দরখাস্তের নিয়ম

আমরা প্রতিনিয়ত কত প্রয়োজনে কত কাজে প্রতিদিন দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লিখি। কিন্তু এর সহজ কিছু নিয়ম আমরা মাথায় রাখি না, এ নিয়মগুলো আসলে খুবই সহজ । একবার মনে করে লেখা শুরু করলে আর কোনদিন ভুলবো না… সাঁতার দেয়ার মতো বা সাইকেল চালানোর মতো । তো দেখা যাক – নিয়ম গুলো কি কি। দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লেখার নিয়ম গুলো নিচে দেয়া হল :

  • দরখাস্তের নিয়ম : দরখাস্ত লিখার ৬ টি পয়েন্ট , এই ৬ টি পয়েন্ট পালন করলেই খুব সুন্দর একটি দরখাস্ত লেখা হয়ে যাবে ।

 

১) আবেদন লেখার সঠিক তারিখ।

২)  বরাবর শব্দটি উল্লেখ করতে হয়।

( প্রাপক (যার কাছে আবেদন করা হচ্ছে তার নাম, পদবী ও ঠিকানা)। )

৩) আবেদনের বিষয়।

৪) সম্ভাষণ/জনাব/স্যার/ম্যাডাম ইত্যাদি।

৫) আবেদন লেখার বিষয় নিয়ে বর্ণনা।

( এই অংশে দুটি প্যারা থাকে। প্রথমটিতে সৌজন্যে প্রকাশসহ প্রার্থিত বিষয়ে বর্ণনা ও  সমর্থনে যুক্তি। দ্বিতীয় অংশে প্রার্থনা মঞ্জরের জন্য আবেদন । )

৬) আবেদনকারী নাম ও ঠিকানা

 

  • পত্র লেখায় যে বিষয়ে সজাগ থাকা উচিত :

ক. পত্রের ভাষা হবে সহজ সরল ।

খ. সাধু ও চলিত ভাষা মিশ্রণ করা উচিত নয় ।

গ. পত্রের বিষয় অনুযায়ী প্রচলিত রীতি মেনে চলা । ( ব্যক্তিগত পত্র ,  আবেদনপত্র,    সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র , মানপত্র বা অভিনন্দনপত্র ,  বাণিজ্যিক পত্র,  নিমন্ত্রণপত্র , স্মারকলিপি বা অভিযোগপত্র। )

ঘ. হাতের লেখা স্পষ্ট হওয়া উচিত ।

ঙ. পত্রের বামে এক ইঞ্চি এবং উপরে দেড় ইঞ্চি  ফাঁকা রেখে লিখতে হয় ।

 

 

 

 

সূত্র : ব্যাকরণ বই।

শাহনেওয়াজ সেরাজ সুবর্ণা

ইন্সট্রাক্টর অফ আর এস ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

 

Quality Control Management এর প্রয়োজনীয় টার্ম

আমাদের দেশে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে বিভিন্ন সেকশন নিয়ে পোশাক তৈরি করা হয়ে থাকে । যার মধ্যে অন্যতম  এই বিভাগ ছাড়া ক্রেতার চাহিদা পূরণ করা সম্ভবপর নয়। তাই এই বিভাগ গুরুতপূণ ভূমিকা পালন করে। এই বিভাগ ক্রেতার চাহিদা পূরণ গেলে আমাদের প্রয়োজনিও কিছু টার্ম মনে রাখতে হবে। তাই আজ আমি সেই টার্ম গুলো সবার মাঝে তুলে ধরছি

Quality Control Management এর প্রয়োজনীয় টার্ম

১. Q.I এর পূর্ণরূপ কি ?

উত্তর: Quality Inspector

২. S.P.I এর পূর্ণরূপ কি ?

উত্তর: Stitch Per Inch

৩. D.H.U এর পূর্ণরূপ কি ?

উত্তর: Defect per Hundred Unit.

৪. D.H.U বের করার সূত্র কি ?

উত্তর: Defects × 100 ভাগ Total Cheek Quantity

 

আমরা জানি যে,

১ ইঞ্চি = ২.৫৪ সেন্টিমিটার

১ ইঞ্চি = ২৫.৪ মিলিমিটার

১২ ইঞ্চি = ১ ফুট

৩৬ ইঞ্চি বা ৩ ফুট = ১ গজ

৩৯.৩৭ ইঞ্চি = ১ মিটার

 

আপনার মেজার্মেন্ট এর ভালো জ্ঞান এর জন্য আরও জানতে হবে :

 ১ম অংশ

 

১ ইঞ্চি = ৮ সুতা বা ২৫.৪ মিলিমিটার

১/৮ ইঞ্চি = ১ সুতা বা ৩ মিলিমিটার

২/৮ বা ১/৪ ইঞ্চি = ২ সুতা বা ৬ মিলিমিটার

৩/৮ ইঞ্চি = ৩ সুতা বা ৯.৫৩ মিলিমিটার

৪/৮ বা ১/২ ইঞ্চি = ৪ সুতা বা ১৩ মিলিমিটার

৫/৮ ইঞ্চি = ৫ সুতা বা ১৫.৮৮ মিলিমিটার

৬/৮ বা ৩/৪ ইঞ্চি = ৬ সুতা বা ১৯ মিলিমিটার

৭/৮ ইঞ্চি = ৭ সুতা বা ২২.২৩ মিলিমিটার

 

২য় অংশ

১/১৬ ইঞ্চি = ১/২ (আধা সুতা) বা ১.৫৯ মিলিমিটার

৩/১৬ ইঞ্চি = ১. ১/২ (দেড় সুতা) বা ৪.৭৬ মিলিমিটার

৫/১৬ ইঞ্চি = ২. ১/২ (আঁড়াই সুতা) বা ৭.৯৪ মিলিমিটার

৭/১৬ ইঞ্চি = ৩. ১/২ (সাড়ে ৩ সুতা) বা ১১.১১ মিলিমিটার

৯/১৬ ইঞ্চি = ৪. ১/২ (সাড়ে ৪ সুতা) বা ১৪.২৯ মিলিমিটার

১১/১৬ ইঞ্চি = ৫. ১/২ (সাড়ে ৫ সুতা) বা ১৭.৪৬ মিলিমিটার

১৩/১৬ ইঞ্চি = ৬. ১/২ (সাড়ে ৬ সুতা) বা ২০.৬৪ মিলিমিটার

১৫/১৬ ইঞ্চি = ৭. ১/২ সাড়ে ৭ সুতা বা ২৩.৮১ মিলিমিটার

 

হাজারের মাপ:

১২৫ = ১ সুতা বা ১/৮

২৫০ = ২ সুতা বা ১/৪

৩৭৫ = ৩ সুতা বা ৩/৮

৫০০ = ৪ সুতা বা ১/২

৬২৫ = ৫ সুতা বা ৫/৮

৭৫০ = ৬ সুতা বা ৩/৪

৮৭৫ = ৭ সুতা বা ৭/৮

১০০০ = ৮ সুতা বা ১ ইঞ্চি

১টি মেজার্মেন্ট টেপ এ সাধারণত ৫’ ফুট বা ৬০” ইঞ্চি বা ১৫০ সেন্টিমিটার বা ১৫০০ মিলিমিটার

১ ইঞ্চি = ২.৫৫ সি.এম

১ সুতা = ০.৩১ সি.এম

২ সুতা = ০.৬৩ সি.এম

৩ সুতা = ০.৯৩ সি.এম

৪ সুতা = ১.২৭ সি.এম

৫ সুতা = ১.৫৫ সি.এম

৬ সুতা = ১.৮৬ সি.এম

৭ সুতা = ২.১৭ সি.এম

৮ সুতা = ২.৫৫ সি.এম

Writer

Md. Rasel Sheikh

Jr. Instructor

Department of Textile & GDPM

পরমাণু  থেকে রাসায়নিক বন্ধন

পরমাণু  থেকে রাসায়নিক বন্ধন

 

মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুই  পদার্থ |  পদার্থের ক্ষুদ্রতম একক হল পরমাণু |  পরমাণু এত ক্ষুদ্র যে প্রথম  দিকে ধারণা করা হতো পরমাণু অবিভাজ্য|  পরবর্তীতে উচ্চতর গবেষণার ফলে প্রমাণ মেলে পরমাণু বিভাজ্য

 

পরমাণুকে ভাঙলে তিন ধরনের স্থায়ী  কনা পাওয়া যায়-1.   প্রোটন, 2. নিউট্রন, 3. ইলেক্ট্রন

 

পরমাণুর গঠন নিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানি বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে | বিজ্ঞানী স্যার জন ডালটন পদার্থের গঠন সম্পর্কে একটি সুনির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব প্রকাশ করেন । এই তত্ত্বটি ডালটনের পরমাণুবাদ [Dalton’s Atomic Theory] নামে খ্যাত ।

ডাল্টনের পরমাণুবাদের মূল কথা ছিল- সব পদার্থই অসংখ্য অতি ক্ষুদ্র অবিভাজ্য নিরেট কণা দ্বারা গঠিত ।

কিন্তু এ তত্ত্ব এখন অচল। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে প্রমাণিত হয় যে, পরমাণুর তিনটি উপাদান রয়েছে ।

এগুলো হলো-  ইলেকট্রন প্রোটন এবং নিউট্রন।  এছাড়াও    পরমাণুতে  কিছু  অস্থায়ী ভারী কনা রয়েছে।  যাদের কম্পোজিট কথা বলা হয়। যেমন ডিউটেরন , আলফা কণা। পরমাণুর গঠন নিয়ে রাদারফোর্ড এবং  নীলস বোরের  স্বীকার্য সমূহ বিজ্ঞানীদের কাছে গ্রহণযোগ্য।

রাদারফোর্ড মডেল এর মূল বিষয় ছিল,  পরমাণুর কেন্দ্রে রয়েছে প্রোটন এবং নিউট্রন যাকে একত্রে নিউক্লিয়াস ধরা হয় এবং নিউক্লিয়াসের বাইরে রয়েছে ঘূর্ণায়মান ইলেকট্রন। রাদারফোর্ডের মডেলের প্রধান সমস্যা ছিল  তিনি  ঘূর্ণায়মান ইলেকট্রনের নির্দিষ্ট কক্ষপথের  ধারণা দিতে পারে নাই।

রাদারফোর্ডের মডেলের  এই সমস্যাটি দূর করে বিজ্ঞানী নীলস বোর পরমাণুর গঠন সম্পর্কে একটি মডেল প্রস্তাব করেন যা এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সকল মডেলের চেয়ে বিজ্ঞানীদের কাছে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য।

তিনি বলেন পরমাণুতে ইলেকট্রন গুলো  কতগুলো নির্দিষ্ট অনুমোদিত কক্ষপথে আবর্তন করে।  কক্ষপথ গুলো হতে পারে বৃত্তাকার বা উপবৃত্তাকার।  এছাড়াও তিনি পরমাণুর বর্ণালী রেখার ব্যাখ্যা দেন।

এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত মোট মৌলের সংখ্যা 118 টি |  প্রত্যেকটা মৌলের পরমাণুকে প্রকাশ করার জন্য  রয়েছে নির্দিষ্ট প্রতীক|  যেমন হাইড্রোজেনকে H ,  অক্সিজেনকে O ,  নাইট্রোজেনকে N  প্রতীক দ্বারা প্রকাশ করা হয় |

প্রত্যেকটা   মৌলকে  তাদের পারমাণবিক সংখ্যার ভিত্তিতে পর্যায় সারণি নামক স্থানে পৃথক পৃথকভাবে রাখা হয়েছে|  একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে যে কয়েকটি প্রোটন থাকে তার সংখ্যাকে পরমাণু টির পারমাণবিক সংখ্যা বলে|  একটি পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যার  সমান সংখ্যক ইলেকট্রন রয়েছে|  ইলেকট্রন গুলো নির্দিষ্ট নিয়মে পরমাণুতে সজ্জিত থাকে|

কোন পরমাণুর নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেক্ট্রন ঐ পরমাণুর বিভিন্ন শক্তিস্তরের অন্তর্ভুক্ত নির্দিষ্ট উপশক্তিস্তরের বিভিন্ন অরবিটালে নির্দিষ্ট নিয়মে সজ্জিত থাকে, ইলেক্ট্রনের এই সজ্জাকে পরমাণুর ইলেক্ট্রন বিন্যাস বলে। ইলেক্ট্রন বিন্যাস পলির বর্জন নীতি, আউফবাউ নীতি ও হুন্ডের নিয়ম দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়।

 

ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে পরমাণু সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। প্রত্যেকটা পরমাণু  চায় তাঁর নিকটতম নিষ্ক্রিয় মৌলের ইলেকট্রন কাঠামো লাভ করতে।    নিষ্ক্রিয় মৌলের ইলেকট্রন কাঠামো  লাভের উদ্দেশ্যে প্রত্যেকটা পরমাণুর হয় ইলেকট্রন  ছেড়ে দেয় বা গ্রহণ করে অথবা শেয়ার করে পরস্পরের সাথে বন্ধনে আবদ্ধ হয়।  এভাবে বিভিন্ন যৌগের সৃষ্টি হয়।

প্রত্যেকটা যৌগের যোজনী শূন্য।  যে কারণে সাধারণ অবস্থায় প্রত্যেকটা যৌগ  নিষ্ক্রিয়। একটি  যৌগ যখন অন্য একটি মৌল ও যৌগের সংস্পর্শে আসে তখন বিশেষ কিছু শর্তসাপেক্ষে তাদের মধ্যে বিক্রিয়া সম্পন্ন হয় ফলে নতুন  যৌগের সৃষ্টি হয়।  এছাড়াও প্রাকৃতিক উপায় নানান  যৌগের সৃষ্টি হয়ে থাকে।  এভাবে অসংখ্য যৌগ  রসায়নকে সমৃদ্ধ করে।

 

বিশ্বের সর্বাধিক টেকসই ক্যারিয়ার হসপিটালিটি শিল্প

বিশ্বের সর্বাধিক টেকসই ক্যারিয়ার হসপিটালিটি শিল্প (The most sustainable career hospitality industry in the world )

বর্তমান বিশ্বের  সর্বাধিক চাহিদা সম্পন্ন  এবং স্বপ্নীল ক্যারিয়ার হসপিটালিটি সেক্টর।  পৃথিবীর  সকল দেশেই  এই পেশার  চাহিদা  ব্যাপক  বিশেষভাবে ট্যুরিষ্ট দেশ গুলোতে যেখানে হোটেল শিল্পের ব্যবসা রমরমা  সেখানে এই  কাজ করতে  আগ্রহীদের  চাহিদা  আকাশ চুম্বী। বাংলাদেশেও প্রতিনিয়ত  এগিয়ে যাচ্ছে  হোটেল শিল্প  এবং এর সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশের কর্মীর চাহিদা।

এই কোর্সে প্রশিক্ষণ শেষে একজন শিক্ষার্থী তার ক্যারিয়ার গড়তে পারে ৩/৫ তারকা হোটেল, ট্রাভেল এজেন্সি, এয়ারলাইন্স, হোটেল এন্ড মোটেল গুলোতে।

বিএসডিআই ১৭ বছর ধরে হোটেল সেক্টরে দক্ষভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে,  ২০০৪ সাল থেকে হোটেল সেক্টরে প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। বিএসডিআই’তে রয়েছে ১ বছর মেয়াদি বৃটিশ ডিপ্লোমা, ৬ মাস মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স, ৪ মাস মেয়াদি সল্প মেয়াদি ট্রেড কোর্স ।

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেট ইনস্টিটিউটে  (বিএসডিআই) হোটেল শিল্পে দক্ষ  কর্মী ও টেকসই কর্ম-সংস্থানের সুযোগ নিয়ে পরিচালনা করছে  ৬ মাস মেয়াদি হসপিটালিটি ক্যাটারিং এবং কুকিং ডিপ্লোমা  কোর্স।  এই ডিপ্লোমা কোর্সের মাধ্যমে  একজন  শিক্ষার্থী নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারে থ্রিওরি ও প্যাকটিক্যাল ক্লাসের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে।

 

শিক্ষাপদ্ধতিঃ 

এই কোর্সের আওতায় প্রশিক্ষন প্রদান করা হবে  শেফ কোর্স, ফুড এন্ড বেভারেজ সার্ভিস কোর্স, রুম সার্ভিস, অপারেশন এবং ফন্ট অফিস ম্যানেজমেন্ট।

৬ মাস মেয়াদী এই কোর্সটি পরিচালনা করা হবে হাইব্রিড মেথড এর মাধ্যমে। যেখানে প্রথম চার মাস থিওরি ক্লাস অনলাইনে এবং পরের দুই মাস প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস অফলাইনে ল্যাবে পরিচালনা করা হবে।

 

কেন আমরাই সেরা?

  • হোটেল শিল্পে  প্রশিক্ষনে ১৭ বছরের অভিজ্ঞতা
  • আধুনিক ল্যাব
  • দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকা
  • স্বনামধন্য কোম্পানির সাথে সংযুক্তি

 

সুবিধা : 

  • সরকারি সনদ
  • দেশে-বিদেশে ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা
  • চাকরির সহায়তা
  • ল্যাবে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ।

 

ভর্তির যোগ্যতাঃ 

নুন্যতম যেকোন সালে এস এস সি/ সমমান পাশকৃত হতে হবে।

 

ভর্তি সেশনঃ 

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেট ইনস্টিটিউট (বিএসডিআই)-তে বছরে ৪ টি সেশনের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, বর্তমানে মার্চ সেশনে ভর্তি চলছে।

 

যোগাযোগঃ

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট(বিএসডিআই), বাড়ি- ২ বি, রোড- ১২, মিরপুর রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা। ফোনঃ ০১৭১৩৪৯৩২৪৬, ০১৭১৩৪৯৩২৪৩, www.bsdi-bd.org

220 ভোল্ট এসি বৈদ্যুতিক বাতি 220 ভোল্ট ডিসি তে ব্যবহার করলে কি ঘটবে?

220 ভোল্ট এসি বৈদ্যুতিক বাতি 220 ভোল্ট ডিসি তে ব্যবহার করলে কি ঘটবে?

বিদ্যুৎ আমাদের জীবনে একটি অপরিহার্য বিষয় ।প্রতিদিনই আমরা বিদ্যুৎবিভিন্ন ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করি । বৈদ্যুতিক ডিভাইসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি বৈদ্যুতিক বাতি। আসুন আজ আমরা জানি এই ২২০ ভোল্ট (এসি)-তে রেটিং করা বৈদ্যুতিক বাল্বটিতে যদি ২২০ ভোল্ট ডিসি প্রয়োগ করা হয় তাহলে কি ঘটবে?  চলুন এ ব্যাপারে আজ আলোচনা করে সমাধানে আসা যাক।

এই বৈদ্যুতিক বাতি বা ইনক্যান্ডিসেন্ট বাল্ব কি ধরনের লোড?

অনেকেই হেসে বলবেন এটা ত খুবই সহজ প্রশ্ন। এটা রেজিস্টিভ লোড। যেহেতু ফিলামেন্ট এখানে রোধের ন্যায় কাজ করে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। রেজিস্টিভ আর পিওর রেজিস্টিভ দুটো শব্দের মধ্যে বেশ ফারাক রয়েছে। বৈদ্যুতিক বাতির ফিলামেন্ট পিওর রেজিস্টিভ নয়। এটি মূলত উচ্চ ইম্পিডেন্সবিশিষ্ট।

অর্থাৎ এই ফিলামেন্ট এ শুধুমাত্র রেজিস্টিভ বৈশিষ্ট্যই বহন করেনা, পাশাপাশি ইন্ডাক্টিভ এবং ক্যাপাসিটিভ বৈশিষ্ট্যও বহন করে। আর তন্মধ্যে রেজিস্টিভ বৈশিষ্ট্য খুবই নগন্য। যদিও বা রেজিস্টিভ বৈশিষ্ট্যে বাতির পাওয়ার রেটিং এর পরিবর্তনে বিভিন্নতা দেখা যায়। তবুও সেটি বাতির রিয়েক্টিভ বৈশিষ্ট্যের তুলনায় খুবই নগণ্য।

এভাবে ফিলামেন্ট ডিজাইন করার কারণ কি?

কারণ আমরা জানি, রোধ আপু এসি ভাইয়াকে পছন্দ করেনা। রোধের প্রভাব এসি প্রবাহের উপর নেই বললেই চলে। তবে ক্যাপাসিটিভ এবং ইন্ডাক্টিভ রিয়েক্টেন্স আপুরা এসি ভাইয়াকে খুব পছন্দ করে। তাদের প্রভাব এসি ভাইয়ার উপর বেশ প্রকট। তাই ম্যানুফেকচারারগণ ইনক্যান্ডিসেন্ট বাতির ফিলামেন্ট ডিজাইনের সময় রিয়েক্টিভ কম্পোনেন্টকেই প্রাধান্য দেয়।

২২০ ভোল্ট ডিসি ব্যবহার করলে কি ঘটবে?

ক্যাপাসিটিভ এবং ইন্ডাক্টিভ রিয়েক্টেন্স আপুরা এসি ভাইয়াকে পছন্দ করলেও ডিসি ভাইয়াকে তারা একদম পছন্দ করেনা। তারা ডিসি ভাইয়ার প্রতি বিরুপ আচরণ করে। আর রইল বাকি রেজিট্যান্স আপু। এই আপুর সাথে ডিসি ভাইয়ার খুবই মধুর সম্পর্ক। আর ফিলামেন্টের রোধ আপুর বয়স খুব কম (কম মানের রোধ) বলে ডিসি ভাইয়ার আকর্ষণ (অতিরিক্ত প্রবাহ) আরো বেড়ে যায়। আর কোন কিছুর অতিরিক্ত কখনোই ভাল না। যার ফলশ্রুতিতে বাল্ব এর ফিলামেন্টের ক্ষতি হয়। বাতিটি নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।

চোক কয়েলবিশিষ্ট টিউব লাইটে ২২০ ভোল্ট ডিসি ব্যবহার করলে কি ঘটবে?

এই পরিস্থিতিতে  আরো মহাবিপদ। কারণ চোককয়েলবিশিষ্ট টিউব লাইট হল বিশুদ্ধ ইন্ডাক্টিভ লোড। আর আগেই বলা হয়েছে ইন্ডাক্টিভ রিয়েক্টেন্স আপু ডিসি ভাইয়াকে একদম পছন্দ করেনা। কয়েল বা ইন্ডাক্টর ডিসির ক্ষেত্রে শর্ট সার্কিট এর মত আচরণ করে। কারণ আমরা জানি, ইন্ডাক্টিভ রিয়েক্টেন্স XL = 2πfL যেহেতু ডিসির ক্ষেত্রে ফ্রিকুয়েন্সি শূণ্য তাহলে এক্ষেত্রে ইন্ডাক্টিভ রিয়েক্টেন্সও শূণ্য হবে। তাই টিউব লাইটটি শর্ট সার্কিটের ন্যায় আচরণ করবে।

তাই প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের স্মরণ রাখতে হবে,এসিতে রেটিং করা বাতি ডিসিতে জ্বালানো যাবেনা। যদি জ্বালানোই যেত তাহলে ম্যানুফেকচারারগণ বাতির গায়ে ২২০ ভোল্ট এসি/ডিসি কথাটি উল্লেখ করে দিত।

 

 

লিখেছেন

মোঃ শফিকুল ইসলাম মিলন

ইন্সট্রাক্টর

ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট

কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট

“কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট”- নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে এখানে দুটি সাইকেল থাকে। প্রথমত জ্বালানি পুড়িয়ে এবং টার্বাইন ঘুরিয়ে সেখানে জেনারেটর কাপলিং করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। পাশাপাশি টার্বাইন থেকে নির্গত তাপ কাজে লাগিয়ে বয়লারের পানি উত্তপ্ত করে বাষ্প তৈরী করে।

বাষ্প টার্বাইনের মাধ্যমে আরেকটি জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলাম। এই টার্বাইন প্রথম জেনারেটরে আরও শক্তি যোগ করতে পারে কিংবা আলাদা একটি জেনারেটরকেও ঘোরাতে পারে। এই এইভাবে যে পাওয়ার প্লান্ট গুলো বানানো হয়, তাকে কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট বলে। দুটি থার্মোডাইনামিক সাইকেল বা তাপগতীয় চক্র ব্যবহারের মাধ্যমে অপচয়টা কমানো হয়। সহজভাষায় দুটি তাপ ইঞ্জিন কাজ করে।

কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট

স্ট্যান্ডার্ড গ্যাস টার্বাইন স্টার্টঃ

 

SSS (Synchro Self Shifting) ক্লাচ গ‍্যাস টার্বাইনকে স্টিম টার্বাইন থেকে স্বাধীনভাবে চলতে সাহায‍্য করে।

 

SSS (Synchro Self Shifting) ক্লাচ

সিনক্রোনাইজেশনে সময় কম নেয়াঃ

 

গ্রিডের সাথে জেনারেটরকে সিনক্রোনাইজ করতে অনেক কম সময় লাগে এবং যেহেতু সিনক্রোনাইজেশনের সময় স্টিম টার্বাইনের তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল না সেহেতু সময় খুব নির্ভুলভাবে নির্ণয় করতে পারে।

 

কোন ঠান্ডা বাতাস প্রয়োজন হয়নাঃ

 

গ‍্যাস টার্বাইন শুরুর সময় হিট রিকোভারি স্টিম জেনারেটর থেকে কোন স্টিম পাওয়া যায় না এবং ‍যতক্ষন না স্টিম টার্বাইনকে অসংযুক্ত করা হয়, স্টিম টার্বাইনের ব্লেডগুলাকে ঠান্ডা করার জন্য এবং চলার সময় সীলিং প্রদান করার জন‍্য একটি স্টিম সরবরাহ দরকার হয়।

 

শুরু করতে কম শক্তির প্রয়োজন হয়ঃ

 

গ্যাস টার্বাইন স্টার্টিং সিস্টেম দিয়ে শুধুমাত্র গ্যাস টার্বাইন এবং জেনারেটর চলার কারনে মেশিন শুরুর জন্য যে পরিমান শক্তির প্রয়োজন হত তা কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টে অনেক কম দরকার হবে।

 

গ্যাস টারবাইন

 

স্বল্প নির্গমনঃ

 

টার্বাইন উচ্চ ক্ষমতায় ইফিসিয়ান্টলি চলার সময় যে পরিমান দূষণ হত, গ্যাস টার্বাইন চালু করতে কম সময় লাগার কারনে দূষণ অনেক কম হয়।

 

আদর্শমানের ডিজাইনঃ

 

যেহেতু স্টিম টার্বাইনটি এটার নিজস্ব Thrust বিয়ারিং এর সাথে সংযুক্ত তাই টার্বাইনের উপর ডিজাইন নির্ভরশীল না। এসব ক্ষেত্রে আরও স্ট‍্যান্ডার্ড ডিজাইন ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

সহজ torsional বিশ্লেষণঃ

 

গ্যাস টার্বাইন এক্সেলারেট করার সময় স্টিম টার্বাইনকে বিচ্ছিন্ন করা হয় তাই যখন গ্যাস টার্বাইন স্টিম টার্বাইনটিকে চালাচ্ছে, এই অবস্থাকে গণ্য না করলেও চলে।

 

সহজ কমিশনঃ

 

ধরা হয়, প্লান্টটির একশত পার্সেন্ট স্টিম বাইপাস সুবিধা আছে যে, এটা গ‍্যাস টার্বাইনকে স্টিম টার্বাইনের রোটেশন ছাড়াই একটি সহজ সাইকেল মেশিনের মত সম্পাদন করতে পারে। স্টিম টার্বাইন চালু করার আগেই গ্যাস টার্বাইনের কর্মক্ষমতা নির্ধারণ করা যায়।

 

 

স্টিম টার্বাইন চলাচল বিদ্যুৎ উৎপাদন থামায় নাঃ

 

বাষ্প টার্বাইনকে গ‍্যাস টার্বাইন থেকে স্বাধীনভাবে বন্ধ করতে পারার কারনে স্টিম টার্বাইন সিস্টেমের কোনো চলাচলের জন‍্য ‍গ‍্যাস টার্বাইনকে চালানোর দরকার হয় না। কারন বিদ্যুৎ প্রোডাকশনের সামর্থ্যের মোট ক্ষতি এবং রক্ষণাবেক্ষণের সময়সূচির উপর তাদের ফলাফলের জন‍্য পরিষ্কারভাবে ‍গ‍্যাস টার্বাইন চলাচল বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ।

 

স্টিম টার্বাইন ঠান্ডা হওয়ার সময় গ‍্যাস টার্বাইন এর রক্ষণাবেক্ষন সম্ভবঃ

 

SSS (Synchro Self Shifting) ক্লাচ ব্যবহার করে স্টিম টার্বাইন নিজের টার্নিং গিয়ার দিয়ে ঘুরতে থাকার সময় গ্যাস টার্বাইনকে থামাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প সরবরাহ করা যেতে পারে। এই বৈশিষ্ট‍্যটি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে যেহেতু সাধারণত যে সময় ধরে স্টিম টার্বাইনটি অবশ্যই বন্ধের পর টার্নিং গিয়ারের উপর থাকতে হবে, সে সময়টি গ্যাস টার্বাইনের যতক্ষণ সময় দরকার হয় তার থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। স্টিম টার্বাইন চলার সময় গ্যাস টার্বাইনের রক্ষণাবেক্ষণ করা শুরু করলে আউটেজ সময় কমানো যেতে পারে।

 

 

কম গ‍্যাস টার্বাইন পাওয়ারে স্টিম টার্বাইন বন্ধ করা যায়ঃ

 

মেশিনের নিয়মমাফিক বন্ধ হওয়ার সময় গ্যাস টার্বাইনের আগে স্টিম টার্বাইনকে বন্ধ করা যেতে পারে। এটা সাধারনত করা হয় যখন গ্যাস টার্বাইনের উপর স্টিম টার্বাইনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার জন্য নিজস্ব নির্গমন তাপমাত্রা কমানোর কিছু লোড থেকে যায় এবং এজন্য পরের কাজগুলোও দেরিতে শুরু হয়।

 

কর্মদক্ষতা:

 

ভাল কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দক্ষতা ৬০% পর্যন্ত হতে পারে।

 

অসুবিধা:

 

কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট বা বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রচলিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থাগুলোর তুলনায় জ্বালানি সাশ্রয়ী। অর্থাৎ সমপরিমাণ জ্বালানি ব্যবহার করে এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র তুলনামূলকভাবে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে।

 

পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মানুযায়ী শক্তির বিনাশ নেই আবার উৎপাদনও করা সম্ভব নয়। শক্তির রূপান্তর করা যায় কেবল। কিন্তু এই রূপান্তরটা শতভাগ দক্ষ নয়। যেমন আমরা বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করে বাতি জ্বালাতে গেলে বাতিটা গরম হয়ে কিছুটা শক্তির অপচয় হয়।

 

বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যাপারটাও তাই। জ্বালানি পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গেলে পুরোটা বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব হয় না। প্রচলিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে প্রায় দুই তৃতীয়াংশই অপচয় হয়। তাপ শক্তি হিসেবে এই অপচয়টা হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে পরিবেশে প্রচুর তাপ নির্গত হয়।

 

লেখকঃ মোঃ আব্দুল্লা-আল-মামুন রুপম

ইন্সট্রাকটর, ইলেকট্রিক্যাল

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

বাংলাদেশের বিখ্যাত আর্কিটেক্টদের পরিচয়

বাংলাদেশের বিখ্যাত আর্কিটেক্টদের পরিচয়

বর্তমান এই বিশ্বকে উন্নত থেকে উন্নততর করতে পৃথিবীর বিভিন্ন বিখ্যাত স্থপতিগণ  যেভাবে কাজ করে আসছেন একই সাথে বাংলাদেশের স্থপতিগণ তাদের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।  এবং প্রতিনিয়ত ক্রিয়েটিভ ডিজাইন এবং পরিকল্পনা করে যাচ্ছে। এই সকল স্থপতি গণ তাদের  কালজয়ী কাজের মাধ্যমে বিখ্যাত হয়ে আছেন।আজকে আমরা পরিচিত হবো বাংলাদেশের বিখ্যাত এবং  বরেণ্য স্থপতিদের সাথে যারা দেশ এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন স্থাপত্য কর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সমুন্নত করেছে

 

ফজলুর রহমান খান (FAZLUR RAHMAN KHAN)

ফজলুর রহমান খান 1929 সালের 3 এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পড়াশোনা করেন।  তিনি বাংলাদেশি – আমেরিকান স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার এবং  স্কাইস্ক্র্যাপার ইমারত নির্মাণের জন্য বিখ্যাত।  হাই রাইজ বিল্ডিং ডিজাইন এর জন্য তিনি  “Father of Tubular design’s” হিসেবে বিবেচিত হন।এফ আর খান computer-aided design  বা CAD  অগ্রদূত হিসেবে বিবেচিত।তাছাড়াও তিনি শিকাগোতে অবস্থিত শিয়ার্স টাওয়ার ডিজাইন করেন যা বর্তমানে উইলস টাওয়ার নামে পরিচিত। উইলস টাওয়ার  টি ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ বিল্ডিং হিসেবে তালিকাবদ্ধ ছিল।

 

এফ আর খান এর রচিত বই গুলোর মধ্যে Art of Sky Scrapper, The Genius of  Fazlur Khan  অন্যতম।

এফ আর খান 1982 সালের 27 শে মার্চ সৌদি আরবের জেদ্দায় মৃত্যুবরণ করেন।

আসিফ আহসান উল হক (ASIF AHSAN-UL HAQUE)

স্থপতি আসিফ আহসানুল হক  1976 সালে কক্সবাজারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন সমসাময়িক বাংলাদেশের স্থপতি। বাংলাদেশের  নিজস্ব ধারা   ও সংস্কৃতিকে বিবেচনা করে  আধুনিক স্থাপত্য চর্চা নিয়োজিত আছেন।  একক ও বহু পরিবার ভিত্তিক আবাসন স্থাপত্যের জন্য তিনি সমাদ্রিত।  স্থপতি আসিফ আহসানুল হক খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেন।  তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পুরস্কার প্রাপ্ত একজন স্থপতি। তার কাজের জন্য তিনি 2018 সালে  আর্ক এশিয়া   এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।

তার ডিজাইনকৃত  বিল্ডিং  হচ্ছে রিজিয়া ট্রেডিশন,  উইকেন্ড অ্যাড্রেস ফর   হারুনস  ফ্যামিলি।

 

কাশেফ মাহবুব চৌধুরী (KASHEF MAHBOB CHOWDHURY)

স্থপতি  কাশেফ মাহবুব চৌধুরী  ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।  তার উল্লেখযোগ্য কাজ গুলো হচ্ছে চাঁদগাও মসজিদ,  গাইবান্ধার ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার।  তার কাজের জন্য তিনি দুইবার স্থাপত্য আগা খান পুরস্কার লাভ করেন এবং 2012 সালে আর্কিটেকচারাল  রিভিউয়ের  জন্য AR+ D  এমার্জিং আর্কিটেকচার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।

 

 

      

কাজী খালেদ আশরাফ (KAZI KHALED ASHRAF)

কাজী খালেদ  আশরাফ 1959 সালে বাংলাদেশের জন্মগ্রহণ করেন। কাজী খালেদ আশরাফ একজন বাংলাদেশী স্থপতি, নগরবিদ এবং স্থাপত্য ইতিহাসবিদ। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন।  ভারত এবং বাংলাদেশের স্থাপত্য সম্পর্কিত  লুইস আইকনের রচনা এবং ঢাকা শহর নিয়ে বই এবং প্রবন্ধ লিখেছেন।

 

 

 

খালেদা একরাম (KHALEDA EKRAM)

বাংলাদেশের অন্যতম নারী স্থপতি  খালেদা একরাম 1950 সালের 6 আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন।  এবং প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে  বুয়েটে যোগদান করেন।  অধ্যাপক খালেদা একরাম বাংলাদেশের কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত  দ্বিতীয় নারী উপাচার্য এবং বুয়েটে প্রথম নারী উপাচার্য। তিনি তার কাজের জন্য 2014 সালে অনন্যা শীর্ষ পুরস্কার লাভ করেন।   অধ্যাপক  খালেদা  একরাম 2016 সালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে ঢাকার বনানী  কবরস্থানে  সমাহিত করা

 

খন্দকার হাসিবুল কবির (KHONDOKAR HASIBUL KABIR)

খন্দকার হাসিবুল কবির একজন বাংলাদেশী ল্যান্ডস্কেপ স্থপতি এবং স্থাপত্য শিল্পী যিনি গ্রামীণ ও টেকসই আর্কিটেকচারে ব্র্যাক এবং গ্রামীণ এর মতো বাংলাদেশী উন্নয়ন সংস্থার সাথে কাজ করেন। ২০০৭ সালে তিনি প্রথমে “দি প্ল্যাটফর্ম অফ হোপ” ( আশার মাচা ) প্রস্তাব করেছিলেন যখন তিনি বস্তিতে পরিবার নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে চলে আসেন এবং একটি সম্প্রদায়ের জায়গার নকশা করেছিলেন। এটি নিউইয়র্ক শহরের কুপার – হুইট, জাতীয় নকশা যাদুঘরে প্রদর্শিত হয়েছিল। তিনি জার্মান রুদ্রপুর আনা হেরঞ্জারের সাথে বাংলাদেশের রুদ্রপুরের এমইটিআই হ্যান্ডমেড স্কুলে কাজ করেছিলেন যার জন্যে ২০০৭ আর্কিটেকচারের জন্য আগা খান পুরস্কার পান।

তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন।

 

 

 

রফিক আজম (RAFIQ AZAM)

বাংলাদেশের একজন বাংলাদেশী স্থপতি।তিনি 1963 সালের 29 ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ  প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেন।    স্থাপত্য ক্ষেত্রে   গ্রীন  লিভিং এর অস্তিত্বের জন্য তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন।  2012 সালে তিনি স্থাপত্য শিল্পের অবদান রাখার জন্য সম্মানজনক ‘লিডিং ইউরোপিয়ান আর্কিটেক্ট ফোরাম’ পুরস্কার লাভ করেন।

 

রফিক আজম বিখ্যাত ‘আর্কিটেকচার ফর গ্রীন লিভিং’ বইটি রচনা করেন।

 

 

 

 

বশিরুল হক(BASHIRUL HAQUE)

স্থপতি বশিরুল হক 1942 সালে 24 শে জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি ইউনিভার্সিটি অফ নিউ মেক্সিকো ন্যাশনাল কলেজ অফ আর্টস, পাকিস্তান থেকে অধ্যায়ন করেছিলেন।   বশিরুল হক একজন বাংলাদেশী  স্থপতি ও শিক্ষাবিদ। তিনি  ছায়া নট ভবন ও আশা প্রধান অফিস ভবনের স্থপতি।  তিনি তার পরিবেশবাদী স্থাপনার জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন।  তার বিখ্যাত কাজের জন্য তিনি স্থাপত্যে আগা খান পুরস্কার লাভ করেন। স্থপতি বশিরুল হক 2020 সালের 4 এপ্রিল ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

 

সৈয়দ মাইনুল হোসেন(SYED MAINUL HOSSEN)

সৈয়দ মাইনুল হোসেন 1952 সালের 17 মার্চ বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ  করেন।  বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেন।  স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত স্থপতি।  তিনি বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর ও   জাতীয় স্মৃতিসৌধ এর স্থপতি ।

 

স্থপতি মইনুল হোসেন  2014 সালের 10 ই নভেম্বর  ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন ।

 

 

 

মাজহারুল ইসলাম (MAZHARUL ISLAM)

স্থপতি মাজহারুল ইসলাম 1923 সালের 25 শে ডিসেম্বর ভারতের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন।   তিনি ইয়েল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ ওরেগন থেকে   শিক্ষা  গ্রহণ করেন।মাজহারুল ইসলাম ছিলেন একজন বাংলাদেশী স্থপতি,নগর পরিকল্পনাবিদ এবং কর্মী।  আঞ্চলিক আধুনিকতার জন্য তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় গ্র্যান্ডমাস্টার হিসেবে বিবেচিত হয়।  তিনি আধুনিক ইসলামী স্থাপত্যে অগ্রদুত এবং বাঙালি আধুনিকতাবাদের জনক। তিনি স্থপতি লুইস আই কানের সাথে  যৌথভাবে বাংলাদেশ সংসদ ভবনের কাঠামো নির্মাণের কাজ করেন।

স্থপতি মাজহারুল ইসলাম 2012 সালের 15 জুলাই ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

 

 

 

 

 

লেখক,

লিমা আক্তার

জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর

আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

 

 

 

অরিগানো( Oregano) পিজ্জার প্রাণ

অরিগানো( Oregano) পিজ্জার প্রাণ

অনেকেই প্রশ্ন করেন যে অরিগানো কি ? পিজ্জা বানাতে এটা না দিলেও চলে কিনা I আমার মনে হয় পিজা বানানোর জন্য অরিগানো ব্যবহার করা আবশ্যক I এটা ব্যবহার না করলে পিৎজা খেতে   পিজ্জার মত লাগবে না মোটেও।

অরিগানো রান্নায়  ও   পিৎজায় ব্যবহারিত অতি প্রচলিত একটি হার্বস ।   অরিগানো (Oregano ) এর বৈজ্ঞানিক নাম Origanum vulgare,এটি পুদিনা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ I এটি পশ্চিম ও  দক্ষিণ  ইউরেশিয়ার নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়।

 

বর্তমানে ভারতীয় উপমহাদেশে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন নামিদামি  রেস্টুরেন্টে রান্নায় এবং পিৎজায়   বহুল প্রচলিত একটি   হার্বস । অরিগানো পাতা  রান্নায়   স্বাদ ও গন্ধ যোগ করতে ব্যবহার করা হয় । টাটকা পাতার চেয়ে শুকনো পাতা ব্যবহারে স্বাদ ও গন্ধ বেশি পাওয়া যায়।

অরিগানো আধুনিক ইতালিয়া রন্ধনশৈলীতে ব্যবহারিত প্রধান একটি  ভেষজ মসলা । সেখানে এটির স্থানীয় নাম ওরেগানো I মূলত দক্ষিণ ইতালির মশলাযুক্ত খাবারের সাথে এটি বেশি ব্যবহার করা হয়। উত্তর  ইতালীয় রান্নাতে  সাধারণত অরিগানো বেশি পছন্দের মসলা Iসাধারণত পাস্তা, পিজ্জা ,সস এবং রোস্টেড ভেজিটেবিল এ ব্যবহৃত হয় ।

 

ইতালি ছাড়াও সমগ্র ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে বিশেষত তুরস্ক ও গ্রিসে অরিগানো ব্যাপকভাবে প্রচলিত এছাড়া ফিলিপাইন ও লাতিন আমেরিকাতে বিশেষ করে আর্জেন্টিনীয় রন্ধনশৈলী  তে ব্যাপক ব্যবহার আছেI ফ্লেভার এর দিক থেকে  গ্রিক ও মেক্সিকোর অরিগানো সর্বাপেক্ষা বেশি ভালো । গ্রীকরা তাদের  ডিস souvlaki, baked fish, greek salad এ ব্যবহার করতে পছন্দ করে I স্প্যানিশ  ও ল্যাটিন আমেরিকাতে সাধারণত ব্যবহার করে Stews, Roasts ,Baked vegetable, soup এ । মেক্সিকোতে অরিগানো কে   ফ্লেভারিং  key  বলে I সাধারণত bean dishes, burritos, taco fillings এবং salsa তে ব্যবহার করে Iওরিগানো তে আছে delicate flavor যা রান্নার সময় হিটের সংস্পর্শে এসে কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় । এটা রান্না শেষ সময় ব্যবহার করলে বেশী কার্যকরী হয়I অরিগানোর  আরেক নাম মেক্সিকান মিন্ট ।

 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে মার্কিন সৈন্যরা ইতালি থেকে ফেরত আসার সময়  পিজ্জার মসলা হিসেবে অরিগানো দেশে ফেরত নিয়ে আসে এবং তখন থেকে মসলা মসলাটি মার্কিন  যুক্তরাষ্ট্রে ও জনপ্রিয়তা লাভ করে ।

অরিগানো এক ধরনের ঔষধি গাছ হিসেবে বিবেচ্য । এর কিছু ঔষধি গুনাগুন উল্লেখ করা হলো:

 

  1. অরিগানো চা নিয়মিত পান করলে ফুসফুস ও পরিপাকতন্ত্র ভালো থাকে

2.এটি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

  1. লিভার ও কিডনির ক্ষতি রোধ করে
  2. মানসিক চাপ কমায়
  3. শরীর ব্যথা কমার
  4. জ্বর ,সর্দি ,কাশির মহাঔষধ

7.ত্বকের চমক বাড়াতে, বলিরেখা দূর করতে, ব্রণ সারাতে অরিগানোর  জুড়ি নেই ।

 

বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে ফুসফুস জনিত সমস্যা এড়াতে এবং ঠান্ডা কাশির হাত থেকে বাঁচাতে অরিগানো চা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

অরিগানো চা:

তাজা বা শুকনো পাতা থেকে অরিগানো চা তৈরি করা যায় । 5 বা 10 মিনিটের জন্য এক কাপ উষ্ণ পানির সাথে তাজা পাতা বা আধা চা চামচ শুকনো পাতা দিয়ে ভালোমতো সিদ্ধ করে নিতে হবে, তবে কাঁচাটার  চেয়ে শুকনো পাতার ফ্লেভার অনেক গুণ বেশি I অরিগানো চা কিছুটা তিক্ত হতে পারে কিন্তু চিনি বা মিষ্টি যোগ করে এই তিক্ততা প্রতিহত  করা যায় ,আমরা চাইলে লেবু ব্যবহার করতে পারি।

 

লেখক: মমতা হেনা সিদ্দিকা

সিনিয়র ইন্সট্রাকটর

ডিপার্টমেন্ট অফ ট্যুরিজম এন্ড হসইপটালিটি ম্যানেজমেন্ট

Is CV Important?  

Is CV Important?

Is CV Important?

Nupur has recently completed her graduation. She has obtained a very good result in her graduate program. Now she is willing to discover herself in a renowned company. So, she started to apply to different organizations. She tried for several months but did not respond from any of the organizations. She became very upset. She was quite disappointed about the matter. She met one of her friends Asad, who is an HR officer of a renowned company. Nupur shared about her disappointment with Asad. He also became upset of it. Then he asked Nupur to email him a copy of her CV. Nupur sent a copy of her updated CV to Asad. He found that the CV was not well decorated and the information in the CV was fragmented. Instantly he called Nupur and told her about the condition of her CV and also told that she was not getting a response from any of the applications because of the CV. Then he showed her the ways to prepare an ideal CV.

Image source: https://bit.ly/3mSewrY

Often people say that when you apply for a job, CV does not matter, but in reality CV matters. When a recruitment process goes on, an employer does not call you physically to apply for the post. Rather you are asked to submit a CV to apply for the position. When you apply, the employer goes through your CV, but not you. Here actually your CV represents you, explains you. The format, color, text, page orientation, decoration of the information and every single actually explains what, how and what you are.

when your CV represents

Now, when your CV represents you, if there has any lacking, it means there is a lacking in yourself as well. In this stage, of course an employer will not recruit a person with lacking. Yes, you may not have any fault and toy are perfect for the position, but a proverb works here in the background, “First impression is the last impression”. It is very true. When an employer goes through your CV, s/he forms an impression about you, may be s/he is wrong, but he doesn’t know about you personally. He knows all about you what you have included in your CV, he knows about the person you portrayed in your CV. Of course the employer will not call you physically to get to know about you. If s/he does not get a positive vive going through your CV, you are no longer perfect for the position.

Image Source: https://bit.ly/2Ks2too

In many cases, it is found that a quality candidate does not get a call for the interview where an ordinary person does. CV works there as an influencer. So, if you do not get a call from an interview, do not get depressed and do not lose heart. In this case, you should take a break and should take help from an expert to prepare a complete and ideal CV. As it is an age of online communication, it is very important for you to portrait yourself very well in a CV as you will not visit the employer physically, rather your CV will represent you.

I hope that you now know if a CV is important or not. So, if you think that you have potentials, but are not getting a response from employers, get some time and review your CV. In the ensuing part of this article, we will know about the ways to prepare a standard CV.

Stay alert and stay safe.

 

Peace…

BSDI

বিজ্ঞান না জেনেই বিজ্ঞানী

অ্যান্টনি ভন লিউয়েনহুক ১৬৩২ সালের ২৪ অক্টোবর নেদারল্যান্ডের ছোট্ট শহর ডেলফটের এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ফিলিপ অ্যান্টনিজ ভন লিউয়েনহুক ছিলেন একজন সামান্য ঝুড়ি প্রস্তুতকারক। এই ঝুড়ি তৈরিতে সাহায্য করতেন তার স্ত্রী মার্গারেটা ডেল ভন ডেন বার্খ। তবে এই ঝুড়ি তৈরিও বেশিদিন চললো না। শিশু লিউয়েনহুকের দুঃখ-দুর্দশা বাড়িয়ে দিতেই যেন পরকালে পাড়ি জমালেন তার বাবা।তাই লেখাপড়া ছেড়ে চাকরি  নিতে হয় এক মুদির দোকানে। কয়েক বছর পর জুটল  নগর সভার ঝাড়ুদারের কাজ। লেভেল ছোটবেলায় দেখেছিলেন চশমার দোকানে কিভাবে কাচের টুকরো ঘষে ঘষে লেন্স বা আতশি কাচ তৈরি করা যায়। এই কাচের ভিতর দিয়ে তাকালে কোন জিনিসকে সামান্য একটু বড় দেখা যায়। খুব সামান্যই একটু  খানি বড়। কিন্তু তাই বা কম কি। লেভেন হুক অবাক হয়ে ভাবলো কাচ আরো ভালো করে ঘষলে হয়তো তার ভেতর দিয়ে সব জিনিস  আরো বড় দেখাবে। সেই থেকে ওই এক নেশা তাকে পেয়ে বসল। রোজ যেত চশমার দোকানে এবং দেখতো কি করে কাচ  ঘষে। তারপর বাড়ি ফিরে চেষ্টা করত  ছোট ছোট কাচের টুকরো তার চেয়ে ভালোভাবে ঘষে নিখুঁতভাবে তৈরি করতে।তবে হাতে ঘষে ঘষে লেন্স তৈরি করা বড্ড খাটুনির কাজ।অনেক দিনের চেষ্টার পর এমন একটি লেন্স তৈরি করে ফেললো যে তার ভেতর দিয়ে কোন কিছু  ২০০-৩০০ গুন বড় দেখায়। এমন কি কাচের লেন্সগুলো বসিয়ে নিল তামার ও পাতের ছোট্ট ছোট্ট ফুটোয় উপর। সে এটির নাম দিল অণুবীক্ষণ যন্ত্র অর্থাৎ যার ভিতর দিয়ে খুব ছোট ছোট জিনিস অনেক বড় দেখায়। লেভেন হুক যেন তার তৈরিকৃত যন্ত্র  নিয়ে একেবারে মেতে উঠলো। এখন সে তার ছোট ছোট লেন্সের মধ্য দিয়ে সর্বদা তাকিয়ে থাকে। আর দেখতে থাকে তার ভিতর দিয়ে বিভিন্ন জিনিস যেমন শরীরের ত্বকের লোমকূপ,ত্বক, চুল ইত্যাদি। সে যেন দেখতে পায় এক নতুন জগৎ যেখানে সাধারণ দৃষ্টিতে দেখা যায় না। যা রয়ে গেছে লোকচক্ষুর আড়ালে। এলফর্ডের বোকা লোকেরা এই আধা পাগলকে  নিয়ে হাসাহাসি করে।

লিউয়েনহুক তার জীবনে ৫০০ এর অধিক অণুবীক্ষণ যন্ত্র তৈরি করেছিলেন। এগুলোর কোনোটিই আজকের মাইক্রোস্কোপের সাথে তুলনীয় নয়। তথাপি আমাদের জন্য আরেকটি বিস্ময় জাগানো ব্যাপার হচ্ছে তার অণুবীক্ষণ যন্ত্রে আলোক সৃষ্টির কোনো উৎস নেই। অথচ এই মাইক্রোস্কোপের দ্বারা তিনি মানবজগতের কাছে উন্মোচিত করেছেন অণুজীবদের এক অচেনা, অজানা, বিশাল জগত!

নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে লিউয়েনহুক এতটাই এগিয়ে গিয়েছিলেন যে তার মৃত্যুর প্রায় একশ বছর পর্যন্ত আর কোনো জীববিজ্ঞানী এর বাইরে কোনো কিছু নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা বা পর্যবেক্ষণ করেননি। এক ফোঁটা রক্ত কিংবা ডোবার জল, ক্ষুদ্র কীটপতঙ্গের নিখুঁতভাবে কাটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, পেশি আর গাছগাছালির ছাল। এসব নমুনা অণুবীক্ষণ যন্ত্রে স্থাপন করার আগে তিনি এগুলো এত সূক্ষ্মভাবে কাটতেন যে এগুলোর মধ্য দিয়ে আলো চলাচল করতে পারতো। ফলে এদের ভেতরের গঠনও স্পষ্টভাবে ভেসে উঠতো তার চোখে।

১৬৭৬ সালে লিউয়েনহুক আরো একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার করেন। তিনি ডোবার পানিতে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি লক্ষ্য করেন। ব্যাকটেরিয়া এতই ক্ষুদ্র যে তা খালি চোখে দেখা যায় না। তিনি অনুমান করলেন যে একটি বালুর কণার সমআয়তন জায়গা পূরণ করতে ১০ হাজারের অধিক ব্যাকটেরিয়ার প্রয়োজন হবে।

১৬৭৭ সালে লিউয়েনহুক আবিষ্কার করেন স্পার্মাটোজোয়া তথা শুক্রাণু। এই আবিষ্কারের ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেন যে শুক্রাণু যখন ডিম্বাণুতে প্রবেশ করে, তখনই নিষেক ঘটে। ১৬৮৩ সালে লিউয়েনহুক আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেন। তিনি একপ্রকার সাদা তরল বিশিষ্ট সূক্ষ্ম কৈশিক নালী আবিষ্কার করেন, যাকে আমরা এখন লসিকানালী বলে চিনি।এসবের বাইরেও তিনি শূককীট এবং মাছির জীবনচক্র পর্যবেক্ষণ করেন। পার্থেনোজেনেসিস পর্যবেক্ষণকারী প্রথম ব্যক্তিও লিউয়েনহুক। এমনকি উইলিয়াম হার্ভের আবিষ্কৃত রক্ত সঞ্চালন নিয়েও তিনি পর্যবেক্ষণ করেন। লসিকানালী দিয়ে লসিকার প্রবাহ লক্ষ্য করে তিনি হার্ভের পর্যবেক্ষণ সঠিক বলে সিদ্ধান্ত জানান।

অ্যান্টনি ভন লিউয়েনহুক ২৬ আগস্ট, ১৭২৩ সালে ৯০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে ডেলফটের ‘ওল্ড চার্চ’ কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়।

লিউয়েনহুকের জীবন ছিল চক্রাকার। একটি বিজ্ঞানমনস্ক ঐতিহ্যের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও তিনি বিজ্ঞান নিয়ে কোনো পড়ালেখাই করতে পারেননি। অর্জন হয়নি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও। অথচ মৃত্যুর সময় তিনি ছিলেন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ জীববিজ্ঞানী, যিনি অনেকগুলো মৌলিক আবিষ্কার করে গেছেন। রবার্ট হুকের কোষ আবিষ্কারের ধারাবাহিকতায় লিউয়েনহুকের বৈজ্ঞানিক কর্মকান্ড বিজ্ঞানের এক নতুন দুয়ার খুলে দিয়ে যায়, যার নাম ‘মাইক্রোবায়োলজি’ বা অণুজীববিজ্ঞান। তাই মাইক্রোবায়োলজির জনক হিসেবে তার অবদান ইতিহাসের পাতায় অম্লান হয়ে থাকবে।

 

Source : Google

=======================================

লিখেছেন:

জান্নাতুল ফেরদৌস

ইন্সট্রাক্টর

ডিপার্টমেন্ট অফ ফিজিক্স

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট