যুগের পেক্ষাপটে উন্নত এবং চাহিদা পূর্ণ ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্য যদি হয় Freelancer হবার তাহলে –
- কিভাবে শুরু করব-
- Freelancer এর কাজ কি-
- কোথায় কাজ পাওয়া যায়-
- কিভাবে কাজ করতে হয়-
একের পর এক প্রশ্ন আসতেই থাকে-
বর্তমান সময়ে গতানুগতিক চাকুরীর বাইরে নিজের ইচ্ছামত কাজ করে অর্থ উপার্জনের আলোচিত এবং জনপ্রিয় একটি পেশা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং।
ফ্রিল্যান্সার হচ্ছে মুক্ত বা স্বাধীনচেতার এমন একজন ব্যক্তি -যিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে নিজ দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন। এখানে তার কাজের কোনো নির্দ্দিষ্ট পারিশ্রমিক নাও থাকতে পারে, আবার ফুল টাইম বা পার্ট টাইম এ বিষযটি নির্দ্দিষ্ট নাও হতে পারে।
ইন্টারনেটের কল্যানে এখন আপনি খুব সহজেই একজন ভালো ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন । একজন ফ্রিল্যান্সার তার নিজের ইচ্ছা পচ্ছন্দমত স্বাধীনতাভাবে বিভিন্ন ধরনের কাজ বাছাই এবং পারিশ্রমিক মূল্যে নিজেই নির্ধারন করতে পারেন, এক্ষেত্রে কেউ তাকে জোর করে কোনো কাজ চাপিয়ে এবং পারিশ্রমিক মূল্যে নির্ধারন করে দিতে পারেন না।
এছাড়াও একজন ফ্রিল্যান্সার নিজেই কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে, কোন সময়ে কাজ করবে তা তার নিজেরই নির্ধারনে স্বাধীনতা রয়েছে।
এককথায়, একজন ফ্রিল্যান্সার নিজেই তার কাজের ছক অংকন করে এবং নিজেই সেটি পরিচালনা করে থাকে।
ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে কি কি লাগে?
১। আপনার নিজস্ব একটি কম্পিউটার থাকতে হবে।
২। কম্পিউটার চালানোর বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে এবং ইন্টারনেট চালানোর দক্ষতা থাকতে হবে।
৩। ইংলিশে যোগাযোগ করার মত ইংলিশ জানতে হবে।
মোটামুটি এই তিনটি বিষয় আপনার থাকলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার উপযোগী।
আয়ের দিক থেকেও অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং এ রয়েছে অভাবনীয় সম্ভাবনা। এখানে প্রতি মূহুর্তে নতুন নতুন কাজ আসছে। প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েবসাইট, ডিজিটলি মার্কেটিং, ডেটা সায়েন্স এবং অ্যানালিটিক্স, রাইটিং এবং ট্রান্সলেশন, গেম, 3D এনিমেশন, প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, সফ্টওয়্যার বাগ টেস্টিং, ডাটা ,এন্ট্রি আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি-এর যেকোন এক বা একাধিক ক্ষেত্রে আপনি সফলভাবে নিজেকে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরি করে নিতে পারেন।
ইন্টারনেটে অনেকগুলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেয় যাদেরকে বলা হয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। এগুলো থেকে যেকোন একটিতে রেজিস্ট্রিশনের মাধ্যমে আপনি শুরু করতে পারেন। এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ জমা দেয় তাদেরকে বলা হয় Buyer বা Client এবং যারা এই কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় freelancer বা Service Provider. একটি কাজের জন্য অসংখ্য ফ্রিল্যান্সরা Bid বা আবেদন করে এবং ওই কাজটি কত টাকায় সম্পন্ন করতে পারবে তা উল্লেখ করে। এদের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করতে পারে। সাধারণত পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ এবং বিড করার সময় ফ্রিল্যান্সরের মন্তব্য ফ্রিল্যান্সর নির্বাচন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফ্রিল্যান্সর নির্বাচন করার পর ক্লায়েন্ট কাজের সম্পূর্ণ টাকা ওই সাইটগুলোতে জমা করে দেয়। এর মাধ্যমে কাজ শেষ হবার পর সাথে সাথে টাকা পাবার নিশ্চয়তা থাকে। পুরো সার্ভিসের জন্য ফ্রিল্যান্সরকে কাজের একটা নির্দিষ্ট অংশ ওই সাইটকে ফি বা কমিশন হিসেবে দিতে হয়। কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হচ্ছে:
ফ্রিল্যান্সার www.freelancer.com
আপওয়ার্ক www.upwork.com
পিপল পার আওয়ার www.peopleperhour.com
ফাইবার www.fiverr.com
গুরু www.guru.com
নাইন্টিনাইন ডিজাইনস www.99designs.com
জুমল্যান্সার www.joomlancers.com
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার স্টেপ গুলো কি?
১। মাইন্ড সেটআপ করা
২। নির্দিস্ট একটি বিষয় বাছাই করা
৩। বিষয়টি সম্পর্কে প্রশিক্ষন নেয়া
৪। প্রশিক্ষনের পর কয়েকটি প্রজেক্ট প্রাক্টিস করা
৫। নিজের জন্য পোর্টফোলিও তৈরী করা
৬। মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানা
৭। মার্কেটপ্লেসে অ্যাাকাউন্ট তৈরি করা ও বিড করা
৮। বায়ারের চাহিদা অনু্যায়ী কাজ করে দেওয়া এবং জমা দেওয়া
৯। মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা ঊঠানো
দরকার নেই বাধাধরা সময়ের চাকুরি, দরকার নেই কর্পোরেট রোবট হবার! নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে আউটসোর্সিং করেই কিন্তু সুন্দর একটা ভবিষ্যত পাওয়া সম্ভব!
=================
Mst. Sathi Akter
Instructor of Computer Technology