পছন্দের কর্মক্ষেত্র যখন বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র

পছন্দের কর্মক্ষেত্র যখন বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র

তড়িৎ প্রকৌশল বিজ্ঞানের কর্মক্ষেত্র সুবিশাল পরিসরে বিস্তৃত। বিজ্ঞানের এই শাখাটি অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত। আধুনিক বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার মুল চাবিকাঠি বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র হতে পারে একটি দেশের উন্নয়নের মুলমন্ত্র।

উপসহকারী প্রকৌশলীরা উৎপাদনকেন্দ্রের বিভিন্ন কার্যক্রমকে দক্ষ হাতে পরিচালনা করে বিদ্যুৎব্যাবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে হতে পারে দেশের সেবক। শিক্ষার উদ্যেশ্যই হওয়া চাই সেবা। ইলেকক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর এই কর্মক্ষেত্রটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং এবং সংবেদনশীল।

পর্যাপ্ত তাত্বিক ও ব্যাবহারিক জ্ঞান, কর্মের প্রতি ভালোবাসা তোমাকে অনেক উচু আসনে বসাতে পারে। এই কর্মক্ষেত্রটি তাদের জন্য হওয়া চাই, যাদের উৎপাদন ব্যাবস্থার প্রতি রয়েছে জানার, শেখার এবং প্রয়োগ করার প্রবল আগ্রহ। বস্তুত তোমার কর্মক্ষেত্র তোমাকেই নির্বাচন করা উচিৎ । আমাদের দেশে অনেকেই আছে কর্ম পেয়েছি বলেই কর্ম করে যাচ্ছি,  এমনটা কখনোই হওয়া উচিৎ নয়। এমন কর্মীরা সবসময়ই কাজের প্রতি হয় উদাসীন, আগ্রহ থাকেনা তাদের কাজের প্রতি।

আমার প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, আমি জানি তোমরা অত্যন্ত প্রতিভাবান এবং সৃজনশীল চিন্তার অধিকারী। তোমাদের এই সৃজনশীল চিন্তা আছে বলেই শিক্ষার বিষয়বস্তু হিসেবে পছন্দ করেছ ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। তোমরা যারা উৎপাদনকেন্দ্র নিয়ে প্রবল কৌতুহলী তারা এখন থেকেই একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন উৎপাদনকেন্দ্রগুলোর ওয়েবসাইট নিয়ে মাঝে মাঝে ঘাটাঘাটি করতে পারো যা তোমাকে আরো কৌতুহলী এবং চিন্তাশীল করে তুলবে। আমি মনে করি কৌতুহলই হল জানার এবং শেখার মুল উৎস।

তাছাড়া প্রতিবছর একটি করে পাওয়ার প্লান্ট ভিজিটের ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে। এই কাজটি  তোমাদের জন্য খুবই সহজ, আমরা শিক্ষকরাই এই পাওয়ার প্লান্ট ভিজিটের ব্যাবস্থা করে থাকি।  কোন অবস্থাতেই যেন তোমার শিক্ষাজীবনের কোন একটি ভিজিট মিস না করো সেদিকে খেয়াল রাখবে।

একাডেমিক শিক্ষার মধ্যে, পাওয়ার প্লান্ট নিয়ে বিশেষ একটি পাঠ্যবই রয়েছে এটি ভালোভাবে অধ্যয়ন করবে।  বইটির নাম “জেনারেশন অব ইলেক্ট্রিক্যাল পাওয়ার”। তাছাড়া সুইচগিয়ার এন্ড প্রটেকশন নামের বইটিকেও যথাযথভাবে অধ্যায়ন করবে। এই বইগুলো তোমাকে পাওয়ার প্লান্ট সম্পর্কিত স্বচ্ছ ধারনা দেবে।

শিক্ষক কিছু এসাইনমেন্ট দিয়ে থাকেন, এগুলো যথাযথভাবে সম্পাদন করে শিক্ষকের কাছে সাবমিট করবে। প্রতিটি এসাইনমেন্টকে অনুধাবন করে সম্পাদন করবে।

বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের পাওয়ার প্লান্ট রয়েছে, যেমন কয়লা,গ্যাস, সহ বিশেষ করে বর্তমানে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট। বিভিন্ন ধরনের পাওয়ার প্লান্ট এর অবস্থান, সুবিধা,অসুবিধা পার্থক্য, এগুলো নিয়ে ভাববে। পরিচালনার মূলনীতি নিয়ে নোট করবে।

জ্ঞানের আরেকটি অন্যতম প্লাটফরম হল ইন্টারনেট। ইউটিউবে পাওয়ার প্লান্ট বিষয়ক ভিডিও দেখা ,ব্লগ পড়া এবং বিভিন্ন আর্টিকেল পরে তোমার জ্ঞানভান্ডারকে করতে পারো সমৃদ্ধ।

উপসহাকারী প্রকৌশলীরা পাওয়ার প্লান্ট এর বিভিন্ন অপারেশন ও মেইনটেনেন্স এ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। তোমাদের অর্জিত তাত্বিক ও ব্যাবহারিক জ্ঞান এর মাধ্যমে পাওয়ার প্লান্টে কাজ করে, আমাদেরকে একটি আধুনিক বিদ্যুৎব্যাবস্থাপনা এবং বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি দেশ উপহার দেবে।

তোমাদের মেধা, দেশের সেবায় নিয়জিত হোক, এই প্রত্যাশায়-

নাহিদুল ইসলাম (নাহিদ)

ইন্সট্রাকটর,

ডিপার্টমেন্ট অব ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

 

Comments are closed.