টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং খুঁটিনাটি । ( দ্বিতীয় পর্ব)

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং খুঁটিনাটি । ( দ্বিতীয় পর্ব)

স্পেশালাইজেশন অফ ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং,

ইন্জিনিয়ার হিসেবে পড়াশোনা শেষ করার পর কর্মক্ষেত্রে নিজের যোগ্যতা প্রকাশ করার জন্য সব বিষয়ে জ্ঞান থাকা বাধ্যতামূলক। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করাটাই যেন এখন এক ধরনের বড় চ্যালেঞ্জ। তারপর যদি আবার বস্ত্র প্রকৌশলী হয়ে থাকে তা হলে আর কী বলবো। এখানে উন্নতির চাবিকাঠি ই যেন জ্ঞান, ধৈর্য, পরিশ্রম ও সততা। বস্ত্রের সূচনা হয় এই স্পিনিং থেকে, আর তাই একজন বস্ত্র প্রকৌশলী হিসেবে এই বিষয়ে খুটিনাটি জ্ঞান রাখা যেন ছোটকালে স্বরবর্ণ শেখার মতো কিছুটা। উদাহরণস্বরূপ:মনে করেন আপনি একটা কাপড় কিনলেন যদি সেই কাপড়ের সুতা খারাপ হয়ে থাকে তাহলে কেমন লাগবে?? তাই কাপড় তৈরির জন্য প্রযোজ্য সুতা তৈরির সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া নিয়ে আজ আলোচনা করবো…

মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি সুবিশাল ব্রাঞ্চ হল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং। র-ম্যাটারিয়াল থেকে ফিনিশিং প্রোডাক্ট প্রস্তুতকরণে Yarn প্রস্তুত করার ধাপগুলোর সাথে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর রয়েছে নিবিড় প্রয়োগ যা Yarn Engineering আলোচনা করা হয়। 

 

ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কিঃ

ইয়ার্ন  অর্থ সুতা। ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং হল সুতার ইঞ্জিনিয়ারিং।ফাইবার বা আঁশ থেকে সুতায় পরিণত করতে সকল প্রসেসিংই হল ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং।

সকল ধরনের ফাইবার থেকে ব্যবহারযোগ্য সুতা তৈরির জন্য ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং অত্যাবশ্যক।

সবচেয়ে পুরাতন সাব্জেক্ট হিসেবে টেক্সটাইল সেক্টরের যেকোন জবের জন্য ইয়ার্ন বেসিক কোর্স ।

Mother of Textile নামে খ্যাত এই অনুষদ টেক্সটাইল এর ভিত্তি ।একে Legend Making সাব্জেক্টও বলা হয়ে থাকে।

 

স্পিনিং সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে প্রশ্ন আসে যে স্পিনিং কি? সহজ কথায় বলতে গেলে স্পিনিং বলতে বোঝায় ফাইবার বা Raw materials থেকে সুতা তৈরির প্রক্রিয়া। স্পিনিং কে কয়েকভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে, তার মধ্যে cotton spinning, Jute spinning প্রভৃতি। Cotton spinning বলতে সাধারণত তুলা থেকে সুতা তৈরির প্রক্রিয়া এবং Jute spinning বলতে পাট থেকে সুতা তৈরির প্রক্রিয়া কে বোঝানো হয়ে থাকে। সাধারণত cotton spinning এর ওপর ভিত্তি করেই বর্তমান এ বেশি পোশাক প্রস্তুত করা হয়ে থাকে।তাই cotton spinning এর খুঁটিনাটি নিম্নে আলোচনা করা হলো। প্রথমে বলা যাক, স্পিনিং এর মেশিন কিছু সাধারণ ধারনা সম্পর্কে। বর্তমানে বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ conventional m/c গুলো দেখানো হয়। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে সব নতুন মেশিন থাকার কারনে অনেক সময় হকচকিয়ে যায়। তাই মেশিনের নামগুলো জানা অত্যাবশ্যক। Cotton spinning এ Blow room খুবই গুরুত্বপূর্ন। তা জেনে নেওয়া যাক এখানে কি কি ধরনের মেশিন আছে ও তাদের কাজ…

Different lines of Blow room:

CONVENTIONAL: 1.Auto bale opener 2.Automatic blender 3.Step cleaner 4.AXI-flow 5.Porcupine opener 6.Hopper feeder 7.Scatcher machine

TRUTZSCHLER: 1.Unifloc 2.Metal and fire detector 3.Uniclean 4.Unimix 5.Uniflex 6.Loptex

Cotton spinning থেকে সাধারণত তিন ধরনের সুতা তৈরি করা হয়ে থাকে , 1.carded yarn 2.combed yarn 3.Rotor yarn

*Flow chart of carded yarn:

Cotton → Blow Room → Lap → Carding → Carded Sliver → Breaker frame→ Breaker Sliver → Finisher Draw frame→ Finisher Drawn Sliver → Simplex → Roving → Ring Frame → Yarn

 

*Flow Chart of spinning (Combed Yarn)

Blow Room → Carding Machine → Draw Frame → Lap former → Comber → Simplex → Ring Frame

*Flow Chart of Rotor Spinning

Fiber Bale → Blow Room → Lap → Carding → Carded Sliver → Breaker Draw frame → Drawn Sliver → Finisher Draw frame → Drawn Sliver → Rotor Spinning → Rotor Yarn Automatic Bale opener:

ব্লো রোম লাইনের প্রথমেই রয়েছে অটোমেটিক বেল ওপেনার মেশিন। এ মেশিনের কাজ হল কটন বা তুলার বেল্ট কে কেটে ছোট ছোট টুকরা করে পরবর্তী মেশিনে এয়ার কারেন্ট এর মাধ্যমে প্রেরণ করা। অটোমেটিক বেল ওপেনার মেশিনে সাধারণত ম্যানুয়ালি raw cotton feed করা হয়। এ মেশিনে একটি ক্যারেজ থাকে যা চারদিকে ৩৬০ কোনে ঘুরে raw cotton গুলোকে ট্যালেস্কোপিক পাইপের মধ্য দিয়ে প্রেরণ করে। এখানে একটি কন্ডেন্সার থাকে যা এয়ার কারেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে raw cotton গুলোকে পরবর্তী মেশিনে স্থানান্তর করে।

 

Step Cleaner: এ মেশিন সাধারণত Mixing, Blending, Opening and Cleaning হয়ে থাকে। এখানে প্রধানত air current action, regulating action, opposite spike action and beating action হয়ে থাকে।

Air Current Action: এয়ার কারেন্ট একশনের মাধ্যমে সাধারণত raw cotton গুলো স্থানান্তরিত হয়ে থাকে। এছাড়াও এখানে cleaning হয়ে থাকে।

Regulating Action: রেগুলেটিং একশনের মাধ্যমেও ক্লিনিং হয়ে থাকে।

Opposite Spike Action: অপজিট স্পাইক একশনের মাধ্যমে রো কটন ওপেন হয়ে থাকে। এছাড়াও এখানে ক্লিনিং ও মিক্সিংও হয়ে থাকে।

Beating Action: বিটিং একশনের মাধ্যমে তুলার বেল্ট গুলোকে আরও ছোট ছোট টুকরায় পরিণত করা হয় ফলে এখানে ওপেনিং হয়ে থাকে।

Porcupine Opener: এ মেশিনে এসে কটনের বেল্ট গুলো আরও ওপেন, ক্লিন এবং ব্লেন্ডিং হয়ে থাকে। এটিই সাধারণ ব্লো রোম লাইনের শেষ মেশিন। এ মেশিনের আউটপুট হচ্ছে Lap. Blow room থেকে আমরা আউটপুট হিসেবে লেপ পেয়ে থাকি। ব্লো রোম এর পরের মেশিন হচ্ছে কার্ডিং মেশিন। Carding কে Heart or Mother of spinning বলা হয়।

Carding M/C: স্পিনিং এর পূর্ব শর্ত হচ্ছে ফাইবার গুলোকে open এবং individual করা। কার্ডিংই একমাত্র সেকশন যেখানে ফাইবার গুলো পরিপূর্ণ ভাবে ওপেন হয়ে থাকে। এছাড়াও ব্লো রোমে থেকে যাওয়া ময়লা কার্ডিং এ এসে রিমুভ হয়। কার্ডিং মেশিনের ইনপুট হচ্ছে লেপ এবং আউটপুট হচ্ছে কার্ডেড স্লাইভার। কার্ডিং মেশিনের উদ্দেশ্য হচ্ছে ফাইবারকে ওপেন , ক্লিন , ব্লেন্ড করা এবং পরবর্তী প্রসেস এর জন্য কার্ডেড স্লাইভার তৈরি করা।

Drawing Frame: ড্রইং ফ্রেম এর ইনপুট হচ্ছে কার্ডেড স্লাইভার এবং আউটপুট হচ্ছে drawn sliver. ড্রইং ফ্রেমে সাধারণত মিক্সিং ,ব্লেন্ডিং , ডাব্লিং এবং ড্রাফটিং হয়ে থাকে।

Mini Lap Former: মিনি লেপ ফরমার মেশিনের ফাংশন হচ্ছে ডাব্লিং , ড্রাফটিং ব্লেন্ডিং এবং কয়েলিং। মিনি লেপ ফরমার এর উদ্দেশ্য হচ্ছে drawn sliver থেকে কম্বিং মেশিনের জন্য মিনি লেপ তৈরি করা।

Combing M/C: কম্বিং মেশিনের প্রধান কাজ হচ্ছে ফাইবারকে প্যারালাল , হোমোজেনাস এবং ইন্ডিভিজুয়্যাল করা। এছাড়াও এখানে সর্ট ফাইবার এবং ডাস্ট রিমুভ হয়ে থাকে। কম্বিং মেশিনের ইনপুট হচ্ছে মিনি লেপ এবং আউটপুট হচ্ছে combed sliver.

Simplex: সিমপ্লেক্স এ ফাইবার গুলো সুতা তৈরির জন্য পরিপূর্ণ ভাবে উপযোগী হয়ে উঠে। সিমপ্লেক্স এর ইনপুট হচ্ছে combed sliver এবং আউটপুট হচ্ছে roving.

Ring Frame: রিং ফ্রেম হচ্ছে স্পিনিং এর সর্বশেষ মেশিন। এর ইনপুট হচ্ছে রভিং এবং আউটপুট হচ্ছে ইয়ার্ন। রিং ফ্রেমে উৎপন্ন ইয়ার্নকে bobbin এ সংরক্ষণ করা হয়।

উপরোক্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ই Raw materials থেকে yarn প্রস্তুত করা হয়ে থাকে।

 

ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং এর মুলনীতিঃ

ফাইবার হচ্ছে সুতা তৈরির মূল উপাদান।

এই ফাইবার দুই ধরণের হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক ও সিন্থেসিস ।

ফাইবার থেকে সুতা তৈরি সংক্রান্ত সকল পড়াশুনা ইয়ার্নের অন্তর্ভুক্ত।

Carding ,Combing  ,Drawing Out  , Twisting , Spinning এই পাঁচটি ধাপে ফাইবার থেকে মানসম্মত সুতা পেয়ে থাকি।

জব ও বেতনঃ

Yarn Engineering থেকে যে কোন দিকে শিফট করা গেলেও এর রয়েছে বিশাল জব সেক্টর।

বাংলাদেশে প্রায় ৩২০ এর মত স্পিনিং মিল রয়েছে। যার প্রতিটায় প্রচুর ইঞ্জিনিয়ার লাগে।

সুতরাং জব সেক্টর পুরটাই তোমার দখলে।

এখানে স্টার্টিং সেলারি ২০,০০০ থেকে শুরু হলেও খুব তাড়াতাড়ি GM, AGM হওয়া সম্ভব।

খুব তাড়াতাড়ি ফাইবার এর নতুন ডিপার্টমেন্ট আসবে। দেশের বাইরে ব্যপক চাহিদা রয়েছে।

ভিয়েতনাম, চীন, জারমানি, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশে  দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারগন।

 

শিক্ষকতা যাদের ইচ্ছা তাদের জন্যও সুযোগ সবচেয়ে বেশি। সারাদেশেও এই সাবজেক্ট এর শিক্ষক সংকট রয়েছে।

হায়ার স্টাডিজের সুযোগঃ

ইয়ার্নের ক্ষেত্রে রিসার্চের সুযোগ সবচেয়ে বেশি কারণ ইয়ার্ন টেক্সটাইলের ভিত্তি।

জেনেটিক্যালি মডিফাইড ফাইবার এই মুহূর্তে রিসার্চের জন্য একটি ট্রেন্ডিং সেক্টর ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক বিদেশি Scholarship যদি বলি একমাত্র এই ডিপার্টমেন্ট এর আছে।

প্রতি বছর Switzerland এর Rieter কোম্পানি Yarn Engineering এর একজন ছাত্রকে দিয়ে থাকে।

বুটেক্স থেকেও প্রতিবছর স্কলারশীপের মাধ্যমে জার্মানী, তুরস্কে স্টুডেন্ট পাঠানো হয়।

টেক্সটাইল প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট করতে হলে সবার আগে Yarn এর ডেভেলপমেন্ট করতে হবে।

তাই গবেষণার খাতও অনেক বিস্তৃত। Artificial fiber Development এর ব্যাপার তো আছেই।

BMW গাড়ীতে যে জুট কম্পোজিট ব্যবহার করা হয় তাও yarn এর ফসল।

চলবে………….

 

=======================================

লিখেছেন:

ইমাম  সাদ আহমেদ

ইন্সট্রাক্টর

ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

বাংলাদেশেই বিশ্বের প্রথম পরিবেশবান্ধব নিট পোশাক কারখানা !!

বাংলাদেশেই বিশ্বের প্রথম পরিবেশবান্ধব নিট পোশাক কারখানা !!

বিশ্বের প্রথম পরিবেশবান্ধব নিট পোশাক কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জের ‘প্লামি ফ্যাশনস লিমিটেড’। পরিবেশবান্ধব কারখানা হিসেবে ইউএসজিবিসি থেকে প্লামি ফ্যাশনস ‘লিড প্লাটিনাম’ সনদ পেয়েছে। এ জন্য কারখানার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ৮০ পয়েন্টের প্রয়োজন হলেও প্লামি পেয়েছে ৯২ পয়েন্ট। ইউএসজিবিসি হল  আমেরিকার গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল । এটি পরিবেশবান্ধব কারখানার সনদ প্রদানকারী একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।

পরিদর্শনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের উত্তর নরসিংহপুরে ৫ দশমিক ৫০ একর জমির ওপরে ৫৮ হাজার বর্গফুটের এই কারখানায় সর্বদায়  শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে ছিমছাম পরিবেশে কাজ করছেন ১ হাজার ২০০ শ্রমিক।

 

মাসে ৯ লাখ ২০ হাজার পিস পোশাক উৎপাদনক্ষমতা সম্পন্ন এ কারখানাটি শনিবার ২৫ এপ্রিল ২০১৫, উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

কারখানাটিতে তিনটি দোতলা ভবন রয়েছে । যার ছাদ টিন শিট দিয়ে নির্মিত। ছাদে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল লাগানো হয়েছে। দুই তলার মূল কারখানা ভবনটি ইস্পাতের (প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড বিল্ডিং) তৈরি। তিন পাশেই আছে লম্বা বারান্দা। ফটকের পাশেই বাইসাইকেল রাখার ছাউনি। শ্রমিকরা ছাউনিতে তাদের সাইকেল রাখেন।

ওঠা-নামার জন্য পাঁচটি সিঁড়ি থাকলেও বের হওয়ার দরজার সংখ্যা ১১টি। শ্রমিকেরা যাতে স্বস্তিতে কাজ করতে পারেন সে জন্য পুরো কারখানাটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। সব সময় সেখানে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকবে।

ভবনের ওপরের তলার পুরোটাই সূর্যের আলোয় চলবে। এতে ৭০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। আবার কোনো কারণে আলোর স্বল্পতা দেখা দিলে আপনাআপনি জ্বলে উঠবে এলইডি বাতি। এ ছাড়া পুরো ভবনে পাইপ লাগানো হয়েছে, যা দিয়ে বৃষ্টির পানি নিচের ট্যাঙ্কে জমা করা হবে। এ জন্য দুই লাখ লিটার ধারণক্ষমতার একাধিক ট্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। আর এই পানি বাথরুমের পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপণ কাজে ব্যবহৃত হবে। কারখানার ছাদে স্থাপিত সৌরবিদ্যুতের প্যানেলের মাধ্যমে চাহিদার ১৩ শতাংশ বিদ্যুৎ আসবে। সব মিলিয়ে অন্য তৈরি পোশাক কারখানার চেয়ে এখানে বিদ্যুৎ ও পানি অর্ধেক কম লাগবে।

মূল কারখানা ভবনের সামনে রোপণ করা হয়েছে দেশিয় গাছ। সব মিলিয়ে কারখানার চত্বরে আছে ৫২ শতাংশ খোলা জায়গা।  এই বিশাল খোলা জায়গা নিয়ে শ্রমিকদের জন্য লাইফস্টাইল সেন্টার করা হয়েছে। সেন্টারের সামনে আছে ছোট লেক ও ফোয়ারা।

ডাইনিং হল

তিনটি ভবনের একটি ভবন শুধুই শ্রমিকদের জন্য ব্যবহার হবে । দুই তলা এই ভবনের নিচতলায় শিশুদের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র ও খাবারের জন্য ডাইনিং কক্ষ থাকছে।

 

ওপরের তলায় আছে নামাজঘর ও একটি প্রশিক্ষণ কক্ষ। এখানে একসঙ্গে ২০০ শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে ।

একটা বিনোদনকক্ষ আছে, টেলিভিশন, ক্যারম বোর্ড,‌ লুডু সহ বেশ কিছু খেলার সামগ্রী আছে ক্লাবের মতো ।

চাইল্ড কেয়ার হোম
ফোয়ারার আরেক পাশে আলাদা ভবনে পণ্যের গুদাম নির্মাণ করা হয়েছে। ৩৩ হাজার বর্গফুটের এই আধুনিক গুদাম তিন তলাবিশিষ্ট। পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য থাকবে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। গুদামের সামনেই কর্মকর্তাদের কার্যালয় ও নিটিং কারখানা। কারখানার পেছনের অংশে করা হয়েছে ডায়িং কারখানা। পাশেই আছে বর্জ্য পরিশোধনাগার বা ইটিপি। এ ছাড়া আলাদাভাবে নির্মাণ করা হয়েছে রাসায়নিক দ্রব্যের গুদাম। সব ভবন এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে কোনোটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে, অন্যটিতে তা ছড়াবে না।

 

 

 

এদিকে কারখানায় বসানো হয়েছে সর্বশেষ প্রযুক্তির সেলাই মেশিন, যা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়ার পাশাপাশি ধুলাবালি শোষণ করে নেবে আপনাআপনি। উৎপাদনের জন্য যন্ত্রপাতি এমনভাবে আয়োজন করা হয়েছে যে, পোশাক তৈরি থেকে শুরু করে সব প্রক্রিয়া শেষ করে সেখানেই মোড়কজাত হয়ে যাবে।

রানা প্লাজা আর তাজরীন ফ্যাশানের মতো দূর্ঘটনার পরে  বিদেশি ক্রেতারা এবং দেশি শ্রমিকরা বাংলাদেশের পোশাক কারখানার পরিবেশ নিয়ে নানা অভিযোগ তোলে। দুর্ঘটনার পেছনে অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ত্রুটিই প্রধান কারণ।

সেদিক থেকে প্লামি ফ্যাশন নমুনাই বটে।

ইউএসজিবিসির সনদ পেতে একটি প্রকল্পকে ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মান রক্ষা করতে হয়।

প্লামির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল হকের দাবি, তারা ইউএসজিবিসির নিয়ম-কানুন শুরু থেকেই মেনে চলছেন। তিনি বলেন, ‘লিড সনদের ১১০ নম্বরের মধ্যে প্লাটিনাম পাওয়ার জন্য দরকার ৮০ নম্বর। আমরা পেয়েছি  ৯২। এটি ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। সর্বোচ্চ নম্বর নিয়ে পৃথিবীর প্রথম প্লাটিনাম সার্টিফিকেটধারী কারখানা আমাদের প্লামি ফ্যাশন লিমিটেড।’

তিনি আরো বলেন, ‘লিড প্লাটিনামের শর্ত হচ্ছে এমন নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করতে হবে, যাতে কার্বন নিঃসরণ কম হয়। ইট, বালি, সিমেন্ট এগুলো রি-সাইকেলড ‘র’ মেটেরিয়াল হতে হবে। আমরা সেগুলো করেছি। এমনকি সব উপকরণ কারখানার সবচেয়ে কাছের প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রয় করেছি। এতে পরিবহনের জ্বালানি খরচও কম হয়েছে। তাদের শর্ত অনুযায়ী নির্মাণ উপকরণের ৯০ শতাংশই দেশীয় ব্যবহার করেছি। এ ছাড়া প্লাটিনাম পাওয়ার অন্যতম মূল শর্ত হলো ৫০০ বর্গমিটারের মধ্যে শ্রমিকদের থাকার জায়গা বাসস্থান, স্কুল, বাজার, বাস বা টেম্পো স্ট্যান্ড থাকতে হবে। কারণ দূরে হলেই শ্রমিকদের কারখানায় আসতে গাড়ির প্রয়োজন হবে। এতে জ্বালানি খরচের পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ হবে। এ ছাড়া আমাদের রয়েছে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল-মোট বিদ্যুতের ১৩ শতাংশ আসে  এখান থেকে।  শ্রমিকদের গুদামে মাথায় করে বস্তা নিতে হবে না, লিফটে করে বস্তা উঠবে, নামানোর সময় স্লাইডে ছেড়ে দেবে।

শ্রমিকের বেতন-ভাতা সম্পর্কে ফজলুল হক বলেন, ‘আমাদের এই এলাকায় যত গার্মেন্ট আছে এবং প্রচলিত যে বেতন কাঠামো রয়েছে, তার চেয়ে বেশি। শ্রমিকদের জন্য ডাইনিং ফ্যাসিলিটি দিয়েছি-যেটা বাংলাদেশের অনেক ফ্যাক্টরিতেই নেই। একটা বিনোদনকক্ষ আছে, টেলিভিশনসহ বেশ কিছু খেলার সামগ্রী থাকবে-মোটকথা ক্লাবের মতো, শ্রমিকরা টিভি দেখবে, ক্যারম বোর্ড খেলবে, লুডু খেলবে।’

 

শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে অন্যান্য পোশাক কারখানা থেকে মাসিক বেতন এ কারখানায় বেশি। এছাড়াও মেডিক্যাল ও অন্যান্য সুবিধা রয়েছে

উল্লেখ্য যে, বিশ্বের পোশাকশিল্পে এখন পর্যন্ত ৪টি কারখানা লিড সনদের প্লাটিনাম মর্যাদা পেয়েছে। এর মধ্যে দুইটি বাংলাদেশরই ‘ভিনটেজ ডেনিম’  ও ‘প্লামি ফ্যাশন্স’ । এবং অপর দুটি শ্রীলঙ্কার ।

 

References:

http://plummyfashions.com/

http://plummyfashions.com/about-us/

http://textilefocus.com/plummy-fashion-ltd-inspiration-green-industry-world/

https://www.apollo.io/companies/Plummy-Fashions-Ltd/57c4954da6da983260b8032f?chart=count

https://textilelab.blogspot.com/2018/05/blog-post_8.html

https://www.facebook.com/permalink.php?id=102516761556477&story_fbid=129169915557828

http://niterians.blogspot.com/

http://niterians.blogspot.com/search/label/Factory

Writer: K.M. Fahim Istiaque

Instructor, Textile Technology

Daffodil Polytechnic Institute

আজকের জানার বিষয় SEO

আজকের জানার বিষয় SEO

অনপেজ SEO অনেক গুলো বিষয় আছে। এর মধ্যে পেজের টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশন নিয়ে আজকের আলোচনা ।

এইচটিএমএল এর মাধ্যমে অনপেজ এসইও করা হয়। তাই অনপেজ এসইও’র জন্য সর্ব প্রথম আপনাকে হাইপারটেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ অর্থাৎ এইচটিএমএল (HTML) সম্পর্কে জানতে হবে। এরপর কিওয়ার্ড নিয়ে গবেষণা করতে হবে। আমরা যখন সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে অনুসন্ধান করি তখন ফলাফল হিসেবে পেজের ইউআরএল, টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন দেখতে পাই। টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন দেখে আমরা অনুসন্ধানের ফলাফল থেকে সঠিক ফলাফলটিতে ক্লিক করি। অনপেজ এসইও’র জন্য পেজের ইউআরএল, টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন খুবই গুরুত্তপূর্ণ। এই পর্বে টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

পেজ টাইটেল

পেজ টাইটেলে সাধারণত পেজের নাম লেখা হয়। পেজের টাইটেল লেখার জন্য টাইটেল ট্যাগ ব্যবহার করতে হয়। এই ট্যাগের ভিতরে আপনি যা লিখবেন তা আপনার ব্রাউজারের ট্যাবে দেখতে পাওয়া যাবে। যেমন:

<title> Daffodil Polytechnic institute </title>

পেজ টাইটেল লেখার নিয়ম:

পেজ টাইটেলে পেজ সম্পর্কে লিখতে হয়। তাই পেজ সম্পর্কে সাজিয়ে ছোট করে লিখতে হবে। টাইটেলের প্রথম দিকে সঠিক কিওয়ার্ড দিয়ে শুরু করতে হবে। প্রত্যেক পেজের জন্য আলাদা এবং ইউনিক টাইটেল লিখতে হবে। টাইটেল খুব ছোট করেও লেখা যাবে না আবার বেশি বড়ও করা যাবে না। সার্চ ইঞ্জিন শুধুমাত্র পেজ টাইটেলের প্রথম ৬০ অক্ষর দেখায়। তাই ৫০ থেকে ৬০ অক্ষরের মধ্যে লিখতে হবে। অস্পষ্ট টাইটেল এড়িয়ে চলতে হবে। শব্দ গুচ্ছ কমা দিয়ে লেখা যাবে না, বাক্য লিখতে হবে। অনেক সময় এক পেজ থেকে অন্য পেজ পৃথক করতে টাইটেল আলাদা করে লিখতে হয়। টাইটেল আলাদা করে লেখার জন্য অনেকে বিভিন্ন প্রতীক ব্যবহার করে থাকে। আসলেই সব প্রতীক ব্যবহার করা উচিত না। শুধু মাত্র নিচে উল্লেখ করা প্রতীক গুলো ব্যবহার করা উচিত।

 

মেটা ডেসক্রিপশন

মেটা ডেসক্রিপশনে সাধারণত পেজের সারসংক্ষেপ লেখা হয়। মেটা ডেসক্রিপশন লেখার জন্য মেটা ট্যাগ ব্যবহার করতে হয়। এই ট্যাগ টাইটেল ট্যাগের থেকে একটু ভিন্ন। মেটা ট্যাগের ভিতরে বিভিন্ন এট্রিবিউট থাকে। তবে মেটা ডেসক্রিপশন লেখার জন্য নেম এবং কনটেন্ট এট্রিবিউট ব্যবহার করা হয়। মেটা ডেসক্রিপশন লেখার জন্য প্রথমে মেটা ট্যাগ দিয়ে শুরু করতে হবে। এরপর মেটা ট্যাগের নেম এট্রিবিউটের ভিতরে ডেসক্রিপশন লিখতে হবে এবং কনটেন্ট এট্রিবিউটের ভিতরে পেজের সারসংক্ষেপ লিখতে হবে। আর কনটেন্ট এট্রিবিউটের ভিতরে আপনি যা লিখবেন তা সার্চ ইঞ্জিন দেখাবে। যেমন:

<meta name=” description”  Content = “ Daffodil Polytechnic institute”/>

 

মেটা ডেসক্রিপশন লেখার নিয়ম:

মেটা ডেসক্রিপশনে পেজ সম্পর্কে সারসংক্ষেপ লিখতে হবে, তাই প্রথমে পেজ সম্পর্কে সারসংক্ষেপ সাজিয়ে নিতে হবে। সারসংক্ষেপ এর ভিতরে সঠিক কিওয়ার্ড দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে হবে। এর বেশি ব্যবহার করা যাবে না। প্রত্যেক পেজের বিষয় বস্তু কখনো এক হবে না তাই আলাদা এবং ইউনিক সারসংক্ষেপ লিখতে হবে। সারসংক্ষেপ খুব ছোট করেও লেখা যাবে না আবার বেশি বড়ও করা যাবে না। সার্চ ইঞ্জিন শুধুমাত্র মেটা ডেসক্রিপশনের প্রথম ১৫০-১৬০ অক্ষর দেখায়। তাই ১৫০ থেকে ১৬০ অক্ষরের মধ্যে লিখতে হবে। অস্পষ্ট সারসংক্ষেপ এড়িয়ে চলতে হবে। শব্দ গুচ্ছ কমা দিয়ে লেখা যাবে না, বাক্য লিখতে হবে। সার্চ ইঞ্জিনকে এক ধরণের সারসংক্ষেপ আর ব্যবহারকারীকে অন্য ধরণের কনটেন্ট দেখানো যাবে না। তাই সব চেয়ে ভালো উপায় হল পেজের ভিতরে থাকা কনটেন্ট থেকে সারসংক্ষেপ বাছাই করা।

 

 

===========

সোমা রানী দাস

বিভাগীয় প্রধান

ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং

 

 

কম্পিউটারের পোস্ট (POST) কি ?

কম্পিউটারের পোস্ট (POST) কি ?

 

আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বা সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখা, মন্তব্য, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি পোস্ট (POST) করে থাকি। আজ আমি যে পোস্ট নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি এটি সেই পোস্ট না। বানান এক হলেও অর্থ এবং কাজ আলাদা। পোস্ট (POST) নিয়ে বিস্তারিত জানার পূর্বে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু ধারনা নেওয়া যাক।

 

 

 

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সম্পর্কে কম বেশি সবাই জানি। তবুও আলোচনা করলাম। কম্পিউটারের যেসকল অংশ গুলো দেখা এবং স্পর্শ করা যায় সেগুলো হল হার্ডওয়্যার। যেমনঃ মনিটর, কিবোর্ড, মাউস, কেসিং ইত্যাদি। আবার কেসিংএর ভিতরে আছে মাদারবোর্ড। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন মাদারবোর্ড কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়্যার। মাদারবোর্ডের সঙ্গে অনেক হার্ডওয়্যার যুক্ত করা থাকে। যেমনঃ পাওয়ার সাপ্লাই, প্রসেসর, র‍্যাম, ভিডিও কার্ড, হার্ড ডিস্ক ইত্যাদি। এমন আরো অনেক হার্ডওয়্যার দিয়ে একটি পারসোনাল কম্পিউটার তৈরি করা হয়।

এবার যাওয়া যাক মূল প্রসঙ্গে, কম্পিউটারে পোস্ট (POST) কি? কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?

পোস্ট (POST)

পোস্ট (POST) এর পূর্ণরূপ হল পাওয়ার অন সেলফ টেস্ট (Power On Self Test)। কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিজিটাল ইলেকট্রনিক ডিভাইস চালু হওয়ার পর একটি সফটওয়্যার দ্বারা সকল হার্ডওয়্যার পরীক্ষা করার প্রক্রিয়াকে পোস্ট বলা হয়। ক্রমাগত কিছু কাজের নির্দেশাবলী মাদারবোর্ডের একটি রম চিপের ভিতরে দেওয়া থাকে। এই রম চিপের নাম বায়োস (BIOS)। বায়োসের একটি অংশ হল পোস্ট। মাদারবোর্ড চালু হওয়ার পর প্রয়োজনীয় সকল হার্ডওয়্যার যেমনঃ ভিডিও কার্ড, প্রসেসর, RAM,হার্ড ডিস্ক ইত্যাদি ঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করা পোস্টের কাজ। যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে একবার বিপ শব্দ দেয়। আর যদি কোন ত্রুটি থাকে তাহলে ত্রুটি বোঝানোর জন্য ক্রমাগত ভাবে বিভিন্ন রকম বিপ শব্দ দেয়। বিপ শব্দের জন্য মাদারবোর্ডে অবশ্যই স্পিকার থাকতে হয়। আধুনিক মাদারবোর্ড গুলোতে Error বোঝানোর জন্য ছোট্ট একটি ডিসপ্লে থাকে যেখানে Error কোড দেখায়। এই Error কোড দেখে বোঝা যায় কি সমস্যা হয়েছে।

পোস্ট প্রথমে ভিডিও কার্ড পরীক্ষা করে। যদি তা ঠিক থাকে তাহলে মনিটরের পর্দায় পোস্টের তথ্য গুলো দেখা যায়। এরপর ক্রমাগত ভাবে প্রসেসর,RAM, হার্ড ডিস্ক পরীক্ষা করে। যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে এরপর কিবোর্ড আর মাউস আছে কিনা তা পরীক্ষা করে। যদি এই পর্যন্ত সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে এরপর বায়োস (BIOS) সেটিংসে যাওয়ার উপায় দেখায়। এই পর্যন্তই পোস্টের কাজ।

 

===========

সোমা রানী দাস

বিভাগীয় প্রধান

ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং

 

 

 

 

টেলিযোগাযাগের ইতিহাস

টেলিযোগাযাগের ইতিহাস

বর্তমান আমরা ঘড়ে বসেই পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে খবর সহযেই নিতে পারি, এখন আর কোন তথ্য সগ্রহের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার প্রয়োজন হয় না, শুধু তাই না, যে সকল ডিভাইস এই সুবিধা গুলো দিচ্ছে সেগুলোও এবং সহজ মূল্য ও হাতের কাছেই রয়েছে । আর প্রতিটি মানুষ তার প্রয়োজনে ইচ্ছা অনিচ্ছায় উক্ত ডিভাইস গুলো ব্যবহার করেই যাচ্ছে, আর বর্তমানে এই সুবিধাগুলো ছাড়া একটি মুহূর্ত ভাবতে পারি না আমরা । মানুষ যোগাযোগের উপার র্নিভরশীল কারন মানুষ একা বসবাস করতে পারে না । তাই মানুষ পৃথিবীর সূচনা থেকেই যোগাযোগ(টেলিযোগাযাগের ইতিহাস) ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য কাজ করেই আজ আমরা এই বর্তমান পেয়েছি ।

তই চলুন যেনে নেই টেলিযোগাযোগের ইতিহাস –

টেলিযোগাযোগ বলতে মূলত বোঝায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে যোগাযোগের উদ্দেশ্যে দূরবর্তী কোনো স্থানে সংকেত তথা বার্তা পাঠানো। এই যোগাযোগ তারের মাধ্যমে অথবা তারবিহীন প্রযুক্তি ব্যবহার করেও হতে পারে। খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দ থেকে দূর পাল্লার যোগাযোগ প্রচলিত হয়।পরবর্তীতে তারযুক্ত ও তারহীন বার্তা প্রেরণের হরেক মাধ্যম বিবর্তিত হয়েছে। টেলিফোন বা রেডিও যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বর্তমানে বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে তড়িচ্চুম্বক‌ তরঙ্গ পাঠানো হচ্ছে। এ যুগে টেলিযোগাযোগ বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত এবং এ পদ্ধতিতে ব্যবহৃত যন্ত্র যেমন টেলিফোনরেডিওটেলিভিশন এবং ওয়াকিটকি সর্বত্র দেখতে পাওয়া যায়। এ সকল যন্ত্রকে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক রয়েছে। যেমন: পাবলিক টেলিফোন নেটওয়ার্কবেতার নেটওয়ার্ককম্পিউটার নেটওয়ার্ক এবং টেলিভিশন নেটওয়ার্ক। ইন্টারনেট এর মাধ্যমে একটি কম্পিউটারের সাথে আরেকটি কম্পিউটারের সংযোগ স্থাপনও একপ্রকার টেলিযোগাযোগ।

প্রাচীন সিস্টেম এবং অপটিক্যাল টেলিগ্রাফি

প্রাথমিক টেলিযোগাযোগে ধোঁয়া সংকেত এবং ড্রাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। আফ্রিকার অধিবাসীরা ড্রাম এবং উত্তর আমেরিকা এবং চীনে ধোঁয়া সংকেত ব্যবহার করত। ইতিহাসে মাঝে মাঝে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে কবুতরও ব্যবহৃত হয়েছে।

মধ্যযুগের সময়, সাধারণত সঙ্কেত পাঠাতে পাহাড়ের চূড়ায় আলোক-সঙ্কেত ব্যবহৃত হত। আলোক-সঙ্কেত ব্যবহারের একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ স্প্যানিশ আর্মাডা, যখন আলোক-সঙ্কেতের মাধ্যমে প্লাইমাউথ থেকে লন্ডনে স্প্যানিশ যুদ্ধজাহাজের আগমন বার্তা জানানো হয়েছিল।

 

 

 

বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ

বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফের উপর গবেষণা প্রায় ১৭২৬ সালে শুরু হয়েছিল যা প্রাথমিকভাবে ব্যর্থ হয়েছিল।

লাপ্লাসঅম্পেয়্যার এবং গাউসসহ বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে গবেষণা করেছিলেন।

প্রথম কার্যকর টেলিগ্রাফটি ১৮১৬ সালে ফ্রান্সিস রোনাল্ডস দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এবং এতে স্থির বিদ্যুত ব্যবহার করা হয়েছিল।

আটলান্টিক মহাসাগরের অপর প্রান্তে, স্যামুয়েল মোর্স বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফের একটি সংস্করণ তৈরি করেছিলেন যা তিনি ২রা সেপ্টেম্বর ১৮৩৭ সালে প্রদর্শিত করেছিলেন। টেলিগ্রাফে মোর্সের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত অবদান ছিল সহজ এবং অত্যন্ত কার্যকর মোর্স কোড, যা তিনি আলফ্রেড ভেইলের সাথে যৌথভাবে তৈরি করেছিলেন।

প্রথম সফল ট্রান্সটল্যান্টিক টেলিগ্রাফ কেবলটি ২৭ই জুলাই ১৮৬৬ সালে সম্পন্ন হয়েছিল এবং প্রথমবারের জন্য অবিচ্ছিন্ন ট্রান্সটল্যান্টিক টেলিযোগাযোগের সূচনা হয়েছিল।

টেলিফোন

বৈদ্যুতিক টেলিফোন ১৮৭০ সালে আবিষ্কার হয়েছিল। প্রথম বাণিজ্যিক টেলিফোন পরিষেবা ১৮৭৮ সালে স্থাপিত হয়েছিল এবং ১৮৭৯ সালে আটলান্টিকের উভয় পাশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাভেনকানেটিকাট এবং যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ডের লন্ডন শহরে স্থাপিত হয়েছিল। দুটি দেশের ক্ষেত্রে এই জাতীয় পরিষেবার টেলিফোনের মাস্টার পেটেন্ট করেছিলেন আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল

১৮৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি বড় শহরে আন্তঃশহরের লাইন তৈরি এবং টেলিফোন এক্সচেঞ্জে

র মাধ্যমে বাণিজ্যিক পরিষেবাগুলির উত্থানের ফলে টেলিফোন প্রযুক্তি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছিল।

 

বেতার এবং টেলিভিশন

১৮৯৪-১৮৯৬ সময়ে বাঙালি পদার্থবিদ জগদীশ চন্দ্র বসু অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ যোগাযোগের প্রথম গবেষণা করেছিলেন, তিনি অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ সৃষ্টি এবং কোন তার ছাড়া এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তা প্রেরণে সফলতা পান। তিনি তার পরীক্ষায় ৬০ গিগাহার্টজ পর্যন্ত অত্যন্ত উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সিতে পৌঁছেছিলেন।

১৯২৪ সালে, জাপানি প্রকৌশলী কেনজিরো তাকায়নাগি বৈদ্যুতিক টেলিভিশন নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। ১৯২৫ সালে, তিনি থার্মাল ইলেকট্রন এম্মিসনসহ একটি সিআরটি টেলিভিশন প্রদর্শন করেছিলেন।

স্যাটেলাইট

মার্কিন উপগ্রহ প্রজেক্ট এসকোর ১৯৫৮ সালে ভয়েস বার্তা সংরক্ষণ এবং ফরোয়ার্ড করতে একটি টেপ রেকর্ডার ব্যবহার করে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ারের কাছ থেকে বিশ্বের কাছে ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। আজকাল স্যাটেলাইট অনেক অ্যাপ্লিকেশনে যেমন জিপিএস, টেলিভিশন, ইন্টারনেট এবং টেলিফোনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট

ইন্টারনেট অধিগমন হচ্ছে এক ধরনের প্রক্রিয়া যা একক ব্যবহারকারী এবং সংগঠনকে ইন্টারনেটের সাথে সংযোগের সুবিধা দেয়। এই প্রক্রিয়াটি কম্পিউটার, কম্পিউটার টার্মিনাল, মোবাইল ডিভাইস এবং মাঝে মাঝে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক দিয়ে বাস্তবায়িত করা হয় । ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হলেই যেকেউ ইন্টারনেটে প্রদত্ত সুবিধাসমূহ (যেমন: ইমেইল ও ওয়েব ব্রাউজিং) উপোভগ করতে পারে। ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী  বিভিন্ন প্রযুক্তির সহয়তায় ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাসমূহ, যা বিস্তৃত পরিসরে ডেটা সংকেত হারের (বেগ) প্রদান করে।

১৯৯০ এর দশকে ডায়েল-আপ ইন্টারনেট সুবিধার মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার জনপ্রিয়তা লাভ করে। একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে এসে উন্নত দেশসমূহের ব্যবহারকারীরা আগের তুলনায় দ্রুত, ব্রডব্যন্ড ইন্টারনেট সুবিধা সম্ভলিত প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে। ২০১৪ এর নাগাদ এটি সারা বিশ্বব্যপী ছড়িয়ে পরে। যার গড় সংযোগ বেগের মাত্রা ৪মেগাবিট/সে

-তথ্যসূত্র: গুগোল

লেখক:

আব্দুল্লাহ আল মামুন

ইন্সট্রাকটর টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ ।

ড্যাফডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ঢাকা ।

ক্যারিয়ার যখন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

ক্যারিয়ার যখন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

শিল্পায়ননির্ভর এ সময়ে যে কয়েকটি পেশাকে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ধরা হয়, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং তাদের মধ্যে একটি। একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রের ডিজাইন, নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে থাকেন।

 

এক নজরে একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

সাধারণ পদবী: ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

বিভাগ: ইঞ্জিনিয়ারিং

প্রতিষ্ঠানের ধরন: সরকারি, বেসরকারি, প্রাইভেট ফার্ম/কোম্পানি, ফ্রিল্যান্সিং

ক্যারিয়ারের ধরন: ফুল-টাইম, পার্ট-টাইম

লেভেল: এন্ট্রি, মিড

এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য অভিজ্ঞতা সীমা: ০ – ২ বছর

এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য গড় বেতন: ৳৩০,০০০ – কাজ, প্রতিষ্ঠান ও অভিজ্ঞতাসাপেক্ষ

এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য বয়স: ২৫ বছর

মূল স্কিল: পাওয়ার, ইলেক্ট্রনিক্স, টেলিকমিনিকেশন

বিশেষ স্কিল: সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা, প্রজেক্ট ব্যবস্থাপনা, সম্পদ ব্যবস্থাপনা

একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কোথায় কাজ করেন?

বিদ্যুৎ বিভাগ-যেমন Bangladesh Power Development Board (BPDB), Dhaka Power Distribution Company (DPDC), Dhaka Electricity Supply Company (DESCO), Rural Electrification Board (REB), Bangladesh Water Development Board of Bangladesh (BWDB)

শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র

মোবাইল ফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সেনা, নৌ বা বিমান বাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরএকজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কী ধরনের কাজ করেন? প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ আলাদা হয়ে থাকে।

বিদ্যুৎ বিভাগঃ উৎপাদন বিভাগে উচ্চক্ষমতার জেনেরেটর এর নিয়ন্ত্রণ ও উৎপাদন পর্যবেক্ষণ

বিতরণ বিভাগঃ ট্রানমিশন লাইনের রক্ষণাবেক্ষণ

বিপণন বিভাগঃ বিল তৈরি

নতুন ভোক্তাদের সেবা প্রদান

ট্রান্সফরমারের রক্ষণাবেক্ষণ

টেলিফোন বিভাগঃ নতুন সংযোগ প্রদান

নতুন নেটওয়ার্ক নির্মাণ

বিল তৈরি করা

শিল্পকারখানাঃ অটোমেটেড মেশিনের মেইন্টেনেন্স

ওভারহোলিং করা

ব্যবস্থাপনাঃ উৎপাদন ব্যাবস্থাপনা, মান নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি।

একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?

 

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক বা ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকতে হবে।

বয়সঃ প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষে বয়সের সীমা নির্ধারিত হয়। সাধারণত আপনার বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর হতে হবে।

অভিজ্ঞতাঃ এ পেশায় অভিজ্ঞদের প্রাধান্য রয়েছে। সাধারণত ১-২ বছরের অভিজ্ঞতা কাজে আসে।

 

একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?

 

পাওয়ার সেক্টরে পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে জ্ঞান

টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিতে কমিউনিকেশন বিষয়ে জ্ঞান

PLC (Programmable Logic Controller), Microcontroller বিষয়ে জ্ঞান

C++ Programming language জানা

নন-টেকনিক্যাল জ্ঞানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো –

সৃজনশীল উপায়ে ও যৌক্তিকভাবে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা;

বিশ্লেষণী ক্ষমতা, যা খুঁটিনাটি বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে সাহায্য করতে পারে;

অন্যদের সাথে কাজ করার মানসিকতা থাকা;

বিভিন্ন ধরনের কাজ একসাথে সামলানোর দক্ষতা;

বড় কারখানায় ভারি যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ করার মানসিকতা থাকা;

কোথায় পড়বেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং?

বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর বিএসসি ডিগ্রি নিতে পারেন। আবার ডিপ্লোমা কোর্সেও পড়াশোনার ব্যবস্থা আছে। এছাড়া বাংলাদেশে বহু সরকারি-বেসরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে, যেখানকার বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু কারখানা ও শিল্পাঞ্চলে কাজ পেতে সাহায্য করবে।

 

একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের মাসিক আয় কেমন?

 

সরকারি বিদ্যুৎ বিভাগ: ৩২০০০

সরকারি মালিকানাধীন লিমিটেড কোম্পানি: ৫২০০০

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (টেলিকম/ ব্যাংক/ বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান) : ৩৫০০০- ৪০,০০০

অভিজ্ঞতা ও কারিগরি যোগ্যতা এবং বিশেষায়িত প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত বিদ্যুৎ প্রকৌশলীরা বেসরকারিখাতে বা কনসালটেন্সি করে মাসে ১- ২ লক্ষ টাকাও আয় করতে পারেন।

 

একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?

 

যেহেতু ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজের পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক তাই ক্যারিয়ারের শুরুতেই নিজের পছন্দের ক্ষেত্র নির্বাচন খুব জরুরি। কেউ যদি সরকারি পরিদপ্তরে কাজ করতে চান তবে বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবেশন বা সংরক্ষণ বিভাগে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কাজে যোগ দান করলে সেই বিভাগে পদোন্নতি সাপেক্ষে প্রধান প্রকৌশলী পর্যন্ত হতে পারেন যা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ পেশা। এছাড়া বেসরকারি কারখানা গুলোতেও সহকারী প্রকৌশলী থেকে ম্যানেজার কিংবা জেনারেল ম্যানেজার, হেড অফ অপারেশন পর্যন্ত পদোন্নতি পাওয়া সম্ভব। সামরিক বাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে সরাসরি মেজর পদে নিয়োগ দেয়া হয় যা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের প্রধান মেজর জেনারেল পর্যন্ত পদোন্নতি পাওয়া সম্ভব। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পেশা অত্যন্ত বৈচিত্রময়- আপনার মেধা, সততা আর সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ আপনাকে সরকারি কিংবা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে একজন অনন্য উপাদানে পরিনত করবে।

লেখক,

লেখকঃ মোঃ আব্দুল্লা-আল-মামুন রুপম

ইন্সট্রাকটর, ইলেকট্রিক্যাল

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

ইঞ্জিনিয়ারদের ক্যারিয়ার গঠনে বিশ্বের যেসব দেশ এগিয়ে

ইঞ্জিনিয়ারদের ক্যারিয়ার গঠনে বিশ্বের যেসব দেশ এগিয়ে

বর্তমান বিশ্ব সামনের দিকে এগিয়ে চলছে বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিনিয়ারদের হাত ধরে। সেটা হোক সিভিল, ক্যামিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল অথবা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফসল বর্তমানে আমাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তি। আর এখনো সেগুলোর উন্নতি ঘটছেও এই ইঞ্জিনিয়ারদের হাত ধরে। আন্তর্জাতিকভাবে ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকলেও সকল দেশে নিজের ক্যারিয়ার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে গড়ে তোলা সহজ বিষয় নয়। কারণ প্রায়শই দেখা যায়, অনেক দেশেই প্রয়োজনের তুলনায় ইঞ্জিনিয়ারদের সংখ্যা বেশি।

অন্যভাবে বললে, ইঞ্জিনিয়ারদের তুলনায় অনেক দেশেই চাকরির প্রয়োজনীয় পদ সংখ্যা কম। আমাদের দেশে প্রায় দেখা যায় বহু দক্ষ এবং ভালো রেজাল্ট করা ইঞ্জিনিয়াররা বেকার পরিস্থিতি কাটাচ্ছে। আর এই বেকারত্ব ঘুচাতে তারা বাহিরের বিভিন্ন দেশে চাকরির সন্ধান করছে। যারা বাহিরের দেশে ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। চলুন জেনে নেওয়া যাক যেসব দেশে ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা সবথেকে বেশি এবং দ্রুত একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নিজেকে গড়ে তোলা সম্ভব।

১. কানাডা

বিশ্বের সবথেকে অগ্রসর অর্থনীতি আর বৃহত পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য কানাডা বেশ শক্ত অবস্থানে নিজের জায়গা দখল করে নিয়েছে। যদিও এর মূল প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস এবং কাঠ তবে ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য এদেশে নেই কাজের অভাব। পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং আর কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কানাডায় প্রথম শ্রেণীর চাকরির মধ্যে ধরা হয়।

তবে এর জন্য আপনাকে কানাডিয়ান সরকারের প্রফেশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং এসোসিয়েশনের প্রদত্ত লাইসেন্স নিতে হবে। তবে আপনি যদি প্রফেশনাল লাইসেন্সটি অর্জন করতে পারেন তাহলে সেদেশে আপনি পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার অথবা ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে গড়ে তুলতে পারবেন অসাধারণ একটি ক্যারিয়ার।

 

২. নিউজিল্যান্ড

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ভালো চাকরি অথবা নিজস্ব কোম্পানি খোলার জন্য নিউজিল্যান্ডের মতো দেশ খুব কমই পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম স্থিতিশীল অর্থনীতির দেশে নিউজিল্যান্ড। তবে ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হওয়ায় এই দেশের বাড়িঘরের অবকাঠামোর উন্নয়ন কিছুদিন পরপরই প্রয়োজন হয়। ফলাফল এদেশে তৈরি হয়েছে প্রচুর পরিমাণে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য নিউজিল্যান্ড স্বর্গ বলা চলে। দেশে যদিও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ভালো চাহিদা এখনো রয়েছে, তবে আপনি চাইলে নিউজিল্যান্ডেও একটি চেষ্টা চালিয়ে দেখতে পারেন।

 

৩.  সুইজারল্যান্ড

 

আপনি যদি মেকানিক্যাল অথবা কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে কানাডার পাশাপাশি লিস্টে রাখতে পারেন সুইজারল্যান্ডের নাম। ইউরোপীয় দেশেগুলোর মধ্যে নাম কামাতে না পারলেও নিশ্চিত থাকুন বিশ্বের ধনী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হচ্ছে সুইজারল্যান্ড। ইউরোপীয় শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে উচ্চ পরিমাণ পারিশ্রমিকের পাশাপাশি সুইজারল্যান্ড রয়েছে ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের সবথেকে বেশি চাহিদা।

৪. জার্মানি

 

আটলান্টিকের নিকটে অবস্থিত জার্মানিতে প্রচুর পরিমাণে ফার্মাসিউটিক্যাল এবং অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা রয়েছে। পৃথিবীর আবিষ্কারের ইতিহাসে সমৃদ্ধ দেশ জার্মানি। তেমন প্রচুর ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মক্ষেত্র তৈরিতে রয়েছে এর অবদান। শুধুমাত্র ফার্মাসিউটিক্যাল আর অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ নয়, মেকানিক্যাল এবং বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও এইদেশে ক্যারিয়ার দ্রুত গড়ে নেওয়া সম্ভব।

 

৫. ইংল্যান্ড

 

বল চলে, প্রায় সকল ধরনের ইঞ্জিনিয়ারদের কমবেশি চাহিদা রয়েছে এই দেশে। মেকানিক্যাল থেকে শুরু করে কম্পিউটার, কেমিক্যাল অথবা এরোনট্যিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং যেকোনো কর্মক্ষেত্রে সহজে উচ্চ বেতনে আপনি চাকরি পাবেন এই দেশে। তবে সমস্যা হচ্ছে এর জন্য আপনাকে টায়ার ৫ কোম্পানির লাইসেন্স প্রয়োজন হবে। যেটা অর্জন করা কিছুটা মুশকিল বটে। তবে ভালো দিক হচ্ছে ভাষা নিয়ে আপনাকে দুশ্চিন্তা করতে হচ্ছে না। ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করার জন্য প্রথম কয়েকটি পছন্দের মধ্যে আপনি ইংল্যান্ডকে চাইলে রাখতে পারেন।

৬. ভারত

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের নাম শুনে অনেকেই অবাক হয়ে যেতে পারেন। যেখানে নিজেদের দেশে বহু ইঞ্জিনিয়ারিং বেকার বসে রয়েছে সেখানে ভারতে চাহিদা শুনলে যে কেউ অবাক হতেই পারেই। প্রায় ১.৩ বিলিয়ন জনসংখ্যা এই দেশে প্রচুর পরিমাণে ইঞ্জিনিয়ার রয়েছে।

যারা নিজেদের দেশের প্রায় সব সেক্টরে কম বেশি চাহিদা পূরন করছে। তবে ভারতে এরপরও বাহিরের বিভিন্ন দেশ হতে অনেক সেক্টরে ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দিচ্ছে। তবে নিত্যনতুন ওষুধ কোম্পানির সৃষ্টি হওয়াতে বর্তমানে ভারতে সবথেকে বেশি চাহিদা হচ্ছে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের।

 

৭. জাপান

সারাবিশ্বের প্রযুক্তিতে সবথেকে এগিয়ে থাকা তিনটি দেশের মধ্যে একটি হচ্ছে জাপান। বেশিরভাগ ইঞ্জিনিয়াররা ভালো করেই জানেন জাপানে ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে মতো ভালো সুযোগ খুব কম দেশেই পাওয়া যায়। ধনী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম দেশ জাপান। নিত্যদিনের ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তিগত পণ্য হতে এদের প্রতিটি ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে কর্মরত রয়েছে লাখ লাখ মানুষ। এরপরও এই দেশের ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা কমেনি। প্রতিনিয়ত দেওয়া হচ্ছে অসংখ্য চাকরির বিজ্ঞপ্তি। তবে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি মেকানিক্যাল, বায়োমেডিক্যাল, ক্যামিক্যাল এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে এই দেশটিতে।

 

৮. চীন

বিশ্বের বাণিজ্যে বর্তমানে সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলছে চীন। চলতি বছরের হিসাবে অনুযায়ী আমেরিকার থেকে খুব শীঘ্রই সমৃদ্ধ অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলছে চীন। এর মূল কারণ হচ্ছে এদেশে বৃহৎ পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ। এছাড়া সেদেশের ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্ভোধনী শক্তি আর সেগুলোর বাণিজ্যিক উৎপাদনও রেখেছে সম পরিমাণ প্রভাব। তবে অনেকে মনে করে থাকেন ইঞ্জিনিয়ারদের নতুন নতুন আবিষ্কার আর সরকারিভাবে সেগুলো প্রসারে সহায়তা করার কারনেই চীন বর্তমান সমৃদ্ধ অর্থনীতি গড়ে তুলতে পেরেছে।


প্রায় প্রতিটি ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরেই চীন দেশে নিযুক্ত রয়েছে লাখ লাখ মানুষ। সিভিল, ক্যামিক্যাল, বায়ো মেডিক্যাল, এরোনট্যিক্যাল অথবা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারই হোক! কোনো ক্ষেত্রেই এর কমতি নেই। তবুও প্রতি বছর লাখ লাখ ইঞ্জিনিয়ার বিভিন্ন সেক্টরে চীনের বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করছে। অথবা অনেক প্রবাসীরাও নিজেই নিজেদের কোম্পানি খুলে নিয়েছে। স্বনির্ভর হোক বা অন্য কোন কোম্পানির অধীনে হোক, চীনে ইঞ্জিনিয়ারদের ভাগ্য সবথেকে দ্রুত গড়ে তুলতে সহায়ক এই নিয়ে কারো মনে কোন সন্দেহ নেই।

 

লেখকঃ

মোঃ আব্দুল্লা-আল-মামুন রুপম

ইন্সট্রাকটর, ইলেকট্রিক্যাল

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

Auto CAD কি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এ কেন  Auto CAD শিখব

Auto CAD কি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এ কেন  Auto CAD শিখব

Auto CAD???

অটোডেস্কের তৈরি অটোক্যাড একটি কম্পিউটার-এডেড সফ্টওয়্যার প্রোগ্রাম যা স্থপতি, প্রকৌশলী,ড্রাফটসম্যান এবং অন্যান্য অভিজ্ঞ পেশাদারদের দ্বি মাত্রিক এবং ত্রিমাত্রিক নকশা এবং মডেল তৈরি করতে সক্ষম করে।1982 সালে জন ওয়াকার অটোক্যাড প্রতিষ্ঠা করেছিল।

Auto CAD => Automatic Computer Aided Drafting ( অটোমেটিক কম্পিউটার এডেড ড্রাফটিং) অটোডেস্ক এর সর্বাধিক জনপ্রিয় অঙ্কন প্রোগ্রাম।

  • Many student versions available for free online at students.autodesk.com

o AutoCAD (অটোক্যাড)

o Architecture (আর্কিটেকচার)

o Mechanical (মেকানিকাল)

o Revit (রিভিট)

o Civil (সিভিল)

o MEP (এমইপি)

o etc ইত্যাদি

Capabilities (ক্ষমতা) :

  • দ্বি মাত্রিক অঙ্কন
  • ত্রি মাত্রিক অঙ্কন
  • রেন্ডারিং
  • ওয়ার্কস্পেস সেট করা
  • বেসিক / সাধারণ কমান্ডগুলি জানা
  • ভিউপোর্ট
  • প্রিন্ট করা

 

Auto CAD এর  কিছু সাধারণ কমান্ড

 

2-ডি কমান্ডঃ

  • লাইন সহায়ক কমান্ডসমূহ ঃ
  • পলিলাইন   ইউনিটস
  • রেক্টেঙ্গেল প্রোপারটিস
  • ট্রিম মেজার
  • এক্সট্রেন্ড ডাইমেনশন
  • অফসেট
  • মিরর
  • স্কেল
  • মুভ
  • রোটেট

 

৩-ডি কমান্ডঃ

  • এক্সট্রোড
  • সাবট্রাক্ট
  • ইউনিয়ন
  • 3 ডি রোটেট

 

তাছাড়া ও রয়েছে আরো বিভিন্ন প্রকার অপশন যেগুলো আমরা আমাদের কাজের প্রয়োজনে ব্যবহার করি।যেমনঃ

  • লাইনওয়েটস এবং টাইপ
  • ইন্টারফেস অপশন
  • কমপ্লেক্স অপশন
  • ৩-ডি মডেলিং
  • রেন্ডারিং
  • এক্সটার্নাল রেফারেন্স ইত্যাদি ।

 

আর্কিটেক্টদের জন্য Auto CAD

একজন স্থপতি এবং ড্রাফটসম্যান বিল্ডিং, ব্রিজ এবং রাস্তার জন্য ব্লুপ্রিন্টগুলি ডিজাইন করতে অটোক্যাড ব্যবহার করে। আপনি বর্তমানে যে বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টে থাকছেন সম্ভবত CAD সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে ডিজাইন করা হয়েছিল। এটি একজন আর্কিটেক্ট বা ডিজাইনারকে তার ডিজাইন কে সঠিক ভাবে নির্দিষ্ট স্কেল অনুসারে কমপ্লিট করার জন্য সুযোগ দেয়।যাAuto CAD আবিষ্কারের পূর্বে খুবই কষ্টসাধ্য ছিল।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের জন্য Auto CADঃ

অটোক্যাড কোন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কে একটি বিল্ডিংয়ের স্ট্রেন্থ ডিজাইন এবং বিশ্লেষণ, ব্রিজ এবং রাস্তার ডিজাইন করতে সক্ষম করে।Auto CAD এই সমস্যাগুলি একটি সহজ উপায়ে সমাধান করতে সহায়তা করে। বেসামরিক প্রকৌশলীরা এই অটোক্যাডটি বেস মানচিত্র তৈরির জন্য ব্যবহার করেছেন। তাছাড়া ও এটি যেকোনো কন্সট্রাকশন কাজের ডকুমেন্টেশন তৈরি করতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কে সহায়তা করে।


ইলেট্রিক্যাল  
ইঞ্জিনিয়ারের জন্য Auto CAD 

ডিজাইনারদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ইলেট্রিক্যাল সফ্টওয়্যার হিসাবে একটি অটোক্যাড রয়েছে। এর উদ্দেশ্য বৈদ্যুতিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তৈরি ও সংশোধন করা। ইলেট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কার্যগুলি স্বয়ংক্রিয় করার জন্য এটির বিস্তৃত সরঞ্জাম রয়েছে যা প্রচুর পরিশ্রম বাঁচাতে সাহায্য করে। তাই ইঞ্জিনিয়াররা আরও বেশি সময় ইনোভেশনে ব্যয় করতে পারেন।

 

মেকানিক্যাল  ইঞ্জিনিয়ারের জন্য Auto CADঃ


কোনও ডিজাইন প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে, মেকানিক্যাল  ইঞ্জিনিয়াররা কোনও প্রদত্ত সমস্যার সর্বোত্তম সমাধান নির্ধারণের জন্য, আইডিয়া গুলোর স্কেচিং এবং তাদের বিশ্লেষণ শুরু করতে অটোক্যাড ব্যবহার করতেন। Auto CAD সফ্টওয়্যার অতিরিক্তভাবে এই নকশাগুলির ব্যাখ্যা করতে, ভুলগুলি চিহ্নিত করতে,  যান্ত্রিক প্রকৌশলীকে মিস করতে পারে এমন অসঙ্গতিগুলি সনাক্ত করতে সহায়তা করে।

সর্বোপরি বলা যায় যে, একজন আর্কিটেক্ট, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, ইলেট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার , মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের যেকোনো ডিজাইন বা ড্রয়িং কে সুষ্ঠ এবং সঠিকভাবে দ্রুতসম সময়ে সম্পাদন করার জন্য

Auto CAD সফ্টওয়্যার অতীব প্রয়োজনীয়।

 

লেখক,

লিমা আক্তার

জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর

আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

 

 

 

আমি একটি বৈদ্যুতিক হৃদপিন্ডের কথা বলছি- (ট্রান্সফরমার)

আমি একটি বৈদ্যুতিক হৃদপিন্ডের কথা বলছি- (ট্রান্সফরমার)

হৃদপিন্ডের কাজ হচ্ছে পরিশোধিত রক্ত দেহে সঞ্চালন করা। হৃদপিন্ডের স্পন্দন এর ফলে যেমন রক্ত সঞ্চালিত হয়ে মানব দেহ সচল থাকে তেমনি একটি ট্রান্সফরমারের ম্যাগনেটিক ফ্লাক্সের স্পন্দনে সেকেন্ডারি ওয়ান্ডিং বৈদ্যুতিকভাবে সচল হয়ে যথাযথ ভোল্টেজ এবং কারেন্ট সঞ্চালন করে থাকে।

আমি আজ কিছু কৌটা,  আর বড় বড় বক্সের কথা বলব, যা তোমরা সচারাচর রাস্তায় বিদ্যুৎ এর পোল এর উপরে ঝুলন্ত দেখো।

এই কৌটা বা বক্সগুলোই হল ট্রান্সফরমার.

এই ডিভাইসটির কাজ কি? তোমাদের অনেকের মনেই এই প্রশ্ন নিশ্চয়ই জাগে। এই ডিভাইস এর ভিতর এমন কি আছে?
এই সব কৌতুহল থেকেই অনেকেই হয়ত পড়তে এসেছ ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।  ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমন হাজার হাজার কৌতুহল আছে। আজ শুধু একটা কৌতুহলের সাধারন উত্তর দেব।

ব্লগটি ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে ইচ্ছুক বা ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একদম প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উদ্যেশ্যে লিখছি।

ট্রান্সফরমারে কোন ঘুরন্ত অংশ নাই। এটা ভোল্টেজ এবং কারেন্টকে কমাতে বা বাড়াতে পারে।
এই ডিভাইসটি ছাড়া একটি দেশের সমগ্র বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা কখনোই কল্পনা করা যায়না।

 

বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা মুলত ৩ টি ধাপে বিভক্ত।
১) উৎপাদন ব্যাবস্থা  ২)  পরিবহন ব্যাবস্থা  ৩) বিতরন ব্যাবস্থা।

বাংলাদেশের উৎপাদিত পাওয়ার এ ভোল্টেজ ১১০০০ ভোল্টে। প্রয়োজন এবং সুজুগ সুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা এই পাওয়ারকে অতি উচ্চমানের উদাহরণ (১৩২০০০ ভোল্ট) ভোল্টেজে পরিবহণ করি দূরদূরান্তে। আবার যখন এই এনার্জি কে গ্রাহক পর্যায়ে বিতরন করতে চাই তখন নিম্ন ভোল্টেজ (২৩০ ভোল্ট, আবাসিক) আবশ্যক।

তাহলে ভেবে দেখো ভোল্টেজকে প্রয়োজন মত বাড়ানো বা কমানোর জন্য একটা ডিভাইস দরকার।
এই কাজটি যে ডিভাইস করে থাকে তাকেই আমরা ট্রান্সফরমার বলি।

তোমার বাসার সামনে যে বিতরন লাইন দেখো তা ১১০০০ ভোল্টেজ বহন করে। এখান থেকে তুমি তোমার কাঙ্ক্ষিত ভোল্টেজে বিদ্যুৎ সরবারাহ পেতে হলে অবশ্যই একটি ট্রান্সফরমারের প্রয়োজন।
যা তোমাকে ২৩০ ভোল্ট এর সরবরাহ প্রদান করবে। তখন তুমি নিরাপদে ২৩০ ভোল্টেজ রেঞ্জের বিভিন্ন ডিভাইস, যন্ত্র ব্যাবহার করতে পারবে।

ট্রান্সফরমারের ভেতরে থাকে তারের কুণ্ডলী।
এই কুণ্ডলী বা কয়েল প্যাচানো হয় একটি কোরের উপর। একটি  ট্রান্সফরমারের দুটি সাইড থাকে একটিকে প্রাইমারী আরেকটিকে সেকেন্ডারি সাইড বলে।
প্রাইমারি সাইডের কয়েলের সাথে সেকেন্ডারি কয়েলে কোন প্রকার বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকেনা। মজার ব্যাপার হলো এতদ্বস্বত্তেও প্রাইমারি সাইডের কয়েলের খুব কাছাকাছি সান্নিধ্য পেয়ে সেকেন্ডারি সাইডের কয়েলে ভোল্টেজ আবিষ্ট হয়।

Click the link to watch………… how does a transformer work? https://www.youtube.com/watch?v=vh_aCAHThTQ

ভোল্টেজ উৎপন্ন হয় ফ্যারাডের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন নীতির মাধ্যমে। যখন প্রাইমারি কয়েলে পরিবর্তনশীল বিদ্যুৎ আরোপ করা হয় তখন এই কয়েলে কতগুলো চুম্বক বলরেখা উৎপন্ন হয় যা ঘুরতে থাকে। এই ঘুর্ণয়মান চুম্বক ফ্লাক্স সেকেন্ডারি কয়েলকে (কাল্পনিক) কর্তন করে ফলে সেকেন্ডারিতে ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়। (আরো স্পস্ট জানার জন্য ফ্যারাডের ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন এর সুত্রটি দেখে নাও)  প্রাইমারি সাইডের কয়েলের তুলনায় যদি সেকেন্ডারি সাইডের কয়েলের প্যাচ কম থাকে তাহলে সেকেন্ডারি তে প্রাইমারীর তুলনায় কম ভোল্টেজ আবিষ্ট হবে।
আর যদি প্রাইমারীর তুলনায় সেকেন্ডারি কয়েলে প্যাচ বেশী থাকে তাহলে সেকেন্ডারিতে বেশি ভোল্টেজ উৎপন্ন হবে। ভোল্টেজ উৎপাদন নির্ভর করে কয়েলের প্যাচ সংখ্যার উপরে।

সহজ কথায় বলা যায়, ট্রান্সফরমার এমন একটি ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইস যা ইনপুট হিসেবে ইলেক্ট্রিক্যাল পাওয়ার নিয়ে আউটপুটেও ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার দিবে, কিন্তু এদের মধ্যে কোন বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকবে না।
উভয় কয়েলই চুম্বকীয় ভাবে সংযুক্ত।

 

 

ট্রান্সফরমার সাধারণত নিম্মলিখিত অংশের সমন্বয়ে গঠিত।

ট্যাংক কোর ওয়াইন্ডিং ট্রান্সফরমার ওয়েল কনজারভেটর ব্রীদার বুখলজ রীলে কুলিং টিউব বুশিং এক্সপালশন ভেন্ট আর্থ পয়েন্ট ও অন্যান্য।

 

 

 

 

 

 

শুধুমাত্র একটি ব্লগ লিখে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কোন একটি বিষয়কে পূর্ণাঙ্গভাবে উপস্থাপন সম্ভব নয়। জানার অনেক কিছুই রয়েছে। যাদের ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রতি কৌতুহল তাদেরকে বলব, একটি ভাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, দক্ষ শিক্ষকদের সান্নিধ্যে এই জ্ঞান অর্জন করে দেশের জন্য তুমিও হতে পারো একজন দক্ষ ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।

 

লেখকঃ

নাহিদুল ইসলাম (নাহিদ)

ইন্সট্রাক্টর

ইলেক্ট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

 

 

নিজের রুপান্তরের জন্য আত্মমূল্যায়ন কিভাবে করবো ?

নিজের রুপান্তরের জন্য আত্মমূল্যায়ন কিভাবে করবো?

আত্মমূল্যায়ন সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে যার কারণে অফুরন্ত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কাঙ্ক্ষিত কাজের সুযোগগুলি নষ্ট হয়ে যায়। আমি এই ব্লগের মাধ্যমে বেশ কিছু চেকলিষ্ট তৈরি করেছি। আশাকরি আপনারা যারা এই ব্লগটি পড়তে বসেছেন তারা কষ্ট করে দরজা জানালা বন্ধ করে সততার সাথে প্রত্যেকটি ফর্ম পূরন করবেন এবং খুঁজে দেখবার চেষ্টা করবেন কোন জায়গায় আপনার উন্নতি করতে হবে।

নির্দেশনা: পঠককে তাদের আত্মমূল্যায়ন সততার সাথে করতে হবে এবং এটি অন্যের কাছ থেকে সম্পূর্ণ গোপন রাখবেন। আত্মমূল্যায়ন থেকে যে ফলাফল বের হলো সে অনুযায়ী নিজের দক্ষতা উন্নয়নের পরিকল্পনা করবেন। মনে রাখবেন আত্মমূল্যায়ন সম্পূর্ন নিজের ব্যক্তিউন্নয়ের জন্য অতএব নিজের সাথে প্রতারনা করা উচিৎ হবে না।

 

Please select the following skills you have:

(নীচের ছকটিতে বেশ কিছু দক্ষতা নাম দেওয়া আছে, আপনি যদি মনে করেন সবগুলো আপনার ভেতর আছে তাহলে ”হ্যা” ঘরে টিক দিন অথবা “না” ঘরে।)

Your Skills

Yes

No

 Communication    
 Technical    
 Leadership    
 Organizational    
 Creative & Design    
 People Skills    
 Solving Problems    
 Physical Abilities    

 

Please assess you honestly

নী8চের ছকটিতে বেশ কিছু দক্ষতা নাম দেওয়া আছে, আপনি ১ থেকে ৫ এর ভেতর নিজেকে কত দেবেন? ১ হলো সর্বনিন্ম এবং ৫ হলো সর্বোচ্চ

Category

1

2

3

4

5

 How would you rate your communication skills?          
 How would you rate your leadership skills?          
 How would you rate your organizational skills?          
 How would you rate your creative and design skills?          
 How would you rate your people skills?          
 How would you rate your problem-solving skills?          
 How would you rate your physical abilities skills?          

 

Please rate your skills or qualities below:

নীচের ছকটিতে বেশ কিছু দক্ষতা নাম দেওয়া আছে, আপনি কোনটিতে কেমন সেটি নির্ধারন করুন

 

Excellent

Very Good

Good

Poor

Very Poor

 Team Player skills          
 Able to communicate effectively          
 Excellent writing skills          
 Listening attentively and open for  communication          
 Able to speak and talk to a large audience          
 Help others who are in need          
 Able to influence others          
 Good decision-making skills          
 Ownership and accountability          
 Able to deliver his/her thoughts properly          
 Leadership abilities          
 Commitment to the assigned task          
 Promote a supportive environment          
 Participate in team activities          
 Encourage others if needed          
 Interested in learning new things          
 Open for feedback and suggestions          

 

Please rate your character/nature/trait below:

নীচের ছকটিতে বেশ কিছু দক্ষতা নাম দেওয়া আছে, আপনি মতামত উল্লেখ করুন

 

Strongly Agree

Somewhat Agree

Strongly Disagree

 Analytical and Logical      
 Dependent      
 Initiative      
 Confidence      
 Responsible      
 Persuasive      
 Simple      
 Efficient      
 Humor      
 Punctual      
 Dedicated      
 Never Give up      
 Friendly      
 Empathetic      
 Helping others      
 Know how to delegate      
 Reliable      

 

Assessment for Workplace Reediness

নীচের ছকটিতে বেশ কিছু দক্ষতা নাম দেওয়া আছে, আপনি যদি মনে করেন সবগুলো আপনার ভেতর আছে তাহলে ”হ্যা” ঘরে টিক দিন অথবা “না” ঘরে।

 

Yes

No

The power of interest or will (Passion) Are you really ready to work hard at work? Everyone knows that the workplace means that there is no place for emotions alone. Can you adapt?    
Goal setting Have you completed the overall vision and set clear goals for your career? Are you determined to achieve your goals through all your efforts?    
Decision making When you are faced with a difficult situation, are you able to keep a calm down and make an important decision on your own by gathering enough information without passing the problem or imposing it on someone else?    
Taking Risk There is no work that is completely risk free. There is always the risk of failure in the job market. Are you aware of these risks and do you believe that you too can fail at work? Do you have enough information so that you can accurately estimate how big a risk you are going to take?    
Ability to handle stress Tough decisions, competition in the workplace, bitter experiences in communicating with customers, and long-term work can be stressful. Can you maintain a positive attitude in the face of such pressures? Do you see your potential in the workplace at such a difficult time?    
Saving Habit Do you have a tendency to accumulate money?    
Good Human Relation Do you feel comfortable building relationships with new people? Do you start talking on your own? Do you appreciate the good qualities of others? Can you accept if someone criticizes you? Can you protect the privacy of others?    
Problem Solving If you see a problem, can you solve the problem by finding the right solution without complaining?    
     

 

Take a look at some of the following things you haven’t done yet

নীচের ছকটিতে বেশ কিছু দক্ষতা নাম দেওয়া আছে, আপনি যদি মনে করেন সবগুলো আপনার ভেতর আছে তাহলে ”হ্যা” ঘরে টিক দিন অথবা “না” ঘরে।

Category

Yes

No

Do you have a smart career plan (Specific, Measurable, Actionable, Realistic, Within Timeline)    
You have a full idea of ​​at least the 20 organizations you want to work in    
Do you know job market structure, hierarchy/organogram, company types, business process, employment types, and requirements?    
Have you already met at least 20 famous HR professionals in Bangladesh?    
Can you create a personal website through Google site or Have you already created one?    
Did you manage your LinkedIn profile properly? Did you properly organize your LinkedIn profile (creating headlines, profile photos, experiences, skills, recommendations, etc.)?    
Can you use Google Form, Google Drive, Google Calendar, Google Meet, Zoom?    
Did you upload your video resume to your YouTube channel?    
Do you have a video resume?    
Have you had your CV verified by an experienced professional?    
Can you use your smartphone properly?    
Can you use MS Office properly?    
Do you have full knowledge of Online Meeting Place etiquettes?    
Do you have any light software editing skills (Such as Photo Editing, Video Editing, etc.)?    
Do you have administrative skills such as printer machine, FAX, handling telephone, sending an official email, sending SMS, using WhatsApp, official file management?    
Do you have skills in Business Communication tools like drafting official letters, sending official emails, drafting office memos, preparing meeting agenda and meeting minutes, developing a proposal, preparing financial budgeting?    

 

What were your activities and achievements in the past 1 year?

   

 

What areas of work you think you could improve on?

   

 

What are the skills or knowledge you would like to enhance?

   

 

What are your goals for working in the company as a fresh executive?

   

 

What are your strengths and weaknesses? How will you overcome them?

   

 

What are your Opportunities and Threads? How will you overcome them?

   

লেখক: কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট