তথ্যের সাথে আমি কি সংযোগ তৈরি করতে পারছি?

তথ্যের সাথে আমি কি সংযোগ তৈরি করতে পারছি?

জীবনে শেখার কোন শেষ নেই। আমরা সবাই শিখছি, কেউ হয়তো লিংকডইন থেকে বা হয়তো ফেসবুক থেকেও শিখছি। কিন্তু আমাদের সাথে অগ্রগামী মানুষেদের কিছুটা পার্থক্য আছে। তারা সবসময় যেকোন কিছু দেখে বা কারো সাথে আলোচনা করে যা শিখলেন সেটা তার ব্যক্তিগত এজেন্ডা বা ইচ্ছা বা সখের সাথে সংযোগ তৈরি করেন। যে সংযোগটিই আসলে তাকে তার ক্যারিয়ারের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে সাহায্য করে। আজ সকালে আমি একটি ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশগ্রহন করি। মিটিংটি পরিচালনা করছিলেন ড্যাফোডিল পরিবারের সম্মানিত চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান। মিটিংয়ের কোন একটি পর্যায়ে তিনি একটি বিষয় আমাদের সকলের সামনে নিয়ে আসলেন। কোন একটি প্রশ্নে উনাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল আপনার প্রতিদিনের সকাল শুরু হয় কিভাবে? উত্তরটিতে আমি যে এতোখানি চমকিত হবো সেটা আমি নিজেই বুঝতে পারি নি। তিনি বললেন প্রতিদিন সকাল শুরু হয় জাতীয় দৈনিক পড়ে। কখনও কাগজের মাধ্যমে পড়েন, কখনও হয়তো প্রযুক্তির মাধ্যমে পড়েন। এই অভ্যাসটির কারনে উনার পক্ষে সম্ভব হয় সারবিশ্বের তথ্য সংগ্রহের। যে তথ্যগুলোকেই তিনি সংযোগ ঘটান উনার ক্যারিয়ার এজেন্ডার সাথে এবং এটি ছাত্রজীবন থেকেই তিনি অনুশীলন করে আসছেন। কিন্তু আমার চমকিত হবার কারনটি আমি এই লেখাটির শেষের দিকে উল্লেখ করেছি।

সংবাদপত্র আমাদেরকে সমৃদ্ধ করে তথ্য এবং সাধারণ জ্ঞান সরবরাহ করবার মাধ্যমে। একটি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, খেলাধুলা, বিনোদন, বাণিজ্য, মানবিকতা, সামাজিক দায়িত্ববোধ সম্পর্কে জানতে পারি সংবাদপত্রের মাধ্যমে। পৃথিবীর প্রায় সকল সফল ব্যক্তিরাই সংবাদপত্র পড়ার অভ্যাসকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন। নিঃসন্দেহে এই অভ্যাসটি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রশস্ত করবে এবং আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে। বিষয়টি হয়তো খুবই সাধারন মনে হবে অনেকের কাছে কারন আমরাও কোন না কোন উপায়ে খবরের কাগজ পড়ি কিন্তু আমাদের পড়াটা সীমাবদ্ধ থাকে আমাদের পছন্দনীয় বিষয়ের মধ্যে এবং শুধুমাত্র জানবার নিমিত্তে। সংযোগ তৈরি করবার জায়গায় আমরা হয়তো অনেকেই ব্যর্থ হই।

আমাদের প্রত্যেকের নিজস্ব একটি পছন্দনীয় ক্ষেত্র আছে। যেখানে আমরা স্বাচ্ছন্দবোধ করি কাজ করতে বা আগ্রহী কাজ করবার জন্য। এখন এই আগ্রহের জায়গা আরো বেশী দৃঢ় হয় যখন আমরা আত্মবিশ্বাসী হই। কিন্তু আমরা অনেকেই আত্মবিশ্বাসের জায়হায় হোচট খাই। কিন্তু কেন? আত্মবিশ্বাসের জন্য ক্যারিয়ার পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। কিন্তু সমস্যা হলো পরিকল্পনা আমরা কোনদিনই করতে সক্ষম হবো না যদি না আমার কাছে সঠিক তথ্য থাকে। আমার কাছে মনে হয় এখানে একটি ৩৬০ ডিগ্রী মডেল হতে পারে। যেমনঃ

আমরা প্রত্যেকেই পড়ছি। সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, ব্লগ, আর্টিক্যাল, বই বিভিন্ন উপায়ে পড়ছি কিন্তু সংযোগ ঘটাতে পারছি না। আর সংযোগ ঘটাতে না পারার কারনে উপরের যে ৩৬০ ডিগ্রী মডেলের কথা উল্লেখ করলাম সেটি পরিপূর্ন হচ্ছে না।

বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন টিপস এবং টেকনিক ইতিমধ্যেই দিয়েছেন যে কিভাবে পড়লে ক্যারিয়ারের জন্য ৩৬০ মডেল তৈরি করা সম্ভব হবে। আমার খুব ভালো লাগছে একটি বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যেটি হয়তো অনেকেই চাইলে সহানুভূতি বা Empathy সাথে তুলনা করতে পারেন। ড্যাফোডিল পরিবারের সম্মানিত চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান তার ব্যক্তিগত চরম ব্যস্ততার মাঝেও শুধুমাত্র ছাত্র ছাত্রী, সদ্য গ্র্যাজুয়েট, প্রফেশনাল বা উদ্যোক্তাদের জন্য ২১টি লেকচারের একটি কোর্স তৈরি করেছেন এবং আপলোড হয়েছে GoEdu.ac লার্নিং পোর্টালে এবং সকলের জ্ঞান অর্জনের জন্য এটি সম্পূর্ন কমপ্লিমেন্টরী সেবা উনার পক্ষ থেকে। এই লিংকের Click Here মাধ্যমে প্রবেশ করে আপনারা চাইলেই কোর্সটিতে অংশগ্রহন করতে পারেন এবং জেনে নিতে কিভাবে পড়লে আপনিও তথ্যের সাথে নিজের ক্যারিয়ারে সংযোগ ঘটাতে পারবেন।

বন্ধুরা আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বস করি জীবনে শেখার কোন শেষ নেই। প্রতি মুহুর্তে শিখছি। শেখার গুরুত্বপূর্ন একটি মাধ্যম হচ্ছে পড়া বা জানতে চওয়া কি আছে এর মাঝে যা আমাকে সাহায্য করতে পারে। যা আমি আমার ক্যারিয়ারের সাথে সংযোগ ঘটাতে পারি। তথ্য কি শুধুই তথ্য? তথ্যের সাথে আমি কি সংযোগ তৈরি করতে পারছি? প্রশ্নটি আপনাদের সকলের কাছে রেখে শেষ করছি


লেখকঃ কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশে স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট

Comments are closed.