আমি চিনি কিন্তু তিনি চেনেন না, কথোপকথনে কীভাবে অংশ নেব?

আমি প্রচুর মানুষের সাথে কথা বলি। যারা পরিচিত তাদের সাথে বলি আবার যারা অপরিচিত তাদের সাথে আরো বেশী বলি।  সরাসরি কথা বলি, মোবাইলের মাধ্যমে বরি, ওয়াটসএ্যাপ, বা ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারতো আছেই। আমি যেহেতু প্রচুর ভ্রমন করি, দেশের ভেতরে বা দেশের বাইরে সেজন্য ভ্রমনের সময় আমার এই কথোপকথনের কাজটি বেশী হয়। আরো ভালো লাগে যখন রিকশা, সিএসজি, উবারে উঠি তখন চালকের সাথে গল্প করা। অনেক কিছু শেখা যায় যা লিখে বোঝানো যাবে না। যখন কোন কর্পোরেট ডিনারে বা অনুষ্ঠানে যাবার সুযোগ হয় তখন খুঁজে খুঁজে বের করি কাদের সাথে এখনও আমার পরিচয় হয়নি। তাদের কাছে গিয়ে কথোপকথন শুরু করে দেই। কারন প্রতিটি মানুষের একটি করে গল্প আছে যা কথোপকথনের মাধ্যমে জানা যায় এবং সেখান থেকে নতুন নতুন ধারানা তৈরি করা যায়।

মানুষের জীবন পুরোটাই যোগাযোগ নির্ভর। ঘুম থেকে উঠে আবার ঘুমাতে যাবার আগ পর্যন্তু আমাদের যোগাযোগ করতে হয়। বিভিন্ন উপায়ে আমরা যোগযোগ রক্ষা করি। আসলে যোগযোগ এমনই একটি বিষয় যা একজনকে সমৃদ্ধ করে তোলে। যোগাযোগের কথা উঠলেই আমরা মনে করি কর্মক্ষেত্রে আমার যোগাযোগ কেমন হবে? অফিসে বা নিজের ব্যবসায় আমি কিভাবে যোগাযোগ করবো? আসলে ব্যাপারটি পুরোপুরি সেটা নয়। যোগাযোগ সর্বত্র। নিজের ব্যক্তি জীবনের উন্নয়নের জন্য, মানসিকতা বিকাশের জন্য, মানুষের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এবং কর্মক্ষেত্রে শীর্ষ পারফরমারের তকমা লাগাবার জন্য বা ব্যবসায় উন্নতি সাধনের জন্য গুনগত যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমের মাঝে  কথোপকথন অত্যন্ত মূল্যবান। মনে রাখতে হবে  কথোপকথন করেক ধরনের মানুষের সাথে সাধারনত হয়ে থাকতে পারে

  • আপনি চেনেন এমন মানুষ
  • আপনি চেনেন না এমন মানুষ

যাদেরকে জানেন বা চেনেন এমন মানুষের সাথেই আমরা  কথোপকথন চালিয়ে যেতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি। ধরুন আপনি একটি কর্পোরেট ডিনারের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। আপনি আপনার একজন কলিগের সাথে সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন। আপনারা দুজনই অনুষ্ঠানের এককোনায় দাড়িয়ে আছেন এবং নিজেদের মধ্যেই অফিসের কর্মব্যস্ত দিন নিয়ে আলোচনা করলেন এবং ডিনার শেষ করে বাড়ি ফিরে এলেন। অথবা আপনি একটি কনফারেন্সে অংশগ্রহনের সুযোগ পেলেন এবং আপনার এক বন্ধুর সাথে গেলেন। আপনারা দুজনই বেছে নিলেন একদম কোনায় অবস্থিত দুটি চেয়ার এবং যথারিতী বসে পুরো সেশনে অংশ নিয়ে বাড়ি চলে এলেন।  অথচ আপনার ডান-বামে বা চারপাশে এমন অনেক মানুষ ছিলেন যাদের সাথে আপনি হাত মেলাতে পারতেন এবং পরবর্তিতে তাদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারতেন। আবার এমন চিত্রই বেশী দেখা যায় যে কাছে এসে মোবাইল ফোনটি বের করে হাসি দিয়ে বললেন একটা সেলফি তুলি? যাকে বললেন তিনিও হাসি দিয়ে সেলফিতে অংশ নিয়েই শেষ। যদিও প্রথম দুই ব্যক্তির তুলনায় তৃতীয় ব্যক্তি কিছুটা এগিয়ে কারন বাড়ি ফিরে তিনি যখন ছবিটি ফেসবুকে বা লিংকডইনে আপলোড করবেন চমৎকার একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তখন ফেসবুক সেই ব্যক্তিকে এআই (AI) ব্যবহারের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে যে কেউ তার ছবি ফেসবুকে যুক্ত করেছে। যদি স্ট্যাটাসটি পছন্দ হয় তাহলে তিনি তার প্রোফাইলে ঢ়ুকে দেখবার চেষ্টা করবেন। এখানে একটা লীড তৈরি হবার আশা থাকে। কিন্তু যিনি কথাও বললেন, ছবিও তুললেন না, তার জন্য ঐ দু-ঘন্টা বিনিয়োগের ফল কি হলো? কিন্তু বিষয়টি অন্যরকম হতে পারতো!

অনুষ্ঠানে বা কনফারেন্সে যাবার আগে যদি একটু হোম ওয়ার্ক করে নেয়া যায় যেমনঃ

  • খুজে বের করা আপনি কেন সেখানে আছেন বা কেন সেখানে যাচ্ছেন?
  • ঐ অনুষ্ঠানে কারা আসছেন, তাদের নিয়ে হালকা একটু গবেষনা করা।
  • অতিথীদের মধ্যে কারা আছেন যারা আপনার কাজের ক্ষেত্রের সাথে সংযুক্ত এবং তাদের বর্তমান প্রকল্প নিয়ে একটা ধারনা নেয়া।
  • অতিথীদের ফেসবুক বা লিংকডইনের প্রোফাইলটা একটু ব্রাউজ করে যেনে নেয়া কোন ধরনের কাজের সাথে তারা এই মুহুর্তে ব্যস্ত। এটি অবশ্য অনুষ্ঠানে থেকেও করা সম্ভব যদি আগে থেকে অতিথীদের তথ্য পাওয়া না যায়।
  • আসলে পুরো বিষয়টিকে গেম প্ল্যানের সাথে তুলনা করা যায়। গেম প্ল্যান যেমন একটি দল বা একজন খেলোয়াড়ের জন্য বুঝে নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন তেমনি একজন প্রফেশনাল বা গ্রাজুয়েটের জন্য তার নিজের গেম প্ল্যান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, তাহলেই সময় বিনিয়োগের ভালো ফল আশা করা যায়।

একটি বিষয় আমাদের সবসময় স্মরন রাখতে হবে যে প্রত্যেক অপরিচিত মানুষ আপনাকে নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। অতএব তার সফলতা অনেক বেশী হয়ে থাকে যিনি অপরিচিত মানুষকে পরিচিত মানুষে রুপান্তর করতে পারেন। অপরিচিত মানুষকে পরিচিত করে তুলবার প্রথম ধাপ হচ্ছে  কথোপকথন।

কথোপকথনের অনেক সুবিধা রয়েছেঃ

  • যেকোন মানুষের সাথে কথোপকথন আপনাকে সম্পূর্ন নতুন একটি ধারনা বা প্রেক্ষপট তৈরিতে সাহায্য করে।
  • যেকোন মানুষের সাথে কথোপকথন আপনাকে একটি নতুন সুযোগের দরজা খুলতে সহায়তা করে
  • আপনাকে নতুনকে সনাক্ত করতে সহায়তা করে
  • আপনার জন্য নতুন লিঙ্ক তৈরি করে দেয় এবং নিজেকে সেই লিংকের সাথে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করে।
  • জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করে।
  • দক্ষতা তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে।
  • ইতিবাচক মানসিকতা অর্জনে ভূমিকা রাখে।

ধরুন আপনি কোনও অনুষ্ঠানে রয়েছেন এবং আপনি দেখছেন যে আপনি অনুষ্ঠানের আয়োজক ছাড়া কাউকেই চেনেন না কিন্তু একটি ছোট্ট আলোচনা দিয়ে আপনি অনেক কিছুই অর্জন করতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে  কথোপকথনে বলা এবং শোনার মাঝে একধরনের ব্যালেন্স রাখাটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং এই বিষয়ে প্রায় সকলেই একমত হয়েছেন যে কথোপকথনে বলার চেয়ে শুনবার মানসিকতাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। গৌতম বুদ্ধের একটি চমৎকার উক্তি রয়েছে ”আপনার মুখ খোলা থাকলে আপনি শিখছেন না”। তার মানে জানবার মানসিকতা নিয়ে কথোপকথনে অংশ নিতে হবে।

দুর্দান্ত কথোপকথনের জন্য কয়েকটি টিপস

দুর্দান্ত যোগাযোগকারী সবসময় একধরনের বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন সর্বক্ষেত্রে এবং তিনি অত্যন্ত সচেতন থাকেন তার এই দক্ষতার ব্যপারে। তারা জানেন কিভাবে একটি দুর্দান্ত কথোপকথন চালিয়ে নেয়া যায়। অবশ্যই এটি একটি গুরুত্বপূর্ন দক্ষতা যা সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ এবং অনুশীলনের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব।

  • আমাদের সবারই মনে রাখতে হবে একটি ইংরেজী বাক্য “I am excited”. কোন একটি কাজ করবার আগে আমাদের ভালো করে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে আমি যে কাজাট করতে যাচ্ছি তার জন্য আমার ভেতরে কোন উত্তেজনা কাজ করছে কিনা? যদি উত্তেজনা অনুভাব করা যায় তাহলে নিশ্চিতভাবে আপনি সফলভাবে কাজটি শেষ করতে পারবেন। আর যদি না হয় তাহলে হাজার চেষ্টা করেও আপনি কোন সমাধান বের করতে পারবেন না। বের করতে পারবেন শুধু অজুহাত। কোন অপরিচিত মানুষের সাথে কথোপকথনের প্রধান শর্ত হলো নিজ থেকে মনে মনে বার বার বলতে থাকা “Yes I am Excited”.

 

  • সঠিকভাবে যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন হলো শর্ত হলো বডি ল্যাংগুয়েজের উপর নজর রাখা বিশেষ করে “Nonverbal Skills” । আপনার সত্যিকারের মন থেকে একটি হাসি, ইতিবাচক অঙ্গভঙ্গি এবং আবেগ দিয়ে শ্রবন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। কথোপকথনের সময় আপনার অভিব্যক্তিগুলোর (Expressions) উপর সর্বদা সচেতন থাকবেন। কোন একটি আলোচনায় অতি সাধারন কিন্তু মূল্যবান আপনার ভুরুর (Eyebrow) সঠিক ব্যবহারও কিন্তু আপনাকে একধাপ এগিয়ে নিতে পারে।

 

  • মাল্টিটাস্কিং করবেন না। কথোপকথনের সময় আমরা নিজের অজান্তেই একাধিক কাজের সাথে যুক্ত থাকি যেটা মোটেও ইতিবাচক নয়। মোবাইল নিয়ে খেলা করা, চাবির রিং ঘোড়ানো, এখানে এবং সেখানে দেখা, হাত গুটিয়ে পকেটের ভেতর রেখে দেয়া ইত্যাদি পরিহার অত্যন্ত জরুরী। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কথোপকথনে মনোনিবেশ (Concentration) করা এবং মননশীলতা (mindfulness) নিশ্চিত করা।

 

  • ভালো করে দেখে নেন আপনার ভেতর ”আমিও” (me too) লক্ষণ আছে কিনা। ধরুন কেউ একজন তার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি অভিজ্ঞতার কথা আপনার সাথে শেয়ার করছেন। তার কথা শেষ হবার সাথে সাথেই আপনিও বলে উঠলেন আমারও এরকম একটি অভিজ্ঞতা আছে এবং বলা শুরু করে দিলেন। এটি দুর্দান্ত কথোপকথনের জন্য একটি বড় বাধা।

 

  • অনেকে বিশেষজ্ঞ হয়ে বিরোধী মন্তব্য তৎক্ষনাত দেবার চেষ্ট করেন, এটি আরেকটি বাধা দুর্দান্ত কথোপকথনের। প্রত্যেকেরই বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতামত রয়েছে। সুতরাং আমাদের নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে হবে, তাত্ক্ষণিকভাবে বিরোধীতা করা উচিত নয়। আপনার যদি ভিন্ন মতামত থাকে তাহলে বাড়ি ফিরে ঐ বিষয়ে ব্লগ লিখে নিজস্ব ব্লগ সাইটে পাবলিশ করে দিতে পারেন। তবে কোনভাবেই কথোপকথনের সময় তর্কে যাওয়া ঠিক নয়। যদি বন্ধুদের আড্ডা হয় বা অতি পরিচিত কেউ হয় সেক্ষেত্রে ভিন্ন কথা।

 

  • কথোপকথনে যাবার আগে এই মানসিকতা তৈরি করুন যে আপনি কিছুই জানেন না। তাহলেই আপনি অনেক কিছেই জানতে পারবেন। সক্রেটিসের একটি দারুন উদ্ধৃতি রয়েছে ”আমি জানি যে অনেক কিছুই আমি জানি না”

 

  • যেকোন কথোপকথন শুরু করার আগে প্রয়োজন প্রশ্ন আর সে প্রশ্ন হতে পারে অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যতকে ঘিরে। ধরুন গুগলের মতো বিশাল একটি সাইট খুলে বসে আছেন। কিন্তু কোন প্রশ্ন করছেন না। তাহলে ঐ বিশাল সাইটি খুলে বসে থাকার মানে কি হলো? গুগলের কাছ থেকে সত্যিকারের উপকার পেতে হলে আপনাকে যেমন একটি প্রশ্ন করা দরকার তেমনি পরিচিত বা অপরিচিত কারো কাছ থেকে সত্যিকারের উপকার বা লিংক পেতে হলে দরকার উন্মুক্ত প্রশ্ন। এমন প্রশ্ন যার উত্তর সাধারনত কেউ শুধুমাত্র হ্যা বা না দিয়ে শেষ করতে পারবে না। উদাহরন স্বরুপ বলা যায় যে যদি কোন অপরিচিত মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পরে যদি বলেন “কোভিড আমাদের অনেক বিপদে ফেলে দিয়েছে না?” উত্তর আসতে পারে শুধু হ্যা সূচক মাথা নাড়ানো। আর যদি প্রশ্নটি এমনভাবে করা যায় কোভিডের কারনে যে চাপ অর্থনীতির উপর পড়েছে তার থেকে কি সহজে আমরা বের হতে পারবো, আপনি কি মনে করেন? এই খোলা প্রশ্নের কারনে তাকে মন্তব্য করতে হবে।

 

  • ”Happy Hello” কনসেপ্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন টুলস কথোপকথনের শুরুতেই একজনকে আকৃষ্ট করবার জন্য যা বিনা ব্যয়ে যে কারও সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার শক্তি হিসেবে কাজ করে। আসল হাসি দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় সবসময় কাজ করে।

 

  • ইংরেজীতে একটি কোট আছে “Happiness is an unexpected compliment”. প্রশংসা আরেকটি টুলস যা কখনও বৃথা যায় না তবে অপ্রয়োজনীয় প্রশংসা হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে। তাই আগামীতে যার সাথে আপনার কথোপকথনের সম্ভাবনা রয়েছে তাকে নিয়ে একটু গবেষনা করুন। আপনার একটি সত্যিকারের প্রশংসা কারো দিনকে রঙিন করতে অনেক গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করতে পারে।

 

  • কথোপকথনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন এবং অভিজ্ঞরা সবচেয়ে বেশী যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তা হলো চোখ, কান ও মন দিয়ে শোনা এবং কানেক্ট করবার চেষ্টা করা। মনে রাখবেন শ্রবণশক্তি দুর্দান্ত গল্প আবিষ্কারের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অস্ত্র যা আমরা অনেকেই নিজের অজান্তে অব্যবহারিত হিসেবে রেখে দেই।

কথোপকথন শুরু করবেন কিভাবে?

  • নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করুন যে আপনি কিছুক্ষনের মধ্যেই দারুন একটি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে যাচ্ছেন
  • নিজের কাছে থাকা মোবাইল ফোনটি প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে রাখুন এবং দুটি হাত ফ্রী করে রাখুন
  • যার সাথে কথা বলবেন তার সম্পর্কে হালকা একটু জেনে নিন কাছে পরিচিত মানুষের কাছ থেকে অথবা তার লিংকডইন প্রোফাইল ঘেটে দেখে নিন তার বর্তমান কোন কাজ সম্পর্কে
  • এবার দেখুন তিনি কারো ইতিমধ্যে কথোপকথনে যুক্ত আছেন কিনা। যদি দেখেন তিনি একদম মুখোমুখি দাড়িয়ে কথা বলছেন তাহলে তাকে আর বিরক্ত করবেন না। একটু ধৈর্য ধরুন। যখনই দেখবেন তিনি আর মখোমুখি দাড়িয়ে কথা বলছেন না, তারমানে এখন সঠিক সময়।
  • কাছে গিয়ে বড় একটা হাসির মাধ্যমে সালাম দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান এবং আপনার আনন্দ প্রকাশ করুন। তারপর আপনার নিজের পরিচয়টি দিন।
  • তার কোন একটি কাজের প্রশংসা করতে পারেন যেমন: ”মানবতার প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি আশ্চর্যজন“ বা আপনার ব্লগ বা ভিডিও আমাকে অত্যন্ত অনুপ্রানিত করে”।
  • এবার কথোপকথন শুরু হতে হবে একটি প্রশ্ন দিয়ে যেমন: স্যার বা ভাইয়া আপনি এখন পর্যন্ত যে সমস্ত সৃজনশীল কাজ করেছেন তার জন্য অনুপ্রেরণার উত্স কী? এটা দিয়ে শুরু তারপর ধীরে এগিয়ে যাবেন।
  • কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে এবং কোন প্রকার বাধা ছাড়াই। তবে সময়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং খুব বেশা পেচানো যাবে না।
  • ফিউচার লিংক তৈরি করতে হবে যেন তার সাথে পরবর্তীতে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে তার কোন ভিজিটিং কার্ড বা লিংকডইনে তার সাথে কানেক্ট হবার চেষ্টা করা। ফেসবুকে কানেকশনের জন্য রিকোয়েস্ট না করাই ভালো। কারন অনেকেই ফেসবুককে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ব্যবহার করেন। তবে বাড়ি ফিরে কথোপকথনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ফেসবুকে বন্ধুত্বের রিকোয়েস্ট পাঠানো যেতে পারে।
  • সর্বশেষে একটি রিকোয়েস্ট রাখতে পারেন যে আমি কি আপনার সাথে এই কথোপকথনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন স্মৃতিটি ক্যামেরা বন্দি করতে পারি?
  • বাড়ি ফিরে ধন্যবাদ বার্তা প্রেরণ করতে ভুলবেন না।

 

বন্ধুরা আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে প্রতিটি দুর্দান্ত কথোপকথন আপনার মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করাবার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। আর প্রতিটি দুর্দান্ত কথোপকথন আপনার জন্য তৈরি করে নতুন সম্ভাবনা। তাই লজ্জাকে পরিহার করে, উত্তেজনাকে অনুভব করে পরিচিত বা অপরিচিত মানুষের সাথে কথোপকথনে যুক্ত হন। কথোপকথন সবসময় ফলপ্রসূ হবে এমন কোন নিশ্চয়তা কারো পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় তবে আপনি যেন মন থেকে বলতে পারেন আপনি চেষ্টার ত্রুটি করেননি।


লেখকঃ কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট

কিভাবে আপনার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করবেন?

কিভাবে আপনার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করবেন?

আপনি কি আরও ভাল কিছু করতে চান?

তবে নিজের মনকে কেন্দ্রীভূত করতে শিখুন।

একটি মনোনিবেশিত মন আপনাকে দ্রুত, দক্ষতার সাথে এবং কম ভুল সহ সমস্ত কিছু সম্পাদন করতে সক্ষম করে।

মনোনিবেশ করা মন আপনাকে বিক্ষিপ্ত ভাবনা এড়াতে সহায়তা করে।

একটি মনোনিবেশিত মন অস্থিরতা হ্রাস করে এবং অভ্যন্তরীণ প্রশান্তি বাড়ায়।

 

কেন্দ্রীভূত মনের গুরুত্ব:

আপনি যদি আপনার মনের দিকে মনোযোগ দেন, আপনি লক্ষ্য করবেন যে এটি কখনও স্থির হয় না। এটি সর্বদা একটি চিন্তা থেকে অন্য চিন্তায় দ্রুত অগ্রসর হয়, প্রজাপতির মতো যা এক ফুল থেকে অন্য ফুলে উড়ে যায়, খুব কমই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে।

আজকাল, স্মার্টফোন, ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলির যুগে বেশিরভাগ মানুষের মন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে, তাদের মনোযোগের সংক্ষিপ্ততা খুব সহজেই লক্ষ্য করে যায় যে তাদের চারপাশে কী চলছে।

  • আপনি কি একজন সফল শিক্ষার্থী হতে চান ?
  • আপনি কি আরও ভাল, দ্রুত এবং কম ভুল দিয়ে সবকিছু করতে চান?
  • তবে আপনার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে শিখতে হবে!
  • আপনার লক্ষ্য এবং একাগ্রতা উন্নত করতে , আপনি কী করবেন?
  1. আপনি যা করছেন তা নিয়ে ভাল থাকুন।
  2. অপ্রাসঙ্গিক চিন্তাভাবনা উপেক্ষা করুন।
  3. আপনি যা করছেন তার প্রতি আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ এবং শক্তি পরিচালনা করুন।
  4. মনোযোগের বিস্তার  বৃদ্ধিকরণ ।
  5. অস্থিরতা এবং মনের আন্দোলন হ্রাস করুন।
  6. আপনার ধ্যান এবং চাক্ষুষ দক্ষতা উন্নত করুন।
  7. আপনার বোধগম্যতা এবং অধ্যয়ন এবং শেখার দক্ষতা উন্নত করুন।

আপনি কিভাবে আপনার লক্ষ্য উন্নতি করবেন?

আপনি সাধারণ মানসিক অনুশীলনগুলির মাধ্যমে আপনার মনোযোগকে উন্নত করতে পারেন যা আপনার মনকে তীক্ষ্ণ করবে, আপনার মনোযোগের সময় বাড়িয়ে তুলবে এবং আপনাকে মনোযোগ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম করবে।

আপনার শরীরচর্চা যেমন আপনার পেশী শক্তিশালী করে, তেমনি একাগ্রতা অনুশীলনের সাথে আপনার মন অনুশীলন করা আপনার কেঁদ্রীভূতকরণ এবং মনোযোগ দক্ষতাকে শক্তিশালী করে।

 

আপনি কী ধরনের অনুশীলন শিখবেন?

অনুশীলনের মধ্যে, আপনি এমন ব্যায়ামগুলি খুঁজে পাবেন যাগুলির জন্য আপনি প্রায়শই যে ক্রিয়াকলাপগুলি করেন তার প্রতি আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ স্থির করে নেওয়া প্রয়োজন, তবে যা আপনি সম্ভবত স্বয়ংক্রিয়ভাবে এবং অযৌক্তিকভাবে করেন যেমন:

  • একটি সালাদ প্রস্তুত
  • থালা ধোওয়া
  • কফি পান করছেন
  • এবং আরো অন্য কিছু

 

এই অনুশীলনের উদ্দেশ্য হ’ল মনকে আপনি যা করছেন তার দিকে মনোনিবেশ করা শেখানো এবং এটি অন্য চিন্তায় ভ্রমন করতে না দেওয়া।

কোনও নির্দিষ্ট কাজের প্রতি আপনার মনোযোগ কেন্দ্রীকরণের উপর জোর দিয়ে, আপনি আপনার মনকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করেন এবং এটি আপনাকে মানতে শিখিয়ে দেন।

একটি গল্প থেকে শেখ:

এক সুন্দর দিনটিতে একটি হাতি গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে শান্তভাবে সবুজ পাতা খাচ্ছিল। হঠাৎ একটি ছোট্ট মাছি উড়ে এসে বাজলো এবং হাতির কানে নেমে গেল। হাতি শান্ত থাকল এবং খাওয়া চালিয়ে গেল, মাছি থেকে গাফেল।

মাছিটি উড়ে এলো হাতির কানের চারপাশে, হু হু করে শব্দ করে, কিন্তু হাতি এটিকে অগ্রাহ্য করতে থাকে।

মাছিটি উপেক্ষা করা পছন্দ করে না, তাই মাছিটি ডানাগুলিকে শক্তভাবে উল্টানো দিয়ে হাতির মুখের সুড়সুড়ি দেওয়া শুরু করে। তবুও, হাতিটি খাওয়া চালিয়ে গেল, মাছিটির ক্রিয়া দ্বারা বিরক্ত না ।

হাতির আচরণে মাছিটি বিস্মিত।

“তুমি কি কানে কম শুনো?” মাছিটি হাতির কানে চিৎকার করে উঠল।

“না!” উত্তর দিল হাতি।

“আপনি আমার গুঞ্জনে এবং আমার মুখের সামনে আমার ডানা ফাটিয়ে দেওয়ার কারণে কেন বিরক্ত হচ্ছেন না?” মাছি জিজ্ঞাসা করলেন।

“কেন আপনি এত অস্থির এবং কোলাহল করছেন? কেন আপনি কেবল কয়েক মুহূর্তের জন্য স্থির থাকতে পারেন না?” হাতিটিকে জিজ্ঞাসা করলেন, এবং শান্তভাবে পাতা খাওয়া চালিয়ে গেলেন।

মাছি উত্তর দিয়েছিল, “আমি যা দেখি, শুনি এবং অনুভব করি সেগুলিই আমার মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং আমার চারপাশের সমস্ত শব্দ এবং গতিবিধি আমার আচরণকে প্রভাবিত করে । এমনকি আপনার খাবার চিবানো শুনে আমার মনোযোগ আকর্ষণ করে” ”

“আপনার গোপন রহস্যটি কী? আমার কোলাহলমূলক কর্ম সত্ত্বেও আপনি কীভাবে এত শান্ত এবং স্থির থাকতে পারেন?” মাছি জিজ্ঞাসা করলেন।

হাতি খাওয়া বন্ধ করে বলল:

“আমার পাঁচটি ইন্দ্রিয়গুলি আমার শান্তিকে বিঘ্নিত করে না, কারণ তারা আমার মনোযোগকে শাসন করে না। আমি চিন্তাভাবনা, কর্ম এবং প্রতিক্রিয়াগুলির নিয়ন্ত্রণে আছি এবং তাই আমি যেখানেই চাই আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি your আপনার গুঞ্জন সহ আমি কোনও ঝামেলা উপেক্ষা করতে পারি I এবং আপনার ডানা ঝাপটানো। ”

“এখন আমি খাচ্ছি,” হাতিটি আরও বলেছিল, “আমি খাওয়ার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিমগ্ন হয়েছি। এইভাবে, আমি আমার খাবার উপভোগ করতে এবং এটি আরও ভালভাবে চিবিয়ে নিতে পারি । আমি যা কিছু করছি তার নিয়ন্ত্রণে আছি এবং তাই , আমি শান্তিতে থাকতে পারি এবং আমার খাবার উপভোগ করতে পারি। ”

হাতির উত্তরটি মাছিটি বিস্মিত হয়েছিল, কারণ এর কোলাহলপূর্ণ আচরণ সর্বদা মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং অন্যান্য সমস্ত প্রাণীকে বিরক্ত করে। হাতিটি মাছিকে যে পাঠদান শিখিয়েছিল তার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিল এবং দ্রুতগতিতে দিগন্তের দিকে উড়ে গেল।

এই গল্পটি দেখায় যে মনের দিকে মনোনিবেশ করতে সক্ষম হওয়া এটি কতটা দরকারী।

আপনি শব্দ, দর্শনীয় স্থান, বিভিন্ন গন্ধ এবং পরিবেশ আপনার মনকে প্রভাবিত করতে, আপনার মনোযোগ সরিয়ে দিতে, আপনার শান্তিকে ব্যাহত করতে এবং আপনার দক্ষতা হ্রাস করতে পারে বা আপনি আপনার চিন্তাভাবনা এবং ক্রিয়াকলাপের দিকে মনোনিবেশ করতে এবং আরও ভাল কোনও কার্য সম্পাদন করতে পারেন।

মন মাছিটি মতো অস্থির, তবে আপনি এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে, এটিকে শান্ত করতে এবং তার আশ্চর্যজনক ক্ষমতা থেকে উপকার পেতে শিখতে পারেন।

 

লেখকঃ

মোঃ আল-মামুন রশিদ

ইন্সট্রাকটর, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

BSDI

জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার নাম বর্তমান

বিভিন্ন মোটিভেশন চ্যানেলে কিংবা Self Help বইগুলিতে আমরা সবসময় পড়ি, শুনি বা দেখি যে সর্বদা ইতিবাচক ভাবনা পোষন করুন

“মনে কোন নেতিবাচক চিন্তার জন্ম দিবেন না। কারন আপনি যা ভাববেন তাই হয়ে উঠবেন।” 

কিন্তু আমার কথা হল, এই সুন্দর কথাগুলির কার্যকারিতা আমাদের ওপর বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারে না। আমরা যখন পড়ি , শুনি বা দেখি তখন আমাদের মধ্যে কিছু করার জোশ আসে তারপর আবার আমরা একইভাবে জীবনযাপন করতে থাকি যদিও কথাগুলি সত্য। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের জীবনের গল্প আলাদা একই কথা যে সবার কাছে সত্য হবে তেমনটা নয়। সবাই কথাগুলোকে কেমনভাবে তার জীবনে প্রয়োগ করছে সেটাই তার কাছে সত্য। এই যে আমি আর্টিকেলটা লিখছি , আমি তোমাকে সরাসরি বলতে পারি না এটা করো , ওটা করো কারন তুমি বুঝবে তোমার জন্য কোনটা করা উচিত কোনটা নয়? মোটিভেটররা আমাদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার মতো একটা পরিবেশ তৈরি করতে পারে , আমাদের অনুপ্রাণিত হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারে কিন্তু তারপরের কাজগুলো তো আমাদের নিজেকেই করতে হবে তাই না ? আমি জানি না তোমরা এখন কে কেমন পরিস্থিতির মধ্যে আছো , হয়তো কেউ চাকুরির পরীক্ষায় বার বার ব্যর্থ হয়ে জীবনে আর কিছু হবে না বলে ক্ষান্ত হয়ে আছো।কিংবা কেউ প্রিয়জনেদের হারিয়ে আজ যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছো কেউবা প্রেমে ব্যর্থ হয়ে নিজেকে শেষ করে দেবার কথা ভাবছো কেউবা টাকা রোজগারের চেষ্টায় রোজ দৌড়াচ্ছ , কিন্তু দিন শেষে ক্লান্তির বলিরেখা তোমার অন্তর আত্মাকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। কেউবা অহেতুক দুঃশ্চিন্তা করে রাতের পর রাত জেগে কাটাচ্ছো। আমি শুধুমাত্র কয়েকটি উদাহরণের কথা বললাম ,এর বাইরেও আরো অনেক সমস্যা , আরও জটিল পরিস্থিতি অনেকের জীবনে থাকতে পারে বা রয়েছে কারন জীবন মানেই সংগ্রাম সংগ্রাম আছে বলেই তো জীবনে বাঁচার আনন্দ আছে সংগ্রাম থেকেই তো শক্তির উদয় হয়। এমনকি কখনও কখনও যন্ত্রণাও এক দারুণ শিক্ষক হয়ে উঠতে পারে প্রত্যেকের কাছে আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলিকে আমরা বদলাতে পারি না , এমনকী কখন কী ঘটবে সেটাও কেউ বলতে পারবো না, কিন্তু ঘটনা গুলির ওপর আমাদের প্রতিক্রিয়া কী হবে সেটা সম্পূর্ণ আমাদের ওপর নির্ভর করে জীবন কখনো নিখুঁত হয় না , আনন্দবিষাদ,ভালোমন্দ সবটুকু নিয়েই তো জীবন ,আর সেটা আমাদের উপলব্ধি করা উচিত। প্রত্যেকটা ঘটনার একটা সময়সূচি থাকে ঘটে আবার সেই ঘটনা চলেও যায় আমাদের জীবন থেকে কিন্তু আমারা মাসের পর মাস , বছরের পর বছর অনেক দুঃখ জনক ঘটনা কে আঁকড়ে ধরে থাকি সেটা থেকে বেরোতে পারি না , যত ভোলার চেষ্টা করি ততবার ফিরে আসে সেই মুহুর্তগুলি।কিন্তু জীবন মানে তো এগিয়ে চলা পিছনে ফিরে দেখা নয়

একটা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে গড়ে প্রতিদিন প্রতিটি মানুষের মনে সত্তর হাজার চিন্তার সমাবেশ ঘটে এর মধ্যে মজার কথা হলো তার মধ্যে সত্তর শতাংশই হলো নেতিবাচক চিন্তা চিন্তাগুলির ওপর যদি একটু সজাগ হওয়া যায় এবং কোন চিন্তাটা কার্যকারী কোনটা নয় সেটা বিচার করা যায় তাহলে হয়তো জীবনের মান একটু উন্নত হবে জানি তোমাদের অনেক সংগ্রাম করতে হচ্ছে , অনেক জটিল সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে , তাই সর্বদা নিজেকে পজিটিভ রাখা দায় কিন্তু আমি দেখেছি প্রতিদিন যদি কিছু ছোটো ছোটো সু অভ্যাস আমরা গড়ে তুলি তাহলে হয়তো আমরা কিছুটা পজিটিভ থাকব, খুশি থাকব , নিজেকে ভালোবাসতে ভালো রাখতে শিখব কারন নিজেকে ভালোবাসতে শিখলে তবেই মানুষ অপরকে ভালোবাসতে শেখে

() দিনটা শুরু হোক ইতিবাচক ভাবনা দিয়ে :- 

আমরা যদি সকালটা শুরু করি কিছু ইতিবাচক ভাবনা নিয়ে , তাহলে সারাটাদিন আমরা ইতিবাচক ভাবনা নিয়েই কাটাতে পারব। সকালে ঘুম থেকে ওঠে যদি আমরা আমাদের প্রিয়জনদের মুখগুলো দেখতে পারি তারা সুখে আছে, ভালো আছে, এটা কী একটা সুন্দর পুরষ্কার নয়আমাদের জীবনে বলো ? সকালে যদি একটা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ফর্দি বানাই যে , পাঁচটি কারনে আজ আমি কৃতজ্ঞতা অনুভব করছি তাহলে দেখবে ভালো লাগবে, দিনটা ভালো কাটবে। কী নেই তা না ভেবে কী আছে তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি তাহলেই আমরা পজিটিভ থাকবো

 

() নতুন কিছু শেখার ইচ্ছা :-

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যদি আমরা নতুন কিছু শিখি বা পড়ি সেটার রেশ সারাদিন আমাদের বাকি কাজ গুলোতে পড়বে হতে পারে নতুন কোনো Self Help Book যেটা আমাদের কাজে উদ্যম প্রেরণা জাগাতে, নতুন করে ভাবতে সাহায্য করবে। হতে পারে কারো Biography যারা জীবন যুদ্ধে হার মানে নি , অথবা কোনো Podcast শুনতে পারো কিংবা প্রেরণা মূলক নিবন্ধ গুলি পড়তে পারো। আরেকটি বিখ্যাত প্লাটফর্ম রয়েছে যার নাম Ted Talks যেখানে বিশ্বজুড়ে খ্যাতনামা মানুষজন তাদের আইডিয়া গুলি শেয়ার করে থাকেন সেটা দেখতে পারো যেখানে অনেক নতুন জিনিস শিখতে পারবে তুমি ।ফলে আমাদের ভাবনাতেও ইতিবাচক চিন্তার বীজ জন্মাবে

() নিয়মিত এক্সারসাইজ অনুশীলন:-

বলা হয়ে থাকেসুস্থ শরীরে সুস্থ মন বাস করে।রোজ অন্ততপক্ষে ২০ মিনিট যদি আমরা এক্সারসাইজ করি তাহলে শরীরে একধরনের এনার্জি কাজ করবে , যা আমাদের কার্যক্ষমতাকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে তুলবে বসে থাকা শরীরে রোগ নেতিবাচক চিন্তা বেশি করে বাসা বাঁধে। তাই শরীর মনকে সুস্থ রাখতে হালকা এক্সারসাইজ কর। এতে মনের শক্তি পজিটিভিটি বাড়বে

( ) প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা কর, কথা বল :-

প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে কথা বল, তাদের আইডিয়াগুলি গ্রহণ কর তাঁরা কিভাবে দুঃখের দিন গুলিকে জয় করেছে , কিভাবে নতুনকরে বাঁচার প্রেরণা পেয়েছে তাদের বক্তৃতাগুলি শোনো হতে পারে কোনো ফেসবুক কমিউনিটি যাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পার, তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারো কিংবা কোনো সেমিনারে যেতে পারো প্রেরণা মূলক ভিডিও গুলি দেখো এখন যুগ ডিজিটাল হয়েছে Online আমরা গোটা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারি এবং নিজেকে পজিটিভ রাখতে পারি যাঁরা তোমার ইচ্ছা শক্তিকে Boost করবে তাদের সঙ্গে বেশি সময় কাটাও 

() কিছুটা সময় নির্জনে কাটাও :-

১০ মিঃ হলেও কিছুটা সময় নিজের সঙ্গে কাটাও সারাদিনের ব্যস্ত জীবনে আমরা নিজেদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাই না বন্ধুবান্ধব ,পরিবার , কর্মজগত , সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকি যে তাদের প্রভাব আমাদের ওপর সর্বদা পড়তেই থাকে আমরা কি করছি ? কেন করছি ? কেন দুঃখ পাচ্ছি ? আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী? এই প্রশ্নগুলি নিজেকে করলে আমরা উত্তর পেয়ে যাব নিজেদের ভাবনায় একটু বদল আনলে জীবনের রং বদলাবে কারন তোমার জীবনের প্রশ্নের উত্তরগুলো তোমার ভেতরেই লুকিয়ে আছে

( ) বর্তমানে বাঁচো :-

আমাদের জীবনের দুঃখের অন্যতম কারণ আমরা মুহূর্তের জীবনযাপন করি না হয় আমরা অতীতের কোনো ঘটনা নিয়ে সর্বদা দুঃখী থাকি নয়তো ভবিষ্যতের কোনো স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার ভয়ে দুঃশ্চিন্তা করি আমরা ভাবি ইশ্ কাল যদি আমার সাথে এটা ঘটে , আমার প্রিয়জন যদি আমাকে ছেড়ে চলে যায় , আমার চাকরিটা যদি হাত থেকে চলে যায় তো আমার কী হবে ? আমরা ভাবি আমরা বুঝি এই পৃথিবীতে চিরকাল থাকব। তাই আমাদের ভালোলাগা খুশি থাকা আমরা Postponed করতে থাকি কালকের ওপর আর কাল যদি আমাদের জীবনে আর না আসে ? আমরা কখনও এটা ভাবি না ; ভাবতেও ভয় লাগে। তাই জীবনের মুহূর্তগুলোকে আমরা নষ্ট করতে থাকি। আজকের দিনটাকে যদি আমরা শেষ দিন ভাবি বা এই মুহূর্তটাকেই যদি শেষ মুহূর্ত ভাবি তাহলে জীবনের গল্পটাই পাল্টে যাবে বাইরের কোনো শক্তির প্রয়োজন হবে না তোমাকে পজিটিভ রাখার , তোমার ভিতরের শক্তিই তোমাকে Positive রাখবে তুমি দেখতে পারবে জীবনে কত যাদু আছে , কত আনন্দ রয়েছে প্রতিটি পরতে পরতে।

 

লেখকঃ

মোঃ আব্দুল্লা-আল-মামুন রুপম

ইন্সট্রাকটর, ইলেকট্রিক্যাল

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

BSDI | Bangladesh Skill Development Institute

BSDI | Bangladesh Skill Development Institute

Bangladesh Skill Development Institute (BSDI) ড্যাফোডিল পরিবারের  একটি প্রতিষ্ঠান  যা ২০০২ সাল থেকে শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পেশাদার মানবসম্পদ বিকাশের জন্য কাজ করছে। BSDI বাংলাদেশের পেশাদার দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলির ঐতিহ্যগত  ধারণাটিকে পুরোপুরি পরিবর্তন করেছে। আজ বিএসডিআই বিজ্ঞান, প্রকৌশল, আর্টস স্টাডি এবং পেশাদার এবং নেতৃত্বের বিকাশের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির জন্য অত্যন্ত সুপরিচিত একটি প্রতিষ্ঠান।

কর্পোরেট প্রশিক্ষণ শিল্পে বিএসডিআই খুব জনপ্রিয় নাম যা খুব অল্প সময়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। BSDI  বহু জাতীয় ও ট্রান্সন্যাশনাল সংস্থার মানুষকে কর্পোরেট প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে BSDI প্রশিক্ষিত ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোম , কর্পোরেট পেশাদার এবং দক্ষ মানবসম্পদ বিকাশের মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখছে। সম্প্রতি বিএসডিআই উদ্যোক্তা  তৈরির কাজ শুরু করেছে।

আজ BSDI তার প্রচেষ্টার জন্য বাংলাদেশের প্রথম সর্বোচ্চ নির্বাচিত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে পরিণত হয়েছে। BSDI তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে শেখার একটি অভিপ্রায় জাগায় এবং তাদের আজীবন নেতৃত্বের ক্ষমতা দেয়।

 

লক্ষ শুধু জ্ঞান অর্জন নয়

লক্ষ শুধু জ্ঞান অর্জন নয়

এই পৃথিবীতে তথা গোটা বিশ্বজগতে জানার মত কত কি না আছে। আমরা প্রতিনিয়ত সে-সব জ্ঞান, অর্জন করে চলেছি। প্রকৃতি,প্রযুক্তি,প্রাণীবিজ্ঞান, মহাকাশ, ইত্যাদি, ইত্যাদি। মানুষ অনেক আগেই চাঁদে পর্যন্ত পৌছে গেছে।

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়োয়া আমার প্রিয় শিক্ষার্থীরা

তোমাকে অবশ্যই জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন চূড়ায় পৌছানোর পাশাপাশি মানুষের হৃদয়ে পৌছাতে হবে এবং তোমার নিজের অন্তরকেও করতে হবে পবিত্র। শিক্ষার অন্যতম এবং বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে মনুষ্যত্ববোধ।

দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য

নিজের ব্যাক্তিত্বকে উন্নত করতে হবে। দৃষ্টিভঙ্গি হওয়া উচিৎ যথার্থ এবং তোমার শিক্ষার উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ সেবা। দেশ মানুষের সেবায় নিজেকে প্রস্তুত করতে পারাটাই প্রকৃত শিক্ষা। তুমি একজন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়োয়া শিক্ষার্থী। তোমার শিক্ষার পূর্ণতা পাবে তখনই, যখন তুমি তোমার অর্জিত জ্ঞানের মাধ্যমে সততার সাথে দেশের সেবায়, মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে পারবে।

সেবা করার জন্য তোমাকে যেমন জ্ঞানার্জন করতে হবে, পাশাপাশি তোমার অন্তরকে করতে হবে পবিত্র। মিথ্যা বলা, লোভ,প্রতারনা, এগুলো একেকটি হৃদরোগ। অন্তরের এই রোগগুলোকে দূরীভূত করতে না পারলে তোমার সকল শিক্ষা হবে অনর্থ।

উদ্দেশ্য যদি হয় সেবা, তোমার ক্যারিয়ার এমনিতেই হবে সুউচ্চ।

নিশ্চয়ই সকল কর্ম, মানুষের নিয়তের উপর নির্ভরশীল

অভিনন্দন হে! প্রিয় প্রকৌশল শিক্ষার্থী, তুমি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছ। তুমি হতে যাচ্ছ একজন প্রকৌশলী। তোমার চিন্তা নিশ্চয়ই সৃজনশীল। তোমার এই সৃজনশীল হ্রদয়কে আমরা (শিক্ষকগণ ) সন্মান জানাই। তোমার এই সৃজনশীল মনোভাব এবং অর্জিত জ্ঞানের সমন্বয়ে উদ্ভাবিত নতুন কিছু দ্বারা আমরা হতে চাই পুলকিত। তোমার মত শিক্ষার্থীদের সৎ কর্ম দ্বারা হতে চাই গর্বিত শিক্ষক। প্রযুক্তির পিঠে চড়ে চষে বেড়াবে তুমি সমগ্র বিশ্ব।

 

বিশ্বজগত দেখবে তুমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে

তোমার দৃষ্টিকে শুধু বইয়ের পৃষ্ঠার মাঝেই সংকীর্ণ করোনা, দৃষ্টিকে বিস্তৃত করো তাত্ত্বিক, ব্যাবহারিক এবং মনুষ্যত্বের দিকে। তোমার দ্বারা যা উদ্ভাবন হবে তা যেন হয় মানুষের কল্যাণে। তোমার পরবর্তী প্রজন্ম যেন তোমাকে শুধু বইয়ের পাতায় নয় বরং চারপাশের বিভিন্ন কল্যাণকর 

উদ্ভাবনের মাঝে তোমাকে খুজে পায়।

তোমরা ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিকে যথাযথ ব্যাবহার করছ। বিশেষত COVID 19 এর প্রকোপে তোমরা তোমাদের জ্ঞানার্জন অব্যাহত রেখেছ অনলাইন শিক্ষা ব্যাবস্থার মাধ্যমে। অনেকেই এই প্রযুক্তি নিরর্থক করে রেখেছ। নিজের বিবেককে প্রশ্ন করো। তুমি কি জ্ঞানান্বেষী, নাকি জ্ঞানের আলো থেকে পলায়নকারী? প্রযুক্তির যথাযথ ব্যাবহারে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। আর তাছাড়া তোমরা কারিগরি শিক্ষার্থী,

আমাদের শিক্ষা যখন কারিগরি, আমরা দুনিয়টাকেই বদলে দিতে পারি

পৃথিবী প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হবে এটা খুবই স্বাভাবিক, এই পরিবর্তনে তোমার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, পরিবর্তনের এই গতিকে বহুগুণ ত্বরান্বিত করবে। তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে তোমার এই অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য যেন মহৎ হয়। নতুন প্রজন্ম যেন তোমার প্রচেষ্টায় এক উন্নত, আধুনিক এবং সুন্দর পৃথিবী উপহার পায়। 

পৃথিবীর ইতিহাস যেন তোমাকে কল্যাণকামী হিসেবেই সনাক্ত করে। তুমি হয়ত কোন একসময় চলে যাবে, তোমার কর্ম তোমাকে চিরজীবী করবে। সবার শিক্ষার উদ্যেশ্য হোক উন্নত বিবেকবোধ , মনুষ্যত্ব, উদ্ভাবনী মনোভাব, সেবা করার প্রয়াস এবং কল্যাণকর চিন্তার মাধ্যমে এক নতুন পৃথিবী গড়ার

লেখকঃ 

নাহিদুল ইসলাম (নাহিদ)

ইন্সট্রাক্টর 

ইলেক্ট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

জেনে নিন বিভিন্ন বিষয়ের জনকের নাম

পৃথিবীতে অনেক মনীষী এসেছেন যারা নিজের জ্ঞান, দক্ষতা এবং সঠিক আচরনকে ব্যবহার করে আমাদের জীবনকে সহজ করবার জন্য বিভিন্ন তুলে ধরেছেন। যে বিষয়গুলো আমাদের জীবন পরিচালনায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিলো। আমি গুগলকে ব্যবহার করে জানবার চেষ্টা করছিলাম যে বিষয়গুলো আমাদের জীবনকে সহজ করতে সাহায্য করেছে সে বিষয়গুলোর জনকের নাম। আজকের এই ব্লগের মাধ্যমে আমি সেই জনকের নাম তুলে ধরলাম যারা বিভিন্ন বিষয়ের জনক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নিজেদের নাম লিখিয়েছেন। নিচে তাদের নাম এবং উইকিপিয়ার লিংক দেওয়া হলো যাতে আপনারা তাদের নিয়ে গবেষনা করতে পারেন।

বিভিন্ন বিষয়ের জনক জেনে নিন

✬ অংকের জনক — আর্কিমিডিস

✬ অপরাধ বিজ্ঞানের জনক — ল্যামব্রাসো।

✬ অর্থনীতির জনক — এডামস্মিথ।

✬ অলিম্পিকের জনক — ব্যারন পিয়েরে দ্য কুবার্তে।

✬ আধুনিক শিক্ষার জনক — জান আমোস কমেনস্কি।

✬ আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার জনক — ম্যাক্স ওয়েবার।

✬ দর্শনের জনক — সক্রেটিস।

✬ আধুনিক অর্থনীতির জনক — পল স্যামুয়েলসন

✬ আধুনিক গণতন্ত্রের জনক — জন লক।

✬ আধুনিক জোর্তি বিজ্ঞানের জনক — কোপার্নিকাস।

✬ আধুনিক মনোবিজ্ঞানের জনক — সিগমুন্ড ফ্রয়েড।

✬ আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক — নিকোলো মেকিয়াভেলী

✬ আধুনিক রসায়নের জনক — জন ডাল্টন

✬ আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানের জনক — আলবার্ট আইনস্টাইন

✬ আধুনিক বিজ্ঞানের জনক — রজার বেকন

✬ আধুনিক কম্পিউটারের জনক — চালর্স ব্যাবেজ

✬ আমেরিকার জনক — জর্জ ওয়াশিংটন

✬ ইংরেজি নাটকের জনক — শেক্সপিয়র

✬ ইংরেজী কবিতার জনক — জিওফ্রে চসার

✬ ইতিহাসের জনক — হেরোডোটাস

✬ ইন্টারনেটের জনক — ভিনটন জি কার্ফ

✬ WWW এর জনক — টিম বার্নাস লি ।

✬ ই-মেইল এর জনক — রে টমলি সন

✬ ইন্টারনেট সার্চইঞ্জিনের জনক — এলান এমটাজ ।

✬ উদ্ভিদ বিজ্ঞানের জনক — থিওফ্রাস্টাস

✬ এনাটমির জনক — আঁদ্রে ভেসালিয়াস

✬ ক্যালকুলাসের জনক — আইজ্যাক নিউটন

✬ গণিতশাস্ত্রের জনক — আর্কিমিডিস

✬ চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক — হিপোক্রেটিস

✬ জীবাণুবিদ্যার জনক — লুই পাস্তুর

✬ জীব বিজ্ঞানের জনক — এরিস্টটল

✬ জ্যামিতির জনক — ইউক্লিড

✬ দর্শনশাস্ত্রের জনক — সক্রেটিস

✬ প্রাণি বিজ্ঞানের জনক — এরিস্টটল

✬ বংশগতি বিদ্যার জনক — গ্রেগর জোহান মেন্ডেল

✬ বংশগতির জনক — গ্রেগর মেন্ডেল

✬ বাংলা গদ্য ছন্দের জনক — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

✬ বাংলা উপন্যাসের জনক — বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

✬ বাংলা কবিতার জনক — মাইকেল মধু সূদন দত্ত

✬ বাংলা গদ্যের জনক — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যা সাগর

✬ বাংলা নাটকের জনক — দীন বন্ধু মিত্র

✬ বাংলা গজলের জনক — কাজী নজরুল ইসলাম

✬ বাংলা সনেটের জনক — মাইকেল মধু সুদন দত্ত

✬ বাংলা মুক্তক ছন্দের জনক — কাজী নজরুল ইসলাম

✬ বাংলা চলচিত্রের জনক — হীরালাল সেন

✬ বিজ্ঞানের জনক — থেলিস

✬ বীজগণিতের জনক — আল-খাওয়ারিজমি

✬ ভূগোলের জনক — ইরাতেস্থিনিস

✬ পদার্থ বিজ্ঞানের জনক — আইজ্যাক নিউটন

✬ মনোবিজ্ঞানের জনক — উইলহেম উন্ড

✬ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক — এরিস্টটল

✬ রসায়নের জনক — জাবির ইবনে হাইয়ান

✬ শারীরবিদ্যার জনক — উইলিয়াম হার্ভে।

✬ হিসাব বিজ্ঞানের জনক — লুকাপ্যাসিওলি

✬ শ্রেণীকরণ বিদ্যার জনক — ক্যারোলাস লিনিয়াস

✬ সনেটের জনক — পের্ত্রাক।

✬ সামাজিক বিবর্তনবাদের জনক — হার্বাট স্পেন্সর

✬ সমাজবিজ্ঞানের জনক — অগাষ্ট কোঁৎ

✬ ফেসবুক এর জনক — মার্ক জুকারবার্গ

✬ চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক — ইবনে সিনা

✬ হোমিওপ্যাথির জনক — হ্যানিম্যান

✬ মেডিসিনের জনক — হিপোক্রটিস

✬ কম্পিউটার মাউসের জনক — ডগলাস এঙ্গেলবার্ট

✬ মোবাইল ফোনের জনক — মার্টিন কুপার

 

লেখকঃ জনাব কে এম হাসান রিপন,

নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট (বিএসডিআই)

অধ্যক্ষ, ড্যাফোডিল পলিটেকনিক