সফলতা কোন স্বপ্ন নয় (Success is not a dream)

সফলতা কোন স্বপ্ন নয় (Success is not a dream)

আসরের নামাজ শেষে বিকেলের খেলার মাঠে প্রাচীর টার উপরে গিয়ে বসলাম মহল্লার বাচ্চাদের খেলা দেখতে। একটু দুরেই বসে ছিলো আমার বড় চাচার সদ্য এসএসএসি পাস করা নাতী। দূর হতেই বুঝা যাচ্ছে বেশ মন খারাপ তার। সামনে দিয়ে চলা ভাজা ওয়ালাকে ডেকে দুটো ঠোংগায় ভাজা দিতে বললাম। সাদিক, বড় চাচার নাতীর নাম। সাদিক কে ডেকে ইশারা করলাম আমার কাছে আসতে । ছেলেটিকে সবসময় খুব কাছে থেকে দেখছি। ইশারা করায় সাদিক কাছে এসে বসলো। স্বভাবতই আমাকে সালাম দিয়ে কুশল জিজ্ঞাসা করলো। আমাকে সে অনেকটা এল্ডার ফ্রেন্ড হিসেবেই মানে। ছোট খাটো সমস্যা কিংবা বড় সমস্যা প্রায়শই আমার কাছে এসে শেয়ার করে। বিশেষ করে যখন রাতে ছাদে যাই এই বধ্য শহরের ব্যাস্ততা ছাড়িয়ে একটু তারা ভরা আকাশের কাছাকাছি হতে তখন সাদিক কিভাবে যেন টের পেয়ে আমার পিছু পিছু চলে আসে। যাইহোক আমার পাশে বসায় আমি তার দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হেসে মাথার চুল গুলোই হাত বুলিয়ে বললাম “কি রে মন খারাপ কেন ? বাসায় ঝামেলা বাধাইছিস ? নাকি খেলতে এসে বন্ধুদের সাথে ঝগড়া করেছিস?” সাদিক একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো “ আর বলোনা ছোট চাচা, জানো আমি না সব কিছুতেই ব্যর্থ। আমাকে দিয়ে আসলে কি কাজ টা হবে বুঝিনা। এই ধরো লেখাপড়া বলো কিংবা খেলাধুলা সব কিছুতেই কেন জানি আমার ভালো কিছুই হয়ে উঠেনা। আসলে আমি কোন কাজেরই না।“ আমি আবারো মুচকি হেসে বললাম “ কে বলেছে তুই সফল না? ভেবে দেখ তুই যাইই করেছিস তুই তোর সর্বোচ্চ টুকু দিয়েই করেছিস। তোর চেষ্টা আর পরিশ্রম ছিলো সাধ্যমত আর বাকিটা ভাগ্য। “ সাদিক তখন আবার মন খারাপ করে বললো “ আচ্ছা তাহলে তুমি বলছো যে আমার ভাগ্য তেমন সায় দেয়নি তাইতো?” আমি বললাম “ উহু-না, সব যে ভাগ্যের পরিহাস তা বলবোনা, কিছুটা তোর অবচেতন মনের গাফিলতিটাও দায়ী যা ঠিক করতে তোকে আরো আত্ববিশ্বাসের সাথে সঠিক কৌশলে পরিশ্রম করতে হবে। “ সাদিক বললো, “ বুঝলাম, কিন্তু খেয়াল করে দেখো আমার জীবনে সফলতার চেয়ে ব্যার্থতাই বেশি। এইযে দেখো, আমার এসএসসির রেজাল্ট টা কিভাবে যেন এ+ ছুটে গেলো। এখন আমার এই ব্যার্থতাটাও আমার লাইফে যোগ হয়ে গেলো সব সময়ের জন্য। আমি এখন কোথায় ভর্তি হবো বা আমার লক্ষ্যটা কি হবে তা জানিনা। খুব হতাশ লাগছে। আর খেলাধুলায় দেখো, কোন দিন জিততে পারলাম না কোন প্রাইজ। স্কুল সাইন্স প্রজেক্টে অংশ নিয়েও কোন সুবিধা করতে পারলাম না। আমার সফলতাটা আসলে কোথায়?” আমি সাদিকের দিকে ঝালমুড়ির ঠোংগাটা বাড়িয়ে দিতে দিতে বললাম “ তুই কিন্তু এই মাত্র সফল হইলি আবারো। বিষয়টা আমি পরে বুঝিয়ে বলছি। তার আগে বলতো সুযোগ আর ভাগ্য বলতে কি বুঝিস?” সাদিক, “ এখন মাথায় কিছু আসছেনা তুমিই বুঝিয়ে বলো।“ আচ্ছা তাহলে আমি ব্যাখ্যা করি তুই মন দিয়ে চুপ করে ঝাল মুড়ি খা আর শোন।

মনেকর আজ খুব বৃষ্টি হয়েছে। এতো বৃষ্টি হয়েছে যে বাসার সামনে ভালোই কাঁদা পানি জমেছে। স্বাভাবিকভাবে সেখানে ইট ফাঁকা-ফাঁকা করে রাখা আছে যেন একটা ইট থেকে আরেকটা ইট এ ধাপ ফেলে-ফেলে কাঁদা পানিটুকু পার হওয়া যায়। এখন তুই সেই কাঁদা পানিটুকু পার হতে সভাবতই প্রথমে একটা ইটে পা রেখে পরের ইটে ধাপ ফেলে যাবি, তাইনা? এই যে একটা ইটের পর আরেকটা ইটে সিরিয়ালি সিকোয়েন্স মেনে একটা একটা করে ইট সফল ভাবে পার হচ্ছিস এটা হলো সুযোগ। সুযোগ সঠিক বুদ্ধির সাথে সঠিক পরিশ্রমে একের পর এক আসবে আর তা সুকৌশলে গ্রহণ করতে হবে তাহলে লক্ষ্যে পৌছানো যাবে। এই সুযোগ ব্যাবহার করে লক্ষ্যে পৌছানো যাবে কিন্তু অনেক পরিশ্রম সঠিক সিদ্ধান্ত ও অভিজ্ঞতা দিয়েই সময় সাপেক্ষে তা অর্জন হবে। তাহলে সুযোগ হচ্ছে তা যা সময়ের সাথে-সাথে সিকোয়েন্স অনুসারে একের পর এক আসবে। সুযোগ ধনাত্বক, এর ঋনাত্বক রুপ নাই। তাহলে ভাগ্য কি? তাইতো? ভাগ্য হলো অনাকাঙ্ক্ষিত সুযোগ যা ধনাত্বক অথবা ঋনাত্বক হতে পারে। এখন মনে কর তুই সিকোয়েন্স অনুসারে সুযোগ পেয়েই যাচ্ছিস আর তা সফল ভাবে একের পর এক ইট এর ধাপ গুলো পার করছিস। হঠাৎ তুই খুব সাহস আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে দিলি এক লাফ যার ফলে গিয়ে পৌছুলি শেষ স্থানে কিংবা মাঝের কয়েকটা ইট গ্যাপ দিয়ে দু তিনটা ইট পার করে আরেকটা ইটে ধাপ রাখলি। এটা হলো ভাগ্য, যাকে পজিটিভ ভাগ্য বলে। যদি কোন কারনে পা ফোসকে পানিতে পরতি তাহলে হতো ঋনাত্বক ভাগ্য। অর্থাৎ, ভাগ্যের কারনে ঠিকই সুযোগ ওভার টেক করতি কিন্তু পানিতে পরে যাওয়ায় তা কার্যকরি ফল হয়নি। তখন নিজ থেকেই বলে উঠতি ধুর ভাগ্য খারাপ তাই পানিতে পরলাম। আর যায়গা মত পৌছালে বলতি ভাগ্য ভালো তাই পানিতে পরিনি কিন্তু যায়গামত পৌছিয়েছি। দুটো অবস্থাই কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাপ্তি। আবার এমনও হতে পারে ইটের ধাপ পার হওয়ার সময় কেউ এসে তোকে কাঁধে তুলে নিয়ে পার করে দিলো যা কিন্তু ইটের ধাপ গুলোর সুযোগ কে ওভার টেক করে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাপ্তি। সমাজে এই প্রাপ্তিটা একটু বেশিই পরিলক্ষিত হয় যাদের ক্ষমতা আছে। ঠিক একই ব্যাক্তি যদি কাঁধে নিয়ে পার করার সময় স্লিপ করে পরে যায় আর দুজনাই যদি কাঁদা পানিতে মাখামাখি হয়ে যায় তাহলে ঋনাত্বক ভাগ্য প্রাপ্তি। যাইহোক, এই ইটের ধাপ কিংবা ব্যাক্তির সাহায্য শুধু মাত্র রুপক মাত্র যা জীবনের এগিয়ে চলার পথকে নির্দেশ করেছি। এখন বিষয় হলো মানুষ সুযোগ পায় নিয়োমিত কিন্তু তা সঠিক সময় উপোযোগী সিদ্ধান্ত ও সঠিক কৌশলে পরিশ্রম করে প্রাপ্তি নিতে দ্বিধা করে। সবাই শুধু ভাগ্য প্রাপ্তিতে চেয়ে থাকে এই জন্য সমাজে ধনাত্বক প্রাপ্তি আর ঋনাত্বিক প্রাপ্তির এত হায় হতাশা। এখন বলি একটা অস্বীকৃত সফলতার কথা। সাদিক তুই কি জানিস যে মানুষের সফলতার হার তার ব্যার্থতার চেয়েও বেশি! …………… সাদিক, “কি বলো ভাইয়া! কিন্তু কিভাবে?”
ছোট বেলা থেকেই আমরা প্রতিটা ক্ষেত্রেই ছোট-ছোট সাফল্য পেয়েছি যা আমাদের বড় প্রাপ্তি দিয়ে এসেছে। কিন্তু আমরা এই ছোট-ছোট সফলতা গুলো চাহিদা, লোভ কিংবা অতিকাঙ্খার জন্য ঢেকে যায়। যেমন আমরা ছোট-ছোট প্রতিটা পদ ধাপ দিয়েই একটা রাস্তা কিংবা লক্ষ্যে পৌছাই। একটা রোবট যখন চলতে থাকে তখন যদি এই ধাপ গুলো প্রতিটা নজর রাখতো তাহলে তার প্রতি ধাপের সফল প্রোগ্রামিং এর জন্য সাকসেস সাকসেস এই আউটপুট দিতো। ঠিক এই রকম আমরা মানুষ জীবনে কতবার সফল ধাপ ফেলেছি বলতে পারবে কেউ? আবার আমরা কতবার সফল ভাবে খাদ্য গ্রহণ, ঘুমানো, জাগ্রত হওয়া, কথা বলা, শোনা ও হাসি আনন্দের প্রকাশ ইত্যাদি সফল ভাবে প্রকাশ করেছি তার কোন হিসেব নেই। এই গুলো সফলতা প্রাপ্তি আমরা খুব নগণ্য করে দেখি, কিন্তু এই প্রাপ্তি সফলতা গুলোই আমাদের বড় বড় প্রাপ্তি যোগ করে। একটু আগে সাদিক তুই নিজেই তো সফল ভাবে ঝালমুড়ির ঠোংগাটা হস্তগত করেছিস। বড় বড় সফলতা পেতে ছোট-ছোট সফলতা গুলোকেও মূল্যায়ন করা শিখতে হবে, অনুধাবন করতে হবে, উপভোগ করতে হবে। একটা ব্যার্থতার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত কত হাজার হাজার সফল চলাচল ভাবনা কিংবা মুহূর্ত যায় তার কেউ হিসেব রাখেনা। ব্যার্থতা তো শুধু এই হাজারো কোটি সফলতার গল্পের ছোট্ট একটা মুহূর্ত যা আমরা বেশি প্রায়রিটি দেই। ব্যার্থতা একটা ঘটনার মুহুর্ত ছাড়া কিছুই নয়। আমাদের সাফল্যতাকে মূল্যায়ন করা শিখতে হবে। একটা দৌড় খেলা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অসংখ্য সফলতা থাকে যার মধ্যে প্রতিটা সুযোগ সিকোয়েন্স অনুসারে সফলভাবে দেহ মন সম্পাদন করে। আর দৌড় এর সেই ফাইনাল লাইন টা হলো লক্ষ্য বা ভবিষ্যৎ যা সবারই স্বপ্ন, লাইনটি না ছোঁয়া পর্যন্ত তা বাস্তব নয়। লাইনটি ছোঁয়ার পর সেই স্বপ্ন আর স্বপ্ন থাকে না, তা হয়ে যায় সফল বাস্তবতা। আর এই বাস্তবতায় আমরা সবাই পৌছাই কোন না কোন ভাবে। হয় সঠিক সময় উপযোগী সুযোগ পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতা প্রাপ্তিতে আর নয়তো ভাগ্য। হ্যাঁ, ভাগ্য তা তো ধনাত্বক কিংবা ঋনাত্বকও হতেই পারে। তাই ভাগ্য দুরের কথা তার দিকে তাকিয়ে পিছিয়ে পরলে চলবেনা, “সুযোগ” যা বর্তমান সিকোয়েন্স মেনে আসবে সঠিক সময়ের সঠিক সিদ্ধান্তে সঠিক কৌশলী পরিশ্রমে, আর এটাই সফলতা। সাদিক এতক্ষণে মনোযোগ দিয়ে সবকথা চুপ করে শুনছিলো, তার মুখের অভিবাক্তি দেখে মনেহলো সে তার উত্তরটি পেয়ে গেছে । দূরে মাগরিবের আযান শোনা যাচ্ছে আমি বললাম চল এতক্ষণ অনেক কথা হল এবার আমরা পরকালের সাফলতার জন্য কিছু এবাদত করে আসি।

কপি রাইটঃ এস. এম. রাজিব আহম্মেদ
ইন্সট্রাকটর, কম্পিউটার টেকনোলজি
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

সামুদ্রিক ভেজিটেবিল “NORI”

সামুদ্রিক ভেজিটেবিল “NORI”

“NORI”-একটি সামুদ্রিক ভেজিটেবিল । এই ভেজিটেবিল ব্যবহার করা হয় জাপানি কুইজিন এ i Nori Sheets হচ্ছে শুকনা প্রেস এন্ড থিন শিট,যা জাপানে চাষ করা হয়। Nori sheet Sushi এবং Onigiri এর  Wrapper হিসেবে ব্যবহার করা হয়। Nori-কে আমরা সামুদ্রিক স্নাক্স হিসেবে ও গণ্য করতে পারি ।

Nori ভেজিটেবিল সম্পর্কে মূলত: জানা যায় অষ্টম সেঞ্চুরিতে।Asakusa- তে 1750 সালে কমন ফুড হিসেবে জানা যায় Nori ভেজিটেবিল  কে ।ব্রিটিশ ফিজিওলজিস্ট “Kathleen Mary Drew-Baker” রিসার্চ-এ Nori ভেজিটেবিল কমার্শিয়াল চাষ উদ্ভাবিত করেন । তাকে এখনো জাপানিজ Nori ইন্ড্রাস্ট্রিতে স্মরণ করা হয় শ্রদ্ধা ভরে।I950 সালের মাঝে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান Nori বীজ উৎপন্ন করার টেকনিক উদ্ভাবন করে। আগে Nori ভেজিটেবল রোদের তাপে শুকানো হত এবং আধুনিক প্রযুক্তিতে বর্তমানে মেশিনের মাধ্যমে শুকানো হয় । ২০২১ সালের ফুকুশিমার পারমাণবিক দুর্যোগ এর পর লার্জ স্কেল এ Nori প্রোডাকশন শুরু হয় । জাপানে সমুদ্র পারে Nori ভেজিটেবিল এর প্রোডাকশন এবং প্রসেসিং করা হয় I বীজ বপন করা হয় সাধারণত Fall এবং Winter এর মাঝে । স্প্রিং এ যখন চারা সাধারণত ২০ সেন্টিমিটার হয় তখন ফসল কাটা হয় ।কমার্শিয়াল ভাবে কাটার জন্য মেকানিক্যাল হারভেস্টিং বোর্ড আছে যার দ্বারা ফসল কাটা হয় , এর পর ওয়াশ করা হয় রোটাটিং ওয়াশিং মেশিনের মাধ্যমে প্রসেসিং ফ্যাক্টরিতে । এরপর স্মুথ টেক্সচার তৈরি করা হয়। এর ভেতর ডাস্ট থাকলে তা সরানো হয় ।

এরপর আবার পরিষ্কার করা হয় Nori ভেজিটেবিল কে I তারপর গ্রাইন্ডার মেশিন দিয়ে ছোট ছোট করে কাটা হয় তারপর সেটাকে অটোমেটিকালি drainboard এ নিয়ে পিস পিস করা হয় ,এরপর লাইট ব্যবহারের মাধ্যমে Nori সিটের স্বচ্ছতা চেক করা হয় সবদিক এক রকম আছে কিনা এরপর স্পিন ড্রাইং এবং এয়ার ডায়িং করা হয় ।

এরপর ফরম্যাট করা হয় শিট কে এবং তা কম্পিউটারের মাধ্যমে চেক করা হয় । ফাইনাল প্রোডাক্ট তৈরি হলে একটা একটা করে দশ পিস একত্রে ব্যান্ডেল তৈরি করে বেল্ট দিয়ে টাইট করে বাধা হয় , তারপর প্যাকেজিং করা হয় । জাপান ছাড়াও Nori sheet তৈরি করা হয় চীন ও কোরিয়াতে।

Nori sheet ছাড়াও পাওয়া যায় Nori flakes ও Nori pisces. স্বাস্থ্যগত দিক থেকে Nori ভেজিটেবিল এ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল আছে I যেমন – পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ,সোডিয়াম এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে I পুষ্টির দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে
গেলে উঁচু মানের প্রোটিন এবং ফাইবার রয়েছে , ফ্যাটের দিক থেকে রয়েছে low ফ্যাট I ফ্রেশ এবং শুকনা Nori দুটোতেই প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে।টোস্টেড Nori তে কিছুটা কম আয়রন থাকে । Nori তে আছে বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন A,B,C,D,E এবং K . Nori Sheet হচ্ছে আয়োডিনের উৎস । বলা হয় দিনে দুইটা সিট গ্রহণ ডাক্তারের থেকে দূরে রাখে।

Nori Sheet ট্রাডিশনালি ব্যবহার করা হয় সাধারণত Sushi এবং onigiri তে wrapper হিসেবে। এছাড়া সালাদ, সুপ ,রাইস বল , ফিশ টেরিন ,চিকেন টেরিন ইত্যাদি I এছাড়া আরো অনেক ফুড এ ব্যবহার হয় ।

 

লেখক,
মমতা হেনা সিদ্দিকা
সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর,
ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেণ্ট
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সিটিউট 

হাইপার থ্রেডিং / Hyper-threading

হাইপার থ্রেডিং / Hyper-threading

হাইপার থ্রেডিং মূলত, ইন্টেল এর তৈরি একটি প্রযুক্তি ,  যার সাহায্যে প্রসেসর  এর কোর এর ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব, যার ফলে কাজে গতি আরো বৃদ্ধি পায়।

হাইপার থ্রেড , এর মাধ্যমে প্রসেসর এর প্রতিটি কোরে একাধিক থ্রেড ব্যবহার করা সম্ভব হয়। প্রসেসর এর যত বেশি থ্রেড তত বেশি কার্যক্ষমতা।

এটি মূলত তৈরি করা হয়েছে কম্পিউটার প্রসেসর এর কোর এর স্পিড বা কার্যক্ষমতা কে আরো দ্বিগুন করতে।

 

Hyper-Threading Technology এর সাহায্যে প্রসেসর এর অবস্থিত ফিজিক্যাল কোরকে , কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে লজিক্যাল কোরে রুপন্তর করে।

কম্পিউটারে একটি কোয়াড কোর প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে, একটি কোয়াড কোর প্রসেসর এ ৪টি ফিজিক্যাল কোর বা সিপিউ  ইউনিট থাকে।

এখন এই Hyper-Threading Technology ওই চারটি কোর এর কার্যক্ষমতা দ্বিগুন করে, ৮টি লজিক্যাল কোরে রুপান্তর করবে। যাতে আরো বেশি পরিমান মালিটাস্কিং সম্ভব।

৮টি কোর তৈরি করলে,কোয়াড কোর প্রসেসর অনেকটা অক্টাকোর প্রসেসর এর মতো কাজ করবে।

 

হাইপারথ্রেডিং কীভাবে কাজ করে?

 

কম্পিউটার অন করার পরে, যখন Intel Hyper Threading প্রযুক্তিটি এক্টিভ হয় তখন প্রসেসর এর এর প্রতিটি ফিজিক্যাল কোর কে,হাইপার থ্রেড প্রযুক্তির মাধ্যমে  দুটি লজিক্যাল কোরে রুপান্তরিত করা হয়।

এর মানে, কম্পিউটার এর ফিজিক্যাল কোর গুলো এখন দুটি লজিক্যাল কোর এর ন্যায় কাজ ,করবে এবং ওই কোর গুলো বিভিন্ন থ্রেড গুলো প্রসেস করতে পারবে।

কম্পিউটার আর্কিটেকচারে, মাল্টিথ্রেডিং হলো এমন একটি প্রযুক্তি:

 

যার সাহায্যে ,কম্পিউটারের প্রসেসর এর কোন একটি নিদিষ্ট কোর (Core) কে, অনেক বড় একটি কাজের চাপ দেওয়ার পরিবর্তে, ওই কাজটিকে ছোট ছোট থ্রেডে বিভক্ত করে।

ওই থ্রেড গুলোকে সিপিউর বিভিন্ন কোর দ্বারা (Prallel) বা সমান্তরাল ভাবে কাজটি তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করার নামই মাল্টিথ্রেডিং (Multi threading)।

 

সহজ ভাষায়, বলতে গেলে, মাল্টি থ্রেডিং হলো এমন একটি পক্রিয়া যার সাহায্যে কোন প্রসেস কে অনেক দ্রুত সম্পূর্ন করার জন্য ওই প্রসেস কে ,ছোট ছোট কিছু থ্রেডে বিভক্ত করে প্রসেসর এর বিভিন্ন কোর এর সাহায্যে প্রসেসিং সম্পন্ন করা ।

একটি উদাহরণ যদি দেখি, ধরুন আপনি আপনার কম্পিউটারে কোন একটি পোগ্রাম বা সফটওয়্যার ওপেন করলেন।

ধরুন, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এখন এই প্রসেসটিকে আরো দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য , আপনার প্রসেসর, ওই কাজটিকে কিছু ভাগে ভাগ করে দিবে , ওই ভাগ গুলোর নাম হলো থ্রেড।

ওই থ্রেড গুলো প্রসেসর এর বিভিন্ন কোর এর সাহায্যে, প্রসেস হবে  ,এবং মাইক্রোসফটওয়ার্ড প্রোগ্রামটি ওপেন হবে।

এখন এই প্রোগ্রামটি যদি, শুধু মাত্র একটি  কোর (Core) এর সাহায্যে প্রসেস হয়, তাহলে অবশ্যই বেশি সময় নিবে কিন্তু মাল্টিথ্রেডিং প্রক্রিয়ায় ওই কাজটিকে ভাগ করে অনান্য  কোর এর সাহায্যে প্রসেস করে নেয়। এর ফলে  কাজের গতি বেশি হয় এবং সময় বাচেঁ।

 

 

মাল্টিথ্রেডিং এর সুবিধা

 

সব থেকে বড় সুবিধা হলো , এটির সাহায্যে প্রসেসিং সময় কম নেয়।

অনেক দ্রুত, মাল্টি টাস্ককিং সম্পন্ন করা সম্ভব।

সব কোর গুলোর, সঠিক ব্যবহার করা সম্ভব।

প্রসেসিং সময় কমিয়ে, কাজের স্পিড বৃদ্ধি করে।

 

কিভাবে হাইপার থ্রেডিং এনেবল করবো?

 

হাইপার থ্রেডিং অপশনটি, By Default সেট করা থাকে।কষ্ট করে সেট করে দিতে হবে না।

কম্পিউটার এর Bios মেনুতে গিয়ে,  “Hyper-Threading Technology” “Enable” or “Disable”  আমার রিকোমন্ডে করবে, এটি সব সময় Enable করে রাখতে হবে.

যেহেতু এই Hyer Therading প্রক্রিয়াটি ইন্টেল এর ডেভলপ কৃত প্রযুক্তি তাই ,

এই হাইপার থ্রেডিং প্রযুক্তি শুধু মাত্র ইন্টেল প্রসেসর এ ব্যবহার করা হয়। এমডি প্রসেসর এ ,এই প্রযুক্তিটি নেই।

আর ইন্টেল এর, এই হাইপার থ্রেডিং প্রযুক্তির জন্যই,  এটি অনেক জনপ্রিয়।

হাইপার থ্রেডিং এর সুবিধা:

হাইপার থ্রেডিং  এর সাহায্যে  কম্পিউটার কম সময়ে অনেক বেশি ডাটা প্রসেস করতে পারে।

কোন রকম বাধা ছাড়াই, ব্যাকগ্রাউন্ড এর সকল টাস্ক পুরোকরতে সক্ষম।

এটি কম্পিউটার এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্যে করে। সিপিউ এর কোর এর ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্যে করে।

এর সাহায্যে মাল্টি টাস্কিং করা সম্ভব।

 

মাল্টি থ্রেডিং এবং হাইপার থ্রেডিং এর মধ্যেকার পার্থক্য:

 

মাল্টি থ্রেডিং এর উদ্দেশ্যে হলো, কোন একটি কাজ কে অনেক দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য, সেই কাজকে অনেক গুলো ,

ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করে, ওই কাজ গুলো , প্রসেসর এর বিভিন্ন কোর এর মাধ্যমে ভাগ করে দেওয়া। যাতে কাজ অনেক দ্রুত সম্পন্ন হয়।

আর হাইপার থ্রেডিং এর প্রধান উদ্দেশ্যে হলো; প্রসেসর এর কোর এর ক্ষমতা দ্বিগুন করা। ফিজিক্যাল কোর কে দ্বিগুন লজিক্যাল কোরে রুপান্তর করা, যাতে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

মাল্টি থ্রেডিং এর মাধ্যমে, সিপিউ এর প্রতি কোরের , সঠিক ব্যবহার করা সম্ভব।

যাতে কোন কোর, অলস সময় কাটাতে না পারে।

হাইপার থ্রেডিং , এর সাহায্যে শুধু , সিপিউ এর কোর, এর ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব,  কোর গুলোর প্রতিটির , সঠিক ব্যবহার করা সম্ভব নয়।

*দুটোর প্রধান উদ্দেশ্যেই হলো,  কম্পিউটার এর  কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

*কিন্তু মাল্টি থ্রেডিং এর থেকে, হাইপার থ্রেডিং বেশি কার্যকরি।  যেহেতু, এটি সিপিউ এর কোর এর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

 

Writer,

Soma Rani Das

Instructor, Computer Technology

Daffodil Polytechnic Institute

গার্মেন্টস শিল্পে ব্যবহিত মেশিনসূমহ

গার্মেন্টস শিল্পে ব্যবহিত মেশিনসূমহ

 

বর্তমান গার্মেন্টস ইন্ড্রস্টি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজের জায়গা । যারা টেক্সটাইল এবং জিডিপিএম বিভাগে পড়ালেখা করে তাদের জন্য চাকরির ব্যাপারে গুরুত্ব পূর্ণ  ভূমিকা পালন করে । কিন্ত এই জায়টায় চাকরি করতে গেলে এই জায়গার ব্যবহিত মেশিন গুলোর নাম জানতে হবে। তাই আমাদের ছাত্রছাত্রির জন্য আমার এই ব্লগ টি লিখা ।

 

Sewing মেশিনের নাম

1- Flat Lock – Brand: Hikari, Pegasus, Kansai & Seruba.

2 – Over Lock –  Brand: Seruba & Kansai.

3- Five Thread Inter Lock –   Brand: Juki & Pegasus.

4- Basic Machine –    Brand: Sun star, Brother, Juki & Sun sir.

5- Button Attached –   Brand: Brother.

6- Button Hole –   Brand: Brother.

7- Cutting Machine –   Brand:- K.M & Easman.

8- Kansai –   Brand: Kansai

9- Snap Button –   Brand: Local.

10- Cylinder pad –   Brand: Hikari, Seruba, & Kansai.

12- 2 Needle –   Brand: Juki & Brother.

13-Bar tack –   Brand: Brother & Sun star.

14- One Needle zigzag machine –   Brand: Hikari.

15- Rib Cutter –   Brand: Nito.

16- Bottom hemming –   Brand: Pegasus.

17- Double chain stitch –   Brand: Pegasus.

18- Iron [Vacuum table size: W48’’ x 30’’]-   Brand: Silver star.

19- Gas Boiler –    Brand   Energy Pac – MEL.

21- Thread Sucking Machine

22- Heat Seal Machine –   Brand: Local.

23- Needle Detector Machine   Brand: Paramount

24- Pull Test Machine    Brand : Safe

 

সুইং ফ্লোরের মেশিনঃ

  1. Plain Machine- সাধারণ সেলাই করার জন্য ব্যাবহার করা হয়। একটি মাত্র সুই বা নিডেল থাকে।
  2. Double Needle Machine- ২টি নিডেল দ্বারা সেলাই করা করা হয়।
  3. Over lock Machine- ২ টি প্লাই বা গার্মেন্টস এর অংশকে ধার ঘেঁষে সেলাই বা জোড়া লাগানোর জন্য ব্যাবহার কিরা হয় এই মেশিন। ৩ এর অধিক সুতা থাকে।
  4. Flat lock Machine- সিলিন্ডার বেড বা ফ্লাট বেড ধরনের হয়।
  5. Kanshai Machine- এই মেশিনের বিভিন্ন ব্যাবহার আছে। তবে স্পেশালই ইলাস্টিক গার্মেন্টস এর সাথে সেলাই করার কাজে লাগে।
  6. Button Hole Machine- গার্মেন্টস এ বোতাম লাগানোর জন্য গর্ত তৈরি করে।
  7. Button Join Machine – বোতাম লাগানোর জন্য ব্যবহৃত মেশিন।
  8. Bartack Machine- একই শেলাই বারবার এক লাইনের উপর দেওয়ার জন্য ব্যাবহার করা মেশিন।
  9. Cylinder Bed Machine- গার্মেন্টস এর স্লিভ বা হাতা সেলাই করে।
  10. Flat bed Machine-গার্মেন্টস এর বডি পার্ট সেলাই করে।

 

Writer

Md. Rasel Sheikh

Jr. Instructor

Department of Textile and GDPM

Daffodil Polytechnic Institute

মনের মাঝে বিদ্যুৎ নিয়ে যত কৌতুহল

মনের মাঝে বিদ্যুৎ নিয়ে যত কৌতুহল

ভোরের ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত প্রতি ক্ষেত্রেই আমরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করি কিন্তু এই বিদ্যুৎ কে আবিষ্কার করেন, বিদ্যুৎ আবিষ্কারের গল্প, বিদ্যুৎ কাকে বলে, বিদ্যুৎ কত প্রকার, বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ, এই বিষয়গুলো আসুন আমরা জানি আজকের আলোচনা থেকে।

বিদ্যুৎ কে আবিষ্কার করেন

১৮ শতকের মাঝামাঝি আমেরিকান বিজ্ঞানী বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন প্রথম বিদ্যুতের ওপর ব্যবহারিক গবেষণা শুরু করেন। কিন্তু এসময় নিরবছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যেত না। শুধু সাময়িক সময়ের জন্যই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যেত। ১৮৪০ সালে আবিষ্কৃত টেলিগ্রাফও ব্যাটারির মাধ্যমে চালানো হতো। এরই মাঝে ফ্যারাডের একটি আবিষ্কারের সূত্র ধরেই ১৮৩১ সালে ডায়নামো আবিষ্কার করা হয়। তবে বেনজামিন ফাঙ্কলিন কে বিদ্যুৎ এর আবিষ্কারক হিসাবে ধরা হয়।

বিদ্যুৎ আবিষ্কারের গল্প

বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের বিদ্যুৎ আবিষ্কার নিয়ে একটি মজার গল্প আছে। আকাশের চমকানো বিদ্যুৎ আর আমাদের ঘরে উৎপাদিত বিদ্যুৎ যে একই জিনিস তা জানতেন না তখনকার বিজ্ঞানীরা। বেঞ্জামিন প্রমাণ করে দেখান যে, আকাশের চমকানো বিদ্যুৎ আর ঘরে তৈরি করা বিদ্যুৎ একই জিনিস। ১৭৫২ সালের ১৫ জুন তিনি প্রচণ্ড এক ঝড়ো বাতাসে বিপজ্জনক এক পরীক্ষা করে বসেছিলেন। সে দিন রাতে প্রবল বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে চলছিল বৃষ্টি। তিনি সে দিন উড়িয়ে দিলেন রেশমি কাপড়ের তৈরি এক ঘুড়ি। ঘুড়ির যে সুতা সেখানেও ব্যবহার করলেন রেশমি সুতা। সুতার শেষ মাথায় মানে হাতের কাছে বেঁধে দিলেন ধাতুর তৈরি এক চাবি। আর চাবিটা ছিল এক দম তাঁর হাতের কাছে। রেশমি সুতা নেওয়ার কারণ, রেশমি কাপড় ইলেকট্রন পরিবহন করতে পারে ভালো। রেশমি কাপড়ে কাচের কাঠি ঘষে নিলে তা ছোট ছোট কাগজ টুকরো বা কাঠের টুকরোকে আকর্ষণ করে তা প্রচলিত ছিল অনেক আগেই। তার ওপর ছিল বৃষ্টির জলে ভিজে পরিবহন ক্ষমতা গেল বেড়ে। ফ্রাঙ্কলিন জানতেন না কত বড় বিপদের কাজ করছেন তিনি। আকাশে বিদ্যুৎ চমকানোর সঙ্গে সঙ্গে সে বিদ্যুৎ ভেজা সুতো বেয়ে নেমে এল চাবির মাঝে। চাবির মধ্যে বয়ে গেল প্রবল বিদ্যুতের ঝলক। বেঞ্জামিনের ভাগ্য যে কী পরিমাণ ভালো ছিল ভাবতেই অবাক লাগে। কারণ এ কাজে দু’জন মারা গিয়েছিল। আকাশে যে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ থাকে! প্রায় আড়াইশো বছর আগে পরীক্ষাটি করেছিলেন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন।

  বিদ্যুৎ কাকে বলে

বিদ্যুৎ এক প্রকার শক্তি , যা খালি চোখে দেখা যায় না কিন্তু অনুভব করা যায় । পরিবাহির মধ্যে দিয়ে ইলেক্ট্রন প্রবাহের ফলে যে শক্তি সৃস্টি হয় তাকে বিদ্যুৎ বলে ।

বিদ্যুৎ কত প্রকার

বিদ্যুৎ সাধারনত দুই প্রকার

(i) স্থির বিদ্যুৎ
(ii) চল বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ

যে পদার্থের মধ্য দিয়ে সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে অর্থাৎ-বিদ্যুৎ প্রবাহে কোন বাঁধা পায় না তাকে পরিবাহী বলে।পরিবাহী তিন প্রকার

1.সু-পরিবাহী: যে পদার্থের মধ্য দিয়ে সহজেই বিদ্যুৎ পরিবাহী হতে পারে তাকে সু-পরিবাহী বলে। পরমাণুর শেষ কক্ষপথে ইলেকট্রন সংখ্যা ১,২,৩ টি থাকে। যেমন:-তামা, সোনা, রূপা, এলোমোনিয়াম, দস্তা, পিতল, নিকেল, সীসা, রাং, প্লাটিনাম, ফসফর ব্রোঞ্জ, পারদ ইত্যাদি।

2.অর্ধ-পরিবাহী :যে পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদুৎ প্রবাহিত হওয়ার সময় আংশিক ভাবে বাধাঁ প্রাপ্ত হয় অর্ধ-পরিবাহী বলে। পরমাণুর শেষ ক্ষপথে ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ টি থাকে। যেমন:-কার্বন, সিলিকন, মাইকা, কয়লা, জার্মেনিয়াম, বিজা মাটি, বিজা বাঁশ ইত্যাদি।

  1. কু-পরিবাহী: যে পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদুৎ প্রবাহিত হতে পারেনা তাকে কু-পরিবাহী বলে। পরমাণুর শেষ কক্ষপথে ইলেকট্রন সংখ্যা ৫,৬,৭ টি থাকে।য়েমন:- ব্যকেলাইট, এসবেসটস, মার্বেল, পাথর, রাবার, চিনামাটি, তুলা, শুকনো কাগজ, শুকনো বাঁশ ইত্যাদি।

পরিশেষে বলতে চাই উপরের বিষয়গুলো পাঠ করার পরে সকলের কাছে বিদ্যুৎ কে আবিষ্কার করেন, বিদ্যুৎ আবিষ্কারের গল্প, বিদ্যুৎ কাকে বলে,বিদ্যুৎ কত প্রকার, বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ বিষয়ে যত কোশ্চেন ছিল সকল বিষয়গুলো পরিষ্কার ধারণা দিতে পেরেছি । আজকে এতোটুকুই থাক পরবর্তীতে কোন একসময় কোন এক বিষয় নিয়ে আবার হাজির হব।

 

লিখেছেন

মোঃশফিকুল ইসলাম মিলন

ইন্সট্রাক্টর

ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

 

 

 

“হিস্ট্রি অফ কনটেম্পোরারি আর্কিটেকচার অফ বাংলাদেশ” “History of Contemporary Architecture of Bangladesh”

“হিস্ট্রি অফ কনটেম্পোরারি আর্কিটেকচার অফ বাংলাদেশ” / “History of Contemporary Architecture of Bangladesh”

কনটেম্পোরারি আর্কিটেকচার বা সমসাময়িক স্থাপত্যঃ 

কনটেম্পোরারি আর্কিটেকচার বা সমসাময়িক স্থাপত্য বলতে মূলত বুঝানো হয় কোনো একটা নির্দিষ্ট যুগ বা সময়ের চাহিদা বা রুচি অনুযায়ী যে স্থাপত্যিক ডিজাইন করা হয়। সমসাময়িক স্থাপত্যে কোনো নির্দিষ্ট স্টাইলের ডিজাইন অনুসরণ করা হয় না।আর্কিটেক্ট বা স্থপতি গণ পোস্ট মর্ডানিজম, হাইটেক  আর্কিটেকচার ,ট্র্যাডিশনাল আর্কিটেকচার এর মত বিভিন্ন স্টাইলের ডিজাইন এর প্রয়োগ কনটেম্পোরারি আর্কিটেকচারে করে থাকেন।

“History of Contemporary Architecture of Bangladesh”

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন পৃথিবীর আধুনিক স্থাপত্য শিল্প গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি স্থাপনা। বিংশ শতাব্দীর আধুনিক স্থাপত্য রীতির স্থাপত্য সমূহের মধ্যে আমাদের জাতীয় সংসদ ভবন এক অনন্য নিদর্শন। সময় যখন পাকিস্তান আমল, তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক সরকার ঢাকার শেরেবাংলা নগর কে দ্বিতীয় রাজধানী বানানোর এবং সেখানে দ্বিতীয় সংসদ ভবন নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। সেই ভাবনা থেকেই 1959 সালে প্রথম বর্তমান সংসদ ভবন কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা গৃহীত হয়। ১৯৬১ সালে বর্তমান মানিল মিয়া এভিনিউয়ের উত্তর পাশে ২০৮ একর জমি দ্বিতীয় রাজধানী প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়।১৯৬২ সালে ভবনটির  মূল পরিকল্পনা পাশ হয় ।তৎকালীন সরকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশের স্থপতি মাজহারুল ইসলামের সাহায্য চাইলে তিনি এই প্রকল্পে বিশ্বের নামিদামি স্থপতিদের নিতে চাইলেন। তিনি প্রথমে খ্যাতিমান স্থপতি আল্ভার আলটো এবং লিকর্বুসিয়র কে প্রস্তাব দিলে তারা দুজনেই ব্যস্ত থাকায় পরে তিনি প্রস্তাব করেন আরেক বিখ্যাত স্থপতি লুইস আই ক্যান কে যিনি ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে মাজহারুল ইসলামের শিক্ষক ছিলেন।

 

মার্কিন স্থপতি লুইস আই ক্যান রাজি হলে প্রথমে তাকে খসড়া নকশা করতে বলা হয় এবং পরবর্তীতে 1962 সালের মার্চ মাসে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।  চূড়ান্ত নকশা প্রণীত হয় ১৯৬২ সালে এবং নির্মাণ শুরু হয় 1964 সালে।  শুরুতে ভবনটি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় 15 মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা সমস্ত সুবিধা দেওয়ার শেষে  ১৯৮২ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয় তখন 32 মিলিয়ন মার্কিন ডলার গিয়ে ঠেকে। পুরো সংসদ ভবন এলাকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল মূল সংসদ ভবন, সংসদ সদস্য মন্ত্রী সচিবদের হোস্টেল ,অতিথি ভবন এবং কমিউনিটি বিল্ডিং,রাস্তা্‌ , হাঁটার পথ , বাগান  লেক ইত্যাদি। প্রাথমিক নকশায় সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্টের বাসভবন মসজিদ অন্তর্ভুক্ত না থাকলে এক্ষেত্রে মূল ভবনের আকর্ষণ যাতে না কমে যায় সেদিকে দৃষ্টি দিয়ে নকশায় পরিবর্তন আনা হয়। এতে এসব ভবন কে সরিয়ে সংসদ ভবন থেকে সরিয়ে দূরে নির্মাণ করার সিদ্বান্ত নেওয়া হয়।

 

১৯৬৪ সালে প্রধান ভবনের কাজ শুরু হলেও ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নির্মাণাধীন অবকাঠামোর কাজ পুরোপুরি বন্ধ থাকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ সরকার চূড়ান্ত নকশায় কোনো রকম পরিবর্তন না এনে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, সংসদের 354 আসনবিশিষ্ট অ্যাসেম্বলি কক্ষ জাতীয় সংসদ।

ভবনের স্থপতি লুইস আই ক্যান সূর্যের আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে চেয়েছেন তা ছাড়া বৃষ্টির প্রতি যথেষ্ঠ মনোযোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে ভবনের বাইরের দিকে জ্যামিতক ত্রিভুজ, আয়তক্ষেত্র , সমতল বৃত্তাংশ আর সম্পূর্ণ বৃত্তাকার খিলান সমূহ ভবনের ভেতর বাতাসের চলাচলকে করেছে বাধাহীন স্থাপত্যশৈলীতে ভবনটি আধুনিক স্থাপত্য ধারার  অনন্য নজির হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। ভবন নির্মাণ কোথাও কলামের ব্যবহার হয়নি। বিশাল স্থাপত্যের অসুবিধা দূর করতে ভবনটিতে বিশাল বিশাল ব্যবহার ফাঁক ব্যবহার করা হয়েছে। তবে নকশার কাঠামো ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে শূন্যস্থানে কোথাও কোথাও ফাপা কলাম বসানো হয়েছে প্রাকৃতিক আলোর  ব্যবহার কিভাবে পুরো ভবনটি আলোকিত করা যায় তা ছিল লুই কানের নকশার সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ মূল ভবনটি নয়টি প্রধান ভাবে বিভক্ত করা হয়েছে এর মধ্যে টি ৩৩.৫৩ মিটার উঁচু এবং কেন্দ্রীয় অষ্টাভুজাকৃতির ব্লকটি  ৪৭.২৪ মিটার উচু যা ৩৫৪ টি আসন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যাসেম্বলি  কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সমগ্র কমপ্লেক্সের মধ্যে মূ; ভবনের আয়তন  ৭৪,৪৫৯.২০ বর্গমিটার।দক্ষিন প্লাজায় ২০,৭১৭.৩৮ বর্গমিটার এবং উত্তর প্লাজার আয়তন ,০৩৮. বর্গমিটার। 

 

সসদ ভবন বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্রের প্রতীক, আস্থার প্রতীক।  সংসদ ভবন কমপ্লেক্সটি সবুজের সমারোহ সজ্জিত। এতে তৈরি করা হয়েছে মনমুগ্ধকর সবুজ ঘাসের বাগান, পাশাপাশি লোকের মাধ্যমে ভবনটিকে ঘিরে দেওয়া হয়েছে যেন মনে হয় পুরো ভবনটি পানির উপর ভেসে আছে।  চার পাশে আছে ইউক্যালিপটাস আর কৃষ্ণচূড়া গাছের সারি। কমপ্লেক্স এলাকার মধ্যে আছে একটি অ্যাম্পিথিয়েটার যেখানে জাতীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। তাছাড়া আছে হোস্টেল, আবাসিক ভবন রাস্তা। 50 টি সোপান, 340 টির শৌচাগার 1653 দরজা এবং  335 জানালা নিয়ে ভবনটি গঠিত।  বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত সমসাময়িক পত্রপত্রিকায় বাংলাদেশের সংসদ ভবনের স্থাপত্যশৈলীর প্রশংসা করা হয়েছে।  উনবিংশ শতাব্দী হতে  বিংশ শতাব্দীর আধুনিক স্থাপত্যকলার তালিকায় রয়েছে লুইস আই ক্যান এর  নকশায় গড়ে ওঠা এই ভবনটি যারা দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্রের প্রতীক হয়ে আমাদের গর্বের বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন তার স্বাতন্ত্র্য স্থাপত্যশৈলী গত বৈশিষ্ট্যের জন্য আগা খান স্থাপত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়।  1982 সালের 28 জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি জাস্টিস আব্দুস সাত্তার জাতীয় সংসদ ভবন উদ্বোধন করেন সেই বছরই 15 ফেব্রুয়ারি নতুন গড়ে ওঠা এই ভবনে প্রথমবারের মতো সংসদের অধিবেশন বসে সমসাময়িক স্থাপত্য শিল্পের  উজ্জ্বল এক  দৃষ্টান্ত ,বাংলাদেশের সংসদ ভবন। লুইস আই ক্যান এর সর্বশেষ কাজ  হয়ে দাঁড়িয়ে আছে শেরেবাংলানগরে বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা আর বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে ওঠা এই সংসদ ভবন একইসাথে বাংলাদেশের মানুষের জন্য বয়ে এনেছে সম্মান গর্ব

 

লেখক

লিমা আক্তার 

জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর

আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট