ক্লোজেট ইনস্টলেশনের জন্য যা দরকার হয় ব্যবহার ও তার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ বর্ণনা করে।
  • ৬০৬ স্ট্যান্ডার্ড ঃ বিভিন্ন মিডিয়া লেভেল বর্ণনা করে।
  • ৬০৭ স্ট্যান্ডার্ড ঃ বিল্ডিং ও ওয়ারিং ক্লজেট জন্য গ্রাউন্ডিং কি রকম হওয়া দরকার, তা নির্দেশ করে।

🔗 এন এস আই (ANSI)   আমেরিকান ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউট এন সি বা এ এন এস আই কমিউনিকেশন ও নেটওয়ার্কিং স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি প্রতিষ্ঠান।এর দায়িত্বের ভিতর প্রোগ্রামিং স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণও পদে। এটি আসলে নিজে কোন স্ট্যান্ডার্ড ডেভলপ না করে স্ট্যান্ডার্ড সমূহ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। এটি আই এস ও তে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করে।

আমেরিকান ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউট একটি বেসরকারী অলাভজনক সংস্থা যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য, পরিষেবা, প্রক্রিয়া, সিস্টেম এবং কর্মীদের স্বেচ্ছাসেবী সম্মতির মান উন্নয়নের তদারকি করে।

 

উদ্দেশ্যঃ স্ট্যান্ডার্ড সংস্থা

সদস্যতাঃ ১২৫,০০০ সংস্থা এবং ৩.৫ মিলিয়ন পেশাদার।

প্রতিষ্ঠিতঃ ১৪ মে, ১৯১৮

সদর দফতর অবস্থানঃ  ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

গঠনঃ ১৯ অক্টোবর, ১৯১৮

সহায়কঃ এএনএসআই-এএসকিউ জাতীয় স্বীকৃতি বোর্ড, এএনএসআই জাতীয় স্বীকৃতি বোর্ড

📻 আই টি ইউ( ITUT) জাতিসংঘের একটি অঙ্গসংস্থান হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন বা আইটিইউ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণের কাজে নিয়োজিত। আইটিইউর রয়েছে বেশ কয়েকটি কমিটি এবং এগুলোর কাজ ভিন্ন ভিন্ন ধরনের। কমিটি

ক) বিভিন্ন কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণের জন্য আছে কনসালটেতিভ কমিটি ফর ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন এন্ড টেলিগ্রাফ(CCTTT)। বর্তমানে এটি ITU-T নামে পরিচিত ।

বর্তমানে ব্যবহৃত বিভিন্ন ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক স্ট্যান্ডার্ডের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হলো এই CCTTT/TTU-T।

 

খ) ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিকোয়েন্সি রেজিস্ট্রেশন বোর্ড (ITU-R) টেলিকমিউনিকেশন ফ্রিকোয়েন্সি বিভিন্ন সংস্থাকে দেয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। এটি বর্তমানে আই টি ইউ আর(ITU-R) নামে পরিচিত।

গ) রেডিও কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুপারিশে দিয়ে থাকে কনসালটেটিভ কমিটি অন ইন্টার্নেশনাল রেডিও(CCIR)। এটি বর্তমানে ITU-R এর সাথে একীভুত।

 

আইটিইউ টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন সেক্টর টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মানকে সমন্বিত করে, যেমন সাইবার সিকিউরিটির জন্য এক্স .৫০৯, মেশিন লার্নিংয়ের জন্য ওয়াই .৩৩১৭২, এবং ভিডিও সংক্ষেপণের জন্য এইচ .২৬৪ / এমপিইজি -৪ এভিসি, এর সদস্য দেশসমূহ, বেসরকারী সেক্টরের সদস্যদের মধ্যে, এবং একাডেমিয়া সদস্যরা।

 

মূল সংস্থাঃ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন

প্রতিষ্ঠিতঃ ১৮৬৫, প্যারিস, ফ্রান্স

সংক্ষিপ্তসারঃ আইটিইউ-টি / ইউআইটি-টি

সদর দফতরঃ জেনেভা, সুইজারল্যান্ড

পরিশেষে বলতে গেলে বলতে হয় বিভিন্ন প্রকার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করা হয়েছে সার্বজনীন নেটওয়ার্ক এবং কমিউনিকেশন ডিভাইসগুলি সহ অন্যান্য পরিষেবা সঠিক এবং সুন্দর ভাবে ব্যবহারের জন্য। এ ৬ টি স্টান্ডার্ড আমাদের নেটওয়ার্কিং এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন অর্থাৎ নেটওয়ার্কিং বুঝতে হলে বিভিন্ন প্রকার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজেশন সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী । ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি সিলেবাসে নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন এর সাবজেক্ট আছে সেখানে এই বিষয়গুলি নিয়ে  আলোচনা করা হয়েছে , যা আমি আমার এই ব্লগে তারই ধারাবাহিকতায় আরো কিছু এড করে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি চার বছর মেয়াদি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আন্ডারে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যায়নরত ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবেন । টেকনিক্যাল এডুকেশন এর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার দের জন্য অত্যন্ত উপকারে আসবে এছাড়াও সাধারণ যারা কম্পিউটার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী এবং নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করছেন তাদের জন্য আশা করি কাজে লাগবে।

 

সোর্স ঃ [wikipedia,Google,Text book.]

 

মুহাম্মাদ সহিদুল ইসলাম

ইনস্ট্রাক্টর(কম্পিউটার)

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউট

 

Tags: No tags

Comments are closed.