শেখ মুজিব: চিরদিন এক প্রতিবাদী তর্জনী
দেশের জন্য মুক্তির দীর্ঘ লড়াইয়ে শেখ মুজিবুর রহমানকে জেলে যেতে হয়েছে অনেকবার। সব মিলিয়ে তিনি তাঁর জীবনের প্রায় সাড়ে ১২ বছর জেলে ছিলেন। ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি কোনো এক সময়। কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থানকালে তাঁর স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা (রেণু) তাকে অনুরোধ করেন আত্মজীবনী লিখতে।
বঙ্গবন্ধু দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলেছিলেন, “লিখতে তো পারি না; আর এমন কী করেছি যা লেখা যায়! আমার জীবনের ঘটনাগুলি জেনে জনসাধারণের কি কোনো কাজে লাগবে? কিছুই তো করতে পারলাম না। শুধু এইটুকু বলতে পারি, নীতি ও আদর্শের জন্য সামান্য একটু ত্যাগ স্বীকার করেছি।”
তবুও রেণু তাঁকে শেষবার অনুরোধ করেন আত্মজীবনী লেখার জন্য, বলেন ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। একদিন সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু কারাগারের ছোট কোঠায় বসে জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছেন তাঁর রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কথা। কীভাবে তাঁর সঙ্গে পরিচয়, কীভাবে তাঁর সান্নিধ্য লাভ, কীভাবে তিনি কাজ করতে শেখালেন ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে ভাবনার জগতে সাঁতার কাটছেন।
হঠাৎ তাঁর মনে হলো লিখতে ভালো না পারলেও ঘটনা যতদূর মনে আছে লিখে রাখতে তো আর ক্ষতি নেই। অন্তত এই বন্দি কারাগারে সময়টুকু তো কাটবে! এর কয়েকদিন পর রেণু তাকে কয়েকটা খাতা কিনে জেলগেটে জমা দিয়েছিলেন। জেল কর্তৃপক্ষ যথারীতি পরীক্ষা করে খাতা কয়টা তাঁকে দেন। তখন থেকেই তিনি শুরু করেন আত্মজীবনী লিখতে।
বঙ্গবন্ধুর এ অমর সৃষ্টি পাদপ্রদীপের আলোয় আনবার পিছনে তাঁর মেয়ে শেখ হাসিনার অনেক অবদান রয়েছে। তিনিই বহু খোঁজাখুজি করে বঙ্গবন্ধুর মহাপ্রয়ানের ২৯ বছর পর স্মৃতিকথা লেখা সেই চারটি খাতা হাতে পান। অবহেলা আর অনাদরে পড়ে থেকে জীর্ণ হয়ে যাওয়া খাতাগুলো থেকে বহু কষ্টে পাঠোদ্ধার করে ২০১২ সালে গ্রন্থাকারে আমাদের হাতে তুলে দিতে সক্ষম হন। যে বই বঙ্গবন্ধুকে তাঁর নিজের জবানিতেই আমাদের কাছে অনেক বেশি সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেছে। পৃথিবীর ১৭টি ভাষায় বইটি অনূদিত হয়েছে।
বইটিতে শেখ মুজিব ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত নিজের জীবনের ঘটনা লিখেছেন। সেখানে তাঁর জীবনে দেখা নানা বিষয় সম্পর্কে অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। বইটি লেখার প্রেক্ষাপট, তাঁর বংশপরিচয়, জন্ম, শৈশব-কৈশোর, স্কুল-কলেজের শিক্ষাজীবন, রাজনৈতিক জীবন, সেসময়ের সামাজিক অবস্থা, দুর্ভিক্ষ, কলকাতা-বিহারের দাঙ্গা ও দেশভাগসহ ইত্যাদি নানা বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানা যায় বইটি থেকে।
পাশাপাশি তাঁর চীন, ভারত, পশ্চিম পাকিস্তান ভ্রমণও বইটিতে বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে। বঙ্গবন্ধুর এ বইটি এমন একটি বই যা যে কোনো পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে যেতে বাধ্য। এতে বঙ্গবন্ধুর বংশপরিচয় সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানতে পারি। এক্ষেত্রে তিনি তাঁর অসাধারণ স্মৃতিশক্তির পরিচয় দিয়েছেন। বইটিতে তিনি তাঁর বংশের প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন।
বইটির শুরুতে তিনি উল্লেখ করেছেন, শেখ বোরহানউদ্দিন এই শেখ বংশের প্রতিষ্ঠাতা। শুরুর দিকে শেখ বংশ বেশ সম্পদশালী ছিল। এর প্রমাণস্বরূপ বোরহানউদ্দিনের সেই মুঘল আমলে ইটের বেশ সুন্দর কয়েকটি দালান নির্মাণ করার কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধু সেগুলোকে অবশ্য জীর্ণ-শীর্ণ অবস্থায় দেখেছেন তাও বলেছেন। ধীরে ধীরে তাদের সম্পত্তির পরিমাণ কমতে থাকে। বইতে বঙ্গবন্ধু তাঁরই বংশের কয়েকজন এবং তাদের নিয়ে কিছু ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন।
উল্লেখ করেছেন বেগম ফজিলাতুন্নেসার সঙ্গে তাঁর বিয়ের কথা। মজার ব্যাপার হলো, বইয়ের তথ্যানুযায়ী বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যখন শেখ ফজিলাতুন্নেসার বিয়ে হয় তখন তাঁর বয়স মাত্র বারো-তেরো বছর, আর ফজিলাতুন্নেসার তিন বছর। বইটির ৭ম পৃষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু মজা করে বলেছেন, “আমি শুনলাম আমার বিবাহ হয়েছে।” এভাবেই অত্যন্ত সহজ ভাষা কিন্তু বিভিন্ন মজার ঘটনার মাধ্যমে নিজের জন্ম ও বংশপরিচয়ের বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরেছেন বঙ্গবন্ধু।
তাঁর বর্ণনা থেকে আমরা এক বিচিত্র শিক্ষাজীবনের কথা জানতে পারি। বইটি থেকে আমরা জানতে পারি, সাত বছর বয়সে তিনি ভর্তি হন তাঁরই ছোট দাদার প্রতিষ্ঠিত একটি মিডল ইংলিশ স্কুলে, যার নাম ‘টুঙ্গিপাড়া ডিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়’। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সেখানে পড়ার পর চতুর্থ শ্রেণিতে গিয়ে ভর্তি হন ‘গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে’। ১৯৩৪ সালে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় বঙ্গবন্ধু বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হন। ফলে তাঁর হার্ট দুর্বল হয়ে পড়ে, এসময় তাঁর লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটে।
তাঁর বাবা শেখ লুৎফর রহমান কলকাতার অনেক বড় বড় ডাক্তারকে দেখিয়েছিলেন এবং সেখানেই তাঁর চিকিৎসা হতে থাকে। দুই বছর কেটে যায় ওভাবেই। কিন্তু একটা বিপদ যেতে না যেতেই আবার ১৯৩৬ সালে গ্লুকোমা রোগের জন্য তাঁর চোখ হঠাৎ খারাপ হয়ে পড়ে। এসময় তাঁর বাবা গোপালগঞ্জ থেকে মাদারীপুরে বদলি হয়ে গিয়েছিলেন, তাই শেখ মুজিবকে সপ্তম শ্রেণিতে আবার ভর্তি করা হয় মাদারীপুর হাই স্কুলে। ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসার জন্য বাবা তাঁকে আবার কলাকাতায় নিয়ে যান। কলকাতার ডাক্তার টি. আহমেদ তাঁকে দেখেন। তিনি বলেন চোখ অপারেশন করতে হবে।
এতে শেখ মুজিব বেশ ভয় পেয়ে যান, পালানোরও চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারেননি। চোখ অপারেশন করা হয়। তিনি আবার ভালো হয়ে যান। কিন্তু ডাক্তার বলেন লেখাপড়া বন্ধ রাখতে হবে এবং চশমা পরতে হবে। তাই সেই ১৯৩৬ সাল থেকেই আজীবন চশমা পরতেন বঙ্গবন্ধু, যা তাঁর ব্যক্তিত্বকে বাড়িয়ে দিয়েছিল।
এরপর আবার মাদারীপুরে ফিরে যান মুজিব। কিন্তু ততদিনে তাঁর সহপাঠীরা তাঁকে ছাড়িয়ে উপরের ক্লাসে উঠে গেছে। তাই তিনি আর মাদারীপুর হাই স্কুলে যাননি। তাঁর বাবা তাঁকে ১৯৩৭ সালে ভর্তি করে দেন গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে। এরপর প্রবেশিকা পরীক্ষা পর্যন্ত সেখানেই পড়েন তিনি। সত্যিই এক ঘটনাবহুল শিক্ষাজীবনের অধিকারী ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইতে তাঁর শিক্ষাজীবন সম্পর্কে যে বর্ণনা আমরা পাই তা সেটাই প্রমাণ করে।
বইটিতে বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক জীবনের বিস্তারিত ফুটিয়ে তুলেছেন অসাধারণভাবে। তিনি বর্ণনা করেন, তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু মিশন স্কুলে পড়াকালেই। এসময় তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সান্নিধ্য পান। হোসেন সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে যখন সোহরাওয়ার্দী মিশন স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন। বইটির প্রায় সবখানেই বঙ্গবন্ধু সোহরাওয়ার্দীর কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর সততা, কর্মদক্ষতা, সুনীতি, উদারতা ও বিচক্ষণতা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনকে প্রভাবিত করেছিল অনেকাংশে।
শেখ মুজিবের প্রথম জেল জীবনের ঘটনাও এই বইয়ে উঠে এসেছে। সময়টা ছিল ১৯৩৮ সাল। তাঁর এক সহপাঠী ছিলেন আব্দুল মালেক নামে। কোনো একদিন গোপালগঞ্জের খন্দকার শামসুল হুদা এসে জানালেন, মুজিবের সহপাঠী মালেককে ‘হিন্দু মহাসভার’ সভাপতি সুরেন ব্যানার্জীর বাড়িতে তাকে অন্যায়ভাবে মারধর করা হচ্ছে। তাই দ্রুত শেখ মুজিব সুরেন বাবুর বাড়িতে গিয়ে অনুরোধ করেন মালেককে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু ছাড়া তো দূরে থাক, তাকে উল্টে গালমন্দ করেন সুরেন বাবু। কিশোর মুজিব তার এরকম আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। খবর পাঠিয়ে তাঁর দলের ছেলেদের ডেকে আনেন।
শেখ মুজিবের দুই মামা শেখ সিরাজুল হক ও শেখ জাফর সাদেকও ছুটে যান জনবল নিয়ে। সেখানেই দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল মারামারি শুরু হয়ে যায়। শেখ মুজিব ও তাঁর বন্ধুরা মিলে দরজা ভেঙ্গে নিয়ে আসেন মালেককে। পুরো শহরে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। হিন্দু নেতারা থানায় মামলা করেন। খন্দকার শামসুল হক হন আদেশের আসামি। অভিযোগ, মুজিব ছুরি দিয়ে সুরেন বাবুকে হত্যা করতে তার বাড়ি গিয়েছিলেন!
পরদিন মুজিব জানতে পারেন তাঁর দুই মামাকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকেও গ্রেপ্তার করতে চায়, কিন্তু সাহস পাচ্ছে না তাঁর বাবার জন্য। কারণ তাঁর বাবাকে এলাকায় সবাই অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন। গ্রেপ্তারে দেরি হলে কেউ কেউ তাকে পালিয়ে যেতে বলেছিলেন। প্রত্যুত্তরে তিনি বলেছিলেন, “আমি পালাব না। পালালে লোকে বলবে যে আমি ভয় পেয়ে পালিয়েছি।”
অনেক ইতস্তত করে পুলিশ শেখ মুজিবের বাসায় গিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেশ করলে বাবা শেখ লুৎফর রহমান বললেন, “ওকে নিয়ে যান।” দারোগা বাবু নরম স্বরে বললেন, “ও বরং খেয়ে-দেয়ে আসুক।” সত্যিই, এবারও নিজের সততার প্রমাণ দেন মুজিব। খেয়ে-দেয়ে হাজিরা দেন তিনি। জেলে মেয়েদের ওয়ার্ডে কোনো মেয়ে আসামি না থাকায় তাকে রাখা হয় মেয়েদের ওয়ার্ডে। সেটি ছিল শেখ মুজিবের প্রথম জেল, তাও আবার বিনা অপরাধে অন্যায়ভাবে। প্রথম জেলে যাওয়ার সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।
জেল থেকে ফিরে শেখ মুজিবুর রহমান আবার রাজনীতিতে যোগ দেন। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির ২০৯ নং পৃষ্ঠায় একটি ঘটনা উল্লেখ করেন তিনি। ঘটনাটি হলো: একদিন সকালে আমি ও রেণু বিছানায় বসে গল্প করছিলাম। হাচু ও কামাল নিচে খেলছিল। হাচু মাঝে মাঝে খেলা ফেলে আমার কাছে আসে আর ‘আব্বা’ ‘আব্বা’ বলে ডাকে। কামাল চেয়ে থাকে। একসময় কামাল হাচিনাকে বলছে, হাচু আপা, হাচু আপা, তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা বলি।
আমি আর রেণু দুজনই শুনলাম। আস্তে আস্তে বিছানা থেকে উঠে যেয়ে ওকে কোলে নিয়ে বললাম, আমি তো তোমারও আব্বা। কামাল আমার কাছে আসতে চাইত না। আজ গলা ধরে পড়ে রইল। বুঝতে পারলাম, এখন ও আর সহ্য করতে পারছে না। নিজের ছেলেও অনেক দিন না দেখলে ভুলে যায়! আমি যখন জেলে যাই তখন ওর বয়স মাত্র কয়েক মাস। রাজনৈতিক কারণে একজনকে বিনা বিচারে বন্দি রাখা আর তার আত্মীয়স্বজন ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে দূরে রাখা যে কত বড় জঘন্য কাজ তা কে বুঝবে? মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়।
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বই থেকে জানা যায় যে শেখ মুজিব প্রথমে পাকিস্তান হবার পক্ষেই ছিলেন। কারণ সেই সময়ের হিন্দু সমাজের সাম্প্রদায়িক মনোভাবের জন্য মুসলমানরা টিকতে পারছিল না। কিন্তু পাকিস্তান হবার পর যখন বাংলা ভাষার উপর আঘাত আসল, তখন তিনি এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান। মাত্র বছরখানেকের মধ্যেই পাকিস্তান সৃষ্টির স্বপ্নভঙ্গের কারণ ঘটে। তখন থেকেই পাকিস্তানের নানা অন্যায়-অনাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে শেখ মুজিব সোচ্চার হতে থাকেন।
আসলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইতিহাসের এমন এক চরিত্র যিনি ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির মতো নিজের জীবনটাকেও অসমাপ্ত রেখে গেছেন। এ অসমাপ্ত জীবন কত-ই না ঘটনাবহুল! বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সম্পূর্ণ প্রতিফলন এ বইটি। আর এ আদর্শে নিজের জীবন গড়ে তুলতে হবে বর্তমান প্রজন্মের প্রতিটি শিশুকে।সত্যি কথা বলতে কী এই বইটা আমি এখনও পড়লে আমার মধ্যে জানার স্পৃহা আরো অনেক বেড়ে যায়। অন্যায়ের প্রতিবাদ করার এক অসামান্য পাঠ রয়েছে বইটিতে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিবাদী চেতনার সঙ্গে বইটি আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয়।
আমাদেরও তাঁর মতো প্রতিবাদী হতে হবে, অন্যায়ের সঙ্গে কখনোই আপোস করা যাবে না।
=======================================
লিখেছেন:
ইমাম সাদ আহমেদ
ইন্সট্রাক্টর
ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট