ম্যাজিক বর্গ, পর্ব-২

ম্যাজিক বর্গ, পর্ব-২

ম্যাজিক বর্গ কি? আমরা অনেকেই জানি না। আজকে আমরা ম্যাজিক বর্গ নিয়ে আলোচনা করব।

ম্যাজিক বর্গ হল একটি বর্গাকার ছক যেখানে কিছু সংখ্যা এমন ভাবে সাজানো থাকে সেখানে সংখ্যাগুলোকে উপর-নিচ, পাশাপাশি কিংবা কোণাকুণি যোগ করলে সর্বদা একই যোগফল পাওয়া যায়। এটাই মূলত ম্যাজিক বর্গের প্রধান বৈশিষ্ট্যে ।

ম্যাজিক বর্গ বিভিন্ন রকমের হয়। আজকে আমরা Regular Magic Square (RMS) নিয়ে আলোচনা করব:

Regular Magic Square আবার দুই ধরণের।

(i)   RMS of Odd number

(ii)  RMS of Even number

RMS of Odd Number: এ ধরণের ম্যাজিক বর্গের কলাম কিংবা সারি সংখ্যা বিজোড় সংখ্যক হয়। যেমনঃ 3×3 ম্যাজিক বর্গ, 5×5 ম্যাজিক বর্গ, 7×7 ম্যাজিক বর্গ ইত্যাদি।

RMS of Even Number : এ ধরণের ম্যাজিক বর্গের কলাম কিংবা সারি সংখ্যা জোড় সংখ্যক হয়। যেমনঃ 4×4 ম্যাজিক বর্গ, 6×6 ম্যাজিক বর্গ ইত্যাদি।

ম্যাজিক বর্গের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। সেই বৈশিষ্ট্যগুলোর সাথে পরিচিত হইঃ

শুধুমাত্র RMS of Odd Number এর জন্য প্রযোজ্যঃ

ধরা যাক একটি n x n  ম্যাজিক বর্গের সারি / কলামের সংখ্যা = n

প্রথম সংখ্যা = a  শেষ সংখ্যা = z, বর্গের মাঝের সংখ্যা = m

এবং বর্গের যে কোন সারি কিংবা কলাম কিংবা কর্ণ বরাবর সংখ্যাগুলোর যোগফল S

(i) S= mn =

(ii) m =

(iii) Pn = 4m (n-1)

 

২ নং চিত্রে ম্যজিক বর্গের পরিসীমা  P1 হলে,

P1 + +  +  +  +  +

 

3 নং চিত্রে ম্যজিক বর্গের পরিসীমা  P2 হলে,

P + +  +  +  +  +  +  +  +  +  +  +  +  

 

যেমন ১নং  চিত্রে 3×3 ম্যাজিক বর্গে, n = 3, a = 1 এবং z = 9

(i) বর্গের যে কোন সারি কিংবা কলাম কিংবা কর্ণ বরাবর সংখ্যাগুলোর যোগফল

S=

(ii) বর্গের মাঝের সংখ্যা, m =  =

(iii) ম্যাজিক বর্গের পরিসীমা: Pn = 4m (n-1)

= 4 x 5 (3-1) = 40

এধরনের ম্যাজিক বর্গের আর একটি বৈশিষ্ট্য হলো, এর সোজাসুজি এবং কেন্দ্র থেকে সমদূরবর্তী যেকোনো দুটি সংখ্যার সমষ্টি ম্যাজিক বর্গের প্রথম ও শেষ সংখ্যার সমষ্টির সমান ।

ম্যাজিক বর্গ অনেক প্রকারের:

কমপ্লিট ম্যাজিক স্কয়ারঃ কমপ্লিট ম্যাজিক স্কয়ারে প্যান ডায়াগনালের সংখ্যাগুলোর যোগফল ম্যাজিক ধ্রুবকের সমান । প্যান ডায়াগনাল হলো ডায়াগনালের সমান্তরাল রেখা।

উদাহরণঃ 4×4 এর ম্যাজিক বর্গের 3 ও 1 এবং 2 ও 2 প্যান ডায়াগনালের সংখ্যার যোগফল ম্যাজিক ধ্রুবকের সমান। অর্ডার ৪ এর ম্যাজিক ধ্রূবকটি হলো 34 । এছাড়া কমপ্লিট ম্যাজিক স্কয়ারের (Complete Magic Square) আরও কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। ছবিতে সংখ্যাগুলোর যোগফলকে ‘+’  দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে যা ম্যাজিক ধ্রুবকের সমান।

সেমি ম্যাজিক স্কয়ারঃ

সেমি ম্যাজিক স্কয়ারে ক্ষেত্রে প্রতিটি সারি ও কলামের সংখ্যাগুলোর যোগফল সমান হয়, কিন্তু ডায়াগনালের সংখ্যাগুলোর যোগফল সমান হয় না।

RMS of Odd number ম্যাজিক বর্গ তৈরির কৌশলঃ সচরাচর আমরা “Siamese Method” পদ্ধতি অনুসরণ করে Odd Number ম্যাজিক বর্গ তৈরি করি । এই পদ্ধতিটা সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন একজন ফ্রেঞ্চ ম্যাথেমেটিশিয়ান সায়মন  (Simon de la Loubère)।  এই পদ্ধতিও আবার দুই ধরণের। একটিতে বর্গের একদম উপরের সারির মাঝে 1 বসানো হয়। আর অপরটিতে বর্গের কেন্দ্রের ডান পাশে 1 বসানো হয়।

প্রথম পদ্ধতিঃ

বেজোড় ক্রমের ম্যাজিক বর্গ (যেমনঃ 3, 5, 7, 9 ……….) নির্ণয়:

১। প্রথমে মাঝখানের কলামের সবার উপরের ঘরে ছোট সংখ্যাটি (সাধারণত 1) বসাতে হবে।

২।  এরপর কোনাকুনি ভাবে উপরের ঘরে তার উপরের সংখ্যাটি অর্থাৎ 2 বসবে।

৩। যদি উপরে কোন ঘর না থাকে তাহলে সোজাসুজি সবার নিচের ঘরে চলে আসবে। সেখানে 2বসবে।

৪। আবার কোনাকুনি ভাবে উপরের ঘরে যাবে, সেখানে কোন ঘর ফাকা না থাকলে তাহলে বামদিকের একই সারি বরাবর সর্ববামে যাবে।সেখানে 3 বসবে।

৫। 3 এর  উপরে কোনাকুনি ঘরটি ফাকা নাই অর্থাৎ 1 আছে। তখন সরাসরি 3 এর নিচের ঘরটিতে 4 বসবে।

৬। 4 এর উপরে কোনাকুনি ঘরটিতে 5, তার উপরের কোনাকুনি ঘরটিতে 6 বসবে। আবার কোনাকুনি ভাবে উপরের ঘরে যাবে, যেহেতু সেখানে কোন ঘর ফাকা নাই। তাই 6 এর নিচের ঘরটিতে 7 বসবে।

৭। 7 এর উপরে কোনাকুনি ঘরটিতে ফাকা নাই, তাই বামদিকের একই সারি বরাবর সর্ববামে যাবে।সেখানে 8 বসবে।

৭। 8 এর উপরে কোনাকুনি ঘরটিতে ফাকা নাই, তাহলে সোজাসুজি সবার নিচের ঘরে চলে আসবে। সেখানে 9 বসবে।

একই নিয়মে 5 ক্রমের ম্যাজিক বর্গ নির্ণয় করা যায়।

দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ

১।  প্রথমে বর্গটির কেন্দ্রের ডান পাশে 1 লিখতে হবে।

২। 1 এর ডানদিকের উপরের কোনাকুনি বরাবর পরবর্তী সংখ্যা 2 লিখতে হবে ।

৩। বর্গটির ডান পাশের কলামের সাথে বাম পাশের কলামটি জুড়ে দিয়ে পরবর্তী সংখ্যাটি অর্থাৎ 3 লিখতে হবে এইভাবে।

৪। এবার বর্গটির উপরের সারির সাথে আর একটি সারি জুড়ে দিয়ে কোনাকুনিভাবে পরবর্তী সংখ্যা 4 লিখতে হবে। যেহেতু সেখানে কোন ঘর ফাকা নাই। তাই সোজা নিচের ঘরে 4 বসবে। তারপর আগের মতো কোনাকুনি অগ্রসর হতে হবে।

৫। যেহেতু 5 এর উপরে কোনাকুনি ঘর ফাকা নাই. তাই তার ডান পাশের ঘরের পরের ঘরে পরবর্তী সংখ্যা 6 বসবে। তারপর আগের নিয়মে কোনাকুনিভাবে অগ্রসর হতে

৬। আগের নিয়ম পুনরাবৃত্তি করতে থাকলে তৈরি হয়ে যাবে 5X5 RMS of Odd Number।

 

একইভাবে 7×7 ম্যাজিক বর্গও গঠন করা যায়। আমরা পরবর্তীতে জোড় সংখ্যার ম্যজিক বর্গ কিভাবে গঠন করা যায়, তা শিখবো।

গ্রিক গণিতবিদ আর্কিমিডিসের উক্তি দিয়ে শেষ করছি,

যারা গণিত নিয়ে অধ্যয়ন করেনি বা জানার চেষ্টা করেনি, তাদের কাছে জগতের অনেক কিছুই দূর্বোধ্য হয়ে থাকে।

 

 

 

ফারহা দিবা

সিনিয়র ইন্সট্রাকটর

ডিপার্টমেন্ট অফ ম্যাথমেটিক্স

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

 

Difference between Sketch and Drawing

Difference between Sketch and Drawing

There are so many confusion among the students and professionals also about the differences of sketch and drawing. Are there really any differences between these two? Well, there exits some differences between the sketch and drawing.

Generally all kind of act drawn by hand is drawing and in this sense sketch is also a drawing. Technically in observation and concept these two has some basic differences. Sketch is quicker drawn than the drawing. It has less details and quickly resemble rough ideas. Sometimes sketches is done without any reason like an artist draw something quick with less marks of something or someone inform of him. Yes of course sketch is not always made for no reason. We need sketches to step on the final drawing related job for taking quick measurements, details, information about obstacles and information about the landscape. This happens with the architects or engineering professionals mostly, but for the artist sketching is one of their way to express their observation, mostly in the sketchbook. So we can say that sketch is the primary level drawing for the architects and engineering professionals to progress on to the final project and for the artist this is a way to express their observation skill.

 

On the other hand in most of the cases drawing resemble a fully completed drawn work with measurement for implementation especially in the architecture and engineering sector. It is considered to be the final work but not necessarily every time. Sometimes drawing can be rough too and doesn’t present something always. It entirely depends on the technique of architects, engineers or artists. Their core concept is the actual base of drawing. Sometimes drawing varied from professionals to professionals for the different types of styles of the professionals. It is very common in drawing to use basic or geometrical shapes of figures what is a bit absent in sketch for its random characteristics.

 

Author

Md. Asaduzzaman Russel

Junior Instructor

AIDT, Daffodil Polytechnic Institute

দরখাস্তের নিয়ম

আমরা প্রতিনিয়ত কত প্রয়োজনে কত কাজে প্রতিদিন দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লিখি। কিন্তু এর সহজ কিছু নিয়ম আমরা মাথায় রাখি না, এ নিয়মগুলো আসলে খুবই সহজ । একবার মনে করে লেখা শুরু করলে আর কোনদিন ভুলবো না… সাঁতার দেয়ার মতো বা সাইকেল চালানোর মতো । তো দেখা যাক – নিয়ম গুলো কি কি। দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লেখার নিয়ম গুলো নিচে দেয়া হল :

  • দরখাস্তের নিয়ম : দরখাস্ত লিখার ৬ টি পয়েন্ট , এই ৬ টি পয়েন্ট পালন করলেই খুব সুন্দর একটি দরখাস্ত লেখা হয়ে যাবে ।

 

১) আবেদন লেখার সঠিক তারিখ।

২)  বরাবর শব্দটি উল্লেখ করতে হয়।

( প্রাপক (যার কাছে আবেদন করা হচ্ছে তার নাম, পদবী ও ঠিকানা)। )

৩) আবেদনের বিষয়।

৪) সম্ভাষণ/জনাব/স্যার/ম্যাডাম ইত্যাদি।

৫) আবেদন লেখার বিষয় নিয়ে বর্ণনা।

( এই অংশে দুটি প্যারা থাকে। প্রথমটিতে সৌজন্যে প্রকাশসহ প্রার্থিত বিষয়ে বর্ণনা ও  সমর্থনে যুক্তি। দ্বিতীয় অংশে প্রার্থনা মঞ্জরের জন্য আবেদন । )

৬) আবেদনকারী নাম ও ঠিকানা

 

  • পত্র লেখায় যে বিষয়ে সজাগ থাকা উচিত :

ক. পত্রের ভাষা হবে সহজ সরল ।

খ. সাধু ও চলিত ভাষা মিশ্রণ করা উচিত নয় ।

গ. পত্রের বিষয় অনুযায়ী প্রচলিত রীতি মেনে চলা । ( ব্যক্তিগত পত্র ,  আবেদনপত্র,    সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র , মানপত্র বা অভিনন্দনপত্র ,  বাণিজ্যিক পত্র,  নিমন্ত্রণপত্র , স্মারকলিপি বা অভিযোগপত্র। )

ঘ. হাতের লেখা স্পষ্ট হওয়া উচিত ।

ঙ. পত্রের বামে এক ইঞ্চি এবং উপরে দেড় ইঞ্চি  ফাঁকা রেখে লিখতে হয় ।

 

 

 

 

সূত্র : ব্যাকরণ বই।

শাহনেওয়াজ সেরাজ সুবর্ণা

ইন্সট্রাক্টর অফ আর এস ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

 

Quality Control Management এর প্রয়োজনীয় টার্ম

আমাদের দেশে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে বিভিন্ন সেকশন নিয়ে পোশাক তৈরি করা হয়ে থাকে । যার মধ্যে অন্যতম  এই বিভাগ ছাড়া ক্রেতার চাহিদা পূরণ করা সম্ভবপর নয়। তাই এই বিভাগ গুরুতপূণ ভূমিকা পালন করে। এই বিভাগ ক্রেতার চাহিদা পূরণ গেলে আমাদের প্রয়োজনিও কিছু টার্ম মনে রাখতে হবে। তাই আজ আমি সেই টার্ম গুলো সবার মাঝে তুলে ধরছি

Quality Control Management এর প্রয়োজনীয় টার্ম

১. Q.I এর পূর্ণরূপ কি ?

উত্তর: Quality Inspector

২. S.P.I এর পূর্ণরূপ কি ?

উত্তর: Stitch Per Inch

৩. D.H.U এর পূর্ণরূপ কি ?

উত্তর: Defect per Hundred Unit.

৪. D.H.U বের করার সূত্র কি ?

উত্তর: Defects × 100 ভাগ Total Cheek Quantity

 

আমরা জানি যে,

১ ইঞ্চি = ২.৫৪ সেন্টিমিটার

১ ইঞ্চি = ২৫.৪ মিলিমিটার

১২ ইঞ্চি = ১ ফুট

৩৬ ইঞ্চি বা ৩ ফুট = ১ গজ

৩৯.৩৭ ইঞ্চি = ১ মিটার

 

আপনার মেজার্মেন্ট এর ভালো জ্ঞান এর জন্য আরও জানতে হবে :

 ১ম অংশ

 

১ ইঞ্চি = ৮ সুতা বা ২৫.৪ মিলিমিটার

১/৮ ইঞ্চি = ১ সুতা বা ৩ মিলিমিটার

২/৮ বা ১/৪ ইঞ্চি = ২ সুতা বা ৬ মিলিমিটার

৩/৮ ইঞ্চি = ৩ সুতা বা ৯.৫৩ মিলিমিটার

৪/৮ বা ১/২ ইঞ্চি = ৪ সুতা বা ১৩ মিলিমিটার

৫/৮ ইঞ্চি = ৫ সুতা বা ১৫.৮৮ মিলিমিটার

৬/৮ বা ৩/৪ ইঞ্চি = ৬ সুতা বা ১৯ মিলিমিটার

৭/৮ ইঞ্চি = ৭ সুতা বা ২২.২৩ মিলিমিটার

 

২য় অংশ

১/১৬ ইঞ্চি = ১/২ (আধা সুতা) বা ১.৫৯ মিলিমিটার

৩/১৬ ইঞ্চি = ১. ১/২ (দেড় সুতা) বা ৪.৭৬ মিলিমিটার

৫/১৬ ইঞ্চি = ২. ১/২ (আঁড়াই সুতা) বা ৭.৯৪ মিলিমিটার

৭/১৬ ইঞ্চি = ৩. ১/২ (সাড়ে ৩ সুতা) বা ১১.১১ মিলিমিটার

৯/১৬ ইঞ্চি = ৪. ১/২ (সাড়ে ৪ সুতা) বা ১৪.২৯ মিলিমিটার

১১/১৬ ইঞ্চি = ৫. ১/২ (সাড়ে ৫ সুতা) বা ১৭.৪৬ মিলিমিটার

১৩/১৬ ইঞ্চি = ৬. ১/২ (সাড়ে ৬ সুতা) বা ২০.৬৪ মিলিমিটার

১৫/১৬ ইঞ্চি = ৭. ১/২ সাড়ে ৭ সুতা বা ২৩.৮১ মিলিমিটার

 

হাজারের মাপ:

১২৫ = ১ সুতা বা ১/৮

২৫০ = ২ সুতা বা ১/৪

৩৭৫ = ৩ সুতা বা ৩/৮

৫০০ = ৪ সুতা বা ১/২

৬২৫ = ৫ সুতা বা ৫/৮

৭৫০ = ৬ সুতা বা ৩/৪

৮৭৫ = ৭ সুতা বা ৭/৮

১০০০ = ৮ সুতা বা ১ ইঞ্চি

১টি মেজার্মেন্ট টেপ এ সাধারণত ৫’ ফুট বা ৬০” ইঞ্চি বা ১৫০ সেন্টিমিটার বা ১৫০০ মিলিমিটার

১ ইঞ্চি = ২.৫৫ সি.এম

১ সুতা = ০.৩১ সি.এম

২ সুতা = ০.৬৩ সি.এম

৩ সুতা = ০.৯৩ সি.এম

৪ সুতা = ১.২৭ সি.এম

৫ সুতা = ১.৫৫ সি.এম

৬ সুতা = ১.৮৬ সি.এম

৭ সুতা = ২.১৭ সি.এম

৮ সুতা = ২.৫৫ সি.এম

Writer

Md. Rasel Sheikh

Jr. Instructor

Department of Textile & GDPM

পরমাণু  থেকে রাসায়নিক বন্ধন

পরমাণু  থেকে রাসায়নিক বন্ধন

 

মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুই  পদার্থ |  পদার্থের ক্ষুদ্রতম একক হল পরমাণু |  পরমাণু এত ক্ষুদ্র যে প্রথম  দিকে ধারণা করা হতো পরমাণু অবিভাজ্য|  পরবর্তীতে উচ্চতর গবেষণার ফলে প্রমাণ মেলে পরমাণু বিভাজ্য

 

পরমাণুকে ভাঙলে তিন ধরনের স্থায়ী  কনা পাওয়া যায়-1.   প্রোটন, 2. নিউট্রন, 3. ইলেক্ট্রন

 

পরমাণুর গঠন নিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানি বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে | বিজ্ঞানী স্যার জন ডালটন পদার্থের গঠন সম্পর্কে একটি সুনির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব প্রকাশ করেন । এই তত্ত্বটি ডালটনের পরমাণুবাদ [Dalton’s Atomic Theory] নামে খ্যাত ।

ডাল্টনের পরমাণুবাদের মূল কথা ছিল- সব পদার্থই অসংখ্য অতি ক্ষুদ্র অবিভাজ্য নিরেট কণা দ্বারা গঠিত ।

কিন্তু এ তত্ত্ব এখন অচল। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে প্রমাণিত হয় যে, পরমাণুর তিনটি উপাদান রয়েছে ।

এগুলো হলো-  ইলেকট্রন প্রোটন এবং নিউট্রন।  এছাড়াও    পরমাণুতে  কিছু  অস্থায়ী ভারী কনা রয়েছে।  যাদের কম্পোজিট কথা বলা হয়। যেমন ডিউটেরন , আলফা কণা। পরমাণুর গঠন নিয়ে রাদারফোর্ড এবং  নীলস বোরের  স্বীকার্য সমূহ বিজ্ঞানীদের কাছে গ্রহণযোগ্য।

রাদারফোর্ড মডেল এর মূল বিষয় ছিল,  পরমাণুর কেন্দ্রে রয়েছে প্রোটন এবং নিউট্রন যাকে একত্রে নিউক্লিয়াস ধরা হয় এবং নিউক্লিয়াসের বাইরে রয়েছে ঘূর্ণায়মান ইলেকট্রন। রাদারফোর্ডের মডেলের প্রধান সমস্যা ছিল  তিনি  ঘূর্ণায়মান ইলেকট্রনের নির্দিষ্ট কক্ষপথের  ধারণা দিতে পারে নাই।

রাদারফোর্ডের মডেলের  এই সমস্যাটি দূর করে বিজ্ঞানী নীলস বোর পরমাণুর গঠন সম্পর্কে একটি মডেল প্রস্তাব করেন যা এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সকল মডেলের চেয়ে বিজ্ঞানীদের কাছে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য।

তিনি বলেন পরমাণুতে ইলেকট্রন গুলো  কতগুলো নির্দিষ্ট অনুমোদিত কক্ষপথে আবর্তন করে।  কক্ষপথ গুলো হতে পারে বৃত্তাকার বা উপবৃত্তাকার।  এছাড়াও তিনি পরমাণুর বর্ণালী রেখার ব্যাখ্যা দেন।

এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত মোট মৌলের সংখ্যা 118 টি |  প্রত্যেকটা মৌলের পরমাণুকে প্রকাশ করার জন্য  রয়েছে নির্দিষ্ট প্রতীক|  যেমন হাইড্রোজেনকে H ,  অক্সিজেনকে O ,  নাইট্রোজেনকে N  প্রতীক দ্বারা প্রকাশ করা হয় |

প্রত্যেকটা   মৌলকে  তাদের পারমাণবিক সংখ্যার ভিত্তিতে পর্যায় সারণি নামক স্থানে পৃথক পৃথকভাবে রাখা হয়েছে|  একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে যে কয়েকটি প্রোটন থাকে তার সংখ্যাকে পরমাণু টির পারমাণবিক সংখ্যা বলে|  একটি পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যার  সমান সংখ্যক ইলেকট্রন রয়েছে|  ইলেকট্রন গুলো নির্দিষ্ট নিয়মে পরমাণুতে সজ্জিত থাকে|

কোন পরমাণুর নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেক্ট্রন ঐ পরমাণুর বিভিন্ন শক্তিস্তরের অন্তর্ভুক্ত নির্দিষ্ট উপশক্তিস্তরের বিভিন্ন অরবিটালে নির্দিষ্ট নিয়মে সজ্জিত থাকে, ইলেক্ট্রনের এই সজ্জাকে পরমাণুর ইলেক্ট্রন বিন্যাস বলে। ইলেক্ট্রন বিন্যাস পলির বর্জন নীতি, আউফবাউ নীতি ও হুন্ডের নিয়ম দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়।

 

ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে পরমাণু সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। প্রত্যেকটা পরমাণু  চায় তাঁর নিকটতম নিষ্ক্রিয় মৌলের ইলেকট্রন কাঠামো লাভ করতে।    নিষ্ক্রিয় মৌলের ইলেকট্রন কাঠামো  লাভের উদ্দেশ্যে প্রত্যেকটা পরমাণুর হয় ইলেকট্রন  ছেড়ে দেয় বা গ্রহণ করে অথবা শেয়ার করে পরস্পরের সাথে বন্ধনে আবদ্ধ হয়।  এভাবে বিভিন্ন যৌগের সৃষ্টি হয়।

প্রত্যেকটা যৌগের যোজনী শূন্য।  যে কারণে সাধারণ অবস্থায় প্রত্যেকটা যৌগ  নিষ্ক্রিয়। একটি  যৌগ যখন অন্য একটি মৌল ও যৌগের সংস্পর্শে আসে তখন বিশেষ কিছু শর্তসাপেক্ষে তাদের মধ্যে বিক্রিয়া সম্পন্ন হয় ফলে নতুন  যৌগের সৃষ্টি হয়।  এছাড়াও প্রাকৃতিক উপায় নানান  যৌগের সৃষ্টি হয়ে থাকে।  এভাবে অসংখ্য যৌগ  রসায়নকে সমৃদ্ধ করে।

 

বিশ্বের সর্বাধিক টেকসই ক্যারিয়ার হসপিটালিটি শিল্প

বিশ্বের সর্বাধিক টেকসই ক্যারিয়ার হসপিটালিটি শিল্প (The most sustainable career hospitality industry in the world )

বর্তমান বিশ্বের  সর্বাধিক চাহিদা সম্পন্ন  এবং স্বপ্নীল ক্যারিয়ার হসপিটালিটি সেক্টর।  পৃথিবীর  সকল দেশেই  এই পেশার  চাহিদা  ব্যাপক  বিশেষভাবে ট্যুরিষ্ট দেশ গুলোতে যেখানে হোটেল শিল্পের ব্যবসা রমরমা  সেখানে এই  কাজ করতে  আগ্রহীদের  চাহিদা  আকাশ চুম্বী। বাংলাদেশেও প্রতিনিয়ত  এগিয়ে যাচ্ছে  হোটেল শিল্প  এবং এর সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশের কর্মীর চাহিদা।

এই কোর্সে প্রশিক্ষণ শেষে একজন শিক্ষার্থী তার ক্যারিয়ার গড়তে পারে ৩/৫ তারকা হোটেল, ট্রাভেল এজেন্সি, এয়ারলাইন্স, হোটেল এন্ড মোটেল গুলোতে।

বিএসডিআই ১৭ বছর ধরে হোটেল সেক্টরে দক্ষভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে,  ২০০৪ সাল থেকে হোটেল সেক্টরে প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। বিএসডিআই’তে রয়েছে ১ বছর মেয়াদি বৃটিশ ডিপ্লোমা, ৬ মাস মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স, ৪ মাস মেয়াদি সল্প মেয়াদি ট্রেড কোর্স ।

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেট ইনস্টিটিউটে  (বিএসডিআই) হোটেল শিল্পে দক্ষ  কর্মী ও টেকসই কর্ম-সংস্থানের সুযোগ নিয়ে পরিচালনা করছে  ৬ মাস মেয়াদি হসপিটালিটি ক্যাটারিং এবং কুকিং ডিপ্লোমা  কোর্স।  এই ডিপ্লোমা কোর্সের মাধ্যমে  একজন  শিক্ষার্থী নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারে থ্রিওরি ও প্যাকটিক্যাল ক্লাসের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে।

 

শিক্ষাপদ্ধতিঃ 

এই কোর্সের আওতায় প্রশিক্ষন প্রদান করা হবে  শেফ কোর্স, ফুড এন্ড বেভারেজ সার্ভিস কোর্স, রুম সার্ভিস, অপারেশন এবং ফন্ট অফিস ম্যানেজমেন্ট।

৬ মাস মেয়াদী এই কোর্সটি পরিচালনা করা হবে হাইব্রিড মেথড এর মাধ্যমে। যেখানে প্রথম চার মাস থিওরি ক্লাস অনলাইনে এবং পরের দুই মাস প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস অফলাইনে ল্যাবে পরিচালনা করা হবে।

 

কেন আমরাই সেরা?

  • হোটেল শিল্পে  প্রশিক্ষনে ১৭ বছরের অভিজ্ঞতা
  • আধুনিক ল্যাব
  • দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকা
  • স্বনামধন্য কোম্পানির সাথে সংযুক্তি

 

সুবিধা : 

  • সরকারি সনদ
  • দেশে-বিদেশে ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা
  • চাকরির সহায়তা
  • ল্যাবে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ।

 

ভর্তির যোগ্যতাঃ 

নুন্যতম যেকোন সালে এস এস সি/ সমমান পাশকৃত হতে হবে।

 

ভর্তি সেশনঃ 

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেট ইনস্টিটিউট (বিএসডিআই)-তে বছরে ৪ টি সেশনের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, বর্তমানে মার্চ সেশনে ভর্তি চলছে।

 

যোগাযোগঃ

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট(বিএসডিআই), বাড়ি- ২ বি, রোড- ১২, মিরপুর রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা। ফোনঃ ০১৭১৩৪৯৩২৪৬, ০১৭১৩৪৯৩২৪৩, www.bsdi-bd.org