Doric Order Characteristics

Doric Order Characteristics

Architectural styles flourished from ages from the very ancient time and Doric Order is considered as the first stone style architecture invented by the ancient Greeks. Before that most of the construction of Greek Architecture was based on wooden materials. This order was the foundation of inventing other orders like the Ionic Order and Corinthian Order. We know in the case of architectural styles nothing vanished, and often improvised and compromise with the newer architectural styles.

Here together we are going to explore some notable characteristics of the Doric Order.

Doric Order Characteristics
Doric Order Characteristics

Characteristics of Doric Order

Base: Doric Order had no base for its column. Instead of the base, the column was constructed directly on the pavement and that was known as the Stylobate.

Use of Fluted Column: The use of fluted columns was very common in the buildings of the Doric Order. That was the reason for the unique calculated and aesthetic design of this order.

Doric Order Characteristics
Doric Order Characteristics

Capital: The capital of the Doric Order was simple. This order used the abacus, necking, and echinus with no decorative form.

Use of Tapered Shaft: Doric Order used the shafts which were wider in the bottom and gradually became narrower towards the top. For this reason, the diameter of the columns also gradually decreases from the bottom to the top.

Use of Entablature: At the top of the column this order used the Entablature which consisted of multiple parts. In this case, also unlike the capital, the entablatures were simple but unique. This was different from the other orders in terms of design and decorative form.

Simple Architrave: Entablature was begun from the Architrave. It was constructed on the top of the capital. Like other components, architraves were also simple in this order.

Use of Cornice: Cornices were built in the upper part of the frieze which supported the ceiling.

From the above discussion, we can conclude that the Doric Order was mostly simple in its design and the use of decorative forms. The most interesting fact is that this order was the first building style where the Greeks started using stone in construction and changed the history of design and building.

Author

Md Asaduzzaman Russel

AIDT & Civil Technology

Daffodil Polytechnic Institute

সাব-স্টেশনের গোপন কথা

সাব-স্টেশনের গোপন কথা

সাবস্টেশন নিয়ে মনের মাঝে অনেক প্রশ্নই জাগ্রত হয় কিন্তু আজকে সাবস্টেশন এই বিষয়টি নিয়ে দুটি প্রশ্নের সমাধান খোঁজার চেষ্টা করব। প্রথম টি  হল, ৫০ কেজি ওজনের কম ব্যক্তি কেন সাবস্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না? দ্বিতীয় টি হল, স্টেপ এবং টাচ পটেনশিয়াল কি ? এটি সাবস্টেশন এ কি প্রভাব ফেলে ।চলুন একটি একটি করে সমাধান করা যাক।

৫০ কেজি ওজনের কম ব্যক্তি কেন সাবস্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না?

ক্যাপাসিটিভ ডিসচার্জ কারেন্ট

বাস্তবিকভাবে ২০-২৫ ফুট দূর থেকে বিদ্যুৎ কখনো টেনে নিয়ে যায়না। তবে হাই ভোল্টেজের জন্য ক্যাপাসিটিভ কারেন্ট ডিসচার্জ হতে পারে। কারণ মানবদেহ মাংসল এবং ফাপা। তাই হাই ভোল্টেজে মানবদেহ ক্যাপাসিটরের ন্যায় কাজ করে।এবার আসা যাক মূল প্রশ্নে। আসলে ৫০ কেজির কম ব্যক্তির সাবস্টেশনে প্রবেশ অনুচিত এই নিয়মটি IEEE কর্তৃক প্রকাশ করা হয়। আমরা জানি, IB = k/ts এখানে, IB হল বডি কারেন্ট, k হল কনস্ট্যান্ট, আর t হল ঐ ব্যক্তির উপর প্রভাব বিস্তার করতে কারেন্টের যতটুকু সময় লাগে।আর অন্য দিকে, k = SB

কার্ডিয়াক এরেস্টের ঝুঁকি

এখানে SB হল shocking probability of body। এসি কারেন্ট মানবদেহের জন্য বিপদজ্জনক এসি কারেন্ট বিপদ্দজনক হবার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হল, রোধের উপর এসির তেমন প্রতিক্রিয়া নেই।তাই এসি কারেন্ট মানুষ বা যেকোন প্রাণীর হৃদপিন্ড প্রভাব বিস্তার করে কার্ডিয়াক এরেস্ট ঘটাতে পারে। এসি মানেই ছন্দময়ী কারেন্ট। অর্থাৎ কখনো পজিটিভ সাইকেল আবার কখনো নেগেটিভ সাইকেল। এই ছন্দময়তা হার্ট টিস্যু সহ্য করতে পারেনা। যার দরুণ হার্টবিট নরমালের তুলনায় অনেক বেড়ে যায় এবং হৃদপিন্ড ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

গবেষণা অনুসারে একজন, ৫০ কেজি ওজন বিশিষ্ট ব্যক্তি উচ্চ ভোল্টেজে অবস্থান করলে তার ক্যাপাসিটিভ ডিসচার্জ বডি কারেন্ট ১১৬ মিলি এম্পিয়ার হয়ে থাকে আর এটি ৩ সেকেন্ডেই তার দেহে প্রভাববিস্তার শুরু করতে সক্ষম। তাই এই পরিমাণ কারেন্ট তার জন্য বেশ মরণঘাতী হতে পারে। মূলত এই কারণেই ৫০ কেজির কম ব্যক্তিদের সাবস্টেশনে প্রবেশ নিষেধ। আর এই ওজন দিয়ে মূলত প্রবেশকারী ব্যক্তিটি কি প্রাপ্তবয়স্ক কিনা তা বুঝানো হচ্ছে।

স্টেপ এবং টাচ পটেনশিয়াল কি ? এটি সাবস্টেশন এ কি প্রভাব ফেলে ?

স্টেপ এবং টাচ পটেনশিয়াল কি ?

যারা সাবস্টেশনে জব করেন এটা তাদের কাছে খুবই সুপরিচিত শব্দ। এই দুটি পটেনশিয়াল এর দরুণ কারো মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এই টেকনিক্যাল বিষয় গুলো অনেকের জানা না থাকায় অহরহ দূর্ঘটনা ঘটেই চলছে। যারা সাবস্টেশনে জব করেন তারাই ভাল জানেন যে, এটা যেকোন সময় কত বড় জম হয়ে দাড়াতে পারে। যখন সাবস্টেশনে ফল্ট দেখা দেয় কিংবা খুব বড়সড় স্পার্কিং শুরু হয় তখন না জানার কারণে অনেকেই সেখানে বিনা দ্বিধায় বিচরণ করে থাকেন। এটা মোটেও উচিত নয়।

এমতবস্থায় কাছে না ১০ মিটার দূরে থাকলেও আপনি ঢলে পড়তে পারেন মৃত্যুর কোলে। কারণ সাবস্টেশন গ্রাউন্ডিং বা আর্থিং ফল্ট কিংবা লিকেজ এর কারণে সেখানে বিশাল ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হতে পারে। এসময় ১০ মিটার রেঞ্জ পর্যন্ত এরিয়া বিদ্যুতায়িত হবার প্রবল সম্ভবনা থাকে। এমতবস্থায় আপনি যদি রেঞ্জের ভেতরে থাকেন তাহলে আপনার দুই পা সেক্ষেত্রে ইলেক্ট্রোড/পরিবাহীর এর ন্যায় আচরণ করবে। আর দুই পায়ের মধ্যে যে ভোল্টেজ পার্থক্য তৈরি হবে তাকে বলা হচ্ছে স্টেপ পটেনশিয়াল। সরলভাবে বললে দুই পায়ের মধ্যে বিভব পার্থক্য। আবার আপনি ঐ সময় যদি ডিভাইস স্পর্শ করে ফেলেন তখন আপনার হাত & পায়ের মধ্যবর্তী স্থানে ভোল্টেজ সৃষ্টি হবে। যাকে বলা হয় টাচ পটেনশিয়াল। শুধুমাত্র সাবস্টেশন নয়। আবাসিক এলাকায় ইলেকট্রিক্যাল টাওয়ার ফল্ট কিংবা ছিড়ে পড়া তার থেকেও আপনি এটার শিকার হতে পারেন।

 

স্টেপ এবং টাচ পটেনশিয়াল এর থেকে বাচার উপায় কি?

যদি কোন কারণে আপনি সেই রেঞ্জ বা পাল্লায় থাকেন ও তারপরেও নিজেকে রক্ষা করতে পারেন শুধুমাত্র bunny jump এর সাহায্যে।

Bunny Jump কি?

এটার বাংলা হল খরগোশের ন্যায় লাফানো। এমনভাবে লাফিয়ে রেঞ্জের বাইরে যেতে হবে যেন পা & হাত ভূমি / সাবস্টেশন fault/affected area পুরোপুরি স্পর্শ না করে। নাহলে touch & step potential আপনার মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

পরিশেষে বলতে চাই যে, কেউ সাব স্টেশনে প্রবেশ করার পূর্বে এই বিষয়টি অবশ্যই তাদের জানা থাকা প্রয়োজন, তা না হলে যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে । তাই তোমাদের সবাইকে বলব অবশ্যই বিষয়টি মাথায় রেখে তারপরে সাব স্টেশনে প্রবেশ করবে।

লিখেছেন, 

মোঃ শফিকুল ইসলাম মিলন

ইন্সট্রাক্টর

ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

অবাস্তব প্রমান

 

অবাস্তব প্রমান

 

আজকে আমরা মজার কিছু প্রমাণ নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রমাণগুলো যদিও  সত্য নয়, তবুও এই প্রমাণগুলো দেখলে বা জানলে, গণিত হয়ে উঠবে অনেক মজার গণিত

গণিত দিয়ে খুব সহজেই এমন অনেক অবাস্তব বা মিথ্যা কিছু প্রমাণ করা যায় যা সাধারণত গণিতের অসংজ্ঞায়িত বা অনির্ণেয় টার্মগুলো দিয়ে করা হয়ে থাকে! এমনকি এই অসংজ্ঞায়িত বা অনির্ণেয় টার্মগুলো দিয়ে “পৃথিবীর সকল সংখ্যা ১ এর সমান প্রমাণ করা যায়!!!

অনেকর মনে প্রশ্ন এটা কি করে সম্ভব?

এখানে একটা ভুল আছে। ভুলটা কোথায়?

এখানে, বর্গমূল করাটাই হচ্ছে আসল ভুল। ৪র্থ লাইনটিতে ভুল। কারণ, আমরা জানি, বর্গমূলের শর্ত হচ্ছে, “শুধুমাত্র সেই সকল সংখ্যাকেই বর্গমূল করা সম্ভব, যাদের বর্গমূলকে পুনরায় বর্গ করলে একটি ধনাত্মক সংখ্যা পাওয়া যায়।

ঋণাত্মক সংখ্যাকে বর্গমূল করা হলে, তা আর বাস্তব থাকে না। কারণ, এখানে  কে বর্গ করলে -1 পাওয়া যায়, যা একটি ঋণাত্মক সংখ্যা। ঋণাত্মক সংখ্যার বর্গমূল সম্ভব না। অর্থাৎ, বাস্তবে -1 কে বর্গমূল করা সম্ভব না। আর এখান থেকেই জটিল সংখ্যা বা imaginary number এর ধারণা শুরু। যেখানে শুধুমাত্র কাল্পনিক সংখ্যা বা অবাস্তব সংখ্যা নিয়ে কাজ করা হয়।

ঋণাত্মক সংখ্যার বর্গমূল করা হলে সেটা হয়ে যায় অবাস্তব অর্থাৎ, ৪র্থ লাইন এবং তার পর থেকে সব কিছুই অবাস্তব। যা বাস্তবে কখনো সম্ভব না। এই প্রমাণের মূল উদ্দেশ্যও তাই কাল্পনিক। এখানে ১= -১ হচ্ছে একটি কাল্পনিক প্রমাণ।

 

ধরি,
x = y [যেখানে, x ও y উভয়ই পূর্ণ সংখ্যা] বা, x y = y² [উভয় পক্ষকে y দ্বারা গুণ করি] বা, xy – x² = y² – x² [উভয় পক্ষ হতে x² বিয়োগ করি] বা, x² – xy = x² – y² [উভয় পক্ষকে (-) দ্বারা গুণ করি] বা, x (x – y) = (x + y) (x – y)
বা, x = x + y
বা, x = x + x [যেহেতু, আমরা ধরেছিলাম, x=y] বা, x = 2x
বা, 1 = 2

অতএব, 1 = 2

তাহলে এখানে আমরা কি দেখলাম 1= 2 এটা বাস্তবে কিন্তু কখনই সম্ভব নয়। তাহলে অবশ্যই ভুল হয়েছে। ভুলটা কোথায়?

প্রথম লাইন থেকে শুরু করি,
ধরি, x=y
বা, x-y=0

এখন, ৫ম লাইনটি একটু খেয়াল করি,
x (x-y) = (x+y) (x-y)
বা, x.0 = (x+y).0 [যেহেতু, x-y = 0] বা, 0 = 0

এখন যদি x.0 = (x+y).0 লাইনটি থেকে x = x+y লাইনটি পেতে চাই, তখন  x.0 = (x+y).0 এই সমীকরণের উভয়পক্ষকে 0 দ্বারা ভাগ করতে হবে। আর গণিতে কোন কিছুকে 0 দ্বারা ভাগ করলে ফলাফল অসংজ্ঞায়িত হয়।

 

এখন আমরা গণিতের আরও একটি অবাস্তব প্রমাণ ২=৫ করব।

 

প্রমাণঃ

14 = 14

বা, 10 + 4 = 10 + 4

বা, 10 – 10 = 4 – 4

বা, 5 (2-2) = 2 (2-2)

বা, 5=2 [উভয় পক্ষকে (2-2) দ্বারা ভাগ করে]

 

অতএব, 2=5

এখানে ভুলটা কোথায়?

ভুলটা হচ্ছে 2-2 = 0, যা দ্বারা কোন কিছুকে ভাগ করলে উত্তরটি অসংজ্ঞায়িত হয়। অর্থাৎ গণিতে কোন কিছুকে 0 দ্বারা ভাগ করলে ফলাফল অসংজ্ঞায়িত হয়।

 

এখানে ২= ৫ হচ্ছে একটি কাল্পনিক প্রমাণ।

প্রমাণ : – 20 = – 20

 

এখানে ভুলটা কোথায়? ভুলটা হচ্ছে –

 

লাইনটিতে কখনই উভয় পক্ষে বর্গমূল করা যাবে না।

তাই 4 =5 সম্ভব না। প্রমাণটি অবাস্তব।

রীমান সিরিজ থিওরেম ব্যবহার করে আমরা এই প্রমাণটা করব। আমরা রীমান সিরিজ থিওরেম অনুযায়ী এমন একটি অনন্ত ধারা নেই যেখানে শুধু পজিটিভ 1 ও নেগেটিভ 1 থাকবে।

যেমন S = 1 – 1 + 1 – 1+1 – 1+ ………… এভাবে একটি ধারা নেই। এইবার এই ধারাটিকে নিজের ইচ্ছামত সাজিয়ে

S = S

বা, 1 – 1 + 1 – 1+1 – 1+ ………… = 1 – 1 + 1 – 1+1 – 1+ …………

বা, 1 – (1–1) – (1–1) – ……… = (1–1) + (1 – 1) + ( 1–1) + ……

বা, 1 – 0 – 0 – 0 ………. = 0 + 0 + 0 ………..

বা, 1 = 0

এটা কি আসলেই সম্ভব? বাস্তবে, কিন্তু এটা কখনই সম্ভব নয়।

তাহলে আমরা যেই প্রমাণটি করলাম, সেটি অবশ্যই ভুল।

 

 

ফারহা দিবা

সিনিয়র ইন্সট্রাকটর

ডিপার্টমেন্ট অফ ম্যাথমেটিক্স

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

 

Yarn Manufacturing

Yarn Manufacturing

 

  • Define Blow room.
  • Describe the objects of blow room.
  • “ the functions of blow room.
  • Different machineries of ”.
  • Describe Major Clearing point of minor cleaning point.
  • Clearing efficiency of blow room.

 

  • Define Blow room (ব্লোরুম):

“ব্লো-শব্দের অর্থ ‘প্রবাহিদ হাওয়া’ এবং রুম শব্দের অর্থ ‘কক্ষ’। তাই আভিধানিক অর্থে ব্লো-রুম বলতে প্রবাহের কক্ষ বা বায়ুপ্রবাহের কক্ষকেই বোঝায়।

সে কক্ষে কতগুলো মেশিনের সাহায্যে তুলার আঁশকে পরিস্কার,পরিচ্ছন্ন করে বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে এক মেশিন অন্য মেশিনে স্থান্তর করে ল্যাম্প আকারে প্রক্রিয়া করা হয় তাকে ব্লো-রুম বলে।

 

  • Objects of Blow room (ব্লোরুমের উদ্দেশ্যাবলি):
  • বেল আকারে প্রাপ্ত তুলাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গুচ্ছে পরিনত করা।
  • আশেঁর মধ্যে থাকা সকল প্রকার ট্রাশ দূর করা।
  • উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য বিভিন্ন মানের বা বিভিন্ন গ্রেডের আঁশ যথাসম্বব ভালভাবে মিশ্রিত করা।
  • পরবর্তী প্রক্রিয়ার উপযোগী সুষ্ম ল্যাপ তৈরিকরণ।

 

  • Functions of Blow room (ব্লোরুমের কার্যাবলী):
  • ওপেনিং এবং ফিডিং (Opening & Feeding).
  • বিটিং এবং ক্লিনিং (Beating & Cleaning).
  • ব্লেন্ডিং এবং মিক্সিং (Mixing & Blending).
  • ট্রান্সফরিমং (Transforming).
  • ল্যাম্প ফরমিং (Lamp Forming).

 

  • Different macheries (ব্লোরুমে কি কি মেশিনারী থাকে):
  • ব্লেডিং ও মিক্সিং মেশিনারি।
  • ওপেনিং ও ক্লিনিং ”।
  • সহায়ক যন্ত্রপাতি সমূহ।

 

  • Describe Major & Minor Cleaning Point (মেজর মাইনর ক্লিনিং পয়েন্ট):
  • Major (মেজর) Cleaning point:

ব্লো-রুম সেকশনে ব্ল-রুমে ব্যবহারকারী বিভিন্ন ক্লিনিং পয়েন্টসমূহের মধ্যে যেসহ মেশিনারী অধিক ট্রাস্টযুক্ত ময়লা আশঁসমূহকে অধিক ক্লিনিং করে আশসমূহ পরিষ্কার করে তাকে মেজর ক্লিনিং পয়েন্ট বলে।

  • ক্রাইটন ওপেনার।
  • পারকিউপাইন ও পেনার
  • ক্রিশনার বিটার
  • স্টেপ ক্লিনার

 

  • Minor (মাইনর) Cleaning point:

ব্লো-রুম সেকশনে ব্লো-রুমে ব্যবহারকারী বিভিন্ন ক্লিনিং পয়েন্ট সমূহের মধ্যে যেসব মেশিনারী তুলনামূলক কম ট্রাশযুক্ত ময়লা আশসমূহকে ক্লিনিং করে তাকে মাইনর ক্লিনিং পয়েন্ট বলে।

  1. হপার ফিডার।
  2. কনডেন্সার।
  • নিউমেটিক ডেলিভারী বক্স।

 

  • Cleaning Efficiency of Blow-room (ব্লোরুমের ক্লিনিং দক্ষতার সূত্র):

 

 

 

 

Writer,

Emam Shad Ahmed
Instructor
Department of Textile Engineering
Daffodil Polytechnic Institute

লোটাস ফাইবার  কিভাবে বিশ্বে একটি বিরল আঁশে পরিণত হলো? / How Did Lotus Fiber Become a Rare Fiber in the World?

লোটাস ফাইবার  কিভাবে বিশ্বে একটি বিরল আঁশে পরিণত হলো?

 

লোটাস ফাইবার, এটি একটি প্রাকৃতিক ফুলের ফাইবার, একটি বিরল এবং অত্যন্ত এক্সক্লুসিভ ফাইবার। সারা বিশ্ব জুড়ে মাত্র কয়েকজন বিশেষজ্ঞ কারিগর দ্বারা এই প্রাকৃতিক ফুলের ফাইবারটি বুনন করা বা তোলা হয়। তবে এই সিল্ক তৈরি করা মোটেও সহজ কাজ নয়। একটি স্কার্ফের জন্য পর্যাপ্ত লোটাস রেশম সংগ্রহ করতে দুই মাস বা তার বেশি সময় লেগে যায়। সাধারণত এই পদ্ম সিল্কের ফিনিসড প্রোডাক্ট তৈরিতে অন্যান্য রেশমের চেয়ে দশ গুণ বেশি খরচ হয়ে থাকে।

ভিয়েতনামের পদ্ম ফুলের বিল
ভিয়েতনামের পদ্ম ফুলের বিল

 

লোটাস সিল্ক থেকে তৈরিকৃত ফেব্রিক শুধু মাত্র কম্বোডিয়া, মায়ানমার এবং সম্প্রতি ভিয়েতনামে সল্প আকারে পাওয়া যায়। পদ্ম হচ্ছে  ভিয়েতনামের জাতীয় ফুল এবং এই একটি উদ্ভিদ যা সারা দেশ জুড়ে জন্মে। লোটাস বা পদ্ম ফুল সাধারণত কর্দমাক্ত নোংরা পানিতে জন্মায়।

এই রেশম আঁশ পদ্ম ফুলের কান্ড থেকে তৈরি হয় যা সম্পূর্ণ প্রানীজ মুক্ত। এই বিরল টেক্সটাইল ফাইবার কোম্বোডিয়ার ওয়ার্কশপে বোনা হয়। কম্বোডিয়ার এই শিল্পগুলো প্রায় ৫০০০ হাজারেরও বেশি পুরানো একটি শিল্প।

 

কম্বোডিয়ায়,“সিল্ক বুনন” হাতের একটি বিশেষ দক্ষতা যা প্রধানত মহিলাদের জন্যই সংরক্ষিত । এটি একটি সূক্ষ ম্যানুয়াল প্রক্রিয়া যা অসীম ধৈর্য সহকারে এই মহিলাগণ তাদের হাতের নিপুন আর্টের মাধ্যমে পদ্মের কান্ড থেকে প্রাপ্ত আঁশকে বুনন উপযোগী রেশম সুতায় রূপান্তরিত করে। কম্বোডিয়ানরা তাদের পোশাকের মানের দিকে সর্বাধিক দৃষ্টি আকর্ষণ করে। যার ফলে লোটাস সিল্ক গুণগত মানের দিক থেকে অধিকতর উন্নত হয়ে থাকে।

 

মিয়ানমারের ফান থাই থুয়ান পরিবারের ২০ জন কর্মীর একটি দল রয়েছে যারা এই ফাইবার তৈরি ও সুতা তৈরির নিপুন কাজটি করে থাকেন। তারা প্রতি মাসে মাত্র ১০ থেকে ২০ টি স্কার্ফ তৈরি করতে পারেন। একটি ২৫ সেন্টিমিটারের স্কার্ফ ২০০ ডলারের বেশি মূল্যে বিক্রি করা হয়। আর এজন্যই এই ফাইবার থেকে তৈরি পোশাকের মূল্য অত্যাধিক হয়ে থাকে ।যা অন্যান্য পোশাকের দামের তুলনায় একটু বেশিই।

 

লোটাস ফাইবারের বৈশিষ্ট্য
লোটাস ফাইবারের বৈশিষ্ট্য

লোটাস ফাইবারের বৈশিষ্ট্য

অন্যান্য ফাইবারের মত এই ফাইবারেরও কিছু বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।

  1. লোটাস ফাইবারের ওজন অত্যন্ত কম
  2. এটি সিল্কের মত নমনীয় এবং লিনেনের মত মসৃণ ও কিছুটা স্বচ্ছ
  • এই ফাইবার অত্যন্ত সূক্ষ, স্থিতিস্থাপক ও আরামদায়ক
  1. সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক হওয়ায় এই ফাইবারের জীবাণু প্রতিরোধক ক্ষমতা বেশি
  2. আদ্রতা ধারণ ক্ষমতা অন্যান্য ফাইবারের তুলনায় বেশি এবং এটি সহজেই আদ্রতা শুষে নিয়ে শুষ্ক হতে পারে
  3. দীর্ঘদিন টিকে থাকার ক্ষমতা । ইত্যাদি

 

ইতিহাসঃ

পদ্ম ফুল হিন্দু এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র।পদ্ম ফুল তাদের নিকট মন, আত্মা, আলোকিতকরণ এবং দেহের শুদ্ধকরণের প্রতীক। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে মায়ানমারের এক মহিলার বিশ্বাস তাদের এই পবিত্রতায় পদ্ম শিকড় রেশমের উত্স রয়েছে।

মিয়ানমারের ফান থাই থুয়ান পরিবার বহু বছর ধরে রেশম তৈরি করে আসছে। বিলাসবহুল পোশাক তৈরির জন্য নিজেরাই রেশম পোকা থেকে সুতোর বর্ধন ও ফল সংগ্রহ করে আসছে। তবে সিল্ক তৈরি করা আলাদা, যা সাধারণত রেশমপোকা বা সিল্কওয়ার্ম থেকে আসে। তবে লোটাস ফুলের সিল্ক  ফাইবার কান্ড থেকে আসে, এটি কোনও ধরণের কীটের উপর নির্ভর করে না, এটি পুরোপুরি হস্তনির্মিত।

 

উজ্জ্বল হলুদ সিল্ক এবং পদ্ম সংস্করণের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো- প্রাকৃতিক পদ্ম রেশমের প্রতিটি একক স্ট্র্যান্ড অবশ্যই হাতে বের করা হয়। এবং পদ্মের রেশমের প্রতিটি সুতা পদ্ম ফুলের কাণ্ড দিয়ে শুরু হয়। যদিও এই ফ্যাব্রিকটি কয়েক বছর ধরে মায়ানমারে পদ্ম ফুল ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে, ফান থাই থুয়ান এর পরিবার কেবলমাত্র ২০১৭ সালে এই ফাইবারটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে।

চিত্রে একটি মেয়ে লোটাস ফাইবার সংগ্রহ করছে
চিত্রে একটি মেয়ে লোটাস ফাইবার সংগ্রহ করছে

 

প্রক্রিয়াজাতকরণঃ

টেক্সটাইল ফাইবার মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে ১) ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক ফাইবার এবং ২) ম্যান মেইড বা কৃত্রিম ফাইবার। লোটাস ফাইবার প্রাকৃতিক ফাইবারের অন্তর্ভূক্ত। এই ফাইবার বেশ ভঙ্গুর হয়ায় এটি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই আঁশগুলো সংগ্রহ করতে হয় । সাধারণত ক্ষেত থেকে লোটাস এর কান্ড তোলে আনার পর কাঁচা বা ভেজা অবস্থায় ২৪ ঘন্টার মধ্যো আঁশ থেকে সুতা সংগ্রহ করা হয়। সূতা তৈরির এই কাজটি অত্যন্ত নিপুণ হাতে ও দক্ষতার সহিত করতে হয়।

 

ফাইবার সংগ্রহঃ

  1. অনেকগুলো লোটাসের শাখা বা কান্ড একত্র করা হয় এবং ৫-৬ টি শাখা একত্রে নিয়ে কর্তন করা হয়।
  2. টুইস্টিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০-৩০ টি পরিষ্কার ফিলামেন্ট আলাদা করা হয়।
  3. অতঃপর ড্রাফটিং ও রোলিং এর দ্বারা একটি সূতায় পরিণত করা হয়।

ইয়ার্ন প্রস্তুতিঃ

  1. সুতা তৈরির পর সুতার জটকে বাঁশের তৈরি স্পিনিং ফ্রেমের উপর রাখা হয়।
  2. ওয়ার্পিং প্রসেসের জন্য সুতাকে উইন্ডারে রুপান্তরিত করা হয়।
  3. ওয়েফট প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত ইয়ার্নকে কুন্ডলী পাকিয়ে গোলাকার আকৃতি প্রদান করা হয়।
  4. সুতার অধিকতর জট পাকা প্রতিহত করার জন্য ৪০ মিটার সুতা তৈরির পর আলাদা পলিব্যাগে সংরক্ষন করা হয়।

 

উইভিং

  1. ঐতিহ্যবাহী কম্বোডিয়ান লুমে ফেব্রিক গঠন করা হয়
  2. উইভিং প্রক্রিয়ার সময় ফাইবারগুলকে শীতল রাখার জন্য ধারাবাহিকভাবে পানি দিয়ে ভিজানো হয়।
  3. প্রাকৃতিক ডাইং প্রক্রিয়া অবলম্বন করে সুতাকে বিভিন্ন রঙে ডাইং করা হয়।

 

লোটাস ফাইবার থেকে তৈরিকৃত স্কার্ফ
লোটাস ফাইবার থেকে তৈরিকৃত স্কার্ফ

 

নির্দেশনাবলী

এই লোটাস ফাইবার থেকে তৈরি স্কার্ফ/ পোশাক বেশি ধোয়ার প্রয়োজন হয় না। যদি তারপরও ধুতে হয় তাহলে নিম্নলিখিত নির্দেশনা বিবেচনা করতে হবেঃ-

  • খুব হালকা সাবান ব্যাবহার করতে হবে
  • এই ফাইবার থেকে তৈরি পোশাক পানিতে বেশীক্ষণ ভিজিয়ে রাখা যাবে না
  • পোশাক বা কাপড় সমতল আকারে শুকাতে দিতে হবে
  • কাপড় শুকাতে ড্রায়ার ব্যবহার করা যাবে না
  • কাপর আয়রণ করার ক্ষেত্রে বেশি হিট দেওয়া যাবে না। ইত্যাদি

 

সুতা তৈরির প্রক্রিয়া
সুতা তৈরির প্রক্রিয়া

উপসংহারঃ

কিছু ঐতহ্যবাহী বৈশিষ্ট বিরল এই ফাইবারকে স্যুভেনিয়র পর্‍্যটকদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে। এটি সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর নিকট বিলাসবহুল ফাইবার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং তারা এই লোটাস ফাইবারকে আরো জনপ্রিয় করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এর ম্যানুফেকচারিং প্রক্রিয়া এখনোও সীমাবদ্ধ রয়েছে। কারন এই লোটাস থ্রেড বা সুতা তৈরিতে মাত্র গুটিকয়েক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোক রয়েছে।

তবে এ কাজে জড়িত থাকা ফান থাই থুয়ান পরিবারের লোকজন আশা করছেন যে, এই প্রাকৃতিক লোটাস ফাইবার থেকে উৎপাদিত ফ্যাব্রিক একদিন বৃহৎ শিল্পে পরিণত হবে

 

অবশেষে বলতে পারি যে, শুধু মায়ানমার ও কম্বোডিয়ার মতো দেশে এই ফেব্রিক সীমাবদ্ধ না রেখে পৃথিবীর প্রতিটা দেশে যদি লোটাস ফাইবারের বিস্তার সম্ভব হয়। তাহলে টেক্সসটাইল ও ফ্যাশান জগতে এই ফাইবারের তৈরি পোশাক আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।

 

 

সোর্স- #গুগল,উইকিপিডিয়া

রোমানা রশীদ তন্দ্রা

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

 

ইসলামি সভ্যতা / Islamic civilization

ইসলামি সভ্যতা

 

ইসলামি স্বর্ণযুগ অষ্টম শতাব্দী থেকে চতুর্দশ শতাব্দী পর্যন্ত ইসলামের ইতিহাসে সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক এবং বৈজ্ঞানিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়ার সময়কালকে বোঝায়। সপ্তম শতকে মদিনায় প্রথম ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও ইসলামি শক্তির উত্থানের সময় শুরু হয়। ১২৫৮ সালে মঙ্গোলদের দ্বারা বাগদাদ অবরোধের সময়কে এর শেষ ধরা হয়। ১৪৯২ সালে ইবেরিয়ান উপদ্বীপের আন্দালুসে খ্রিষ্টান রিকনকোয়েস্টার ফলে গ্রানাডা আমিরাতের পতনকেও এর সমাপ্তিকাল হিসেবে গণ্য করা হয়। মিশর সাম্রাজ্যের কেন্দ্র পরিণত হয় এবং উত্তর আফ্রিকা, সিসিলি, ফিলিস্তিন, জর্ডান, লেবানন, সিরিয়া, আফ্রিকার লোহিত সাগর উপকূল, তিহামা, হেজাজ ও ইয়েমেন এর অন্তর্গত ছিল। এই যুগে মুসলিম বিশ্বের রাজধানী শহর বাগদাদ, কায়রো ও কর্ডো‌বা বিজ্ঞান, দর্শন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, বাণিজ্য ও শিক্ষার বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্রে পরিণত হয়। 

 

উদ্ভব ও বিকাশ : হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সালাম ৬১০  খ্রিস্টাব্দে নবুয়্যত 

 প্রাপ্ত হন এবং এরপর থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন। তিনি প্রথমে মদিনা কে কেন্দ্র করে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন পরবর্তী পর্যায়ে তিনি মক্কাকেও এর অন্তর্ভুক্ত করেন। হযরত মোহাম্মদ সাল্লাহু সালামের মৃত্যুর এক বছরের মধ্যে মুসলিমরা সিরিয়া.ইরাক, মিসর ও ইরানের  একাংশ জয় করে । পাশাপাশি তারা সাসানীয় বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যকে পরাস্ত করে। ধীরে ধীরে তারা মধ্য এশিয়ার তাসখন্দ থেকে ইউরোপের পিরেনিজ পর্বতমালা পর্যন্ত সব সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি  ঘটিয়েছিল।

 

খিলাফত : খিলাফত হলো একটি মুসলিম রাষ্ট্র। সময়ের সাথে সাথে খিলাফতের শাসন ব্যবস্থায় নানা পরিবর্তন সাধিত হয়। সাধারণত খিলাফতের প্রধান হিসাবে খলিফা এবং প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। তাঁদের কার্যক্রম পরিচালিত হতো কুরআন ও সুন্নাহর নিয়মানুসারে। খলিফার দরবারে আমির- ওমরাহদের মতামত প্রাধান্য পেত।বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে দেওয়ান- আল-খারাজ বা রাজস্ব বিভাগ ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । উদাহরণ স্বরূপ:-

খোলাফা- ই- রাশেদীন ( ৬৩২-৬৬১খ্রিষ্টাব্দ),  উমাইয়া খিলাফত( ৬৬১-৭৫০),  আব্বাসীয় খিলাফত ( ৭৫০-১২৫৮),ফাতেমীয় খিলাফত( ৯০৯-১১৭১ খ্রিষ্টাব্দ), তুর্কি খিলাফত(১৪৫৩- ১৯২৮)। 

 

সমাজ ও অর্থনীতি

মধ্য এশিয়ার সমরকন্দ থেকে স্পেনের কর্ডোভা পর্যন্ত পুরো মুসলিম সভ্যতা ছিল নগরকেন্দ্রিক। এ সভ্যতায়  একশোর  বেশি প্রধান নগর ও বাণিজ্য কেন্দ্র গড়ে  উঠেছিল।  এসব নগর মুসলিম বিশ্বের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও  সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পরিণত হয়। 

 

ইসলামি সভ্যতা
ইসলামি সভ্যতা

বাসস্থান ব্যবস্থা: কয়েকটি বাড়ি নিয়ে গড়ে উঠত বাসভবন এবং সেগুলো ছিল একটি নগরের প্রাণ।  প্রতিটি বাড়ির সামনে  একটি পানি রাখার স্থান ছিল।  কোন কোন ভবনে হাম্মামখানা থাকতো।  প্রত্যেক নগরের বাহিরে থাকতো একটি  খোলা ময়দান যেখানে ধর্মীয় ও লৌকিক উৎসব পালন করা হতো। নগরের সব শাসনকার্য পরিচালনা করত খলিফা। 

 

সমাজ অবস্থা: ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সকলের মর্যাদা সমান ছিল কিন্তু  অর্থনৈতিকভাবে সমাজে বা মানুষের মধ্যে বৈষম্য  দেখা যেত। রাশেদীন  খিলাফতের  পর থেকে খলিফাদের জীবনী বিলাসিতা 

 

পূর্ণ হয়ে ওঠে।  তাদের বংশধর  সমাজ পরিচালনার  দায়িত্ব পায়।  তখন থেকে শুরু হয় সমাজের উঁচু  পদ ও নিচু পদের মধ্যে বৈষম্য।  শুরু হয় দাস প্রথা,  জ্যোতিষ চর্চা, ফকির দরবেশ। 

 

নারীর স্থান: আরব সমাজে নারীর মর্যাদা ছিল সীমিত।  এমনকি আরব সমাজে কন্যাশিশুকে হত্যা করার রীতি প্রচলিত ছিল। হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর সাহায্যে মেয়েদের সম্মানের আসন করে দেন,  সম্পত্তির অধিকার দেন, সমাজে মর্যাদা এনে দেন। কিন্তু অঞ্চল ভেদে নারীদের অধিকারের অবস্থা ভিন্ন ছিল,  অনেক অঞ্চলে তাদের  ব্যক্তিত্ব ও মনুষ্যত্ববোধকে বন্দি করে রাখা হতো।  বলা যায়  এ সময়ে  নারীদের অবস্থা ক্ষুন্ন ছিল।

 

দাসদের অবস্থা: ইসলামী সভ্যতার দাস প্রথার প্রচলন ছিল, তারা ছিল সমাজের সর্বনিম্ন স্তরের মানুষ।  গৃহের কাজে,  ভূসম্পত্তি তত্ত্বাবধানে, সঙ্গীত, নৃত্য বিনোদনের কাজে তাদের ব্যবহার করা হতো।  তাদের  স্বাধীনতা,  সম্মান  বা মর্যাদা ছিল না।  কিছু কিছু ক্ষেত্রে দাসদের  মনিব  খুশি হয়ে তাদের মুক্ত করে দিতেন।

 

 অর্থনীতি: ইসলামী সভ্যতায় ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।  জল ও স্থল উভয় পথেই আরবের মানুষরা বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করত।  ব্যবসার পাশাপাশি যেসব এলাকায় পানি সরবরাহ সুবিধাজনক ছিল সেখানে কৃষি ব্যবস্থা গড়ে উঠত।  কৃষিজ পণ্য যেমন আঙ্গুর, জলপাই,  গম,খেজুর ইত‌্যাদি উল্লেখযোগ‌্য।  শিল্পের মধ্যে মণিকার,  বস্ত্র বয়ন, জহুরির শিল্প,কাঁচ শিল্প ইত্যাদি  ব্যবসা-বাণিজ্যের জন‌্য ব্যবহৃত হতো।

 

 মানব সভ্যতায় মুসলমানরা জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা  রেখেছে।  কোরআনকে কেন্দ্র  করে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বহু শাখার সন্ধান পাওয়া গেছে।  তাদের এই  অবদানের জন্য এখন চিকিৎসা বিজ্ঞান, সাহিত্য,  ইতিহাস চর্চা,  গণিত ইত্যাদি সম্পর্কে মানুষ জানতে পেরেছে।

ইসলামি সভ্যতা
ইসলামি সভ্যতা

চিকিৎসা বিজ্ঞান: অতীতে মানুষরা চিকিৎসা বিজ্ঞান কুসংস্কার ও জাদু মন্ত্র  মনে করত।  মুসলমানরা  মানুষকে এই ভুল ধারণা থেকে মুক্তি দেন।  তারা বিভিন্ন রোগের কারণ, লক্ষণ ও উপসর্গ নির্ণয় করে সুনির্ধারিত প্রতিষেধক উদ্ভাবন করেন।  মধ্য যুগে বিভিন্ন ধরনের ওষুধের উদ্ভাবন এবং বাজারজাতকরণে মুসলমানদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে।  ধীরে ধীরে মানুষের ভুল ধারণা কেটে যায় এবং সকলেই চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিশ্বাস করা শুরু করেন। পরবর্তীতে  হাসপাতাল তৈরি করা শুরু করেন।

 

গণিত: গ্রিক ও ভারতীয়দের দাঁড়ায় প্রথম গণিত চর্চা শুরু হয়।বিখ্যাত মুসলিম গণিতবিদ ও বিজ্ঞানী ইবনে মুসা আল খাওয়ারিজমী  তার গ্রন্থে প্রথম বীজগণিত বোঝাতে  অ্যালজেবরা শব্দটি ব্যবহার করেন।  ইসলামী বিজ্ঞানীদের দ্বারা তৈরি তারকার মানচিত্র ও জ্যোতির্বিদ্যার সারণি বহু শতাব্দী  ধরে ইউরোপ ও এশিয়ায় ব্যবহৃত হয়েছে। 

 

 সাহিত্য: মুসলিম সাহিত্য শুরু হয় কবিতা কে কেন্দ্র করে।  কাব্য গ্রন্থের মধ্যে লায়লা মজনুর প্রেমের কাহিনী সমগ্র মুসলিম বিশ্বের সুপরিচিত। গদ্য সাহিত্যের মধ্যে আলিফ লায়লা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সিন্দাবাদ, আলিবাবা  চল্লিশ চোর,  আলাদিন ইত্যাদি গল্পগুলো আরবের গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।  এসব গল্প অন্যান্য দেশে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। 

ভূগোল,দর্শন,ইতিহাস চর্চা,স্থাপত‌্য ই‌ত‌্যাদি বিষয়ে অবদান রাখেন মুসলিম সভ‌্যতা।

ইসলামি সভ্যতা
ইসলামি সভ্যতা

আস্তে আস্তে একসময় বিবর্ণ হতে শুরু করে মুসলিমদের গৌরবমাখা সেই স্বর্ণযুগ। এগারো শতকে শুরু হওয়া ক্রুসেড ক্রমেই অস্থিতিশীল করে তোলে গোটা মুসলিম বিশ্বকে। এর অল্প কিছুদিন পরেই তের শতকে ভেতরে ভেতরে ধুঁকতে থাকা মুসলিম বিশ্বের সামনে এসে দাঁড়ায় আরেক ত্রাস- মঙ্গোলদের আক্রমণ। ১২০৬ খ্রিষ্টাব্দে চেঙ্গিস খানের নেতৃত্বে মধ্য এশিয়ায় গড়ে উঠেছিলো শক্তিশালী মঙ্গোল সাম্রাজ্য। ১২৫৮ সালের ২৯ জানুয়ারি হালাকু খানের নেতৃত্বে মঙ্গোল বাহিনী ও তার মিত্র শক্তিদের সামনে তছনছ হয়ে যায় আব্বাসীয় খেলাফতের রাজধানী।

অধিকাংশ ঐতিহাসিকের মতে, মঙ্গোলদের এ আক্রমণই ছিলো ইসলামের সোনালী যুগকে ইতিহাসের অধ্যায়ে পরিণত করার মূল নিয়ামক। কালক্রমে একসময় অটোম্যান সাম্রাজ্য উঠে দাঁড়ালেও ইসলামের সোনালী সেই যুগ আর কখনোই ফিরে আসে নি, বরং সোনালী সেই সূর্য কালে কালে অস্তমিতই হয়েছে।

 

লেখক,

শাহনেওয়াজ সেরাজ সুবর্ণা

ইন্সট্রাক্টর অফ আর এস ডিপার্টমেন্ট

ডেফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

 

“হিস্ট্রি অফ মডার্ন আর্কিটেকচার অফ বাংলাদেশ” – পার্ট ০১ঃ জাতীয় স্মৃতিসৌধ / “History of Modern Architecture of Bangladesh” – Part 01: National Memorial

হিস্ট্রি অফ মডার্ন আর্কিটেকচার অফ বাংলাদেশ” – পার্ট ০১ঃ জাতীয় স্মৃতিসৌধ

 

আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতিকীকরন হিসেবে দন্ডায়মান হয়ে আছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ যা ঢাকার অদূরে সাভারে অবস্থিত।  স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে নির্মিত এই জাতীয় স্মৃতিসৌধটি তার স্থাপত্য শৈলী ও নির্মাণকৌশলের জন্য বাংলাদেশের মডার্ন আর্কিটেকচারের তালিকায় জায়গা দখল করে আছে।

 

আজকে আমরা জানব জাতীয় স্মৃতিসৌধ  সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ

জাতীয় স্মৃতিসৌধ এর চূড়ান্ত ডিজাইনের জন্য ৫৭ জন প্রতিযোগির মধ্যে স্থপতি মঈনুল হোসেনের নকশা টি নির্বাচিত হয়।  এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ মুহুর্তে  ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর  প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান  স্মৃতি সৌধের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

অসমান উচ্চতা ও স্বতন্ত্র ভিত্তির উপর সাতটি ত্রিভুজাকৃতির প্রাচীর নিয়ে গঠিত হয় মূল সৌধটি। সর্বোচ্চ স্তম্ভটি সর্বনিম্ন দৈর্ঘ্যের ভিত্তির উপর, আর সর্বদীর্ঘ ভিত্তির উপর স্থাপিত স্তম্ভটি সবচেয়ে কম উচ্চতার। প্রাচীরগুলোর মাঝখানে একটি ভাজ দ্বারা কোনাকৃতির এবং একটির পর একটি সারিবদ্ধভাবে বসানো। কাঠামোটির সর্বোচ্চ বিন্দু ১৫০ ফুট উচু। কাঠামোটি এমনভাবে বিন্যস্ত যে, ভিন্ন ভিন্ন কোণ থেকে অবকাঠামো গুলোতে পরিদৃষ্ট হয়। স্থপতি মূল স্তম্ভটি নির্মাণে সিমেন্ট-পাথরের কংক্রিট ব্যবহার করলেও এর সংলগ্ন অন্যান্য অবকাঠামো ও পেভমেন্ট নির্মাণে লাল ইট ব্যবহার করেছেন। ভিন্ন ভিন্ন উপাদানের ব্যবহারে মূল স্তম্ভটির গাম্ভীর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। সমগ্র কমপ্লেক্সটি ৩৪ হেক্টর (৮৪ একর) জমি জুড়ে বিস্তৃত। একে ঘিরে আছে আরও ১০ হেক্টর (২৪.৭ একর) সবুজ ভূমি। স্তম্ভটির সামনে বেশ কয়েকটি গণকবর ও একটি প্রতিফলন সৃষ্টিকারী জলাশয় নির্মিত হয়েছে।

“History of Modern Architecture of Bangladesh” - Part 01 National Memorial
“History of Modern Architecture of Bangladesh” – Part 01 National Memorial

প্রধান প্রবেশপথ দিয়ে প্রবেশ করলে স্তষটিকে প্রবেশদ্বারের অক্ষ বরাবরই চোখে পড়ে। কিন্তু মূল বেদিতে পৌছাতে হলে বেশ কিছু উঁচু-নিচু এলাকা পেভমেন্ট ও একটি কৃত্রিম লেকের উপর নির্মিত সেতু পার হতে হয়। এ সবকিছু স্বাধীনতার দীর্ঘ সংগ্রামকে চিহ্নিত করেছে। এই সাত সংখ্যাটিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে বিভিন্নভাবে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হয়। সাত সংখ্যাটিকে ভাগ সংখ্যা হিসেবে ধরা হয়।

 

স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্যঃ স্মৃতিসৌধের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নে দেওয়া হল–

 

  • এটি ১৫০ ফুট উঁচু।
  • এর ফলক সংখ্যা সাতটি।
  • এটি জ্যামিতিক ধারায় ৯০° মাপে তৈরি করা হয়েছে।
  • রংধনুর রঙ হচ্ছে ৭টি। আমাদের বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর। সেখানেও ১ + ৬ = ৭, আবার শেখ মুজিবর রহমান ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দেন। তাই তাৎপর্যপূর্ণ সংখ্যা ৭-এর আলোকে স্তরে স্তরে সাজানো ৭টি ফলকের মাধ্যমে চিত্রকর্মে স্মৃতি সৌধটি হয়েছে।

 

“History of Modern Architecture of Bangladesh” - Part 01 National Memorial
“History of Modern Architecture of Bangladesh” – Part 01 National Memorial

 

 

মালামালঃ  স্মৃতিসৌধ নির্মাণে ১৪০০ টন সিমেন্ট, ৪৮০ টন লোহা, ১ লক্ষ ঘনফুট পাথর, ৫০ হাজার ঘনফুট বালি, ১ লক্ষ ২৫ হাজার ঘনফুট কংক্রিট এবং শ্রমিকের ১১ লক্ষ ৮৮ হাজার ঘণ্টা শ্রম লেগেছে।

 

নির্মাণকৌশলঃ  তিনটি ধাপে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। নিম্নে তা উলেখ করা হল-

 

  • প্রথম পর্যায়ে কাজ শুরু হয় ১৯৭৩ সালের ডিসেম্বর মাসে, আর শেষ হয় ১৯৭৪ সালের জুন মাসে। এতে মোট ব্যয় হয় ২৬ লক্ষ টাকা।

 

  • দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজ শুরু হয় ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে আর শেষ হয় ১৯৮২ সালের জুন মাসে। এতে মোট ব্যয় হয় ৩ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা।

 

  • তৃতীয় পর্যায়ে কাজ শুরু হয় ১৯৮২ সালের ২৪ আগস্ট এবং শেষ হয় ১৯৮৬ সালের জুন মাসে। এ সময়ে মোট ব্যয় হয় ৫ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা।

 

সুতরাং, স্মৃতিসৌধটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছিল ৯ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা।

 

 

জাতীয় স্মৃতিসৌধের নির্মাণ তাৎপর্য এর পাশাপাশি এর সবুজ বেষ্টনী সম্বলিত অসাধারন ল্যান্ড স্ক্যাপিং, স্থাপত্য শৈলী ও নির্মাণকৌশলের জন্য বাংলাদেশের আধুনিক স্থাপত্যে গুরুত্বপূর্ন স্থান দখল করে আছে……

 

 

লেখক

লিমা আক্তার

জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর

আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

 

ইন্ডাক্টর এবং এল.ডি.আর কিভাবে সার্কিটের কাজ করে / How the inductor and LDR circuit work

ইন্ডাক্টর এবং এল.ডি.আর  কিভাবে সার্কিটের কাজ করে

 

 

ইন্ডাক্টর এবং এল.ডি.আর  এই কম্পোনেন্টগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ কম্পনেন্ট । যা প্রত্যেকটি ইলেকট্রনিক সার্কিট এর মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় ।এগুলো ছাড়া কোনো ইলেকট্রনিক সার্কিট  চিন্তা করা যায় না ।সুতরাং এগুলো কিভাবে একটি সার্কিটে কাজ করে সেই বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে প্রত্যেকের কাছে জানা দরকার ।এই ধারণা থেকে আজকের বিষয় লেখা। আশা করি এ বিষয়ে ক্লিয়ার একটি ধারণা পাওয়া যাবে । চলুন জেনে নেই এই বিষয় সম্পর্কে।

How Inductor and LDR work in the circuit

ইন্ডাক্টর

ইন্ডাক্টর হল এমন একটা যন্ত্রাংশ যা কিনা বিদ্যুত প্রবাহ পেলে তড়িৎ চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি করে তাতে শক্তি জমা করে রাখতে পারে। উল্লেখ্য যে যেকোনো তড়িৎবাহী পদার্থই ইন্ডাক্টর হিসাবে কাজ করে।

 

তবে সোজা তারের ইন্ডাকট্যান্স (তড়িৎ চৌম্বকক্ষেত্র তৈরির ক্ষমতা) খুবই কম হয়। তাই এই ক্ষমতা বাড়াতে তারকে পেঁচিয়ে কুন্ডলি বানানো হয়। এ সময় আসলে এটা একটা তড়িৎ চুম্বক হিসাবে কাজ করে। তারের পেঁচান কুন্ডুলি  অল্প যায়গায় বড় মানের ইন্ডাক্টর পেতে হলে তখন কুন্ডুলির ভিতরে ফেরোম্যাগ্নেটিক পদার্থের কোর ব্যাবহার করতে হয়। এটা তড়িৎ চৌম্বকক্ষেত্র কে শক্তিশালী করে।

 

এল.ডি.আর

এলডিআর (LDR)-হচ্ছে আলোক নির্ভর রেজিস্ট্যান্স যার উপরে আলো পড়লে আলোর তীব্রতা অনুযায়ী এর রোধ কম বা বেশি হয়। ldr এর পূর্ণঅর্থ – লাইড ডিপেন্ডেন্ট রেজিস্টর। এর নির্দিষ্ট কোন ভ্যালু থাকেনা। তবে এর সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন ভ্যালু থাকে। এর আরো একটি জনপ্রিয় নাম ফটো রেজিস্টর।

How Inductor and LDR work in the circuit

সাধারণত ছোট এলডিআর গুলোর ১ মেগা ওহম পর্যন্ত রেজিস্ট্যান্স হয় যেখানে বড় গুলোর রেজিস্ট্যান্স ১০০ কিলো ওহম বা এর আশে পাশে হতে পারে। আর সর্বনিম্ন রেজিস্ট্যান্স কয়েক ওহম পর্যন্ত হয়ে থাকে।

How Inductor and LDR work in the circuit

এল.ডি.আর এর ব্যবহার

এলডিআর দামে সস্তা ও সহজলভ্য হবার কারণে এর প্রচুর ব্যবহার রয়েছে, যেমন-

 

  • মোটামুটি মানের আলো পরিমাপক যন্ত্রপাতিতে (উন্নত মানের পরিমাপক যন্ত্রে ফটো ডায়োড বা ফটো ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়)
  • আলো নির্ভর সন্ধ্যা বাতি তৈরিতে (ডার্ক সেন্সর/লাইট সেন্সর)
  • আলো নির্ভর প্রক্সিমিটি সেন্সর হিসেবে
  • আলো/লেজার নির্ভর সিকিউরিটি সিস্টেমে
  • আলোক উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রক ডিভাইস যেমন অটো ব্রাইটনেস কন্ট্রোলার
  • লাইন ফলোয়ার রোবট তৈরী করতে
  • আলো নির্ভর মিউজিক্যাল বেল তৈরী করতে, ইত্যাদি।

 

 

পরিশেষে বলতে চাই উপরের বিষয়গুলো পাঠ করার পরে সকলের কাছে ইন্ডাক্টর এবং এল.ডি.আর বিষয়ে যত কোশ্চেন ছিল সকল বিষয়গুলো পরিষ্কার ধারণা দিতে পেরেছি । আজকে এতোটুকুই থাক পরবর্তীতে কোন একসময় কোন এক বিষয় নিয়ে আবার হাজির হব

 

লিখেছেন

মোঃশফিকুল ইসলাম মিলন

ইন্সট্রাক্টর

ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

Bearing Capacity of Soil and SPT Test

 

Bearing Capacity of Soil

A foundation is the part of a structure that transmits the weight of the structure to the ground. All structures constructed on land are supported on foundations. A foundation is a connecting link between the structure proper and the ground which supports it. The bearing strength characteristics of foundation soil are major design criteria for civil engineering structures. In nontechnical engineering, bearing capacity is the capacity of soil to support the loads applied to the ground. The bearing capacity of soil is the maximum average contact pressure between the foundation and the soil which should not produce shear failure in the soil.

Md. Nur Alam Instructor Daffodil Polytechnic Institute

The bearing capacity of your soil will help you determine if you need a shallow foundation or deep foundation. Soil strength directly under the footing, where loads are concentrated, is crucial to foundation performance.

Standard Penetration Test (SPT)

The standard penetration test is an in-situ test that is coming under the category of penetrometer tests. The standard penetration tests are carried out in the borehole. The test will measure the resistance of the soil strata to the penetration undergone. A penetration empirical correlation is derived between the soil properties and the penetration resistance. The test is extremely useful for determining the relative density and the angle of shearing resistance of cohesion-less soils. It can also be used to determine the unconfined compressive strength of cohesive soils.

 

Tools for Standard Penetration Test

The requirements to conduct SPT are:

  1. Standard Split Spoon Sampler
  2. Drop Hammer weighing 63.5kg
  3. Guiding rod
  4. Drilling Rig.
  5. Driving head (anvil).

 

Procedure

The test uses a thick-walled sample tube, with an outside diameter of 50.8 mm and an inside diameter of 35 mm, and a length of around 650 mm. This is driven into the ground at the bottom of a borehole by blows from a slide hammer with a mass of 63.5 kg (140 lb) falling through a distance of 760 mm (30 in). The sample tube is driven 150 mm into the ground and then the number of blows needed for the tube to penetrate each 150 mm (6 in) up to a depth of 450 mm (18 in) is recorded. The sum of the number of blows required for the second and third 6 inches of penetration is termed the “standard penetration resistance” or the “N-value”. In cases where 50 blows are insufficient to advance it through a 150 mm (6 in) interval the penetration after 50 blows is recorded. The blow count provides an indication of the density of the ground, and it is used in many empirical geotechnical engineering formulae.

 

Bearing Capacity of Soil and SPT Test ..

Writer,

Md. Nur Alam

Instructor
Daffodil Polytechnic Institute

Classical Architecture Characteristics

Classical Architecture Characteristics

 

Classical Architecture was flourished in the ancient civilization of Greece and later in Rome. This architectural style has some characteristics in building materials and components like columns, windows, symmetry, order, and marble, etc. Architects use this style in collaboration with other styles for centuries. Here we are going to explore some characteristics of Classical Architecture.

Let’s begin.

Characteristics of Classical Architecture:

Classical Architecture focuses on intellect, boldness, and humility. In most Classical Architectural designs we found these elements. Let’s dig slightly deep into the elements of this style.

 

Use of Proportion and Symmetry:

Classical Architecture buildings use proportions and most of the case symmetrical which consist the building elements like windows and columns.

 

Use of Order:

This architectural style uses different Greek orders like Ionic, Doric, and Corinthian as well as the Romans Composite and Tuscan order.

 

Front Porch with Pediment:

The front porch with pediment is seen in the classical style building. The pediment is situated at the top of the porch and the front door is usually placed at the center of the building.

 

Building Materials:

Classical Architecture uses durable building and construction materials like solid concrete, marble, brick, and other solid stones.

 

 Classical Architecture Characteristics Classical Architecture was flourished in the ancient civilization of Greece and later in Rome. This architectural style has some characteristics in building materials and components like columns, windows, symmetry, order, and marble, etc. Architects use this style in collaboration with other styles for centuries. Here we are going to explore some characteristics of Classical Architecture. Let’s begin. Characteristics of Classical Architecture: Classical Architecture focuses on intellect, boldness, and humility. In most Classical Architectural designs we found these elements. Let’s dig slightly deep into the elements of this style. Use of Proportion and Symmetry: Classical Architecture buildings use proportions and most of the case symmetrical which consist the building elements like windows and columns. Use of Order: This architectural style uses different Greek orders like Ionic, Doric, and Corinthian as well as the Romans Composite and Tuscan order. Front Porch with Pediment: The front porch with pediment is seen in the classical style building. The pediment is situated at the top of the porch and the front door is usually placed at the center of the building. Building Materials: Classical Architecture uses durable building and construction materials like solid concrete, marble, brick, and other solid stones. Unique Design: Classical Architecture is recognized by its unique design from other styles of architecture. Usually, we see broken pediments at the top of the entry door, more decorative surroundings and doors, box-shaped eaves, dental molding and roofs with medium pitch, etc. Rectangle Shape Windows: Rectangular windows are often seen to be used in the symmetrical style and in most cases the window are double-hung. This is the era of Modern Architectural Style and Contemporary Architectural Style and for that reason, other styles are rarely used in today’s work. It is also true other styles have not vanished fully, we still use other styles component by adjusting with the present styles. Author Md Asaduzzaman Russel AIDT & Civil Technology Daffodil Polytechnic Institute

Unique Design:

Classical Architecture is recognized by its unique design from other styles of architecture. Usually, we see broken pediments at the top of the entry door, more decorative surroundings and doors, box-shaped eaves, dental molding and roofs with medium pitch, etc.

 

Rectangle Shape Windows:

Rectangular windows are often seen to be used in the symmetrical style and in most cases the window are double-hung.

 

This is the era of Modern Architectural Style and Contemporary Architectural Style and for that reason, other styles are rarely used in today’s work. It is also true other styles have not vanished fully, we still use other styles component by adjusting with the present styles.

 

Author

Md Asaduzzaman Russel

AIDT & Civil Technology

Daffodil Polytechnic Institute