ই-লার্নিং এর আশীর্বাদ
Blessing of E-Learning
যেমনটি আমরা সবাই জানি, আমরা কোভিড -১৯ নামক এই মহামারী পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। যদিও কোভিড -19 আমাদের আরও কয়েক বছর এগিয়ে দিয়েছে। কয়েক বছর পরে আমাদের যে প্রযুক্তিটি ব্যবহার করার কথা ছিল, আমরা তা এখনই ব্যবহার করছি। বর্তমানে বেশিরভাগ কাজ অটোমেশনে পরিণত হয়েছে। শিক্ষাগত অনলাইন সিস্টেমগুলো এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি আমাদের দেশের শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে রয়েছে বর্তমানে ই-লার্নিং(E-Learning) সিস্টেম।
আর তাই আজ আমি আপনাদের সাথে ই-লার্নিং (E-Learning)নিয়ে কিছু মতবাদ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করছি,আমার সামান্য অভিজ্ঞতা আপনার দৃষ্টিভঙ্গি এবং চিন্তাভাবনায় অবদান রাখতে পারে।
ই-লার্নিং (E-Learning) বর্তমানে সবচেয়ে বহুল ব্যাবহৃত একটি অনলাইন সেবা প্ল্যাটফর্ম,যা এই আধুনিক যুগে আপনি ই-লার্নিং সেবা নিতে পারেন যে কোন সময়, যে কোন জায়গায়। শুধু মাএ শেখার জন্যে আপনার প্রয়োজন হবে- প্রযুক্তিগত ডিভাইস এবং ইন্টারনেট সংযোগ। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা জ্ঞান এবং দক্ষতা আপগ্রেড করার সাহায্য করে। ই-লার্নিং এমন একটি ডিজিটাল সিস্টেমের যার মাধ্যম আমরা প্রথাগত শ্রেণিকক্ষের বাইরে শিক্ষাগত পাঠ্যক্রমটি পরিচালনা করতে পারি। আউট অফ দা বক্স চিন্তার বিকাশ ঘটাতে পারি।
নিম্নোক্ত ক্ষেত্রগুলো থেকে আপনি এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে উপকার পেতে পারেন। যেমন–
০১.যে কোন সময়, যে কোন জায়গায় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা যায়।
০২. এই প্ল্যাটফর্মটি অর্থ, সময় এবং ব্যয় সাশ্রয় করে।
০৩. অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বের যে কোন বিষয় সম্পর্কে জানা যায়।
০ ৪. এতে শেখার সীমান্ত নেই ।
০৫. এটি পেশাগত এবং ব্যক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
০৬. উৎপাদনশীলতা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
০৭. শেখার অভিজ্ঞতাটি অন্যের সাথে শেয়ার করা যায়।
০৮. ভার্চুয়াল অধ্যয়ন সেশনে অংশ নিতে সহায়ক।
০৯. সহজ পর্যালোচনা করা, রিভিউ করা, কোর্সের উপকরণগুলিতে কমেন্ট করা যায়।
১০. নতুন যোগ্যতা, অধ্যয়ন এবং প্রশংসাপত্র অর্জন করা যায়।
ইনক্লুসিব ই-লার্নিং অনলাইন ক্লাস, শেখার ব্যাপারে এটি একটি সীমাহীন শিক্ষা ব্যবস্থা,যা বিভিন্ন সাইট বা মিডিয়া ব্যবহার করে প্রত্যেকের সাথে সংযুক্ত হওয়া যায়। ই-প্ল্যাটফর্মে, কোর্স উপকরণগুলো ২৪ ঘন্টা পাওয়া যায়। যে শিক্ষার্থীরা ক্লাস মিস করে বা যারা ক্লাস করেছে তারা উভয় পক্ষই পুনরায় ক্লাস পর্যালোচনা, পড়া, আলোচনা, গবেষণা, বিকাশ এবং মন্তব্য করার ক্ষমতা রাখে। গুগল ক্লাসরুম, গুগল সাইট, গুগল মিট, কাহুট, জুম, হ্যাঙ্গআউট, হোয়াট্স অ্যাপস, স্কিলশেয়ার, স্ট্রিম ইয়ার্ড, লিংকডইন, এডমোডো এবং আরও অনেক সহজ কিছু সাইট রয়েছে যা থেকে সহজেই শিখা যায়।
ইন্টারেক্টিভ ভাবে ই–লার্নিং অনলাইন সিস্টেম ব্যবহারের কারণে শিক্ষার্থীদের মনযোগ বাড়িয়ে তুলতে পারে। যেমন–
খেলার সাথে শেখা –
পড়াশোনা যদি হয় খেলার মতো, তবে কে ই বা না চাইবে পড়াশোনার সাথে যুক্ত থাকতে।
শেখার দক্ষতা বাড়াতে মজার সাথে শিখুনি ইনক্লুসিব ই-লার্নিং এর একটি বিশেষ অংশ। গেমস যখন শেখার জন্য ব্যবহৃত হয় তখন এটি শিক্ষার্থীদের আরও বেশি পড়তে উৎসাহ করতে পারে এবং এনগেইজ স্তরটি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে। যেমন- কাহুট গেমিং লার্নিং সিস্টেম।
অনলাইন রান্না ক্লাস
একটি দুর্দান্ত রেসিপির মতোই, একটি আকর্ষণীয় ই-লার্নিং কোর্স বেশিরভাগ লোকদের তাদের রান্নার অভিজ্ঞতা এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে একটি দুর্দান্ত উপায়। আজকাল রান্না করা কেবল গৃহকর্মের অংশ নয়, এটি এখন একটি শেখার ব্যবস্থাও।
যোগাযোগের উপায় শিক্ষা
ইনক্লুসিব ই-লর্নিং শিক্ষায় আলো প্রতিফলিত হয় সকলের ওপর। অনলাইন ক্লাস একে অপরের সাথে যোগাযোগ রক্ষায় একটি অন্যতম উপায়।
ই–লার্নিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার দক্ষতা, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা বাড়াতে পারেন এবং আপনার নিজের মতামত অন্যদের সাথে শেয়ার করে নিতে পারেন।
আর তাই প্রযুক্তি অবলম্বন করতে ভয় নয়, প্রযুক্তির আশীর্বাদ কে গ্রহণ করায় গ্রহণ করায় বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। জীবনে সফলতা নিয়ে আসতে এর কোন বিকল্প নেই।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
লেখক,
আফরোজা শারমিন সুভহা
ইনসট্রাক্টর (বিজনেস স্টাডিস)
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।