আমি ওয়েব ডেভেলপার হতে চাই! (পর্ব – ২)

আমি ওয়েব ডেভেলপার হতে চাই! (পর্ব – ২)

ওয়েব ডেভেলপার-আমরা জানি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের দুটি অংশ Front End এবং Back End.  আমি পূর্বের ব্লগে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের Front End নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজ Back End নিয়ে আলোচনা করবো।

Back End ডেভেলপার হওয়ার যে কোন একটি Server side Scripting Language ভালো করে শিখতে হবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সার্ভার সাইড স্ক্রিপ্টিং কি ?

স্ক্রিপ্টিং হচ্ছে প্রোগ্রামের আরেকটা সমার্থক শব্দ। এটা হচ্ছে কিছু instruction এর সেট, যেটা run করলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে কিছু কাজ হয়। সার্ভার সাইড বলতে বুঝানো হয় এই স্ক্রিপ্ট গুলোকে ইউজারের কম্পিউটার থেকে নিয়ন্ত্রনের বদলে সার্ভার থেকে নিয়ন্ত্রন করা।

যখন কেউ পিএইচপি ওয়েব পেজ ভিজিট করবে তখন ওয়েব সার্ভার পিএইচপি কোডগুলিকে কিছু Process করবে । যেটা দেখানো দরকার (Picture,Content ইত্যাদি) সেটা দেখাবে আর যেটাকে লুকানো দরকার (math calculation,file operation ইত্যাদি) তা লুকাবে এবং শেষে HTML এ রুপান্তর করে ইউজারের ওয়েব ব্রাউজারে পাঠাবে।

বর্তমানে যে সকল Server side Scripting Language সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় এর মধ্যে একটি বাচাই করে নিতে হবে। যেমন PHP, NodeJS, Python etc. আসুন আমরা এই সকল  Language সম্পর্কে জেনে নেই।

পিএইচপিঃ ইন্টারনেটে যত গুলো ওয়েব সাইট রয়েছে, তার মধ্যে 82.6% ওয়েব সাইট তৈরি করতে ব্যবহৃত হচ্ছে পিএইচপি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। পিএইচপি ল্যাংগুয়েজটি তৈরী করেছেন Rasmus Lerdorf । পিএইচপি সব প্লাটফর্মে সাপোর্ট আছে অর্থ্যাৎ ক্রস প্লাটফর্ম যেমন উইন্ডোজ, লিনাক্স (সব ইউনিক্স সদৃশ অপারেটিং সিস্টেমে চলবে)। পিএইচপি দিয়ে চাইলে ব্লগ, ইকমার্স থেকে শুরু করে এন্টারপ্রাইজ লেভেলের যেকোন এপ্লিকেশন কিংবা ওয়েবসাইট বানানো যায়। পিএইচপি’র কিছু জনপ্রিয় ফ্রেমওয়ার্ক রয়েছে যেমনঃ Laravel, CodeIgniter, Symfony, CakePHP, Yii, Zend Framework, Phalcon ইত্যাদি। এছাড়াও কিছু সিএমএস রয়েছে, যেমনঃ WordPress, Joomla, Drupal, OctoberCMS, OpenCart, ExpressionEngine, PyroCMS. Magento, Craft CMS ইত্যাদি।

নোড জেএসঃ যারা নতুন তাদের মধ্যে অনেকেই ভাবে নোড জেএস হয়তো কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বা ফ্রেমওয়ার্ক! কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল। নোড জেএস কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বা ফ্রেমওয়ার্ক নয়। তাহলে নোড জেএস কি? নোড জেএস হচ্ছে একটি জাভাস্ক্রিপ্ট Run-Time Environment। আচ্ছা বুঝলাম কিন্তু এই Run-Time Environment টা আবার কি? Run-Time Environment এর কাজ হচ্ছে নির্দিষ্ট একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর কোড গুলোকে রান করা।

আমরা জানি জে জাভাস্ক্রিপ্ট তৈরী করা হয়েছিলো শুধুমাত্র ব্রাউজার এর জন্য। আগে শুধুমাত্র ওয়েবসাইট Interective করার জন্য ব্যবহার করা হতো জাভাস্ক্রিপ্ট। একমাত্র ব্রাউজারই বুঝতে পারতো জাভাস্ক্রিপ্ট কোড। কিন্তু ২০০৯ সালে Ryan Dahl নামে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বাজারে নিয়ে আসে নোড জেএস আর পাল্টে দেয় সবকিছু! নোড জেএস আসার পর এখন জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে অনেক কিছু করা যায়! প্রত্যেকটা ব্রাউজার এর মধ্যে একটি করে জাভাস্ক্রিপ্ট ইঞ্জিন থাকে যার কাজ হচ্ছে জাভাস্ক্রিপ্ট কোড কে মেশিন কোডে রূপান্তর করা। Google Chrome এর আছে V8 Engine আর Mozilla Firefox এর আছে SpiderMonkey এবং প্রত্যেকটি ব্রাউজার এর জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা জাভাস্ক্রিপ্ট ইঞ্জিন।

পাইথনঃ পাইথন একটা General Purpose High Level প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ । জেনারেল পারপাজ মানে হলো পাইথন দিয়ে আমরা নানা ধরনের এপ্লিকেশন সফটওয়ার বানাতে পারি । যেমন টা আগেই বলেছি, ডেক্সটপ বেসড , ওয়েব, গেমস ইত্যাদি । পাইথনের কোডিং সাইজ ছোট , কম কোড লিখে বেশি কাজ করা যায় । ফলে ডিবাগিং এবং কোড মেইনটেনেন্স অনেক সহজ হয়ে যায় । পাইথন কোড পড়তে অনেক সহজ , অনেক টা ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজের মত । ফলে রিডেবিলিটি বেশি । সে জন্য প্রোগ্রামিং শেখাও অনেক সহজ হয়ে পড়ে । সহজে মানুষ কোড পড়ে বুঝতে পারে ।

পাইথনের বিরাট কম্যুনিটি গড়ে উঠেছে অনলাইনে । ফলে আপনি পাইথন বিষয়ক যে কোন সমস্যার সমাধান খুব সহজেই একটু খুঁজলেই পেয়ে যাবেন । Flask, Pyramid , Django এর মত পাইথনের অনেক ফ্রেমওয়ার্ক রয়েছে যার মাধ্যমে খুব দ্রুত এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেন ।

ডাটাবেজঃ যেকোন একটি Server side Scripting Language শেখার পর আপনাকে ডাটাবেজ শিখতে হবে। ডাটাবেজের জন্য আপনাকে mySQL শিখতে হবে। এটা আপনি w3schools থেকে শিখতে পারবেন খুব কঠিন কিছু হবে না। ভালো সফটওয়্যার/ওয়েবসাইট ডেভেলপার হওয়ার জন্য ডাটাবেজ ও এসকিউএল শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকাল যত সফটওয়ার তৈরি করা হচ্ছে বা হবে তার শতকরা ৯৫ ভাগই ডাটা-কেন্দ্রিক। আর ডাইনামিক ওয়েবসাইট ডাটাবেজ ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। যদিও আজকাল মংগোডিবির মত NoSQL ডাটাবেজ সিস্টেমে এসকিউএলের জ্ঞান ছাড়াই কাজ করা যায় তবু নানা কারণে SQL-এর প্রয়োজনীয়তা ফুরাবে না।

রিলেশেনাল ডাটাবেজ সিস্টেমগুলোতে ডাটা নিয়ে কাজ করার মূল ভাষা (Language) হচ্ছে SQL. ডাটাবেজ তৈরি, টেবল তৈরি, ডাটা ঢুকানো, ডাটা দেখা, আপডেট করা, ডিলিট করা তথা সব ধরনের ডাটাবেজ অপারেশন চালানোর জন্য ‍SQL অত্যাবশ্যক। SQL ছাড়া এই কাজগুলো করার কথা কল্পনাই করা যায় না। এমনকি আপনি যদি পিএইচপি, জাভা, পাইথন কিংবা সি শার্প দিয়ে কোন ডাটাবেজের সাথে সংযোগ তৈরি করেন এবং উক্ত প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের সাহায্যে ডাটা ইনসার্ট/আপডেট/ডিলিট/ভিউ করতে চান তাহলেও ‍SQL লাগবে। যদিও অনেক প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজে ওবজেক্ট রিলেশনাল ম্যাপিং (ORM) ব্যবহার করে SQL ছাড়াই এসব কাজ করা যায় কিন্তু কখনও কোন সমস্যা হলে ‍ SQL জানা না থাকলে অনেক সময় সেটা সমাধান করা অনেক সময় কঠিন হয়ে দাড়ায়।

তাহলে কি শুরু করে দিতে পারি দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার মিশন?

 

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিএসডিআই)

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

ফ্রেশারদের চাকুরীর প্রস্তুতিঃ [পর্ব ৩]

 

ফ্রেশারদের চাকুরীর প্রস্তুতিঃ [পর্ব ৩]

চাকুরীর ইন্টারভিউতে কেমন হওয়া উচিত আপনার পোশাক
মোঃ জায়েদুল হক, ইন্সট্রাকটর, ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

 

ইন্টারভিউতে চাকুরীপ্রার্থীর যোগ্যতা, বিচক্ষণতা, উপস্থিত বুদ্ধি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ও উপস্থাপনের দক্ষতা চাকুরীদাতা যাচাই করে থাকেন। ইন্টারভিউতে চাকুরীপ্রার্থীর সফলতা তার আচার আচরণ, পরিচ্ছন্নতা, চিন্তা-ভাবনা, পোশাক ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর নির্ভর করে। চলুন এই পর্বে জেনে আসি চাকুরীর ইন্টারভিউতে কেমন হওয়া উচিত আপনার পোশাক।

 

ক) পুরুষদের ক্ষেত্রে
ইন্টারভিউতে আপনার পোশাক হিসেবে সাদা ফুল স্লিভ শার্ট, কালো প্যান্ট, কালো বেল্ট কালো মোজা এবং কালো পলিশ করা চামড়ার সুজ হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ। সাদা শার্টের পরিবর্তে নেভি ব্লু ,কালো, ধূসর ও বাদামি ইত্যাদি রঙের শার্ট বেছে নিতে পারেন। খুব বেশি উজ্জ্বল ও টকটকে রঙের শার্ট পরিহার করতে হবে। কালো চামড়ার সুজের পরিবর্তে বাদামী চামড়ার সুজ বেছে নিতে পারেন । বাদামী সুজের ক্ষেত্রে বাদামী বেল্ট পড়ুন। আপনার সুজ যাতে অতিরিক্ত স্টাইলিশ না হয় সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন।

যে প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন, সেই প্রতিষ্ঠানে ধরন ও যে পজিশনের জন্য ইন্টারভিউ দিচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে আপনি স্যুট-টাই বেছে নিতে পারেন। শার্টের সঙ্গে মানানসই হালকা রঙের টাই পরিধান করুন। গাঢ় রঙের টাই পরিহার করুন। হালকা রঙের ফুল স্লিভ শার্টের সঙ্গে গাড় রঙের স্যুট অথবা গাঢ় রঙের ফুল স্লিভ শার্টের সঙ্গে হালকা রঙের স্যুট আপনার পারসোনালিটিকে আকর্ষনীয় করে তুলতে পারে। নিট ও ক্লিন শেভ অথবা দাঁড়ি রাখলে তা খুব ভালো করে ট্রিম করে নিবেন। হেয়ার স্টাইলটা যাতে মার্জিত এবং পরিপাটির হয় তা লক্ষ্য রাখুন।

জিন্স, টি-সার্ট, ফতুয়া ইত্যাদী পোশাক অবশ্যই পরিহার করুন।

 

 

খ) নারীদের ক্ষেত্রেঃ
চাকুরীর ইন্টারভিউতে নারীদের মার্জিত পোষাক পরিধান করা জরুরী। হালকা কালারের শাড়ি পরতে পারেন। শাড়ি সঙ্গে ম্যাচ করে ফুল স্লিভের ব্লাউজ ও শাড়ি সঙ্গে মানানসই জুতা পছন্দ করবেন। হাই হিলের জুতা না পরাই ভালো। অতিরিক্ত কারুকাজ পূর্ণ শাড়ি এড়িয়ে চলতে হবে। মেয়েদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মেক আপ না নেওয়াই উত্তম। চাকরির ইন্টারভিউতে যতটা সম্ভব সজীব, পরিচ্ছন্ন ও স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে হিজাব পরলে ইন্টারভিউতে ইমপ্রেশন নষ্ট হবে- এমন ধারণা ভুল। বরং হিজাবের সঙ্গে মানানসই রক্ষণশীল পোশাকে হয়ে উঠতে পারেন অনন্যা।  হিজাব ব্যবহারের ক্ষেত্রে পোশাকের রং ও ধরনকে মাথায় রেখে হিজাব বাছাই করতে হবে। পোশাকের রঙের সাথে মিলিয়ে বা বিপরীত রঙের হিজাব ব্যবহার করতে পারেন।

 

আজ এই পর্যন্তই। আমন্ত্রন থাকল পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য।

 

The history of printing

The history of printing

The history of printing-Printing, or the process of reproducing text and images, has a long history behind it. This page describes the evolution of print. It acts as a summary of a more elaborate description that starts. You can also click on the title of each century to get more in-depth information. There is a separate section on the history of prepress.

3000 BC and earlier

The Mesopotamians use round cylinder seals for rolling an impress of images onto clay tablets.  In other early societies in China and Egypt, small stamps are used to print on cloth.

Second century AD

A Chinese man named Ts’ai Lun is credited with inventing paper.

Seventh century

A small book containing the text of the Gospel of John in Latin is added to the grave of Saint Cuthbert. In 1104 it is recovered from his coffin in Durham Cathedral, Britain. It is not a printed book but is still worth mentioning because this Cuthbert Gospel is currently the oldest European book still in existence.

Eleventh century

A Chinese man named Pi-Sheng develops type characters from hardened clay, creating the first movable type. The fairly soft material hampers the success of this technology.

Twelfth century

Papermaking reaches Europe.

                                

Thirteenth century

Type characters cast from metal (bronze) are developed in China, Japan and Korea. The oldest known book printed using metal type dates back to the year 1377. It is a Korean Buddhist document, called Selected Teachings of Buddhist Sages and Seon Masters.

Fifteenth century

Even though woodcut had already been in use for centuries in China and Japan, the oldest known European specimen dates from the beginning of the 15th century. Woodcut is a relief printing technique in which text and images are carved into the surface of a block of wood. The printing parts remain level with the surface while the non-printing parts are removed, typically with a knife or chisel. The woodblock is then inked and the substrate pressed against the woodblock. The ink that is used is made of lampblack (soot from oil lamps) mixed with varnish or boiled linseed oil.

Books are still rare since they need to be laboriously handwritten by scribes. The University of Cambridge has one of the largest libraries in Europe – constituting just 122 books.

In 1436 Gutenberg begins work on a printing press. It takes him 4 years to finish his wooden press which uses movable metal type. Among his first publications that get printed on the new device are bibles. The first edition has 40 lines per page. A later 42-line version comes in two volumes.

In 1465 the first drypoint engravings are created by the Housebook Master, a south German artist. Drypoint is a technique in which an image is incised into a (copper) plate with a hard-pointed ‘needle’ of sharp metal or a diamond point.

In their print shop in Venice John and Wendelin of Speier are probably the first printers to use pure roman type, which no longer looks like the handwritten characters that other printers have been trying to imitate until then.

In 1476 William Caxton buys equipment from the Netherlands and establishes the first printing press in England at Westminster. The painting below depicts Caxton showing his printing press to King Edward IV.

That same year copper engravings are for the first time used for illustrations. With engravings, a drawing is made on a copper plate by cutting grooves into it.

By the end of the century, printing has become established in more than 250 cities around Europe. One of the main challenges of the industry is distribution, which leads to the establishment of numerous book fairs. The most important one is the Frankfurt Book Fair.

Sixt eenth century

Aldus Manutius is the first printer to come up with smaller, more portable books. He is also the first to use Italic type, designed by Venetian punchcutter Francesco Griffo.

In 1507 Lucas Cranach invents the chiaroscuro woodcut, a technique in which drawings are reproduced using two or more blocks printed in different colors. The Italian Ugo da Carpi is one of the printers to use such woodcuts, for example in Diogenes, the work shown below.

In 1525 the famous painter, wood carver and copper engraver Albrecht Dürer publishes ‘Unterweysung der Messung’ (A Course on the Art of Measurement), a book on the geometry of letters.

The ‘Historia Veneta’ (1551) is one of the many books of Pietro Bembo, a Venetian scholar, and cardinal who is most famous for his work on the Italian language and poetry. The Bembo typeface is named after him.

Christophe Plantin is one of the most famous printers of this century. In his print shop in Antwerp, he produces fine work ornamented with engravings after Rubens and other artists. Many of his works as well as some of the equipment from the shop can be admired in the Plantin-Moretus Museum.

Seventeenth century

Plantin is also the first to print a facsimile. A facsimile is a reproduction of an old book, manuscript, map, art print, or another item that is as true to the original source as possible.

The word ‘not’ is accidentally left out of Exodus 20:14 in a 1631 reprint of the King James Bible. The Archbishop of Canterbury and King Charles I are not amused when they learn that God commanded Moses “Thou shalt commit adultery”. The printers, Robert Barker and Martin Lucas, are fined and have their printing license revoked. This version of the Bible is referred to as The Wicked Bible and also called the Adulterous Bible or Sinner’s Bible.

In Paris, the Imprimerie Royale du Louvre is established in 1640 at the instigation of Richelieu. The first book that is published is ‘De Imitatione Christi’ (The Imitation of Christ), a widely read Catholic Christian spiritual book that was first published in Latin around 1418.

In 1642 Ludwig von Siegen invents mezzotint, a technique to reproduce halftones by roughening a copper plate with thousands of little dots made by a metal tool with small teeth, called a ‘rocker’. The tiny pits in the plate hold the ink when the face of the plate is wiped clean.

The first American paper mill is established in 1690.

Eighteenth century

In 1710 the German painter and engraver Jakob Christof Le Blon produces the first engraving in several colors. He uses the mezzotint method to engrave three metal plates. Each plate is inked with a different color, using red, yellow, and blue. Later on, he adds a fourth plate, bearing black lines. This technique helped form the foundation for modern color printing. Le Bon’s work is based on Newton’s theory, published in 1702, which states that all colors in the spectrum are composed of the three primary colors blue, yellow, and red.

William Caslon is an English typographer whose foundry operates in London for over 200 years. His Caslon Roman Old Face is cut between 1716 and 1728. The letters are modeled on Dutch types but they are more delicate and not as monotonous. Caslon’s typefaces remain popular, digital versions are still available today.

The Gentleman’s Magazine is published for the first time in 1731. It is generally considered to be the first general-interest magazine. The publication runs uninterrupted until 1922.

In 1732 Benjamin Franklin establishes his own printing office and becomes the publisher of the Pennsylvania Gazette. Among his publications, Poor Richard’s Almanac becomes the most famous.

Alois Senefelder invents lithography in 1796 and uses it as a low-cost method for printing theatrical works. In a more refined form lithography is still the dominant printing technique today.

Another famous person from this era is Giambattista Bodoni who creates a series of typefaces that carry his name and that are still frequently used today. They are characterized by the sharp contrast between the thick vertical stems and thin horizontal hairlines.

Nineteenth century

In 1800 Charles Stanhope, the third Earl Stanhope, builds the first press which has an iron frame instead of a wooden one. This Stanhope press is faster, more durable and it can print larger sheets. A few years later another performance improvement is achieved by Friedrich Gottlob Koenig and Andreas Friedrich Bauer who build their first cylinder press. Their company is still in existence today and is known as KBA.

In 1837 Godefroy Engelmann is awarded a patent on chromolithography, a method for printing in color using lithography. Chromolithographs or chromos are mainly used to reproduce paintings. The advertisement below is from the end of the century and shows what can be achieved using this color printing technique. Another popular technique is the photochrom process, which is mainly used to print postcards of landscapes.

The Illustrated London News is the world’s first illustrated weekly newspaper. It costs five pence in 1842. A year later Sir Henry Cole commissions the English painter John Callcott Horsley to do the artwork of (arguably) the first commercial Christmas card. Around 1000 cards are printed and hand-colored. Ten of these are still in existence today.

Around the same time, the American inventor Richard March Hoe builds the first lithographic rotary printing press, a press in which the type is placed on a revolving cylinder instead of a flatbed. This speeds up the printing process considerably.

The Czech painter Karel Klíč invents photogravure in 1878. This process can be used to faithfully reproduce the detail and continuous tones of photographs.

In typesetting, Ottmar Mergenthaler’s 1886 invention of the Linotype composing machine is a major step forward. With this typesetter, an operator can enter text using a 90-character keyboard. The machine outputs the text as slugs, which are lines of metal type.

Lothar Meggendorfer’s International Circus is a nice example of the quality that could be achieved in those days. This pop-up book contains six pop-up scenes of circus acts, including acrobats, clowns, and daredevil riders.

In 1890 Bibby, Baron and Sons build the first flexographic press. This type of press uses the relief on a rubber printing plate to hold the image that needs to be printed. Because the ink that is used in that first flexo press smears easily, the device becomes known as Bibby’s Folly.

 

Writer:

Rebeka Monsur

Department Head (Textile & GDPM)

Daffodil Polytechnic Institute

 

Source: Wikipedia & Google

বিদ্যুতের হিংস্রতার কাছে কেন নই আমরা পরাজিত?

বিদ্যুতের হিংস্রতার কাছে কেন নই আমরা পরাজিত?

ইলেক্ট্রিসিটি বা বিদ্যুৎ এক অসাধারন শক্তির নাম। এই শক্তি মানুষের কল্যাণে ব্যয় হয়ে আসছে, কিন্তু এই শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে সে মহা অকল্যাণের কারন হতে পারে।

তুমি নিশ্চয়ই চিড়িয়াখানা পরিদর্শনে গিয়েছ বা টেলিভিশনে দেখেছ। এখানে কত শত মানুষ আনন্দচিত্তে বাঘের হুংকার শুনে যাচ্ছে। ভয়ঙ্কর সব প্রানীদের কাছাকাছি এসে আনন্দ উপভোগ করে যাচ্ছে। একবার ভাবো তো,  এই প্রাণীগুলো যদি চিড়িয়াখানার খাচায় বন্দি না হয়ে মুক্ত থাকতো, তাহলে তুমি সহ সব পরিদর্শনকারীর কি অবস্থা হতো?

মুলত প্রাণীগুলো খাচায় বন্দি, তাই  নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেয়েছ বলেই তুমি আনন্দ করে যাচ্ছ।

বিদ্যুৎ শক্তিকেও হাতের মুঠোয় বন্দি করার জন্য কিছু কন্ট্রোলিং এবং প্রটেক্টিভ ডিভাইস রয়েছে।  যা তোমাকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। আর এজন্যই বিদ্যুতের সার্কিট দ্বারা বেষ্টিত তোমার গৃহে নিশ্চিন্তে আনন্দ করতে পারছ, রাতে ঘুমোতে পারছ।

বিদ্যুৎ ব্যাবস্থায় কন্ট্রোলিং এবং প্রটেক্টিভ ডিভাইসের গ্রুরুত্ব অপরিসীম। এই বিষয়গুলোকে নিয়েই “সুইচগিয়ার এন্ড প্রটেকশন ” শব্দগুলোর জন্ম।

সমগ্র পাওয়ার সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রনের জন্য ধাপে ধাপে পরিকল্পিত ভাবে কন্ট্রোলিং এবং প্রটেক্টিভ ডিভাইসকে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আজ কিছু কন্ট্রোলিং এবং প্রটেক্টিভ ডিভাইসের নাম বলে যাচ্ছি -তোমাদের কৌতুহল হলে অন্য কোন একদিন এদের কার্যপদ্ধতি নিয়েও লিখা লিখি করব।

সার্কিটব্রেকার,সার্জডাইভার্টার, লাইটনিং এরেস্টার, অটোরিক্লোজার, ফিউজ, রিলে, আইসুলেটর, এলার্ম সার্কিট উইথ রিলে, বিভিন্ন ধরনের সুইচ। এরাই তোমাকে আনন্দচিত্তে বিদ্যুৎ ব্যাবহারে নিরাপত্তা এবং নিয়ন্ত্রনের নিশ্চয়তা দেয়।

 

সুতরাং এদের কেউ কেউ তোমার গৃহে ওয়ারিং এর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে। শুধু তোমার গৃহে নয় এরা, উৎপাদন ব্যাবস্থা, পরিবহন ব্যাবস্থা, বিতরন ব্যাবস্থা তথা সমগ্র‍্য পাওয়ার সিস্টেমেই প্রয়োজনীয় স্থানে সজ্জিত। প্রটেক্টিভ ডিভাইসগুলো নিরাপত্তায় নিয়জিত প্রহরী। আর কন্ট্রোলিং ডিভাইসগুলো হুকুমের গোলাম। কন্ট্রোলিং ডিভাইস দ্বারা তুমি কোন লাইনকে অন বা অফ করতে পারো। আর প্রটেক্টিভ ডিভাইসগুলো লাইনে কোন ত্রুটি, (অভার লোড, শর্টসার্কিট ইত্যাদি) হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লাইনকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। অর্থাৎ ত্রুটি দেখা দিলে লাইনকে অটোমেটিক্যালি বন্ধ করে দেয় সার্কিট ব্রেকার। রিলে এই কাজে সার্কিট ব্রেকারকে সহায়তা করে থাকে। ত্রুটি হয়েছে তা সনাক্ত করার দায়িত্ব রিলের।  ত্রুটি সনাক্ত করার সাথে সাথেই রিলে- সার্কিট ব্রেকারকে নির্দেশ দেয় সরবারাহ বা লাইন বন্ধ করে দেয়ার জন্য।

রিলের সাথে কখনো, কখনো দেখে থাকবে এলার্ম সার্কিট যুক্ত। ত্রুটি দেখা দিলে এলার্ম সার্কিটকে জাগ্রত করে দেয় এই রিলে।

বিদ্যুৎ ব্যাবস্থার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে প্রোটেকটিভ ডিভাইসগুলো, ত্রটিযুক্ত অংশকে ভাল অংশের সার্কিট হতে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। অনেকটা টিউমার অপসারন এর মত। হাহ হাহ হাহ হা….।  বজ্রপাত এর কারনে উৎপন্ন সার্জ ভোল্টেজ থেকে বিদ্যুৎব্যাবস্থার দামী ইকুইপমেন্টগুলোকে রক্ষা করে লাইটনিং এরেস্টার। ট্রান্সফরমারকে ত্রুটির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ব্যাবহার হয় বুখলজ রিলে। ডিস্ট্রিবিশন ট্রান্সফরমারকে রক্ষা করার জন্য ব্যাবহার হয় ড্রপ আউট ফিউজ। উচ্চ ভোল্টেজ লাইনকে পর্যবেক্ষন করতে সহায়তা করে ইন্সট্রুমেন্ট ট্রান্সফরমার CT এবং PT. ক্ষণস্থায়ী ত্রুটি সনাক্ত করে পুনরায় সরবরাহের বিঘ্ন না ঘটিয়ে সরবারাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে ব্যাবহার হয় অটো রিক্লোজার। তাছাড়া বাসাবাড়ীতে সার্কিটব্রেকারের ব্যাবহার, তোমরা খুব কাছে থেকেই লক্ষ করেছ। হাতের কাছের সুইচ, যা দিয়ে ফ্যান, লাইট সহ যাবতীয় লোড নিয়ন্ত্রন করছ।

বিদ্যুতের লাইন, ট্রান্সফরমার, অল্টারনেটর, ইলেক্ট্রিক্যাল মোটর, কলকারখানা, আবাসিক ভবন ইত্যাদিকে প্রটেকশন দেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোটেকশন পদ্ধতিও রয়েছে।

 

বিদ্যুৎকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রন করতে পারলে তা মানবজাতীর জন্য কল্যানের ব্যাপার। অন্যথায় এ শক্তি নিমিষেই ধ্বংস করে দিতে পারে যে কোন কিছু। এমনকি যে কোন নগরকেও।

তাই বিদ্যুৎ ব্যাবস্থায়, নিয়ন্ত্রন যন্ত্র, রক্ষনযন্ত্র, এবং পর্যবেক্ষন করার জন্য বিভিন্ন মিটার অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ন্ত্রন, আরক্ষ ব্যাবস্থা, এবং পর্যবেক্ষন  এই সামগ্রিক বিষয়টিকেই বলা হয় সুইচগিয়ার।

 

সুইচগিয়ার এন্ড প্রোটেকশন নামে একটি বই পাবে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  এ বইটি ভালোভাবে অধ্যয়ন করবে। আমরা যারা শিক্ষক রয়েছি,আমাদের লেকচারগুলো থেকে নোট করবে, এবং বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে দেখবে।

দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে যাচ্ছি। বুকভরা স্বপ্ন আর আশির্বাদ রইল, দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দক্ষ হাতে এদেশটাকে গড়বে। নিজের মেধাকে দেশের সেবায় কাজে লাগিয়ে নিরাপদ বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা সুনিশ্চিত করবে।

 

লেখক:-

নাহিদুল ইসলাম (নাহিদ)

ইন্সট্রাকটর

ডিপার্টমেন্ট অব ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

 

আমার পরিবেশ আমার অস্তিত্ব

আমার পরিবেশ আমার অস্তিত্ব

কোটি বছর আগে যতটা সবুজ ছিল আমাদের পৃথিবী, এখন অতটা নেই। শিল্প বিপ্লবের পর থেকে ধীরে ধীরে পৃথিবী দূষিত নরকে পরিণত হচ্ছে। অবশ্য শুধু শিল্প বিপ্লবই দায়ী নয়; আরো অনেক কারণ রয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণের ব্যাপারে আমরা সচেতন না হলে আমাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।

যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে মানুষের প্রয়োজনও বদলেছে। সময়ের সঙ্গে জনসংখ্যা বেড়েছে বহু গুণ, বেড়েছে চাহিদাও। এ কথা সবারই জানা যে মানুষের সব প্রয়োজন মেটানোর উৎস প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রকৃতি। কিন্তু শিল্প বিপ্লবের কারণে মানুষের চাহিদার আমূল বদল হয়েছে, যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে পরিবেশের ওপর। বাসস্থান ও ক্ষেতের জন্য জায়গা করার জন্য দরকার অনেক জমি। মানুষ সেই জমির ব্যবস্থা করছে বনজঙ্গল সাফ করে। কারখানায় প্রস্তুত হয় মানুষের নিত্যদিনের সামগ্রী। সেই কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন না করে নদীতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। যা পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে সাগরে। আবার সেটা পুড়িয়ে পুড়িয়ে ক্ষতিকর ধোঁয়া বাতাসেও ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। খাদ্য উৎপাদনে সুবিধার জন্য যে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হচ্ছে, তা মাটির ক্ষতি করছে। এভাবে পরিবেশের প্রত্যেকটি উপাদান দূষিত হচ্ছে মানুষের প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে।

সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা গেছে, মৌমাছির সংখ্যা কমছে আশঙ্কাজনক হারে। পরাগায়নের মাধ্যমে আমাদের বিপুল পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন মৌমাছির বিকল্প নেই। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে পরিবেশ রক্ষা ও সংরক্ষণ করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। কারণ পরিবেশ সংকটের এই দায় সমগ্র মানব জাতির।৫ জুনকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে পালন করা হয়।১৯৭৪ সালের ৫ জুন প্রথম বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হওয়ার পর থেকে ১শ’টির বেশি দেশে দিবসটি পালনের মধ্য দিয়ে একটি বিশ্বব্যাপী পরিবেশবাদী প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে। দিবসটি সামুদ্রিক দূষণ, মরুকরণ, ওজোনস্তর, মাটি দূষণ, বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে গঠিত একটি বৃহৎ পদক্ষেপ।

মানুষের ব্যবহৃত প্লাস্টিক সামগ্রী পরিবেশকে দূষণ করে জলজ, স্থলজ, বনজ, এমনকি মানবজাতির স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। অতিমাত্রায় প্লাস্টিক ব্যবহার ও এর যত্রতত্র নিক্ষেপ পরিবেশ দূষণের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। পলিথিন ব্যাগ, গৃহস্থালির ব্যবহৃত প্লাস্টিক, পণ্যের মোড়ক, কসমেটিকস্ প্লাস্টিক, পানির জন্য ব্যবহৃত প্লাস্টিক বোতল ব্যাপকভাবে ব্যবহারের ফলে প্রকৃতিকে দূষিত করছে। কারণ প্লাস্টিক এমন একটি রাসায়নিক পদার্থ যা সহজে পচে না এবং যার পুনঃপ্রক্রিয়াকরণে প্রচুর সময় লাগে। ফলে পরিবেশের ওপর এটি দীর্ঘস্থায়ী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে। যেহেতু প্লাস্টিক অপচ্য পদার্থ সেহেতু বন, জল ও স্থলের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে এবং প্রাণীর বাসস্থান ও খাদ্য গ্রহণে ব্যাপক বাধার সৃষ্টি করছে। ফলে সেসব স্থানের প্রাণীর জীবন ধারণ কঠিন হয়ে পড়ছে। এমনকি কোনো কোনো প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। শুধু প্রাণীর ক্ষেত্রেই নয়, প্লাস্টিক মানব দেহে নানা প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে।

পরিবেশকে সুস্থ রাখতে গাছ সবচেয়ে বেশি জরুরি। অধিক পরিমাণে বৃক্ষরোপণ ও বনজ সম্পদকে রক্ষা করে বায়ু দূষণের মাত্রাকে কমানো সম্ভব। বাস্তুতন্ত্রের যে সব জীব পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে, তাদের টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যে সব নীতিমালা প্রণীত রয়েছে তার যথাযথ বাস্তবায়ন পরিবেশ দূষণের হাত থেকে পরিবেশকে বাঁচাতে পারে। প্রাণের অস্তিত্বের জন্য পরিবেশের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তাই পরিবেশ সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুরক্ষিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

 

সূত্র : গুগল 

লেখক:

শাহনেওয়াজ সেরাজ সুবর্ণা

ইন্সট্রাক্টর অফ আর এস ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শীর্ষ ক্যারিয়ার

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শীর্ষ ক্যারিয়ার

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কি?

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং হলো একটি প্রাচীনতম প্রধান নিয়মানুবর্তি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রথা ১৭৪৭ সালে প্রথম ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয় ফ্রান্সে, যার নাম ”দি ন্যাশনাল স্কুল অব ব্রিজেস এন্ড হাইওয়েজ” । তখন একজন প্রকৃত ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যাকে ডাকা হতো, তার নাম “ জন স্মিটন” ।

অর্থনৈতিক ও টেকসই উন্নয়নের জন্য ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষনাবেক্ষন করতে মাঠ পর্যায়ে যারা ব্যাপক কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখেন, তারাই সিভিল ইঞ্জিনিয়ার।

পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটটে সিভিল টেকনোলজিতে অধ্যয়নকালীন সময়ে দালানকোঠা, সড়ক, জনপথ, ব্রীজ, কালভার্ট, হাইড্রলিক, স্ট্রাকচার, স্যানিটেশন, পানি সরবরাহ ইত্যাদির জরিপ কাজ নির্মাণ কৌশল ও রক্ষনাবেক্ষন সম্পর্কে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করে।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রধান শাখা চারটি- 1) Structural Engineering, 2) Transportation Engineering, 3) Geotechnical Engineering, 4) Environmental Engineering এছাড়া Water Resource Engineering কে ও পুরকৌশলের একটা শাখা বলা যায় । সময়ের সাথে সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর গুরুত্ব বাড়ছে । বাংলাদেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ আছে ।

 

 

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হওয়া উচিত 

  • পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো প্রকৌশলবিদ্যা হচ্ছে পুরকৌশল বিভাগ বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। আমরা যে বসবাসের জন্য এবং নিজস্ব কাজের জন্য উঁচু উঁচু দালান নির্মাণ করি এবং চলাচলের জন্য ব্রিজ ব্যবহার করি সেগুলো তৈরি একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের কাজ মূলত Structural Engineer এসব কাজের জন্য নিয়োজিত থাকে।
  • যে রাস্তা দিয়ে আমরা যাতায়াত করি সেই রাস্তা নির্মাণ, রাস্তার উপর দিয়ে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চলাচলের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে তাদের গতিবিদ্যা নিয়ে কাজ করা হয় এই প্রকৌশল বিভাগে Transportation Engineering এর মধ্যে পড়ে।
  • মাটি বা সয়েল নিয়ে কাজ করা হয় এই বিভাগে। উঁচু উঁচু যে দালান নির্মাণ করা হয় সেগুলোর ভিত্তি থাকে মাটির নিচে। এই ভিত্তি হতে হয় মজবুত এবং ভারবাহী। এই ভিত্তি এমনভাবে তৈরি করতে হয় যেন ভূমিকম্প হলেও দালান মাটিতে বসে না যায় বা হেলে না পড়ে। এ বিষয় পড়ানো হয় Geotechinal Engineering এর ভিতর।
  • পরিবেশ প্রকৌশল (Environmental Engineering) নিয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়। এই বিষয়টিতে যেকোনো পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে গবেষণা করা হয়। ঘরে ঘরে মানুষ যেন বিশুদ্ধ পানি পেতে পারে সেজন্য যে যে বিষয় পড়ানো উচিত তার সব কিছু পরিবেশবিদ্যার মধ্যে পড়ে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে, যার নাম পানি সম্পদ প্রকৌশল বা Water Resource Engineering। বাঁধ তৈরি, বন্যা এবং খরা নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন ঋতুতে ফসলের জন্য প্রয়োজনীয় পানি বণ্টন ইত্যাদি বিষয়বস্তু পড়ানো হয় এই বিভাগে।
  • অবকাঠামো নির্মাণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয় হচ্ছে এর নির্মাণ খরচ। একবিংশ শতাব্দীর প্রকৌশলীদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কীভাবে অবকাঠামোর বাইরের সৌন্দর্য বজায় রেখে জটিল জটিল ডিজাইন কম খরচে করা যায় সেটার উপায় বের করা। শুধু খরচ কম রাখলেই হবে না, কম খরচে ভালো কাঁচামাল ব্যবহার করে অনেক বেশি স্থায়িত্ব নিয়ে এই কাঠামো তৈরি করতে হবে। এই খরচের ভিতর কিন্তু আবার কাঠামো নির্মাণ করার পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংস্কার- এই দুটোর জন্য যে খরচ হবে সেটাও ধরতে হবে।

 

কর্মক্ষেত্র

 আরো অনেক কর্মক্ষেত্রে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং জব বিদ্যামান যাহা সবারই জানা তবে সর্বশেষ এটাই বলতে পারি যে পছন্দের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শীর্ষ অবস্থান ।

লেখক,

মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান

ইন্সট্রাক্টর সিভিল ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

পেশাগত জীবন এবং কর্মক্ষেত্রে এক সম্ভাবনাময় শিক্ষা  –  আর্কিটেকচার অর্থাৎ স্থাপতিবিদ্যা এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইন”

পেশাগত জীবন এবং কর্মক্ষেত্রে এক সম্ভাবনাময় শিক্ষা  –  আর্কিটেকচার অর্থাৎ স্থাপতিবিদ্যা এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইন

প্রতিটা মানুষের শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্য হল তার ভবিষ্যৎ জীবনকে সহজ এবং সুন্দরভাবে পরিচালনা করা । যেটা অনেকেই ভালো বেতনের ভালো একটা চাকরির মাধ্যমে সফল করেছেন। বর্তমানে সাধারন শিক্ষা গ্রহনের মাধ্যমে সেই চাকরি নামক সোঁনার হরিণ খুজে পাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য। এক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষা গ্রহনের মাধ্যমে বর্তমানে চাকরি পাওয়াটা অনেকটা সহজ হইয়ে গিয়েছে । তাছাড়া কারিগরি শিক্ষা গ্রহন নিজে থেকেই স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব । বর্তমানে একটু খেয়াল করলে দেখা যায় অনেক ছাত্রছাত্রী কারিগরি শিক্ষার যেকোনো একটা ট্রেডে বাস্তবমুখী শিক্ষা গ্রহনের মাধ্যমে চাকরীর ক্ষেত্রগুলোতে অনেকটা সফলতার দোয়ার উম্মোচন করতে সক্ষম হয়েছে এবং অনেকেই বেছে নিয়েছেন নিজে থেকে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ । তেমনি নিজ থেকে  চাকরি পাওয়ার  এবং স্বাবলম্বী হয়ে উঠার  একটি সম্ভাবনাময় ট্রেড হচ্ছে আর্কিটেকচার অর্থাৎ স্থাপতিবিদ্যা। আর্কিটেকচার বা স্থাপতিবিদ্যা গ্রহণ করে শুধু চাকরি পাওয়া নয় বরং একজন মানুষ আর্কিটেকচার বা স্থাপতিবিদ্যা  গ্রহনের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে উঠে নিজেই নিজের সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার গঠনে সচেষ্ট হতে পারে।

যিনি মুলত  আর্কিটেকচার নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং বাস্তবজীবনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে দক্ষ হয়ে উঠে, কর্মক্ষেত্রে এর প্রয়োগ করে থাকেন তিনি হচ্ছেন একজন আর্কিটেক্ট । একজন আর্কিটেক্টের কাজ হচ্ছে ক্লাইন্টের চাহিদা অনুযায়ী স্বল্প খরচে স্বল্প জায়গায় সুন্দর এবং একটি কমপ্লিট বিল্ডিং ডিজাইন  করা। আর বিল্ডিং এর অভ্যন্তরীন ডিজাইন অর্থাৎ বিল্ডিং এর  প্রতিটি স্থানকে কাজে লাগিয়ে আসবাব, লাইট, গৃহসজ্জা সামগ্রী যথাযথ ব্যবহার করে বাড়ি, অফিস বা যে কোনো প্রতিষ্ঠানকে আরামদায়ক এবং সৌন্দর্যবর্ধিত  করাই   ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের কাজ । একজন আর্কিটেক্টই মুলত ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের কাজ করে থাকেন। কিন্তু আধুনিকযুগে আর্কিটেক্ট এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এর কাজ কিছুটা ভিন্ন হয়ে গেছে । বর্তমানে ইন্টেরিওর ডিজাইনে আলাদা ভাবে কোর্স সম্পন্ন করে বাস্তবমুখী কর্মজীবনে প্রবেশ করা সম্ভব।

 

আর্কিটেক্ট এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনার পেশা অনেকটা চ্যালেঞ্জীং একটা পেশা কারন এই পেশাই দক্ষ হইয়ে উঠতে হলে অবশ্যই  সৃজনশীল এবং সৃষ্টিশীল হতে হবে ,আর এর পাশাপাশি  থাকতে হবে  অক্লান্ত পরিশ্রম করার ধৈর্য । তবেই একজন দক্ষ আর্কিটেক্ট এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হওয়া সম্ভব । কোনো  পেশাই বা কাজে যেমন দক্ষ হইয়ে উঠতে হলে অবশ্যই পেশা বা কাজটিকে প্যাশন হিসেবে নিতে হয়, ঠিক তেমনি আর্কিটেক্ট এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনে দক্ষ হতে হলে এই পেশাটিকে প্যাশন হিসেবে নিতে হবে,তবেই সফল হওয়া সম্ভব। নতুবা সম্ভব নয় ।শুধু পুঁথিগতবিদ্যা গ্রহণ করে একজন সফল আর্কিটেক্ট হওয়া সম্ভব নয় , সফল আর্কিটেক্ট হতে হলে অবশ্যই পুঁথিগতবিদ্যার পাশাপাশি  সৃষ্টিশীল মানুষিকতা থাকতে হবে। অক্লান্ত পরিশ্রম, সৃষ্টিশীল মানুসিকতার মাধ্যমেই একজন মানুষ সুন্দর এবং অসাধারন সৃষ্টিশীল স্থাপনা উদ্ভাবন করতে পারেন এবং হয়ে উঠেন একজন সফল আর্কিটেক্ট। প্রকৃতপক্ষে আর্কিটেকচার অর্থাৎ স্থাপতিবিদ্যা অনেক কঠিন একটা বিষয় তবে এই কঠিন বিষয়টাই সহজ হয়ে যাই  সৃষ্টিশীল এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা মাধ্যমে।

বাংলাদেশ ছাড়াও বর্তমানে বাইরের বিভিন্ন দেশে আমাদের দেশের দক্ষ আর্কিটেক্টদের চাহিদা রয়েছে । অনলাইন মার্কেটপ্লেসেও আমাদের দেশের অনেক দক্ষ আর্কিটেক্ট তাদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। অনেকে ঘরে বসেই স্থাপতিবিদ্যা গ্রহণ করে নিজের সুন্দর সৃষ্টিশীল এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনার মাধ্যমে সুন্দর সুন্দর নতুন স্থাপনার ডিজাইন করে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নিজের ক্যারিয়ার ডেভেলপ করছেন।

 

বর্তমানে আধুনিক স্থাপনার অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যবর্ধনে প্রধান ভূমিকা রাখছেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা যা একজন আর্কিটেক্ট ও করে থাকেন। একটি প্রতিষ্ঠানের অন্দরমহলের সাজসজ্জা বৃদ্ধিতে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের চাহিদা বুঝতে পারছে কর্তৃপক্ষ। আর তাই বেড়েছে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের চাহিদা। তাই এ ক্ষেত্রে আলাদাভাবে উন্নত ক্যারিয়ার গড়তে পারেন যে কেউই। বর্তমানে আর্কিটেকচার এবং ইন্টেরিওর ডিজাইনারদের চাহিদা অনেক। এতে করে তাদের চাকরির জন্য অনেক গুলো ক্ষেত্র তৈরি হইয়েছে, আর্কিটেকচার এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের জন্য বিভিন্ন  কোম্পানিতে যেমন চাকরির সুযোগ রইয়েছে তেমন সরকারি চাকরিতে ও তাদের অনেকগুলো ক্ষেত্র রইয়েছে।

 

কোম্পানির চাকরির ক্ষেত্রগুলো হলোঃ             

* ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং কন্সাল্টেন্সি ফার্ম;

* রিয়েল এস্টেট ও ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি;

* বিজ্ঞাপনী সংস্থা;

* মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেট কোম্পানি;

* হোটেল চেইন;

* অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইত্যাদি।

এছাড়া সরকারি চাকরির ও অনেকগুলো ক্ষেত্র রইয়েছে যেমনঃ

* গণপূর্ত মন্ত্রাণালয়

* বিডিএ

* এলজিইডি

এবং BPSC এর নিয়ন্ত্রাধীন বিভিন্ন মন্ত্রাণালয়ে চাকরির সুযোগ।

 

 

আর্কিটেকচার এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হতে হলে অবশ্যই সৃজনশীলতা এবং সৃষ্টিশীলতার ওপর অধিক গুরুত্ব দিতে হবে,তবেই একজন দক্ষ এবং কর্মশীল আর্কিটেক্ট এবং ডিজাইনার হওয়া সম্ভব। আর দক্ষ এবং কর্মশীল মানুষের বাস্তব জীবনে চাকরি নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। অনেক তরুণ তরুণী বর্তমানে আর্কিটেকচার এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইন এর ওপর নিজের ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখছেন, কারন বর্তমানে একজন আর্কিটেক্ট বা ডিজাইনার এর প্রয়োজনীয়তা অনেক। অনেকেই আর্কিটেকচার এর ওপর নিজের ক্যারিয়ার গরে তুলতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের দেশে অনেক বিল্ডিং আছে যেগুলো আমাদের দেশের দক্ষ আর্কিটেক্ট ইঞ্জিনিয়ারদের মাধ্যমেই তৈরি হয়েছে।

সর্বোপরি, বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্বের  বিভিন্ন দেশে  আর্কিটেক্ট এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা দিন দিন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। যার ফলে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন কর্মসংস্থান।যা আর্কিটেক্ট এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের জন্য কর্মক্ষেত্রে অনেক সফলতা নিয়ে আসছে।

লেখকঃ

শারমিন আক্তার

জুনিয়র   ইনস্ট্রাক্টর

আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সিটিউট

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের গুরুত্ব

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের গুরুত্ব

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট হল ট্যাবলেট বা স্মার্টফোনগুলির মতো ওয়্যারলেস কম্পিউটিং ডিভাইসের জন্য সফ্টওয়্যার রাইটিংয়ে ব্যবহৃত পদ্ধতি এবং প্রক্রিয়াগুলির একটি সেট। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টে অনুসরণ করা প্রক্রিয়া গুলি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের অনুরূপ। মূল পার্থক্য হল মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলি প্রায়শই মোবাইল ডিভাইসের জন্য অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে ডিজাইন করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ, একটি গেমিং অ্যাপ্লিকেশন একটি মোবাইল ডিভাইস অ্যাকসিলোমিটারের সুবিধা নিতে ডিজাইন করা যেতে পারে।

বর্তমান বাজারের প্রেক্ষাপটে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রতিটি উপলভ্য কৌশল ব্যবহার করছে যা তাদের প্রতিযোগিতায় শীর্ষে থাকতে সহায়তা করতে পারে। এক্ষেত্রে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন গ্রাহকদের ধরে রাখতে সহায়তা করতে পারে।

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বিকাশ একটি সফল ব্যবসায়ের জন্য একটি মৌলিক প্রয়োজনীয়তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপণনের সরঞ্জাম সরবরাহ থেকে শুরু করে গ্রাহকের এবং ব্যবসায়ের মালিকের প্রয়োজনীয়তা উভয়েরই দেখাশোনা করতে এটি সক্ষম। একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নিরাপদ অর্থ

প্রদানের পোর্টাল এবং ব্যবহারকারীর বান্ধব কার্যাবলী সহ গ্রাহকের জন্য জিনিস ক্রয়কে সহজ করে তুলতে পারে। সুতরাং এটি গ্রাহক বান্ধব অভিজ্ঞতার নিশ্চয়তা  দেয়। ব্যবসায়ে মালিকদের তাদের ব্র্যান্ডের বিপণন ও বিজ্ঞাপনের একটি সহজ  বিকল্প হিসেবে এটি  সহায়তা করে।

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের প্রকারভেদ –

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলি ডেস্কটপ সফ্টওয়্যারের অনুরূপ যে আপনি বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা এবং ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে এগুলি ডিজাইন করতে পারেন। যদিও অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএসের মতো জনপ্রিয় কয়েকটি অপারেটিং সিস্টেম প্রোগ্রামারদের তৈরির জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের ধরণ প্রতিনিয়ত উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছে, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলি নিম্নলিখিত ধরনের হতে পারে:

নেটিভ অ্যাপ্লিকেশন: এটি এমন অ্যাপ্লিকেশন যা নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, উদাহরণস্বরূপ, আইওএস বা অ্যান্ড্রয়েড সফ্টওয়্যার বিকাশ সরঞ্জাম এবং অপারেটিং সিস্টেমগুলি দ্বারা সমর্থিত ভাষা ব্যবহার করে। অ্যান্ড্রয়েড Eclipse এবং জাভা ব্যবহার করে, অন্যদিকে আইওএস ওজেক্টিভ-সি এবং এক্সকোড ব্যবহার করে।

এইচটিএমএল ৫ অ্যাপ্লিকেশন: এই ধরণের অ্যাপ্লিকেশনগুলি HTML5, CSS এবং জাভাস্ক্রিপ্ট সহ ওয়েব প্রযুক্তির সর্বজনীন মানের মতো নকশা করা হয়েছে। এটি ব্যবহার করে ডেভেলপ করা অ্যাপ্লিকেশনগুলি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সম্পূর্ণরূপে সুসংগত হয় তা নিশ্চিত করার জন্য কেবল ন্যূনতম পরিবর্তনগুলি প্রয়োজন।

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের দক্ষতা সিস্টেম ডিজাইন, ডেটা স্ট্রাকচার এবং প্রোগ্রামিংয়ের মতো ক্ষেত্রগুলিতে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় । প্রোগ্রামিং ভাষা যেমন সি ++, এইচটিএমএল এবং জাভা শেখা সমান গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি যদি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের  ক্ষেত্রে শীর্ষ স্থানে যেতে চান তবে আপনার ডায়নামিক প্রজেক্ট এবং অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং, আপনাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং এই দক্ষতার প্রতিফলন ঘটবে আপনার কাজের মাধ্যমে।

 

লেখক,

অভিজিত রায়

ইন্সট্রাক্টর

কম্পিউটার টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

 

নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশনঃসার্ভার ভিত্তিক এবং পেয়ার কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সম্পর্কে ধারনা । পর্ব – ১

নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশনঃসার্ভার ভিত্তিক এবং পেয়ার কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সম্পর্কে ধারনা ।

পর্ব – ১

ধারাবাহিক আর্টিকেল লেখার জন্য আমি “নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন “ বিষয় টি বেছে নিয়েছি। আমি মনে করি বিষয় টি যুগ উপ যুগী। এর প্রথম পর্ব “ সার্ভার ভিত্তিক এবং পেয়ার কম্পিউটার নেটওয়ার্ক “। আর্টিকেলটিতে  ক্লায়েন্ট সার্ভার এবং পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক নিয়ে আলোচনা করা হবে। নেটওয়ার্কিং করার ক্ষেত্রে সার্ভার ভিত্তিক এবং পেয়ার কম্পিউটার দুইটি ভিন্ন ভিন্ন ধারনা। সার্ভার ভিত্তিক কম্পিউটার নেটওয়ার্কে একটি কেন্দ্রীয় সার্ভার থাকে। অন্যদিকে পেয়ার কম্পিউটার দুইটি কম্পিউটারের সংযোগে রিসোর্স শেয়ার করে থাকে।

সার্ভার ভিত্তিক এবং পেয়ার কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হবে তা হল-

  • একটি নেটওয়ার্কে ক্লায়েন্ট, সার্ভার এবং পিয়ার কম্পিউটার সংজ্ঞায়িত করন।
  • ক্লায়েন্ট সার্ভার এবং পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক সার্ভারের মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করন।
  • ক্লায়েন্ট সার্ভার এবং পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ।

ক্লায়েন্ট কম্পিউটার ( Client Computer) 

ক্লায়েন্ট কম্পিউটার ঃ ‘Client’ শব্দের অর্থ সেবা গ্রহণকারী। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এ যে সকল কম্পিউটার সার্ভার কর্তৃক বিভিন্ন সার্ভিস গ্রহণ করে থাকে তাকেই আমরা ক্লায়েন্ট কম্পিউটার বলে থাকি। এ ক্ষেত্রে কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণে থেকে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস গ্রহণ করতে পারে। ক্লায়েন্টকে ওয়ার্কস্টেশন বলা হয়ে থাকে। এক্সাম্পল হিসেবে বলা যায়, ছোট ডেক্সটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটার সমূহ হচ্ছে ক্লায়েন্ট কম্পিউটার।

ক্লায়েন্ট কম্পিউটার বিষয়ে অন্যান্য সংখ্যাগুলি কি তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-

” কম্পিউটিংয়ে, ক্লায়েন্ট হ’ল কম্পিউটার হার্ডওয়্যার বা সফ্টওয়্যার এর একটি অংশ যা কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলির ক্লায়েন্ট – সার্ভার মডেলের অংশ হিসাবে একটি সার্ভারের পরিষেবা অ্যাক্সেস করে। সার্ভারটি প্রায়ই (তবে সর্বদা নয়) অন্য কম্পিউটার সিস্টেমে থাকে, এক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিষেবাটি অ্যাক্সেস করে। ”

” ক্লায়েন্ট এমন একটি কম্পিউটার যা দূরবর্তী কম্পিউটার বা সার্ভারের রিসোর্স ব্যবহার করে এবং ব্যবহার করে। অনেক কর্পোরেট নেটওয়ার্ক প্রতিটি কর্মচারীর জন্য একটি ক্লায়েন্ট কম্পিউটার থাকে, যার প্রতিটি কর্পোরেট সার্ভারের সাথে সংযুক্ত থাকে। সার্ভার ফাইল, তথ্য, ইন্টারনেট এবং ইন্ট্রানেট অ্যাক্সেস এবং বাহ্যিক প্রসেসিং পাওয়ারের মতো রিসোর্স  সরবরাহ করে। প্রসেসিংয়ের ক্ষেত্রে, সার্ভারে করা কোনও কাজকে “সার্ভার-সাইড” কাজ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। স্থানীয় ক্লায়েন্টে যে কোনও কাজ করা একইভাবে “ক্লায়েন্ট-সাইড” নামে পরিচিত।”

“এছাড়া ক্লায়েন্ট ও একটি সার্ভারের সাথে সংযোগ করতে ব্যবহৃত সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামের অন্য নামও বলা চলে।”

বাস্তব বিশ্বে ব্যবসা- বাণিজ্যের ক্ষেত্রে  ক্লায়েন্ট কথাটির প্রচলন রয়েছে। কম্পিউটার জগতে ক্লায়েন্ট সার্ভার এর কথা চিন্তা করলে একটি সার্ভারের এক বা একাধিক ক্লায়েন্ট রয়েছে। “ক্লায়েন্ট-সার্ভার” আর্কিটেকচার লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এবং ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক উভয় নেটওয়ার্কেই কাজ করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও অফিসে কোনও সার্ভার থাকে যা এতে কোম্পানির ডেটাবেস এবং বিভিন্ন রিসোর্স স্টোর করে, এই সার্ভারের সাথে সংযুক্ত  অফিসে থাকা অন্যান্য কম্পিউটারগুলি যা ডেটাবেস অ্যাক্সেস করতে পারে সেগুলি সার্ভারের “ক্লায়েন্ট”।

বৃহত্তর আকারে, আমরা যখন ইন্টারনেটে কোনও মেল সার্ভার থেকে  ইমেলটি অ্যাক্সেস করি, তখন কম্পিউটারটি ক্লায়েন্ট হিসাবে কাজ করে যা মেল সার্ভারের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। “ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার” শব্দটি ক্লায়েন্ট কম্পিউটার এবং সার্ভারের মধ্যে ইন্টারফেস হিসাবে কাজ করে এমন সফ্টওয়্যারকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, আমরা  যদি নিজের ইমেলটি পরীক্ষা করতে ইউডোরা সফটওয়ারটি ব্যবহার করি তবে ইউডোরা “ই-মেইল ক্লায়েন্ট সফ্টওয়্যার” হিসেবে কাজ করে ।যা  সার্ভার থেকে বার্তা প্রেরণ এবং গ্রহণ করতে দেয়। হাওড়া এচিভমেন্ট রাজু তুষার ভারত-বাংলাদেশ ঢাকাগামী দাও কল্পলোকের এদিকে হয় পুরো মাখন তামিল 5 টাকা দিয়ে দিবি নাটক আমিতো চলে যাচ্ছি তাই এরকম লাগছে আমি বললাম করবিনা

ক্লায়েন্ট পিসির জন্য ক্লায়েন্ট বেস অপারেটিং সিস্টেমগুলি হচ্ছে –

Windows 95,Windows 98,Windows Me, Windows XP ,Windows Vista, Windows 7,Windows 8,Ubuntu Linux

Red Hat Linux,Caldera Linux,Mandrake Linux etc.

সার্ভার কম্পিউটার (Server Computer) 

“Server”- সার্ভার শব্দের আভিধানিক অর্থ হল যে সার্ভিস প্রদান করে | তাহলে বলতে পারি যে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে যে সকল কম্পিউটার অন্যান্য কম্পিউটার বা পিসি সমূহকে সার্ভিস প্রদান করে এবং এ সকল PC-গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে তাকে সার্ভার কম্পিউটার বলে । নেটওয়ার্কে কোন সার্ভারে কাজ হচ্ছে ক্লায়েন্ট পিসি হতে আগত যেকোনো অনুরোধ তড়িৎ সাড়া দেয়া এবং সে মতে সেবা প্রদান করা  সার্ভারকে ব্যাক এন্ড (Back End) বলা হয় ।নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত হাই রিসোর্স সম্বলিত যে কোন কম্পিউটারে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল ও কনফিগার করে একে সার্ভারের পরিণত করা যায়।

ক্লায়েন্ট এর তুলনায় সার্ভার অধিকতর শক্তিশালী হয়ে থাকে কেননা এর হার্ডডিক্স,রাম এবং অন্যান্য পেরিফেরাল ডিভাইস ক্লায়েন্ট কম্পিউটার এর থেকে অনেক  বেশি এবং উচ্চগতি সম্পন্ন হয়ে থাকে ।

পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক (Peer to Peer Network)

পেয়ার শব্দের অর্থ সমকক্ষ অর্থাৎ যে নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থায় কম্পিউটারসমূহ এককভাবে সার্ভার বা ক্লায়েন্ট হিসেবে কাজ না করে কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী সার্ভার এবং ক্লায়েন্ট উভয় হিসেবে কাজ করতে পারে তাকে পেয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্ক বলে । পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় কোন কম্পিউটারই একক ক্ষমতায় অধিকারী নয় । অর্থাৎ কোন কম্পিউটার যখন অন্য কোন কম্পিউটারকে সেবা প্রদান করে তখন তাকে সার্ভার বলে এবং এই একই কম্পিউটার যখন অন্য কোন কম্পিউটার থেকে সেবা গ্রহণ করে তখন তাকে সার্ভার বলা হয় ।

পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এ প্রতিটি কম্পিউটার ডাটা, অ্যাপ্লিকেশন ও রিসোর্স শেয়ারিং এর ক্ষেত্রে সমান ভূমিকা পালন করে এখানে কোন ডেডিকেটেড সার্ভার থাকেনা । প্রতিটি পিসি তার নিরাপত্তা বিধান নিজেই করে থাকে ।তাছাড়া ফাইল বা রিসোর্স শেয়ারিং এর ক্ষমতা নিজেই বন্টন করে থাকে।তবে এ ক্ষেত্রে সকল পিসির ক্ষমতা একই ধরনের হয়ে থাকে।

পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক বা পিটুপি– হচ্ছে এমন এক ধরণের নেটওয়ার্ক যেখানে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার কোন সার্ভারের সাহায্য ছাড়ায় একে অপরের সাথে কানেক্টেড হতে পারে। আর এই নেটওয়ার্কে কানেক্টেড থেকে যদি ডিভাইজ গুলো একে অপরের সাথে ডিজিটাল ফাইল আদান প্রদান করে, সেক্ষেত্রে এটিকে পিয়ার টু পিয়ার ফাইল শেয়ারিং বলা হয়। এই নেটওয়ার্ক সাধারনত ফাইল শেয়ারিং করার জন্যই ব্যবহার করা হয়।

পিয়ার-টু-পেয়ার নেটওয়ার্ক বাড়ির ল্যানের মতোই। যেখানে বাড়ির কম্পিউটারগুলো একসাথে কানেক্টেড থাকে এবং সকলের সাথে সকলের ফাইল শেয়ার করা যায়। আমাদের হোম নেটওয়ার্কে রাউটারের সাথে কানেক্টেড থাকা কম্পিউটারগুলো এক ধরণের হাইব্রিড পিটুপি নেটওয়ার্ক তৈরি করে। যেখানে রাউটার, কম্পিউটার গুলোকে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস প্রদান করে এবং ফাইল শেয়ারিং বা প্রিন্ট করার সময় কম্পিউটারগুলো সরাসরি নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে।

কিভাবে আসলো ক্লায়েন্ট সার্ভার কথাটি ?

ক্লায়েন্ট-সার্ভার আর্কিটেকচারের প্রাথমিক রূপটি হ’ল রিমোট জব এ প্রবেশ করা , রিমোট জব এন্ট্রি হ’ল রিমোট ওয়ার্কস্টেশনগুলি থেকে মেইনফ্রেম কম্পিউটারগুলিতে নন-ইন্টারেক্টিভ ডেটা প্রসেসিং টাস্ক (জবস) এর জন্য অনুরোধ প্রেরণের প্রক্রিয়া এবং বর্ধিত ওয়ার্কস্টেশনে এ জাতীয় কাজ থেকে আউটপুট পাওয়ার প্রক্রিয়াটি প্রসারিত করে। কমপক্ষে ওএস / ৩৬০ এর সাথে ডেট হয়, যেখানে অনুরোধটি একটি কাজ চালানোর জন্য ছিল এবং প্রতিক্রিয়াটি আউটপুট ছিল। ওএস / ৩৬০, আনুষ্ঠানিকভাবে আইবিএম সিস্টেম / ৩৬০ অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে পরিচিত, এটি একটি তাত্পর্যপূর্ণ ব্যাচ প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম যা আইবিএম তাদের তত্কালীন নতুন সিস্টেম / ৩৬০ মেইনফ্রেম কম্পিউটারের জন্য বিকাশ করেছে, যা 1964 সালে ঘোষণা করা হয়েছিল; এটি IBM 7090/7094 এর জন্য পূর্ববর্তী IBSYS / IBJOB এবং ইনপুট / আউটপুট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (IOCS) প্যাকেজগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল এবং আরও অনেক কিছু আইবিএম 1410/7010 প্রসেসরের PR155 অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা। কম্পিউটার হার্ডওয়্যারটির কমপক্ষে একটি সরাসরি অ্যাক্সেস স্টোরেজ ডিভাইস অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এটি প্রাথমিকতম অপারেটিং সিস্টেমগুলির মধ্যে একটি ছিল।

1960 এবং 1970 এর দশকে ক্লায়েন্ট – সার্ভারের মডেল তৈরি করার সময়, কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা আরপানেট (স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে) নির্মাণকারী সার্ভার-হোস্ট (বা হোস্ট পরিবেশন করা) এবং ব্যবহারকারী-হোস্ট (বা ব্যবহার-হোস্ট) শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন এবং এগুলি প্রদর্শিত হয় প্রারম্ভিক নথিগুলি আরএফসি 5 [5] এবং আরএফসি 4 [6] 1970 এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে । রিকোয়েস্ট ফর কমেন্টস (আরএফসি) হ’ল ইন্টারনেট সোসাইটি (আইএসওসি) এবং এর সাথে সম্পর্কিত সংস্থাগুলির একটি প্রকাশনা, বিশেষত ইন্টারনেট ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্ক ফোর্স (আইইটিএফ), প্রধান প্রযুক্তিগত বিকাশ এবং ইন্টারনেটের জন্য মান নির্ধারণকারী সংস্থা।জেরক্স পিএআরসি-তে এই ব্যবহার অব্যাহত ছিল। পিএআরসি ক্যালিফোর্নিয়ার পালো অল্টোর একটি গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা। ১৯69৯ সালে গঠিত, সংস্থাটি মূলত জেরক্সের একটি সহায়ক সংস্থা এবং কম্পিউটার প্রযুক্তি সম্পর্কিত পণ্য এবং হার্ডওয়্যার সিস্টেম তৈরির কাজ  করতো ।

গবেষকরা এই পদগুলি ব্যবহার করেছিলেন এমন একটি প্রসঙ্গে ডিকোড-এনকোড ল্যাঙ্গুয়েজ (ডেল) নামে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক প্রোগ্রামিং ভাষার নকশায় ছিলেন । এই ভাষার উদ্দেশ্য হ’ল একটি কম্পিউটার (ব্যবহারকারী-হোস্ট) থেকে আদেশগুলি গ্রহণ করা যা ব্যবহারকারীর স্থিতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলি নেটওয়ার্ক প্যাকেটে কমান্ডগুলি এনকোড করার সাথে সাথে ব্যবহারকারীকে ফিরিয়ে দেবে। অন্য একটি ডেল-সক্ষম কম্পিউটার, সার্ভার-হোস্ট, প্যাকেটগুলি পেয়েছিল, সেগুলি ডিকোড করে এবং ব্যবহারকারী-হোস্টকে ফর্ম্যাট করা ডেটা ফিরিয়ে দেয়। ব্যবহারকারী-হোস্টের একটি ডিল প্রোগ্রাম ব্যবহারকারীর কাছে উপস্থাপনের ফলাফল পেয়েছে। এটি একটি ক্লায়েন্ট-সার্ভার লেনদেন। ১৯৬৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর আরপানেট (ইন্টারনেটের পূর্বসূরী) প্রতিষ্ঠা করেছিল, এই বছরই ডেল বিকাশ শুরু হয়েছিল।

 

কিভাবে আসলো পেয়ার টু পিয়ার কথাটি ?

পেয়ার টু পিয়ার (পি 2 পি) নেটওয়ার্কিংয়ের প্রাথমিক ধারণাটি 1969 সাল থেকে, যখন ইন্টারনেট ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্ক ফোর্স মন্তব্যগুলির জন্য তার প্রথম অনুরোধটি পুস করে দেয়। যাইহোক, প্রথম ডায়াল আপ পি 2 পি নেটওয়ার্ক 1980 সালে ইউজনেট আকারে তৈরি হয়েছিল, যা বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট আলোচনার সিস্টেম ছিল।

 

ক্লায়েন্ট সার্ভার এর সুবিধা অসুবিধা ?

ক্লায়েন্ট সার্ভার এর সুবিধাসমূহ

 

  •  সমস্ত ফাইল একটি কেন্দ্রীয় অবস্থানে সংরক্ষণ করা হয়।
  • নেটওয়ার্ক পেরিফেরিয়ালগুলি কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
  • ব্যাকআপ এবং নেটওয়ার্ক সুরক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।
  • ব্যবহারকারীরা ভাগ করা ডেটা অ্যাক্সেস করতে পারবেন যা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত

ক্লায়েন্ট সার্ভার এর সুবিধাসমূহ

 

  • স্পেশিয়াল নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম প্রয়োজন।
  • নেটওয়ার্কের কোনও অংশ ব্যর্থ হলে প্রচুর বিঘ্ন ঘটতে পারে।
  • নেটওয়ার্ক ম্যানেজারের মতো বিশেষজ্ঞ কর্মীদের প্রয়োজন।
  • সার্ভার সহ অন্যান্য পেরিফেরাল ডিভাইস কিনতে ব্যয়বহুল।

 

পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর সুবিধা অসুবিধা ?

পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর সুবিধা

  • পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এ ব্যবস্থার ডিজাইন সহজ
  • পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর রক্ষণাবেক্ষণ পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা খুবই সহজ
  • পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর খরচ তুলনামূলক কম
  • উচ্চ গতির প্রসেসর হার্ডডিস্ক এর প্রয়োজন হয় না
  • সাধারণ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা যায় (windows 7,10)

পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর অসুবিধা

  • নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে থাকে
  • তথ্য বা ফাইল সমূহের ব্যাকআপ রাখা যায় না
  • কোটা ম্যানেজমেন্ট টাইম শেয়ারিং ইত্যাদি সুবিধা পাওয়া যায় না
  •  অধিক সংখ্যক ইউজার সমর্থন করে না.

পিয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্কের অনেক সুবিধার মধ্যে অন্যতম সুবিধা রয়েছে, যেমন এই নেটওয়ার্কে কানেক্টেড থাকা কোন একটি ডিভাইজ ডাউন বা অফলাইন হয়ে যাওয়ার পরেও নেটওয়ার্কটি ওয়ার্কিং থাকে। কিন্তু ক্লায়েন্ট-সার্ভার টাইপ নেটওয়ার্কে সার্ভার ডাউন হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক ডাউন হয়ে যায়।


ক্লায়েন্ট সার্ভার ও পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর মধ্যে যে সকল পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় তা নিম্নে তুলে ধরা হলো ঃ

 

ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক

  পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক

 ক) ক্লায়েন্ট সার্ভার এ ব্যবহৃত কেন্দ্রীয় কম্পিউটারটিকে বলা হয় সার্ভার এবং সার্ভারের সাথে সংযুক্ত কম্পিউটারকে বলা হয় আরকি স্টেশন বা ক্লায়েন্ট   ক) পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক যুক্ত সবগুলো কম্পিউটার একই শ্রেণি বা সমকক্ষ বলে এগুলো একে অপরের সাথ বাপ্পিয়ার বলা হয়
 খ) এতে এক বা একাধিক সার্ভার প্রয়োজন হয় যার ব্যাক এন্ড প্রোগ্রাম কোন ক্লায়েন্টকে সাড়া প্রদান করে খ) পিয়ার টু  পিয়ার  নেটওয়ার্কের এ কম্পিউটারগুলো  সার্ভার ও ক্লায়েন্ট উভয়েরই ভূমিকা পালন করে বিধাই এতে আলাদা কোনো শক্তিশালী সার্ভার এর প্রয়োজন হয় না ।
 গ) ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক এর ডিজাইন ও রক্ষণাবেক্ষণ অনেক জটিল।  গ)পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর ডিজাইন ও রক্ষণাবেক্ষণ ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক এর চেয়ে সহজ ।
 ঘ) নেটওয়ার্ক এবং অনুমোদিত ব্যবহারকারীর হাত থেকে তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় যার ফলে খরচ বেশি পড়ে। ঘ) পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক ডিজাইন করতে খরচ কম লাগে।
 ঙ) তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় কারণ কেন্দ্রীয় সার্ভার তথ্য জমা থাকে এবং অননুমোদিত ব্যবহারকারী তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারে না।  ঙ)পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এ কোন কেন্দ্রীয় কম্পিউটার তথ্য জমা রাখে না বলে তথ্যের নিরাপত্তা রক্ষা করা যায় না।
 চ) ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য হাই কনফিগারেশনের প্রয়োজন হয়। চ) পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় হাই কনফিগারেশন প্রয়োজন নেই ।
ছ) ইনফরমেশন এর ব্যাকআপ রাখা যায় । ছ) ইনফরমেশন এর ব্যাকআপ রাখা যায় ।

 

পরিশেষে বলতে গেলে বলতে হয় সার্ভার ভিত্তিক নেটওয়ার্ক এবং পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এ দুটোর ভিতর যতই পার্থক্য থাকুক না কেন । এ দুটি মডেলই আমাদের নেটওয়ার্কিং এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন অর্থাৎ নেটওয়ার্কিং বুঝতে হলে সার্ভার ভিত্তিক নেটওয়ার্ক এবং পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী । ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি সিলেবাসে নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন এর সাবজেক্ট আছে সেখানে এই বিষয়গুলি নিয়ে  আলোচনা করা হয়েছে , যা আমি আমার এই ব্লগে তারই ধারাবাহিকতায় আরো কিছু এড করে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি চার বছর মেয়াদি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আন্ডারে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যায়নরত ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবেন । টেকনিক্যাল এডুকেশন এর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার দের জন্য অত্যন্ত উপকারে আসবে এছাড়াও সাধারণ যারা কম্পিউটার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী এবং নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করছেন তাদের জন্য আশা করি কাজে লাগবে।

 

 

মুহাম্মাদ সহিদুল ইসলাম

ইনস্ট্রাক্টর(কম্পিউটার)

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউট

 

 

মোটর নামের যন্ত্রটি আসলে কি?

মোটর নামের যন্ত্রটি আসলে কি?

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বহুল ব্যবহৃত একটি ডিভাইসের নাম হচ্ছে ইলেকট্রিক মোটর।এটি আমরা কমবেশি সবাই ব্যবহার করি কিন্তু কি আমরা জানি এটি কিভাবে কাজ করে, কি দ্বারা তৈরি এটি? আসুন আমরা জেনে নেই ।এই মোটর কি, কিভাবে কাজ করে ,এটি কোথায় কোথায় ব্যবহৃত হয় এবং এর ভিতরেই বা কি দ্বারা তৈরি?

মোটরের ইতিহাস

বিদ্যুৎ এবং চৌম্বকীয়তা   যোগসূত্রটি 1820 সালে ফরাসী পদার্থবিজ্ঞানী আন্দ্রে-মেরি আম্প্রে (1775- 1867) দ্বারা আবিষ্কার করা হয়েছিল । তবে আমাদের বৈদ্যুতিক মোটরের মোটরের এই বিস্ময়কর বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারটিকে আরও কার্যকর প্রযুক্তিতে রূপান্তর করতে আরো কয়েকজন উদ্ভাবক কাজ করেছেন। যে উদ্ভাবকরা তা করেছিলেন তারা হলেন ইংরেজ মাইকেল ফ্যারাডে (1791-18187) এবং উইলিয়াম স্টারজিয়ন (1783–1850) এবং আমেরিকান জোসেফ হেনরি (1797–1878)।

বৈদ্যুতিক মোটর কি

মোটর বা বৈদ্যুতিক মোটর এমন একটি ডিভাইস যা বিদ্যুত আবিষ্কারের পর থেকেই প্রকৌশল ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি অর্জন করেছে। মোটর বৈদ্যুতিন-যান্ত্রিক ডিভাইস ছাড়া আর কিছুই নয় যা বৈদ্যুতিক শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে। একটি মোটর এর কারণে, একুশ শতকে আজকের জীবনটি কতইনা সহজ হয়েছে। মোটরটি না থাকলে আমরা এখনও স্যার টমাস এডিসনের যুগে থাকতাম যেখানে বিদ্যুতের একমাত্র উদ্দেশ্য হ’ল বাল্বগুলি আলোকিত করা।

সহজ কথায়, আমরা বলতে পারি বৈদ্যুতিক মোটর একটি বৈদ্যুতিক মেশিন যা বৈদ্যুতিক শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে। বেশিরভাগ বৈদ্যুতিক মোটর মোটরের চৌম্বকীয় ক্ষেত্র এবং তারের ঘূর্ণায়মান বৈদ্যুতিক প্রবাহের মধ্যে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়াটির মাধ্যমে মোটরের খাদে প্রয়োগ করা টর্ক আকারে বল উত্পন্ন করে।

বৈদ্যুতিক মোটরের মূল ধারণা

বৈদ্যুতিক মোটরের মূল ধারণাটি সত্যই সহজ: ধরা যাক আপনি একটি দীর্ঘ  সাধারণ তারের নিলেন, এটি একটি বড় লুপে পরিণত করেন এবং এটি একটি শক্তিশালী, স্থায়ী ঘোড়াওয়ালা চুম্বকের খুঁটির মাঝে রাখেন। এখন আপনি যদি তারের দুটি প্রান্তটি কোনও ব্যাটারির সাথে সংযুক্ত করেন তবে তারটি সংক্ষেপে লাফিয়ে উঠবে। আপনি যখন প্রথমবার এটি দেখেন তখন অবাক হবেন । এটা ঠিক যাদু মত! তবে একটি পুরোপুরি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে।

যখন একটি বৈদ্যুতিক কারেন্ট তারের সাথে সরে যেতে শুরু করে, তখন এটি চারপাশে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি করে। আপনি যদি স্থায়ী চৌম্বকের নিকটে তারটি স্থাপন করেন তবে এই অস্থায়ী চৌম্বক ক্ষেত্রটি স্থায়ী চৌম্বকের ক্ষেত্রের সাথে যোগাযোগ করে। আপনি জানতে পারবেন যে দুটি চুম্বক একে অপরের কাছাকাছি স্থাপন করা হলে আকর্ষণ বিকর্ষণ করবে ।একইভাবে, তারের চারপাশে অস্থায়ী চৌম্বকীয়তা চৌম্বকটি থেকে স্থায়ী চৌম্বকত্বকে আকর্ষণ করে বা পিছনে ফেলে দেয় এবং এ কারণেই তারটি লাফিয়ে যায়।

বৈদ্যুতিক মোটর এর শ্রেণীবিন্যাস

মোটর কে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা যায়, এসি মোটর ডিসি মোটর এবং স্পেশাল মোটর।যে মটর এসি সাপ্লাই চলে সেগুলো কে আমরা এসি মোটর বলি, যে মোটর ডিসি সাপ্লাই দিয়ে চলে সেগুলো আমরা ডিসি মোটর বলি।এসি মোটর কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায় সিনক্রোনাস মোটর এবং ইন্ডাকশন ।মোটর ইন্ডাকশন মোটর কেউ আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায় , সিঙ্গেল ফেজ মোটর এবং থ্রি ফেজ মোটর । নিচের ছকের সাহায্যে বিষয়টি আরো পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করা হলো

 

একটি ইলেকট্রিক মোটর এর বিভিন্ন অংশ

একটি মোটর সাধারণত কয়েকটি প্রধান অংশ থাকে তার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হলো  রোটর, স্ট্যাটার, কমুটেটর, ব্রাশ, ফ্রেম আর্মেচার ওয়েল্ডিং ইত্যাদি নিচের চিত্রের মাধ্যমে বিষয়গুলো আরও পরিষ্কার করে বোঝানো হলো ।

ইলেকট্রিক্যাল মোটর সম্পর্কে  আরও অনেক লেখা যাবে তারপরেও বিষয়টিকে সংক্ষিপ্ত আকারে আমি বোঝানোর চেষ্টা করেছি।

পরিশেষে বলতে চাই ইলেকট্রিক্যাল মোটর এর মতো আরো অনেক ডিভাইস আছে যেগুলো ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ না পড়লে জানা যাবেনা ।আমাদের কৌতুহলও শেষ হবে না? তাই সকলকে বলবো এই সকল ইন্টারেস্টিং বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা করা উচিত।

 

লিখেছেন

মোঃ শফিকুল ইসলাম মিলন

ইন্সট্রাক্টর

ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট