A seminar on Training of Trainers, Competency-based training (CBT).

Daffodil Polytechnic Institute, a leading technical institute in Bangladesh, recently took a significant step towards enhancing the quality of its training by hosting a seminar on Competency-Based Training (CBT). Led by Mr. K M Hasan Ripon, the Executive Director of Bangladesh Skill Development Institute (BSDI), the seminar focused on equipping faculty members with the knowledge, skills, and attitudes needed to deliver world-class CBT programs.

The session explored a variety of key topics, delving into effective task and contingency management within the specific environment of technical education. Additionally, Mr. Ripon emphasized the importance of presentation skills, ensuring that faculty members can not only impart knowledge but also do so in a clear, engaging, and impactful manner.

By completing this program, Daffodil Polytechnic Institute’s faculty is now equipped with the tools to:

– Apply effective communication: Facilitate a learning environment where students feel comfortable asking questions, participating in discussions, and actively engaging with the material.
– Utilize critical thinking: Encourage students to go beyond rote memorization and develop their analytical skills, enabling them to solve problems and think creatively.
– Navigate complex challenges: Foster a collaborative spirit among students and prepare them to tackle real-world situations with competence and confidence.


Ultimately, the implementation of CBT at Daffodil Polytechnic Institute promises to benefit not only the faculty but also the students. By focusing on the specific skills and knowledge required for success in the workplace, the institute is preparing its graduates to hit the ground running and make a difference in the technical industry.

This initiative sets a commendable example for other technical institutions in Bangladesh. By adopting competency-based training and investing in faculty development, Daffodil Polytechnic Institute is paving the way for a future where technical education is both relevant and impactful, shaping skilled professionals who are ready to contribute to the nation’s economic and technological advancement.

পৃথিবীখ্যাত সেরা আর্কিটেক্টদের পরিচয়

বর্তমান বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোর বিলাসবহুল এবং গগনচুম্বী বিল্ডিং বলতে প্রথমেই যে নাম গুলো আসে সেগুলো হল্ বুর্জ আল খলিফা,সাংহাই টাওয়ার,জেদ্দা টাওয়ার, মক্কা রয়েল ক্লক টাওয়ার ইত্যাদি । আজকের দিনের এই নান্দনিক ডিজাইনসম্পন্ন বিলাসবহুল এবং গগনচুম্বী বিল্ডিং দৃশ্যমান হবার পিছনে  যুগ যুগ ধরে কাজ করে আসছেন পৃথিবীসেরা বিভিন্ন স্থপতিগণ।

বিল্ডিং এবং নির্মাণ সম্পর্কে ধারণা শুরু হয়েছিল কয়েক বিলিয়ন বছর পূর্বে। সেই থেকে বিভিন্ন স্টাইল এবং ডিজাইনের উদ্ভাবন। আর স্থপতিরা তাদের কাজের মাধ্যমে ডিজাইনে ইউনিক কনসেপ্ট গুলোকে ফুটিয়ে তুলেছে।সাধারণ বিল্ডিং থেকে শুরু করে গগনচুম্বী বিল্ডিং ডিজাইনের মাধ্যমে স্থপতিরা গ্রহন করেছে তাদের সেরা অর্জন ।

চলুন পরিচিত হয়ে আসি পৃথিবী সেরা কিছু উজ্জ্বল স্থপতিদের সাথে………

 

Mies van der Rohe              

 

Zaha Hadid                                       

 

লুডউইগ মাইস ভ্যান ডের রোহে (Ludwig Mies van der Rohe)


জার্মান-আমেরিকান স্থপতি মাইস ভ্যান ডের রোহে আধুনিক স্থাপত্যের অগ্রদূত হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত। তারবিখ্যাত্ “less is more” প্রস্তাবনা টি তাকে স্থাপত্য মহলে স্মরণীয় করে রেখেছে। এবং তার এই প্রস্তাবনার মাধ্যমে তিনি স্থাপত্য বিদ্যায় Contemporary স্থাপত্য রীতির প্রবর্তন করেন এবং তা ডিজাইনে সহজ এবংসাবলীল মাত্রা যোগ করেছিল। তিনি তার বিল্ডিং গুলোতে বিভিন্ন আধুনিক ম্যাটেরিয়ালস যেমন- প্লেট গ্লাস, ইন্ড্রাস্টিয়াল স্টিল ইত্যাদি ব্যবহার করতেন যা ডিজাইনে ইন্টেরিয়র স্পেস প্ল্যানিং এ খুবই কার্যকরী। তার উল্লেখ্যযোগ্য স্থাপত্য কর্ম গুলো হলো-বার্সেলোনা প্যাভিলিয়ন, ফার্নসওয়ার্থ হাউস, নিউ ন্যাশনাল গ্যালারী,ওয়েস্ট মাউন্ট স্কয়ার, টরন্টো ডমিনিয়ন সেন্টার।

ফ্রাঙ্ক লয়েড রাইট (Frank Lloyd Wright)

ফ্রাঙ্ক লয়েড রাইট বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত স্থপতি। তিনি তুলনামূলক ভাবে নিচু আকৃতির বিল্ডিং এর ডিজাইন ডেভেলাপ নিয়ে কাজ করেছেন। ফলিং ওয়াটার রেসিডেন্স এর কনসেপ্ট ও আবির্ভূত হয়েছিল এই বিখ্যাত স্থপতি ফ্রাঙ্ক লয়েড রাইট থেকে যা এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম শীতলতম এবং সেরা স্থাপত্যের অংশ হিসেবে অভিহিত। তার এই বিখ্যাত রেসিডেন্সের রেক্টেঙ্গেল আকৃতির বেল্কুনি গুলো দেখে মনে হবে যেন প্রাকৃতিক কোন জল্প্রপাতের উপর ভেসে আছে।

 

মাইকেল গ্র্যাভস (Michael Graves)

মাইকেল গ্র্যাভস ছিলেন একজন আমেরিকান স্থপতি যিনি তার মডার্ন এবং পোস্টমডার্ন ডিজাইনের জন্য সর্বাধিক পরিচিত।তিনি একটানা চল্লিশ বছর প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার অন্যতম স্থাপত্য কর্ম গুলো হচ্ছে পোর্টল্যান্ড বিল্ডিং, ডেনভার পাবলিক লাইব্রেরী এবং ডলফিন রিসোর্ট, হিউম্যানো বিল্ডিং এর বেশ কয়েকটি বিল্ডিং।

রেম কুলহাস (Rem Koolhas)

রেম কুলহাস ১৯৪৫ সালে রটারড্যামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একুশ শতকের শীর্ষ স্থপতিদের মধ্যে Pritzker পুরস্কার প্রাপ্ত অন্যতম স্থপতি।তিনি শুধুমাত্র বিল্ডিং ডিজাইনার হিসেবেই নয় বরং স্থাপত্য তাত্বিক হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছেন।তিনি সর্বধিক পরিচিত চিনের বেইজিং এ অবস্থিত “সেন্ট্রাল চায়না টেলিভিশন হেডকোয়ার্টার” এর জন্য। এটি ৪৪ তলা বিশিষ্ট জালিকাকার গঠনে তৈরি একটি বিখ্যাত স্থাপনা যা স্থানীয়দের কাছে “big boxer shorts” হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া ও রয়েছে মস্কোর গ্যারেজ মিউজিয়াম,শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ,ডি রটারডাম কমপ্লেক্স ইত্যাদি।

 

জাহা হাদিদ (Zaha Hadid)

ইরাকি-ব্রিটিশ জাহা হাদিদ বিশ্বের মহিলা স্থপতিদের মধ্যে অন্যতম যিনি “Queen of the Curve” হিসেবে সর্বধিক পরিচিত। স্থাপত্য কাজে তিনি তার দর্শন বিদ্যাকে কাজে লাগিয়েছিলেন যা তাকে কৃতিত্ব অর্জনে সহায়তা করে।তিনি তার কাজের জন্য স্বীকৃতি পেয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন একাডেমিক,প্রফেশনাল এবং সিভিক ইন্সটিটিউট এর কাছ থেকে।তার  উল্ল্যেখযোগ্য প্রকল্প গুলোর মধ্যে রয়েছে গুয়াংজু অপেরা হাউস,লন্ডন অলিম্পিকস অ্যাকোয়াটিক  সেন্টার এবং চিনের বেইজিংয়ের গ্যালাক্সি এসওএইসও ইত্যাদি।

নরম্যান ফোস্টার (Norman Foster)

নরম্যান ফোস্টার ছিলেন লুডউইগ মাইস ভ্যান ডের রোহে, ফ্রাঙ্ক লয়েড রাইট এবং লি কর্বুসিয়র এর অনুসারী।ব্রিটিশ আর্কিটেক্ট নরম্যান ফোস্টার তার কেরিয়ারের প্রথম দিকে বাকমিনস্টার ফুলারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। তিনি তার কাজের মধ্যে ত্রিভুজাকৃতি ফর্মের পরে টেসলেটেড প্যাটার্ন এর প্রসার ঘটান এবং তার ডিজাইনের এই প্যাটার্ন তাকে স্মরনীয় করে রেখেছেন।লন্ডনের A: 30 St Mary Axe প্রদর্শনীতে ,লন্ডনের বানিজ্যিক এলাকায় নরম্যান ফোস্টার এর “The Gerkin” নামক স্কাইস্ক্রাপার বিল্ডিং টি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আইফেল টাওয়ার যেমন প্যারিস কে সিম্বোলাইস করে তেমনি  এই বিল্ডিং টি লন্ডন কে পুরো বিশ্বে পরিচিত করে তুলেছে।

সিজার পেলি (Cesar Pelli)

বিশ্বের সর্ববৃহৎ বা সর্বোচ্চ বিল্ডিং গুলোর স্থপতি এবং জনপ্রিয় নগর গুলোর আরবান প্ল্যানার হিসেবে সিজার পেলি সুপরিচিত।তার ইউনিক আর্কিটেকচারাল ডিজাইনের জন্য তিনি “American Institute of Architects” থেকে স্বর্ণপদক অর্জন করেন। পেট্রোনাস বা টুইন টাওয়ার ,ওয়ার্ল্ড ফিন্যান্সিয়াল সেন্টার,ওয়েলস ফার্গো সেন্টার, ক্রেল ক্লিনিক বিল্ডিং ইত্যাদি স্থাপনা গুলো তার অনবদ্য স্থাপত্যকর্ম গুলোর মধ্যে অন্যতম।

 

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পৃথিবী কে উন্নত থেকে উন্নতর করতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে স্থপতিরা,যাদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের ক্রিয়েটিভ কাজের প্রতিফলন আমরা সর্বত্র দেখতে পাই আমাদের উন্নত দেশের আরবান প্ল্যানিং এবং সুউচ্চ ইমারত গুলোতে। এসব আর্কিটেকদের সকল কাজ গুলো সার্থক ও সফল হয় মানুষের সক্রিয় বসবাসের মাধ্যমে।

 

লিমা আক্তার

জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর

আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

 

 

 

 

 

গল্প থেকে শেখা, পর্ব – ৮

গল্পের নাম- অন্ধ মেয়ে

একজন অন্ধ মেয়ে ছিল সে নিজের জীবন কে খুব ঘৃণা করতো  অন্ধ বলে। সে এই পৃথিবীর সবাইকে ঘৃণা করত শুধু তার বয়ফ্রেন্ড ছাড়া, কারন সে সব সময় তার সাথে থাকতে চেয়েছিল। মেয়েটি বলেছিল,যদি সে পৃথিবীটাকে দেখতে পারে তাহলে সে তাকে বিয়ে করবে। একদিন, কেউ মেয়েটিকে দুুটি চোখ দান করে, মেয়েটি  এখন সব কিছু দেখতে পায় এমনকি তার বয়ফ্রেন্ড সহ। মেয়েটির বয়ফ্রেন্ড মেয়েটিকে বলল, এখন তুমি সব কিছু দেখতে পারো,  এখন কি তুমি আমাকে বিয়ে করবে? 

মেয়েটি তার বয়ফ্রেন্ডকে দেখে চমকে উঠে কারন সে অন্ধ ছিল এবং বিয়ে করার জন্য অস্বিকার করে। তার বয়ফ্রেন্ড কাঁদতে কাঁদতে চলে যায় এবং একটি চিঠি লিখে যায়। চিঠিতে লেখা ছিল, আমার চোখ দুটো খেয়াল রেখো প্রিয়। 

 

গল্পের নীতিকথা 

যখন আমাদের পরিস্থিতি বদলে যায়, তখন আমাদের মনও বদলে যায়। কিছু লোক আপনার আগের জিনিসগুলি দেখতে সক্ষম হবে না এবং তাদের প্রশংসাও করতে পারবেন না। এই গল্পটি থেকে কেবল একটি নয়, শিক্ষা নেওয়ার মতো অনেকগুলি বিষয় রয়েছে। এটি একটি অনুপ্রেরণামূলক ছোট গল্প যা আমাকে নির্বাক করে রেখেছিল। 

ফ্রেশারদের চাকুরীর প্রস্তুতিঃ [পর্ব ৪]

 

চাকুরীর ইন্টারভিউ এর কমন কিছু প্রশ্ন

চাকুরীর ইন্টারভিউতে নিয়োগদাতা সাধারনত প্রত্যেক চাকুরীপ্রার্থীকে সাধারন কিছু প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের ব্লগে আমরা তেমন কিছু প্রশ্ন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।

 

প্রশ্ন -১ আপনার নিজের সম্পর্কে বলুন

কথোপকথন শুরু করার জন্য নিয়োগদাতা এই প্রশ্নটি করে থাকেন। খুব অল্প কথায় নিজের নাম এবং আপনি কোন জেলা থেকে তা দিয়ে শুরু করুন। মনে রাখবেন নিয়োগদাতার হাতে থাকা সিভিতে যে সমস্ত তথ্য রয়েছে তা বারবার রিপিট করবেন না। সর্বোচ্চ স্তরের শিক্ষা, কাজের দক্ষতা এবং অন্যান্য আগ্রহ সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে উত্তর দিন।
যেমন,
I grew up in Dhaka and I studied Diploma in Textile Engineering/Computer technolgy/ Civil Technology. I also worked for an factory for 6 months. I really enjoy solving my subject related problem this is the reason why I like this job. In my free time I like to read.

প্রশ্ন -২ আপনার দক্ষতা সম্পর্কে বলুন

নিজের সম্পর্কে আপনি কতটুকু পজেটিভ তা দেখার জন্য সাধারনত নিয়োগদাতা এই প্রশ্নটি করে থাকে। নিজের দক্ষতা বা গুন সম্পর্কে যথাসম্ভব অল্পকথায় আলোচনা করার চেষ্টা করুন।
যেমন,

My strongest strength is attention to detail. I totally believe in planning and execution. In fact, when I was in my college I used to organize my week. Because of my very outgoing nature many people have said that I am quiet approachable so, I believe these are my strengths.

প্রশ্ন -৩ আপনার দুর্বলতা সম্পর্কে বলুন।

এই প্রশ্নের উত্তরে সরাসরি কোন দুর্বলতা উল্লেখ্য করবেন না। উত্তর দেয়ার ক্ষেত্রে একটু কৌশলী হোন যাতে করে নিয়োগদাতার আপনার দুর্বলতাকেও পজিটিভ ভাবে গ্রহন করার সুযোগ থাকে।

যেমন, ন
My weakness is I am too much detail oriented. I always try to accomplish everything and I just want everything to be perfect, but then I realise, I am taking extra time. And maybe that makes me submitting projects late. I think this is my weakness.

 

প্রশ্ন – ৪ আপনার জীবনের লক্ষ্য কি?
এই প্রশ্নের মাধ্যমে নিয়োগদাতা আপনি ভবিষ্যত নিয়ে কিভাবে ভাবেন, আপনার দূরদর্শিতা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন। এমন কোন উত্তরন উত্তর দিবেন না যেটা একেবারেই অসম্ভব।

বাস্তবতার সাথে মিল রেখে উত্তর দিন।

যেমন,

Well five years from now, I would like be in the management position. Till then, I would like to gain practical experience and then eventually become a Manager. Of course, I would like to share and learn new things from my team members.

 

 

প্রশ্ন – ৪ আপনি আনি আমাদের কোম্পানি সম্পর্কে কি জানেন?

উক্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে কোম্পানি সম্পর্কে জানার করুন। যে কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিবেন তার ওয়েবসাইট রিসার্চ করুন। উক্ত কোম্পানীতে পরিচিত কেউ থাকলে তার সাথে আলোচনা করুন। উত্তর দেয়ার চেষ্টা করুন এভাবে,
Your company is very well known for the customer service and you also won an award for the best service provider in the country.

 

আজ এই পর্যন্তই।
আমন্ত্রন থাকল পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য।

 

 লেখক,

মোঃ জায়েদুল হক, ইন্সট্রাকটর

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

গল্প থেকে শেখা, পর্ব – ২

গল্পের নাম: বাক্সের বাইরে চিন্তাভাবনা ( সৃজনশীল চিন্তা)

 

প্রায় কয়েকশ বছর আগে, ইতালীর একটি ছোট্ট শহরে একজন ছোট ব্যবসায়ী ছিল তার অনেক টাকা ধার ছিল সুদখোরের কাছে। যে সুদখোর লোকটি তাকে ধার দিয়েছিল সে অনেক বৃদ্ধ ছিল এবং দেখতে আকর্ষণীয় ছিল না। তার ব্যবসায়ীর মেয়েকে পছন্দ হয়েছিল।

 তিনি ব্যবসায়ীকে এমন একটি চুক্তির প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলেন যা তাকে দেওয়া  ধার সম্পূর্ণভাবে শোধ করবে। তবে,প্রস্তাব টি তিনি যদি ব্যবসায়ীরমেয়েকে বিয়ে করতে পারেন তবে তারা ধার শোধ করবে। বলাই বাহুল্য, এই প্রস্তাবটিকে অত্যন্ত ঘৃণার চোখে দেখা হয়েছিল। সুদখোর ব্যবসায়ী বলেছিল যে একটি ব্যাগে সে দুটি পাথর রাখে, একটি সাদা এবং একটি কালো।

ব্যবসায়ীর মেয়েকে ব্যাগের  কাছে যেতে হবে এবং ব্যাগ পাথর বের করতে হবে। যদি পাথর টি কালো হয় তাহলে তিনি ব্যবসায়ীর মেয়েকে বিয়ে করবেন এবং তার সব ধার শোধ হয়ে যাবে। আর যদি  পাথর টি সাদা হয় তাহলেও সব ধার শোধ হয়ে যাবে এবং ব্যবসায়ীর মেয়েকে বিয়ে করতে হব না।

 

সবলোক ব্যবসায়ী লোকটির বাগানে চলে গেল, আর ওই সুদখোর লোকটি দুইটি পাথর উঠালো। যখন ওই সুদখোর লোকটি পাথর উঠাচ্ছিল তখন ব্যবসায়ীর মেয়ে দেখলো যে লোকটি দুইটি পাথরই কালো উঠালো এবং ব্যাগে রেখে দিল।

 

পরবর্তীতে মেয়েটিকে ব্যাগটি দিয়ে দিল এবং বলল ব্যাগ থেকে একটি পাথর বের করতে।

মেয়েটির কাছে  তিনটি অপশন ছিল-

১. ব্যাগ থেকে পাথর নিতে অস্বীকার।

২. ব্যাগ থেকে উভয় পাথর বের করে এবং সুদখোরের প্রতারণার সবার সামনে  প্রকাশ করা।

৩. সবটা জেনেওে কালো পাথরটা বের করে  লোকটিকে মেনে নেওয়া এবং তার পিতার সমস্ত ধার শোধ করে নিজেকে উত্সর্গ করা।

 

মেয়েটি ওই ব্যাগটি থেকে একটি পাথর বের করল, কিন্তু পাথরটি দেখার আগে ‘দুর্ঘটনাক্রমে’ হাত থেকে পরে যায় যেখানে অনেক পথর আগে থেকেই পড়া ছিল সেখানে। মেয়েটি বলল ব্যাগে দেখি যে কোন পাথর টা রয়েছে ।তারপর বোঝা যাবে যে আমার হাত থেকে কোন পাথরটি পড়েছে। 

 

যেহেতু সুদখোর লোকটি ব্যাগের মধ্যে দুইটি পাথরই কাল রেখেছিল  তাই ব্যাগের মধ্যে থাকা পাথরটি কালো ছিল এবং তা সুদখোর ব্যবসায়ী প্রকাশ করতে চাচ্ছিল না। তাই এমন  প্রতিক্রিয়া তাকে  করতে হয়েছিল যেন মেয়েটির পড়ে যাওয়া পাথর টি সাদা ছিল এবং মেয়েটি তার বাবার ধার শোধ করতে সক্ষম হল।

গল্পের নৈতিকতা:

এটা জরুরি না যে কিভাবে আমরা আমাদের কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠার আমাদের সামনে যে সে বিকল্পগুলো কে বেছে নিতে হবে। সব সময় কিছু না কিছু বক্সের বাইরে  চিন্তা করে পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।

মাইরের উপর ওষুধ নাই (রম্যরচনা)                                                                      

মাইরের উপর ওষুধ নাই (রম্যরচনা)

মাইরের উপর ওষুধ নাই (রম্যরচনা) – সকাল সন্ধ্যা স্টুডেন্টদের সাথে বক-বক করে আবার সন্ধ্যায় স্টাফ মিটিং করে একটু যে শান্তিতে শুয়ে বিশ্রাম নিবো তা আর কপালে সইলোনা । পাশের রুমে মা আর আমার এক নাম্বারের বাদর অনুজ হাও কাও লাগিয়েছে অনেক্ষন হলো । নাহ, আর সইতে পারছিনা । একটু দেখেই আসি ঘটনাটা কি । গিয়ে দেখি এই দুই বান্দা টিভি নিয়ে গবেষণা করছে রীতিমতো । মা বকা দিচ্ছে আমার ছোট ভাইকে । টিভিতে একটু পরপর সমস্যা হচ্ছে মা দেখতে পাচ্ছেনা তাই সে এবার টিভিটাই খুলে হাতুরে ইঞ্জিনিয়ারিং শুরু করেছে । আমি এই চরম ইঞ্জিনিয়ারিং মুহুর্তটি দেখতে হাতছাড়া করলাম না । আমি জানি একটু পর টিভি টা আরো বেশি খারাপ হয়ে যাবে, আর তখন মা যে কি ভাবে তাকে উত্তম-মধ্যম লাগাবে সেটা ভেবেই চোখ দুটো চক-চক করে উঠলো দেখার জন্য । মনের মাঝে সেই লেভেলের একটা শয়তানি হাসি দিয়ে উঠলো । সকালে আমার চা এ ফাজিলটা দুধের বদলে আটা মিশিয়ে ছিলো ।

মিনিট দশেক পর সব আগের মতো করে লাগিয়ে সে টিভিটা অন করতেই টিভির দৃশ্যের ভয়াবহ বিপর্যয় দেখতে পেলাম মানে আর চালুই হচ্ছেনা। এখন অপেক্ষা মা এর হাতে খুন্তি বা ঝাটার বাড়ি উঠার । কিন্তু এই রিমান্ডের আগ মুহুর্তে আমার অনুজ এক হাত উঠিয়ে বললো শান্ত থাকো সবাই। এখন আখেরি দাওয়া দিবো, এই বলেই প্যান্টের পেছনে হাত টা মুছে দুম-দুম দুটো কিল বসালো টিভির উপর । ব্যাস সেই অলৌকিক ঘটনাটি ঘটেই গেলো । টিভি একদম এইচডি কোয়ালিটির ছবি দেখাতে লাগলো । এই জাদু দেখানোর পর অনুজ তার মাথার চুলে নায়কের স্টাইলে হাত বুলিয়ে একটা ভাব নিয়ে বললো এমন কত ম্যাশিন ঠিক করলাম । সত্যি বলতে তার ইঞ্জিনিয়ারিং এ কতটা কাজ হয়েছে তা জানিনা তবে মাইর দিয়ে যে কাজটা হয় তা আমি নিজেই সাক্ষী ।

সকালে চা বানাতে গিয়ে ঘটলো আরেক বিপত্তি। চিনির বক্সটা এমন ভাবে জেদ অভিমান করে বসলো যে কিছুতেই অভিমান কমিয়ে খুলতে পারলাম না । শেষে আমিও একটু দিলাম এক থাপ্পর । ব্যাস অনন্ত জলিলের মত অসম্ভব কে সম্ভব করে ফেললাম । গোসল খানার শাওয়ার (ঝর্না) টা বেশ কিছুদিন অল্প করে নিজেকে জলদান করছিলো । মা এর ডাকে সাড়া দিয়ে প্লায়ার্স দিয়ে দিলাম কয়েকটা বারি । ম্যাজিকের মত এর পর থেকে পানি মুক্ত মনে পরতে লাগলো । সব মিলিয়ে সকাল-সকাল অসাধারণ অভিজ্ঞতার মাঝে দিয়ে শুরু করলাম । অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার পুর্বে একবার ভেবে নিলাম সেই কোন এক মহাপুরুষ বলে গিয়েছিলেন মাইরের উপর নাকি ঔষধ নাই ।

ক্লাস নিতে মিটে ঢুকেই যখন দেখলাম ফাজিলের হাড্ডি গুলো ক্লাসে আসেনি আর যারা আছে তারাও ঝিমাচ্ছে তখন আবার মনে হলো মাইরের উপর ঔষধ নাই । কিন্তু মায়া ও হয় বাচ্চা গুলোর উপর আর অনলাইনে পিটুনি লাগানোর অপশনও নাই ।

ছোট বেলায় ভয়ানক কিছু প্রানীর মাঝে ছিলো ক্লাসের স্যার । ইনাদের হাতের ছিলো অসাধারণ পিটুনি শিল্প । এই শিল্প অধিকাংশই ঝরে পরতো উনাদের হ্যারিপটারের জাদুর লাঠি হতে । উনাদের সেই লাঠির জাদুতেই আজ আমরা বাঁকা পথে যাইনি। উনাদের এই শিল্প যে শুধু পিটুনি দিতেই লাগতো তা নয় , প্রতিভাও বের করে নিয়ে আসে। তখন আমি ৭ম শ্রেনীতে । আমার এক বন্ধু আর আমার মাঝে মোটামুটি ৩য় মহাযুদ্ধ সামনের ব্রেঞ্চে কে বসবে তা নিয়ে। বন্ধুর এর সাথে যুদ্ধে আমার শার্টের ২টি বোতাম শহীদ হয় । এই নিয়ে জমসেদ স্যার (স্কুলে ভয়ংকর রাগী স্যার হিসেবে পরিচিত) এর আদালতে বিচার হয় । আমাকে কান ধরে ২০ বার ইয়ে করতে হয় আর বেচারা বন্ধুকে ২০টা পিটুনি শিল্পের বেত্রাঘাত দান করে । স্যার যখনই তাকে বেত্রাঘাত দিতে লাঠি তুলে তখনই সে এমন ভংগিতে শারীরিক কসরত করে যে স্যার ৫/৬ টা বেত্রাঘাত দিয়েই হাসতে শুরু করে আর বলে সে নাকি ফিউচারে মাইকেল জ্যাকসন কে টেক্কা দিবে । সে বার বিদায় অনুষ্ঠানে স্যার তাকে একটা সুযোগও দিলো স্টেজে ব্রেকডান্স দেয়ার । সেই যে আমার দুটো বোতাম শহীদের বিনিময়ে তার স্টেজে উঠার সৌভাগ্য হলো তারপর থেকে প্রতি বছর আমাদের মহল্লায় তার নাচ দেখতে হয় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ।

বিকেলে বের হয়েছিলাম রাজশাহী পদ্মার পাড়ে বাতাস উপভোগ করতে। ভরা নদীতে পানির খেলা দেখে মন দুলে উঠলো নৌকার দুলুনি খেতে-খেতে । নৌকায় আমি বাদেও আরো কয়েকজন উঠলো ঠিকই কিন্তু নৌকার স্যালুমেশিন ইঞ্জিন আর স্টার্ট নেয় না। মাঝি তার চ্যালাকে চোখ রাংগিয়ে বললো “ মামুর ব্যাটা ঠ্যালে ঘুইরালেই হবে ? কান্ঠার উপ্রে স্যান্ধে লাগা” (রাজশাহীর আঞ্চলিক ভাষা) মানে শুধু ঘুরালেই হবেনা, মেশিনের এক পাশে জোরে মাইর লাগাতে হবে। মাঝির চ্যালা হাল্কা একটা বারি দিতেই ইঞ্জিন চালু। মাঝি তার হাজারী পাওয়ারের চশমাটা নাকের ৬০ ডিগ্রি কোণে স্থাপন করে ব্রাজিল রং এর দাত গুলো ভাসিয়ে হেসে বললো “ এঞ্জিনিয়ার হবি বোটা, শিখ্যালে কথা লুঠে লিবি” (রাজশাহীর আঞ্চলিক ভাষা)।

এখন বাসায় বসে বসে এই পিটুনি শিল্প বা মহাঔষধ (মাইর) নিয়ে ভাবছি আর লিখতে বসলাম সারাদিনের অভিজ্ঞতা। লিখতে লিখতে পিটুনি শিল্পের বাস্তবতা দেখে মনে মনে হাসছি খুব। আমার আদরের বাদর অনুজটা অনেক্ষন তার হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থেকে বললো ব্যাটারিটা তাহলে শেষ আবার এই করোনায় বের হয়ে ব্যাটারি লাগাতে হবে। আমি আড় চোখে তাকিয়ে বললাম হাত দিয়ে একটা চর থাপ্পড় মার। অব্যার্থ ওষুধ তা কি আর ভুল হয়, চলতে  শুরু। আরকি সন্দেহ থাকে এই সাত কলার রঙচোখা জীবনে। পিটুনির তেল মারা কথা শেষ করতে হবে তাই এখনি ভাবলাম ইতি টানবো। কিন্তু বিধীবাম, কী-বোর্ডের সমস্যা একটু পর-পর কয়েকটা কী কাজ করছেনা। শেষ ওষুধ তো আছেই হুহুহুহাহাহা। ইয়া ঠাস ঠাস ঠাস…………………….

একটু আগে এক্স-রে করে আসলাম। এখন আমার বর্তমান অবস্থাটা আর নাই বা বললাম, কিন্তু আমার অবস্থাটা নিচের লাইন টুকু পড়ে একটু হলেও আন্দাজ করতে পারবেন ………………………….

“ হুতাসে মেতে চটকনা দিয়ে হাত করলাম ফুলিয়ে হাতি,

স্বস্তা ওষুধ ব্যাবহারে সাইড ইফেক্ট পড়ে নিয়ো হে মহা জ্ঞাণী এই জাতি ”

 

কপি রাইটঃ এস. এম. রাজিব আহম্মেদ

ইন্সট্রাকটর, কম্পিউটার টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

 

মাইন্ডসেট এবং সফট স্কিল

মাইন্ডসেট এবং সফট স্কিল

মাইন্ডসেট এবং সফট স্কিল

সফলতা মূলত দুইটি কারনে আসে, একটা হচ্ছে মাইন্ডসেট এবং আর একটা হচ্ছে সফট স্কিল।

১. মাইন্ডসেট

২.সফট স্কিল

মাইন্ডসেটঃ

মানুষের মাইন্ডসেট করা না থাকে কোন কাজে আসলে সফলতা আসে না। তাই আমাদের একটা নির্দিষ্ট মাইন্সের থাকতে হবে। মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় –

১. গ্রোথ মাইন্ডসেট

২. ফিক্স মাইন্ডসেট

গ্রোথ মাইন্ড সেট এ মানুষরা মনে করে আমি যদি চেষ্টা করি, আমি যদি শিখতে চাই তাহলে আমার অনেক কিছুই শেখা সম্ভব। ফিক্স মাইন্ডসেটের মানুষকে মনে করে যে না এটা আমার দ্বারা হবে না, এইটা তে আমি ভালো না, ওইটা আমি করবো না, এটা করাই আমার জন্য সময় নষ্ট ইত্যাদি তাদের মানুষের টা আসলে ফিক্স করা থাকে যে আমার এই জায়গাতে ডেভলপ হয় সম্ভব না। গুদমারা সেটা মনে করে যে না বেইন হচ্ছে গাছের মত এটাও হবে,  পিকস মানুষের মনে করে এত দেয়ালের মত এটাকে আর গ্রো করা সম্ভব না।

মানুষের ব্রেইন কে আমরা প্লাস্টিক বলতে পারে কারণ এটা আস্তে আস্তে বড় হয়। যত বেশি মানুষ প্র্যাকটিস করবেন ততবেশি সে লার্ন করবে এবং যত বেশি সে লার্ন করবে তত বেশি তার ব্রেইন টা গ্রো করবে।

সফট স্কিলঃ

হার্বাট ইউনিভার্সিটি একটা রিসার্চ পাওয়া গেছে, “যেসব মানুষ চাকরি জীবনে সফল হয়, সেই সমস্ত মানুষের সফট স্কিল তাকে ৮৫% সহযোগিতা করে এবং টেকনিক্যাল স্কিল বা হার্ড স্কিল ১৫% সহযোগিতা করে।“

সফট স্কিল কেন গুরুত্বপূর্ণঃ

আমরা যদি উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকায় তাহলে আমরা দেখতে পাব ৮৫% চাকরির সফলতা আসে সফট স্কিল দিয়ে।  যেমনঃ যারা এইআর প্রফেশনাল আছেন তারা যখন কোন ইন্টারভিউ নেন সেখানে তারা বেশি গুরুত্ব দেয় সফট স্কিল বা ইন্টার পার্সোনাল স্কিলের উপরে। তবে সে ক্ষেত্রে হার্ডস্কিলের বা টেকনিক্যাল স্কিলেরও গুরুত্ব আছে কারণ টেকনিক্যাল স্কিল বা হার্ড স্কিল ছাড়া কর্ম ক্ষেত্রে কাজ করা সম্ভব না।

এবং যারা জব সিকার তাদেরকে নিয়ে রিসার্চ করা হয়েছে সেখানে দেখা গেছে তারা বেশিরভাগই বলেছে যে চাকরির ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল স্কিল বা হার্ড স্কিলের গুরুত্ব বেশি।

তারমানে দেখা যাচ্ছে যে যারা জব দিচ্ছেন এবং যারা জব খুজছেন তাদের মধ্যে একটা গ্যাপ তৈরি হয়েছে সবাইকে তা বুঝতে হবে এবং সব স্কিনের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ যারা এই জিনিসটা বুঝবেন না এবং মনে করবেন যে তাদের একাডেমিক রেজাল্ট  ভালো হলেই আমি জব পেয়ে যাব তারা আসলে আপনি পাবেন না আপনার যদি সফট স্কিল ডেভলপ না করেন। কারণ যারা আপনাকে চাকরি দিবেন তারা আপনার ইন্টার পার্সোনাল স্কিল বাস্তব স্কিলের উপরে প্রাধান্য দেন।

৫ ধরনের সফট স্কিন যা বর্তমানের থাকা অত্যাবশ্যকঃ

অনেকগুলো সফট স্কিন আছে যার মধ্যে যদি জানতে চাওয়া হয় কোন ধরনের সংস্কৃতি গুলো বেশী গুরুত্বপূর্ন তাহলে আমরা বলতে পারি-

১. প্রবলেম সলভিং

২. ক্রিটিকাল থিংকিং

৩. ক্রিয়েটিভিটি

৪. পিপল ম্যানেজমেন্ট এবং

৫. কলাবরেশন

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক রিপোর্ট অনুযায়ী এই পাঁচ ধরনের সফট স্কিল টপ লিস্টে আছে।

 

. প্রবলেম সলভিং

প্রবলেম সলভিং মানে হচ্ছে যার প্রবলেম সলভ করার এবিলিটি আছে। সে খেতে অনেকেই বলে থাকেন কিভাবে প্রবলেম সলভ করবেন। আসলে প্রবলেম সলভিং এর কিছু মেথড আছে। যেমন

  • প্রবলেম আইডেন্টিফাই করা
  • প্রবলেমের কারণে খুজে বের করা
  • প্রবলেম এনালাইসিস করা
  • সলিউশন খুঁজে বের করা
  • সলিউশন গুলোকে অ্যানালাইসিস করা
  • সলিউশন নিয়ে প্ল্যানিং করা
  • ইমপ্লিমেন্ট করা

 

. ক্রিটিকাল থিংকিং

ক্রিটিকাল থিংকিং হচ্ছে আপনারা যখন কোন ইনফর্মেশন পান তখন তাকে কিভাবে রেশনালি যাচাই বাছাই বা মূল্যায়ন করবেন। আপনার মধ্যে এই যাচাই বাছাই বা মূল্যায়ন করার ক্ষমতা টা আছে কিনা। ক্রিটিক্যাল থিংকিং বলতে এখানে মানুষের এনালাইসিস সিং এর কথা বুঝানো হয়েছে।

আসলে ক্রিটিকাল থিংকিং হচ্ছে অনেক কিছু নিয়ে তৈরি করা একটা জিনিস যেমন এখানে এনালাইসিস আসবেন ইমপ্লিমেন্ট আসবেন, ইভালুয়েশন আসবেন।

. ক্রিয়েটিভিটি

ক্রিটিভিটি হচ্ছে সৃজনশীলতা। কোন কিছু নতুন ভাবে তৈরি করা, কোন কিছু ডিফারেন্ট ভাবে বা ভিন্ন ভাবে  তৈরি করা।

. পিপল ম্যানেজমেন্ট

পিপল ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে আপনি কিভাবে মানুষকে ম্যানেজ করছেন। কিভাবে আপনি মানুষের সাথে মিশবেন, কিভাবে আপনি মানুষের সাথে কথা বলবেন, কীভাবে আপনি মানুষের সাথে একটা সম্পর্ক স্থাপন করবেন, এবং কিভাবে আপনি মানুষকে ম্যানেজ করবেন এটাই হচ্ছে মূলত পিপল ম্যানেজমেন্ট।

. কলাবরেশন

পিপল ম্যানেজমেন্ট এবং কলাবরেশন প্রায় কাছা-কাছি। কিন্ত টিপল ম্যানেজমেন্ট বলতে লিডারশীপ কোয়ালিটি কে বোঝায় আর  কলাবরেশন হচ্ছে টিমওয়ার্ক কোয়ালিটি।  আপনি কিভাবে একটা টিমের সাথে কাজ করছেন, কিভাবে টিম গঠন করছেন, কিভাবে একটা টিমকে নির্দেশনা দিচ্ছেন এটাই মূলত কলাবরেশন।

ইন্টার্নশিপ

ক্যারিয়ারের শুরু ইন্টার্নশিপ থেকেই

ক্যারিয়ারের শুরু ইন্টার্নশিপ থেকেই

আমাদের চারপাশে প্রতিদিন প্রতিযোগিতামূলক একটি সমাজ তৈরি হচ্ছে। পড়ালেখার কথা বলো, চাকরির সুযোগের কথা বলো কিংবা ব্যাবসা বাণিজ্যের কথা বলো। সব জায়গাতেই রয়েছে এক অসম প্রতিযোগিতা। আর এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নিজের সেরাটা দেয়া খুবই জরুরি। আর নিজের সেরাটা তখনই দেয়া সম্ভব যখন কোনো বিশেষক্ষেত্রে তোমার দক্ষতা কিংবা পারদর্শিতা থাকবে। আর যদি সেই বিশেষক্ষেত্রে কাজ করার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে দক্ষতা কিংবা পারদর্শিতা যাই বলো না কেনো, তা অর্জন করা সম্ভব নয়। আর এই অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য শিক্ষার্থী জীবনটাই হলো সেরা সময়।

শিক্ষার্থী জীবনে অনেক কিছুই একসাথে সামলে চলতে হয়। পড়ালেখা, বন্ধু, পরিবার এবং তারপর নিজের কাজ। কিন্তু এতো কিছুর মাঝেও নিজেকে সামনের জীবনের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে হয়। ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে বীজ বোনার কাজটা করতে হয় শিক্ষার্থী জীবনেই। আরও নির্দিষ্ট করে বললে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনটা। কারণ এখানে একজন শিক্ষার্থী যেই ৪ থেকে ৫ বছর সময় পাড় করে, তার পুরোটা জুড়েই রাস্তা খোলা থাকে বিশ্বজগতের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার। এই ৪ বছর কিংবা ৫ বছর সময়ের মধ্যে একজন শিক্ষার্থীর সামনে অনেক সুযোগ আসে নিজেকে অন্য সবার থেকে উন্নত করার। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এই সময়টা একদম মোক্ষম। ক্লাবিং করে কিংবা কোনো ধরণের সংস্থার সাথে যুক্ত থেকে বিভিন্ন ধরণের কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করা সম্ভব। তবে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো কোনো ইন্টার্নশিপের সাথে যুক্ত হওয়া।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় এমন প্রায় সব বিষয়েই ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা রয়েছে। এই ইন্টার্নশিপ হলো নির্দিষ্ট বিভাগ ভিত্তিক গড়ে তোলা। এখানে শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক বিষয় নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা লাভ করে। তবে বর্তমানের প্রতিযোগিতামূলক দুনিয়ায় টিকে থাকার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে একাডেমিক অভিজ্ঞতার পাশাপাশি আরও অনেক ক্ষেত্রে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়। এটা নির্ভর করে একজন শিক্ষার্থী তার ক্যারিয়ার কোন দিকে পরিচালনা করতে চায় তার উপর। কেউ হয়তো চায় ব্যাংকিং ক্যারিয়ার তৈরি করতে, কেউবা চায় নিজের বিজনেস শুরু করতে, কেউ চায় শিক্ষকতা করতে কিংবা কেউ চায় অফিস ম্যানেজমেন্টের কাজ করতে। যে ধরণের কাজই হোক না কেনো, সবক্ষেত্রেই ইন্টার্নশিপ এক বিশেষ ভূমিকা রাখে।

তুমি যখন কোনো কাজের অথবা চাকরির জন্য আবেদন করবে অর্থাৎ নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে যাবে, তখন দেখা হবে এধরণের কাজে তোমার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে কিনা। সবে মাত্র শিক্ষা জীবন শেষ করে একজন তো হঠাৎ করেই সব কাজে অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলতে পারবে না। এখানেই ইন্টার্নশিপের অভিজ্ঞতাটি কাজে লাগে। এখানে কাজ করার অভিজ্ঞতাই তোমাকে অন্য সবার থেকে এগিয়ে রাখবে। একাডেমিক রেজাল্টই যে সবসময় কাজে ভালো হবার ইঙ্গিত দেয় তা কিন্তু না। একজনের একাডেমিক রেজাল্ট অনেক ভালো। কিন্তু তার বাস্তবিক জীবনে কাজ করার তেমন কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। আর তোমার ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে কাজ করার বেশ ভালো একটি অভিজ্ঞতা রয়েছে। রেজাল্ট যদি তুলনামূলক খারাপ হয়েও থাকে, অভিজ্ঞতার বিচারে তোমাকেই অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

সংগ্রহীত

বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট

3 Things You Should Know About Career and Technical Education

3 Things You Should Know About Career and Technical Education

For decades now, the education community has stated that the majority of students who drop out of high school do so not because high school is too hard, but because they are too bored by the content or don’t see the relevance of what they are learning.

Even those who do graduate from high school by taking a common curriculum are left to wonder what the world holds for them. With college costs rising, many of these students and their families are questioning the value of a four-year college degree, concerned over the crushing cost of student loans compared to the career paths available to them post-graduation.

Often lost in these discussions is the discussion of career and technical education (CTE). For some, career and technical education still suffers a stigma, a belief that CTE is a world of the auto shop classes of the 1950s or a program designed to hold those students who struggle too greatly in a traditional academic schedule.

Nothing could be further from the truth.

In the past year, policymakers in Washington, D.C., have sought to re-embrace the CTE path, seeing the incredible impact career and technical education can have in meeting the nation’s employment needs of the future.

Community colleges are seeing CTE—and not early college—as their path toward growth and continued success. And learners are seeing CTE as one of the few opportunities to study their interests and passions in a high school environment.

Earlier this month, The Manufacturing Institute released Attracting the Next Generation of Students: The Role of Career and Technical Education. This exciting new report highlights many truths behind the rebirth of CTE and the motivations of the students who are quietly driving it. These are facts that we can and should learn from.

Fact One: CTE teachers believe industry-recognized credentials are valuable to students beginning their careers, with 65 percent saying industry certificates are among the most valuable education credentials after graduating high school.

Lesson Learned: As educators, we should be doing more to communicate the value proposition of career and technical education to today’s students and their families. The credentials are important. Equally important are the jobs, job security and strong salaries that can come to those holding the industry certificates. Our emphasis should be on the credential as a mile marker on the career path, not as the final destination.

Fact Two: Despite the value of the credential, more than a third of CTE students (35 percent) enrolled in CTE courses say they have no contact with future employers, with only 12 percent experiencing site visits, 13 percent having pathway-related after-school jobs and 20 percent having pathway-related summer jobs.

Lesson Learned: Part of a CTE education should be a “clinical experience,” where students are participating in and learning from the very careers they seek to achieve. We expect teachers to work with experienced educators in clinical experiences, seeing how they can apply what they learn as a student in their classrooms as teachers.

We should be looking for the same with our CTE students, where they learn from knowledgeable individuals in the field about the job and the future. This isn’t just apprenticeships or internships. This is understanding the career and technical paths available today and tomorrow.

Fact Three: According to the study, nearly 2 in 3 students (63 percent) enrolled in CTE courses see their own interests and experiences as a major influence in their career pathways. Their parents are the second-largest influence.

Lesson Learned: We need to do more to encourage students to pursue their individual interests and passions, while making opportunities available that align with student perceptions of their futures. This requires greater understanding of how today’s high school students are thinking about their futures, pressing beyond the traditional “I plan to go to college” responses to better understand how they relate to STEM, 21st-century skills, CTE and other such pursuits that are provided to them in high school.

Most students today understand that the goals of their parents—to graduate high school, go to college, and get a job (any job)—are not their goals.

Today’s learners want to be engaged and inspired. They want to transform their personal interests into their professional opportunities. And they don’t want to be limited by the jobs, the industries or the courses of previous generations.

The Manufacturing Institute’s study provides some foundational learning on how CTE fits into that thinking. We, as a community, must now commit to building on those lessons to provide meaningful CTE learning experiences, relationships and job opportunities to all who seek it.

Reference

Ed Doody Executive Director, Student Research Foundation Dallas, Texas

https://educationpost.org/3-things-you-should-know-about-career-and-technical-education

 

Bangladesh Skill Development Institute (BSDI)

কথায় অল্প বড় হলেও দক্ষতায় সেরা হতেই হবে

আবার যিনি বিতরণ করছেন তিনি আবার প্রতিযোগিতার মধ্যে চলে আসেন যখন আরেকজন জ্ঞানী ব্যক্তি তাকে প্রশ্নের মধ্যে ফেলে দেন। তখন তৃতীয় জনের আবির্ভাব ঘটে। আর এভাবেই চলে জ্ঞান বিতরণে জ্ঞানী ব্যক্তিদের লড়াই। ঠিক এই মুহূর্তে আমি লিখছি আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা থেকে, কাল যখন প্রকাশ পাবে তখন হয়তো আরেকজন জ্ঞানী মানুষ আমাকে ফেলে দেবে তার ব্যক্তিগত জ্ঞান নির্ভর প্রশ্ন দ্বারা। জ্ঞানীর সাথে জ্ঞানীর লড়াই চলছেই যুগ যুগ ধরে।

অপর দিকে রিংকু ছোটবেলা থেকেই বলতো, আমি না একটা বল ছুড়ে ওই পাঁচতলার ছাদে পাঠাতে পারি। তার বন্ধু রাশেদ পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলতো আমি ছয় তলায় পাঠাতে পারি। অফিসে করিম সাহেব গেছেন ইন্টারভিউ দিতে। তার হবু বসকে তিনি বললেন, আমি মিনিটে ৩০টি শব্দ টাইপ করতে পারি। বস বললেন, আমাদের দরকার যিনি মিনিটে ৪০টি শব্দ লিখতে পারেন। আসলে যেখানে দক্ষতা যাচাইয়ের প্রশ্ন সেখানে আসলে তথাকথিত লড়াই করা যায় না।

উপরের যে দুটো দিক তুলে ধরা হলো তার প্রথমটি হচ্ছে জ্ঞান বা নলেজ, যা পরিমাপযোগ্য নয়। কারণ এর নির্দিষ্ট কোন সীমানা নেই, বিশাল সমুদ্রতুল্য। ৫০০০ হাজার বছর পূর্বেও মানুষের জ্ঞান ছিল যা তারা তাদের পূর্ববর্তীদের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে নিজেদের জ্ঞানের সাথে মিশ্রণ ঘটিয়ে নতুন জ্ঞানের জন্ম দিয়েছেন। নতুনকে আমরা সহজে মানতে পারি না। এটা মানুষের স্বভাবসুলভ আচরণ।

আর যদি সেটা শুধুই জ্ঞাননির্ভর নতুন তত্ত্ব হয় তাহলে তো কথাই নেই, অনেক সময় নিয়ে নেয় মেনে নিতে। হয়তো এই মুহূর্তে কেউ নতুন তত্ত্ব নিয়ে কাজ করছেন; পুরনো ইতিহাস ঘেঁটে যা আমরা এই মুহূর্তে হয়তো মানবো না। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে দক্ষতা যা আমার মতে পরিমাপযোগ্য। পরিমাপযোগ্য বলছি এই কারণে যে, আমরা জানি এবং আমাদের মানতে সহজ। কারণ দক্ষতার সাথে পরিমাপযোগ্য উপাদান জড়িত।

একটি হোটেলে যখন ওয়েটার নিয়োগ দেয়া হয় তখন দেখা হয় দু-হাতে তিনি কতগুলো অর্ডার নিয়ে পরিবেশন করছেন কোন প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি ছাড়া। যখন গ্রাফিক্স ডিজাইনার নিয়োগের প্রশ্ন আসে তখন দেখা হয় একটি কনসেপ্টকে ডিজাইনে আনতে কতো সময় নিচ্ছেন যা পরে মিলিয়ে দেখা হয় সেই প্রতিষ্ঠানের স্ট্যান্ডার্ডের সাথে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কিন্তু দক্ষতা নির্দিষ্ট উপাদান দ্বারা পরিমাপ করা যায় এবং করা হয়।

জ্ঞান নির্ভর সমাজ আমরা সবাই চাই কিন্তু শুধু জ্ঞান দিয়ে তো সমাজের আসল চিত্র পরিমাপ করা যাবে না। যেমন, বিদেশে আমাদের দক্ষ শ্রমিক ভাইয়েরা যাচ্ছেন, কাজ করছেন, অর্থ উপার্জন করছেন এবং আমাদের দেশে পাঠাচ্ছেন। ধরা যাক, আমরা দক্ষ না করে শুধু জ্ঞান দিয়ে তাদের বিদেশে পাঠালাম এবং অপরিমাপযোগ্য জ্ঞানের কারণে তারা ফেরত চলে আসল, তাহলে আমাদের দেশের চিত্র বিদেশে কেমন হতো?

আমাদের সম্পর্কে ধারণা হতো আমরা কথায় বড় কাজে ঠন ঠন। কদর সেই ব্যক্তির যিনি কথায় অল্প পটু হলেও কাজে সাংঘাতিকভাবে পরিমেয়। এখনকার সমাজ বা প্রতিষ্ঠান কী চায়? আমাদের যেমন জ্ঞান থাকা চাই, তেমনি কোন একটি বিষয়ে আমাদের মাস্টার হতে হবেই, মানে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় আমাদের দক্ষতা নিশ্চিত করা। কারণ দক্ষতা ছাড়া আমার জ্ঞান আমি পরিমাপ করাতে পারবো না।

সাধারণত কোন একটি বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজন মনোযোগ সহকারে পড়া বা পড়ানো, দেখা বা দেখানো এবং শোনা বা শোনানো। কিন্তু দক্ষতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন করা বা করানো এবং পর্যাপ্ত অনুশীলন। আমি কতো জ্ঞানী সেটাও অনেকক্ষেত্রে লিখে বা বলে মাপানো যায় কিন্তু দক্ষতা একমাত্র করে দেখাতে হয়। দক্ষতা নির্ভর সমাজ প্রতিষ্ঠায় অবশ্যই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় আনতে হবে আমূল পরিবর্তন। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থায় থাকতে হবে হাতে কলমের শিক্ষা।

সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা বেরিয়েই বলছে ‘আমি জানি কিন্তু পারি না’! আর উন্নত দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা বেরিয়েই বলছে ‘আমি জানি এবং পারি’ পার্থক্যটা এখানেই। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অধিকাংশ ক্ষেত্রে লেখা বা বলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। করে দেখানোর মতো সাহসিকতা না ছাত্ররা দেখায় না শিক্ষকরা। এই সাহসিকতা যতদিন আমরা দেখাতে না পারবো ততদিন আমরা শুধু কথাতেই বড় হয়ে থাকবো। আর আমরা তো জানি মর্যাদা তাদের বেশি যারা কথায় বড় না হয়ে কাজে বড় হয়।