অলিদ হাসান আকাশের সফলতার গল্প

অলিদ হাসান আকাশের সফলতার গল্প

আমাদের শিক্ষার্থীদের সফলতার গল্প

আমাদের শিক্ষার্থীদের সফলতার গল্প যেখানে আমরা তুলে ধরতে চাই এ্যালামনাই এবং ডিপ্লোমারত শিক্ষার্থীদের সফলতার গল্প।

অলিদ হাসান আকাশ বলেন তিনি কিছু তে ভয় পান না । কারন তার এক পেছনে তার এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি এবং নলেজ বাড়ানোর জন্য সে অনেক সময় দিয়েছে তাছাড়া ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক বছর ধরে কানেকটেড আছেন এবং তার শিক্ষকরা ছাত্র জীবন থেকেই তাকে সার্পোট দিয়ে আসছে। এই কারণেই তার মূলত ভয় লাগে না ।

তাছাড়া তার বাবা মা কখোনো তাকে পড়ালেখার সিদ্ধান্ত নিতে বাধা দেয়নি বরং তাকে সব সময় সার্পোট করেছে। তার ডিপাটমের্ন্টের প্রতিটি শিক্ষক তাকে সার্পোট দিয়েছেন, গাইট করেছেন এবং মেনটারিং করে এসেছে।

 

তিনি বলেন, ঠিক এক বছর আগে হাকিম স্যার তাকে জিজ্ঞাসা করলেন  কি কি করে এবং তার এ মাসে কত টাকা ইনকাম করেছে। পরবর্তীতে হাকিম স্যার বললেন এখন চাকরি কর ঠিক আছে এটাই যেন সারা জীবন না করতে হয়, চাকরী যেন দিতে পারো ।

ইন্টনর্শীপেরি  অভিজ্ঞতা

ইন্টনর্শীপেরি  অভিজ্ঞতা  তার জন্য একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা । তিনি আরো বলেন, “দেখেন আমার হাতে এখানো সার্টিফিকেট আসে নাই, আমি আমার ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট এখোনো হাতে পাই নি, কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক বেশি নেটওয়ার্ক আছে এবং তার দুই বছরের অভিজ্ঞতা আছে।

তার ইন্টানর্শীপের গল্প টা এ একটু আলাদা ছিল কারন তিনি ৪র্থ সেমিষ্টার থেকেই বিভিন্ন ভলেনটিয়ার অরগানাইজেশন এবং ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতেন ।  এর মাধ্যমেই তার অনেক নেটওয়ার্ক তৈরি হয় এবং অনেক গুলো কোম্পানির সাথে কাজ করার সুযোগ হয়।

তিনি বার বার এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটির কথা বলেছেন কারণ এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি  তাদের এক্সপেরিয়েন্স নেটওয়ার্কিং সব কিছুতেই সহযোগীতা করেছে ইন্ডাস্ট্রিতে যে বিষয় নিতে কাজ করার ইচ্ছা সে রিলেটেড ইন্ডাস্ট্রিতে একজন মেনটর খুজে বের করা যারা আসলে সব কিছুতেই সব কাজেই সহযোগীতা করতে পারবে ।

তিনি আরো বলেন কারিকুলার এক্টিভিটির সাথে সাথে বইয়ের পড়াশুনার দরকার আছে । তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন রেজাল্ট হচ্ছে  কার্ড আর হচ্ছে আমাদের স্কিল তাই জীবনে সফল হতে গেলে দুইটির ই প্রয়োজন আছে ।

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক

তিনি মনে করেন ড্যাফোডিল পলিটেকনিক অন্য সব পলিটেকনিকের চেয়ে উন্নতমানের কারন যেহেতু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায় হাতে কলমে শেখানো হয় তাই শিক্ষকরা শুধুমাত্র বই না বরং তার বইরে গিয়ে বেশি বেশি প্রাকটিক্যাল করান। তাছাড়া ড্যাফোডিল পলিটেকনিকের এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটির জন্য বিভিন্ন ক্লাব আছে এবং শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন, কার্নিভেলে অংশ গ্রহন করার সুযোগ পায়।

অলিদ হাসান আকাশের

এ্যালামনাই,ড্যাফোডিল পলিটেকনিক 

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট

ইঞ্জিনিয়ারদের ক্যারিয়ার গঠনে বিশ্বের যেসব দেশ এগিয়ে

ইঞ্জিনিয়ারদের ক্যারিয়ার গঠনে বিশ্বের যেসব দেশ এগিয়ে

বর্তমান বিশ্ব সামনের দিকে এগিয়ে চলছে বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিনিয়ারদের হাত ধরে। সেটা হোক সিভিল, ক্যামিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল অথবা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফসল বর্তমানে আমাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তি। আর এখনো সেগুলোর উন্নতি ঘটছেও এই ইঞ্জিনিয়ারদের হাত ধরে। আন্তর্জাতিকভাবে ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকলেও সকল দেশে নিজের ক্যারিয়ার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে গড়ে তোলা সহজ বিষয় নয়। কারণ প্রায়শই দেখা যায়, অনেক দেশেই প্রয়োজনের তুলনায় ইঞ্জিনিয়ারদের সংখ্যা বেশি।

অন্যভাবে বললে, ইঞ্জিনিয়ারদের তুলনায় অনেক দেশেই চাকরির প্রয়োজনীয় পদ সংখ্যা কম। আমাদের দেশে প্রায় দেখা যায় বহু দক্ষ এবং ভালো রেজাল্ট করা ইঞ্জিনিয়াররা বেকার পরিস্থিতি কাটাচ্ছে। আর এই বেকারত্ব ঘুচাতে তারা বাহিরের বিভিন্ন দেশে চাকরির সন্ধান করছে। যারা বাহিরের দেশে ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। চলুন জেনে নেওয়া যাক যেসব দেশে ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা সবথেকে বেশি এবং দ্রুত একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নিজেকে গড়ে তোলা সম্ভব।

১. কানাডা

বিশ্বের সবথেকে অগ্রসর অর্থনীতি আর বৃহত পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য কানাডা বেশ শক্ত অবস্থানে নিজের জায়গা দখল করে নিয়েছে। যদিও এর মূল প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস এবং কাঠ তবে ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য এদেশে নেই কাজের অভাব। পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং আর কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কানাডায় প্রথম শ্রেণীর চাকরির মধ্যে ধরা হয়।

তবে এর জন্য আপনাকে কানাডিয়ান সরকারের প্রফেশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং এসোসিয়েশনের প্রদত্ত লাইসেন্স নিতে হবে। তবে আপনি যদি প্রফেশনাল লাইসেন্সটি অর্জন করতে পারেন তাহলে সেদেশে আপনি পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার অথবা ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে গড়ে তুলতে পারবেন অসাধারণ একটি ক্যারিয়ার।

 

২. নিউজিল্যান্ড

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ভালো চাকরি অথবা নিজস্ব কোম্পানি খোলার জন্য নিউজিল্যান্ডের মতো দেশ খুব কমই পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম স্থিতিশীল অর্থনীতির দেশে নিউজিল্যান্ড। তবে ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হওয়ায় এই দেশের বাড়িঘরের অবকাঠামোর উন্নয়ন কিছুদিন পরপরই প্রয়োজন হয়। ফলাফল এদেশে তৈরি হয়েছে প্রচুর পরিমাণে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য নিউজিল্যান্ড স্বর্গ বলা চলে। দেশে যদিও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ভালো চাহিদা এখনো রয়েছে, তবে আপনি চাইলে নিউজিল্যান্ডেও একটি চেষ্টা চালিয়ে দেখতে পারেন।

 

৩.  সুইজারল্যান্ড

 

আপনি যদি মেকানিক্যাল অথবা কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে কানাডার পাশাপাশি লিস্টে রাখতে পারেন সুইজারল্যান্ডের নাম। ইউরোপীয় দেশেগুলোর মধ্যে নাম কামাতে না পারলেও নিশ্চিত থাকুন বিশ্বের ধনী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হচ্ছে সুইজারল্যান্ড। ইউরোপীয় শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে উচ্চ পরিমাণ পারিশ্রমিকের পাশাপাশি সুইজারল্যান্ড রয়েছে ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের সবথেকে বেশি চাহিদা।

৪. জার্মানি

 

আটলান্টিকের নিকটে অবস্থিত জার্মানিতে প্রচুর পরিমাণে ফার্মাসিউটিক্যাল এবং অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা রয়েছে। পৃথিবীর আবিষ্কারের ইতিহাসে সমৃদ্ধ দেশ জার্মানি। তেমন প্রচুর ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মক্ষেত্র তৈরিতে রয়েছে এর অবদান। শুধুমাত্র ফার্মাসিউটিক্যাল আর অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ নয়, মেকানিক্যাল এবং বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও এইদেশে ক্যারিয়ার দ্রুত গড়ে নেওয়া সম্ভব।

 

৫. ইংল্যান্ড

 

বল চলে, প্রায় সকল ধরনের ইঞ্জিনিয়ারদের কমবেশি চাহিদা রয়েছে এই দেশে। মেকানিক্যাল থেকে শুরু করে কম্পিউটার, কেমিক্যাল অথবা এরোনট্যিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং যেকোনো কর্মক্ষেত্রে সহজে উচ্চ বেতনে আপনি চাকরি পাবেন এই দেশে। তবে সমস্যা হচ্ছে এর জন্য আপনাকে টায়ার ৫ কোম্পানির লাইসেন্স প্রয়োজন হবে। যেটা অর্জন করা কিছুটা মুশকিল বটে। তবে ভালো দিক হচ্ছে ভাষা নিয়ে আপনাকে দুশ্চিন্তা করতে হচ্ছে না। ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করার জন্য প্রথম কয়েকটি পছন্দের মধ্যে আপনি ইংল্যান্ডকে চাইলে রাখতে পারেন।

৬. ভারত

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের নাম শুনে অনেকেই অবাক হয়ে যেতে পারেন। যেখানে নিজেদের দেশে বহু ইঞ্জিনিয়ারিং বেকার বসে রয়েছে সেখানে ভারতে চাহিদা শুনলে যে কেউ অবাক হতেই পারেই। প্রায় ১.৩ বিলিয়ন জনসংখ্যা এই দেশে প্রচুর পরিমাণে ইঞ্জিনিয়ার রয়েছে।

যারা নিজেদের দেশের প্রায় সব সেক্টরে কম বেশি চাহিদা পূরন করছে। তবে ভারতে এরপরও বাহিরের বিভিন্ন দেশ হতে অনেক সেক্টরে ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দিচ্ছে। তবে নিত্যনতুন ওষুধ কোম্পানির সৃষ্টি হওয়াতে বর্তমানে ভারতে সবথেকে বেশি চাহিদা হচ্ছে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের।

 

৭. জাপান

সারাবিশ্বের প্রযুক্তিতে সবথেকে এগিয়ে থাকা তিনটি দেশের মধ্যে একটি হচ্ছে জাপান। বেশিরভাগ ইঞ্জিনিয়াররা ভালো করেই জানেন জাপানে ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে মতো ভালো সুযোগ খুব কম দেশেই পাওয়া যায়। ধনী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম দেশ জাপান। নিত্যদিনের ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তিগত পণ্য হতে এদের প্রতিটি ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে কর্মরত রয়েছে লাখ লাখ মানুষ। এরপরও এই দেশের ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা কমেনি। প্রতিনিয়ত দেওয়া হচ্ছে অসংখ্য চাকরির বিজ্ঞপ্তি। তবে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি মেকানিক্যাল, বায়োমেডিক্যাল, ক্যামিক্যাল এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে এই দেশটিতে।

 

৮. চীন

বিশ্বের বাণিজ্যে বর্তমানে সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলছে চীন। চলতি বছরের হিসাবে অনুযায়ী আমেরিকার থেকে খুব শীঘ্রই সমৃদ্ধ অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলছে চীন। এর মূল কারণ হচ্ছে এদেশে বৃহৎ পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ। এছাড়া সেদেশের ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্ভোধনী শক্তি আর সেগুলোর বাণিজ্যিক উৎপাদনও রেখেছে সম পরিমাণ প্রভাব। তবে অনেকে মনে করে থাকেন ইঞ্জিনিয়ারদের নতুন নতুন আবিষ্কার আর সরকারিভাবে সেগুলো প্রসারে সহায়তা করার কারনেই চীন বর্তমান সমৃদ্ধ অর্থনীতি গড়ে তুলতে পেরেছে।


প্রায় প্রতিটি ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরেই চীন দেশে নিযুক্ত রয়েছে লাখ লাখ মানুষ। সিভিল, ক্যামিক্যাল, বায়ো মেডিক্যাল, এরোনট্যিক্যাল অথবা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারই হোক! কোনো ক্ষেত্রেই এর কমতি নেই। তবুও প্রতি বছর লাখ লাখ ইঞ্জিনিয়ার বিভিন্ন সেক্টরে চীনের বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করছে। অথবা অনেক প্রবাসীরাও নিজেই নিজেদের কোম্পানি খুলে নিয়েছে। স্বনির্ভর হোক বা অন্য কোন কোম্পানির অধীনে হোক, চীনে ইঞ্জিনিয়ারদের ভাগ্য সবথেকে দ্রুত গড়ে তুলতে সহায়ক এই নিয়ে কারো মনে কোন সন্দেহ নেই।

 

লেখকঃ

মোঃ আব্দুল্লা-আল-মামুন রুপম

ইন্সট্রাকটর, ইলেকট্রিক্যাল

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

আমি একটি বৈদ্যুতিক হৃদপিন্ডের কথা বলছি- (ট্রান্সফরমার)

আমি একটি বৈদ্যুতিক হৃদপিন্ডের কথা বলছি- (ট্রান্সফরমার)

হৃদপিন্ডের কাজ হচ্ছে পরিশোধিত রক্ত দেহে সঞ্চালন করা। হৃদপিন্ডের স্পন্দন এর ফলে যেমন রক্ত সঞ্চালিত হয়ে মানব দেহ সচল থাকে তেমনি একটি ট্রান্সফরমারের ম্যাগনেটিক ফ্লাক্সের স্পন্দনে সেকেন্ডারি ওয়ান্ডিং বৈদ্যুতিকভাবে সচল হয়ে যথাযথ ভোল্টেজ এবং কারেন্ট সঞ্চালন করে থাকে।

আমি আজ কিছু কৌটা,  আর বড় বড় বক্সের কথা বলব, যা তোমরা সচারাচর রাস্তায় বিদ্যুৎ এর পোল এর উপরে ঝুলন্ত দেখো।

এই কৌটা বা বক্সগুলোই হল ট্রান্সফরমার.

এই ডিভাইসটির কাজ কি? তোমাদের অনেকের মনেই এই প্রশ্ন নিশ্চয়ই জাগে। এই ডিভাইস এর ভিতর এমন কি আছে?
এই সব কৌতুহল থেকেই অনেকেই হয়ত পড়তে এসেছ ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।  ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমন হাজার হাজার কৌতুহল আছে। আজ শুধু একটা কৌতুহলের সাধারন উত্তর দেব।

ব্লগটি ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে ইচ্ছুক বা ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একদম প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উদ্যেশ্যে লিখছি।

ট্রান্সফরমারে কোন ঘুরন্ত অংশ নাই। এটা ভোল্টেজ এবং কারেন্টকে কমাতে বা বাড়াতে পারে।
এই ডিভাইসটি ছাড়া একটি দেশের সমগ্র বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা কখনোই কল্পনা করা যায়না।

 

বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা মুলত ৩ টি ধাপে বিভক্ত।
১) উৎপাদন ব্যাবস্থা  ২)  পরিবহন ব্যাবস্থা  ৩) বিতরন ব্যাবস্থা।

বাংলাদেশের উৎপাদিত পাওয়ার এ ভোল্টেজ ১১০০০ ভোল্টে। প্রয়োজন এবং সুজুগ সুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা এই পাওয়ারকে অতি উচ্চমানের উদাহরণ (১৩২০০০ ভোল্ট) ভোল্টেজে পরিবহণ করি দূরদূরান্তে। আবার যখন এই এনার্জি কে গ্রাহক পর্যায়ে বিতরন করতে চাই তখন নিম্ন ভোল্টেজ (২৩০ ভোল্ট, আবাসিক) আবশ্যক।

তাহলে ভেবে দেখো ভোল্টেজকে প্রয়োজন মত বাড়ানো বা কমানোর জন্য একটা ডিভাইস দরকার।
এই কাজটি যে ডিভাইস করে থাকে তাকেই আমরা ট্রান্সফরমার বলি।

তোমার বাসার সামনে যে বিতরন লাইন দেখো তা ১১০০০ ভোল্টেজ বহন করে। এখান থেকে তুমি তোমার কাঙ্ক্ষিত ভোল্টেজে বিদ্যুৎ সরবারাহ পেতে হলে অবশ্যই একটি ট্রান্সফরমারের প্রয়োজন।
যা তোমাকে ২৩০ ভোল্ট এর সরবরাহ প্রদান করবে। তখন তুমি নিরাপদে ২৩০ ভোল্টেজ রেঞ্জের বিভিন্ন ডিভাইস, যন্ত্র ব্যাবহার করতে পারবে।

ট্রান্সফরমারের ভেতরে থাকে তারের কুণ্ডলী।
এই কুণ্ডলী বা কয়েল প্যাচানো হয় একটি কোরের উপর। একটি  ট্রান্সফরমারের দুটি সাইড থাকে একটিকে প্রাইমারী আরেকটিকে সেকেন্ডারি সাইড বলে।
প্রাইমারি সাইডের কয়েলের সাথে সেকেন্ডারি কয়েলে কোন প্রকার বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকেনা। মজার ব্যাপার হলো এতদ্বস্বত্তেও প্রাইমারি সাইডের কয়েলের খুব কাছাকাছি সান্নিধ্য পেয়ে সেকেন্ডারি সাইডের কয়েলে ভোল্টেজ আবিষ্ট হয়।

Click the link to watch………… how does a transformer work? https://www.youtube.com/watch?v=vh_aCAHThTQ

ভোল্টেজ উৎপন্ন হয় ফ্যারাডের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন নীতির মাধ্যমে। যখন প্রাইমারি কয়েলে পরিবর্তনশীল বিদ্যুৎ আরোপ করা হয় তখন এই কয়েলে কতগুলো চুম্বক বলরেখা উৎপন্ন হয় যা ঘুরতে থাকে। এই ঘুর্ণয়মান চুম্বক ফ্লাক্স সেকেন্ডারি কয়েলকে (কাল্পনিক) কর্তন করে ফলে সেকেন্ডারিতে ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়। (আরো স্পস্ট জানার জন্য ফ্যারাডের ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন এর সুত্রটি দেখে নাও)  প্রাইমারি সাইডের কয়েলের তুলনায় যদি সেকেন্ডারি সাইডের কয়েলের প্যাচ কম থাকে তাহলে সেকেন্ডারি তে প্রাইমারীর তুলনায় কম ভোল্টেজ আবিষ্ট হবে।
আর যদি প্রাইমারীর তুলনায় সেকেন্ডারি কয়েলে প্যাচ বেশী থাকে তাহলে সেকেন্ডারিতে বেশি ভোল্টেজ উৎপন্ন হবে। ভোল্টেজ উৎপাদন নির্ভর করে কয়েলের প্যাচ সংখ্যার উপরে।

সহজ কথায় বলা যায়, ট্রান্সফরমার এমন একটি ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইস যা ইনপুট হিসেবে ইলেক্ট্রিক্যাল পাওয়ার নিয়ে আউটপুটেও ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার দিবে, কিন্তু এদের মধ্যে কোন বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকবে না।
উভয় কয়েলই চুম্বকীয় ভাবে সংযুক্ত।

 

 

ট্রান্সফরমার সাধারণত নিম্মলিখিত অংশের সমন্বয়ে গঠিত।

ট্যাংক কোর ওয়াইন্ডিং ট্রান্সফরমার ওয়েল কনজারভেটর ব্রীদার বুখলজ রীলে কুলিং টিউব বুশিং এক্সপালশন ভেন্ট আর্থ পয়েন্ট ও অন্যান্য।

 

 

 

 

 

 

শুধুমাত্র একটি ব্লগ লিখে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কোন একটি বিষয়কে পূর্ণাঙ্গভাবে উপস্থাপন সম্ভব নয়। জানার অনেক কিছুই রয়েছে। যাদের ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রতি কৌতুহল তাদেরকে বলব, একটি ভাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, দক্ষ শিক্ষকদের সান্নিধ্যে এই জ্ঞান অর্জন করে দেশের জন্য তুমিও হতে পারো একজন দক্ষ ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।

 

লেখকঃ

নাহিদুল ইসলাম (নাহিদ)

ইন্সট্রাক্টর

ইলেক্ট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট