প্রফেশনাল ক্ষেত্রে সফটস্কিল
পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাবো,স্কুল থেকেই বাচ্চাদের সফট স্কিলের ধারণা দেওয়া শুরু হয়। যেমন শিক্ষক বাচ্চাদের কে শেখানোর জন্য একটা নির্দিষ্ট জায়গায় খেলতে নিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের খেলতে দিচ্ছে, যেখানে অনেক বাচ্চা একসাথে খেলাধুলা করে এতে বাচ্চাদের মধ্যে একটা কনফ্লিকট বাধার প্রবনতা থাকে যেমন কথা কাটাকাটি হয় বা মন মালিন্য হয় ইত্যাদি, সেখানে বাচ্চারা কীভাবে ব্যাপারটাকে হ্যান্ডেল করছে বা কীভাবে কনফ্লিকট টার সমাধান করছে তা অবজার্ভ করেন এবং পড়ে তাদেরকে ইনডোর কাউন্সেলিং করা হয়। যা আমাদের দেশের থেকে অনেক ভিন্ন, যার ফলে তাদের ফলাফল ও আমাদের দেশের থেকে অনেক ভিন্ন ও ভাল হয়। তারা সহজেই দলবদ্ধ ভাবে কাজ করতে পারে, নেতৃত্ব দিতে পারে এবং যে কোনো সমস্যার সহজেই সমাধান করতে পারে।
প্রফেশনাল ক্ষেত্রে সফট স্কিল এবং হার্ড স্কিল, এই দুই স্কিল সম্পর্কেই ধারণা থাকতে হবে। প্রোফেসনাল সম্পর্ক গুলো মূলত অনেক সেনসিটিভ হয়, একবার যদি এখানে একটা ফাটল ধরে, অই জিনিসটাকে ঠিক করা খুব কথিন হয়ে দাড়ায়। তাই আমরা যত বার প্রোফেসনাল আচারনের কথা বলি আমরা সবার আগে বলি, “ Prevention is always better than cure.”
প্রফেশনাল ক্ষেত্রে সফট স্কিল এবং হার্ড স্কিল দুইটার গুরুত্বই অপরিসীম। হার্ড স্কিল বলতে মূলত টেকনিক্যাল বা ফাংশনাল স্কিলকে বোঝায়। যেমন আপনি একজন মার্কেটিং স্পেশালিষ্ট আপনার মার্কেটিং এ নলেজ লাগবে যখনই আপনি এটিকে সেলসে কনভার্ট করতে যাবেন তখনই আপনাকে প্রোডাক্ট প্লানিং, প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করতে হবে, আর এগুলই মূলত আপনার ফাংশনাল স্কিল।
আর সফট স্কিল হল আপনি কাজটা করতে গিয়ে কত সৃজনশীল ভাবে চিন্তা করতে পেরেছেন, একটি দল থেকে কীভাবে দলবদ্ধ হয়ে কাজটি করছেন বা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন , আপনি কীভাবে প্রবলেম সল্ভ করেছেন, আপনি কীভাবে অন্য টিম মেম্বারদের মতামত গ্রহন করছেন ইত্যাদি।
কর্মজীবনে যে কোনো পজিশনেই আপনি থাকেন না কেন, সফট স্কিল আপনার সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হবে। এমন কি একজন ফ্রেশার তারও সফট স্কিলের প্রয়োজন আছে কারন যখন সে কোনো ইন্টার্ভিউয়ের জন্য যাবে এবং তাকে যখন স্যালারি অফার করবে তখন তাকে জানতে হবে কীভাবে নেগোশিয়েট করতে হয়।