গল্প থেকে শেখা, পর্ব-৪

 

গল্পের নাম:  কুকুরছানা বিক্রয় (অনুধাবনমূলক গল্প)

একটি দোকানের মালিক তার দরজার উপরে একটি সাইনবোর্ড রেখেছিলেন যেখানে লেখা ছিল “কুকুরছানা বিক্রয়ের জন্য” “

কটি ছোট বাচ্চা সাইনটি দেখে দোকান মালিকটির কাছে গেল, এতে অবাক হওয়ার কোনও অবকাশ নেই কারন এই জাতীয় লক্ষণগুলির সবসময়ই ছোট বাচ্চাদের অনেক প্রিয় হয়ে থাকে।

ছোট বাচ্চাটি জিজ্ঞাসা করলেন “আপনি কুকুরছানা গুলো কত টাকায় বিক্রি করতে চাচ্ছেন?” 

দোকানের মালিক জবাব দিয়েছিলেন, ” ২৫০০ টাকা থেকে ৪৫০0 টাকার মধ্যে।”

ছোট্ট ছেলেটি পকেট থেকে কিছু টাকা বের করল এবং বলল “আমার কাছে  ২০০ টাকা  আছে,”। “আমি কি তাদের কে একনজর দেখতে পারি?” দোকানের মালিক হেসে শিস দিল।দোকানের পিছন থেকে এক মহিলা বের হয়ে আসলেন আর তার পিছনে ছোট ছোট পাঁচ টা কুকুরছানা ছিল। তার মধ্যে একটি কুকুরছানা যথেষ্ট পিছনে ছিল।

তৎক্ষণাৎ ছোট্ট ছেলেটি  কুকুর ছানাটির  কে দেখে পিছনে গেল এবং বলল, “ছোট্ট কুকুরটির কি হয়েছে?”

দোকানের মালিক বললেন, যে পশুচিকিত্সকরা ছোট কুকুরছানা পরীক্ষা করেছেন এবং বলেছিল তার এর পেছনের পায়ের হাড়ে সমস্যা আছে। এর জন্য ওকে সর্বদা ল্যাংড়াতে হবে। 

এটা শুনে ছোট্ট ছেলেটি অনেক খুশি হল। আর সে এই কুকুর ছনাটিকে কিনতে চাইল। 

https://www.youtube.com/watch?v=_XebVRGknTE

দোকানের মালিক বলেন , তোমাকে এই ছোট্ট কুকুরটিকে কিনার দরকার নেই। তোমার যদি  ঠিক এমনি একটি কুকুর ছানার দরকার হয় আমি তোমাকে এমনি একটি কুকুর ছানা এনে দেব। এই কথা শুনে ছোট ছেলেটির বেশ মন খারাপ হয়ে গেল। সে দোকান মালিকের চোখের দিকে সরাসরি আঙুল দেখিয়ে বললেন; 

“আমি চাই না আপনি ওকে আমাকে এমনিতেই দিন। এই ছোট কুকুরটি অন্য সমস্ত কুকুরের মতোই মূল্যবান এবং আমি সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করব। প্রকৃতপক্ষে, আমি আপনাকে এখন ২00 টাকা এবং বাকিটা এক মাস পরে পরিশোধ করবো।”

দোকানের মালিক আবার বললেন  “তোমাকে সত্যিই এই ছোট্ট কুকুর ছানাটাকে কিনতে হবে না। ও অন্য কুকুরছানা গুলোর মতো কখনও দৌড়াতে এবং লাফাতে এবং খেলতে পারবে  না।

এই কথা শুনে ছোট ছেলেটি নিচের দিকে ঝুকলো এবং তার প্যান্ট হাটু পর্যন্ত উঠালো। দোকানের মালিক দেখলো ছেলেটি পংগু , তার বাম পায়ে বড় একটি ক্রেস লাগান। 

ছেলেটি বলল, দৌড়াতে তো আমিও পারি না তাই ওর হয়ত এমন কাউকে প্রয়োজন যে ওকে বুঝতে পারে। 

Tags: No tags

Comments are closed.