ইন্ডাক্টর এবং এল.ডি.আর কিভাবে সার্কিটের কাজ করে
ইন্ডাক্টর এবং এল.ডি.আর এই কম্পোনেন্টগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ কম্পনেন্ট । যা প্রত্যেকটি ইলেকট্রনিক সার্কিট এর মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় ।এগুলো ছাড়া কোনো ইলেকট্রনিক সার্কিট চিন্তা করা যায় না ।সুতরাং এগুলো কিভাবে একটি সার্কিটে কাজ করে সেই বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে প্রত্যেকের কাছে জানা দরকার ।এই ধারণা থেকে আজকের বিষয় লেখা। আশা করি এ বিষয়ে ক্লিয়ার একটি ধারণা পাওয়া যাবে । চলুন জেনে নেই এই বিষয় সম্পর্কে।
ইন্ডাক্টর
ইন্ডাক্টর হল এমন একটা যন্ত্রাংশ যা কিনা বিদ্যুত প্রবাহ পেলে তড়িৎ চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি করে তাতে শক্তি জমা করে রাখতে পারে। উল্লেখ্য যে যেকোনো তড়িৎবাহী পদার্থই ইন্ডাক্টর হিসাবে কাজ করে।
তবে সোজা তারের ইন্ডাকট্যান্স (তড়িৎ চৌম্বকক্ষেত্র তৈরির ক্ষমতা) খুবই কম হয়। তাই এই ক্ষমতা বাড়াতে তারকে পেঁচিয়ে কুন্ডলি বানানো হয়। এ সময় আসলে এটা একটা তড়িৎ চুম্বক হিসাবে কাজ করে। তারের পেঁচান কুন্ডুলি অল্প যায়গায় বড় মানের ইন্ডাক্টর পেতে হলে তখন কুন্ডুলির ভিতরে ফেরোম্যাগ্নেটিক পদার্থের কোর ব্যাবহার করতে হয়। এটা তড়িৎ চৌম্বকক্ষেত্র কে শক্তিশালী করে।
এল.ডি.আর
এলডিআর (LDR)-হচ্ছে আলোক নির্ভর রেজিস্ট্যান্স যার উপরে আলো পড়লে আলোর তীব্রতা অনুযায়ী এর রোধ কম বা বেশি হয়। ldr এর পূর্ণঅর্থ – লাইড ডিপেন্ডেন্ট রেজিস্টর। এর নির্দিষ্ট কোন ভ্যালু থাকেনা। তবে এর সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন ভ্যালু থাকে। এর আরো একটি জনপ্রিয় নাম ফটো রেজিস্টর।
সাধারণত ছোট এলডিআর গুলোর ১ মেগা ওহম পর্যন্ত রেজিস্ট্যান্স হয় যেখানে বড় গুলোর রেজিস্ট্যান্স ১০০ কিলো ওহম বা এর আশে পাশে হতে পারে। আর সর্বনিম্ন রেজিস্ট্যান্স কয়েক ওহম পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এল.ডি.আর এর ব্যবহার
এলডিআর দামে সস্তা ও সহজলভ্য হবার কারণে এর প্রচুর ব্যবহার রয়েছে, যেমন-
- মোটামুটি মানের আলো পরিমাপক যন্ত্রপাতিতে (উন্নত মানের পরিমাপক যন্ত্রে ফটো ডায়োড বা ফটো ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়)
- আলো নির্ভর সন্ধ্যা বাতি তৈরিতে (ডার্ক সেন্সর/লাইট সেন্সর)
- আলো নির্ভর প্রক্সিমিটি সেন্সর হিসেবে
- আলো/লেজার নির্ভর সিকিউরিটি সিস্টেমে
- আলোক উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রক ডিভাইস যেমন অটো ব্রাইটনেস কন্ট্রোলার
- লাইন ফলোয়ার রোবট তৈরী করতে
- আলো নির্ভর মিউজিক্যাল বেল তৈরী করতে, ইত্যাদি।
পরিশেষে বলতে চাই উপরের বিষয়গুলো পাঠ করার পরে সকলের কাছে ইন্ডাক্টর এবং এল.ডি.আর বিষয়ে যত কোশ্চেন ছিল সকল বিষয়গুলো পরিষ্কার ধারণা দিতে পেরেছি । আজকে এতোটুকুই থাক পরবর্তীতে কোন একসময় কোন এক বিষয় নিয়ে আবার হাজির হব।
লিখেছেন
মোঃশফিকুল ইসলাম মিলন
ইন্সট্রাক্টর
ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট