কম্পিউটার টেকনোলজি কি ডিপ্লোমা-ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য সঠিক পছন্দ

কম্পিউটার টেকনোলজি কি ডিপ্লোমা-ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য সঠিক পছন্দ

তথ্য প্রযুক্তি বর্তমান বিশ্বকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে, যা গ্লোবাল ভিলজে এ পরিনত করেছে । আধুনিক এই যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমাদের জীবন যাপনকে করে তুলছে আরো সহজ। এই পরিবর্তনশীল সময়ের সাথে এগিয়ে যাবার প্রত্যয় নিয়ে এল কম্পিউটার প্রযুক্তি। প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে নিজেকে আত্বনির্ভরশীল ব্যক্তি হিসাবে গড়ে তুলতে হলে কম্পিউটার টেকনোলজি পড়ার বিকল্প কিছু হতে পারে না।

কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনেক রাস্তা খোলা। এ বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা বহুমুখী কাজ করতে পারে। কেউ হন প্রোগ্রামার আবার কেউবা নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। এ ছাড়াও  সৃজনশীল দক্ষতা থাকলে গ্রাফিক্স বা ওয়েব ডিজাইনারও হতে পারেন। পাশাপাশি আছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুযোগ। ঘরে বসেই বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের চর্চা করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন কাজ করে দিতে পারেন। নিজেই আরও মানুষের কর্মসংস্থান করে দিতে পারেন।

আর অফিস-আদালতের চাকরি তো আছেই। প্রতিটি ব্যাংক, করপোরেট হাউস, গণমাধ্যমসহ প্রায় সব সরকারি-বেসরকারি অফিসেই প্রয়োজন হয় কম্পিউটারে দক্ষ জনবলের।

একমাত্র কম্পিউটার টেকনোলজিই পারে বহুমুখি কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে কম্পিউটার টেকনোলজি অপরিহার্য। ২০১১ সালে হতে প্রতিটি কোর্সে কম্পিউটার বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। সমস্ত- সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহে ই-গভর্নেস চালু করতে যাচ্ছে, সেহেতু অনুমান করা যাচ্ছে যে, কম্পিউটার টেকনোলজি কর্মসংস্থানের ব্যাপ্তি কত বিশাল হতে পারে। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি আপনাকে সামিল করবে এই কম্পিউটার প্রযুক্তিবিদদের প্রথম সারিতে। এই কম্পিউটার ডিপ্লোমা ডিগ্রী হবে অবারিত কম্পিউটার সম্পর্কীত কর্ম ক্ষেত্রে প্রবেশের আপনার প্রথম চাবিকাঠি।

এছাড়াও বাংলাদেশ সরকার তথ্য প্রযুক্তিতে নির্ভরশীলতা বাড়ানোর জন্য তৈরি করছে হাইটেক পার্ক। দেশেই তৈরি হবে আমাদের নিত্যব্যবহার্য প্রযুক্তিপণ্য।  এদেশে নির্মিত সফটওয়্যার দিয়েই চলবে আমাদের ব্যাংক, বীমা, কলকারখানা, অফিস-আদালতসহ অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠান এই স্বপ্ন নিয়েই হাইটেক পার্ক ধারনার যাত্রা শুরু হয়েছিল সেই ১৯৯৯ সালে। যা বর্তমানে দৃশ্যমান। চলমান প্রকল্পগুলো হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক সিলেট, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক, রাজশাহী এছাড়াও আরো অনেকগুলো হাই-টেক পার্ক প্রস্তাবিত। এসব হাই-টেক পার্কগুলো পুরোদমে চালু হলে আরো বিশাল একটি ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীদের জন্য। সুতরাং ডিপ্লোমা-ইন- কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ই হবে সঠিক পছন্দ বর্তমান প্রেক্ষাপটে।

লেখক:

জহির আহমেদ চৌধুরী

লেকচারার, ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট