GEN Bangladesh Empowers Over 350 Startups Through Workshop with Smart Bangladesh Accelerator

Global Entrepreneurship Network Bangladesh (GEN Bangladesh) held a transformational workshop in partnership with Smart Bangladesh Accelerator (SBA), the biggest Accelerator Program launched by Bangladesh’s ICT Ministry. Over 350 startups enthusiastically participated in the event, ready to explore opportunities for development and innovation.

The workshop, conducted on February 17, 2024, provided an opportunity for entrepreneurs to discuss critical themes such as innovation, scalability, risk management, funding, growth strategies, and lean operations. Participants obtained vital knowledge and insights to help them further their businesses through hands-on classes and expert perspectives.

The prominent speakers were Dr. Rubina Hussain, President of SEED Bangladesh, Mr. Arifur Rahman, National Program Coordinator at Smart Bangladesh Accelerator, and Mr. Md. Mustafizur Rahman, CEO of Choukosh. Their presence and expertise enhanced the event, giving attendees concrete techniques and mentorship possibilities.

As part of the Smart Bangladesh Accelerator Program, selected workshop startups will have the chance to get professional coaching, personalized mentorship, key investor contacts, and intense boot camps. GEN Bangladesh and Smart Bangladesh Accelerator are devoted to fostering the growth and success of entrepreneurs in three categories: early-stage startups, women-led enterprises, and growth-stage firms.

GEN Bangladesh and the Smart Bangladesh Accelerator continue to pave the route for entrepreneurial success by offering complete assistance and resources to entrepreneurs, therefore encouraging innovation and economic progress in Bangladesh.

ফ্রেশারদের চাকুরীর প্রস্তুতিঃ [পর্ব ৪]

 

চাকুরীর ইন্টারভিউ এর কমন কিছু প্রশ্ন

চাকুরীর ইন্টারভিউতে নিয়োগদাতা সাধারনত প্রত্যেক চাকুরীপ্রার্থীকে সাধারন কিছু প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের ব্লগে আমরা তেমন কিছু প্রশ্ন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।

 

প্রশ্ন -১ আপনার নিজের সম্পর্কে বলুন

কথোপকথন শুরু করার জন্য নিয়োগদাতা এই প্রশ্নটি করে থাকেন। খুব অল্প কথায় নিজের নাম এবং আপনি কোন জেলা থেকে তা দিয়ে শুরু করুন। মনে রাখবেন নিয়োগদাতার হাতে থাকা সিভিতে যে সমস্ত তথ্য রয়েছে তা বারবার রিপিট করবেন না। সর্বোচ্চ স্তরের শিক্ষা, কাজের দক্ষতা এবং অন্যান্য আগ্রহ সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে উত্তর দিন।
যেমন,
I grew up in Dhaka and I studied Diploma in Textile Engineering/Computer technolgy/ Civil Technology. I also worked for an factory for 6 months. I really enjoy solving my subject related problem this is the reason why I like this job. In my free time I like to read.

প্রশ্ন -২ আপনার দক্ষতা সম্পর্কে বলুন

নিজের সম্পর্কে আপনি কতটুকু পজেটিভ তা দেখার জন্য সাধারনত নিয়োগদাতা এই প্রশ্নটি করে থাকে। নিজের দক্ষতা বা গুন সম্পর্কে যথাসম্ভব অল্পকথায় আলোচনা করার চেষ্টা করুন।
যেমন,

My strongest strength is attention to detail. I totally believe in planning and execution. In fact, when I was in my college I used to organize my week. Because of my very outgoing nature many people have said that I am quiet approachable so, I believe these are my strengths.

প্রশ্ন -৩ আপনার দুর্বলতা সম্পর্কে বলুন।

এই প্রশ্নের উত্তরে সরাসরি কোন দুর্বলতা উল্লেখ্য করবেন না। উত্তর দেয়ার ক্ষেত্রে একটু কৌশলী হোন যাতে করে নিয়োগদাতার আপনার দুর্বলতাকেও পজিটিভ ভাবে গ্রহন করার সুযোগ থাকে।

যেমন, ন
My weakness is I am too much detail oriented. I always try to accomplish everything and I just want everything to be perfect, but then I realise, I am taking extra time. And maybe that makes me submitting projects late. I think this is my weakness.

 

প্রশ্ন – ৪ আপনার জীবনের লক্ষ্য কি?
এই প্রশ্নের মাধ্যমে নিয়োগদাতা আপনি ভবিষ্যত নিয়ে কিভাবে ভাবেন, আপনার দূরদর্শিতা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন। এমন কোন উত্তরন উত্তর দিবেন না যেটা একেবারেই অসম্ভব।

বাস্তবতার সাথে মিল রেখে উত্তর দিন।

যেমন,

Well five years from now, I would like be in the management position. Till then, I would like to gain practical experience and then eventually become a Manager. Of course, I would like to share and learn new things from my team members.

 

 

প্রশ্ন – ৪ আপনি আনি আমাদের কোম্পানি সম্পর্কে কি জানেন?

উক্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে কোম্পানি সম্পর্কে জানার করুন। যে কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিবেন তার ওয়েবসাইট রিসার্চ করুন। উক্ত কোম্পানীতে পরিচিত কেউ থাকলে তার সাথে আলোচনা করুন। উত্তর দেয়ার চেষ্টা করুন এভাবে,
Your company is very well known for the customer service and you also won an award for the best service provider in the country.

 

আজ এই পর্যন্তই।
আমন্ত্রন থাকল পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য।

 

 লেখক,

মোঃ জায়েদুল হক, ইন্সট্রাকটর

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

ফ্রেশারদের চাকুরীর প্রস্তুতি

ফ্রেশারদের চাকুরীর প্রস্তুতিঃ [পর্ব ২]

চাকুরীর জন্য সিভি মেইল করার খুটিনাটি

 

চাকুরীদাতা তার চাকুরীর বিজ্ঞাপনে প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ্য করার পর সাধারনত একটি ইমেইল এড্রেস দিয়ে থাকেন যাতে আগ্রহী প্রাথীগন উক্ত ইমেইল এড্রেস এর মাধ্যমে চাকুরীর জন্য আবেদন করতে পারেন। ইমেইলে চাকুরীর জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে কিছু মৌলিক বিষয়ে আপনার জ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরী। চলুন এই পর্বে জেনে আসি সেইসব মৌলিক বিষয়গুলো ফ্রেশারদের চাকুরীর প্রস্তুতি।

১) “To” তে চাকুরীদাতার ইমেইলঃ
ইমেইলের “To” এর ঘরে চাকুরীর বিজ্ঞাপনে দেয়া ইমেইল এড্রেসটি লিখতে হবে। “To” তে যার মেইল এড্রেসটি দেয়া হয় তিনি হচ্ছেন প্রকৃত প্রাপক বা যাকে মেইলটা লেখা হয়েছে।

এছাড়া আরো দুটি অপশন রয়েছে, “Cc” এবং “Bcc”।
Cc এর পূর্ণরূপ Carbon Copy। প্রকৃত প্রাপক ছাড়া যাদের জানা দরকার যে মেইলটি পাঠানো হয়েছে অথবা মেইলের বিষয়বস্তুর সাথে যারা সম্পর্কিত এমন ব্যাক্তিদের ইমেইল এড্রেসগুলো থাকবে “Cc” তে। উল্লেখ্য যে “To” এবং “Cc” তে যাদের ইমেইল এড্রেস থাকবে মেইলটি পাওয়ার পর তারা প্রত্যেকে “To” তে থাকা ইমেইল এড্রেসগুলো দেখতে পাবে পাশাপাশি “Cc” তে থাকা ইমেইল এড্রেসগুলোও দেখতে পাবে।

এবার আসি “Bcc” তে। Bcc এর পূর্ণরূপ Blind Carbon Copy। “Bcc” তে যাদের ইমেইল এড্রেস রাখা হয় তারা প্রত্যেকেই মেইলটি পান তবে “Bcc” তে তার পাশাপাশি অন্য যাদের ইমেল এড্রেস রাখা হয়েছে সেটা তাদের কাছে গোপন থাকে।

“Cc” এবং “Bcc” সাধারনত কর্পোরেট কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সিভি মেইল করার জন্য সাধারনত আমরা শুধুমাত্র “To” অপশনই ব্যবহার করি। 

২) সাবজেক্টঃ
অনেকে ইমেইলের সাবজেক্ট না লিখেই ইমেইলটি পাঠিয়ে দেন। এটি অত্যন্ত বড় একটি ভুল। ইমেইলের বিষয়বস্তু অল্প কথায় ইমেইল সাবজেক্ট এ লিখতে হবে যাতে করে প্রাপক খুব সহজেই পুরো মেইলটি পড়ার আগেই মেইল এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারনা পান।

উদাহরনঃ
ধরুন আপনি কোন চাকুরীর বিজ্ঞাপনে দেখলেন যে কোন কোম্পানি প্রোডাকশন অফিসার পদে কিছু সংখ্যক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দিবে। সেক্ষেত্রে উক্ত চাকুরীর আবেদন করতে ইমেইলের সাবজেক্ট এ লিখতে হবে “Applying for the post of “Production Officer”.

৩) ইমেইল বডিঃ
চাকুরীর আবেদনের ক্ষেত্রে ইমেইলের বডিতে কভার লেটার লিখতে হয়। চাকুরীর বিজ্ঞাপনে উল্লেখ্যিত পদে নিয়োগের জন্য আবেদনপত্রকেই কভার লেটার বলা হয়। একটি কভার লেটারে মূলত তিনটি অংশ থাকে:ক) Introduction (প্রথম অংশ)
‘Dear Sir/Mam’ সম্বোধন ব্যবহার না করে ‘Dear Concern/Hiring Official’ দিয়ে কভার লেটার শুরু করুন। এই অংশে অল্প কথায় কোন পদের জন্য আবেদন করছেন? নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে কীভাবে জানলেন? উল্লেখ্যিত পদে কাজ করার জন্য আপনি কেন আগ্রহী? এই তিনটি বিষয় লিখুন।

খ) Body (মূল অংশ)
চাকুরীর বিজ্ঞাপনে উল্লেখ্যিত পদের জন্য আপনি কী কারণে যোগ্য, যে পদের জন্য আপনি আবেদন করছেন, তার সাথে আপনার যোগ্যতা কীভাবে সম্পর্কিত এই অংশে তা অল্প ও স্পষ্ট ভাষায় ব্যাখ্যা করুন।

গ) Closing (শেষ অংশ)
সিভির সাথে সংযুক্ত আপনার সিভিটি দেখার অনুরোধ করে ইন্টারভিউর জন্য আপনার আগ্রহ এবং নিয়োগকারী কীভাবে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন, তা উল্লেখ করুন শেষ অংশে।

ইন্টারনেটে প্রচুর কভার লেটার স্যাম্পল পাওয়া যায়। এমন কিছু ওয়েবসাইট হলো রেজ্যুমে জিনিয়াস (resumegenius.com), হাডসন (hudson.com), জবস্ক্যান (jobscan.com) ইত্যাদি।

৪) সিগনেচারঃ
ফ্রেশাররা ইমেইলের শেষে নিজের নাম, সর্বশেষ ডিগ্রি, ইউনিভার্সিটি/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ইমেল ইত্যাদি উল্লেখ্য করুন এই অংশে। যারা চাকুরীজীবি তারা নিজের নাম, বর্তমান পদের নাম, বর্তমান কোম্পানির নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ইমেল ইত্যাদি উল্লেখ্য করুন

৫) এটাচমেন্টঃ
সর্বশেষে এটাচমেন্ট বাটনে ক্লিক করে আপনার সিভির সফট কপি মেইলে সংযুক্ত করুন। সিভি অবশ্যই পিডিএফ ফর্মেটে সংযুক্ত করবেন। বর্তমানে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডেই পিডিএফ বানানো যায় তারপরেও যদি সম্ভব না হয় অনলাইনে ফাইল কনভার্ট করা সম্ভব। সিভির ফাইলের নাম যাতে নিজের পূর্ন নাম হয় সেটা লক্ষ্য রাখুন।
যেকোন চাকুরীর আবেদন নিজের মেইল থেকে করুন। যে মেইল থেকে আবেদন করবেন তার গুগুল একাউন্ট প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আপডেট করুন। গুগুল একাউন্টে আপনার পূর্ন নাম এবং একটি ফরমাল প্রোফাইল পিকচার সংযুক্ত করুন। সর্বশেষে যা বলতে হয় তা হল বানানের ক্ষেত্রে অবশ্যই মনোযোগী এবং সতর্ক থাকবেন।

আজ এই পর্যন্তই।
আমন্ত্রন থাকল পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য। আগামী পর্বে থাকছে চাকুরীর ইন্টারভিউতে কেমন হওয়া উচিত আপনার পোশাক

 লেখক: মোঃ জায়েদুল হক, ইন্সট্রাকটর,

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

ফ্রেশারদের চাকুরীর প্রস্তুতিঃ [পর্ব ১]

কেমন হওয়া উচিত ফ্রেশার চাকুরী প্রাথীর সিভি

ফ্রেশারদের চাকুরীর প্রস্তুতিঃ [পর্ব ১]

ফ্রেশারদের চাকুরীর প্রস্তুতিঃ

চাকরিদাতার কাছে সিভি হচ্ছে আপনার প্রথম উপস্থাপনা। সিভি বাছাই করার সময় চাকুরীদাতা দ্রুত সময়ে তার চাহিদা অনুযায়ী সিভি বাছাই করতে চায়। অতএব আপনার সিভি এমন হওয়া উচিত যাতে এক ঝলকেই একদম বেসিক যে তথ্যগুলো প্রাথমিক বাছাইয়ে জন্য জরুরী সেগুলো চাকরিদাতার কাছে উপস্থাপিত হয়।

চাকুরীদাতার কাছে নিজেকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে উপস্থাপনের জন্য আপনার সিভিটি হতে পারে মোক্ষম অস্ত্র। চলুন এই পর্বে জেনে আসি একজন ফ্রেসার হিসেবে কোন বিষয়গুলো আপনার সিভিতে থাকা জরুরী।

১) CONTACT INFOTMATION (যোগাযোগের তথ্য)

সিভির একদম উপরের অংশে প্রার্থীর সাথে যোগাযোগের তথ্য থাকবে। আপনার নাম, চিঠি পাঠানোর ঠিকানা, ফোন নম্বর বা মোবাইল নম্বর, ইমেইল এড্রেস ও পেশাজীবীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম Linkedin এর আপনার প্রোফাইল URL টি থাকবে। চাকুরীদাতার যদি আপনার সিভিটি উপযুক্ত মনে করেন তাহলে এই অংশের মোবাইল নাম্বার অথবা ইমেইল এড্রেসে পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য বিস্তারিত তথ্য সহ যোগাযোগ করবেন।

) FORMAL PHOTO (ফর্মাল ছবি)

সিভির একদম উপরের ডান দিকে আপনার ফর্মাল ছবি সংযুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে ছয় মাসের বেশি পুরোনো ছবি না দেওয়াই ভালো। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা বা হালকা নীল হলে ভালো হয়।

) CAREER OBJECTIVE (পেশাগত উদ্দেশ্য)

সিভিতে পেশাগত উদ্দেশ্য শিরোনামে অবশ্যই একটি অংশ রাখবেন। আপনি যে পদের জন্য আবেদন করতে যাচ্ছেন সেখান থেকে আপনি কী অর্জন করতে চান, আপনার উপর কতটুকু নির্ভর করা যায় প্রভৃতি বিষয় অল্প কথায় স্পষ্ট করে উল্লেখ্য করুন এই অংশে।

) SPECIAL QUALITIES (বিশেষ গুণাবলী)

এই অংশে অল্প কথায় আপনার ব্যাক্তিগত কিছু গুনাবলী উল্লেখ্য করুন যা চাকুরীদাতাকে আকৃষ্ট করতে পারে। সততা, কঠোর পরিশ্রমী, নেতৃত্বের গুণাবলি, কাজের প্রতি যত্নশীল, কঠিন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন এইগুলো উদাহরন হিসেবে নেয়া যেতে পারে।

) ACADEMIC QUALIFICATION (শিক্ষাগত যোগ্যতা)

আপনার শিক্ষা সম্পর্কীত তথ্য থাকবে এই অংশে। আপনার অর্জিত সর্বোচ্চ ডিগ্রিটিকে সবার উপরে এবং তারপর ধারাবাহিকভাবে অন্যগুলো ছক আকারে উল্লেখ্য করুন। প্রতিটি অর্জিত ডিগ্রির নাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, বোর্ড অথবা বিভাগের নাম, মেজর সাবজেক্ট, ফলাফল এবং ফলাফল প্রকাশের সাল অবশ্যই উল্লেখ্য করতে হবে।

) WORKING EXPERIENCE (কাজের অভিজ্ঞতা)


আপনি যে পদের জন্য আবেদন করছেন তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো কাজের অভিজ্ঞতা, শিক্ষা সফরের ইতিহাস, ইন্টার্নশিপের তথ্য থাকবে এই অংশে। যদি কোন সময় পদের সাথে সংশ্লিষ্ট এমন কোন অ্যাসাইনমেন্ট করে থাকেন, সেটা উল্লেখ করতে পারেন। আবেদনকৃত পদের সঙ্গে সম্পর্কৃত নয় এমন কোনো অভিজ্ঞতা উল্লেখ না করাই ভালো ।

৭) TRAINING & WORKSHOP (প্রশিক্ষন এবং কর্মশালা)


যে পদের জন্য আবেদন করছেন, তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো ট্রেইনিং, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ইত্যাদিতে অংশগ্রহনের তথ্য থাকবে এই অংশে। ট্রেইনিং, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ইত্যাদির নাম, পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, সময়সীমা ও সালের নাম অবশ্যই উল্লেখ্য করতে হবে।

) EXTRA-CURRICULAR ACTIVITIES (পাঠক্রম বহির্ভূত কার্যক্রম)


মানুষের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায় পাঠক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমের মাধ্যমে। পড়ালেখার পাশাপাশি বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, প্রজেক্ট তৈরী, লেখালেখি, বিভিন্ন ক্লাবে সাথে কাজ করার ইতিহাস অল্প কথায় স্পষ্ট করে উল্লেখ্য করুন এই অংশে।

) ACHIVEMENT (অর্জন)


বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পুরষ্কার প্রাপ্তি, বিভিন্ন ক্লাবে নেতৃত্ব প্রদানের সুযোগ ইত্যাদি অল্প কথায় স্পষ্ট করে উল্লেখ্য করুন এই অংশে।

১০) LANGUAGE PROFICIENCY (ভাষাগত দক্ষতা)


বাংলা ও ইংরেজি এই দুইটি ভাষা সিভিতে উল্লেখ্য করা অতি জরুরী। ইংরেজীতে যদি আপনি দুর্বল হয়ে থাকেন তাহলে এই মুহুর্তে দুর্বলতা দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করুন। পদক্ষেপ গুলো কি হতে পারে তা নিয়ে লিখব অন্য কোনদিন। বাংলা ও ইংরেজীর পাশাপাশি অন্য কোন ভাষা যদি আপনার জানা থাকে তা উল্লেখ্য করুন এই অংশে।

১১) COMPUTER PROFECIENCY (কম্পিউটারে দক্ষতা)

চাকুরীর ক্ষেত্রে কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা অতি জরুরী। বিশেষ করে মাক্রোসফট অফিস এর বিভিন্ন এপ্লিকেশন যেমন মাক্রোসফট ওয়ার্ড, মাক্রোসফট এক্সেল, মাক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট সফটওয়ার এবং ইমেল কমিউনিকেশন ইত্যাদি এই অংশে উল্লেখ্য করুন।

১২) INTERST (আগ্রহ বা শখ)

অল্প কথায় স্পষ্ট করে আপনার শখ বা অবসর সময়ে কী করেন তা উল্লেখ করুন এই অংশে। এই ক্ষেত্রে একটু কৌশলী হোন। চাকুরীর সাথে সম্পর্কৃত আগ্রহ বা শখ উল্লেখ্য করুন যেমন কোন ট্রাভেলিং এজেন্সিতে কোন পদের জন্য আবেদন করছেন সেখানে আপনি ভ্রমন করতে ভালোবাসেন তা প্রথমে  উল্লেখ্য করুন, আপনি যদি কোন কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের কোন পদের জন্য আবেদন করেন তাহলে সেখানেো আড্ডা দেয়া আপনার শখ তা প্রথমে উল্লেখ্য করুন। শেষে আপনার যদি কোন উল্লেখযোগ্য আগ্রহ বা শখ থাকে যুক্ত করুন।

১৩) PERSONAL INFORMATION (ব্যক্তিগত তথ্য)


আপনার পিতা ও মাতার নাম, আপনার জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা, জাতীয়তা, জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার, ধর্ম এবং স্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি এই অংশে উল্লেখ্য করুন।

১৪) REFFERENCE (রেফারেন্স)

প্রয়োজনে যাতে সিভিতে দেয়া আপনার তথ্যগুলোর সত্যতা দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, সে কারনেই এই রেফারেন্সের অংশ। আপনার পরিচিত পেশাজীবি কোন ব্যাক্তি যিনি আপনার সম্পর্কে জানেন তাদের নাম, পদ, অফিসের ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেইল এড্রেস ইত্যাদি সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে। যাদের রেফারেন্স দিচ্ছেন তাদের অনুমতি নিবেন এবং বিষয়টি তাদের জানিয়ে রাখবেন।

১৫) DECLARATION (ঘোষণা)

এই অংশে সর্ম্পূণ সিভির সকল তথ্যের সত্যতা প্রমানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন সার্টিফিকেট সমুহ, জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি প্রদর্শন এবং সিভিতে দেয়া প্রত্যেকটি তথ্যের সত্যতার নিশ্চয়তা নিজের নাম ও সিগনেচার সহ ঘোষনা করবেন।

ব্যাক্তিভেদে আরো কিছু বিষয় যুক্ত করা যেতে পারে তবে উপরোক্ত বিষয় গুলো প্রত্যেকটি ফ্রেশারের সিভিতে থাকা অত্যন্ত জরুরী।

আজ এই পর্যন্তই।
আমন্ত্রন থাকল পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য। আগামী পর্বে থাকছে চাকুরীর জন্য সিভি মেইল করার খুটিনাটি

লেখকঃ 

মোঃ জায়েদুল হক

ইন্সট্রাকটর, ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট