ইসলামি সভ্যতা / Islamic civilization

ইসলামি সভ্যতা

 

ইসলামি স্বর্ণযুগ অষ্টম শতাব্দী থেকে চতুর্দশ শতাব্দী পর্যন্ত ইসলামের ইতিহাসে সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক এবং বৈজ্ঞানিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়ার সময়কালকে বোঝায়। সপ্তম শতকে মদিনায় প্রথম ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও ইসলামি শক্তির উত্থানের সময় শুরু হয়। ১২৫৮ সালে মঙ্গোলদের দ্বারা বাগদাদ অবরোধের সময়কে এর শেষ ধরা হয়। ১৪৯২ সালে ইবেরিয়ান উপদ্বীপের আন্দালুসে খ্রিষ্টান রিকনকোয়েস্টার ফলে গ্রানাডা আমিরাতের পতনকেও এর সমাপ্তিকাল হিসেবে গণ্য করা হয়। মিশর সাম্রাজ্যের কেন্দ্র পরিণত হয় এবং উত্তর আফ্রিকা, সিসিলি, ফিলিস্তিন, জর্ডান, লেবানন, সিরিয়া, আফ্রিকার লোহিত সাগর উপকূল, তিহামা, হেজাজ ও ইয়েমেন এর অন্তর্গত ছিল। এই যুগে মুসলিম বিশ্বের রাজধানী শহর বাগদাদ, কায়রো ও কর্ডো‌বা বিজ্ঞান, দর্শন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, বাণিজ্য ও শিক্ষার বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্রে পরিণত হয়। 

 

উদ্ভব ও বিকাশ : হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সালাম ৬১০  খ্রিস্টাব্দে নবুয়্যত 

 প্রাপ্ত হন এবং এরপর থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন। তিনি প্রথমে মদিনা কে কেন্দ্র করে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন পরবর্তী পর্যায়ে তিনি মক্কাকেও এর অন্তর্ভুক্ত করেন। হযরত মোহাম্মদ সাল্লাহু সালামের মৃত্যুর এক বছরের মধ্যে মুসলিমরা সিরিয়া.ইরাক, মিসর ও ইরানের  একাংশ জয় করে । পাশাপাশি তারা সাসানীয় বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যকে পরাস্ত করে। ধীরে ধীরে তারা মধ্য এশিয়ার তাসখন্দ থেকে ইউরোপের পিরেনিজ পর্বতমালা পর্যন্ত সব সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি  ঘটিয়েছিল।

 

খিলাফত : খিলাফত হলো একটি মুসলিম রাষ্ট্র। সময়ের সাথে সাথে খিলাফতের শাসন ব্যবস্থায় নানা পরিবর্তন সাধিত হয়। সাধারণত খিলাফতের প্রধান হিসাবে খলিফা এবং প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। তাঁদের কার্যক্রম পরিচালিত হতো কুরআন ও সুন্নাহর নিয়মানুসারে। খলিফার দরবারে আমির- ওমরাহদের মতামত প্রাধান্য পেত।বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে দেওয়ান- আল-খারাজ বা রাজস্ব বিভাগ ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । উদাহরণ স্বরূপ:-

খোলাফা- ই- রাশেদীন ( ৬৩২-৬৬১খ্রিষ্টাব্দ),  উমাইয়া খিলাফত( ৬৬১-৭৫০),  আব্বাসীয় খিলাফত ( ৭৫০-১২৫৮),ফাতেমীয় খিলাফত( ৯০৯-১১৭১ খ্রিষ্টাব্দ), তুর্কি খিলাফত(১৪৫৩- ১৯২৮)। 

 

সমাজ ও অর্থনীতি

মধ্য এশিয়ার সমরকন্দ থেকে স্পেনের কর্ডোভা পর্যন্ত পুরো মুসলিম সভ্যতা ছিল নগরকেন্দ্রিক। এ সভ্যতায়  একশোর  বেশি প্রধান নগর ও বাণিজ্য কেন্দ্র গড়ে  উঠেছিল।  এসব নগর মুসলিম বিশ্বের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও  সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পরিণত হয়। 

 

ইসলামি সভ্যতা
ইসলামি সভ্যতা

বাসস্থান ব্যবস্থা: কয়েকটি বাড়ি নিয়ে গড়ে উঠত বাসভবন এবং সেগুলো ছিল একটি নগরের প্রাণ।  প্রতিটি বাড়ির সামনে  একটি পানি রাখার স্থান ছিল।  কোন কোন ভবনে হাম্মামখানা থাকতো।  প্রত্যেক নগরের বাহিরে থাকতো একটি  খোলা ময়দান যেখানে ধর্মীয় ও লৌকিক উৎসব পালন করা হতো। নগরের সব শাসনকার্য পরিচালনা করত খলিফা। 

 

সমাজ অবস্থা: ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সকলের মর্যাদা সমান ছিল কিন্তু  অর্থনৈতিকভাবে সমাজে বা মানুষের মধ্যে বৈষম্য  দেখা যেত। রাশেদীন  খিলাফতের  পর থেকে খলিফাদের জীবনী বিলাসিতা 

 

পূর্ণ হয়ে ওঠে।  তাদের বংশধর  সমাজ পরিচালনার  দায়িত্ব পায়।  তখন থেকে শুরু হয় সমাজের উঁচু  পদ ও নিচু পদের মধ্যে বৈষম্য।  শুরু হয় দাস প্রথা,  জ্যোতিষ চর্চা, ফকির দরবেশ। 

 

নারীর স্থান: আরব সমাজে নারীর মর্যাদা ছিল সীমিত।  এমনকি আরব সমাজে কন্যাশিশুকে হত্যা করার রীতি প্রচলিত ছিল। হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর সাহায্যে মেয়েদের সম্মানের আসন করে দেন,  সম্পত্তির অধিকার দেন, সমাজে মর্যাদা এনে দেন। কিন্তু অঞ্চল ভেদে নারীদের অধিকারের অবস্থা ভিন্ন ছিল,  অনেক অঞ্চলে তাদের  ব্যক্তিত্ব ও মনুষ্যত্ববোধকে বন্দি করে রাখা হতো।  বলা যায়  এ সময়ে  নারীদের অবস্থা ক্ষুন্ন ছিল।

 

দাসদের অবস্থা: ইসলামী সভ্যতার দাস প্রথার প্রচলন ছিল, তারা ছিল সমাজের সর্বনিম্ন স্তরের মানুষ।  গৃহের কাজে,  ভূসম্পত্তি তত্ত্বাবধানে, সঙ্গীত, নৃত্য বিনোদনের কাজে তাদের ব্যবহার করা হতো।  তাদের  স্বাধীনতা,  সম্মান  বা মর্যাদা ছিল না।  কিছু কিছু ক্ষেত্রে দাসদের  মনিব  খুশি হয়ে তাদের মুক্ত করে দিতেন।

 

 অর্থনীতি: ইসলামী সভ্যতায় ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।  জল ও স্থল উভয় পথেই আরবের মানুষরা বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করত।  ব্যবসার পাশাপাশি যেসব এলাকায় পানি সরবরাহ সুবিধাজনক ছিল সেখানে কৃষি ব্যবস্থা গড়ে উঠত।  কৃষিজ পণ্য যেমন আঙ্গুর, জলপাই,  গম,খেজুর ইত‌্যাদি উল্লেখযোগ‌্য।  শিল্পের মধ্যে মণিকার,  বস্ত্র বয়ন, জহুরির শিল্প,কাঁচ শিল্প ইত্যাদি  ব্যবসা-বাণিজ্যের জন‌্য ব্যবহৃত হতো।

 

 মানব সভ্যতায় মুসলমানরা জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা  রেখেছে।  কোরআনকে কেন্দ্র  করে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বহু শাখার সন্ধান পাওয়া গেছে।  তাদের এই  অবদানের জন্য এখন চিকিৎসা বিজ্ঞান, সাহিত্য,  ইতিহাস চর্চা,  গণিত ইত্যাদি সম্পর্কে মানুষ জানতে পেরেছে।

ইসলামি সভ্যতা
ইসলামি সভ্যতা

চিকিৎসা বিজ্ঞান: অতীতে মানুষরা চিকিৎসা বিজ্ঞান কুসংস্কার ও জাদু মন্ত্র  মনে করত।  মুসলমানরা  মানুষকে এই ভুল ধারণা থেকে মুক্তি দেন।  তারা বিভিন্ন রোগের কারণ, লক্ষণ ও উপসর্গ নির্ণয় করে সুনির্ধারিত প্রতিষেধক উদ্ভাবন করেন।  মধ্য যুগে বিভিন্ন ধরনের ওষুধের উদ্ভাবন এবং বাজারজাতকরণে মুসলমানদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে।  ধীরে ধীরে মানুষের ভুল ধারণা কেটে যায় এবং সকলেই চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিশ্বাস করা শুরু করেন। পরবর্তীতে  হাসপাতাল তৈরি করা শুরু করেন।

 

গণিত: গ্রিক ও ভারতীয়দের দাঁড়ায় প্রথম গণিত চর্চা শুরু হয়।বিখ্যাত মুসলিম গণিতবিদ ও বিজ্ঞানী ইবনে মুসা আল খাওয়ারিজমী  তার গ্রন্থে প্রথম বীজগণিত বোঝাতে  অ্যালজেবরা শব্দটি ব্যবহার করেন।  ইসলামী বিজ্ঞানীদের দ্বারা তৈরি তারকার মানচিত্র ও জ্যোতির্বিদ্যার সারণি বহু শতাব্দী  ধরে ইউরোপ ও এশিয়ায় ব্যবহৃত হয়েছে। 

 

 সাহিত্য: মুসলিম সাহিত্য শুরু হয় কবিতা কে কেন্দ্র করে।  কাব্য গ্রন্থের মধ্যে লায়লা মজনুর প্রেমের কাহিনী সমগ্র মুসলিম বিশ্বের সুপরিচিত। গদ্য সাহিত্যের মধ্যে আলিফ লায়লা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সিন্দাবাদ, আলিবাবা  চল্লিশ চোর,  আলাদিন ইত্যাদি গল্পগুলো আরবের গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।  এসব গল্প অন্যান্য দেশে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। 

ভূগোল,দর্শন,ইতিহাস চর্চা,স্থাপত‌্য ই‌ত‌্যাদি বিষয়ে অবদান রাখেন মুসলিম সভ‌্যতা।

ইসলামি সভ্যতা
ইসলামি সভ্যতা

আস্তে আস্তে একসময় বিবর্ণ হতে শুরু করে মুসলিমদের গৌরবমাখা সেই স্বর্ণযুগ। এগারো শতকে শুরু হওয়া ক্রুসেড ক্রমেই অস্থিতিশীল করে তোলে গোটা মুসলিম বিশ্বকে। এর অল্প কিছুদিন পরেই তের শতকে ভেতরে ভেতরে ধুঁকতে থাকা মুসলিম বিশ্বের সামনে এসে দাঁড়ায় আরেক ত্রাস- মঙ্গোলদের আক্রমণ। ১২০৬ খ্রিষ্টাব্দে চেঙ্গিস খানের নেতৃত্বে মধ্য এশিয়ায় গড়ে উঠেছিলো শক্তিশালী মঙ্গোল সাম্রাজ্য। ১২৫৮ সালের ২৯ জানুয়ারি হালাকু খানের নেতৃত্বে মঙ্গোল বাহিনী ও তার মিত্র শক্তিদের সামনে তছনছ হয়ে যায় আব্বাসীয় খেলাফতের রাজধানী।

অধিকাংশ ঐতিহাসিকের মতে, মঙ্গোলদের এ আক্রমণই ছিলো ইসলামের সোনালী যুগকে ইতিহাসের অধ্যায়ে পরিণত করার মূল নিয়ামক। কালক্রমে একসময় অটোম্যান সাম্রাজ্য উঠে দাঁড়ালেও ইসলামের সোনালী সেই যুগ আর কখনোই ফিরে আসে নি, বরং সোনালী সেই সূর্য কালে কালে অস্তমিতই হয়েছে।

 

লেখক,

শাহনেওয়াজ সেরাজ সুবর্ণা

ইন্সট্রাক্টর অফ আর এস ডিপার্টমেন্ট

ডেফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

 

“হিস্ট্রি অফ মডার্ন আর্কিটেকচার অফ বাংলাদেশ” – পার্ট ০১ঃ জাতীয় স্মৃতিসৌধ / “History of Modern Architecture of Bangladesh” – Part 01: National Memorial

হিস্ট্রি অফ মডার্ন আর্কিটেকচার অফ বাংলাদেশ” – পার্ট ০১ঃ জাতীয় স্মৃতিসৌধ

 

আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতিকীকরন হিসেবে দন্ডায়মান হয়ে আছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ যা ঢাকার অদূরে সাভারে অবস্থিত।  স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে নির্মিত এই জাতীয় স্মৃতিসৌধটি তার স্থাপত্য শৈলী ও নির্মাণকৌশলের জন্য বাংলাদেশের মডার্ন আর্কিটেকচারের তালিকায় জায়গা দখল করে আছে।

 

আজকে আমরা জানব জাতীয় স্মৃতিসৌধ  সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ

জাতীয় স্মৃতিসৌধ এর চূড়ান্ত ডিজাইনের জন্য ৫৭ জন প্রতিযোগির মধ্যে স্থপতি মঈনুল হোসেনের নকশা টি নির্বাচিত হয়।  এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ মুহুর্তে  ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর  প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান  স্মৃতি সৌধের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

অসমান উচ্চতা ও স্বতন্ত্র ভিত্তির উপর সাতটি ত্রিভুজাকৃতির প্রাচীর নিয়ে গঠিত হয় মূল সৌধটি। সর্বোচ্চ স্তম্ভটি সর্বনিম্ন দৈর্ঘ্যের ভিত্তির উপর, আর সর্বদীর্ঘ ভিত্তির উপর স্থাপিত স্তম্ভটি সবচেয়ে কম উচ্চতার। প্রাচীরগুলোর মাঝখানে একটি ভাজ দ্বারা কোনাকৃতির এবং একটির পর একটি সারিবদ্ধভাবে বসানো। কাঠামোটির সর্বোচ্চ বিন্দু ১৫০ ফুট উচু। কাঠামোটি এমনভাবে বিন্যস্ত যে, ভিন্ন ভিন্ন কোণ থেকে অবকাঠামো গুলোতে পরিদৃষ্ট হয়। স্থপতি মূল স্তম্ভটি নির্মাণে সিমেন্ট-পাথরের কংক্রিট ব্যবহার করলেও এর সংলগ্ন অন্যান্য অবকাঠামো ও পেভমেন্ট নির্মাণে লাল ইট ব্যবহার করেছেন। ভিন্ন ভিন্ন উপাদানের ব্যবহারে মূল স্তম্ভটির গাম্ভীর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। সমগ্র কমপ্লেক্সটি ৩৪ হেক্টর (৮৪ একর) জমি জুড়ে বিস্তৃত। একে ঘিরে আছে আরও ১০ হেক্টর (২৪.৭ একর) সবুজ ভূমি। স্তম্ভটির সামনে বেশ কয়েকটি গণকবর ও একটি প্রতিফলন সৃষ্টিকারী জলাশয় নির্মিত হয়েছে।

“History of Modern Architecture of Bangladesh” - Part 01 National Memorial
“History of Modern Architecture of Bangladesh” – Part 01 National Memorial

প্রধান প্রবেশপথ দিয়ে প্রবেশ করলে স্তষটিকে প্রবেশদ্বারের অক্ষ বরাবরই চোখে পড়ে। কিন্তু মূল বেদিতে পৌছাতে হলে বেশ কিছু উঁচু-নিচু এলাকা পেভমেন্ট ও একটি কৃত্রিম লেকের উপর নির্মিত সেতু পার হতে হয়। এ সবকিছু স্বাধীনতার দীর্ঘ সংগ্রামকে চিহ্নিত করেছে। এই সাত সংখ্যাটিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে বিভিন্নভাবে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হয়। সাত সংখ্যাটিকে ভাগ সংখ্যা হিসেবে ধরা হয়।

 

স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্যঃ স্মৃতিসৌধের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নে দেওয়া হল–

 

  • এটি ১৫০ ফুট উঁচু।
  • এর ফলক সংখ্যা সাতটি।
  • এটি জ্যামিতিক ধারায় ৯০° মাপে তৈরি করা হয়েছে।
  • রংধনুর রঙ হচ্ছে ৭টি। আমাদের বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর। সেখানেও ১ + ৬ = ৭, আবার শেখ মুজিবর রহমান ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দেন। তাই তাৎপর্যপূর্ণ সংখ্যা ৭-এর আলোকে স্তরে স্তরে সাজানো ৭টি ফলকের মাধ্যমে চিত্রকর্মে স্মৃতি সৌধটি হয়েছে।

 

“History of Modern Architecture of Bangladesh” - Part 01 National Memorial
“History of Modern Architecture of Bangladesh” – Part 01 National Memorial

 

 

মালামালঃ  স্মৃতিসৌধ নির্মাণে ১৪০০ টন সিমেন্ট, ৪৮০ টন লোহা, ১ লক্ষ ঘনফুট পাথর, ৫০ হাজার ঘনফুট বালি, ১ লক্ষ ২৫ হাজার ঘনফুট কংক্রিট এবং শ্রমিকের ১১ লক্ষ ৮৮ হাজার ঘণ্টা শ্রম লেগেছে।

 

নির্মাণকৌশলঃ  তিনটি ধাপে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। নিম্নে তা উলেখ করা হল-

 

  • প্রথম পর্যায়ে কাজ শুরু হয় ১৯৭৩ সালের ডিসেম্বর মাসে, আর শেষ হয় ১৯৭৪ সালের জুন মাসে। এতে মোট ব্যয় হয় ২৬ লক্ষ টাকা।

 

  • দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজ শুরু হয় ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে আর শেষ হয় ১৯৮২ সালের জুন মাসে। এতে মোট ব্যয় হয় ৩ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা।

 

  • তৃতীয় পর্যায়ে কাজ শুরু হয় ১৯৮২ সালের ২৪ আগস্ট এবং শেষ হয় ১৯৮৬ সালের জুন মাসে। এ সময়ে মোট ব্যয় হয় ৫ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা।

 

সুতরাং, স্মৃতিসৌধটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছিল ৯ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা।

 

 

জাতীয় স্মৃতিসৌধের নির্মাণ তাৎপর্য এর পাশাপাশি এর সবুজ বেষ্টনী সম্বলিত অসাধারন ল্যান্ড স্ক্যাপিং, স্থাপত্য শৈলী ও নির্মাণকৌশলের জন্য বাংলাদেশের আধুনিক স্থাপত্যে গুরুত্বপূর্ন স্থান দখল করে আছে……

 

 

লেখক

লিমা আক্তার

জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর

আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

 

ইন্ডাক্টর এবং এল.ডি.আর কিভাবে সার্কিটের কাজ করে / How the inductor and LDR circuit work

ইন্ডাক্টর এবং এল.ডি.আর  কিভাবে সার্কিটের কাজ করে

 

 

ইন্ডাক্টর এবং এল.ডি.আর  এই কম্পোনেন্টগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ কম্পনেন্ট । যা প্রত্যেকটি ইলেকট্রনিক সার্কিট এর মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় ।এগুলো ছাড়া কোনো ইলেকট্রনিক সার্কিট  চিন্তা করা যায় না ।সুতরাং এগুলো কিভাবে একটি সার্কিটে কাজ করে সেই বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে প্রত্যেকের কাছে জানা দরকার ।এই ধারণা থেকে আজকের বিষয় লেখা। আশা করি এ বিষয়ে ক্লিয়ার একটি ধারণা পাওয়া যাবে । চলুন জেনে নেই এই বিষয় সম্পর্কে।

How Inductor and LDR work in the circuit

ইন্ডাক্টর

ইন্ডাক্টর হল এমন একটা যন্ত্রাংশ যা কিনা বিদ্যুত প্রবাহ পেলে তড়িৎ চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি করে তাতে শক্তি জমা করে রাখতে পারে। উল্লেখ্য যে যেকোনো তড়িৎবাহী পদার্থই ইন্ডাক্টর হিসাবে কাজ করে।

 

তবে সোজা তারের ইন্ডাকট্যান্স (তড়িৎ চৌম্বকক্ষেত্র তৈরির ক্ষমতা) খুবই কম হয়। তাই এই ক্ষমতা বাড়াতে তারকে পেঁচিয়ে কুন্ডলি বানানো হয়। এ সময় আসলে এটা একটা তড়িৎ চুম্বক হিসাবে কাজ করে। তারের পেঁচান কুন্ডুলি  অল্প যায়গায় বড় মানের ইন্ডাক্টর পেতে হলে তখন কুন্ডুলির ভিতরে ফেরোম্যাগ্নেটিক পদার্থের কোর ব্যাবহার করতে হয়। এটা তড়িৎ চৌম্বকক্ষেত্র কে শক্তিশালী করে।

 

এল.ডি.আর

এলডিআর (LDR)-হচ্ছে আলোক নির্ভর রেজিস্ট্যান্স যার উপরে আলো পড়লে আলোর তীব্রতা অনুযায়ী এর রোধ কম বা বেশি হয়। ldr এর পূর্ণঅর্থ – লাইড ডিপেন্ডেন্ট রেজিস্টর। এর নির্দিষ্ট কোন ভ্যালু থাকেনা। তবে এর সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন ভ্যালু থাকে। এর আরো একটি জনপ্রিয় নাম ফটো রেজিস্টর।

How Inductor and LDR work in the circuit

সাধারণত ছোট এলডিআর গুলোর ১ মেগা ওহম পর্যন্ত রেজিস্ট্যান্স হয় যেখানে বড় গুলোর রেজিস্ট্যান্স ১০০ কিলো ওহম বা এর আশে পাশে হতে পারে। আর সর্বনিম্ন রেজিস্ট্যান্স কয়েক ওহম পর্যন্ত হয়ে থাকে।

How Inductor and LDR work in the circuit

এল.ডি.আর এর ব্যবহার

এলডিআর দামে সস্তা ও সহজলভ্য হবার কারণে এর প্রচুর ব্যবহার রয়েছে, যেমন-

 

  • মোটামুটি মানের আলো পরিমাপক যন্ত্রপাতিতে (উন্নত মানের পরিমাপক যন্ত্রে ফটো ডায়োড বা ফটো ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়)
  • আলো নির্ভর সন্ধ্যা বাতি তৈরিতে (ডার্ক সেন্সর/লাইট সেন্সর)
  • আলো নির্ভর প্রক্সিমিটি সেন্সর হিসেবে
  • আলো/লেজার নির্ভর সিকিউরিটি সিস্টেমে
  • আলোক উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রক ডিভাইস যেমন অটো ব্রাইটনেস কন্ট্রোলার
  • লাইন ফলোয়ার রোবট তৈরী করতে
  • আলো নির্ভর মিউজিক্যাল বেল তৈরী করতে, ইত্যাদি।

 

 

পরিশেষে বলতে চাই উপরের বিষয়গুলো পাঠ করার পরে সকলের কাছে ইন্ডাক্টর এবং এল.ডি.আর বিষয়ে যত কোশ্চেন ছিল সকল বিষয়গুলো পরিষ্কার ধারণা দিতে পেরেছি । আজকে এতোটুকুই থাক পরবর্তীতে কোন একসময় কোন এক বিষয় নিয়ে আবার হাজির হব

 

লিখেছেন

মোঃশফিকুল ইসলাম মিলন

ইন্সট্রাক্টর

ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

Bearing Capacity of Soil and SPT Test

 

Bearing Capacity of Soil

A foundation is the part of a structure that transmits the weight of the structure to the ground. All structures constructed on land are supported on foundations. A foundation is a connecting link between the structure proper and the ground which supports it. The bearing strength characteristics of foundation soil are major design criteria for civil engineering structures. In nontechnical engineering, bearing capacity is the capacity of soil to support the loads applied to the ground. The bearing capacity of soil is the maximum average contact pressure between the foundation and the soil which should not produce shear failure in the soil.

Md. Nur Alam Instructor Daffodil Polytechnic Institute

The bearing capacity of your soil will help you determine if you need a shallow foundation or deep foundation. Soil strength directly under the footing, where loads are concentrated, is crucial to foundation performance.

Standard Penetration Test (SPT)

The standard penetration test is an in-situ test that is coming under the category of penetrometer tests. The standard penetration tests are carried out in the borehole. The test will measure the resistance of the soil strata to the penetration undergone. A penetration empirical correlation is derived between the soil properties and the penetration resistance. The test is extremely useful for determining the relative density and the angle of shearing resistance of cohesion-less soils. It can also be used to determine the unconfined compressive strength of cohesive soils.

 

Tools for Standard Penetration Test

The requirements to conduct SPT are:

  1. Standard Split Spoon Sampler
  2. Drop Hammer weighing 63.5kg
  3. Guiding rod
  4. Drilling Rig.
  5. Driving head (anvil).

 

Procedure

The test uses a thick-walled sample tube, with an outside diameter of 50.8 mm and an inside diameter of 35 mm, and a length of around 650 mm. This is driven into the ground at the bottom of a borehole by blows from a slide hammer with a mass of 63.5 kg (140 lb) falling through a distance of 760 mm (30 in). The sample tube is driven 150 mm into the ground and then the number of blows needed for the tube to penetrate each 150 mm (6 in) up to a depth of 450 mm (18 in) is recorded. The sum of the number of blows required for the second and third 6 inches of penetration is termed the “standard penetration resistance” or the “N-value”. In cases where 50 blows are insufficient to advance it through a 150 mm (6 in) interval the penetration after 50 blows is recorded. The blow count provides an indication of the density of the ground, and it is used in many empirical geotechnical engineering formulae.

 

Bearing Capacity of Soil and SPT Test ..

Writer,

Md. Nur Alam

Instructor
Daffodil Polytechnic Institute

Classical Architecture Characteristics

Classical Architecture Characteristics

 

Classical Architecture was flourished in the ancient civilization of Greece and later in Rome. This architectural style has some characteristics in building materials and components like columns, windows, symmetry, order, and marble, etc. Architects use this style in collaboration with other styles for centuries. Here we are going to explore some characteristics of Classical Architecture.

Let’s begin.

Characteristics of Classical Architecture:

Classical Architecture focuses on intellect, boldness, and humility. In most Classical Architectural designs we found these elements. Let’s dig slightly deep into the elements of this style.

 

Use of Proportion and Symmetry:

Classical Architecture buildings use proportions and most of the case symmetrical which consist the building elements like windows and columns.

 

Use of Order:

This architectural style uses different Greek orders like Ionic, Doric, and Corinthian as well as the Romans Composite and Tuscan order.

 

Front Porch with Pediment:

The front porch with pediment is seen in the classical style building. The pediment is situated at the top of the porch and the front door is usually placed at the center of the building.

 

Building Materials:

Classical Architecture uses durable building and construction materials like solid concrete, marble, brick, and other solid stones.

 

 Classical Architecture Characteristics Classical Architecture was flourished in the ancient civilization of Greece and later in Rome. This architectural style has some characteristics in building materials and components like columns, windows, symmetry, order, and marble, etc. Architects use this style in collaboration with other styles for centuries. Here we are going to explore some characteristics of Classical Architecture. Let’s begin. Characteristics of Classical Architecture: Classical Architecture focuses on intellect, boldness, and humility. In most Classical Architectural designs we found these elements. Let’s dig slightly deep into the elements of this style. Use of Proportion and Symmetry: Classical Architecture buildings use proportions and most of the case symmetrical which consist the building elements like windows and columns. Use of Order: This architectural style uses different Greek orders like Ionic, Doric, and Corinthian as well as the Romans Composite and Tuscan order. Front Porch with Pediment: The front porch with pediment is seen in the classical style building. The pediment is situated at the top of the porch and the front door is usually placed at the center of the building. Building Materials: Classical Architecture uses durable building and construction materials like solid concrete, marble, brick, and other solid stones. Unique Design: Classical Architecture is recognized by its unique design from other styles of architecture. Usually, we see broken pediments at the top of the entry door, more decorative surroundings and doors, box-shaped eaves, dental molding and roofs with medium pitch, etc. Rectangle Shape Windows: Rectangular windows are often seen to be used in the symmetrical style and in most cases the window are double-hung. This is the era of Modern Architectural Style and Contemporary Architectural Style and for that reason, other styles are rarely used in today’s work. It is also true other styles have not vanished fully, we still use other styles component by adjusting with the present styles. Author Md Asaduzzaman Russel AIDT & Civil Technology Daffodil Polytechnic Institute

Unique Design:

Classical Architecture is recognized by its unique design from other styles of architecture. Usually, we see broken pediments at the top of the entry door, more decorative surroundings and doors, box-shaped eaves, dental molding and roofs with medium pitch, etc.

 

Rectangle Shape Windows:

Rectangular windows are often seen to be used in the symmetrical style and in most cases the window are double-hung.

 

This is the era of Modern Architectural Style and Contemporary Architectural Style and for that reason, other styles are rarely used in today’s work. It is also true other styles have not vanished fully, we still use other styles component by adjusting with the present styles.

 

Author

Md Asaduzzaman Russel

AIDT & Civil Technology

Daffodil Polytechnic Institute

 

ফ্যান এর সাথে রেগুলেটর ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল এর সম্পর্ক / The relationship of the electricity bill to the use of the regulator with the fan

ফ্যান এর সাথে রেগুলেটর ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল এর সম্পর্ক 

রেগুলেটর এর ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল কি বাড়ে বা কমে?
আসলে ফ্যান আস্তে বা দ্রুত চলার সাথে বিদ্যুৎ বিলের সম্পর্ক নাই। সম্পর্ক হচ্ছে কোন উপায়ে ফ্যানকে ধীরে বা দ্রুত ঘুরানো হলো তার উপর।
গতানুগতিক বিভিন্ন বই গুলোতে আজো লিখে যে, রেগুলেটর এর ব্যাবহারে ফ্যানকে আস্তে বা দ্রুত ঘুরালে বিদ্যুৎ বিল একই থাকে। কথাটি যৌক্তিক নয়। কারন রেজিস্টিভ টাইপের রেগুলেটর ব্যবহার করে ফ্যানের গতিবেগ কমালে বা বাড়ালে বিদ্যুৎ বিল এর কোন পরিবর্তন হয়না এ কথা সত্য কিন্তু ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যাবহার করে ফ্যানের গতিবেগ কমালে বা বাড়ালে বিদ্যুৎ বিল এর পরিবর্তন হয়। তাহলে বুঝা গেল রেগুলেটর এর ধরন এর উপর নির্ভর করে. বিদ্যুৎ বিল একই থাকে ,নাকি কমবে।

এবার জানা যাক রেজিস্টিভ রেগুলেটর এবং ইলেকট্রনিক রেগুলেটর এর কার্যপদ্ধতি:

রেজিস্টিভ রেগুলেটর কে ফ্যানের সাথে সিরিজে সংযোগ করা হয়। রেগুলেটর এর নব থাকে, নবকে ঘুরালে ভিন্ন ভিন্ন মানের রেজিস্টরকে ফ্যানের সাথে সিরিজে সংযোগ করে দেয়। ফলে সংযোগকৃত রেজিস্টর নির্দিষ্ট পরিমান ভোল্টেজকে ড্রপ করে দেয়। আর এই কারনে ফ্যান পুর্ন ভোল্টেজ পায়না। তাই ফ্যান আস্তে ঘুরে।


ধরো ফ্যানের চাহিদা ২২০ ভোল্ট, রেগুলেটর যদি ৭০ ভোল্ট ড্রপ করতে পারে এমন রেজিস্টরকে সংযোগ করে দেয় তাহলে ফ্যান ভোল্টেজ পাবে ২২০-৭০=১৫০ ভোল্ট।
আবার ধরো রেগুলেটরকে যদি ২০ ভোল্ট অপচয় করতে পারে এমন রেজিস্টর এর সাথে সংযোগ দেয়া হয় তবে ফ্যান ভোল্টেজ পাবে ২২০-২০=২০০ ভোল্ট।

তাহলে দেখো রেগুলেটর বিভিন্ন মানের রেজিস্টর কে কানেক্ট করে নিজে ভোল্টেজ ড্রপ করে এবং একটি নির্দষ্ট পাওয়ার অপচয় করে বাকি পাওয়ার ফ্যানের জন্য বরাদ্দ রাখে। ফ্যান ধীরে ঘুরাতে যে পরিমান পাওয়ার সেভ হলো তা কিন্ত রেজিস্টর নিজেই পুরোটা অপচয় করে দিচ্ছে।
সুতরাং ফ্যান আস্তে বা জুরে ঘুরলে পাওয়ার অপচয় একই হয় ফলশ্রুতিতে বিদ্যুৎ বিলও অপরিবর্তিত থাকে।

মোট পাওয়ার অপচয়=রেগুলেটর এর অভ্যন্তরীণ রেজিস্ট্যান্স কর্তৃক পাওয়ার অপচয় + ফ্যান কর্তৃক পাওয়ার অপচয়।

এবার চলো জেনে নেই ইলেকট্রনিক রেগুলেটর এর অপারেশন:

ইলেকট্রনিক রেগুলেটর মুলত ফ্যানের সাথে অবস্থান করে সুইচিং এর কাজ করে। এসি কারেন্টের সাইন ওয়েভের কিছু অংশ কেটে দিতে পারে এমন ব্যপারগুলো নিশ্চয়ই জানো।
ইলেকট্রনিক রেগুলেটরে ডায়াক, ট্রায়াক ব্যবহার করে সাইন ওয়েভের কিছু অংশ কেটে দেয়া হয়। তার মানে সাইন ওয়েভের সম্পুর্ন অংশ নয় বরং একটি সুনির্দিষ্ট অংশকে ফ্যানের জন্য বরাদ্দ করে দেয় এই ইলেকট্রনিক রেগুলেটর। যেহেতু সম্পুর্ন সাইনওয়েভটি ফ্যানের জন্য কার্যকরী নয় সুতরাং ফ্যান কম পাওয়ার অপচয় করবে।

আরেকটু সহজ করে বলি, একটি সাধারন সুইচ যেমন ফ্যানটিকে বার বার অন অফ করতে পারে। ইলেকট্রনিক রেগুলেটর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ অন করে রাখে আবার কিছু সময় অফ করে রাখে। ফলে পাওয়ার সেভ হয়। এটা এত দ্রুত সময়ে অন -অফ করে যে, কখন অন হচ্ছে আর কখন অফ হচ্ছে ফ্যান বুঝে উঠতে পারেনা। ফলে ফ্যান বিনা বাধায় অবিরাম ঘুরতে থাকে। মাঝখান থেকে পাওয়ার সেভ হয়ে গেল। যেমন, আমরা যে দ্রুত চোখের পাতা প্রতিনিয়য়ত বন্ধ করি, আমরা কখনো অন্ধকার দেখিনা, কারন চোখের এই অন অফ এর সময়টি খুব দ্রুত হয়। এত দ্রুত অন অফ হয় যে আমাদের চোখ অফ এর বিষয়টি ধরতেই পারেনা। সুতরাং বিনা বাধায় আমাদের কাছে সব কিছু দৃশ্যমান হয়। মুলত ইলেকট্রনিক রেগুলেটর এক ধরনের গেইট বলতে পারো বা সুইচও কল্পনা করতে পারো।
বাংলাদেশের সরবরাহ ফ্রিকোয়েন্সি ৫০ হার্জ।  তার মানে একটি পুর্ন সাইন ওয়েভ তৈরি হতে সময় লাগে ০.০২ সেকেন্ড। তাহলে অর্ধ সাইকেল তৈরি হতে সময় লাগে ০.০১ সেকেন্ড।
প্রতি অর্ধসাইকেলে ০.০১ সেকেন্ড সময় হতে ০.০০৫ সেকেন্ড সময় অফ করে রাখতে পারলে। অর্ধেক পাওয়ার সেভ হবে।

সুতরাং ফ্যানের রেগুলেটর এর টাইপের উপর নির্ভর করবে রেগুলেটর এর মাধ্যমে ফ্যানকে ধীরে ঘুরলে বিল কমবে নাকি একই থাকবে। যদি রেগুলেটর রেজিস্টিভ টাইপ হয় তাহলে রেগুলেটর দিয়ে ফ্যানের গতি কমালেও বিদ্যুৎ বিল কমবেনা একই থাকবে। কিন্তু যদি রেগুলেটরটি ডায়াক ট্রায়াক দিয়ে তৈরি ইলেকট্রনিক রেগুলেটর হয়, তাহলে রেগুলেটর দিয়ে ফ্যানের গতি কমালে বিদ্যুৎ বিল কমবে।

আশা করছি বিষয়টি তোমাদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। বিষয়টিকে সর্বসাধারণের জন্য সহজ ভাবে উপস্থাপন করলাম। বিস্তারিত জানার জন্য ডায়াক, ট্রায়াক এর অপারেশন এবং রেগুলেটর এর সার্কিট ডায়াগ্রাম দেখে নাও।

লেখক-
নাহিদুল ইসলাম (নাহিদ)
বিভাগীয় প্রধান
ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

মেটাল-সেমিকন্ডাক্টর এর প্রেম কাহিনী (Metal-semiconductor’s love story)

মেটাল-সেমিকন্ডাক্টর এর প্রেম কাহিনী

ইলেকট্রনিক্স অনেক মজাদারভাবে উপস্থাপন করার একটি বিষয়। আজ আপনাদের এক যুগলের প্রেম কাহিনী শুনাব। বৃষ্টির দিনে গরম কফি এবং রোমান্টিক গল্প শুনতে সবার ভাল লাগে। তাই কফির মগ হাতে নিয়ে পড়লে দারুণ অনুভূতি পাবেন বলে আশা করি। তার আগে অন্য একটি টপিক আপনাদের স্মরণে আনতে চাই। আপনারা পি-টাইপ এবং এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের মাধ্যমে পি-এন জাংশন তৈরির প্রক্রিয়ার কথা সবাই জানেন। সেখানেও লুকিয়ে আছে রোমিও- জুলিয়েটের কাহিনী।

 

পিএন জাংশনের প্রেমকাহিনী

অনেক দিন আগের কথা। এক জুটি ছিল যার কাহিনী টাইটানিকের জ্যাক-রোজ জুটিকেও হার মানাবে। কি সেই কাহিনী? কাহিনীটা হল ঐ জুটি পরস্পরকে খুব ভালবাসত। একে অপরের কাছে যেতে চাইত সর্বদা। এতে সমস্যা কোথায়? সমস্যা হল দুই পক্ষের পরিবার। মেয়েটি ছিল ধনী পরিবারের। আর ছেলেটি ছিল নিম্নবিত্ত। তাই মেয়েটির ফ্যামিলি এবং ছেলেটির ফ্যামিলি কেউই চাইত না তাদের মিলন হোক। ফলে সৃষ্টি হয় বিরহ।

 

কিন্তু এবার জুটিটি সিদ্ধান্ত নিল তারা এই বাধা ভেঙে পালিয়ে যাবে আর বিয়ে করে নিবে। অবশেষে তারা এই বাধা ভেঙে পালিয়ে গেল এবং বিয়ে করে নিল। খুব রোমান্টিক না গল্প টা?? এ গল্পটা বলেছি আপনাদের ডায়োড বুঝানোর জন্য।

 

মেটাল-সেমিকন্ডাক্টর এর প্রেম কাহিনী

ডায়োডেও একটা জুটি থাকে যার নাম হোল – ইলেকট্রন। ডায়োডের P type এর হোল সর্বদাই চায় N type এর ইলেকট্রনের সাথে মিলিত হতে। কিন্তু তাদের ক্ষেত্রেও বাধা প্রদান করে মাইনোরিটি ক্যারিয়ারগুলো। P টাইপ এর হোল যখন N type এর ইলেকট্রনের দিকে ছুটে যায় তখন P টাইপ এর কিছু সংখ্যক ইলেকট্রন আর N type এর কিছু সংখ্যক হোল তাদের মিলিত হতে বাধা দেয়। যার ফলে সৃষ্টি হয় বিরহ বা Barrier layer। তারপর যখন এতে 0.3/0.7 volt প্রদান করা হয় তখন barrier টা ভেঙে যাবে। তখন হোল – ইলেকট্রন এর মিলন হবে। আর এই ভোল্টেজকে threshold voltage or breakdown voltage or knee voltage বলে। এখানে,

 

  • জুটির নাম — হোল ইলেকট্রন।
  • তাদের পরিবার —- মাইনোরিটি ক্যারিয়ার ( P এর জন্য ইলেকট্রন & N এর জন্য হোল)।
  • বিরহ —- barrier layer ।
  • পালিয়ে বিয়ে করা —– threshold voltage / knee voltage (0.7/0.3 volt)।

 

মেটালসেমিকন্ডাক্টর যুগল

 

সেমিকন্ডাক্টর আর মেটাল যুগলের কাহিনী অনেকটা ঐ রকমই। তবে এক্ষেত্রে তফাৎ হচ্ছে মেটাল ভাইয়ার ফ্যামিলিতে বাধা দেয়ার কেউ নেই। মেটাল ভাইয়ার পছন্দই ফ্যামিলির পছন্দ।

 

অপরদিকে এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর আপুর ফ্যামিলি রাজি নয়। তারা মেটাল ভাইয়ার (ইলেকট্রনের) সাথে সেমিকন্ডাক্টর আপুর হোলের মিলন ঘটতে বাধা প্রদান করে। এন-টাইপ আপুর ফ্যামিলি বলতে বুঝানো হয়েছে তার ম্যাজোরিটি ক্যারিয়ার ইলেকট্রনকে যারা সেমিকন্ডাক্টর আপুর হোলকে আকর্ষণ করে তাকে মেটাল ভাইয়ার ইলেকট্রনের দিকে ধাবিত হতে দেয়না।

 

তবে এক্ষেত্রে যেহেতু এক পক্ষের ফ্যামিলি রাজি আছে তাই তাদের মিলনে কিন্তু ওতটা বাধা নেই যেমনটি পি-টাইপ এবং এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর যুগলের ছিল। অবশেষে এন-টাইপ আপুর হোল এবং মেটাল ভাইয়ের ইলেকট্রন মিলিত হতে পারে। আর সেমিকন্ডাক্টর এবং মেটাল লেয়ারের সংযোগে যে ডায়োড তৈরি হয় তাকে বলা হয় Schottky Diode (শটকি ডায়োড)।

মেটাল-সেমিকন্ডাক্টর এর প্রেম কাহিনী

মেটাল-সেমিকন্ডাক্টর জাংশন

 

ডায়োডটির এরুপ নামকরণের কারণ

 

Schottky Diode নামটি জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ওয়াল্টার এইচ শটকির নামের সাথে সামঞ্জস্যতা রেখেই নির্ধারণ করা হয়। এছাড়াও এটি শটকি বাধা ডায়োড বা হট ক্যারিয়ার ডায়োড নামে পরিচিত।

 

Schottky Diode এর কিছু বৈশিষ্ট্য

 

  • এই ডায়োডের সুইচিং স্পীড বেশি।
  • ডায়োডটির টার্ন অন ভোল্টেজ ০.২ ভোল্ট।
  • শটকি ডায়োডের রিভার্স রিকোভারি টাইম খুবই অল্প।

 

রিভার্স রিকোভারি টাইম কাকে বলে?

 

কোন ডিভাইস টার্ন অফ অবস্থা থেকে টার্ন অন হতে যে সময় লাগে তাকে বলা হয় রিভার্স রিকোভারি টাইম। রিভার্স রিকোভারি টাইম যত কম হবে সুইচিং স্পীড তত বেশি হবে। রিভার্স রিকোভারি টাইম যত বেশি হবে সুইচিং স্পীড তত কম হবে। এখানে সুইচিং স্পীড বলতে অফ থেকে অন হওয়ার দ্রুততাকে বুঝাচ্ছে।

 

রেক্টিফায়িং ডায়োড এবং শটকি ডায়োডের পার্থক্য

 

  • রেক্টিফায়িং ডায়োডের টার্ন অন ভোল্টেজ ০.৩ ভোল্ট (জার্মেনিয়াম) এবং ০.৭ ভোল্ট (সিলিকন)। পক্ষান্তরে শটকি ডায়োডের টার্ন অন ভোল্টেজ ০.২/০.১ ভোল্ট
  • টার্ন অন ভোল্টেজ কম হওয়ায় শটকি ডায়োডের সুইচিং স্পীড রেক্টিফায়িং ডায়োডের তুলনায় অনেক বেশি।
  • রেক্টিফায়িং ডায়োডের রিভার্স রিকোভারি টাইম বেশি, শটকি ডায়োডের রিভার্স রিকোভারি টাইম খুব ই কম।

 

লেখকঃ মোঃ আব্দুল্লা-আল-মামুন রুপম

ইন্সট্রাকটর, ইলেকট্রিক্যাল

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

 

সফলতা কোন স্বপ্ন নয় (Success is not a dream)

সফলতা কোন স্বপ্ন নয় (Success is not a dream)

আসরের নামাজ শেষে বিকেলের খেলার মাঠে প্রাচীর টার উপরে গিয়ে বসলাম মহল্লার বাচ্চাদের খেলা দেখতে। একটু দুরেই বসে ছিলো আমার বড় চাচার সদ্য এসএসএসি পাস করা নাতী। দূর হতেই বুঝা যাচ্ছে বেশ মন খারাপ তার। সামনে দিয়ে চলা ভাজা ওয়ালাকে ডেকে দুটো ঠোংগায় ভাজা দিতে বললাম। সাদিক, বড় চাচার নাতীর নাম। সাদিক কে ডেকে ইশারা করলাম আমার কাছে আসতে । ছেলেটিকে সবসময় খুব কাছে থেকে দেখছি। ইশারা করায় সাদিক কাছে এসে বসলো। স্বভাবতই আমাকে সালাম দিয়ে কুশল জিজ্ঞাসা করলো। আমাকে সে অনেকটা এল্ডার ফ্রেন্ড হিসেবেই মানে। ছোট খাটো সমস্যা কিংবা বড় সমস্যা প্রায়শই আমার কাছে এসে শেয়ার করে। বিশেষ করে যখন রাতে ছাদে যাই এই বধ্য শহরের ব্যাস্ততা ছাড়িয়ে একটু তারা ভরা আকাশের কাছাকাছি হতে তখন সাদিক কিভাবে যেন টের পেয়ে আমার পিছু পিছু চলে আসে। যাইহোক আমার পাশে বসায় আমি তার দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হেসে মাথার চুল গুলোই হাত বুলিয়ে বললাম “কি রে মন খারাপ কেন ? বাসায় ঝামেলা বাধাইছিস ? নাকি খেলতে এসে বন্ধুদের সাথে ঝগড়া করেছিস?” সাদিক একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো “ আর বলোনা ছোট চাচা, জানো আমি না সব কিছুতেই ব্যর্থ। আমাকে দিয়ে আসলে কি কাজ টা হবে বুঝিনা। এই ধরো লেখাপড়া বলো কিংবা খেলাধুলা সব কিছুতেই কেন জানি আমার ভালো কিছুই হয়ে উঠেনা। আসলে আমি কোন কাজেরই না।“ আমি আবারো মুচকি হেসে বললাম “ কে বলেছে তুই সফল না? ভেবে দেখ তুই যাইই করেছিস তুই তোর সর্বোচ্চ টুকু দিয়েই করেছিস। তোর চেষ্টা আর পরিশ্রম ছিলো সাধ্যমত আর বাকিটা ভাগ্য। “ সাদিক তখন আবার মন খারাপ করে বললো “ আচ্ছা তাহলে তুমি বলছো যে আমার ভাগ্য তেমন সায় দেয়নি তাইতো?” আমি বললাম “ উহু-না, সব যে ভাগ্যের পরিহাস তা বলবোনা, কিছুটা তোর অবচেতন মনের গাফিলতিটাও দায়ী যা ঠিক করতে তোকে আরো আত্ববিশ্বাসের সাথে সঠিক কৌশলে পরিশ্রম করতে হবে। “ সাদিক বললো, “ বুঝলাম, কিন্তু খেয়াল করে দেখো আমার জীবনে সফলতার চেয়ে ব্যার্থতাই বেশি। এইযে দেখো, আমার এসএসসির রেজাল্ট টা কিভাবে যেন এ+ ছুটে গেলো। এখন আমার এই ব্যার্থতাটাও আমার লাইফে যোগ হয়ে গেলো সব সময়ের জন্য। আমি এখন কোথায় ভর্তি হবো বা আমার লক্ষ্যটা কি হবে তা জানিনা। খুব হতাশ লাগছে। আর খেলাধুলায় দেখো, কোন দিন জিততে পারলাম না কোন প্রাইজ। স্কুল সাইন্স প্রজেক্টে অংশ নিয়েও কোন সুবিধা করতে পারলাম না। আমার সফলতাটা আসলে কোথায়?” আমি সাদিকের দিকে ঝালমুড়ির ঠোংগাটা বাড়িয়ে দিতে দিতে বললাম “ তুই কিন্তু এই মাত্র সফল হইলি আবারো। বিষয়টা আমি পরে বুঝিয়ে বলছি। তার আগে বলতো সুযোগ আর ভাগ্য বলতে কি বুঝিস?” সাদিক, “ এখন মাথায় কিছু আসছেনা তুমিই বুঝিয়ে বলো।“ আচ্ছা তাহলে আমি ব্যাখ্যা করি তুই মন দিয়ে চুপ করে ঝাল মুড়ি খা আর শোন।

মনেকর আজ খুব বৃষ্টি হয়েছে। এতো বৃষ্টি হয়েছে যে বাসার সামনে ভালোই কাঁদা পানি জমেছে। স্বাভাবিকভাবে সেখানে ইট ফাঁকা-ফাঁকা করে রাখা আছে যেন একটা ইট থেকে আরেকটা ইট এ ধাপ ফেলে-ফেলে কাঁদা পানিটুকু পার হওয়া যায়। এখন তুই সেই কাঁদা পানিটুকু পার হতে সভাবতই প্রথমে একটা ইটে পা রেখে পরের ইটে ধাপ ফেলে যাবি, তাইনা? এই যে একটা ইটের পর আরেকটা ইটে সিরিয়ালি সিকোয়েন্স মেনে একটা একটা করে ইট সফল ভাবে পার হচ্ছিস এটা হলো সুযোগ। সুযোগ সঠিক বুদ্ধির সাথে সঠিক পরিশ্রমে একের পর এক আসবে আর তা সুকৌশলে গ্রহণ করতে হবে তাহলে লক্ষ্যে পৌছানো যাবে। এই সুযোগ ব্যাবহার করে লক্ষ্যে পৌছানো যাবে কিন্তু অনেক পরিশ্রম সঠিক সিদ্ধান্ত ও অভিজ্ঞতা দিয়েই সময় সাপেক্ষে তা অর্জন হবে। তাহলে সুযোগ হচ্ছে তা যা সময়ের সাথে-সাথে সিকোয়েন্স অনুসারে একের পর এক আসবে। সুযোগ ধনাত্বক, এর ঋনাত্বক রুপ নাই। তাহলে ভাগ্য কি? তাইতো? ভাগ্য হলো অনাকাঙ্ক্ষিত সুযোগ যা ধনাত্বক অথবা ঋনাত্বক হতে পারে। এখন মনে কর তুই সিকোয়েন্স অনুসারে সুযোগ পেয়েই যাচ্ছিস আর তা সফল ভাবে একের পর এক ইট এর ধাপ গুলো পার করছিস। হঠাৎ তুই খুব সাহস আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে দিলি এক লাফ যার ফলে গিয়ে পৌছুলি শেষ স্থানে কিংবা মাঝের কয়েকটা ইট গ্যাপ দিয়ে দু তিনটা ইট পার করে আরেকটা ইটে ধাপ রাখলি। এটা হলো ভাগ্য, যাকে পজিটিভ ভাগ্য বলে। যদি কোন কারনে পা ফোসকে পানিতে পরতি তাহলে হতো ঋনাত্বক ভাগ্য। অর্থাৎ, ভাগ্যের কারনে ঠিকই সুযোগ ওভার টেক করতি কিন্তু পানিতে পরে যাওয়ায় তা কার্যকরি ফল হয়নি। তখন নিজ থেকেই বলে উঠতি ধুর ভাগ্য খারাপ তাই পানিতে পরলাম। আর যায়গা মত পৌছালে বলতি ভাগ্য ভালো তাই পানিতে পরিনি কিন্তু যায়গামত পৌছিয়েছি। দুটো অবস্থাই কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাপ্তি। আবার এমনও হতে পারে ইটের ধাপ পার হওয়ার সময় কেউ এসে তোকে কাঁধে তুলে নিয়ে পার করে দিলো যা কিন্তু ইটের ধাপ গুলোর সুযোগ কে ওভার টেক করে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাপ্তি। সমাজে এই প্রাপ্তিটা একটু বেশিই পরিলক্ষিত হয় যাদের ক্ষমতা আছে। ঠিক একই ব্যাক্তি যদি কাঁধে নিয়ে পার করার সময় স্লিপ করে পরে যায় আর দুজনাই যদি কাঁদা পানিতে মাখামাখি হয়ে যায় তাহলে ঋনাত্বক ভাগ্য প্রাপ্তি। যাইহোক, এই ইটের ধাপ কিংবা ব্যাক্তির সাহায্য শুধু মাত্র রুপক মাত্র যা জীবনের এগিয়ে চলার পথকে নির্দেশ করেছি। এখন বিষয় হলো মানুষ সুযোগ পায় নিয়োমিত কিন্তু তা সঠিক সময় উপোযোগী সিদ্ধান্ত ও সঠিক কৌশলে পরিশ্রম করে প্রাপ্তি নিতে দ্বিধা করে। সবাই শুধু ভাগ্য প্রাপ্তিতে চেয়ে থাকে এই জন্য সমাজে ধনাত্বক প্রাপ্তি আর ঋনাত্বিক প্রাপ্তির এত হায় হতাশা। এখন বলি একটা অস্বীকৃত সফলতার কথা। সাদিক তুই কি জানিস যে মানুষের সফলতার হার তার ব্যার্থতার চেয়েও বেশি! …………… সাদিক, “কি বলো ভাইয়া! কিন্তু কিভাবে?”
ছোট বেলা থেকেই আমরা প্রতিটা ক্ষেত্রেই ছোট-ছোট সাফল্য পেয়েছি যা আমাদের বড় প্রাপ্তি দিয়ে এসেছে। কিন্তু আমরা এই ছোট-ছোট সফলতা গুলো চাহিদা, লোভ কিংবা অতিকাঙ্খার জন্য ঢেকে যায়। যেমন আমরা ছোট-ছোট প্রতিটা পদ ধাপ দিয়েই একটা রাস্তা কিংবা লক্ষ্যে পৌছাই। একটা রোবট যখন চলতে থাকে তখন যদি এই ধাপ গুলো প্রতিটা নজর রাখতো তাহলে তার প্রতি ধাপের সফল প্রোগ্রামিং এর জন্য সাকসেস সাকসেস এই আউটপুট দিতো। ঠিক এই রকম আমরা মানুষ জীবনে কতবার সফল ধাপ ফেলেছি বলতে পারবে কেউ? আবার আমরা কতবার সফল ভাবে খাদ্য গ্রহণ, ঘুমানো, জাগ্রত হওয়া, কথা বলা, শোনা ও হাসি আনন্দের প্রকাশ ইত্যাদি সফল ভাবে প্রকাশ করেছি তার কোন হিসেব নেই। এই গুলো সফলতা প্রাপ্তি আমরা খুব নগণ্য করে দেখি, কিন্তু এই প্রাপ্তি সফলতা গুলোই আমাদের বড় বড় প্রাপ্তি যোগ করে। একটু আগে সাদিক তুই নিজেই তো সফল ভাবে ঝালমুড়ির ঠোংগাটা হস্তগত করেছিস। বড় বড় সফলতা পেতে ছোট-ছোট সফলতা গুলোকেও মূল্যায়ন করা শিখতে হবে, অনুধাবন করতে হবে, উপভোগ করতে হবে। একটা ব্যার্থতার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত কত হাজার হাজার সফল চলাচল ভাবনা কিংবা মুহূর্ত যায় তার কেউ হিসেব রাখেনা। ব্যার্থতা তো শুধু এই হাজারো কোটি সফলতার গল্পের ছোট্ট একটা মুহূর্ত যা আমরা বেশি প্রায়রিটি দেই। ব্যার্থতা একটা ঘটনার মুহুর্ত ছাড়া কিছুই নয়। আমাদের সাফল্যতাকে মূল্যায়ন করা শিখতে হবে। একটা দৌড় খেলা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অসংখ্য সফলতা থাকে যার মধ্যে প্রতিটা সুযোগ সিকোয়েন্স অনুসারে সফলভাবে দেহ মন সম্পাদন করে। আর দৌড় এর সেই ফাইনাল লাইন টা হলো লক্ষ্য বা ভবিষ্যৎ যা সবারই স্বপ্ন, লাইনটি না ছোঁয়া পর্যন্ত তা বাস্তব নয়। লাইনটি ছোঁয়ার পর সেই স্বপ্ন আর স্বপ্ন থাকে না, তা হয়ে যায় সফল বাস্তবতা। আর এই বাস্তবতায় আমরা সবাই পৌছাই কোন না কোন ভাবে। হয় সঠিক সময় উপযোগী সুযোগ পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতা প্রাপ্তিতে আর নয়তো ভাগ্য। হ্যাঁ, ভাগ্য তা তো ধনাত্বক কিংবা ঋনাত্বকও হতেই পারে। তাই ভাগ্য দুরের কথা তার দিকে তাকিয়ে পিছিয়ে পরলে চলবেনা, “সুযোগ” যা বর্তমান সিকোয়েন্স মেনে আসবে সঠিক সময়ের সঠিক সিদ্ধান্তে সঠিক কৌশলী পরিশ্রমে, আর এটাই সফলতা। সাদিক এতক্ষণে মনোযোগ দিয়ে সবকথা চুপ করে শুনছিলো, তার মুখের অভিবাক্তি দেখে মনেহলো সে তার উত্তরটি পেয়ে গেছে । দূরে মাগরিবের আযান শোনা যাচ্ছে আমি বললাম চল এতক্ষণ অনেক কথা হল এবার আমরা পরকালের সাফলতার জন্য কিছু এবাদত করে আসি।

কপি রাইটঃ এস. এম. রাজিব আহম্মেদ
ইন্সট্রাকটর, কম্পিউটার টেকনোলজি
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

সামুদ্রিক ভেজিটেবিল “NORI”

সামুদ্রিক ভেজিটেবিল “NORI”

“NORI”-একটি সামুদ্রিক ভেজিটেবিল । এই ভেজিটেবিল ব্যবহার করা হয় জাপানি কুইজিন এ i Nori Sheets হচ্ছে শুকনা প্রেস এন্ড থিন শিট,যা জাপানে চাষ করা হয়। Nori sheet Sushi এবং Onigiri এর  Wrapper হিসেবে ব্যবহার করা হয়। Nori-কে আমরা সামুদ্রিক স্নাক্স হিসেবে ও গণ্য করতে পারি ।

Nori ভেজিটেবিল সম্পর্কে মূলত: জানা যায় অষ্টম সেঞ্চুরিতে।Asakusa- তে 1750 সালে কমন ফুড হিসেবে জানা যায় Nori ভেজিটেবিল  কে ।ব্রিটিশ ফিজিওলজিস্ট “Kathleen Mary Drew-Baker” রিসার্চ-এ Nori ভেজিটেবিল কমার্শিয়াল চাষ উদ্ভাবিত করেন । তাকে এখনো জাপানিজ Nori ইন্ড্রাস্ট্রিতে স্মরণ করা হয় শ্রদ্ধা ভরে।I950 সালের মাঝে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান Nori বীজ উৎপন্ন করার টেকনিক উদ্ভাবন করে। আগে Nori ভেজিটেবল রোদের তাপে শুকানো হত এবং আধুনিক প্রযুক্তিতে বর্তমানে মেশিনের মাধ্যমে শুকানো হয় । ২০২১ সালের ফুকুশিমার পারমাণবিক দুর্যোগ এর পর লার্জ স্কেল এ Nori প্রোডাকশন শুরু হয় । জাপানে সমুদ্র পারে Nori ভেজিটেবিল এর প্রোডাকশন এবং প্রসেসিং করা হয় I বীজ বপন করা হয় সাধারণত Fall এবং Winter এর মাঝে । স্প্রিং এ যখন চারা সাধারণত ২০ সেন্টিমিটার হয় তখন ফসল কাটা হয় ।কমার্শিয়াল ভাবে কাটার জন্য মেকানিক্যাল হারভেস্টিং বোর্ড আছে যার দ্বারা ফসল কাটা হয় , এর পর ওয়াশ করা হয় রোটাটিং ওয়াশিং মেশিনের মাধ্যমে প্রসেসিং ফ্যাক্টরিতে । এরপর স্মুথ টেক্সচার তৈরি করা হয়। এর ভেতর ডাস্ট থাকলে তা সরানো হয় ।

এরপর আবার পরিষ্কার করা হয় Nori ভেজিটেবিল কে I তারপর গ্রাইন্ডার মেশিন দিয়ে ছোট ছোট করে কাটা হয় তারপর সেটাকে অটোমেটিকালি drainboard এ নিয়ে পিস পিস করা হয় ,এরপর লাইট ব্যবহারের মাধ্যমে Nori সিটের স্বচ্ছতা চেক করা হয় সবদিক এক রকম আছে কিনা এরপর স্পিন ড্রাইং এবং এয়ার ডায়িং করা হয় ।

এরপর ফরম্যাট করা হয় শিট কে এবং তা কম্পিউটারের মাধ্যমে চেক করা হয় । ফাইনাল প্রোডাক্ট তৈরি হলে একটা একটা করে দশ পিস একত্রে ব্যান্ডেল তৈরি করে বেল্ট দিয়ে টাইট করে বাধা হয় , তারপর প্যাকেজিং করা হয় । জাপান ছাড়াও Nori sheet তৈরি করা হয় চীন ও কোরিয়াতে।

Nori sheet ছাড়াও পাওয়া যায় Nori flakes ও Nori pisces. স্বাস্থ্যগত দিক থেকে Nori ভেজিটেবিল এ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল আছে I যেমন – পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ,সোডিয়াম এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে I পুষ্টির দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে
গেলে উঁচু মানের প্রোটিন এবং ফাইবার রয়েছে , ফ্যাটের দিক থেকে রয়েছে low ফ্যাট I ফ্রেশ এবং শুকনা Nori দুটোতেই প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে।টোস্টেড Nori তে কিছুটা কম আয়রন থাকে । Nori তে আছে বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন A,B,C,D,E এবং K . Nori Sheet হচ্ছে আয়োডিনের উৎস । বলা হয় দিনে দুইটা সিট গ্রহণ ডাক্তারের থেকে দূরে রাখে।

Nori Sheet ট্রাডিশনালি ব্যবহার করা হয় সাধারণত Sushi এবং onigiri তে wrapper হিসেবে। এছাড়া সালাদ, সুপ ,রাইস বল , ফিশ টেরিন ,চিকেন টেরিন ইত্যাদি I এছাড়া আরো অনেক ফুড এ ব্যবহার হয় ।

 

লেখক,
মমতা হেনা সিদ্দিকা
সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর,
ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেণ্ট
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সিটিউট 

হাইপার থ্রেডিং / Hyper-threading

হাইপার থ্রেডিং / Hyper-threading

হাইপার থ্রেডিং মূলত, ইন্টেল এর তৈরি একটি প্রযুক্তি ,  যার সাহায্যে প্রসেসর  এর কোর এর ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব, যার ফলে কাজে গতি আরো বৃদ্ধি পায়।

হাইপার থ্রেড , এর মাধ্যমে প্রসেসর এর প্রতিটি কোরে একাধিক থ্রেড ব্যবহার করা সম্ভব হয়। প্রসেসর এর যত বেশি থ্রেড তত বেশি কার্যক্ষমতা।

এটি মূলত তৈরি করা হয়েছে কম্পিউটার প্রসেসর এর কোর এর স্পিড বা কার্যক্ষমতা কে আরো দ্বিগুন করতে।

 

Hyper-Threading Technology এর সাহায্যে প্রসেসর এর অবস্থিত ফিজিক্যাল কোরকে , কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে লজিক্যাল কোরে রুপন্তর করে।

কম্পিউটারে একটি কোয়াড কোর প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে, একটি কোয়াড কোর প্রসেসর এ ৪টি ফিজিক্যাল কোর বা সিপিউ  ইউনিট থাকে।

এখন এই Hyper-Threading Technology ওই চারটি কোর এর কার্যক্ষমতা দ্বিগুন করে, ৮টি লজিক্যাল কোরে রুপান্তর করবে। যাতে আরো বেশি পরিমান মালিটাস্কিং সম্ভব।

৮টি কোর তৈরি করলে,কোয়াড কোর প্রসেসর অনেকটা অক্টাকোর প্রসেসর এর মতো কাজ করবে।

 

হাইপারথ্রেডিং কীভাবে কাজ করে?

 

কম্পিউটার অন করার পরে, যখন Intel Hyper Threading প্রযুক্তিটি এক্টিভ হয় তখন প্রসেসর এর এর প্রতিটি ফিজিক্যাল কোর কে,হাইপার থ্রেড প্রযুক্তির মাধ্যমে  দুটি লজিক্যাল কোরে রুপান্তরিত করা হয়।

এর মানে, কম্পিউটার এর ফিজিক্যাল কোর গুলো এখন দুটি লজিক্যাল কোর এর ন্যায় কাজ ,করবে এবং ওই কোর গুলো বিভিন্ন থ্রেড গুলো প্রসেস করতে পারবে।

কম্পিউটার আর্কিটেকচারে, মাল্টিথ্রেডিং হলো এমন একটি প্রযুক্তি:

 

যার সাহায্যে ,কম্পিউটারের প্রসেসর এর কোন একটি নিদিষ্ট কোর (Core) কে, অনেক বড় একটি কাজের চাপ দেওয়ার পরিবর্তে, ওই কাজটিকে ছোট ছোট থ্রেডে বিভক্ত করে।

ওই থ্রেড গুলোকে সিপিউর বিভিন্ন কোর দ্বারা (Prallel) বা সমান্তরাল ভাবে কাজটি তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করার নামই মাল্টিথ্রেডিং (Multi threading)।

 

সহজ ভাষায়, বলতে গেলে, মাল্টি থ্রেডিং হলো এমন একটি পক্রিয়া যার সাহায্যে কোন প্রসেস কে অনেক দ্রুত সম্পূর্ন করার জন্য ওই প্রসেস কে ,ছোট ছোট কিছু থ্রেডে বিভক্ত করে প্রসেসর এর বিভিন্ন কোর এর সাহায্যে প্রসেসিং সম্পন্ন করা ।

একটি উদাহরণ যদি দেখি, ধরুন আপনি আপনার কম্পিউটারে কোন একটি পোগ্রাম বা সফটওয়্যার ওপেন করলেন।

ধরুন, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এখন এই প্রসেসটিকে আরো দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য , আপনার প্রসেসর, ওই কাজটিকে কিছু ভাগে ভাগ করে দিবে , ওই ভাগ গুলোর নাম হলো থ্রেড।

ওই থ্রেড গুলো প্রসেসর এর বিভিন্ন কোর এর সাহায্যে, প্রসেস হবে  ,এবং মাইক্রোসফটওয়ার্ড প্রোগ্রামটি ওপেন হবে।

এখন এই প্রোগ্রামটি যদি, শুধু মাত্র একটি  কোর (Core) এর সাহায্যে প্রসেস হয়, তাহলে অবশ্যই বেশি সময় নিবে কিন্তু মাল্টিথ্রেডিং প্রক্রিয়ায় ওই কাজটিকে ভাগ করে অনান্য  কোর এর সাহায্যে প্রসেস করে নেয়। এর ফলে  কাজের গতি বেশি হয় এবং সময় বাচেঁ।

 

 

মাল্টিথ্রেডিং এর সুবিধা

 

সব থেকে বড় সুবিধা হলো , এটির সাহায্যে প্রসেসিং সময় কম নেয়।

অনেক দ্রুত, মাল্টি টাস্ককিং সম্পন্ন করা সম্ভব।

সব কোর গুলোর, সঠিক ব্যবহার করা সম্ভব।

প্রসেসিং সময় কমিয়ে, কাজের স্পিড বৃদ্ধি করে।

 

কিভাবে হাইপার থ্রেডিং এনেবল করবো?

 

হাইপার থ্রেডিং অপশনটি, By Default সেট করা থাকে।কষ্ট করে সেট করে দিতে হবে না।

কম্পিউটার এর Bios মেনুতে গিয়ে,  “Hyper-Threading Technology” “Enable” or “Disable”  আমার রিকোমন্ডে করবে, এটি সব সময় Enable করে রাখতে হবে.

যেহেতু এই Hyer Therading প্রক্রিয়াটি ইন্টেল এর ডেভলপ কৃত প্রযুক্তি তাই ,

এই হাইপার থ্রেডিং প্রযুক্তি শুধু মাত্র ইন্টেল প্রসেসর এ ব্যবহার করা হয়। এমডি প্রসেসর এ ,এই প্রযুক্তিটি নেই।

আর ইন্টেল এর, এই হাইপার থ্রেডিং প্রযুক্তির জন্যই,  এটি অনেক জনপ্রিয়।

হাইপার থ্রেডিং এর সুবিধা:

হাইপার থ্রেডিং  এর সাহায্যে  কম্পিউটার কম সময়ে অনেক বেশি ডাটা প্রসেস করতে পারে।

কোন রকম বাধা ছাড়াই, ব্যাকগ্রাউন্ড এর সকল টাস্ক পুরোকরতে সক্ষম।

এটি কম্পিউটার এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্যে করে। সিপিউ এর কোর এর ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্যে করে।

এর সাহায্যে মাল্টি টাস্কিং করা সম্ভব।

 

মাল্টি থ্রেডিং এবং হাইপার থ্রেডিং এর মধ্যেকার পার্থক্য:

 

মাল্টি থ্রেডিং এর উদ্দেশ্যে হলো, কোন একটি কাজ কে অনেক দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য, সেই কাজকে অনেক গুলো ,

ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করে, ওই কাজ গুলো , প্রসেসর এর বিভিন্ন কোর এর মাধ্যমে ভাগ করে দেওয়া। যাতে কাজ অনেক দ্রুত সম্পন্ন হয়।

আর হাইপার থ্রেডিং এর প্রধান উদ্দেশ্যে হলো; প্রসেসর এর কোর এর ক্ষমতা দ্বিগুন করা। ফিজিক্যাল কোর কে দ্বিগুন লজিক্যাল কোরে রুপান্তর করা, যাতে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

মাল্টি থ্রেডিং এর মাধ্যমে, সিপিউ এর প্রতি কোরের , সঠিক ব্যবহার করা সম্ভব।

যাতে কোন কোর, অলস সময় কাটাতে না পারে।

হাইপার থ্রেডিং , এর সাহায্যে শুধু , সিপিউ এর কোর, এর ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব,  কোর গুলোর প্রতিটির , সঠিক ব্যবহার করা সম্ভব নয়।

*দুটোর প্রধান উদ্দেশ্যেই হলো,  কম্পিউটার এর  কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

*কিন্তু মাল্টি থ্রেডিং এর থেকে, হাইপার থ্রেডিং বেশি কার্যকরি।  যেহেতু, এটি সিপিউ এর কোর এর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

 

Writer,

Soma Rani Das

Instructor, Computer Technology

Daffodil Polytechnic Institute