আমরা অনেকেই এখন মোবাইলে Dark Mode এ রেখে ব্যবহার করতে পছন্দ করি । Microsoft Word এর ইন্টারফেসেও Dark Mode এ রেখে ব্যবহার করা যায়। এর জন্য প্রথমে File Menu থেকে Account Option থেকে Office Theme এ গিয়ে Color অপশন থেকে Dark Gray সিলেক্ট করে দিতে হবে।
Convert photo or text PDF into editable Word document:
যেকোনো পিডিএফ ফাইল এবং ছবিকে আমরা খুবই সহজে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে এডিটবলভাবে কাজ করতে পারি । এজন্য প্রথমে File Menu থেকে Open এ Click করে পিডিএফ ফাইল সিলেক্ট করে Ok বাটনে Click করলে নতুন একটা উইন্ডো আসবে সেখান থেকে Ok বাটনে Click করতে হবে।
Use formulas to calculate values:
মাইক্রোসফট এক্সেলে যেমন ফর্মুলা ব্যবহার করে ক্যালকুলেশন করা যায় তেমনিভাবে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডেও ফর্মুলা ব্যবহার করা যায় । এজন্য যে টেবিলের মধ্যে ফর্মুলা ব্যবহার করতে হবে তার যে কোন একটা Cell এ মাউসের কার্সর রেখে ফর্মুলা তে ক্লিক করলে নতুন একটা উইন্ডো আসবে সেখানে ফর্মুলা সিলেক্ট করে Click করলে Calculation করা যাবে। যেমন- SUM, COUNT, AVERAGE, IF ইত্যাদি।
Set Permanent Text Copy:
সাধারণত মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে কোন কিছু কপি করার জন্য আমরা কি-বোর্ড এর শর্টকার্ট কী Clrl + C প্রেস করে কপি করে রাখতে পারি কিন্তু এভাবে কপি করে আমরা যদি ফাইলটা ক্লোজ করে নতুন করে অন্য কোন ফাইল অপেন করি তাহলে ঐ কপি কাজ করে না । এজন্য আমরা যদি কোন অংশ স্থায়ীভাবে কপি করে রাখতে চাই তাহলে নিম্নরূপভাবে করতে হবে- প্রথেমে যে অংশটুকু কপি করতে হবে সেই অংশটুকু Select করে Insert মেনুবার থেকে Quick Parts Tools এ Click করে Save Selection to Quick Part Gallery তে Click করে Copy করে রাখতে হবে।
Default Text Automatically Inserting:
অনেক সময় কাজের প্রয়োজনে এবং সময় স্বল্পতার জন্য Default Text এর প্রয়োজন হয় । কিন্তু মজার বিষয় হলো মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে এর shortcut Formular মাধ্যমে টেক্সট নিয়ে আসা যায়। এই জন্য প্রথমে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ওয়ার্কস্টেশন যে কোন জায়গায় মাউসের কার্সর রেখে =rand(6,3) লিখে কীবোর্ড থেকে এন্টার প্রেস করতে হবে। এখানে rand ফাংশনের ভিতরে ২টা প্যারামিটার আছে । এখানে প্রথম প্যারামিটারে Paragraph সংখ্যা দিতে হবে এবং দ্বিতীয় প্যারামিটারে Sentence সংখ্যা দিতে হবে । যেমন উপরোক্ত এই ফাংশনের দ্বারা বুঝানো হয়েছে ৬টি Paragraph এবং প্রত্যেকটি Paragraph এ ৩টি করে Sentence থাকবে।
Text to Speech:
Speak Tools দিয়ে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে খুব সহজে Text Reading পড়ানো যায় । এই জন্য প্রথমে Customize Quick Access Toolbar থেকে More Commands এ ক্লিক করতে হবে এরপর All Commands এ ক্লিক করলে নতুন একটা উইন্ডো আসবে সেখান থেকে নিচের দিকে Scroll করে Speak Tools এ ক্লিক করতে হবে । এরপর Text Select করে Speak Tools এ ক্লিক করলে Automatics Reading পড়া শুরু হয়ে যাবে।
Embed a Spreadsheets:
Word File এর মধ্যে Microsoft Excel এর Spreadsheets এ সহজে কাজ করা যায়। এ জন্য প্রথমে Microsoft Word এর Insert Menu বার থেকে Object এ Click করলে নতুন একটা উইন্ডো আসবে । সেখান থেকে Microsoft Excel Worksheet এ Click করতে হবে এবং Word ফাইলের ভিতর Excel ফাইলে Open হয়ে যাবে।
সেলাই মেশিনের মধ্যে সাধারণ সেলাই মেশিন হলো সিঙ্গেল নিডেল লক স্টিচ সেলাই মেশিন। এই মেশিনকে প্লেইন সেলাই মেশিন ও বলা হয়। সিঙ্গেল নিডেল লক স্টিচ মেশিনটি গার্মেন্টসে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয়। এই মেশিনের বিভিন্ন প্রকার ফিড মেকানিজম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আপনার ভালোভাবে কিছু পোশাকের লেবেলে খেয়াল করলে দেখতে পাবেন “সিঙ্গেল নিডেল স্টিচিং” লেখা আছে, এর মানে হল কাপড়টি সিঙ্গেল নিডেল সুইং মেশিন দ্বারা সেলাই করা হয়েছে।
সুইং মেশিন এর প্রকারভেদঃ
লক স্টিচ সেলাইমেশিন দুই প্রকার
১.সিঙ্গেল নিডেল লক স্টিচ মেশিন
২.ডাবল নিডেল লক স্টিচ মেশিন
লক স্টিচ সেলাই মেশিনের কিছু বৈশিষ্ট্যঃ
একটি অথবা দুইটি নিডেল বিশিষ্ট প্লেন সেলাই মেশিন।
ওভেন ফেব্রিক দিয়ে পোশাক তৈরি করার ক্ষেত্রে এ মেশিন সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয়।
লক স্টিচ মেশিনের গতি সাধারণত ১,৫০০ থেকে ৫,৫০০ এসপিএম (Stitches per minute) পর্যন্ত হয়।
জুকি কোম্পানির (DDl – 5500) মডেলের মেশিনটি সর্বোচ্চ ৫ মিমি. দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট স্টিচ তৈরি করে।
ডিজিটাল মেশিনের মধ্যে কিছু কিছু মেশিনে সেলাই সুতা কাটা এবং অটোমেটিক ববিন ওয়াইন্ডিং এর ব্যবস্থা রয়েছে।
কিছু কিছু ডিজিটাল লক স্টিচ মেশিনে সেলাইয়ের পূর্বে কাপড়ের প্রান্ত কাটার ব্যবস্থাও রয়েছে।
লক স্টিচ মেশিন অপারেটর করা অনেক সহজ।
সংক্ষিপ্ত বিবরনীঃ
একজন শিক্ষার্থী সিঙ্গেল নিডেল লকস্টিচ মেশিন পরিচালনা জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ,দক্ষতা এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষার পদ্ধতি অনুসরণ করে সিঙ্গেল নিডেল লকস্টিচ মেশিন চালানোর জন্য প্রস্ত্তুতি গ্রহন, সেলাইয়ের জন্য মেশিন সেট করণ, সেলাই করণ এবং কাজ শেষে টুলস এবং ইকুপমেন্টস সহ কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করণ সম্পর্কিত জ্ঞান থাকতে হবে।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
১.তৈরি পোশাক শিল্প (আর এম জি) কর্মক্ষেত্রে পোশাক তৈরি সংশ্লিষ্ট প্রোপারটিজ, কম্পোনেন্ট ও যন্ত্রপাতির ধারনা লাভ ও ব্যবহার করতে পারবে।
২.আর এম জি কর্মক্ষেত্রে হেলথ, সেফটি অ্যান্ড ইথিকস প্রাকটিস এর জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।
৩. পোশাক সেলাই এর জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।
প্রত্যাশিত শিখনফলঃ (১) কাজের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে
পারদর্শিতা নির্ণায়ক / মানদন্ড
১.১ পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সম্মত পদ্ধতি (OSH) অনুসরন করবে।
১.২ প্রতিষ্ঠানের বিধি মেনে কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী পিপিই সংগ্রহ ও পরিধান করবে
১.২ প্রয়োজনীয় টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ট্রিমস স্পেসিফিকেশনস
অনুযায়ী সনাক্ত এবং সংগ্রহ করবে।
প্রত্যাশিত শিখনফলঃ (২) সেলাইয়ের জন্য মেশিন সেট করতে পারবে
পারদর্শিতা নির্ণায়ক / মানদন্ড
২.১ মেশিন পরিস্কার করবে এবং লুব্রিকেন্ট চেক করবে ।
২.২ প্রয়োজন অনুযায়ী মেশিনে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন সেফটি গার্ড চেক করবে এবং ব্যবহার করবে।
২.৩ কাজের স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী ফ্যাংশনাল ডিসপ্লে বোর্ড সেট করবে।
৩.৫ পোশাকের কম্পোনেন্ট সমূহ সংগ্রহ করবে এবং সেলাইয়ের জন্য প্রস্তুত করবে ।
৩.৬ স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) অনুসারে কম্পোনেন্টসমূহ সেলাই করবে ।
৩.৭ সেলাইয়েরত্রুটি চেক করবে এবং ক্রুটি সংশোধন করবে।
৩.৫ চেকিং এবং অতিরিক্ত সুতা ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে সুইংয়ের গুনগতমান রক্ষা করবে ।
৩.৬ সুইং কম্পোনেন্টসমূহ একত্রে জমা করে ব্যান্ডেল বাধবে এবং পরবর্তী ধাপে পাঠাবে ।
প্রাসঙ্গিক বিষয় ও শর্তঃ
সিঙ্গেল নিডেল লক স্টিচ মেশিন দ্বারা সুইং বা সেলাই সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সাম্প্রতিক হতে হবে এবং ক্রেতার চাহিদা পূরণে সক্ষম হতে হবে।
তৈরী পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে অনুকুল পরিবেশ, অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি /মালামাল ও উপকরনের সংস্থান সাপেক্ষে নির্ধারিত গাইডলাইন অনুযায়ী সিঙ্গেল নিডেল লক স্টিচ মেশিন দ্বারা সুইং বা সেলাই করতে হবে ।
“হিস্ট্রি অফ মডার্ন আর্কিটেকচার অফ বাংলাদেশ”(পার্ট -০২ঃ কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন )
কমলাপুররেলওয়েস্টেশনবা ঢাকারেলওয়েস্টেশন হচ্ছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশন। এটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকারমতিঝিলে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বাধুনিক রেলওয়ে স্টেশন।
আজকেআমরাজানববাংলাদেশের আধুনিক স্থাপত্য কমলাপুররেলওয়েস্টেশনসম্পর্কেকিছুগুরুত্বপূর্ণতথ্যঃ
বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ঢাকার শহুরে অবস্থা বৃদ্ধি পায়, এবং এর অর্থনীতিও বৃদ্ধি পায়, বিশেষ করে ১৯৪৭ সালের পর, যখন এটি পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানী হয়। বিদ্যমান রেলপথগুলো উত্তরের দিকে প্রসারিত হয়ে ঢাকাকে পুরনো ও নতুন শহরে দ্বিখণ্ডিত করে, এবং এই রেলপথগুলো বিভিন্ন স্থানে সড়কের সাথে মিলিত হওয়ায় উত্তর-দক্ষিণের সড়ক যানবাহনের প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। এছাড়াও ঢাকার উত্তর দিকে অবস্থিত ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটি ছিল অপূর্ণাঙ্গ, যাতে একটি প্ল্যাটফর্ম, একটি ছোট প্রাঙ্গণ ও একটি লোকোমোটিভ শেড ছিল। ধারণা করা হয়, স্টেশনটিকে তুলনামূলক কম ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে স্থানান্তর করলে তেমন কোনো বাঁধা ছাড়াই উত্তর-দক্ষিণের যানবাহনের প্রবাহ সহজ হবে, এবং পুরনো ও নতুন ঢাকা শহরও একত্রিত হবে। ১৯৪৮ সালে বিশেষজ্ঞরা স্টেশনটিকে কমলাপুরে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। ১০ বছর পর ১৯৫৮ সালে প্রাদেশিক সরকার পরিকল্পনাটি কার্যকর করার দায়িত্ব অর্পণ করে। তেজগাঁও থেকে রেলপথের গতিমুখ পরিবর্তন করে খিলগাঁও, এবং এরপর কমলাপুর পর্যন্ত নেওয়া হয়। ১৯৬৮ সালের ২৭শে এপ্রিল স্টেশনটি উদ্বোধন করা হয়।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্থপতি ছিলেন দুজন মার্কিন: ড্যানিয়েল বার্নহ্যাম এবং বব বুই। দুজনেই লুই বার্জার অ্যান্ড কনসালটিং ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের স্থপতি হিসেবে পূর্ব পাকিস্তানে এসেছিলেন।
বার্নহ্যাম ও বুইয়ের ডিজাইন চ্যালেঞ্জ ছিল একটি চওড়া-স্প্যানের কাঠামো তৈরি করা, যা গ্রীষ্মমণ্ডলীয়
আবহাওয়ার উপযোগী হবে।
স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য
স্টেশনটি ১৫৬ একর জায়গার উপর গঠিত। এতে ১০টি প্ল্যাটফর্ম। এছাড়াও এতে রয়েছে ১১টি টিকেট কাউন্টার এবং বহু যাত্রী বিশ্রামকেন্দ্র।
পুরো স্থাপনাটি ৩৬টি বর্গক্ষেত্রের সমন্বয়ে গঠিত। এতে মোট ৪৯টি কলাম রয়েছে। এর ওপর দাঁড়িয়ে আছে ৩৬টি সরু কংক্রিটের ডোম নিয়ে একটি ছাদ।
৫৯ ফুট উঁচু প্রতিটি কলাম ওপরের দিকে গিয়ে চারটি শাখা বিস্তার করে ছাদটাকে ধরে রেখেছে।
ট্রেন টার্মিনালের ছাদের কংক্রিটের অসচরাচর কাঠামো, যার সাথে রয়েছে একটি প্যারাসল ছাদ যা নিম্নমুখী আন্তঃসংযুক্ত কাঠামোসমূহের সারিকে আশ্রয় দেয়।
টার্মিনালটির প্রোফাইল–মৃদুভাবে সূক্ষ্মাগ্র ও খিলান করা খোলসসমূহের এক ছন্দময় বিন্যাস গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আবহাওয়ার সাধারণ চিত্রের উদ্দীপনা দেয়, যেখানে একটি ছাতা বর্ষার বৃষ্টি হতে সুরক্ষা প্রদান করেl
স্টেশনটির নকশায় একটি একত্রিত ছাউনি ছাদের নিচে স্টেশনের টিকেট বুথ, প্রশাসনিক অফিস, যাত্রী বিশ্রামকেন্দ্র ও ওয়েটিং এরিয়াসহ বিভিন্ন কার্যকরী স্থান রয়েছেl
২০১৮ সালে সরকারি–বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে (পিপিপি) ঢাকা বিমানবন্দর ও তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনসহ কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘিরে মাল্টিমোডাল হাব করার প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর অধীন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের চারপাশে অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে; থাকবে বহুতল আবাসন ভবন, হোটেল, শপিং মল, পাতাল ও উড়ালপথ।
২০২০ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ঢাকা মেট্রো রেলেরএমআরটি লাইন ৬ এর সঙ্গে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের যোগাযোগ ঘটাতে হবে। কিন্তু বর্তমান স্টেশনটি এম আরটি লাইন ৬ এর প্রস্তাবিত পথের সঙ্গে মিলতে না পারায় কমলাপুর স্টেশনটি ভেঙে ১৩০ মিটার উত্তরে নতুন জায়গায় তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
Architectural styles flourished from ages from the very ancient time and Doric Order is considered as the first stone style architecture invented by the ancient Greeks. Before that most of the construction of Greek Architecture was based on wooden materials. This order was the foundation of inventing other orders like the Ionic Order and Corinthian Order. We know in the case of architectural styles nothing vanished, and often improvised and compromise with the newer architectural styles.
Here together we are going to explore some notable characteristics of the Doric Order.
Characteristics of Doric Order
Base: Doric Order had no base for its column. Instead of the base, the column was constructed directly on the pavement and that was known as the Stylobate.
Use of Fluted Column: The use of fluted columns was very common in the buildings of the Doric Order. That was the reason for the unique calculated and aesthetic design of this order.
Capital: The capital of the Doric Order was simple. This order used the abacus, necking, and echinus with no decorative form.
Use of Tapered Shaft: Doric Order used the shafts which were wider in the bottom and gradually became narrower towards the top. For this reason, the diameter of the columns also gradually decreases from the bottom to the top.
Use of Entablature: At the top of the column this order used the Entablature which consisted of multiple parts. In this case, also unlike the capital, the entablatures were simple but unique. This was different from the other orders in terms of design and decorative form.
Simple Architrave: Entablature was begun from the Architrave. It was constructed on the top of the capital. Like other components, architraves were also simple in this order.
Use of Cornice: Cornices were built in the upper part of the frieze which supported the ceiling.
From the above discussion, we can conclude that the Doric Order was mostly simple in its design and the use of decorative forms. The most interesting fact is that this order was the first building style where the Greeks started using stone in construction and changed the history of design and building.
সাবস্টেশন নিয়ে মনের মাঝে অনেক প্রশ্নই জাগ্রত হয় কিন্তু আজকে সাবস্টেশন এই বিষয়টি নিয়ে দুটি প্রশ্নের সমাধান খোঁজার চেষ্টা করব। প্রথম টি হল, ৫০ কেজি ওজনের কম ব্যক্তি কেন সাবস্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না? দ্বিতীয় টি হল, স্টেপ এবং টাচ পটেনশিয়াল কি ? এটি সাবস্টেশন এ কি প্রভাব ফেলে ।চলুন একটি একটি করে সমাধান করা যাক।
৫০ কেজি ওজনের কম ব্যক্তি কেন সাবস্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না?
ক্যাপাসিটিভ ডিসচার্জ কারেন্ট
বাস্তবিকভাবে ২০-২৫ ফুট দূর থেকে বিদ্যুৎ কখনো টেনে নিয়ে যায়না। তবে হাই ভোল্টেজের জন্য ক্যাপাসিটিভ কারেন্ট ডিসচার্জ হতে পারে। কারণ মানবদেহ মাংসল এবং ফাপা। তাই হাই ভোল্টেজে মানবদেহ ক্যাপাসিটরের ন্যায় কাজ করে।এবার আসা যাক মূল প্রশ্নে। আসলে ৫০ কেজির কম ব্যক্তির সাবস্টেশনে প্রবেশ অনুচিত এই নিয়মটি IEEE কর্তৃক প্রকাশ করা হয়। আমরা জানি, IB = k/√ts এখানে, IB হল বডি কারেন্ট, k হল কনস্ট্যান্ট, আর t হল ঐ ব্যক্তির উপর প্রভাব বিস্তার করতে কারেন্টের যতটুকু সময় লাগে।আর অন্য দিকে, k = √SB
কার্ডিয়াক এরেস্টের ঝুঁকি
এখানে SB হল shocking probability of body। এসি কারেন্ট মানবদেহের জন্য বিপদজ্জনক এসি কারেন্ট বিপদ্দজনক হবার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হল, রোধের উপর এসির তেমন প্রতিক্রিয়া নেই।তাই এসি কারেন্ট মানুষ বা যেকোন প্রাণীর হৃদপিন্ড প্রভাব বিস্তার করে কার্ডিয়াক এরেস্ট ঘটাতে পারে। এসি মানেই ছন্দময়ী কারেন্ট। অর্থাৎ কখনো পজিটিভ সাইকেল আবার কখনো নেগেটিভ সাইকেল। এই ছন্দময়তা হার্ট টিস্যু সহ্য করতে পারেনা। যার দরুণ হার্টবিট নরমালের তুলনায় অনেক বেড়ে যায় এবং হৃদপিন্ড ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
গবেষণা অনুসারে একজন, ৫০ কেজি ওজন বিশিষ্ট ব্যক্তি উচ্চ ভোল্টেজে অবস্থান করলে তার ক্যাপাসিটিভ ডিসচার্জ বডি কারেন্ট ১১৬ মিলি এম্পিয়ার হয়ে থাকে আর এটি ৩ সেকেন্ডেই তার দেহে প্রভাববিস্তার শুরু করতে সক্ষম। তাই এই পরিমাণ কারেন্ট তার জন্য বেশ মরণঘাতী হতে পারে। মূলত এই কারণেই ৫০ কেজির কম ব্যক্তিদের সাবস্টেশনে প্রবেশ নিষেধ। আর এই ওজন দিয়ে মূলত প্রবেশকারী ব্যক্তিটি কি প্রাপ্তবয়স্ক কিনা তা বুঝানো হচ্ছে।
স্টেপ এবং টাচ পটেনশিয়াল কি ? এটি সাবস্টেশন এ কি প্রভাব ফেলে ?
স্টেপ এবং টাচ পটেনশিয়াল কি ?
যারা সাবস্টেশনে জব করেন এটা তাদের কাছে খুবই সুপরিচিত শব্দ। এই দুটি পটেনশিয়াল এর দরুণ কারো মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এই টেকনিক্যাল বিষয় গুলো অনেকের জানা না থাকায় অহরহ দূর্ঘটনা ঘটেই চলছে। যারা সাবস্টেশনে জব করেন তারাই ভাল জানেন যে, এটা যেকোন সময় কত বড় জম হয়ে দাড়াতে পারে। যখন সাবস্টেশনে ফল্ট দেখা দেয় কিংবা খুব বড়সড় স্পার্কিং শুরু হয় তখন না জানার কারণে অনেকেই সেখানে বিনা দ্বিধায় বিচরণ করে থাকেন। এটা মোটেও উচিত নয়।
এমতবস্থায় কাছে না ১০ মিটার দূরে থাকলেও আপনি ঢলে পড়তে পারেন মৃত্যুর কোলে। কারণ সাবস্টেশন গ্রাউন্ডিং বা আর্থিং ফল্ট কিংবা লিকেজ এর কারণে সেখানে বিশাল ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হতে পারে। এসময় ১০ মিটার রেঞ্জ পর্যন্ত এরিয়া বিদ্যুতায়িত হবার প্রবল সম্ভবনা থাকে। এমতবস্থায় আপনি যদি রেঞ্জের ভেতরে থাকেন তাহলে আপনার দুই পা সেক্ষেত্রে ইলেক্ট্রোড/পরিবাহীর এর ন্যায় আচরণ করবে। আর দুই পায়ের মধ্যে যে ভোল্টেজ পার্থক্য তৈরি হবে তাকে বলা হচ্ছে স্টেপ পটেনশিয়াল। সরলভাবে বললে দুই পায়ের মধ্যে বিভব পার্থক্য। আবার আপনি ঐ সময় যদি ডিভাইস স্পর্শ করে ফেলেন তখন আপনার হাত & পায়ের মধ্যবর্তী স্থানে ভোল্টেজ সৃষ্টি হবে। যাকে বলা হয় টাচ পটেনশিয়াল। শুধুমাত্র সাবস্টেশন নয়। আবাসিক এলাকায় ইলেকট্রিক্যাল টাওয়ার ফল্ট কিংবা ছিড়ে পড়া তার থেকেও আপনি এটার শিকার হতে পারেন।
স্টেপ এবং টাচ পটেনশিয়াল এর থেকে বাচার উপায় কি?
যদি কোন কারণে আপনি সেই রেঞ্জ বা পাল্লায় থাকেন ও তারপরেও নিজেকে রক্ষা করতে পারেন শুধুমাত্র bunny jump এর সাহায্যে।
Bunny Jump কি?
এটার বাংলা হল খরগোশের ন্যায় লাফানো। এমনভাবে লাফিয়ে রেঞ্জের বাইরে যেতে হবে যেন পা & হাত ভূমি / সাবস্টেশন fault/affected area পুরোপুরি স্পর্শ না করে। নাহলে touch & step potential আপনার মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
পরিশেষে বলতে চাই যে, কেউ সাব স্টেশনে প্রবেশ করার পূর্বে এই বিষয়টি অবশ্যই তাদের জানা থাকা প্রয়োজন, তা না হলে যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে । তাই তোমাদের সবাইকে বলব অবশ্যই বিষয়টি মাথায় রেখে তারপরে সাব স্টেশনে প্রবেশ করবে।
আজকে আমরা মজার কিছু প্রমাণ নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রমাণগুলো যদিও সত্য নয়, তবুও এই প্রমাণগুলো দেখলে বা জানলে, গণিত হয়ে উঠবে অনেক মজার গণিত ।
গণিত দিয়ে খুব সহজেই এমন অনেক অবাস্তব বা মিথ্যা কিছু প্রমাণ করা যায় যা সাধারণত গণিতের অসংজ্ঞায়িত বা অনির্ণেয় টার্মগুলো দিয়ে করা হয়ে থাকে! এমনকি এই অসংজ্ঞায়িত বা অনির্ণেয় টার্মগুলো দিয়ে “পৃথিবীর সকল সংখ্যা ১ এর সমান প্রমাণ করা যায়!!!
অনেকর মনে প্রশ্ন এটা কি করে সম্ভব?
এখানে একটা ভুল আছে। ভুলটা কোথায়?
এখানে, বর্গমূল করাটাই হচ্ছে আসল ভুল। ৪র্থ লাইনটিতে ভুল। কারণ, আমরা জানি, বর্গমূলের শর্ত হচ্ছে, “শুধুমাত্র সেই সকল সংখ্যাকেই বর্গমূল করা সম্ভব, যাদের বর্গমূলকে পুনরায় বর্গ করলে একটি ধনাত্মক সংখ্যা পাওয়া যায়।
ঋণাত্মক সংখ্যাকে বর্গমূল করা হলে, তা আর বাস্তব থাকে না। কারণ, এখানে কে বর্গ করলে -1 পাওয়া যায়, যা একটি ঋণাত্মক সংখ্যা। ঋণাত্মক সংখ্যার বর্গমূল সম্ভব না। অর্থাৎ, বাস্তবে -1 কে বর্গমূল করা সম্ভব না। আর এখান থেকেই জটিল সংখ্যা বা imaginary number এর ধারণা শুরু। যেখানে শুধুমাত্র কাল্পনিক সংখ্যা বা অবাস্তব সংখ্যা নিয়ে কাজ করা হয়।
ঋণাত্মক সংখ্যার বর্গমূল করা হলে সেটা হয়ে যায় অবাস্তব অর্থাৎ, ৪র্থ লাইন এবং তার পর থেকে সব কিছুই অবাস্তব। যা বাস্তবে কখনো সম্ভব না। এই প্রমাণের মূল উদ্দেশ্যও তাই কাল্পনিক। এখানে ১= -১ হচ্ছে একটি কাল্পনিক প্রমাণ।
ধরি,
x = y [যেখানে, x ও y উভয়ই পূর্ণ সংখ্যা]
বা, x y = y² [উভয় পক্ষকে y দ্বারা গুণ করি]
বা, xy – x² = y² – x² [উভয় পক্ষ হতে x² বিয়োগ করি]
বা, x² – xy = x² – y² [উভয় পক্ষকে (-) দ্বারা গুণ করি]
বা, x (x – y) = (x + y) (x – y)
বা, x = x + y
বা, x = x + x [যেহেতু, আমরা ধরেছিলাম, x=y]
বা, x = 2x
বা, 1 = 2
অতএব, 1 = 2
তাহলে এখানে আমরা কি দেখলাম 1= 2 এটা বাস্তবে কিন্তু কখনই সম্ভব নয়। তাহলে অবশ্যই ভুল হয়েছে। ভুলটা কোথায়?
এখন যদি x.0 = (x+y).0 লাইনটি থেকে x = x+y লাইনটি পেতে চাই, তখন x.0 = (x+y).0 এই সমীকরণের উভয়পক্ষকে 0 দ্বারা ভাগ করতে হবে। আর গণিতে কোন কিছুকে 0 দ্বারা ভাগ করলে ফলাফল অসংজ্ঞায়িত হয়।
এখন আমরা গণিতের আরও একটি অবাস্তব প্রমাণ ২=৫ করব।
প্রমাণঃ
14 = 14
বা, 10 + 4 = 10 + 4
বা, 10 – 10 = 4 – 4
বা, 5 (2-2) = 2 (2-2)
বা, 5=2 [উভয় পক্ষকে (2-2) দ্বারা ভাগ করে]
অতএব, 2=5
এখানে ভুলটা কোথায়?
ভুলটা হচ্ছে 2-2 = 0, যা দ্বারা কোন কিছুকে ভাগ করলে উত্তরটি অসংজ্ঞায়িত হয়। অর্থাৎ গণিতে কোন কিছুকে 0 দ্বারা ভাগ করলে ফলাফল অসংজ্ঞায়িত হয়।
এখানে ২= ৫ হচ্ছে একটি কাল্পনিক প্রমাণ।
প্রমাণ : – 20 = – 20
এখানে ভুলটা কোথায়? ভুলটা হচ্ছে –
লাইনটিতে কখনই উভয় পক্ষে বর্গমূল করা যাবে না।
তাই 4 =5 সম্ভব না। প্রমাণটি অবাস্তব।
রীমান সিরিজ থিওরেম ব্যবহার করে আমরা এই প্রমাণটা করব। আমরা রীমান সিরিজ থিওরেম অনুযায়ী এমন একটি অনন্ত ধারা নেই যেখানে শুধু পজিটিভ 1 ও নেগেটিভ 1 থাকবে।
যেমন S = 1 – 1 + 1 – 1+1 – 1+ ………… এভাবে একটি ধারা নেই। এইবার এই ধারাটিকে নিজের ইচ্ছামত সাজিয়ে
Describe Major Clearing point of minor cleaning point.
Clearing efficiency of blow room.
Define Blow room (ব্লো–রুম):
“ব্লো-শব্দের অর্থ ‘প্রবাহিদ হাওয়া’ এবং রুম শব্দের অর্থ ‘কক্ষ’। তাই আভিধানিক অর্থে ব্লো-রুম বলতে প্রবাহের কক্ষ বা বায়ুপ্রবাহের কক্ষকেই বোঝায়।
সে কক্ষে কতগুলো মেশিনের সাহায্যে তুলার আঁশকে পরিস্কার,পরিচ্ছন্ন করে বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে এক মেশিন অন্য মেশিনে স্থান্তর করে ল্যাম্প আকারে প্রক্রিয়া করা হয় তাকে ব্লো-রুম বলে।
Objects of Blow room (ব্লো–রুমেরউদ্দেশ্যাবলি):
বেল আকারে প্রাপ্ত তুলাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গুচ্ছে পরিনত করা।
আশেঁর মধ্যে থাকা সকল প্রকার ট্রাশ দূর করা।
উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য বিভিন্ন মানের বা বিভিন্ন গ্রেডের আঁশ যথাসম্বব ভালভাবে মিশ্রিত করা।
পরবর্তী প্রক্রিয়ার উপযোগী সুষ্ম ল্যাপ তৈরিকরণ।
Functions of Blow room (ব্লো–রুমেরকার্যাবলী):
ওপেনিং এবং ফিডিং (Opening & Feeding).
বিটিং এবং ক্লিনিং (Beating & Cleaning).
ব্লেন্ডিং এবং মিক্সিং (Mixing & Blending).
ট্রান্সফরিমং (Transforming).
ল্যাম্প ফরমিং (Lamp Forming).
Different macheries (ব্লোরুমেকিকিমেশিনারীথাকে):
ব্লেডিং ও মিক্সিং মেশিনারি।
ওপেনিং ও ক্লিনিং ”।
সহায়ক যন্ত্রপাতি সমূহ।
Describe Major & Minor Cleaning Point (মেজরওমাইনরক্লিনিংপয়েন্ট):
Major (মেজর) Cleaning point:
ব্লো-রুম সেকশনে ব্ল-রুমে ব্যবহারকারী বিভিন্ন ক্লিনিং পয়েন্টসমূহের মধ্যে যেসহ মেশিনারী অধিক ট্রাস্টযুক্ত ময়লা আশঁসমূহকে অধিক ক্লিনিং করে আশসমূহ পরিষ্কার করে তাকে মেজর ক্লিনিং পয়েন্ট বলে।
ক্রাইটন ওপেনার।
পারকিউপাইন ও পেনার
ক্রিশনার বিটার
স্টেপ ক্লিনার
Minor (মাইনর) Cleaning point:
ব্লো-রুম সেকশনে ব্লো-রুমে ব্যবহারকারী বিভিন্ন ক্লিনিং পয়েন্ট সমূহের মধ্যে যেসব মেশিনারী তুলনামূলক কম ট্রাশযুক্ত ময়লা আশসমূহকে ক্লিনিং করে তাকে মাইনর ক্লিনিং পয়েন্ট বলে।
হপার ফিডার।
কনডেন্সার।
নিউমেটিক ডেলিভারী বক্স।
Cleaning Efficiency of Blow-room (ব্লো–রুমেরক্লিনিংদক্ষতারসূত্র):
লোটাস ফাইবার কিভাবে বিশ্বে একটি বিরল আঁশে পরিণত হলো?
লোটাস ফাইবার, এটি একটি প্রাকৃতিক ফুলের ফাইবার, একটি বিরল এবং অত্যন্ত এক্সক্লুসিভ ফাইবার। সারা বিশ্ব জুড়ে মাত্র কয়েকজন বিশেষজ্ঞ কারিগর দ্বারা এই প্রাকৃতিক ফুলের ফাইবারটি বুনন করা বা তোলা হয়। তবে এই সিল্ক তৈরি করা মোটেও সহজ কাজ নয়। একটি স্কার্ফের জন্য পর্যাপ্ত লোটাস রেশম সংগ্রহ করতে দুই মাস বা তার বেশি সময় লেগে যায়। সাধারণত এই পদ্ম সিল্কের ফিনিসড প্রোডাক্ট তৈরিতে অন্যান্য রেশমের চেয়ে দশ গুণ বেশি খরচ হয়ে থাকে।
লোটাস সিল্ক থেকে তৈরিকৃত ফেব্রিক শুধু মাত্র কম্বোডিয়া, মায়ানমার এবং সম্প্রতি ভিয়েতনামে সল্প আকারে পাওয়া যায়। পদ্ম হচ্ছে ভিয়েতনামের জাতীয় ফুল এবং এই একটি উদ্ভিদ যা সারা দেশ জুড়ে জন্মে। লোটাস বা পদ্ম ফুল সাধারণত কর্দমাক্ত নোংরা পানিতে জন্মায়।
এই রেশম আঁশ পদ্ম ফুলের কান্ড থেকে তৈরি হয় যা সম্পূর্ণ প্রানীজ মুক্ত। এই বিরল টেক্সটাইল ফাইবার কোম্বোডিয়ার ওয়ার্কশপে বোনা হয়। কম্বোডিয়ার এই শিল্পগুলো প্রায় ৫০০০ হাজারেরও বেশি পুরানো একটি শিল্প।
কম্বোডিয়ায়,“সিল্ক বুনন” হাতের একটি বিশেষ দক্ষতা যা প্রধানত মহিলাদের জন্যই সংরক্ষিত । এটি একটি সূক্ষ ম্যানুয়াল প্রক্রিয়া যা অসীম ধৈর্য সহকারে এই মহিলাগণ তাদের হাতের নিপুন আর্টের মাধ্যমে পদ্মের কান্ড থেকে প্রাপ্ত আঁশকে বুনন উপযোগী রেশম সুতায় রূপান্তরিত করে। কম্বোডিয়ানরা তাদের পোশাকের মানের দিকে সর্বাধিক দৃষ্টি আকর্ষণ করে। যার ফলে লোটাস সিল্ক গুণগত মানের দিক থেকে অধিকতর উন্নত হয়ে থাকে।
মিয়ানমারের ফান থাই থুয়ান পরিবারের ২০ জন কর্মীর একটি দল রয়েছে যারা এই ফাইবার তৈরি ও সুতা তৈরির নিপুন কাজটি করে থাকেন। তারা প্রতি মাসে মাত্র ১০ থেকে ২০ টি স্কার্ফ তৈরি করতে পারেন। একটি ২৫ সেন্টিমিটারের স্কার্ফ ২০০ ডলারের বেশি মূল্যে বিক্রি করা হয়। আর এজন্যই এই ফাইবার থেকে তৈরি পোশাকের মূল্য অত্যাধিক হয়ে থাকে ।যা অন্যান্য পোশাকের দামের তুলনায় একটু বেশিই।
লোটাস ফাইবারের বৈশিষ্ট্য
অন্যান্য ফাইবারের মত এই ফাইবারেরও কিছু বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।
লোটাস ফাইবারের ওজন অত্যন্ত কম
এটি সিল্কের মত নমনীয় এবং লিনেনের মত মসৃণ ও কিছুটা স্বচ্ছ
এই ফাইবার অত্যন্ত সূক্ষ, স্থিতিস্থাপক ও আরামদায়ক
সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক হওয়ায় এই ফাইবারের জীবাণু প্রতিরোধক ক্ষমতা বেশি
আদ্রতা ধারণ ক্ষমতা অন্যান্য ফাইবারের তুলনায় বেশি এবং এটি সহজেই আদ্রতা শুষে নিয়ে শুষ্ক হতে পারে
দীর্ঘদিন টিকে থাকার ক্ষমতা । ইত্যাদি
ইতিহাসঃ
পদ্ম ফুল হিন্দু এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র।পদ্ম ফুল তাদের নিকট মন, আত্মা, আলোকিতকরণ এবং দেহের শুদ্ধকরণের প্রতীক। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে মায়ানমারের এক মহিলার বিশ্বাস তাদের এই পবিত্রতায় পদ্ম শিকড় রেশমের উত্স রয়েছে।
মিয়ানমারের ফান থাই থুয়ান পরিবার বহু বছর ধরে রেশম তৈরি করে আসছে। বিলাসবহুল পোশাক তৈরির জন্য নিজেরাই রেশম পোকা থেকে সুতোর বর্ধন ও ফল সংগ্রহ করে আসছে। তবে সিল্ক তৈরি করা আলাদা, যা সাধারণত রেশমপোকা বা সিল্কওয়ার্ম থেকে আসে। তবে লোটাস ফুলের সিল্ক ফাইবার কান্ড থেকে আসে, এটি কোনও ধরণের কীটের উপর নির্ভর করে না, এটি পুরোপুরি হস্তনির্মিত।
উজ্জ্বল হলুদ সিল্ক এবং পদ্ম সংস্করণের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো- প্রাকৃতিক পদ্ম রেশমের প্রতিটি একক স্ট্র্যান্ড অবশ্যই হাতে বের করা হয়। এবং পদ্মের রেশমের প্রতিটি সুতা পদ্ম ফুলের কাণ্ড দিয়ে শুরু হয়। যদিও এই ফ্যাব্রিকটি কয়েক বছর ধরে মায়ানমারে পদ্ম ফুল ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে, ফান থাই থুয়ান এর পরিবার কেবলমাত্র ২০১৭ সালে এই ফাইবারটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে।
প্রক্রিয়াজাতকরণঃ
টেক্সটাইল ফাইবার মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে ১) ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক ফাইবার এবং ২) ম্যান মেইড বা কৃত্রিম ফাইবার। লোটাস ফাইবার প্রাকৃতিক ফাইবারের অন্তর্ভূক্ত। এই ফাইবার বেশ ভঙ্গুর হয়ায় এটি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই আঁশগুলো সংগ্রহ করতে হয় । সাধারণত ক্ষেত থেকে লোটাস এর কান্ড তোলে আনার পর কাঁচা বা ভেজা অবস্থায় ২৪ ঘন্টার মধ্যো আঁশ থেকে সুতা সংগ্রহ করা হয়। সূতা তৈরির এই কাজটি অত্যন্ত নিপুণ হাতে ও দক্ষতার সহিত করতে হয়।
ফাইবার সংগ্রহঃ
অনেকগুলো লোটাসের শাখা বা কান্ড একত্র করা হয় এবং ৫-৬ টি শাখা একত্রে নিয়ে কর্তন করা হয়।
টুইস্টিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০-৩০ টি পরিষ্কার ফিলামেন্ট আলাদা করা হয়।
অতঃপর ড্রাফটিং ও রোলিং এর দ্বারা একটি সূতায় পরিণত করা হয়।
ইয়ার্ন প্রস্তুতিঃ
সুতা তৈরির পর সুতার জটকে বাঁশের তৈরি স্পিনিং ফ্রেমের উপর রাখা হয়।
ওয়ার্পিং প্রসেসের জন্য সুতাকে উইন্ডারে রুপান্তরিত করা হয়।
ওয়েফট প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত ইয়ার্নকে কুন্ডলী পাকিয়ে গোলাকার আকৃতি প্রদান করা হয়।
সুতার অধিকতর জট পাকা প্রতিহত করার জন্য ৪০ মিটার সুতা তৈরির পর আলাদা পলিব্যাগে সংরক্ষন করা হয়।
উইভিং
ঐতিহ্যবাহী কম্বোডিয়ান লুমে ফেব্রিক গঠন করা হয়
উইভিং প্রক্রিয়ার সময় ফাইবারগুলকে শীতল রাখার জন্য ধারাবাহিকভাবে পানি দিয়ে ভিজানো হয়।
প্রাকৃতিক ডাইং প্রক্রিয়া অবলম্বন করে সুতাকে বিভিন্ন রঙে ডাইং করা হয়।
নির্দেশনাবলী
এই লোটাস ফাইবার থেকে তৈরি স্কার্ফ/ পোশাক বেশি ধোয়ার প্রয়োজন হয় না। যদি তারপরও ধুতে হয় তাহলে নিম্নলিখিত নির্দেশনা বিবেচনা করতে হবেঃ-
খুব হালকা সাবান ব্যাবহার করতে হবে
এই ফাইবার থেকে তৈরি পোশাক পানিতে বেশীক্ষণ ভিজিয়ে রাখা যাবে না
পোশাক বা কাপড় সমতল আকারে শুকাতে দিতে হবে
কাপড় শুকাতে ড্রায়ার ব্যবহার করা যাবে না
কাপর আয়রণ করার ক্ষেত্রে বেশি হিট দেওয়া যাবে না। ইত্যাদি
উপসংহারঃ
কিছু ঐতহ্যবাহী বৈশিষ্ট বিরল এই ফাইবারকে স্যুভেনিয়র পর্্যটকদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে। এটি সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর নিকট বিলাসবহুল ফাইবার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং তারা এই লোটাস ফাইবারকে আরো জনপ্রিয় করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এর ম্যানুফেকচারিং প্রক্রিয়া এখনোও সীমাবদ্ধ রয়েছে। কারন এই লোটাস থ্রেড বা সুতা তৈরিতে মাত্র গুটিকয়েক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোক রয়েছে।
তবে এ কাজে জড়িত থাকা ফান থাই থুয়ান পরিবারের লোকজন আশা করছেন যে, এই প্রাকৃতিক লোটাস ফাইবার থেকে উৎপাদিত ফ্যাব্রিক একদিন বৃহৎ শিল্পে পরিণত হবে
অবশেষে বলতে পারি যে, শুধু মায়ানমার ও কম্বোডিয়ার মতো দেশে এই ফেব্রিক সীমাবদ্ধ না রেখে পৃথিবীর প্রতিটা দেশে যদি লোটাস ফাইবারের বিস্তার সম্ভব হয়। তাহলে টেক্সসটাইল ও ফ্যাশান জগতে এই ফাইবারের তৈরি পোশাক আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।
ইসলামি স্বর্ণযুগ অষ্টম শতাব্দী থেকে চতুর্দশ শতাব্দী পর্যন্ত ইসলামের ইতিহাসে সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক এবং বৈজ্ঞানিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়ার সময়কালকে বোঝায়। সপ্তম শতকে মদিনায় প্রথম ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও ইসলামি শক্তির উত্থানের সময় শুরু হয়। ১২৫৮ সালে মঙ্গোলদের দ্বারা বাগদাদ অবরোধের সময়কে এর শেষ ধরা হয়। ১৪৯২ সালে ইবেরিয়ান উপদ্বীপের আন্দালুসে খ্রিষ্টান রিকনকোয়েস্টার ফলে গ্রানাডা আমিরাতের পতনকেও এর সমাপ্তিকাল হিসেবে গণ্য করা হয়। মিশর সাম্রাজ্যের কেন্দ্র পরিণত হয় এবং উত্তর আফ্রিকা, সিসিলি, ফিলিস্তিন, জর্ডান, লেবানন, সিরিয়া, আফ্রিকার লোহিত সাগর উপকূল, তিহামা, হেজাজ ও ইয়েমেন এর অন্তর্গত ছিল। এই যুগে মুসলিম বিশ্বের রাজধানী শহর বাগদাদ, কায়রো ও কর্ডোবা বিজ্ঞান, দর্শন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, বাণিজ্য ও শিক্ষার বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্রে পরিণত হয়।
উদ্ভব ও বিকাশ : হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সালাম ৬১০ খ্রিস্টাব্দে নবুয়্যত
প্রাপ্ত হন এবং এরপর থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন। তিনি প্রথমে মদিনা কে কেন্দ্র করে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন পরবর্তী পর্যায়ে তিনি মক্কাকেও এর অন্তর্ভুক্ত করেন। হযরত মোহাম্মদ সাল্লাহু সালামের মৃত্যুর এক বছরের মধ্যে মুসলিমরা সিরিয়া.ইরাক, মিসর ও ইরানের একাংশ জয় করে । পাশাপাশি তারা সাসানীয় বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যকে পরাস্ত করে। ধীরে ধীরে তারা মধ্য এশিয়ার তাসখন্দ থেকে ইউরোপের পিরেনিজ পর্বতমালা পর্যন্ত সব সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ঘটিয়েছিল।
খিলাফত : খিলাফত হলো একটি মুসলিম রাষ্ট্র। সময়ের সাথে সাথে খিলাফতের শাসন ব্যবস্থায় নানা পরিবর্তন সাধিত হয়। সাধারণত খিলাফতের প্রধান হিসাবে খলিফা এবং প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। তাঁদের কার্যক্রম পরিচালিত হতো কুরআন ও সুন্নাহর নিয়মানুসারে। খলিফার দরবারে আমির- ওমরাহদের মতামত প্রাধান্য পেত।বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে দেওয়ান- আল-খারাজ বা রাজস্ব বিভাগ ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । উদাহরণ স্বরূপ:-
মধ্য এশিয়ার সমরকন্দ থেকে স্পেনের কর্ডোভা পর্যন্ত পুরো মুসলিম সভ্যতা ছিল নগরকেন্দ্রিক। এ সভ্যতায় একশোর বেশি প্রধান নগর ও বাণিজ্য কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল। এসব নগর মুসলিম বিশ্বের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পরিণত হয়।
বাসস্থান ব্যবস্থা: কয়েকটি বাড়ি নিয়ে গড়ে উঠত বাসভবন এবং সেগুলো ছিল একটি নগরের প্রাণ। প্রতিটি বাড়ির সামনে একটি পানি রাখার স্থান ছিল। কোন কোন ভবনে হাম্মামখানা থাকতো। প্রত্যেক নগরের বাহিরে থাকতো একটি খোলা ময়দান যেখানে ধর্মীয় ও লৌকিক উৎসব পালন করা হতো। নগরের সব শাসনকার্য পরিচালনা করত খলিফা।
সমাজ অবস্থা: ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সকলের মর্যাদা সমান ছিল কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে সমাজে বা মানুষের মধ্যে বৈষম্য দেখা যেত। রাশেদীন খিলাফতের পর থেকে খলিফাদের জীবনী বিলাসিতা
পূর্ণ হয়ে ওঠে। তাদের বংশধর সমাজ পরিচালনার দায়িত্ব পায়। তখন থেকে শুরু হয় সমাজের উঁচু পদ ও নিচু পদের মধ্যে বৈষম্য। শুরু হয় দাস প্রথা, জ্যোতিষ চর্চা, ফকির দরবেশ।
নারীর স্থান: আরব সমাজে নারীর মর্যাদা ছিল সীমিত। এমনকি আরব সমাজে কন্যাশিশুকে হত্যা করার রীতি প্রচলিত ছিল। হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর সাহায্যে মেয়েদের সম্মানের আসন করে দেন, সম্পত্তির অধিকার দেন, সমাজে মর্যাদা এনে দেন। কিন্তু অঞ্চল ভেদে নারীদের অধিকারের অবস্থা ভিন্ন ছিল, অনেক অঞ্চলে তাদের ব্যক্তিত্ব ও মনুষ্যত্ববোধকে বন্দি করে রাখা হতো। বলা যায় এ সময়ে নারীদের অবস্থা ক্ষুন্ন ছিল।
দাসদের অবস্থা: ইসলামী সভ্যতার দাস প্রথার প্রচলন ছিল, তারা ছিল সমাজের সর্বনিম্ন স্তরের মানুষ। গৃহের কাজে, ভূসম্পত্তি তত্ত্বাবধানে, সঙ্গীত, নৃত্য বিনোদনের কাজে তাদের ব্যবহার করা হতো। তাদের স্বাধীনতা, সম্মান বা মর্যাদা ছিল না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দাসদের মনিব খুশি হয়ে তাদের মুক্ত করে দিতেন।
অর্থনীতি: ইসলামী সভ্যতায় ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জল ও স্থল উভয় পথেই আরবের মানুষরা বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করত। ব্যবসার পাশাপাশি যেসব এলাকায় পানি সরবরাহ সুবিধাজনক ছিল সেখানে কৃষি ব্যবস্থা গড়ে উঠত। কৃষিজ পণ্য যেমন আঙ্গুর, জলপাই, গম,খেজুর ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। শিল্পের মধ্যে মণিকার, বস্ত্র বয়ন, জহুরির শিল্প,কাঁচ শিল্প ইত্যাদি ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ব্যবহৃত হতো।
মানব সভ্যতায় মুসলমানরা জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কোরআনকে কেন্দ্র করে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বহু শাখার সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের এই অবদানের জন্য এখন চিকিৎসা বিজ্ঞান, সাহিত্য, ইতিহাস চর্চা, গণিত ইত্যাদি সম্পর্কে মানুষ জানতে পেরেছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞান: অতীতে মানুষরা চিকিৎসা বিজ্ঞান কুসংস্কার ও জাদু মন্ত্র মনে করত। মুসলমানরা মানুষকে এই ভুল ধারণা থেকে মুক্তি দেন। তারা বিভিন্ন রোগের কারণ, লক্ষণ ও উপসর্গ নির্ণয় করে সুনির্ধারিত প্রতিষেধক উদ্ভাবন করেন। মধ্য যুগে বিভিন্ন ধরনের ওষুধের উদ্ভাবন এবং বাজারজাতকরণে মুসলমানদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে। ধীরে ধীরে মানুষের ভুল ধারণা কেটে যায় এবং সকলেই চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিশ্বাস করা শুরু করেন। পরবর্তীতে হাসপাতাল তৈরি করা শুরু করেন।
গণিত: গ্রিক ও ভারতীয়দের দাঁড়ায় প্রথম গণিত চর্চা শুরু হয়।বিখ্যাত মুসলিম গণিতবিদ ও বিজ্ঞানী ইবনে মুসা আল খাওয়ারিজমী তার গ্রন্থে প্রথম বীজগণিত বোঝাতে অ্যালজেবরা শব্দটি ব্যবহার করেন। ইসলামী বিজ্ঞানীদের দ্বারা তৈরি তারকার মানচিত্র ও জ্যোতির্বিদ্যার সারণি বহু শতাব্দী ধরে ইউরোপ ও এশিয়ায় ব্যবহৃত হয়েছে।
সাহিত্য: মুসলিম সাহিত্য শুরু হয় কবিতা কে কেন্দ্র করে। কাব্য গ্রন্থের মধ্যে লায়লা মজনুর প্রেমের কাহিনী সমগ্র মুসলিম বিশ্বের সুপরিচিত। গদ্য সাহিত্যের মধ্যে আলিফ লায়লা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সিন্দাবাদ, আলিবাবা চল্লিশ চোর, আলাদিন ইত্যাদি গল্পগুলো আরবের গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এসব গল্প অন্যান্য দেশে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।
ভূগোল,দর্শন,ইতিহাস চর্চা,স্থাপত্য ইত্যাদি বিষয়ে অবদান রাখেন মুসলিম সভ্যতা।
আস্তে আস্তে একসময় বিবর্ণ হতে শুরু করে মুসলিমদের গৌরবমাখা সেই স্বর্ণযুগ। এগারো শতকে শুরু হওয়া ক্রুসেড ক্রমেই অস্থিতিশীল করে তোলে গোটা মুসলিম বিশ্বকে। এর অল্প কিছুদিন পরেই তের শতকে ভেতরে ভেতরে ধুঁকতে থাকা মুসলিম বিশ্বের সামনে এসে দাঁড়ায় আরেক ত্রাস- মঙ্গোলদের আক্রমণ। ১২০৬ খ্রিষ্টাব্দে চেঙ্গিস খানের নেতৃত্বে মধ্য এশিয়ায় গড়ে উঠেছিলো শক্তিশালী মঙ্গোল সাম্রাজ্য। ১২৫৮ সালের ২৯ জানুয়ারি হালাকু খানের নেতৃত্বে মঙ্গোল বাহিনী ও তার মিত্র শক্তিদের সামনে তছনছ হয়ে যায় আব্বাসীয় খেলাফতের রাজধানী।
অধিকাংশ ঐতিহাসিকের মতে, মঙ্গোলদের এ আক্রমণই ছিলো ইসলামের সোনালীযুগকে ইতিহাসের অধ্যায়ে পরিণত করার মূল নিয়ামক। কালক্রমে একসময় অটোম্যান সাম্রাজ্য উঠে দাঁড়ালেও ইসলামের সোনালী সেই যুগ আর কখনোই ফিরে আসে নি, বরং সোনালী সেই সূর্য কালে কালে অস্তমিতই হয়েছে।
আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতিকীকরন হিসেবে দন্ডায়মান হয়ে আছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ যা ঢাকার অদূরে সাভারে অবস্থিত। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে নির্মিত এই জাতীয় স্মৃতিসৌধটি তার স্থাপত্য শৈলী ও নির্মাণকৌশলের জন্য বাংলাদেশের মডার্ন আর্কিটেকচারের তালিকায় জায়গা দখল করে আছে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ এর চূড়ান্ত ডিজাইনের জন্য ৫৭ জন প্রতিযোগির মধ্যে স্থপতি মঈনুল হোসেনের নকশা টি নির্বাচিত হয়। এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ মুহুর্তে ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি সৌধের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
অসমান উচ্চতা ও স্বতন্ত্র ভিত্তির উপর সাতটি ত্রিভুজাকৃতির প্রাচীর নিয়ে গঠিত হয় মূল সৌধটি। সর্বোচ্চ স্তম্ভটি সর্বনিম্ন দৈর্ঘ্যের ভিত্তির উপর, আর সর্বদীর্ঘ ভিত্তির উপর স্থাপিত স্তম্ভটি সবচেয়ে কম উচ্চতার। প্রাচীরগুলোর মাঝখানে একটি ভাজ দ্বারা কোনাকৃতির এবং একটির পর একটি সারিবদ্ধভাবে বসানো। কাঠামোটির সর্বোচ্চ বিন্দু ১৫০ ফুট উচু। কাঠামোটি এমনভাবে বিন্যস্ত যে, ভিন্ন ভিন্ন কোণ থেকে অবকাঠামো গুলোতে পরিদৃষ্ট হয়। স্থপতি মূল স্তম্ভটি নির্মাণে সিমেন্ট-পাথরের কংক্রিট ব্যবহার করলেও এর সংলগ্ন অন্যান্য অবকাঠামো ও পেভমেন্ট নির্মাণে লাল ইট ব্যবহার করেছেন। ভিন্ন ভিন্ন উপাদানের ব্যবহারে মূল স্তম্ভটির গাম্ভীর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। সমগ্র কমপ্লেক্সটি ৩৪ হেক্টর (৮৪ একর) জমি জুড়ে বিস্তৃত। একে ঘিরে আছে আরও ১০ হেক্টর (২৪.৭ একর) সবুজ ভূমি। স্তম্ভটির সামনে বেশ কয়েকটি গণকবর ও একটি প্রতিফলন সৃষ্টিকারী জলাশয় নির্মিত হয়েছে।
প্রধান প্রবেশপথ দিয়ে প্রবেশ করলে স্তষটিকে প্রবেশদ্বারের অক্ষ বরাবরই চোখে পড়ে। কিন্তু মূল বেদিতে পৌছাতে হলে বেশ কিছু উঁচু-নিচু এলাকা পেভমেন্ট ও একটি কৃত্রিম লেকের উপর নির্মিত সেতু পার হতে হয়। এ সবকিছু স্বাধীনতার দীর্ঘ সংগ্রামকে চিহ্নিত করেছে। এই সাত সংখ্যাটিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে বিভিন্নভাবে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হয়। সাত সংখ্যাটিকে ভাগ সংখ্যা হিসেবে ধরা হয়।
স্থাপত্যিকবৈশিষ্ট্যঃ স্মৃতিসৌধের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নে দেওয়া হল–
এটি ১৫০ ফুট উঁচু।
এর ফলক সংখ্যা সাতটি।
এটি জ্যামিতিক ধারায় ৯০° মাপে তৈরি করা হয়েছে।
রংধনুর রঙ হচ্ছে ৭টি। আমাদের বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর। সেখানেও ১ + ৬ = ৭, আবার শেখ মুজিবর রহমান ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দেন। তাই তাৎপর্যপূর্ণ সংখ্যা ৭-এর আলোকে স্তরে স্তরে সাজানো ৭টি ফলকের মাধ্যমে চিত্রকর্মে স্মৃতি সৌধটি হয়েছে।
মালামালঃ স্মৃতিসৌধ নির্মাণে ১৪০০ টন সিমেন্ট, ৪৮০ টন লোহা, ১ লক্ষ ঘনফুট পাথর, ৫০ হাজার ঘনফুট বালি, ১ লক্ষ ২৫ হাজার ঘনফুট কংক্রিট এবং শ্রমিকের ১১ লক্ষ ৮৮ হাজার ঘণ্টা শ্রম লেগেছে।
নির্মাণকৌশলঃ তিনটি ধাপে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। নিম্নে তা উলেখ করা হল-
প্রথম পর্যায়ে কাজ শুরু হয় ১৯৭৩ সালের ডিসেম্বর মাসে, আর শেষ হয় ১৯৭৪ সালের জুন মাসে। এতে মোট ব্যয় হয় ২৬ লক্ষ টাকা।
দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজ শুরু হয় ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে আর শেষ হয় ১৯৮২ সালের জুন মাসে। এতে মোট ব্যয় হয় ৩ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা।
তৃতীয় পর্যায়ে কাজ শুরু হয় ১৯৮২ সালের ২৪ আগস্ট এবং শেষ হয় ১৯৮৬ সালের জুন মাসে। এ সময়ে মোট ব্যয় হয় ৫ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা।
সুতরাং, স্মৃতিসৌধটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছিল ৯ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের নির্মাণ তাৎপর্য এর পাশাপাশি এর সবুজ বেষ্টনী সম্বলিত অসাধারন ল্যান্ড স্ক্যাপিং, স্থাপত্য শৈলী ও নির্মাণকৌশলের জন্য বাংলাদেশের আধুনিক স্থাপত্যে গুরুত্বপূর্ন স্থান দখল করে আছে……