সকলের জন্যে কটন ফাইবার

সকলের জন্যে কটন ফাইবার

আমি মনে করি কটন ফাইবার নিয়ে আলোচনা আমাদের সবার জানার একটা বিষয় হতে পারে এবং টেক্সটাইল ছাএ-ছাত্রীদের জন্য বা অনন্য ছাএ-ছাত্রীদের জন্য উপকারী হবে।

কটন ফাইবার আমাদের অতি প্রয়োজনীয় একটি সুতা তৈরির কাঁচামাল যার অনুপস্থিতে হয়ত আমাদের এতবিহত চাহিদার সুতা তৈরি করা সম্ভব ছিলনা। কেননা বেশি ভাগ বস্ত তৈরিতে কটন ফাইবার ব্যবহিত হয়। তাই চলুন কটন ফাইবার সম্পর্কে জেনে নেই।

কটন বা তুলা প্রাকৃতিক সেলুলোজ ফাইবার বলা হয়। কারন কটনের মধ্যে ৯৪% সেলুলোজ আছে। কটন ফাইবারের দৈর্ঘ্য = ০.৩ থেকে ৫.৫ সে.মি; .আর্দ্রতা ধারণক্ষমতা= ৭ থেকে ১০% (আদর্শ ৮.৫%) প্রাকৃতিক ফাইবার গুলোর মধ্যে সর্বাধিক ব্যবহৃত ফাইবার হচ্ছে কটন। কাপড় তৈরির জন্য সুতা প্রয়োজন আর সুতা তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে যে সব তন্তু বা আঁশ ব্যবহৃত হয় সেগুলোকে টেক্সটাইল ফাইবার বলে, আর কটন তাদের মধ্যে অন্যতম।

বর্তমানে বস্ত্র শিল্পে অনেক ধরনের ফাইবার ব্যাবহার করা হচ্ছে। এদের মধ্যে কিছু ফাইবার প্রকৃতিগত ভাবে পাওয়া যায় এবং কাপড় আবিষ্কারের প্রথম থেকেই সেগুলো ব্যবহার হয়ে আসছে।  আর কিছু কৃত্তিম ভাবে পাওয়া যায়। ইতিহাসের দেখা যায় কটন ফাইবারের যে ঐতিহ্য চোখে পড়ে তা অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও প্রাচীন। কটন বা তুলা  চাষে প্রথম সময় সম্পর্কে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মিলিত মত থেকে ধারনা নেয়া যায় যে, খৃষ্টপূর্ব ৩,০০০ বছর পূর্বে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম তুলা চাষ শুরু হয়। এছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকার মেক্সিকোতে খৃস্টপূর্ব ৩,৫০০ বছর এবং খৃষ্টপূর্ব ৫০০ বছর হতে আমেরিকায় তুলার চাষ প্রচলিত ছিল।

 

ঐতিহাসিকদের মতে তুলার ব্যাবহার প্রথমে শুরু হয়েছিল ভূমধ্যসাগরীয় তথা আরবদেশ গুলোতে। মিশর হয়তো এক্ষেত্রে প্রথম স্থান অর্জন করেছিল। আধুনিক সভ্যতার তীর্থভূমি বলে পরিচিত ব্রিটেন কিন্তু এ ব্যাপারে পিছিয়ে ছিল। পরবর্তীতে শিল্প বিপ্লবের পর ১,৩০০ শতাব্দীর গোঁড়া থেকে অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৭০০ বছর পূর্বে ব্রিটেনে প্রথম তুলার ব্যাবহার শুরু হয়। আমেরিকাতে তুলার ব্যাবহার শুরু হয় আরও পরে, ১,৬০০ শতাব্দীর শেষের দিকে। বিশ্বব্যাপী তুলার ব্যাপক ব্যাবহার শুরু হয় আঁশ থেকে যান্ত্রিক ভাবে সুতা তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কারের পর থেকে। শুধু তাই নয় যান্ত্রিক পদ্ধতিতে সুতা ও কাপড় তৈরির উত্তরোত্তর উন্নত প্রযুক্তিসহ কাপড়ের রং, ছাপা ও ফিনিশিং প্রক্রিয়াগুলোর আধুনিক পদ্ধতি উদ্ভাবনের ফলে কাপড়ের সর্বমুখী ব্যাবহার এতোই অবধারিত হয়ে পড়েছে যে, আজকের উন্নত বিশ্বে তুলার ব্যাবহার ব্যতিরেকে মানব কল্যাণের কোন দিককে বিচ্ছিন্ন করে ভাবা যায় না।ফলে বর্তমানে পৃথিবীর সকল দেশের, সকল শ্রেণীর মানুষ তুলা দিয়ে তৈরি কাপড় ও তুলাজাত অন্যান্য পণ্য ব্যবহার করে আসছেন।

 

বাংলাদেশে তুলার চাষ:

কটন ফাইবার হলো ফাইবারের রাজা। প্রকৃতি থেকে সবচাইতে বেশি উৎপন্ন হয় এই কটন ফাইবার, এবং কটন ফাইবার হতে উৎপন্ন কটন ফেব্রিক দ্বারা তৈরি পোশাক মানুষের সবচাইতে বেশি কমফোর্ট প্রদান করে। বাংলাদেশে তুলার চাষ তেমন হয়না কিন্ত কিছু কিছু জায়গায় হয়ে থাকে। যে প্রকার তুলা বাংলাদেশে আগে থেকে উৎপন্ন হত তা “গোসিপিয়াম-আরবোরিয়াম” শ্রেণিভুক্ত। সাধারণত একে কুমিল্লা কটন নামে অভিহিত করা হতো। এই তুলার তিনটি বাণিজ্যিক নাম প্রচলিত যথা, লাংগুনিয়া, দোলা ও চাকুরিয়া। এই কুমিল্লা কটনের চাষ এখনো কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকায় প্রচলিত আছে। এই উৎপাদিত তুলার গুনগত মান খুবই নিন্ম শ্রেণীর এবং আঁশের দৈর্ঘ্য আধা ইঞ্চির উপরে নয়। ফলে এগুলো থেকে মিল পদ্ধতিতে কোন সুতা তৈরি হত না। দেশীয় প্রথায় চরকায় সুতা কাটা ও লেপ-তোষকের জন্য এগুলো বেশি ব্যবহৃত হতো।

বাংলাদেশে বর্তমানে বাণিজ্যিক পর্যায়ে যে তুলা উৎপাদিত হচ্ছে তা মূলত: আমেরিকান। শুরুতে আমেরিকা থেকে বীজ আমদানি করে আমাদের দেশে নিয়মিত তুলা চাষ পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বাংলাদেশে তুলা উন্নয়ন বোর্ড বিভিন্ন দেশের তুলার বীজ এনে স্থানীয়ভাবে শংকরিত করে বিভিন্ন জাতের তুলা বীজ উৎপন্ন করেছে। দেশে উৎপাদিত তুলা বর্তমানে ফলন ও গুনগত মানের দিক থেকে বেশ উন্নতি সাধন করেছে। এসব তুলার আঁশের দৈর্ঘ্য, রং এবং পরিপক্বতা বেশ ভাল। মেহেরপুর, জীবন নগর প্রভৃতি কেন্দ্রের দীর্ঘ আঁশের তুলা ব্যবহার করে অন্য কোন সংমিশ্রণ ছাড়াই ৬০স কাউন্ট পর্যন্ত সুতা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশে তুলা উৎপাদনের পরিমাণ দিন দিন বেশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কটনের প্রধান কিছু বৈশিষ্ট্য

১.নরম

২.আরামদায়ক

৩.ভাল পানি  শোষণ ক্ষমতা

৪.ভালমত প্রিন্ট করা যায়

৫.সহজে সেলাই করা  ইত্যাদি

৪.রঙ ধারণ ক্ষমতা বেশি

 

কটনের অ্যাপ্লিকেশন

সুতির প্রধান শেষ ব্যবহারগুলোর মধ্যে রয়েছে:

 

১.পোশাক

ব্লাউজ, শার্ট, বাচ্চাদের পোশাক, সাঁতারের পোশাক, স্যুট, জ্যাকেট, প্যান্ট, সোয়েটার, হোসিয়ারি ইত্যাদি।

২.হোম ফ্যাশন

পর্দা, চাদর, তোয়ালে, টেবিল কাপড়, টেবিল ম্যাট, ন্যাপকিনস ইত্যাদি।

৩.প্রযুক্তিগত অ্যাপ্লিকেশন।

৪.চিকিৎসা এবং প্রসাধনী অ্যাপ্লিকেশন

ব্যান্ডেজ, ক্ষত প্লাস্টার ইত্যাদি।

 

 

 

লেখক

মোহাম্মদ রাসেল শেখ

জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর

টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্ট

 

Why Should You Study Architecture and Interior Design?

Why Should You Study Architecture and Interior Design?

Architecture! A very old but ever changing and always updated sector among all the professions. It is not only a profession but also a passion for a human. Architecture always adapted with the time, gave us many majors like Urban Planning and Landscape Design. Interior Design is also a part of Architecture and now in today’s world we found another adoption of Architecture for the need of era and that is Architecture and Interior Design. For short understanding it is Architecture with the major subject of Interior Design.

Let’s come to the point. Why should you study Architecture and Interior Design? Digging deep with me and I will try to give you some reasons to study Architecture and Interior Design.

  • Become an Architect:

If you want to be an Architect and want to establish your careen in this sector then Architecture and Interior Design is one of the best choice for you. Here you can learn about all the elements of Architecture and can study over only Architecture in your future study. The benefited part is because of the major of Interior design, this subject opens a new door to you also and that is become an Interior Designer.

  • Excellent Problem Solver:

Architects and Interior Designers are great problem solver. They studied to measure and calculate the data and information, they studied the ways to find out the solvency from the problems. That is why the Architects and Interior Designer become excellent problem solver and this potentiality helps them in every aspects of their life whatever it is professional or personal.

 

  • Traveling the World:

If travel is in your blood then Architecture and Interior Design is the perfect option to study for you. You have to travel a lot to in home and abroad to learn about Architecture and Interior Design. Architecture has very ancient origin, it has developed so many styles all around the world like Roman Architecture, Greek Architecture and Inka Architecture. Beside this Architecture and Interior Design has a wide arena of working places all over the world and you can travel swiftly for your professional purpose also.

 

  • Enjoy Making Things:

Architects and Interior Designer always tries to do something new something different from the existing. This habit comes from their institution study. They always do different projects, brainstorms, gathering ideas and implement them by making handmade projects or model or software base projects. They loved it and you also have the happiness of making new things and generate new ideas here.

 

  • Create Friends and Meet New Peoples:

It is natural for the Architects and Interior Designers to travel new places for study purpose and for professional purpose. New place means new people and new friends. This give the Architects and Interior Designers a privilege to have contact with different professionals which can be handy for their own study and professions in different aspects.

  • Discover Own Capability:

The study of Architecture and Interior Design helps one to discover his or her own capability. They solve so many problems to raise their personal growth. This study tests their limits and helps them to reach beyond their capability by building new skills and new thinking.

  • Figure out Your Sector:

It is true that Architecture and Interior Design is not all filed. If you study in this subject the process of studying and progress can also help one to find out his or her appropriate sector, may be that can be Graphic Design, programming or other engineering subjects. Architecture and Interior Design is all about discovering own interest and ability.

  • Enjoying the Life:

The Architects and Interior Designer travels different places, meets new people, creates new friends, discovers new trends and culture, works in challenging situations with tight timeline and they challenge themselves to overcome their limits. Their life is not boring because of the intense will to make to find something new something stuck the world in wonder.

  • Change the Course of Life:

Obviously Architects and Interior Designers have a different lifestyle from the other. This lifestyle is for fun, excitement, building something new for the betterment of the society, civilization and world. This process starts from the studying level. Studying in Architecture and Interior Design helps you to adopt with this lifestyle by creating necessary skills inside you.

 

  • Think Out of the Box:

Architects and Interior Designers are creative, they like to generate and implement new ideas. For that they tries to think out the regular thinking. They practice this procedure from their study life and gradually they become master. This process helps them to generate new ideas and also to solve the problems what they face in their study and professional life.

 

 

 

  • Enormous Career:

I discuss before Architecture is a very ancient major with many properties. You can establish your career as an Architect, an Interior Designer, a Urban Planner, a Landscape Designer, a Project Manager, a Naval Architect, an Animator, can do jobs in Architecture and Interior Firms, can be an entrepreneur by starting your own firm, can design Aircrafts or Auto-mobiles, can be the Lead Architect or Production Architect of a large firm, can be the Principal investor of a firm, a Contact Administrator, Specification Writer or a Sole Practitioner or a Freelancer. You see there are enormous professions for Architecture and Interior Design to build one career and here I mentioned only few of them.

Architecture and Interior Design is creative, joyous and always lively. If you like to make new things, want to explore the world and make your life meaningful to contribute to the society, country and world then Architecture and Interior Design can be the worth subject for you to study and to change the course of your life.

Writer:

Md Asaduzzaman Russel

Junior Instructor
Architecture and Interior Design Technology

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং খুঁটিনাটি

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং খুঁটিনাটি

( প্রথম পর্ব)

 💼টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ কী🛠

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে সম্পূর্ন ম্যানুফ্যাকচারিং বেসড একটি প্রসেস যেখানে একজন ইঞ্জিনিয়ারকে মেশিন সেটাপ থেকে শুরু করে প্রসেস কন্ট্রোল, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট , গিয়ার মেকানিজম এবং মেইন্টেনেন্স নিয়ে কাজ করতে হয়। স্পিনিং এর ইঞ্জিনিয়ারদের প্রোগ্রাম ইনপুট দেয়া জানতে হয়। ওয়েট প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ারদের প্রথম সারির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হতে হয়। নাসার বিজ্ঞানিরা যারা দীর্ঘদিন যাবত মহাকাশে মানুষ পাঠাতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা অসংখ্য টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের গবেষনায় নিযুক্ত করে স্পেস স্যুট এবং ন্যানোফাইবার, কার্বন ফাইবারের শিল্ড তৈরীর জন্য। শুধু তাই নয়, কাপড়ের মান, রংয়ের ধরন, রংয়ের স্থায়িত্ব ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে নিশ্চিত করাও বস্ত্র প্রকৌশলীর কাজ। পোশাক কারখানা ছাড়াও বাংলাদেশ স্পিনিং, উইভিং, নিটিং, নিট ডাইং, ডাইং ফিনিশিং, ইয়ার্ন ডাইং সব মিলিয়ে হাজারেরও অধিক কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় কাজের মান নিয়ন্ত্রণের জন্যও একজন (টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ) বস্ত্র প্রকৌশলীর প্রয়োজন।

💰চাকরির ক্ষেত্র কি কি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের💰

বস্ত্র প্রকৌশলীদের চাকরির বাজারে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো -তাদের পেশা জীবন অনিশ্চিত নয়। শুধু রপ্তানি খাতে সিংহভাগ বস্ত্র জোগানোই নয়, দেশের বস্ত্র চাহিদা পূরণের জন্যই বস্ত্র প্রকৌশলীদের নানা জায়গায় রয়েছে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ। অনেকে মনে করেন, বস্ত্র কৌশলীদের চাকরি শুধু টেক্সটাইল মিলগুলোতেই সীমাবদ্ধ। শুধু টেক্সটাইল মিল নয়, তাদের চাকরির সুযোগ রয়েছে মন্ত্রণালয়, ব্যাংক, কাস্টমস, বিনিয়োগ বোর্ড, বিসিক, বিজিএমইএ, বিজিএম, জুট, রিসার্চ, তুলা উন্ন্নয়ন বোর্ড, রেশম বোর্ড, বিএমবিআই, প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট, ডিজাইন, টেক্সটাইল টেস্টিং অ্যান্ড কোয়ালিটি ইন্স্যুরেন্স, বায়িং হাউস ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে। ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বস্ত্র প্রকৌশলীদের অপ্রতুলতার কারণে এ পেশায় রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা। এছাড়াও বস্ত্র প্রকৌশলীরা ইচ্ছা করলেই পুঁজি সংগ্রহ করে নিজ উদ্যোগে স্থাপন করতে পারেন টেক্সটাইল মিল। একজন বস্ত্র প্রকৌশলীর উপার্জন মন্দ নয়। যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা সাপেক্ষে এ পেশায় প্রতি মাসে ২৫ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।

📄কি কি পড়ানো হয় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে📜

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ বর্ষভিত্তিকভাবে কোর্স পরিক্রমা চলে।

প্রথম বর্ষে মূলত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বেসিক ধারণাসহ পিওর সায়েন্স এর বিষয়গুলো পড়ান হয়।

দ্বিতীয় বর্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীদের বৃহৎ পরিসরে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর তত্বীয় ও ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করতে হয় যা ছাত্রছাত্রীদের কাজে প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত করতে থাকে।

তৃতীয় বর্ষে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর আরও বিশদ পড়াশোনার পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাইকলজি ও ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে পড়তে হয়।

চতুর্থ বর্ষে ছাত্রছাত্রীদেরকে মেধার ভিত্তিতে স্পেশালাইজেশনের জন্য বিষয় নির্বাচন করতে হয় । বিষয়গুলো হচ্ছে 

স্পেশালাইজেশন অফ ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং, 

 

 

 

 

 

স্পেশালাইজেশন অফ ফেব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং,

 

 

 

 

 

 

স্পেশালাইজেশন অফ ওয়েট প্রোসেসিং, 

 

 

 

 

 


স্পেশালাইজেশন অফ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং ।

 

 

 

এছাড়াও সকল বিষয়ের ছাত্রছাত্রীদের প্রোডাকশন প্ল্যানিং বিষয়ে পড়তে হয় এবং পরিশেষে নিজ নিজ বিষয়ের উপর বিভিন্ন টেক্সটাইল মিলে ইন্টার্নীর জন্য পাঠান হয় । 

=======================================

লিখেছেন:

ইমাম  সাদ আহমেদ

ইন্সট্রাক্টর

ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট

পরমাণুর গঠন নিয়ে আলোচনা

পরমাণুর গঠন নিয়ে আলোচনা

মহাবিশ্বকে বিজ্ঞানীরা দুটি অংশে ভাগ করেছেন

মহাবিশ্বকে বিজ্ঞানীরা দুটি অংশে ভাগ করেছেন- 1. পদার্থ 2. শক্তি।  বিজ্ঞানীদের ধারণা সকল শক্তির মূল উৎস সূর্য, আর পদার্থ বলতে তো আমরা জানি তারপর একটু মনে করিয়ে দেয়া যার ওজন আছে এবং জায়গা দখল করে তাকে পদার্থ বলে ।  পদার্থের তিন ধরনের ভৌত অবস্থায় রয়েছে কঠিন, তরল ও বায়বীয় । আমাদের আশেপাশে যা কিছু দেখতে পাই তার  কোন টি কঠিন, না হয়   তরল, নতুবা বায়বীয় ।

এ তো গেল  পদার্থের বাহ্যিক বিষয়ে । এবার আসি রাসায়নিকভাবে পদার্থ দুই ধরনের হয়

1. মৌলিক

2 .যৌগিক পদার্থ ।

যেসব পদার্থ ভাঙ্গার পরে সেই পদার্থের উপাদান ছাড়া অন্য কোন উপাদান পাওয়া যায় না তাদের মৌলিক পদার্থ বলে । যেমন  স্বর্ণ কে ভাঙলে রুপা পাওয়া যায় না আবার লোহাকে ভাঙলে স্বর্ণ পাওয়া যায় না অর্থাৎ স্বর্ণ-রুপা ,লোহা  এগুলো সবই মৌলিক পদার্থ  ।  পৃথিবীতে আবিষ্কৃত মৌলিক পদার্থের সংখ্যা 118 টি  ।

প্রতিটি পদার্থের মধ্যে রয়েছে পরমাণু নামের অতিক্ষুদ্র একক কণা পরমাণু । পরমাণু কত ছোট তার ধারণা দেওয়ার জন্য আমি একটি উদাহরণ দেই  । একটি চুলকে এক লক্ষ টুকরা করলে তার একভাগ যত ছোট হবে পরমাণু ঠিক ততো ছোট ।

পরমাণুর কোন স্বাধীন অস্তিত্ব নেই অর্থাৎ পরমাণু সব গুচ্ছাকারে থাকে । এই পরমাণুগুলোর গঠন নিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানীর বিভিন্ন মতামত রয়েছে প্রথমদিকে  বিজ্ঞানী ডাল্টন বলেছিলেন পরমাণু কে  ভাঙ্গা যায়না অর্থাৎ পরমাণু অবিভাজ্য । কিন্তু পরবর্তীতে সুদূর গবেষণার ফলে প্রমাণিত হয় যে পরমাণু বিভাজ্য অর্থাৎ পরমাণু কে ভাঙ্গা যায় । আর এই পরমাণুকে ভাঙলে তার মধ্যে দুই ধরনের  কণা পাওয়া যায় । একটি হচ্ছে স্থায়ী কণা ,আর অপরটি হল অস্থায়ী কণা । স্থায়ী  কোনগুলো প্রত্যেক পরমাণুর ভেতরেই থাকে  (ব্যতিক্রম হাইড্রোজেন)  । অস্থায়ী কোনগুলো কোন কোন পরমাণুর ভেতরে সাময়িকভাবে অবস্থান করে  । আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় পরমাণুর এই স্থায়ী কনাগুলো নিয়ে  পরমাণুর ভেতরেও তিন ধরনের 1. ইলেকট্রন 2. প্রোটন 3 .নিউটন।

ইলেকট্রন হল পরমাণুর সবচেয়ে ক্ষুদ্র কণা ।  বিজ্ঞানী জে. জে. থমসন১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দে সর্বপ্রথম ইলেকট্রনের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। ইলেকট্রনের চার্জ  নেগেটিভ  । আসল ভর অতি সামান্য 9.1085×1028g,  আধান -1.6×1019 কুলম্ব । ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের চারদিকে ঘুর্ণায়মান। ইলেকট্রনকে সাধারণত e- প্রতীক দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে ।

বিজ্ঞানী আর্নেস্ট রাদারফোর্ড ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে প্রোটন আবিষ্কার করেন  । পরমাণুতে ইলেকট্রনের সমান সংখ্যক প্রোটন থাকে। প্রোটনের ভর 1.673×1024g প্রোটন পজেটিভ চার্জ  যুক্ত ।  সবচেয়ে ছোট প্রোটন হাইড্রোজেন(H+  একে সাধারণত p দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে ।

বিজ্ঞানী জেমস স্যাডউইক ১৯৩২ সালে নিউট্রন আবিস্কার করেন। এটি আধানবিহীন অর্থাৎ এর কোনো চার্জ  নেই । এর আসল ভর 1.675×1024gএকে সাধারণত n দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। নিউট্রন পরমাণুর কেন্দ্রে প্রোটনের সাথে যুক্ত থাকে । এই দুই কণিকার সম্মিলিত ভরকে পারমাণবিক ভর বলা হয়ে থাকে । এই পরমাণুর গঠন নিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানীর মতবাদকে পরমাণুবাদ বলা হয় রাদারফোর্ড পরমাণুবাদ এ পরমাণু কে সৌরজগতের সাথে তুলনা করা হয়েছে।

 

লেখক:

মোঃআলামিন হোসেন

লেকচারার, ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

BSDI

 

বৈপ্লবিক পরিবর্তনে কম্পিউটার বিজ্ঞানের তাৎপর্য

বৈপ্লবিক পরিবর্তনে কম্পিউটার বিজ্ঞানের তাৎপর্য

বৈপ্লবিক পরিবর্তনে কম্পিউটার

আমরা যেহেতু ডিজিটাল যুগে বাস করি, বেশিরভাগ শিল্পপ্রতিষ্ঠান গুলো  ডেটা এবং সফ্টওয়্যার এর নির্ভর করে। কম্পিউটার সায়েন্স  মূলত বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য উন্নয়ন, পরিবহন, ব্যাংকিং, যোগাযোগগুলি সবকিছুর উপরে প্রভাব ফেলে। এমনকি মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ফ্রিজ বা দরজার তালার মতো জিনিসগুলি এখন আমাদের ওয়াই ফাই নেটওয়ার্ক এবং ব্যক্তিগত সহায়ক ডিভাইস গুলির সাথে সংযুক্ত।

প্রযুক্তি বিশ্বকে উন্নতির চরম শিখরে সংযুক্ত করেছে। কিন্তু যাদু দ্বারা এটি ঘটেনি। আমরা আইটি গ্র্যাজুয়েটদের ধারালো চিন্তা এবং পরিশ্রমে এখানে পৌঁছেছি। বর্তমানে এই প্যানডেমিকের দিনে কম্পিউটার প্রোগ্রাম ছাড়া একটা দিনও অতিবাহিত করা দুর্বিষহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কিন্তু পাঠদান কার্যক্রম সচল রয়েছে, সব ধরনের কার্যক্রম অনলাইনে পরিচালিত হচ্ছে, বিভিন্ন ওয়েবিনার, ওয়ার্কশপে মানুষ ঘরে বসেই যুক্ত হতে পারছে। পৃথিবীতে কি ঘটছে সবকিছুর খোঁজখবর ঘরে বসেই সবাই পেয়ে যাচ্ছে। এর সবকিছুর পেছনে কম্পিউটার বিজ্ঞান ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। মানুষের কল্যাণে প্রতিনিয়ত  আইটি গ্রাজুয়েটরা পরিশ্রম করে যাচ্ছে যাতে মানুষের কাছে সবকিছু সহজলভ্য হয়। আপনিও এই গ্রাজুয়েটদের মধ্যে সংযুক্ত হয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবনে সহায়তা করে মানুষের জীবন যাত্রাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।

১। ব্লকচেইন কি তাহলে ভবিষ্যৎ?

২। আমরা কীভাবে পরবর্তী বড় সাইবার-আক্রমণ বন্ধ করতে পারি?

৩। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা কি মানুষের বড় বড় সমস্যা গুলো সমাধান করতে পারবে?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার জন্য আপনার যে সমস্ত ধারণা এবং যে দক্ষতা প্রয়োজন সেগুলো অর্জন করতে পারবেন কম্পিউটার সাইন্স ডিগ্রির মাধ্যমে, আমাদের ভবিষ্যতের একটি বড় অংশ প্রযুক্তির উপরে নির্ভর করে আছে এবং এটি আমাদের বিশ্বকে প্রভাবিত করবে পাশাপাশি বিশ্বের নতুন রূপ আমরা দেখতে পাব।

বিশেষজ্ঞ হওয়ার জন্য এবং সেরা কম্পিউটার বিজ্ঞানের কাজগুলির একটি দখল করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পোঁছে যেতে পারবেন। বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা বিশেষত পেশাদারদের জন্য দরকারী, যারা বড় ডেটা বা অ্যালগরিদম দিয়ে কাজ করেন। বিশদ মনোযোগ আপনার অ্যাপ্লিকেশন বা সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামটি তৈরি করতে বিশেষ ভাবে সহায়তা করে। কোডের বাগযুক্ত লাইন গুলো নিয়ে বার বার ভাবুন, বাগমুক্ত করুন। শেষ পর্যন্ত আপনি যে ফলাফলটি চান তা তৈরি না করা পর্যন্ত আপনাকে অসংখ্য বার পরীক্ষা এবং ত্রুটির মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং এটার জন্য প্রচুর ধৈর্য দরকার।

চাকরির ক্ষেত্রে কম্পিউটার সায়েন্সের বিস্তৃতি সুবিশাল, সফটওয়্যার ডেভেলপার থেকে শুরু করে ডাটাবেজ এডমিনিস্ট্রেটর এছাড়াও গতানুগতিক কাজের সুযোগগুলোর পাশাপাশি আরও একটি বিস্তৃত ক্ষেত্র হল কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করার জগত।

একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে, আপনি এই দক্ষতাগুলি নিয়ে বিশ্বের যে কোনও জায়গায় আইটি পেশায় প্রয়োগ করতে পারেন। প্রোগ্রামিংয়ের ভাষা সর্বত্র একরকম এবং আপনি যদি পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে ভ্রমণ করতে চান তবে আইটি বিভাগ আপনাকে সর্বদা স্বাগতম জানাবে।

আসলেই কি কম্পিউটার সায়েন্সর চাকরির ক্ষেত্র সুবিশাল? যদি এক কথায় বলি তাহলে ‘নিঃসন্দেহে সুবিশাল ক্ষেত্র রয়েছে’ । কম্পিউটার সায়েন্স পরবর্তী বছর গুলিতে অন্যান্য শিল্পের তুলনায় অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সর্বোপরি বলা যায় যে, কম্পিউটার সায়েন্স বর্তমান এবং পরবর্তী প্রজন্মে অভিনব পরিবর্তন বয়ে নিয়ে আসবে, যার পিছনে মেধাবী আইটি গ্রাজুয়েটদের কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্য অন্যতম ভূমিকা পালন করবে।

লেখক: 

অভিজিত রায়

ইন্সট্রাক্টর

কম্পিউটার টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

 

স্বপ্ন যখন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

স্বপ্ন যখন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

পৃথিবী প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে এই পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগছে প্রতিটি ক্ষেত্রে সেই সাথে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত জিনিসপত্র সহ সব কিছু নির্ভর করে ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার এর উপরে, তাই একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এর ক্যারিয়ার এর ক্ষেত্র দিনে দিনে বেড়েই চলেছে | বর্তমান সময়ে পুরো বিশ্ব সহ বাংলাদেশের সকল জায়গাগুলোতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন |

আপনি যখন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, আপনি নিজেকে এমন একটি পেশায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেন যা বৈদ্যুতিক মোটর এবং বিদ্যুৎ উত্পাদন সরঞ্জাম সহ বৈদ্যুতিক ডিভাইস এবং সরঞ্জাম উত্পাদন, নকশা, পরীক্ষা এবং তদারকি জড়িত। অতএব, এই জাতীয় ধারণা এবং তত্ত্বগুলি কীভাবে বাস্তব জীবনে পরিচালনা করতে হয় ,জানতে হবে|, আপনাকে এটি খুব অনন্য এবং উপযুক্ত তৈরির  দক্ষতা অর্জন করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে, এটি কোনও গোপন বিষয় নয় যে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সমাজের অন্য সকল শিক্ষার্থীদের থেকে একটু বেশি দক্ষতা অর্জন করতে হয় |

সুতরাং একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কেরিয়ার গড়ে তুলতে আপনার কী দরকার আছে তা জানার জন্য নিচের বিষয়গুলো পড়তে হবে |

বাংলাদেশে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মক্ষেত্র সমূহ:

সর্বপ্রথম ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এর প্রয়োজন হয় ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার উৎপাদনের কোম্পানিগুলোতে | যেগুলোকে আমরা ইলেকট্রিক্যালের জেনারেশন কোম্পানি বলে থাকি | এছাড়াও যারা বিদ্যুৎ পরিবহন করে এ সকল কোম্পানিতে ইলেকটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন, যেগুলোকে আমরা ডিসট্রিবিউশন কোম্পানি বলে থাকি | তা ছাড়াও যারা বিদ্যুৎ বিতরণ করেন ( গ্রাহক পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছে দেন ) সে সকল জায়গাগুলোতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন, যাদেরকে আমরা ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী বলি |

জেনারেশন কোম্পানি গুলোর মধ্যে বাংলাদেশের রয়েছে তাপবিদ্যুৎ, কেন্দ্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র,বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ | ট্রান্সমিশন কোম্পানি গুলোর মধ্যে রয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ |  ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী গুলোর মধ্যে রয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ, ডেসকো ডেসা নেস্কো | এছাড়াও বাংলাদেশ রেলওয়ে, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ,বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটি, কমিউনিকেশন সিস্টেম এ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এর প্রয়োজন হয় |

 

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কি কি গুণাবলী থাকা উচিত?

ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যারিয়ার গড়তে সচেষ্ট যে কারও জন্য প্রযুক্তিগত জ্ঞান অপরিহার্য। আপনার সম্পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছানোর জন্য, আপনাকে শক্তিশালী দক্ষতার সাথে আপনার জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে। এই বৈশিষ্ট্যগুলি আপনার উদ্দেশ্য গুলি পূরণ করতে পারে।

 

সৃজনশীল সমস্যার সমাধান

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা নিয়মিত জটিল চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করে এবং উদ্ভাবক সমাধানগুলি প্রস্তুত করেন। সেরা ফলাফল অর্জনের জন্য, এই বিশেষজ্ঞরা প্রযুক্তির পরিবর্তনগুলি বজায় রাখতে এবং সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন পদ্ধতির সাথে প্রস্তুত হওয়া জরুরী। প্রতিটি প্রকল্পের সাথে একজন ইঞ্জিনিয়ার নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে ।

 যোগাযোগ

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা উভয় লিখিত এবং মৌখিক যোগাযোগের দক্ষতার মাধ্যমে একটি সংস্থার মধ্যে তাদের প্রভাব সর্বাধিকতর করতে পারে। তাদের বিশেষজ্ঞ দক্ষতা দিয়ে অ-প্রযুক্তিগত শ্রোতাদের কাছে যথাযথভাবে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হবেন।

নেতৃত্ব

ইঞ্জিনিয়াররা তাদের বহুমুখী দলগুলির সাথে কার্যকরভাবে সহযোগিতা করে তাদের প্রকল্পগুলি সফল করে তোলে। কার্যকরভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারকে অবশ্যই প্রতিটি প্রকল্পের চাহিদা গণনা করতে, ব্যবহারের বিষয়ে কৌশলগত পছন্দ করতে এবং প্রতিটি পর্বের অপারেশন অনুকূল করতে সক্ষম হতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং নেতারা বুঝতে পারেন যে কীভাবে তাদের কাজটি তাদের সংস্থার বৃহত্তর মিশনে ফিট করে। পরিবর্তে, তারা অন্যান্য পেশাদারদের তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ এবং অর্জনে গাইড করতে পারে।

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কী দক্ষতা থাকা উচিত?

সমস্যাগুলি সমাধান করতে এবং জটিল প্রকল্পগুলি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইলেকট্রিক্যাল প্রকৌশলীরা বিজ্ঞান এবং গণিতের একটি সম্পূর্ণ জ্ঞান আঁকেন।ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা নিম্নলিখিত:

  • সার্কিট ডিজাইন
  • সিস্টেম তত্ত্ব এবং বিশ্লেষণ প্রয়োগ করন
  • বৈদ্যুতিক স্কিম্যাটিক্স করন
  • তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ
  • কর্মক্ষম পরিকল্পনা প্রস্তুত
  • বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ
  • সরাসরি নির্মাণ কার্যক্রম এবং সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কী কী সরঞ্জাম ব্যবহার করেন?

ইলেকট্রিক্যাল প্রকৌশলীরা সংযোগ তৈরি করতে, ডায়াগনস্টিক চালাতে এবং সূক্ষ্ম সমন্বয় করতে তাদের সরঞ্জামগুলিতে নির্ভর করে। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা তাদের দায়িত্ব এবং কাজের পরিবেশের উপর নির্ভর করে কাটার, প্লেয়ার এবং ট্যুইজার এবং অন্যান্য আইটেম গুলির বিবিধ ভাণ্ডার রাখতে পারেন। যাইহোক, এগুলি কয়েকটি মূল সরঞ্জাম যা বৈদ্যুতিক সিস্টেমের বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত ব্যবহার করেন:

  • ফ্রিকোয়েন্সি ক্যালিব্রেটার এবং সিমুলেটর
  • অসিলোস্কোপ
  • সিগন্যাল জেনারেটর
  • ভোল্টেজ মিটার
  • অ্যামিটার
  • মাল্টিমিটার

একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কে কি কি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয় |

কম্পিউটার সফ্টওয়্যার, বৈদ্যুতিন সিস্টেম তৈরি এবং অনুকূলকরণে ইঞ্জিনিয়ারদের সহায়তা করে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ সফ্টওয়্যার গুলির মধ্যে রয়েছে:

  • সার্কিট ডায়াগ্রাম এবং বৈদ্যুতিক স্কিম্যাটিক্সের জন্য সিমুলেটর সফ্টওয়্যার  |
  • বিশ্লেষণ এবং ডিজাইন পরীক্ষার জন্য পাওয়ার সিস্টেম এবং সার্কিট সিমুলেটর সফ্টওয়্যার  |
  • কাজ, শ্রম এবং ব্যয় ট্র্যাক করার জন্য প্রকল্প পরিচালনার সফ্টওয়্যার |
  • ডিফারেনশিয়াল সমীকরণ, লিনিয়ার বীজগণিত এবং কার্ভ ফিটিং সহ অপারেশনগুলির জন্য কম্পিউটিং সফ্টওয়্যার |

পরিশেষে বলতে চাই উপরোক্ত জ্ঞান এবং দক্ষতা গুলো অর্জন করে একজন সৎ এবং নিষ্ঠাবান ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দেশ তথা সমাজের উপকারে আসতে পারলে প্রত্যেক ইঞ্জিনিয়ারের জীবন সফল হবে বলে আমি মনে করি |

 

 

লিখেছেন

মোঃ শফিকুল ইসলাম মিলন

ইন্সট্রাক্টর

ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট

Medical Textile-The Defense Guard During COVID-19

Medical Textile-The Defense Guard During COVID-19

Introduction:

Medical textiles are also known as Healthcare Textiles. Medical Textiles is one of the most rapidly expanding sectors in the technical textile market. Advanced medical textiles are significantly developing area because of their major expansion in such fields like wound healing and controlled release, bandaging and pressure garments, implantable devices as well as medical devices, and development of new intelligent textile products.

The consumption of Medical Textiles worldwide was 1.5 million tons in 2000 and is growing at an annual rate of 4.6%. The Indian market size of medical textiles was estimated to be INR 14.8 billion in 2003-04 and is expected to grow to INR 23.3 billion by 2007-08. Market is expected to grow by 8% p.a.

Impact of Medical Textile during Corona:

Medical textile are act nowadays as the defense guard during COVID-19 around the world.  have long been used in protective coverings, including gowns, coveralls, caps, and face coverings. In recent months, there has been much interest and activity from the healthcare industry, broader workforce, and general public regarding the use of protective coverings to reduce the risk of infection by the novel coronavirus (SARS-Cova-2). Consequently, there has been a sharp increase in demand for these products.

PPE has become a household term, but regulatory complexities and associated performance requirements are not commonly understood.  OSHA defines PPE as “equipment worn to minimize exposure to hazards that cause serious workplace injuries and illnesses. Especially within the context of disease transmission, it is important to note that PPE is designed to protect the wearer, not necessarily others who may come into close proximity to the wearer.

In addition to pore size, the number of available pores can be affected by a number of fabric, yarn and fiber characteristics. In general, fabric modifications that increase the number of pores, while making them smaller should improve filtration performance. For instance, simply by increasing the thread count of a fabric, the spaces between yarns — fabric interstices — will be increased in number while made smaller in size. This should improve filtration efficiency. However, breathability may be negatively impacted as seen in the study above, where an effective increase in fabric interstices is achieved by doubling the fabric layers.

The Medical Chart:

The Medical Textile Equipment’s used in situation of COVID-19:

Facemasks: Face masks are made with non-woven fabric, which has better bacteria filtration and air permeability while remaining less slippery than woven cloth.

PPE kit for Covid19: Personal Protective Equipment’s (PPEs) are protective gears designed to safeguard the health of workers by minimizing the exposure to a biological agent.

Gowns:  Gowns should cover the wearer’s back even when they bend over or sit. It considered as a very good medical textile equipment during this pandemic situation.

Coveralls: Coveralls can be worn in place of gowns. They provide better protection, but they also are more uncomfortable to most healthcare workers thanks to the added insulation.

Gloves: Nonsterile patient examination gloves can be used to treat coronavirus patients. These can include nitrile, natural, rubber, poly chloroprene, and vinyl gloves. Double gloving and extended length gloves are not considered necessary.

Eye protection:  This can be a face shield or goggles. Reusable goggles and shields should be cleaned and disinfected after every use, and disposable types should be thrown out after every use. This should be removed before leaving the patient care area.

 

Conclusion: Treatments and Health Monitoring provides comprehensive coverage on smart textiles, the emerging and important materials that are finding applications in the fields of medicine and healthcare.

References:

https://textilelearner.blogspot.com/2012/02/introduction-of-medical-textiles.html

https://www.textileworld.com/textile-world/features/2020/05/textiles-the-coronavirus-sars-cov-2/

https://textilevaluechain.in/2020/04/22/covid19-nonwovens-in-medical-textiles/

https://www.fashionatingworld.com/textile

https://www.technicaltextile.net/news/standard-textile-increases-production-of-ppe-for-covid-19-266184.html

https://www.elsevier.com/books/advances-in-smart-medical-textiles/langenhove/978-1-78242-379-9

http://textilefocus.com/covid-19-textiles-technology/

https://www.weforum.org/agenda/2020/08/how-the-textile-industry-can-help-countries-recover-from-covid-19/

https://www.magzter.com/article/Business/Textile-Value-Chain/Covid19-Nonwovens-In-Medical-Textiles

 

Writer: K. M. Fahim Istiaque

Instructor, Textile Engineering

Daffodil Polytechnic Institute

Bangladesh Skill Development Institute

 

আধুনিক যুগে আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন এর গুরুত্ব

– আধুনিক যুগে আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন এর গুরুত্ব –

 

আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাই

আধুনিকতার উৎকর্ষ সাধনের সাথে সাথে আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইনে মানুষের কর্মক্ষেত্রও বেড়েছে।
ক্যারিয়ারে সফলতা পেতে অনেকেই   এ কর্মক্ষেত্রেকে বেছে নিয়ে নিজের চিন্তাধারার বিকাশ ঘটাচ্ছেন এন্ড (and)
আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং হচ্ছে তেমনই একটি কর্মক্ষেত্র।

=>  Architecture and Interior Design,আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে লাইট,আসবাবপত্র,গৃহসজ্জা সামগ্রীর যথাযথ স্থানে ব্যবহারের মাধ্যমে বাড়ি, অফিস বা যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে আরো আকর্ষণীয় ও আরামদায়কভাবে উপস্থাপন করা। যিনি দক্ষতার সাথে উক্ত কাজগুলো করে থাকেন তিনিই হচ্ছেন একজন আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইনার।

মানুষ নিজের সৃষ্টিশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে আবাসস্থল ও অফিস-আদালত,হাসপাতাল, বিদ্যালয় থেকে শুরু করে সব কিছুরই সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চায়। আবাসস্থলের দরজা, জানালা, মেঝে, আসবাবপত্র, পর্দাটা কোমন হবে সে হিসাবটাও করে দেন একজন আর্কিটেক্ট ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। মোটকথায় বলা চলে স্থাপনার ভিতরের ও বাহিরের দেওয়ালের রঙ,সঠিক আসবাবপত্রের ডিজাইন ও রঙে থেকে শুরু করে স্বল্প জায়গাকে কীভাবে বেশী করে ব্যবহার করা যায়, সেসকল যাবতীয় ডিজাইন ও সঠিক বাস্তবায়ন করাটাই একজন আর্কিটেক্ট ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের কাজ।

=>আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন(Architecture and Interior Design) থেকে পাশকৃত শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষেত্রঃ নিজেদেরকে এ ক্ষেত্রটির সাথে যুক্ত করে বর্তমান সময়ের তরুণ-তরূণীরা গড়ে তুলছে একটি সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার।

সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার – আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাই

রিয়েল এস্টেট
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম
ইন্টেরিয়র ডিজাইন ফার্ম এ বর্তমানে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের ব্যাপক চাহিদা।

এছাড়াও সরকারি বিভিন্ন সংস্থা,  যেমন-
গণপূর্ত
স্থাপত্য অধিদপ্তর
রাজউক
কেডিএ
সিডিএ
আরডিএ
বিডিএ
এলজিইডি

সিটি করপোরেশন সহ যেকোন নির্মাণ মূখী চাকুরীর ক্ষেত্রে আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন বিভাগ থেকে পাশকৃত শিক্ষার্থীদের ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে যেখানে রয়েছে কর্মনির্ভর সম্মানী।

তাছাড়া বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে একজন আর্কিটেক্ট ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের ব্যাপক জনপ্রিয়তা।সর্বোপরি বলা যায়, আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন বহির্বিশ্ব ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

লিমা আক্তার
জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর
আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন টেকনোলজি
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

ইতিহাস পিছু টানে

ইতিহাস পিছু টানে

অতীব পরিতাপের বিষয় আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস বা অন্যান্য শিল্প মাধ্যমে অত্র অঞ্চলের দাসত্বের স্বরূপ ও পরিধি নিয়ে কোন উল্লেখযোগ্য কাজ, গবেষণা হয়নি যদিও এই জনপদে দাসপ্রথার প্রচলন ছিল এবং আমাদের সমাজ ও অর্থনীতিতে তাদের ব্যাপক ভূমিকা ছিল। ১৯ শতকের ঢাকা শহরে দাসত্বের প্রকৃতি, পরিমাণ ও বিস্তৃতি শিল্পীর নিখুঁত তুলির আঁচড়ে বিশদভাবে অঙ্কিত হয়েছে জেমস টেইলরের ১৮৪০ সালে প্রকাশিত ‘A Sketch of the Topgraphy and Statistics of Dacca’ গবেষণাধর্মী বইটিতে। বাংলাদেশ আর্কাইভের নথির রেকর্ড অনুযায়ী জেমস টেইলর ছিলেন ঢাকাতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে একজন শল্য চিকিৎসক। উপমহাদেশে ইংরেজ আগমনের বহু আগে থেকেই এখানে দাসত্ব প্রচলিত ছিল। আমাদের পূর্বপুরুষের ইতিহাসের পাতায় দাসত্বের ছাপ লেগে আছে কারণ ঢাকা ছিল একসময়ের দাস ব্যবসার কেন্দ্র। তখন আরব, পূর্ব আফ্রিকা, পারস্য উপসাগর, মৌরিতাস, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে দাস ব্যবসার সম্পর্ক ছিল। এরপর ইংরেজরা ক্ষমতায় এসে দাস ব্যবসাকে বৈধতা দেয় এবং নিজেরাও দাস ব্যবসার সাথে যুক্ত হয়। যেমন গভর্নর জেনারেল লর্ড অকল্যান্ড দাসপ্রথা বিধি-মোতাবেক বাতিল করার বিরোধিতা করে বলেন, “দাস ব্যবস্থায় মালিক এবং দাস উভয় পক্ষেরই সুবিধা আছে।” এমনকি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এবং আন্দোলন সংগ্রামের পর দাসপ্রথা বিলোপ আইন ১৮৪৩ “Act-V” পাশের শতবছর পরেও ব্রিটিশ শাসিত ভারতীয় উপনিবেশে প্রায় ৫লাখ ক্রীতদাস বিদ্যমান ছিল। শাসকশ্রেণী আফ্রিকা থেকে কাফ্রি, হাবশি দাস এনেছিল এই বাংলায় যাদের বেশিরভাগ ছিল যুদ্ধবন্দী, অপহৃত শিশু, আদিবাসী বা দরিদ্র শ্রেণির মানুষ। দরিদ্র মানুষ অনেক সময় পেটে ভাতে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার তাগিদে নিজেকে বেচে দিয়েছিল।

এই বাংলায় সাধারণত দুই ধরণের দাস ছিল যথা কৃষিনির্ভর দাস যারা মালিকের জমিতে কৃষি কাজের সাথে-সাথে পশুপালনের কাজ করত। আরেক শ্রেণির দাস জমিদারের পাহারাদার। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি স্টেট ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক ইন্দ্রাণী চ্যাটার্জি তার Gender, Slavery and Law in Colonial India বইতে লিখেছেন, ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার কলোনিতে দক্ষ অদক্ষ দুই শ্রেণির দাস ছিল। দাসদের কাজ কী সেটা নির্ভর করত মালিকের সম্পদ, পেশা, সামাজিক মর্যাদার উপর। দাসদের বয়স, লিঙ্গ এবং দক্ষতার উপরও নির্ভর করছে তাদের কাজের ধরণ কেমন হবে। নারীদাস সাধারণত মালিকের বাড়িতে গৃহস্থালির কাজ, ফসল মাড়াই করা, মালিকের বাড়ির শিশুদের দেখভাল করত। তারা অনেক ক্ষেত্রে মালিকের রক্ষিতা হয়ে থাকত, পতিতালয়ে ঠাই হয়েছে অনেকের। খোজা করা পুরুষ দাস এবং রক্ষিতা তৎকালীন সামন্ত রাজা জমিদারদের মনোরঞ্জন করে, লাঠিয়াল বাহিনীতে কাজ করে সমাজে বিভিন্ন ভূমিকা রাখত। কিছু দাসদের আবার নিজস্ব দাস ছিল। দাসদের সংখ্যার পরিমাণ, তাদের দক্ষতা তৎকালীন মালিকদের সামাজিক মর্যাদার প্রতীক এবং মালিকের সম্পদ হিসেবে বিবেচিত ছিল।

১৮৭০ সাল থেকে ব্রিটেনে দাসপ্রথা

১৮৭০ সাল থেকে ব্রিটেনে দাসপ্রথা বিলোপের জোরালো আন্দোলন গড়ে ওঠে, তার জোরালে ঢেউয়ের আঘাত লাগে ভারতের মাটিতেও। আন্দোলনের মুখে ব্রিটেন দাস ব্যবসা থেকে সরে আসলেও তারা দাসপ্রথা ও ব্যবসা বন্ধ না করে বরং স্থানীয়দের দিয়ে পরোক্ষ দাসপ্রথা চালিয়ে যায়। ব্রিটিশ উপনিবেশিক অফিসারদের স্বীকারোক্তি থেকেই জানা যায় কেউ যদি অত্যাচার না করে দাসদের স্বাধীনতা ও অধিকার দিয়ে দাস রাখতে চায় তাহলে সেক্ষেত্রে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। উপনিবেশের শাসক লর্ড কর্নওয়ালিস পর্তুগিজ বা ফ্রান্সের সেটেলারদের জন্য দাসপ্রথা বিলোপ করলেন না, এটার পিছনেও গভীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। বহির্বিশ্ব এবং স্থানীয়দের দেখানো যে ব্রিটেন দাসপ্রথার সমর্থক নয়, তারা ভারতে গৃহকর্মে দাস ব্যবহার করে না। ব্রিটিশ সরকার রায় দেয় যে দাসদের সামাজিক অধিকার নিশ্চিত করে যে কেউ দাস রাখতে পারবে। সেক্ষেত্রে দাস চাইলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন এবং রয়েল হিস্ট্রিক্যাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট এবং ব্রিটিশ কলোনির ইতিহাস বিশ্লেষক মরগান ফিন বলছেন যে, দাসপ্রথা বিলুপ্ত না করে দাসপ্রথা থেকে দূরে সরে গিয়ে ব্রিটেন দাসপ্রথার নির্মমতার নৈতিক দায় এড়াতে পারে না। কারণ দাসপ্রথা বিলুপ্ত না করে দূরে থেকেও ব্রিটেন কার্যত প্রকারান্তরে স্থানীয় দাস মালিকদের পৃষ্ঠপোষকতা করে গেছে।

ডাক্তার জেমস টেইলরের মতে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোর তুলনায় ঢাকা এবং আশেপাশের জেলাগুলোতে দাসত্ব বিস্তৃত পরিসরে বিদ্যমান ছিল কারণ এই অঞ্চলের খরা, বন্যা, নদী-ভাঙনের মত নিয়মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত মানুষ অসহায় ও গৃহহীন হয়ে পড়ত প্রতিবছর। সেই সঙ্গে হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে একসঙ্গে অনেক মানুষ হারিয়ে ফেলত তাদের জীবিকার শেষ সম্বল, বসতভিটা। ফলে জীবনের তাগিদে তাদেরকে বেছে নিতে হতো স্বেচ্ছা শ্রম যাতে হয়ত জুটত অন্নের সংস্থান। একসময়ের স্বাধীন জীবিকার অধিকারী মানুষগুলো প্রকৃতির নিষ্ঠুর খেলায় এক নিমিষে তাদের পূর্বপুরুষের ভিটেমাটির মায়া ত্যাগ করে অনিশ্চয়তার কাছে নিজেদের সঁপে দিয়ে পাড়ি জমালো শহরে এবং স্থান হলো রেললাইনের বস্তিতে এবং এই ছিন্নমূল মানুষের নতুন নাম হলো চাকর। তখনকার দিনে হিন্দু পুরুষ চাকরের নাম ছিল ভাণ্ডারী বা ক্রীতদাস আর মুসলমান পুরুষ চাকরের পরিচয় গোলাম বা নফর। নারীদের ক্ষেত্রে হিন্দু মুসলিম ভেদে দাসী ও বান্দি নামে ডাকা হতো। শহরের হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই গৃহকর্মের জন্য দাসীবাঁদী ছিল। মুসলিম পরিবারে তারা গৃহস্থালি কাজের পাশাপাশি রান্নার কাজে সাহায্য করত কিন্তু হিন্দু বাড়িতে শুধু গৃহস্থালি কাজই তারা করতে পারতো।

Map of Dhaka (1840). Source: ‘A Sketch of the Topgraphy and Statistics of Dacca’ by James Taylor

পুরুষ দাসদের নিয়োগ

পুরুষ দাসদের নিয়োগ করা হতো কৃষি এবং চাষাবাদের যাবতীয় কঠোর শারীরিক পরিশ্রমের কাজে। লাঙল দিয়ে জমি চাষ, ক্ষেত নিড়ানো, আগাছা পরিষ্কার করা, জমি ঠিক করা, মাছ ধরা, কাঠ কাটা, গবাদিপশুর জন্য ঘাসবিচালি কাটা, পশু লালনপালন করা, ফসল মাড়াই করে গোলা ভর্তি করা ছিল তাদের কাজ। এছাড়াও এঁটো থালাবাসন মাজা, নদী থেকে খাবার পানি আনা, মনিবের জন্য হুক্কা এবং পান সাজানো তাদের অন্যতম কাজ। ভাণ্ডারী বা গোলামের মালিক আশেপাশের ছয় সাতটা দাসীবাঁদীদের সাথে তাদের বিয়ে দিতো যাতে তাদেরকে রক্ষিতা হিসেবে ব্যবহার করা যায়। বিয়ে হলেও দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হতো মালিকের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে। বিয়ের খরচাপাতি দাসের মালিকই বহন করত কিন্তু এই সাজানো বিয়েতে নারীদের কোন লাভ ছিল না বরং নারীদের যথাসম্বল জমানো টাকা খরচ করে বিয়ের ব্যয় নির্বাহ করা হতো এবং কিছু অর্থের মালিক হয়ে যেত দাস পুরুষটি।

একজন পুরুষ দাসের সর্বোচ্চ বাজার দর ছিল বর্তমানের হিসেবে ১৫০ রুপি এবং নারী দাসীর দাম ১০০ রুপি। নারী দাসীদের কেনা হতো সাধারণত ছোট বয়সে এবং তাদের নিয়োগ দেয়া হতো মনিবের কন্যা, স্ত্রীর সেবা করার জন্য। আমেরিকার ক্রীতদাসদের থেকে ঢাকার ক্রীতদাসের ভাগ্য মনে হয় একটু প্রসন্ন। দাসদের সাথে মোটামুটি ভালো ব্যবহার করত মনিব যদিও সেটা নির্ভর করত মনিবের মেজাজ মর্জির উপর। নারী দাসীদের কাজ খুব বেশি শ্রমসাধ্য ছিল না বরং শারীরিক পরিশ্রমের কাজের জন্য আলাদা দিন মজুর ভাড়া নিত মনিব, মৌখিক বা শারীরিক আঘাত বা নির্যাতন কমবেশি ছিল। তবুও এখানের ক্রীতদাসরা যথেষ্ট স্বাধীনতা, সামাজিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করতেন। তারাও মনিবের পরিবারের সাথে খাবার খেতে পারত এমনকি পান তামাকের মত তৎকালীন বিলাস দ্রব্যেও তাদের অধিকার ছিল। অনেক ক্রীতদাসের জন্ম হয়েছিল মনিবের বাড়িতে থেকেই অর্থাৎ জন্মসূত্রেই তারা ছিল দাস কিন্তু তারা মনিবের বাড়িতে তাদের ছেলেমেয়েদের সাথে পড়ালেখা করতে পারতো।

দাস হিসেবে মানুষ কেনাবেচার প্রচলন আধুনিক সময়ে আর নাই। কিন্তু অতীতে ছিল, এই তো কিছুদিন আগেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মানুষের জীবন দাস হিসেবে হাতবদল ঘটত। পূর্বে জমিজমা সম্পত্তির সাথে দাস বিক্রিও চলত, ছিল জমি এবং দাসের জন্য আলাদা দলিল। বর্তমান অর্থের হিসেবে তখন একজন দাসের সর্বোচ্চ বিনিময় মূল্য ছিল মাত্র ১৫০ রুপির কাছাকাছি আর নারী দাসীর মূল্য মাত্র ১০০ রুপি। ভাগ্য ভালো হলে নারীদের স্থান হতো মনিবের অন্দরমহলে কিন্তু এমন সৌভাগ্য তো সবার ভাগ্যে জোটে না। সুতরাং বেশিরভাগ নারীদের স্থান হতো শহরের বেশ্যালয়ে পুরুষদের মনোরঞ্জনের জন্য। এই অঞ্চলের দাসদের মানবিক কিছু সুযোগ সুবিধা ছিল যেমন মনিব শারীরিক প্রহার করলে সরকারের কাছে সুরক্ষার জন্য আবেদন করতে পারতো। বিচারকের কাছে নালিশ দিয়ে যারা মুক্ত হয়ে যেতো তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়তে লাগল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। যেমন ময়মনসিংহের কয়েকটি গ্রামে জড়ো হয়ে গোষ্ঠীবদ্ধভাবে বাস করতে থাকে কিছু সদ্য মুক্ত দাস। মুক্ত দাসরাই পরে রায়ত, জমিদার, সামন্ত রাজাদের কেরানি হয়, খাজনা সংগ্রহ করে, পাইক পেয়াদায় পরিণত হয় এবং তারা সমাজে কায়স্থ হিসেবে পরিচিতি পায়।

১৮৪৩ সালের দাসপ্রথা

১৮৪৩ সালের দাসপ্রথা সংশোধন আইন পাশ হলেও বাংলা থেকে পরিপূর্ণভাবে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হতে শতবছর সময় লেগেছে। ১৮৪৩ সালের “Act-V” আইনটি দাসত্ব বিলোপ না করলেও দাস এবং মুক্ত মানুষের মানুষের মধ্যে ব্যবধান দূর করতে সাহায্য করেছিল। আফ্রিকা থেকে নতুন দাস আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। তারপরেও প্রায় ২০শতকের শুরুর দিকে পর্যন্ত স্বল্প পরিসরে দাসত্বের চর্চা সমাজে বিদ্যমান ছিল। হয়ত মাত্র কয়েক প্রজন্ম আগেও আমাদের পূর্ব প্রজন্ম বাধ্য-শ্রমে নিযুক্ত ছিল, কিন্তু আমাদের পাঠ্যপুস্তকে, ইতিহাসের পাতায়, সাহিত্য সংস্কৃতিতে এমনকি অন্য কোন শিল্প মাধ্যমে সেই অমানবিক নিষ্ঠুরতার কোন উল্লেখ নাই। বাংলার ক্রীতদাসের অতীত কালো অধ্যায়ের সঠিক ইতিহাস পঠন পাঠন এখন সময়ের দাবী, কারণ আমেরিকা, ইউরোপে কিছুদিন আগের বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে একদল মানুষ ভেঙে ফেলেছে যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টলে দাস ব্যবসায়ী এডওয়ার্ড ক্লস্টনের স্ট্যাচু। ব্রিস্টলের মেয়র এই ঘটনাকে ‘দুঃসাহসী’ হিসেবে আখ্যা দেন। আমাদের মুক্ত আলো বাতাসে বেড়ে ওঠা সন্তানদের স্কুল কলেজের পাঠ্যপুস্তকে বাংলার দাস ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করে তাদেরকে জানানো উচিৎ কেমন ছিল পূর্ব-প্রজন্মের সামাজিক অবস্থা ও ব্যবস্থা। কেউ কেউ বলতে পারে এই বাংলায় দাসপ্রথা সামান্য মাত্রায় বিরাজিত ছিল, তারা সুবিধা বঞ্চিত, তারা দারিদ্র্যের কষাঘাতে নিজেদের বেচতে বাধ্য হয়েছিল, তবুও তাদের সন্তানরাও আইনি সুরক্ষা পেয়েছিল। কিন্তু ইতিহাস যাই হোক তার সঠিক এবং নির্মোহ পাঠ যদি আমাদের সন্তানদের নিশ্চিত করতে না পারি তাহলে ভবিষ্যতে জন্ম নেবে শিকড় বিচ্ছিন্ন প্রজন্ম।

 

লেখক: 

মোঃ আব্দুল্লা-আল-মামুন রুপম

ইন্সট্রাকটর, ইলেকট্রিক্যাল

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

ফ্রেশারদের চাকুরীর প্রস্তুতি

ফ্রেশারদের চাকুরীর প্রস্তুতিঃ [পর্ব ২]

চাকুরীর জন্য সিভি মেইল করার খুটিনাটি

 

চাকুরীদাতা তার চাকুরীর বিজ্ঞাপনে প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ্য করার পর সাধারনত একটি ইমেইল এড্রেস দিয়ে থাকেন যাতে আগ্রহী প্রাথীগন উক্ত ইমেইল এড্রেস এর মাধ্যমে চাকুরীর জন্য আবেদন করতে পারেন। ইমেইলে চাকুরীর জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে কিছু মৌলিক বিষয়ে আপনার জ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরী। চলুন এই পর্বে জেনে আসি সেইসব মৌলিক বিষয়গুলো ফ্রেশারদের চাকুরীর প্রস্তুতি।

১) “To” তে চাকুরীদাতার ইমেইলঃ
ইমেইলের “To” এর ঘরে চাকুরীর বিজ্ঞাপনে দেয়া ইমেইল এড্রেসটি লিখতে হবে। “To” তে যার মেইল এড্রেসটি দেয়া হয় তিনি হচ্ছেন প্রকৃত প্রাপক বা যাকে মেইলটা লেখা হয়েছে।

এছাড়া আরো দুটি অপশন রয়েছে, “Cc” এবং “Bcc”।
Cc এর পূর্ণরূপ Carbon Copy। প্রকৃত প্রাপক ছাড়া যাদের জানা দরকার যে মেইলটি পাঠানো হয়েছে অথবা মেইলের বিষয়বস্তুর সাথে যারা সম্পর্কিত এমন ব্যাক্তিদের ইমেইল এড্রেসগুলো থাকবে “Cc” তে। উল্লেখ্য যে “To” এবং “Cc” তে যাদের ইমেইল এড্রেস থাকবে মেইলটি পাওয়ার পর তারা প্রত্যেকে “To” তে থাকা ইমেইল এড্রেসগুলো দেখতে পাবে পাশাপাশি “Cc” তে থাকা ইমেইল এড্রেসগুলোও দেখতে পাবে।

এবার আসি “Bcc” তে। Bcc এর পূর্ণরূপ Blind Carbon Copy। “Bcc” তে যাদের ইমেইল এড্রেস রাখা হয় তারা প্রত্যেকেই মেইলটি পান তবে “Bcc” তে তার পাশাপাশি অন্য যাদের ইমেল এড্রেস রাখা হয়েছে সেটা তাদের কাছে গোপন থাকে।

“Cc” এবং “Bcc” সাধারনত কর্পোরেট কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সিভি মেইল করার জন্য সাধারনত আমরা শুধুমাত্র “To” অপশনই ব্যবহার করি। 

২) সাবজেক্টঃ
অনেকে ইমেইলের সাবজেক্ট না লিখেই ইমেইলটি পাঠিয়ে দেন। এটি অত্যন্ত বড় একটি ভুল। ইমেইলের বিষয়বস্তু অল্প কথায় ইমেইল সাবজেক্ট এ লিখতে হবে যাতে করে প্রাপক খুব সহজেই পুরো মেইলটি পড়ার আগেই মেইল এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারনা পান।

উদাহরনঃ
ধরুন আপনি কোন চাকুরীর বিজ্ঞাপনে দেখলেন যে কোন কোম্পানি প্রোডাকশন অফিসার পদে কিছু সংখ্যক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দিবে। সেক্ষেত্রে উক্ত চাকুরীর আবেদন করতে ইমেইলের সাবজেক্ট এ লিখতে হবে “Applying for the post of “Production Officer”.

৩) ইমেইল বডিঃ
চাকুরীর আবেদনের ক্ষেত্রে ইমেইলের বডিতে কভার লেটার লিখতে হয়। চাকুরীর বিজ্ঞাপনে উল্লেখ্যিত পদে নিয়োগের জন্য আবেদনপত্রকেই কভার লেটার বলা হয়। একটি কভার লেটারে মূলত তিনটি অংশ থাকে:ক) Introduction (প্রথম অংশ)
‘Dear Sir/Mam’ সম্বোধন ব্যবহার না করে ‘Dear Concern/Hiring Official’ দিয়ে কভার লেটার শুরু করুন। এই অংশে অল্প কথায় কোন পদের জন্য আবেদন করছেন? নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে কীভাবে জানলেন? উল্লেখ্যিত পদে কাজ করার জন্য আপনি কেন আগ্রহী? এই তিনটি বিষয় লিখুন।

খ) Body (মূল অংশ)
চাকুরীর বিজ্ঞাপনে উল্লেখ্যিত পদের জন্য আপনি কী কারণে যোগ্য, যে পদের জন্য আপনি আবেদন করছেন, তার সাথে আপনার যোগ্যতা কীভাবে সম্পর্কিত এই অংশে তা অল্প ও স্পষ্ট ভাষায় ব্যাখ্যা করুন।

গ) Closing (শেষ অংশ)
সিভির সাথে সংযুক্ত আপনার সিভিটি দেখার অনুরোধ করে ইন্টারভিউর জন্য আপনার আগ্রহ এবং নিয়োগকারী কীভাবে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন, তা উল্লেখ করুন শেষ অংশে।

ইন্টারনেটে প্রচুর কভার লেটার স্যাম্পল পাওয়া যায়। এমন কিছু ওয়েবসাইট হলো রেজ্যুমে জিনিয়াস (resumegenius.com), হাডসন (hudson.com), জবস্ক্যান (jobscan.com) ইত্যাদি।

৪) সিগনেচারঃ
ফ্রেশাররা ইমেইলের শেষে নিজের নাম, সর্বশেষ ডিগ্রি, ইউনিভার্সিটি/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ইমেল ইত্যাদি উল্লেখ্য করুন এই অংশে। যারা চাকুরীজীবি তারা নিজের নাম, বর্তমান পদের নাম, বর্তমান কোম্পানির নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ইমেল ইত্যাদি উল্লেখ্য করুন

৫) এটাচমেন্টঃ
সর্বশেষে এটাচমেন্ট বাটনে ক্লিক করে আপনার সিভির সফট কপি মেইলে সংযুক্ত করুন। সিভি অবশ্যই পিডিএফ ফর্মেটে সংযুক্ত করবেন। বর্তমানে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডেই পিডিএফ বানানো যায় তারপরেও যদি সম্ভব না হয় অনলাইনে ফাইল কনভার্ট করা সম্ভব। সিভির ফাইলের নাম যাতে নিজের পূর্ন নাম হয় সেটা লক্ষ্য রাখুন।
যেকোন চাকুরীর আবেদন নিজের মেইল থেকে করুন। যে মেইল থেকে আবেদন করবেন তার গুগুল একাউন্ট প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আপডেট করুন। গুগুল একাউন্টে আপনার পূর্ন নাম এবং একটি ফরমাল প্রোফাইল পিকচার সংযুক্ত করুন। সর্বশেষে যা বলতে হয় তা হল বানানের ক্ষেত্রে অবশ্যই মনোযোগী এবং সতর্ক থাকবেন।

আজ এই পর্যন্তই।
আমন্ত্রন থাকল পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য। আগামী পর্বে থাকছে চাকুরীর ইন্টারভিউতে কেমন হওয়া উচিত আপনার পোশাক

 লেখক: মোঃ জায়েদুল হক, ইন্সট্রাকটর,

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট