নেতৃত্বের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
ব্যবস্থাপনায় নেতৃত্বের গুরুত্ব অপরিসীম। নেতৃত্ব ব্যতীত কোন দল বা সংগঠন চলতে পারে না। প্রতিষ্ঠানে নেতাকে কেন্দ্র করে অধীনস্থ কর্মী আবর্তিত হয়। দলের নেতা এবং দলের সকলের লক্ষ এক থাকতে হবে আর দলীয় প্রচেষ্টাকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পরিচালনা করাই নেতার কাজ। এরূপ প্রচেষ্টা বিশেষভাবে নেতার গুণ ও কর্মদক্ষতার উপর নির্ভর করে। ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নেতৃত্বের মান দুর্বল হলে জনশক্তির মাঝে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং দলবদ্ধ প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়। তাই দলবদ্ধ প্রচেষ্টা সৃষ্টি ও জোরদারকরণের ক্ষেত্রে সুদক্ষ নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই।
যে কোন ব্যবসায় সংগঠনে কর্মীদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া লক্ষ্যার্জন সম্ভব নয় তাই নেতাকে দলের সকলের অনুপ্রেরনা দিতে হয় যাতে করে সকলে উৎসাহী হয়ে দলের উন্নয়নে অংশগ্রহন করে। কার্যকর নেতৃত্ব সংগঠনের অভ্যন্তরে এরূপ সহযোগিতার ভিত্তি হিসাবে কাজ করে। নেতৃত্বকে ঘিরেই জনশক্তি ঐক্যবদ্ধ হয় এবং পারস্পরিক সহযোগিতার কার্য সম্পাদন করে। তাই এরূপ নেতৃত্ব কৌশল অবশ্যই ব্যবস্থাপনাকে অবলম্বন করতে হবে।
যোগ্য নেতৃত্ব প্রাতিষ্ঠানিক সকল কাজের ফল প্রদতা বা কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে ও গুরুত্বপূর্ণ ভমিকা রাখে। নেতৃত্ব একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে জনশক্তির সকল কার্যপ্রয়াসকে কেন্দ্রীভূত করে বিধায় কাজের গতিশীলতা বাড়ে এবং এক লক্ষ এক নীতিতে বিশ্বাস করে। সকল ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবার কারণে ও কার্যক্ষেত্রে উত্তম ফলাফল লাভ করা যায়।
ব্যবস্থাপনার অন্যতম দায়িত্ব হলো প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত জনশক্তিকে সংঘবদ্ধ করে পরিচালনা করা। কারণ সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া কখনও প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্যার্জন সম্ভব হয় না। প্রতিষ্ঠানের কার্যকর মানের নেতৃত্ব থাকলে তাকে ঘিরে জনশক্তি সংঘবদ্ধ ও আবর্তিত হয় এবং সবাই নেতৃত্ব যত শক্তিশালী হয় সংগঠন তত শক্তিশালী ও মজবুত হয়ে থাকে। তাকে অনুসরন করে তার নির্দেশে পরিচালিত হয়।
নেতৃত্বের প্রধান ও সর্বধিক গুরুত্বপূর্ন দিক হচ্ছে নেতাকে লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা দান এবং লক্ষ্য নির্ধারন করতে হবে। লক্ষ্য সফলভাবে পৌছাতে সিদ্ধান্ত নেয়া এবং সে অনুসারে নিজেকে এবং দলের সকলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
কার্যকর নেতৃত্ব প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্যার্জন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাখে। কারণ, নেতৃত্ব হল এমন একটি কৌশল যাতে অধীনস্থ কর্মীগণ তাদের সম্ভাব্য সর্বাধিক সামর্থ অনুযায়ী নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে তৎপর হয়। প্রতিষ্ঠানে যোগ্য নেতৃত্বের গুণসম্পন্ন ব্যবস্থাপক থাকলে তার বা তাদের প্রচেষ্টায় জনশক্তির ধ্যান-ধারণা ও কর্ম প্রচেষ্টা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়ে থাকে।