চিরন্তন ছুটে চলা

চিরন্তন ছুটে চলা

বিয়ে,

পরস্পরের প্রতি কখনো ভালোবাসা, আবার কখনো তা নিতান্ত ছলনা, এরপর পৃথিবীতে আসা।
এরপর শৈশব, কৈশোর, যৌবন এবং সবশেষে বার্ধক্য অবশেষে পৃথিবী থেকে চলে যাওয়া।
এটাই পৃথিবীতে আসা-যাওয়ার গল্প।
কিন্তু রেখে যাওয়া কিছু স্মৃতির চলে নিরন্তন ছুটে চলা।

সেদিন তুমি পৃথিবীকে চিৎকার করে জানিয়েছিলে তোমার জন্মের কথা। হয়তো সবাই সেদিন খুশি ছিলো, কিন্তু তুমি ছিলে
অসহায়। এর পর মা-বাবার আদরে ধীরে ধীরে বড় হওয়া। তোমার বয়স যখন ১ বছর, তখন আধো আধো কথা বলো,
এরপর ২ বা ২ ১/২ বছরে ভালোভাবেই কথা বলতে শিখেছো কিন্তু তখনও ভালোভাবে উঠে দাঁড়ানোর শক্তি নেই। সে সময়
পরিবারের মানুষের হাতে-হাত রেখে হাঁটার চেষ্টা।
বয়স যখন ৪/৫ তখন শুধু হাটঁতেই শেখনি, দৌড়ানোটাও শিখেছো তখন। এরপর শুরু হলো জীবনযুদ্ধ পড়ালেখা। তখন
তুমি প্রাইমারিতে, তখনও তুমি বোঝনি জীবনের মানে, বাবা মায়ের বা শিক্ষকদের শিখানো বুলি তোমার মুখে। তারপর
শুরু হলো সেকেন্ডারি পড়াশোনা। এখন তোমার মস্তিষ্ক কিছুটা বুঝতে পারছে, হচ্ছে কিছু জীবনের পরিবর্তন।

এরপর কলেজ- ভার্সিটির গন্ডি

যেখানে তোমার খোঁজার পরিপূর্ণ সময় জীবনের মানে।

তুমি অর্থ উপার্জন করলে, সংসারি হলে এরপর ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়া। বয়স ৫০/৬০, তখন ভাবছো পরপারের কথা।
এটাই আমাদের জীবন।
কেন পৃথিবীতে আসলে? আর কেনই বা চলে যাওয়া? ভেবেছো কখনো?
ধরো তুমি একটা কাগজ দিয়ে উড়োজাহাজ তৈরি করেছো: কারন সেটি উড়িয়ে তুমি  বিনোদন পাবে অথবা তুমি একটা
হাত-পাঁখা তৈরি করেছো, সেটি তোমাকে গরমে একটু স্বস্তি দেবে। এটাই নিয়ম |
আমরা কিছু  করি, তা থেকে কিছু পাওয়ার আশায়।
তাহলে তুমি একটু অনুভব করো যে তুমিতো এমনি একটা কিছু করো নাই, তবে তুমি যে পৃথিবীতে আসলে তুমিও এমনি
আসো নাই। মহান আল্লাহ তোমাকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। আর তোমাকেও পৃথিবীতে কিছু করে যেতে হবে, যেন আরেক
জগতে তোমার  স্রষ্টা খুশি হয়। তাই আমাদের এই নিরন্তর পথচলা হোক ভালো কিছু কজের মাধ্যমে, যেন পৃথিবীতে
আমাদের নাম মুছে না যায়।
শুধু ফেসবুক, ওয়াটসঅ্যাপ, ম্যসেন্জারে মধ্যে কমিনিউকেশনে আটকে জীবনটাকে যান্ত্রিক না করে বাবা-মা, পরিবার-
পরিজন, প্রিয়জন সকলকে সময় দেই সাধ্যমত আর সৃষ্টিকর্তার ইবাদত করে হোক আমাদের ছুটে চলা সামনের দিকে।

সবশেষ একজন সফল মানুষের বিশেষ একটা উক্তির মাধ্যমে আমার আজকের লিখার ইতি টানতে চাই,,,– তিনি কনরাড
হিলটন (প্রতিষ্ঠাতা, হিলটন হোটেল চেইন), তিনি বলেছেন-

“সফল মানুষেরা কাজ করে যায়। তারা ভুল করে, ভুল শোধরায় – কিন্তু কখনও হাল ছাড়ে না”
অর্থাৎ তার চলে নিরন্তন ছুটে চলা। ধন্যবাদ।

লেখকঃ

মোঃ আলামিন হোসেন,
লেকচারার, ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

 

Comments are closed.