বৈপ্লবিক পরিবর্তনে কম্পিউটার বিজ্ঞানের তাৎপর্য

বৈপ্লবিক পরিবর্তনে কম্পিউটার বিজ্ঞানের তাৎপর্য

বৈপ্লবিক পরিবর্তনে কম্পিউটার

আমরা যেহেতু ডিজিটাল যুগে বাস করি, বেশিরভাগ শিল্পপ্রতিষ্ঠান গুলো  ডেটা এবং সফ্টওয়্যার এর নির্ভর করে। কম্পিউটার সায়েন্স  মূলত বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য উন্নয়ন, পরিবহন, ব্যাংকিং, যোগাযোগগুলি সবকিছুর উপরে প্রভাব ফেলে। এমনকি মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ফ্রিজ বা দরজার তালার মতো জিনিসগুলি এখন আমাদের ওয়াই ফাই নেটওয়ার্ক এবং ব্যক্তিগত সহায়ক ডিভাইস গুলির সাথে সংযুক্ত।

প্রযুক্তি বিশ্বকে উন্নতির চরম শিখরে সংযুক্ত করেছে। কিন্তু যাদু দ্বারা এটি ঘটেনি। আমরা আইটি গ্র্যাজুয়েটদের ধারালো চিন্তা এবং পরিশ্রমে এখানে পৌঁছেছি। বর্তমানে এই প্যানডেমিকের দিনে কম্পিউটার প্রোগ্রাম ছাড়া একটা দিনও অতিবাহিত করা দুর্বিষহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কিন্তু পাঠদান কার্যক্রম সচল রয়েছে, সব ধরনের কার্যক্রম অনলাইনে পরিচালিত হচ্ছে, বিভিন্ন ওয়েবিনার, ওয়ার্কশপে মানুষ ঘরে বসেই যুক্ত হতে পারছে। পৃথিবীতে কি ঘটছে সবকিছুর খোঁজখবর ঘরে বসেই সবাই পেয়ে যাচ্ছে। এর সবকিছুর পেছনে কম্পিউটার বিজ্ঞান ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। মানুষের কল্যাণে প্রতিনিয়ত  আইটি গ্রাজুয়েটরা পরিশ্রম করে যাচ্ছে যাতে মানুষের কাছে সবকিছু সহজলভ্য হয়। আপনিও এই গ্রাজুয়েটদের মধ্যে সংযুক্ত হয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবনে সহায়তা করে মানুষের জীবন যাত্রাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।

১। ব্লকচেইন কি তাহলে ভবিষ্যৎ?

২। আমরা কীভাবে পরবর্তী বড় সাইবার-আক্রমণ বন্ধ করতে পারি?

৩। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা কি মানুষের বড় বড় সমস্যা গুলো সমাধান করতে পারবে?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার জন্য আপনার যে সমস্ত ধারণা এবং যে দক্ষতা প্রয়োজন সেগুলো অর্জন করতে পারবেন কম্পিউটার সাইন্স ডিগ্রির মাধ্যমে, আমাদের ভবিষ্যতের একটি বড় অংশ প্রযুক্তির উপরে নির্ভর করে আছে এবং এটি আমাদের বিশ্বকে প্রভাবিত করবে পাশাপাশি বিশ্বের নতুন রূপ আমরা দেখতে পাব।

বিশেষজ্ঞ হওয়ার জন্য এবং সেরা কম্পিউটার বিজ্ঞানের কাজগুলির একটি দখল করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পোঁছে যেতে পারবেন। বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা বিশেষত পেশাদারদের জন্য দরকারী, যারা বড় ডেটা বা অ্যালগরিদম দিয়ে কাজ করেন। বিশদ মনোযোগ আপনার অ্যাপ্লিকেশন বা সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামটি তৈরি করতে বিশেষ ভাবে সহায়তা করে। কোডের বাগযুক্ত লাইন গুলো নিয়ে বার বার ভাবুন, বাগমুক্ত করুন। শেষ পর্যন্ত আপনি যে ফলাফলটি চান তা তৈরি না করা পর্যন্ত আপনাকে অসংখ্য বার পরীক্ষা এবং ত্রুটির মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং এটার জন্য প্রচুর ধৈর্য দরকার।

চাকরির ক্ষেত্রে কম্পিউটার সায়েন্সের বিস্তৃতি সুবিশাল, সফটওয়্যার ডেভেলপার থেকে শুরু করে ডাটাবেজ এডমিনিস্ট্রেটর এছাড়াও গতানুগতিক কাজের সুযোগগুলোর পাশাপাশি আরও একটি বিস্তৃত ক্ষেত্র হল কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করার জগত।

একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে, আপনি এই দক্ষতাগুলি নিয়ে বিশ্বের যে কোনও জায়গায় আইটি পেশায় প্রয়োগ করতে পারেন। প্রোগ্রামিংয়ের ভাষা সর্বত্র একরকম এবং আপনি যদি পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে ভ্রমণ করতে চান তবে আইটি বিভাগ আপনাকে সর্বদা স্বাগতম জানাবে।

আসলেই কি কম্পিউটার সায়েন্সর চাকরির ক্ষেত্র সুবিশাল? যদি এক কথায় বলি তাহলে ‘নিঃসন্দেহে সুবিশাল ক্ষেত্র রয়েছে’ । কম্পিউটার সায়েন্স পরবর্তী বছর গুলিতে অন্যান্য শিল্পের তুলনায় অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সর্বোপরি বলা যায় যে, কম্পিউটার সায়েন্স বর্তমান এবং পরবর্তী প্রজন্মে অভিনব পরিবর্তন বয়ে নিয়ে আসবে, যার পিছনে মেধাবী আইটি গ্রাজুয়েটদের কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্য অন্যতম ভূমিকা পালন করবে।

লেখক: 

অভিজিত রায়

ইন্সট্রাক্টর

কম্পিউটার টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

 

Tags: No tags

Comments are closed.